Tag: Madhyom

Madhyom

  • Tmc: বঞ্চিত তৃণমূল কংগ্রেসের ব্যানারে কর্মী সম্মেলন! কোথায় জানেন?

    Tmc: বঞ্চিত তৃণমূল কংগ্রেসের ব্যানারে কর্মী সম্মেলন! কোথায় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে শাসক দলের নেতা কর্মীরা সম্মেলন করবেন, এটা স্বাভাবিক ব্যাপার। কিন্তু, পশ্চিম বর্ধমানের কুলটিতে একটি অনুষ্ঠান ভবনে তৃণমূলের (Tmc) কর্মী সম্মেলন ঘিরে দলের কোন্দল একেবারেই প্রকাশ্যে চলে এসেছে। কারণ, কর্মী সম্মেলনে ব্যানারে লেখা রয়েছে, কুলটি ব্লকের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়পন্থী বঞ্চিত তৃণমূল (Tmc)  কংগ্রেস কর্মী। আসলে শাসক দলের ঝান্ডা নিয়ে বুক চিতিয়ে দল করে যারা দিনের পর দিন অসন্মানিত হয়েছেন, সেই সব বঞ্চিত নেতাদের নিয়ে এই সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এমনই দাবি উদ্যোক্তাদের। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বঞ্চিত এই তৃণমূল (Tmc)  কর্মীদের সম্মেলন করা নিয়ে সরগরম আসানসোলে রাজনৈতিক মহল।

    কাদের নেতৃত্বে হল বঞ্চিত তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী সম্মেলন? Tmc

    বিক্ষুব্ধ তৃণমূল (Tmc)  কংগ্রেসের কর্মীদের আলাদা করে কর্মী সম্মেলনকে ঘিরে দলের অন্দরে চর্চা শুরু হয়েছে। মূলত, তৃণমূলেরই (Tmc) একটি অংশ কুলটিতে বঞ্চিত তৃণমূলের নাম দিয়ে একটি অনুষ্ঠান ভবনে কর্মী সম্মেলন করেন। রবিবার বঞ্চিত কর্মী সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন কুলটি ব্লকের প্রাক্তন সভাপতি বিমান আচার্য্য, রাজ্যের প্রাক্তন যুব সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায়, প্রাক্তন কুলটি পুরসভায় প্রাক্তন চেয়ারম্যান বাচ্চু রায়, প্রাক্তন কাউন্সিলার রাজা চট্টোপাধ্যায় এবং ব্লকের প্রাক্তন নেতা সহ কয়েকশো কর্মী সমর্থকরা। এদিন কর্মী সম্মেলনে উপস্থিত নেতারা প্রকাশ্যে বলেন, এখন কুলটি ব্লকের যারা তৃণমূলের (Tmc)  দায়িত্বে আছেন তারা আমাদের মতো পুরোনো কর্মীদের কোনো পাত্তা দেন না। এই কথা জেলার নেতৃত্বদের বার বার বলেও কোনো লাভ হয়নি। এমনকী আমাদের কোনও মিটিং মিছিলে পর্যন্ত ডাকা হয়না। কুলটিতে এখন কিছু চোর ডাকাতদের নিয়ে সংগঠন চলছে। এই নীতি মেনে নেওয়া যাবে না। এই কারণে বারবার কুলটি বিধানসভায় প্রায় প্রতিটি নির্বাচনে তৃণমূল (Tmc)  কংগ্রেসকে হারতে হয়। এই সম্মেলনের মধ্য দিয়ে সেই বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। আর দলের স্বার্থে আগামীদিনে বঞ্চিত কর্মীদের নিয়ে তৃণমূল ভবন এবং নবান্ন অভিযান করা হবে বলে তাঁরা জানান। এমনকী কুলটিতে তৃণমূলের (Tmc)  দলের এই দুর্দশার অবস্থা দলের সুপ্রিমোকে জানানো হবে।

    এই সম্মেলন নিয়ে কী বললেন তৃণমূলের পশ্চিম বর্ধমান জেলার চেয়ারম্যান? Tmc

    বঞ্চিত তৃণমূল (Tmc) কর্মীদের এই সম্মেলনের বিষয়টি দলীয় নেতৃত্ব ভালোভাবে নেননি। কুলটির প্রাক্তন বিধায়ক তথা তৃণমূলের (Tmc) পশ্চিম বর্ধমান জেলার চেয়ারম্যান উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায় বলেন, যারা এসব করছে, তারা সামনে দল করার কথা বললেও পিছনে সব বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে রয়েছে। পুরানো কর্মীদের কাউকে বঞ্চনা করা হয় না। আমরা সব সময় বলছি, সকলে একসঙ্গে মিলে দল করতে চাই। কিন্তু, এভাবে কর্মী সম্মেলন করে দলকে বদনাম করার চেষ্টা হচ্ছে। পরোক্ষে বিরোধীদের হাতকে ওরা শক্ত করছে। এসব না করে ওরা মন দিয়ে তৃণমূল দলটা করুক, আমরা এটা চাই।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Fake: পুরসভার বিল্ডিং প্ল্যান জাল করে অবাধে চলছে বিক্রি! কোথায় জানেন?

