Tag: Madhyom

Madhyom

  • Kolkata Police: আবগারি দফতরে চাকরি দেওয়ার নাম করেও লক্ষ লক্ষ টাকা তুলেছেন কলকাতা পুলিশের সেই অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার

    Kolkata Police: আবগারি দফতরে চাকরি দেওয়ার নাম করেও লক্ষ লক্ষ টাকা তুলেছেন কলকাতা পুলিশের সেই অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুধু বারের লাইসেন্সই নয়, আবগারি দফতরে চাকরি করে দেওয়ার নাম করেও লক্ষ লক্ষ টাকা তুলেছেন কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police) অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার সোমনাথ ভট্টাচার্য। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এমনই তথ্য জানতে পেরেছেন বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের কর্তারা। এমনিতেই সঞ্জয় বসু নামে উত্তরপাড়ার এক বাসিন্দার কাছ থেকে বারের লাইসেন্সের জন্য ৩০ লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন তিনি। আর একজনের কাছ থেকে নিয়েছিলেন ৩৬ লক্ষ টাকা। সঞ্জয়বাবুকে চালানও দিয়েছিলেন ওই পুলিশ অফিসার (Kolkata Police)। আবগারি দফতরের সেই চালান যে ভুয়ো, তা পুলিশ তদন্তে জানতে পারে।  সব মিলিয়ে তিনি প্রায় কোটি টাকা তুলেছিলেন বলে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান।

    আবগারি দফতরে চাকরি দেওয়ার জন্য কতজনের থেকে টাকা নিয়েছিলেন ওই পুলিশ অফিসার?

    ধৃত পুলিশ অফিসারের বাড়ি থেকে আবগারি দফতরের কিছু নিয়োগপত্র পুলিশ বাজেয়াপ্ত করেছিল। পরে সেই নিয়োগপত্রগুলি খতিয়ে দেখে পুলিশ জানতে পারে, সবই ভুয়ো। আবগারি দফতরে চাকরি দেওয়ার নাম করে ওই পুলিশ অফিসার (Kolkata Police) টাকা তুলেছেন বলে তদন্তকারী আধিকারিকরা মনে করছেন। সেইমতো ধৃত পুলিশ অফিসারকে জিজ্ঞাসাবাদ করা শুরু হয়। তাতে নতুন তথ্য পুলিশের হাতে আসে। জানা যায়, পুলিশের চোখে ধুলো দিতেই কারও কাছ থেকে চেক বা অ্যাকাউন্টে কোনও টাকা নিতেন না। সমস্ত টাকা নগদে নিতেন। মূলত বরানগরে বনহুগলির বাড়িতে বসেই এই কারবার চালাতেন। পুলিশ অফিসারকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তদন্তকারী অফিসাররা জানতে পেরেছেন, আবগারি দফতরে চাকরি দেওয়ার জন্য তিনি মাথাপিছু ৪ লক্ষ টাকা করে নিতেন। এইভাবে আটজনের কাছ থেকে মোট ৩২ লক্ষ টাকা তিনি তুলেছেন। উত্তরপাড়া এলাকায় এরকম বেশ কয়েকজন প্রার্থীর কাছ থেকে তিনি টাকা নিয়েছিলেন। এমনকী বারের লাইসেন্স দেওয়ার নাম করে যে সঞ্জয় বসুর কাছে থেকে ৩০ লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন, তাঁর স্ত্রীকে আবগারি দফতরে চাকরি দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন তিনি। এজন্য তাঁর কাছ থেকেও টাকা নিয়েছিলেন। কলকাতা এবং দক্ষিণেশ্বর এলাকাতেও অনেকের কাছ থেকে তিনি টাকা তুলেছিলেন। আর কার কাছ থেকে তিনি টাকা তুলেছিলেন, তা তদন্তকারী আধিকারিকরা জানার চেষ্টা করছেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Darjeeling:  দার্জিলিংয়ে উধাও ঠান্ডা! হতাশ পর্যটকরা

    Darjeeling: দার্জিলিংয়ে উধাও ঠান্ডা! হতাশ পর্যটকরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরমে হাঁসফাঁস করছে গোটা রাজ্য। এবার এপ্রিল মাস পড়তে না পড়তেই দাবদাহে জনজীবন নাজেহাল। এই অসহনীয় গরম থেকে রেহাই পেতে কয়েকদিনের জন্য একটু শীতলতার খোঁজে দার্জিলিঙে (Darjeeling) পর্যটকদের ঢল নেমেছে। কিন্তু, যে আশায় দলে দলে পর্যটকরা আসছেন, এখানে এসে তারা হতাশ হয়ে পড়ছেন। কারণ, এখন দার্জিলিং-এর  তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রি ছুঁয়েছে। ফলে, প্রত্যাশা মতো সেরকম ঠান্ডা এখন নেই দার্জিলিংয়ে (Darjeeling)। কালিম্পঙে গরম আরও বেশি, সেখানে তাপমাত্রা ২৮ ডিগ্রি। শীতের আমেজে কয়েকটা দিন পাহাড়ে ঘুরে বেড়ানোর সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন পর্যটকরা। এই অস্বাভাবিক গরমে  শীতলতার খোঁজে সকলের পক্ষে কাশ্মীর যাওয়া সম্ভব নয়। তাই এবার এপ্রিলের শুরুতেই অস্বাভাবিক গরম পড়ায় দক্ষিণবঙ্গ থেকে দলে দলে পর্যটক পাহাড়ে বেড়াতে আসতে শুরু করেছেন।

    দার্জিলিং (Darjeeling) ঘুরতে এসে পর্যটকরা কী বলছেন?

