Tag: Madhyom

Madhyom

  • Recruitment Scam: “৭ দিন মানে ৭ দিন”! ভুয়ো নথি দিয়ে চাকরি মামলায় সিআইডি-কে ‘ডেডলাইন’ হাইকোর্টের

    Recruitment Scam: “৭ দিন মানে ৭ দিন”! ভুয়ো নথি দিয়ে চাকরি মামলায় সিআইডি-কে ‘ডেডলাইন’ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুর্শিদাবাদের সুতির গোথা এআর হাইস্কুলে ভুয়ো নথি দিয়ে চাকরির মামলায় (Recruitment Scam) রাজ্যের তদন্তকারী সংস্থা সিআইডির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক আশিস তিওয়ারির বিরুদ্ধে ছেলে অনিমেশ তিওয়ারিকে বেআইনিভাবে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত এই মামলায় রাজ্যের তদন্তকারী সংস্থা সিআইডির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলল কলকাতা হাইকোর্ট। এই মামলায় ৭ দিনের চূড়ান্ত সময়সীমা দেওয়া হয়েছে সিআইডিকে। উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি দেখাক সিআইডি নাহলে তদন্ত স্থানান্তর করা হবে বলে পর্যবেক্ষণ হাইকোর্টের। 

    আদালতের পর্যবেক্ষণ

    বৃহস্পতিবার এই মামলার শুনানিতে সিআইডির উদ্দেশে হুঁশিয়ারি দিয়ে বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু বলেন, “কাজ না করলে তার ফল ভুগতে হবে।” তদন্তে রাজ্য কাউকে আড়াল করতে চাইছেন কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। এই প্রসঙ্গে সিআইডির উদ্দেশে বিচারপতির মন্তব্য, “আপনাদের উপর ভরসা রেখে তদন্তের ভার সিবিআইকে না দিয়ে সিআইডিকে দিয়েছিলাম। আপনারা কি আমার সিদ্ধান্তকে ভুল প্রমাণিত করতে চাইছেন?” বুধবারই মামলায় সিআইডির তদন্তের গতি প্রকৃতি নিয়ে হতাশা ব্যক্ত করে আদালত। হস্পতিবার অবশ্য ডিআইজি হাইকোর্টে আসেননি। এই মামলার জন্য গঠিত সাত সদস্যের বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট)-এর চার জন উপস্থিত ছিলেন। বৃহস্পতিবার বিচারপতি বলেন, “আদালত আশা করে এই ধরনের একটা মামলার সময় তদন্তকারী দলের দায়িত্বশীল কোনও আধিকারিক আদালতে উপস্থিত থাকবেন। তদন্তকারী দলে কারা কারা আছেন? ডিআইজি-সিআইডিকে তদন্তকারী দল গঠনের নির্দেশ দিয়েছিলাম। সেই নামগুলো কোথায়?” 

    আরও পড়ুন: খানাকুলে তৃণমূলকে সংখ্যালঘু করে পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন করল বিজেপি

    সাত দিন সময়

    বিচারপতি এদিন আরও বলেন, “এখানে শুধুমাত্র অনিমেষ তিওয়ারির ঘটনা উদঘাটনে সিআইডি-কে দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। এর নেপথ্যে থাকা বৃহত্তর ষড়যন্ত্র খুঁজতে বলা হয়েছে। সেখানে রাজ্যের যদি কোনও কিছু লুকনোর না থাকে সেক্ষেত্রে তা করা উচিত। আর যদি রাজ্য কিছু চাপা দিতে চায় সেক্ষেত্রে বিষয়টি আলাদা। এসএসসি খোঁজ করার চেষ্টা করছে যে কাদের বেআইনিভাবে নিয়োগ করা হল। এটা তো সিআইডি-র খোঁজার কথা।” বিচারপতি আরও বলেন, “এটা একটা সুপরিকল্পিত চক্র। তা কেবলমাত্র একজনের পক্ষে সম্ভব নয়। এতদিন হয়ে গিয়েছে। যথেষ্ট সময় দেওয়া হয়েছে। আর ধৈর্য্য ধরা সম্ভব হচ্ছে না। কিছু লোক এখনও শিক্ষক হিসেবে কাজ করছে, বেতন পাচ্ছে। অথচ তাদের কোনও রেকর্ড কর্তৃপক্ষের কাছে নেই। ১৫ দিন সময় দেওয়ার কোনও সুযোগ নেই। সাতদিন মানে সাতদিন। ব্যক্তি নয়, একটা দল হিসেবে কাজ করুন।” এই মামলার পরবর্তী শুনানি ১৭ অগাস্ট।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Justice Gangopadhyay: ‘‘এখন পিএসসির অবস্থা দেখলে খারাপ লাগে’’, আক্ষেপ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

    Justice Gangopadhyay: ‘‘এখন পিএসসির অবস্থা দেখলে খারাপ লাগে’’, আক্ষেপ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গ পাবলিক সার্ভিস কমিশনে নিয়োগে একাধিক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। তা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Gangopadhyay)। এদিন প্রাথমিকের একটি মামলার শুনানি চলছিল। সেই মামলা চলাকালীন বর্তমানে ছাত্র-শিক্ষক সম্পর্কের কথা বলতে গিয়ে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Gangopadhyay) পাবলিক সার্ভিস কমিশন নিয়ে মন্তব্য করেন। তাঁর কথায়, ‘‘এখন পিএসসির অবস্থা দেখলে খারাপ লাগে, চোখের সামনে একটা সিস্টেম খারাপ হয়ে গেল।’’ তিনি এই কথা বলতে গিয়ে নিজের ব্যক্তি জীবনের প্রসঙ্গও টেনে আনেন।

    কী বললেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়?

     বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আমিও একসময় পিএসসির পরীক্ষা দিয়ে সরকারি চাকরি করেছি। আমি দুটো সরকারি চাকরি করেছি। কাউকে এক টাকাও দিতে হয়নি। তখন অত্যন্ত স্বচ্ছ নিয়োগ হত।’’ এদিন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Gangopadhyay) কথায় উঠে আসে পিএসসি নিয়োগের দুর্নীতির প্রসঙ্গও। তাঁর কথায়, ‘‘পিএসসিতে ২৮ নম্বর ৮২ হয়ে গেল, ভাবা যায়! খারাপ লাগে।’’ আবার রাজ্যের নিম্ন আদালতের নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে। এ প্রসঙ্গেও অসন্তোষ প্রকাশ করেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।

    আরও পড়ুন: ডেঙ্গি-মৃত্যু নিয়ে ফের চাপানউতোর, রাজ্যের বিরুদ্ধে তথ্য চেপে যাওয়ার অভিযোগ স্বাস্থ্য মন্ত্রকের!

    শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে একাধিক নেতা-মন্ত্রী জেলে

    প্রসঙ্গত, শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারির একাধিক মামলা চলছে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Gangopadhyay) এজলাসে। জেলবন্দী রয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, প্রাথমিক সংসদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য সহ শিক্ষা দফতরের একাধিক কর্তা। শুধু তাই নয়, নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়িয়েছে শাসকদলের আরও অনেক নেতার নাম। বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহাও রয়েছেন প্রেসিডেন্সি জেলে। নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে  শুধু স্কুল সার্ভিস কমিশন বা প্রাথমিক টেট নয় পিএসসিরও দুর্নীতি সামনে এসেছে। এছাড়া রাজ্যের ৮০টি পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতিরও তদন্ত চলছে। দুর্নীতির শিকড়ের সন্ধানে একযোগে তদন্ত চালাচ্ছে ইডি-সিবিআই। কলকাতা হাইকোর্টে বারবার ভর্ৎসিত হতে হয়েছে রাজ্যকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • ODI World Cup 2023: ২৫ অগাস্ট থেকে শুরু! সাত দফায় পাওয়া যাবে বিশ্বকাপের টিকিট

    ODI World Cup 2023: ২৫ অগাস্ট থেকে শুরু! সাত দফায় পাওয়া যাবে বিশ্বকাপের টিকিট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বেজে গিয়েছে বিশ্বকাপের বাদ্যি। আগামী ২৫ অগাস্ট থেকে অনলাইনে টিকিট কাটা যাবে, জানিয়ে দিয়েছে আইসিসি। তবে ভারতীয় বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, মাঠে প্রবেশ করা যাবে শুধুমাত্র ছাপা টিকিট নিয়েই। সমর্থকদের সুবিধার কথা মাথায় রেখে আইসিসি নতুন ব্যবস্থা নিয়ে এসেছে, যেখানে বাড়িতে বসেই সমর্থকেরা বিশ্বকাপের ছাপা টিকিট পেয়ে যেতে পারেন। তার জন্য দিতে হবে অতিরিক্ত ১৪০ টাকা। 

    কী কী সুবিধা

    বিশ্বকাপের সংশোধিত সূচি প্রকাশ হওয়ার পরপরই আইসিসির পক্ষ থেকে জানানো হয় যে, ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ সহ নয়টি ম্যাচের জন্য তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে। ওয়ার্ম-আপ ও টুর্নামেন্টের সব ম্যাচের টিকিট বিক্রি শুরু হবে ২৫ অগাস্ট। এরপর বাকী ছয় ধাপে টিকিট বিক্রি হবে। অফলাইনে, অর্থাৎ স্টেডিয়ামে বা অন্য কোথাও ছাপা টিকিট বিক্রি হবে না। টিকিট কাটতে হবে অনলাইনেই। পরে স্টেডিয়ামে বা বোর্ডের নির্দিষ্ট করে দেওয়া জায়গায় গিয়ে অনলাইন টিকিটের প্রতিলিপি দেখিয়ে ছাপা টিকিট নিতে হবে। সে ক্ষেত্রে দীর্ঘ ক্ষণ লাইনে দাঁড়ানোর ঝুঁকি থাকছে। কিন্তু বাড়তি খরচ করলে সেই অসুবিধা পোহাতে হবে না। অতিরিক্ত ১৪০ টাকা দিলেই ক্যুরিয়ারের মাধ্যমে সেই টিকিট বাড়িতে পৌঁছে যাবে। তবে শর্ত রয়েছে একটি। যে ম্যাচ দেখতে চাইছেন, তার অন্তত ৭২ ঘণ্টা আগে টিকিট কাটতে হবে। এই সুবিধা কেবল ভারতে থাকা সমর্থকদের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। যাঁরা স্টেডিয়ামে বসে ম্যাচ দেখতে ইচ্ছুক, তাঁদের ১৫ অগস্টের মধ্যে ক্রিকেট বিশ্বকাপের ওয়েবসাইটে গিয়ে নাম ‘রেজিস্টার’ করাতে হবে। টিকিটের চাহিদা কী রকম তার উপর ভিত্তি করে টিকিট বিক্রি শুরু হবে। গ্রুপ পর্বে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের টিকিট বিক্রির প্রক্রিয়া শুরু হবে সবার শেষে। সেমিফাইনাল এবং ফাইনালের ঠিক আগে।

