Tag: Madhyom

Madhyom

  • Recruitment Scam: নিয়োগ-দুর্নীতি মামলায় কাঁথির সেই শিক্ষকের বিরুদ্ধেও এবার সিবিআই তদন্তের নির্দেশ

    Recruitment Scam: নিয়োগ-দুর্নীতি মামলায় কাঁথির সেই শিক্ষকের বিরুদ্ধেও এবার সিবিআই তদন্তের নির্দেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ-দুর্নীতি (Recruitment Scam) মামলায় ইতিমধ্যে গ্রেফতার হওয়া কাঁথির সেই শিক্ষকের বিরুদ্ধেও এবার সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। উল্লেখ্য, ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে চাকরির নাম করে বিভিন্নজনকে প্রায় পাঁচ কোটি টাকা প্রতারণা করার অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে কয়েকজন চাকরিপ্রার্থী বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাশে অভিযোগ জানান। তারপরই বিশেষ অভিযান চালিয়ে পুলিশ তাঁকে তাঁর শ্বশুরবাড়ি থেকে গ্রেফতার করে। আদালতের নির্দেশ, এই বিষয়ে যাবতীয় অনুসন্ধান চালিয়ে ৩ সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট পেশ করতে হবে সিবিআইকে। হাইকোর্ট সূত্রের খবর, যেহেতু নিয়োগ-দুর্নীতি মামলার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সিবিআই তদন্ত করছে, তাই এটিও দেখার ভার দেওয়া হল সেই সিবিআইকেই। একইসঙ্গে মূল মামলার সঙ্গে এর কোনও যোগ আছে কিনা, সেটিও খুঁজে দেখতে বলা হয়েছে সিবিআইকে। এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে ১ লা মে।

    বোঝাই যায়, নিয়োগ কেলেঙ্কারির (Recruitment Scam) জট ক্রমেই জটিল হয়ে উঠছে। কাঁথির দেশপ্রাণ ব্লকের বিচুনিয়া হাইস্কুলের ইংরেজির ওই শিক্ষক দীপক জানার বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাশে মামলা করা হয়েছে এই বছরের মার্চ মাসে। চাকরি দুর্নীতিতে (Recruitment Scam) অভিযুক্ত শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, তৃণমূল নেতা কুন্তল সহ অনেকে গ্রেফতার থাকা অবস্থায় তৃণমূল ঘনিষ্ঠ এই শিক্ষক নেতার পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়া এবং তার বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ খুবই তাৎপর্যপূর্ণ বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে।

    কী বলেছিলেন অভিযুক্ত ওই শিক্ষক ?

    কলকাতা হাইকোর্টে অভিযোগ জমা পড়ার পর এই নিয়োগ-দুর্নীতি (Recruitment Scam) সম্পর্কে অভিযোগ নিয়ে ওই শিক্ষককে বেশ কিছু প্রশ্ন করা হয়েছিল। তার উত্তরে তিনি যা জানিয়েছিলেন, তার সারমর্ম হল, এই অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। তৃণমূলের সঙ্গে যোগাযোগ থাকার কারণে তার কাছে যে অনেকে চাকরির জন্য আসতেন, তদ্বির করতেন, সেকথা তিনি স্বীকার করেছেন। তবে তিনি নাকি তাদের পাত্তা দেননি। বরং অন্য কোথাও চাকরি খুঁজে নেওয়ার কথাই বলেছিলেন। তার আশঙ্কা, এই আক্রোশ থেকেই হয়তো কেউ তার পিছনে লেগেছে। তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের স্বপক্ষে কোনও প্রমাণ থাকলে যে কোনও শাস্তি তিনি মাথা পেতে নিতে রাজি, একথাও তিনি জানিয়েছেন। তার বক্তব্য, টাকা নিলে তো হাতে নেব, না হয় কোনও অ্যাকাউন্টে নেব। প্রমাণ থাকলে দেখান। এই ঘটনার পিছনে তৃণমূল করার বিষয়টি একেবারেই নেই বলে তিনি মনে করেন। তার আশঙ্কা, এর পিছনে রয়েছে জ্ঞাতি কেউই। চাকরি না পেয়ে তারাই এখন পিছনে লেগেছে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Anganwadi Corruption: শিক্ষকের পর এবার অঙ্গনওয়াড়ির  সুপারভাইজার পদে নিয়োগেও ‘দুর্নীতি’?

    Anganwadi Corruption: শিক্ষকের পর এবার অঙ্গনওয়াড়ির সুপারভাইজার পদে নিয়োগেও ‘দুর্নীতি’?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার অঙ্গনওয়াড়ির সুপারভাইজার পদে নিয়োগ ঘিরেও উঠল দুর্নীতির (Anganwadi Corruption) অভিযোগ। এনিয়ে আদালতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী ও সহায়িকা কল্যাণ সমিতি। সম্প্রতি শিলিগুড়িতে সংগঠনের তৃতীয় রাজ্য সম্মেলনে এই প্রস্তাব নেওয়া হয়েছে। শূন্য থেকে ছয় বছর বয়সি শিশুদের এবং প্রসূতি মায়েদের পরিচর্চার দায়িত্ব এই অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের। এর বাইরেও তাঁদের অনেক সরকারি কাজ করানো হয়। পালস পোলিও, দুয়ারে সরকারের শিবির, নির্বাচন, স্বাস্থ্যশিবির সবেতেই অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা ‘ছাই ফেলতে ভাঙা কুলো’।

    সুপারভাইজার পদে নিয়োগ-দুর্নীতি নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার হুমকি কেন ?

