Tag: Madhyom

Madhyom

  • Malda: বিয়ের জন্য চাপ দিতেই কালিয়াচকে নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুন, দাবি পুলিশের

    Malda: বিয়ের জন্য চাপ দিতেই কালিয়াচকে নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুন, দাবি পুলিশের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মালদহের (Malda) কালিয়াচক থানার উজিরপুরে নাবালিকা খুনের কিনারা করল পুলিশ। খুনের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের নাম বিশ্বজিৎ মণ্ডল। তার বয়স ৩০ বছর। তার বাড়ি কালিয়াচক থানার রামনগর এলাকায়। সে দিনমজুরের কাজ করে। যে জায়গায় নাবালিকার দেহ উদ্ধার হয়েছে, সেখান থেকে ধৃত যুবকের বাড়ি প্রায় ২ কিলোমিটার দূরে। ইতিমধ্যেই ধৃত যুবককে ১৪ দিনের হেফাজতে নিয়ে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে।

    নাবালিকাকে কেন খুন করা হল?

    নাবালিকার দেহ উদ্ধারের পর তদন্ত শুরু করে পুলিশ। মালদহ (Malda), গাজোল, কালিয়াচক এবং ইংরেজবাজার থানার আধিকারিকদের নিয়ে একটি টিম তৈরি করা হয়। নাবালিকার দেহ উদ্ধারের পর বিভিন্ন সূত্র পেয়ে পুলিশ তল্লাশি শুরু করে। দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়। পরে, একজন খুনের কথা স্বীকার করে। পরে, তাকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পেরেছে, ৯ দিন আগে মিসডকল থেকেই ওই নাবালিকার সঙ্গে আলাপ হয়। ফোনেই দুজনের মধ্যে কথাবার্তার সূত্র ধরে সম্পর্ক গভীর হয়। এরপরই ওই নাবালিকা দেখা করার জন্য জোরাজুরি করে। ধৃত যুবক ফোনে তাকে একটি ঠিকানা বলে দেয়। সোমবার বাসে করে ওই কিশোরী সেখানে আসে। এরপর তারা দুজনে হাঁটতে হাঁটতে ঘটনাস্থল উজিরপুরে আসে। সেখানে দুজনের মধ্যে শারীরীক সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরে, ওই কিশোরী তাকে বিয়ে করার জন্য চাপ দেয়। আর ধৃত যুবক বিবাহিত। তার দুই সন্তান রয়েছে। তার পরিবারের অবস্থা বোঝানোর পর সে তা মানতে চায়নি। বরং, বিয়ের জন্য চাপ দিতে থাকে। এরপরই তার গলায় ওড়না জড়িয়ে ওই যুবক তাকে খুন করে বলে অভিযোগ।

    কী বললেন জেলা পুলিশ সুপার?

    মালদহের (Malda) পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদব বলেন, ভিডিওগ্রাফি করে ময়না তদন্ত করা হয়েছে। ৯ দিন আগে আলাপ হলেও সোমবারই তাদের দুজনের প্রথম দেখা হয়। ওই নাবালিকা বিয়ের পাশাপাশি ধৃত যুবকের বাড়ি যাওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করতে থাকে। তারপরই সে শ্বাসরোধ করে খুন করেছে বলে জানিয়েছে। আমরা সমস্ত বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। এই ঘটনার সঙ্গে আর কেউ জড়িত রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Covid 19: রাজ্যে করোনা পরীক্ষায় গাফিলতি ও উপসর্গহীন রোগীরাই বিপদ বাড়াচ্ছে প্রবীণদের

    Covid 19: রাজ্যে করোনা পরীক্ষায় গাফিলতি ও উপসর্গহীন রোগীরাই বিপদ বাড়াচ্ছে প্রবীণদের

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    করোনার নতুন প্রজাতি শক্তি বাড়ালেও, স্বাস্থ্য দফতরের পরীক্ষা প্রক্রিয়ার শক্তি বাড়ছে না। আর তাতেই রাজ্যবাসীর বিপদ বাড়ছে বলে আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকরা। দিন কয়েক হল করোনা সংক্রমণ (Covid 19) বাড়ছে। রাজ্যে করোনার পজিটিভিটি রেট ১৯ শতাংশ ছাড়িয়েছে। কলকাতা, উত্তর চব্বিশ পরগনা, হাওড়া, হুগলি জেলায় মাস্ক পরার উপর গুরুত্ব দিয়েছে প্রশাসন। কিন্তু, করোনা রুখতে সবচেয়ে জরুরি প্রক্রিয়াতেই ঢিলেঢালা মনোভাব। অভিযোগ, করোনা পরীক্ষা পর্যাপ্ত হচ্ছে না।

    বিপদ ঠিক কোথায়? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, করোনার (Covid 19) নতুন প্রজাতি আর্কটুরাসে আক্রান্তের অধিকাংশ কিন্তু উপসর্গহীন। আক্রান্তদের মধ্যে বেশিরভাগের বয়স ২০-৪৫ বছরের মধ্যে। আর উপসর্গহীন রোগী হওয়ার জেরে সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা আরও বেড়ে যাচ্ছে। এর ফলেই বিপদ বাড়ছে প্রবীণদের। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, পরিবারের কম বয়সী সদস্যরা বাইরে থেকে আক্রান্ত হচ্ছেন। উপসর্গহীন হওয়ার জেরে তাঁরা বুঝতেও পারছেন না। কিন্তু তাঁদের থেকেই রোগ সংক্রমিত হচ্ছে পরিবারের প্রবীণ সদস্যদের মধ্যে। আর বয়স্কদের নানান কো-মরবিডিটি থাকার জেরে শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক হয়ে উঠছে! 

