Tag: Madhyom

Madhyom

  • Basirhat: হেরিটেজের তকমা মিললেও চরম অবহেলায় পড়ে রয়েছে ধান্যকুড়িয়ার গাইন গার্ডেন

    Basirhat: হেরিটেজের তকমা মিললেও চরম অবহেলায় পড়ে রয়েছে ধান্যকুড়িয়ার গাইন গার্ডেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ব্রিটিশ আমলে তৈরি উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটের (Basirhat) ধান্যকুড়িয়া গাইন গার্ডেন চরম অবহেলায়, অনাদরে পড়ে রয়েছে। বছরখানেক আগে হেরিটেজ-তকমা পেলেও এখনও কোনও শ্রী ফেরেনি। গার্ডেনের ভিতর অট্টালিকার পুকুর ঘাটে দু’টি বড় মার্বেলের সিংহ ছিল। নব্বইয়ের দশকে তা বিক্রি হয়ে যায়। তবে বাগান বাড়ির গেটে দু’জন ইংরেজ একটি সিংহকে বধ করছে—এ রকম একটি ভাস্কর্য এখনও রয়েছে। ‘কপালকুণ্ডলা’ সিনেমার শুটিংও হয়েছিল এই স্থানে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এর জৌলুস কমতে শুরু করে।

    কে তৈরি করেছিলেন এই গাইন গার্ডেন?

    ইতিহাসের পাতা ঘেঁটে জানা যায়, প্রায় দেড়শো বছর আগে বসিরহাট (Basirhat) -বেড়াচাঁপার টাকি রোডের ধারে ‘গাইন’ দুর্গের আদলে বিশাল এই স্থাপত্য গড়ে তোলেন ধান‍্যকুড়িয়ার পাট ব‍্যবসায়ী মহেন্দ্রনাথ গাইন। পরবর্তীকালে যা গাইন গার্ডেন নামে পরিচিতি পায়। ৩৩ বিঘা জমির ওপর অট্টালিকা ছাড়াও আমোদ প্রমোদের জন্য তৈরি করা হয়েছিল বাগানবাড়ি। সেখানে জমিদার এবং তাঁদের ব‍্যবসায়িক সহযোগী ইংরেজদের বিনোদনের ব্যবস্থা ছিল। সেই সময় টাকি রোড বরাবর মার্টিন রেল চলত। যার স্টেশন ছিল ধান্যকুড়িয়ায়। ওই রেলে চড়ে ইংরেজরা আসতেন গাইন গার্ডেনে। এখন সেসব অতীত। তবে, সেই সমস্ত ইতিহাসের চিহ্ন এখনও ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে গাইন গার্ডেনের আনাচে কানাচে। যেগুলোর অধিকাংশই সংস্কারের অভাবে আজ ধ্বংস হতে বসেছে।

    এখন কী অবস্থায় রয়েছে গাইন গার্ডেন?

    বসিরহাটের (Basirhat) গাইন গার্ডেনের চারপাশ এখন ভরেছে ঘাস এবং আগাছায়। সীমানা পাঁচিলও যে কোনও সময় ভেঙে পড়তে পারে। সন্ধ্যার পর দুষ্কৃতীদের আনাগোনা সেখানে বাড়ছে বলে অভিযোগ। বিভিন্ন অংশে বেশ কিছু ফাটল ও ধরেতে দেখা গিয়েছে। নিত্যদিনই বাড়ছে বিপদের আশঙ্কা। বাগান চত্বরে বেড়েছে সাপের উপদ্রব। তারপরও রক্ষণাবেক্ষণের কোনও উদ্যোগ নেই প্রশাসনের। কার্যত অযত্নে পড়ে থেকে থেকে বিশাল এই স্থাপত্য আজ নষ্ট হওয়ার মুখে।

    কবে মিলল হেরিটেজের স্বীকৃতি?

    পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সমাজকল্যাণ দফতরের পরিচালনায় এখানে দীর্ঘদিন পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত একটি সরকারি বালিকা হোম-সহ মেয়েদের স্কুল চলত। দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পরে ২০০৮ সালে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদ গাইন পরিবারের কাছ থেকে এই সম্পত্তিটি কিনে নেয়। ২০১৯ সালে সংস্কারের কথা বলে মেয়েদের হোম ও স্কুল তুলে দেওয়া হয়। ২০২১ সালে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের হেরিটেজ কমিশনের সদস্যেরা বসিরহাটের (Basirhat) এই গাইন গার্ডেন পরিদর্শন করেন। ২০২২ সালে হেরিটেজ হিসাবে স্বীকৃতিও মেলে। চলতি বছরের ১৮ এপ্রিল বিশ্ব ঐতিহ্য দিবসে পশ্চিমবঙ্গ হেরিটেজ কমিশনের ব্রশিওরেও স্থান পেয়েছে ধান্যকুড়িয়া গাইন গার্ডেন।

    কী বললেন স্থানীয় বাসিন্দারা?

    স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, “খাতায়-কলমে শুধু ‘হেরিটেজ’ তকমাটুকুই মিলেছে। বাস্তবে ভবনের চিত্র এখনো বদলায়নি। এই বিষয়ে মহম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, “হেরিটেজ ঘোষণার পরও প্রশাসনের সেই উদ্যোগ এখনো চোখে পড়েনি। আজও অবহেলায় পড়ে রয়েছে এই স্থানটি। এই স্থাপত্য বাঁচাতে প্রশাসনের সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া দরকার। পাশাপাশি পর্যটন শিল্প গড়ে তোলা হলে কর্মসংস্থানও হবে এলাকায়।

    কী বললেন জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ?