    আরও পড়ুন: সামনে বিশ্বকাপ! গভীর রাতে আগুনে পুড়ল ইডেনের ঐতিহ্যবাহী ড্রেসিং রুম

    কবে কবে টিকিট 

    ২৫ অগাস্ট: ওয়ার্ম-আপ এবং বিশ্বকাপের যে সমস্ত ম্যাচ ভারতের নয়।

    ৩০ অগাস্ট: গুয়াহাটি ও তিরুঅনন্তপুরমে ভারতের প্রস্তুতি ম্যাচ।

    ৩১ অগাস্ট: ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়া (চেন্নাই), ৮ অক্টোবর, দিল্লি (আফগানিস্তানের বিপক্ষে), ১১ অক্টোবর এবং পুনে (বাংলাদেশের বিপক্ষে), ১৯ অক্টোবর

    ১ সেপ্টেম্বর: ধর্মশালায় ভারত-নিউজিল্যান্ড ম্যাচ, ২২ অক্টোবর, লখনউ (ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে), ২৯ অক্টোবর এবং মুম্বই বনাম শ্রীলঙ্কা, ২ নভেম্বর

    ২ সেপ্টেম্বর: কলকাতায় ভারতের ম্যাচ (দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে), ৫ নভেম্বর এবং বেঙ্গালুরুতে (নেদারল্যান্ডের বিপক্ষে), ১২ নভেম্বর

    ৩ সেপ্টেম্বর: আহমেদাবাদে ভারত বনাম পাকিস্তান ম্যাচ, (১৪ অক্টোবর)

    ১৫ সেপ্টেম্বর: সেমিফাইনাল ও ফাইনাল

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Fever Detector App: থার্মোমিটারের দরকার নেই! ফোন থেকেই চেক করতে পারবেন ডেঙ্গির জ্বর 

    Fever Detector App: থার্মোমিটারের দরকার নেই! ফোন থেকেই চেক করতে পারবেন ডেঙ্গির জ্বর 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডেঙ্গি হোক বা কোভিড কিংবা ভাইরাল জ্বর, বডি টেম্পারেচার মাপতে হবে ঘন ঘন। জ্বরে পুড়ে যাচ্ছে গা। অথচ হাতের কাছে নেই থার্মোমিটারটা। হাতের কাছে স্মার্টফোনটা তো আছে! থার্মোমিটারের প্রয়োজন পড়বে না স্মার্টফোনে ডাউনলোড করুন একটি বিশেষ অ্যাপ তাহলেই বডি টেম্পারেচার মাপতে পারবেন।

    জেনে নিন সেই বিশেষ অ্যাপ

    ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের (UW) গবেষকরা একটি স্মার্টফোনকে থার্মোমিটারে রূপান্তর করতে ‘ফিভারফোন’ অ্যাপ তৈরি করেছেন। এতে আপনি কোনও হার্ডওয়্যার কানেকশন ছাড়াই আপনার জ্বর আছে কি না পরীক্ষা করতে পারবেন। ইউডব্লিউ-এর ছাত্র জোসেফ ব্রেডা গবেষণাটি শুরু করেন। এই অ্যাপটি ফোনে আপনার তাপমাত্রা নিরীক্ষণ করবে। এতে লাগানো সেন্সরটি ডিভাইসের কাছে আসা যে কোনও গরম জিনিসকে শনাক্ত করবে। অ্যাপটিকে অন করে কপালের সামনে ধরতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে, যাতে ফোনের টাচ স্ক্রিনটি কপালের সামনে থাকে। সঠিক ভাবে দেহের তাপমাত্রা পরিমাপের জন্য ফোনটিকে ৯০ সেকেন্ড মতো কপালে ঠেকিয়ে রাখতে হবে। যদি স্ক্রিনে তাপমাত্রার পরিবর্তন হয় তবে জ্বর এসেছে। অ্যাপটি নিয়ে এখন নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে। তবে জনসাধারণের ব্যবহারের জন্য তা কবে বাজারে আনা হবে, সেটা নিয়ে এখনও জানাতে পারেননি গবেষকরা। এখন শুধু বিভিন্ন স্বাস্থ্য সংস্থার থেকে ছাড়পত্র পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে অ্যাপটি।

    আরও পড়ুন: লক্ষ্য চিন! নেপাল-ভুটানের সঙ্গে রেলপথে জুড়তে চাইছে ভারত, জানালেন জয়শঙ্কর

    অন্য অ্যাপগুলি

    বডি টেম্পারেচার থার্মোমিটার: এই অ্যাপটি গুগল প্লে স্টোরে দশ লাখেরও বেশি ডাউনলোড হয়েছে। অ্যাপটি আপনার শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষা করতে পারে, যাতে সহজেই বোঝা যায় আপনার জ্বর আছে কি না।
    বডি টেম্পারেচার অ্যাপ: এই অ্যাপটি গুগল প্লে স্টোরে ৩.৭ রেটিং পেয়েছে এবং এটি এখন পর্যন্ত ৫ লাখ ব্যবহারকারী ডাউনলোড করেছেন।
    থার্মোমিটার ফর ফিভার ট্র্যাকার: শরীরের তাপমাত্রা চেক করতে পারবেন এই অ্যাপটির সাহায্যে। এই অ্যাপটি এখন পর্যন্ত গুগল প্লে স্টোরে ১ লাখ ব্যবহারকারী ডাউনলোড করেছেন এবং এটি ৩.২ রেটিং পেয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Kolkata Metro: ৩৮ বছর পরে বদলাচ্ছে থার্ড রেল! এবার থেকে প্রতি আড়াই মিনিট অন্তর মেট্রো

