Tag: Madhyom

Madhyom

  • Suvendu Adhikari: মমতার বিদেশ সফরের খরচ জানতে আরটিআই, জবাব না পেয়ে আদালতের পথে শুভেন্দু!

    Suvendu Adhikari: মমতার বিদেশ সফরের খরচ জানতে আরটিআই, জবাব না পেয়ে আদালতের পথে শুভেন্দু!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিল্প আনতে টানা ১১ দিন বিদেশ সফর করেছেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সঙ্গে গিয়েছিলেন ঘনিষ্ঠ বৃত্তের কয়েকজন। শিল্প কী এসেছে কিংবা আসবে, তা অন্য প্রশ্ন। তবে সরকারি পয়সায় এই ১১ দিনের ‘মোচ্ছব’ (বিরোধীরা তো তাই বলছেন!) সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চাইলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। আদালতে যাওয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তিনি। মঙ্গলবার এক্স হ্যান্ডেলে এ ব্যাপারে একটি পোস্টও করেছেন শুভেন্দু।

    বিদেশ সফরে মুখ্যমন্ত্রী

    সেপ্টেম্বরে টানা ১১ দিন বিদেশ সফরে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকারের যুক্তি ছিল, শিল্প টানতে বিদেশ গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তখনই এ নিয়ে সোচ্চার হয়েছিলেন বিরোধীরা। তাঁদের একাংশ জানিয়েছিলেন, দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি টানা এতদিন বিদেশ সফর করেননি। অথচ একটি অঙ্গরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী টানা ১১ দিন বিদেশ ঘুরে এলেন! এই সফরে মুখ্যমন্ত্রী বেশ কয়েকদিন ছিলেন স্পেনে। পরে যান সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে। এই সফর সম্পর্কেই জানতে চান নন্দীগ্রামের বিধায়ক।

    শুভেন্দু যা জানতে চেয়েছেন

    তথ্যের অধিকার আইনে ২১ সেপ্টেম্বর শুভেন্দু আবেদন করেন রাজ্যের শিল্প, বাণিজ্য ও উদ্যোগ দফতরের পাবলিক ইনফরমেশন অফিসারের কাছে। একই আবেদন তিনি করেন স্বরাষ্ট্র, তথ্য ও সংস্কৃতি এবং পর্যটন দফতরের পাবলিক ইনফরমেশন অফিসারের কাছে। শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) জানতে চেয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রীর সাম্প্রতিক বিদেশ সফরের সময় কারা সঙ্গী ছিলেন? যাঁরা ছিলেন, তাঁদের বেছে নেওয়া কীভাবে হয়েছে?  কারা শুরু থেকেই মুখ্যমন্ত্রীর সফরসঙ্গী ছিলেন? মাঝপথেই বা যোগ দিয়েছিলেন কারা? সফরের খরচই বা কত? মোট খরচের পাশাপাশি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা জানতে চেয়েছেন, বিমান ভাড়া, থাকার খরচ, বিভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজনের খরচ ইত্যাদি সম্পর্কেও।

    মঙ্গলবার শুভেন্দু জানান, তথ্যের অধিকার আইনে ৩০ দিনের মধ্যে তাঁর আবেদনের জবাব দেওয়ার কথা রাজ্য সরকারের। জবাব না পেয়ে ফের চিঠি দিয়েছেন ২ নভেম্বর। এদিনের পোস্টে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা লিখেছেন, “আমি তাদের (রাজ্য সরকার) প্রতিক্রিয়ার জন্য আরও কয়েকদিন অপেক্ষা করব এবং তারপর আমি (Suvendu Adhikari) আদালতে যাব।”

    আরও পড়ুুন: রাজ্যের কারামন্ত্রী অখিল গিরি ও তাঁর পুত্রকে নোটিশ আয়কর দফতরের

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Akhil Giri: রাজ্যের কারামন্ত্রী অখিল গিরি ও তাঁর পুত্রকে নোটিশ আয়কর দফতরের

    Akhil Giri: রাজ্যের কারামন্ত্রী অখিল গিরি ও তাঁর পুত্রকে নোটিশ আয়কর দফতরের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি, রাজ্যপালের নামে কুরুচিকর মন্তব্য করেন। তার আগে, রাষ্ট্রপতির উদ্দেশেও কুমন্তব্য করেছিলেন রাজ্যের কারামন্ত্রী অখিল গিরি। এবার আয়কর দফতরের তরফে নোটিশ পাঠানো হল তাঁকে। আগামী ১৩ নভেম্বর অফিসে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। চিঠি পাঠানো হয়েছে মন্ত্রী পুত্র সুপ্রকাশ গিরিকেও।

    কী বলেছিলেন শুভেন্দু

    প্রসঙ্গত, সম্প্রতি নন্দকুমার এবং কাঁথিতে পরপর দুটি সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী অখিল গিরি এবং তাঁর ছেলে সুপ্রকাশ গিরি আয়কর নোটিস পেতে চলেছেন। প্রকাশ্য জনসভা থেকে শুভেন্দু বলেন, “এমন কোনও দফতর নেই যেখানে হাত দিলে গন্ধ বেরবে না।” নাম উল্লেখ না করেই শুভেন্দু বলেন, “একজন অর্ধেক মন্ত্রী রয়েছেন। যিনি রাষ্ট্রপতির গায়ের রঙ নিয়ে কথা বলেছিলেন। উনি নেমতন্ন পেয়ে গিয়েছেন। আমার কাছে সব কাগজ রয়েছে।” পরে আবার অন্য একটি জনসভা থেকে তিনি দাবি করেছিলেন, অখিল গিরি ও তাঁর পুত্র নোটিস পেতে চলেছেন সেটি তিনি মিডিয়ার মাধ্যমে শুনতে পেয়েছেন। তখন অবশ্য এমন জল্পনা উড়িয়ে দিয়েছিলেন মন্ত্রী।

    আরও পড়ুন: রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে ফের উদ্ধার হল ডায়েরি! কী লেখা রয়েছে তাতে?

