Tag: Madhyom

Madhyom

  • TMC: ব্লক সভাপতিকে গ্রেফতারের দাবিতে গাছের গুঁড়ি ফেলে অবরোধ করলেন তৃণমূল কর্মীরা, কেন জানেন?

    TMC: ব্লক সভাপতিকে গ্রেফতারের দাবিতে গাছের গুঁড়ি ফেলে অবরোধ করলেন তৃণমূল কর্মীরা, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চাকরি দেওয়ার নামে টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল দক্ষিণ দিনাজপুরে তপন ব্লক তৃণমূলের (TMC) সভাপতি অনাদি লাহিড়ীর বিরুদ্ধে। অনাদিবাবুর টাকা নেওয়ার সেই ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায়। সম্প্রতি তাঁর বিরুদ্ধে থানায় প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করা হয়। তার পর পরই ওই নেতা ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন। এত কিছু ঘটনার পরও জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব অনাদিবাবুর সঙ্গে রয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। এমনকী তাঁকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়নি। এই সব ঘটনার জের মিটতে না মিটতেই ওই তৃণমূল (TMC) নেতাকে গ্রেফতারের দাবিতে তপন-মালদা রাজ্য সড়কে গাছের গুঁড়ি ফেলে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা। বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে তপন থানার আজমতপুর এলাকায়। অবরোধকারীরাও সকলেই তৃণমূল কর্মী হিসেবে পরিচিত।

    বিক্ষোভকারীদের কী বক্তব্য?

    বিক্ষোভকারীদের বক্তব্য, তৃণমূলের (TMC) ব্লক সভাপতি অনাদিবাবু চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে বহুজনের কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন। চাকরি না পাওয়ায় প্রতারণার শিকার আনোয়ার সরকার নামে এক যুবক, সম্প্রতি টাকা নেওয়ার সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করলে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। প্রতারণার এই ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ জানিয়েও অভিযুক্তর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। টাকা নেওয়ার এই ঘটনায় তপন পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য কায়েল সরেণ ক্ষুব্ধ। তাঁর নেতৃত্বে এলাকাবাসী এদিন আজমতপুর মোড়ে রাজ্য সড়ক অবরোধ করেন। এক অবরোধকারী তথা স্থানীয় তৃণমূল (TMC) নেতা সুকুমার মণ্ডল বলেন, “আমরাও তৃণমূল করি। তৃণমূল দলে থেকে যারা অন্যায় করবে তাঁদের বিরুদ্ধে আমরা রুখে দাঁড়াবো। দল ও প্রশাসন যদি ব্যবস্থা না নেয় তাহলে আমরা বৃহত্তরও আন্দোলনে নামব। আমরা দলকে বিষয়টি জানিয়েছি। দল আশ্বাস দিয়েও কোনও কাজ হয়নি। কারণ, এই ধরনের নেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে আগামীদিনে তারা বহু মানুষের আরও সর্বনাশ করবে”।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • GDP: ‘ভারতের জিডিপি ছাড়িয়ে যেতে পারে ৭ শতাংশ’, বলছেন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর

    GDP: ‘ভারতের জিডিপি ছাড়িয়ে যেতে পারে ৭ শতাংশ’, বলছেন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি অর্থবর্ষে ভারতের (India) জিডিপি (GDP) ছাড়িয়ে যেতে পারে ৭ শতাংশ। অন্তত এমনই দাবি করেছেন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস। বছরের প্রথম দিকেই চলতি আর্থিক বর্ষের অর্থনৈতিক সমীক্ষায় ইঙ্গিত মিলেছিল ভারতের জিডিপি হতে পারে ৭ শতাংশ। ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের বেসলাইন জিডিপি বৃদ্ধি ৬.৫ শতাংশ হতে পারে বলেও মনে করা হচ্ছে। এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়েই রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর বলেন, সুদের হারে বৃদ্ধি ঠেকানো আমার হাতে নেই।

    জিডিপি (GDP) নিয়ে কী বললেন শক্তিকান্ত?

    তিনি বলেন, দেশে মুদ্রাস্ফীতি অনেকটাই কমেছে। কিন্তু এই সময়টা অনেকটাই চ্যালেঞ্জের। অবহেলার কোনও সুযোগ নেই। তিনি বলেন, দেশের ব্যাঙ্কগুলির ওপর ভরসা রয়েছে। শুধু তাই নয়, বিশ্বের পরিস্থিতির তুলনায় ভারতের ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থা স্থিতিশীল এবং শক্তিশালী। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর বলেন, এই আর্থিক স্থিতিশীলতা (GDP) বজায় রাখতে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক সবরকমভাবে ব্যাঙ্কগুলিকে সাহায্য করছে। তিনি বলেন, ইস্পাত ও সিমেন্ট খাতে ব্যক্তিগত বিনিয়োগের বৃদ্ধি লক্ষ্য করা গিয়েছে।