    Fake: পুরসভার বিল্ডিং প্ল্যান জাল করে অবাধে চলছে বিক্রি! কোথায় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ বিল্ডিং প্ল্যান এর নকশা জাল (Fake) করার অভিযোগকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে পুরুলিয়া পুরসভায়। পুরসভার কর্মীদের একাংশ এই অপকর্মের সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছে। যা নিয়ে ইঞ্জিনিয়ার অ্যাসোসিয়েশন  এর সদস্যরা  সরব হয়েছেন। সমস্ত তথ্যপ্রমাণ দিয়ে তাঁরা পুরসভার চেয়ারম্যানের দ্বারস্থ হয়েছেন। তাঁদের দাবি, এই ঘটনার তদন্ত করতে হবে। আর এই ঘটনায় যে বা যারা জড়িত রয়েছে, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।

    কীভাবে বিল্ডিং প্ল্যান জাল করা হচ্ছে? Fake

    পুরসভা এলাকায় ইঞ্জিনিয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যদের মাধ্যমে বিল্ডিং প্ল্যান তৈরি করা হয়। সংগঠনের সদস্যরা বলেন, বিল্ডিং প্ল্যান করে যারা পুরসভায় জমা দিচ্ছে, সেই প্ল্যানের নথি আলাদা করে কপি করে সেই প্ল্যানে নতুন নাম, প্লট নম্বর দিয়ে জাল (Fake)  প্ল্যান তৈরি করে অন্য ব্যক্তিকে কম টাকায় সেই প্ল্যান বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে।  এমনকী সেই প্ল্যান পুরসভা থেকে পাশও করানো হচ্ছে। আমাদের কাছে তার প্রমাণও রয়েছে। এসব করে পেশাগত কাজে বাধা সৃষ্টি করছে এক শ্রেণীর পুরসভার কর্মীরা। দীর্ঘদিন ধরেই এই বেআইনি কাজ চলছে। কারণ, প্ল্যান পাশ হয়ে যাওয়ার পর সে প্ল্যানের নকশা যখন অ্যাপসে  আপলোড হচ্ছে, তখন দেখা যাচ্ছে তাদের করা নকশা অন্য ব্যক্তির প্ল্যানে পাশ করানো হয়েছে। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক বামাপদ পুইতন্ডি বলেন,  পুরসভার কর্মী ছাড়া এই ধরনের জালিয়াতি (Fake) কারও পক্ষে করা সম্ভব নয়।  কারণ, আমাদের তৈরি প্ল্যান পুরসভায় জমা পড়ে। সেই জমা পড়া প্ল্যান থেকে জালিয়াতি করা হচ্ছে। পুরসভার চেয়ারম্যানকে লিখিতভাবে জানিয়েছি। কোনও ব্যবস্থা না নেওয়া হলে আগামীদিনে থানা ও আদালতে যাব।

    কী বললেন পুরসভার বিরোধী দলনেতা? Fake

    এই বিষয়ে পুরসভার বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপি কাউন্সিলর প্রদীপ মুখোপাধ্যায় বলেন, পুরসভা থেকে প্ল্যান চুরি হয়ে যাচ্ছে, এটা ভাবা যায় না। পুরসভার প্ল্যান বিভাগে যারা রয়েছেন, তাঁদের সকলকে শোকজ করা দরকার। এই ধরনের বেআইনি কাজের সঙ্গে যে বা যারা জড়িত রয়েছে, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার। পুরসভার বৈঠকে আমরা এই বিষয়টি তুলব।  

    কী বললেন পুরসভার চেয়ারম্যান? Fake

    এই বিষয়ে পুরসভার চেয়ারম্যান নবেন্দু মাহালি বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। প্ল্যান বিভাগের এক ইঞ্জিনিয়ারকে বিষয়টি দেখার জন্য বলেছি। কারণ, এই ধরনের ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। বিষয়টি নিয়ে বিভাগীয় তদন্ত করা হবে। দোষী প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পুরসভায় এই ধরনের বেআইনি কাজ কোনওভাবে মেনে নেওয়া হবে না।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Anubrarta Mondal: পুরসভায় নিয়োগে কেষ্ট ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতার যোগ! কোথায় জানেন?

    Anubrarta Mondal: পুরসভায় নিয়োগে কেষ্ট ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতার যোগ! কোথায় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ বরানগর পুরসভায় কর্মী নিয়োগে গরু পাচারকাণ্ডে অভিযুক্ত অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) ঘনিষ্ঠ পুর কর্মচারী ইউনিয়নের এক রাজ্য নেতার সরাসরি ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। শুধু তাই নয়, পুরসভায় কর্মী নিয়োগে স্বজনপোষণের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল পরিচালিত পুর বোর্ডের বিরুদ্ধে। রিক্রুটমেন্ট বোর্ডে যে সব পুর প্রতিনিধিরা ছিলেন, তাঁরা কেউ নিজেদের পরিবারের লোকজনকে বা তাঁদের ঘনিষ্ঠদের চাকরি পাইয়ে দিয়েছেন বলে অভিযোগ। নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত অয়ন শীলের কোম্পানির মাধ্যমে এই সব নিয়োগ হয়েছে। ফলে, এই পুরসভায় নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এমনিতে কামারহাটি পুরসভা ইডি নজরে রয়েছে। বরানগর পুরসভায় যে ভাবে নিয়োগ হয়েছে তা নিয়ে দলের অন্দরে এখন চর্চা শুরু হয়েছে।

