Tag: Madhyom

Madhyom

  • TMC: “সহ্যের একটা সীমা আছে”! কেন বললেন তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর?

    TMC: “সহ্যের একটা সীমা আছে”! কেন বললেন তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দলীয় সভায় মাইক হাতে বক্তব্য রাখছেন মুর্শিদাবাদ জেলার ভরতপুরের তৃণমূল (TMC) বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। ভরতপুর-১ ব্লকেই সভার আয়োজন করা হয়েছে। বিধায়কের বক্তব্যে কোনও বিরোধী রাজনৈতিক দল বা দলের নেতার নাম নেই। দলেরই ভরতপুর-১ ব্লকের সভাপতি নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে তিনি কার্যত ক্ষোভ উগরে দিলেন। সভায় যতক্ষণ তিনি বক্তব্য রাখেন তাঁর আক্রমণের কেন্দ্রবিন্দুই ছিলেন দলের ব্লক সভাপতি। আর এই ঘটনায় তৃণমূলের (TMC) কোন্দল আরও একবার প্রকাশ্যে চলে এল।

    কী বললেন ভরতপুরের তৃণমূল (TMC) বিধায়ক?

    তৃণমূলের (TMC) ভরতপুর-১ ব্লকের সভাপতির সঙ্গে বিধায়কের বহুদিন ধরেই দ্বন্দ্ব লেগেই রয়েছে। ব্লক সভাপতি নজরুলসাহেব দলের বিধায়ককে পাত্তাই দেন না। এমনকী মিটিং, মিছিলে পর্যন্ত বিধায়ককে ডাকা হয় না বলে অভিযোগ। এনিয়ে দলের ব্লক সভাপতির ওপর বিধায়ক চরম রুষ্ট। শুক্রবার ভরতপুরে বিধায়কের উদ্যোগে সভা করা হয়। সেই সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে সেই ব্লক সভাপতির প্রসঙ্গই বারে বারে উঠে আসে। ব্লক সভাপতিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বিধায়ক বলেন, “তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছ থেকে পঞ্চায়েতে ৫০ শতাংশ স্বচ্ছ প্রার্থীর নাম নিয়ে আসবো। তাঁদের সকলকে পঞ্চায়েতে দাঁড় করিয়ে জিতিয়ে আনব। আমার প্রার্থীদের জন্য ওদের (পড়ুন ব্লক সভাপতি) প্রচারে আসতে হবে না। আমরাও ওদের প্রচারে যাব না। কে কত প্রার্থী জিতিয়ে আনতে পারে তা দেখব। তিনি আরও বলেন, শনিবার ব্লক সভাপতির নেতৃত্বে এলাকায় মিছিল করা হবে বলে জানতে পেরেছি। আমরাও ব্লক সভাপতির মিছিলের পর পাল্টা মিছিল করব। মিছিলে কার কত কর্মী-সমর্থক রয়েছে তা প্রমাণ হয়ে যাবে”। এরপর তিনি ব্লক সভাপতির বিরুদ্ধে বলেন, “সহ্যের একটা সীমা আছে, সেই সীমা লঙ্ঘন করলে হুমায়ুন  কাউকে ছেড়ে কথা বলে না”।

    আরও পড়ুন: এক মিনিটের ছোট ভাইয়ের থেকে মাধ্যমিকে ২ নম্বর বেশি পেয়ে জেলায় সম্ভাব্য প্রথম অরুনাভ

    কী বললেন তৃণমূলের (TMC)  ব্লক সভাপতি?

    দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার দুপুরে ব্লক সভাপতি এবং বিধায়কের মিছিল হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, জেলা নেতৃত্বের হস্তক্ষেপে তা বাতিল করা হয়েছে। বিধায়কের প্রসঙ্গে ভরতপুর-১ ব্লক তৃণমূলের (TMC) সভাপতি  নজরুল ইসলাম বলেন, “বিধায়ক নিজের মতো করে চলছেন। ৫০ শতাংশ প্রার্থী দাঁড় করিয়ে ভোটে জেতানোর কথা সবটাই বিধায়কের। আমাদের নয়। শুক্রবার আমাদের বাদ দিয়ে তিনি মিটিং করেছেন। আমরা এসব করিনি। আমরা সবসময় জোটবদ্ধভাবে কাজ করতে চাই। সেটা তিনি করেন না”।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Primary Teacher Recruitment: ৩,৯২৯ প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে হাইকোর্টের নির্দেশে স্থগিতাদেশ সুপ্রিম কোর্টের

    Primary Teacher Recruitment: ৩,৯২৯ প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে হাইকোর্টের নির্দেশে স্থগিতাদেশ সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justic Abhijit Ganguly) ৩,৯২৯ প্রাথমিক শিক্ষক (Primary Teacher) পদে চাকরি দেওয়ার নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। শুক্রবার এই স্থগিতাদেশ দিয়েছে বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু এবং বিচারপতি সুধাংশু ধুলিয়ার ডিভিশন বেঞ্চ। ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, আগামী ৫ জুলাই পর্যন্ত বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ থাকবে। ওই দিনই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।

    কেন এই নিয়োগ?

    আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৪ সালের টেট-এর ভিত্তিতে ২০১৬ এবং ২০২০ সালে দু’টি নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। ২০২০ সালের নিয়োগে ১৬,৫০০ পদে নিয়োগের কথা জানায় রাজ্য সরকার তথা পর্ষদ। কিন্তু, পরবর্তীকালে সব পদ পূরণ করা হয়নি বলে অভিযোগ ওঠে। সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্টের শুনানিতে এই তথ্য উঠে আসে। জানা যায় যে, ১৬,৫০০ শূন্যপদের মধ্যে সেই সময় সাড়ে ১২ হাজার পদে নিয়োগ করা হয়েছিল। অর্থাৎ, ৩,৯২৯ পদে নিয়োগ করা হয়নি। 

    কী রায় দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়?

    যার প্রেক্ষিতে গত ৮ নভেম্বর বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের পর্যবেক্ষণ ছিল, এই শূন্যপদের অধিকার ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণদের। তাই তাঁদেরই নিয়োগ করতে হবে। পরে টেটে প্রশ্ন ভুলের দরুণ মামলাকারীদের চাকরি দিতে নির্দেশ দেন তিনি। পরে ১১ নভেম্বর বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশই বহাল রাখে কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ।কিন্তু এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ এবং ২০১৭ সালের টেট উর্ত্তীর্ণদের একাংশ।

    আরও পড়ুন: সকাল ১১টায় সিবিআই দফতরে হাজিরা অভিষেকের! দূর্গে পরিণত নিজাম প্যালেস

    কেন এই স্থগিতাদেশ?

    ২০১৭-য় টেট উত্তীর্ণদের প্রশ্ন, কেবল ২০১৪-র উত্তীর্ণরা কেন সুযোগ পাবেন? এক মামলায় শীর্ষ আদালত রায় দিয়েছিল, যে কোনও নতুন নিয়োগের ক্ষেত্রে সবাইকে সুযোগ দিতে হবে। তার ভিত্তিতেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন ২০১৭-র টেট উত্তীর্ণরা। অন্যদিকে, পর্ষদের দাবি, কেবল ২০১৪-র টেট উত্তীর্ণদের মধ্য থেকে নিয়োগ করা অনেক জটিল। দু-পক্ষের দাবির প্রেক্ষিতে অবশেষে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের ৩,৯২৯ পদে নিয়োগের রায়ের উপর আপাতত স্থগিতাদেশ দিল শীর্ষ আদালত। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Abhishek Banerjee: অভিষেকের নবজোয়ারের প্রস্তুতি সভায় তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে হাতাহাতি! কেন জানেন?

    Abhishek Banerjee: অভিষেকের নবজোয়ারের প্রস্তুতি সভায় তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে হাতাহাতি! কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) নবজোয়ার কর্মসূচিকে সামনে রেখে জেলা নেতৃত্বের উপস্থিতিতে প্রস্তুতি সভার আয়োজন করা হয়। আর সেই সভাকে ঘিরে তুমুল উত্তেজনা ছড়ায় পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোণায়। তৃণমূলের জেলা চেয়ারম্যান ও জেলা সভাপতিকে ঘিরে বিক্ষোভ শুরু করে তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকেরা। সভাস্থলে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে হাতাহাতি পর্যন্ত হয়। জেলা নেতৃত্বের সামনেই এই ঘটনা ঘটে। জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যানকে ধাক্কা দেওয়ার ঘটনা ঘটে। এমনকী তৃণমূলের বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠী চন্দ্রকোণা-২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি হীরালাল ঘোষকে মেরে বাইরে বের করে দেয় বলে অভিযোগ।  পরে, পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়।

    ঠিক কী ঘটেছে?

