Tag: Madhyom

Madhyom

  • Narendra Modi: আন্তর্জাতিক যোগ দিবসে রাষ্ট্রপুঞ্জে যোগাভ্যাসের ‘পাঠ’ পড়াবেন মোদি

    Narendra Modi: আন্তর্জাতিক যোগ দিবসে রাষ্ট্রপুঞ্জে যোগাভ্যাসের ‘পাঠ’ পড়াবেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিউ ইয়র্কে রাষ্ট্রপুঞ্জের সদর দফতরে, নবম আন্তর্জাতিক যোগ দিবস (Yoga Day 2023) উপলক্ষে আয়োজিত, বিশেষ যোগ অধিবেশনের নেতৃত্ব দেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)।  প্রতি বছর ২১ জুন পালন করা হয় আন্তর্জাতিক যোগ দিবস। এবছর ওই দিনই চার দিনের সফরে আমেরিকা পৌঁছবেন প্রধানমন্ত্রী। এই প্রথম রাষ্ট্রপুঞ্জের আঙিনায় যোগ শিক্ষা দেবেন মোদি।

    যোগ দিবসের নানান কর্মসূচি

    সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, ২১ জুন সকাল ৮টা থেকে ৯টা পর্যন্ত, এক ঘণ্টা রাষ্ট্রপুঞ্জের সদর দফতরের উত্তরের লনে এই বিশেষ যোগ অধিবেশন চলবে। আয়োজকদের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, “নবম আন্তর্জাতিক যোগ দিবস উপলক্ষে, রাষ্ট্রপুঞ্জে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি, আপনাদের সকলকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে একটি যোগ অধিবেশনে যোগ দেওয়ার আন্তরিক আমন্ত্রণ জানাচ্ছেন।”

    প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে এই ঐতিহাসিক যোগ (Yoga Day 2023)  অধিবেশনে অংশ নেবেন রাষ্ট্রপুঞ্জের শীর্ষ কর্তারা। এছাড়া থাকবেন বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, সদস্য রাষ্ট্রগুলির প্রতিনিধিরা পাশাপাশি প্রবাসী ভারতীয় সম্প্রদায়ের বহু বিশিষ্ট সদস্যরাও উপস্থিত থাকবেন বলে আশা করা হচ্ছে। সকল অতিথি এবং অংশগ্রহণকারীদের এই বিশেষ অধিবেশনে যোগাভ্যাসের উপযোগী পোশাক পরে যোগ দিতে বলা হয়েছে। অধিবেশন তাদের ‘যোগা ম্যাট’ দেওয়া হবে। 

    আরও পড়ুুন: বিজেপি প্রার্থীদের বেধড়ক মার, আক্রান্ত মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক, অভিযুক্ত তৃণমূল

    প্রধানমন্ত্রী মোদিকে আমন্ত্রণ

    রাষ্ট্রপুঞ্জের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, যোগা ম্যাটগুলি স্মারক হিসেবে অংশগ্রহণকারীদের দিয়ে দেওয়া হবে। এই বিষয়ে একটি ট্যুইট করেছেন রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ পরিষদের ৭৭তম অধিবেশনের সভাপতি সাবা করোসি। প্রধানমন্ত্রী মোদির (Narendra Modi) সঙ্গে নিজের একটি ছবি ট্যুইট করে সাবা করোসি জানিয়েছেন, “আগামী সপ্তাহে রাষ্ট্রপুঞ্জের সদর দফতরের নর্থ লনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে নবম আন্তর্জাতিক যোগ দিবস উদযাপনে অংশগ্রহণের জন্য আমি উন্মুখ হয়ে আছি।”

    মোদির ট্যুইট বার্তা

    এই বিষয়ে ট্যুইট করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও (Narendra Modi)। বিভিন্ন আসনের একটি ভিডিয়ো পোস্ট করে তিনি লিখেছেন, “যোগব্যায়াম শরীর এবং মন উভয়ের জন্যই উপকারী। শক্তি, নমনীয়তা এবং প্রশান্তি বৃদ্ধি করে। আসুন যোগকে আমাদের জীবনের একটি অংশ করে তুলি এবং জীবনে সুস্থতার পাশাপাশি শান্তি নিয়ে আসি।”

    আরও একটি ট্যুইটে তিনি সাবা করোসির ট্যুইটের জবাবও দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “রাষ্ট্রপুঞ্জের সদর দফতরে আন্তর্জাতিক যোগ দিবস উদযাপনে আপনাকে দেখতে আমিও উন্মুখ হয়ে আছি। আপনার অংশগ্রহণ অনুষ্ঠানটিতে বিশেষ মাত্রা যোগ করেছে। গোটা বিশ্বকে এক করে সুস্থতার দিকে নিয়ে যায় যোগ। কামনা করি, এটি বিশ্বব্যাপী আরও জনপ্রিয় হয়ে উঠুক।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Hooghly: তৃণমূল উপ-প্রধানের বাড়ি সংলগ্ন পাটক্ষেত থেকে  ড্রাম ভর্তি বোমা উদ্ধার