    বিতর্কিত প্যানেলে কত জন কর্মী নিয়োগ হয়? Anubrata Mondal

    পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৭-১৮ সালে এই পুরসভায় অয়ন শীলের কোম্পানির মাধ্যমে কর্মী নিয়োগের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। পরে, রিক্রুটমেন্ট বোর্ডে ছিলেন চেয়ারপার্সন অপর্ণা মৌলিক, তত্কালীন ভাইস চেয়ারম্যান জয়ন্ত রায়, এক্সিকিউটিভ অফিসার সুদীপ ভট্টাচার্য, কাউন্সিলর বিশ্বজিত্ বর্ধন এবং অনিন্দ্য রাউত। পুরসভার কর্মী পদে কয়েক হাজার ছেলেমেয়ে আবেদন করেছিলেন। তারমধ্যে ১৭০ জনকে নিয়োগ করা হয়। কিন্তু, নিয়োগ হওয়ার পর যে তালিকা সামনে আসে তাতে রিক্রুটমেন্টের দায়িত্বে থাকা পদাধিকারীদের পরিবারের লোকজনের নাম সামনে আসে। এক সিআইসি সদস্যের পরিবারের লোকজনের নাম তালিকায় রয়েছে। এছাড়া একাধিক কাউন্সিলারদের ঘনিষ্ঠরা চাকরি পেয়েছেন বলে অভিযোগ। একই সঙ্গে কেষ্ট (Anubrata Mondal)  ঘনিষ্ঠ শাসক দলের পুর কর্মচারী ইউনিয়নের রাজ্য নেতার ওই নিয়োগে বড় ভূমিকা রয়েছে। ওই নেতার বাড়ি বীরভূম জেলায়। ওই নেতার হাত ধরে বীরভূম, মুর্শিদাবাদ জেলার একাধিক ছেলে এই পুরসভায় নিয়োগপত্র পেয়েছে। ওই নেতা অনুব্রত (Anubrata Mondal) ঘনিষ্ঠ হওয়ায় তাঁর দেওয়া তালিকা অনুযায়ী নিয়োগ করতে কেউ আপত্তি জানানোর সাহস দেখায়নি। স্রেফ শাসক দলের বদান্যতায় তাঁদের চাকরি হয়েছে বলে বিরোধীদের অভিযোগ। এমনকী বীরভূম, মুর্শিদাবাদ জেলায় যাদের নিয়োগ করা হয়েছে, তারা নিয়মিত পুরসভায় পর্যন্ত আসে না বলে অভিযোগ। কিন্তু, তাদের নিয়মিত প্রতিমাসে বেতন হয়ে যায়। এরকম ২৫-৩০ জন কর্মী রয়েছেন। যা নিয়ে তৃণমূলের একাংশ প্রশ্ন তুলেছেন। বোর্ড মিটিংয়ে এই বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

    নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে কী বললেন পুরসভার চেয়ারপার্সন ? Anubrata Mondal

    বরানগর পুরসভার চেয়ারপার্সন অপর্ণা মৌলিক বলেন, নিয়ম মেনে  পুরসভায় নিয়োগ হয়েছে। তবে, কাউন্সিলর বা রিক্রুটমেন্ট বোর্ডের দায়িত্বে থাকলে তাঁর ছেলেমেয়েরা পরীক্ষা দিতে পারবে না এমন কোনও নিয়ম নেই। পরীক্ষা দিতেই সকলেই চাকরি পেয়েছেন। স্বচ্ছতার সঙ্গে নিয়োগ হয়েছে। আর কেউ পুরসভায় নিয়মিত না আসলে তাঁকে শো কজ করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Fraud: ৫জি টাওয়ার বসানোর টোপ দিয়ে ১৭ লক্ষ টাকার প্রতারণা! কোথায় জানেন?

    Fraud: ৫জি টাওয়ার বসানোর টোপ দিয়ে ১৭ লক্ষ টাকার প্রতারণা! কোথায় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ ৫ জি টাওয়ার বসানোর জন্য কারও কাছে মোবাইলে ফোন আসলে, ধরবেন না। কারণ, রাজ্য জুড়ে একটি প্রতারণাচক্র (Fraud) সক্রিয় হয়ে উঠেছে। আর তারা ফোন করে ৫  জি টাওয়ার বসানোর জন্য মোটা টাকার টোপ দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে ওই চক্র (Fraud) । বারাকপুর মহকুমায় নোয়াপাড়া থানা এলাকার এক ব্যক্তি এই প্রতারণা চক্রের খপ্পরে পড়ে কার্যত সর্বসান্ত হয়েছে। প্রতারকরা তার বাড়িতে ৫ জি টাওয়ার বসানোর লোভ দেখিয়ে কয়েক দফায় ১৭ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয় বলে অভিযোগ। প্রতারিত হওয়ার পর তিনি নিজের ভুল বুঝতে পেরে থানার দ্বারস্থ হন। তদন্তে নেমে পুলিশ এই চক্রে (Fraud)  জড়িত থাকার অভিযোগে ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম সুদীপ বিশ্বাস, সুজন ঘোষ, সঞ্জয় বালা, তপন মণ্ডল এবং মহিতোষ কুণ্ডু। ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের এক আধিকারিক বলেন, ধৃতদের হেপাজতে নিয়ে এই চক্রের সঙ্গে আর কারা জড়িত রয়েছে তা জানার চেষ্টা হচ্ছে।

     কীভাবে প্রতারণা করল অভিযুক্তরা? Fraud

     কয়েকদিন আগেই নোয়াপাড়ার ওই ব্যক্তির কাছে একজন অপরিচিত নম্বর থেকে ফোন করেন। তাঁর বাড়িতে ৫ জি টাওয়ার বসানো হবে বলে টোপ দেওয়া হয়। শুধু বাড়ির ওই জায়গা দেওয়ার জন্য তাঁকে এককালীন ২৫ লক্ষ টাকা এবং প্রতিমাসে ৩৫ হাজার টাকা করে দেওয়ার প্রলোভন দেখানো হয়। তবে, বিষয়টি অন্য কাউকে না জানানোর কথা বলা হয়। পরে, তাঁর বাড়ির ছবি, দলিল সব কিছু চাওয়া হয়। পরে, ওই ব্যক্তির নাম রেজিস্ট্রেশন করা হয়। কয়েকদিন এই সব কাজ করার পর ওই ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়। ফলে, ওই ব্যক্তির চাহিদা রয়েছে কি না দেখা হয়। মোটা টাকার হাতছাড়া হয়ে যাবে ভেবে ফের ওই ব্যক্তি যোগাযোগ করেন। কিন্তু, তখনও কাগজপত্র খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলা হয়। এরকমভাবে আরও কিছুদিন ঝুলিয়ে রাখা হয়। এরপর আচমকা ফোন করে তাঁকে জানানো হয়, আপনার কাগজপত্র দেখে অফিস আপনার বাড়িতে টাওয়ার বসানোর আগ্রহ দেখিয়েছে।  এরপর শুরু হয় আসল খেলা। অফিসের অ্যাকাউন্টের নামে একটি ড্যামি অ্যাকাউন্ট পাঠানো হয়। সেই অ্যাকাউন্টে প্রথমে দেড় লক্ষ টাকা পাঠাতে বলা হয়। ২৫ লক্ষ টাকা হাতছাড়়া হয়ে যাবে ভেবে ওই ব্যক্তি এক কথায় দেড় লক্ষ টাকা পাঠিয়ে দেন। পরে, প্রতারকদের (Fraud) কথার জালে ফেঁসে ওই ব্যক্তি কয়েক দফায় সব মিলিয়ে মোট ১৭ লক্ষ টাকা দিয়ে দেন।  আর ড্যামি অ্যাকাউন্টে টাকা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে টাকা উঠিয়ে নেওয়া হত। পরে, টাওয়ার না বসায় ওই ব্যক্তি বুঝতে পারেন প্রতারিত(Fraud)  হয়েছেন। এরপরই তিনি থানার দ্বারস্থ হন।

