Tag: Madhyom

Madhyom

  • Covid-19: করোনার নতুন উপরূপ জেএন.১! বিমানবন্দরে বাধ্যতামূলক মাস্ক

    Covid-19: করোনার নতুন উপরূপ জেএন.১! বিমানবন্দরে বাধ্যতামূলক মাস্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবার মাস্কে মুখ ঢাকার আতঙ্ক বিশ্বের নানা প্রান্তে। হঠাতই বাড়ছে করোনা ভাইরাসের দাপট। করোনার নয়া উপরূপ জেএন.১ দাপট দেখাচ্ছে চিনে। ভারতেও এই ভাইরাসে আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে। সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়ায় প্রতিদিন কোভিড-রোগীর (Covid-19) সংখ্যা বাড়ছে। উদ্বিগ্ন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। উদ্বেগ ছড়াচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তেও।

    নয়া উপরূপের সন্ধান

    কোভিড-১৯-এর (Covid-19) নতুন একটি উপরূপের খোঁজ মিলেছে চিনে। যার নাম জেএন.১। চিনে ইতিমধ্যে অন্তত সাত জন রোগীর শরীরে ভাইরাসের নতুন এই উপরূপ পাওয়া গিয়েছে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের একাংশের আশঙ্কা, করোনর নতুন উপরূপ দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে। করোনার এই উপরূপটি প্রথম পাওয়া গিয়েছিল আমেরিকায়। গত সেপ্টেম্বরে তার খোঁজ মেলে। ডিসেম্বরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, আমেরিকায় যে ক’জন কোভিড রোগী এই মুহূর্তে আছেন, তাঁদের ১৫-২৯ শতাংশের দেহে রয়েছে জেএন.১ উপরূপ। ভারতে এখনও পর্যন্ত একটি এই ধরনের রোগীর সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। গত ১৩ ডিসেম্বর কেরলের এক জনের দেহে মিলেছে নতুন উপরূপটি। 

    মাস্ক বাধ্যতামূলক

    সিঙ্গাপুরের স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রে খবর, গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই সিঙ্গাপুরে করোনা (Corona Virus) আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে-লাফিয়ে বাড়ছে। করোনার শেষ ভ্যারিয়ান্ট  বিএ.২.৮৬ এর প্রজাতি জেএন.১ সংক্রমণ ছড়াচ্ছে বলে সিঙ্গাপুর স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে। গত কয়েক সপ্তাহে হাসপাতালগুলিতে এমনকি আইসিইউয়ে করোনা রোগীর ভিড় বেড়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে মাস্ক পরা-সহ করোনা বিধি মেনে চলার উপর জোর দিচ্ছে প্রশাসন। বিশেষত, বিমানবন্দরে প্রবেশের ক্ষেত্রে সকলের মাস্ক পরা এবং কোভিডের দুটি ডোজ নেওয়া বাধ্যতামূলক বলে জানিয়েছে সিঙ্গাপুরের স্বাস্থ্য মন্ত্রক। আগাম সতর্কতা হিসাবে ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরেও প্রবেশের ক্ষেত্রে শুক্রবার থেকে সকলের মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। 

    আরও পড়ুুন: ভারত মাতা মন্দিরের পর কানাডার ‘খালিস্তান গড়ে’ বসছে ৫৫ ফুট হনুমানজির মূর্তি

    ভারতে করোনার দাপট

    শীত পড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভারতেও করোনা (Corona Virus) আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে। ইতিমধ্যে দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা হাজার ছাড়িয়েছে। এর মধ্যে কেরলে করোনা আক্রান্তের হার সবেচেয়ে বেশি। সেখানে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা দুই শতাধিক। একমাস আগেও ভারতে সক্রিয় কোভিড রোগীর সংখ্যা ৫০০-র কম ছিল। কিন্তু, শীত পড়ার সঙ্গে-সঙ্গে এই গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী। উদ্বিগ্ন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকও। তবে এখনই এ নিয়ে আতঙ্কের কিছু নেই বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকেরা। এখনও পর্যন্ত রোগীদের মধ্যে উপসর্গ মৃদু দেখা যাচ্ছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • DRDO: আত্মনির্ভর ভারত! উচ্চগতির দেশীয় স্টেলথ চালকবিহীন যুদ্ধবিমানের সফল পরীক্ষামূলক উড়ান

    DRDO: আত্মনির্ভর ভারত! উচ্চগতির দেশীয় স্টেলথ চালকবিহীন যুদ্ধবিমানের সফল পরীক্ষামূলক উড়ান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতিরক্ষায় আত্মনির্ভরতার লক্ষ্যে আরও এক কদম এগলো ভারত। শুক্রবার, সফলভাবে সম্পন্ন হলো সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি চালকবিহীন যুদ্ধবিমানের পরীক্ষামূলক উড়ান। এই বিমানের নাম রাখা হয়েছে অটোনমাস ফ্লাইং উইং টেকনোলজি ডেমনস্ট্রটর। দেশের প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা ডিআরডিও-র (DRDO) তত্ত্বাবধানে তৈরি হওয়া এই স্টেলথ চালকবিহীন যুদ্ধবিমানের (Flying Wing UAV) পরীক্ষাটি হয়েছে কর্নাটকের চিত্রদূর্গে অবস্থিত অ্যারোনটিক্যাল টেস্ট রেঞ্জে।