    Hooghly: তৃণমূল উপ-প্রধানের বাড়ি সংলগ্ন পাটক্ষেত থেকে ড্রাম ভর্তি বোমা উদ্ধার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল নেতার বাড়ির পাশে পাট ক্ষেত থেকে সাত সকালেই ড্রাম ভর্তি তাজা বোমা উদ্ধারকে ঘিরে এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য। ৮ই জুলাই রাজ্যে একদফা পঞ্চায়েত নির্বাচন। ইতিমধ্যে মালদা, মুর্শিদাবাদ, বীরভূমে মুড়ি-মুড়কির মতন বোমা উদ্ধার হয়েছে। এবার বোমা পাওয়া গেল খানাকুলে (Hooghly)। কার্যত এই বোমা, নির্বাচনে ব্যবহার করা হতো এমন টা নয় তো! আরও কি গচ্ছিত রয়েছে বোমা! এই আশঙ্কা প্রকাশ করছেন বিরোধী দলের নেতারা।

    খানাকুলে (Hooghly) কীভাবে বোমা উদ্ধার?

    ঘটনা খানাকুলের (Hooghly) নতিবপুর ২ নং গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। পঞ্চায়েতের উপ-প্রধানের বাড়ির সংলগ্ন এলাকা পাটক্ষেত থেকে ড্রাম ভর্তি বোমা উদ্ধার করল পুলিশ। জানা গেছে, ঐ ড্রামে ১৬ টির মতো তাজা বোমা ভর্তি ছিল। কে বা কারা, এই ড্রামে করে বোমা গুলি পাটক্ষেতে রেখে গেছে, তার তদন্ত করছে পুলিশ। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে, খানাকুল থানার পুলিশ হানা দিয়ে এই বোমা গুলি উদ্ধার করেছে। এরপর পুলিশ তড়িঘড়ি বোমা গুলিকে একটি নিরাপদ জায়গায় নিয়ে গিয়ে নিষ্ক্রিয় করে বলে জানা গেছে। এদিকে বোমা উদ্ধারের ঘটনায় রাজনৈতিক ভাবে চাপান-উতর শুরু হয়েছে।

    বিজেপির বক্তব্য

    ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিজেপির রাজ্য সম্পাদক বিমান ঘোষ (Hooghly) বলেন, ভোটের আগে তৃণমূল এই ভাবে বোমা রেখে যদি ভয় দেখানোর চেষ্টা করে তাতে কোনও লাভ হবে না। কারণ বিজেপির এক একটা কর্মীই এক একজন বোমা! তাই বোমা দিয়ে নির্বাচন জিততে পারবেনা তৃণমূল, বলে মন্তব্য করেন এই বিজেপি নেতা।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    আবার পালটা তৃণমূলের পক্ষ থেকে আরামবাগ (Hooghly) সাংগঠনিক জেলা সহ-সভাপতি স্বপন নন্দীর জবাব, আমরা চাইলেই মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার সময়েই বিজেপিকে আটকে দিতে পারতাম! কিন্তু তা তো করিনি। সব আসনেই বিজেপি মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছে। আসলে বিজেপি জিতবে না জানে! আর তাই বিজেপি, এই ভাবে গোপনে বোমা মজুত করেছে।   

     

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: বাইকে করে আক্রমণ, এরপরেই সিপিএম প্রার্থী নিখোঁজ! অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা

    Nadia: বাইকে করে আক্রমণ, এরপরেই সিপিএম প্রার্থী নিখোঁজ! অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল দুষ্কৃতীদের হাতে আক্রান্ত সিপিএম কর্মী সমর্থক। গতকাল গভীর রাতে চাপড়া (Nadia) থানার বাঙালঝি এলাকায় একদল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতী বাইকে করে সিপিএমের প্রার্থী শাহাজুদ্দিন শেখ এবং তাঁর কর্মী সমর্থকদের প্রথমে ব্যাপক মারধর করে। এরপর তাঁদের বাড়িতে ভাঙচুর চালায়। শুধু তাই নয়, দুষ্কৃতীরা বন্দুকের বাট দিয়ে মাথায় মেরে তাঁদের অনেকের মাথা ফাটিয়ে দেয় বলে অভিযোগ ওঠে। আর এরপর থেকেই নিখোঁজ সিপিএমের প্রার্থী। 

    চাপড়া (Nadia) অভিযোগ কী?