    প্রতারকদের কোন এলাকা থেকে ধরল পুলিশ? Fraud

    উত্তর ২৪ পরগনা জেলা জুড়েই প্রতারকদের (Fraud)  জাল ছড়িয়ে রয়েছে। বাগদা থেকে বিষয়টি অপারেট হচ্ছে। আর জেলার বিভিন্ন থানা এলাকায় তাদের এজেন্ট রয়েছে। ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের এক আধিকারিক বলেন, অভিযোগের তদন্তে নেমে প্রথমে জগদ্দল থেকে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে, বারাসত, বাগদা এবং গাইঘাটা থেকে আরও চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এখনও পর্যন্ত যা তথ্য পাওয়া গিয়েছে, সঞ্জয় বালা এই অপরাধের মাস্টার মাইন্ড।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Madan Mitra: অয়নের বান্ধবী শ্বেতার সঙ্গে দেখা করলেন কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র! কী কথা হল?

    Madan Mitra: অয়নের বান্ধবী শ্বেতার সঙ্গে দেখা করলেন কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র! কী কথা হল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত অয়ন শীলের কোম্পানির হাত ধরেই কামারহাটি পুরসভায় দুদফায় কর্মী নিয়োগ হয়েছিল। নিয়োগ প্রক্রিয়ার বিষয়টি ইডি-র নজরে রয়েছে। কারণ, অয়ন টাকার বিনিময়ে চাকরি বিক্রি করত তার প্রমাণ ইডি আধিকারিকরা আগেই পেয়েছেন। কামারহাটি পুরসভায় যে সব কর্মী নিয়োগ হয়েছিল তাদের পিছনে কত টাকার খেলা হয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে বিভিন্ন মহলে। ইতিমধ্যে বিতর্কিত প্যানেলে চাকরি নিয়ে চরম আতঙ্কিত কামারহাটি পুরসভার কর্মচারীরা। শুক্রবার স্থানীয় বিধায়ক মদন মিত্রের (Madan Mitra) কাছে কর্মীরা সেই উদ্বেগের কথা জানালেন। একইসঙ্গে পুরসভায় চেয়ারম্যান গোপাল সাহার কাছে তাঁদের আতঙ্কের কথা তুলে ধরেন। তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র (Madan Mitra) বলেন, আমাদের কর্মীরা কোনও অপরাধ করেনি। তাঁরা ভয়ে রয়েছে। অন্যায় না করলে ভয় পাওয়ার কিছু নেই বলে আমি তাদের আশ্বস্ত করেছি।

    কী বললেন বিতর্কিত প্যানেলে চাকরি হওয়া কর্মীরা? 

    অয়নের হাত ধরে ব্যারাকপুর মহকুমার ৬টি পুরসভায় কর্মী নিয়োগ হয়েছিল। তারমধ্যে কামারহাটি পুরসভা রয়েছে। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৭ সালে এবং ২০১৯ সালে দুটি অয়ন শীলের কোম্পানির মাধ্যমে চাকরি প্রার্থীদের পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল। ২০১৭ সালে ১৭ হাজার পরীক্ষার্থী ছিলেন। আর ২০১৯ সালে ১৪ হাজার পরীক্ষার্থী ছিলেন। সবমিলিয়ে ১০৪ এবং ১২৫ জনকে পুরসভায় নিয়োগ করা হয়। আর সবটাই অয়নের কোম্পানির হাত ধরে হয়েছে। দেখা যায়, পুরসভায় নিয়োগ  হওয়া ২২৯ জনের মধ্যে শ্বেতা চক্রবর্তীর নাম রয়েছে। শ্বেতার নাম সামনে আসতেই এই প্যানেলের অন্যান্য কর্মীরা চরম আতঙ্কে রয়েছেন। প্যানেলে চাকরি পাওয়া পুরসভার এক কর্মী বলেন, নিয়ম মেনে পরীক্ষা দিয়ে চাকরি হয়েছে। কিন্তু, যে কোম্পানির হাত ধরে আমাদের নিয়োগ হয়েছে, সে জেলে রয়েছে। তাতেই আমাদের ভয় লাগছে। আমাদের প্যানেল বাতিল করে দেবে না তো?

    শ্বেতার সঙ্গে দেখা করলেন মদন মিত্র (Madan Mitra), কী কথা হল? 

