Tag: Madhyom

Madhyom

  • Salboni: মন্ত্রীর বাড়ির কাছে সাত বছর ধরে বন্ধ তফশিলি জাতি ও উপজাতি ছাত্রাবাস

    Salboni: মন্ত্রীর বাড়ির কাছে সাত বছর ধরে বন্ধ তফশিলি জাতি ও উপজাতি ছাত্রাবাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পিছিয়ে থাকা জাতি ও উপজাতিদের শিক্ষার প্রসারে বারবার নানা প্রকল্পের কথাও শোনা যায় শাসক দলের নেতা-মন্ত্রীদের গলায়। কিন্তু  তফশিলি জাতি ও উপজাতি ছাত্রাবাসের (Salboni) উল্টো দিকেই রাজ্যের মন্ত্রী শ্রীকান্ত মাহাতোর বাড়ি আর তাঁর বাড়ির সামনেই গত সাতবছর ধরে বন্ধ ছাত্রাবাস। তবে প্রত্যন্ত জঙ্গলমহলে চিত্রটা ঠিক কি তাই উঠে এলো সাধারণ মানুষের কণ্ঠে।

    বর্তমান ছাত্রাবাসের অবস্থা

    ১৯৮০ সালে তৈরি হয়েছিল শালবনি উচ্চ বিদ্যালয়ের  তফশিলি জাতি ও উপজাতি সমাজের পড়ুয়াদের জন্য বিশেষ ছাত্রাবাস। কিন্তু যে উদ্দেশ্য নিয়ে তৈরি হয়েছিল তা বাস্তবায়িত হচ্ছেনা বলে অভিযোগ উঠছে। এলাকার মানুষ অভিযোগ করছেন দীর্ঘ সাত বছর ধরে অত্যন্ত জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে রয়েছে এই ছাত্রাবাসটি। প্রত্যন্ত প্রান্তিক এলাকায় আদিবাসী সমাজের পড়ুয়ারা থেকে-খেয়ে পড়াশুনা করবেন এই উদ্দেশ্যেই তৈরি হয়েছিল এই ছাত্রাবাস। আদিবাসী সমাজের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন করে প্রান্তিক এলাকায় শিক্ষার আলো পৌঁছানোর একটা বিশেষ মাধ্যম ছিল এই শালবনীর ছাত্রাবাস (Salboni)। স্কুলের গায়েই এই ছাত্রাবাস। পরিকাঠামো থাকলেও কোন সমন্বয় নেই বলে অভিযোগ করছে এলাকাবাসী।

    কেন বন্ধ ছাত্রাবাস?

    বর্তমানে সরকার এবং স্কুল কর্তৃপক্ষের বিশেষ গাফিলতি রয়েছে এই বন্ধের পিছনে। পড়ুয়া না থাকায় সচল নেই, তাই ছাত্রাবাসে যত্রতত্র গজিয়ে উঠেছে আগাছা ঝোপজঙ্গল। বন্ধ ছাত্রাবাসে অসামাজিক কাজকর্ম চলে রাত হলেই, তাই যত্রতত্র পড়ে রয়েছে মদের বোতল। স্থানীয় সুমন মাহাতো বলেন, ছাত্রাবাস (Salboni) বন্ধের জন্য শুধু শিক্ষা দফতরের গাফিলতি নয় রাজ্য সরকারও সঠিক ভূমিকা পালন করছেন না। স্থানীয় কুড়মি সমাজের জেলা সম্পাদক অনিমেষ মাহাতো বলেন, সবটাই ঘটছে রাজ্য সরকারের মন্ত্রী শ্রীকান্ত মাহাতোর গাফিলতির জন্য। মন্ত্রী হয়েও তফশিলি জাতি-উপজাতিদের বিষয় নিয়ে কিছু করছেন না বলে বিশেষ অভিযোগও করেন। প্রত্যন্ত অঞ্চলে একটা ভালো স্কুলে তফশিলি সমাজের পড়ুয়ারা যাতে থেকে পড়াশুনা করবেন এটাই এলাকার মানুষ চান কিন্তু আজ সেই উদ্দেশ্য ব্যর্থ।

    স্কুল কর্তৃপক্ষ এবং প্রশাসনের ভূমিকা

    ক্যামেরার সামনে প্রতিক্রিয়া দিতে নারাজ স্কুল কর্তৃপক্ষ। স্কুলের প্রধান শিক্ষক সুধাংশু শেখর বাগ জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরেই আবাসিকদের অভাবে ধুঁকছিল ছাত্রাবাসটি (Salboni)। এই নিয়ে একাধিক সময় স্কুল শিক্ষা দফতরকে রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে স্কুলের তরফে। অবশেষে তারা বাধ্য হয়েই বন্ধ করে দিয়েছেন ছাত্রাবাসটি। জেলাশাসক খুরশিদ আলী কাদেরী গোটা বিষয় নিয়ে বলেছেন, ছাত্রাবাস নিয়ে বিডিও সাহেবকে তথ্য ও রিপোর্ট দিতে বলেছি। তথ্য পেলে কেন বন্ধ জানাতে পারবেন বলে জানিয়েছেন জেলা শাসক। বর্তমানে দীর্ঘদিন ধরেই ছাত্রাবাস বন্ধ হওয়ায় ক্ষুব্ধ এলাকার  তফশিলি জাতি-উপজাতির মানুষেরা। কবে এখন এই ছাত্রাবাস আবার খোলা হয় তাই এখন দেখার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Wife: স্ত্রীকে লক্ষ্য করে গুলি চালাল স্বামী, কারণ জানলে চমকে উঠবেন

    Wife: স্ত্রীকে লক্ষ্য করে গুলি চালাল স্বামী, কারণ জানলে চমকে উঠবেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শ্বশুরবাড়িতে এসে স্ত্রীকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর অভিযোগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুর বিধানসভার ভূপতিনগরের পাঁউশী গ্রামে। পুলিশ জানিয়েছে, জখম স্ত্রীর নাম যমুনা দলপতি। আর অভিযুক্ত স্বামীর নাম দীপঙ্কর দলপতি। গুরুতর জখম ওই বধূকে প্রথমে ভূপতিনগর-মুগবেড়িয়া গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরে, তমলুক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিত্সকরা জানিয়েছেন, রোগীর অবস্থা স্থিতিশীল। ইতিমধ্যেই থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত স্বামী পলাতক। জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, অভিযোগ হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।

    কেন স্ত্রীকে গুলি করল স্বামী?

