Tag: Madhyom

Madhyom

  • Asian Games 2023: এশিয়ান গেমসে ভারতের প্রথম সোনা! শ্যুটিংয়ে বিশ্বরেকর্ড করে চ্যাম্পিয়ন  দিব্যাংশ-রুদ্রাংশ-ঐশ্বর্য

    Asian Games 2023: এশিয়ান গেমসে ভারতের প্রথম সোনা! শ্যুটিংয়ে বিশ্বরেকর্ড করে চ্যাম্পিয়ন দিব্যাংশ-রুদ্রাংশ-ঐশ্বর্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  চলতি এশিয়ান গেমসে (Asian Games 2023) প্রথম সোনা এল ভারতের ঘরে। শ্যুটিংয়ে দেশকে সোনা এনে দিলেন দিব্যাংশ পানওয়ার, ঐশ্বর্য তোমর, রুদ্রাংশ পাটিল। দলগত বিভাগে বিশ্বরেকর্ড করে সোনা জিতেছেন তাঁরা। ব্যক্তিগত ভাবে ১০ মিটার এয়ার রাইফেলে ব্রোঞ্জ জিতেছে ঐশ্বর্য। এশিয়ান গেমসে প্রথম দিনেই পাঁচটি পদক জিতেছে ভারত (India at Asian Games 2023)। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত মোট নয়টি পদক হল ভারতের। একটি সোনা এবং তিনটি রুপো ও পাঁচটি ব্রোঞ্জ পেয়েছে ভারত। এখনও পর্যন্ত পদক তালিকায় ভারত ছ’নম্বরে রয়েছে।  

    শ্যুটিংয়ে সোনা

    বিশ্বরেকর্ড করে শ্যুটিংয়ে (Asian Games 2023) দুরন্ত সাফল্য পেয়েছে দিব্যাংশ-রুদ্রাংশ-ঐশ্বর্য। ১০ মিটার এয়ার রাইফেল বিভাগে দেশকে সোনা এনে দিল তাঁরা। মোট ১৮৯৩.৭ পয়েন্ট স্কোর করেন দিব্যাংশ, ঐশ্বর্য এবং রুদ্রাংশের ভারতীয় দল। এটি বিশ্বরেকর্ড। আগের রেকর্ড ছিল চিনের। তারা ১৮৯৩.৩ পয়েন্ট স্কোর করেছিল। ১৮৯০.১ পয়েন্ট স্কোর করে কোরিয়া রুপো পেয়েছে। ব্রোঞ্জ পেয়েছে চিন। তাদের পয়েন্ট ১৮৮৮.২।

    সোমবার রোয়িংয়েও দু’টি ব্রোঞ্জ পদক পেয়েছে ভারত। ‘মেন্স ফোর’ বিভাগে যশবিন্দর, ভীম, পুনিত এবং আশিস ব্রোঞ্জ পেয়েছেন। তাঁরা ৬:১০:৮১ সময় করেছেন। এই বিভাগে সোনা পেয়েছে উজবেকিস্তান। তাদের সময় ৬:০৪:৯৬। রুপো পেয়েছে চিন। তাদের সময় ৬:১০:০৪। ‘কোয়াড্রপল স্কালস’ বিভাগে ভারতকে ব্রোঞ্জ এনে দিয়েছেন সতনম সিং, পারমিন্দর সিং, জাকার খান এবং সুখমিত সিং।

    বঙ্গ সন্তানের হাত ধরে প্রথম পদক

    এশিয়ান গেমসে (Asian Games 2023) রবিবার পাঁচটি পদক জিতেছে ভারত। রোয়িং-এ ৩টি পদক ও শ্যুটিং-এ ২টি পদক জয় ভারতের। বঙ্গ সন্তানের হাত ধরে প্রথম পদক এসেছে দেশে। ১০ মিটার এয়ার রাইফেলে রুপো জয়ী মহিলা দলের সদস্য হুগলির মেহুলি। বৈদ্যবাটীর মেয়ে মেহুলির দলে ছিলেন রমিতা ও আশি চোকসি। মহিলাদের ১০ মিটার এয়ার রাইফেলে ব্যক্তিগত বিভাগে ব্রোঞ্জ জিতেছেন রমিতা।

    পুরুষদের রোয়িং লাইটওয়েট ডাবলস স্কালসে রুপো জিতলেন অর্জুনলাল ও অরবিন্দ (India at Asian Games 2023)। পুরুষদের রোয়িং-এ কক্সড এইট ইভেন্টেও রুপো জিতেছে ভারতীয় দল। রোয়িং-এ পুরুষদের কক্সলেস পেয়ার ফাইনালে ব্রোঞ্জ পেলেন লেখ রাম ও বাবুলাল যাদব। বক্সিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছলেন নিখাত জারিন।

    ফুটবলে নক-আউটে সুনীলরা

    তৃতীয় ম্যাচে মায়ানমারের বিরুদ্ধে ১-১ ড্র করেই এশিয়ান গেমসে পুরুষদের ফুটবলে নকআউটে পৌঁছল ভারত (India at Asian Games 2023)। ব্লু টাইগার্সদের কাছে সুযোগ ছিল জিতেই নকআউটে যাওয়ার। সুনীল ছেত্রীর গোলে এগিয়ে ছিল ভারতীয় ফুটবল দল। তবে দ্বিতীয়ার্ধে সমতা ফেরায় মায়ানমার। দীর্ঘ ১৩ বছরের ব্যবধানে এশিয়ান গেমস ফুটবলের নকআউটে ভারত। 