    এই অমানুষিক পরিশ্রম করেও ন্যায্য সাম্মানিক পাচ্ছেন না তাঁরা। প্রাপ্য সুযোগসুবিধা থেকেও তাঁদের বঞ্চিত করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা সুবীর সাহা। তাঁর অভিযোগ, সীমাহীন বঞ্চনার সঙ্গে এবার যোগ হয়েছে সরকারি স্থায়ী পদে নিয়োগের সুযোগ কেড়ে নেওয়া। তিনি বলেন, অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের সহকারি স্থায়ী সুপারভাইজার পদে উন্নীত করার ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকার ২৫ শতাংশ সংরক্ষণ বাড়িয়ে ৫০ শতাংশ করেছে। রাজ্যে ৩৪০০ সুপারভাইজার পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া চলছে। তাতে ১৭০০ অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীকে নিয়োগ করার কথা। কিন্তু দেখা যাচ্ছে মাত্র ৪১২ জন অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীকে সুপারভাইজার পদে নিয়োগ করা হচ্ছে। কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত থাকা সত্ত্বেও প্রায় ১৩০০ অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী সুপারভাইজার পদে নিয়োগ পাচ্ছেন না। প্রায় ১৩০০ সুপারভাইজার পদে রাজ্যের শাসকদলের নেতা-কর্মী-মন্ত্রীরা দুর্নীতি (Anganwadi Corruption) করছেন। এ নিয়ে আমরা রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজার দ্বারস্থ হয়েছিলাম। কিন্তু তাঁর কাছ থেকে এ ব্যাপারে কোনও ইতিবাচক সাড়া মেলেনি। এবার সব বিধায়ক ও সাংসদের কাছে এই তথ্য তুলে ধরা হবে। তারপর আমরা এই সুপারভাইজার পদে নিয়োগ-দুর্নীতি নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হব। 

    মোবাইল নিয়েও দুর্নীতি ?

    অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের মোবাইল কেনার জন্য প্রাপ্য টাকা না পাওয়ার বিষয়টি নিয়েও সংগঠনের তৃতীয় রাজ্য সম্মেলনে আলোচনা হয়েছে। সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা বলেন, খবর রয়েছে কেন্দ্র সরকার অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের মোবাইল কেনার জন্য আট হাজার টাকা করে দিয়েছে। কেননা এখন সবকিছুই অনলাইনে হয়ে গিয়েছে। অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের মোবাইল ফোন থেকে রিপোর্ট পাঠাতে হয়। পশ্চিমবঙ্গে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা সেই মোবাইল কেনার টাকা পাননি (Anganwadi Corruption)। কেউ গয়না বিক্রি করে, কেউ ধারদেনা করে মোবাইল কিনে সরকারি কাজ করছেন। রাজ্যের ১ লক্ষ ১৬ হাজার অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীকে মোবাইল কেনার টাকা দেয়নি রাজ্য সরকার।
    কুড়ি থেকে ৬৫ বছর বয়সের মহিলাদের অঙ্গনওয়াড়ির কর্মী হিসেবে কাজ করার সুযোগ থাকছে। ৬৫ বছর হয়ে গেলে সেই কর্মীদের অবসর নিতে হয়। অবসরের সময় এককালীন মাত্র তিন লাখ টাকা দেওয়া হয়। সুবীরবাবু বলেন, আমাদের দাবি, অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের প্রভিডেন্ট ফান্ড, পেনশন, গ্র্যাচুইটি দিতে হবে।

    সরব বিজেপি নেতৃত্ব

    শিলিগুড়িতে উত্তরবঙ্গ মাড়োয়ারি ভবনে গত আট এপ্রিল পশ্চিমবঙ্গ অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী ও সহায়িকা কল্যাণ সমিতি তৃতীয় রাজ্য সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ১৮টি জেলা থেকেই প্রায় তিন হাজার সদস্যা উপস্থিত হয়েছিলেন। আর এই বিপুল সমাবেশ শিলিগুড়ি বিধায়ক বিজেপির শঙ্কর ঘোষ, ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ির বিধায়ক বিজেপির শিখা চট্টোপাধ্যায় উপস্থিত ছিলেন। তাঁরাও এই সম্মেলনে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের প্রতি রাজ্যের সীমাহীন শোষণ, বঞ্চনা ও অবিচার (Anganwadi Corruption) নিয়ে সরব হন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Mid Day Meal: গোল্লায় যাক শিশুদের মিড ডে মিল! মধুভাণ্ডের কাড়াকাড়িতেই মত্ত তৃণমূলের দুই গোষ্ঠী

    Mid Day Meal: গোল্লায় যাক শিশুদের মিড ডে মিল! মধুভাণ্ডের কাড়াকাড়িতেই মত্ত তৃণমূলের দুই গোষ্ঠী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের মাদার ও যুব সংগঠনের দুই নেতার বিবাদে সমস্যায় করণদিঘির আলতাপুর হাইস্কুল। অভিযোগ, মিড-ডে-মিল (Mid Day Meal) সহ স্কুল পরিচালন কমিটির হিসাবের টাকার ভাগ কে কতটা পাবে, তা নিয়েই এই বিবাদের সৃষ্টি। এই বিবাদ ধীরে ধীরে হাতাহাতি থেকে হানাহানি পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে৷ প্রাণনাশের চেষ্টার অভিযোগও পৌঁছেছে থানা থেকে জেলাশাসক পর্যন্ত। 
    এইসব গোলমালে আলতাপুর স্কুলের উন্নয়ন, পড়ুয়াদের মিড-ডে-মিল সব গোল্লায় যেতে বসেছে বলে বিরোধী দলের স্থানীয় নেতাদের অভিযোগ। স্কুল পরিচালন সমিতির সদস্যরা একে অন্যের বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করেছেন প্রকাশ্যেই। তাদের এক পক্ষের দাবি, হিসেব চাইতেই পরিচালন সমিতির সদস্যকে মারধর করেছেন অন্যজন। 