    কী বললেন মন্ত্রী ও তাঁর পুত্র

    উল্লেখ্য, তৃণমূল পরিচালিত কাঁথি পুরসভার ভাইস চেয়ারম্য়ান হলেন সুপ্রকাশ গিরি। সূত্রের খবর, হাতে না পেলেও, মেল মারফত নোটিশ পেয়েছেন তিনি। নোটিশে তাঁকে স্বয়ং উপস্থিত হয়ে বা প্রতিনিধি পাঠিয়ে নথি জমা দিতে বলা হয়েছে। সুপ্রকাশ গিরি বলেন, “বাবারটা বলতে পারব না। আমার কাছে হাজিরা দেওয়ার কোনও নোটিস আসেনি। তবে ইমেলে একটি নোটিস এসেছে। আগামী ১৩ তারিখ আমি বা আমার কোনও প্রতিনিধিকে আয়কর সংক্রান্ত তথ্য চেয়ে যেতে বলা হয়েছে। আমি সহযোগিতা করব।” নোটিশ পেয়েছেন বলে স্বীকার করেছেন রাজ্যে কারামন্ত্রী অখিল গিরিও। সংবাদমাধ্যমে তিনি বলেন, ‘নিয়ম মেনেই উপযুক্ত পদক্ষেপ করা হবে, অবশ্যই নোটিশের উত্তর দেব।’

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Virat Kohli: সাধারণ যাত্রীদের সঙ্গে বিমান সফর কোহলির! কোথায় গেলেন বিরাট?

    Virat Kohli: সাধারণ যাত্রীদের সঙ্গে বিমান সফর কোহলির! কোথায় গেলেন বিরাট?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিজের ৩৫তম জন্মদিনে কলকাতার মাটিতে ৪৯তম শতরান করেছেন বিরাট কোহলি। দল জিতেছে, ম্যাচে সেরার সম্মান পেয়েছেন, স্পর্শ করেছেন নিজের আদর্শ সচিন তেন্ডুলকরের রেকর্ডও। নিজেই নিজেকে জন্মদিনের সেরা উপহার দিয়েছেন। কিন্তু মনের কোথাও কি ইচ্ছা ছিল জন্মদিনে স্ত্রী অনুষ্কা শর্মা ও কন্যা ভামিকার সঙ্গে সময় কাটানোর। থাকতেই পারে! আরে, তিনিই তো মানুষ! তাই হয়তো ম্যাচের পরে কিছু সময়ের জন্য মুম্বই ফিরে গিয়েছেন  কোহলি। সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে বিমানে সাধারণ যাত্রীদের সঙ্গে বসে আছেন বিরাট। তারপরই শুরু হয় নানা জল্পনা।

    এ কোন রূপে কোহলি!

    কলকাতা থেকে সোমবার ইন্ডিগো বিমানে কোহলি বেঙ্গালুরু গিয়েছেন ইকোনমিক ক্লাসের আসনে বসে। বিমানের একেবারে প্রথম আসনে তিনি বসেছিলেন। প্রথমে কেউ বুঝতে পারেননি। তার কারণ, কোহলি চোখ গগলস ও মুখে সাদা মাস্ক পরে ছিলেন। পরে ধীরে ধীরে যখন সবাই বুঝতে পারলেন, তখন মোবাইল ফোনে সেই মুহূর্ত বন্দী করেন। অনেকে ভিডিও তোলেন। উল্লেখ্য, রবিবার কোহলির ৩৫ তম জন্মদিন ছিল। সেদিন ম্য়াচের শেষে হোটেলে ফিরে কেক কেটে জন্মদিন পালন করেছিলেন প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক। এরপরই সোমবার সাধারণ যাত্রীদের পাশে বসেই বেঙ্গালুরু পাড়ি দেন ভারতীয় ক্রিকেটের আইকন।

    অনেকের মতে, ভারতের পরের ম্যাচ আগামী রবিবার। মাঝে বেশ কয়েক দিন সময় থাকায় বাড়ি গিয়েছেন কোহলি।  জন্মদিনের পরের দিন পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে গিয়েছেন তিনি। চলতি বিশ্বকাপে খুব ভাল ছন্দে রয়েছে ভারতীয় দল। নিজেদের প্রথম ৮ ম্যাচের ৮টিতেই জিতেছে তারা। ব্যাট হাতে ছন্দে রয়েছেন বিরাট। দু’টি শতরান ও চারটি অর্ধশতরান করেছেন তিনি। বেঙ্গালুরুতে নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে নিজের ৫০তম শতরান করার লক্ষ্যে নামবেন বিরাট। 

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Supreme Court: দিল্লির বাতাসের মান মানুষের স্বাস্থ্যকে খুন করার শামিল, মন্তব্য সুপ্রিম কোর্টের

    Supreme Court: দিল্লির বাতাসের মান মানুষের স্বাস্থ্যকে খুন করার শামিল, মন্তব্য সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লির দূষণ নিয়ে রাজনৈতিক লড়াই বন্ধ হোক। রাজধানীর বাতাসের গুণগত মান যে শ্বাসরুদ্ধকর পর্যায়ে পৌঁছেছে, তা মানুষের স্বাস্থ্যকে খুন করার শামিল। মঙ্গলবার দিল্লির বায়ু দূষণ নিয়ে এমনই মন্তব্য করল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। সপ্তাহখানেক ধরে ব্যাপকভাবে দূষিত হয়েছে দিল্লির বাতাস। ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে ইতিমধ্যেই ১০ নভেম্বর পর্যন্ত রাজ্যের প্রাথমিক স্কুলগুলি বন্ধের নির্দেশিকা জারি করেছে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সরকার।