    অভিযুক্ত দীপঙ্কর কর্মসূত্রে বাইরেই থাকে। কখনও সে ট্রলারে মাছ ধরতে চলে যায় গভীর সমুদ্রে, কখনো বা কাজের জন্য ভিন রাজ্যে পাড়ি দেয়। তবে, বাড়ি ফিরে এসেই স্ত্রীর ওপর অকথ্য অত্যাচার চালাত বলে অভিযোগ। এই নিয়ে একাধিকবার সালিশি সভা বসে। তাতে কোনও লাভ হয়নি। দীপঙ্করের অত্যাচার তাতে কমেনি বলেই অভিযোগ। শেষ পর্যন্ত স্বামীর বাড়ি ছেড়ে বাবার বাড়িতে এসে আশ্রয় নেন যমুনাদেবী। স্ত্রীকে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য শ্বশুরবাড়িতে বহুবার গিয়েছে দীপঙ্কর। কখনও বাড়িতে আসার জন্য অনুরোধ করেছে। কখনও আবার ভয় দেখিয়েছে। কিন্তু, কোনও কিছুতেই কাজ হচ্ছিল না। তাই শেষ পর্যন্ত ১১ মে সে শ্বশুরবাড়িতে আসে। স্ত্রীকে বাড়ি যাওয়ার কথা সে বলে। স্ত্রী তার প্রস্তাবে রাজি হয়নি। এরপরই স্ত্রীকে লক্ষ্য করে সে দু রাউন্ড গুলি চালায় বলে অভিযোগ। একটি গুলি লাগে ডান হাতে। গুলির শব্দে আতঙ্ক ছড়ায় এলাকায়। স্থানীয় মানুষজন জড়ো হতেই সে এলাকা ছেড়ে পালায়। হাসপাতালে ওই বধূকে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালে এক্স রে করে দেখা যায়, ওই বধূর ডান হাতের কনুই এর কাছে ঢুকে রয়েছে একটি গুলি।

    কী বললেন আক্রান্ত বধূ ও তাঁর পরিবারের লোকজন?

    হাসপাতালের বেডে শুয়ে যমুনাদেবী বলেন, “অন্যবারের মতো শ্বশুরবাড়ি যাওয়ার জন্য ও বলে। কিন্তু, ওর অত্যাচারের কথা ভেবে আমি শ্বশুরবাড়ি যেতে রাজি হইনি। ও এভাবে গুলি করে দেবে তা ভাবতে পারিনি।” যমুনার বাবা সুধাংশু মিদ্যার অভিযোগ, “এর আগে মেয়েকে মেরে মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে, নাক ফাটিয়ে দিয়েছে জামাই। আমরা অবিলম্বে তার শাস্তির দাবি করছি।” রাজনৈতিক সংঘর্ষে বারবার উঠে এসেছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ভগবানপুরের পাঁউশী এলাকার নাম। সেই এলাকায় স্বামী-স্ত্রীর গণ্ডগোলে গুলি চালানোর ঘটনায় রীতিমত চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। এইসব আগ্নেয়াস্ত্র আসছে কোথা থেকে? সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা কোথায়? এই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন আমজনতা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Elon Musk: ট্যুইটারের নতুন সিইও লিন্ডা ইয়াকারিনো! ঘোষণা ইলন মাস্কের, কে তিনি?

    Elon Musk: ট্যুইটারের নতুন সিইও লিন্ডা ইয়াকারিনো! ঘোষণা ইলন মাস্কের, কে তিনি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ট্যুইটারের নতুন চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার হলেন লিন্ডা ইয়াকারিনো। জানা গেছে, ২০১১ সাল থেকে এনবিসি ইউনিভার্সালের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন লিন্ডা। কোম্পানির গ্লোবাল এইড অ্যান্ড পার্টনারশিপে প্রেসিডেন্ট হিসেবে কাজ করেছেন দীর্ঘদিন। শুক্রবার ট্যুইটারের কর্ণধার ইলন মাস্ক (Elon Musk) লেখেন, ‘‘ট্যুইটারে নতুন সিইও হিসেবে লিন্ডা ইয়াকারিনোকে স্বাগত জানাতে পেরে আমি খুশি। লিন্ডা কোম্পানির প্রাথমিকভাবে ব্যবসায়িক বিষয়গুলি দেখবে। অন্যদিকে আমি প্রোডাক্ট ডিজাইন ও নতুন প্রযুক্তির দিকে নজর রাখব।’’

    বৃহস্পতিবারই ইলন মাস্ক ইঙ্গিত দিয়েছিলেন নতুন সিইও ঘোষণা হতে পারে

    চলতি সপ্তাহের বৃহস্পতিবারই ইঙ্গিত পাওয়া গেছিল ট্যুইটারে নতুন সিইও-র নামের সন্ধান ইলন মাস্ক (Elon Musk) পেয়ে গেছেন। তবে তখনও লিন্ডার নাম প্রকাশ্যে আসেনি। এরই মাঝে জল্পনা শুরু হয় একাধিক নাম নিয়ে। জল্পনার অবসান ঘটে শুক্রবার রাত্রি ৯:২০ নাগাদ, যখন ট্যুইট করে নতুন সিইও-র নাম প্রকাশ করেন ধনকুবের ইলন মাস্ক (Elon Musk)।