    সামরিক আত্মনির্ভরতার লক্ষ্যে ভারত

    দীর্ঘদিন ধরেই দেশীয় চালকবিহীন যুদ্ধবিমান তৈরির প্রচেষ্টা চালাচ্ছে ভারত (DRDO)। প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের দাবি, অদূর ভবিষ্যতে এটিই হবে ভারতীয় বায়ুসেনার অন্যতম প্রধান হাতিয়ার। বিশ্বের সামরিক শক্তিশালী দেশগুলির তালিকায় টিকে থাকতে তূণীরে সশস্ত্র স্টেলথ ড্রোন (Flying Wing UAV) বিমানের প্রয়োজনীয়তা ক্রমশ বাড়ছে। যে কারণে, চালকবিহীন যুদ্ধবিমান তৈরিকে বিরাট গুরুত্ব দিয়ে দেখছে মোদি সরকার। সেই দিক দিয়ে এই পরীক্ষামূলক উড়ান যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ ও অর্থবহ। সামরিক প্রযুক্তিতে ভারত যে এখন প্রথম সারিতে প্রবেশ করতে চলেছে, এদিনের সফল উড়ান তারই প্রমাণ। এই পরীক্ষার ফলে, বিশ্বের হাতে গোনা কয়েকটি শক্তিশালী দেশের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হলো ভারত, যাদের হাতে এই প্রযুক্তি রয়েছে।

    সপ্তম প্রোটোটাইপের বাজিমাত

    ডিআরডিও-র (DRDO) অ্যারোনটিক্যাল ডেভেলপমেন্ট এসটাবলিশমেন্ট নির্মিত এই উচ্চগতির স্টেলথ ড্রোন বিমানের প্রথম পরীক্ষামূলক উড়ান হয়েছিল গত বছর জুলাই মাসে। এদিনের উড়ান ছিল বিমানটির সপ্তম প্রোটোটাইপের পরীক্ষা। ডিআরডিও সূত্রে জানা গিয়েছে, এই উড়ানে নতুন উন্নত অ্যারোডায়নামিক কন্ট্রোল সিস্টেম, আধুনিকতম গ্রাউন্ড কন্ট্রোল স্টেশন, ইন্টিগ্রেটেড রিয়েল-টাইম ও হার্ডওয়ার-ইন-লুপ সিমুলেশনের পরীক্ষা হয়েছে। কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং এই ড্রোনের (Flying Wing UAV) সফল মহড়ার জন্য় অভিনন্দন জানিয়েছেন। এই জটিল যন্ত্র ভারত দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি করতে পারায় দেশের সশস্ত্র বাহিনী আরও শক্তিশালী হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Indian Navy: আরব সাগরে জাহাজ ছিনতাই রুখে দিল ভারতীয় নৌসেনা, জানুন কীভাবে

    Indian Navy: আরব সাগরে জাহাজ ছিনতাই রুখে দিল ভারতীয় নৌসেনা, জানুন কীভাবে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরব সাগরে জাহাজ ছিনতাই রুখে দিল ভারতীয় নৌসেনা (Indian Navy)। ছিনতাই হওয়া সোমালিয়াগামী একটি জাহাজকে উদ্ধার করল ভারতীয় নৌবাহিনী। জানা গিয়েছে, এমভি রুয়েন নামে একটি জাহাজ শনিবার ভোরে যাচ্ছিল সোমালিয়া উপকূলের দিকে। সেই সময় আরব সাগরে টহল দিচ্ছিলেন ভারতীয় নৌবাহিনীর জওয়ানরা।

    ছিনতাইয়ের হাত থেকে কীভাবে রক্ষা?

    সোমালিয়া উপকূলের দিকে যাওয়া জাহাজটি থেকে একটি সংকেত পান ভারতীয় নৌসেনার জওয়ানরা। এর পরেই রুয়েনকে ধাওয়া করে ভারতীয় নৌবাহিনীর টহলদারি জলযানটি। নৌসেনার কাছ থেকে খবর পেয়ে আকাশপথে রুয়েনের ওপর নজরদারি চালাতে শুরু করে ভারতীয় নৌবাহিনীর একটি পেট্রোল বিমান। আর ছিনতাই হওয়া জাহাজটিকে ঘিরে রেখেছেন নৌসেনার (Indian Navy) জওয়ানরা। পরিস্থিতির ওপর নজর রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নৌবাহিনীর এক আধিকারিক। তিনি জানিয়েছেন, রুয়েন নামের ওই জাহাজটিতে রয়েছেন ১৮ জন ক্রু-মেম্বার। এই জাহাজটি থেকেই একটি মে-ডে মেসেজ পাঠানো হয়েছিল। জাহাজটিতে অপরিচিত ৬জন উঠে পড়েছে। তিনি জানান, জওয়ানদের তৎপরতায় ছিনতাইয়ের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে এমভি রুয়েন।

