Tag: Madhyom

Madhyom

  • CV Ananda Bose: রাজ্য নির্বাচন কমিশনার কে? নবান্নর কাছে তৃতীয় নাম চাইলেন রাজ্যপাল

    CV Ananda Bose: রাজ্য নির্বাচন কমিশনার কে? নবান্নর কাছে তৃতীয় নাম চাইলেন রাজ্যপাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য নির্বাচন কমিশনার পদে সৌরভ দাসের মেয়াদ শেষ হয়েছে রবিবার। তার পর ৪৮-ঘণ্টা কেটে গেলেও সেই জায়গায় কে বসবেন, তা নিয়ে ধোঁয়াশা অব্যাহত মঙ্গলবারেও। রাজ্যের পাঠানো দুটি নামের সুপারিশই খারিজ করে দিয়েছেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose)। সূত্রের খবর, তৃতীয় নাম চেয়ে পাঠানো হয়েছে রাজভবনের তরফে।

    তৃতীয় নাম চেয়ে পাঠালেন রাজ্যপাল

    সূত্রের খবর, রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের পদে রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যসচিব রাজীব সিনহাকে বসানোর পরিকল্পনা করেছিল নবান্ন। এই মর্মে ফাইল পাঠানো হয় রাজভবনে। কিন্তু, রাজ্যপাল (CV Ananda Bose) প্রশ্ন করেন, কেন একজনের নাম পাঠানো হয়েছে? এর পর তড়িঘড়ি আরও একটি নাম পাঠায় রাজ্য সরকার। গত শুক্রবার রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী এই পদের জন্য উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত মুখ্যসচিব অজিতরঞ্জন বর্ধনের নাম পাঠান রাজভবনে। 

    আরও পড়ুন: রাজ্য নির্বাচন কমিশনার নিয়ে নবান্নের সঙ্গে সংঘাত, ফাইল ফেরত পাঠালেন রাজ্যপাল

    তার পরও সম্মতি মেলেনি। সূত্রের খবর, দু’জনের মধ্যে একজনকে বেছে নিতে নারাজ রাজ্যপাল (CV Ananda Bose)। তার ওপর দুটি নাম নিয়েই আপত্তি রয়েছে রাজভবনের। ফলে, রাজভবনের তরফে সোমবার, অর্থাৎ গতকাল তৃতীয় বিকল্প নাম চেয়ে পাঠানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সূত্রের খবর, রাজ্যপালের এই নির্দেশে মহা ফাঁপড়ে পড়েছে নবান্ন। কারণ, তৃতীয় প্রার্থী হিসেবে কার নাম পাঠানো হবে, তা বাছতেই হিমশিম অবস্থা রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষ কর্তাব্যক্তিদের। 

    পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে ধোঁয়াশা

    তার ওপর, রাজভবন সূত্রে খবর, আজ, মঙ্গলবার গোয়া যাওয়ার কথা রাজ্যপালের (CV Ananda Bose)। ২ জুন তাঁর কলকাতায় ফেরার সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে, তার আগে যে কিছু হচ্ছে না, তা এক প্রকার প্রায় নিশ্চিত এদিকে, রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের পদ খালি থাকায় আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়েও তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। কারণ, এই কমিশন হল এক সদস্যের কমিশন। তাই নির্বাচন কমিশনারের পদটি শূন্য থাকলে পঞ্চায়েত ভোট করা সম্ভব নয়। তাই পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিনক্ষণ কবে ঘোষণা হবে, তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। ফলে, রাজ্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগকে ঘিরে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত আরও বৃদ্ধি পেল বলেই মনে করছে তথ্যাভিজ্ঞ মহল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Jammu And Kashmir: কাশ্মীরে ফের জঙ্গি নিশানায় হিন্দু! এবার হত্যা ভিন রাজ্যের সার্কাস কর্মীকে

    Jammu And Kashmir: কাশ্মীরে ফের জঙ্গি নিশানায় হিন্দু! এবার হত্যা ভিন রাজ্যের সার্কাস কর্মীকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের কাশ্মীরে জঙ্গিদের শিকার হল হিন্দুরা। এবার জঙ্গিদের গুলিতে মৃত্যু হয়েছে এক সার্কাসকর্মীর (Circus Performer)। জম্মু-কাশ্মীরের (Jaamu & Kashmir) অনন্তনাগ (Anantnag) জেলায় সোমবার রাতের এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। 

    জঙ্গিদের খোঁজে তল্লাশি

    পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতের নাম দীপক কুমার। বাবার নাম মাসুক কুমার। উধমপুরের বাসিন্দা দীপক একটি সার্কাসদলে কাজ করতেন। তাঁকে গুলি করে খুন করে জঙ্গিরা। জানা গেছে, অনন্তনাগের (Jammu And Kashmir) একটি সরকারি মেডিক্যাল কলেজের সামনে তাঁকে গুলি করে খুন করা হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, পর পর গুলিতে ঝাঁঝরা করে দেওয়া হয় তাঁকে। চিকিৎসকেরা জানান, ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়েছে তাঁর। ঘটনার পরই এলাকায় অতিরিক্ত নিরাপত্তাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। জঙ্গিদের খোঁজে এলাকায় তল্লাশিও শুরু হয়েছে।  যদিও মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত জঙ্গিদের হদিশ মেলেনি। 