    অয়নের বান্ধবী শ্বেতা চক্রবর্তী শুক্রবার কামারহাটি পুরসভায় আসেন। নিজের দপ্তরের চেয়ারে তিনি বসেছিলেন। অনেকে তাঁকে এসে দেখে যান। তবে, কারও সঙ্গে তিনি কোনও কথা বলেননি। নিজের চেয়ারে চুপচাপ তিনি বসেছিলেন। এদিন বিধায়ক মদন মিত্র (Madan Mitra) তাঁর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। বিধায়ক (Madan Mitra) বলেন, আমি সব কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলছিলাম। তখন দেখছিলাম শ্বেতা চক্রবর্তী বসে আছেন। টিভিতে দেখে তাকে চিনতে পেরেছি। জিজ্ঞেস করলাম নাম কী। কোথায় থাকেন। ব্যাস এইটুকুই। শ্বেতাও তৃণমূল বিধায়কের সঙ্গে সৌজন্য বিনিময় করেছেন। তাঁর বেশি কথা বলেননি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Anubrata Mondal: সিউড়ি থানার আইসিকে ব্যাঙ্কের নথিসহ তলব ইডির! গরু পাচারকাণ্ডে মিলবে কি নতুন তথ্য?

    Anubrata Mondal: সিউড়ি থানার আইসিকে ব্যাঙ্কের নথিসহ তলব ইডির! গরু পাচারকাণ্ডে মিলবে কি নতুন তথ্য?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ  আসানসোল সংশোধনাগারের সুপার কৃপাময় নন্দীর পর এবার বীরভূমের সিউড়ি থানার আইসি শেখ মহম্মদ আলিকে তলব করল ইডি। শনিবারই তাঁকে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। সঙ্গে তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সমস্ত নথি আনতে বলা হয়েছে। এর আগে গত ১৪ মার্চ তাঁকে নিজাম প্যালেসে ডেকে সিবিআই ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ করে। মূলত কয়লা পাচার করার জন্য তাঁকে নিয়মিত প্রোটেকশন মানি দেওয়া হত বলে তদন্তকারী অফিসাররা জানতে পেরেছেন। কয়লা পাচারের মূল অভিযুক্ত অনুপ মাঝি ওরফে লালার মুখেও এই পুলিশ অফিসারের নাম সিবিআই আধিকারিকরা জানতে পেরেছেন। মহম্মদবাজারের অফিসার ইন চার্জ হিসেবে থাকার সময় এই পুলিশ আধিকারিক নিয়মিত প্রোটেকশন মানি নেওয়ার পাশাপাশি পুলিশের বিভিন্ন মহলে সেই টাকা পৌঁছে যেত। বিনিময়ে পাচারকারীদের   কয়লা পাচার করতে  কোনও সমস্যা হত না। কোনও সমস্যা হলেই মহম্মহ আলি মুশকিল আসান ছিলেন। অনেকেই সে কথা তদন্তকারী অফিসারদের কাছে স্বীকার করেছে।

    মহম্মদ আলিকে কেন ডাকল ইডি ?  Anubrata Mondal

    বীরভূমের মহম্মদবাজার সহ একাধিক থানায় থাকার সময় কয়লা পাচারের পাশাপাশি গরু পাচারকাণ্ডে সরাসরি যোগ রয়েছে মহম্মদ আলির। এমনই তথ্য হাতে এসেছে ইডি আধিকারিকদের। এমনকী বীরভূমে অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) থাকার সময় তাঁর বাড়িতে এই পুলিশ আধিকারিকের নিয়মিত যাতায়াত ছিল। দাপুটে এই তৃণমূল নেতার (Anubrata Mondal)  অত্যন্ত পছন্দের পুলিশ অফিসার ছিলেন আলি। ২০০৫ সাল থেকে তিনি বীরভূম জেলায় রয়েছে। তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই তাঁর দাপট বাড়তে থাকে। এই জেলা ছেড়ে তাঁকে অন্য জেলায় বদলি করা হয়নি। এসবের পিছনে কার হাত রয়েছে তা জানার চেষ্টা করবে ইডি আধিকারিকরা।  সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, গত কয়েক মাস ধরে অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal)  মামলা লড়ার খরচও জুগিয়েছেন সিউড়ি থানার আইসি। দাপুটে এই তৃণমূল নেতার (Anubrata Mondal)  মামলা খরচের টাকা তিনি কেন দিয়েছেন তা জানার চেষ্টা করবে ইডি আধিকারিকরা। পাশাপাশি তাঁর ব্যাঙ্কের নথি ঘেঁটে তাঁর যোগোযোগ কোথায় কোথায় ছিল তা ইডি আধিকারিকরা জানার চেষ্টা করবে বলে ওয়াকিবহল মহল মনে করছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Mamata Banerjee: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে একী বললেন মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন?

    Mamata Banerjee: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে একী বললেন মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ নিয়োগ দুর্নীতিতে জেরবার শাসক দল। দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগে তৃণমূলের একাধিক নেতা, মন্ত্রী এখন জেলের ঘানি টানছেন। প্রতিদিন এই দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে শাসক দলের নেতা বা তাঁদের ঘনিষ্ঠরা ইডির জালে ধরা পড়ছে। এমনকী আদালতের নির্দেশে শয়ে শয়ে চাকরি বাতিল হয়েছে। এই চাকরি বাতিল হওয়ার তালিকায় শাসক দলের নেতার আত্মীয়দের বা তাঁর ঘনিষ্ঠদের নাম রয়েছে। এই অবস্থায় নতুন করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) নাম জড়িয়ে চাকরি দেওয়া নিয়ে রাজ্যের মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিনের মন্তব্য ঘিরে রাজনৈতিক বিতর্ক তৈরি হয়েছে।