    লোহিত সাগরে ছিনতাই হয়েছিল জাহাজ

    আরব সাগরের এই ঘটনার মাসখানেক আগেও ছিনতাই হয়েছিল আস্ত একটি পণ্যবাহী জাহাজ। তবে সেই ঘটনাটি ঘটেছিল লোহিত সাগরে। ভারতে আসার পথে ছিনতাই করা হয়েছিল জাহাজটিকে। ছিনতাইয়ের ঘটনায় ইয়েমেনের মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠন হুজির হাত রয়েছে বলে দাবি করেছিল ইজরায়েল। যেহেতু সেই সময় ইজরায়েল-হামাস সংঘর্ষ হচ্ছিল এবং ইয়েমেন ছিল হামাসের পাশে, তাই তেল আভিভের অভিযোগের আঙুল ছিল ইয়েমেনের দিকে। ছিনতাইয়ের নেপথ্যে ইরানের মদত ছিল বলেও অভিযোগ ইজরায়েলের। ছিনতাই হওয়া জাহাজটিতে ২৫ জন বিদেশি ক্রু-মেম্বার ছিলেন। সেই জাহাজটির হদিশ মেলেনি এখনও। সেই ঘটনার রেশ মিলিয়ে যাওয়ার আগেই ফের জাহাজ ছিনতাই। এবার অবশ্য ভারতীয় নৌবাহনীর জওয়ানদের চেষ্টায় অভিষ্ট পূরণ হয়নি ছিনতাইকারীদের।

    আরও পড়ুুন: ভারত মাতা মন্দিরের পর কানাডার ‘খালিস্তান গড়ে’ বসছে ৫৫ ফুট হনুমানজির মূর্তি

    আরব সাগরের এই ঘটনায় সতর্কতা জারি করেছে ইউকে মেরিন ট্রেড অপারেশসন। তারা জানিয়েছে, আরব সাগর দিয়ে যাওয়ার সময় সোমালিয়ার কাছে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন (Indian Navy) করতে হবে। এই এলাকায় জলদস্যুদের উপদ্রব সম্প্রতি বেড়েছে। তাই সাবধানতা অবলম্বন করা প্রয়োজন। সন্দেহজনক কোনও ঘটনা ঘটলেই দ্রুত তা রিপোর্ট করতেও বলা হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • INDW vs ENGW: ইতিহাস গড়ল মেয়েরা! দীপ্তির দাপটে প্রথমবার ঘরের মাটিতে ইংল্যান্ডকে টেস্টে হারাল ভারত 

    INDW vs ENGW: ইতিহাস গড়ল মেয়েরা! দীপ্তির দাপটে প্রথমবার ঘরের মাটিতে ইংল্যান্ডকে টেস্টে হারাল ভারত 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলার দীপ্তিতে উজ্জ্বল হয়ে উঠল ভারতীয় ক্রিকেট। বিশ্বরেকর্ড গড়ে  ইংল্যান্ডকে ৩৪৭ রানে হারাল হরমন প্রীত কৌরের দল। দুই ইনিংস মিলিয়ে দীপ্তি শর্মা নিলেন ৯ উইকেট। প্রথম ইনিংসে পাঁচ উইকেটের পর দ্বিতীয় ইনিংসেও চার উইকেট নেন বাংলার স্পিনার। ভারতীয় মেয়েদের এই সাফল্যে খুশি বিসিসিআই। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সচিব জয় শাহ মেয়েদের কুর্নিশ জানিয়েছেন।

    ব্যাটে-বলে দুরন্ত ছন্দে

    ম্যাচের প্রথম থেকেই ভারতীয় দল একটি কমান্ডিং পজিশনে ছিল। সেই জায়গাটা শেষ পর্যন্ত ধরে রাখল তারা। কারণ হরমনপ্রীত কৌরের নেতৃত্বাধীন দল ইংল্যান্ডকে জিততে দ্বিতীয় ইনিংসে ৪৭৯ রানের লক্ষ্য দিয়েছিল। এই রান তাড়া করতে নেমে ২৪.৪ ওভারে ইংল্যান্ড ১০৮ রানের মধ্যেই ৯ উইকেট হারিয়ে ফেলে। শেষ পর্যন্ত ২৭.৩ ওভারে ১৩১ রানেই শেষ হয়ে যায় ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংস। ফলে টেস্ট ম্যাচটি ৩৪৭ রানে জেতে ভারত। টেস্টের প্রথম দিন থেকেই চালকের আসনে ছিল ভারত। চার জন ব্যাটার অর্ধশতরান করেন। অভিষেক ম্যাচে শুভা সতীশ করেন ৬৯ রান। জেমাইমা রদ্রিগেজ (৬৮), যষ্টিকা ভাটিয়া (৬৬) এবং দীপ্তি শর্মা (৬৭) ভারতকে বড় রান তুলতে সাহায্য করেন। ৪৯ রান করেন অধিনায়ক হরমনপ্রীত কৌর। ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংস শেষ হয়ে যায় ১৩৬ রানে। সেই ইনিংসে ৫ উইকেট তুলে নেন দীপ্তি। দ্বিতীয় ইনিংসে ১৮৬ রান তুলে ডিক্লেয়ার করে দেয় ভারত। ইংল্যান্ডের সামনে ৪৭৯ রানের লক্ষ্য রাখে ভারত। এরপর জয় ছিল সময়ের অপেক্ষা। ম্যাচের সেরা হন দীপ্তি শর্মা।