    আরও পড়ুন: বৈষ্ণোদেবী যাওয়ার পথে বাস খাদে পড়ে মৃত্যু ১০ পুণ্যার্থীর, আহত অন্তত ৫৭ জন

    এই ঘটনায় তীব্র নিন্দা করেছেন জম্মু ও কাশ্মীরের (Jammu And Kashmir) প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা ন্যাশনাল কনফারেন্স দলের নেতা ফারুক আবদুল্লা এবং ওমর আবদুল্লা। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি শ্রীনগরে অনুষ্ঠিত হয়েছে জি-২০ বৈঠক। সেই বৈঠকের আগে থেকেই জম্মু-কাশ্মীরে জঙ্গিদের আনাগোনা বাড়তে শুরু করে। যদিও বাঠক নির্বিঘ্নেই সম্পন্ন হয়েছে। গত বছর মে মাসে বেশ কয়েক জন সাধারণ নাগরিককে খুনের ঘটনা ঘটে কাশ্মীরে। তাঁদের মধ্যে কয়েক জন আবার কাশ্মীরি পণ্ডিত সম্প্রদায়ের। কুলগামে বিনয় কুমার নামে এক ব্যাঙ্ক ম্যানেজারকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এর আগে কুলগামের স্কুলে ঢুকে শিক্ষিকাকে গুলি করে খুন করে জঙ্গিরা। বিহারের কয়েকজন শ্রমিককেও গুলি করে খুন করা হয়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • STF: পঞ্চায়েত ভোটের আগে মুঙ্গের থেকে দেদার অস্ত্র ঢুকছে রাজ্যে! এসটিএফের জালে ৩

    STF: পঞ্চায়েত ভোটের আগে মুঙ্গের থেকে দেদার অস্ত্র ঢুকছে রাজ্যে! এসটিএফের জালে ৩

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটের আগে এগরার খাদিকুলে ভানু বাগের বাজি কারখানায় বিস্ফোরণে ১১ জনের মৃত্যুর পর পুলিশ-প্রশাসন নড়েচড়ে বসে। রাজ্য জুড়ে শুরু হয় তল্লাশি। জেলায় জেলায় বস্তা বস্তা তাজা বোমা উদ্ধার হয়। এখনও বোমা উদ্ধারের ঘটনা ঘটছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই শাসক দলের নেতাকর্মীরা বোমা মজুত রাখার ঘটনায় জড়িত রয়েছেন, এমনই অভিযোগ বিরোধীদের। মুর্শিদাবাদে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যের বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা বিরোধীদের আনা সেই অভিযোগ প্রমাণিত করেছে। বোমা তৈরির পাশাপাশি পঞ্চায়ত ভোটের আগে এবার মুঙ্গের থেকে রাজ্যে দেদার অস্ত্রও ঢুকছে। সোমবার কাটোয়া রেল স্টেশনে বেঙ্গল এসটিএফ (STF)-এর জালে তিনজন ধরা পড়ার ঘটনা সেকথাই প্রমাণ করছে।

    ধৃতদের কাছ থেকে কত অস্ত্র উদ্ধার করল এসটিএফ (STF)?

    গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সোমবার রাত ১১টা নাগাদ কাটোয়া রেল স্টেশনে জিআরপিকে সঙ্গে নিয়ে এসটিএফ অভিযান চালায়। তিন ব্যক্তিকে আটক করে এসটিএফ (STF)। এই তিনজন কাটোয়া স্টেশনের টিকিট কাউন্টারের কাছে দাঁড়িয়েছিল। আগ্নেয়াস্ত্র সহ তাদের গ্রেফতার করা হয়। তিনজনের মধ্যে একজনের বাড়ি বিহারের মুঙ্গেরে ও বাকি দুজনের বাড়ি মুর্শিদাবাদে। ধৃতদের নাম কাউসার সেখ, শ্রীলাল মণ্ডল এবং সুদীপ খান। কাউসারের বাড়ি মুর্শিদাবাদের নওদায়। সুদীপের বাড়ি মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়ায়। আর শ্রীলালের বাড়ি বিহারের মুঙ্গেরে। এদের কাছ থেকে তিনটি পিস্তল, ছটি ম্যাগাজিন ও ১৪ রাউন্ড গুলি বাজেয়াপ্ত করে এসটিএফ। আটক ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ করার পর মঙ্গলবার সকালে তিনজনের মেডিক্যাল পরীক্ষা করা হয় কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে। তবে, স্টেশনের টিকিট কাউন্টারের কাছে কেন তারা অপেক্ষা করছিল, তা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। এই চক্রের সঙ্গে আর কারা জড়িত রয়েছে, তাদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করা হয়েছে। হরিহরপাড়া এবং নওদা এলাকার যে দুজনকে ধরা হয়েছে, তাদের নামে আগে কোনও থানায় মামলা রয়েছে কি না, খতিয়ে দেখা হচ্ছে তাও।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Vaishno Devi: বৈষ্ণোদেবী যাওয়ার পথে বাস খাদে পড়ে মৃত্যু ১০ পুণ্যার্থীর, আহত অন্তত ৫৭ জন