    আরবিআইয়ের সাম্প্রতিক সমীক্ষা

    যা দেশের দুটি গুরুত্বপূর্ণ শিল্পের জন্য ভাল প্রমাণিত হতে চলেছে। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর আরও বলেন, কৃষি খাত ভাল করেছে এবং সেবা খাতও ভাল করেছে। তবে সরকারের ক্যাপেক্স এবং পরিকাঠামোর জন্য খরচ আগের চেয়ে বেশ কিছুটা বেড়েছে। শক্তিকান্ত বলেন, আরবিআইয়ের সাম্প্রতিক সমীক্ষা অনুসারে উৎপাদন ক্ষেত্রে সক্ষমতার ব্যবহার প্রায় ৭৫ শতাংশ। কিন্তু একটি সিআইআই সমীক্ষা দেখায় যে এটি আরও বেশি।

    এদিন ২ হাজার টাকার নোট বাজার থেকে তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত (GDP) প্রসঙ্গে শক্তিকান্ত বলেন, ২০১৮ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত ২ হাজার টাকার নোটের চাহিদা ছিল সর্বাধিক। সেই সময় সার্কুলেশন হয়েছিল ৬.৭৩ লক্ষ কোটি টাকা। ২০২৩ সালের ৩১ মার্চ এই চাহিদা কমে দাঁড়ায় ৩.৬২ লক্ষ কোটিতে। তিনি জানান, অন্যান্য নোট বাজারে অনেক বেশি ছেড়ে রাখা হয়েছে। তাই সমস্যা হবে না।

    আরও পড়ুুন: “মোদিজির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হয়েছে নবান্নে”, বোমা ফাটালেন শুভেন্দু

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Karma Tirtha: পরিত্যক্ত কর্মতীর্থ স্টলগুলো দিয়ে দেওয়া হবে স্থানীয় ক্লাবগুলোকে! প্রশাসনিক নির্দেশ ঘিরে বিতর্ক

    Karma Tirtha: পরিত্যক্ত কর্মতীর্থ স্টলগুলো দিয়ে দেওয়া হবে স্থানীয় ক্লাবগুলোকে! প্রশাসনিক নির্দেশ ঘিরে বিতর্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অব্যবহৃত ও ফাঁকা পড়ে থাকা কর্মতীর্থর (Karma Tirtha) স্টলগুলোকে স্থানীয় ক্লাবগুলোর মধ্যে বণ্টন করার প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত নিয়ে জোর বিতর্ক দানা বেঁধেছে। 

    অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে থাকা কর্মতীর্থগুলি (Karma Tirtha) নিয়ে গত ২৬ এপ্রিল আলোচনা হয়েছিল নবান্নর প্রশাসনিক বৈঠকে। প্রশাসনিক সূত্র জানাচ্ছে, প্রায় প্রতিটি জেলায় বিপুল খরচ করে সরকার কর্মতীর্থ তৈরি করলেও সেগুলির বেশির ভাগের প্রতি সাধারণ মানুষের কোনও আগ্রহই নেই। কারণ, দোকান-ব্যবসা করার জন্য নির্ধারিত এই পরিকাঠামোগুলি লাভজনক জায়গায় গড়ে ওঠেনি বলেই অভিযোগ। দীর্ঘ কাল ধরে পড়ে থাকা কর্মতীর্থগুলির পরিচালনার ভার সেই জন্যই এলাকার বিভিন্ন ক্লাবের হাতে তুলে দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়।

    আরও পড়ুন: “মোদিজির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হয়েছে নবান্নে”, বোমা ফাটালেন শুভেন্দু

    এর পর গত ১০ মে রাজ্যের ক্ষুদ্র, কুটির ও বস্ত্র দফতরের তরফে রাজ্যের প্রধান সচিবকে চিঠি দেওয়া হয়। তাতে বলা হয়েছে, রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় প্রশাসনের চারটি দফতর যে কর্মতীর্থ (Karma Tirtha) পরিকাঠামো গড়ে তুলেছিল, তার বণ্টন ও ব্যবহার নিশ্চিত করতে ক্ষুদ্র, কুটির ও বস্ত্র দফতরকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সর্বশেষ রিপোর্ট অনুযায়ী, ৫০৩টি কর্মতীর্থে ১৮ হাজার ১৩০টি স্টল তৈরি করা হয়েছে। এরমধ্যে ১৭ হাজার ৩২০টি স্টল বিলি করা হয়েছে। বাকি খালি পড়ে রয়েছে ৮১০টি স্টল।

    চিঠিতে বলা হয়েছে, নবান্নে হওয়া বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এই অব্যবহৃত স্টলগুলোকে স্থানীয় ক্লাবগুলোর হাতে তুলে দেওয়া হোক, যাতে সেগুলির ‘সঠিক’ ব্যবহার হয়। এই মর্মে রাজ্যের প্রধান সচিবকে যথাযথ ব্যবস্থাগ্রহণের জন্য বলা হয়েছে দফতরের তরফে। প্রশাসনের এই সিদ্ধান্ত ঘিরে এখন দানা বেঁধেছে বিতর্ক। বিরোধীদের প্রশ্ন, দোকান-সহ নানান ব্যবসা করার জন্য নির্মিত সেই সব অব্যবহৃত পরিকাঠামো স্থানীয় ক্লাবের হাতে গেলে আখেরে সেগুলো আর কতটা কর্মতীর্থ (Karma Tirtha) থাকবে? তাঁদের আশঙ্কা, নাম কর্মতীর্থ হলেও, জায়গাগুলো আদতে অকর্মস্থল বা অসামাজিক কাজের আখড়া হয়ে উঠবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Amit Shah: আজ অসমে ৪৫,৭০৩ চাকরিপ্রার্থীর হাতে নিয়োগপত্র দেবেন অমিত শাহ