    শুক্রবার বিকেল নাগাদ চন্দ্রকোণা পুরসভার টাউন হলে অভিষেকের (Abhishek Banerjee) নবজোয়ার কর্মসূচির একটি প্রস্তুতি সভার আয়োজন করা হয়েছিল। চন্দ্রকোণা-২ ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে সেই প্রস্তুতি সভায় ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার চেয়ারম্যান অমল পণ্ডা, ঘাটাল সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি আশিস হুদাইতসহ জেলা সংগঠনের একাধিক নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। আর সেই সভার শুরুতেই তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে যান। কারণ,  রাতারাতি অঞ্চল ও বুথ সভাপতিদের সরিয়ে দেওয়া হয়। সভাস্থলে এসে বিষয়টি জানাজানি হতেই বিক্ষোভে ফেটে পড়েন তৃণমূলের চন্দ্রকোনা-২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি হীরালাল ঘোষ,প্রাক্তন ব্লক সভাপতি জগজিৎ সরকারসহ প্রাক্তন বুথ ও অঞ্চল সভাপতি থেকে শুরু করে বিক্ষুব্ধ তৃণমূল কর্মী সমর্থকেরা। সভাস্থলের ভিতরে চন্দ্রকোণা-২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি হীরালাল ঘোষসহ তাঁর অনুগামীরা ঢুকে বিক্ষোভ শুরু করেন। আর এতেই দেখা দেয় চরম উত্তেজনা। দফায় দফায় ভিতরে, বাইরে চলে বিক্ষোভ। তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি হীরালাল ঘোষকে মারধর করে সভাস্থল থেকে বের করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। আর এরই মাঝে ঘাটাল সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারম্যান অমল পণ্ডা বাইরে বেরিয়ে এলে তাঁকে ঘিরে ধরে তুমুল বিক্ষোভ দেখান বিক্ষুব্ধ তৃণমূলের একাংশ। এমনকী সেসময় জেলা চেয়ারম্যানকে ধাক্কা মারতে দেখা যায় এক তৃণমূল কর্মীকে। পরক্ষণে জেলা সভাপতি আশিষ হুদাইত সভাস্থলে উপস্থিত হওয়ার জন্য পৌঁছালে তাঁকে ঘিরেও বিক্ষোভ দেখান তৃণমূলের নেতা কর্মীরা। বাইরে থাকা বিক্ষুব্ধ তৃণমূলের নেতা কর্মীরা জেলা সভাপতির সঙ্গে সভাস্থলে পুনরায় ঢোকেন। তারপরই শুরু হয়ে যায় তুমুল উত্তেজনা। পরে, চন্দ্রকোণা থানার পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। আর এই ঘটনায় তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল একেবারে প্রকাশ্যে চলে আসে।

    কী বললেন বিক্ষুব্ধ তৃণমূল নেতারা?

    বিক্ষোভকারী তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের একাংশের দাবি, অভিষেক (Abhishek Banerjee) আসার আগেই রাতারাতি অঞ্চল ও বুথ সভাপতি পরিবর্তন করে দেওয়া হয়েছে। চন্দ্রকোণা-২ ব্লকের সভাপতি প্রসূন ঘোষ ও বিধায়কের নেতৃত্বে বুথ সভাপতি ও অঞ্চল নেতৃত্বদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এবিষয়ে ব্লকের তৃণমূল নেতা কর্মীদের একাংশ জানতো না। চন্দ্রকোণা-২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি হীরালাল ঘোষ বলেন, বুক চিতিয়ে যারা দল করে তাদের সরিয়ে দিয়ে সিপিএম, বিজেপি থেকে আসা লোকজনদের গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এটা মেনে নেওয়া যায় না। আমরা প্রতিবাদ করেছি।

    কী বললেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব?

    যদিও সভাস্থলে গণ্ডগোল নিয়ে ঘাটাল সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান অমল পণ্ডা বলেন, তেমন কিছু হয়নি,কিছু নেতা কর্মীদের ক্ষোভ ছিল তা তাঁরা জানিয়েছেন। আর আমাকে কেউ ধাক্কাধাক্কি করেনি। আসলে সংসার বড় হয়েছে, তাই একটু মনোমালিন্য হয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • 2000 Notes: কেন ২ হাজারের নোট তুলে নিচ্ছে আরবিআই? কীভাবে বদলাবেন আপনার নোটগুলি?

    2000 Notes: কেন ২ হাজারের নোট তুলে নিচ্ছে আরবিআই? কীভাবে বদলাবেন আপনার নোটগুলি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার, বাজার থেকে ২০০০ টাকার নোট (2000 Notes) প্রত্যাহার করার কথা জানিয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। গ্রাহকদের একটি সময়সীমার মধ্যে তাঁদের কাছে থাকা সকল ২০০০ টাকার নোট ব্যাঙ্কে গিয়ে ফেরত দেওয়ার কথা জানিয়েছে শীর্ষ ব্যাঙ্ক। ২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর পুরনো ৫০০ এবং ১ হাজার টাকার নোট বাতিল করে ২০০০ টাকার নোট চালু করেছিল নরেন্দ্র মোদির সরকার। তার প্রায় ৬ বছর পর, এবার ২০০০ টাকার নোট তুলে নেওয়ার কথা ঘোষণা করা হল।

    কেন এই সিদ্ধান্ত?

    এখন প্রশ্ন হল, কেন এই সিদ্ধান্ত নিল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক? শীর্ষ ব্যাঙ্কের তরফে জানানো হয়েছে, ব্যবহার হ্রাস পাওয়াই হল প্রধান কারণ। আরবিআই জানিয়েছে, গত কয়েক বছর ধরে এই নোটের ব্যবহার ক্রমশ কমেছে। ২০১৮-১৯ সালেই ২০০০ টাকার নোট (2000 Notes) ছাপানো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। আরও বলা হয়েছে, ৫০০, ২০০, ১০০ টাকার মতো অন্যান্য মূল্যের ভারতীয় নোটগুলি এখন উপযুক্ত পরিমাণে প্রচলিত রয়েছে। যা, সাধারণ মানুষের চাহিদা মেটানোর জন্য যথেষ্ট। তাই ২০০০ টাকার নোট প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

    নোটগুলির বৈধতা কি আর রইল না?