    এদিন ভারত ২৫ বছরের পুরনো রেকর্ড ভেঙে দেয়।  ২৫ বছর আগে পাকিস্তানকে হারিয়ে শ্রীলঙ্কা জিতেছিল ৩০৯ রানে। মেয়েদের ক্রিকেটে সেটাই এত দিন ছিল টেস্টে সব থেকে বড় জয়। শনিবার ভারত ইংল্যান্ডকে হারাল ৩৪৭ রানে। সেটাই এখন মেয়েদের ক্রিকেটে রানের ব্যবধানে সব থেকে বড় টেস্ট জয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Canada: ভারত মাতা মন্দিরের পর কানাডার ‘খালিস্তান গড়ে’ বসছে ৫৫ ফুট হনুমানজির মূর্তি

    Canada: ভারত মাতা মন্দিরের পর কানাডার ‘খালিস্তান গড়ে’ বসছে ৫৫ ফুট হনুমানজির মূর্তি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কানাডায় হরদীপ সিং নিজ্জর খুনের জেরে ঘটেছিল ভারত-কানাডা সম্পর্কের অবনতি। তবে সম্পর্কে সুসময় বোধহয় ফিরছে। খুব শীঘ্রই কানাডায় (Canada) বসতে চলেছে ৫৫ ফুট উঁচু হনুমানজির মূর্তি। আগামী বছরের এপ্রিলে ওই মূর্তি বসবে। রাজস্থানের ভাস্কর নরেশ কুমায়ত তৈরি করছেন মূর্তিটি। খরচ জোগাবে স্থানীয় মন্দির কর্তৃপক্ষ। কানাডার ব্রাম্পটনে রয়েছে হিন্দু সভা মন্দির। ২৩ এপ্রিল হনুমান জয়ন্তী। এদিনই একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে উদ্বোধন হবে নরেশের হাতে গড়া ওই মূর্তির।

    খালিস্তানপন্থী কার্যকলাপ

    ব্রাম্পটন এলাকাটি গ্রেটার টরন্টো এরিয়ার অন্তর্ভুক্ত। এলাকাটি সম্প্রতি পরিচিতি পেয়েছে খালিস্তানপন্থীদের কার্যকলাপ বেড়ে যাওয়ায়। দীপাবলি পালনকে কেন্দ্র করে দীপান্বিতা অমাবস্যার দিন স্থানীয় হিন্দুদের সঙ্গে খালিস্তানপন্থীদের মধ্যে উত্তেজনাও ছড়িয়েছিল (Canada)। তার আগে ভারত মাতা মন্দির চত্বরে ভারতীয় কূটনীতিক ও গৌরী শঙ্কর মন্দিরের গায়ে ভারত বিরোধী স্লোগান লেখাকে কেন্দ্র করেও উত্তেজনা ছড়িয়েছিল। কানাডার এই হনুমানজির মূর্তিই শুধু নয়, রাজস্থানের নরেশের রয়েছে আরও একাধিক উল্লেখযোগ্য কীর্তি। বিশ্বের ৮০টি দেশে ২০০-র বেশি স্থাপত্যকীর্তি ছড়িয়ে রয়েছে তাঁর।

    নরেশের কীর্তি 

    কানাডারই ‘ভয়েস অফ বেদাস’ মন্দিরে রয়েছে নরেশেরই গড়া ৫০ ফুটের হনুমানজির একটি স্ট্যাচু। সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রজেক্টে দিল্লিতে ৭৫ ফুট উঁচু সমুদ্র মন্থনের যে ম্যুরাল রয়েছে, সেটিও নরেশেরই তৈরি। স্বামী বিবেকানন্দ, ডঃ সর্বপল্লি রাধাকৃষ্ণন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, ইন্দিরা গান্ধী, মহাত্মা গান্ধী, মার্টিন লুথার কিং এবং নেলসন ম্যান্ডেলার মূর্তিও তৈরি করেছেন রাজস্থানের এই শিল্পী। রাজস্থানের নাথওয়াড়ায় শোভা পাচ্ছে তাঁর তৈরি ৩৬৯ ফুটের শিবের স্ট্যাচু। এই মূর্তির নাম লেখা হয়েছে গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে। হিমাচল প্রদেশের সোলানের ১৫৬ ফুটের হনমানজির মূর্তিটিও তৈরি নরেশের হাতে।

    আরও পড়ুুন: সংসদের বাইরে গায়ে আগুন লাগানোর ছক কষেছিল লোকসভাকাণ্ডে ধৃত সাগর!

    লিমকা বুক অফ রেকর্ডসে ঠাঁই করে নিয়েছে নরেশের এই কীর্তি। শিমলার জাকু মন্দিরে রয়েছে নরেশেরই হাতে গড়া ১০৮ ফুটের হনুমানজির মূর্তি। কেবল স্বদেশ নয়, রাজস্থানের এই শিল্পীর ভাস্কর্য শোভা পাচ্ছে আমেরিকা, ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, পোল্যান্ড, সিসিলিস, মরিশাস, দুবাই, ওমান এবং রাশিয়ায়ও। অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীকুলামে রয়েছে ১৮০ ফুট হনুমানজির মূর্তি। এটিরও (Canada) রূপদান করেছেন নরেশ। প্রসঙ্গত, কানাডায় খুন হন নিজ্জর। অভিযোগের আঙুল ওঠে ভারতের দিকে। তার পরেই অবনতি হয় ভারত-কানাডা সম্পর্কে।

    ভারত-কানাডা তলিয়ে যাওয়া সম্পর্কে সুদিন ফিরছে নরেশের হাত ধরে?