    Kolkata Metro: ৩৮ বছর পরে বদলাচ্ছে থার্ড রেল! এবার থেকে প্রতি আড়াই মিনিট অন্তর মেট্রো

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৩৮ বছর পরে উত্তর-দক্ষিণ মেট্রোয় পরিকাঠাময় বড় বদল আসতে চলেছে। প্রসঙ্গত, মেট্রো (Kolkata Metro)  পরিষেবা শুরুই হয়েছিল ৩৮ বছর আগে। জানা গিয়েছে, প্রতি আড়াই মিনিটের ব্যবধানে ট্রেন চালাতে প্রায় চার দশক আগেকার ইস্পাতের থার্ড রেল বদলে এবার অ্যালুমিনিয়ামের থার্ড রেল বসতে চলেছে। জানা গিয়েছে, সিঙ্গাপুর, লন্ডন, মস্কো, ইস্তানবুল, বার্লিন শহরে যেমনভাবে মেট্রো (Kolkata Metro) চালানো হয়, সেই ধাঁচেই এবার চলবে কলকাতার মেট্রো। ওই সমস্ত দেশগুলিতে মেট্রো পরিষেবার শুরুর দিকে ইস্পাতের থার্ড রেল ব্যবহার করা হতো এবং তা পরবর্তীকালে বদলে ফেলা হয় অ্যালুমিনিয়ামের থার্ড রেলে। এবার ঠিক এমনটাই হতে চলেছে কলকাতা মেট্রোতে।  কিন্তু হঠাৎ ইস্পাতের পরিবর্তে অ্যালুমিনিয়াম ব্যবহার কেন? এর উত্তর দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের মতে ইস্পাতের তুলনায় অ্যালুমিনিয়াম উত্তম পরিবাহী এবং অ্যালুমিনিয়ামের থার্ড রেলের বিদ্যুতের অপচয় ইস্পাতের তুলনা অনেক কম হবে। সাধারণভাবে ইস্পাতের রোধের পরিমাণ বেশি হওয়ায় যখন বিদ্যুৎ পরিবহন হয়, তখন তা অত্যন্ত উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। বিদ্যুৎ প্রবাহের ক্ষেত্রে রোধকে আরও বাড়িয়ে তোলে। শুধু তাই নয় থার্ড রেল অত্যন্ত উত্তপ্ত হলে তাতে আগুনের স্ফুলিঙ্গ পর্যন্ত সৃষ্টি হতে পারে এবং ট্রেনের বৈদ্যুতিক মোটরে তড়িৎ ঠিকঠাক পৌঁছতে পারেন। এর ফলে মেট্রো চলাচলে বাধার সৃষ্টি হয়। মূলত এই সমস্ত সমস্যাগুলির কথা মাথায় রেখেই কলকাতা ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো, জোকা-তারাতলা, নিউ গড়িয়া-রুবি মেট্রোতে অ্যালুমিনিয়ামের থার্ড রেল ইতিমধ্যে ব্যবহার করা হয়েছে। 

    কি বলছেন মেট্রো আধিকারিকরা

    মেট্রো রেলের (Kolkata Metro) মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘আগামী দু বছরের মধ্যে অ্যালুমিনিয়ামে থার্ড রেল বসানোর কাজ সম্পূর্ণ হয়ে যাবে। এবং প্রথম পর্যায়ে এই কাজ চলবে দমদম থেকে মহানায়ক উত্তম কুমার স্টেশন পর্যন্ত। আরও খবর মিলেছে অ্যালুমিনিয়ামের থার্ড রেল বসানো হলে বিদ্যুতের অপচয় ৮৪ শতাংশ কমানো যাবে। হিসাব বলছে থার্ড রেল বসানো হলে যা খরচ হবে, সেই খরচ তিন বছরের বিদ্যুৎ সাশ্রয়তেই উঠে আসবে। এছাড়াও ইস্পাতের থার্ড রেল উত্তপ্ত হওয়ার হলে মেট্রো সুরঙ্গ যেভাবে গরম হয়ে যেত সেটাও বন্ধ হবে। 

    বর্তমানে উত্তর দক্ষিণ লাইন বা ব্লু লাইনের মেট্রো সবচেয়ে কম পাঁচ মিনিটের ব্যবধানে চলাচল করে, ট্রেনের (Kolkata Metro) এই ব্যবধান আড়াই মিনিটে নিয়ে আসতে বিশেষজ্ঞরা বলছেন সিগন্যাল ব্যবস্থা তেও পরিবর্তন করতে হবে এবং আধুনিক স্বয়ংক্রিয় কমিউনিকেশন বেস্ট ট্রেন কন্ট্রোল সিস্টেম চালু করার জন্য থার্ড রেল বদল এর কাজ করা হচ্ছে।  ওয়াকিবহুল মহল বলছে এই ব্যবস্থার ফলে মানুষ আরো দ্রুত গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবেন।

    ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোতে যাত্রী বৃদ্ধি ৪৩৬ শতাংশ 

    অন্যদিকে জানা গিয়েছে, যাত্রীদের মধ্যে ক্রমশই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো, যা গ্রীন লাইন নামে পরিচিত। বর্তমানে শিয়ালদহ থেকে সল্টলেক সেক্টর ফাইভ পর্যন্ত এই মেট্রো (Kolkata Metro) চড়ে গন্তব্যে পৌঁছান শহর এবং শহরতলীর অসংখ্য মানুষ।  চলতি বছরে, শিয়ালদহ মেট্রো চালু হওয়ায় এই লাইনে যাত্রীবৃদ্ধি হয়েছে প্রথম চার মাসে ৪৩৬ শতাংশ যা নয়া রেকর্ড। এই মেট্রোতে যাত্রীসংখ্যা আরও বাড়তে চলেছে বলে বিশেষজ্ঞ মহলের অনুমান। তার কারণ চলতি বছরের শেষেই হুগলি নদীর নিচ দিয়ে মেট্রো পরিষেবা শুরু হলে ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রোর সঙ্গে তা জুড়ে যাবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: তৃণমূলকে হটাতে বিরোধীরা এককাট্টা, সিপিএমের সমর্থনে মহিষাদলে বোর্ড গঠন বিজেপির

    BJP: তৃণমূলকে হটাতে বিরোধীরা এককাট্টা, সিপিএমের সমর্থনে মহিষাদলে বোর্ড গঠন বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রে বিজেপিকে হারাতে তৃণমূল, বাম, কংগ্রেস সহ এককাট্টা হয়েছে বিরোধীরা। সেই মতো বিরোধীদের প্রস্তুতি চলছে জোরকদমে। আর গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূলকে হারাতে মরিয়া বামেরা। সিপিএমের সমর্থনে বোর্ড গঠন করল বিজেপি (BJP)। পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদলের অমৃতবেড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘটনা।

    কীভাবে বিজেপি (BJP) বোর্ড গঠন করল?

    অমৃতবেড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতে মোট আসন ১৮টি। বিজেপি ও তৃণমূল ৮ টি করে আসন পেয়েছে। আর সিপিএমের দখলে রয়েছে দুটি আসন। বোর্ড গঠনের সময় সিপিএমের নির্বাচিত গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য বুলুপ্রসাদ জানা বিজেপিকে সমর্থন করেন। সিপিএমের সমর্থনে ভোটে এক আসনে জিতে বিজেপি এই পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন করে। বিজেপি বোর্ডের প্রধান হন শুভ্রা পন্ডা এবং উপপ্রধান হন পরেশ পানিগ্রাহি। এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।

    কী বললেন বিজেপিকে সমর্থনকারী সিপিএমের জয়ী সদস্য?

    সিপিএমের জয়ী সদস্য বুলুপ্রসাদ জানা বলেন, স্থানীয় নেতৃত্বের নির্দেশ মেনেই আমি বিজেপিকে সমর্থন করেছি। তৃণমূলকে হারাতেই এই সমর্থন। নতুন বোর্ডের হাত ধরেই এলাকায় অনেক উন্নয়ন হবে বলে আমার বিশ্বাস। আমরা একসঙ্গে থেকে উন্নয়নমূলক কাজ করব।

    কী বললেন বিজেপির প্রধান?

    বিজেপির (BJP) প্রধান শুভ্রা পন্ডার বক্তব্য, তৃণমূল কতটা দুর্নীতিগ্রস্ত দল তা রাজ্যবাসী জানেন। এই এলাকার মানুষ জানেন, তৃণমূল ফের ক্ষমতায় আসলে কাটমানি, তোলাবাজি শুরু হয়ে যাবে। এলাকায় আর উন্নয়ন হবে না। তাই, সিপিএম নেতৃত্ব মনে করেছেন এলাকার উন্নয়নের স্বার্থে বিজেপিকেই প্রয়োজন। আর পঞ্চায়েতে দুর্নীতি রুখতে সিপিএমের সমর্থনে বোর্ড গঠন করা হয়েছে। আগামীদিনে এই পঞ্চায়েতের হাত ধরে এলাকায় সার্বিক উন্নয়ন করা হবে।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    তৃণমূল নেতা সৌমেন মহাপাত্র বলেন, উঁচুতলার নেতাদের কথা মানছে না নিচুতলার কর্মীরা। তার জন্য এই ঘটনা ঘটছে। আসলে তৃণমূলকে রুখতে বিজেপি মরিয়া হয়ে উঠেছে। তাই, বামেদের সমর্থন নিয়ে বিজেপি (BJP) বোর্ড গঠন করেছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Consensual Sex: সম্মতিতেই যৌন সম্পর্ক! পকসোতে অভিযুক্তকে জামিন দিল্লি হাইকোর্টের, অভিযোগ খারিজ কর্নাটকে

    Consensual Sex: সম্মতিতেই যৌন সম্পর্ক! পকসোতে অভিযুক্তকে জামিন দিল্লি হাইকোর্টের, অভিযোগ খারিজ কর্নাটকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুটি পৃথক মামলা, পৃথক হাইকোর্ট! সম্মতিক্রমে শারীরিক সম্পর্ককে (Consensual Sex) ধর্ষণ বলতে রাজি নয় দিল্লি ও কর্নাটক হাইকোর্ট। আদালতের পর্যবেক্ষণে এমনই অভিমত বিশেষজ্ঞদের। ‘পকসো আইনের প্রকৃত উদ্দেশ্য হল ১৮ বছরের কম বয়সি মেয়েদের যৌনশোষন থেকে রক্ষা করা। আইনটি তরুণ প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে স্বেচ্ছায় প্রেম বা শারীরিক সম্পর্ককে অপরাধ হিসাবে চিহ্নিত করে না।’ একটি পকসো মামলায় এমনই পর্যবেক্ষণ দিল্লি হাইকোর্টের। বিচারপতি আরও উল্লেখ করেছেন, জেলে অপরাধীদের সঙ্গে রাখা একজন যুবকের ভাল হবে না, আরও খারাপের দিকে চলে যাবে সে। এই বলে অভিযুক্তকে জামিন দিয়েছে আদালত।

