Tag: Madhyom

Madhyom

  • Indigenous LRSAM: দেশীয় ‘এস-৪০০’! নিজস্ব ত্রিস্তরীয় এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম তৈরি করছে ভারত?

    Indigenous LRSAM: দেশীয় ‘এস-৪০০’! নিজস্ব ত্রিস্তরীয় এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম তৈরি করছে ভারত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে আত্মনির্ভরতার লক্ষ্যে আরও এক ধাপ এগলো ভারত। এবার দেশের আকাশসীমার (Air Defence System) সুরক্ষার্থে, দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি নিজস্ব অত্যাধুনিক দূরপাল্লার মিসাইল তৈরি করছে ভারত। জানা যাচ্ছে, রুশ নির্মিত ‘এস-৪০০’ ক্ষেপণাস্ত্রের মতোই নতুন এই লং রেঞ্জ সারফেস টু এয়ার মিসাইল (Indigenous LRSAM) বা দূরপাল্লার ভূমি থেকে আকাশ ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লা হবে ৪০০ কিলোমিটার।

    কেন নতুন দূরপাল্লার এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম প্রয়োজন?

    বর্তমানে, দেশের আকাশসীমাকে রক্ষা (Air Defence System) করার জন্য রাশিয়া থেকে কেনা ‘এস-৪০০ ট্রায়াম্ফ’ ক্ষেপণাস্ত্র সিস্টেমকে চিন ও পাকিস্তান সীমান্তে মোতায়েন করেছে ভারত। ৪০০ কিমি দূরত্বের মধ্যে যে কোনও টার্গেটে আঘাত হানতে সক্ষম এই অত্যাধুনিক মিসাইল। বিশ্বের সেরা এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমগুলির অন্যতম রাশিয়ার এই এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম। এই মিসাইলের তিনটি স্কোয়াড্রন ইতিমধ্যেই ভারতে পৌঁছে গিয়েছে। তাদের মতোয়েনও করা হয়ে গিয়েছে। কিন্তু, বাকি আরও ২টি সিস্টেম কবে আসবে, তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েই গিয়েছে।

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর, স্বদেশীয় এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম (Air Defence System) নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই আলোচনা চলছিল। প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে আত্মনির্ভরতা বাড়াতে এবং নিজস্ব ক্ষমতা দেশকে রক্ষা করার লক্ষ্যেই এই বিশেষ ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির ভাবনাচিন্তা করা হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই মিসাইলের (Indigenous LRSAM) নির্মাণ-পর্ব কার্যকর হলে, ৪০০ কিলোমিটার দূর পর্যন্ত যে কোনও শত্রু বিমান, ক্ষেপণাস্ত্র বা ড্রোন ধ্বংস করা অত্যন্ত সহজ হয়ে যাবে। এর ফলে, দেশের আকাশসীমা সুরক্ষা অনেক বেশি সুরক্ষিত ও নিশ্ছিদ্র হবে। 

    এই সিস্টেম তৈরি হলে কতটা লাভ ভারতের?

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর, প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের অভ্যন্তরীণ বৈঠকে এই স্বদেশীয় ত্রিস্তরীয় ভূমি থেকে আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র সিস্টেম (Indigenous LRSAM) তৈরির প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে। হয়ত শীঘ্রই এই মিসাইল সিস্টেম উৎপাদনের সবুজ সঙ্কেত মিলতে পারে। এই ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির প্রজেক্টে আনুমানিক ২৫০ কোটি মার্কিন ডলার (আনুমানিক ২০ হাজার ৪৮৫ কোটি টাকা) খরচ হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে, প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের মতে, একবার এই মিসাইল সিস্টেম তৈরি হলে, তা হবে অত্যন্ত গর্বের। ভারত বিশ্বের হাতেগোনা কয়েকটি দেশের তালিকায় ঢুকে পড়বে, যাদের স্বদেশীয় ত্রিস্তরীয় এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম (Air Defence System) রয়েছে। 

    আকাশসীমার সুরক্ষায় বর্তমানে ‘এস-৪০০’ ক্ষেপণাস্ত্রের পাশাপাশি, ভারতের নিজস্ব ক্ষেপণাস্ত্র সিস্টেমের কয়েকটি নির্মাণ-পর্বে ও কয়েকটি গবেষণা ও পরীক্ষামূলক স্তরে রয়েছে। তবে, কোনওটাই ‘এস-৪০০’ সমকক্ষ নয়। ‘মৈত্রী কুইক রিয়্যাকশন এসএএম’ (QRSAM) নিয়ে পরীক্ষা চলছে। এটির সাফল্যের হার অত্যন্ত ভালো। ভারতের প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা এই মিসাইল নিয়ে ভীষণই আশাবাদী। এটি তৈরি করছে দেশের প্রতিরক্ষা গবেষণা সংস্থা ডিআরডিও। এছাড়া, ভারতের আস্তিনে রয়েছে ‘আকাশ’, ‘ত্রিশূল’, ‘আকাশ-এনজি’। এছাড়া রয়েছে ‘অ্যাডভান্সড এয়ার ডিফেন্স’ মিসাইল যা ১০ কিমি পর্যন্ত শত্রু-টার্গেটকে ধ্বংস করতে সক্ষম। এটি ভারতীয় বায়ুসেনা ব্যবহার করে।

    কী থাকবে এই সিস্টেমে?