    দূষিত শহরের তালিকায় এক নম্বরে

    সাম্প্রতিক এক সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, বিশ্বে সব চেয়ে দূষিত শহরের তালিকায় এক নম্বরে রয়েছে দিল্লি। প্রতিবেশী রাজ্য পঞ্জাব ও হরিয়ানায় শস্যগাছের গোড়া পোড়ানোই এই দূষণের মূল কারণ বলে এদিন মন্তব্য করেছে আদালত। পঞ্জাব সরকারকে সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, শস্যগাছের গোড়া পোড়ানো এখনই বন্ধ হওয়া উচিত। কীভাবে করবেন, সেটা আপনাদের বিষয়। আপনাদের কাজ। তবে এই কাজ এখনই বন্ধ করা উচিত। এই সঙ্গেই দেশের শীর্ষ আদালত জানিয়ে দেয়, দূষণ নিয়ে রাজনৈতিক লড়াই করা ঠিক নয়। এখানে মানুষের স্বাস্থ্য জড়িয়ে। বাতাসের গুণগত মান যেভাবে খারাপ হচ্ছে, তা মানুষের স্বাস্থ্যকে খুন করার শামিল। আদালতের মন্তব্য, অবিলম্বে শস্যগাছের গোড়া পোড়ানো বন্ধ করতে হবে। এখনই তা করতে হবে। যা করার অবিলম্বে করতে হবে।

    কয়েকটি রাজ্যকে অর্ডার ইস্যু

    সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) বিচারপতি সঞ্জয় কিষান বলেন, “সম্প্রতি আমি পঞ্জাবে গিয়েছিলাম। রাস্তার দু’ ধারে মাইলের পর মাইল ধরে খড় পুড়তে দেখেছি।” এর পাশাপাশি রাজস্থান ও অন্য রাজ্যগুলিকে অর্ডার ইস্যু করে জানানো হয়েছে, দীপাবলির মরশুমে বাজি ফাটানো বন্ধ রাখতে হবে। বায়ু দূষণ কম করার জন্য প্রতিটি রাজ্যকেই সচেষ্ট থাকার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। আদালতের মন্তব্য, বায়ু দূষণ মোকাবিলায় যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া সকলের দায়িত্ব।

    আরও পড়ুুন: “ডিরেক্টর! আমি তো জানি না, সই করিয়েছিল দাদার লোক”, বললেন জ্যোতিপ্রিয়র পরিচারক

    দিল্লির কেজরিওয়ালের সরকারকেও একহাত নিয়েছে শীর্ষ আদালত। আদালত জানিয়েছে, দিল্লি সরকারও এই বায়ু দূষণের জন্য দায়ী। অনেক বাস রয়েছে যেগুলি বায়ু দূষণ করছে। এই বিষয়টির ওপর সরকারের নজর দেওয়া উচিত। বায়ু দূষণের মোকাবিলায় পঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ ও দিল্লি সরকারকে জরুরি ভিত্তিতে বৈঠকে বসার নির্দেশও দিয়েছে আদালত। বছরের পর বছর ধরে শীতের শুরুতে দিল্লির এই পরিস্থিতি চলতে পারে না বলেও মন্তব্য করেছে শীর্ষ আদালত (Supreme Court)। প্রসঙ্গত, প্রতি ঘন মিটারে বাতাসে ভাসমান ধূলিকণার মাত্রা ১৫ মাইক্রোগ্রাম পর্যন্ত হলে তা শ্বাস নেওয়ার যোগ্য বলে মনে করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। সোমবার বিকেলে দিল্লিতে এই সূচক ছিল ৪২১। এদিন সকালে এর পরিমাণ ছিল ৩৯৪।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Kali Puja 2023: আজ ‘ধনতেরস’, জেনে নিন কেন পালন করা হয় এই উৎসব

    Kali Puja 2023: আজ ‘ধনতেরস’, জেনে নিন কেন পালন করা হয় এই উৎসব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ। বিশেষত এই সময়টা অর্থাৎ শরৎকাল এবং হেমন্তকাল যেন পুজোর ঋতু। মহালয়া থেকে শুরু হয়ে একে একে দুর্গাপুজো, লক্ষ্মীপুজো, কালীপুজো (Kali Puja 2023)। পরপর চলতেই থাকে। কিন্তু কালীপুজোর ঠিক দু’দিন আগে পালন করা হয় আরও একটি উত্‍সব, যার নাম ‘ধনতেরস’ (Dhanteras 2023)।

    কার্তিক মাসের কৃষ্ণ ত্রয়োদশী তিথি

    ধন শব্দের অর্থ সম্পদ এবং তেরস শব্দের অর্থ ত্রয়োদশী। দীপাবলির দিন বা কালীপুজোর (Kali Puja 2023) সন্ধ্যার অমাবস্যায় অলক্ষ্মীকে বিদায় করে লক্ষ্মীপুজোর রীতি রয়েছে। এই লক্ষ্মী পুজোর দু’দিন আগে, অর্থাৎ ত্রয়োদশীতে পালিত হয় ধনতেরস। হিন্দু ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, কার্তিক মাসের কৃষ্ণ ত্রয়োদশী তিথিতে এই উত্‍সব পালিত হয়। আলোর ঝরনায় যখন মেতে ওঠে সম্পূর্ণ বিশ্ব, তখন আত্মীয়স্বজন, পরিবারের মঙ্গল কামনায় এবং ধন-সম্পদের আশায় বহু মানুষ দেবতা কুবেরের আরাধনা করেন। কুবের হল ধনদেবতা‌। বিশ্বাস মতে, এই দিন কোনও না কোনও মূল্যবান ধাতু, বাসনপত্র অথবা নতুন পোশাক কিনলে মা লক্ষ্মী সন্তুষ্ট হন। আশীর্বাদ করেন তাঁর ভক্তদের।