    যদিও এই ভবন নিয়ে উদাসীনতার অভিযোগ মানতে চাননি জেলা পরিষদের বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষ এ কে এম ফারহাদ। তিনি বলেন, “যে কোনও উন্নয়নের কাজ করতে গেলে কিছু বিষয় থাকে। জেলা প্রশাসন ইতিমধ্যে বিষয়টি নিয়ে তৎপর হয়েছে। আশা করছি খুব শীঘ্রই সেখানে সংস্কারের কাজ শুরু হয়ে যাবে। উন্নয়নের বিষয়ে আমরা সব সময় একধাপ এগিয়ে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Road: হাসপাতাল যাওয়ার ৩ কিমি রাস্তা ঘুরে যেতে হচ্ছে ৮ কিমি! ক্ষোভে অবরোধ

    Panchayat Road: হাসপাতাল যাওয়ার ৩ কিমি রাস্তা ঘুরে যেতে হচ্ছে ৮ কিমি! ক্ষোভে অবরোধ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দীর্ঘ প্রায় দু-দশক ধরে বেহাল রাস্তা (Panchayat Road)। এলাকায় রয়েছে পানীয় জলের সমস্যাও। পঞ্চায়েত এবং প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েও মেলেনি সুরাহা। এলাকার বিধায়ক মন্ত্রীর দায়িত্ব পাওয়ার পরেও হয়নি সমাধান। এইসব ক্ষোভ থেকেই ৮১ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালেন গ্রামবাসীরা। সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নং ব্লকের লক্ষণপুর ৮১ নম্বর জাতীয় সড়কে। ভোট বয়কটের ডাক দিয়ে হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন গ্রামবাসীরা।

    পথশ্রী প্রকল্পেও ভাগ্যের শিকে ছেঁড়েনি!

    জানা গিয়েছে, মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নং ব্লকের অন্তর্গত ভিঙ্গল গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনে লক্ষণপুর, ঝিকোডাঙা, ডুমুরকলা, কনার, পাড়ুই সহ একাধিক গ্রামের রাস্তা (Panchayat Road) বেহাল। স্বাধীনতার ৭৫ বছর পরেও পাকা রাস্তা হয়নি মালদার এই গ্রামগুলিতে। লাল মাটির রাস্তা, খানাখন্দে ভরা। দীর্ঘ দুই দশক সংস্কারের অভাবে কার্যত বেহাল দশা। পারো থেকে ঝিকোডাঙা পর্যন্ত প্রায় ৩ কিলোমিটার রাস্তা গ্রামের মূল প্রবেশপথ।পার্শ্ববর্তী ২০ থেকে ২৫ টি গ্রামের ৫ থেকে ৬ হাজার মানুষ দৈনন্দিন যাতায়াত করে এই রাস্তা দিয়ে। যানবাহন তো বটেই, বৃষ্টি হলে মানুষের চলাচলের পক্ষেও অযোগ্য হয়ে ওঠে এই রাস্তা। হাসপাতাল যাওয়ার ৩ কিলোমিটার দূরত্বের রাস্তা ঘুরে যেতে হচ্ছে ৮ কিলোমিটার। আগুন লাগলে গ্রামে আসতে পারছে না দমকলের গাড়ি। এদিকে কিছুদিন আগেই পথশ্রী প্রকল্পের আওতায় রাজ্যের কয়েক হাজার বেহাল রাস্তা সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে। কিন্তু তাতেও ভাগ্যের শিকে ছেঁড়েনি ঝিকোডাঙা গ্রামের রাস্তার। যার ফলে গ্রামবাসীরা ক্ষিপ্ত হয়ে সোমবার সকালে হরিশ্চন্দ্রপুর ৮১ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান। মন্ত্রীর ভূমিকায় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। তিনটি দফতরের প্রতিমন্ত্রী হয়েও নাগরিক পরিষেবা থেকে কেন বঞ্চিত গ্রামবাসীরা, বিক্ষোভকারীরা এই প্রশ্নও তুলেছেন।

    শুরু রাজনৈতিক চাপানউতোর

    কংগ্রেসের দখলে পঞ্চায়েত থাকার কারণে বিমাতৃসুলভ আচরণ করছে তৃণমূল, অভিযোগ কংগ্রেস পরিচালিত ভিঙ্গল গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান বিমানবিহারী বসাকের। আর এই ঘটনা সামনে আসতেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। মালদা উত্তরের বিজেপির সাংগঠনিক জেলা যুবমোর্চার সভাপতি অয়ন রায় বলেন, মন্ত্রীর গড়ে দাঁড়িয়ে সাধারণ মানুষ নাগরিক পরিষেবা থেকে বঞ্চিত। পঞ্চায়েত ভোটে মানুষ এদের ছুড়ে ফেলবে। যদিও বিরোধীদের অভিযোগ মানতে নারাজ তৃণমূল। মালদা জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক তথা জেলা পরিষদের সভাধিপতি রফিকুল হোসেন বলেন, পথশ্রী প্রকল্পে ভিঙ্গল গ্রাম পঞ্চায়েতের দুটি রাস্তা (Panchayat Road) ধরা হয়েছে। তবে মানুষকে নাগরিক পরিষেবা দিতে ব্যর্থ কংগ্রেস পরিচালিত ওই গ্রাম পঞ্চায়েত। পানীয় জলের সমস্যা জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে দেখা হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: এলাকায় দাপিয়ে বেড়াল নীলগাই! কোথায় জানেন?