    Amit Shah: আজ অসমে ৪৫,৭০৩ চাকরিপ্রার্থীর হাতে নিয়োগপত্র দেবেন অমিত শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অসম সরকারের বিভিন্ন বিভাগে ৪৫ হাজার ৭০৩ জন প্রার্থীর হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এই প্রথম কোনও সরকারি অনুষ্ঠানে এতজনের হাতে একসঙ্গে নিয়োগ পত্র তুলে দেওয়া হবে। আগামী কাল বৃহস্পতিবার অসম সফরে আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তাঁর আগমনকে কেন্দ্র করে গুয়াহাটি-সহ সমগ্র রাজ্যকে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দেওয়া হয়েছে।

    প্রতিশ্রুতি পূরণ

    সরকারি সূত্রে খবর, ২৫ মে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) গুয়াহাটি আসছেন। সেখানে অসম সরকারের বিভিন্ন বিভাগে নিয়োগের জন্য আনুমানিক ৪৫ হাজারেরও বেশি ছেলেমেয়ের হাতে নতুন নিয়োগ পত্র তুলে দেবেন তিনি। রাজ্যের বিজেপি সরকারের ১ লক্ষ সরকারি চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি পূরণ হবে আগামী কাল, দাবি অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার।

    গুয়াহাটির খানাপাড়ায় ভেটেরিনারি ময়দানে এক অনুষ্ঠানে ওইসব নিয়োগপত্র বিতরণ করা হবে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা ইতিমধ্যে জানিয়েছেন, আগামী কালের কর্মসূচির সময় ৪৫,৭০৩ জন সফল প্রার্থীকে নিয়োগপত্র বিতরণ করা হবে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী একই দিনে ন্যাশনাল ফরেনসিক সায়েন্স ইউনিভার্সিটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন।

    আরও পড়ুুন: “কোভিডের চেয়েও মারাত্মক অতিমারির জন্য প্রস্তুত থাকুন”, সাবধানবাণী হু কর্তার

    প্রসঙ্গত অসমে সরকার গঠন করার আগেই এক লাখ চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল বিজেপি। চলতি বছরের ৩১ মার্চের মধ্যেই ওই চাকরি দেওয়ার কথা ছিল। সেই চাকরির কী হল তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন অসমের নির্দল বিধায়ক অখিল গগৈ। গত মার্চে সেই প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে অসমের অর্থমন্ত্রী অজন্তা নেয়োগ বলেন, ১ লাখ ব্যক্তিকে চাকরি দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: হাঁসখালিতে বিজেপি নেতা খুন, অভিযুক্ত তৃণমূল

    BJP: হাঁসখালিতে বিজেপি নেতা খুন, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটের আগে বিজেপি (BJP) নেতাকে খুন করার অভিযোগ উঠল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার হাঁসখালি থানার পিপুলবেরিয়া এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম নকুল হালদার (৬০)। তিনি বিজেপির (BJP) পিপুলবেরিয়া বুথের সহ সভাপতি ছিলেন। বিজেপি নেতার পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বৃষ্টি হওয়ার সময় নকুলবাবু নিজের বেগুন জমিতে যান। কয়েক ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও তিনি না আসায় পরিবারের লোকজনের সন্দেহ হয়। এরমধ্যে এলাকারই কয়েকজন এসে খবর দেন, আমবাগানে তাঁর দেহ ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছে। খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে ছুটে যান। এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, গলায় গামছার ফাঁস দেওয়া অবস্থায় তাঁর মৃতদেহ ঝুলছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় হাঁসখালি থানার পুলিশ। পুলিশ গিয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করে নিয়ে যায়। মৃতদেহটি ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।

    কী বললেন বিজেপি (BJP) নেতার ছেলে?

    এ বিষয়ে প্রয়াত বিজেপি (BJP) নেতা নকুল হালদারের ছেলে রাজেশ হালদার বলেন, “আমার বাবাকে খুন করা হয়েছে। তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা খুন করে বাবাকে গাছে ঝুলিয়ে দিয়েছে। কারণ, আমার বাবা এই এলাকার সক্রিয় বিজেপি নেতা ছিল। তাই, ভোটের আগে বাবাকে সরিয়ে দিল তৃণমূল”। তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন ওই এলাকার বাসিন্দা নারায়ণ ঘোষ। তিনি বলেন, “নকুলবাবু এলাকার প্রথম সারির বিজেপি নেতা ছিলেন। যেহেতু সামনে পঞ্চায়েত ভোট, তাই নকুলবাবু থাকলে তৃণমূলরা ওই এলাকায় ভোট লুট করতে পারবে না। সেই কারণেই তৃণমূল দুষ্কৃতীরা তাঁকে খুন করেছে। আমরা সিবিআই তদন্তের দাবি জানাচ্ছি”।

    কী বললেন বিজেপি (BJP) বিধায়ক?