    পর্যটকরা হতাশ হলেও একটু স্বস্তিতে রয়েছেন। বারাসতের সুধীর রঞ্জন সরকার, গড়িয়ার দীপেন ঘোষ বা পাইকপাড়ার শ্যামল সাহা সকলেরই বক্তব্য, দার্জিলিং-এ (Darjeeling) ঠান্ডা পাবো ভেবেই এসেছিলাম। কিন্তু, সেই ঠান্ডা নেই। এখানে তাপমাত্রা বেশি হলেও স্বস্তি রয়েছে। দক্ষিণবঙ্গে অসহনীয় গরমের মধ্যে থাকতে হয়, আর এখানে গরম সহ্য করা যাচ্ছে। এটাই স্বস্তি। তবে, যতটা আরাম পাব বলে আশা করেছিলাম,তাতে আশাহত হয়েছি।

    কী বললেন উত্তরবঙ্গের এক ট্যুর অপারেটর?

    উত্তরবঙ্গের অন্যতম ট্যুর অপারেটর সম্রাট সান্যাল বলেন, অনেকেরই তিন মাস আগে থেকেই দার্জিলিং-এ (Darjeeling) আসার সবকিছু ব্যবস্থা করা ছিল। কাজেই সেই পর্যটকরা এসময় আসবেন জানাই ছিল। কিন্তু, হঠাৎ করে গরম পড়ায় কলকাতার দিক থেকে হিসেবের বাইরে দলে দলে পর্যটক আসছে। ফলে দার্জিলিং-এ হোটেল থেকে শুরু করে হোমস্টে কোথাও জায়গা নেই। এই সময় দার্জিলিং-এ ঠান্ডা থাকবে ভেবে অনেকেই হালকা গরম জামা কাপড় এনেছিলেন। কিন্তু দার্জিলিং-এ (Darjeeling) পৌঁছে পর্যটকদের যে তাপমাত্রার মুখোমুখি হতে হচ্ছে, তাতে সেই হালকা গরম পোশাক বাক্সবন্দী হয়ে রয়েছে। সমতলের মত পাতলা পোশাকে দিব্যি দার্জিলিং-এর ম্যাল চৌরাস্তা, চিড়িয়াখানা,মহাকাল মন্দির সহ বিভিন্ন জায়গা ঘুরে বেড়াচ্ছেন পর্যটকরা।

    স্থানীয় বাসিন্দারা কী বলছেন?

    স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, এই সময় ১৮ থেকে ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে তাপমাত্রা ওঠানামা করে। গত ৩ এপ্রিল সান্দাকফুতে বরফ পড়ায় দার্জিলিং-এর (Darjeeling) তাপমাত্রা অনেকটাই নেমে যায়। তখন পুরোপুরি ঠান্ডা ছিল। অসময়ের এই তুষারপাতে খুশি হয়েছিলাম। পর্যটকরাও বরফ দেখার সুযোগ পেয়েছিলেন। কিন্তু, তার কয়েকদিন পর থেকেই হঠাৎ করে দার্জিলিং-এর (Darjeeling) তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করে। স্থানীয় বাসিন্দা বিক্রম রাই বলেন, এতদিন শুনে এসেছি ক্লাইমেট চেঞ্জ হচ্ছে উষ্ণায়নের জন্য। এখন সেটা চোখের সামনে দেখছি। প্রকৃতির এই বিরূপ চেহারায় পাহাড়ও উত্তপ্ত হচ্ছে।

    হোটেল মালিকরা কী বলছেন?

    এদিকে এবার এই গরম পড়ায় স্থানীয় বাসিন্দাদের পাশাপাশি হোটেল মালিকরাও সিলিং ফ্যান কেনার কথা ভাবছেন। এক হোটেল মালিক বলেন, এতদিন দাজিলিং-এ ফ্যান লাগতো না। এখন যে ভাবে তাপমাত্রা বাড়ছে তাতে হোটেলে এবার ফ্যান লাগাতে হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Hospital:‘‘রোগী ভর্তি করিতে আসিলে সঙ্গে করে পাখা আনিবেন’’! সরকারি হাসপাতালে পোস্টার-বিতর্ক

    Hospital:‘‘রোগী ভর্তি করিতে আসিলে সঙ্গে করে পাখা আনিবেন’’! সরকারি হাসপাতালে পোস্টার-বিতর্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রোগীরা হাসপাতালে যান চিকিৎসা করে সুস্থ হতে। কিন্তু তথাকথিত উন্নয়নের জোয়ার বয়ে যাওয়া এই বাংলায় এমনও হাসপাতালের (Hospital) খোঁজ মিলল, যেখানে গিয়ে রোগীরা আধমরা হয়ে ফিরছেন। কেন এই শোচনীয় অবস্থা, তার উত্তর অবশ্য অনেকের কাছেই সহজ। রাজ্যজুড়ে তীব্র তাপপ্রবাহে দুঃসহ অবস্থা মানুষের। বাড়িতে পাখার হাওয়া গায়ে লাগিয়েও তা থেকে যেন নিস্তার মিলছে না। এরকম একটা অবস্থায় কোনও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বিশাল সংখ্যক রোগীর জন্য যদি গুটিকয়েক পাখা থাকে, তাহলে কী অবস্থা হতে পারে, তা সহজেই অনুমেয়। ফলে প্রচণ্ড গরমে রোগীরা অসহনীয় কষ্টের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। রোগী এবং তাঁদের পরিবারের পক্ষ থেকে এমনই অভিযোগ করা হয়েছে। এই অবস্থা পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ক্ষীরপাই প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের।

    কোন পোস্টার ঘিরে শোরগোল?