    Malda: এলাকায় দাপিয়ে বেড়াল নীলগাই! কোথায় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ মাঠের মধ্যে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে নীলগাই। নিজেদের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছিলেন না মালদহের (Malda) ডাকাতপুকুর এলাকার বাসিন্দারা। খবর জানাজানি হতেই এলাকার মানুষ ভিড় করেন। ততক্ষণে সে জঙ্গলের ভিতরে ঢুকে পড়েছে। শুধু ডাকাতপুকুর নয় বামনগোলা, কসবা, মহিশাল থেকে পারহবিনগর সহ আশপাশের এলাকায় দাপিয়ে বেড়ায় নীলগাই। আর দিনভর এই নীলগাইকে নিয়ে মজেছিলেন এলাকার বাসিন্দারা। অনেকে কাছে গিয়ে তাকে ধরার চেষ্টা করলেন। কিন্তু, তার নাগাল পেলেন না কেউই। মাস দুয়েক আগেও এই জেলার (Malda) ইংরেজবাজার ব্লকের যদুপুর-২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের আমজামতলা গ্রামেও দেখা মিলেছিল নীলগাইয়ের। এছাড়া  গত বছর মে মাস নাগাদ মালদহের হরিশচন্দ্রপুরের কনকনিয়া এলাকায় নীলগাই দেখতে পেয়েছিলেন এলাকাবাসী। সাধারণত উত্তরপ্রদেশ এবং মহারাষ্ট্রের জঙ্গলে নীলগাই সব থেকে বেশি দেখা যায়। মালদহের আদিনা ডেয়ার পার্কেও নীলগাই রয়েছে। ফলে, বহু আগে থেকে নীল গাইয়ের সঙ্গে এই জেলার মানুষ পরিচিত। তবে, এত কাছে এভাবে নীলগাই চলে আসবে তা গ্রামের বাসিন্দারা কেউ ভাবতেও পারেননি।

    কোথায় থেকে এসেছে নীল গাইটি?

    মাস দুয়েক আগে মালদহের (Malda) ইংরেজবাজার এলাকায় যে নীলগাইয়ের দেখা মিলেছিল, সেটি বাংলাদেশ থেকে এসেছিল। কারণ, গ্রামের ধার দিয়ে মহানন্দা নদী বয়ে গিয়েছে। নদীর ওপারেই বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জ এলাকা। বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া ওই এলাকায় বিশাল ঘন জঙ্গল রয়েছে। সেখানে নীল গাই থাকতে পারে। গরম পড়তেই মহানন্দা নদীতে এখন হাঁটু সমান জল। সেই জল পেরিয়ে নীলগাই এসেছিল। তবে, এদিন যে নীলগাই এলাকায় দেখা গিয়েছে তা বিহার থেকে এসেছে বলে বন দফতরের আধিকারিকরা মনে করছেন। স্থানীয় বাসিন্দা হরিপদ মাহাত বলেন, প্রথমে ঘোড়া ভেবে এলাকার মানুষ ভুল করেছিল। পরে, বন দফতরের আধিকারিকরা জানান, সেটি নীলগাই। এলাকার মানুষের ভিড় উপচে পড়ে। পাশেই গাঙ্গু নদী রয়েছে। এই এলাকায় এর আগে নীলগাইয়ের দেখা মেলেনি।   

    বন দফতরের পক্ষ থেকে কী উদ্যোগ নেওয়া হল?

    গ্রামবাসীদের কাছ থেকে জানার পরই মালদহ (Malda) জেলা বন দফতরের পক্ষ থেকে নীলগাইয়ের খোঁজে তল্লাশি চালানো হয়। ঘুমপাড়ানির বন্দুক নিয়ে ডাকাতপুকুর, মহিশাল সহ আশপাশের এলাকা চষে বেড়ান। কিন্তু, বাস্তবে কাজের কাজ কিছুই হয়নি। নীলগাইয়ের হদিশ মেলেনি। বন দফতরের এক আধিকারিক বলেন, নীলগাইয়ের হদিশ মিললেই তাকে আদিনা ফরেস্টে রাখা হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Mamata Banerjee: ‘‘৩৬ হাজার চাকরি বাতিল হল ডিএ আন্দোলনের জন্য’’! এ কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী?

    Mamata Banerjee: ‘‘৩৬ হাজার চাকরি বাতিল হল ডিএ আন্দোলনের জন্য’’! এ কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডের মামলায় গত সপ্তাহে বড় নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। প্রাথমিকের প্রশিক্ষণবিহীন ৩৬ হাজার চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তিন মাসের মধ্যে নতুন নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি৷ আদালতের এই সিদ্ধান্তে রাজ্য সরকার যে চরম বিপাকে পড়েছে, তা বলাই বাহুল্য। 

    দুর্নীতির জালে রাজ্যের বর্তমান শাসক দল এতটাই আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে পড়েছে যে, এই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসতে পারছে না। একের পর এক দুর্নীতির জেরে ভুরি ভুরি সিবিআই-ইডি তদন্তের নির্দেশ দিচ্ছে আদালত। যা নিয়ে ক্রমাগত আক্রমণ ধেয়ে আসছে বিরোধী শিবির থেকে। তার ওপর দোসর হয়েছে ডিএ আন্দোলন! বকেয়া ডিএ-র দাবিতে, বেশ কিছুদিন ধরেই আন্দোলন করছেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা। রাজ্য প্রশাসন ও রাজ্য সরকারি কর্মীদের মধ্যে এই সংঘাত গড়িয়েছে আদালত পর্যন্তও। সম্প্রতি, হাইকোর্টের অনুমতিতে মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) পাড়ায় বিশাল মিছিল করেছেন ডিএ আন্দোলনকারীরা। এই নিয়েও সরকারের বিড়ম্বনা যারপরনাই বেড়েছে। 

    আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর পাড়ায় গ্রুপ ডি চাকরিপ্রার্থীদের হ্যারিকেন মিছিলের অনুমতি হাইকোর্টের

    এই পরিস্থিতিতে, সোমবার, ডিএ আন্দোলনকে তীব্র আক্রমণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী(Mamata Banerjee)। আর তা করতে গিয়ে যা দাবি করলেন, তা শুনে অনেকের চোখ কপালে উঠেছে। এদিন নবান্ন সভাঘরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানালেন, এই ৩৬ হাজার চাকরি যে বাতিল হল, তার জন্য দায়ী ডিএ আন্দোলন! মমতা বলেন, “যাঁরা ডিএ নিয়ে চিৎকার করে, ৩ শতাংশ ডিএ এবছরও পেয়েছে। প্রতিদিন গিয়ে গিয়ে মিছিল করছে। আর তাঁদের জন্যই ৩৬ হাজার ছেলেমেয়ের চাকরি চলে গেল।’’ বিরোধীদের প্রশ্ন, দুর্নীতির জন্য চাকরি হারাল, সেখানে ডিএ আন্দোলন দায়ী হল কী করে? তাঁদের কটাক্ষ, মুখ্যমন্ত্রীর এহেন কথা থেকেই স্পষ্ট, দুর্নীতির গেরোয় তিনি যুক্তি হারিয়ে ফেলেছেন।

