Tag: Madhyom

Madhyom

  • Durgapur: ‘ভোলা’র দাদাগিরিতে চরম আতঙ্কে বাজারের ব্যবসায়ী এবং ক্রেতারা!

    Durgapur: ‘ভোলা’র দাদাগিরিতে চরম আতঙ্কে বাজারের ব্যবসায়ী এবং ক্রেতারা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোলার তাণ্ডবে নাজেহাল দুর্গাপুর (Durgapur) সেন মার্কেটের ব্যবসায়ী থেকে ক্রেতারা। বৃহস্পতিবার তার গুঁতানিতে একজন জখম হয়। অভিযোগ, ভোলার তাণ্ডবে এখনও পর্যন্ত বাজারের প্রায় ৩০ জন ব্যবসায়ী এবং ক্রেতা আক্রান্ত হয়েছেন। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, ভোলা নিজের দাপটে প্রতিদিন সবজি খেয়ে নিচ্ছে। ক্রেতারা ভোলার গুঁতানির আতঙ্কে বাজারে আসছেন না। ফলে ব্যবসার ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। সেন মার্কেট ব্যাবসায়ী সমিতির কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ব্যবসায়ী সমিতির কর্তা তথা ৪১ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলার শিপুল সাহা জানান, বন দফতর এবং পুলিস-প্রশাসনের দ্বারস্থ হলেও কোনও সুরাহা হয়নি।

    দিনকে দিন বেড়েই চলেছে দাপট

    ব্যবসায়ীদের (Durgapur) সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই বাজার এলাকায় ৬-৭ টি ষাঁড় ও গরু রয়েছে। অভিযোগ, প্রতিটি গরু প্রায়ই ব্যাবসায়ীদের সবজি খেয়ে নিচ্ছে। পাশাপাশি ভোলার দাদাগিরি বেড়েই চলেছে দিনের পর দিন। ভোলা প্রায় প্রতিদিন কাউকে না কাউকে গুঁতিয়ে জখম করে চলেছে। প্রায় ৭ মাস আগে ব্যবসায়ী সজল সেনকে ব্যাপকভাবে জখম করে ভোলা। তিনি চেন্নাইয়ে লক্ষাধিক টাকা খরচ করে সাময়িক সুস্থ হয়েছেন। ভোলার তাণ্ডবে বিক্রেতা থেকে ক্রেতাদের আতঙ্ক দিনের পর দিন বেড়ে চলেছে। তাঁদের দাবি, অবিলম্বে ভোলা সহ তার সাঙ্গপাঙ্গদের বাজার থেকে অন্যত্র নিয়ে যাক প্রশাসন।

    কী বলছেন ব্যবসায়ীরা?

    বাজারের (Durgapur) সবজি ব্যবসায়ীরা বলেন, আমাদের অনেক ব্যবসায়ী ভোলার গুঁতোয় জখম হয়েছে। সজল সেন বলে একজনের শরীরে পিছন দিকে শিং ঢুকিয়ে দিয়েছিল ভোলা। আমাদের সবজি খেয়ে যেমন ক্ষতি করছে, আবার ক্রেতারা ভোলার ভয়ে বাজারমুখো হতে চাইছেন না। ব্যবসার চরম ক্ষতি হচ্ছে। আমরা ব্যবসায়ী সমিতির কাছে অভিযোগ জানিয়েছি।

    কী বললেন মার্কেট কমিটির সম্পাদক?

    প্রাক্তন কাউন্সিলার (Durgapur) শিপুল সাহা বলেন, এই সমস্যা থেকে কীভাবে মুক্তি পাওয়া যাবে, জানি না। বন দফতরে চিঠি দিয়ে জানিয়েছিলাম। পুলিশেও জানিয়েছি। কোনও সুরাহা হয়নি। আবার নতুন করে জানানো হবে। সেন মার্কেট কমিটির সম্পাদক সাগর সাহা বলেন, এদিন সকালে ভোলার গুঁতোয় ফের রাজেন্দ্র রাম বলে একজন  জখম হয়েছেন। আমরা চেষ্টা করছি, কোনও ব্যবস্থা যদি নেওয়া যায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dilip Ghosh: ‘‘৭ দিনে নার্স হলে সে কি আর জ্যান্ত রাখবে কাউকে’’! মমতাকে কটাক্ষ দিলীপের

    Dilip Ghosh: ‘‘৭ দিনে নার্স হলে সে কি আর জ্যান্ত রাখবে কাউকে’’! মমতাকে কটাক্ষ দিলীপের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবার নবান্ন সভাঘরের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পরামর্শ দেন ৩ বছর পড়িয়ে ডিপ্লোমা ডাক্তার তৈরি করা হোক। সিনিয়র নার্সদের সেমি-ডাক্তার হিসেবে উন্নীত করা হোক। পাশাপাশি, তাঁর আরও পরামর্শ, নবাগতদের পনেরো দিনের প্রশিক্ষণ দিয়েই নার্সের কাজে লাগিয়ে দেওয়া হোক। মুখ্যমন্ত্রীর এই প্রস্তাবকে তীব্র আক্রমণ করেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। তিনি বলেন, ‘‘ওনার মন্তব্যে কিছু বলার নেই। ওনার মানসিক অবস্থা ঠিক নেই। তিনি (মুখ্যমন্ত্রী) বলছেন, সাত দিনে নাকি নার্স তৈরি করা যায়। এক দু’বছরে ডাক্তার তৈরি করা যায়।’’