    “ক্ষীরপাই প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের (Hospital) করুণ দশা। রোগী ভর্তি করিতে আসিলে সঙ্গে করে পাখা বা ফ্যান আনিবেন।” হাসপাতালের বাইরে কে বা কারা এরকমই পোস্টার সেঁটে দিয়েছে। আর এটা নিয়েই এখন শোরগোল পড়েছে জেলাজুড়ে। কিন্তু কে এই পোস্টার লাগালো, তার হদিশ এখনও মেলেনি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সাফ জবাব, তারা এ ধরনের কোনও পোস্টার লাগায়নি। 

    পাখা নিয়ে কী জানাল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ?

    হাসপাতাল (Hospital) কর্তৃপক্ষের দাবি, একটি মাত্র পাখা আছে বলে যে অভিযোগ তোলা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। হাসপাতালে যতগুলি পাখার পয়েন্ট রয়েছে, সবকটিতেই পাখা লাগানো আছে। হাসপাতালে মোট শয্যাসংখ্যা হল ৬০ এবং ফ্যান রয়েছে ১২টি। অর্থাৎ এক একটি ফ্যানের জন্য পাঁচজন রোগী রয়েছেন। ফলে সেই হওয়া যে সব রোগীর গায়ে লাগে না, সেকথা তারা স্বীকার করেছে। এই সমস্যা কাটাতে কিছু দেওয়াল ফ্যানের ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলেও তারা জানিয়েছে।

    কী জানালেন চন্দ্রকোনা ১ ব্লকের বিডিও? 

    ক্ষীরপাই স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি (Hospital) চন্দ্রকোনা এক নম্বর ব্লকের মধ্যে পড়ে। এখানকার বিডিও জানিয়েছেন, তিনি এখনও পর্যন্ত এই বিষয়ে সরকারিভাবে কোনও অভিযোগপত্র পাননি। তবে এই ঘটনার কথা তাঁর কানে পৌঁছেছে। সেই কারণে বিষয়টি দেখার জন্য ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিককে বলেছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Mukul Roy: বাবার দিল্লি যাত্রার পিছনে বড় টাকার খেলা রয়েছে, মুখ খুললেন মুকুলপুত্র শুভ্রাংশু

    Mukul Roy: বাবার দিল্লি যাত্রার পিছনে বড় টাকার খেলা রয়েছে, মুখ খুললেন মুকুলপুত্র শুভ্রাংশু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিধায়ক মুকুল রায়ের (Mukul Roy) দিল্লি যাত্রা নিয়ে নতুন করে জল্পনা তৈরি হয়েছে। তিনি কি অন্য কোনও দলে যোগ দেবেন, তা নিয়ে মঙ্গলবার দিনভর চর্চা শুরু হয়েছে। সোমবার রাতেই কলকাতা বিমানবন্দর থেকে রহস্যজনকভাবে মুকুল রায় নিখোঁজ হয়ে যান বলে খবর রটে যায়। যা জানাজানি হতেই রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। মুকুলপুত্র শুভ্রাংশু রায় বিষয়টি নিয়ে থানারও দ্বারস্থ হয়েছিলেন। যদিও তখনও পর্যন্ত মুকুল রায়ের (Mukul Roy) অবস্থান সম্পর্কে কারও কিছু জানা ছিল না। পরে জানা যায়, তিনি দিল্লি গিয়েছেন। আর তাঁর দিল্লি যাত্রা নিয়ে মঙ্গলবার সকালেই মুখ খুললেন শুভ্রাংশু রায়।

    কী বললেন শুভ্রাংশু রায়?

    মঙ্গলবার নিজের বাড়িতে সংবাদিক সম্মেলন করে শুভ্রাংশু রায় বলেন, বাবার মানসিক পরিস্থিতি ঠিক নয়। বাবার (Mukul Roy) ব্রেন অপারেশন হয়েছে। পারকিনসন, ডিমেনশিয়া রয়েছে। হাই সুগার, হাই প্রেসার। সিরোসিস অব লিভার রয়েছে। দিনে ১৮ টা ওষুধ খান। ইনসুলিন নেন। বাবার দিল্লি যাত্রার পিছনে কোনও বড় টাকার খেলা রয়েছে। আমাকে না জানিয়ে দুই সঙ্গীকে নিয়ে দিল্লি গেছে বাবা। মুখ্যমন্ত্রী সোমবার দুপুরে বাবার শারীরিক অবস্থা জানতে ফোন করে খোঁজ নিয়েছেন। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে বদনাম করার জন্য রাজনীতি করা হচ্ছে। বাবাকে বিমানবন্দর থেকে ফেরাতে চেষ্টা করেছিলাম। সিআইএসএফ কোনওরকম সাহায্য করেনি। এয়ারপোর্ট থানায় বলেছি।