    শোনা যাচ্ছে, লিন্ডা ছাড়াও আরও বেশ কয়েকটি নাম ট্যুইটারের পরবর্তী সিইও-র দৌড়ে ছিল, ইয়াহুর প্রাক্তন সিইও মরিসা মায়ার, প্রাক্তন ইউটিউব সিইও সুসানের নাম। উঠে এসেছিল ইলনের মহাকাশযান গবেষণা সংস্থা স্পেসএক্সের প্রেসিডেন্ট গুয়েন শটওয়েল এবং টেসলা-এর চেয়ারম্যান রবিন ডেনহোমের নামও। কিন্তু শেষ মুহূর্তে বাজি মেরে দেন লিন্ডা। সূত্রের খবর, গত মাসেই মিয়ামিতে ইলনের (Elon Musk) সাক্ষাৎকার নিয়েছিলেন লিন্ডা। সেখানে লিন্ডার সঙ্গে আলাপের পরেই ইলন তাঁকে ট্যুইটারের দায়িত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে শুরু করেন বলেও জল্পনা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: চোর তাড়াও, গ্রাম বাঁচাও! তৃণমূলের বিরুদ্ধে পোস্টারে ছয়লাপ এলাকা, কারা দিল?

    TMC: চোর তাড়াও, গ্রাম বাঁচাও! তৃণমূলের বিরুদ্ধে পোস্টারে ছয়লাপ এলাকা, কারা দিল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গ্রামের অলিতেগলিতে পোস্টারে পোস্টারে ছয়লাপ করল বিজেপি। সেই পোস্টারে লেখা রয়েছে চোর তাড়াও, গ্রাম বাঁচাও। এমনই ঘটনা ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটাল ব্লকের মনোহরপুর-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের মনোহরপুর ও হরিসিংপুর গ্রামে। একইসঙ্গে সিপিএমও গ্রামজুড়ে পোস্টার দিয়েছে। এই পঞ্চায়েতে দীর্ঘদিন ধরেই তৃণমূল (TMC) ক্ষমতায় রয়েছে। পোস্টারে কোনও দলের নাম নেই। সামনেই পঞ্চায়েত ভোট। তাই ভোটের আগে তৃণমূলকে (TMC) টার্গেট করে এই পোস্টার দিয়েছে বিরোধীরা। যা নিয়ে জেলাজুড়ে চর্চা শুরু হয়েছে।

    পোস্টার দেওয়া নিয়ে বিরোধীদের কী বক্তব্য?

    পঞ্চায়েত ভোট যত এগিয়ে আসছে, তৃণমূলের (TMC) বিরুদ্ধে আক্রমণ আরও জোরদার করছে বিরোধীরা। বিজেপি নেতা বিশ্বজিৎ জানা বলেন, রাজ্যজুড়ে সর্বস্তরে তৃণমূল (TMC) দুর্নীতি করেছে। দুর্নীতির দায়ে একাধিক বিধায়ক, মন্ত্রী সব জেলে রয়েছে। আমাদের এই পঞ্চায়েতে তৃণমূল নেতারা সব দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত। গ্রাম ভাল রাখতে এই দুর্নীতিগ্রস্ত নেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। তাই, আমরা পাড়ায় পাড়ায় এই পোস্টার দিয়েছি। এতে মানুষকে অনেকটাই সচেতন করা যাবে। সিপিএম নেতা সমীর হাজরা বলেন, ১০০ দিনের কাজ থেকে শুরু করে আবাস যোজনার বাড়ি, এলাকার সাধারণ মানুষকে না দিয়ে সমস্ত কিছুর সুবিধা নিয়েছে তৃণমূলের (TMC) নেতা কর্মীরা। তারা সকলেই চোর। তাই পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে আমাদের মূল স্লোগান চোর তাড়াও, গ্রাম বাঁচাও।

    কী বললেন তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব?

    পোস্টার নিয়ে বিরোধীদের কটাক্ষ করেছে তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব। তৃণমূলের ঘাটাল ব্লকের সভাপতি দিলীপ মাঝি বলেন, বিজেপি-সিপিএম যে এক তা এই ঘটনায় প্রমাণ হয়ে গেল। তৃণমূল (TMC) যা উন্নয়ন করেছে সেই নিরিখে মানুষ আমাদের ভোট দেবে। আর এসব দেখে বিরোধীরা ভয় পেয়ে গিয়েছে। তাই, পঞ্চায়েত ভোট যত এগিয়ে আসবে, বাম-রাম সব এক হয়ে যাবে। তবে, এসব পোস্টার দিয়ে লাভ নেই। বরং, এসব করার জন্য এলাকার মানুষ ওদের সহজেই চিনতে পারছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Buxa Tiger Reserve: বক্সার জঙ্গলে এবার কি দেখা মিলবে বাঘের? জেলাজুড়ে শোরগোল

    Buxa Tiger Reserve: বক্সার জঙ্গলে এবার কি দেখা মিলবে বাঘের? জেলাজুড়ে শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পর্যটকদের জন্য খুশির খবর। বক্সার জঙ্গলে এবার বাঘের দেখা মিলতে পারে! জঙ্গলে বাঘেদের বসবাসের উপযুক্ত পরিবেশ রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখতে এসেছিল কেন্দ্রীয় দল। বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের জীব বৈচিত্র্য ও পরিকাঠামো দেখে খুশি বাঘ সংরক্ষণ ও বাঘ সংরক্ষণের নীতি নির্ধারণের সর্বোচ্চ কর্তারা। জানা গিয়েছে, বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের (Buxa Tiger Reserve) জঙ্গলে আসেন ন্যাশনাল টাইগার কনজারভেশন অথরিটি( এন টি সি এ) ও গ্লোবাল টাইগার ফোরাম( জি টি এফ) সহ মোট তিন প্রতিনিধি দল। এদের সঙ্গে রাজ্য বন দফতরের প্রধান মুখ্য বনপাল দেবল রায় ও রাজ্য বন প্রশাসনের সর্বোচ্চ কর্তা হেড অফ ফরেস্ট সৌমিত্র দাশগুপ্ত ছিলেন। বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের জীব বৈচিত্র ও পরিকাঠামো দেখে প্রতিনিধি দলের সদস্যরা খুশি হয়েছেন। ফলে, এবার থেকে এই জঙ্গলে বাঘের দেখা মিলবে কি না তা নিয়ে জেলাজুড়ে চর্চা শুরু হয়েছে।

    কী বললেন বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের (Buxa Tiger Reserve) অধিকর্তা?