    জানা যাচ্ছে, দেশীয় এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমে (Air Defence System) তিন ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র মজুত থাকবে, যা মূলত তিন ধরনের দূরত্বের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হবে। এক-একটি সিস্টেমে ৩ ধরনের পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র থাকবে। একটি দূরপাল্লার— যা আনুমানিক ৪০০ কিমি দূরত্বে যে কোনও লক্ষ্যবস্তুকে ধ্বংস করতে পারবে। দ্বিতীয় স্তর হলো মাঝারি পাল্লার, যা ৭০ কিমি পর্যন্ত বস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম হবে। তৃতীয় তথা শেষ স্তর হবে স্বল্পপাল্লার। যা ৩৫ কিমি পর্যন্ত যে কোনও বস্তুকে ধ্বংস করতে পারবে। ইতিমধ্যে, ইজরায়েলের সঙ্গে যৌথভাবে মাঝারি পাল্লার সারফেস টু এয়ার মিসাইল (MRSAM) প্রযুক্তি তৈরির কাজ চলছে। যা ৭০ কিমি দুরত্বে যে কোনও লক্ষ্যকে আঘাত হানতে সক্ষম হবে। প্রতিটা এলআরএসএএম সিস্টেমের (Indigenous LRSAM) অঙ্গ হিসেবে থাকবে তিন ধরনের মিসাইল, রেডার, কন্ট্রোল সিস্টেম, ভার্টিকাল লঞ্চার ও দু-ওয়ে কমিউনিকেশান লিঙ্ক।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Abhishek Banerjee: চিকিৎসার জন্য বিদেশ গেলেন অভিষেক! ‘‘স্বাস্থ্যসাথী কাজে দিলো না?’’ কটাক্ষ সুকান্তর

    Abhishek Banerjee: চিকিৎসার জন্য বিদেশ গেলেন অভিষেক! ‘‘স্বাস্থ্যসাথী কাজে দিলো না?’’ কটাক্ষ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চোখের চিকিৎসার জন্য ফের বিদেশ যেতে হল তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে(Abhishek Banerjee)। অভিবাসন সূত্রে খবর, বুধবার কলকাতা থেকে এমিরেটসের উড়ানে সস্ত্রীক দুবাই উড়ে গিয়েছেন অভিষেক। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কেন চিকিৎসা করাতে বিদেশে গেলেন, তা নিয়ে ফের প্রশ্ন তুলেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। 

    দুবাই যাত্রা অভিষেকের

    জানা গিয়েছে, কলকাতা বিমানবন্দর থেকে দুবাই যাত্রা করেছেন অভিষেক। সেখান থেকে চোখের চিকিৎসার জন্য আমেরিকা যাবেন। এই বিদেশ যাত্রা নিয়ে অভিষেককে কটাক্ষ  করতে ছাড়েননি বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ডের বিদেশ যাত্রা প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে সুকান্ত বলেন, “খবর পেয়েছি চিকিৎসার জন্য গিয়েছেন। ভেবেছিলাম স্বাস্থ্য সাথী নিয়ে চিকিৎসা করাবেন। কেন করালেন না বুঝতে পারছি না।” তবে গেরুয়া শিবিরের তরফে সরাসরি এ প্রসঙ্গে কিছু বলা হয়নি। কারণ বিষয়টা এখনও সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন। বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ এ প্রসঙ্গে বলেন, “শুধু অভিষেক নয়, তৃণমূলের নেতা-নেত্রীদের ডাকা হলে বারবার তাঁরা হাজিরা এড়ানোর চেষ্টা করেন। আদালত আর সিবিআই বিষয়টা দেখছে। তিনি বলেন, “আইনের ব্যাপার আছে। কোর্ট বুঝবে।”

    আদালতের অভিমত

    বারবার বিদেশ যাত্রায় বাধা দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলে সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এই বিষয়ে শীর্ষ আদালতের হস্তক্ষেপ চেয়েছিলেন তিনি। আইনজীবী কপিল সিব্বল আদালতে জানিয়েছিলেন, ২৬ জুলাই চোখের চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে চান অভিষেক। আগামী ৮ অগাস্ট তাঁর অ্যাপয়েন্টমেন্ট রয়েছে। এ ব্যাপারে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের বক্তব্য জানতে চেয়েছিল আদালত। আগামী শুক্রবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে। কয়লা পাচার মামলায় অভিষেক ও তাঁর স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। তদন্ত চলাকালীন বিদেশ যাত্রার ক্ষেত্রে একাধিকবার বাধার মুখে পড়তে হয়েছে অভিষেকের পরিবারকে। কিছুদিন আগেই বিমানবন্দরে বাধা দেওয়া হয়েছিল রুজিরাকে।

  • Suvendu Adhikari: হাইকোর্টের এফআইআর-নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম দুয়ারে শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: হাইকোর্টের এফআইআর-নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম দুয়ারে শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উচ্চ আদালতের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। শুভেন্দুর বিরুদ্ধে তথ্যপ্রমাণ থাকলে এফআইআর দায়ের করা যাবে। সে ক্ষেত্রে আদালতের অনুমতি নিতে হবে না। গত বৃহস্পতিবার এমন নির্দেশই দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। সেই নিয়ে শীর্ষ আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন শুভেন্দু। তবে তাঁর দ্রুত শুনানির আর্জি খারিজ হয়ে গিয়েছে। শীর্ষ আদালতে আগামী ৪ অগাস্ট রয়েছে শুভেন্দুর মামলার শুনানি।