    আরও পড়ুন: এবার ডিপ্লোমা চিকিৎসক, ১৫ দিনেই নার্স! মুখ্যমন্ত্রীর প্রস্তাবের তীব্র সমালোচনা রাজ্যে

    মুখ্যমন্ত্রীকে একহাত নিলেন বিজেপি সাংসদ (Dilip Ghosh)

    দিলীপ ঘোষের প্রশ্ন, তাই যদি হবে তাহলে লোকেরা এত লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে বাইরে বিদেশে পড়তে যাচ্ছে কেন? তিনি বলেন, ‘‘বিদেশ থেকে ডাক্তারি পড়ে এলেও এখানে পরীক্ষা দিতে হয়। উনি তো নিজের ইচ্ছেমতো করতে পারেন না। চাইলেই তো এভাবে ডাক্তার বানিয়ে দিতে পারেন না।’’ এরপরই বিজেপি সাংসদের খোঁচা, ‘‘উনি তো বলেছিলেন সাতদিনে নার্স বানিয়ে দেবেন। সাত দিনে নার্স হয় কি? তাহলে সে কি আর জ্যান্ত রাখবে কাউকে?’’ এর সঙ্গেই দিলীপের (Dilip Ghosh) সংযোজন, ‘‘বিদেশ থেকে হাজার হাজার মেডিক্যাল পড়ুয়া ফিরে এসেছিল যখন, মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, এখানে ভর্তি করানো হবে।’’ বিজেপি সাংসদের কটাক্ষ, ‘‘আগে তাদেরকে কোথায় ভর্তি করেছেন, তারা কোথায় ডাক্তারি পড়ছে, সেই হিসাব দিন। কেবল মিথ্যা কথা বলে চালিয়ে যাচ্ছেন।’’

    নবজোয়ার কর্মসূচিকে কটাক্ষ দিলীপের (Dilip Ghosh)

    অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূলের নবজোয়ার কর্মসূচিকে একহাত নেন দিলীপ (Dilip Ghosh)। তিনি বলেন, ‘‘এসব করে কোনও লাভ হবে না। মানুষ সবই দেখতে পাচ্ছেন কীভাবে নিজেদের ভোটে নিজেরাই ঝামেলা করছে। তৃণমূল নেতা কর্মীরা কেউ একে অপরকে দেখতে পারেনা।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘বিশৃঙ্খলা হবেই। মমতা গিয়েও সামলাতে পারেননি। কারণ দলটাই কারোর কন্ট্রোলে নেই। এমন জোয়ার আসছে, ব্যালট বাক্স ভেসে চলে যাচ্ছে। এই জোয়ার আমাদের পঞ্চায়েত ভোটেও দেখতে হবে। তার প্র্যাক্টিস ম্যাচ চলছে। পার্টির ঝগড়া পার্টির মধ্যে রাখুন। সমাজে বিশৃঙ্খলা করবেন না।’’

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: ময়নায় বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়া খুনে ৩ অভিযুক্তকে শনাক্ত করলেন নিহতের স্ত্রী

    BJP: ময়নায় বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়া খুনে ৩ অভিযুক্তকে শনাক্ত করলেন নিহতের স্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ময়নার বাকচা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বিজেপির (BJP) বুথ সভাপতি বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়ার খুনে অভিযুক্ত তিনজনকে বৃহস্পতিবার শনাক্ত করলেন তাঁর স্ত্রী লক্ষীরানি ভুঁইয়া। তমলুক আদালতে গত ৮ই মে এই তিনজনকে গ্রেফতার করে তোলা হলে পুলিশের পক্ষ থেকে টিআই প্যারেডের আবেদন করা হয়। সেইমতো এদিন তমলুক সংশোধনাগারে এসে এই তিনজনকে শনাক্ত করলেন বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়ার স্ত্রী লক্ষীরানি ভুঁইয়া।

    এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার ৭

    বিজেপি কর্মী (BJP) খুনের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মোট সাতজনকে গ্রেফতার করেছে ময়না থানার পুলিশ। এর মধ্যে চারজন আছে পুলিশি হেফাজতে। বাকি তমলুক উপ সংশোধনাগরে থাকা এই তিনজনকে এদিন শনাক্ত করলেন তিনি। এরা হল শ্যামপদ মণ্ডল, সাগর মণ্ডল, মধুসূদন সাউ। তিনজনই তৃণমূলের একনিষ্ঠ কর্মী বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে। এই তিনজনকে গত ৭ তারিখে গ্রেফতার করে ৮ তারিখ তমলুক আদালতে তোলা হয়।

    কীভাবে হয়েছিল এই খুন?