    মনোনয়নের দিনেই উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ায় মনোনয়ন করতে গিয়ে শাসক দলের দুষ্কৃতীদের দ্বারা গুলি বিদ্ধ হয়ে নিহত হন দুই জন। অভিযোগের তীর ছিল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। এবার মনোনয়নের পর নদিয়ায় আবার আক্রান্ত হলেন বিরোধী দলের কর্মীরা। চাপড়া (Nadia) থানার বাঙালঝি এলাকায় বিরোধীদের লক্ষ করে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে আক্রমণ করছে বলে বিশেষ অভিযোগ উঠছে। এই ঘটনার মূল অভিযুক্ত হলেন এই এলাকার তৃণমূল নেতা জান আলি মোল্লা। আক্রান্ত সিপিএমের প্রার্থী শাহাজুদ্দিন শেখ, প্রথমে ঘটনা স্থলেই রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকেন। আর তারপর থেকেই তিনি নিখোঁজ বলে জানা গেছে। পরিবারের লোকজন ফোন করে পুলিশকে জানালেও পুলিশ কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। অবশেষে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় ঘটনা স্থলে আহত আরও তিন সিপিএম কর্মীদের চাপড়া হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা হয়। কিন্তু আশঙ্কাজনক অবস্থা হওয়ায় এই তিনজনকে আবার শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে স্থানান্তর করেন চিকিৎসক। আহতদের মধ্যে ছিলেন গাইন শেখ, তাপাজুল শেখ, আনছুর শেখ।

    পরিবারের বক্তব্য

    স্ত্রী পারভিনা শেখ বলেন, আমার স্বামী চাপড়া (Nadia) ২ নম্বর ব্লকে সিপিএমের প্রার্থী ছিলেন। ঘটনার দিন রাতে ১০টার সময়ে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা হাতে বন্দুক নিয়ে বাড়িতে হামলা করে। বাড়িতে এসে আমার স্বামীর নাম ধরে ডাকে, তারপর বাড়ির দরজা, জানালা ভাঙচুর করে। এরপর তিনি বলেন, গতকাল থেকেই আমি স্বামীর কোনও খোঁজ পাচ্ছিনা। তাঁর মোবাইল বন্ধ বলে জানতে পারছি। তিনি আরও বলেন, যারা বাড়িতে হামলা করেছে, তারাই আমার স্বামীকে নিখোঁজ করেছে। এদিকে আমার দলের কর্মীরা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি, অপর দিকে স্বামী নিখোঁজ! কী করব বুঝতেই পারছি না! 

    চাপড়া বিধায়ক তৃণমূলের নেতার রুক বানুর রহমান বলেন, পঞ্চায়েত নির্বাচনে কোনও বিরোধী প্রার্থীদের কোনও সমস্যা হয়নি। এখানে বিরোধীরা ঘটনাকে সাজিয়ে উপস্থাপন করছেন কেউ কেউ। জান আলি মোল্লা এমন কোনও ঘটনার সঙ্গে যুক্ত নয়। বিরোধীদের সব চক্রান্ত। 

       

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: নদিয়ায় ‘জমি দুর্নীতি’তে সিবিআই তদন্ত! নির্দেশ হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: নদিয়ায় ‘জমি দুর্নীতি’তে সিবিআই তদন্ত! নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নদিয়ায় (Nadia) একটি জমি অধিগ্রহণের ঘটনায় সিবিআই (CBI) তদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। পাশাপাশি একই রকম জমিতে দামের আকাশ-পাতাল হেরফের কেন তা সিবিআই-কে খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি বিবেক চৌধুরী। 

    দুর্নীতির অভিযোগ

    অভিযোগ, জল সরবরাহের কাজের জন্য নদিয়ার এক ব্যক্তির জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছিল। ওই ব্যক্তির দাবি, তাঁকে জমির জন্য অনেক কম দাম দেওয়া হয়েছে। বিতর্কের সূত্রপাত নদিয়ার বীরেন্দ্র নাথ ঘোষের জমি ঘিরে। ২০০৯ সালে জল সরবরাহের কাজের জন্য বীরেন্দ্র ঘোষের ৪৪ শতক জমি অধিগ্রহণ করে জনস্বাস্থ্য করিগরি দফতর। বীরেন্দ্রনাথের অভিযোগ, জমি অধিগ্রহণ করা হলেও প্রথমে টাকা পাননি তিনি। তারপরই নড়েচড়ে বসে জেলা প্রশাসন। জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে ওই জমির দাম ঠিক করা হয় ৩৬ লক্ষ ৪৭ হাজার ৬৩১ টাকা। জেলা পরিষদ জানায় ২০২৩ এপ্রিলের বর্তমান মূল্য অনুযায়ী ওই দাম ধার্য করা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: ২২ কোটির কারচুপি! ২১ জন বিএসএনএল কর্তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের সিবিআইয়ের

    সিবিআইকে নির্দেশ

    এরপরই হাইকোর্টে (Calcutta High Court) মামলা করেন বীরেন্দ্রনাথ ঘোষ। তাঁর মূল অভিযোগ, জমির (land corruption) সঠিক মূল্যায়ণ করেনি নদিয়া জেলা পরিষদ। মামলাকারীর আইনজীবী তুলসী দাস আদালতে জানিয়েছেন, ওই জমি থেকে মাত্র এক মাইল দূরে ৩৯ শতকে একটি জমির মূল্য পাঁচ কোটির উপরে ধার্য করেছে সরকার। প্রতি শতকে ১৫ লক্ষ টাকার বেশি ধার্য করা হয়েছে বলে দাবি আইনজীবীর। বীরেন্দ্রর দাবি, তাঁর জমি বানিজ্যিক জমি। সেক্ষেত্রে জমির দাম প্রতি শতক এক লাখের কম কেন হবে? এরপরই বিচারপতি বিবেক চৌধুরী বলেন, এটি বিভ্রান্তিকর সিদ্ধান্ত। অথবা কোনও দুর্নীতির অঙ্গ। কোনওভাবেই ব্যবসায়িক জমির দাম কম হতে পারে না। নদিয়া জেলা পরিষদের অসৎ উদ্দেশ্য আছে বলেও মন্তব্য করেন বিচারপতি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BSNL Corruption Case: ২২ কোটির কারচুপি! ২১ জন বিএসএনএল কর্তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের সিবিআইয়ের