    আজকের খেলা

    সোমবার (Asian Games 2023) একাধিক ইভেন্টে নামতে চলেছেন ভারতের খেলোয়াড়রা (India at Asian Games 2023)। এশিয়ান গেমসে নয়া ইতিহাস রচনা করল ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দল। আজ শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে নামছে ভারত। এশিয়ান গেমসে সোনা জয় দেখার আশায় দেশবাসী। সোমবার এশিয়ান গেমসের প্রধান ইভেন্টে নামছে বাংলার মেয়ে প্রণতি নায়েক। তিনি নিজের সাফল্য নিয়ে আশাবাদী। পদক জয়ের বিষয়েও আত্মবিশ্বাসী।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Madan Mitra: সাগর দত্ত হাসপাতালে রোগী মৃত্যুতে দালালরাজকে দায়ী করলেন মদন

    Madan Mitra: সাগর দত্ত হাসপাতালে রোগী মৃত্যুতে দালালরাজকে দায়ী করলেন মদন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কামারহাটি সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রমরমিয়ে দালালচক্র চলছে। এক বোতল রক্তের দাম ১৭০০ টাকা। সাগর দত্ত হাসপাতাল থেকে কলকাতার পিজি হাসপাতালে নিয়ে যেতে রোগীর পরিবারের কাছে থেকে ৫ হাজার টাকা নেওয়া হচ্ছে। এটা বিরোধী দলের কোনও রাজনৈতিক নেতার অভিযোগ নয়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র (Madan Mitra) এই অভিযোগ করছেন। যা প্রকাশ্যে আসতেই রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার উত্তর দমদম অঞ্চলের এক রোগীকে শ্বাসকষ্ট জনিত চিকিৎসার জন্য সাগর দত্ত মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে রোগীর অবস্থার অবনতি হলে আইসিসিইউ বেডে তাঁকে স্থানান্তরের প্রয়োজন হয়। সেই বেডে দেওয়ার জন্য রোগীর পরিবারের কাছে ছয় হাজার টাকা চাওয়া হয়। মুকিম খান নামে এক দালাল রোগীর পরিবারের কাছে এই টাকা দাবি করে বলে অভিযোগ। রোগীর পরিবারের এক সদস্য বিষয়টি কামারহাটি বিধায়ক মদন মিত্রকে জানান। পরে, মদন মিত্র (Madan Mitra) হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে সেই রোগীকে আইসিসিইউতে ভর্তি করার উদ্যোগ নেন। যদিও ততক্ষণে সেই রোগীর মৃত্যু হয়। সেই খবর পেয়ে মদন মিত্র তার দলবল নিয়ে শুক্রবার রাতে সাগর দত্ত মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান।

    হাসপাতালে দালালচক্র নিয়ে কী বললেন তৃণমূল বিধায়ক? (Madan Mitra)

    তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র (Madan Mitra) বলেন, দালাল রাজের জন্য হাসপাতালে পরিকাঠামো ভেঙে পড়ছে। রাতে ব্লাড ব্যাংক থেকে রক্ত নিতে গেলে দালালের মাধ্যমে নিতে হচ্ছে। বেশি পয়সা গুনতে হচ্ছে রোগীর পরিবারের লোকজনদের। এবার থেকে আর দালাল চক্র সাগর দত্তে চলবে না। এরকম ফের দালাল চক্রের হদিশ পেলে তাকে কেউ মারবেন না, পুলিশে দেওয়ার আগে আমাদের একবার জানাবেন। প্রসঙ্গত, করোনার সময় এই সাগর দত্ত হাসপাতালে দালাল চক্র নিয়ে তিনি সরব হয়েছিলেন। দালালরাজ খতম করার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। তারপরও সেই আগের মতোই এই হাসপাতালে দালালচক্র চলছে। ফলে, বিধায়কের এই হুঁশিয়ারি কতটা বাস্তবায়িত হয় সেদিকে তাকিয়ে রয়েছেন কামারহাটিবাসী এবং হাসপাতালের রোগীর পরিবারের লোকজনেরা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Varanasi Cricket Stadium: সচিনের হাত থেকে বিশেষ উপহার! ক্রিকেট স্টেডিয়াম মহাদেবকে উৎসর্গ মোদির

    Varanasi Cricket Stadium: সচিনের হাত থেকে বিশেষ উপহার! ক্রিকেট স্টেডিয়াম মহাদেবকে উৎসর্গ মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় ক্রিকেটের মুকুটে আর একটি পালক। বারাণসীতে নতুন আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের শিলান্যাস করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই স্টেডিয়াম শিলান্যাসে উপস্থিত ছিলেন সচিন তেন্ডুলকর, কপিল দেব, রবি শাস্ত্রী, রজার বিনির মতো প্রাক্তন তারকারা। এছাড়াও ছিলেন বিসিসিআই সচিব জয় শাহ ও উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। মহাদেবের শহরে এই স্টেডিয়ামটি ভগবান শিবকেই উৎসর্গ করলেন প্রধানমন্ত্রী। অনুষ্ঠানে নরেন্দ্র মোদির হাতে টিম ইন্ডিয়ার নতুন জার্সি তুলে দিলেন ক্রিকেটের ঈশ্বর সচিন তেন্ডুলকর।