    রাজ্যের একমাত্র বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের (Buxa Tiger Reserve) বনাঞ্চল দেখতেই এই প্রতিনিধি দল এই রাজ্যে এসেছিল বলে জানা গিয়েছে। বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের অধিকর্তা অপূর্ব সেন বলেন, “আগামীদিনে এই জঙ্গলে বাঘ থাকার উপযুক্ত পরিকাঠামো রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখতে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল এসেছিল। এই দল বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের জীব বৈচিত্র্য ও পরিকাঠামো দেখে খুশি। জঙ্গলের বিভিন্ন কাজ নিয়ে আমাদের কিছু নির্দেশ দিয়ে গিয়েছেন। সেই নির্দেশ অনুযায়ী আমরা কাজ করবো।” জানা গিয়েছে, ১৯৮২ সালের বক্সা টাইগার রিজার্ভ ফরেস্ট ব্যাঘ্র প্রকল্পের মর্যাদা পায়। ৭৬০ বর্গকিলোমিটার বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের বনাঞ্চলের ৪০০ বর্গকিলোমিটার এলাকার সংরক্ষিত বনাঞ্চল। বাকি ৩৬০ বর্গকিলোমিটার বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্প (Buxa Tiger Reserve) বাফার এলাকায়। আটের দশকেও এই বনাঞ্চলে বাঘেদের সক্রিয় উপস্থিতির নজির পাওয়া গিয়েছিল। বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের বনাঞ্চল লাগোয়া বিভিন্ন বন বস্তির প্রবীণ নাগরিকরা অনেকে সেই সময় বাঘেদের গর্জনের আওয়াজ পেয়েছিলেন। 

    আটের দশকের পর থেকে এই বনাঞ্চলে বাঘেদের অস্তিত্বের তেমন কোন প্রমাণ পাওয়া যায়নি। বিভিন্ন সময় বাঘের পায়ের ছাপ, মল ও আচরের প্রমাণ মিললেও সরাসরি ক্যামেরায় ছবি ধরা পড়েনি। কিন্তু হাল ছাড়তে নারাজ ছিল বন দফতর। অসম থেকে ছয়টি বাঘ এনে এই বনাঞ্চলে ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আর সেই কারণে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের বনাঞ্চলে কয়েক দফায় সাতশোর বেশি হরিণ ছাড়া হয়। এক কথায় বক্সাকে বাঘেদের জন্য প্রস্তুতের কাজ চলছিল। আর এরই মধ্যে ২০২১ সালের ১১ ডিসেম্বর একেবারে ডোরাকাটার ছবি ক্যামেরা বন্দি হয় বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের (Buxa Tiger Reserve) জঙ্গলে। ২৩ বছর পর বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের জঙ্গলে সরাসরি বাঘ থাকার প্রমাণ মেলে। এবার সামগ্রিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে বাঘ বিষয়ে সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারক কমিটি পা রাখল বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের (Buxa Tiger Reserve) জঙ্গলে। এই পরিদর্শনকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন রাজ্যের বন কর্তারা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Imran Khan: জামিন পেয়ে ইমরান ফিরলেন লাহোর, পাকিস্তানে জরুরি অবস্থা জারির পথে শেহবাজ?

    Imran Khan: জামিন পেয়ে ইমরান ফিরলেন লাহোর, পাকিস্তানে জরুরি অবস্থা জারির পথে শেহবাজ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবশেষে জামিন মিলল পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের (Imran Khan)। জমি দুর্নীতির মামলায় চলতি মাসের ৯ তারিখে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। ইমরানের (Imran Khan) জামিনের দিনও হিংসা ছড়ায় কোর্ট চত্বরে, ৩০ মিনিটের ব্যবধানে পরপর তিনটি গুলি চলে। হঠাৎই গুলির বিকট আওয়াজে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে চারিদিকে। এরপরেই পুলিশ মাইকে ঘোষণা করে যে তাদের উপরে গুলি চালানোর ঘটনা ঘটেছে। তবে গুলিতে হতাহতের কোন খবর এখনও পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। এই গুলি চলার কারণেই তাঁকে দীর্ঘক্ষণ কোর্ট রুমে আটকে থাকতে হয় বলে জানিয়েছেন প্রাক্তন পাক অধিনায়ক। এদিন এক ভিডিও বার্তায় পিটিআই চেয়ারম্যান বলেন, ‘‘জামিন পেলেও আমাকে জোর করে আটকে রাখা হয়েছে। আমি পুরো দেশকে বলতে চাই এটা শেহবাজ সরকারের অসৎ উদ্দেশ্য, তারা আবারও কিছু করতে চায়।’’