    বহু পৌরাণিক গল্পে ধনতেরসের মাহাত্ম্য 

    ধনতেরসকে (Dhanteras 2023) ঘিরে রয়েছে অজস্র পৌরাণিক কাহিনী। তারই মধ্যে একটি জনপ্রিয় কাহিনী হল, প্রাচীনকালে হিম নামে এক রাজা ছিলেন। তাঁর পুত্রের একটি অভিশাপ ছিল যে বিয়ের চার দিনের মাথায় সর্প দংশনে তাঁর মৃত্যু হবে। এই দিনের কথা সকলেই জানতেন। তাই স্বামীকে মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচানোর জন্য নববধূ সারারাত স্বামীকে ঘুমাতে দেননি, নানা কৌশলে জাগিয়ে রেখেছিলেন তাঁকে।

    তাঁদের শয্যাকক্ষের বাইরে প্রচুর ধন-সম্পদ, সোনা-রুপোর গয়না, বাসনপত্র সাজিয়ে রেখেছিলেন নববধূ। ঘরের সর্বত্র প্রদীপ জ্বালিয়ে রেখেছিলেন। এতো ভালো, উজ্জ্বল, আলোকময় পরিবেশের জন্য সারারাত সেই ঘরে কোনও সাপ প্রবেশ করতে পারেনি। স্বামীকে জাগিয়ে রাখার জন্য সারারাত নববধূ গল্প এবং গান করে কাটিয়ে ছিলেন। পরদিন মৃত্যুর দেবতা যমরাজ সেখানে আসেন। ঘরের দরজায় গয়নার জৌলুস এবং প্রদীপের আলোতে চোখ ধাঁধিয়ে যায় তাঁর। তিনি রাজপুত্রের কাছে পৌঁছাতে পারেন না। রাজপুত্রের ঘরের বাইরে সারারাত ওই গয়নার ওপর শুয়ে শুয়ে রানীর গান এবং গল্প শুনে বিভোর হয়ে পরের দিন তিনি ফিরে যান‌। 

    এই ঘটনার পর থেকে প্রতি বছর রাজ পরিবারে সোনা এবং রুপোর তিথি ধনতেরস (Dhanteras 2023) উত্‍সব পালন করা শুরু হয়ে যায়। কুবেরের সঙ্গে এই দিন লক্ষ্মীদেবীর আরাধনা করা হয়, একথা পূর্বেই বলা হয়েছে। ব্যবসায়ীদের জন্য এই দিনটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়। এই দিন ধনদেবী লক্ষ্মীরও আরাধনা করা হয়‌। অর্থাৎ একই মাসে দুবার লক্ষ্মী পুজোর রীতি হিন্দু ধর্মে দেখা যায়‌। ধনতেরস বা ধন ত্রয়োদশীর দিন লক্ষ্মীপুজোর তাৎপর্য কী? পুরাণে বলা হয়েছে যে, এক সময় দুর্বাসা মুনির অভিশাপে সৌভাগ্যের দেবী লক্ষ্মী স্বর্গ থেকে চলে যান এবং মহাসাগরে বসবাস শুরু করেন। লক্ষ্মী চলে যাওয়াতে স্বর্গলোক শ্রীহীন হয়ে পড়ে। এরপর দেবতারা অসুরের সঙ্গে ব্যাপক যুদ্ধ করে সমুদ্র মন্থনে ফিরিয়ে এনেছিলেন লক্ষ্মীকে। এই দিনটি ছিল ধনতেরসের দিন। মানে কার্তিক মাসের কৃষ্ণা পক্ষের ত্রয়োদশী তিথি। তাই তখন থেকেই দেবী লক্ষ্মীর উদ্দেশে সূচনা করা হয়েছিল দীপাবলি উত্‍সব এবং তার আগে ধনদেবীর আরাধনা করা হয়।

    আরেক নাম ধন্বন্তরি ত্রয়োদশী

    আবার অন্য একটি মতে, ধনতেরসের (Dhanteras 2023) এই দিনটি ধন্বন্তরি ত্রয়োদশী নামেও পরিচিত। ধন্বন্তরি হিন্দু ধর্মের একজন দেবতা এবং আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক। এই বিশেষ দিনে দেবতা ধন্বন্তরি সকলকে আরোগ্য থাকার আশীর্বাদ প্রদান করেন। ধন্বন্তরি দুধের মহাসাগর থেকে উত্থিত হয়েছিলেন বলেই পৌরাণিক মত রয়েছে। ভাগবত পুরাণে বর্ণিত আখ্যান অনুযায়ী সমুদ্র মন্থন কালে অমৃতের পাত্রের সঙ্গে ধন্বন্তরি উঠেছিলেন। এটাও বিশ্বাস করা হয় যে ধন্বন্তরি আয়ুর্বেদ প্রথা চালু করেছিলেন। এই কারণের জন্য, ২৮ অক্টোবর ২০১৬ থেকে কার্তিক মাসের কৃষ্ণা পক্ষের ত্রয়োদশী তিথিতে ভারত সরকার ধনতেরসের দিনটি জাতীয় আয়ুর্বেদ দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছে।