    স্বাস্থ্য দফতরের তথ্য কী বলছে? 

    রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, গত এক সপ্তাহে রাজ্যে যে ৭ জন করোনা (Covid 19) আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে, তাদের মধ্যে ৬ জনের বয়স ৭০ বছরের বেশি। সোম ও মঙ্গলবার, এই দুদিনে রাজ্যে যে নতুন করে ৩০ জন করোনা রোগী ভর্তি হয়েছেন, তার মধ্যে ১৮ জন রোগীই ৬০-র চৌকাঠ পেরিয়েছেন। তাই করোনার এই নতুন প্রজাতির উপসর্গহীন রোগীরা বিপদ বাড়াচ্ছে প্রবীণদের।

    ব্যাপক হারে করোনা পরীক্ষা জরুরি

    রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ব্যাপক হারে করোনা (Covid 19) পরীক্ষার ব্যবস্থা করা জরুরি বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল। গত দু’সপ্তাহে কিন্তু সেই পরীক্ষা একেবারেই হয়নি। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের শুরুতেও পরীক্ষা ঠিকমতো না হওয়ার জেরে সমস্যা বেড়ে গিয়েছিল। উপসর্গহীন রোগীদের থেকে ব্যাপক হারে সংক্রমণ ছড়িয়েছিল। কিন্তু পরে করোনা পরীক্ষা বাড়ানোর জেরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। এবারেও প্রথম থেকে সেই একই রকম ঢিলেঢালা মনোভাব দেখাচ্ছে রাজ্য। অধিকাংশ সরকারি হাসপাতালে করোনা পরীক্ষার কিট পর্যাপ্ত নেই। কোনও রোগীকে হাসপাতালে ভর্তির সময়ও আবশ্যিকভাবে করোনা পরীক্ষা করা হচ্ছে না। যা বিপদ বাড়াচ্ছে। ব্যাপক হারে করোনা পরীক্ষা না হলে এই সংক্রমণ আটকানো কঠিন হয়ে উঠবে বলেই আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকেরা। 

    বিশেষজ্ঞ মহলের পরামর্শ কী? 

    বয়স্কদের বাড়তি সতর্কতা জরুরি। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, ষাটোর্ধ্ব নাগরিকরা যতটা সম্ভব ভিড় এড়িয়ে চলুন। মাস্ক ব্যবহার অপরিহার্য। শারীরিক দূরত্ববিধি বজায় রাখতে হবে। বারবার সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার অভ্যাস রাখতে হবে। তবে শুধু প্রবীণরাই নন, কম বয়সীদেরও সচেতন থাকতে হবে। তারা বাইরে যেমন স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবে, তেমনি বাড়িতেও প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবে। বাইরে থেকে এসে সাবান দিয়ে হাত ধোয়া, কিংবা স্যানিটাইজার ব্যবহারে নজর দিতে হবে। সর্দি-কাশির মতো উপসর্গ সামান্য দেখা দিলেও অবহেলা করা চলবে না। দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। দেরি করলেই সংক্রমণ ছড়িয়ে যাবে। তাই দ্রুত করোনা (Covid 19) পরীক্ষা করাতে হবে।

    স্বাস্থ্যকর্তারা কী বলছেন? 

    রাজ্যের স্বাস্থ্যকর্তারা অবশ্য বলছেন, তাঁরা করোনা (Covid 19) মোকাবিলায় তৎপর। প্রয়োজনমতো পরীক্ষা করানো হচ্ছে। তবে, করোনার টিকা না থাকার জেরেই পরিস্থিতি জটিল হতে পারে বলে তাঁদের আশঙ্কা।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি/ডায়েট পরামর্শস্বরূপ। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের সঙ্গে কথা বলুন ও সেই মতো পরামর্শ মেনে চলুন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: তৃণমূলের প্রধান, অঞ্চল সভাপতি সহ ৩০ জন পদাধিকারীর গণ ইস্তফা! কেন?

    TMC: তৃণমূলের প্রধান, অঞ্চল সভাপতি সহ ৩০ জন পদাধিকারীর গণ ইস্তফা! কেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে, তৃণমূলের (TMC) গোষ্ঠী কোন্দল তত প্রকাশ্যে চলে আসছে। ঘর গোছাতে যখন উত্তরবঙ্গে নবজোয়ার যাত্রায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ব্যস্ত, তখন পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পটাশপুর-২ ব্লকে তৃণমূলের (TMC) গোষ্ঠীকোন্দল একেবারে প্রকাশ্যে চলে এসেছে। যার জেরে দলীয় নেতা থেকে শুরু করে পঞ্চায়েতের পদাধিকারীরা গণ ইস্তফা দিলেন।

    কতজন গণইস্তফা দিয়েছেন?

    পঞ্চায়েত নির্বাচনে জোটবদ্ধ হয়ে দলীয় কর্মীদের কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন তৃণমূলের (TMC) শীর্ষস্থানীয় নেতারা। সেই সব নির্দেশকে তোয়াক্কা না করেই তৃণমূলের একদল নেতা, পঞ্চায়েত সদস্য পদত্যাগ করেছেন। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পটাশপুর-২ ব্লকের মথুরা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান, অঞ্চল তৃণমূলের সভাপতি, অঞ্চল যুব সভাপতি, পঞ্চায়েত সদস্য, তৃণমূলের (TMC) বুথ কমিটির সভাপতি সহ মোট ৩০ জন তৃণমূলের পদাধিকারী ইস্তফা দিয়েছেন। এই পটাশপুর-২ ব্লকের মথুরা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা ভগবানপুর বিধানসভার মধ্যে পড়ে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    গণইস্তফা প্রসঙ্গে কী বললেন পঞ্চায়েত প্রধান?