    এ বিষয়ে বিজেপি (BJP) বিধায়ক মুকুটমণি অধিকারী বলেন, “যেহেতু সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন সেই কারণে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এই খুন করেছে। তার কারণ তাঁর একটি পা ভাঙা রয়েছে। তাছাড়া অত নীচু একটি ডালে কীভাবে তিনি গলায় ফাঁস দিতে পারেন”।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    জেলা তৃণমূল নেতা সনৎ চক্রবর্তী বলেন, “ওই বিজেপি (BJP) নেতা খুনের সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই। আসলে এই ঘটনার পিছনে বিজেপির কোন্দল দায়ী। আমরা এই ঘটনার প্রকৃত তদন্ত দাবি করছি”।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: বীরভূম বিস্ফোরণে এবার  গ্রেফতার  তৃণমূল নেতার ভাই

    Birbhum: বীরভূম বিস্ফোরণে এবার গ্রেফতার তৃণমূল নেতার ভাই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বীরভূমের (Birbhum) দুবরাজপুরে তৃণমূল নেতার বাড়িতে বিস্ফোরণের পর সিআইডির বোম্ব স্কোয়াডের তল্লাশি চলে এলাকায়। একইসঙ্গে তৃণমূলের ওই নেতার ভাইকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অন্যদিকে, বোলপুরের যজ্ঞনগর গ্রাম থেকে প্রায় ১৫ টি তাজা বোমা উদ্ধার করেছে পুলিশ। ড্রোন ক্যামেরার মাধ্যমে বোমার খোঁজে তল্লাশি চালায় পুলিশ।

    বীরভূমের (Birbhum) বিস্ফোরণে আরও এক গ্রেফতার

    কিছু দিন আগেই এগরা, বজবজ এবং তারপরে বীরভূমে (Birbhum) বাজি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। বিস্ফোরণে ধরপাকড় এবং তল্লাশি চলছে রাজ্য জুড়ে। এবার দুবরাজপুরের তৃণমূল কর্মী শেখ সফিকের ভাই মরিলাল শেখকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতকে দুবরাজপুর আদালতে তোলা হয়। বিস্ফোরণের পর থেকেই পলাতক ছিল এই তৃণমূল কর্মীর ভাই। তাঁর পরিবারের অনেকেই গা ঢাকা দিয়ে আছেন বলে জানা গেছে। এখনও দোষীদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। দুবরাজপুরের ওই গ্রামে মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ।

    কীভাবে বীরভূমে (Birbhum) বিস্ফোরণ হয়েছিল?

    বিভিন্ন জায়গায় বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের জেরে তোলপাড় রাজ্য। ঘুম ছুটেছে পুলিশ প্রশাসনের। সেই সময় দুবরাজপুরের (Birbhum) পদুমা গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘোড়াপাড়া গ্রামে শেখ সফিকের বাড়িতে বিস্ফোরণ হয়। শতাধিক তাজা বোমা মজুত ছিল চিলেকোঠার সিঁড়ি ঘরে। এই সফিক এলাকায় তৃণমূল কর্মী হিসাবে পরিচিত। বিস্ফোরণের তীব্রতায় ভেঙে পড়েছে তাঁর বাড়ির কংক্রিটের দেওয়াল। বিকট শব্দে প্রতিবেশী এক শিশু জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছিল। রীতিমতো আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিল গ্রামবাসীরা।

    বিস্ফোরণের পর পুলিশের ভূমিকা

    বিস্ফোরণের ঘটনায় তদন্তে নামে দুবরাজপুর থানার পুলিশ। আরও বোমা মজুত রয়েছে কিনা, খতিয়ে দেখার জন্য খবর দেওয়া হয় সিআইডি বোম্ব স্কোয়াডকে। বোলপুর (Birbhum) থেকে বোম্ব স্কোয়াডের প্রতিনিধিরা গিয়ে এদিন ঘটনাস্থলে তল্লাশি চালায়৷ কংক্রিটের ভগ্নপ্রায় বাড়ির চারপাশে চলে তল্লাশি অভিযান। যদিও, কোনও তাজা বোমা মেলেনি। সবকটিই বিস্ফোরণ হয়ে গিয়েছে বলে খবর। তবে বিস্ফোরণ স্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়। অন্যদিকে, বোলপুর থানার যজ্ঞনগর গ্রামে একটি ঝোপ থেকে তাজা বোমা উদ্ধার করে পুলিশ। বোলপুরের এসডিপিও নিখিল আগরওয়াল ও আইসি সুমন্ত বিশ্বাসের নেতৃত্বে যজ্ঞনগর গ্রামে চলেছিল এই বিশেষ পুলিশি অভিযান। তবে এলাকার মানুষের অভিযোগ, পুলিশ আগে থেকে আরও তৎপর হলে বিস্ফোরণ এড়ানো যেত।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Genocide: একাত্তরে বাংলাদেশের গণহত্যাকে আন্তজার্তিক স্বীকৃতি দিতে ঢাকায় ডাচ টিম

