Tag: Madhyom

Madhyom

  • Couple: ফেসবুকে ছবি দেওয়া নিয়ে অশান্তি, আত্মঘাতী ব্যবসায়ী দম্পতি

    Couple: ফেসবুকে ছবি দেওয়া নিয়ে অশান্তি, আত্মঘাতী ব্যবসায়ী দম্পতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘরের মধ্যে থেকে এক ব্যবসায়ী দম্পতির (Couple) মৃতদেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল। মঙ্গলবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার শান্তিপুরের ফুলিয়া এলাকায়। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে খুন করে স্বামী আত্মঘাতী হয়েছেন। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম আঁখি বিশ্বাস (২৮) এবং সমীর বিশ্বাস (৩৫)। এই ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।

    ঠিক কী কারণে এই ঘটনা ঘটেছে?

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন বিকেলে গৃহবধূ আঁখি বিশ্বাস বিছানার উপরে অচৈতন্য অবস্থায় পড়েছিল। আর ঠিক তাঁর পাশেই ঝুলন্ত অবস্থায় তাঁর স্বামীর মৃতদেহ উদ্ধার হয়। বাড়ির লোকজনই দেখে চিৎকার করে প্রতিবেশীদের ডেকে পাঠান। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে দম্পতির (Couple) দেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়। সমীরবাবু পরিবহণ ব্যবসায়ী ছিলেন। সঙ্গে তাঁর পোল্ট্রির ফার্ম ছিল। আমবাগানের মালিকও ছিলেন তিনি। কয়েক মাস ধরে এক গাড়ির চালককে কেন্দ্র করে মাঝে মধ্যেই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিবাদ চলতো। ঘনিষ্ঠরা সেই বিষয়টি জানত। অনেকে বিষয়টি মেটানোর চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু, যত দিন গিয়েছে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সম্পর্কের অবনতি হয়েছে। এরমধ্যেই দম্পতির মৃতদেহ উদ্ধারে এলাকাবাসী হতবাক হয়ে গিয়েছেন।

    কী বললেন সমীরবাবুর বন্ধু?

    সমীরবাবুর এক বন্ধু বলেন, “সমীর খুব ভাল ছেলে। ১০ বছর আগে ওদের বিয়ে হয়। সাত বছরের সন্তান রয়েছে। এমনিতেই ওদের পরিবারে কোনও সমস্যা ছিল না। সাত মাস আগে সমীরের এক বন্ধুকে নিয়ে গণ্ডগোলের সূত্রপাত। সে পেশায় গাড়ির চালক। তাকে নিয়ে ওদের মধ্যে ঝামেলা লেগেই থাকত। দুদিন আগে ওই গাড়ির চালক নিজের ফেসবুকে, হোয়াটসঅ্যাপের স্ট্যাটাসে সমীরের স্ত্রীর ছবি দিয়েছিল। সেটা নিয়ে এলাকায় চর্চা হয়। মান সম্মানের কারণে ওরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে, যতক্ষণ না পর্যন্ত ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পুলিশের হাতে আসছে ততক্ষণ পর্যন্ত কিছুই পরিষ্কার নয়। তবুও, এটা বলতে পারি এই দম্পতির (Couple) মৃত্যুর জন্য ওই গাড়ির চালক দায়ী”।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: প্রধানমন্ত্রী মোদিকে ‘দ্য বস’ আখ্যা দিলেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী, কেন জানেন?

    PM Modi: প্রধানমন্ত্রী মোদিকে ‘দ্য বস’ আখ্যা দিলেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মার্কিন প্রেসিডেন্ট তাঁকে সম্বোধন করেছিলেন ‘মিস্টার প্রাইম মিনিস্টার’ বলে। পাপুয়া নিউ গিনির প্রধানমন্ত্রী তো আবার তাঁর পা ছুঁয়ে প্রণাম করলেন। এবার তাঁকে ‘দ্য বস’ (The Boss) বলে সম্বোধন করলেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যন্থনি অ্যালবানেজ। এই তিনি হলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi), এই মুহূর্তে বিশ্ব নেতাদের মধ্য সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব।

    মোদি (PM Modi)-স্তুতি

    দিন তিনেক আগে ত্রিদেশীয় সফরে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। জাপানের হিরোসিমায় আয়োজিত জি-৭ সম্মেলনে যোগ দেন তিনি। সেখানেই তাঁকে ‘মিস্টার প্রাইম মিনিস্টার’ বলে সম্বোধন করেন জো বাইডেন। মোদির অটোগ্রাফ নিতে বাড়িয়ে দেন তাঁর অটোগ্রাফের খাতাও। সেখান থেকে প্রধানমন্ত্রী গিয়েছিলেন দ্বীপরাষ্ট্র পাপুয়া নিউ গিনিতে।

    মোদির পা ছুঁয়ে প্রণাম করেন সে দেশের প্রধানমন্ত্রী। সেখান থেকে রাতেই মোদি পৌঁছান অস্ট্রেলিয়ায়। তাঁকে সিডনি বিমানবন্দরে স্বাগত জানান সে দেশের প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানেজ।

    মোদির মুখে শেন ওয়ার্ন

    মঙ্গলবার অস্ট্রেলিয়ার শিল্পপতিদের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi)। পরে যোগ দেন সিডনিতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে। ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রচুর প্রবাসী ভারতীয়। প্রথমে ভাষণ দেন মোদি। ভারত-অস্ট্রেলিয়ার গভীর সম্পর্ক বোঝাতে গিয়ে তিনি বলেন, “আমাদের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ানদের সম্পর্ক সব জায়গায়।