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Vijay Diwas 2023: ’৭১-এর মুক্তিযুদ্ধে ভারতীয়দের অবদান অনস্বীকার্য, বললেন বাংলাদেশি সেনা-কর্তা

    Vijay Diwas 2023: ’৭১-এর মুক্তিযুদ্ধে ভারতীয়দের অবদান অনস্বীকার্য, বললেন বাংলাদেশি সেনা-কর্তা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সামরিক ব্যান্ডের সুরের মুর্চ্ছনায় ও আকাশ থেকে পুষ্পবৃষ্টির মধ্য দিয়ে শহিদ স্মরণ করল ভারতীয় সেনা। 

    ১৯৭১ সালে পাকিস্কানের বিরুদ্ধে ভারতের যুদ্ধ জয় (1971 Indo Pak War) এবং স্বাধীন বাংলাদেশ গঠনের বর্ষপূর্তি প্রতি বছর এই সময় পালিত হয়ে থাকে (Vijay Diwas 2023) । বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে সামিল হয়েছিল ভারতও। সেই যুদ্ধে বাংলাদেশি মুক্তিযোদ্ধাদের কাঁধে কাঁধ রেখে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিল ভারতীয় ফৌজ। সেই লড়াইয়ে যাঁরা শহিদ হয়েছেন, প্রতি বছর এই দিনটিতে তাঁদের স্মরণ করা হয় ভারতীয় সেনার ইস্টার্ন কমান্ডের সদর দফতরে। এবছরও তার অন্যথা হয়নি। 

    শহিদদের শ্রদ্ধাজ্ঞাপন

    শুক্রবার সকালে, কলকাতার ফোর্ট উইলিয়ামে এক ছিমছাম অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পালিত হল ৫২ তম বিজয় দিবস (Vijay Diwas 2023)। এদিন শহিদ জওয়ানদের স্মৃতিসৌধ বিজয় স্মারকে পুষ্পস্তবক রেখে বীরদের স্মরণ করা হয়। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন সেনার পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডার জিওসি-ইন-সি লেফটেন্যান্ট জেনারেল আরপি কলিতা। উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় সামরিক বাহিনীর তিন বাহুর বর্তমান ও অবসরপ্রাপ্ত কর্তারা। এদিন বিজয় স্মারকে পুষ্পস্তবক প্রদান করে শ্রদ্ধাজ্ঞাপনকারীদের মধ্যে ছিলেন কলকাতার নগরপাল কমিশনার বিনীত গোয়েল, জিওসি বেঙ্গল সাব-এরিয়া মেজর জেনারেল এইচ ধর্মরাজন, চিফ-অফ-স্টাফ হেডকোয়ার্টার ইস্টার্ন কমান্ড লেফটেন্যান্ট জেনারেল আরসি শ্রীকান্ত, প্রাক্তন বায়ুসেনা প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল (অবসরপ্রাপ্ত) অরূপ রাহা, প্রাক্তন সেনাপ্রধান জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) শঙ্কর রায়চৌধুরী প্রমুখ। 

    ৭১ জনের বাংলাদেশি প্রতিনিধিদল ভারতে

    প্রতি বছরের মতো এবছরও বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতিনিধিদল এসেছে ভারতে (Vijay Diwas 2023) । এবছর ৩০ জন মুক্তিযোদ্ধা এবং বাংলাদেশ সামরিক বাহিনী ৬ জন কর্মরত অফিসার সমেত মোট ৭১ জন প্রতিনিধি বাংলাদেশ থেকে ভারতে এসেছেন বিজয় দিবস অনুষ্ঠানে অংশ নিতে। এদিন বিজয় স্মারকে (1971 Indo Pak War) পুষ্পস্তবক প্রদান করেন মুক্তিযোদ্ধা ও বাংলাদেশি সেনাও। মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতিনিধিদলকে নেতৃত্ব দেন মহম্মদ মোমিনউল্লাহ পাটওয়ারি। বাংলাদেশি সেনা থেকে আসা প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে ছিলেন মেজর জেনারেল মহম্মদ হোসিন আল মোরশেদ। এদিনের অনুষ্ঠানের শেষে সেনা এভিয়েশন কোরের হেলিকপ্টার থেকে বিজয় স্মারক স্থলে আকাশ থেকে পুষ্পবৃষ্টি করা হয়। 

    ভারতের অবদানকে স্বীকৃতি বাংলাদেশ সেনার

    বিজয় দিবস নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে (1971 Indo Pak War) ভারতের বিরাট অবদানের কথা স্মরণ করেন সেনা কমান্ডার আরপি কলিতা। তিনি বলেন, ভারতই ছিল প্রথম দেশ যে বাংলাদেশকে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিয়েছিল (Vijay Diwas 2023)। তিনি মনে করেন, ভারতের ওই পদক্ষেপের ফলে পারস্পরিক সম্মান ও সহযোগিতার ওপর দাঁড়িয়ে থাকা ভারত-বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ভীষণ মজবুত হয়েছে। বাংলাদেশি সামরিক কর্তা মেজর জেনারেল মহম্মদ হোসিন মুক্তিযুদ্ধে ভারত ও ভারতীয়দের অবদানের কথা স্বীকার করেন। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Indian Railways: শেষ হল ইস্টার্ন ডেডিকেটেড ফ্রেট করিডরের কাজ, জানুন বিশদে  