    Bangladesh Genocide: একাত্তরে বাংলাদেশের গণহত্যাকে আন্তজার্তিক স্বীকৃতি দিতে ঢাকায় ডাচ টিম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৯৭১ সালে পাকিস্তান থেকে পৃথক হওয়ার দাবিতে উত্তাল হয়েছিল সমগ্র পূর্ব পাকিস্তান অধুনা বাংলাদেশ। এই সময় ‘অপারেশন সার্চলাইট’-র নামে সারা বাংলাদেশ জুড়ে গণহত্যা (Bangladesh Genocide) চালিয়েছিল পাকিস্তানি সেনা। মধ্যযুগীয় এই বর্বরতাকে লুকিয়ে রাখতে চেষ্টার কসুর করেনি পাকিস্তান। তবে গত বছরে পূর্ব পাকিস্তানের ওপর হওয়া নরসংহারকে স্বীকৃতি দেয় আমেরিকার ‘লেমকিন ইনস্টিটিউট ফর জেনোসাইড প্রিভেনশন’ সংস্থা। আন্তর্জাতিকভাবে এই গণহত্যার স্বীকৃতি যে খুব তাড়াতাড়ি মিলবে এবার সেই দাবি করলেন নেদারল্যান্ডের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা মানবাধিকার কর্মী হ্যারি ফান বোমাল। ইতিমধ্যে ঢাকাতে চলে এসেছে বোমালের নেতৃত্বাধীন ইউরোপের মানবাধিকার প্রতিনিধি দল। ২০ মে থেকে শুরু হয়েছে তথ্য প্রমাণ সংগ্রহের কাজ, চলবে ২৬ মে পর্যন্ত।

    বাংলাদেশ জেনোসাইড (Bangladesh Genocide) শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলন ঢাকায়

    বাংলাদেশ জেনোসাইড ১৯৭১ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলন চলছে ঢাকাতে। সেখানে অংশ নিয়েছে নেদারল্যান্ডের প্রাক্তন মন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন একটি মানবাধিকার দল। প্রাক্তন ডাচ মন্ত্রী বোমাল ছাড়াও ওই দলে রয়েছেন, রাজনীতি বিশেষজ্ঞ ক্রিস ব্ল্যাকবার্ন, ইউরোপিয়ান বাংলাদেশ ফোরামের ব্রিটেনের চেয়ারম্যান আনসার আহমেদ, নেদারল্যান্ডের চেয়ারম্যান বিকাশ চৌধুরি বড়ুয়া প্রভৃতি।

    সাংবাদিক সম্মেলনে কী বললেন প্রাক্তন ডাচ মন্ত্রী বোমাল

    ঢাকাতে অনুষ্ঠিত সাংবাদিক সম্মেলনে বোমাল বলেন, ‘‘আমেরিকার গণহত্যার স্বীকৃতি মিলেছিল ১০০ বছর পরে। আমি মনে করি, বাংলাদেশের ক্ষেত্রে তা হবে না। কয়েক বছরের মধ্যে বাংলাদেশের নরসংহার (Bangladesh Genocide) আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাবে। সেটা ১০ বছরের মধ্যেই পাবে।’’

    আরও পড়ুন: বাংলাদেশে ফের কালী মন্দিরে আগুন, পুড়ে ছাই প্রতিমা, দুষ্কৃতীরা অধরা

    ব্রিটেনের সংসদেও নিন্দা প্রস্তাব আনা হয়েছিল পাকিস্তানের বিরুদ্ধে

    ১৯৭১-এর গণহত্যা বিষয়ক আলোচনা ব্রিটেনের পার্লামেন্ট হয়েছে। সে দেশের সাংসদ পিটার শোরে এই নিন্দা প্রস্তাব এনেছিলেন। পাকিস্তানের এই মধ্যযুগীয় বর্বরতার (Bangladesh Genocide) বিরুদ্ধে পরবর্তীকালে ব্রিটেনের ২৩৩ জন এমপি এই গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি চেয়ে প্রস্তাব পেশ করে।

    ১৯৭১ এর ইতিহাস

    পাকিস্তান থেকে পৃথক হওয়ার দাবিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের নেতৃত্বে শুরু হয় আন্দোলন। আন্দোলনকে কড়া হাতে দমন করতে অপারেশন সার্চলাইটের নামে নরসংহার (Bangladesh Genocide) শুরু করে পাকিস্তানি সৈন্যরা। তাদের সঙ্গে যোগ দেয় বাংলাদেশের রাজাকাররাও। সরকারি রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রায় ১ কোটিরও বেশি সে দেশের সংখ্যালঘু হিন্দু তখন সীমান্ত পেরিয়ে ভারত এসে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছিল। প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে সব থেকে বেশি অবদান হিন্দুদের ছিল বলে মনে করেন গবেষকদের একাংশ। এনিয়ে বহু গবেষণামূলক লেখাও রয়েছে। গবেষক কালিদাস বৈদ্য সেসময় মুজিবর রহমানের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ছিলেন। তাঁর লেখায় মুক্তিযুদ্ধে হিন্দুদের ভূমিকা এবং ভারতের সহযোগিতার বিস্তৃত বিবরণ রয়েছে। কালিদাস বৈদ্যর লেখা বই থেকে জানা যায়, উদ্বাস্তু হিন্দুদের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে সামরিক প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু করেছিল ভারত সরকার। তৈরি হয়েছিল মুজিব বাহিনী।