    দলের বিরুদ্ধে অসন্তোষ প্রকাশ করে এই গণইস্তফা বলে জানিয়েছেন তাঁরা। মূলত পঞ্চায়েত ভোটের আগে জেলা, ব্লক, অঞ্চল ও বুথ স্তর থেকে নেতৃত্বে রদবদল এনেছে তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব। সেই মতোই বিভিন্ন অঞ্চলের পাশাপাশি মথুরা পঞ্চায়েত এলাকায় অঞ্চল কমিটি ঘোষণা করা হয়। সেই কমিটিতে জায়গা না পেয়ে ব্লক নেতৃত্বের বিরুদ্ধে দলবাজির অভিযোগ তুলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এবং সেই সঙ্গে পদত্যাগ করেছেন। মথুরা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান অমিত মণ্ডল বলেন, ব্লক স্তরে দলীয় কোন্দল এবং দ্বিচারিতার জন্যই আমরা পদত্যাগ করেছি। তবে, আমি প্রধান হিসেবে একা নই, অধিকাংশ পঞ্চায়েত সদস্য পদত্যাগ করেছেন।

    কী বললেন তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব?

    কাঁথি সাংগঠনিক জেলা যুব তৃণমূলের (TMC) সভাপতি সুপ্রকাশ গিরি বলেন, দলকে ভালোবাসতে গিয়ে কর্মীরা অনেক আবেগতাড়িত হয়ে পড়েন। তাই কিছু কর্মী এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। পদ থেকে পদত্যাগ করা কোনও সমাধান নয়। বরং, সকলে মিলে জোটবদ্ধ হয়ে বিজেপিকে বাংলা থেকে উত্খাত করতে হবে।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    গণ ইস্তফার বিষয়টিকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপিও। বিজেপির কাঁথি সাংগঠনিক জেলার সহ সভাপতি স্বপন রায় বলেন, আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটে পরাজয় নিশ্চিত, বুঝে গেছে তৃণমূল (TMC) কংগ্রেসের নীচু তলার নেতা কর্মীরা। তাই এই গণ ইস্তফার সিদ্ধান্ত।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • STF: মেধাবী ছাত্রও জঙ্গি! এসটিএফের জালে যুবক, হতবাক এলাকাবাসী

    STF: মেধাবী ছাত্রও জঙ্গি! এসটিএফের জালে যুবক, হতবাক এলাকাবাসী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মামারবাড়িতে ঘুরতে এসে এসটিএফের (STF) জালে ধরা পড়ল এক যুবক। তাকে জঙ্গি সন্দেহে হুগলি থেকে গ্রেফতার করল রাজ্যের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ) (STF)। হুগলির দাদপুরে মামার বাড়িতে গা ঢাকা দিয়ে সে ছিল। সেখানে অভিযান চালিয়ে তাঁকে ধরা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত ওই যুবকের নাম সেখ নাসিম। তাঁর মামার বাড়ি দাদপুরের আমড়া গ্রামে। অসুস্থ দিদিমাকে দেখতে রবিবার বিকালে দাদপুরে গিয়েছিল নাসিম। সেখানেই সে ছিল।

    ধৃত যুবক কোন জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত?

    পুলিশ জানিয়েছে, নাসিমের বাড়ি মুর্শিদাবাদের খড়গ্রামে। সে আল কায়দার সঙ্গে জড়িত। বহু তথ্য-প্রমাণ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। সে মৌলানা পাশ করে, পড়াশোনা করছিল পাঁশকুড়ায়। মাঝে মধ্যে সে হুগলির দাদপুরে আমড়া গ্রামে মামারবাড়িতে আসত। মামারবাড়িতে এসে সে কয়েকদিন থাকত। এই এলাকায় সে এই ধরনের কোনও কার্যকলাপ শুরু করেছিল কি না এসটিএফের (STF) আধিকারিকরা তা খতিয়ে দেখছেন।

    কী করে ধরা পড়ল সে?

    দাদপুরের আমড়া গ্রামে নাসিমের মামারবাড়িতে আচমকা পুলিশ হানা দেয়। বাড়িটিকে চারিদিকে ঘিরে ফেলা হয়। এরপরই এসটিএফের (STF) আধিকারিকরা বাড়িতে ঢোকেন। নাসিমের মামা গোলাম মোস্তাফা বলেন, দরজায় কড়া নাড়ার শব্দ পেয়ে আমি বাইরের দরজা খুলে দেখি পুলিশ। জিজ্ঞাসা করে নাসিম কোথায়? নাসিম তখন দোতলার ঘরে ঘুমিয়ে ছিল। এসটিএফের টিম এরপরেই উপরে উঠে যায়। তাকে ঘুম থেকে তুলে বাড়িতেই কিছুক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ করে। পরে দাদপুর থানায় নিয়ে যায়। অ্যারেস্ট মেমোতে সই করিয়ে কলকাতায় নিয়ে যায় তাকে। তিনি আরও বলেন, দিদিমার শরীর খারাপ থাকায় সে এখানে এসেছিল। পুলিশ বলছে ভাগ্নে জঙ্গি সংগঠনের কাজের সঙ্গে যুক্ত। মইনুদ্দিন নামে কাউকে সে চেনে কিনা জিজ্ঞাসা করছিল। ভাগ্নে বলেছিল সে এমন কোনও কাজে যুক্ত নয়।

    কী বললেন এলাকাবাসী?