    দিল্লি হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ

    অভিযোগ, ১৭ বছর বয়সি এক কিশোরী ২০ বছর বয়সি এক যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। এরপর তাদের মধ্যে সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ হলে শারীরিক সম্পর্ক হয়। ঘটনায় গর্ভবতী হয়ে পড়ে ওই কিশোরী। তখন পরিবারের সদস্যরা ওই যুবকের বিরুদ্ধে কিশোরীকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাসের অভিযোগ তোলে। সেই ঘটনায় ২০২১ সালে ওই যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ। তারপর থেকে জেলে রয়েছে ওই যুবক। জামিনের জন্য দিল্লি হাইকোর্টে আবেদন জানায় ওই যুবক। মামলাটি ওঠে বিচারপতি বিকাশ মহাজনের বেঞ্চে। আদালতের মতে, ১৭ বছর বয়সি ওই মেয়েটির সঙ্গে অভিযুক্ত যুবকের প্রেমের সম্পর্ক ছিল।  বিচারপতি বিকাশ মহাজনের পর্যবেক্ষণ, ‘যখন তাদের শারীরিক সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল তখন যুবতীর বয়স ছিল প্রায় সাড়ে ১৭ বছর। একটা প্রেমের সম্পর্ক বোঝার জন্য এই বয়স যথেষ্ট। এছাড়া অভিযুক্তের সঙ্গে সহমতেই সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল। শারীরিক সম্পর্কের পথে তারা এগিয়েছিল নিজেদের ইচ্ছায়।’

    আরও পড়ুন: লক্ষ্য চিন! নেপাল-ভুটানের সঙ্গে রেলপথে জুড়তে চাইছে ভারত, জানালেন জয়শঙ্কর

    কর্নাটক হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ

    অন্যদিকে ৬ বছর ধরে সম্মতিক্রমেই শারীরিক সম্পর্ক। বিয়ের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন। কিন্তু ওই মহিলাকে বিয়ে করেননি এক ব্যক্তি। এরপর ধর্ষণের অভিযোগ আনেন ওই মহিলা। তবে কর্নাটক হাইকোর্ট ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছে। প্রসঙ্গত সোশ্য়াল মিডিয়ার মাধ্য়মে তাদের মধ্য়ে পরিচয় হয়েছিল। তবে দীর্ঘ ৬ বছর ধরে তাদের মধ্য়ে শারীরিক সম্পর্ক হয়। সেই ২০১৯ সাল থেকে তাদের মধ্য়ে সম্পর্ক। তবে কর্নাটক হাইকোর্ট জানিয়েছে, ৬ বছর ধরে যাদের মধ্য়ে শারীরিক সম্পর্ক রয়েছে সেটাকে কখনওই ধর্ষণ বলে বলা যাবে না। আদালত জানিয়েছে ৫ বছর ধরে সম্মতিক্রমে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করা হলে সেটা কোনওভাবেই তাঁর ইচ্ছার বিরুদ্ধে নয়। এরপর কর্নাটক হাইকোর্ট ধর্ষণের অভিযোগকে খারিজ করে দিয়েছে।  বিচারপতি এম নাগাপ্রসন্ন জানিয়েছেন, প্রথম দিন থেকে তাঁদের মধ্যে পারস্পরিক সম্মতিতে যৌন সম্পর্ক হয়েছে। ২০১৯ সালের ২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত এটা হয়েছিল। তবে পারস্পরিক সম্মতিতে যে যৌনক্রিয়া সেটাকে ধর্ষণ বলে উল্লেখ করা যাবে না।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

  • Fire at Eden Gardens: সামনে বিশ্বকাপ! গভীর রাতে আগুনে পুড়ল ইডেনের ঐতিহ্যবাহী ড্রেসিং রুম

    Fire at Eden Gardens: সামনে বিশ্বকাপ! গভীর রাতে আগুনে পুড়ল ইডেনের ঐতিহ্যবাহী ড্রেসিং রুম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইডেনে আগুন (Fire at Eden Gardens)। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার গভীর রাতে। ইডেনের ড্রেসিং রুমে আচমকা আগুন লেগে যায়। ধোঁয়ায় ঢেকে যায় গোটা চত্বর। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের দু’টি ইঞ্জিন। অনেক চেষ্টার পর রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

    কখন লাগল আগুন

    দমকল সূত্রে খবর, রাত ১১টা ৫০ নাগাদ আচমকা ধোঁয়ায় ভরে যায় ইডেনের (Fire at Eden Gardens) ড্রেসিং রুম। ঘটনাস্থলে উপস্থিত কর্মীরাই দমকলে খবর দেন। সঙ্গে সঙ্গে দমকলের দু’টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ। দমকলের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ” সব কিছু দেখে মনে হচ্ছে শর্ট সার্কিটের ফলে এই আগুন লেগে থাকতে পারে। তবে সঠিক কারণ খুঁজে বের করতে আরও তদন্ত প্রয়োজন। ড্রেসিং রুমে ফলস সিলিং থাকায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। তবে তাড়াতাড়ি আমাদের খবর দেওয়ার ফলে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সুবিধা হয়েছে।”