    Vaishno Devi: বৈষ্ণোদেবী যাওয়ার পথে বাস খাদে পড়ে মৃত্যু ১০ পুণ্যার্থীর, আহত অন্তত ৫৭ জন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৈষ্ণোদেবী যাওয়ার পথে বাস খাদে পড়ে প্রাণ হারালেন ১০ পুণ্যার্থী৷ দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ৫৭ জন। মঙ্গলবার সকালে তীর্থযাত্রীদের ভিড়ে ঠাসা বাস সেতু থেকে খাদে পড়ে যায়। পুলিশ সূত্রে খবর, বাসে অন্তত ৭৫ জন যাত্রী ছিলেন। অমৃতসর থেকে কাটরার উদ্দেশে যাচ্ছিল সেই বাসটি। ঝাজ্জর কোটলি গ্রামের কাছে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে বাসটি। বাসের মধ্যে পুণ্যার্থীরা বেশিরভাগই বিহারের বাসিন্দা ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় যাত্রীদের জম্মুর সরকারি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে। বাসে অনেক মহিলা এবং শিশুও ছিল। মৃতদের পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে। 

    অতিরিক্ত ভিড়ের ফলে দুর্ঘটনা

    জম্মু পুলিশের সিনিয়র সুপারিন্টেনডেন্ট চন্দন কোহলি জানিয়েছেন, ‘‘দুর্ঘটনায় অন্তত ১০ জন নিহত হয়েছেন। আহত ৫৭ জন। আহতদের উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে হাসপাতালে। পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর পাশাপাশি উদ্ধারকাজে সাহায্য করেছেন স্থানীয় মানুষও।’’ বাসটিতে অত্যন্ত ভিড় ছিল বলেও জানান তিনি। দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখা হবে। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের ধারণা, অত্যধিক ভিড়ে চালক বাসটির নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারেননি, এটাই দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ হতে পারে।

    আরও পড়ুন: পদস্খলন! ছয়ের দশকে মাথাপিছু আয়ে শীর্ষে ছিল বাংলা, এখন কোথায় জানেন?

    রাজস্থানের ঝুনঝুনু জেলায় দুর্ঘটনা

    অন্যদিকে রাজস্থানের (Rajasthan) ঝুনঝুনু জেলায় পাহাড়ের উপর অবস্থিত মনসা মাতা মন্দির থেকে ফেরার পথে খাদে পড়ে যায় যাত্রীবোঝাই একটি ট্রাক্টর ট্রলি। ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে ৮ জনের। যার মধ্যে ৬ মহিলা ও ২ শিশু। এছাড়া গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আরও ২৬ জন। সোমবার রাতে ওই মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। এই ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)। প্রধানমন্ত্রী ত্রাণ তহবিল (PMNRF) থেকে আহত ও নিহতদের পরিবারের জন্য আর্থিক ক্ষতিপূরণেরও ঘোষণা করা হয়েছে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Love Jihad: ২০ বার ছুরির কোপ, পাথর দিয়ে থেঁতলে খুন হিন্দু কিশোরীকে! ধৃত মুসলিম যুবক

    Love Jihad: ২০ বার ছুরির কোপ, পাথর দিয়ে থেঁতলে খুন হিন্দু কিশোরীকে! ধৃত মুসলিম যুবক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের ‘লাভ জিহাদের’ (Love Jihad) ছায়া! ফের একবার মুসলিম যুবকের হাতে অকালে মৃত্যু হল হিন্দু কিশোরীর। এবার ঘটনাস্থল দিল্লির রোহিণী শাহবাদ ডেয়ারি এলাকা। সম্পর্কের টানাপোড়েনের জেরে হিন্দু কিশোরীকে জনসমক্ষে রাস্তায় ফেলে পর পর ছুরির কোপ, পাথর দিয়ে মাথা থেঁতলে খুন করার অভিযোগ উঠল মুসলিম যুবকের বিরুদ্ধে। সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়েছে সেই হাড়হিম করা দৃশ্য। ঘটনায় অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    জানা গিয়েছে, রবিবার সন্ধ্যায় এক বন্ধুর বাড়িতে যাচ্ছিল সাক্ষী সিং নামে ১৬ বছর বয়সি ওই কিশোরী। পথ আটকে আচমকা কিশোরীর ওপর ছুরি নিয়ে হামলা চালায় পেশায় ফ্রিজ মেকানিক বছর কুড়ির সাহিল। সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়েছে, পর পর ছুরির কোপ পড়ছে কিশোরীর শরীরে। কিশোরীকে অন্তত ২০ বার ছুরির কোপ মারে সাহিল। এতেই থেমে থাকেনি। হাড় হিম করা ঘটনার এখনও বাকি ছিল। মৃত্যু নিশ্চিত করতে পাশে পড়ে থাকা কংক্রিটের স্ল্যাব দিয়ে একাধিকবার কিশোরীর মাথা থেঁতলে দেয় সাহিল। গোটা ঘটনা ধরা পড়েছে সিসিটিভিতে। সবচেয়ে বড় কথা, যখন সাহিল এই কাণ্ড ঘটাচ্ছে, তখন তার পাশ দিয়ে একাধিক পথচারীকে দেখা যাচ্ছে হেঁটে চলে যেতে। কিন্তু কেউ যুবককে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেননি। হত্যা করে সাহিলকে দেখা যায় সেখান থেকে হেঁটে চলে যেতে। ঘটনার অনেক পরে, পুলিশের এক ইনফর্মার ফোন করে খবর দিলে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। ততক্ষণে ৪৫ মিনিট পার হয়ে গিয়েছে।

    আরও পড়ুন: ধর্মান্তরণের প্রয়াস! শাহজাহানপুরে খুন অন্তঃসত্ত্বা হিন্দু মহিলা, ধৃত ২

    কী করে ধরা পড়ল সাহিল?