    আরবিআই (RBI Guidelines) জানিয়েছে, প্রত্যাহারের নির্দেশ দেওয়া সত্ত্বেও, ২০০০ টাকার নোট এখনি অবৈধ হচ্ছে না। সাধারণ মানুষ এখনও লেনদেনের জন্য ২০০০ টাকার ব্যাঙ্কনোট ব্যবহার করতে পারবেন। তবে, ৩০ সেপ্টেম্বর বা তার আগে এই নোটগুলি ব্যাঙ্কে জমা দিতে অথবা বদলে নিতে জনসাধারণকে উৎসাহিত করছে আরবিআই। গ্রাহকদের অনুরোধ, এই সময়ের মধ্যে আপনার কাছে থাকা ২ হাজারের নোটগুলো ব্যাঙ্কে গিয়ে জমা দিয়ে দিন।

    আরও পড়ুন: বাতিল হচ্ছে ২০০০ টাকার নোট, কবে থেকে জানেন?

    কীভাবে বদল করা যাবে ২০০০ টাকার নোট?

    আরবিআই জানিয়েছে, আপনার কাছে ২০০০ টাকার নোট (2000 Notes) থাকলে তা ব্যাঙ্কে গিয়ে আপনার নিজের অ্যাকাউন্টে জমা দিতে পারেন অথবা ব্যাঙ্কের যে কোনও শাখায় গিয়ে ২০০০ টাকার নোটগুলি বদলে অন্যান্য ব্যাঙ্কনোট নিয়ে নিতে পারেন। এই প্রক্রিয়া শুরু হবে ২৩ মে। ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই সুবিধা পাওয়া যাবে। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার ১৯টি আঞ্চলিক অফিসে এই নোট বদল করা যাবে। এছাড়া সমস্ত সরকারি-বেসরকারি ব্যাঙ্কেও ২ হাজার টাকার নোট বদল করা যাবে।  

    বদলের কোনও নির্দিষ্ট নিয়ম আছে কি?

    আরবিআই নির্দেশিকায় (RBI Guidelines) জানিয়েছে, জমা করার কেওয়াইসি শর্ত মেনে নিজের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে যত খুশি মূল্যের ২০০০ টাকার নোট (2000 Notes) জমা (Account Deposit) করতে পারবেন। এছাড়া, ব্যাঙ্কে গিয়ে সরাসরি বদলও করতে পারবেন মানুষ। তবে দৈনিক সর্বোচ্চ ২০ হাজার টাকা সরাসরি বদল (Note Exchange) করা যাবে। এক্ষেত্রে, আপনি ওই ব্যাঙ্কের গ্রাহক হোন, বা নাই হোন, এই ২০ হাজারের ঊর্ধ্বসীমা এক থাকবে। তবে, বদলের ক্ষেত্রে কেওয়াইসি বাধ্যতামূলক। অর্থাৎ আপনাকে আধার কার্ড সহ সংশ্লিষ্ট তথ্য জানাতে হবে ব্যাঙ্ককে। এর পাশাপাশি, বিজনেস করেসপন্ডেন্টদের মাধ্যমে জনপ্রতি প্রতিদিন ৪,০০০ টাকা পর্যন্ত ২০০০ টাকার নোট বদলানো যাবে। 

    নোট বদল করতে কোনও ফি লাগবে?

    আরবিআই নির্দেশিকায় জানিয়েছে, কাউকে কোনওপ্রকার ফি দিতে হবে না। সম্পূর্ণ বিনামূল্যেই করা যাবে এই নোট বদল। এছাড়া, পাশাপাশি প্রবীণ নাগরিক ও বিশেষভাবে সক্ষম ব্যক্তিদের যাতে নোট বদলের ক্ষেত্রে কোনও সমস্যায় পড়তে না হয়, তাও নিশ্চিত করতে নির্দেশ দিয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kalighater Kaku: শনির সকালে ‘কালীঘাটের কাকু’-র বাড়ি-অফিসে ইডির অভিযান

    Kalighater Kaku: শনির সকালে ‘কালীঘাটের কাকু’-র বাড়ি-অফিসে ইডির অভিযান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে এবার সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে ‘কালীঘাটের কাকু’-র (Kalighater Kaku) বাড়িতে গেল ইডির একটি বড় দল। শনিবার সকালে একাধিক দলে ভাগ হয়ে ‘কালীঘাটের কাকু’র বেহালার ফকিরপাড়া রোডের ফ্ল্যাট, বাড়ি-সহ বহু জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দলের সদস্যরা। ঘটনাচক্রে, শনিবারই সিবিআইয়ের তলব পেয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