    গত বছর যখন শেন ওয়ার্ন মারা যান, তখন আমরা শয়ে শয়ে ভারতীয় কেঁদেছিলাম। আমাদের মনে হয়েছিল, আমরা যেন কাছের কাউকে হারিয়েছি।”

    মোদি ‘দ্য বস’

    মোদির ভাষণ শেষে বলতে ওঠেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী। ওই সময়ই তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে ‘দ্য বস’ বলে সম্বোধন করেন। বিখ্যাত রকস্টার ব্রুস স্প্রিংটিনকে ‘দ্য বস’ বলে সম্বোধন করতেন তাঁর ভক্তরা। মোদিকে তাঁর সঙ্গেই তুলনা করলেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “ব্রুস স্প্রিংটিনকে শেষবার আমি এই স্টেজে দেখেছিলাম। প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) নরেন্দ্র মোদি যে অভ্যর্থনা পেলেন উনিও তা পাননি। প্রধানমন্ত্রী মোদি হলেন দ্য বস।”

    অস্ট্রেলিয় প্রধানমন্ত্রীর এই সম্বোধনের পরেই করতালিতে ফেটে পড়ার জোগাড় হয় সিডনির কুদোস ব্যাঙ্ক এরিনা হল। জন-কলরোল থামলে অ্যালবানেজ বলেন, “আমি এক বছর আগে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার পর থেকে এটা আমাদের ষষ্ঠ সাক্ষাৎ। এটা দেখাচ্ছে, ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার সম্পর্ক কতটা গুরুত্বপূর্ণ। ভারত বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। ভারত মহাসাগরের প্রতিবেশীও। আমাদের গভীর বন্ধুত্ব রয়েছে। আগামিদিনে তা আরও জোরদার করতে চাই।”

    আরও পড়ুুন: ‘‘একটা মুরগি খোঁজা হচ্ছে’’, মমতা-কেজরির বৈঠককে কটাক্ষ দিলীপের

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Balurghat: অভাবের মধ্যেও মাধ্যমিকে নজর কেড়েছে বালুরঘাটের ইশিতা মাহাতো

    Balurghat: অভাবের মধ্যেও মাধ্যমিকে নজর কেড়েছে বালুরঘাটের ইশিতা মাহাতো

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বালুরঘাট (Balurghat) গার্লস হাইস্কুলের ছাত্রী ইশিতা মাহাতো সকলের নজর কেড়েছে। প্রান্তিক এলাকার মেয়ে হয়েও কীভাবে সাফল্য পেতে হয়, সেই দৃষ্টান্ত দেখা গেছে দক্ষিণ দিনাজপুরের এক দরিদ্র মাহাতো পরিবারে।

    বালুরঘাটে (Balurghat) থেকে কীভাবে পড়াশুনা করত ? 

    ইশিতার মূল বাড়ি তপন থানার প্রত্যন্ত গ্রাম চামটাকুড়িতে। কিন্তু বালুরঘাটের (Balurghat) চকভৃগু অঞ্চলের ময়ামারি গ্রামে তাঁর মামার বাড়িতে থেকে লেখাপড়া করত ইশিতা। প্রত্যন্ত প্রান্তিক এলাকা এবং অভাবের মধ্যে থেকে এক প্রকার লড়াই করে পড়াশুনা করতে হত গরিব মাহাতো পরিবারের এই মেয়েকে। অর্থাভাবে গৃহশিক্ষকও নিতে পারেনি ওই ছাত্রী। তার মা পলিদেবী বলেন, দুই আত্মীয়ের কাছে বিনামূল্যে পড়তে যেত মেয়ে ইশিতা। বাকিটা নিজের একাগ্রতা ও অধ্যাবসায়ের জোরে ইশিতা ৮৭ শতাংশ নম্বর পেয়ে সকলের নজর কেড়েছে। তার প্রাপ্ত নম্বর হল বাংলাতে ৯৪, ইংরেজিতে ৮৪, অঙ্কে ৬৩, ভৌতবিজ্ঞানে ৯৫, জীবন বিজ্ঞানে ৯৭, ইতিহাসে ৮৫ ও ভূগোলে ৯১ নম্বর। আগামীতে ভালো প্রতিষ্ঠান থেকে পড়াশুনা করতে চায় ওই দুঃস্থ মেধাবী ছাত্রী। কিন্তু তার ওই স্বপ্নপূরণে অর্থাভাব দুশ্চিন্তা বাড়িয়েছে অভিভাবকদের।

    বালুরঘাটের (Balurghat) ইশিতার প্রতিক্রিয়া

    মাধ্যমিকের পরীক্ষায় সাফল্য পেয়ে ইশিতা বেশ খুশী। উচ্ছ্বসিত হয়ে ইশিতা মাহাতো উচ্চ শিক্ষার সম্পর্কে জানতে চাইলে জানায়, আমার ডাক্তার হবার ইচ্ছে রয়েছে। স্কুলে (Balurghat) পড়াশুনার সময় মাধ্যমিকের পরীক্ষার জন্য সে দিনে ৬ ঘন্টা করে পড়ত বলে জানিয়েছে। ইশিতা আরও বলে, আমি মামার কাছেই পড়াশোনা করেছি। আমার পড়াশুনায় মামা শিক্ষক হিসাবে সবসময় পাশে থেকেছেন। যে কোন বিষয় বুঝতে অসুবিধা হলে মামা আমাকে বুঝিয়ে দিতেন এবং শিক্ষক হিসাবে মামার ভূমিকা আমার কাছে অতুলনীয়।