    Indian Railways: শেষ হল ইস্টার্ন ডেডিকেটেড ফ্রেট করিডরের কাজ, জানুন বিশদে  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় রেলের (Indian Railways) মাথায় নয়া তাজ। তৈরি হয়ে গেল ইস্টার্ন ডেডিকেটেড ফ্রেট করিডর। স্বাভাবিকভাই এই করিডর চালু হয়ে গেলে আয় বাড়বে ভারতীয় রেলের। পণ্য পরিবহণ করে সব চেয়ে বেশি আয় করে ভারতীয় রেল। তবে লাইনে জটের জেরে মালগাড়ি গন্তব্যে পৌঁছায় দেরিতে। এতে ক্ষতি হয় দু’তরফেই। একদিকে যেমন ট্রিপ কমে যায় গাড়ির, তেমনি অন্যদিকে ক্ষতিগ্রস্ত হন তাঁরা, যাঁরা পণ্য আমদানি-রফতানি করেন। তার জেরে পণ্য পরিবহণ বাবদ আয় কমে গিয়েছে রেলের। সেই কারণেই ইস্টার্ন ডেডিকেটেড ফ্রেট করিডর তৈরির সিদ্ধান্ত নেয় ভারতীয় রেল। সেই কাজই শেষ হয়েছে।

    দুই করিডর

    রেল (Indian Railways) সূত্রে খবর, দুটি করিডর তৈরি হবে। একটি ইস্টার্ন ফ্রেট করিডর, অন্যটি ওয়েস্টার্ন ফ্রেট করিডর। এই দুই করিডর ক্রস করবে একটি জায়গায়। পঞ্জাবের লুধিয়ানা থেকে পশ্চিমবঙ্গে সন্নাগর পর্যন্ত যে করিডর, সেটি হল ইস্টার্ন করিডর। আর উত্তরপ্রদেশের রেওয়ারি থেকে মুম্বইয়ের জওহরলাল নেহরু বিমানবন্দর পর্যন্ত যে করিডর, সেটি ওয়েস্টার্ন করিডর। রেওয়ারি থেকে দাদরি পর্যন্তও ট্রেন নিয়ে যাওয়া যাবে এই করিডরের মাধ্যমে। কাজ শেষ হয়েছে এই ইস্টার্ন করিডরের। এই করিডরের দৈর্ঘ ১ হাজার ৩৩৭ কিমি। ওয়েস্টার্ন করিডরের দৈর্ঘ ১ হাজার ৫০৬ কিমি। রেল সূত্রে খবর, এই করিডরের কাজ শেষ হয়েছে ৭৮ শতাংশ।

    গতিশক্তি কার্গো টার্মিনাল

    এর পাশাপাশি গতিশক্তি কার্গো টার্মিনালের বিকাশেও নয়া নীতি নির্ধারণ করেছে রেলমন্ত্রক। এর ফলে রেলের মাধ্যমে রেলের পাশাপাশি সড়ক এবং জলপথেও পণ্য নিয়ে যাওয়া যাবে এক স্থান থেকে অন্যত্র। ইতিমধ্যেই ১৫টি গতিশক্তি কার্গো টার্মিনাল গড়ে উঠেছে। গতিশক্তি কার্গো টার্মিনাল গড়ে তুলতে আরও ৯৬টি জায়গা চিহ্নিত করা হয়েছে।

    আরও পড়ুুন: চার রাজ্যে পিএলএফআইয়ের ডেরায় হানা এনআইএ-র, কী ছক কষেছিল জঙ্গিরা?

    জানা গিয়েছে, ডেডিকেটেড ফ্রেট করিডর ও গতিশক্তি কার্গো টার্মিনালের লক্ষ্যই হল লজিস্টিক সেক্টরে ভারতে গ্লোবাল লিডার হিসেবে গড়ে তোলা। এতে একই সঙ্গে বৃদ্ধি এবং বিকাশ হবে ভারতীয় অর্থনীতির। এর পাশাপাশি (Indian Railways) বাড়বে কাজের সুযোগও। বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিনিয়োগও বাড়বে। উৎপাদন, কৃষি এবং খনির মতো ক্ষেতেই মূলত বাড়বে বিনিয়োগ।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Saigal Hossain: সায়গল হোসেনকে জেরা এনআইএ-র! বিস্ফোরকের কারবারিদের সঙ্গেও যুক্ত অনুব্রত-র দেহরক্ষী

    Saigal Hossain: সায়গল হোসেনকে জেরা এনআইএ-র! বিস্ফোরকের কারবারিদের সঙ্গেও যুক্ত অনুব্রত-র দেহরক্ষী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একদা বীরভূমের বেতাজ বাদশা অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে (Saigal Hossain) জেরা করল এনআইএ (NIA)। বীরভূমের মহম্মদবাজারে জিলেটিন স্টিক উদ্ধারকাণ্ডে তিহাড় জেলে বন্দি সায়গলকে জিজ্ঞাসাবাদ করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। গরু পাচার কাণ্ডে আপাতত তিহাড় জেলে রয়েছেন সায়গল ও অনুব্রত। সিবিআই, ইডির পর এবার বিস্ফোরকের কারবারিদের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে এনআইএ-র জেরার মুখে পড়লেন সায়গল।