    দিল্লি পুলিশের দাবি, ১৬ বছরের ওই কিশোরীর সঙ্গে সাহিলের প্রেমের সম্পর্ক (Love Jihad) গড়ে উঠেছিল। তার আগের দিনও দুজনের মধ্যে না কি বিস্তর ঝামেলা হয়েছিল। জানা যায়, খুন করার পরই গা ঢাকা দেয় সাহিল। নিজের ফোন সুইচ অফ করে দেয়। পুলিশ জানিয়েছে, সেখানে থেকে বাসে উঠে সাহিল চলে যায় উত্তরপ্রদেশের বুলন্দশহরে। সেখানে গিয়ে পিসির বাড়িতে ওঠে সে। ঘটনাচক্রে, পিসি একবার সাহিলের ফোন থেকেই তার বাবাকে ফোন করে জানায় যে সাহিল আচমকা তাঁর বাড়িতে এসেছে। পুলিশ ফোনের ওপর নজর রাখছিল। সঙ্গে সঙ্গে সাহিলের লোকেশন পেয়ে যায় তারা। ফোর্স রওনা দেয়। পিসির বাড়ি থেকেই অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করা হয়। 

    ‘লাভ জিহাদ’ তত্ত্বে সরব বিজেপি

    এই ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বিজেপি। দিল্লির বিজেপি প্রধান বীরেন্দ্র সচদেব বলছেন, ‘‘হিন্দু মেয়েকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে সাহিল, শাহবাদ ডেয়ারি এলাকার এই ঘটনা ফের একবার লাভ জিহাদের (Love Jihad) ছবি তুলে ধরল যা দিল্লিকে কাঁপিয়ে দিয়েছে।’’ দিল্লির বিজেপি প্রধান ট্যুইটে দাবি করেছেন, ‘‘গ্রেফতার হওয়া মুসলিম খুনি সাহিলের হাতে বাঁধা লাল ধাগা থেকে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে সে সুপরিকল্পিতভাবে কাজ করছে, আর সে লাভ জিহাদ গ্যাংয়ের সদস্য।’’ বীরেন্দ্রর দাবি, মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল সংখ্যালঘু ভোট হারানোর ভয়ে এই খুনকে ‘সাধারণ’ খুন বলে বর্ণনা করছেন, এটিকে ‘লাভ জেহাদ’ বলছেন না।  

    আরেক বিজেপি নেতা কপিল মিশ্রও ট্যুইটারে সাহিলের কব্জিতে লাল ধাগা বাঁধাকে উল্লেখ করে দাবি করেন, এটা প্রমাণ করে হিন্দু সেজে সাক্ষীর সঙ্গে বন্ধুত্ব করে সাহিল। তার উদ্দেশ্য কী ছিল, তা এখন স্পষ্ট। গোটা বিষয়টিকে তিনিও ‘লাভ জিহাদ’ (Love Jihad) বলেই উল্লেখ করেন। তাঁর প্রশ্ন, কে বা কারা এই সাহিলদের মদত দিচ্ছে, তা বের করা প্রয়োজন।

    দিল্লি মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন স্বাতী মালিওয়াল সিসিটিভি ফুটেজটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে লেখেন, ‘‘দিল্লিতে এই ধরনের আসামীর সংখ্যা বেড়ে চলেছে৷ পুলিশের কাছে নোটিশ জারি করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, “এই ঘটনা সমস্ত সীমা অতিক্রম করে দিয়েছে৷ আমি আমার এত বছরের কেরিয়ারে এর চেয়ে ভয়ঙ্কর কিছু দেখিনি।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • NJP: গুয়াহাটি থেকে এনজেপি স্টেশনে বন্দে ভারত পৌঁছতেই সেলফি তোলার হিড়িক

    NJP: গুয়াহাটি থেকে এনজেপি স্টেশনে বন্দে ভারত পৌঁছতেই সেলফি তোলার হিড়িক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতীক্ষার অবসান। সোমবার সন্ধ্যা ৭টা ১৫ মিনিটে এনজেপি (NJP) স্টেশনে পৌঁছালো গুয়াহাটি-এনজিপি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। এদিন এনজিপিতে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসকে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে স্বাগত জানানো হয়। বন্দে ভারত এক্সপ্রেস দেখতে স্থানীয় মানুষ স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে ভিড় জমিয়েছিলেন। স্টেশনে অন্য ট্রেন ধরতে আসা যাত্রীরাও চলে আসেন বন্দে ভারত এক্সপ্রেস দেখতে। সেলফি তুলতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন সেই যাত্রীরা। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জলপাইগুড়ির বিজেপি সাংসদ জয়ন্ত রায়, দার্জিলিংয়ের বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তা, ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ির বিধায়ক শিখা চট্টোপাধ্যায়, মাটিগাড়া-নকশালবাড়ির বিধায়ক আনন্দময় বর্মন ও শিলিগুড়ির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ।

    কী বললেন বিজেপি সাংসদ?