    প্রসঙ্গত, ১ লা মে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ময়নার বাকচা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার গোড়ামহল গ্রামের বিজেপির (BJP) বুথ সভাপতি বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়াকে অপহরণ করে খুন করে একদল দুষ্কৃতী। বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাঁর স্ত্রী ও ছেলের সামনে থেকেই মারতে মারতে তুলে নিয়ে যায় বিজয়কৃষ্ণকে। উদ্ধার করার জন্য বারবার অনুরোধ করা হলেও পুলিশ সঠিক সময়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়নি বলেই অভিযোগ তাঁর পরিবারের। শেষ পর্যন্ত বিজেপি নেতার রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না থানার পুলিশ। ঘটনায় দোষীদের শাস্তির দাবি জানিয়ে রাজ্য পুলিশের উপর অনাস্থা প্রকাশ করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় নিহত বিজেপি (BJP) নেতার পরিবার। পুলিশের ভূমিকায় অসন্তুষ্ট আদালত, বিজেপি নেতার পরিবারের লোকজনকে নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার নির্দেশ দেয়। আদালতের সেই নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে ১০ ই মে রাতে ময়নায় নিহত বিজেপি (BJP) নেতার বাড়িতে আসেন জওয়ানরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: নন্দীগ্রামে গৃহযুদ্ধ! তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধানের হুমকিতে ঘরছাড়া দলেরই পঞ্চায়েত সদস্য

    TMC: নন্দীগ্রামে গৃহযুদ্ধ! তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধানের হুমকিতে ঘরছাড়া দলেরই পঞ্চায়েত সদস্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিরোধী রাজনৈতিক দলের কর্মী-সমর্থকদের ঘরছাড়া করার অভিযোগ বারবার উঠেছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। এবার তৃণমূল কংগ্রেসেরই পঞ্চায়েত সদস্যকে ঘরছাড়া করার অভিযোগ উঠল দলের (TMC) পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নন্দীগ্রামের। নন্দীগ্রাম এক নম্বর ব্লকের দাউদপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার পঞ্চায়েত সদস্য আব্বাস বেগ। এখানকার প্রধানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি এবং আরও কয়েকজন পঞ্চায়েত সদস্য (TMC)। সেই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে থানায় এফআইআর দায়ের করেন নন্দীগ্রাম ১ ব্লকের বিডিও। শেষ পর্যন্ত দুর্নীতির দায়ে জেলে যেতে হয় দাউদপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সেখ শামসুল ইসলামকে। প্রায় দুমাস জেলে থাকার পর ফিরে এসেছেন তিনি। কিন্তু ফেরার পর থেকেই পঞ্চায়েত সদস্য আব্বাস বেগকে নানাভাবে হুমকি দিচ্ছেন প্রধান, অভিযোগ এমনই। এমনকী প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ ওই পঞ্চায়েত সদস্যের। ইতিমধ্যেই নন্দীগ্রাম থানা সহ বিভিন্ন জায়গায় বিষয়টি জানিয়েছেন তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য। শেষ পর্যন্ত প্রাণ বাঁচাতে নন্দীগ্রাম ছেড়ে পালিয়েছেন তিনি।

    কী বলছেন ওই পঞ্চায়েত সদস্য?

    আব্বাস বেগ বলেন, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে আমি এবং অন্য দুই পঞ্চায়েত সদস্য মহামান্য হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছিলাম শামসুল ইসলামের দুর্নীতির বিরুদ্ধে। তার ভিত্তিতে তদন্ত করার পর দুমাসের জেল হয় শামসুল ইসলামের। জেল খেটে বাড়ি ফেরার পরই আমাকে ঘরছাড়া করা হয়। আমি শেখ সুফিয়ান সাহেবের অনুগামী। আলোচনার ভিত্তিতে আমাকে বাড়িতে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বাড়ি ফেরার পর ফের আমাকে ঘরছাড়া হতে হয়। নানা জায়গায় অভিযোগ জানিয়েও সুরাহা মেলেনি। কয়েকদিন আগে দাদা মারা যাওয়ার পর আমি বাড়ি ফিরেছিলাম। কিন্তু গত ৭ তারিখ শামসুল ইসলাম (TMC) আমাকে ফোন করে হুমকি দেয়, তোকে কেস তুলে নিতে হবে। না হলে মার্ডার করে দেব। তার অডিও ক্লিপ আমার কাছে আছে। আমি এ নিয়ে এফআইআর করি। তারপরই বাড়ি ঘিরে ধরে চলে হুমকি। আমি ধামসাবাদে এক আত্মীয়ের-বাড়িতে ছিলাম। সেখানেও আমাকে তাড়া করা হয়। ফলে এই মুহূর্তে আমি নন্দীগ্রামছাড়া। যে কোনও সময় খুন হয়ে যেতে পারি।

    কী বললেন পঞ্চায়েত প্রধান?