    ১৯৭১ সালের মার্চ মাসে ‘অপারেশন সার্চলাইট’ এর নামে ঢাকার বিখ্যাত রমনা কালী মন্দিরকে ডিনামাইট দিয়ে উড়িয়ে দেয় পাকিস্তানি সৈন্যরা। বিশেষজ্ঞ মহলের মতে, পাকিস্তানি সৈন্য এবং রাজাকাররা মনে করতে থাকে পূর্ব পাকিস্তান হিন্দু শূন্য হলেই, বিদ্রোহ দমন করা যাবে। তাই দমন পীড়ন হিন্দুদের ওপর সব থেকে বেশি হয়েছিল। সে দেশের সরকারি পরিসংখ্যান বলছে ৩০ লক্ষ নিরীহ বাংলাদেশি মানুষকে সেদিন হত্যা (Bangladesh Genocide) করেছিল পাকিস্তান। বাদ যায়নি ছোট শিশু থেকে মহিলা কেউই। দু’লক্ষের ওপর মহিলাকে গণধর্ষণ করা হয়েছিল। পরবর্তীকালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সরাসরি যুদ্ধে নামে ভারত। শেষপর্যন্ত আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয় পাকিস্তান। গঠন হয় নতুন বাংলাদেশ রাষ্ট্রের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • New Parliament Building: সোনার রাজদণ্ড ‘সেঙ্গল’ বসানো হবে নয়া সংসদ ভবনে, জানেন এর ইতিহাস?

    New Parliament Building: সোনার রাজদণ্ড ‘সেঙ্গল’ বসানো হবে নয়া সংসদ ভবনে, জানেন এর ইতিহাস?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী রবিবার নয়া সংসদ ভবনের (New Parliament Building) উদ্বোধন করতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ ওই দিন ঐতিহাসিক সোনার রাজদণ্ড ‘সেঙ্গল’ (Sengol) স্পিকারের আসনের পাশে প্রতিস্থাপন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ বুধবার নয়াদিল্লিতে একটি সাংবাদিক বৈঠকে দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ একথা জানান।

    চোল রাজাদের সঙ্গে যোগ

    কেন্দ্রে নরেন্দ্র মোদির সরকার ৯ বছর সম্পন্ন করল। সেই উপলক্ষেই সাংবাদিক বৈঠকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) সোনার রাজদণ্ডের (Sengol) কথা জানান। তিনি বলেন, এই রাজদণ্ডের নাম ‘সেঙ্গল’৷ তামিল শব্দ ‘সেম্মাই’ থেকে এর উৎপত্তি৷ যার অর্থ ‘ন্যায়পরায়ণতা’৷ চোল রাজত্বের সময় থেকেই এই ‘সেঙ্গল’-এর ঐতিহ্য এ দেশে চলে আসছে৷ বিশেষত, দক্ষিণ ভারতে এর গুরুত্ব অপরিসীম৷ প্রধান পুরোহিত রাজার হাতে রাজদণ্ড তুলে দেন৷ তখন থেকেই রাজক্ষমতা পান রাজা।

    ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রতীক

    ১৯৪৭ সালের ১৪ অগাস্ট রাত পৌনে ১২টা নাগাদ স্বাধীন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর হাতে এই রাজদণ্ড হস্তান্তরিত করেছিলেন ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের শেষ ভাইসরয় লর্ড মাউন্টব্যাটেন। শোনা যায়, লর্ড মাউন্টব্যাটেন নাকি জওহরলাল নেহরুকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রতীক হিসাবে কী ব্যবহার করা যায়৷ মাউন্টব্যাটেনের কাছে এই প্রস্তাব পাওয়ার পরে বিষয়টি নিয়ে তৎকালীন গভর্নর জেনারেল সি রাজাগোপালাচারীর সঙ্গে কথা বলেন নেহরু৷ রাজাগোপালাচারীই তখন নেহরুকে ‘রাজদণ্ডের’ কথা বলেন৷ রাজাগোপালাচারীর উদ্যোগেই তৈরি হয় ৫ ফুটের সোনা-রুপো নির্মিত ওই রাজদণ্ড৷ যার মাথার উপরে ছিল নন্দী। এতদিন সেই রাজদণ্ড ছিল এলাহাবাদের এক মিউজিয়ামে৷ রবিবার তা স্থাপিত হবে নতুন সংসদ ভবনে৷

    পুরনো ভারতের সঙ্গে নতুন ভারতের যোগ

    এ প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, ‘সেঙ্গল’ একটা ভাবনার প্রতীক। পুরনো ভারতের সঙ্গে নতুন ভারতকে জোড়ার একটা বড় প্রক্রিয়া এটা। অধিনামের অধ্যক্ষদের সঙ্গে আলোচনা করে এই ‘সেঙ্গল’ বানানো হয়েছে। সংসদ ভবনের উদ্বোধনের দিন আধিনামের ২০ জন অধ্যক্ষ উপস্থিত থাকবেন। তাঁরা প্রধানমন্ত্রীর হাতে এই রাজদণ্ড তুলে দেবেন। তাঁরা আশীর্বাদও দেবেন। শাহর কথায়, “আমাদের সরকার মনে করে, এই পবিত্র ‘সেঙ্গল’ কে সংগ্রহশালায় রাখা অনুচিত। এটি স্থাপনের জন্য সংসদ ভবনের (New Parliament Building) থেকে উপযুক্ত স্থান আর কিছুই হতে পারে না। তাই যেদিন দেশের উদ্দেশে সংসদ ভবন উৎসর্গ করা হবে সেদিনই প্রধানন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তামিলনাড়ু থেকে আসা এই রাজদণ্ড স্বীকার এবং স্থাপন করবেন। এই সেঙ্গলের স্থাপনা ১৯৪৭ সালকে আরও একবার মনে করাবে।”