    স্কুল চালাতে সমস্যা হচ্ছে, স্বীকার প্রধান শিক্ষকের

    প্রধান শিক্ষক অবশ্য দাবি করেছেন, স্কুলের সবকিছু চলছে নিয়ম মেনেই। তবে গোলমালের কথা স্বীকার করেছেন তিনি এবং সেই গোলমালে স্কুল চালাতে সমস্যার কথাও গোপন করেননি তিনি। পাশাপাশি তিনি বলেছেন, সমস্যা আলোচনার মাধ্যমেই মিটতে পারত। যেহেতু ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পরিচালন সমিতির সদস্য লিখিত অভিযোগ করেছেন, তাই তিনিও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে সবটা লিখিত আকারে জানাবেন। সব মিলিয়ে উত্তর দিনাজপুরের করণদিঘি ব্লকের আলতাপুর হাইস্কুলের ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য বিভিন্ন মহলে। 

    অভিযোগ থানা এবং জেলাশাসককেও

    করণদিঘির আলতাপুর হাইস্কুলের পরিচালন সমিতির সভাপতি ও অন্য দুই সদস্যর মধ্যে মারামারির ঘটনায় চলতি মাসের ২ তারিখ করণদিঘি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন পরিচালন সমিতির সদস্য আবু তাহিরের স্ত্রী। অভিযোগ, স্কুল পরিচালন সমিতির সভাপতি মহাঃ হানিফ তাঁর স্বামী আবু তাহিরকে প্রাণে মেরে ফেলার চেষ্টা করে। ওই ঘটনায় আহত আবু তাহির রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন। এরপরে চলতি মাসের ৫ তারিখ আবু তাহির ও স্কুল পরিচালন সমিতির আরও ২ সদস্য জেলাশাসক সহ জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁদের অভিযোগ, স্কুলে মিড-ডে-মিল ঠিকভাবে খাওয়ানো হয় না। পুষ্টির খাবারও সঠিকভাবে দেওয়া হয় না পড়ুয়াদের। পাশাপাশি স্কুলের পরিচালন সমিতির কোনও বৈঠক হয় না কোনওদিন। এই সমস্ত বেনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানান তাঁরা। শুধু তাই নয়, পড়ুয়া ভর্তি বা মিড ডে মিল (Mid Day Meal)-সব ক্ষেত্রেই অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা না করে তাঁদের অন্ধকারে রেখেই পরিচালন সমিতির সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন বলে অভিযোগ। তাঁদের দুজনের যোগশাজশেই স্কুলে বিভিন্ন ক্ষেত্রে, বিশেষত মিড-ডে-মিলে অবৈধ কারবার চলছে বলে অভিযোগ। 

    কী বলছেন পরিচালন কমিটির সভাপতি ? 

    যদিও মিড-ডে-মিলের (Mid Day Meal) টাকা হাতিয়ে নেওয়ার চক্রান্তে সায় না দেওয়াতেই এই চক্রান্ত বলে পাল্টা দাবি করেন অভিযুক্ত পরিচালন সমিতির সভাপতি মহাঃ হানিফ। তাঁর দাবি, মিড-ডে-মিলের টাকা হাতানোর ছক ছিল অভিযোগকারীদের।

    আন্দোলনের হুঁশিয়ারি বিজেপির

    তবে সব মিলিয়ে পরিচালন সমিতির অন্দরে এই বচসা বা তীব্র দ্বন্দ্বে স্কুলের একটা বড় ক্ষতি হতে বসেছে এবং তার প্রভাব ইতিমধ্যেই পড়ুয়াদের উপর পড়ছে বলে দাবি করেছেন স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব। তাদের দাবি, তৃণমূল কংগ্রেসের মাদার এবং যুব সংগঠনের দুই নেতা মিড-ডে-মিলের টাকার বখরা নিয়ে গোলমাল পাকানোয় আলতাপুর হাইস্কুলের উন্নয়ন, পড়াশোনা ও মিড-ডে-মিল (Mid Day Meal) গোল্লায় যাচ্ছে। প্রশাসনকে সক্রিয় হয়ে সবটা সামাল দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। যদি প্রশাসন সঠিক ভুমিকা গ্রহণ না করে, তবে বৃহত্তর আন্দোলনেরও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kamarhati: তোলার টাকা না পেয়ে কামারহাটিতে অটো চালকসহ তিনজনকে বেধড়ক মার! কাঠগড়ায় তৃণমূলের ছাত্র নেতা

    Kamarhati: তোলার টাকা না পেয়ে কামারহাটিতে অটো চালকসহ তিনজনকে বেধড়ক মার! কাঠগড়ায় তৃণমূলের ছাত্র নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ  রাস্তায় অটো চালাতে গেলেও তোলা দিতে হবে। কামারহাটি (Kamarhati) এলাকায় রানা বিশ্বাস নামে এক তৃণমূলের ছাত্র নেতার এটাই নিদান। আর যে তাঁর কথার খেলাপ করেছে তাঁর কপালে জুটেছে মার। কামারহাটি (Kamarhati) পুরসভার ২০ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা সন্দীপ রায়। তিনি পেশায় অটো চালক। রথতলা রুটে তিনি অটো চালান। আর তৃণমূল কর্মী হিসেবে পরিচিত। তাঁর কাছেও রানা ও তার দলবল গিয়ে তোলা চায়। সন্দীপ তা দিতে অস্বীকার করে। এটাই তাঁর অপরাধ। শনিবার রানা ও তাঁর দলবল মিলে সন্দীপ ও তাঁর দুই বন্ধুকে বেধড়ক পেটায় বলে অভিযোগ। সন্দীপসহ দুজনের চোট গুরুতর হওয়ায় তাঁদের সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই সন্দীপের পরিবারের পক্ষ থেকে বেলঘরিয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করা করা হয়েছে। পুলিশ ইতিমধ্যেই ইন্দ্রজিত্ মহান্তি এবং অক্ষয় শর্মাকে গ্রেফতার করেছে।

    হামলা নিয়ে কী বললেন আক্রান্ত পরিবারের লোকজন?