    এর আগে, লিখিত কোর্ট অর্ডার ছাড়া ইসলামাবাদ উচ্চ আদালত ছাড়তে অস্বীকার করেন প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী। সূত্রের খবর, ইমরান খান (Imran Khan) আশঙ্কিত ছিলেন কোর্টের বাইরে বের হলেই শেহবাজ সরকারের পুলিশ আবার তাঁকে গ্রেফতার করতে পারে। দিনভর উত্তেজনার পর জামিন প্রক্রিয়া শেষ হতে রাত হয়ে যায়। তখনও কোর্ট চত্বর তেহরিক-ই-ইনসাফের সদস্যদের ভিড়ে থিকথিক করছে। রাত পৌনে ১১টা নাগাদ কোর্ট ছাড়েন ইমরান। লাহোর আদালতে তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলাতেও এদিন জামিন পান তিনি।

    ইমরানের (Imran Khan) গ্রেফতারির পরে দেশ জুড়ে হিংসা ছড়িয়ে পড়ে। বিক্ষোভের আঁচ পাকিস্তানের গণ্ডি পেরিয়ে দেখা যায় লন্ডন, কানাডা সমেত অন্যান্য দেশেও। শুক্রবার ইসলামাবাদ হাইকোর্ট তাঁকে জামিন দিল। জানা গেছে, তিনি নিজেই ইসলামাবাদ হাইকোর্টে নিজের জামিনের আবেদন জানিয়েছিলেন। ইসলামাবাদ হাইকোর্ট ইমরান খানকে দু’সপ্তাহের জন্য এই জামিন দিয়েছে বলে সূত্রের খবর। কোর্ট পাশাপাশি এও জানিয়েছে, আগামী সোমবার পর্যন্ত কোনও মামলাতেই ইমরানকে গ্রেফতার করা যাবে না। গত কয়েকদিন ধরেই পাকিস্তানের এমন কোন শহর বাকি ছিল না যেখানে হিংসা ছড়ায়নি। প্রধানমন্ত্রী শেহবাজের বাড়ি ঘেরাও থেকে শুরু করে সেনা কমান্ডোদের বাড়ি ঘেরাও করতে থাকেন তেহেরিক-ই-ইনসাফের সদস্যরা।

    জরুরি অবস্থার পথে পাকিস্তান?

    অন্যদিকে, ইমরানের মুক্তির দিনই সেদেশের সুপ্রিম কোর্টের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ। তিনি বলেন, ‘‘ইমরান খানের সমর্থকরা আইন লঙ্ঘন করেছেন। সরকারি সম্পত্তির ক্ষতি করে পিটিআইয়ের লোকজন সন্ত্রাস করেছে, লুটপাট করেছে, অগ্নিসংযোগ করেছে। এরা দেশের শত্রুর মতো সরকারি প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করেছে, আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া ইমরানের বিরুদ্ধে।’’ সূত্রের খবর এদিনই মন্ত্রিসভার বৈঠকে শেহবাজকে দেশে জরুরি অবস্থা জারির পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এখন দেখার কোন পথে যায় পাকিস্তানের রাজনৈতিক পরিস্থিতি!

    ভিডিও বার্তায় কী বললেন ইমরান (Imran Khan)?

    এদিন জামিনের পরে একটি ভিডিও বার্তা জারি করেন ইমরান খান। সেখানে তিনি দেশবাসীকে তৈরি থাকার আবেদন করেন, দেশ জুড়ে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের আন্দোলনের জন্য। ভারতীয় সময় রাত ১০:৪২ মিনিট নাগাদ ইসলামাবাদ হাইকোর্ট থেকে বের হন ইমরান খান। বর্তমানে তিনি রয়েছেন লাহোরে। তাঁর পার্টির সদস্যদের মধ্যে তখন উৎসবের মেজাজ। জনপ্রিয় পাকিস্তানি সংবাদপত্রের ভাষায়, ‘‘প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে দেখা গেল ইসলামাবাদে ডেপুটি ইনস্পেক্টর জেনারেলের গাড়িতে করে বেরোতে, সঙ্গে ছিলেন রাষ্ট্রের দেওয়া নিরাপত্তা বেষ্টনী।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMCP: অভিষেক আসার আগেই কলেজ অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ফেসবুকে বিস্ফোরক টিএমসিপি নেতা

    TMCP: অভিষেক আসার আগেই কলেজ অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ফেসবুকে বিস্ফোরক টিএমসিপি নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় শুক্রবার এসেছেন পূর্ব বর্ধমান জেলায়। তার আগে বৃহস্পতিবার জেলার মেমারি কলেজের অধ্যক্ষ দেবাশিষ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ এনে ফেসবুকে পোস্ট করলেন কলেজেরই ড্রপআউট হওয়া ছাত্র কুণাল ভট্টাচার্য (TMCP)। ওই ফেসবুক পোস্টে তিনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়াও তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ট্যাগ করেছেন। যা নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজনৈতিক মহলে। 

    কী লেখা হয়েছে ওই ফেসবুক পোস্টে?

    ফেসবুক পোস্টে কুণাল ভট্টাচার্য (TMCP) লিখেছেন, মেমারি কলেজের প্রিন্সিপাল মাসিক ২ লাখ ৩০ হাজার টাকা বেতন পান। তবুও তিনি কলেজে না এসে অ্যাড সহকারে বাড়িতে টিউশন পড়ান। ছাত্র পিছু ১২০০ থেকে ১৫০০ টাকা মাইনে নিয়ে থাকেন। যেখানে কোর্ট থেকে পুরোপুরি বলা আছে, একজন স্কুলটিচার বা শিক্ষক প্রাইভেট টিউশন পড়াতে পারবেন না, সেখানে একজন কলেজ প্রিন্সিপাল কীভাবে এইরকম ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন? এরাই আবার ডিএ-র (DA) জন্য আন্দোলনে বসে। নিজের লেখা বক্তব্যের সঙ্গে একটা ভিডিও ফেসবুক পোস্টে যুক্ত করে কুণাল সেটিকে প্রিন্সিপালের প্রাইভেট পড়ানোর ভিডিও বলে দাবি করেছেন। এমনকী কুণাল তাঁর গোটা ফেসবুক পোস্টটি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য অনুরোধও করছেন। 

    কী বললেন সেই কুণাল ভট্টাচার্য?