    পরিবারের প্রতিক্রিয়া

    ইশিতার বাবা বিনোদ মাহাতো জানান, আমরা গরিব মানুষ আমাদের বাড়ি তপনে, কাজের সূত্রে আমরা বালুরঘাটে (Balurghat) থাকি। আমার একটাই মেয়ে। খুব কষ্ট করে তাঁকে পড়াশোনা শেখাচ্ছি। তাঁর মাধ্যমিকে ভালো ফলাফল দেখে আমরা খুব খুশি। আমাদের ইচ্ছে মেয়েকে ডাক্তারি পড়াবো। কিন্তু আমার আর্থিক অবস্থা খারাপ। তাই যদি কেউ আমার মেয়েকে পড়াশোনার জন্য সাহায্য করেন তাহলে খুব উপকৃত হবো। সকলের কাছে আমি আমার মেয়ের জন্য আশীর্বাদ কামনা করি। অভাবী পরিবারের মেয়েরা কীভাবে আর্থিক প্রতিকূলতাকে কাটিয়ে নিজের স্বপ্নকে পূরণ করবেন তাই এখন দেখার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar:  “অপদার্থ সরকারের নিজে থেকে পদত্যাগ করা উচিত”, কেন বললেন সুকান্ত?

    Sukanta Majumdar: “অপদার্থ সরকারের নিজে থেকে পদত্যাগ করা উচিত”, কেন বললেন সুকান্ত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপদার্থ সরকারের পদত্যাগ করা উচিত। মঙ্গলবার বালুরঘাটে দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) একথা বলেন। সম্প্রতি তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেন, কেন্দ্র ১০০ দিনের টাকা না দেওয়াতেই রাজ্যের মানুষকে বাজি কারখানায় কাজ করতে হচ্ছে। এই বিষয় নিয়ে বিজেপি রাজ্য সভাপতি তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, “রাজ্যে কর্ম সংস্থান নেই বলে লোকে ১০০ দিনের কাজের জন্য অপেক্ষা করছেন। ১০০ দিনের কাজের মজুরি মাত্র ২০৭ টাকা। সামান্য এই মজুরির জন্য মানুষ কাজ করতে রাজি হচ্ছে। তার মানে রাজ্যে কর্মসংস্থানের কোনও জায়গা নেই। ৮ ঘণ্টা কাজ করার পর ৪০০-৫০০ টাকা রোজগারের ব্যবস্থা না থাকলে এই অপদার্থ সরকারের নিজে থেকে পদত্যাগ করা উচিত”।

    অত্যধিক গরমে এত বিস্ফোরণ! সৌগত রায়ের নতুন তত্ত্ব প্রসঙ্গে কী বললেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)?

    এই প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার বলেন, “আমরা শুনেছি গরমে অনেক মানুষের মাথাও খারাপ হয়ে যায়। সম্ভবত বয়স হলে মাথা খারাপের সংখ্যাটা বেড়ে যেতে পারে। আমার মনে হচ্ছে সৌগতবাবুর এমনি একটা রোগ হয়েছে। গরমে তাঁর মাথাটা একটু খারাপ হয়ে গিয়েছে”।

    বিজেপির মেডিক্যাল ক্যাম্পে রাজ্য সভাপতি (Sukanta Majumdar)

    মঙ্গলবার দুপুরে বালুরঘাট শহরের নেতাজি স্পোর্টিং ক্লাবে বিজেপির উদ্যোগে একটি মেডিকেল ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়। সেখানে সুকান্তবাবুসহ অন্যান্য বিজেপি নেতৃত্বরা উপস্থিত ছিলেন। এদিন বালুরঘাট শহর সহ জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশু থেকে বয়স্ক মানুষরা এই ক্যাম্পে চিকিৎসার সুবিধা নিতে আসেন। মূলত যে সমস্ত বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন প্রতিবন্ধী কার্ড রয়েছে তারা এই ক্যাম্পে চিকিৎসার সুবিধা নিতে পারবে। এদিন দুপুর বারোটা থেকে এই বিকেল ক্যাম্পটি শুরু হয়।  আজকে শুধুমাত্র পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হয়। আগামী এক মাসের মধ্যেই ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প করে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র দেওয়া হবে। এই বিষয়ে সুকান্তবাবু (Sukanta Majumdar) বলেন, কেন্দ্রীয় সরকারের দ্বারা বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন মানুষদের পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হচ্ছে। পাশাপাশি তিন চাকা সাইকেল, শ্রবণযন্ত্র এই সব দেওয়ার ক্যাম্প চলছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Maoist Leader: এনআইএর জালে শীর্ষ মাওবাদী নেতা দীনেশ, শিখ সেজে ব্যবসা করছিলেন নেপালে!