    নিজের বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পঞ্চায়েত প্রধান সেখ শামসুল ইসলাম। তিনি বলেন, পঞ্চায়েত সদস্য আব্বাস বেগ বিভিন্ন দুর্নীতিতে যুক্ত। এলাকার বহু মানুষের কাছে চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা তুলেছেন। কিন্তু চাকরি হয়নি। বহুবিধ দুর্নীতির অভিযোগ থাকায় নিজেই এলাকা ছেড়ে পালিয়েছেন।

    নবজোয়ারের আগে গৃহযুদ্ধ!

    তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) পঞ্চায়েত সদস্য এবং তৃণমূলের গ্রাম প্রধানের ফোনে কথাবার্তার অডিও রেকর্ডিং ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। পঞ্চায়েত ভোট এবং তৃণমূল কংগ্রেসের নবজোয়ার যাত্রার আগে জমি আন্দোলনের আঁতুড়ঘর নন্দীগ্রামে শাসকদলের ভয়ে তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যেরই ঘরছাড়ার এই ঘটনায় রীতিমতো শোরগোল পড়ে গেছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার রাজনৈতিক মহলে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Shyamnagar: অটোচালকদের দাদাগিরি! বেধড়ক মার চার সিভিক ভলান্টিয়ারকে

    Shyamnagar: অটোচালকদের দাদাগিরি! বেধড়ক মার চার সিভিক ভলান্টিয়ারকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শ্যামনগর (Shyamnagar) স্টেশনের সামনে অটোচালকদের দাদাগিরি। আর তার জেরেই সিভিক ভলান্টিয়ারদের বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠল অটো চালকদের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়ে উঠল এলাকা। একজন এএসআই পরিস্থিতি সামাল দিতে গেলে তাঁর ওপরও অটো চালকরা চড়াও হয় বলে অভিযোগ। অটো চালকদের হামলার জেরে একজন এএসআই, চারজন সিভিক ভলান্টিয়ার জখম হন। জখম সিভিকদের ভাটপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের এক আধিকারিক বলেন, অভিযোগ হয়েছে। হামলা চালানোর অভিযোগে সাতজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটে?

    এমনিতেই ২৪ নম্বর রেলগেটের কাছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নোটিস দেওয়া হয়েছে। তাতে লেখা রয়েছে, ২৪ নম্বর রেল গেট থেকে চৌরঙ্গী পর্যন্ত অটো, টোটো সোজা না যাওয়ার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু, প্রশাসনের নির্দেশকে অমান্য করেই অটো, টোটো চলাচল করে। এনিয়ে এক অটো চালকের সঙ্গে সিভিক ভলান্টিয়ারের বচসা হয়। এমনিতেই রাস্তার ওপর অটো দাঁড় করে অটো চালকরা যাত্রী তোলেন। যাত্রী ভর্তি না হওয়া পর্যন্ত দোকানের সামনেই অটো দাঁড়িয়ে থাকে। এই বিষয় নিয়ে সিভিকরা বলতে গেলেই অটো চালকদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। অটো চালকরা দল বেঁধে এসে সিভিকদের বেধড়ক পেটায়। পরে, বিশাল পুলিশ বাহিনী এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়।

    কী বললেন অটো চালক?

    এক অটো চালক বলেন, শ্যামনগরে (Shyamnagar) রাস্তায় অটো চলাচল করা নিয়ে সিভিকের সঙ্গে বচসা বাধে। সেই সময় এক সিভিক ভলান্টিয়ার এসে এক অটো চালকের নাক ফাটিয়ে দেয়। এক সিভিক ভলান্টিয়ার ইট নিয়ে আসে। সেই ইট কেড়ে নেওয়া হয়। এরপরই দুপক্ষের মধ্যে মারামারি হয়। তাতে দুপক্ষের কয়েকজন জখম হয়েছে। আর আমাদের সাতজনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।

    কী বললেন আক্রান্ত এএসআই?

    আক্রান্ত এএসআই বলেন, আমি শ্যামনগর (Shyamnagar) স্টেশন থেকে কিছুটা দূরে ডিউটি করছিলাম। গণ্ডগোল শুনে ছুটে আসি। এসে দেখি, অটো চালকরা সিভিকদের মারধরক করছে। একজনের মাথা ফেটে গিয়েছে। আমি ছাড়াতে গেলে আমার ওপর ওরা চড়াও হয়। আমাকে ধাক্কা মেরে রাস্তায় ওরা ফেলে দেয়। বুকে আর কোমড়ে চোট লেগেছে। মোবাইল ভেঙে গিয়েছে। অটো চালকরা আমাদের উপর দাদাগিরি করছিল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: নবজোয়ারের আগেই বিধায়কের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ দেখালেন এক ঝাঁক তৃণমূলের নেতা, কেন জানেন?