    এই ফেসবুক পোস্ট দেখার পর কুণাল ভট্টাচার্যর (TMCP) সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, তাঁর বাড়ি মেমারি থানার আমোদপুর গ্রামে। মেমারি কলেজের প্রিন্সিপালের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ এনে ফেসবুকে তিনিই পোস্ট করেছেন বলে কুণাল ভট্টাচার্য স্বীকার করে নেন। ‘নব জোয়ার’ কর্মসূচিকে সামনে রেখে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পূর্ব বর্ধমানে আসার আগে এমন পোস্ট কেন? এর উত্তরে কুণাল দাবি করেন, মেমারি কলেজের প্রিন্সিপালের কীর্তি আমার দলের সর্বোচ্চ নেতৃত্বের কাছে তুলে ধরার এটাই যথার্থ সময়। তাই বৃহস্পতিবার সেটাই করেছি। মেমারি কলেজের অধ্যক্ষ দেবাশিষ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিয়ে কুণাল ভট্টাচার্য দাবি করেন, “তৃণমূল কংগ্রেসের কাউকেই প্রিন্সিপাল সহ্য করতে পারেন না। কলেজের কোনও ছাত্র তৃণমূল ছাত্র পরিষদ (টিএমসিপি) করলে তাকেও প্রিন্সিপাল বিষনজরে দেখেন।” কুণালের দাবি, মেমারি কলেজে বিএ পাশ কোর্সে তিনি পড়তেন। কলেজে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ করতেন বলে তিনিও প্রিন্সিপাল দেবাশিষ চক্রবর্তীর বিষনজরে পড়েন। আর সেই কারণেই তাঁকে ২০২০ সালে ড্রপআউট হতে হয়। কুণালের আরও অভিযোগ, প্রিন্সিপাল বেশিরভাগ দিন কলেজে আসেন না। যেদিন প্রিন্সিপাল কলেজে আসেন, সেদিন তৃণমূল সমর্থক কোনও ছাত্রী কন্যাশ্রী বা রূপশ্রী প্রকল্পের সুবিধা পাবার জন্য ওনার কাছে কোনও নথিতে সই করাতে গেলে তাদের হতাশ হয়েই ফিরতে হয়। হাতে ব্যথা রয়েছে, এই অজুহাত খাড়া করে প্রিন্সিপাল সই করেন না। পাশাপাশি যে কোনও বিষয়েই প্রিন্সিপাল তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সমর্থক ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে অসহযোগিতা ও দুর্ব্যবহার করেন বলে কুণাল ভট্টাচার্যের অভিযোগ।

    কী জবাব দিলেন প্রিন্সিপাল?

    যদিও এই সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মেমারি কলেজের অধ্যক্ষ দেবাশিষ চক্রবর্তী। পাল্টা অভিযোগ এনে দেবাশিষবাবু বলেন, “এই কুণাল ভট্টাচার্য আসলে কলেজের প্রাক্তন টিএমসিপি (TMCP) নেতা তথা বর্তমান কলেজকর্মী মুকেশ শর্মার সাগরেদ। চক্রান্ত করে তাই কুণাল ভট্টাচার্য আমার নামে নানা মিথ্যা কথা লিখে ফেসবুকে পোস্ট করছে”। প্রিন্সিপাল এও বলেন, “আমি যখন রামপুরহাট কলেজে ছিলাম, তখন প্রাইভেট পড়াতাম। মেমারি কলেজে প্রিন্সিপাল পদে দায়িত্ব নেবার পর থেকে আমি প্রাইভেট পড়াই না। আমি প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে কলেজে আসি। বিকাল পাঁচটার পর কলেজ থেকে বের হই। আসলে সরকারি গাইডলাইন মেনে যথাযথভাবে কলেজ চালাচ্ছি, কোনও অনৈতিক কাজ করতে দিচ্ছি না, তাই অনেকের গাত্রদাহ হচ্ছে। তারই ফলশ্রুতি স্বরূপ ফেসবুকে আমাকে নিয়ে মিথ্যা কথা লেখা হচ্ছে। এতে কিছু যায় আসে না বলে দেবাশিষ চক্রবর্তী মন্তব্য করেছেন।

    প্রিন্সিপালের বিরুদ্ধে সরব তৃণমূল নেতৃত্বও

    অন্যদিকে মেমারি ১ নম্বর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি নিত্যানন্দ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “মেমারি কলেজের প্রিন্সিপাল দেবাশিষ চক্রবর্তী কলেজের কথা, ছাত্রছাত্রীদের কথা কিছুই ভাবেন না। উনি কলেজে স্বৈরাচারিতা চালিয়ে যাচ্ছেন। এর বিহিত হওয়া দরকার”।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam: হাকিম বদলেও হুকুম বহাল! পুর নিয়োগ দুর্নীতিতে সিবিআইতে আস্থা বিচারপতি সিনহার