    বাবার কাছে এক টাকাও ছিল না, তাহলে কীভাবে টিকিট কাটলেন? প্রশ্ন শুভ্রাংশু-র

    শুভ্রাংশু রায় আরও বলেন, বাবার (Mukul Roy) কাছে এক টাকাও ছিল না, তাহলে কীভাবে টিকিট কাটলেন? বাবা এখন বেতন পান মাত্র একুশ হাজার টাকা। এজেন্সি একজন অবাঙালি ছেলেকে পাঠিয়ে ৫০ হাজার টাকা বাবার (Mukul Roy) হাতে দিয়েছে। অসুস্থ মানুষকে নিয়ে রাজনীতি করা ঠিক নয়। আমাদের পরিবারের পাশে অভিষেক ব্যানার্জি যেভাবে দাঁড়িয়েছে, তা কোনওদিন ভুলতে পারবো না। অসুস্থ মানুষ সেটিং করতে পারে? আমি চাই, বাবা রাজনীতি থেকে অবসর নিয়ে নাতি-নাতনি নিয়ে থাকুন। পরিবারের সঙ্গে কাটান। পুলিশ সবরকম সহযোগিতা করছে। প্রথম কাজ বাবাকে (Mukul Roy) ফিরিয়ে এনে হাসপাতালে ভর্তি করা। এয়ারপোর্ট থানা ও বিধাননগরের সিপি চেষ্টা করছেন। দিল্লি পুলিশ কোনও সহযোগিতা করছে না। আর বাবা দিল্লিতে কোথায় আছে তা জানতে পারিনি। কারণ, বাবার ফোন সুইচড অফ রয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: উদ্যোগ শুভেন্দুর! ১৩ বছর আটকে থাকা রেলপথের কাজ সম্পূর্ণ হতে চলেছে নন্দীগ্রামে

    Suvendu Adhikari: উদ্যোগ শুভেন্দুর! ১৩ বছর আটকে থাকা রেলপথের কাজ সম্পূর্ণ হতে চলেছে নন্দীগ্রামে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের নতুন করে সূর্যোদয় হতে চলেছে নন্দীগ্রামে। হ্যাঁ, সেই নন্দীগ্রাম, যেখানে গত বিধানসভা নির্বাচনে এককালের সহযোদ্ধার (Suvendu Adhikari) কাছে শোচনীয়ভাবে পরাস্ত হতে হয়েছিল বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। বলা বাহুল্য, পরিবর্তনের আঁতুড়ঘর এই নন্দীগ্রাম শুভেন্দুর দখলে চলে যাওয়ায় এখানকার উন্নয়ন নিয়ে মমতাকে আর মাথা ঘামাতে দেখা যায়নি। এলাকায় কান পাতলে এমনটাই শোনা যায়। এলাকার মানুষের আরও অভিযোগ, দ্বিতীয় ইউপিএ সরকারের আমলে রেলমন্ত্রী থাকাকালীন নন্দীগ্রামের উন্নয়নের জন্য যে রেলপথের সূচনা মমতা বন্দোপাধ্যায় নিজে হাতে করেছিলেন, সেদিকে আর তিনি ফিরে তাকাননি। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীর হাত ধরে ফের প্রাণ ফিরে পেতে চলেছে ওই রেলপথ। নন্দীগ্রামের অসম্পূর্ণ রেলপথ এবার সম্পূর্ণ হওয়ার পথে।  

    শুভেন্দুর উদ্যোগে কীভাবে এটা সম্ভব হচ্ছে?

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, স্টেশন সহ বিভিন্ন কিছু তৈরি হয়ে পড়ে রয়েছে নয় নয় করে প্রায় ১৩ বছর। এই রেলপথ চালু হলে কলকাতা বা হাওড়ার সঙ্গে পূর্ব মেদিনীপুরের যোগাযোগ ব্যবস্থা যে উন্নত হবে এবং এলাকার অর্থনীতিতে একটা জোয়ার আসবে, তা বিলক্ষণ বুঝতে পেরেছিলেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। আর তাই তৃণমূল সরকারের কাছে অবহেলিত এই রেলপথ নিয়ে তিনি দিল্লিতে রেলমন্ত্রকে দরবার শুরু করে দেন। রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের সঙ্গে যেমন ব্যক্তিগতভাবে দেখা করে প্রকল্পের ব্যাপারে আলোচনা করেছেন, তেমনি বারবার চিঠি দিয়েও রেলমন্ত্রককে মনে করিয়ে দিয়েছেন। তারই ফলশ্রুতি হিসেবে নড়েচড়ে বসেছে রেল মন্ত্রক। রেল সূত্রে খবর, ওই রেলপথের কাজ সম্পন্ন করার জন্য দক্ষিণ-পূর্ব রেলকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।