    TMC: নবজোয়ারের আগেই বিধায়কের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ দেখালেন এক ঝাঁক তৃণমূলের নেতা, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নবজোয়ার কর্মসূচিতে রাজ্যের একাধিক জেলায় ব্যালট লুটের ঘটনার সাক্ষী থেকেছেন রাজ্যবাসী। এবার নবজোয়ার কর্মসূচি শুরু হওয়ার আগেই একঝাঁক তৃণমূলের (TMC) নেতাকর্মী বৃহস্পতিবার সাংবাদিক সম্মেলন করে পূর্বস্থলী দু’নম্বর ব্লকের ব্লক সভাপতি এবং পূর্বস্থলী উত্তর বিধানসভার বিধায়ক তপন চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন। নবজোয়ার কর্মসূচি শুরু হওয়ার আগেই একসঙ্গে শাসকদলের জনপ্রতিনিধিদের বিদ্রোহের ঘটনা রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। এই ঘটনায় তৃণমূলের (TMC) গোষ্ঠীকোন্দল একেবারে প্রকাশ্যে চলে এসেছে।

    কী অভিযোগ তৃণমূলের (TMC) বিক্ষুব্ধ নেতা কর্মীদের?

    আগামীকাল পূর্বস্থলী উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রে রয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নবজোয়ার কর্মসূচি। সেই কর্মসূচিতে আমন্ত্রণ পাননি এক ঝাঁক তৃণমূলের (TMC) পঞ্চায়েত সমিতি এবং গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য। এরপর সেখানে হাজির হলে প্রাণ সংশয়ের আশঙ্কা রয়েছে এই জনপ্রতিনিধিদের। এমনই অভিযোগ তুলে এদিন পূর্বস্থলী দু’নম্বর ব্লকের সান ঘোষপাড়া এলাকার দলীয় পার্টি অফিসে সাংবাদিক সম্মেলন করেন তৃণমূলের (TMC) বিক্ষুব্ধ একাংশ। এদিনের এই সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য ফজলুল হক মন্ডল, তাপস দে, মুকসিমপাড়া পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান প্রতিমা দাস, পূর্বস্থলী পঞ্চায়েতের উপপ্রধান পঙ্কজ গঙ্গোপাধ্যায়, মুকসিমপাড়া পঞ্চায়েতের সদস্য ছালেক সেখ সহ একাধিক পঞ্চায়েত সমিতি এবং পঞ্চায়েতের জনপ্রতিনিধিরা। তাঁদের বক্তব্য, অত্যন্ত খারাপ ব্যবহার করেন বিধায়ক। কোনও কিছুতেই আমাদের আমন্ত্রণ জানানো হয় না। শুক্রবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-এর সভায় গেলে আমাদের প্রাণহানির আশঙ্কা রয়েছে। আমরা চাই না কোনওরকম বিতর্ক হোক। তাই নবজোয়ার কর্মসূচিতে আমরা কেউ যাব না। তবে, দলীয় কর্মসূচিতে না গেলেও বিধায়ক এবং ব্লক সভাপতির কার্য কলাপের বিরুদ্ধে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে একটি চিঠি আমরা দেব। সেই চিঠিও তাঁরা প্রকাশ্যে তুলে ধরেন।

    কী বললেন তৃণমূলের (TMC) বিধায়ক?

    এ প্রসঙ্গে পূর্বস্থলী উত্তর বিধানসভার তৃণমূল (TMC) বিধায়ক তপন চট্টোপাধ্যায় বলেন, নবজোয়ার কর্মসূচিতে দলের সকলেই যোগ দিতে পারেন। আর আমি হুমকি দিয়েছি এইরকম কোনও প্রমাণ ওরা দেখাতে পারবে? যা বলছে সবই মিথ্যে। বিধানসভা ভোটের সময় আমাকে হারানোর পরিকল্পনা করেছিল ওরা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Anubrata Mondal: ‘‘রাইস মিলে চুরি হচ্ছে’’! অ্যাকাউন্ট ডি-ফ্রিজের আর্জি কেষ্টর, কী জবাব দিলেন বিচারক? 

    Anubrata Mondal: ‘‘রাইস মিলে চুরি হচ্ছে’’! অ্যাকাউন্ট ডি-ফ্রিজের আর্জি কেষ্টর, কী জবাব দিলেন বিচারক? 

    মাধ্যম নিউড ডেস্ক: গরুপাচার মামলায় তিহাড় জেলবন্দি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) বৃহস্পতিবার ভার্চুয়াল হাজিরা দিলেন আসানসোলের সিবিআই আদালতে। শুনানির সময় কেষ্ট (Anubrata Mondal), বিচারক রাজেশ চক্রবর্তীকে জানান, তাঁর রাইসমিলের জিনিসপত্র চুরি হয়ে যাচ্ছে। এমনকী তাঁর অনুপস্থিতিতে জিনিসপত্র নষ্ট হয়ে যাচ্ছে বলেও দাবি করেন তৃণমূলের বীরভূম জেলার সভাপতি। এর পাশাপাশি বিচারকের কাছে ভোলেব্যোম চালকলের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলে দেওয়ারও আবেদন করেন কেষ্ট। প্রায় ২০০ শ্রমিক বেতন পাচ্ছেন না বলে অনুযোগ করেন তিনি। আরও একবার কেষ্ট সিবিআই আদালতে জানান, তাঁর শারীরিক অবস্থা মোটেও ভাল নেই। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী বিষয়টি তিহাড় জেল কর্তৃপক্ষকে জানাবেন বলে জানিয়েছেন। এদিনের শুনানিতে তাঁর সঙ্গে হাজির ছিলেন একদা দেহরক্ষী সায়গল হোসেনও। প্রসঙ্গত, দুজন একই জেলে রয়েছেন। গত মাসের ২৫ তারিখ ইডির কাছে গ্রেফতার হওয়ার পরে মেয়ে সুকন্যারও ঠাঁই হয়েছে তিহাড়ে। প্রসঙ্গত, আসানসোল জেলে ফিরতে চেয়ে কেষ্টর করা আবেদন ইতিমধ্যে খারিজ করে দিয়েছে দিল্লির রাউজ অ্যাভিনিউ কোর্ট।

    কেষ্ট-বিচারক কথোপকথন….