    কেন জেরা

    এনআইএ সূত্রের দাবি, বীরভূমের মহম্মদবাজারে জিলেটিন স্টিক-সহ ডিটনেটর উদ্ধারের তদন্তে সায়গল হোসেনকে জেরা করে মিলতে পারে বিভিন্ন তথ্য। ২০২২ সালে মুরারই থেকে উদ্ধার হয়েছিল ৮১ হাজার ডিটোনেটর। গাড়ির চালককে আটক করা হয়। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ২৭ হাজার কেজি অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট এবং ১ হাজার ৯২৫ কেজি জিলেটিন স্টিক ও আরও ২ হাজার ৩২৫টি ডিটোনেটর উদ্ধার হয়। বিপুল এই বিস্ফোরক উদ্ধারের ঘটনায় তদন্তভার নেয় এনআইএ। পুলিশের একাংশের মদতে বিস্ফোরক সরবরাহকারীরা ডিটোনেটর-জিলেটিন স্টিক হাত বদল করতেন। তদন্তে এমনই তথ্য পেয়েছে এনআইএ। এই ঘটনায় ধৃতদের জেরা করেই সায়গলের তথ্য পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি এনআইএর। যে জায়গায় মজুত করে রাখা হয়েছিল ওই ডিটোনেটর, তার মালিক সায়গলের অত্যন্ত ঘনিষ্ট বলেই দাবি এনআইএ-র। 

    আরও পড়ুন: চার রাজ্যে পিএলএফআইয়ের ডেরায় হানা এনআইএ-র, কী ছক কষেছিল জঙ্গিরা?

    এনআইএ-র জিজ্ঞাসাবাদ

    ২০১০ সালে কনস্টেবল পদে চাকরি পান সায়গল হোসেন। ২০১৬ থেকে অনুব্রতর ছায়াসঙ্গী হিসেবে সর্বত্র দেখা যেতে থাকে সায়গল হোসেনকে। আর তারপরই তাঁর এই উত্থান। গরু পাচার, কয়লা পাচার-এর পর এবার জিলেটিন স্টিক উদ্ধার। বিস্ফোরকের কারবারিদের সঙ্গেও কি সায়গল হোসেনের (Saigal Hossain) যোগাযোগ ছিল? প্রভাবশালী যোগ ছাড়া কি এই বিস্ফোরকের কারবার চলতে পারে? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই সায়গলকে জেরা করে এনআইএ। ৫ ঘণ্টা ধরে চলে সেই জেরা-পর্ব।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Gita Path: মোদির উপস্থিতিতে ‘লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠ’ কি এবার গিনেস বুকে রেকর্ড গড়বে?

    Gita Path: মোদির উপস্থিতিতে ‘লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠ’ কি এবার গিনেস বুকে রেকর্ড গড়বে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা ভোটের আগে ২৪ ডিসেম্বর কলকাতার ব্রিগেড ময়দানে ‘লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠ’ (Gita Path) বঙ্গের জন্য ব্যাপক চমক। সারাসরি কোনও রাজনৈতিক যোগ না থাকলেও এই কর্মসূচির মাধ্যমে বঙ্গে হিন্দুত্ব জাগরণের এক নয়া ফলক নির্মিত হতে চলেছে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। গীতাপাঠের আসরে যোগদান করবেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বিশেষ ভাবে থাকবেন দ্বারকা মঠের বর্তমান শঙ্করাচার্য স্বামী দয়ানন্দ সরস্বতী। এছাড়াও থাকবেন অন্য রাজ্যের আরও বিশিষ্ট প্রতিনিধিরা।

    ‘লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠে’র আসরকে ঘিরে বিশ্ব রেকর্ডের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। সূত্রের খবর, উপস্থিত থাকবেন ‘গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ড’-এর প্রতিনিধিরা। সেই সঙ্গে নজর রাখতে উপস্থিত থাকবেন আরও কিছু বিদেশী সংস্থা। এক সঙ্গে এত মানুষের সমাগমে গীতাপাঠ আগে হয়েছে কি না, কেউ মনে করতে পারছেন না। ফলে সার্বিক ভাবে সাফল্য পেলে বিশ্ব রেকর্ড গড়বে বঙ্গের এই গীতাপাঠ।

    কী বললেন আয়োজক সংগঠনের সভাপতি?

    আয়োজক সংগঠনের সভাপতি স্বামী প্রদীপ্তানন্দ মহারাজ বলেন, “ওই দিন ব্রিগেডে যে গীতাপাঠ অনুষ্ঠিত হবে, তা বিশ্বের কোথাও কোনও দিন হয়নি। এই বিপুল মানুষের সমাগমে গীতাপাঠ (Gita Path) বিশ্ব রেকর্ড তৈরি করবে।” আবার আয়োজক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক বসন্ত শেঠিয়া বলেন, “গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড-সহ আরও বেশ কিছু সংস্থার কাছে আবেদন করা হয়েছে। ইতিমধ্যে বেশ কিছু সংস্থা আসবে বলে আমাদের নিশ্চিতও করেছে। বিশ্ব রেকর্ড তৈরি হবে, তাই তাকে পরীক্ষা করাবার জন্য আমেরিকা সহ আরও নানা দেশ থেকেও প্রতিনিধিরা আসবেন।” সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, রেকর্ড প্রমাণের জন্য আগে থেকে আবেদন করতে হয়। আর তাই আয়োজকরা ইতিমধ্যে ছয় মাস আগেই সমস্ত নিয়ম মেনে রেকর্ডের বিষয়ে তথ্য সরবরাহ করার কাজ করে আসছেন। এখন সাফল্যের অপেক্ষা মাত্র।