    হাইকোর্টের নির্দেশ

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা জনৈক সুমন সিংয়ের দায়ের করা এক জনস্বার্থ মামলায় গত বৃহস্পতিবার বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায় এবং বিচারপতি বিশ্বরূপ চৌধুরীর ডিভিশন বেঞ্চ একটি অন্তর্বর্তী নির্দেশ দেন। তাতে জানানো হয়, রাজ্যের বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ উঠলে তা খতিয়ে দেখবে পুলিশ। সে ক্ষেত্রে আইনানুগ পদক্ষেপ করবে প্রশাসন। ওই দুই বিচারপতি আরও জানান, অভিযোগ গ্রহণযোগ্য হলে পুলিশ এফআইআর দায়ের করতে পারবে। তবে গ্রেফতার বা কড়া পদক্ষেপ করার আগে আদালতের অনুমতি নিতে হবে। হাইকোর্টের নির্দেশের পরই শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয় থানায়। গত ২৫ জুলাই প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার মোহনপুর থানায়। 

    আরও পড়ুন: এবার বুলেট ট্রেনের মানচিত্রে জুড়ল বাংলা! লোকসভায় ঘোষণা অশ্বিনী বৈষ্ণবের

    সুপ্রিম কোর্টে আবেদন

    এরপর হাইকোর্টের ওই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জয় কিষাণ কাউলের ডিভিশন বেঞ্চে মামলার শুনানি হবে। শুভেন্দু অধিকারীর পক্ষে সওয়াল করবেন আইনজীবী বাঁশুরি স্বরাজ। আইনজীবী জানিয়েছেন, শুভেন্দুর বিরুদ্ধে ২৬টি এফআইআর হয়েছে। সেগুলি থেকে অব্যাহতি চান তিনি। আইনজীবী দ্রুত শুনানির আর্জি জানিয়ে বলেছিলেন, এক সপ্তাহ একটু বেশি সময় হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু তাঁর সেই আর্জি খারিজ হয়ে যায়। এর আগে হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার বেঞ্চ রক্ষাকবচ দিয়েছিল শুভেন্দুকে। তাঁর বিরুদ্ধে হওয়া ২৬টি এফআইআর-এর ক্ষেত্রেই স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছিল। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে রাজ্য সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলেও, মামলা আবার ফেরানো হয় হাইকোর্টেই। এখন রাজ্যের বিরোধী দলনেতার আর্জির ক্ষেত্রে দেশের শীর্ষ আদালত কী ব্যবস্থা নেয় তার অপেক্ষায় রাজনৈতিক মহল। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

  • NDA: মোদির পাশেই জগন মোহন! অনাস্থা প্রস্তাবে সরকারকেই ভোট দেওয়ার ঘোষণা

    NDA: মোদির পাশেই জগন মোহন! অনাস্থা প্রস্তাবে সরকারকেই ভোট দেওয়ার ঘোষণা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মোদির পাশেই (NDA) অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী জগন মোহন রেড্ডি। বিরোধীদের আনা অনাস্থা প্রস্তাবে সরকার পক্ষেই ভোট দেবে তাঁর দল। অন্যদিকে রাজ্যসভায়  জন্য কেন্দ্রের আনা ‘দিল্লি সার্ভিস অর্ডিন্যান্স’ বিলেও মোদির পাশেই থাকছেন জগনমোহন। প্রসঙ্গত, ওয়াইএসআর কংগ্রেস পার্টির রাজ্যসভায় নয়জন এবং লোকসভায় ২২ জন সাংসদ রয়েছেন। অন্যদিকে এই বিলকে সমর্থনের কথা ইতিমধ্যে জানিয়ে দিয়েছে ওড়িশার বিজু জনতা দলও। এর ফলে রাজ্যসভায় অনায়াসেই বিল পাশ করিয়ে নিতে পারবে কেন্দ্রীয় সরকার, এমনটাই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। এই বিল আইনে পরিণত হলে দিল্লির আমলাদের নিয়ন্ত্রণ সরাসরি কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে চলে যাবে।

    আরও পড়ুন: এবার বুলেট ট্রেনের মানচিত্রে জুড়ল বাংলা! লোকসভায় ঘোষণা অশ্বিনী বৈষ্ণবের

    মোদির পাশে নবীন ও জগন মোহন

    তবে শুধুই কি বিল পাশ? ওয়াকিবহাল মহলের মতে, নবীন পট্টনায়ক এবং জগন মোহনের বিজেপিকে সমর্থন (NDA) বিরোধী জোটের কাণ্ডারীদের কাছে বড় ধাক্কা। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, ‘‘আঞ্চলিক বঞ্চনার প্রতিবাদে এবং ফেডারেল কাঠামো মেনে চলার দাবিতেই মূলত একত্রিত হয়েছিল তৃণমূল-আরজেডি-সমাজবাদী পার্টির নেতারা। কিন্তু ওড়িশা ও অন্ধ্রপ্রদেশের মতো রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের এনডিএ-এর (NDA) দিকে চলে যাওয়া, বিরোধীদের দাবিকেই নস্যাৎ করে দিল।’’ তবে এই প্রথম নয় একাধিক কর্মসূচি এবং ইস্যুতে মোদির পাশে থাকতে দেখা গিয়েছে নবীন পট্টনায়েক এবং জগন মোহনকে।