    সূত্রের খবর এদিনের শুনানির শুরুতেই বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘আপনাকে খুব ক্লান্ত লাগছে। অনুব্রতবাবু (Anubrata Mondal), কেমন আছেন?’’ অনুব্রত (Anubrata Mondal) জবাব দেন, ‘‘শরীর ভাল নেই। সব রকম অসুবিধা হচ্ছে।’’ বিচারক বলেন, ‘‘ডাক্তার দেখছে তো?’’ কেষ্ট উত্তর দেন, ‘‘ডাক্তার দেখাচ্ছি। জেলের মেডিক্যাল ওয়ার্ডে পড়ে আছি।’’ বিচারক বলেন, ‘‘বুঝতে পারছি।’’ এরপর বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী, সায়গলের সঙ্গে গয়না সংক্রান্ত কথোপকথন শুরু করেন। সায়গলের শুনানি শেষ হতেই অনুব্রত বলে ওঠেন, ‘‘স্যর চালকলের অ্যাকাউন্টটা খুলে দিন।’’ বিচারক তখন জিজ্ঞাসা করেন, ‘‘কোন চালকল?’’ অনুব্রত জবাব দেন, ‘‘ভোলেব্যোম চালকল। ওই দু’টি অ্যাকাউন্ট যেন খুলে দেওয়া হয়। শ্রমিকেরা বেতন পাচ্ছেন না। ২০০ শ্রমিক আছে। বহু জিনিসপত্র নষ্ট হচ্ছে।’’ উত্তরে বিচারক বলেন, ‘‘আপনার মুখের কথায় আমি কোনও অ্যাকাউন্ট তো খুলে দেওয়ার নির্দেশ দিতে পারি না। আইনজীবীর মাধ্যমে আবেদন করুন। আপনার ও সিবিআই দু’পক্ষের কথা শুনে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Abhishek Banerjee: নবজোয়ারে ভাটার টান, ক্ষুব্ধ অভিষেক কলকাতায় তলব করলেন জেলা সভাপতিকে

    Abhishek Banerjee: নবজোয়ারে ভাটার টান, ক্ষুব্ধ অভিষেক কলকাতায় তলব করলেন জেলা সভাপতিকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আলিপুরদুয়ারে শাসকদলের দুই গোষ্ঠীর লড়াই বিধানসভা ভোটের পর থেকে শুরু হয়েছে। বিধানসভা ভোটের বিপর্যয়ের পর দলের জেলা সভাপতি হিসাবে প্রকাশ চিক বরাইককে দায়িত্ব দেওয়া হয়। দায়িত্ব পাওয়ার পর দুটি পুরসভা নির্বাচনে সাফল্য আসে। ফলে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) গুডবুকে উঠে আসেন প্রকাশ। বিজেপি থেকে আসা গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা ও বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল দলের সেকেন্ড ইন কমান্ডের সুনজরে রয়েছেন। বর্তমান ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীর নেতাদের সঙ্গে অপর গোষ্ঠীর নেতাদের একটা দ্বন্দ্ব চলছে। এক গোষ্ঠীর নেতারা দলের কোনও কর্মসূচি করলে অপর গোষ্ঠী পাল্টা ক্ষমতা প্রদর্শনে পিছিয়ে থাকছে না। নেতৃত্বের ওই বিরোধ দলের নিচু তলাতেও প্রভাব ফেলছে। প্রভাব পড়েছে অভিষেকের (Abhishek Banerjee) নবজোয়ার কর্মসূচিতে।

    ঠিক কী ঘটেছে?