    রানা বিশ্বাস কামারহাটির (Kamarhati) তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি। আর শাসকদলের না ভাঙিয়ে এলাকায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন তিনি। এমনই অভিযোগ আক্রান্ত তৃণমূল কর্মীর আত্মীয় বাবু রক্ষিতের। তিনি বলেন, রানা বিধায়কের নাম ভাঙিয়ে তোলাবাজি করে। আমার শ্যালক সন্দীপ রথতলায় অটো চালায়। ওর নিজের অটো। ওর কাছে থেকে রানা তোলা চেয়ে ছিল। ও তা দিতে রাজি হয়নি। এটাই ওর অপরাধ। শনিবার রানা তার দলবল নিয়ে এসে আমার শ্যালক আর তাঁর সঙ্গে দুই বন্ধুকে বেধড়ক মারধর করেছে। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আক্রান্ত অটো চালকের মা বলেন, রানা একজন গুন্ডা। তৃণমূলের নাম করে এলাকায় দাপিয়ে বেড়ায়। সবার কাছে তোলা চায়। আমার ছেলেকে ও খুব মেরেছে। আমরাও তৃণমূল করি। আমরা কী বিচার পাব না। আমাদের দাবি, অবিলম্বে রানাকে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।

    কী বললেন কামারহাটি (Kamarhati) পুরসভার চেয়ারম্যান?

    এই ঘটনা নিয়ে কামারহাটি (Kamarhati)  পুরসভার চেয়ারম্যান গোপাল সাহা বলেন, বিষষয়টি শুনেছি। তবে, তোলাবাজি না অন্য কোনও কারণে মারধর করা হয়েছে তা জানি না। ইতিমধ্যেই সমস্ত ঘটনা দলীয় নেতৃত্বকে জানানো হয়েছে। দলের পক্ষ থেকে এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

    হামলার ঘটনা নিয়ে কী বলল বিজেপি নেতৃত্ব?

    এই ঘটনায় সরব হয়েছে বিজেপি নেতৃত্ব। বিজেপি নেতা কিশোর কর বলেন, এই ঘটনা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক ও নিন্দনীয়। তৃণমূলের নিজেদের মধ্যে গোষ্ঠী সংঘর্ষ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় হচ্ছে। কামারহাটি (Kamarhati)  তার ব্যতিক্রম নয়। দোষীদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের কাছে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Abhishek Banerjee: শহিদ মিনারে যুবরাজের সভার জন্য টেন্ডার ডেকে ঝাঁপিয়ে পড়ল সরকার! এ কোন রাজত্ব?

    Abhishek Banerjee: শহিদ মিনারে যুবরাজের সভার জন্য টেন্ডার ডেকে ঝাঁপিয়ে পড়ল সরকার! এ কোন রাজত্ব?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পর ঘাসফুলের ব্যাটন এখন তাঁর হাতে। তিনি তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকও (Abhishek Banerjee), পাশাপাশি যুব তৃণমূলের সর্বভারতীয় সভাপতিও তিনিই। দলে বর্ষীয়ান সাংসদরা থাকলেও যুবরাজ থাকলে কারও নাকি কথা বলারই সাহস থাকে না, এমনটাই জনশ্রুতি। অভিষেক (Abhishek Banerjee) কোনও জেলা সফরে গেলে পুলিশ-প্রশাসনের কর্তাদের থরহরিকম্প অবস্থা হয়। সভায় যাওয়ার রাস্তা খারাপ থাকলে প্রশাসন সঙ্গে সঙ্গে সেই রাস্তা মেরামত করে দেয়। 

    ২৯ মার্চ কী  ছিল শহিদ মিনারে?

    এবার ২৯ মার্চ কলকাতার শহিদ মিনারে যুব তৃণমূলের সভার আয়োজন ছিল। রাজ্যের সমস্ত জেলার ছাত্র, যুব এবং মাদারের কর্মীরা সেই সভায় হাজির হয়েছিলেন। আর সভার প্রধান বক্তা ছিলেন তৃণমূলের এই যুবরাজ (Abhishek Banerjee)। ফল যা হওয়ার, তাই-ই হয়েছে। পার্টির প্রোগ্রাম, ঝাঁপিয়ে পড়েছিল সরকার। তাঁর সভার ব্যারিকেড, এমনকী অস্থায়ী প্যান্ডেল তৈরির জন্য টেন্ডার ডেকে দেয় খোদ পূর্ত দফতর। পূর্ত দফতরের পক্ষ থেকে যেভাবে টেন্ডার ডেকে যুবরাজের (Abhishek Banerjee) সভার পরিকাঠামো তৈরি করা হয়েছে, সেই বিষয়টি সামনে আসতেই রাজ্য জুড়ে সমালোচনা শুরু হয়েছে। দলীয় সভার আয়োজন প্রশাসন কী করে করতে পারে, তা নিয়ে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন। যদিও প্রশাসনের সাফাই, নিরাপত্তার স্বার্থেই যা করার করা হয়েছে। এর সঙ্গে তৃণমূলের মিটিংয়ের কোনও সম্পর্ক নেই।

    দেখা যাক, টেন্ডারে কী রয়েছে?