    মন্ত্রী ঠিক কী বলেছেন? Mamata Banerjee

    বুধবার উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ উত্তর দিনাজপুর জেলায় সার্বিক উন্নয়ন নিয়ে বৈঠক করতে এসেছিলেন। তাঁর সঙ্গে মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিনও ছিলেন। তিনি এখন উত্তর দিনাজপুর জেলার মাইনোরিটি সেলের দায়িত্ব পেয়েছেন। সরকারি বৈঠক শেষ হওয়ার পর সাংবাদিক বৈঠক করে মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, সিপিআইএমের সময় যারা ঝোলা কাঁধে নিয়ে ঘুরে বেড়াত, তাদেরই চাকরি হয়েছে। তাই তাদেরই চাকরি হবে যে সকাল সন্ধ্যা মমতা ব্যানার্জি (Mamata Banerjee) জিন্দাবাদ বলছে,তৃণমূল কংগ্রেস জিন্দাবাদ করছে, সেই তৃণমূল কর্মীকে চাকরি দেওয়ার একশো শতাংশ আমরা চেষ্টা করব। তবে, মেধার ভিত্তিতে সেই চাকরি দেওয়া হবে।”  তিনি আরও বলেন, বছরে আমরা তিনটে করে চাকরি পাই, সেই চাকরি আমরা বিজেপি, সিপিএম, কংগ্রেসের ছেলেদের দেব না। যারা তৃণমূল করে আমরা তাদের সেই চাকরি দেব। সব পার্টি করেছে, আমরাও করব। তবে, যে দলের সঙ্গে বেইমানি করে দুর্নীতি করে নিজেকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছে দল তার পাশে থাকবে না। আর দুর্নীতির সঙ্গে আমরা আপোষ করব না। প্রশ্ন উঠছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম নেওয়া কী মেধার মাপকাঠি?

    মন্ত্রীর বক্তব্য নিয়ে কী বলছেন বিরোধীরা? Mamata Banerjee

    মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিনের বক্তব্য নিয়ে বিরোধীরা কটাক্ষ করতে ছাড়েননি। বিজেপির জেলা সভাপতি বাসুদেব সরকার বলেন, তৃণমূলের হয়ে যারা চাকরি চুরি করে, ধর্ষণ করে, বোমা মারে, বুথ জ্যাম করে সেটাই তৃণমূলের কাছে মেধা। আর সেই মেধার ভিত্তিতে তৃণমূলের লোক চাকরি পাবে, এটাই স্বাভাবিক। এতে নতুন কিছু ব্যাপার নেই। বর্তমানে তৃণমূলের নেতা কর্মীরা কেউ আছে জেলে, কেউ আছে বেলে, বাকি যারা বাইরে আছে তারাও সময় মত জেলে যাবে। অন্যদিকে, সিপিআইএমের সময় ঝোলা কাঁধে নিয়ে যারা ঘুরেছে তাদেরই চাকরি হয়েছে বলে মন্ত্রী যে মন্তব্য করেন তা নিয়ে  সিপিআইএমের জেলা সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য উত্তম পাল বলেন, বর্তামানে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু এবং তৃণমূলের যারা বক্তা রয়েছেন তাদের তো বামফ্রন্টের সময় চাকরি হয়েছে। আর সেই চাকরি বামফ্রন্ট সরকার একটি নিয়ম নীতির মাধ্যমে করেছে। না হলে তাদের চাকরি হত না। তবে, তৃণমূলের কর্মীদের মেধার ভিত্তিতে যে নিয়োগ করা হবে সে প্রসঙ্গে তিনি বলেন,তা একপ্রকার সোনার পাথর বাটি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • ED: অয়নের ছেলে ও তাঁর বান্ধবীর নামে কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির হদিশ পেল ইডি! কোথায় জানেন?

    ED: অয়নের ছেলে ও তাঁর বান্ধবীর নামে কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির হদিশ পেল ইডি! কোথায় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত অয়ন শীলের ছেলে অভিষেক শীল ও তাঁর বান্ধবী ইমন গঙ্গোপাধ্যায়কে নিয়ে ঘনাচ্ছে রহস্য। অয়ন প্রোমোটারির পাশাপাশি নিয়োগ দুর্নীতির মাধ্যমে আর্থিকভাবে ফুলেফেঁপে ওঠে। চাকরি বিক্রি করেই সে কোটি কোটি টাকা কামিয়েছে বলে তদন্তে নেমে ইডি (ED) জানতে পেরেছে। আর এই কোটি কোটি টাকা সে সিনেমা, সিরিয়ালেও ঢেলেছে। ইতিমধ্যেই শ্বেতা চক্রবর্তী তাঁর হাত ধরেই রুপোলি জগতে পা রেখেছিলেন। এবার হুগলির গুরাপে অয়নের পেট্রল পাম্পের হদিশ পেল ইডি (ED) ।

    কত টাকায় কেনা হয়েছিল পেট্রোল পাম্প? ED

    ইডি (ED)  সূত্রে জানা গিয়েছে, দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ের পাশে গুড়াপের এই পাম্পটি চালান অয়নের ছেলে অভিষেক শীল। এই পাম্পের পার্টনার ইমন গঙ্গোপাধ্যায়। জানা গিয়েছে, ২০২০ সালে কলকাতার বিডন স্ট্রিটের বাসিন্দা নন্দদুলাল শুক্লা, অজয় শুক্লা এবং আশিস শুক্লার কাছে থেকে ১ কোটি টাকায় গুড়াপে দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ের ধারে ৩ বিঘা জমির উপর পেট্রল পাম্পটি কেনা হয়েছিল। স্থানীয়ভাবে শুক্লা পাম্প হিসেবে পরিচিত ছিল। এই পাম্পের পাশাপাশি অভিষেক ও ইমনের নামে কলকাতার বন্ডেল রোড উপর ফসিলস নামে একটি অফিস রয়েছে। সেই সম্পত্তির দামও অনেক। এছাড়া অভিষেক ইমনের নামে যৌথভাবে আরও কয়েক কোটি টাকার সম্পত্তি কিনেছে বলে ইডি (ED)  জানতে পেরেছে। এই ইমন হচ্ছে অভিষেকের বান্ধবী। আইন পড়ার সময় তাঁদের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরে, সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ হয়। কারবারের টাকা অভিষেকের বান্ধবী ইমনের অ্যাকাউন্টে গিয়েছে বলে জানতে পেরেছেন গোয়েন্দারা। ইডির তরফে যে ৩২টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করা হয়েছে তার মধ্যে তিনটি অ্যাকাউন্ট রয়েছে এই শুক্লা সার্ভিস স্টেশনের নামে গুড়াপের ওই পেট্রল পাম্পও রয়েছে। ইডি-র মতে ইমন ও অভিষেকের যৌথ সংস্থা এবং পেট্রল পাম্পের মধ্যে নিয়োগ দুর্নীতির কয়েক কোটির কালো টাকা সাদা করা হয়েছে। তার জন্যে অয়ন শীলের নির্দেশে দক্ষিণ কলকাতার অফিস খুলেছিলেন অভিষেক ও তাঁর বান্ধবী। যদিও সেই অফিস দীর্ঘদিন বন্ধ বলেই খবর।