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী

    এই স্টেডিয়ামের হাত ধরে উত্তরপ্রদেশ পেল তৃতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম। কানপুর, লখনউয়ের পর বারাণসীতে তৈরি হচ্ছে এই স্টেডিয়াম। এই স্টেডিয়ামটির নাম করা হবে কাশী স্টেডিয়াম। বারাণসীতে যে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের শিলান্যাস হলো তা পূর্বাঞ্চলের যুব সম্প্রদায়ের কাছে আশীর্বাদস্বরূপ হবে বলেও আশাবাদী প্রধানমন্ত্রী। মোদি বলেন, “ক্রিকেটে সারা বিশ্বের সঙ্গে ভারতের যোগ রয়েছে। নতুন দেশও ক্রিকেটে আসছে। মহাদেবের শহরে স্টেডিয়ামটিও তাঁকেই উৎসর্গ করা হলো। কাশীতে এই স্টেডিয়ামটি হওয়ায় ক্রীড়াবিদরাও উপকৃত হবেন। পূর্বাঞ্চলের উজ্জ্বল নক্ষত্র হবে স্টেডিয়ামটি।” খেলাধুলো সম্পর্কে ধারণা বদলানোর ফলেই বিভিন্ন ক্রীড়াক্ষেত্রে দেশের সাফল্য আসছে বলেও দাবি মোদির। ক্রীড়াবিদদের যেভাবে সরকারি সুযোগ-সুবিধা প্রদান করা হচ্ছে তার সুফল মিলছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। 

    এদিন স্টেডিয়ামের শিলান্যাস অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অগণিত মহিলা। প্রধানমন্ত্রীর কথায় উঠে এসেছে সংসদে মহিলা সংরক্ষণ বিল পাস করানোর বিষয়টিও। এদিন এই স্টেডিয়াম শিলান্যাসের পাশাপাশি ১৬টি অটল রেসিডেন্সিয়াল স্কুলের উদ্বোধনও করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “আরও একবার বারাণসীতে আসার সুযোগ পেলাম। কাশীতে এসে যে আনন্দ অনুভব করি, তা কোনও কিছুর সঙ্গে তুলনীয় নয়। চাঁদে শিবশক্তি পয়েন্ট রয়েছে। কাশীতেও।”  এদিন সে কথা মনে করিয়ে চন্দ্রযান মিশনের সাফল্যের জন্য দেশবাসীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

    প্রধানমন্ত্রীকে জার্সি উপহার

    স্টেডিয়ামের শিলান্যাসে উপস্থিত যোগী আদিত্যনাথ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বেনারসের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের শিলান্য়াস করলেন। উত্তরপ্রদেশে বিসিসিআই-এর প্রথম ক্রিকেট স্টেডিয়াম এটি। আমি রাজ্যের সকলের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে চাই।’

    এদিন সচিন তেন্ডুলকর নরেন্দ্র মোদির হাতে টিম ইন্ডিয়ার জার্সি তুলে দেন। সদ্য প্রকাশিত বিশ্বকাপের জন্য নতুন ওডিআই জার্সি তুলে দেওয়া হয়। জার্সির পিছনে লেখা ছিল নমো ও জার্সির নম্বর ১ ।

  • Jadavpur University: ‘‘আমি নিজেও র‌্যাগিং-এর শিকার’! কেন বললেন যাদবপুরের উপাচার্য?

    Jadavpur University: ‘‘আমি নিজেও র‌্যাগিং-এর শিকার’! কেন বললেন যাদবপুরের উপাচার্য?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) ছাত্রদের একাংশের অন্যায্য দাবির বিরুদ্ধে সোচ্চার হলেন উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ। প্রসঙ্গত, গত অগাস্ট মাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন হস্টেলে র‌্যাগিং-এর শিকার হয়ে মৃত্যু হয় এক ছাত্রের। সেই ঘটনায় তোলপাড় হয় সারা রাজ্য। তারপরে বহিরাগতদের প্রবেশ ঠেকাতে এবং ক্যাম্পাসে আইন শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সিসিটিভি বসাতে উদ্যোগী হয় বিশ্ববিদ্যালয় (Jadavpur University) কর্তৃপক্ষ। কিন্তু সিসিটিভি বসানোর বিরোধিতায় সরব হয় ছাত্র-ছাত্রীদের একাংশ। এবার সেই নিয়েই মুখ খুলতে দেখা গেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে। পাশাপাশি বুদ্ধদেব সাউ এদিন আরও আশঙ্কা করেন যে কয়েকজন শিক্ষকও চাইছেন না তিনি উপাচার্য পদে থাকুন।

    কী বললেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) উপাচার্য

    এদিন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ বলেন, ‘‘আমারও পদত্যাগ দাবি করছেন অনেকে। অন্যায্য দাবি করছেন পড়ুয়ারা। আমি নিজেও র‌্যাগিং-এর  শিকার। কোনও সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে দিচ্ছে না ছাত্রদের একাংশ। এর পিছনে সক্রিয় রয়েছে কোনও বড় মাথা। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়াদের একাংশের চাপ নিতে না পেরে ডিন অফ স্টুডেন্টস বর্তমানে হাসপাতলে ভর্তি হয়েছেন।’’ ছাত্রদের একাংশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে বুদ্ধদেব সাউ বলেন, ‘‘মাত্র কিছু ছাত্র ১৩ হাজার সংখ্যার মধ্যে যা খুবই নগণ্য। বারবার এসে অহেতুক ঝামেলা করছে। এদের মূল উদ্দেশ্য হল বিভিন্ন জায়গায় ছাত্রদের ঢোকানো। এগুলো আমার ন্যায্য দাবি বলে কখনও মনে হয়নি। এই নিয়ে উচ্চপর্যায়ে তদন্ত হওয়া উচিত। নয়তো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নষ্ট হয়ে যাবে।’’ 

    সিসিটিভি লাগানোর কাজ শুরু যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে

    অন্যদিকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে (Jadavpur University) মোট ২৯টি সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানোর কাজ শুরু হয়েছে। এই ক্যামেরাগুলির পরিচালনার জন্য থাকবে একটি আলাদা সার্ভার রুমও। মোট ২১টি বুলেট ক্যামেরা বসানো হচ্ছে। এই ক্যামেরাগুলি থাকবে গেটে। অন্যদিকে যে সমস্ত গাড়ি ক্যাম্পাসে আসবে এবং ক্যাম্পাস থেকে বের হবে সেগুলির ছবি তোলার জন্য থাকছে ছ’টি ক্যামেরা। এই ক্যামেরা গুলি গাড়ির নম্বর প্লেটের ছবি তুলবে এবং তা সঙ্গে সঙ্গে সার্ভার রুমে পাঠিয়ে দেবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Firecracker Market: এত বিস্ফোরণ, এত প্রাণহানি, তাও বাজি বাজার এবার এক মাস! এ কেমন সিদ্ধান্ত নবান্নর

    Firecracker Market: এত বিস্ফোরণ, এত প্রাণহানি, তাও বাজি বাজার এবার এক মাস! এ কেমন সিদ্ধান্ত নবান্নর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এত বেআইনি কারখানার হদিশ, এত বিস্ফোরণ, এত প্রাণহানি, তাও এ কেমন সিদ্ধান্ত প্রশাসনের? এ তো বাজি (Firecracker Market) বিষয়কে উল্টে আরও উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে । রাজ্য সরকারের এক মাস ব্যপী বাজি বাজারের অনুমতি দেওয়া নিয়ে প্রশ্ন বিশেষজ্ঞমহলে। রাজ্য সরকারের ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্প দফতর (এমএসএমই) একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়ে দিয়েছে, চলতি বছরেও বাজি বাজার বসবে প্রতিটি জেলায়। তবে, অন্যান্য বারের মতো এক সপ্তাহ নয়, বাজার চলবে এক মাস ধরে!

    বাজি-বাজার নিয়ে প্রশ্ন নানা মহলে 

    সম্প্রতি রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় বজবজ থেকে এগরা, মালদহ থেকে দত্তপুকুর— একের পর এক বেআইনি বাজি কারখানায় (Firecracker Market) বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। প্রাণহানির ঘটনাও ঘটেছে। ছোট শিশু থেকে বাজি কারবারি মৃত্যুমিছিলের পর প্রশ্ন উঠেছিল আর কবে কড়া হবে প্রশাসন? কিছু জায়গায় বাজি নিয়ে ধরপাকড় শুরু হওয়ায় অনেকের মনেই প্রশ্ন তৈরি হয়েছিল, এ বছর উৎসবের মরসুমে কি আর বাজি বাজারের অনুমতি দেবে সরকার? কিন্তু এতো উল্টো চাল! বাজি বিষয়কে রও উৎসাহ দেওয়া হলো। কি ভাবছে প্রশাসন? পরিবেশকর্মীদের বড় অংশেরই দাবি, এমন বাজার বসলে বেআইনি বাজির কারবার মাথাচাড়া দিতে পারে। ঘটতে পারে আরও বিস্ফোরণের ঘটনা।

    আরও পড়ুন: ইডির তালিকায় রয়েছেন, নেই পর্ষদের তথ্যে! দুই প্রাথমিক শিক্ষক কোথায়? অবাক আদালত

    প্রশ্ন বাজি-কারবারিদের মধ্যেও

    বাজি বাজার নিয়ে প্রশ্ন বাজি-কারবারিদের (Firecracker Market) মধ্যেও।  সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বাজি বাজারের ৩০ দিনের জন্য ১০০ কেজি পর্যন্ত সবুজ বাজি ও ৫০০ কেজি পর্যন্ত ফুলঝুরি বিক্রির অনুমতি দিতে পারবেন জেলাশাসক। ব্যবসায়ীদের প্রশ্ন, অন্যান্য বার কলকাতায় যে বৈধ বাজি বাজার বসে, সেখানে এক-একটি স্টলে ১৫ কেজি পর্যন্ত বাজি রেখে বিক্রির অনুমতি দেওয়া হয়। তা হলে কি এ বার আরও বেশি বাজি মজুত রাখা যাবে? এত বিপুল বাজি নিয়ে বাজার চালাতে গেলে বিপদ ঘটবে না তো? উৎসবের মরসুমে কালীপুজো এবং বড়দিন মিলিয়ে যেখানে মাত্র কয়েক ঘণ্টা বাজি ফাটানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত, সেখানে এত বেশি দিন বাজি বাজার বসতে দেওয়ার উদ্দেশ্য কী? বিশেষজ্ঞদের মতে, সরকারের এই সিদ্ধান্ত থেকে দূরদর্শিতার অভাব স্পষ্ট।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • ABVP: দিল্লির ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ঝড় এবিভিপির, সেন্ট্রাল প্যানেলে বিপুল জয়

    ABVP: দিল্লির ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ঝড় এবিভিপির, সেন্ট্রাল প্যানেলে বিপুল জয়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচনে বড় জয় পেল অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ (ABVP)। সঙ্ঘের ছাত্র সংগঠন সেন্ট্রাল প্যানেলে চারটির মধ্যে তিনটে পদেই জয় ছিনিয়ে নিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি, সম্পাদক এবং সহ-সম্পাদক পদে এই জয় মিলেছে। অন্যদিকে খুব অল্প ভোটের ব্যবধানে এবিভিপি জিততে পারেনি সহ সভাপতি পদটি। প্রসঙ্গত শুক্রবারই দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছিল। শনিবার নির্বাচনের ফল ঘোষণা করা হয়। প্রসঙ্গত, দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচন সব দলের কাছেই একটি প্রেস্টিজ ফাইট ছিল। বছর ঘুরলেই লোকসভা ভোট, তার আগে দিল্লির ছাত্র সংসদ ভোটে এবিভিবির (ABVP) বিপুল জয় যুব সমাজের মতামতের প্রতিফলন বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচনে প্রচারে নেমেছিলেন খোদ কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী কিন্তু এদিনের ফলাফলে তাঁকে ফের হতাশ হতে হল। যা নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি গেরুয়া শিবির।