    Maoist Leader: এনআইএর জালে শীর্ষ মাওবাদী নেতা দীনেশ, শিখ সেজে ব্যবসা করছিলেন নেপালে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নেপাল (Nepal) থেকে গ্রেফতার মোস্ট ওয়ান্টেড মাওবাদী নেতা (Maoist Leader) দীনেশ গোপ (Dinesh Gope) ওরফে কুলদীপ যাদব ওরফে বাদকু। ভারতের প্রতিবেশী এই দেশে শিখের ছদ্মবেশ ধারণ করে একটি ধাবা চালাচ্ছিলেন তিনি। রবিবার ঝাড়খণ্ডের খুন্তি জেলার বাসিন্দা দীনেশকে গ্রেফতার করে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা, সংক্ষেপে এনআইএ।

    ছদ্মবেশে নেপালে ছিলেন দীনেশ (Maoist Leader)

    গত বছর ৩ ফেব্রুয়ারি ঝাড়খণ্ডের পশ্চিম সিংভূমে নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষ হয় মাওবাদীদের। ওই সংঘর্ষে মাওবাদীদের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন দীনেশ। তার পরেই গা-ঢাকা দেয় সে। যদিও দু দশক ধরে পালিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন দীনেশ (Maoist Leader)। ছদ্মবেশে নেপালে গিয়ে বিরাটনগরে খুলেছিলেন একটি ধাবা। পুলিশের নাগাল এড়াতে মাথায় পাগড়ি পরে শিখ সেজে পরিচয় গোপন করে দিব্যি চালাচ্ছিলেন ব্যবসা। ব্যবসা চালানোর পাশাপাশি বিরাটনগর থেকেই বিহার, ওড়িশা ও ঝাড়খণ্ডে এরিয়া কমান্ডারদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন এই শীর্ষ মাওবাদী নেতা। তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, প্রতিবার ফোনে কথা বলার পর সেই সিম ও মোবাইল নষ্ট করে ফেলতেন দীনেশ। হঠাৎই একদিন ব্যক্তিগত নম্বর থেকে ফোন করেন এই ছদ্মবেশী। পুলিশ ফোনের অবস্থান লোকেট করে। বিরাটনগরে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে।

    দীনেশের (Maoist Leader) বিরুদ্ধে মামলার পাহাড়

    সূত্রের খবর, শীর্ষ এই মাওবাদী নেতার (Maoist Leader) বিরুদ্ধে ১০২টি ফৌজদারি মামলা রয়েছে। ঝাড়খণ্ড, বিহার ও ওড়িশায় খুন, অপহরণ, হুমকি, তোলাবাজি এবং পিএলএফআইয়ের হয়ে তহবিল সংগ্রহ করা সহ ১০২টি মামলা দায়ের হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। দীনেশকে ধরিয়ে দিতে পারলে ৩০ লক্ষ টাকা পুরস্কারও ঘোষণা করা হয়েছিল। এর মধ্যে এনআইএ ঘোষণা করেছিল ৫ লক্ষ টাকা। আর ২৫ লক্ষ টাকা ঘোষণা করেছিল ঝাড়খণ্ড সরকার। বিরাটনগরে আটক করার পর তাঁকে নিয়ে আসা হয় দিল্লিতে। তার পরেই করা হয় গ্রেফতার।

    আরও পড়ুুন: ‘‘একটা মুরগি খোঁজা হচ্ছে’’, মমতা-কেজরির বৈঠককে কটাক্ষ দিলীপের

    ২০০৭ সালে গঠিত হয় পিএলএফআই। তার পর থেকে মাওবাদী এই সংগঠনের বিরুদ্ধে ওঠে খুন, জখম সহ নানা অভিযোগ। কয়লা ব্যবসায়ী, রেলের ঠিকাদার এবং শিল্পোদ্যোগীদের ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করার অভিযোগও রয়েছে দীনেশের (Maoist Leader) সংগঠনের একাংশের বিরুদ্ধে। বেকার যুবক-যুবতীদের বাইক, মোবাইলের প্রলোভন দেখিয়ে অস্ত্র শিক্ষা দিত দীনের ওই সংগঠন। পরে তাদেরই কাজে লাগানো হত জঙ্গি কার্যকলাপে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
  • Bankura: সোনামুখীতে বিদ্যুৎ দফতরে তাণ্ডব! ভাঙচুর গাড়ি, কর্মীদের হেনস্থা, কেন জানেন?