    সকাল সকাল ‘কাকু-র’ বাড়ি

    এদিন সকাল ৬টা নাগাদ সুজয়কৃষ্ণের বাড়িতে পৌঁছে যান ইডি কর্তারা। উল্লেখ্য, এই সুজয়বাবু অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৈরি লিপস অ্যান্ড বাউন্ড সংস্থার দেখভাল করেন। একাধিকবার কেন্দ্রীয় সংস্থা তাঁকে তলবও করেছে। প্রথম বার হাজিরা দিলেও পরে তিনি নিজে হাজিরা দেননি। বদলে আইনজীবীকে দিয়ে নথিপত্র পাঠিয়ে দেন। সুজয় সে সময় জানন, তাঁর কাছে কিছু নথি চাওয়া হয়েছিল। সেগুলি আইনজীবীকে দিয়ে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি নিজেই জানান, তাঁর স্ত্রী ও মেয়ের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের নথি আইনজীবীর মাধ্যমে পাঠিয়ে দিয়েছেন।

    এখনও চলছে তল্লাশি

    আজকে ‘কালীঘাটের কাকু’র (Kalighater Kaku) বাড়ি ছাড়াও তাঁর বাড়ির পাশে ফকির পাড়াতেই একটি অফিসে হানা দিয়েছে ইডি। জানা গিয়েছে, যে অফিসে হানা দেওয়া হয়েছে সেটি একটি কনসাল্টেন্সি সংস্থার। এই আবহে নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে এই সংস্থার যোগ নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা। সুজয়কৃষ্ণের প্রতিবেশীদের দাবি, এদিন সকালে কয়েকজন এসে সুজয়কৃষ্ণের বাড়ির দরজায় কড়া নাড়েন। কিছু সময় পর বেরিয়ে আসনে কালীঘাটের কাকু। এখনও তল্লাশি চালানো হচ্ছে বলেই জানা যাচ্ছে। উল্লেখ্য, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রথম ধৃত তাপস মণ্ডলের মুখে শোনা গিয়েছিল সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে কালীঘাটের কাকুর নাম। এর আগে তাঁর বাড়ির পাশাপাশি পর্ণশ্রীর একটি ফ্ল্যাট ত্রিবেণী অ্যাপার্টমেন্টে তল্লাশি চালান গোয়েন্দারা। 

    আরও পড়ুন: সকাল ১১টায় সিবিআই দফতরে হাজিরা অভিষেকের! দূর্গে পরিণত নিজাম প্যালেস

    আরও এক দফা জিজ্ঞাসাবাদ

    সম্প্রতি সিবিআই এসেও তল্লাশি চালিয়েছিল সুজয়কৃষ্ণের ফ্ল্যাটে। সে সময় ‘কাকু’র (Kalighater Kaku) বাড়ি থেকে কয়েক লক্ষ নগদ টাকা বাজেয়াপ্ত করে সিবিআই। তিনি অবশ্য দাবি করেন, বোন হাসপাতালে ভর্তি, চিকিৎসার বিল মেটানোর জন্য ওই অর্থ তুলেছিলেন। পাওয়া যায় একটি অ্যাডমিট কার্ড। ‘কাকু’ দাবি করেন, সেটা তাঁর শ্যালিকার পুত্রের পুরসভায় চাকরির পরীক্ষা দেওয়ার জন্য প্রদত্ত অ্যাডমিট কার্ড। এ ছাড়া তাঁর একটি ফোনও বাজেয়াপ্ত করা হয়।  শনিবার আরও এক দফা তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে ইডি সূত্রে খবর।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • New Parliament Building: ‘আত্মনির্ভর ভারত’-এর প্রতীক! ২৮ মে উদ্বোধন নতুন সংসদ ভবনের

    New Parliament Building: ‘আত্মনির্ভর ভারত’-এর প্রতীক! ২৮ মে উদ্বোধন নতুন সংসদ ভবনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উদ্বোধন হতে চলেছে নতুন সংসদ ভবনের (New Parliament Building)। আগামী ২৮ মে নবনির্মিত সংসদ ভবনের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। সম্প্রতি লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন এবং উদ্বোধনের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে আমন্ত্রণ জানান। আভিজাত্য ও আধুনিকতার মেলবন্ধনে নতুন সংসদ ভবন সকলকে তাক লাগাবে।

    আভিজাত্যের ছোঁয়া

    ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে নতুন সংসদ ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। ‘সেন্ট্রাল ভিস্তা’ প্রকল্পের আওতায় তৈরি করা হয়েছে নতুন সংসদ ভবন (New Parliament Building)। নতুন ভবনটি তৈরি করেছে ‘টাটা প্রজেক্টস লিমিটেড’। কয়েকশো কোটি টাকা খরচ করে তৈরি করা এই সংসদ ভবনে একদিকে যেমন আভিজাত্যের ছোঁয়া রয়েছে, তেমনই আবার আধুনিকতার মিশেলও রয়েছে। রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বেই ৬৪ হাজার বর্গমিটার এলাকাজুড়ে তৈরি হয়েছে এই সংসদ ভবন। সংসদ ভবন তৈরি করার অন্যতম কারণ ছিল সাংসদদের বসতে দেওয়ার জন্য স্থানাভাব এবং পুরনো সংসদ ভবনের জরাজীর্ণ দশা। নতুন এই সংসদ ভবন বর্তমান সংসদ ভবনের থেকে আয়তনে ১৭ হাজার স্কোয়ার ফুট বড়। 