    আগুনে কী কী ক্ষতি

    প্রাথমিক তদন্তের পর দমকল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, শর্ট-সার্কিট থেকেই আগুন (Fire at Eden Gardens) লেগেছে। দ্রুত ব্যাবস্থা গ্রহণের ফলে বড়সড় ক্ষতি এড়ানো গেছে। তবে ড্রেসিংরুমের মধ্যে রাখা খেলোয়াড়দের কিটস আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ইডেনের বিদ্যুৎ সংযোগও বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়। বিশ্বকাপ শুরু হতে বাকি আর দু’মাস। তার আগে শনিবার ইডেন পরিদর্শন করতে এসেছিল আইসিসি ও বিসিসিআই এর প্রতিনিধি দল। ইডেনের কাজকর্ম দেখে তারা সন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু হঠাৎ করে আগুন লাগার ঘটনায় ইডেনের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গেল।

    আরও পড়ুন: অপরাজিত থেকে সেমিফাইনালে! হকিতে পাকিস্তানকে ৪-০ গোলে চুরমার করল ভারত

    সামনে বিশ্বকাপ

    ২০২৩-এর ক্রিকেট বিশ্বকাপের পাঁচটি ম্যাচ হবে ইডেনে। তার মধ্যে ভারত দক্ষিণ আফ্রিকা যেমন রয়েছে, তেমনি একটি সেমি ফাইনাল ম্যাচ হবে ইডেনে। খেলবে পাকিস্তান, ইংল্যান্ড, বাংলাদেশ। বিশ্বকাপকে সামনে রেখে সেজে উঠছে ইডেন। ক্লাব হাউসের আপার টিয়ারে বসেছে নতুন চেয়ার। আধুনিকতার ছাপ পড়েছে প্রেস বক্স, মিডিয়া সেন্টারে। ড্রেসিং রুমের বদল হচ্ছে। কোটি কোটি টাকা খরচ করে পুরো বদলে ফেলা হচ্ছে ইডেনের চালচিত্র। তার মধ্যে আগুন (Fire at Eden Gardens) লাগার ঘটনা সি এ বি কর্তাদের কাছে খুবই অস্বস্তির হল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Ind vs Pak Hockey: অপরাজিত থেকে সেমিফাইনালে! হকিতে পাকিস্তানকে ৪-০ গোলে চুরমার করল ভারত

    Ind vs Pak Hockey: অপরাজিত থেকে সেমিফাইনালে! হকিতে পাকিস্তানকে ৪-০ গোলে চুরমার করল ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের বিরুদ্ধে এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি হকিতে দাপট দেখিয়ে জিতল ভারত।  ঘরের মাঠে পাকিস্তানকে ৪-০ গোলে হারাল মেন ইন ব্লু। জোড়া গোল করে ম্যাচের নায়ক ভারত অধিনায়ক হরমনপ্রীত সিং। এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি হকিতে টিকে থাকতে হলে এই ম্যাচে অন্তত পক্ষে ড্র করতে হত পাকিস্তানকে। হেরে যাওয়ায় প্রতিযোগিতা থেকে ছিটকে গেল তারা। গ্রুপ শীর্ষে থেকেই সেমিফাইনালে গেল ভারত।  সেমিফাইনালে তাদের সামনে জাপান। অন্য সেমিফাইনালে মুখোমুখি মালয়েশিয়া ও দক্ষিণ কোরিয়া। পঞ্চম স্থানের জন্য চিনের সঙ্গে খেলবে পাকিস্তান। ট্যুইটারে হরমনপ্রীতদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর, বিসিসিআই সচিব জয় শাহ।

    পাকিস্তানের বিরুদ্ধে দাপট 

    ভারতে পা রেখেই পাকিস্তান হকি দলের কোচ হুঙ্কার ছেড়েছিলেন, চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর বিরুদ্ধে তারাই সুবিধাজনক জায়গায় থাকবেন। মনে করিয়ে দিয়েছিলেন, বড় টুর্নামেন্টে তাদের রেকর্ডও। ভারতীয় শিবির যদিও নীরবই ছিল। কেন তাঁরা পাকিস্তান শিবিরের হুঁশিয়ারিতে কান দেননি, বুধবার তা দেখিয়ে দিলেন হরমনপ্রীতরা। চেন্নাইতে এদিন ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের আগে দু-দলের খেলোয়াড়দের সঙ্গে মিলিত হন তামিলনাডুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্টালিন, ভারতীয় দলের ক্রিকেটার রবিচন্দ্রন অশ্বিন এবং হকি ইন্ডিয়ার প্রেসিডেন্ট দিলীপ তিরকে। দু-দেশের জাতীয় সঙ্গীতের পর।