    বিজেপি সাংসদ জয়ন্ত রায় বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উদ্যোগে গোটা ভারতবর্ষ যোগাযোগ ব্যবস্থা সহ সামগ্রিক উন্নয়নের পথে এগিয়ে চলেছে। উত্তরবঙ্গও তার শরিক। আমরা জানি কোনও অঞ্চলের উন্নয়ন করতে গেলে তার যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করতে হয়। সেই মতো আমরা রেলের মধ্য দিয়ে উত্তরবঙ্গের যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করার কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। তাই উত্তরবঙ্গ দুটো বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেন পেল। এনজেপি (NJP)- গুয়াহাটি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস চালু হওয়ার ফলে উত্তরবঙ্গের সঙ্গে অসমের যোগাযোগ সহজ হল। এতে এই দুই অঞ্চলের পর্যটনের ক্ষেত্রে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে।

    কী বললেন উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জন সংযোগ আধিকারিক?

    এদিন উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের ঐতিহাসিক দিন হয়ে থাকল। বাংলার তৃতীয় এবং অসমের প্রথম বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের এদিন বেলা ১২টায় গুয়াহাটি থেকে উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বেলা ১২টায় গুয়াহাটি থেকে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস এদিন রাত ৭ টা ১৫ মিনিটে এনজেপিতে (NJP) পৌঁছায়। উদ্বোধনী যাত্রায় কিছু বাড়তি স্টপেজ দেওয়ায় এনজেপিতে নির্ধারিত সময়ের থেকে এক ঘণ্টা দেরিতে পৌঁছায়। উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক সব্যসাচী দে বলেন, বুধবার এনজেপি থেকে এই ট্রেনটি যাত্রী নিয়ে যাত্রা শুরু করবে। মঙ্গলবার ছাড়া সপ্তাহের বাকি সব দিন এই এনজেপি-গুয়াহাটি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস চলবে। এনজেপি থেকে প্রতিদিন সকাল ৬টা ১০মিনিটে ট্রেনটি ছাড়বে এবং গুয়াহাটিতে পৌঁছাবে প্রতিদিন সকাল ১১ টা ৪০ মিনিটে। আবার গুয়াহাটি থেকে সেদিন  বিকাল সাড়ে চারটায় ছেড়ে রাত দশটায় এনজেপিতে এসে পৌঁছবে। কামাখ্যা, নিউ বঙ্গাইগাও, কোকরাঝাড়, নিউ আলিপুরদুয়ার ও নিউ কোচবিহারে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস থামবে। মোট ৪১১ কিলোমিটার পথ চলবে পাঁচ ঘণ্টা ৩০ মিনিটে। এই বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে পাঁচটি এসি চেয়ার সহ মোট আটটি কোচ থাকবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • PM Modi: ৮০ কোটি মানুষকে বিনামূল্যে খাদ্য, ১১ কোটি বাড়িতে জলের লাইন! অভাবনীয় সাফল্য মোদি সরকারের

    PM Modi: ৮০ কোটি মানুষকে বিনামূল্যে খাদ্য, ১১ কোটি বাড়িতে জলের লাইন! অভাবনীয় সাফল্য মোদি সরকারের

    ২০১৪ সালের ২৬ মে প্রথমবারের জন্য প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদি। দ্বিতীয়বারের জন্য তিনি জিতে আসেন ২০১৯ সালে। ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদি সরকারের স্লোগান ছিল ‘আচ্ছে দিন আসছে’। বিগত ৯ বছরে ৪ কোটি মানুষ মাথার উপর ছাদ পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায়, ১১ কোটি মানুষ পেয়েছেন শৌচালয়। উজ্জ্বলা যোজনা আসার পর কাউকে আর উনুনে রাঁধতে হচ্ছে না। চলছে স্কিল ইন্ডিয়া, মেক-ইন-ইন্ডিয়ার মতো অজস্র প্রকল্প। সন্ত্রাসী হামলার প্রত্যুত্তর হিসেবে এদেশ সাক্ষী থেকেছে বালাকোট এয়ার স্ট্রাইকের। নিরাপত্তা হোক বা কৃষি, কর্মসংস্থান হোক বা দারিদ্রতা দূরীকরণ-বিগত ৯ বছরে কীভাবে এল সেই ‘আচ্ছে দিন’? তা নিয়েই আমাদের ধারাবাহিক প্রতিবেদন ।

    ‘সাফল্যের ৯ বছর’-১

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) ক্ষমতায় আসার পরপরই দারিদ্রতা দূরীকরণে একাধিক প্রকল্পের বাস্তবায়ন দেখা গেছে দেশজুড়ে। একসময় ‘গরিবি হঠাও’ স্লোগানকে সামনে রেখে নির্বাচনে বাজিমাত করেছিলেন ইন্দিরা গান্ধী। কিন্তু কংগ্রেসের জমানায় সেই স্লোগান নিছকই ফাঁকা আওয়াজ ছিল। তাই তো রাজীব গান্ধীকে পর্যন্ত বলতে হয়েছিল, ‘‘আমি ১ টাকা পাঠালে মানুষের কাছে পৌঁছায় ১৫ পয়সা।’’ অর্থাৎ কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন সরকারের দুর্নীতির কথা তখন তাদের প্রধানমন্ত্রীকেও স্বীকার করতে হয়েছিল।