    Bankura: সোনামুখীতে বিদ্যুৎ দফতরে তাণ্ডব! ভাঙচুর গাড়ি, কর্মীদের হেনস্থা, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাঁকুড়ার (Bankura) সোনামুখি শহরের বিদ্যুৎ বন্টন দফতরে চড়াও হয়ে ব্যাপক ভাঙচুর চালাল উত্তেজিত জনতা। বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীদের উপরও চড়াও হয়। যা নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। বিদ্যুৎ দফতরের অফিসে ঢুকে তাণ্ডব চালানো হয়। শুধু অফিসে নয়, ভাঙচুর করা হয় গাড়িও। মাঝ রাতে আচমকা এই হামলার ঘটনায় দফতরের ঠিকা কর্মীরা রীতিমতো আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    ১৯ মে থেকে দফায় দফায় বিদ্যুৎ বিভ্রাটের ফলে ক্ষোভে ফুঁসছিলেন বাঁকুড়ার (Bankura) সোনামুখীসহ আশপাশের এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা। ২১ মে রাত সাড়ে এগারোটা থেকে এলাকায় বিদ্যুৎ চলে যায়। প্রচণ্ড গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা। ফলে, কয়েকদিন ধরে এলাকার মানুষের ক্ষোভ ছিল। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার সময় বিদ্যুৎ না থাকায় এলাকার মানুষ তা মেনে নিতে পারেননি। সকলেই জোটবদ্ধ হয়ে দল বেঁধে হানা দেন সোনামুখি বিদ্যুৎ দফতরে। তখন রাত ১২ টা। সেই সময় অফিসে কোনও কর্মী ছিলেন না। বাইরে অপেক্ষা করতে থাকেন উত্তেজিত জনতা। প্রায় রাত দেড়টা নাগাদ বিদ্যুৎ দফতরের ঠিকা শ্রমিকরা কাজ সেরে অফিসে ফিরে আসেন। উত্তেজিত জনতা সেখানে অপেক্ষা করছিলেন। ঠিকা কর্মীরা আসতেই লোডশেডিং নিয়ে বচসা বাধে। বচসার মধ্যেই বিদ্যুৎ কর্মীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। কয়েকজন উত্তেজিত জনতা অফিসে ঢুকে ভাঙচুর শুরু করেন। দফতরের একটি গাড়িও ভাঙচুর করা হয়। ভেঙে ফেলা হয় অফিসের দরজার কাচ, কিছু আসবাবপত্র। খবর পেয়ে সোনামুখি থানা থেকে পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়। এরপর রবিবার ভোররাতে প্রায় সাড়ে তিনটে নাগাদ এলাকায় বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক হয়।

    কী বললেন বিদ্যুৎ দফতরের আধিকারিক?

    বিদ্যুৎ দফতরের বিষ্ণুপুর ডিভিশানাল ম্যানেজার অর্ক মুসিব বলেন, ওইদিন কালবৈশাখীর ফলে বেলিয়াতোড় এলাকায় গাছের ডাল ভেঙে পড়ায় বিদ্যুৎ বিভ্রাট হয়। প্রায় ২৮ কিলোমিটার দীর্ঘ লাইনে এই বিভ্রাট হয়েছে, তা চিহ্নিত করতে প্রচুর সময় লেগে যায়। অবশেষে বিদ্যুৎ কর্মীদের লাগাতার চেষ্টায় ভোর সাড়ে ৩টে নাগাদ বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক করা হয়। তার আগে কিছু লোক সোনামুখী অফিসে ঢুকে ভাঙচুর চালায়। প্রচুর সরকারি সম্পত্তি এভাবে নষ্ট করে। পুরো বিষয়টি দেখার জন্য পুলিশকে জানানো হয়েছে। পরিষেবা স্বাভাবিক রাখার জন্য সব রকম চেষ্টা করা হচ্ছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Teacher: সাড়ে ১৭ কেজি বাজি রেখে এবার গ্রেফতার শিক্ষক! শোরগোল রাজনৈতিক মহলেও

    Teacher: সাড়ে ১৭ কেজি বাজি রেখে এবার গ্রেফতার শিক্ষক! শোরগোল রাজনৈতিক মহলেও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার বাজি সহ গ্রেফতার হলেন এক শিক্ষক (Teacher)! ১৭ কেজি ৫০০ গ্রাম বাজি রাখার অপরাধেই সোমবার রাতে গ্রেফতার করা হয়েছে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ওই শিক্ষককে। জানা গেছে, সোমবার গোপন সূত্রে খবর পেয়ে কৃষ্ণগঞ্জ থানার পুলিশ মাজদিয়ায় প্রশান্ত অধিকারীর দোকানে হানা দেয়। উদ্ধার হয় ১৭ কেজি ৫০০ গ্রাম বাজি। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ওই শিক্ষকের নাম প্রশান্ত অধিকারী। রাজনৈতিক মহলে শিক্ষক (Teacher) গ্রেফতার হওয়ায় শোরগোল পড়ে যায়। 

    কে এই শিক্ষক (Teacher)? কী তাঁর রাজনৈতিক পরিচয়?

    কান পাতলে শোনা যায়, মাঝদিয়ার সুধীর রঞ্জন লাহিড়ী মহাবিদ্যালয়ের তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ২০০৯ সালের জিএস ছিলেন এই প্রশান্ত অধিকারী (Teacher)। এ ব্যাপারে কৃষ্ণগঞ্জ ব্লক তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি শুভদীপ সরকার ক্যামেরার সামনে সেকথা স্বীকারও করে নেন। পাশাপাশি তিনি বলেন, এখন তিনি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত না হলেও তাঁকে বিজেপির সমর্থক হিসেবে দেখা যায়। পাশাপাশি তিনি বলেন, প্রশান্তবাবু (Teacher) স্বতঃস্ফূর্তভাবে কোনও রাজনৈতিক দল করেন না। যুব সভাপতির দু’রকম মন্তব্যে শাসক দলের কপালে চিন্তার ভাঁজ। তবে কি বাজির আড়ালে অন্য কিছু লুকিয়ে রাখার চেষ্টা করছেন তৃণমূল নেতারা? প্রশ্ন অনেক, কিন্তু উত্তর অজানা। মঙ্গলবার অভিযুক্ত শিক্ষক তথা তৃণমূলের প্রাক্তন জিএসকে আদালতে পাঠায় কৃষ্ণগঞ্জ থানার পুলিশ।

    বর্ধমান শহরের ভরা বাজারেও নিষিদ্ধ বাজি?