    অনুষ্ঠানের আগেই শহিদ মিনার ও রেড রোড চত্বরে অস্থায়ী প্যান্ডেল, ব্যারিকেড, বাফার ব্যারিকেড এবং একটি ওয়াচ টাওয়ার তৈরির জন্য টেন্ডার ডাকা হয়। ২৫ মার্চ এই টেন্ডার ডাকা হয়েছিল। নোটিশে শুধু ২৯ মার্চ শহিদ মিনারে অস্থায়ী প্যান্ডেলসহ পরিকাঠামো তৈরির কথা বলা হয়। কোনও দলের উল্লেখ নেই। তবে, ওইদিন যুবরাজের সভা ছাড়া শহিদ মিনারে আর কোনও কর্মসূচি ছিল না। ফলে, নোটিশে উল্লেখ না থাকলেও অভিষেকের (Abhishek Banerjee) সভার জন্যই যে এই আয়োজন করা হয়েছিল, তা বলাই বাহুল্য। এই ধরনের সভার জন্য দলীয় ফান্ড থেকেই খরচ করে প্যান্ডেল তৈরি করার কথা। তাহলে সরকারি টাকা খরচ করে দলীয় সভার আয়োজন করা হল কেন? উত্তর নেই। স্বাভাবিকভাবেই দলীয় সভার জন্য টেন্ডার ডাকায় পূর্ত দফতরের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।

    রাস্তার জন্য মাথা খুঁড়ে মরছেন বাসিন্দারা। আর….!!

    সামনেই পঞ্চায়েত ভোট। তার আগেই রাজ্যের একাধিক পঞ্চায়েত এলাকায় বেহাল রাস্তার জন্য গ্রামবাসীরা ভোট বয়কটের ডাক দিচ্ছেন। শুক্রবারই মালদহের গাজোলে রাস্তা না হওয়ায় বহু বাসিন্দা বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। রাজ্য জুড়ে অনুন্নয়নের ছবি সামনে আসছে। সেখানে লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে দলীয় সভার প্যান্ডেল করা কতটা যুক্তিসঙ্গত, তা নিয়ে রাজনৈতিক মহল প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে। বিরোধীদের বক্তব্য, দলীয় সভার জন্য পূর্ত দফতর এই ধরনের উদ্যোগ কি নিতে পারে? সরকারি টাকা জনগনের কাজে ব্যবহার হবে। তা না করে একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের নেতাকে তুষ্ট করতে আসরে নেমেছে সরকার। এই রাজ্যে এতদিন দলদাস ছিল পুলিশ। এখন প্রশাসনও দলদাসে পরিণত হয়েছে। বাংলার মানুষ এই ধরনের ঘটনার সাক্ষী আগে কখনও হয়নি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Pond: পুকুরে ডুব দিলেই মনোবাসনা পূরণ, কোলে আসছে সন্তানও! জেনে নিন কোথায় এই “কামনা পুকুর”?

    Pond: পুকুরে ডুব দিলেই মনোবাসনা পূরণ, কোলে আসছে সন্তানও! জেনে নিন কোথায় এই “কামনা পুকুর”?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “বিশ্বাসে মিলায় বস্তু তর্কে বহুদূর।” কিন্তু এখানে বিশ্বাস অন্ধ বিশ্বাস কি না, তা নিয়ে যেমন শিক্ষিত মহলে প্রশ্ন আছে , তেমনি অনেকেরই আবার দাবি, এ আসলে ঠাকুরের অপার মাহাত্ম্য। বাস্তব যাই হোক না কেন, এমনই একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার হাবড়ায়। পুকুরে ডুব দিলেই নাকি হচ্ছে মনোবাসনা পূরণ। শুধু তাই নয়, ডুব দিলেই মিলছে চাকরি, অসুস্থ শরীর হচ্ছে সুস্থ, এমনকী মিলছে সন্তানও। এমনটাই নাকি ঘটছে বানিপুরের ইতনা কলোনির এক পুকুরে, স্থানীয়রা যার নাম রেখেছেন “কামনা পুকুর”।  

    স্থানীয়দের কী দাবি এই পুকুর নিয়ে ?

    স্থানীয় সূত্রে খবর, এই পুকুরের জলে নাকি রয়েছে বিশেষ মাহাত্ম্য। এলাকার মানুষজন তাই পুকুরপাড়ে তৈরি করে ফেলেছেন হরিচাঁদ গুরুচাঁদ-এর মন্দির। শুধু তাই নয়, দূর থেকে ঠাকুরবাড়ির পুকুরের ১০১ ঘটি জল এনে শোধনও করেছেন। এই পুকুরের খবর ছড়িয়ে যায় সর্বত্র। ভক্তরা আসতে শুরু করেন দূরদূরান্ত থেকে, তাদের মনোবাসনা পূরণের জন্য। আবার অনেকের, যাদের চিকিৎসকের দেওয়া ওষুধ কাজ করছে না, তাদের নাকি এই জলে ডুব দিলে শারীরিক সমস্যা দূর হচ্ছে। দীর্ঘদিন সন্তান না হওয়ায় সমস্যার মুখে পড়তে হয়েছিল এক গৃহবধূকে। মনের ইচ্ছা নিয়ে এই পুকুরে ডুব দিতেই কয়েক মাসের মধ্যে নাকি চলে আসে সন্তান। সকাল থেকেই ভক্তদের তাই লাইন পড়ছে এই এলাকায়, পুকুর সংলগ্ন হরিচাঁদ গুরুচাঁদ মন্দিরেও পড়ছে লম্বা লাইন। সঙ্গে খিচুড়ি ভোগ প্রসাদ বিতরণ, কাঁসর, ডঙ্কা, নিশান নিয়ে হরিনাম সংকীর্তন। উপস্থিত ছিলেন মতুয়া ভক্ত দলপতি গোসাই পাগল রাও। সব মিলিয়ে স্নান ঘিরে যেন উৎসবের মেজাজ গোটা এলাকায়।

    শুনুন, এক বৃদ্ধা কী বলছেন

    এখানেই দেখা হয়েছিল এক বৃদ্ধার সঙ্গে। নাতির পায়ে এতই যন্ত্রণা যে তারা কেউই রাতে ঘুমাতে পারতেন না। তাই তিনি এখানের শরণাপন্ন হলেন। নাতির রোগ সারলে এক মন চাল মানসিক হিসেবে দেব বলেছিলেন। তিনি এসেছিলেন সেই মানসিক দিতে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Anant Ambani:  ১৮ মাসে ১০৮ কেজি ওজন ঝরিয়ে ফের আগের চেহারায় মুকেশ-পুত্র, রহস্যটা কী ?