    আরও পড়ুন: চার দিনের ত্রিদেশীয় সফর প্রধানমন্ত্রী মোদির! আজ যাত্রা শুরু

    ‘আত্মনির্ভর ভারত’-এর প্রতীক

    গত মার্চ মাসে নতুন সংসদ ভবন (New Parliament Building) দেখতে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। ৪ তলবিশিষ্ট নতুন সংসদ ভবনে ১২০০ জনেরও বেশি সাংসদ বসতে পারবেন। নতুন সংসদ ভবনে রয়েছে লাইব্রেরি, একাধিক কমিটি কক্ষ, খাবার জায়গা। এ ছাড়াও রয়েছে পার্কিংয়ের অঢেল জায়গা। নতুন স‌ংসদ ভবনে লোকসভা এবং রাজ্যসভায় মার্শালদের নতুন পোশাকবিধি চালু করা হবে। নতুন সংসদ ভবন ‘আত্মনির্ভর ভারত’-এর প্রতীক বলে বর্ণনা করেছে সরকার। মোদি সরকারের নবম বর্ষপূর্তির দিনই নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধনের কথা ছিল। ২০১৪ সালের ২৬ মে প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শপথ গ্রহণ করেছিলেন নরেন্দ্র মোদি। কেন্দ্রের পরিকল্পনা ছিল, ওই দিনই নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধন করা হবে। তবে পরে তা দুই দিন পিছিয়ে ২৮ মে করে দেওয়া হয়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kandi: এক মিনিটের ছোট ভাইয়ের থেকে মাধ্যমিকে ২ নম্বর বেশি পেয়ে জেলায় সম্ভাব্য প্রথম অরুনাভ

    Kandi: এক মিনিটের ছোট ভাইয়ের থেকে মাধ্যমিকে ২ নম্বর বেশি পেয়ে জেলায় সম্ভাব্য প্রথম অরুনাভ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে মাধ্যমিকে রাজ্যের সম্ভাব্য মেধা তালিকায় নাম নেই মুর্শিদাবাদ জেলার। তবে, এই জেলার শীর্ষস্থানে রয়েছে কান্দির (Kandi) যমজ ভাই। জন্মের সময়ে পার্থক্য মাত্র ১ মিনিটের। আর মাধ্যমিকে নম্বরের পার্থক্য মাত্র ২। ২০২৩ শে মাধ্যমিক পরীক্ষায় রাজ্যের সম্ভাব্য প্রথম দশের মেধা তালিকায় এই জেলার কেউ নেই। তবে, এই জেলার মেধা তালিকার নিরিখে সম্ভাব্য প্রথম ও দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে কান্দির (Kandi) এই যমজ ভাই। তাদের একজনের নাম অরুনাভ দাস। তার প্রাপ্ত নম্বর ৬৮২। সে জেলার সম্ভাব্য প্রথম। আর তার এক মিনিটের ছোট ভাইয়ের নাম অভিষেক দাস। তার প্রাপ্ত নম্বর ৬৮০।

    দুই সন্তানের সাফল্য নিয়ে কী বললেন মা?

    কান্দি (Kandi) রাজ উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র দুজনে। ছোট থেকে দুজনেই পড়াশুনায় ভালো ছিল। দুজনেই ক্লাসে প্রথম কিংবা দ্বিতীয় হত। ফলে, মাধ্যমিকে তারা এবার ভাল ফল করবে স্কুলের শিক্ষক থেকে পরিবারের লোকজন সকলেরই আশা ছিল। এমনকী রাজ্যের মেধা তালিকায় স্থান পাওয়ার অনেকেই আশা করেছিলেন। তবে, রাজ্যের মেধা তালিকায় না এলেও জেলার সম্ভাব্য প্রথম ও দ্বিতীয় হওয়ায় খুশি পরিবারের লোকজন। দুই সন্তানের সাফল্যে খুবই আনন্দিত বাবা অমিতাভ দাস ও মা সারদা দাস। অমিতাভবাবু পশু চিকিত্সক হওয়ায় তিনি কাজের সূত্রে বাইরে থাকতেন। সারদাদেবীই মূলত দুই সন্তানের পড়াশুনা দেখভাল করতেন। তিনি বলেন, ওরা কখনও কথার অবাধ্য হত না। ছোট থেকে নিজেদের পড়াশুনা নিয়ে ওরা মনোযোগী ছিল। ফলে, দুজনের এই রেজাল্টে আমি খুশি। তবে, মেধা তালিকায় স্থান পেলে আরও ভাল লাগত।

    নিজেদের সাফল্য নিয়ে কী বললেন দুই কৃতী?