    আরও পড়ুন: মন্দিরে হামলা বরদাস্ত করা হবে না, অস্ট্রেলিয়ায় সাফ জানালেন মোদি

    প্রসঙ্গত, আমন্ত্রণ পাঠানো হলেও সংসদ ভবনের (New Parliament Building) উদ্বোধনের দিন থাকছে না কোনও বিরোধী দল। কংগ্রেস সহ ১৯টি বিরোধী দল যৌথভাবে নয়া সংসদ ভবনের উদ্বোধনকে বয়কট করেছে। শাহ বলেন, “এই সংসদ ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সকলের উপস্থিত থাকা উচিত। ভারত সরকার সবাইকেই আমন্ত্রণ জানিয়েছে। এবার সবাই নিজের ভাবনা অনুযায়ী কাজ করবেন।” 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • HS Rank: উচ্চ মাধ্যমিকে দ্বিতীয় সুষমার প্রিয় বিষয় ভূগোল, কী হতে চান আবু সামা?

    HS Rank: উচ্চ মাধ্যমিকে দ্বিতীয় সুষমার প্রিয় বিষয় ভূগোল, কী হতে চান আবু সামা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় রাজ্যের মধ্যে দ্বিতীয় স্থান (HS Rank) অধিকার করেছেন আবু সামা। চাকুলিয়ার রামকৃষ্ণপুর প্রমোদ দাশগুপ্ত মেমোরিয়াল হাই স্কুলের ছাত্র তিনি। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৫। এদিন তাঁর ফলাফলে খুশি বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকা থেকে শুরু করে সকলে। যুগ্মভাবে দ্বিতীয় বাঁকুড়ার সুষমা খান। বাঁকুড়া বঙ্গ বিদ্যালয়ের ছাত্রী তিনি। তাঁর এই ফলাফলে উচ্ছ্বসিত পরিবারের সদস্যরা। খুশির আবহ পরিবারে।

    কী বললেন আবু সামা (HS Rank)?

    পরীক্ষার ফলাফল টিভিতে লাইভ দেখার সময়ই জানতে পেরেছিলেন, তিনি দ্বিতীয় স্থান (HS Rank) অধিকার করেছেন। স্বভাবতই এই খবরে বেজায় খুশি। কৃতী এই ছাত্র বললেন, এটা আসলে কঠিন পরিশ্রমেরই ফল। এরকম একটা ফল যে হবে, তা তাঁর আশাতেই ছিল। তবে তিনি ভেবেছিলেন, প্রথম হবেন। একটু ভুলের জন্য সেটা হাতছাড়া হয়েছে। তাঁর জীবনের লক্ষ্য কী, ভবিষ্যতে তিনি কী হতে চান, সেই বিষয়ে এদিন তিনি কিছু জানাতে চাননি। তাঁর ধারণা, সেটা বললেই হয়তো সমালোচনা শুরু হয়ে যাবে। তিনি সেটা চান না। তিনি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন বাবা-মা এবং স্কুলের শিক্ষকদের প্রতি। রামকৃষ্ণপুর হাই স্কুলের শিক্ষক সঞ্জয় সিনহা বলেন, আমাদের রাজ্যের মধ্যে সে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছে। তাই আমরা খুবই গর্বিত। ভবিষ্যতে যেন এভাবেই পড়াশোনা চালিয়ে যায়, বড় মানুষ হয় এবং আমাদের নাম উজ্জ্বল করে, এটাই প্রার্থনা। এক কথায় আমরা খুবই আনন্দিত।

    কী বললেন সুষমা খান (HS Rank)?

    বাঁকুড়া শহরের চাঁদমারিডাঙার বাসিন্দা সুষমা খান। ৪৯৫ নম্বর পেয়ে উচ্চ মাধ্যমিকের মেধাতালিকায় রাজ্যে যুগ্নভাবে দ্বিতীয় স্থান (HS Rank) অর্জন করেছেন। বাঁকুড়া মিশন গার্লস স্কুল থেকে ৬৯৪ পেয়ে মাধ্যমিকে চতুর্থ হয়েছিলেন। আর উচ্চ মাধ্যমিকে ৪৯৫ পেয়ে রাজ্যে দ্বিতীয় হলেন। তবে একটুর জন্য প্রথম হতে না পারায় খানিক আক্ষেপ রয়ে গেলেও এই ফলাফলে তিনি খুশি। তাঁর প্রিয় বিষয় ভুগোল। শহরের বঙ্গ বিদ্যালয়ের ছাত্রী সুষমা ভূগোল নিয়ে পড়াশোনা করে সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় সফল হতে চান। সুষমার বাবা এবং মাও চান মেয়ে নিজের ইচ্ছে মতো পড়াশোনা করুক। সুষমার বাবা লবকুমার মণ্ডল রাজ্য সরকারের পরিসংখ্যান বিভাগের কর্মী। পুরুলিয়ায় কর্মরত। মা উমা সামলান সংসার। দুই মেয়ের মধ্যে সুষমা ছোট। তাঁর পড়ার পাশাপাশি গানেও প্রতিভা রয়েছে। তাঁর দিদি প্রিয়মা খান প্রাণিবিদ্যা নিয়ে পড়াশোনা করছেন। এই জেনারেশনের মেয়ে হয়েও এখনও সোশ্যাল মিডিয়াতে কোনও অ্যাকাউন্ট নেই সুষমার। তাই সোশ্যাল মিডিয়াতে সময় নষ্ট না করে তিনি এখনও প্রতিদিন নিয়ম করে ডায়েরি লেখেন। এটা তাঁর বরাবরের অভ্যাস। তিনি বলেন, এই ফলাফলে ভালো তো নিশ্চয়ই লাগছে। তবে এতটা ভালো ফল হবে, আশা করিনি। ছোট থেকে যে সমস্ত স্কুলে পড়েছি এবং টিউশনের স্যারেরা আমাকে অনেকটাই সাহায্য করেছেন। এর সঙ্গে আমার মা-বাবার সাপোর্ট তো আছেই। আরও আছে আমার দিদি ভাই। এমন একটি আনন্দের দিনে তা উদযাপন করা নিয়ে তেমন কোনও পরিকল্পনা তাঁর নেই। এখন শুধু তার চিন্তা ভবিষ্যতের যেসব পরীক্ষাগুলি আছে, সেগুলি ভালোভাবে দেওয়া। পড়াশোনার বাইরে রবীন্দ্র সংগীত তাঁর পছন্দের জিনিস। নিজেও ভালো গাইতে পারেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nitesh Pandey: হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত টেলি অভিনেতা নীতেশ পাণ্ডে