    এখানেই থেমে থাকেননি মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee)। তিনি আরও দাবি করেন, ডিএ আবশ্যিক নয়, এটা অপশন। মমতা বলেন, ‘‘ডিএ বাধ্যতামূলক নয়, ঐচ্ছিক। সরকার সামর্থ মতো ডিএ দেবে।’’ অথচ, অতীতে একাধিকবার রাজ্যকে হাইকোর্ট স্মরণ করিয়ে দিয়েছে যে, ডিএ কর্মীদের অধিকার। এই ডিএ-সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে আগে হাইকোর্ট তার স্পষ্ট রায়ে জানিয়েছে— ডিএ বা মহার্ঘ ভাতা ‘সরকারের দয়ার দান’ নয়, কর্মীদের আইনি অধিকার। এই ভাতা রাজ্য সরকারি কর্মীদের প্রাপ্য।

    যা শুনে বিরোধীদের কটাক্ষ, ক্রমশ পায়ের তলার জমি যে সরে যাচ্ছে, তা ভালোমতোই টের পাচ্ছেন মমতা।

  • Abhishek Banerjee: রোড শোয়ে তৃণমূল কর্মীদের বিক্ষোভের মুখে পড়লেন অভিষেক, কোন্দল প্রকাশ্যে

    Abhishek Banerjee: রোড শোয়ে তৃণমূল কর্মীদের বিক্ষোভের মুখে পড়লেন অভিষেক, কোন্দল প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলায় নবজোয়ার যাত্রায় তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) একাধিক সভায় ব্যালট ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। এমনকী যুবরাজের সামনেও ব্যালট লুঠ হওয়ার ঘটনার সাক্ষী রয়েছেন উত্তরবঙ্গবাসী। মালদহে গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন অভিষেক। সেই জের কাটতে না কাটতেই দলীয় কর্মীদের বিক্ষোভের মুখে পড়লেন অভিষেক (Abhishek Banerjee)। সোমবার পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতারে অভিষেকের রোড শো ছিল। রাস্তার দুধারে কর্মী-সমর্থকরা জমায়েত হয়েছিলেন। রোড শো চলাকালীন অভিষেককে দেখে তৃণমূল কর্মীরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। অভিষেকের (Abhishek Banerjee) রোড শোয়ের সামনে দলীয় কর্মীদের বিক্ষোভের ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    কেন অভিষেকের (Abhishek Banerjee)  রোড শো ঘিরে বিক্ষোভ?

    গত দুদিন ধরে পূর্ব বর্ধমান জেলায় রয়েছেন অভিষেক। জামালপুর, মন্তেশ্বর, রায়নাসহ একাধিক ব্লকে নবজোয়ার কর্মসূচি করা হয়। যদিও এই সব এলাকায় ছাপ্পা ভোট দেওয়ার অভিযোগ তুলেছে দলেরই একাংশ। এদিন বিকেলে ভাতার বিধানসভায় অভিষেকের রোড শো ছিল। সেখানে বিধায়ক মানগোবিন্দ অধিকারী ও তাঁর অনুগামীরা প্রাধান্য পেয়েছেন। প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক বনমালী হাজরা ও তাঁর অনুগামীদের বিষয়টি জানানো হয়নি। ফলে, এদিন রোড শো শুরু হতেই কর্মী-সমর্থকরা জমায়েত হন। ভাতার থানার মোড়ের কাছে অভিষেকের রোড শো আসতেই বিক্ষুদ্ধ তৃণমূল কর্মীরা তাঁকে দেখে চিত্কার করে বলেন, পুরানো কর্মীদের সন্মান দিতে হবে। এলাকার বিধায়ক তোলাবাজি করছে। তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। দলীয় কর্মীদের মুখে এসব শুনে বেশ বিড়ম্বনায় পড়েন অভিষেক। যদিও তিনি বিষয়টি না শোনার ভান করেই হাত নেড়ে তিনি সেখান থেকে চলে যান। তবে, কর্মীদের চিত্কারে তৃণমূল বিধায়ক অনুগামীরা বেশ চাপে পড়ে যান।

    কী বললেন বিক্ষোভকারীরা?

    বিক্ষোভকারীদের বক্তব্য, আমরা জন্মলগ্ন থেকে তৃণমূল করছি। যারা আগে সিপিএম, বিজেপি করত, তারা এখন দলের নেতা। এলাকায় তোলাবাজি করছে। শান্তনু কোনার আগে অন্য দল করত। দল করতে গিয়ে ওর বিরুদ্ধে আমরা লড়াই করেছি। এখন ও আমাদের নেতা। আমরা তা মেনে নিতে পারব না। অন্য দল থেকে আসা লোকজনকে নিয়ে বিধায়ক এখন মাতামাতি করছেন। আমাদের মতো পুরানো কর্মীদের কোনও গুরুত্ব নেই।

    কী বললেন তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক?

    তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক বনমালী হাজরা বলেন, আমাকে দলের এই কর্মসূচির বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি। দলের নেতা অভিষেক (Abhishek Banerjee) আমার এলাকায় এসেছে বলে আমরা এসেছি। আর যারা বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন তাঁরা সকলেই পুরানো কর্মী। নিজেদের ক্ষোভের কথা দলের নেতার সামনে তাঁরা তুলে ধরেছেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে জমি দখলের অভিযোগ, সতর্ক করা হল অনুব্রত ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতাকে

    TMC: মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে জমি দখলের অভিযোগ, সতর্ক করা হল অনুব্রত ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতাকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অনুব্রত ঘনিষ্ঠ তৃণমূল (TMC) নেতার বিরুদ্ধে মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে জমি দখলের অভিযোগ করা হয়েছিল খোদ মুখ্যমন্ত্রীর কাছে৷ সদ্য অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বীরভূম সফরে এসে অভিযুক্ত ওই নেতা আব্দুল কেরিম খানের বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়ে যান৷ সেইমতো এদিন বোলপুর দলীয় কার্যালয়ে তাঁকে ডেকে বৈঠক করে জেলার কোর কমিটি। জানা গিয়েছে, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র চাওয়ার পাশাপাশি তাঁকে সতর্ক করা হয়েছে তৃণমূলের তরফে।

    কী অভিযোগ জমা পড়েছে?