    প্রকাশ্যে বড় নেতারা মুখ না খুললেও আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলালকে দলীয় কর্মসূচিতে ডাকছেন না আলিপুরদুয়ার এক ব্লকের সভাপতি পীযূষ কান্তি রায়। আবার বিধায়কের কর্মসূচি সম্পর্কে তিনিও নাকি কিছুই জানতে পারছেন না দাবি পীযুষের।  এ ব্যাপারে অভিষেকের (Abhishek Banerjee) কাছে ও রিপোর্ট গিয়েছে। অভিষেকের সভায় লোক জড়ো করার ক্ষেত্রে একাধিক ব্লক সভাপতির গা ছাড়া মনোভাব দেখিয়েছেন। তা নিয়ে ঘনিষ্ঠ মহলে দলের জেলা নেতাদের একাংশের কাছে বিরক্তি প্রকাশ করেছিলেন অভিষেক। নবজোয়ার কর্মসূচির আগে এপ্রিলের শুরুতে আলিপুরদুয়ারের বাবুরহাটে গ্রামীণ এলাকায় একটি সভা করেছিলেন অভিষেক। সেই সভায় জমায়েত দেখে খুশি হননি তিনি। ২৭ এপ্রিল নবজোয়ার কর্মসূচিতে জেলায় এসেছিলেন অভিষেক (Abhishek Banerjee)। জেলার তিনটি জায়গায় তিনি সভা করেন। অভিষেকের কর্মসূচি সফল করতে একাধিক ব্লক সভাপতি সঙ্গে জেলা নেতৃত্বের অনেক ক্ষেত্রেই সমন্বয় হয়নি। একাধিক ব্লক সভাপতির কাজ করার ক্ষেত্রে ফাঁকফোকর ছিল। দলের ওই কর্মসূচিকে জেলার কর্মসূচি বলে ব্লক সভাপতিদের কয়েকজন দায় এড়িয়েছেন। ফলে, নবজোয়ারে তার ভাল প্রভাব পড়েছিল। আলিপুরদুয়ার শহর লাগোয়া একটি ক্লাবের মাঠে নবজোয়ার কর্মসূচিতে যোগ দিতে আসেন অভিষেক (Abhishek Banerjee)। সেই সভায় লোকজন ভাল ছিল না। জমায়েত দেখে অভিষেক (Abhishek Banerjee) দলের অন্দরে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। অভিষেকের নিজস্ব টিমের সদস্যরা ওই সময় জেলার সব নেতার ওপর নজরদারি চালিয়েছিলেন। তাঁদের নজরেও অসহযোগিতার বিষয়টি ধরা পড়েছে।

    নবজোয়ার কর্মসূচির পরই জেলা সভাপতিকে কলকাতায় তলব

    কয়েকমাস আগেই আলিপুরদুয়ার জেলায় ব্লক সভাপতিদের নাম ঘোষণা করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। সেই তালিকায় কি আবার রদবদল হতে চলেছে? আপাতত জেলার রাজনৈতিক মহলে এই জল্পনাই ঘোরাফেরা করছে। যদি সত্যিই রদবদল ঘটে তা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) নির্দেশে হবে বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে। নবজোয়ার কর্মসূচি শেষ হওয়ার পর পরই আলিপুরদুয়ার জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি প্রকাশ চিক বরাইককে কলকাতায় তলব করা হয়। তাঁর কলকাতায় যাওয়ায় শাসক দলের অন্দরে জল্পনা আরও বেড়ে গিয়েছে। এসব নিয়ে একেবারেই কিছু বলতে চাইছেন না। তিনি শুধু বলছেন, দলের কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজের জন্য কলকাতায় এসেছি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Indian Railways: একলাখী-বালুরঘাট স্পর্শ করল মাইলফলক, সুকান্তর উপস্থিতিতে বিদ্যুৎচালিত ইঞ্জিনের সূচনা

    Indian Railways: একলাখী-বালুরঘাট স্পর্শ করল মাইলফলক, সুকান্তর উপস্থিতিতে বিদ্যুৎচালিত ইঞ্জিনের সূচনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একলাখী-বালুরঘাট রেলপথ পরিষেবা উন্নয়নের পথে আরও একটি মাইলফলক স্পর্শ করল বৃহস্পতিবার সকালে। বালুরঘাট রেল স্টেশন (Indian Railways) থেকে এখানকার বিজেপি সাংসদ তথা দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের উপস্থিতিতে বালুরঘাট-শিলিগুড়ি ইন্টারসিটি এক্সপ্রেসের বিদ্যুৎচালিত ইঞ্জিনের সূচনা হল। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এনএফ রেলওয়ের ডিআরএম শুভেন্দু চৌধুরী সহ রেলের অন্যান্য আধিকারিকরা।

    সাংসদ সুকান্ত মজুমদার হাতে নিয়েছেন একাধিক প্রকল্প  

    একলাখী-বালুরঘাট রেল প্রকল্প (Indian Railways) চালু হয় ২০০৪ সালে, তৎকালীন রেলমন্ত্রী লালুপ্রসাদ যাদবের হাত ধরে। তারপর দীর্ঘ প্রায় কুড়ি বছর অতিক্রান্ত হয়েছে। একলাখী-বালুরঘাট রেলপথে ট্রেনের সংখ্যা বেড়েছে। উন্নত হয়েছে বেশ কিছু স্টেশন। কিন্তু এখনও এই রেল পরিষেবা সিঙ্গল লাইনে চলে। অবশ্য বুনিয়াদপুর, গঙ্গারামপুর ও রামপুর স্টেশনে সিগন্যালিং ও ক্রসিং ব্যবস্থা চালু হয়েছে। আগামী পঞ্চায়েত ও লোকসভা ভোটকে পাখির চোখ করে সাংসদ সুকান্ত মজুমদার একলাখী-বালুরঘাট রেল প্রকল্পের সামগ্রিক উন্নতির জন্য একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছেন। তার মধ্যে অন্যতম ছিল বিদ্যুতায়নের কাজ, যা মাত্র ছয়মাসের মধ্যেই সম্পূর্ণ হল।