    এসটিএফের এই অভিযানে রীতিমতো শোরগোল পড়েছে আমড়া গ্রামে। নাসিমের মামারবাড়ির সামনে গ্রামবাসীরা জড়ো হন। স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ‘নাসিম পড়াশোনায় খুব ভালো ছিল। পুলিশ এসে তাকে ধরে নিয়ে গেল। শুনলাম সে জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত। আমরা ভাবতে পারছি না।’

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: এবার মাথাভাঙাতেও অভিষেকের সভায় ব্যালট বক্স ছিনতাই! গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে মাথা ফাটল কর্মীর

    TMC: এবার মাথাভাঙাতেও অভিষেকের সভায় ব্যালট বক্স ছিনতাই! গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে মাথা ফাটল কর্মীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কোচবিহারে অভিষেকের সভায় বিশৃঙ্খলা চলছেই। মঙ্গলবার দুপুরে সাহেবগঞ্জ, গোঁসাইমারির পরে রাতে মাথাভাঙার কলেজে শুরু হয় দলেরই দুই গোষ্ঠীর মারামারি। একগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ব্যালটবক্স ছিনতাইয়ের অভিযোগ তোলে অপর গোষ্ঠী। গণ্ডগোলের জেরে মাথা ফেটে যায় এক কর্মীর। পাশাপাশি, টি-শার্ট বিতরণকে কেন্দ্র করেও দলীয় কর্মী সমর্থকদের মধ্যে তুমুল কাড়াকাড়ি, মারামারিতে হুলুস্থুল কাণ্ড বেঁধে যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে আসরে নামতে হয় স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনকে। বিরোধী মহলের কটাক্ষ, দলের ব্যালটই যখন ছিনতাই হয়ে যাচ্ছে, তখন সেখান থেকেই স্পষ্ট বার্তা পাওয়া যাচ্ছে পঞ্চায়েত ভোটে শাসক দল কী করতে চলেছে!

    কী ঘটল মাথাভাঙায়?

    জানা গেছে, মাথাভাঙা ও পচাগর গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে এই গণ্ডগোল বেঁধে যায়। একে ওপরকে লক্ষ্য করে চলতে থাকে চেয়ার ছোড়াছুড়ি, এমনকী হাতাহাতিও হয়। বেশ কিছুক্ষণ ধরে চলে এই খণ্ডযুদ্ধ। ব্যালট বক্স ভেঙে দেওয়ার ফলে আর ভোট হয়নি। মঙ্গলবার দুপুরে মাথাভাঙায় সভা করেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এর পর শুরু হয় প্রার্থী বাছাই প্রক্রিয়া। আর তাকে ঘিরেই চরম বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়। তৃণমূল নেতারা একে অপরের বিরুদ্ধে ভোট না দিতে দেওয়ার অভিযোগ তোলেন। দেখা যায় ব্যালট বাক্সের পাশেই জ্ঞান হারিয়ে পড়ে রয়েছেন এক তৃণমূল কর্মী (TMC)। সব কিছু মিলিয়ে দলীয় ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়া স্থগিত হয়ে যায়।

    অভিষেকের হুঁশিয়ারিই সার!

    তৃণমূলের (TMC) নবজোয়ার কর্মসূচিতে দফায় দফায় মারামারি, হাতাহাতির ঘটনা ঘটেই চলেছে। অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের ঘোষণা অনুযায়ী, ভোটের মাধ্যমে দল প্রার্থী ঠিক করবে! আর সেখানেই যত বিপত্তি। সকালে সাহেবগঞ্জ ও গোঁসানিমারির ঘটনার পর এদিন রাতেও মাথাভাঙার ঘটনা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল যে অভিষেকের সতর্কবার্তার পরেও কোনও কাজ হয়নি। এবার অভিষেক তথা জেলার তৃণমূল নেতারা কী ব্যবস্থা নেন, সেই দিকেই নজর রয়েছে সকলের। একের পর এক বিশৃঙ্খলায় বিরোধী দলগুলি যে অক্সিজেন পেয়ে যাচ্ছে, একথাও চুপিসারে স্বীকার করছেন শাসক দলের বেশ কিছু নেতা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayati Raj: সামনেই ভোট, জেনে নিন জাতীয় পঞ্চায়েতি রাজ দিবসের গুরুত্ব এবং ইতিহাস

    Panchayati Raj: সামনেই ভোট, জেনে নিন জাতীয় পঞ্চায়েতি রাজ দিবসের গুরুত্ব এবং ইতিহাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে ২৪ এপ্রিল হল জাতীয় পঞ্চায়েতি রাজ (Panchayati Raj) ব্যবস্থার বিশেষ দিন। এই দিনটির মূল বিষয় হল পরিস্রুত এবং পর্যাপ্ত পানীয় জলের ব্যবস্থা করা এবং স্বচ্ছ গ্রামীণ সমাজ গঠন করা। পঞ্চায়েতি রাজ ব্যবস্থা চালু হয় ১৯৯৩ সালের ২৪ এপ্রিল। এই দিনই সাংবিধানকে সংশোধন করে প্রান্তিক গ্রামীণ এলাকায় পঞ্চায়েতি রাজ প্রতিষ্ঠান (Panchayati Raj Institutions (PRI)) স্থাপন করা হয়। এটি কেন্দ্র এবং রাজ্যের মধ্যে স্থানীয়স্তরের বিশেষ মাধ্যম হিসাবে কাজ করে থাকে।

    পঞ্চায়েতি রাজ প্রতিষ্ঠান কী?