    অন্য একটি পৌরাণিক কাহিনী হল, এক সময় বিষ্ণু মর্ত্যলোকে বিচরণ করতে এলে লক্ষ্মীও তাঁর সঙ্গে আসতে যান। তখন বিষ্ণু বলেন, তাঁর কথা মেনে চললে মা লক্ষ্মী তাঁর সঙ্গে যেতে পারেন। তাঁর কথা মান্য করে মা লক্ষ্মী বিষ্ণুর সঙ্গে পৃথিবীতে আসেন। একটি জায়গায় এসে বিষ্ণু মা লক্ষীকে অপেক্ষা করতে বলেন। তিনি বলেন যে, তিনি দক্ষিণ দিকে যাচ্ছেন এবং তাঁর না আসা পর্যন্ত লক্ষ্মী যেন সেখান থেকে কোথাও না যায়। লক্ষ্মীর মনে দক্ষিণ দিকে বিষ্ণুর যাওয়ার কারণ জানার কৌতূহল জেগে ওঠে। এরপর তিনি বিষ্ণুর পিছু নেন। কিছু দূর এগোনোর পর সর্ষের ক্ষেতে ফুল ফুটে থাকতে দেখে সেই ফুল দিয়ে লক্ষ্মী নিজেকে সাজানোর জন্য সেই দিকে অগ্রসর হন। কিছু দূর যাওয়ার পর আখের ক্ষেত থেকে আখ তুলে তার রস পান করেন। সেই সময় বিষ্ণু সেখানে আসেন এবং লক্ষ্মীকে দেখে ভীষণ রেগে যান। এরপর বিষ্ণু মা লক্ষ্মীকে অভিশাপ দেন। বারণ করা সত্ত্বেও তাঁর পিছু নেওয়া ও দরিদ্র কৃষকের ক্ষেত থেকে চুরির অপবাদে লক্ষ্মীকে ১২ বছর পর্যন্ত কৃষকের সেবা করতে বলে ক্ষীর সাগরের উদ্দেশে প্রস্থান করেন বিষ্ণু। 

    সেই কৃষকের বাড়িতে কৃষকের স্ত্রীকে স্নান করে লক্ষ্মীপুজো ও তারপর রান্না করার কথা বলেন। পুজোর পর কৃষকের স্ত্রীর সমস্ত মনস্কামনা পূর্ণ হয়ে যায়। ফলে দ্বিতীয় দিন থেকেই কৃষকের ঘর অন্ন, বস্ত্র, রত্নতে ভরে যায়। এভাবে বারো বছর পর্যন্ত খুব আনন্দে কাটে কৃষকের। ১২ বছর পর বিষ্ণু লক্ষীকে নিতে এলে কৃষকের স্ত্রী তাঁকে যেতে দেন না। তখন বিষ্ণু জানান, লক্ষ্মীকে কেউ যেতে দিতে চায় না। লক্ষ্মী চঞ্চলা, কোথাও টিকতে পারেন না। তখন লক্ষ্মী কৃষককে জানান, তাঁর কথা মতো চললে পরিবারে কখনও অর্থাভাব থাকবে না। ধনতেরসের (Dhanteras 2023) দিনে ঘরবাড়ি পরিষ্কার করার কথা বলেন লক্ষ্মী। এরপর রাতে ঘিয়ের প্রদীপ জ্বালিয়ে রেখে সন্ধ্যাকালে পুজো করতে বলেন। একটি রুপোর ঘটে তাঁর জন্য টাকা ভরে রাখার কথাও বলেন তিনি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Hamas Israel War: “যুদ্ধ থামানোর কোনও প্রশ্নই নেই”, যুদ্ধের মাসপূর্তিতে সাফ জানালেন নেতানিয়াহু

    Hamas Israel War: “যুদ্ধ থামানোর কোনও প্রশ্নই নেই”, যুদ্ধের মাসপূর্তিতে সাফ জানালেন নেতানিয়াহু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “যুদ্ধ (Hamas Israel War) থামানোর কোনও প্রশ্নই নেই। আমরা সে কথা ভাবছিও না। তবে ত্রাণ ও অন্যান্য প্রয়োজনে সাময়িকভাবে মাঝেমধ্যে যুদ্ধ থামাতে আপত্তি নেই ইজরায়েলের।” সাফ জানিয়ে দিলেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। আন্তর্জাতিক চাপের মুখেও যে মাথা নত করবে না তেল আভিভ, নেতানিয়াহুর কথায়ই তা স্পষ্ট।

    ‘যুদ্ধবিরতি নয়’

    সম্প্রতি এক সংবাদ মাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ত্রাণ ইত্যাদি বিশেষ প্রয়োজনে সাময়িকভাবে আমরা যুদ্ধ আগেও থামিয়েছি, ভবিষ্যতেও থামাব। ত্রাণসামগ্রী পাঠানো, আমাদের পণবন্দিদের উদ্ধার করে দেশে ফেরানোর জন্য কোথাও এক ঘণ্টা, কোথাও দু’ ঘণ্টার বিরতিতে আমাদের আপত্তি নেই। কিন্তু সাধারণভাবে যুদ্ধবিরতি এখনই হচ্ছে না।” ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বলেন, “জিম্মিদের মুক্তি না দেওয়া পর্যন্ত কোনও যুদ্ধবিরতি নয়।”

    হামাস-ইজরায়েল যুদ্ধের মাসপূর্তি 

    আজ, মঙ্গলবারই একমাস পূর্ণ হল হামাস-ইজরায়েল যুদ্ধের। তার পরেও বিরতি নেই গোলাগুলি বর্ষণে। ৭ অক্টোবর প্রথম ইহুদি রাষ্ট্র ইজরায়েলে হামালা চালায় ইসলামি রাষ্ট্র প্যালেস্তাইনের জঙ্গি সংগঠন হামাস। গাজা স্ট্রিপ থেকে হামলা চালায় তারা। প্রতিরোধ গড়ে তোলে ইজরায়েল। যার জেরে ইতিমধ্যেই দু’ পক্ষে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১০ হাজার। ইজরায়েল ও গাজা (Hamas Israel War) স্ট্রিপের বাতাস ভারী হয়ে উঠেছে স্বজন হারানোর কান্নায়। খাবার এবং প্রয়োজনীয় ত্রাণ না পেয়ে অসহায়ভাবে দিন কাটাচ্ছেন গাজা স্ট্রিপের বাসিন্দারা।

    হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জন কিরবি জানান, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু সোমবার মানবিক কারণে গাজায় যুদ্ধের ‘কৌশলগত বিরতি’ ও অপহৃতদের মুক্তির সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেছেন। তিনি বলেন, “আমরা এই লড়াইয়ে অস্থায়ী ও স্থানীয়ভাবে বিরতির জন্য সমর্থন অব্যাহত রাখব।”

    আরও পড়ুুন: “এই রাজভবন জনতার হয়ে উঠেছে”, রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাত শেষে সুকান্ত

    এদিকে, হামাস-ইজরায়েল যুদ্ধের (Hamas Israel War) মাসপূর্তিতে গাজা স্ট্রিপে হামলার তীব্রতা আরও বাড়িয়েছে ইজরায়েলি সেনা। গাজার আল সাতি শরণার্থী শিবিরে এয়ার স্ট্রাইক চালায় তারা। এতে ৪০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। এর মধ্যে রয়েছে জঙ্গি জামাল মুসাও। ইজরায়েলি সেনার দাবি, গত ২৪ ঘণ্টায় হামাসের সাড়ে চারশোরও বেশি ঠিকানা ধূলিসাৎ করে দেওয়া হয়েছে। আইডিএফের মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি বলেন, “আমাদের সেনা গাজা স্ট্রিপকে দুই অংশে ভাগ করে দিয়েছে। আপাতত সেনা ট্যাঙ্ক নিয়ে জঙ্গিদের ঠিকানাগুলি ধ্বংস করছে। সাধারণ মানুষকে সাউথ গাজায় চলে আসার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Women’s Asian Champions Trophy: মহিলা হকিতে দাপট! জাপানকে হারিয়ে এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয় ভারতের 

    Women’s Asian Champions Trophy: মহিলা হকিতে দাপট! জাপানকে হারিয়ে এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয় ভারতের 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সারা দেশ ক্রিকেট জ্বরে কাঁপছে। বিশ্বকাপের মঞ্চে রোহিত শর্মার ভারতের (India) অশ্বমেধের ঘোড়া ছুটছে। এই সময়েই হকিতে এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জিতল ভারত। সাত বছর পরে আবার চ্যাম্পিয়ন দেশের মেয়েরা। ফাইনালে জাপানকে ৪-০ গোলে হারিয়ে এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির (Women’s Asian Champions Trophy) খেতাব জিতেছেন সবিতা পুনিয়া, বন্দনা কাটারিয়ারা। এর আগে ২০১৬ সালে এই খেতাব জিতেছিল ভারতীয় মহিলা হকি টিম। মেয়েদর এই সাফল্যকে কুর্নিশ জানিয়েছেন ক্রীড়ামন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর।

    দুরন্ত ভারত

    সারা টুর্নামেন্ট জুড়ে অপরাজিত ছিল ভারতীয় মহিলা হকি টিম। ফাইনালে ম্যাচের প্রথম কোয়ার্টারে কোনও গোল হয়নি। দ্বিতীয় কোয়ার্টারের শুরুতেই ১৭ মিনিটের মাথায় ভারতকে এগিয়ে দেন সঙ্গীতা। তৃতীয় কোয়ার্টারেও গোল করতে পারেন কোনও দল। ১-০ গোলে এগিয়ে থাকায় নিশ্চিন্ত ছিল না ভারত। চতুর্থ কোয়ার্টারে অবশ্য জাপানকে দাঁড়াতে দেয়নি তারা। তিনটি গোল করে ভারত। ৪৬ মিনিটে নেহা, ৫৭ মিনিটে লালরেমসিয়ামি ও ৬০ মিনিটে গোল করেন বন্দনা। শেষ দিকে জাপান অল আউট আক্রমণে যাওয়ায় সুযোগ পেয়ে যায় ভারত। তবে এই ম্যাচে গোলদাতাদের পাশাপাশি নাম করতে হবে ভারতের গোলরক্ষক সবিতা পুনিয়ার নাম। গোটা ম্যাচ জুড়ে বেশ কয়েকটি নিশ্চিত গোল বাঁচান তিনি। ভারতের রক্ষণকে পরাস্ত করতে পারলেও সবিতাকে টপকে গোল করতে পারেনি জাপান। পেনাল্টি কর্নার থেকেও সুবিধা করতে পারেনি তারা।

    কী বললেন অধিনায়ক

    জাপানকে হারানোর পর ভারতীয় মহিলা হকি দলের অধিনায়ক সবিতা পুনিয়া বলেন, ‘দারুণ অনুভূতি হচ্ছে। ফাইনাল ম্যাচের আগে আমরা কিছুটা নার্ভাস ছিলাম। কারণ জাপান খুব ভালো দল। ওদের প্লেয়াররাও ভীষণ ভালো। হাফটাইমের পর আমরা আক্রমণাত্মকভাবে খেলেছি।’ সবিতা পুনিয়াদের এই জয়ের পর হকি ইন্ডিয়া প্রত্যেক প্লেয়ারকে ৩ লক্ষ করে টাকা এবং দলের সাপোর্ট স্টাফদের জন্য ১.৫০ লক্ষ টাকা আর্থিক পুরষ্কার দেওযার কথা ঘোষণা করেছে।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: “এই রাজভবন জনতার হয়ে উঠেছে”, রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাত শেষে সুকান্ত

    Sukanta Majumdar: “এই রাজভবন জনতার হয়ে উঠেছে”, রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাত শেষে সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “এই রাজভবন ধীরে ধীরে জনতার রাজভবন হয়ে উঠেছে।” সোমবার এমনই মন্তব্য করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। এদিন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে বিজয়ার শুভেচ্ছা জানাতে রাজভবনে গিয়েছিলেন সুকান্ত। সেখান থেকে বেরিয়ে কথা বলেন সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, “এই রাজভবন ধীরে ধীরে জনতার রাজভবন হয়ে উঠেছে। রাজ্যপাল ক্রিকেট ম্যাচ থেকে শুরু করে আগামিদিনে নানা উদ্যোগ নিচ্ছেন এবং নেবেনও বলেছেন।”