    নানুরের বাসাপাড়ায় প্রতি বছর মিলন মেলা হয়৷ অভিযোগ, মেলা কমিটির নামে বিস্তীর্ণ একটি মাঠের জায়গা বিভিন্নজনের কাছে বলপূর্বক, ভয় দেখিয়ে লিখিয়ে নেওয়া হয়েছে৷ নানুরের তৃণমূল (TMC) নেতা তথা বীরভূম জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ আব্দুল কেরিম খানের বিরুদ্ধে গ্রামবাসীরা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন৷ সেই অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছিল, ‘পার্টি অফিসে ডেকে মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে মেলা কমিটির নামে জমি লিখিয়ে নেওয়া হয়েছে।’

    চাওয়া হল কাগজপত্র

    ৯ থেকে ১১ মে বীরভূম সফরে এসে জনসংযোগ যাত্রা করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ১২ মে জেলা ছেড়ে যাওয়ার আগে দলের কোর কমিটিকে ডেকে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন তিনি। জানা গিয়েছে, সেই বৈঠকেই নানুরের তৃণমূল (TMC) নেতা আব্দুল কেরিম খানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নিদান দিয়ে যান তিনি৷ সেইমতো এদিন বোলপুর দলীয় কার্যালয়ে কোর কমিটির বৈঠক ডাকা হয়৷ উপস্থিত ছিলেন সাংসদ শতাব্দী রায়, অসিত মাল, মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ, জেলা সভাধিপতি বিকাশ রায়চৌধুরী, লাভপুরের বিধায়ক অভিজিৎ সিংহ, তৃণমূল নেতা কাজল শেখ, সুদীপ্ত ঘোষ প্রমুখ৷ এই বৈঠকে জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ আব্দুল কেরিম খানকে ডাকা হয়েছিল৷ জানা গিয়েছে, কেন মেলার মাঠ দখল করেছে সে, তার কাগজপত্র চাওয়া হয়৷ পাশাপাশি তাঁকে সতর্ক করা হয়েছে।

    উঠল গোষ্ঠীকোন্দল প্রসঙ্গও

    প্রসঙ্গত, এই আব্দুল কেরিম খানের সঙ্গে দীর্ঘদিনের দ্বন্দ্ব রয়েছে নানুরের তৃণমূল (TMC) নেতা তথা কোর কমিটির সদস্য কাজল শেখের। সেই গোষ্ঠীকোন্দল প্রসঙ্গেও এদিন বৈঠকে আব্দুল কেরিম খানকে সতর্ক করা হয়েছে। বৈঠক শেষে সাংসদ শতাব্দী রায় বলেন, “অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশমতো আব্দুল কেরিম খানকে ডাকা হয়েছিল। অভিযোগ অনুযায়ী তাঁর কাছে সমস্ত কাগজপত্র চাওয়া হয়েছে। সেগুলো দেখার পর কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে, সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হবে।” কোর কমিটির আহ্বায়ক তথা জেলা সভাধিপতি বিকাশ রায়চৌধুরী বলেন, “আমরা এদিন তাঁর কাছে সব নথি চেয়েছি৷ অভিযোগ উঠেছে যখন, সেটা খতিয়ে দেখতেই হবে৷ তারপর সিদ্ধান্ত হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • NIA: দাড়িভিটে এনআইএ তদন্তে প্রকৃত সত্য উদঘাটন হবে, ফের বেসুরো আব্দুল করিম চৌধুরী

    NIA: দাড়িভিটে এনআইএ তদন্তে প্রকৃত সত্য উদঘাটন হবে, ফের বেসুরো আব্দুল করিম চৌধুরী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে দলের জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়ালের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরী। মান, অভিমান ভুলে একসঙ্গে কাজ করার কথা বলেও ছিলেন করিমসাহেব। কিন্তু, মনের মধ্যে দলের একাংশের প্রতি তাঁর রাগ যে কোনও অংশে কমেনি তা আবারও প্রমাণিত হল তাঁর ফের বেসুরো মন্তব্যে। এনআইএ (NIA) তদন্তের তিনি প্রশংসা করেছেন। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী বলেছেন তৃণমূল বিধায়ক?

    উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরে নবজোয়ার কর্মসূচি পালিত হলেও করিমসাহেবকে সেখানে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। এমনকী অভিষেকের বাড়িতে তাঁর আসার কথা থাকলেও তিনি যাননি। দলীয় কর্মী-সমর্থকদের সামনে বারে বারে এভাবে অপমান আর তিনি মেনে নিতে না পেরে ক্ষোভে ফেটে পড়েছিলেন। দলের বিরুদ্ধে তাঁর অবস্থান তিনি স্পষ্ট করেছিলেন। এমনকী অভিষেকের ডাকা বৈঠকে তিনি যোগ দেননি। পরে, অভিষেকের নির্দেশে দলের জেলা সভাপতির সঙ্গে বৈঠকের পর দুদিন চুপচাপ থেকে ফের বেসুরো করিমসাহেব। তিনি দলীয় কর্মসূচিতে গিয়ে বলেন, নেতাদের উপস্থিত বুদ্ধির অভাবে দাড়িভিট হাইস্কুলের প্রাক্তন দুই ছাত্রের অকাল মৃত্যু হয়েছে। এন আই এ (NIA) তদন্ত হলে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন হবে। প্রবীণ তৃণমূল বিধায়কের মুখে এই ধরনের মন্তব্যে রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। ইসলামপুর বিধানসভা কেন্দ্রে ১১ বারের বিধায়ক তিনি। ২০১৬ বিধানসভা নির্বাচনে তিনি কংগ্রেস প্রার্থী কানাইয়ালাল আগরওয়ালের কাছে পরাজিত হয়েছিলেন। ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনের আগে কানাইয়ালাল আগরওয়াল কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন। তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার পর কানাইয়ালাল আগরওয়ালকে রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রে প্রার্থী করেছিল দল। লোকসভা প্রার্থী হওয়ায় কানাইয়ালাল আগরওয়াল বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন। এই সামান্য কয়েকটা বছর তিনি ইসলামপুরের বিধায়ক ছিলেন না। সেই সময়েই দাড়িভিট হাইস্কুলে আন্দোলনরত দুই ছাত্রের গুলিবিদ্ধ হয়ে রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হয়েছিল। এই প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, আমি বিধায়ক থাকলে হয়তো এমন ঘটনা ঘটত না। সরকার সি আই ডি তদন্ত দিল, মৃতের পরিবার সেই তদন্তে রাজি হননি। হাইকোর্ট এন আই এ (NIA) র হাতে তদন্তভার তুলে দিয়েছে। তারাই প্রকৃত ঘটনা সামনে আনবে বলে তিনি দাবি করেন।

    কী বললেন মন্ত্রী?

    রাজ্যের মন্ত্রী তথা গোয়ালপোখরের বিধায়ক গোলাম রব্বানি বলেন, আমি তৎকালীন ইসলামপুরের বিধায়ক কানাইয়ালাল আগরওয়ালকে নিয়ে গিয়ে এলাকার স্বজনহারা পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলাম। তাদের ক্ষতিপূরনসহ চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম। কিন্তু সেই প্রস্তাব তারা মেনে নেয়নি। তবে হারা এম এল এ ওই এলাকায় যাননি বলে নাম না করে করিম চৌধুরীকে তিনি খোঁচা দেন। সি আই ডি এই মামলায় আদালতে চার্জশিট দাখিল করেছে। এন আই এ (NIA) তদন্ত নিয়ে আমাদের কিছু বলার নেই।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Shantipur: শাসকদলের সঙ্গে যুক্ত হলেই মিলছে ভাতা! শান্তিপুরের ঐতিহ্যবাহী তাঁতশিল্প ধ্বংসের পথে

    Shantipur: শাসকদলের সঙ্গে যুক্ত হলেই মিলছে ভাতা! শান্তিপুরের ঐতিহ্যবাহী তাঁতশিল্প ধ্বংসের পথে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নেই সঠিক মজুরি, নেই কোনও সরকারি পদক্ষেপ। শান্তিপুরের (Shantipur) ঐতিহ্যবাহী তাঁতশিল্প এখন ধ্বংসের পথে। এভাবে চলতে থাকলে কোনও তাঁতিকে আর খুঁজে পাওয়া যাবে না, এমনই আক্ষেপ তাঁতশিল্পীদের একাংশের।

    তাঁত শিল্পের সমস্যা

    নদিয়ার শান্তিপুর (Shantipur) এলাকার লক্ষ লক্ষ শ্রমিকের ভরসা ছিল তাঁতশিল্প। মূলত তাঁতের ওপর ভরসা করে চলত সংসার। দিন দিন পরিস্থিতি খারাপ হওয়ার ফলে আজ হাতে গোনা কয়েকজন শিল্পীই তাঁত বুনছেন। তাও কদিন আর তাঁত বুনে সংসার চালাবেন, সেটাও বুঝে উঠতে পারছেন না শিল্পীরা। তাঁতশিল্পীদের বক্তব্য, নতুন করে কেউ আর এই শিল্পের দিকে এগিয়ে আসছেন না। স্থানীয় তাঁতশিল্পীরা এর জন্য মূলত সরকারের উদাসীনতাকেই দায়ী করছেন।

    স্থানীয় তাঁতশিল্পীর অভিযোগ

    শান্তিপুরের (Shantipur) তাঁতশিল্পী অশোক প্রামাণিক প্রায় ৩৫ বছর ধরে তাঁত বুনছেন। তিনি বলেন, আগের মতো তাঁতশিল্পে আর সেভাবে মজুরি নেই। একশ্রেণির মহাজন তাঁদের মুনাফা বাড়ানোর জন্য তাঁতিদের মজুরি কমিয়ে দিয়েছে। অন্যদিকে বাইরের রাজ্য থেকে যে সমস্ত মেশিনে তৈরি কাপড় আসছে, তাতে হস্তচালিত তাঁত-কাপড়ের চাহিদা অনেকটাই কমেছে।

    সরকারের উদাসীনতা ও স্বজনপোষণ

    তাঁতশিল্পকে (Shantipur) বাঁচিয়ে রাখার জন্য সরকার উদাসীন। যথার্থ পদক্ষেপ না নেওয়ার জন্য তাঁতশিল্পের আরও সর্বনাশ এনে দিয়েছে। অভিযোগ করেন স্থানীয় তাঁতশিল্পের সঙ্গে যুক্তরা। তাঁদের আরও অভিযোগ, যারা কেবলমাত্র রাজনৈতিকভাবে শাসকদলের সঙ্গে যুক্ত, তাঁদেরকেই বেছে বেছে শিল্পীর ভাতা পাইয়ে দেওয়া হচ্ছে। সরকার স্পষ্ট স্বজনপোষণ করছে। শিল্পীদের দাবি, এখন তাঁত বুনে দিনে মাত্র ৫০ টাকা আয় হয়। সেই কারণেই সংসার চালাতে কার্যত নাজেহাল হচ্ছেন তাঁতশিল্পীরা। শিল্পীরা স্বজনপোষণের অভিযোগ তুলে বলেন, আমরা কখনও তাঁতশিল্পী হিসাবে সেভাবে কোনও ভাতাই পাইনি। আরেক বর্ষীয়ান তাঁতশিল্পী শ্যামল বসাক বলেন, মূলত মহাজনদের অতিরিক্ত মুনাফা লাভের কারণে দিন দিন তাঁতশিল্প ধ্বংসের পথে। অন্যদিকে রাজ্য সরকারের নেই কোনও পদক্ষেপ। কয়েক দশক আগে যাওবা তাঁতশিল্পীদের জন্য ছোট ছোট পদক্ষেপ নিত সরকার, এখন তাও দেখাই যায় না। পদক্ষেপ সব বন্ধ হয়ে গেছে। এত কম রোজগার করে কীভাবে সংসার চলে, সেই প্রশ্নও তোলেন তিনি।