    BSNL Corruption Case: ২২ কোটির কারচুপি! ২১ জন বিএসএনএল কর্তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের সিবিআইয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাক্তন জেনারেল ম্যানেজার-সহ ২১ বিএসএনএল (BSNL Corruption Case) আধিকারিকদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠল। অভিযুক্ত ভারত সঞ্চার নিগম লিমিটেড (BSNL)-এর আধিকারিকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। শুক্রবার এই মামলা সংক্রান্ত ২৫টি জায়গায় তল্লাশিও চালান সিবিআই আধিকারিকরা।

    বিএসএনএলের ক্ষতি

    তদন্তকারী সংস্থার অভিযোগ, এক ঠিকাদারের সঙ্গে ষড়যন্ত্র করে একটি কাজের জন্য বরাদ্দ টাকায় কারচুপি করেন অভিযুক্ত আধিকারিকরা। যার ফলে বিএসএনএলের (BSNL Corruption Case) প্রায় ২২ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। সিবিআই-এর এফআইআরে মূলত বিএসএনএলের অসম সার্কেলের অফিসারদের নাম রয়েছে। প্রাক্তন জেনারেল ম্যানেজার ছাড়াও ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার, অ্যাসিস্ট্যান্ট জেনারেল ম্যানেজার, জোড়হাট, শিবসাগর, গুয়াহাটি শাখার চিফ অ্যাকাউন্টস অফিসারদের বিরুদ্ধেও অভিযোগ উঠেছে। এফআইআরে অভিযুক্ত আধিকারিকরা বাদে এক ঠিকাদারের নাম উল্লেখ রয়েছে যিনি বিসিএনএলের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত নন বলে সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে। 

    আরও পড়ুন: অনুব্রতর গড়ে ফের ভাঙন, তৃণমূল সাংসদ অসিত মালের ভাইপো যোগ দিলেন বিজেপিতে

    দেশের বিভিন্ন প্রান্তে তল্লাশি

    সিবিআই মুখপাত্র এক বিবৃতিতে বলেন, ‘‘এক জন ঠিকাদারকে অপটিক্যাল ফাইবারের কাজ করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। অভিযোগ ওঠে, ওই ঠিকাদার নিজের কাজ ঠিক ভাবে করেননি। উপরন্তু তিনি বিভিন্ন অছিলায় সংস্থার কাছে অতিরিক্ত টাকা নিয়েছেন। এই ঘটনায় ওই ২১ আধিকারিক যুক্ত ছিলেন বলে অভিযোগ। এর ফলে বিএসএনএলের (BSNL Corruption Case) প্রায় ২২ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।” কেন্দ্রীয় সংস্থার দাবি, ওই কনট্রাক্টর টেন্ডারের অনেক নিয়ম লঙ্ঘন করেছিলেন। এফআইআর দায়েরের পরে শুক্রবার অসম, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা এবং হরিয়ানায় অভিযুক্তদের অফিস এবং বাসস্থান-সহ ২৫টি স্থানে তল্লাশি চালিয়েছে সিবিআই। এই তল্লাশির ফলে বিভিন্ন নথি সিবিআই-এর হাতে এসেছে। এই সমস্ত তথ্য তদন্ত প্রক্রিয়া এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করবে বলে দাবি, সিবিআই-এর।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Vote 2023: পঞ্চায়েত ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নির্দেশ! সুপ্রিম দুয়ারে যাচ্ছে রাজ্য, কমিশন

    Panchayat Vote 2023: পঞ্চায়েত ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নির্দেশ! সুপ্রিম দুয়ারে যাচ্ছে রাজ্য, কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা হাইকোর্টের (High Court) কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Vote 2023) করানোর নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যেতে চলেছে রাজ্য সরকার ও নির্বাচন কমিশন। উচ্চ আদালতের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম দুয়ারে (Supreme Court) দায়ের হতে চলেছে মামলা। শনি এবং রবিবার সুপ্রিম কোর্ট বন্ধ থাকবে। তাই ‘ই-ফাইলিং’ করার ভাবনাচিন্তা চলছে বলে নবান্নর একটি সূত্রের খবর। আগামী সোমবার এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে।