    আশার আলো দেখছেন নন্দীগ্রামবাসী

    এদিকে এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই আনন্দ এবং আবেগে ভাসতে শুরু করেছেন নন্দীগ্রামবাসী। দীর্ঘ ১৩ বছর তা পড়ে রয়েছে অনাদরে এবং অবহেলায়।  দেশপ্রাণ (বাজকুল) থেকে নন্দীগ্রাম-এই ১৭.২ কিলোমিটার রেলপথ তাঁদের কাছে আশার আলো। এই প্রকল্পের জন্য যাঁরা জমি দিয়েছিলেন, শুভেন্দুর  উদ্যোগে (Suvendu Adhikari) রূপায়ণ হওয়ার খবর জেনে তাঁরাও যারপরনাই খুশি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ladakh: পায়ে হেঁটে লাদাখ জয় করে বাড়ি ফিরলেন আসানসোলের দেবু, বন্ধুকে ঘিরে উচ্ছ্বাস সতীর্থদের

    Ladakh: পায়ে হেঁটে লাদাখ জয় করে বাড়ি ফিরলেন আসানসোলের দেবু, বন্ধুকে ঘিরে উচ্ছ্বাস সতীর্থদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবার রাতে আসানসোল শহরে এক যুবককে ঘিরে উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়লেন তাঁর বন্ধুবান্ধবরা। তাঁকে গলায় মালা পড়িয়ে বাজি ফাটিয়ে স্বাগত জানানো হল। কিন্তু, ওই যুবককে ঘিরে কেন এত আয়োজন। জানা গেল, ওই যুবকের নাম দেবু মুখোপাধ্যায়। তাঁর বাড়ি আসানসোলের মহিশীলা এলাকায়। তিনি পেশায় অটো চালক। পায়ে হেঁটে তিনি লাদাখ (Ladakh) জয় করে দুমাস পর বাড়ি ফিরেছেন। শত প্রতিকুলতা জয় করে তিনি তাঁর লক্ষ্যপূরণ করে ফিরেছেন বলেই তাঁর সতীর্থরা তাঁকে সংবর্ধনা দিয়ে আরও উত্সাহিত করেছেন।

    কেন পায়ে হেঁটে লাদাখ (Ladakh) যাওয়ার পরিকল্পনা?

    কয়েকমাস আগে দেবুর এক বন্ধু গাড়ি করে লাদাখ (Ladakh) গিয়েছিলেন। কিন্তু, কোনও কারণে তিনি সেবার যেতে পারেননি। এরপর তিনি সাইকেল নিয়ে লাদাখ যাওয়ার পরিকল্পনা করেন। সাইকেল কেনার অর্থ জোগাড় করতে না পেরে তিনি পায়ে হেঁটে লাদাখ যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।  ফেব্রুয়ারি মাসে তিনি আসানসোল থেকে লাদাখের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন। ২৪০০ কিলোমিটার পথ তিনি পায়ে হেঁটে যান। মূলত, গাছ লাগান, প্রাণ বাঁচান এই বার্তাকে নিয়ে তিনি পায়ে হেঁটে আসানসোল থেকে লাদাখ (Ladakh) গিয়েছিলেন। মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে তাঁর এই উদ্যোগ। তাঁর এই মহৎ উদ্দেশ্যকে সাধুবাদ জানিয়েছেন আসানসোল তথা রাজ্যবাসী।

    নিজের অভিজ্ঞতা নিয়ে কী বললেন লাদাখজয়ী (Ladakh)  যুবক?

    অটো চালক দেবু মুখোপাধ্যায় বলেন, প্রায় দু মাস ধরে আমার যাত্রাপথে বিভিন্ন রাজ্য থেকে প্রচুর মানুষকে পাশে পেয়েছি। তবে, পায়ে হেঁটে এতটা পথ পাড়ি দেওয়ার জার্নি খুব সহজ ছিল না। অনেকদিন না খেয়ে থাকতে হয়েছে। পায়ে ফসকা পড়ে গিয়েছে। পাশে পেয়েছি। বন্ধুদের। তাঁরা খবর পেয়ে আসানসোল থেকে আমার কাছে গিয়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। তাঁরা সকলেই আমাদের পাশে ছিলেন। আর রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় বিভিন্ন মানুষও সাহায্য করেছেন। ফলে, এত কষ্টের পরও এই ভালোবাসা পেয়ে আমি আপ্লুত। আমার ইউব টিউব চ্যানেলে আমার সমস্ত জার্নি আপলোড করেছি। সকলে চাইলে আমার যাত্রাপথ কতটা কষ্টকর ছিল তা বুঝতে পারবেন।

    লাদাখজয়ী (Ladakh) বন্ধুকে নিয়ে কী বললেন সতীর্থরা?

    কৃষ্ণা দাস নামে এক বন্ধু বলেন, গত অক্টোবর মাসে আমি লাদাখ গিয়েছিলাম। ও যেতে পারেনি। সেই লাদাখ (Ladakh) ও পায়ে হেঁটে জয় করবে তা ভাবতে পারিনি। মনের জোর থাকলে যে সবকিছু করা সম্ভব তা দেবুকে না দেখলে কেউ বিশ্বাস করবে। আমরা এই বন্ধুর জন্য গর্বিত।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • Nabanna: গোটা রাজ্যে ফের বাধ্যতামূলক হচ্ছে মাস্ক ও স্যানিটাইজার, মন্ত্রিসভার বৈঠকে সিদ্ধান্ত

    Nabanna: গোটা রাজ্যে ফের বাধ্যতামূলক হচ্ছে মাস্ক ও স্যানিটাইজার, মন্ত্রিসভার বৈঠকে সিদ্ধান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গোটা রাজ্যে ফের মাস্ক আর স্যানিটাইজার বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। সোমবার রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে এমনটাই সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীকে মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দেন, আর গাফিলতি করা যাবে না। তাই শীঘ্রই মুখ্যসচিব এক নির্দেশিকা প্রকাশ করতে চলেছেন বলে নবান্ন (Nabanna) সূত্রে খবর।