    মানুষের বিপদে-আপদে রাজ্যপাল

    সাধারণ মানুষের বিপদে-আপদে যে রাজ্যপালকে পাওয়া যায় এদিন তাও মনে করিয়ে দেন বালুরঘাটের সাংসদ। তিনি বলেন, “বিপদের সময় ভাঙড় হোক বা কোচবিহার উনি ময়দানে নেমে মানুষের সঙ্গে কথা বলে সমস্যা জানার চেষ্ট করছেন। যে রাজভবন ছোট্ট একটা গণ্ডির মধ্যে আবদ্ধ ছিল, ধীরে ধীরে তা জনতার রাজভবন হয়ে উঠছে। রাজ্যপালকেও জনতার রাজ্যপাল হিসেবে তুলে ধরা হচ্ছে।” তিনি বলেন, “এখন যে কেউ অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে পারছেন।”

    তৃণমূলের অভিযোগ নস্যাৎ

    আইএসএফ নেতা তথা ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকীকে বিজেপি ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রে প্রার্থী হতে মদত দিচ্ছে বলে অভিযোগ তোলা হয়েছে তৃণমূলের তরফে। এদিন সেই অভিযোগ নস্যাৎ করে দিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি (Sukanta Majumdar) বলেন, “সেখান থেকে (ডায়মন্ড হারবারে) যে কেউ প্রার্থী হতে পারেন। কিন্তু নওশাদ সিদ্দিকীকে টাকা দিয়ে বিজেপি সাহায্য করবে বলে যে অভিযোগ তৃণমূল করছে, তা ঠিক নয়।”

    আরও পড়ুুন: অভিষেকের বিরুদ্ধে প্রার্থী নওশাদ? কী বললেন সুকান্ত?

    রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর পর সম্প্রতি রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস সম্পর্কেও কু-বাক্য-বাণ নিক্ষেপ করেছেন রাজ্যের কারামন্ত্রী তথা তৃণমূলের পূ্র্ব মেদিনীপুরের নেতা অখিল গিরি। এদিন তাই অখিলের শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন বিজেপির এই অধ্যাপক নেতা। রেশন বণ্টন কেলেঙ্কারিতে ধৃত রাজ্যের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ও তাঁর মেয়ের সম্পত্তি বৃদ্ধি নিয়েও প্রশ্ন তোলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তিনি বলেন, “ইডি বা সিবিআই এখনও পর্যন্ত যাদের গ্রেফতার করেছে বা যে সব দুর্নীতির তদন্ত করছে বা যেসব টাকা বা দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ধরেছে, তা তো ভুল নয়।” সুকান্ত বলেন, “মেডিকেল কলেজে বিশেষ করে আরজি করে যেভাবে দুর্নীতি চোখে পড়ে যাচ্ছে, মেডিকেলে পোস্ট গ্র্যাজুয়েটদের ক্ষেত্রেও ভর্তিতে দুর্নীতি হতে পারে বলে আমাদের কাছে অভিযোগ আসছে। সেই বিষয়টিও তুলে ধরেছি রাজ্যপালের কাছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

  • Vande Sadharan Express: নভেম্বর থেকেই চলবে ‘বন্দে সাধারণ’ এক্সপ্রেস, কোন রুটে শুরু পরিষেবা?

    Vande Sadharan Express: নভেম্বর থেকেই চলবে ‘বন্দে সাধারণ’ এক্সপ্রেস, কোন রুটে শুরু পরিষেবা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নভেম্বর মাসেই চালু হবে ‘বন্দে সাধারণ’ এক্সপ্রেস (Vande Sadharan Express)। ভারতীয় রেল এই ট্রেনের পরিষেবা শুরু করতে চলেছে বলে জানা গিয়েছে। এই ট্রেন মূলত গরিব সাধারণ মানুষের কথা ভেবেই চালু হবে। এই ট্রেনের ভাড়া বন্দে ভারত ট্রেনের তুলনায় অনেক কম হবে। এই সাধারণ ট্রেন হল নতুন ‘পুশ-পুল’ ট্রেন। নাসিক করিডরে ট্রায়ালের জন্য দুটি বন্দে সাধারণ এক্সপ্রেস গত ২৯ অক্টোবর মুম্বইয়ের ওয়াদি বান্ডার ইয়ার্ডে পৌঁছেছে। প্রথম ট্রেনটি নয়াদিল্লি-মুম্বই রুটে পরিষেবা দেবে। চালু হবে এই নভেম্বরে মাসেই। এছাড়াও পাটনা-নয়াদিল্লি, হাওড়া-নয়াদিল্লি, হায়দরাবাদ-নয়াদিল্লি, এরনাকুলাম-গুয়াহাটি রুটে চলবে এই ট্রেন।

    কেমন হবে ট্রেনটি (Vande Sadharan Express)

    সূত্রে জানা গিয়েছে, এই বন্দে সাধারণ এক্সপ্রেস (Vande Sadharan Express) বেশ আধুনিক উন্নত পরিষেবা যুক্ত ট্রেন হবে। ট্রেনে মোট ২২টি কোচ থাকবে। যার মধ্যে ১৮টি অসংরক্ষিত এবং ৪টি সংরক্ষিত নন-এসি কোচ থাকবে। মোট ১৮০০ জন যাত্রীকে বহন করার ক্ষমতা থাকবে এই ট্রেনের। এই ট্রেনের সর্বোচ্চ গতি হবে ১৩০ কিমি প্রতি ঘণ্টায়।