    আরও পড়ুুন: ভোট-হিংসায় সিবিআই, বিস্ফোরণে এনআইএ চাই, রিপোর্ট পেশ ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের

    ৩১ জুলাই বিল পেশ হবে রাজ্যসভায়

    জানা গিয়েছে ৩১ জুলাই রাজ্যসভায় পেশ হতে চলেছে এই বিল। বর্তমানে এনডিএ (NDA) জোটের ১০১ জন সদস্য রয়েছেন রাজ্যসভায়। অন্যদিকে ইন্ডিয়া জোটের কাছে রয়েছে ১০০ জন সদস্য। নবীন পট্টনায়েক এবং জগন মোহনের দলের রাজ্য সভায় সদস্য আছে ৯ জন করে। এরফলে মোদি সরকার কার্যত বিনা বাধায় বিল পাশ করে নিতে পারবে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Parliament Monsoon Session: হুবহু মিলে গেল মোদির ‘ভবিষ্যদ্বাণী’! সেই বাদল অধিবেশনেই অনাস্থা পেশ বিরোধীদের

    Parliament Monsoon Session: হুবহু মিলে গেল মোদির ‘ভবিষ্যদ্বাণী’! সেই বাদল অধিবেশনেই অনাস্থা পেশ বিরোধীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত ন’বছরে প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন এই নিয়ে দ্বিতীয় বার। বুধবার বিরোধী দলগুলির জোট ‘ইন্ডিয়া’র হয়ে অনাস্থা প্রস্তাব পেশ করেন কংগ্রেস সাংসদ গৌরব গগৈ। বিআরএসের হয়ে অনাস্থা প্রস্তাবের নোটিস জমা দেন সাংসদ নামা নাগেশ্বর রাও। ইতিমধ্যে এই অনাস্থা প্রস্তাব গ্রহণ করেছেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা। বিরোধীদের আনা অনাস্থার আবহেই সংসদে প্রধানমন্ত্রী মোদির একটি পুরনো বক্তৃতা নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে। সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে, সংসদে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী জানাচ্ছেন যে, ২০২৩ সালে আবারও অনাস্থা প্রস্তাব আনার ‘সুযোগ পাবেন’ বিরোধীরা। ভিডিওটি ট্যুইট করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং।

    মোদির ‘ভবিষ্যৎ বাণী’ 

    বিজেপির দাবি, ২০১৯ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি লোকসভা নির্বাচনের ঠিক আগে সংসদের বাজেট অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির বক্তব্য নিয়ে বিতর্ক চলছিল। সেই সময় মোদি বলেছিলেন, “আমি (আপনাদের) শুভেচ্ছা জানাতে চাই। প্রস্তুত থাকুন, কারণ আপনারা আবার ২০২৩ সালে অনাস্থা প্রস্তাব আনার সুযোগ পাবেন।” সেই দিনের বক্তব্যে কংগ্রেসের নাম না করেই মোদী বলেছিলেন, “অহঙ্কারের কারণে আপনারা ৪০০ (লোকসভার সাংসদ) থেকে ৪০-এ এসে পৌঁছেছেন।” এই ভিডিওটি তুলে ধরেই বিজেপির তরফে মোদির ‘নির্ভুল অনুমান’-এর প্রশংসা করা হচ্ছে। 

    ভাবতে নারাজ বিজেপি

    প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের জুলাই মাসে সংসদের বাদল অধিবেশনেই মোদি সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছিল চন্দ্রবাবু নায়ডুর তেলুগু দেশম পার্টি (টিডিপি)। সেই প্রস্তাবকে সমর্থন জানিয়েছিল কংগ্রেস-সহ কয়েকটি বিজেপি-বিরোধী দল। বিজেপির সংখ্যাধিক্যের জোরে বিরোধীদের আনা প্রস্তাব খারিজ হয়ে গিয়েছিল। সেবারও বিরোধীরা পরাস্ত হয় ৩২৫- ১২৫-এর ব্যবধানে। এবারও একই ঘটনা ঘটবে, দাবি বিজেপির। বিরোধীদের আনা অনাস্থা প্রস্তাব সম্পর্কে সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী বলেন, “প্রধানমন্ত্রী মোদি এবং বিজেপির উপর মানুষের আস্থা রয়েছে। বিরোধীরা আগেও অনাস্থা প্রস্তাব এনেছেন। কিন্তু মানুষ ওদের উচিত শিক্ষা দিয়েছে।”