    Anant Ambani: ১৮ মাসে ১০৮ কেজি ওজন ঝরিয়ে ফের আগের চেহারায় মুকেশ-পুত্র, রহস্যটা কী ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জাঁকজমক করে বিয়ের অনুষ্ঠান তো হল। আর তার কত ছবিও প্রকাশ্যে এল। কিন্তু সেইসব ছবি আর ভিডিও দেখে অনেকেরই একটা বিষয়ে ঘোর যেন কাটতে চাইছে না। রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান মুকেশ আম্বানির কনিষ্ঠপুত্র অনন্ত আম্বানির চেহারা তো এমন ছিল না। হ্যাঁ, এমন চেহারাই তার ছিল, তবে তা ২০১৬ সালের আগে পর্যন্ত। তারপর তো শোনা গিয়েছিল তার ওজন কমেছে এক লপ্তে ১০৮ কেজি। প্রকাশ্যেও দেখা গিয়েছিল, সেই বিশালাকার চেহারা হয়ে উঠেছে একেবারে ছিমছাম। তাহলে এরপরে কী এমন হল, যাতে তার ওজন ফের বেড়ে গেল?

    ১০৮ কেজি ওজন কমল কীভাবে?

    প্রথমে দেখা যাক,  অনন্ত আম্বানির ১০৮ কেজি ওজন মাত্র দেড় বছরে, অর্থাত ১৮ মাাসে কমেছিল কিভাবে। জানা গিএছে, এর মধ্যে প্রতিদিন নিয়ম করে ব্যায়াম চলত পাঁচ থেকে ছয় ঘন্টা। দীর্ঘ কয়েক কিলোমিটার হাঁটা, ট্রেনিং, কার্ডিও ইত্যাদি নানা রকমের নিয়মকানুন তাকে মেনে চলতে হত। সঙ্গে ছিল যোগ ব্যায়ামও। আর বলার অপেক্ষা রাখে ন্‌ খাবার ছিল এরকম-জিরো সুগার, লো ফ্যাট, লো কার্ব এবং হাই প্রোটিন। জাঙ্ক ফুডের মায়া পুরোপুরি ছেড়ে দিতে হয়েছিল। পরিবর্তে ফলমূল এবং প্রচুর পরিমাণে শাকসবজি ছিল মূল ডায়েট। দৈনিক শরীরে ক্যালরি যেত ১২০০ থেকে ১৪০০। এসব করে যখন সে একেবারে ছিমছাম হয়ে গেল, তখন তার ছবি ইন্টারনেট দুনিয়ায় ঝড় তুলে দিয়েছিল। তখন সে যেন অনেকের কাছেই অনুপ্রেরণা। অনেকেই আশ্চর্য হয়ে গিয়েছিল এই ভেবে যে, এটাও সম্ভব।

    ফের ওজন বেড়ে গেল কেন?

    এই রহস্যের কিছুটা সমাধান হয়েছিল নিতা আম্বানির একটি বক্তব্যে। ২০১৭ সালে এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছিলেন, ছেলে প্রচণ্ডভাবে অ্যাজমায় ভোগে। তাই তাকে নিয়মিত স্টেরয়েড নিতে হয়। এটাই হয়তো তার আচমকা ফের ওজন বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Environment: ডুয়ার্সের লাটাগুড়িতে জঙ্গল ধ্বংস করে বাণিজ্যিক কমপ্লেক্স? প্রতিবাদে সরব বিজেপি বিধায়ক

    Environment: ডুয়ার্সের লাটাগুড়িতে জঙ্গল ধ্বংস করে বাণিজ্যিক কমপ্লেক্স? প্রতিবাদে সরব বিজেপি বিধায়ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বর্তমান সময়ে পরিবেশ (Environment) বাঁচাতে কজনই বা এগিয়ে আসেন? কিন্তু উত্তরবঙ্গে বন ও নদী বাঁচাতে আন্দোলনে নেমেছেন শিলিগুড়ির বিধায়ক, বিজেপির (BJP) শঙ্কর ঘোষ। উত্তরবঙ্গের মূল সৌন্দর্য হল ওই নদী আর বনজঙ্গল। কিন্তু সম্প্রতি একটি খবরের কাগজের বিজ্ঞাপন থেকে তিনি জানতে পারেন, ডুয়ার্সের লাটাগুড়ি জঙ্গলে একটি বাণিজ্যিক কমপ্লেক্স নির্মাণ হচ্ছে, যা পরিবেশবান্ধব নয়।  বনজঙ্গল ধ্বংস করেই সেটি নির্মাণ করা হচ্ছে। যা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। 

    শঙ্করবাবুর মূল অভিযোগ কী ? 

    অভিযোগ, কোনওরকম নিয়মের তোয়াক্কা না করে এবং বনজঙ্গল (Forest) ধ্বংস করে চলছে এই নির্মাণকার্য। এর ফলে উত্তরবঙ্গের পর্যটন শিল্পের (Tourism) ওপর খারাপ প্রভাব পড়ছে। লাটাগুড়ির এই বাণিজ্যিক কমপ্লেক্স (Commercial Complex) বানানো নিয়ে তাই প্রতিবাদে সরব হয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, “উত্তরবঙ্গের বন আইন, পরিবেশ (Environment) আইন ইত্যাদি কিছুই মানা হচ্ছে না এই নির্মাণকার্যে। শুধু এটি নয়, আরও অনেক হোটেল, রিসর্ট নির্মাণ হচ্ছে এইভাবেই, আইনকে তোয়াক্কা না করেই। অপরদিকে তিস্তা নদীতে ক্রাসার নামিয়ে প্রকাশ্যে পাথর তোলার কাজ চলছে। এতে প্রকৃতির ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। এরপর এর থেকে বড় কোনও বিপর্যয় ঘটতে পারে। আর এর প্রতিবাদেই আমি উত্তরবঙ্গে নদী ও বন বাঁচাতে আন্দোলন করছি। সুপ্রিম কোর্টের রায় অনুযায়ী বনভূমির এক কিলোমিটারের মধ্যে কোনও কংক্রিটের নির্মাণ করা যাবে না। কোর এলাকায় পিচরাস্তা নির্মাণ হবে না। এক্ষেত্রে কিছুই মানা হয়নি। এছাড়া বন্যপ্রাণ আইনও ভাঙা হয়েছে বলে তাঁর অভিযোগ।