    রেলের পক্ষ থেকে বক্তব্য

    ভারতীয় রেলের তরফ থেকে বলা হয়েছে যে, আপাতত কয়েকটি রুটে এই ট্রেনের (Vande Sadharan Express) পরিষেবা চলু হবে। কিন্তু যাত্রীদের প্রতিক্রিয়ার কথা মাথায় রেখে আগামীতে এই ট্রেনের সংখ্যা বৃদ্ধি করা হতে পারে। এই ট্রেনে অত্যাধুনিক স্বয়ংক্রিয় দরজা, বায়ো-টয়লেট এবং আধুনিক রেডিও যোগাযোগের পরিষেবা থাকবে। একই সঙ্গে ইন্টিগ্রেটেড কোচ ফ্যাক্টরি বা আইসিএফ-এর প্রাক্তন জেনারেল ম্যানেজার সুধাংশু মানি বলেছেন, “বন্দে সাধারণ ট্রেনের ইঞ্জিনগুলি শক্তি সাশ্রয়ী হবে। তবে কোচগুলি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত হলে বেশি ভালো হবে।”

    রেলের প্রাক্তন বোর্ডের সদস্য সুবোধ জৈন বলেন, “সাধারণের ভাড়া প্রিমিয়াম বন্দে ভারত ট্রেনের তুলনায় অনেক কম হবে। ট্রেনের ভাড়া ২৫ শতাংশ কম থাকবে। এখনও পর্যন্ত দেশে ৩৪টি বন্দে ভারত ট্রেন চলছে। তবে সেই সব ট্রেনের সর্বোচ্চ গতি ১৩০ কিমি প্রতি ঘণ্টার বেশি না করাই ভালো।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

  • India Bhutan Rail Link: জিগমি ওয়াংচুকের সঙ্গে বৈঠক মোদির, এবার রেলপথে যুক্ত হতে চলেছে ভারত-ভুটান!

    India Bhutan Rail Link: জিগমি ওয়াংচুকের সঙ্গে বৈঠক মোদির, এবার রেলপথে যুক্ত হতে চলেছে ভারত-ভুটান!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার রেলপথে যুক্ত হতে চলেছে ভারত ও ভুটান (India Bhutan Rail Link)। রেলপথে ভারতের সঙ্গে ভুটানকে যোগ করতে জায়গা নির্বাচন করতে অচিরেই শুরু হবে সমীক্ষা। এ ব্যাপারে সম্মত হয়েছেন ভুটানের রাজা জিগমি খেসার নামগেল ওয়াংচুক এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সোমবার বৈঠকে বসেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী ও ভুটানের রাজা। সেখানেই নিশ্চিত হয়েছে ভারত-ভুটান রেলপথে সংযুক্তিকরণের বিষয়টি। আট দিনের ভারত সফরে এসেছেন ভুটানের রাজা। ৩ নভেম্বর তিনি আসেন অসমের গুয়াহাটিতে। সেখান থেকে পৌঁছান দিল্লিতে।

    মোদি-জিগমি বৈঠক

    এদিন প্রধানমন্ত্রী ও ভুটানের রাজার বৈঠকে পশ্চিমবঙ্গের বানারহাটের সঙ্গে ভুটানের সামসের মধ্যে রেল সংযুক্তিকরণের (India Bhutan Rail Link) ব্যাপারে সম্মত হয়েছেন দুই রাষ্ট্রপ্রধান। অসমের দারাঙ্গা ও ভুটানের সামদ্রুপে নতুন অভিবাসী চেকপয়েন্ট খোলা নিয়েও হয়েছে আলোচনা। দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য-কাঠামো, ব্যবসা, বিদ্যুৎ, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, মহাকাশ প্রযুক্তি ইত্যাদি নিয়েও মোদি-জিগমি (India Bhutan Rail Link) আলোচনা হয়েছে বলে খবর।

    প্রধানমন্ত্রীর ট্যুইট-বার্তা 

    বৈঠকের পর ট্যুইট-বার্তায় প্রধানমন্ত্রী জানান, ভুটানের রাজা জিগমি খেসার নামগেল ওয়াংচুককে ভারতে স্বাগত জানাতে পেরে আনন্দিত। ভারত-ভুটান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিভিন্ন দিক নিয়ে আমরা অত্যন্ত উষ্ণ ও ইতিবাচক আলোচনা করেছি। ভুটানের পাশে থাকার বার্তা দিয়ে জনগণের উন্নয়ন ও কল্যাণের জন্য দৃষ্টি প্রসারিত করা হচ্ছে।

    বিদেশমন্ত্রক সূত্রে খবর, এদিনের বৈঠকে চিন ও ডোকলাম প্রসঙ্গও উঠেছে। এই সমস্যা সমাধান করতে প্রথমবার বেজিংয়ে অংশ নিতে চেয়েছে ভুটান। প্রতিবেশী রাষ্ট্রের এই অবস্থানে অস্বস্তিতে ভারত। বিদেশ সচিব বিনয়মোহন কোয়াত্রা জানান, মোদির সঙ্গে নামগিয়েলের বৈঠকে দুই দেশের জাতীয় স্বার্থ ও দ্বিপাক্ষিক সমঝোতার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। যদিও বৈঠকে তিনি সরাসরি ডোকলাম ও চিনের প্রসঙ্গের কথা বলেননি।

    আরও পড়ুুন: ঘুষের বিনিময়ে সংসদে প্রশ্ন মহুয়ার! এথিক্স কমিটির বৈঠক পিছিয়ে হবে ৯ নভেম্বর

    প্রসঙ্গত, সম্প্রতি ভারতীয় সেনা অভিযোগ করেছিল, চিন ও ভারত সীমান্ত লাগোয়া ডোকলামে ভুটানের জমিতে ঢুকে ঘাঁটি গেড়ে নির্মাণ কাজ চালাচ্ছে লালফৌজ। উপগ্রহ চিত্রেও ধরা পড়েছিল সেই ছবি। যদিও (India Bhutan Rail Link) তখন নয়াদিল্লির অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share