    Nitesh Pandey: হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত টেলি অভিনেতা নীতেশ পাণ্ডে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুম্বইয়ের টেলি জগতে শোকের ছায়া। গাড়ি দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন হিন্দি টেলিভিশনের জনপ্রিয় অভিনেত্রী বৈভবী উপাধ্যায়। এবার হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হলেন জনপ্রিয় অভিনেতা নীতেশ পাণ্ডে (Nitesh Pandey)। বহু সিরিয়াল এবং ছবিতে কাজ করেছেন নীতেশ। তাঁর বয়স হয়েছিল ৫১ বছর। রূপালি গঙ্গোপাধ্যায়ের হিট টিভি শো ‘অনুপমা’য় ধীরাজ কাপুরের ভূমিকায় অভিনয় করার জন্য পরিচিত ছিলেন নীতেশ পাণ্ডে। 

    ২৫ বছর ধরে কাজ করছেন

    ১৯৯০ সাল থেকে থিয়েটার জগতের সঙ্গে যুক্ত নীতেশ পাণ্ডে (Nitesh Pandey)। ১৯৯৫ সালে ‘তেজস’ ছবিতে অভিনয় করেন তিনি। ছবিতে একজন গোয়েন্দা চরিত্রে অভিনয় করেন। ‘মঞ্জিলে আপনি’, ‘অস্তিত্ব… এক প্রেম কাহানি’, ‘সায়া’, ‘জুস্তজু’ এবং ‘দুর্গেশ নন্দিনি’র মতো ধারাবাহিকে কাজ করেছেন। মূলত কৌতুকাভিনেতার চরিত্রেই অভিনয় করতেন তিনি। এ ছাড়াও শাহরুখ খানের সঙ্গে ‘ওম শান্তি ওম’, সলমন খানের সঙ্গে ‘দবাং’ ও পরিচালক দিবাকর বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘খোসলা কা ঘোশলা’-র মতো ছবিতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। প্রায় ২৫ বছর ধরে হিন্দি টেলিভিশন ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করছেন। অভিনেতার আচমকা মৃত্যুর খবরে ভেঙে পড়েছেন তাঁর স্ত্রী অর্পিতা পাণ্ডে।

    আরও পড়ুন: গাড়ি দুর্ঘটনায় মারা গেলেন ‘সারাভাই ভার্সেস সারাভাই’ খ্যাত অভিনেত্রী বৈভবী উপাধ্যায়

    গভীর রাতে হৃদরোগে আক্রান্ত, হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত ঘোষণা

    উত্তরাখণ্ডের আলমোড়া কুমায়ুনের বাসিন্দা ছিলেন নীতেশ (Nitesh Pandey)। ‘ড্রিম ক্যাসেল প্রোডাকশন’ নামে একটি স্বাধীন প্রোডাকশন হাউসও চালাতেন নীতেশ পাণ্ডে। নাসিকের লাগাতপুরী অঞ্চলে শ্যুটিং করছিলেন অভিনেতা। রাত দুটোর সময় আচমকা হৃদরোগে আক্রান্ত হন তিনি। হাসাপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। বুধবার সকালে নীতেশের শ্যালক ও প্রযোজক সিদ্ধার্থ নগর নীতেশের মৃত্যুর খবর জানান। তিনি বলেন, ‘জামাইবাবুর মৃত্যুতে বোন গভীরভাবে শোকাহত। আমরাও এই খবর শুনে একেবারে স্তম্ভিত হয়ে যাই। আমি তো অর্পিতার সঙ্গে কথা বলার সাহসই পাচ্ছি না। জামাইবাবুর বাবা ট্রেন ধরে লাগাতপুরী আসছেন। ‘অর্পিতার ভাই আরও বলেন, ‘নীতেশ আমার থেকে অনেকটাই ছোট। ভীষণ হাসিখুশি একজন মানুষ ছিলেন। ওঁর হার্টের কোনও সমস্যা ছিল বলে আমি তো জানতাম না।’ 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share