    বিধানসভাতে পর্যন্ত জানানো হয় ব্যাপারটি, কিন্তু তারপর ?

    গত ৬ ফেব্রুয়ারি বিষয়টি শঙ্করবাবু নিজে বিধানসভাতে মুখ্যমন্ত্রী, পর্যটনমন্ত্রী ও বনমন্ত্রীর উপস্থিতিতে জানান। তিনি চিঠি দিয়ে জানতে চান, এই নির্মাণকার্যের ক্ষেত্রে পরিবেশ (Environment) দফতরের ছাড়পত্র আছে কিনা। কিন্তু আজও তার সদুত্তর মেলেনি। এরপর আবার তিনি জেলাশাসককে চিঠি দেন। তিনি কোনও উত্তর না দিয়ে সেটি বনদফতরের কাছে রেফার করে দেন। সেখান থেকেও কোনও উত্তর আসেনি বলে তিনি জানিয়েছেন। পরবর্তীতে তিনি পরিবেশপ্রেমীদের একজোট করে এর প্রতিবাদে সরব হবেন বলেই জানিয়েছেন। পাশাপাশি গ্রিন বেঞ্চে মামলা করবেন বলেও সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

    তাঁর এই অভিযোগের ব্যাপারে বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক কী জানিয়েছেন ?

    দুদিন উত্তরবঙ্গ সফরে এসেছিলেন বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। শিলিগুড়ির বিধায়কের অভিযোগের ব্যাপারে প্রশ উঠতে তিনি বলেন, “শঙ্কর ঘোষ বিধানসভায় বিষয়টি তোলেননি। শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক ঠিক কথা বলছেন না। লাটাগুড়ির যে নির্মাণকার্য নিয়ে তিনি অভিযোগ করছেন, সেটি কোর এরিয়ার মধ্যে নয়। তার আগে থেকেই সেখানে অনেক বাড়ি রয়েছে। আর গরুমারা হল অভয়ারণ্য। তাই সেখানে নির্মাণের কোনও প্রশ্নই ওঠে না। নির্মাণ হচ্ছে লাটাগুড়িতে। ওই নির্মাণ আমাদের এলাকায় হচ্ছে না, তাই এই নির্মাণকার্যে আমরা বাধা দিতে পারি না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Tribal People: অবরোধের জেরে ৮৪টি ট্রেন বাতিল, যাত্রী ভোগান্তি অব্যাহত, আন্দোলন জোরদার করার পথে আদিবাসীরা

    Tribal People: অবরোধের জেরে ৮৪টি ট্রেন বাতিল, যাত্রী ভোগান্তি অব্যাহত, আন্দোলন জোরদার করার পথে আদিবাসীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুধবার সকাল থেকে রেল অবরোধের ডাক দিয়েছিল কুড়মি সমাজ। পুরুলিয়ার কুস্তাউর স্টেশনে রেল অবরোধ শুরু করা হয়। বৃহস্পতিবারও কুস্তাউর রেল স্টেশন সংগঠনের সদস্যরা (Tribal People) ঘিরে রাখেন। একইসঙ্গে ঝাড়গ্রামেও সংগঠনের পক্ষ থেকে রেল অবরোধ করা হয়। ফলে, এদিন সাধারণ মানুষ চরম নাকাল হন। হাজার হাজার যাত্রীকে দুর্ভোগ পোহাতে হয়। ফলে, বুধবারের মতো এদিনও দক্ষিণ পূর্ব রেলে বহু ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। অনেক ট্রেনের যাত্রাপথ সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রেলে প্রকাশিত তালিকা অনুযায়ী, হাওড়া-পুনে, হাওড়া-জগদ্দলপুর, হাওড়া-আহমেদাবাদ, লোকমান্য তিলক-শালিমার, ভুবনেশ্বর-নয়াদিল্লি রাজধানী এক্সপ্রেসসহ ৮৪টি ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। এছাড়া ট্রেনকে ঘুরপথে চালানো হয়েছে। ৭টি ট্রেনের যাত্রাপথ আদ্রা পর্যন্ত সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে। ঘুর পথে ট্রেন চললেও যাত্রী দুর্ভোগ রয়েছে। অনেকেই না জেনে ভিন রাজ্যে কাজে যাবেন বলে বেরিয়ে ট্রেন বাতিলের কথা জানতে পেরে ফিরে আসছেন।

    জেলা প্রশাসনের সঙ্গে কুড়মি নেতাদের (Tribal People) বৈঠক, কী হল?