    চিত্র বদলাতে থাকে ২০১৪ সাল থেকে। অনেকেই মনে করেন, আজ দারিদ্রতা দূরীকরণের একাধিক কর্মসূচির বাস্তবায়নের সাক্ষী ভারতবাসী। ২০২৩ সালে ৯ বছর সম্পূর্ণ করল মোদি সরকার (PM Modi)। বিগত ৯ বছরে একাধিক পরিকল্পনার বাস্তবায়ন হয়েছে দারিদ্র দূরীকরণের জন্য। যেমন মুদ্রা যোজনা, স্ট্যান্ড আপ ইন্ডিয়া এসবই সারা দেশে বেকারদের মধ্যে কর্মসংস্থানের স্রোত তৈরি করতে পেরেছে, এমনটাই বলছেন অর্থনীতিকরা। জানা গিয়েছে, এখনও অবধি মুদ্রা যোজনার আওতায় ৪০ কোটি টাকারও বেশি ঋণ দেওয়া হয়েছে পিছিয়ে পড়া তফশিলি জাতি, তফশিলি উপজাতি এবং ওবিসি উদ্যোক্তাদের। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়া শ্রেণিকে তুলে আনার জন্য এটি মোদি সরকারের ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত। অন্যদিকে বিপদ সঙ্কুল নর্দমা এবং সেফটি ট্যাংকগুলি পরিষ্কারের ক্ষেত্রেও বিজ্ঞানকে কাজে লাগানো হয়েছে, যাতে মানুষের জীবনের ঝুঁকি কমে এবং সাফাই কর্মীরা মর্যাদার সঙ্গে বাঁচতে পারেন। জনজাতি সমাজকে সম্মান জানাতে নভেম্বরের ১৫ তারিখ ভগবান বীরসা মুন্ডার জয়ন্তীকে জনজাতি গৌরব দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছে মোদি (PM Modi) সরকার। ‘ইন্টারন্যাশনাল মনিটরি ফান্ডিং’-এর একটি সাম্প্রতিক প্রকাশিত রিপোর্ট বলছে, মোদি সরকার দেশের চরম দারিদ্রতাকে মেটাতে সক্ষম হয়েছে। পাশাপাশি ‘মাল্টি ডাইমেনশনাল প্রভার্টি ইনডেক্স’ যা প্রকাশ করে ‘ইউনাইটেড নেশন ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম’ তাদের মতে, মোদি সরকার দারিদ্রতা দূরীকরণের দশটি ধাপই পার করতে সক্ষম হয়েছে। মোদি সরকারের অন্যতম নীতি হল ‘অন্ত্যোদয়’, যার অর্থ সমাজের সব থেকে পিছনে থাকা ব্যক্তিটির কাছে যতক্ষণ না পর্যন্ত উন্নয়ন পৌঁছাতে পারছে, ততক্ষণ পর্যন্ত বিকাশকে সম্পূর্ণ বলা যাবে না।

    একনজরে দেখে নেওয়া যাক গত ৯ বছরে দারিদ্রতা দূরীকরণে মোদি সরকারের কিছু সাফল্য

    ১) ৮০ কোটি মানুষ করোনার সময় থেকে প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ যোজনার মাধ্যমে বিনামূল্যে খাদ্যসামগ্রী পাচ্ছেন।

    ২) ১১.৮৮ কোটি মানুষের ঘরে পাইপলাইনের মাধ্যমে পানীয় জলের ব্যবস্থা করেছে মোদি সরকার।

    ৩) প্রায় ৪ কোটি গরিব মানুষকে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার মাধ্যমে বাড়ি করে দেওয়া হয়েছে।

    ৪) ১১.৭২ কোটি মানুষের গৃহে স্বচ্ছ ভারত অভিযানের মাধ্যমে শৌচালয় স্থাপন করা গেছে।

    ৫) ৩৪.৪৫ লক্ষ ফুটপাথ ব্যবসায়ীকে ঋণ দেওয়া সম্ভব হয়েছে PM SVANidhi যোজনার মাধ্যমে।

    ৬) ৩৯.৬৫ কোটি টাকার ঋণ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের মুদ্রা যোজনার মাধ্যমে দেওয়া হয়েছে।

    ৭) পিছিয়ে পড়া জনজাতি সমাজের জাতীয় কমিশনগুলিকে সাংবিধানিক মর্যাদা দেওয়া হয়েছে।

    ৮) লকডাউনের সময় ২০ কোটি মহিলার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা পৌঁছানো হয়েছে।

    ৯) ৭,৩৫১ কোটি টাকার ঋণ দেওয়া হয়েছে তফশিলি জাতি এবং তফশিলি উপজাতি সমাজের মানুষকে, স্ট্যান্ড আপ ইন্ডিয়া প্রকল্পের মাধ্যমে।

    ১০) কেন্দ্রীয় সরকারের বর্তমানে ৬০ শতাংশ মন্ত্রীই হলেন তফশিলি জাতি, তফশিলি উপজাতি এবং ওবিসি সমাজভুক্ত।

    ১১) দরিদ্র ছাত্রছাত্রীদের সুবিধার্থে একলব্য আবাসিক বিদ্যালয় আগের চেয়ে পাঁচগুণ স্থাপন করা হয়েছে সারা দেশে।

    ১২) ৪৮.২৭ কোটি ভারতীয়র জনধন অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে।