    Recruitment Scam: হাকিম বদলেও হুকুম বহাল! পুর নিয়োগ দুর্নীতিতে সিবিআইতে আস্থা বিচারপতি সিনহার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাকিম বদলেও হুকুম বহাল! পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (Recruitment Scam) কলকাতা হাইকোর্টে বড়সড় ধাক্কা খেল রাজ্য সরকার। এদিন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের দেওয়া নির্দেশই বহাল রাখলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। পুরসভার নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) মামলায় তদন্ত করবে সিবিআই, এমনই নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। প্রসঙ্গত এই একই নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় কিন্তু টিভি চ্যানেলে বিচারাধীন বিষয়ে সাক্ষাৎকার দেওয়াতে তাঁকে দুটি মামলা থেকে সরিয়ে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। যার মধ্যে একটি ছিল পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) মামলা। বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে যায় এই মামলা। অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় পুরসভার নিয়োগ দুর্নীতি মামলা থেকে সরতেই পুনর্বিবেচনার আরজি জানিয়ে উচ্চ আদালতে যায় রাজ্য সরকার। সেই মামলার শুনানি ছিল শুক্রবার কিন্তু এদিন একই নির্দেশ বহাল রাখলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। মামলার পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়ে রাজ্যের পক্ষ থেকে অ্যাডভোকেট জেনারেল বলেছিলেন, ‘‘ইডির আবেদনের ভিত্তিতে পুরসভার দুর্নীতি নিয়ে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কিন্তু পুরসভার মামলা ওই বিচারপতির (অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়) বিচারাধীন বিষয় নয় তবে তিনি কীভাবে নির্দেশ দিতে পারেন?’’এই পরিপ্রেক্ষিতে মামলাকারীদের আইনজীবীর বক্তব্য ছিল, ‘‘পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে শিক্ষা দুর্নীতি মিশে রয়েছে কারণ এখানে বিপুল আর্থিক দুর্নীতি হয়েছে, সুবিধাভোগীর বিরুদ্ধে ২০০ কোটি টাকা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।’’

    শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির (Recruitment Scam) তদন্তের সূত্র ধরেই উঠে আসে পুরসভার নিয়োগ দুর্নীতি

    শিক্ষক নিয়োগের দুর্নীতির (Recruitment Scam) তদন্তে নেমে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার হাতে গ্রেফতার হন বলাগড়ের তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সূত্র ধরে হদিশ পাওয়া যায় অয়ন শীলের। জানা গেছে প্রায় ৬০টিরও বেশি পুরসভায় বেআইনি নিয়োগ প্রক্রিয়া চলেছে অয়ন শীলের হাত ধরে। ইতিমধ্যে অয়নের বিপুল সম্পত্তির হদিশও মিলেছে যার বাজার মূল্য ২০০ কোটিরও বেশি বলে দাবি করেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। পেট্রোল পাম্প, বিঘা-বিঘা জমি, অন্তত কুড়িটি ফ্ল্যাটের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে অয়নের নামে। ধৃতের ছেলে, ছেলের বান্ধবী এবং অয়নের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত শ্বেতা চক্রবর্তীকে জেরাও করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। এদিন নতুন বিচারপতির এজলাসে একই রায় বহাল থাকল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • CBSE: সিবিএসই-এর দ্বাদশ শ্রেণির ফল প্রকাশিত! পাশের হার ৮৭ শতাংশের বেশি

    CBSE: সিবিএসই-এর দ্বাদশ শ্রেণির ফল প্রকাশিত! পাশের হার ৮৭ শতাংশের বেশি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রকাশিত হল সেন্ট্রাল বোর্ড অফ সেকেন্ডারি এডুকেশন বা সিবিএসই-এর (CBSE) দ্বাদশ শ্রেণির ফল। বোর্ডে সূত্রে জানা গেছে এবারে পাশ করেছেন ৮৭.৩৩ শতাংশ। চলতি বছরে সিবিএসই (CBSE) কোন রকমের মেধাতালিকা প্রকাশ করেনি। ১ থেকে ১০ এর মধ্যে মেধাতালিকায় কতজন রয়েছেন সে বিষয়েও কিছু জানানো হয়নি। প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিল মাস অবধি চলে সিবিএসই-এর দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা। জানা গেছে, মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১৬ লক্ষ ৯৬ হাজার ৭০ জন। পড়ুয়াদের মধ্যে অস্বাস্থ্যকর প্রতিযোগিতা যাতে তৈরি না হয় সে কারণেই সিবিএসই (CBSE) এবার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে কোনও রকমের মেধা তালিকা প্রকাশ করা হবে না। সিবিএসই-এর তরফ থেকে জানানো হয়েছে, যে সমস্ত পড়ুয়ারা যেসমস্ত বিষয়ে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছেন সেই ০.১ শতাংশ পড়ুয়াকে মেধা শংসাপত্র দেওয়া হবে।

    ত্রিবান্দ্রমে পাশ করেছে ৯৯.৯১ শতাংশ… 

    সারা দেশের নিরিখে সিবিএসই-এর এই ফলাফলে সবথেকে বেশি সাফল্য অর্জন করেছে ত্রিবান্দ্রম। দেখা যাচ্ছে সেখানে পাশের হার ৯৯.৯১ শতাংশ আবার বেঙ্গালুরুতে পাশের হার দেখা যাচ্ছে ৯৮.৬৪ শতাংশ। ফলাফলে রয়েছে অন্য চমকও, দেখা যাচ্ছে ছাত্রীদের পাশের হার বেশি ছাত্রদের তুলনায়। ছাত্রীদের মধ্যে পাশের হার ৯০.৬৬ শতাংশ, অন্যদিকে ছাত্রদের পাশের হার ৮৪ শতাংশের কিছু বেশি।

    ট্যুইট কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রীর…

    ছাত্রছাত্রীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে ট্যুইট করেছেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। পাশাপাশি যাদের রেজাল্ট আশানুরূপ হয়নি তাদের কঠিন পরিশ্রমের পরামর্শও দিয়েছেন মন্ত্রী।

  • Post Poll Violence: ভোট-পরবর্তী হিংসার দু’বছর পরেও আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন বিজেপি কর্মী বাপি প্রধান

    Post Poll Violence: ভোট-পরবর্তী হিংসার দু’বছর পরেও আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন বিজেপি কর্মী বাপি প্রধান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট-পরবর্তী হিংসার প্রত্যক্ষ শিকার হয়েছিলেন আসানসোল-বারাবনি বিধানসভার অন্তর্গত পানুড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপি কর্মী বাপি প্রধান। ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর রাজনৈতিক হিংসার জেরে আক্রান্ত হন তিনি। তৃণমূলের গুন্ডাবাহিনী তাঁর ঘরে ঢুকে ভাঙচুর (Post poll violence) করে। আতঙ্কে ঘর ছেড়ে দুমাস বাইরে ছিলেন বাপি প্রধান। পুলিশের কাছে অভিযোগ করেও কোনও সুরক্ষা পাননি। তাই পরবর্তী সময়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়ে নিজের বাড়িতে ফেরেন। কিন্তু এখনও তৃণমূল সমর্থকরা বাপির গতিবিধি নজরে রেখে চলেছে। একমাত্র বিজেপি করেন বলেই বাড়িতে দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছেন তিনি।

    ফলাফলের পর কী ঘটেছিল?