    আরও পড়ুুন: ‘শ্যালিকার মত উনিও দেশের বাইরে পালাতে চাইছেন..’, অভিষেককে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    সংসদীয় বিধি অনুযায়ী লোকসভার স্পিকার অনাস্থা প্রস্তাবের নোটিস গ্রহণ করার ১০ দিনের মধ্যেই তা নিয়ে সংসদে বিতর্কের সূচনা হওয়ার কথা। এ বিষয়ে দিন নির্ধারণের ক্ষমতা এক মাত্র স্পিকারের। কবে কখন এই মর্মে ভোটাভুটি হবে তা নির্ধারিত সময় জানাবেন তিনি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • India Vs West Indies: বিশ্বকাপের প্রস্তুতি! আজ থেকে শুরু ভারত-ওয়েস্ট ইন্ডিজ একদিনের সিরিজ

    India Vs West Indies: বিশ্বকাপের প্রস্তুতি! আজ থেকে শুরু ভারত-ওয়েস্ট ইন্ডিজ একদিনের সিরিজ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বেজে গেছে দামামা। মাস দুয়েক পরেই ওয়ান ডে বিশ্বকাপের  ঢাকে কাঠি পড়বে। ২০১১ সালের পর ফের ক্রিকেটের এই মহাযজ্ঞ বসছে ভারতের মাটিতে। স্বাভাবিক ভাবেই বিপুল প্রত্যাশার চাপ থাকবে রোহিতের উপর। কোটি কোটি দেশবাসীর আকাঙ্খা পূরণের চ্যালেঞ্জ টিম ইন্ডিয়ার সামনে। যার প্রস্তুতি ওয়েস্ট ইন্ডিজ (India Vs West Indies) সফর থেকেই শুরু হয়ে যাচ্ছে। দুই দলের মধ্যে হবে তিনটি একদিনের ম্যাচ। প্রথমটি বৃহস্পতিবার। কাগজে কলমে রোহিত বাহিনী এগিয়ে। তবে সীমিত ওভারের ক্রিকেটে কোনও প্রতিপক্ষকে খাটো করে দেখা উচিত নয়। যতই এই ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবারের বিশ্বকাপে যোগ্যতা অর্জনে ব্যর্থ হোক, শাই হোপরা কিন্তু কঠিন চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেওয়ার চেষ্টা করবে।

    সমর্থকদের আশা

    সাদা জার্সিতে বিধ্বংসী পারফরম্যান্সের পর টিম ইন্ডিয়া এবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ৫০ ওভারের ফরম্যাটে খেলতে নামছে। ভারতীয় ক্রিকেট সমর্থকদের আশা, এই ফরম্যাটেই তাঁদের প্রিয় তারকারা ধামাকা দেখাতে পারবেন।আসলে রোহিতদের লড়াই নিজেদের সঙ্গে। এটা যে বিশ্বকাপের মহড়া মঞ্চ। যেখানে দল নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা চালাবেন কোচ রাহুল দ্রাবিড়। লোকেশ রাহুল, যশপ্রীত বুমরাহদের অনুপস্থিতে দেখে নেওয়া হবে সঞ্জু স্যামসন, সূর্য কুমারদের। শুধু তাই নয় রোহিত, বিরাট কোহলির মতো সিনিয়ররা খেলবেন এই সিরিজে। যা থেকে স্পষ্ট বিশ্বকাপের দল গঠনে লড়াই বেশ জোরদার।

    বিরক্ত ক্রিকেটাররা

    ভারতীয় দলে সবচেয়ে বেশি লড়াই বোলিং বিভাগে। স্পিনার হিসাবে চাহাল, কুলদীপ জুটির দিকে নজর থাকবে। একদিনের ক্রিকেটে অভিষেক হতে পারে মুকেশ কুমারের। সব মিলিয়ে ভারতীয় দল ওডিআই সিরিজও জিততে মরিয়া। তবে রোহিত বাহিনী একটু বিরক্ত গভীর রাতের বিমান যাত্রা নিয়ে। ত্রিনিদাদ থেকে বার্বাডোজ যাওয়ার জন্য ভারতীয় দলের ফ্লাইট বুক করা হয়েছিলো রাত ১১ টায়। সেই বিমান ছাড়ে ভোর ৩ টায়। এই ব্যাপারটি নিয়ে বিসিসিআই কে গভীর রাতের ফ্লাইট না দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছেন ভারতীয় ক্রিকেটাররা।

    আরও পড়ুন: গাভাসকরের সঙ্গে কোহলির মিল, বিরাট-আবেগে ভাসলেন ক্যারিবিয়ান কিপারের মা

    কখন, কোথায় ম্যাচ

    ওয়েস্ট ইন্ডিজ বনাম ভারতের মধ্যে প্রথম ওডিআই ম্যাচটি কেনসিংটন ওভাল, ব্রিজটাউন, বার্বাডোজে খেলা হবে। ম্যাচটি শুরু হবে ভারতীয় সময়ে সন্ধ্যে ৭টা থেকে। টস হবে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায়। ম্যাচটি দূরদর্শন স্পোর্টস চ্যানেলে সরাসরি সম্প্রচার করবে। এই ম্যাচের লাইভ স্ট্রিমিং জিও সিনেমা অ্যাপে। 