    পঞ্চায়েতি রাজ (Panchayati Raj) প্রতিষ্ঠান হল ভারতের যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকারের স্থানীয় স্বায়ত্তশাসন ব্যবস্থা। স্থানীয় মানুষের দ্বারাই সরকারি প্রশাসন ব্যবস্থার তিনটি স্তর নির্মাণ করা হয়ে থাকে। এটি গত ২৭ বছর ধরে গ্রামীণ স্তরে সরকারের পরিষেবা নিয়ে যাওয়ার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কাজটি করে চলেছে।

    পঞ্চায়েতি রাজের ইতিহাস

    পঞ্চায়েতি রাজ (Panchayati Raj) ব্যবস্থার একটি বিশেষ ইতিহাস রয়েছে। সংস্কৃত শব্দ ‘পঞ্চ্‌’ শব্দের মানে হল ‘পাঁচ’ এবং ‘ইয়েত’ শব্দের অর্থ হল ‘বিধান’। ঋগ্বেদে বলা হয় স্থানীয় বা আঞ্চলিক সভা, সমিতি এবং বিধা। গণতান্ত্রিক পরিসরে এই শব্দের বিশেষ ব্যবহার ছিল। ভারতের মৌর্য যুগের রাজাদের সময় আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব প্রায় ৩০০ বছর সময়পর্বে রাজ্যে ছিল স্বায়ত্তশাসন। সেই সঙ্গে এটি ছিল ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ। মৌর্য যুগের পরে গুপ্ত যুগেও শাসন ব্যবস্থা একই রকম ছিল। গ্রামীণস্তরে ছিল গ্রামপতি এবং জেলাস্তরে ছিল বিষয়পতি নামযুক্ত বিশেষ পদ। কিন্তু ব্রিটিশ শাসনের সময় থেকে গ্রামীণ পঞ্চায়েতের স্বায়ত্তশাসন ব্যবস্থাকে নষ্ট করে দেওয়া হয়। ১৮৭০ সাল থেকেই আঞ্চলিক জনপ্রতিনিধিদের ব্যবস্থাকে ভেঙে দেওয়া হয়। পাশ হয় মেয়ো রেজলিউশন। নগর নিগম থেকে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হওয়ার বিশেষ নিয়ম চালু করে ব্রিটিশ সরকার। আধুনিক ভারতে পঞ্চায়েতি রাজ চালু হয় ১৯৫৯ সালে, পণ্ডিত জওহরলাল নেহেরুর আমল থেকে। কিন্তু সেই সময় এর সাংবিধানিক মান্যতা ছিল না। ১৯৯৩ সালে ৭৩ সংবিধান সংশোধন আইনের মাধ্যমে সাংবিধানিক মান্যতা লাভ করে পঞ্চায়েতি রাজ ব্যবস্থা। এই সংশোধনীতে স্পষ্ট করে বলা হয়, এই পঞ্চায়েত রাজ প্রতিষ্ঠানে তিনটি বিশেষ স্তরযুক্ত ব্যবস্থা রয়েছে। যা হল গ্রাম, ব্লক এবং জেলা।

    কেন এই পঞ্চায়েত রাজ ব্যবস্থার ৭৩ তম সংশোধন?

    এই সংশোধনের দুটি ধারা রয়েছে। সাংবিধানিক দুটি স্তর হল ধারা-৯ যা ‘দ্য পঞ্চায়েত’ এবং ধারা ৯-এ যা ‘দ্য মিউনিসিপ্যাল’ নামে পরিচিত। এর মধ্যে গণতন্ত্রের বুনিয়াদি ধাঁচা হল গ্রামসভা এবং ওয়ার্ড কমিটি বা পৌরসভা। এই গ্রামসভা এবং ওয়ার্ড কমিটি স্থানীয় এলাকার সকল প্রাপ্তবয়স্ক ভোটারদের নিয়ে গঠিত হয়। ত্রি-স্তর পঞ্চায়েত ব্যবস্থায় গ্রাম, তার উপরে রয়েছে ব্লক, তালুক, মণ্ডল এবং তার উপরে জেলাস্তর ২০ লাখ আবাদী পর্যন্ত; (Article 243B)। উল্লেখ্য, পঞ্চায়েত ত্রিস্তর ব্যবস্থার (Panchayati Raj) সকল আসনে ভোটে জয়ী হয়ে আসতে হয়। 

    জাতীয় পঞ্চায়েতি রাজ দিবস

    জাতীয় পঞ্চায়েতি রাজ (Panchayati Raj) দিবস হল তাৎপর্যপূর্ণ এবং গুরুত্বপূর্ণ ব্যবস্থা, যা গ্রামীণ ক্ষেত্র পর্যন্ত গণতন্ত্রকে বাস্তবায়নে বিশেষ ভুমিকা পালন করে থাকে। এটি হল একটি এমন ব্যবস্থা যার মাধ্যমে সরকার গ্রামের উন্নয়নের জন্য নিজের যোজনাগুলি বাস্তবায়িত করে থাকে। গ্রামীণ ক্ষেত্রে সমাজের প্রয়োজন বুঝে সরকারের সিদ্ধান্ত নিতে খুব সাহায্য করে এই ব্যবস্থা। তাই ২৪শে এপ্রিল দিনটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কেননা মানুষের কাছাকাছি পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার বিশেষ মাধ্যম হল এই পঞ্চায়েতি রাজ ব্যবস্থা। 

    এই বছরের থিম 

    এই বছর এক সপ্তাহ ধরে দিনটি (Panchayati Raj) পালন করা হবে। গ্রামীণ ক্ষেত্রে সুস্বাস্থ্যকর পরিমণ্ডল, পর্যাপ্ত প্রয়োজনীয় জলের ব্যবস্থা, এবং পরিচ্ছন্ন, স্বচ্ছ সবুজ পঞ্চায়েত সম্পর্কিত জাতীয় সম্মেলন আয়োজিত হবে সারা দেশ ব্যাপী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kaliaganj: থানায় আগুন, পুলিশকে ইট! গণধর্ষণকাণ্ড নিয়ে ফের অগ্নিগর্ভ কালিয়াগঞ্জ, কেন?