    ১৩) ২৯.৭৫ কোটি মানুষকে প্রধানমন্ত্রী সুরক্ষা বিমা যোজনার আওতায় আনা হয়েছে।

    ১৪) ১৩.৫৩ কোটি মানুষকে প্রধানমন্ত্রী জীবনজ্যোতি বিমার আওতায় আনা হয়েছে।

    ১৫) ৩৭ কোটি মানুষকে আয়ুষ্মান ভারত যোজনার মাধ্যমে স্বাস্থ্য সুরক্ষার অধিকার দেওয়া হয়েছে।

    ১৬) ২.৮৬ কোটি মানুষের বাড়িতে সৌভাগ্য যোজনার মাধ্যমে বিদ্যুৎ পৌঁছানো হয়েছে।

    ১৭) ৯.৬ কোটি মানুষকে উজ্জ্বলা যোজনার মাধ্যমে এলপিজি গ্যাস কানেকশন দেওয়া হয়েছে।

    ১৮) ট্রান্সজেন্ডার ব্যক্তিদের জন্য ‘দ্য ট্রান্সজেন্ডার পার্সন অ্যাক্ট ২০১৯’ পাশ করা হয়েছে।

    ১৯) ড্রাগের ছায়া থেকে সমাজকে বাঁচাতে, নেশামুক্ত ভারত অভিযান করা হয়েছে।

    ২০) ২৮.৮৫ কোটি অসংগঠিত শ্রমিকদের পোর্টালের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন করা হয়েছে।

    ২১) প্রধানমন্ত্রীর শ্রমযোগী মানধন পেনশন যোজনার মাধ্যমে অসংগঠিত ক্ষেত্রে ৪৯ .২৯ লক্ষ শ্রমিকের নাম নথিভুক্ত করা হয়েছে। যাঁরা তাঁদের ৬০ বছর বয়স হলে তিন হাজার টাকা করে পেনশন পাবেন।

    চলবে….

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Mango: নবাবের দেশে একই গাছে ১৩০ রকমের আম! তাক লাগালেন জিয়াগঞ্জের গবেষক চাষি

    Mango: নবাবের দেশে একই গাছে ১৩০ রকমের আম! তাক লাগালেন জিয়াগঞ্জের গবেষক চাষি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুর্শিদাবাদের আমের সুখ্যাতি শুধু দেশ নয়, দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে বিদেশেও। ঐতিহাসিক এই মুর্শিদাবাদে নবাবদের ইতিহাস থেকে জানা যায়, তাঁরা বিভিন্ন প্রান্তের পাশাপাশি ইউরোপ এবং এশিয়ার বিভিন্ন দেশ থেকে নানা প্রজাতির গাছ এনে নিজস্ব আমবাগানে লাগাতেন। তাঁদের বাগানে কমপক্ষে ২০০র বেশি প্রজাতির আম (Mango) ছিল। কিন্তু আজ অধিকাংশ আমবাগান কেটে বসতি গড়ে উঠছে। হরেক রকম আমের নাম থাকলেও এখন অধিকাংশই আমাদের কাছে দুর্লভ হয়ে উঠেছে। এখন আমরা আর নতুন প্রজন্মকে সব ধরনের আম দেখাতে পারি না। এরই মধ্যে আশার আলো দেখিয়েছেন জিয়াগঞ্জের আমডাওড়ার একজন আম গবেষক এবং চাষি কুশল ঘোষ।

    কীভাবে সম্ভব হল এই কাজ (Mango)?

    হারিয়ে যাওয়া বিভিন্ন প্রজাতির আম আর দেখতে না পেয়ে তাঁর মন ভারাক্রান্ত হয়ে উঠেছিল। তখনই তিনি চিন্তাভাবনা করেছিলেন, বাগানে নানা ধরনের আমের ফলন করবেন। কথা অনুযায়ী শুরু করে দেন কাজ। তিনি গ্রাফটিং-এর সাহায্যে ১৫০ থেকে ২০০ প্রজাতির আমের ফলন করে নবাবি আমলের বিভিন্ন প্রজাতির আমের (Mango) অস্তিত্ব টিকিয়ে রেখেছেন। কুশলবাবু তাঁর আমবাগানে শঙ্করায়ন পদ্ধতির সাহায্যে শ্যাম ভোগ, বেল চম্পা, ল্যাম্বো, বিভী প্রভৃতি প্রজাতির আম উৎপন্ন করছেন। তিনি বলেন, উদ্যান পালন আধিকারিকের কাছ থেকে ২০০০ সালে গ্রাফটিং-এর মাধ্যমে হাতে-কলমে আম গাছে বিভিন্ন প্রজাতির আমের ফলনের শিক্ষা তিনি লাভ করেন। তারপর সময়ের সাথে সাথে বিভিন্ন জায়গা থেকে বিভিন্ন প্রজাতির আমের কলম বসানোর কাজ শুরু করেন। এসব কাজ শুরু করার ২-৩ বছরের পর থেকেই ভালো আম পাওয়া শুরু হয়। খুব স্বাভাবিক কারণে বিভিন্ন রকমের আম দেখে কুশলবাবুর উৎসাহ আরও বাড়তে থাকে এবং গাছের প্রজাতির সংখ্যাও বেড়ে যায়।

    কী বললেন তাঁর সঙ্গী?