    অরুনাভর বক্তব্য, আমার এই সাফল্যের জন্য মায়ের ভূমিকা সব থেকে বেশি। তবে, আমার বাংলায় আরও ভাল রেজাল্ট হওয়ার কথা। তাই রিভিউ করব। আশা করি নম্বর বাড়বে। মেধা তালিকায় থাকতে পারলে ভাল লাগত। আর বড় হয়ে ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন রয়েছে। টিউশন ছাড়া বাড়িতে পাঁচ-ছয় ঘণ্টা পড়াশুনা করতাম। যেটুকু পড়তাম, মন দিয়ে পড়তাম। বাকী সময় টিভি দেখতাম। খেলাধূলা করতাম। আর ভাই অভিষেকও দাদার মতো বড় হয়ে ডাক্তার হতে চায়। তার বক্তব্য, আরও ভাল ফলের আশা করেছিলাম। ইতিহাস, বাংলায় আমি রিভিউ করব। আশা করি নম্বর বাড়বে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Abhishek Banerjee: সকাল ১১টায় সিবিআই দফতরে হাজিরা অভিষেকের! দূর্গে পরিণত নিজাম প্যালেস

    Abhishek Banerjee: সকাল ১১টায় সিবিআই দফতরে হাজিরা অভিষেকের! দূর্গে পরিণত নিজাম প্যালেস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আজ, শনিবার সিবিআইয়ের মুখোমুখি হচ্ছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। সকাল ১১টায় নিজাম প্যালেসে সিবিআইয়ের দফতরে হাজিরা দেওয়ার কথা তাঁর। সেই মতো, গতকালই, বাঁকুড়ায় নবজোয়ার যাত্রা ছেড়ে রাতে কলকাতায় ফিরেছেন অভিষেক।

    তৈরি প্রশ্নমালা, প্রস্তত সিবিআই

    অভিষেকের এই সওয়াল-পর্ব ঘিরে কোমর বেঁধে প্রস্তুতি সেরে ফেলেছে সিবিআই। জিজ্ঞাসাবাদ-পর্ব থেকে যাতে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আদায় করা যায়, তার জন্য অভিষেককে কী কী প্রশ্ন করা হবে, সেই তালিকা ইতিমধ্যেই তৈরি করা হয়েছে। অভিষেককে প্রশ্ন করার জন্য শীর্ষ অফিসাররা প্রস্তত। শুধু তৃণমূলের ‘সেকেন্ড-ইন-কমান্ড’এর হাজিরার অপেক্ষা।  

    দূর্গে পরিণত নিজাম প্যালেস

    নিজাম প্যালেসে নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করতে প্রস্তত পুলিশও। অভিষেকের (Abhishek Banerjee) সওয়াল ঘিরে ব্যাপক নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করা হয়েছে নিজাম প্যালেস চত্বরে। রাত থেকেই সেখানে বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। জমায়েত আটকাতে বিভিন্ন জায়গায় ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়েছে। এমনকি নিজাম প্যালেসের ভিতরে বিভিন্ন অংশ ব্যারিকেড দিয়ে একেবারে আটকে দেওয়া হয়েছে। জানা যাচ্ছে, পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের পাশাপাশি, কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরাও থাকবেন। এক কথায় কার্যত দূর্গে পরিণত হয়েছে নিজাম প্যালেস।

    আরও পড়ুন: ‘‘বারেবারে ঘুঘু তুমি খেয়ে যাও ধান এবার…’’! অভিষেককে কটাক্ষ সুকান্তর

    কী প্রেক্ষিতে অভিষেককে সমন?

    প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত কুন্তল ঘোষের কথায় উঠে এসেছিল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) নাম। নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত কুন্তল ঘোষ দাবি করেছিলেন, তাঁকে অভিষেকের নাম বলানোর জন্য চাপ দিচ্ছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। এই নিয়ে নিম্ন আদালত ও হেস্টিংস থানায় অভিযোগও করেন কুন্তল। বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়ায়। সেই প্রেক্ষিতে অভিষেককে (Abhishek Banerjee) জেরা করার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন অভিষেক। মামলা হাইকোর্টে ফিরিয়ে দেয় শীর্ষ আদালত। এর মধ্যেই মামলাটির এজলাস বদল হয়। অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের জায়গায় মামলা যায় বিচারপতি অমৃতা সিনহার বেঞ্চে। তিনি, অভিষেককে কোনও প্রকার রক্ষাকবচ দিতে অস্বীকার করেন। এরপরই শুক্রবার, সিবিআই সমন পাঠায় অভিষেককে।

    এর আগে কয়লা পাচার কাণ্ডে অভিষেককে ডেকে পাঠিয়েছিল ইডি। এবার স্কুল শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআইয়ের মুখোমুখি হচ্ছেন ‘যুবরাজ’।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • 2000 Rupee Note: বাতিল হচ্ছে ২০০০ টাকার নোট, কবে থেকে জানেন?