    নবান্নর ভাবনা

    হাইকোর্টের নির্দেশ ছিল, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কেন্দ্রের কাছে বাহিনী চাইতে হবে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে (State Election)। সেই নির্দেশের পর ২৪ ঘণ্টা অতিক্রান্ত। হাতে রয়েছে কেবলমাত্র শনিবার। তার মধ্যেই কেন্দ্রের কাছে বাহিনী চেয়ে আবেদন করতে হবে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে। নবান্ন সূত্রে খবর, আইন অনুযায়ী পঞ্চায়েত ভোটে (Panchayat Vote 2023) নিরাপত্তার দায়িত্ব রাজ্যের উপর। দস্তুর হল, কোথায় কত পুলিশ লাগবে, নির্বিঘ্নে ভোট করাতে নিরাপত্তা সংক্রান্ত কী কী পদক্ষেপ করা দরকার, তা রাজ্যের কাছে জানতে চাইবে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। রাজ্যের দেওয়া তথ্যের উপর ভিত্তি করে নির্বাচনী নিরাপত্তার কাজ সম্পন্ন করবে কমিশন। অর্থাৎ, নিরাপত্তা সংক্রান্ত সমস্ত খুঁটিনাটি রাজ্য সরকারই কমিশনকে অবহিত করবে। এক্ষেত্রে হাইকোর্ট কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নিয়ে রাজ্যকে এড়িয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে সরাসরি নির্দেশ দিয়েছে। তাকে চ্যালেঞ্জ করেই সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার ভাবনা রয়েছে নবান্নের।

    আরও পড়ুন: অনুব্রতর গড়ে ফের ভাঙন, তৃণমূল সাংসদ অসিত মালের ভাইপো যোগ দিলেন বিজেপিতে

    আদালতের নির্দেশ

    মনোনয়ন পর্বে লাগামছাড়া হিংসা ও গুলিতে চার জনের মৃত্যু নিয়ে বিরোধীরা দৃষ্টি আকর্ষণ করার পর বৃহস্পতিবার রাজ্য জুড়ে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করে পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Vote 2023) করার নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্টসে সময় রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা কলকাতা হাইকোর্টের দেওয়া নির্দেশ মেনে চলার কথাই বলেছিলেন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে কোনও পদক্ষেপ করেনি কমিশন। হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে রাজ্য সরকার যে সুপ্রিম কোর্টে যেতে পারে তা আঁচ করে আগেই শীর্ষ আদালতে ক্যাভিয়েট দাখিল করেছেন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) এবং কংগ্রেস সাংসদ আবু হাসেম খান চৌধুরী।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: বেড ভাড়া, ওষুধের খরচ বেঁধে দিতে পারে না কমিশন, রায় হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: বেড ভাড়া, ওষুধের খরচ বেঁধে দিতে পারে না কমিশন, রায় হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে অস্বাভাবিক খরচ নিয়ন্ত্রণের জন্য রাজ্য সরকারের গঠিত স্বাস্থ্য কমিশনের(Health Commission) মোট ২৬টি নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। উচ্চ আদালতের বক্তব্য, এমন নির্দেশ জারির অধিকার ওই কমিশনের নেই। কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ের বিরোধিতা করে ডিভিশন বেঞ্চে যাচ্ছে রাজ্য সরকার। স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রয়োজনে এই বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টেও যাবে রাজ্য সরকার।

    আদালতের নির্দেশ

    হাইকোর্টে (Calcutta High Court)কমিশনের নির্দেশের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিল কলকাতার একটি প্রথম সারির হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তারা ২০২০-র ২৭ জুলাই থেকে পরের বছরের ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কমিশনের জারি করা ২৬টি নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে আদালতের দ্বারস্থ হয়। সেই মামলার শুনানি শেষ হয় ১৬ মে। বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্য তাঁর নির্দেশে বলেন, রেগুলেটরি কমিশনের নির্দেশ এক্তিয়ার বহির্ভূত। নির্দেশগুলি অসাংবিধানিক ও অপ্রয়োজনীয় বলে উল্লেখ করে বিচারপতি ভট্টাচার্য সেগুলি প্রত্যাহার করে নিতে কমিশনকে নির্দেশ দিয়েছেন।

    আরও পড়ুন: শুক্রতেও মনোনয়ন জমা দিতে পারবেন বসিরহাটের ৬০ বিজেপি প্রার্থী

    আদালতের (Calcutta High Court) বক্তব্য, এই ধরনের পদক্ষেপের কোনও সংস্থান নেই ২০১৭-র ক্লিনিক্যাল এস্ট্যাবলিশমেন্ট আইনে, যার বলে কমিশন গঠিত হয়েছে। সরকারি কৌঁসুলিরা অবশ্য সওয়াল করেছিলেন যে, জনস্বার্থে এবং রোগীস্বার্থেই এই ধরনের নির্দেশিকা কমিশন জারি করেছে। কিন্তু আইনি প্রশ্নে তাকে আদালত মান্যতা দেয়নি। এই প্রসঙ্গে অতীতের বিভিন্ন মামলার দৃষ্টান্তও তুলে ধরা হয়েছে। আগামী দিনে এমন পদক্ষেপ কমিশন যেন আর না করে, সেই নির্দেশও দিয়েছে আদালত। রায়ে বলা হয়েছে, বেসরকারি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন পরিষেবার রেট বেঁধে দেওয়াও কমিশনের এক্তিয়ার বহির্ভূত। এই রায় সম্পর্কে রাজ্যের স্বাস্থ্য কমিশনের চেয়ারপার্সন অসীমকুমার বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন, “রায়ের কপি হাতে পেয়েছি। আমরা ডিভিশন বেঞ্চে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • BJP: অনুব্রতর গড়ে ফের ভাঙন, তৃণমূল সাংসদ অসিত মালের ভাইপো যোগ দিলেন বিজেপিতে