    মন্ত্রিসভার বৈঠকে সতর্ক করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়

    একদিকে যেভাবে গ্রীষ্মের তাপপ্রবাহ সকলকে রীতিমতো বিপাকে ফেলেছে, অন্যদিকে করোনা ফের ব্যাট হাতে নেমে পড়েছে। আর শুধু নামাই নয়, ভালো পারফরম্যান্সের সঙ্গে ব্যাটিংটাও করতে শুরু করেছে। যার ফলে প্রতিদিন রাজ্যে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যাও বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। নবান্ন (Nabanna) সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই রাজ্যের সব সরকারি হাসপাতালে একরকম প্রস্তুতি নিয়ে ফেলা হয়েছে। কিন্তু তারপরেও যেভাবে করোনা ফের ভাবাচ্ছে, তাতে সকলের কপালেই ভাঁজ পড়তে শুরু করেছে। একে গরম অসহনীয় হয়ে পড়েছে, তার সঙ্গে আবার নতুন করে মাস্ক আর স্যানিটাইজার বাধ্যতামূলক হতে চলেছে।

    করোনা নিয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে তাই সতর্ক করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। সোমবার ওই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফের সবাইকে মাস্ক পরতে হবে এবং ভালো করে হাত ধুতে হবে। সরকারি অফিসে ও অন্যত্র নিয়মিত স্যানিটাইজ করতে হবে। নবান্ন (Nabanna) সূত্রে খবর, তিনি মুখ্যসচিব এইচ কে দ্বিবেদীকে একটি নির্দেশিকা প্রকাশ করতে বলেছেন। বৈঠকে উপস্থিত মন্ত্রিসভার সদস্যদেরও তিনি নির্দেশ দিয়েছেন, সবাই মাস্ক পরুন। হাত নিয়মিত স্যানিটাইজ করুন। পুরসভাগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে, তারা যেন নিয়মিত বাজার ও অন্যান্য জনবহুল এলাকায় স্যানিটাইজ করে। 

    হাসপাতালকে বলা হয়েছে প্রস্তুত থাকতে

    সারা দেশেই করোনা সংক্রমণ ফের বাড়ছে। তাই এই সতর্কতা। করোনা ঠেকাতে হাসপাতালগুলি প্রস্তুত কিনা, তা নিয়ে সম্প্রতি দেশ জুড়ে মক ড্রিল করা হয়েছে। রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর থেকেও সব হাসপাতালকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। তাদের বলা হয়েছে, পরিকাঠামোর দিক থেকে কোনও খামতি যেন না থাকে। বিশেষত, অক্সিজেন যেন থাকে পর্যাপ্ত পরিমাণে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: মিড ডে মিলের চাল চুরি করতেই গরমের ছুটি ঘোষণা রাজ্যের! দাবি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: মিড ডে মিলের চাল চুরি করতেই গরমের ছুটি ঘোষণা রাজ্যের! দাবি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তীব্র তাপপ্রবাহের জেরে রাজ্যের স্কুলগুলিতে সোমবার থেকে শনিবার পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু এর মধ্যে অন্য চক্রান্তের গন্ধ পাচ্ছে বিজেপি নেতৃত্ব। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) মতে, আসলে মিড ডে মিলের চাল চুরি করার জন্যই এই ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের মতে, ছুটি কোনও সমাধান নয়, ক্ষতিকারক সংস্কৃতি।

    কী অভিযোগ করলেন বিরোধী দলনেতা?

    মুখ্যমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্তকে তীব্র কটাক্ষ করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তিনি মনে করেন, এই ঘোষণা আসলে মিড ডে মিলের চাল চুরি করার জন্যই করা হয়েছে। যেসব স্কুলে সকালে ক্লাস হয়, সেগুলিও বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এদের টাকা কামানোর কোনও সীমা-পরিসীমা নেই। ১০০ কোটি টাকার দুর্নীতি ধরা পড়ার পরও তাই এরা থেমে থাকতে চায় না। আরও টাকা কামানোর লক্ষ্যেই এই ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, এইভাবে পড়াশোনা বন্ধ করে দেওয়ার কোনও অর্থই হয় না। তাছাড়া বিকল্প ব্যবস্থার কথা ভাবা যেতেই পারত। সকালে স্কুল খুলে পঠন-পাঠন চালু রাখা যেতেই পারত। আসলে এই সরকারের কাছে শিক্ষাটা বড় ব্যাপার নয়, বড় ব্যাপার হল দলের নেতা-কর্মীদের চুরির ব্যবস্থা করে কিছু পাইয়ে দেওয়া।

    ছুটি কোনও সমাধান নয়, বললেন সুকান্ত

    শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) মতোই বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ট্যুইটবার্তায় বলেছেন, গরমের ছুটি যেন আরামের না হয়। বেসরকারি স্কুলে অনলাইন বা মর্নিং ক্লাস হলে সরকার পারবে না কেন? বাংলার আগামী প্রজন্মকে পিছিয়ে দেওয়ার চক্রান্ত সফল হতে দেবেন না। ছাত্র-ছাত্রীদের বলব, বাড়িতে লেখাপড়া যেন বন্ধ না হয়। অভিভাবকরা নজর রাখুন, না হলে বড্ড ক্ষতি হয়ে যাবে। রাষ্ট্রবাদী শিক্ষকরা যতটা, যেভাবে সম্ভব পড়ুয়াদের পাশে থাকুন। ছুটি কোনও সমাধান নয়, ক্ষতিকারক সংস্কৃতি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Health Card: স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে মিলছে না পরিষেবা! নতুন কার্ড করতেও অনীহা, কোথায় জানেন?