    আরও পড়ুন: সামনে বিশ্বকাপ! গভীর রাতে আগুনে পুড়ল ইডেনের ঐতিহ্যবাহী ড্রেসিং রুম

    শুরু থেকেই আক্রমণে ভারত

    ম্যাচ শুরুর ৩ মিনিটের মাথায়, প্রথম কোয়ার্টারে প্রথম বিপক্ষের সার্কলে ঢুকে পড়ে ভারতই। হার্দিক সিংয়ের এরিয়ান বল পান শামসের সিং। কোনওমতে বিপদ এড়ায় পাকিস্তান। এরপরই পাকিস্তান একটি গোল করে। যদিও ভারত রিভিউ নেওয়ার পর সেই গোল বাতিল হয়। একটি পেনাল্টি কর্নার পায় পাক দল। ভারতের গোলকিপার কৃষ্ণণ বাহাদুর পাঠক গোল বাঁচিয়ে দেন। কিন্তু গোলের গন্ধ পেয়ে যেন তেড়েফুঁড়ে খেলতে শুরু করে পাক দল। বারবার ভারতের ডি-তে ঢুকে আক্রমণ শানাচ্ছিল পাকিস্তান। তবে প্রথম কোয়ার্টার শেষ হওয়ার ঠিক আগে গোল পায় ভারত। পেনাল্টি কর্নার থেকে গোল করেন অধিনায়ক হরমনপ্রীত সিং। প্রথম কোয়ার্টার শেষ হয় ভারতের পক্ষে ১-০ ব্যবধানে। দ্বিতীয় কোয়ার্টারে গোল শোধ করতে মরিয়া হয়ে ওঠে পাকিস্তান। কিন্তু ২৩ মিনিটের মাথায় ফের গোল পায় ভারত। গোলদাতা, ফের অধিনায়ক হরমনপ্রীত। পেনাল্টি কর্নার থেকেই ফের গোল করেন তিনি। ভারত এগিয়ে যায় ২-০।

    তৃতীয় কোয়ার্টারে ৩৬ মিনিটের মাথায় ফের পেনাল্টি কর্নার পায় ভারত। জোরাল শট থেকে গোল করেন যুগরাজ সিং। ভারত এগিয়ে যায় ৩-০। ৩৯ মিনিটের মাথায় চতুর্থ গোল করে ভারত। কিন্তু ভিডিও রেফারেল নিয়ে তা বাতিল করেন আম্পায়ার। ম্যাচ শেষ হওয়ার ঠিক ৫ মিনিট আগে, ৫৫ মিনিটের মাথায় চতুর্থ গোল ভারতের। গোল করেন আকাশদীপ সিং। ৪-০ গোলে ম্যাচ শেষ হয়। পাকিস্তান দু’এক বার আক্রমণ করলেও অমিত রুইদাসের নেতৃত্বে ভারতীয় রক্ষণ সজাগ ছিল। টুর্নামেন্টে ইতিমধ্যে ৭টি গোল করেছেন হরমনপ্রীত। সব কটিই করেছেন পেনাল্টি কর্নার থেকে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: মিছিলকে লক্ষ্য করে কটূক্তি, তৃণমূলের পার্টি অফিসে আগুন দিলেন আদিবাসীরা

    TMC: মিছিলকে লক্ষ্য করে কটূক্তি, তৃণমূলের পার্টি অফিসে আগুন দিলেন আদিবাসীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আদিবাসীদের রোষের মুখে পড়ল তৃণমূল (TMC) কার্যালয়। বুধবার দুপুরে আদিবাসী দিবসের অনুষ্ঠানের মিছিলকে উদ্দেশ্য করে কটুক্তির অভিযোগ। তৃণমূলের পার্টি অফিস ভাঙচুর করে আগুন জ্বালিয়ে দিল আদিবাসী জনকল্যাণ মঞ্চের সদস্যরা। তীব্র উত্তেজনা ছড়ায় পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরার ভবানীপুর-১ নম্বর অঞ্চলের শ্যামনগর গ্রামে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন ঝাড়গ্রামের মঞ্চে আদিবাসী সমাজের কল্যাণে বক্তব্য রাখছেন, ঠিক সেই সময় ডেবরার শ্যামনগর গ্রামে আদিবাসী সমাজের মানুষেরা আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবসকে সামনে রেখে একটি মিছিলের আয়োজন করেন। অভিযোগ, সেই সময় তৃণমূল পার্টি অফিসে বেশ কয়েকজন তৃণমূল (TMC) কর্মী সমর্থক বসেছিলেন। পার্টি অফিসের সামনে দিয়ে আদিবাসীদের মিছিল যাওয়ার সময় পার্টি অফিসে বসে থাকা তৃণমূল কর্মীরা মিছিলে যোগ দেওয়া আদিবাসীদের উদ্দেশ্য করে কটুক্তি করেন। এতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন মিছিলে থাকা আদিবাসী সমাজের মানুষেরা। রীতিমতো ক্ষিপ্ত হয়ে তৃণমূলের পার্টি অফিসে ভাঙচুর চালায়। পরিস্থিতি বেগতিক দেখেই তৃণমূল কর্মীরা পার্টি অফিসে ছেড়ে দৌড়ে পালান। পরে, দলীয় কার্যালয় ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। যদিও এ নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোন প্রতিক্রিয়া মেলেনি তৃণমূলের তরফে।

    কী বললেন আদিবাসী জনকল্যাণ মঞ্চের নেতা?

    আদিবাসী জনকল্যাণ মঞ্চের তারাপদ সিং বলেন, এদিন আমরা সংগঠনের পক্ষ থেকে আদিবাসী সমাজের মানুষ শান্তিপূর্ণ মিছিল করছিলাম। কিন্তু, তৃণমূলের (TMC) ওই কার্যালয় থেকে কয়েকজন আদিবাসীর নাম করে নানা কটূক্তি করেন। যা আমাদের সমাজের সদস্যদের চরম অসন্মান করা হয়। এতেই কিছু সদস্য ক্ষোভে ফেটে পড়েন। তাঁরা ওই কার্যালয়ে চড়াও হয়ে ভাঙচুর চালায়। পরে, আগুন ধরিয়ে দেয়। যে বা যারা আমাদের উদ্দেশ্য করে নানা কটূক্তি করেছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি হবে। না হলে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনে নামব। এই ঘটনার প্রতিবাদে দোষীদের বিরুদ্ধে যতদূর যেতে হয় তা আমরা যাব।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share