    কুশলবাবুর সব সময়কার সঙ্গী প্রতাপ সিংহ বলেন, এখানকার গাছে (Mango) কোহিতুর, আলফানসো, ফজলি, গোলাপখাস, সারেঙ্গা, বিল্লি, বিরা এরকম ১৬৫ প্রজাতির আম তাঁর এই বাগানে ফলার রেকর্ড রয়েছে। তিনি বলেন, বিগত বছরে ১০০র বেশি প্রজাতির আম হলেও চলতি বছরে সংখ্যা একটু কমেছে। কুশলবাবু জানান, শঙ্করায়নের মাধ্যমে বঙ্গবাসীকে তিনি নানা রকমের আম উপহার দেবেন। ভবিষ্যতেও তিনি যতদিন থাকবেন, মুর্শিদাবাদ থেকে যতই আমগাছ কেটে ফেলে দেওয়া হোক না কেন, তিনি জেলাবাসীকে একটি গাছের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রজাতির আমের ফলন সংক্রান্ত শিক্ষা দিয়ে যাবেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Arpita Accuses Partha: ‘‘নিয়োগ দুর্নীতির মাস্টারমাইন্ড পার্থ, টাকাও ওঁর’’! আদালতে বিস্ফোরক অর্পিতা

    Arpita Accuses Partha: ‘‘নিয়োগ দুর্নীতির মাস্টারমাইন্ড পার্থ, টাকাও ওঁর’’! আদালতে বিস্ফোরক অর্পিতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রায় ১০ মাস পর প্রকাশ্যে এলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) ঘনিষ্ঠ অভিনেত্রী অর্পিতা মুখোপাধ্যায় (Arpita Mukherjee)। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডের (Teacher Recruitment Scam) অন্যতম অভিযুক্ত অর্পিতা এদিন সশরীরে হাজিরা দেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-র বিশেষ আদালতে। জামিনের আবেদন করেন। আর সেখানেই তিনি বিস্ফোরক মন্তব্য করেন। দাবি করলেন, নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড পার্থ চট্টোপাধ্যায়-ই (Arpita Accuses Partha)।

    কী দাবি করেছেন অর্পিতা?

    এদিন অর্পিতার জামিনের শুনানি ছিল আদালতে। আদালতে প্রায় ২ ঘণ্টা সওয়াল করেন আইনজীবী বৃন্দা গ্রোভার, দিল্লি থেকে এসেছেন অর্পিতার হয়ে সওয়াল করতে। আইনজীবী মারফৎ অর্পিতা জানান, তাঁর ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হওয়া টাকা পুরোটাই পার্থর (Arpita Accuses Partha)। এদিন অর্পিতা (Arpita Mukherjee) দাবি করেন, নিয়োগ দুর্নীতির মাথা পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এও স্বীকার করেন, তাঁর ফ্ল্যাট থেকে যে বিপুল পরিমাণ নগদ উদ্ধার হয়েছে, সেই টাকাও পার্থ চট্টোপাধ্যায়েরই। অর্পিতা বলেন, ‘‘আমার বাড়ি থেকে টাকা-গয়না উদ্ধার হয়েছে। আমি পরিস্থিতির শিকার। মাস্টারমাইন্ড হলেন পার্থ।’’ 

    আরও পড়ুন: “বাংলায় মস্তানিরাজ খতম করব আমরা”, হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    অর্পিতার আরও দাবি, তিনি নিজে পরিস্থিতির শিকার, তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে। এদিন আদালতে অর্পিতা (Arpita Mukherjee) বলেন, “বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাট অনন্ত টেক্সফ্যাবের রেজিস্টারর্ড অফিস ছিল। আমার সঙ্গে অনন্ত টেক্সফ্যাবের কোনও সম্পর্ক নেই। আমাকে ব্যবহার করা হয়েছিল অনন্ত টেক্সফ্যাবের শেয়ার ট্রান্সফার করার জন্য। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের স্ত্রীর মৃত্যুর পর মেয়ে বিদেশে থাকায় এটা করা হয়। ওই সংস্থার সব ক্ষমতা পার্থর হাতেই ছিল। এই সব সংস্থার সব কাজও হত পার্থর বাড়িতে।” অর্পিতার দাবি, তাঁকে দিয়ে জোর করে বিভিন্ন নথিতে সই করিয়ে নিতেন পার্থ (Arpita Accuses Partha)।

    অর্পিতার ‘পরিস্থিতির শিকার’ দাবি মানতে নারাজ ইডি

    যদিও, অর্পিতার নিজেকে ‘পরিস্থিতির শিকার’ বলে দাবি করা মানতে নারাজ ইডি। তাদের পাল্টা দাবি, অর্পিতা মুখোপাধ্যায় (Arpita Mukherjee) বিলাসবহুল জীবন যাপন করতে এই দুর্নীতির সঙ্গে নিজেকে জড়িয়েছেন। নিয়োগ দুর্নীতিতে অর্পিতারও ভূমিকা রয়েছে। পার্থর ৩১টি এলআইসি পলিসির নমিনি ছিলেন অর্পিতা। প্রত্যেকটিতে তাঁর সই রয়েছে। তাঁকে দিয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায় যে জোর করে সই করিয়ে নিয়েছেন এই মর্মে কোনও অভিযোগ কখনও দায়ের করেননি তিনি (Arpita Accuses Partha)। 

    এদিন বিচারক দু-পক্ষের সওয়াল জবাব শোনার পর অর্পিতার জামিনের রায়দান আপাতত স্থগিত রাখেন। বুধবার, ৩১ মে এবিষয়ে রায় জানাবেন বলে বিচারক জানিয়েছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share