    অয়নের ছেলের বান্ধবী ইমনকে নিয়ে কী বললেন প্রতিবেশীরা? ED

     অয়নের ছেলে অভিষেক শীলের সংস্থার অংশীদার রয়েছে তাঁর বান্ধবী ইমন গঙ্গোপাধ্যায়ের নামে। এই ইমনের বাড়ি হুগলির উত্তরপাড়া পুরসভার অমরেন্দ্র সরণির দাশরথি আবাসনে। ওই আবাসনের দোতলায় ২০২ নম্বর ফ্ল্যাটটি ইমনের বাবা বিভাস গঙ্গোপাধ্যায়ের নামে রেজিস্ট্রার রয়েছে। বিভাসবাবু পেশায় আইনজীবী। বাবার সঙ্গে ওই আবাসনেই থাকেন ইমন। বুধবার থেকে বাইরে প্রতিবেশীদের সঙ্গে তাঁরা কেউ কথা বলেননি। এমনকী কাজের মেয়েকেও বাড়ির লোকজন দরজা খুলে দেননি। প্রতিবেশীদের বক্তব্য, গঙ্গোপাধ্যায় পরিবার কারও সঙ্গে সেভাবে মিশত না। মাঝে মধ্যে ইমনকে আইনজীবীর পোশাক পড়ে বিলাসবহুল গাড়িতে করে চলে যেতে দেখা যেত। কখনও কখনও রাত করেও বাড়ি ফিরতে দেখা গিয়েছে। ইমনও খুব কম কথা বলত। তবে, নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে অভিযুক্ত অয়নের ছেলের বান্ধবীর বিষয়টি  জানাজানি হতেই হতবাক এলাকাবাসী।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Scam: ১১ জনকে নিয়োগ করতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে সুপারিশ তৃণমূল বিধায়কের, কোন পদে চাকরি জানেন?

    Scam: ১১ জনকে নিয়োগ করতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে সুপারিশ তৃণমূল বিধায়কের, কোন পদে চাকরি জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ নিয়োগ দুর্নীতি (Scam) নিয়ে রাজ্যে এখন তোলপাড় চলছে। আদালতের নির্দেশে, দুর্নীতিতে (Scam)  জড়িত থাকার অভিযোগে একের পর এক শিক্ষকের চাকরি চলে গিয়েছে। নতুন করে আরও অনেকের চাকরি যাওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এই অবস্থায় ১১ জন ছেলেমেয়েকে প্রাথমিক শিক্ষক পদে নিয়োগের ব্যবস্থা করে দেওয়ার আবেদন করে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে চিঠি দিয়ে সুপারিশ করেছিলেন বর্ধমান উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক নিশীথ মালিক। সেই চিঠি প্রকাশ্যে আসতেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক বিতর্ক। এমনিতেই নিয়োগ  দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগে পার্থ চট্টোপাধ্যায় এখন জেলে রয়েছেন। শিক্ষামন্ত্রী  থাকার সময় বর্ধমান উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক নিশীথ মালিক নিজের প্যাডে লিখে তাদের চাকরির জন্য সুপারিশ করেছিলেন।

    পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে দেওয়া চিঠিতে কী রয়েছে? (Scam)

    তৃণমূল বিধায়ক ২০২০ সালের ১৪ ডিসেম্বর তত্কালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে চিঠি দিয়েছিলেন। বিধায়কের প্যাডে চিঠি লেখা হয়েছিল। চিঠিতে  তত্কালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে সুপারিশ করা হয়, তাঁর মনোনীত ১১ জন ছেলেমেয়েকে প্রাথমিক শিক্ষক শিক্ষিকার পদে নিয়োগের ব্যবস্থা করে দেওয়ার জন্য। ওই প্যাডে ছেলেমেয়েদের নাম, রোল নম্বর সহ অন্যান্য তথ্য দেওয়া রয়েছে। চিঠির নীচে বিধায়কের সই এবং স্ট্যাম্প দেওয়া রয়েছে। দুর্নীতিকাণ্ড সামনে আসতেই তৃণমূল বিধায়কের এই চিঠি জানাজানি হতেই রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। চিঠির বিষয়টি সামনে আসতেই বর্ধমান উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক নিশীথ মালিক কার্যত এড়িয়ে গিয়েছেন। সংবাদ মাধ্যমের পক্ষ থেকে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বিষয়টি জানা নেই। বিস্তারিত জেনে এব্যাপারে বলতে পারব।

    চিঠি নিয়ে কী বললেন বিজেপি নেতা? Scam

    বিজেপির বর্ধমান জেলার সাধারণ সম্পাদক মৃত্যুঞ্জয় চন্দ্র বলেন, নিয়োগ দুর্নীতিতে (Scam) যে ভাবে একের পর এক শিক্ষক-শিক্ষিকার চাকরি যাচ্ছে তাতে সারা দেশের কাছে এই রাজ্যের শিক্ষার মান একেবারে তলানিতে নামিয়ে দিয়েছে। তৃণমূল বিধায়ক যে ১১ জনের নাম পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে সুপারিশ করেছিলেন, কত টাকার বিনিময়ে তাদের চাকরি হয়েছে তা সকলেই জানতে চায়। মেধাবীদের বাদ দিয়ে এভাবে ঘুর পথে কাটমানির বিনিময়ে চাকরির সুপারিশের আমরা তীব্র নিন্দা করছি। আর এই ঘটনায় তদন্তের দাবি করছি।

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Anubrata Mondal: আসানসোল জেলের সুপারকে ব্যাঙ্কের নথিসহ দিল্লিতে তলব ইডির, খুলবে কি রহস্যের জট?