    গীতাপাঠের সঙ্গে আর কী কী হবে (Gita Path)

    অখিল ভারতীয় সংস্কৃত পরিষদ, সংস্কৃতি সংসদ এবং মতিলাল ভারত তীর্থ সেবা মিশনের যৌথ উদ্যোগে এই গীতাপাঠের (Gita Path) অনুষ্ঠান হবে। অনুষ্ঠানের প্রথমে লক্ষ কণ্ঠে গীতার শ্লোক পাঠ হবে, এরপর ২০ হাজারের বেশি শঙ্খ একসঙ্গে বাজানো হবে। এক লক্ষ কণ্ঠে গাওয়া হবে নজরুলের গান। অনুষ্ঠানে একসঙ্গে দেড় হাজারেরে বেশি সাধুসন্ত উপস্থিত থাকবেন গীতাপাঠের আসরে। এই পাঠ বিশ্ব রেকর্ডের তকমা পেতেও পারে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • NIA: চার রাজ্যে পিএলএফআইয়ের ডেরায় হানা এনআইএ-র, কী ছক কষেছিল জঙ্গিরা?

    NIA: চার রাজ্যে পিএলএফআইয়ের ডেরায় হানা এনআইএ-র, কী ছক কষেছিল জঙ্গিরা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিষিদ্ধ মাওবাদী সংগঠন পিপলস লিবারেশন ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়ার (plfi) ডেরায় হানা এনআইএ-র (NIA)। সূত্র মারফত খবর পেয়ে চার রাজ্যে অভিযান চালায় এনআইএ। উদ্ধার হয়েছে ভারতীয় সেনার উর্দি এবং আগ্নেয়াস্ত্র। গ্রেফতার করা হয়েছে সন্দেহভাজন দুই মাওবাদীকে। ঝাড়খণ্ড লিবারেশন টাইগার্স নামে পরিচিত পিএলএফআই আদতে মাওবাদীদের দলছুট একটি গোষ্ঠী। এদের বিরুদ্ধে তোলা আদায়ের অভিযোগ রয়েছে।

    কী কী মিলল?

    শুক্রবার ঘণ্টা চারেক ধরে অভিযান চলে। বিহারে এই অভিযানের নেতৃত্ব দেন এনআইএ-র ডিএসপি মহেন্দ্র সিংহ রানা। উদ্ধার হয় ভারতীয় সেনার একটি উর্দি, দুটি বেআইনি অস্ত্র, প্রচুর নথিপত্র, নগদ টাকা এবং সোনার গয়না। চলতি বছর ১১ অক্টোবর পিএলএফআইয়ের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি ধারায় মামলা দায়ের করেছে এনআইএ। এর পরেই পিএলএফআইয়ের ডেরায় হানা দেওয়ার পরিকল্পনা করে এনআইএ। সেই মতো শুক্রবার চার রাজ্যের ২৩টি জায়গায় একই সময়ে হানা দেয় এনআইএ। জানা গিয়েছে, ঝাড়খণ্ডে জঙ্গি কার্যকলাপ করার পরিকল্পনা করেছিল পিএলএফআই। তাদের বিরুদ্ধে জুলুম ও তোলাবাজির অভিযোগ উঠেছে।

    কোথায় কোথায় হানা? 

    এনআইএ (NIA) সূত্রে খবর, এদিন ঝাড়খণ্ড, বিহার, মধ্যপ্রদেশ ও দিল্লির মোট ২৩টি জায়গায় হানা দেয় এনআইএ। সব মিলিয়ে বাজেয়াপ্ত হয়েছে দুটি পিস্তল, কিছু কার্তুজ এবং বিস্ফোরকের পাশাপাশি সোনার গয়না, নগদ তিন লক্ষ টাকা, বৈদ্যুতিন সরঞ্জাম এবং নথিপত্র। এনআইএ (NIA) সূত্রে খবর, ঝাড়খণ্ডের গুমলা, রাঁচি, সিমডেগা, খুঁটি, পালামু, পশ্চিম সিংভূম জেলার ১৯টি ডেরায় অভিযান চালিয়েছে এনআইএ। অভিযান চালানো হয়েছে, মধ্যপ্রদেশের সিধি, বিহারের পাটনা এবং দিল্লির দুটি ডেরায়।

    আরও পড়ুুন: চাঞ্চল্যকর স্বীকারোক্তি ললিত ঝা-র, কী বলল লোকসভাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড?

    ২৬ জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবস। তার আগে মাওবাদীদের ডেরায় ভারতীয় সেনার উর্দি মেলায় জঙ্গিরা নাশকতার ছক কষেছিল কিনা, তাও জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা (NIA)। ফি বার প্রজাতন্ত্র দিবসে জাতির উদ্দেশ্যে লালকেল্লায় ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী। সেদিন দেশ-বিদেশের প্রচুর অতিথি-অভ্যাগত উপস্থিত থাকেন। তদন্তকারীদের একাংশের ধারণা, সেনার উর্দি পরে সেদিনই সেনার ভিড়ে মিশে গিয়ে হামলার ছক কষেছিল জঙ্গিরা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share