    Health Card: স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে মিলছে না পরিষেবা! নতুন কার্ড করতেও অনীহা, কোথায় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বাস্থ্যসাথী কার্ড (Health Card) ফিরিয়ে দিচ্ছে নার্সিংহোম। এই প্রকল্প চালু হওয়ার পর থেকেই এমনই অভিযোগ। স্বাস্থ্যসাথী (Health Card) কার্ড নার্সিংহোমগুলি না নেওয়ার কারণেই কী সাধারণ মানুষ আর এই কার্ড করতে চাইছেন না? সদ্য সমাপ্ত ১০ দিনের দুয়ারে সরকার শিবিরে দার্জিলিং জেলায় স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের জন্য আবেদন কম পড়ায় এই প্রশ্ন জোরালো হয়ে উঠেছে। স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে মানুষ আর প্রতারিত হতে চাইছেন না বলেই কী আর নতুন করে কেউ আবেদন করছেন না?

    কী বলছেন স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের (Health Card) উপভোক্তারা?

    সরকারি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালেও স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের (Health Card)  সুবিধা পাচ্ছেন না গরিব মানুষ। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে চিকিৎসার সুবিধা না পাওয়ারও অনেক অভিযোগ রয়েছে। মেডিক্যাল মোড়ের বাসিন্দা বিজয় ছেত্রীর পা ভেঙেছিল। সম্প্রতি উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তাঁর পায়ে অস্ত্রোপচার হয়। তার মা মীনা ছেত্রী বলেন, আমরা গরিব। স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নেয়নি। ধারদেনা করে ৩৩ হাজার টাকা দিয়ে বাইরে থেকে প্লেট, স্ক্রু কিনে দেওয়ার পর আমার ছেলের অস্ত্রোপচার হয়। বাগডোগরার আমির ওরাওঁয়েরও একই অভিযোগ। তিনি বলেন, আমার বাবার স্পাইনালকর্ডে অস্ত্রোপচার হয়েছে। স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে না নেওয়ায় বাইরে থেকে ৫৮ হাজার টাকার প্লেট, স্ক্রু সহ বিভিন্ন চিকিৎসা সরঞ্জাম কিনে দিতে হয়েছে আমাকে। কার্ডে কোনও পরিষেবা মেলেনি।

    খোদ সরকারি হাসপাতালেও কেন মিলছে না এই কার্ডের (Health Card) সুবিধা ?

    উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সুপার ডাঃ সঞ্জয় মল্লিক বলেন, যে ওষুধের দোকান এবং এজেন্সির মাধ্যমে আমরা স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের সুবিধা গরিব মানুষকে দিতাম তাদের প্রচুর টাকা বকেয়া পড়ে রয়েছে। তাই, সেই এজেন্সি এবং ফার্মাসি আমাদের আর ওষুধ দিচ্ছে না। এ কারণেই স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের সুবিধা আমরা দিতে পারছি না। নার্সিংহোমগুলিরও একই বক্তব্য।

    টক টু মেয়র ফোন ইন অনুষ্ঠানেও স্বাস্থ্যসাথী কার্ড (Health Card)  নিয়ে কী অভিযোগ করা হল মেয়রকে?

    প্রতি শনিবার টক টু মেয়র ফোন ইন অনুষ্ঠান হয়। আর সেই অনুষ্ঠানে শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেবকেও স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে এমন অভিযোগ প্রায়শই শুনতে হচ্ছে। ১৫ এপ্রিল শিলিগুড়ি পুরসভার ৪৭ নম্বর ওয়ার্ডের গৃহবধূ পায়েল দে মেয়র গৌতম দেবকে ফোনে জানান, মাটিগাড়ার একটি নার্সিংহোমে তাঁর স্বামীর হৃদরোগের ব্যয়বহুল চিকিৎসা চলছে। স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিচ্ছে না নার্সিংহোম।

    কী বললেন জেলাশাসক?