    Kaliaganj: থানায় আগুন, পুলিশকে ইট! গণধর্ষণকাণ্ড নিয়ে ফের অগ্নিগর্ভ কালিয়াগঞ্জ, কেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগে দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে মঙ্গলবার উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জ (Kaliaganj) থানায় বিক্ষোভ কর্মসূচি ছিল রাজবংশী এবং আদিবাসী সংগঠনের যৌথমঞ্চের। আর সেই বিক্ষোভ কর্মসূচিকে কেন্দ্র অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয় কালিয়াগঞ্জ (Kaliaganj) থানা চত্বর। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি করা হয়। পুলিশের রাইফেল ছিনিয়ে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ। পরিস্থিতি সামাল দিতে প্রথমে পুলিশ লাঠিচার্জ করে। পরে, টিয়ার গ্যাস ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। পরে, আন্দোলনকারীরা থানার পাঁচিল ভেঙে ভিতরে ঢুকে যায়। পুলিশের একটি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। আগুন লাগানো হয় থানার একটি ঘরেও।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    ২১ এপ্রিল কালিয়াগঞ্জের পালোইবাড়ি এলাকার পুকুর পাড় থেকে উদ্ধার হয় দ্বাদশ শ্রেণীর এক স্কুল ছাত্রীর মৃতদেহ। ঘটনায় ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগে সরব হয় মৃতার পরিবার ও গ্রামবাসীরা। ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবিতে পরপর কয়েকদিন ধরে বিক্ষোভ ও আন্দোলন চলে। পরিস্থিতি সামাল দিতে পালোইবাড়ি সাহেবঘাটা সংলগ্ন এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করে পুলিশ। এই ঘটনার জের মিটতে না মিটতেই এদিন থানায় ডেপুটেশনকে কেন্দ্র করে এলাকা উত্তাল হয়ে ওঠে। ছাত্রীকে ধর্ষণে অভিযুক্তদের গ্রেফতার ও কঠোর শাস্তির দাবিতে এদিন আন্দোলন নামে রাজবংশী তফশিলি ও আদিবাসী সংগঠন গুলির সমন্বয় কমিটি। মঙ্গলবার তাদের বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠে কালিয়াগঞ্জের (Kaliaganj) কালীবাড়ি সংলগ্ন এলাকা। পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা করে বিক্ষোভকারীরা। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি শুরু করে তারা। ঘটনায় পিছু হঠতে দেখা যায় পুলিশকে। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে নামানো হয় কমব্যাট ফোর্স ও বিশাল পুলিশ বাহিনী। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটায় পুলিশ। ঘটনায় তীব্র উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। বিক্ষোভকারীদের ধরতে পালটা দৌড় শুরু করে পুলিশ ও কমব্যাট ফোর্স। ঘটনায় এক বিক্ষোভকারীকে আটক করে পুলিশ। এরপরই আন্দোলনকারীরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। থানার পাঁচিল ভাঙার পাশাপাশি থানায় আগুন ধরিয়ে দেয় তারা। আগুন ধরানো হয় থানার একটি গাড়িতেও।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: ত্রিপল কেলেঙ্কারিতে নাম জড়াল তৃণমূল নেতার! জেলা জুড়ে শোরগোল

    TMC: ত্রিপল কেলেঙ্কারিতে নাম জড়াল তৃণমূল নেতার! জেলা জুড়ে শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটের আগে ত্রিপল কেলেঙ্কারিতে নাম জড়াল তৃণমূলের (TMC) অঞ্চল সভাপতির। বন্যা, দুর্গতদের জন্য বরাদ্দ সরকারি ত্রিপল নিজের বাড়িতে মজুত করে রেখে ভোটের আগে বিলি করছে বলে অভিযোগ। মঙ্গলবার বিষয়টি জানাজানি হতেই মালদহের মানিকচকের বালুটোলা জিসারটোলা এলাকায় রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। ইতিমধ্যেই তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি সহ কয়েকজনের থানায় অভিযোগও হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    ত্রিপলের মধ্যে বিশ্ব বাংলা লোগো রয়েছে। সরকারি স্ট্যাম্প রয়েছে। এই ধরনের ত্রিপল সাধারণত ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে বন্যা দুর্গতদের বিলি করা হয়। সেই ত্রিপল মজুত রয়েছে তৃণমূলের (TMC)  গোপালপুর অঞ্চলের সভাপতি মহম্মদ নাসিরের বাড়িতে। মঙ্গলবার জিসারটোলা এলাকায় সরকারি ত্রিপল তৃণমূল (TMC) নেতা বিলি করছিল বলে অভিযোগ। স্থানীয় তৃণমূল নেতা আসিদুর রহমানের বাড়ি থেকে সরকারি সিলমোহর লাগানো ত্রিপল বিলি করা হচ্ছিল। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ ত্রিপল চাইতে গেলে তাঁদের ত্রিপল দেওয়া হয়নি। এই ঘটনা নিয়ে শুরু হয় বচসা। পরে, এলাকাবাসীদের একাংশ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।

    ত্রিপল বিলি নিয়ে কী বললেন এলাকাবাসী ?