    কোন প্রার্থী কত ভোটে জিতলেন 

    সভাপতি পদে জয়লাভ করেছেন এবিভিপি (ABVP) প্রার্থী তুষার দেধা, তাঁর জয়ের ব্যবধান ৩,৭২২ ভোট।

    সহ-সভাপতি পদে জয়লাভ করেছেন কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠনের অভি দাহিয়া, মাত্র ৯৪০ ভোটে পরাস্ত হয়েছেন এবিভিপি প্রার্থী সুশান্ত ধানকার।

    সম্পাদক পদে জয়লাভ করেছেন এবিভিপি প্রার্থী অপরাজিতা, তাঁর জয়ের ব্যবধান ১২,৮২০ ভোট।

    সহ-সম্পাদক পদে জয় লাভ করেছেন এবিভিপি প্রার্থী শচীন বৈশ্লা। তাঁর জয়ের ব্যবধান ৯,৭৭৫ ভোট।

    ট্যুইট কিরণ রিজিজুর 

    এভিপির এই বড় জয়ে অভিনন্দন জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরণ রিজিজু। তিনি তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে এবিভিপি (ABVP) প্রার্থীদের অভিনন্দন যেমন জানিয়েছেন, পাশাপাশি রাহুল গান্ধীকেও কটাক্ষ করেছেন।

    দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫২টির মধ্যে ৩৪টি কলেজে জিতল এবিভিপি

    সেন্ট্রাল প্যানেল ছাড়াও বিশ্ববিদ্য়ালয়ের অন্তর্গত কলেজগুলিরও ছাত্র সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। অখিল ভারতের বিদ্যার্থী পরিষদ ছাড়াও কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠন এনএসইউআই, সিপিএম-এর ছাত্র সংগঠন এসএফআই, সিপিআই (এম এল)-এর ছাত্র সংগঠন আইসা এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে। নির্বাচনের তত্ত্বাবধানে দায়িত্বে ছিলেন চন্দ্রশেখর। প্রধান নির্বাচন কমিশনের কথায়, মোট ৪২ শতাংশ ভোট পড়েছিল এই নির্বাচনে। যেখানে প্রায় একলাখ ছাত্র-ছাত্রী ভোটদান করেছিল। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্গত ১৭টি কলেজে জয় পেয়েছে কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠন, অন্যদিকে এবিভিপি জিতেছে ৩৪টি কলেজে। করোনাকালে বিগত বছরগুলিতে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচন বন্ধ ছিল। শেষবারের মতো ২০১৯ সালে ছাত্র সংসদ নির্বাচন হয়। সেবারও চারটি প্যানেলের মধ্যে তিনটিতে জয় ছিনিয়ে নিয়েছিল এবিভিপি (ABVP) প্রার্থীরা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Asian Games 2023: এশিয়ান গেমসের কোয়ার্টার ফাইনালে ভলিবল দল! টেবল টেনিসে জয় বাংলার সুতীর্থার

    Asian Games 2023: এশিয়ান গেমসের কোয়ার্টার ফাইনালে ভলিবল দল! টেবল টেনিসে জয় বাংলার সুতীর্থার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুরু হয়ে গিয়েছে  এশিয়াডের টিম ইভেন্টগুলি। আজ, শনিবার বিকেলে ১৯তম এশিয়ান গেমসের (Asian Games 2023) শুভ উদ্বোধন। ভারতের মোট ৬৫৫ জন অ্যাথলিট (কর্তাদের দল আলাদা) এবার এশিয়ান গেমসে অংশ নিয়েছেন। এত বড় দল এর আগে কোনওদিন গেমসে অংশ নেয়নি। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এবার দেশের হয়ে দু’জন পতাকা বইবেন। একজন নামী মহিলা বক্সার লভলিনা বারগোঁহাই (Lovlina)। অন্যজন পুরুষ হকি দলের অধিনায়ক হরমনপ্রীত সিং (Harmanpreet Singh)।

    ভলিবলে দারুণ শুরু

    পদক জয়ের লক্ষ্যে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল ভারতীয় পুরুষ ভলিবল দল। শনিবার প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে চাইনিজ তাইপেকে ২৫-২২, ২৫-২২, ২৫-২১ ব্যবধানে হারিয়ে শেষ আটে জায়গা করে নিলেন অমিত গুলিয়া, আশোয়াল রাইরা। গ্রুপ পর্বে চ্যাম্পিয়ন হয়ে নক-আউটে জায়গা করে নেয় ভারত। প্রথম ম্যাচে হারিয়েছিল কম্বোডিয়াকে। তবে গ্রুপের দ্বিতীয় ম্যাচে ভারতের লড়াইটা ছিল বেশ কঠিন। কারণ, প্রতিপক্ষ দলটি ছিল দক্ষিণ কোরিয়া। যারা তিন বার এশিয়ান গেমসে সোনা জিতেছে। কিন্তু দক্ষিণ কোরিয়ার বাধা টপকে বড় চমক দেয় ভারতীয় পুরুষ ভলিবল দল। সাফল্যের সেই ধারা অব্যাহত রইল শেষ ষোলোর লড়াইয়েও। 