    আক্রান্তরা জানিয়েছেন, ভোটের ফল প্রকাশের পর ২ রা মে থেকে এলাকায় তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা আক্রমণ শুরু করে। ফল প্রকাশের আগের দিন থেকেই শাসকদলের দৌরাত্ম্যের কারণে নিজের বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র চলে যেতে বাধ্য হয় পানুড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের চারটি পরিবার। স্থানীয় কৃষ্ণ সাউ, মনোজ ধীবর, বাপি প্রধান, প্রকাশ গড়াইয়ের পরিবারের প্রায় চল্লিশজন নিজের বাড়িঘর ছেড়ে আতঙ্কিত হয়ে অন্যত্র পালিয়েছিলেন। এছাড়াও সুজয় গড়াই, চিত্তরঞ্জনের ডিপি সং, পাপ্পু বাল্মীকি, এল ফ্রেড রজক, পরেশ ধীবরের বাড়িতে তৃণমূলের গুন্ডারা হামলা করে। প্রায় দু-মাস ধরে শাসকদলের দুষ্কৃতীদের অত্যাচারের আতঙ্কে (Post Poll Violence) বাড়ির বাইরে গিয়ে দিন কাটাতে হয়েছিল সাধারণ মানুষকে।

    অত্যাচারের চেহারা

    বাপি প্রধান বলেন, দুষ্কৃতীরা প্রথমে বাড়ির লোহার গেট ভেঙে ঢুকে দরজা-জানালা ভাঙচুর করে। তারপর বাড়ির আসবাবপত্র, ফসল, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস সবকিছু লুটপাট করে পালিয়ে যায়। কৃষ্ণ সাউ নামে এক ব্যক্তির গাড়ির চাকাগুলি সেই সময় খুলে নিয়ে চলে যায়। তৃণমূলের গুন্ডারা বাড়িতে থাকা প্রকাশ গড়াইয়ের মাকে প্রচণ্ড মারধর করে। দুষ্কৃতীরা বাপিকে বলে, একাই এসেছি তোকে মারার জন্য! তোর মাকে সরতে বল। ফেসবুকে শাসকের বিরুদ্ধে অত্যাচারের কথা বলায় মায়ের সামনেই মা-ছেলেকে নিগ্রহের শিকার হতে হয়েছিল বলে জানা যায়। এই চল্লিশজন ঘরছাড়াদের মধ্যে রয়েছেন বেশ কিছু শিশু, বৃদ্ধ নারী, যারা ভোট পরবর্তী হিংসার শিকার (Post Poll Violence) হন। অনেকে বলেছেন, নিরুপায় হয়ে বর্ডার লাগোয়া ঝাড়খণ্ডে গিয়ে তাঁরা আশ্রয় নিয়েছিলেন। পুলিশের ভূমিকা ছিল অত্যন্ত নিষ্ক্রিয়। পুলিশ-প্রশাসন সাধারণ মানুষকে দুষ্কৃতীদের হাত থেকে নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ ছিল।

    অভিযুক্ত কারা?

    আক্রান্তদের অভিযোগ, এই হামলা, মারধরে প্রত্যক্ষ মদত দেয় শাসকদলের আশ্রিত তৃণমূলের দুষ্কৃতী রাজেশ মৃধা, অজিত বাউরি, পুনস খান। এছাড়াও বাড়িঘরে লুটপাটের ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা নেয় তৃণমূলের স্থানীয় নেতা মহঃ আলম, তাঁর ভাই হাসিম আনসারি। বাড়ি ফিরলেই মারধর করবে বলে বিশেষ হুমকি (Post poll violence) দেয় শাসকদলের দুষ্কৃতীরা। তাই সকলে রাজনৈতিক হিংসার কারণে আতঙ্কিত হয়ে দিন কাটাচ্ছিলেন সেই সময়।

    বিচার ব্যবস্থার ভূমিকা

    পরিস্থিতি এতটাই খারাপ ছিল যে পরবর্তী সময় প্রতিকার চেয়ে বাড়িতে ফেরার জন্য হাইকোর্টে বিশেষ আবেদন করতে হয়েছিল আক্রান্তদের। ডিভিশন বেঞ্চের আদেশে প্রশাসন বিজেপি কর্মী বাপি প্রধান সহ পরিবারের বাকি সদস্যদের নিজের বাড়িতে ফেরাতে বাধ্য হয়েছিল। বেশ কিছুদিন এলাকায় পুলিশ পিকেটিং বসানো হয়েছিল নিরাপত্তার কথা ভেবে। আসানসোল জেলার বিজেপির সম্পাদক অভিজিৎ রায় বলেন, পুলিশ পিকেটিং থাকা সত্ত্বেও বাপি প্রধানের বাড়িতে শাসকদল আক্রমণ (Post Poll Violence) করছিল। তিনি আরও বলেন, ভোটের পরে পরিস্থিতি ঠিক কেমন ছিল, সে কথা বলে বোঝানো সম্ভব নয়। দুবছর কেটে গেলেও ভোট-পরবর্তী রাজনৈতিক হিংসার অত্যাচার থামেনি বলে এলাকার মানুষ মন্তব্য করছেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share