    অন্যদিকে, এগরা, বজবজে বাজি কাণ্ডের পর তৎপর হল পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশও। বর্ধমান শহর থেকে উদ্ধার হল বিপুল পরিমাণে নিষিদ্ধ বাজি। বর্ধমান শহরের তেঁতুলতলা বাজার এলাকায় রয়েছে প্রচুর ছোট-বড় মুদি-স্টেশনারি দোকান। সঙ্গে রয়েছে বাজির দোকানও। মঙ্গলবার দুপুরে হঠাৎ জেলা পুলিশ ও বর্ধমান থানার পুলিশের বিশাল বাহিনী যৌথভাবে অভিযান চালায় এলাকায়। কয়েকটি দোকানে অভিযান চললেও একটি দোকান থেকে পাওয়া যায় প্রচুর বাজি। সেখান থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয় কয়েক কুইন্টাল নিষিদ্ধ বাজি, পুলিশ সূত্রে এমনটাই খবর। এর বাজারমূল্য লক্ষাধিক টাকা। বাজেয়াপ্ত করা বাজি দুটি গাড়ি ভর্তি করে নিয়ে যায় পুলিশ। যেহেতু তেঁতুলতলা একটি বাজার এলাকা, তাই এত পরিমাণ বাজি উদ্ধারে বর্ধমান শহরজুড়ে ছড়িয়েছে আতঙ্ক। অভিযানের নেতৃত্বে থাকা জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কল্যাণ সিংহরায় বলেন, বেআইনি বাজি মজুত হচ্ছে কি না, দেখতে অভিযানে নামা হয়েছে। এই অভিযানের ফলে প্রচুর পরিমাণে বেআইনি  বাজি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এই ধরনের বাজি মজুত রাখার জন্য যথাযথ কোনও কাগজ দেখাতে না পারায় একজন বিক্রেতাকে আটক করা হয়েছে। এছাড়া জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে জেলা জুড়ে বাজি নিয়ে অভিযান  চলবে বলেও তিনি জানিয়েছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dilip Ghosh: ‘‘৩৬ বছরেই এত দুর্নীতি, ৭২-এ কী হবে’’! অভিষেককে কটাক্ষ দিলীপের

    Dilip Ghosh: ‘‘৩৬ বছরেই এত দুর্নীতি, ৭২-এ কী হবে’’! অভিষেককে কটাক্ষ দিলীপের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতিদিনের মতোই মঙ্গলবার সকালে নিউটাউনের ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমণে আসেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। সেখানে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে, তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhishek Banerjee) কটাক্ষ করলেন দিলীপ। তিনি বলেন, “৩৬ বছরেই যদি কেউ এতো দুর্নীতি করে, ৭২ এ গিয়ে কি করবে? মোদি ৫০ বছর ধরে সামাজিক ও রাজনৈতিক জীবনে আছেন। তাঁকে যারা কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা করেছিল, তারাই আজ নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। উনি যেন ভুলে না যান, মোদি-শাহ কে ফাঁসাতে কেস গুজরাট থেকে তুলে মুম্বই নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তাঁরা সেখানেও গেছেন। কেউ রাস্তা অবরোধ করেনি। কেউ কোর্টের বিরুদ্ধে যায়নি। কেউ সরকারকে গালাগাল দেয়নি। আগুনের থেকে সোনা যেমন চকচকে হয়ে বেরিয়ে আসে, সেরকম কোর্টে নির্দোষ প্রমাণ হয়ে বেরিয়ে এসেছেন তাঁরা।”

    অভিষেককে নিশানা

    গতকালই সিবিআই জেরার বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন অভিষেক। এই বিষয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, “এদিকে বলছে আমাকে ফাঁসি দিয়ে দিন। এদিকে রক্ষাকবচ চাইতে সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছে। এই বেঞ্চ থেকে ওই বেঞ্চ ঘুরে বেড়াচ্ছেন। আদালতের সময়, সরকারি পয়সা অপচয় করছেন। তাকে ২৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। চাট্টিখানি কথা নয়। এই চালাকি সবাই বোঝে। একাধিক নেতা আগে এই চেষ্টা করেছেন। এই কোর্ট সেই কোর্ট ঘুরে তারা ভিতরে গিয়েছেন। অপেক্ষা করুন। কাজ চলছে।”

    নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে তোপ

    নিয়োগ দুর্নীতি নিয়েও এদিন মুখ খোলেন দিলীপ ঘোষ। বলেন, “আমি গোড়া থেকেই বলছি, প্রতিটি ক্ষেত্রে নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে। সব তদন্ত হওয়া উচিৎ। সব জায়গায় দুর্নীতি পাওয়া যাবে। কোনও মামলায় ছাড় পাবেন না। যতই দৌড়াদৌড়ি করুন, সবাইকে জেলে যেতে হবে।”