    শক্তির নিরিখে এই ম্যাচে ফেভারিট হিসেবেই নেমেছিল ভারত। চাইনিজ তাইপের বিরুদ্ধ ৩-০ ব্যবধানে ম্যাচ জিততে ভারতীয় পুরুষ ভলিবল দলের সময় লেগেছে ১ ঘণ্টা ২৫ মিনিট। আশোয়াল ছাড়াও ভারতের জয়ে বড় অবদান রয়েছে বিনীত কুমারেরও। একাই ১৪ পয়েন্ট ছিনিয়ে নিয়েছেন আশোয়াল। বিনীত সংগ্রহ করেছেন ১২ পয়েন্ট। তবে প্রথম সেটে একটা সময় ১০-৬ পয়েন্টে এগিয়ে গিয়েছিল চাইনিজ তাইপে। সেখান থেকে দুরন্ত কামব্যাক করে ভারত। সেই সেট শেষ পর্যন্ত ২১-২১ হয়। যদিও শেষ হাসি হাসে ভারত।


    লড়াই হয় দ্বিতীয় সেটেও। একটা সময় স্কোর ছিল ১৭-১৭। তবে তৃতীয় সেটে প্রতিপক্ষকে দাঁড়াতে দেননি ভারতীয় খেলোয়াড়রা। সেট জেতার পাশাপাশি ম্যাচও পকেটে পুরে ফেলে ভারত। ২৪ সেপ্টেম্বর হবে কোয়ার্টার ফাইনালের লড়াই। এক্ষেত্রে ভারতের প্রতিপক্ষ হতে পারে শক্তিশালী জাপান কিংবা কাজাকিস্তান।

    আরও পড়ুন: বিশ্বকাপ জিতলে কত টাকা পাবে টিম ইন্ডিয়া? পুরস্কারমূল্য জানাল আইসিসি

    টেবিল টেনিসেও জয়-যাত্রা

    টেবিল টেনিসে জয় দিয়ে অভিযান শুরু করেলন বাংলার সুতীর্থা। পুরুষদের দলগত ম্যাচে জিতেছেন হরমীত, মানবও। প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিলেন দিয়া পরাগ চিতালে ও নেপালের সিক্কা শ্রেষ্ঠা। ১১-১, ১১-৬, ১১-৮ ব্যবধানে জেতেন দিয়া। দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলার ঐহিকা মুখোপাধ্যায় ১১-৩, ১১-৭, ১১-২ ব্যবধানে উড়িয়ে দেন নবিতা শ্রেষ্ঠাকে। বাংলার আরও এক কন্যা সুতীর্থাও সহজ জয় পেয়েছেন ইভানা থাপা মাগারের বিরুদ্ধে।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Darjeeling: পুজোয় দার্জিলিঙে ফের যানজটে নাকাল হবেন পর্যটকরা, হেলদোল নেই রাজ্যের

    Darjeeling: পুজোয় দার্জিলিঙে ফের যানজটে নাকাল হবেন পর্যটকরা, হেলদোল নেই রাজ্যের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দার্জিলিঙে হোটেল ফাঁকা নেই। ট্রেনের টিকিটও প্রায় শেষ। পুজোর পর্যটন মরশুমে টয় ট্রেন, টাইগার হিলের আকর্ষণে দলে দলে দেশ বিদেশের পর্যটকরা দার্জিলিঙে (Darjeeling) ছুটে আসবেন। কিন্তু,যানজট যন্ত্রণায় একরাশ বিরক্তি নিয়ে তাঁরা ঘরে ফিরবেন, এই আশঙ্কা পর্যটন ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে স্থানীয় বাসিন্দা, সকলের।

    দার্জিলিংয়ে কেন এত যানজট? (Darjeeling)

    ব্রিটিশ আমলের পর দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে আর পাহাড়ের পরিকাঠামো, বিশেষ করে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। বিকল্প রাস্তা হয়নি। পার্কিং জোন নেই বললেই চলে। সঙ্গে পাল্লা দিয়ে যানবাহনের সংখ্যা বহুগুণ বেড়েছে। এর ফলে যানজটে হাঁসফাঁস করছে দার্জিলিং (Darjeeling)। পানীয় জলের সঙ্কট ও যানজটের জন্য দার্জিলিং থেকে পর্যটকরা এক সময় মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিলেন। পরবর্তীতে টয় ট্রেনের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধিতে আবার পর্যটকরা দলে দলে পাহাড়মুখো হয়েছেন। ২০১১ সালে তৃণমূল সরকার  রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর  মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বহুবার পাহাড়ে এসেছেন। নানা উন্নয়নের কথা ঘোষণা করেছেন, ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন বলে দাবিও করেছেন। তাঁদের সহযোগী গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (জিটিএ)ও কিছুই করেনি। সেকারণেই পাহাড়জুড়ে যানজট সমস্যা ক্রমে বেড়ে চলেছে। যোগাযোগ ব্যবস্থার ক্ষেত্রেও অবহেলিতই থেকে গিয়েছে দার্জিলিং পাহাড়। এবারও পুজোর ভ্রমণে দলে দলে পর্যটক দার্জিলিঙে আসবেন। তাতে যানজট সমস্যা আরও তীব্র হবে। এনিয়ে পাহাড়বাসীও চিন্তিত। কেননা পর্যটকরা দলে দলে আসায় পাহাড়ের রাস্তায় গাড়ির সংখ্যা বাড়বে। যানজট ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করবে। 

    পাহাড়ে যানজট সমস্যা নিয়ে কী বললেন স্থানীয় বাসিন্দারা?