    ঝাড়গ্রামের খেমাশুলিতে সড়ক এবং রেল অবরোধে জনজীবন বিপর্যস্ত। বুধবার দিনভর নজরদারি করার পর বৃহস্পতিবার প্রশাসনের কর্তারা বিড়ম্বনায় পড়েন। খেমাশুলির কাছে কলাইকুণ্ডা পুলিশ ফাঁড়িতে বৈঠক হয়। বৈঠকে জেলাশাসক খুরশিদ আলি কাদরি, জেলা পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার যান এবং কুড়মি সংগঠনের রাজ্য নেতা (Tribal People) রাজেশ মাহাত, সংগঠনের জেলা সভাপতি কমলেশ মাহাতরা ছিলেন। সেখানে প্রশাসনের পক্ষ থেকে অবরোধ তুলে নেওয়ার জন্য বার বার আবেদন করা হয়। কিন্তু, সংগঠনের নেতারা জানিয়ে দেন, যতক্ষণ না পর্যন্ত রাজ্য পরিমার্জিত সিআরআই রিপোর্ট কেন্দ্রের কাছে পাঠাচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত অবরোধ চলবে। অন্যদিকে, পুরুলিয়ার আদিবাসী (Tribal People) কুড়মি সমাজের মুখ্য উপদেষ্টা অজিত প্রসাদ মাহাত এদিন ঝাড়গ্রামে সংগঠনের সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করতে যান। সেখানে আন্দোলনের পরবর্তী রূপরেখা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

    পরবর্তী আন্দোলনের রূপরেখা নিয়ে কী বললেন কুড়মি সমাজের নেতা?

    আদিবাসী (Tribal People) কুড়মি জাতিকে তফশিলি উপজাতির তালিকাভুক্ত করা, সারনা ধর্মের স্বীকৃতি, কুড়মালি ভাষাকে সংবিধানের অষ্টম তফসিলের অন্তর্ভুক্ত করা-সহ রাজ্য সরকারের সিআরআই (কালচারাল রিসার্চ ইনস্টিটিউট) রিপোর্ট কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে পাঠানোর দাবিতে সংগঠনের পক্ষ থেকে রাস্তায় নেমে এই আন্দোলন করা হয়েছে। বুধবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য রেল অবরোধের ডাক দেওয়া হয়েছে। আদিবাসী (Tribal People) কুড়মি সমাজের মুখ্য উপদেষ্টা অজিত প্রসাদ মাহাত বলেন, আমাদের আন্দোলনকে রাজ্য সরকার কোনও গুরুত্ব দিচ্ছে না। আমরা এবার নতুন করে কোটশিলা স্টেশনে অবরোধ করব। আর সড়ক পথে লালপুর-হুড়া এবং শিমুলিয়ায় রাস্তা অবরোধ করব। আমরা এই আন্দোলন আরও জোরদার করব। প্রয়োজনে জঙ্গলমহল স্তব্ধ করে দেব।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Duare Sarkar: দুয়ারে সরকার প্রকল্পে ব্যাপক হয়রানি,  শিবিরে ভাঙচুর চালাল ক্ষুব্ধ জনতা

    Duare Sarkar: দুয়ারে সরকার প্রকল্পে ব্যাপক হয়রানি, শিবিরে ভাঙচুর চালাল ক্ষুব্ধ জনতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সরকারি প্রকল্পের সুবিধা রাজ্যবাসীর মধ্যে পৌঁছে দিতে দুয়ারে সরকার (Duare Sarkar) প্রকল্প নিয়েছে রাজ্য সরকার। কিন্তু সেই কর্মসূচিতে গিয়ে হয়রানির শিকার হতে হল উপভোক্তাদের। ফলে শিবিরে ভাঙচুর চালালেন ক্ষুব্ধ উপভোক্তারা। গোটা ঘটনায় বৃহস্পতিবার চাঞ্চল্য ছড়াল উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুরের আগডিমটিখন্তি অঞ্চলের দিঘলবস্তি এলাকায়। 

    ঠিক কী ঘটেছিল এদিন ?

    জানা গিয়েছে, স্থানীয় দিঘলবস্তি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এদিন এই ক্যাম্প (Duare Sarkar) অনুষ্ঠিত হয়। সরকারি সুবিধা পেতে নির্দিষ্ট সময়ের আগেই গ্রামবাসীরা হাজির হয়েছিলেন শিবিরে। কিন্তু সকাল সাড়ে দশটায় ক্যাম্প চালু হওয়ার কথা থাকলেও, বেলা সাড়ে এগারোটা নাগাদ কর্মীরা ক্যাম্পে উপস্থিত হতে শুরু করেন। একেই সময়ের অনেক পরে কাজ চালু হয়, তার ওপর সরকারি প্রকল্পের আবেদনপত্র অপ্রতুল হওয়ায়, ফর্ম না পেয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন দূরদূরান্ত থেকে আসা গ্রামবাসীরা। গোটা ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।

    দিঘলবস্তি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশেই বাড়ি তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি আকবর আলির। সাধারণ মানুষকে সাহায্য করতেই সকাল সকাল তিনি ক্যাম্পে হাজির হয়েছিলেন। দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকেও ক্যাম্প চালু না হওয়ায় সরকারি কর্মী ও স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দেন তিনি। অন্যদিকে এদিন দেরি করে ক্যাম্প চালু ও ফর্ম না পেয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন উত্তেজিত গ্রামবাসীরা। এমনকী ক্যাম্পের আসবাবপত্রে ভাঙচুরও চালানো হয়। এই ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয় শিবির চত্বরে। খবর পেয়ে ইসলামপুর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। শুরু হয় শিবিরের কাজকর্ম।

    কী বলছেন পঞ্চায়েত সদস্যের প্রতিনিধি ?

    যদিও কর্মীদের দেরীতে আসার কথা মেনে নিয়েছেন স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যের প্রতিনিধি নজরুল ইসলাম। তবে পর্যাপ্ত ফর্ম শিবিরে (Duare Sarkar) রয়েছে বলে জানান তিনি। অন্যদিকে ক্যাম্পে দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্লক অফিসের কর্মী সাগরাম সোরেন জানিয়েছেন, ক্যাম্পে পর্যাপ্ত ফর্ম আছে। বিভাগের নাম দেওয়া হয়নি বলে সমস্যায় পড়েছিলেন গ্রামবাসীরা। দ্রুত  বিভাগের নাম লিখে চিহ্নিতকরণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share