    কেজরিওয়াল-মমতা বৈঠক

    অন্যদিকে লোকসভা ভোটের আগে আজ কেজরিওয়াল-মমতা (Mamata Banerjee) বৈঠক প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, “গতবারও একই হয়েছিল। মোদির সামনে কে যাবেন? কেউ যেতে সাহস পাচ্ছেন না। তাই একটা মুরগি খোঁজা হচ্ছে। গতবার মমতা লাফালাফি করেছিলেন। সবাইকে মাছ ভাত খাইয়েছিলেন। তারপর তো ওনার ১২টা সিট কমে গিয়েছিল। তাই উনি এবার রাজি হচ্ছেন না। একটু হাওয়া দিলেই উনি অনেক সময় রাজি হয়ে যান। তাই একেক জন এসে হাওয়া দিচ্ছে। বলছে, দিদি আপনি রাজি হয়ে যান। ওনাকে আসরে নামানোর চেষ্টা চলছে। কেবল ওনাকে রাজি করাতে একেক সময়ে একেক জন কলকাতায় আসছে। কিন্তু মোদির সামনে গেলে হাওয়া খারাপ হয়ে যাবে তা উনি জেনে গিয়েছেন।”

    আরও পড়ুন: পথ অবরোধ তোলাকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্র, পুলিশের লাঠিচার্জ, সরব বিজেপি

    রাজ্যের সাম্প্রতিক পরিবেশ নিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, “রাজ্যে নতুন কোনও শিল্প নেই। বোমা বন্দুকই এখানকার শিল্প। যেকোনও নেতার বাড়িতে বোমা ও মশলা পেয়ে যাবেন। এই লোকগুলো সব সমাজবিরোধী। পার্টির টিকিটে নেতা হয়েছে। অভ্যাস যায়নি। এরাই তৃণমূল কংগ্রেসকে টিকিয়ে রেখেছে। মানুষ যোগ্য জবাব দেবে।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Dilip Ghosh: ‘‘একটা মুরগি খোঁজা হচ্ছে’’, মমতা-কেজরির বৈঠককে কটাক্ষ দিলীপের

    Dilip Ghosh: ‘‘একটা মুরগি খোঁজা হচ্ছে’’, মমতা-কেজরির বৈঠককে কটাক্ষ দিলীপের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “একটা মুরগি খোঁজা হচ্ছে।” তৃণমূল (TMC) সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সঙ্গে আপ (AAP) নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়ালের প্রস্তাবিত বৈঠককে এভাবেই ব্যাখ্যা করলেন বিজেপির (BJP) সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি তথা মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। মঙ্গলবার দুপুরে মমতা-কেজরি বৈঠক হওয়ার কথা।

    দিলীপের (Dilip Ghosh) নিশানায় মমতা

    এদিন নিউটাউনের ইকোপার্কে প্রাতর্ভ্রমণে এসে দিলীপ বলেন, “গতবারও একই ঘটনা ঘটেছিল। মোদির সামনে কে যাবেন? কেউ যেতে সাহস পাচ্ছেন না। তাই একটা মুরগি খোঁজা হচ্ছে।” তিনি বলেন, “গতবার মমতা লাফালাফি করেছিলেন। সবাইকে মাছ-ভাত খাইয়েছিলেন। তারপর তো ওঁর ১২টি সিট কমে গিয়েছিল। তাই আর উনি এবার রাজি হচ্ছেন না। একটু হাওয়া দিলেই অনেক সময় উনি রাজি হয়ে যান। তাই এক একজন এসে হাওয়া দিচ্ছে। বলছে, দিদি, আপনি রাজি হয়ে যান। ওঁকে আসরে নামানোর চেষ্টা চলছে। কেবল ওঁকে রাজি করাতে এক এক সময় এক একজন কলকাতায় আসছেন। কিন্তু উনি জেনে গিয়েছেন, মোদির সামনে গেলে হাওয়া খারাপ হয়ে যাবে।”

    দিলীপের (Dilip Ghosh) নিশানায় অভিষেক

    এদিন তৃণমূল নেত্রীর ভাইপো তথা ঘাসফুল শিবিরের নম্বর টু নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেও নিশানা করেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি। তিনি (Dilip Ghosh) বলেন, “এদিকে বলছে আমাকে ফাঁসি দিয়ে দিন। এদিকে রক্ষাকবচ চাইতে সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছেন। এ বেঞ্চ থেকে ও বেঞ্চ ঘুরে বেড়াচ্ছেন। আদালতের সময় নষ্ট করছেন। সরকারি পয়সা অপচয় করছেন। তাঁকে ২৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। চাট্টিখানি কথা নয়। এই চালাকি সবাই বোঝে। একাধিক নেতা আগেও এই চেষ্টা করেছেন। এ কোর্ট সে কোর্ট ঘুরে তাঁরা ভিতরে গিয়েছেন। অপেক্ষা করুন। কাজ চলছে।”

    আরও পড়ুুন: ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ দেখতে গিয়ে সঙ্গীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ হিন্দু যুবতীর