    স্থানীয় বাসিন্দা মহম্মদ ইফতাজুল বলেন, বন্যার সময় ত্রিপল বিলি হয়। এখন তো বন্যা নেই, তাহলে ত্রিপল বিলি করা হচ্ছে কেন? আসলে জিসারটোলা এলাকায় প্রার্থী হওয়ার জন্য সরকারি ত্রিপল বিলি করা চলছিল। আমরা একটি ত্রিপলের নমুনা সংগ্রহ করে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। রাকেশ আলি অন্য এক বাসিন্দা বলেন, তৃণমূলে (TMC) ভোট দেওয়ার কথা কেউ বললেই তার হাতে ত্রিপল তুলে দেওয়া হচ্ছিল। আমরা গিয়ে প্রতিবাদ করি। এনিয়ে আমাদের সঙ্গে বচসা হয়। আমরা থানায় তৃণমূল (TMC) নেতাদের নামে অভিযোগ দায়ের করেছি। জানা গিয়েছে, তৃণমূল নেতা মহম্মদ নাসির, আসিদুর রহমান, আজাহার আলী সহ মোট পাঁচজনের বিরুদ্ধে মানিকচক থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

    কী বললেন তৃণমূল (TMC)  নেতৃত্ব?

    তৃণমূলের (TMC) গোপালপুর অঞ্চলের সভাপতি নাসির সেখ বলেন,বিরোধীরা কোনও ইস্যু পাচ্ছে না বলে এসব রটাচ্ছে। এসব ভিত্তিহীন অভিযোগ। ত্রিপল বিলি হচ্ছে এমন ঘটনা আমার জানা নেই।

    কী বললেন বিজেপি নেতা?

    বিজেপি নেতা গৌর মণ্ডল বলেন, বন্যার সময় সাধারণ মানুষ ত্রিপল পাননি। আর সেই ত্রিপল এখন বিলি করে মানুষের ভোট পাওয়ার চেষ্টা করছে তৃণমূল (TMC)। সরকারি ত্রিপল নিয়ে ওরা রাজনৈতিক ফয়দা তোলার চেষ্টা করছে। আমরা তা ভাবতে পারছি না। এই ঘটনার আমরা তীব্র নিন্দা করছি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘‘রাজ্যের ৯০ শতাংশ মুসলিম বাংলা-ভাষী, তাও কেন হিন্দিতে ভাষণ’’,  মুখ্যমন্ত্রীকে প্রশ্ন শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘‘রাজ্যের ৯০ শতাংশ মুসলিম বাংলা-ভাষী, তাও কেন হিন্দিতে ভাষণ’’, মুখ্যমন্ত্রীকে প্রশ্ন শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেড রোডে ইদের সমাবেশে ‘মুখ্যমন্ত্রী হিন্দিতে কেন ভাষণ দেবেন? এবার এই প্রশ্ন তুললেন পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তাঁর মতে, পশ্চিমবঙ্গে মুসলিম জনসংখ্যা সাড়ে ৩ কোটি এবং এদের মাত্র ১০ শতাংশ উর্দুতে কথা বলেন। রাজ্যে বসবাসকারী ৯০ শতাংশ মুসলিম বাংলায় কথা বলেন। তা সত্ত্বেও মুখ্যমন্ত্রী হিন্দিতে ভাষণ দিলেন। শুভেন্দুর আরও অভিযোগ, আগে রেড রোডের নামাজ আয়োজন করত খিলাফৎ কমিটি। কিন্তু এবার দেখা গেল পূর্ত দফতর টেন্ডার ডেকে সব খরচ করেছে।

    শুভেন্দুর আরও অভিযোগ, আগে খিলাফৎ কমিটি চালাতেন ধর্মপ্রাণ মানুষরা। এখন মুখ্যমন্ত্রী তাঁর দলের ছত্রচ্ছায়ায় আনার জন্য খিলাফতের মাথায় জাভেদ খানকে বসানো হয়েছে। অন্যদিকে এবার রাজ্যে মুসলিম সমাবেশের পথে বিজেপি। প্রসঙ্গত,  গত মাসের ২৯ ও ৩০ তারিখ কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে রেড রোডে আম্বেদবকর মূর্তির সামনে ধর্না কর্মসূচি করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার সেই জায়গাতেই মুসলমান সমাবেশ করতে চলেছে বিজেপি। সোমবার রাজ্য বিজেপি অফিসে সাংবাদিক সম্মেলন করে এই কর্মসূচির ঘোষণা করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।

    কোন ইস্যুতে হবে এই সমাবেশ

    শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) বক্তব্য, পবিত্র ইদের দিন মুখ্যমন্ত্রী গিয়ে যেভাবে রেড রোডের নামাজে বিভাজনের কথা বলেছেন, মুসলমান ভোট ভাগাভাগি নিয়ে কথা বলেছেন তা বাংলার সম্প্রীতিকে বিঘ্নিত করতে পারে। বিরোধী দলনেতার বক্তব্য, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওই বক্তব্যকে বড় অংশের মুসলিমরা সমর্থন করেন না। উনি ধর্মীয় অনুষ্ঠানের মঞ্চে গিয়ে সরাসরি রাজনৈতিক বিভাজনের কথা বলেছেন। বিরোধী দলনেতার বক্তব্য, বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চা এই সমাবেশ আয়োজন করবে। সার্বিকভাবে গোটা দল সেই কর্মসূচির পাশে থাকবে।  তাঁর আরও সংযোজন, তিনি বলেন, ‘ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতি করে যিনি বিভাজনের রাজনীতি করতে চান তাঁর মুখোশ খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতীয় জনতা সংখ্যালঘু মোর্চা।’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: মন্দিরে পুজো দিয়েই মিলল ফল! ২১ বছর পর নিখোঁজ স্ত্রীকে ফিরে পেলেন স্বামী