    বিশ্রাম সিরাজকে, দেশে ফিরছেন পেসার

    ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজের পরে হঠাৎই বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে মহম্মদ সিরাজকে। ফলে সফরের মাঝেই দেশে ফিরেছেন ভারতীয় পেসার। সিরাজ দেশে ফেরায় ক্যারিবীয় সফরে ভারতের এক দিনের দলে পেসার হিসাবে জয়দেব উনাদকাট, শার্দূল ঠাকুর, হার্দিক পান্ডিয়া, মুকেশ কুমার ও উমরান মালিক রয়েছেন। মহম্মদ শামিকে এই সিরিজে বিশ্রাম দেওয়ায় ভারতের বোলিং আক্রমণকে নেতৃত্ব দেওয়ার কথা ছিল সিরাজের। কিন্তু তাঁর ধকল দেখে তাঁকে এক দিনের সিরিজে বিশ্রাম দিয়েছে বিসিসিআই। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bomb Blast: সদাইপুরে বোমা বাঁধতে গিয়ে বিস্ফোরণ! ঝলসে গেলেন তৃণমূল নেতা

    Bomb Blast: সদাইপুরে বোমা বাঁধতে গিয়ে বিস্ফোরণ! ঝলসে গেলেন তৃণমূল নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দু’ দিন আগেই বীরভূমের খয়রাশোলে এক তৃণমূল কর্মীর বাড়ি থেকে প্রচুর বোমা উদ্ধার হয়েছিল। সেই ঘটনার জের মিটতে না মিটতেই এবার বোমা বাঁধতে গিয়ে বিস্ফোরণে (Bomb Blast) গুরুতর জখম হলেন এক তৃণমূল নেতা। ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের সদাইপুর থানার হাজরাপুর গ্রামে। এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছিল?

    বীরভূম জেলার সদাইপুর থানার পাথরচাপুরির কাছে হাজরাপুর গ্রামে বোমা তৈরির মশলা মজুত করা হয়েছিল। এমনকী বোমা বাঁধার কাজও চলছিল বলে অভিযোগ। সেই সময় বিস্ফোরণে গুরুতর জখম হন স্থানীয় তৃণমূল নেতা গোলাম রসুল। তার মুখ থেকে বুক ও হাত, পা ঝলসে যায়। বুধবার তাঁকে সিউড়ি সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। হাসপাতালে হাজির হন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। বিস্ফোরণের (Bomb Blast) পর থেকে গ্রামেও উত্তেজনা রয়েছে। যদিও বোমা নয়, গ্যাস সিলিন্ডার ফেটেই এই ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি শাসক দলের। যা নিয়ে এলাকায় জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। দুবরাজপুর ব্লক তৃণমূলের কোর কমিটির সদস্য স্বপন মণ্ডল বলেন, সব মিথ্যা অভিযোগ। চা করতে গিয়ে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়েছে। কোনও বোমা বিস্ফোরণ (Bomb Blast) নয়।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    এই ঘটনায় বিজেপির বীরভূম সাংগঠনিক জেলার সভাপতি ধ্রুব সাহা বলেন, তৃণমূলের লোকজন বোমা মজুত করছিল। ওরা তৃণমূলের দুষ্কৃতী। সেই সময় বিস্ফোরণে (Bomb Blast) জখম হয় ওদেরই লোক। বীরভূম জেলাকে বারুদের স্তূপে পরিণত করেছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনে তো দেখলেন, কিভাবে ভোট করল ওরা। কোনও গণতন্ত্র নেই, দুষ্কৃতীদের রাজত্ব চলছে। পুলিশ ও প্রশাসন সবাই সব জেনেও নিশ্চুপ।

    সিউড়িতে উদ্ধার বোমা

    অন্যদিকে, সিউড়ি থানার ধল্লা গ্রামে তিনটি প্লাস্টিকের ড্রাম ভর্তি বোমা উদ্ধার হয়। প্রায় ৬০টি তাজা বোমা ছিল। পুলিশ বোমাগুলি উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে রাখে। কে বা কারা বোমাগুলি মজুত করেছিল তা জানতে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘‘পশ্চিমবঙ্গের মানুষ পরিত্রাণ পাবেন’’! কাকে নিশানা করে এ কথা বললেন শুভেন্দু?

    Suvendu Adhikari: ‘‘পশ্চিমবঙ্গের মানুষ পরিত্রাণ পাবেন’’! কাকে নিশানা করে এ কথা বললেন শুভেন্দু?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলার মানুষ খুব শীঘ্রই হিংসা-সন্ত্রাস-দুর্নীতি থেকে মুক্তি পাবেন। দিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক সেরে কলকাতায় ফিরে বললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে ফের নিশানা করলেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনারকে। আক্রমণ করলেন রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেও।

    বৈঠক নিয়ে ঠিক কী বলেছেন শুভেন্দু?

    শুভেন্দু বলেন, ‘‘বৈঠকে কী হয়েছে, আপনাদের বলার জন্য নয়। বৈঠকের ছবিও পাননি, পাবেনও না। বৈঠকে যা হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গের ভালোর জন্যই হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গকে পরিত্রাণ দেওয়ার জন্যই আমরা সবাই মিলে চেষ্টা করছি। পশ্চিমবঙ্গের মানুষ পরিত্রাণ পাবে।’’ 