    দার্জিলিংয়ের জেলাশাসক এস পন্নমবালম বলেন, পয়লা এপ্রিল থেকে দার্জিলিং জেলায় ১০ দিনের দুয়ারে সরকার শিবিরে প্রথম ন’দিনে মোট প্রায় ৬৫ হাজারের কিছু বেশি আবেদন জমা পড়েছে। তারমধ্যে মাত্র ১০ হাজারের কিছু বেশি স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের আবেদন জমা পড়েছে। গতবারের তুলনায় এই সংখ্যাটা অনেকটাই কম।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপির শিলিগুড়ি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তথা মাটিগাড়া-নকশালবাড়ির বিধায়ক আনন্দময় বর্মন বলেন, রাজনৈতিক কারণে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রের আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প এরাজ্য গ্রহণ করেনি। স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প চালু করলেও রাজ্য সরকারের চরম আর্থিক সঙ্কটের কারণে সেই টাকা দিতে পারছেন না। স্বাস্থ্যসাথী কার্ড (Health Card) নিয়ে মানুষ চিকিৎসা করাতে গিয়ে প্রতারিত হচ্ছেন। মুখ্যমন্ত্রী টাকার জন্য কেন্দ্রের কাছে দরবার করেন, ধর্নায় বসেন। তাহলে গরিব মানুষকে আয়ুষ্মান ভারত কার্ডে বিনামূল্যে চিকিৎসার সুযোগ থেকে কেন বঞ্চিত করছেন? মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন সাধারণ ও গরিব মানুষকে কেন্দ্রর প্রাপ্য সুবিধা থেকে আর বঞ্চিত করবেন না। আয়ুষ্মান ভারত কার্ডে গরিব মানুষকে বিনামূল্যে চিকিৎসার সুযোগ নিতে দিন।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব

    তৃণমূলের দার্জিলিং জেলা (সমতল) সভানেত্রী পাপিয়া ঘোষ বলেন, স্বাস্থ্যসাথী কার্ড (Health Card) নার্সিংহোম ফিরিয়ে দিচ্ছে এমন অভিযোগ আমরা পেয়েছি। শিলিগুড়ি শহর সহ জেলার বেশকিছু নার্সিংহোম স্বাস্থ্য সাথীর কার্ড গ্রহণ করছে না। আমাদের সঙ্গে যেসব মানুষ যোগাযোগ করেন তাদের সমস্যার সমাধানের উদ্যোগ নিই। কিন্তু, তারজন্য এবারের স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে আবেদনপত্র কম জমা পড়েছে এটা ঠিক নয়। আসলে সকলেরই প্রায় স্বাস্থ্যসাথী কার্ড (Health Card) হয়ে গিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • CBI: সিবিআই হানার পরই নতুন দল ঘোষণা করলেন বিভাস অধিকারী! কী নাম নতুন দলের?

    CBI: সিবিআই হানার পরই নতুন দল ঘোষণা করলেন বিভাস অধিকারী! কী নাম নতুন দলের?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবার দিনভর নলহাটির কৃষ্ণপুর গ্রামে তৃণমূলের প্রাক্তন ব্লক সভাপতি বিভাস চন্দ্র অধিকারীর বাড়িতে সিবিআই (CBI) তল্লাশি হয়। সারাদিন ধরে তাঁকে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ করেন সিবিআই আধিকারিকরা। তাঁর তৈরি আশ্রমেও হানা দেয় সিবিআই (CBI)। সারাদিন ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর বিভাসবাবুর কাছে থেকে সিবিআই আধিকারিকরা দুটি পুরানো মোবাইল নিয়ে যায়। এই ঘটনার ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতে নতুন ঘোষণা করলেন তৃণমূলের প্রাক্তন ব্লক সভাপতি।

    কী ঘোষণা করলেন বিভাস অধিকারী?

    পঞ্চায়েত ভোটের আগে নতুন দল তৈরির কথা ঘোষণা করলেন  তৃণমূলের প্রাক্তন ব্লক সভাপতি বিভাস চন্দ্র অধিকারী। রবিবার বিকেলে নলহাটির কৃষ্ণপুর গ্রামে তাঁর ঠাকুর অনুকূল চন্দ্রের আশ্রমে নতুন দলের আত্মপ্রকাশ করে। নতুন দলের নাম দেওয়া হয় সাড়া ভারত আর্য মহাসভা। দলের সর্বভারতীয় সভাপতি হয়েছেন তিনি নিজেই।  শনিবার নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে বিভাসবাবুর আশ্রম এবং বাড়িতে তল্লাশি চালায় সিবিআই (CBI)। তারপরেও এদিনের নতুন দল গঠনের অনুষ্ঠানে উপস্থিতি ছিল চোখে পরার মতো। বিশেষ করে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপস্থিতি ছিল নজর কারা। যাদের অধিকাংশই তৃণমূল কর্মী সমর্থক। ফলে, তৃণমূলের ঘরে ভাঙন ধরাবে বলে রাজনৈতিক মহল মনেকরছে। দলের আত্মপ্রকাশের পর বিভাস চন্দ্র অধিকারী  বলেন, “আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে আমার দল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। পঞ্চায়েতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলে কোন দলের ক্ষতি হবে বা কোন দলের লাভ হবে সেটা আমাদের দেখার বিষয় নয়। তবে, দলের মূল লক্ষ্য হবে আর্য ভারত গঠন। মানুষকে সঠিক দিশা দিতে এই দল কাজ করে যাবে”। তিনি আরও বলেন, আমরা কয়েক দিনের মধ্যে বীরভূম জেলায় একটা সভা করব। এরপর কলকাতার বুকে সভা করা হবে।  আমাদের দলে যে কেউ আসতে পারে। আমরা কোনও সম্প্রদায় নিয়ে দল করি না। ঠাকুর অনুকূল চন্দ্র চেয়েছিলেন আর্য মহাসভা নামে দল গঠন হোক। যে দলের কাজ হবে মানুষকে সঠিক দিশা দেখানো। আমরা ঠাকুরের সেই ইচ্ছাকে সম্মান দিয়ে এগিয়ে নিয়ে যাব।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share