    Murshidabad: মন্দিরে পুজো দিয়েই মিলল ফল! ২১ বছর পর নিখোঁজ স্ত্রীকে ফিরে পেলেন স্বামী

     মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  আট বা দশ বছর নয়। ২১ বছর ধরে প্রতীক্ষা। স্ত্রী ফিরে আসার আশায় ছেলেকে সঙ্গে করে মন্দিরে পুজো দিতেন স্বামী। এক সময় স্ত্রীর বেঁচে থাকার আশাও ছেড়ে দিয়েছিলেন। তবে, মন্দিরে পুজো দেওয়া বন্ধ রাখেননি তিনি। ঠাকুরের কাছে মনপ্রাণ দিয়ে কোনও কিছু চাইলে খালি হাতে ফিরতে হয় না তা এখন বুঝতে পারছেন মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) ধারাপাড়া বিধান কলোনির বাসিন্দা গোবিন্দ রায়। কয়েকদিন আগে অচেনা নম্বর থেকে তাঁর কাছে একটি ফোন আসে। আর ফোনের অন্যপ্রান্ত থেকে একজন তাঁর স্ত্রীর খোঁজ দেন। ২১ বছর ধরে যারজন্য অপেক্ষা করে দিন কাটাচ্ছিলেন, অনায়াসে তাঁর খোঁজ মিলতেই হাতে চাঁদ পাওয়ার মতো অবস্থা তাঁর। ফোনের সূত্র ধরে মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) থেকে উত্তরপ্রদেশ পাড়ি দেন তিনি। সোমবারই ২১ বছর পর তিনি ফিরে পান স্ত্রীকে।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    স্ত্রী যখন বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়ে যান তখন গোবিন্দবাবুর ছেলের বয়স মাত্র সাড়ে তিন বছর। স্বামী, সন্তানকে ফেলে রেখে তিনি বাড়ি থেকে কোনও কাজে বেরিয়ে গিয়ে আর ফেরেননি। প্রায় ২১ বছর আগে অশন্তি রায় নামে ওই বধূ রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়ে যান। বাড়ির লোকজন থানায় মিসিং ডায়েরি করেছিলেন। কিন্তু, কোথাও তাঁর হদিশ মেলেনি। অবশেষে হ্যাম রেডিও-র হাত ধরে ২১ বছর পর নিজের বাড়ির ঠিকানা খুঁজে পেলেন ওই বধূ। পরিবার ও হ্যাম রেডিও সূত্রে জানা গিয়েছে, বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়ে ওই বধূ দক্ষিণেশ্বর, কালীঘাট, তারকেশ্বর মন্দিরে ছিলেন। পরে, কোনওভাবে তিনি বেনারসে চলে যান। সেখানকার পুলিশ তাঁকে একটি ট্রাকের ভিতর থেকে উদ্ধার করেন। গ্রেফতার করা হয় খালাসিকে। আর গাড়ির চালক পালিয়ে যায়। ওই বধূ তখন মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছিলেন। তাঁকে বেনারসের সরকারি মেন্টাল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই তিনি এতদিন ছিলেন।

    কী করে হদিশ মিলল ওই বধূর?

    হ্যাম রেডিও পশ্চিমবঙ্গ শাখার সম্পাদক অম্বরীশ নাগবিশ্বাস বলেন, কলকাতার এক মহিলা কিছুদিন আগে বেনারস গিয়েছিলেন। ওই মেন্টাল হাসপাতালে গিয়ে রোগীদের মধ্যে তিনি ফল বিতরণ করেন। সেই সময় ওই বধূর বাংলা কথা শুনে তাঁরসঙ্গে আলাপ জমান তিনি। কিন্তু, তিনি বাড়ির ঠিকানা বলতে পারেননি। কলকাতার ওই মহিলা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। আমরা তাঁরসঙ্গে কথা বলি। মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) মতো কথায় টান রয়েছে তাঁর। সেই মতো মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন ব্লকে যোগাযোগ করেই ওই বধূর আমরা হদিশ পাই। বাড়ির লোকজনের সঙ্গে আমরা কথা বলি। ওই বধূর স্বামী গোবিন্দ রায় বেনারস যান। সোমবারই ওই বধূকে তাঁর স্বামীর হাতে তুলে দেওয়া হয়। ২১ বছর পর স্ত্রীকে ফিরে পেয়ে একসঙ্গে ছবি তোলেন তাঁরা। গোবিন্দ রায় বলেন, আমি প্রতিবছরই স্ত্রীর জন্য মন্দিরে পুজো দিতাম। আমরা বহু জায়গায় তাঁর খোঁজ করেছি। কিন্তু, তাঁর হদিশ পাইনি। আমরা তো আশা ছেড়ে দিয়েছিলাম। এতদিন পর স্ত্রীকে ফিরে পাব তা ভাবতে পারিনি। আমার ছেলের বয়স এখন প্রায় ২৫ বছর। এতদিন পর মাকে দেখতে পেয়ে ও খুবই খুশি। ভগবানের কাছে মনপ্রাণ দিয়ে কিছু চাইলে তিনি যে নিরাশ করেন না, ২১ বছর পর আমি তা সত্যিই অনুভব করলাম।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share