    BJP: অনুব্রতর গড়ে ফের ভাঙন, তৃণমূল সাংসদ অসিত মালের ভাইপো যোগ দিলেন বিজেপিতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে অনুব্রত মণ্ডলের খাসতালুকে তৃণমূলে ভাঙন ধরাল বিজেপি (BJP)। ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র দাখিলের কাজ বৃহস্পতিবারই শেষ হয়েছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়ন দাখিলের শেষ পর্বে দেখা যায় বিভিন্ন দলের টিকিট বন্টন নিয়ে দলীয় কর্মীদের মধ্যে রয়েছে চাপা ক্ষোভ। প্রতিবাদ জানাতে অনেকেই ভোট ময়দানে সামিল হয়েছেন দলীয় গোঁজ প্রার্থী হিসেবে। অনেকে আবার দলবদল করে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। এবার তৃণমূল কংগ্রেসের সরাসরি বিরোধিতা করতে বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল সাংসদ অসিত মালের ভাইপো রূপেস মাল শুক্রবার  বিজেপির রামপুরহাটে শাখায় যোগদান করলেন। অন্যদিকে, এদিন সকালে বীরভূমের  ময়ূরেশ্বর-১ নম্বর ব্লকের মল্লারপুর-২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের প্রাক্তন বুথ সভাপতি বিকাশ পত্রধর বিজেপিতে যোগদান করলেন। তিনি ময়ূরেশ্বরের তৃণমূল বিধায়ক অভিজিৎ রায়ের ছায়া সঙ্গী হিসেবেই পরিচিত ছিলেন। তবে, তিনি একা দলবদল করেছেন এমন নয়,  তাঁর সঙ্গে এলাকার আরও প্রায় ৩০০ জন কর্মী সমর্থক নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে বিজেপিতে যোগদান করেন। বিকাশ পত্রধরের  হাতে পতাকা তুলে দেন রাজ্য কমিটির সদস্য অর্জুন সাহা। পাশপাশি উপস্থিত ছিলেন মণ্ডল সভাপতি সহ অনান্যরা। বিধায়ক এবং দলের দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করতে বিজেপিতে যোগদান বলে জানিয়েছেন বিকাশবাবু।

    কী বললেন দলত্যাগী নেতা?

    রাজ্যজুড়ে শাসক দলের গোষ্ঠী কোন্দল বারবার প্রকাশ্যে এসেছে সাম্প্রতিককালে। তবে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে যে সেই কোন্দল আরও প্রকট হয়েছে। বিশেষ করে অনুব্রত গড় বীরভূম জেলায় তৃণমূলের ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। কখনও তৃণমূল কর্মীরা দল ছেড়ে যোগদান করছেন সিপিএমে, কখনও আবার বিজেপিতে (BJP), কখনও আবার কংগ্রেসে। তবে বেশিরভাগ সময় দেখা গিয়েছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে গেরুয়া শিবিরে যোগদানের সংখ্যা বেশি। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে এভাবে শাসকদল ভেঙে বিজেপিতে যোগদানের ঘটনা গেরুয়া শিবিরকে নির্বাচনের আগে বাড়তি অক্সিজেন জোগাবে বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে। তৃণমূল সাংসদের ভাইপো রূপেশ মাল বলেন তৃণমূল দলে তিনি যথাযথ সম্মান পাচ্ছিলেন না, তাছাড়া তৃণমূল যোগ্য ব্যক্তিদের বঞ্চিত করে অযোগ্য ব্যক্তিদের পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রার্থী মনোনীত করে টিকিট দিয়েছে। এজন্যই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করলাম। অন্যদিকে, বিজেপিতে যোগ দিয়ে বিকাশ পত্রধর বলেন, আমি প্রথম দিন থেকে তৃণমূল করতাম। এখন দলটা দুর্নীতিতে ভরে গিয়েছে। দুর্নীতি মুক্ত পঞ্চায়েত গড়তেই তৃণমূল ছেড়েছি। কয়লা, গরু, পাথর খাদানের টাকা সব ভাইপোর (অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়) কাছে যায়। এই টাকায় রাজ্যের অনেক উন্নয়ন হত।  স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক এখন চোরদের নিয়ে ঘোরে। এই দলটা আর করা যায় না। এখন এই এলাকায় বিজেপির জনজোয়ার। ময়ুরেশ্বর পঞ্চায়েত সমিতি দখল করবে বিজেপি।

    কী বললেন বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব?