    বিধায়কের আশ্বাস

    সমস্যার বিষয়ে শান্তিপুরের (Shantipur) বিধায়ক ব্রজকিশোর গোস্বামীকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, এর আগেও একাধিকবার চেষ্টা করা হয়েছে তাঁতশিল্পকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য। মূলত তাঁতিরা যাতে এই শিল্পের উপর নির্ভর করে সংসার চালাতে পারে, সেই দিকটা নজর রাখা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, প্রতিটি রাজনৈতিক দলের এজেন্ডা ছিল মূলত তাঁতশিল্পকে বাঁচানো নিয়ে। যেহেতু কেন্দ্র সরকার এই তাঁতশিল্প নিয়ে মূল ভূমিকা পালন করে থাকে, তাই সেদিক থেকে আমরা রাজ্যের জন্য নতুনভাবে কোনও ভাল পদক্ষেপ কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে পাইনি। তবে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের মধ্যে রাজনৈতিক টানাপোড়নের মধ্যে শান্তিপুরের ঐতিহ্যবাহী তাঁত শিল্প কি অগ্রাধিকার পাবে ? নাকি পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যাবে, সেটাই এখন দেখার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Abhishek Banerjee: পুলিশি বাধায় নবজোয়ারে ভোট দিতে পারলেন না বহু তৃণমূল কর্মী, কোন্দল প্রকাশ্যে

    Abhishek Banerjee: পুলিশি বাধায় নবজোয়ারে ভোট দিতে পারলেন না বহু তৃণমূল কর্মী, কোন্দল প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নবজোয়ার কর্মসূচিতে ভোটদানে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠল পুলিশের বিরুদ্ধে। পঞ্চায়েতে যোগ্য প্রার্থী ঠিক করার জন্য তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) নির্দেশে নবজোয়ার কর্মসূচিতে ভোট দিতে এসেছিলেন তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা। কিন্তু, তৃণমূলের ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীর নির্দেশে পুলিশি বাধার মুখে পড়ে বহু ভোটার ভোট দিতে পারলেন না। রবিবার এই ঘটনার সাক্ষী থাকল পূর্ব বর্ধমান জেলার রায়না-২ ব্লকের গোতান এলাকার মানুষ। এর আগে এই জেলার জামালপুরেই ছাপ্পা ভোট দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। মন্তেশ্বর ব্লকেও একই ঘটনা ঘটেছিল। এবার রায়না-২ ব্লকে পুলিশকে দিয়ে ভোটদানে বাধা দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল ফের প্রকাশ্যে চলে এসেছে।

    ঠিক কী ঘটেছে?

    অভিষেকের (Abhishek Banerjee) নবজোয়ার কর্মসূচিতে রায়না-২ ব্লকে ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের প্রার্থী বাছাইয়ের জন্য ভোটগ্রহণের ব্যবস্থা করা হয়। এই ব্লকের গোতান সহ একাধিক অঞ্চলের হাজার হাজার তৃণমূলের কর্মী-সমর্থক ভোট দিতে আসেন। অভিযোগ, যারা প্রকৃত ভোটার, যাদের তালিকায় নাম নথিভুক্ত আছে তারা ভোট প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে পারছে না। পুলিশ দিয়ে তাদের ঢুকতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। তৃণমূলের অন্য গোষ্ঠীর লোকজন বেআইনিভাবে প্রকৃত ভোটারদের জায়গায় ভোট দিয়ে দিচ্ছেন। পরিস্থিতি আঁচ করে বঞ্চিতরা যাতে ফোনে ভোট দিতে পারেন তারজন্য একটি নম্বর দিয়েছেন অভিষেক। সেখানে তৃণমূল কর্মীরা নিজেদের মতামত জানাতে পারবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

    কী বললেন বিক্ষুব্ধ তৃণমূল নেতারা?

    বিক্ষুব্ধ তৃণমূল কর্মীদের বক্তব্য, অভিষেকের (Abhishek Banerjee) নির্দেশ মতো আমরা প্রায় আড়াই হাজার কর্মী-সমর্থক ভোট দিতে এসেছিলাম। কিন্তু, আমরা ভোট দিতে পারিনি। তৃণমূলের পদাধিকারীদের নির্দেশে পুলিশ আমাদের ভোট দিতে বাধা দেয়। সাহেব আলি খান নামে এক বিক্ষুব্ধ কর্মী বলেন, স্বচ্ছ ভাবমূর্তির প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার জন্যই প্রতিটি বুথ থেকে দেড়শো জন করে কর্মী এখানে এসেছিল। কাউকে ভোট দিতে দেওয়া হয়নি। তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক (Abhishek Banerjee) একটি ফোন নম্বর দিয়েছেন, সেই নম্বরে যোগাযোগ করে এখন ভোট দেব। তবে, কর্মীরা এসে ভোট দিতে না পেরে হতাশ হয়েছেন।

    কী বললেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব?

    তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি অসিত মাল বলেন, দলের নির্দেশ মত এবং দলের নির্ধারিত নিয়ম অনুযায়ী ভোট প্রক্রিয়া চলছে। শান্তিপূর্ণভাবে ভোট হয়েছে। পুলিশ কী বাধা দিয়েছে তা জানা নেই। জেলা তৃণমূলের সম্পাদক সৈয়দ কলিমুদ্দিন বলেন, সামান্য একটু গণ্ডগোল হয়েছিল। এখন তা মিটে গিয়েছে। পুলিশের বিরুদ্ধে কে কী বলল তা আমাদের জানা নেই।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Gangarampur: ট্যাপকলের কাদামাখা জলেই স্নান, বাসনমাজা! ক্ষোভের পারদ চড়ছে আদিবাসী গ্রামে

    Gangarampur: ট্যাপকলের কাদামাখা জলেই স্নান, বাসনমাজা! ক্ষোভের পারদ চড়ছে আদিবাসী গ্রামে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আদিবাসী গ্রামে জলের জন্য হাহাকার। এ দৃশ্য গঙ্গারামপুরের (Gangarampur) রামচণ্ডীপুরের। ফুটো পাইপ থেকে কাদাগোলা জল বেরচ্ছে। সেই জল সংগ্রহের জন্যও হুড়োহুড়ি গ্রামের মা-কাকিমাদের। সঙ্গে রয়েছে খুদেরাও। তবে এই জল পান করেন না অনেকেই। গেরস্থালির কাজে ব্যবহার করে থাকেন। পানীয় জলের ট্যাপকলের পাইপের ফুটো দিয়ে নোংরা, কাদা মিশছে। তবে বাধ্য হয়ে এই অস্বাস্থ্যকর জল পান করেই অসুস্থ হচ্ছেন কেউ কেউ। এলাকাবাসীর অভিযোগ, তীব্র সঙ্কটে দমদমা পঞ্চায়েতের রামচন্দ্রপুরের ৬০-৭০টি আদিবাসী পরিবারের দিকে নজর নেই কোনও কর্তার।

    মূল সমস্যা কী?

    দীর্ঘদিন ধরে রামচণ্ডীপুর এলাকায় (Gangarampur) চার-চারটি নলকূপ অকেজো হয়ে পড়ে রয়েছে। টাইমকল রয়েছে। তবে সেই কলের পাইপ ফুটো হয়ে গিয়েছে। ফলে ফুটো পাইপ দিয়ে নোংরা ও মাটি ঢুকে কলের জলে মিশছে। অথচ অপরিশ্রুত ওই জল দিয়েই দৈনন্দিন কাজকর্ম চালাতে হচ্ছে গ্রামের বাসিন্দাদের। নোংরা জল পান করার ফলে অনেকে অসুস্থও হয়ে পড়ছেন। এমন অবস্থায় প্রশাসনের কাছে পানীয় জলের সঙ্কট দূর করতে সরকারি নলকূপ সংস্কারের দাবি তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। কালদিঘি রামচন্দ্রপুরের একাংশে জলকষ্ট এমন ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে যে, স্থানীয় বাসিন্দারা টাইমকলের পাইপের ফুটো অংশ থেকে নির্গত হওয়া কাদামাখা জলই নিরুপায় হয়ে সংগ্রহ করছেন। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, টাইমকলে প্রতিদিন ঠিকমতো জল আসে না। যদিও বা জল পাওয়া যায়, তাও এলাকার সাধারণ মানুষের কাছে পর্যাপ্ত নয়। তীব্র গরমের মধ্যে জল নিতে হুড়োহুড়ি পড়ছে। এই কাদা জলে চলছে স্নান করা, বাসন মাজার মতো দৈনন্দিন কাজকর্ম। তাই সঙ্কট বেশ তীব্র এলাকায়।

    স্থানীয় মানুষের অভিযোগ

    স্থানীয় এক গৃহবধূর বক্তব্য, রামচন্দ্রপুর এলাকায় (Gangarampur) চারটি নলকূপ দীর্ঘদিন ধরে খারাপ হয়ে পড়ে আছে। প্রশাসন, গ্রাম পঞ্চায়েতে বিষয়টি জানালেও নলকূপ সংস্কারের কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। টাইমকলের উপর নির্ভর করেই আমাদের চলতে হচ্ছে। কিন্তু সেখানেও নিয়মিত জল আসে না। চরম দুর্বিসহ অবস্থায় দিন কাটছে আমাদের। আমরা এই পানীয় জলের সমস্যা থেকে মুক্তি চাই। স্থানীয় গৃহবধূ পূর্ণিমা দেবনাথের বক্তব্য, ‘নলকূপ দীর্ঘদিন ধরে খারাপ রয়েছে। আমাদের এলাকার অধিকাংশ মানুষের নলকূপ বসানোর মতো সামর্থ্য নেই। এলাকা থেকে বহু দূরে টাইমকল অবস্থিত হওয়ায় জল আনতে খুব সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। তাতেও ঠিকমতো জল পাওয়া যায় না। তাই বাধ্য হয়ে ট্যাপকলের কাদামাখা জল আমাদের সংগ্রহ করতে হচ্ছে। এই কাদামাখা জলে স্নান, বাসন মাজা সহ অন্যান্য দৈনন্দিন কাজ করছি। আশপাশে কোনও জলাশয় না থাকায় সঙ্কট আরও তীব্র হয়ে উঠেছে। এবিষয়ে গ্রাম পঞ্চায়েতকে জানিয়েও কোনও কাজ হয়নি। স্থানীয় মানুষ বলেন, ভোটের সময় সকলে আসেন। তারপর আর সঙ্কটের সময় কাউকে দেখা যায় না।

    প্রশাসনের বক্তব্য

    এবিষয়ে গঙ্গারামপুরের (Gangarampur) বিডিও দাওয়া শেরপা জানান, ভূগর্ভস্থ জলস্তর নীচে নেমে যাওয়ার কারণে বিভিন্ন জায়গায় জলের সমস্যা হচ্ছে। তবে সরকারি নলকূপ সংস্কারের জন্য লোক যাচ্ছে। আশা করছি, খুব দ্রুত ওই এলাকায় নলকূপ সংস্কার করে সমস্যার সমাধান করা হবে। প্রশাসনের আশ্বাস মিললেও কবে সমস্যার সমাধান হবে, তাই এখন দেখার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share