    শুধু পর্যটকরাই নয়,দার্জিলিঙের (Darjeeling) বাসিন্দারাও নাজেহাল হচ্ছেন। পাহাড়ের মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়লে জরুরীভিত্তিতে সমতল শিলিগুড়িতে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যেতে  যানজটের কারণে দীর্ঘক্ষণ সময় চলে যায়। দার্জিলিং পুলবাজারের বাসিন্দা গৌলন শেরপা, চক বাজারের দীপেন ঠাকুরিরা বলেন, সুভাষ ঘিষিং দার্জিলিং গোর্খা হিল কাউন্সিলের দায়িত্বে থাকার সময় শিলিগুড়ি থেকে কার্শিয়াং পর্যন্ত রোহিনীর রাস্তা তৈরি করেছিলেন। তা নাহলে দার্জিলিঙের অবস্থা আরও শোচনীয় হত। রাজ্য সরকার, জিটিএ পরিকল্পিত উন্নয়নের ভাবনায় দার্জিলিংকে যানজট মুক্ত করার জন্য কিছুই করছে না। এই অবহেলায় যানজটের পাশাপাশি গাড়ির ধোঁয়ায় দার্জিলিং বায়ু দূষণে জর্জরিত। আগামী দিনে এই দূষণের কারণে দার্জিলিং পর্যটক শূন্য হয়ে পড়তে পারে।

    পাহাড়ের সামগ্রিক উন্নয়নের দায়িত্বে থাকা জিটিএ কী করছে?

    জিটিএ-র চিফ এক্সিকিউটিভ অনিত থাপা বলেন, সম্প্রতি আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, পাহাড়ের পর্যটন কেন্দ্রগুলিকে দার্জিলিং পাহাড়ের প্রধান রাস্তার সঙ্গে যুক্ত করতে কিছু বাইপাস তৈরি করা হবে। এতে মূল রাস্তায় যানজট দেখা দিলে সেই বিকল্প রাস্তা দিয়ে সহজেই গন্তব্যে পৌঁছানো যাবে, যানজটও কমবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam Case: ইডির তালিকায় রয়েছেন, নেই পর্ষদের তথ্যে! দুই প্রাথমিক শিক্ষক কোথায়? অবাক আদালত

    Recruitment Scam Case: ইডির তালিকায় রয়েছেন, নেই পর্ষদের তথ্যে! দুই প্রাথমিক শিক্ষক কোথায়? অবাক আদালত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইডির তালিকায় তাঁদের নাম রয়েছে। কিন্তু পর্ষদের খতিয়ানে তাঁরা উধাও। এমন ঘটনায় বিস্মিত বিচারপতিও। দুই প্রাথমিক শিক্ষক (Recruitment Scam Case) কোথায় গেলেন? তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। আসলে, প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা দুই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই এবং ইডি’কে দুর্নীতিগ্রস্ত শিক্ষকদের তালিকা আদলতে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেই মতো তালিকা জমা দিয়েছে ইডি। যেখানে দুই শিক্ষকের নাম রয়েছে, যাঁদের পদবী ‘রজক ও ‘শেখ’। এই দুই অভিযুক্ত শিক্ষক ২০২০ সালে বেআইনিভাবে চাকরি পেয়েছিলেন বলে দাবি ইডির। কিন্তু প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের দেওয়া হলফনামায় ওই দুই শিক্ষকের কোনও উল্লেখই নেই। 

    জেনে বুঝেই নামগুলি বাদ!

    অবৈধভাবে চাকরি পাওয়া শিক্ষকদের তালিকা তৈরি করেছে ইডি এবং সিবিআই। যা পরে আদালতের নির্দেশে পর্ষদকে দিয়েছিল কেন্দ্রীয় সংস্থা। তার ভিত্তিতেই আদালতে হলফনামা জমা দিয়েছে পর্ষদ। এখন প্রশ্ন উঠছে, ইডির তালিকায় ‘রজক’ ও ‘শেখ’ পদবীধারী দুই শিক্ষককে ভুয়ো হিসেবে চিহ্নত করা হলেও, তা পর্ষদের হলফনামায় উল্লেখ নেই কেন? তাহলে কি জেনে বুঝেই নামগুলি বাদ দেওয়া হয়েছে, তা নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে। 

    ইডির তালিকা নিয়ে পর্ষদের জবাব

    ইডির তালিকায় বেআইনিভাবে চাকরি পাওয়া প্রায় ২২০৭ জনের নাম রয়েছে। তার মধ্যে ২০১৬-১৭’তে নিয়োগপত্র পেয়েছিলেন ১৮০৪ জন। আর ২৫০ জনের চাকরি হয়েছিল ২০২০ সালে। শুধু তাই নয়, আরও ৬৩ জনের নাম পাওয়া গিয়েছে, যা ২০২৬-১৭ সালেই বিশেষ প্যানেল গঠন করে নেওয়া হয়েছিল। যা ইডির পক্ষ থেকে অবগত করা হয়েছিল পর্ষদকেও। তবে মজার ব্যাপার হল, পর্ষদ দাবি করছে ২০২০ সালে নিযুক্ত ২৫০জন শিক্ষকের মধ্যে দু’জন ছাড়া ২৪৮ জনের নিয়োগ বৈধ। এমনকী পর্ষদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ১৮৯৪ ও ৬৩ জন টেট পাশ করেছিল। 