    অভিষেককে কটাক্ষ

    সুপ্রিম নির্দেশের জন্য অভিষেকের সফরে সীমাবদ্ধতা থাকার ইস্যুতে এদিন শুভেন্দু বলেন, ‘‘এর আগে ওনার শ্যালিকা, অপর আরেক অভিযুক্তা ২২ সেপ্টেম্বর ২০২২ দেশের বাইরে পালিয়েছেন। আসার কোনও নামগন্ধ নেই। উনিও সপরিবারে পালাতে চাইছেন। আমার পক্ষ থেকে শুভনন্দন থাকল।’’ ‘শুভনন্দন’ অর্থাৎ শুভ-অভিনন্দন।  বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা জানাতে গিয়ে, দিঘায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ কথা বলেছিলেন। তাঁর উচ্চারিত শব্দ দিয়েই এদিন অভিষেককে কটাক্ষ করেন শুভেন্দু।

    নারী নির্যাতন নিয়ে সরব

    রাজ্যে নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে শুভেন্দু বলেছেন, ‘‘পশ্চিমবাংলার মাতৃশক্তি, কিশোরী, বালিকারা অরক্ষিত এবং অত্যাচারিত। রাজ্য বিধানসভায় মহিলা সদস্যরা, ব্যাপক প্রতিবাদ করেছেন নারী নির্যাতন নিয়ে। পশ্চিমবঙ্গ মহিলা মোর্চা মাননীয় ফাল্গুনী পাত্রের নেতৃত্বে শ্যামবাজার ৫ মাথার মোড়ে নেতাজি মূর্তির পাদদেশে ৪৮ ঘণ্টা ব্যাপী অবস্থানও শুরু করেছে। ভারতীয় জনতা পার্টি, পশ্চিমবঙ্গের নারী সুরক্ষা নিয়ে, অত্যন্ত উদ্বিগ্ন-চিন্তিত। নারীদের স্বার্থ রক্ষা করার জন্য আমরা বিধানসভার ভিতরে ও বাইরে সর্বত্র লড়াই করছি।’’

    আরও পড়ুন: ‘‘আমার তৃতীয় মেয়াদে ভারত বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হবে’’! কথা দিলেন প্রধানমন্ত্রী

    নিয়োগ দুর্নীতি প্রসঙ্গ

    নিয়োগ দুর্নীতির ইস্যুতে শুভেন্দু বলেন, ‘‘৭০টি পুরসভায় এবার চাকরি চুরি হয়েছে। বরানগর, কামারহাটি থেকে শুরু করে মূলত উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং নদিয়াতে এই চক্র সবথেকে বেশি কার্যকর ছিল। এই পুরসভার পুরপ্রধান এবং নিয়োগের সঙ্গে যুক্ত লোকেদের অবিলম্বে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা উচিত।’’ এমনকী, মানিক ভট্টাচার্য সিবিআই-এর অধিকাংশ প্রশ্ন এড়িয়ে যাচ্ছেন শুনেই শুভেন্দু বলেন, ‘‘পলিগ্রাফ টেস্ট করা উচিত।’’

    কটাক্ষ রাজ্য নির্বাচন কমিশনারকে

    এদিন ফের রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহার সমালোচনা করেন শুভেন্দু। বলেন, ‘‘নির্বাচন কমিশন মানে রাজ্য নির্বাচন কমিশন, মানে রাজীবা সিনহা। ও তো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পোষ্য। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পোষ্য, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লেখা দেওয়া হলফনামা দাখিল করছেন। বিরোধী দলনেতার বাস্তবের উপর দাঁড়িয়ে সত্য অভিযোগ খণ্ডন করছেন। তবে সিভিক ভলান্টিয়ার দিয়ে যে ভোট হয়েছে, সেটা টিভি ক্যামেরা, সাদা চোখে দেখা গিয়েছে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

  • PM Modi: ‘‘আমার তৃতীয় মেয়াদে ভারত বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হবে’’! কথা দিলেন প্রধানমন্ত্রী

    PM Modi: ‘‘আমার তৃতীয় মেয়াদে ভারত বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হবে’’! কথা দিলেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি সরকার ফের ক্ষমতায় এলে চব্বিশের পর ভারত বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হবে, ‘গ্যারান্টি’ দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)। বুধবার নতুন ভাবে গড়ে ওঠা প্রগতি ময়দানের আইটিপিও (ITPO) কমপ্লেক্সের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানে জনতার উদ্দেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, চব্বিশের ভোটে বিজেপি সরকার ক্ষমতায় থাকলে ভারতকে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশে পৌঁছে দেওয়া হবে। আমেরিকা-চিনের পরেই তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হিসেবে নাম থাকবে ভারতেরই।

    প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাস

    দিল্লিতে বসতে চলেছে জি-২০ বৈঠক। গোটা বিশ্বের অধিকাংশ দেশের বড় বড় প্রতিনিধিরা উপস্থিত হয়েছেন রাজধানী শহরে। তারই আগে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমাদের প্রথম পর্বের শাসনকালে ভারত বিশ্বের অর্থনীতিতে দশম স্থানে উঠে এসেছে। আমার দ্বিতীয় পর্বের শাসনকালে বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হয়েছে ভারত। এই ট্র্যাক রেকর্ড অনুসারে আমি দেশবাসীকে বিশ্বাস করিয়ে দেব, আমার তৃতীয় পর্বের শাসনকালে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশের মধ্যে থাকবে ভারত।” এদিন অত্যাধুনিক মানের ইন্টারন্যাশনাল এক্সিবিশন-কাম-কনভেশন সেন্টার ‘ভারত মণ্ডপম’-এর উদ্বোধন করে ভারতের পরিকাঠামোর আমূল বদল হয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাঁর জমানার উন্নয়নের পরিসংখ্যান দিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, “পূর্ব থেকে পশ্চিম, উত্তর থেকে দক্ষিণ, ভারতের পরিকাঠামো বদলে গিয়েছে। বর্তমানে বিশ্বের সর্বোচ্চ রেলব্রিজ ভারতে, সর্বোচ্চ উচ্চতায় দীর্ঘতম টানেল ভারতে, মোটর চলার সর্বোচ্চ রোড, দীর্ঘতম স্টেডিয়াম, দীর্ঘতম স্ট্যাচু- সবই ভারতে রয়েছে।” 