    বিজেপির জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা বলেন  তৃণমূলের নবজোয়ার শেষ হতে না হতেই দেখা দিয়েছে ভাটা। আজকে তৃণমূল সাংসদদের নিজের ভাইপো বিজেপিতে যোগদান তারই জ্বলন্ত প্রমাণ। অন্যদিকে, বিজেপি (BJP) নেতা অর্জুন সাহা বলেন, বিকাশ এলাকায় অত্যন্ত জনপ্রিয় নেতা। ভালো সংগঠক। তাঁর নেতৃত্বে কয়েকশো কর্মী সমর্থক আমাদের দল যোগ দিলেন। এতে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে দলের সংগঠন অনেকটাই মজবুত হল।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    জেলা পরিষদের কো মেন্টর ধীরেন্দ্রনাথ ব্যানার্জি বলেন বিকাশ পত্রধর এখন তৃণমূলে নেই। সে কোন দল করবে, না করবে সেটা ওর ব্যাপার তৃণমূলের কোনও কিছু যায় আসে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election 2023: পঞ্চায়েতে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে আদালতের রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি প্রত্যাহার রাজ্যের

    Panchayat Election 2023: পঞ্চায়েতে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে আদালতের রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি প্রত্যাহার রাজ্যের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election 2023) ৭ জেলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। হাইকোর্টের মঙ্গলবারের রায়ের কিছু অংশ পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়েছিল রাজ্য। আজ, শুক্রবার আদালতে এই আর্জি প্রত্যাহার করে নিল রাজ্য সরকার। প্রধান বিচারপতিকে আর্জি প্রত্যাহার করার কথা জানান রাজ্যের আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রত্যাহারের আর্জি মঞ্জুর করেছেন প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম।

    আদালতে রাজ্যের আবেদন

    মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল, রাজ্য নির্বাচন কমিশন যে এলাকাগুলিকে স্পর্শকাতর বলে চিহ্নিত করেছিল, সেখানে অবিলম্বে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করতে হবে। পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Election 2023) নিয়ে বিরোধীদের জনস্বার্থ মামলায় হাইকোর্টের এই রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়ে বৃহস্পতিবার আদালতে গিয়েছিলেন রাজ্যের আইনজীবী কল্যাণ। কিছুদিন আগেই রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটের দিন ঘোষণা করেন রাজ্যের নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা। তবে মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময়সীমা নিয়ে প্রথম থেকেই অশান্তি অব্যাহত। ৮ জুলাই একদফাতেই দার্জিলিং-কালিম্পংয়ে দ্বিস্তরীয় ও বাকি রাজ্যে ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত ভোট।

    আরও পড়ুন: মনোনয়নে হিংসা ‘প্রশাসনিক ব্যর্থতা’! রাজ্যের কাছে রিপোর্ট তলব আদালতের

    মনোনয়ন জমাকে কেন্দ্র করে প্রাক নির্বাচনী অশান্তিতে উত্তাল হয় বাংলা। পরিস্থিতি দেখে এরপরেই রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটে (Panchayat Election 2023) কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দেয় আদালত। বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, রাজ্যের সব এলাকাতেই কেন্দ্রীয় বাহিনী ব্যবহার করতে হবে। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে নির্দেশ কার্যকরেরও নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। আদালতের নির্দেশ মেনে চলার কথা জানিয়েও দেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা। তবে, রাজনৈতিক মহলের ধারণা, পঞ্চায়েত ভোটে সব জেলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের ব্যাপারে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের নেতৃত্বে ডিভিশন বেঞ্চ যে রায় দিয়েছে, তাকে চ্যালেঞ্জ করতে চাইছে রাজ্য সরকার। সবঠিক থাকলে এ ব্যাপারে সম্ভবত শনিবার সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জমা দেওয়া হতে পারে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election 2023: মাত্র ৪ ঘণ্টায় তৃণমূলের ৪০ হাজার মনোনয়ন কীভাবে সম্ভব? প্রশ্ন সুকান্তর

    Panchayat Election 2023: মাত্র ৪ ঘণ্টায় তৃণমূলের ৪০ হাজার মনোনয়ন কীভাবে সম্ভব? প্রশ্ন সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Election 2023) মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় শুরু হওয়া থেকে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তেই ঘটেছে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ। বোমা-গুলিতে ঝরে গিয়েছে বহু প্রাণ। অনেকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এরই মধ্যে  নির্ধারিত সময় শেষ হয়েছে বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টেয়। তবে, হাইকোর্টের নির্দেশে শুক্রবারও কিছু বিশেষ ক্ষেত্রে মনোনয়ন জমা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলেছে (West Bengal Panchayat Election)।

     কমিশনের তথ্য কী বলছে?