    2000 Rupee Note: বাতিল হচ্ছে ২০০০ টাকার নোট, কবে থেকে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাজার থেকে ২ হাজার টাকার নোট (2000 Rupee Note) তুলে নেওয়ার কথা ঘোষণা করল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (RBI)। বাজারে যে নোটগুলি রয়েছে, সেগুলির বৈধতা ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। ২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট বাতিলের কথা ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কালো টাকা উদ্ধার করতেই এই পদক্ষেপ করা হয়েছিল বলে দাবি করা হয়েছিল সরকারের তরফে।

    ২ হাজার টাকার নোট (2000 Rupee Note)

    এই নোট বাতিলের পরে পরেই বাজারে আসে ২ হাজার টাকার নোট। ২০১৮ ও ’১৯ সালেই ২ হাজার টাকার নোট ছাপানো বন্ধ করে দিয়েছিল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। ২০১৭ সালের মার্চের আগে ৮৯ শতাংশ ২ হাজারের ডিনমিনেশন নোট ইস্যু করা হয়েছিল। একটি বিবৃতি জারি করে দেশের শীর্ষ ব্যাঙ্কের তরফে জানানো হয়েছে, কারও কাছে ২ হাজার টাকার নোট (2000 Rupee Note) থাকলে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তা ব্যাঙ্কে জমা করা যাবে। তাই এখনই আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই। একেবারে সর্বোচ্চ ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত জমা করা যাবে।

    কেন ২ হাজার টাকার নোট ছাপানো হয়েছিল?

    যে কোনও ব্যাঙ্কেই এই নোট জমা করে কিংবা বদলে ফেলে অন্য নোট নেওয়া যাবে। আরবিআই কেন ২ হাজার টাকার নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত নিল? দেশের শীর্ষ ব্যাঙ্কের তরফে জানানো হয়েছে, ২০১৬ সালে নোট বাতিলের সময় নতুন নোটের চাহিদা বেড়ে গিয়েছিল। সেই চাহিদা মেটাতেই ২ হাজার টাকার নোট ছাপানো হয়েছিল। এরপর এতগুলো বছর কেটে গিয়েছে। নোটগুলির আয়ুও ফুরিয়ে এসেছে।

    মুদ্রা পলিসি মেনেই বাজার থেকে ২ হাজার টাকার নোট (2000 Rupee Note) তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। প্রসঙ্গত, একটি নোটের আয়ু ৪ থেকে ৫ বছর। ২০২৩ সালের ৩১ মার্চের হিসেব অনুযায়ী, এই মুহূর্তে বাজারে যে সংখ্যক ২ হাজার টাকার নোট রয়েছে, তার মূল্য ৩.৬২ লক্ষ কোটি টাকা।

    আরও পড়ুুন: জ্ঞানবাপী মসজিদের ‘শিবলিঙ্গে’র কার্বন ডেটিং পিছিয়ে দেওয়ার নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: ‘‘বারেবারে ঘুঘু তুমি খেয়ে যাও ধান এবার…’’! অভিষেককে কটাক্ষ সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: ‘‘বারেবারে ঘুঘু তুমি খেয়ে যাও ধান এবার…’’! অভিষেককে কটাক্ষ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhisek Banerjee) সমন করেছে সিবিআই। শনিবার সকালেই তাঁকে হাজিরা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সমন পাওয়ার পরেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘অপরাধ করলে ফাঁসির দড়িতে আমাকে ঝুলিয়ে দেবেন।’’ সেই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে এদিন অভিষেককে তীব্র কটাক্ষ করলেন সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। সিবিআই সমনের কপি নিজের ট্যুইটারে পোস্ট করে তৃণমূলের সেকেণ্ড-ইন-কমান্ডকে তীব্র আক্রমণ শানান বালুরঘাটের সাংসদ।

    ট্যুইটে কী বললেন সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)?

    অভিষেক (Abhisek Banerjee) প্রসঙ্গে এদিন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) তাঁর ট্যুইটারে লেখেন, ‘‘জিজ্ঞাসাবাদের সম্মুখীন হব! ফাঁসির মঞ্চে চড়ব! আবার অব্যাহতি চাইতে কোর্টেও যাব, এক মুখে এত রকম কথা! নির্দোষ হলে জিজ্ঞাসাবাদে সহযোগিতা করতে এত ভয় কেন আপনার? আগেই সহযোগিতা করলে ২৫ লাখের থাপ্পর হজম করে সিবিআই এর কাছে যেতে হতো না। বারেবারে ঘুঘু তুমি খেয়ে যাও ধান এবার ঘুঘু তোমার বধিব পরাণ!’’

    বিচারপতি অমৃতা সিনহার নির্দেশে হাজিরা দিতে হচ্ছে অভিষেককে 

    নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষের চিঠি সংক্রান্ত মামলার পরিপ্রেক্ষিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে হাজিরা নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। কিন্তু পরে টিভি চ্যানেলে সাক্ষাৎকার দেওয়ার ইস্যুতে তাঁকে এই মামলা থেকে সরানো হয় এবং তাঁর বদলে আসেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। হাকিম বদলেও হুকুম বহাল থাকে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে সিবিআই দফতরে হাজিরা, তার সঙ্গে ২৫ লক্ষ টাকা জরিমানার নির্দেশ দেন বিচারপতি সিনহা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share