    আরও পড়ুুন: ভোট-হিংসায় সিবিআই, বিস্ফোরণে এনআইএ চাই, রিপোর্ট পেশ ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের

    কীভাবে উন্নতির পথে ভারত

    ভারতের মতো একটি উন্নয়নশীল দেশের অর্থনীতির এই তড়িৎ গতির উত্থান কীভাবে হবে সে প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিনিয়োগের পরিমাণ বাড়াতে সরকারি স্তরে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ করেছে ভারত। তা ছাড়াও ভারতের বৃহত্তর জনগোষ্ঠী, ডিজিটাল প্রযুক্তির উপর জোরও দেশের অর্থনীতিকে আরও মজবুত করবে। আইএমএফ-এর রিপোর্ট অনুসারে, ২০২৭ সালের মধ্যে ভারত, জাপান ও জার্মানিকে পিছনে ফেলে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত হবে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০২৭ সালে জাপানের অর্থনীতি হবে ৫.২ ট্রিলিয়ন ডলার। জার্মানির অর্থনীতি হবে ৪.৯ ট্রিলিয়ন ডলার। একইসঙ্গে ভারত ততদিনে ৫.৪ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতিতে পরিণত হবে। অর্থাৎ ২০২৭ সালে ভারতের চেয়ে এগিয়ে থাকবে শুধুমাত্র আমেরিকা ও চিন। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Asian Games 2023: মিলল কেন্দ্রের ছাড়পত্র! এশিয়ান গেমস খেলবেন সুনীলরা

    Asian Games 2023: মিলল কেন্দ্রের ছাড়পত্র! এশিয়ান গেমস খেলবেন সুনীলরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এশিয়ান গেমসে (Asian Games 2023) ভারতের পুরুষ ও মহিলা দলের অংশগ্রহণের জন্য সবুজ সংকেত দিল কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর ট্যুইট করে এ কথা ঘোষণা করেছেন। ফলে ভারতের পুরুষ ও মহিলা দল এবার এশিয়ান গেমসে অংশগ্রহণ করতে পারবে। স্বাভাবিক ভাবেই খুশির হাওয়া ভারতের ফুটবল মহলে।

    অনুরাগের ট্যুইট-বার্তা

    বুধবার, অনুরাগ ঠাকুর ট্যুইটে লেখেন, ‘আমাদের ফুটবল দল, পুরুষ ও মহিলা উভয়ই এশিয়ান গেমসে অংশগ্রহণ করবে। দেশের ক্রীড়ামন্ত্রক সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুই দলের এশিয়ান গেমসে অংশগ্রহণের জন্য নিয়ম শিথিল করা হবে। পুরনো নিয়ম অনুযায়ী, দুই দল এশিয়ান গেমসে অংশগ্রহণ করতে পারবে না। কিন্তু সেটা শিথিল করা হচ্ছে। বর্তমান সময়ে তাদের পারফরম্যান্স দেখে মন্ত্রক সিদ্ধান্ত নিয়েছে ছাড় দেওয়ার ব্যাপারে। আমি নিশ্চিত দল এবার নিজেদের সেরাটা দিয়ে দেশের নাম উজ্জ্বল করবে।’

    আরও পড়ুন: বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ম্যাচে স্টাম্প ভাঙার শাস্তি! দুই ম্যাচ নির্বাসিত হরমনপ্রীত

    বিশেষ অনুমতি

    সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের আবেদনের ভিত্তিতে বিশেষ অনুমতি দিল কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রক। পরপর তিনটি আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় সুনীলের দল চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় কেন্দ্র এশিয়ান গেমসে দল পাঠানোর অনুমতি দিয়েছে। কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রকের নীতি অনুযায়ী, কোনও দলগত খেলায় এশীয় ক্রমতালিকায় প্রথম আটে থাকলে তবেই দল পাঠানো হয়। অর্থাৎ, বিবেচনা করা হয় পদক পাওয়ার সম্ভাবনা কতটা। সেই নিরিখে ফুটবল দলের এশিয়ান গেমসের ছাড়পত্র পাওয়ার কথা ছিল না। কারণ এশীয় ক্রমতালিকায় সুনীলেরা রয়েছেন ১৯ নম্বরে। এই নিয়মের অবশ্য ব্যতিক্রম রয়েছে। নির্দিষ্ট কোনও খেলার সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স ভাল হলে সংশ্লিষ্ট খেলার বিশেষজ্ঞ এবং স্পোর্টস অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ চায় কেন্দ্র। তার ভিত্তিতে বিশেষ অনুমতি দেওয়া হয়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share