    বালুরঘাট স্টেশনের উন্নয়নে আরও ২ কোটি 

    রেল সূত্রের খবর, আগামী দিনে বালুরঘাট থেকে সমস্ত ট্রেনই বিদ্যুৎচালিত ইঞ্জিনের দ্বারা টানা হবে। বালুরঘাট রেল স্টেশনের (Indian Railways) উন্নয়নের জন্য আরও ২ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে রেল দফতর। তারও কাজ শুরু হবে। আরও সুন্দর করে গড়ে তোলা হবে বালুরঘাট স্টেশনকে। দূরপাল্লার ট্রেন চালু করতে রেক মেনটেন্যান্স সহ অন্যান্য কাজ দ্রুতগতিতে চলছে। আগামী দু-একমাসের মধ্যেই সেই কাজ সম্পন্ন হলে বালুরঘাট থেকে গুয়াহাটি এবং দিল্লিগামী ট্রেনের ব্যবস্থা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন সুকান্ত মজুমদার। রেলের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন জেলার সাধারণ মানুষ। কিন্তু তাঁদের দাবি, বালুরঘাট থেকে মালদা সারাদিনে কিছু লোকাল ট্রেন চালানো হোক। শিক্ষা থেকে শুরু করে স্বাস্থ্য-সব ক্ষেত্রেই জেলার মানুষকে মালদায় যেতে হয়। বাসে সময় লাগে তিন ঘণ্টা, ট্রেনে গেলে দু’ঘণ্টাতেই পৌঁছে যাওয়া যায়। সেই কারণে লোকাল ট্রেনের দাবি তুলছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Imran Khan: ইমরানের পরে গ্রেফতার প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী কুরেশি! দাবি তেহরিক-ই-ইনসাফের

    Imran Khan: ইমরানের পরে গ্রেফতার প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী কুরেশি! দাবি তেহরিক-ই-ইনসাফের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইমরানের (Imran Khan) পরে এবার গ্রেফতার প্রাক্তন পাক বিদেশ মন্ত্রী কুরেশি। অন্তত এমনটাই দাবি তেহরিক-ই-ইনসাফের। বুধবার মধ্যরাত্রে কুরেশিকে অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে গেছে, শেহবাজের পুলিশ। এমনই অভিযোগ তুলে চাঞ্চল্যকর একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে ইমরানের দল। যদিও ভিডিও-এর সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম। সবমিলিয়ে আর্থিক সংকটে ভোগা পাকিস্তানের রাজনৈতিক পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছে।

    কী দেখা যাচ্ছে ভিডিওতে?

    ওই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে সাদা পোশাকের কয়েকজন লোক ইমরানের (Imran Khan) মন্ত্রিসভার বিদেশ মন্ত্রী কুরেশিকে গাড়িতে চাপিয়ে কোথাও নিয়ে যাচ্ছে। সেসময় কুরেশি তাঁর দলের সদস্যদের উদ্দেশে হাত নাড়ছেন। ইমরানের দলের সদস্যদের দাবি, কুরেশিকে কোনও গোপন আস্তানায় লুকিয়ে রেখেছে শেহবাজ সরকার।

    ইমরানের দলের একাধিক নেতাকে অপহরণের অভিযোগ শেহবাজ সরকারের বিরুদ্ধে

    শুধু ইমরান বা কুরেশি নয়, তাদের দলের একাধিক নেতাকে অন্যায়ভাবে আটক করেছে শেহবাজ সরকার, এমন দাবি তুলল তেহরিক-ই-ইনসাফ। সূত্রের খবর, দলের চেয়ারম্যান মুসারত চিমা এবং সেনেটর এজাজ চৌধুরিকে ইসলামাবাদ থেকে অপহরণ করেছে পাকিস্তানি পুলিশ। অন্যদিকে, পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্টের বাইরে থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে দলের সহ-সভাপতি ফাওয়াদ চৌধুরিকে, এমনটাই দাবি ইমরানের দলের। এ ছাড়াও গ্রেফতার করা হয়েছে দলের সেক্রেটারি জেনারেল আসাদ উমরকে। 

    অশান্ত পাকিস্তান…

    জমি দুর্নীতি মামলায় ইমরান (Imran Khan) গ্রেফতার হতেই অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে সমগ্র পাকিস্তান। সরকারি হিসেব অনুযায়ী হিংসায় মৃত এখনও অবধি ৮, আহত ২৯১। বিক্ষোভের আঁচ ছড়িয়েছে লন্ডনেও। সেখানেও ইমরানের সমর্থকরা বুধবার দীর্ঘক্ষণ ঘেরাও করে রাখেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের বাড়ি।

    আরও পড়ুন: গ্রেফতার ইমরান! মোদির বিরুদ্ধে মামলা করতে চেয়ে ট্যুইট পাক অভিনেত্রীর, কী বলল দিল্লি পুলিশ?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ। 

LinkedIn
Share