    কমিশনের পেশ করা তথ্য অনুযায়ী, নির্ধারিত সময়ের শেষ দু’দিন, অর্থাৎ, বুধ ও বৃহস্পতিবার, সবচেয়ে বেশি মনোনয়ন জমা দিয়েছে শাসকদল। রাজ্য নির্বাচন কমিশন যে হিসাব দিয়েছে তাতে শেষ দু’দিনে তৃণমূল জমা দিয়েছে ৭৬,৪৮৯টি। মনোনয়ন (Panchayat Election 2023) শুরু হয় গত শুক্রবার। রবিবার মনোনয়ন বন্ধ ছিল। মঙ্গলবার রাতে রাজ্য নির্বাচন কমিশন যে হিসাব দেয় তাতে তৃণমূল জমা দিয়েছিল ৯,৩২৮টি। সেটাই বুধবার হয়ে যায় ৪৯,৪৯১। আর বৃহস্পতিবার দিনের শেষে সেই সংখ্যা হয়ে যায় ৮৫,৮১৭। অর্থাৎ, শেষ দু’দিনে তৃণমূল জমা দিয়েছে ৭৬,৪৮৯টি।

    পরিসংখ্যান হাতিয়ার বিজেপির

    রাজ্য নির্বাচন কমিশনের পরিসংখ্যানকে হাতিয়ার করে কমিশন ও শাসক দলকে একত্রে তীব্র আক্রমণ করেছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। চার ঘণ্টায় কি আদৌ ৪০ হাজার মনোনয়ন জমা দেওয়া সম্ভব? সেটাই প্রশ্ন তুলেছেন বিজেপি নেতা। এদিন পরিসংখ্যানের ছবি ট্যুইট করে সুকান্ত মজুমদার লেখেন, ‘‘মাত্র ৪ ঘণ্টায় তৃণমূলের ৪০ হাজার মনোনয়ন জমা পড়েছে। অর্থাৎ, প্রতি দু’মিনিটে তৃণমূলের একটি করে মনোনয়ন জমা পড়েছে।’’ বিজেপি সাংসদের কটাক্ষ, ‘‘গণতন্ত্রকে পরিহাসে পরিণত করেছে রাজ্য সরকার।’’

    আরও পড়ুন: মনোনয়নে হিংসা ‘প্রশাসনিক ব্যর্থতা’! রাজ্যের কাছে রিপোর্ট তলব আদালতের

    ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত ভোট

    রাজ্যের ২২টি জেলায় পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Election 2023) হবে আগামী ৮ জুলাই। ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভোট হবে ২০টি জেলায়। গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদের প্রার্থী নির্বাচনে জন্য ভোট হবে ২০টি জেলায়। দ্বিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচন হবে দার্জিলিং ও কালিম্পংয়ে। রাজ্য নির্বাচন কমিশনে তথ্য অনুযায়ী, রাজ্যে গ্রাম পঞ্চায়েতের সংখ্যা ৩ হাজার ৩১৭টি, পঞ্চায়েত সমিতি ৩৪১টি এবং জেলা পরিষদের সংখ্যা ২০টি। ৩১৭টি গ্রাম পঞ্চায়েতে মোট আসন রয়েছে ৬৩ হাজার ২২৯। ৩৪১টি পঞ্চায়েত সমিতিতে মোট আসন রয়েছে ৯ হাজার ৭৩০টি। অন্যদিকে, রাজ্যের ২০টি জেলা পরিষদে মোট আসন রয়েছে ৯২৮টি। অর্থাৎ, গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি এবং জেলা পরিষদ মিলিয়ে রাজ্যে মোট ৭৩,৮৮৭ আসনে ভোট হওয়ার কথা।

    আসনের চেয়ে ১২ হাজার মনোনয়ন বেশি তৃণমূলের!

    রাজ্য নির্বাচন কমিশন (West Bengal Panchayat Election) যে তথ্য শুক্রবার দুপুরে প্রকাশ করেছে, সেই অনুযায়ী তৃণমূলের প্রার্থী হতে মনোনয়ন জমা পড়েছে ৮৫,৮১৭টি। অর্থাৎ, ১১,৯৩০টি মনোনয়ন বেশি জমা পড়েছে। বিজেপির মনোনয়ন ৫৬,৩২১টি। এর পরেই সিপিএম ৪৮,৬৪৬। কংগ্রেস জমা দিয়েছে ১৭,৭৫০টি মনোনয়ন। মোট নির্দল প্রার্থী ১৬,২৯৩ এবং অন্যান্যদের ১১,৬৩৭টি মনোনয়ন জমা পড়েছে। সব মিলিয়ে আপাতত মোট মনোনয়ন জমা পড়েছে ২,৩৬,৪৬৪টি।

    প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েত নির্বাচনের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত মনোনয়ন অস্বাভাবিক কিছু নয়। অনেক সময়েই একই দলের একাধিক মনোনয়ন একটি আসনের জন্য জমা পড়ে। পরে তা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। শনিবার মনোনয়নের স্ক্রুটিনি। তাতে কিছু মনোনয়ন বাতিল হতে পারে। এর পরে ২০ জুন মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন। এর পরেই জানা যাবে কোন দলের কত প্রার্থী ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat Election 2023) কোন স্তরে লড়ছে।

    আরও পড়ুন: এবার শুরু মনোনয়ন তুলে নেওয়ার জন্য হুমকি! কাঠগড়ায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share