    বর্তমানে বাঁকুড়ায় তৃণমূলের নব জোয়ার কর্মসূচিতে ব্যস্ত রয়েছেন অভিষেক। সেখানকারই এক সভায় মোদির বয়স তুলে আক্রমণ শানিয়েছিলেন অভিষেক। এদিন সে প্রসঙ্গে দিলীপ (Dilip Ghosh) বলেন, “৩৬ বছরেই কেউ যদি এত দুর্নীতি করে, ৭২ এ গিয়ে কী করবে?  মোদি ৫০ বছর ধরে সামাজিক ও রাজনৈতিক জীবনে রয়েছেন। তাঁকে যারা কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা করেছিল, তারাই আজ নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে। উনি যেন ভুলে না যান, মোদি-শাহকে ফাঁসাতে কেস গুজরাট থেকে তুলে মুম্বই নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তাঁরা সেখানেও গিয়েছেন। কেউ রাস্তা অবরোধ করেনি। কেউ কোর্টের বিরুদ্ধে যায়নি। কেউ সরকারকে গালাগাল দেয়নি। আমরা আগুনের থেকে সোনা চকচকে হয়ে বেরিয়ে আসার মতো কোর্টে নির্দোষ প্রমাণিত হয়ে বেরিয়ে এসেছি।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Aditya Singh Rajput: বলিউডে ফের রহস্যজনক মৃত্যু! বাথরুমে মিলল অভিনেতা আদিত্য সিং রাজপুতের দেহ

    Aditya Singh Rajput: বলিউডে ফের রহস্যজনক মৃত্যু! বাথরুমে মিলল অভিনেতা আদিত্য সিং রাজপুতের দেহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের রহস্যজনক মৃত্যু বিনোদন জগতে। চলে গেলেন প্রখ্যাত অভিনেতা, মডেল, কাস্টিং কোঅর্ডিনেটর আদিত্য সিং রাজপুত (Aditya Singh Rajput)। সোমবার, ২২ মে, নিজের ফ্ল্যাটের বাথরুম থেকে আদিত্যর নিথর দেহ উদ্ধার করা হয়। হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। নায়কের এক বন্ধুর দাবি, নায়কের হার্ট অ্যাটাক হয়েছে। অথবা বাথরুমে পড়ে গিয়ে মাথায় আঘাত লেগে মৃত্যু হয়েছে। যদিও সূত্রের দাবি, অতিরিক্ত মাদক সেবন অর্থাৎ ড্রাগ ওভারডোজেই মৃত্যু হয়েছে নায়কের। পুলিশ জানিয়েছে, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না বেরনো পর্যন্ত কিছু বলা যাবে না। তবে পুলিশ অভিনেতার শরীরে দু’টি আঘাতের চিহ্ন দেখেছে। মাথার পিছনে ফোলা এবং বাঁদিকের কানে কেটে যাওয়ার চিহ্ন।

    মাত্র ১৭ বছর বয়সে মডেল

    মুম্বইয়ের আন্ধেরিতে ১১ তলায় একটি অ্যাপার্টমেন্টে থাকতেন আদিত্য (Aditya Singh Rajput)। সেই ফ্ল্যাটের বাথরুম থেকেই সোমবার তাঁকে উদ্ধার করা হয়। তাঁর এক বন্ধু তাঁকে বাড়ির বাথরুমে অচৈতন্য অবস্থায় দেখতে পায়। তড়িঘড়ি সেই বন্ধু ও অ্যাপার্টমেন্টের দারোয়ান তাঁকে নিয়ে যায় হাসপাতালে। সেখানে ইমারজেন্সিতে তাঁকে পরীক্ষা করেই চিকিৎসকেরা জানান যে, তিনি মৃত। মাত্র ১৭ বছর বয়সে বিনোদনের দুনিয়ায় পা রেখেছিলেন দিল্লির এই তরুণ। সেখান থেকেই পথচলা শুরু। দিল্লির ‘গ্রিন ফিল্ডস স্কুল’-এ লেখাপড়ার পর মাত্র ১৭ বছর বয়সে মডেল হিসাবে র‌্যাম্পে পা রাখেন আদিত্য। একাধিক নামী সংস্থার বিজ্ঞাপনে কাজ করেছেন তিনি। প্রায় ৩০০ বিজ্ঞাপনে দেখা গেছে আদিত্য সিং রাজপুতকে। 

    আরও পড়ুুন: “১০০ চাকরি বিক্রি করেছেন চুঁচুড়ার তৃণমূল বিধায়ক অসিত”, দাবি শুভেন্দুর

    শোকস্তব্ধ বি-টাউন

    বিজ্ঞাপন ছাড়াও ‘ক্রান্তিবীর’, ‘ম্যায়নে গান্ধী কো নেহি মারা’ ছবিতে অভিনয় করেছেন আদিত্য সিং রাজপুত (Aditya Singh Rajput)। রিয়ালিটি শো স্প্লিটসভিলা সিজন ৯-এ প্রতিযোগী হিসাবে অংশগ্রহণ করেন তিনি। এছাড়াও টেলিভিশনে লাভ, আশিকী, কোড রেড, আওয়াজ সিজন ৯, ব্যাড বয় সিজন ৪ সহ একাধিক প্রজেক্টে কাজ করেছেন তিনি। সম্প্রতি একটি প্রযোজনা সংস্থার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন আদিত্য। তিনি সেখানকার কাস্টিং গ্রুপের সঙ্গে কাজ করতেন। মুম্বইয়ের গ্ল্যামার সার্কিটের চেনা মুখ ছিলেন আদিত্য। তাঁর এই অকালমৃত্যুতে কার্যত শোকস্তব্ধ বি-টাউন। 

    তাঁর মৃত্যুতে শোকাহত পরিচালক ওনির। সমাজমাধ্যমের পাতায় শোকপ্রকাশ করেছেন পরিচালক অশোক পণ্ডিত, পোশাকশিল্পী রোহিত বর্মা, রিয়্যালিটি তারকা বরুণ সুদের মতো ব্যক্তিত্বরা। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share