    Anubrata Mondal: আসানসোল জেলের সুপারকে ব্যাঙ্কের নথিসহ দিল্লিতে তলব ইডির, খুলবে কি রহস্যের জট?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ গরু পাচার কাণ্ডে এনামূল হক, অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) এবং তাঁর এককালের দেহরক্ষী সায়গল হোসেন, সকলেই একসময় আসানসোল জেলেই ছিলেন। তাঁদের কারাবাসের সময় সংশোধানাগারের সুপার থেকেছেন কৃপাময় নন্দী। এবার গরু পাচারকাণ্ডে আসানসোল সংশোধনাগারের সুপারকে দিল্লিতে তলব করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। জেল সুপারকে শুধু দিল্লিতে ডাকা হয়েছে এমন নয়, তাঁকে আগামী ৫ এপ্রিল তাঁর যাবতীয় ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের নথি সহ আসতে বলেছে ইডি। এদিকে সংবাদমাধ্যমের সামনে জেল সুপার বলেছেন,”ই-মেল পেয়েছি। তবে কি কারণে আমাকে ডেকে পাঠানো হয়েছে তা বলতে পারব না। আমি উচ্চ আধিকারিকদের বিষয়টি জানিয়েছি। তারা যেমন বলবেন আমি সেই পথেই চলব।” গরু পাচারকাণ্ডে দীর্ঘদিন আসানসোল জেলে ছিলেন অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। অভিযোগ, এই সময় জেল থেকেই তৃণমূল নেতাদের নির্দেশ দিতেন কেষ্ট। নিজের জেলার যাবতীয় কর্মকাণ্ডের ওপর নজর রাখতেন তিনি। বীরভূমের তৃণমূল নেতা কাজল শেখ নিজেই এই অভিযোগ করেছিলেন। তবে সম্প্রতি দিল্লিতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal)। কেষ্টর দিল্লি যাত্রা আটকাতে অবশ্য অনেক চেষ্টাই করা হয়েছিল। বীরভূম জেলার নেতারা প্রকাশ্য সভায় বলেছিলেন, পঞ্চায়েত ভোটের আগে জেলায় তৃণমূলের সংগঠন ভেঙে দিতেই পরিকল্পিতভাবে অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal) দিল্লি নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এমনকী খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নবান্ন থেকে নিজে বলেছিলেন, ‘পঞ্চায়েত আসছে বলে কেষ্টকে দিল্লি নিয়ে যাচ্ছে।’ মমতার এহেন মন্তব্যের প্রেক্ষিতে বিরোধীরা বলেছিলেন, ‘এর থেকেই স্পষ্ট যে অনুব্রত জেলে বসেই দলের কাজ করছিলেন।’ আর এই সব বিতর্কের মাঝেই এবার আসানসোল সংশোধনাগারের সুপারকে ইডির তলব নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে।

    জেল সুপারকে কী জিজ্ঞাসা করতে পারে ইডিAnubrata Mondal

    তিহার জেলের আগে বেশ কয়েকমাস আসানসোল সংশোধনাগারে ছিলেন অনুব্রত। যদিও সেই সময় সংশোধনাগারে বহাল তবিয়তে থাকতেন অনুব্রত (Anubrata Mondal), এই অভিযোগ বারে বারে করেছে বিরোধীরা। এনামূল হক, অনুব্রত মণ্ডল এবং তাঁর দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের সঙ্গে জেলে কারা দেখা করতে আসত, তা জানতে চাওয়া হতে পারে জেল সুপারের থেকে। এদিকে অনুব্রত যখন আসানসোল সংশোধানাগারে ছিলেন, তখন বেশ কিছু বিষয়ে ইডির প্রশ্নের মুখে পড়েছিল জেল কর্তৃপক্ষ। এমনকী, দিল্লি যাত্রার সময় অনুব্রতকে (Anubrata Mondal) কলকাতা পর্যন্ত নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব ছিল জেল কর্তৃপক্ষের ওপর। সেই সময় কচুরির দোকানে জেলবন্দি অনুব্রত (Anubrata Mondal) দিব্যি বসে তৃণমূলের এক যুবনেতা এবং মেয়ে সুকন্যার গাড়ির চালকের সঙ্গে ‘বৈঠক’ করেছিলেন, যা নিয়ে জেল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ উঠেছিল। আর এবার খোদ জেল সুপারকেই দিল্লিতে তলব করল ইডি।  

    দিল্লির রাউস অ্যাভেনিউ কোর্ট অনুব্রতকে (Anubrata Mondal) ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। তাঁকে রাখা হবে তিহার জেলে। পাশাপাশি দিল্লির আদালত অনুব্রতর প্রয়োজনীয় চিকিৎসার ব্যবস্থা করারও নির্দেশ দিয়েছে। পরবর্তী শুনানি আগামী ৩ এপ্রিল। অন্যদিকে, কাকতালীয় হলেও তিহার জেলে এখন রয়েছেন অনুব্রত মণ্ডলের প্রাক্তন দেহরক্ষী ও গরুপাচারকাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত সায়গল হোসেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share