    সিবিআই-এর তালিকায় ধাক্কা

    সূত্রের খবর, ইডির তালিকা নিয়ে প্রত্যুত্তর দিলেও সিবিআইয়ের দেওয়া তালিকায় এসে কিছুটা হোঁচট খেয়েছে পর্ষদ। সিবিআই তাদের তালিকায় টেট পাশ না করা ৯৬ জন এবং শিক্ষক প্রশিক্ষণ (ডিইএলএড) ডিগ্রি না থাকা ৪৬ জনের নাম দিয়েছিল। ৯৬ জনের মধ্যে ৪ জন এমন আছেন যাঁরা সরাসরি টাকা দিয়ে চাকরি পেয়েছিলেন বলে অভিযোগ। পৃথক ভাবে ২৫ জনের নাম দেওয়া হয়েছে যাঁদের সঙ্গে নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত তাপস মণ্ডল কিংবা কুন্তল ঘোষের দু’জন দালালের যোগ রয়েছে বলে অভিযোগ। পর্ষদ জানিয়েছে, ওই ৯৬ জনকে তাঁদের নথি যাচাইয়ের জন্য তলব করা হয়েছে। অন্য ৪৬ জনকেও একই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    আরও পড়ুন: ‘‘কে একটা ভাইপো আছে তাঁর চারতলা বাড়ি’’! কোভিড মামলায় মন্তব্য বিচারপতির

    এই হলফনামার পরিপ্রেক্ষিতে মামলাকারী চাকরিপ্রার্থী সৌমেন নন্দীর আইনজীবী ফিরদৌস শামিমের বক্তব্য, ‘‘নিয়োগের অনিয়ম নিয়ে বার বার বলা হয়েছে। এত দিন পুরোপুরি অস্বীকার করলেও এ বার অন্তত নথি যাচাইয়ে ডাকতে বাধ্য হয়েছে পর্ষদ। পুরো তদন্ত হলে আরও অনেক কিছুই বেরোতে পারে।’’

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dengue Update: এবছরে ডেঙ্গি নিয়ে কোনও তথ্যই কেন্দ্রকে পাঠায়নি নবান্ন! এদিকে রাজ্যে মৃত্যুমিছিল

    Dengue Update: এবছরে ডেঙ্গি নিয়ে কোনও তথ্যই কেন্দ্রকে পাঠায়নি নবান্ন! এদিকে রাজ্যে মৃত্যুমিছিল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একই দিনে রাজ্যে ৬ জন ডেঙ্গি (Dengue Update) আক্রান্তের মৃত্যু।  এর মধ্যে দু’জন রোগী ছিলেন কলকাতার বাসিন্দা। জানা গিয়েছে, শহরের প্রাইভেট হাসপাতালে ভরতি ছিলেন সেই দু’জনই। মৃতদের মধ্যে একজন ছিলেন বাঘাজতিন এলাকার বাসিন্দা, অপরজন ছিলেন সল্টলেক এলাকার বাসিন্দা। কলকাতার দুই রোগী ছাড়াও গতকাল ডেঙ্গি প্রাণ কেড়ে নেয় পশ্চিম মেদিনীপুরের চারজনের। তার মধ্যে দু’জন ঘাটালের বাসিন্দা এবং বাকি দু’জন খড়গপুরের বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। রাজ্যে ডেঙ্গি পরিস্থিতি ক্রমশ ভয়াবহ হয়ে উঠেছে। তবুও নির্বিকার প্রশাসন।গত জুন-জুলাই থেকে রাজ্যে ডেঙ্গি বাড়তে থাকলেও প্রশাসনের টনক নড়ছে না।

    কেন্দ্রকে তথ্য দেয়নি রাজ্য

    চলতি বছরে এখনও পর্যন্ত ডেঙ্গি (Dengue Update) নিয়ে কোনও তথ্যই কেন্দ্রকে দেয়নি রাজ্য! কেন্দ্রীয় সরকারের সেন্টার ফর ভেক্টর বোর্ন ডিজিজ কন্ট্রোল প্রোগ্রামের ওয়েবসাইট থেকে একথা জানা যায়। শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গই এখনও পর্যন্ত কতজন ডেঙ্গি আক্রান্ত এবং ডেঙ্গিতে কতজনের মৃত্যু হয়েছে, সেই সংক্রান্ত কোনও পরিসংখ্যান দেয়নি। উল্লেখ্য, এর আগে ২০২০, ’২১ এবং ’২২ সালে রাজ্য সরকার ডেঙ্গি সংক্রান্ত তথ্য কেন্দ্রকে পাঠালেও, ২০১৮ এবং ’১৯ সালেও কোনও তথ্য দেয়নি।  

    ভয়াবহ পরিস্থিতি

    কলকাতা পুরসভার হিসেব অনুযায়ী, গত সপ্তাহে ডেঙ্গি (Dengue Update) আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২৭০০ জন। সেই সংখ্যাটাই গতকাল বেড়ে হয় ৩৮০২। এদিকে  এই নিয়ে এবছরে সরকারি ভাবে এখনও পর্যন্ত ৩০ জন ডেঙ্গি রোগীর মৃত্যু হয়েছে রাজ্যে। এদিকে শুক্রবার একই দিনে ৬ জনের মৃত্যু হওয়ায় স্বভাবতই আরও আতঙ্ক বেড়েছে ডেঙ্গি নিয়ে।

    রাজ্যবাসীর প্রশ্ন

    প্রতিনিয়ত যে হারে ডেঙ্গি (Dengue Update) আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে বাড়ছে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে  শহরবাসী। প্রতি বারই সংক্রমণ তুঙ্গে ওঠার এবং বেশ কিছু প্রাণ চলে যাওয়ার পরে কেন টনক নড়ে রাজ্য সরকারের? বিরোধীদের প্রশ্ন, বর্ষা যখন শুরু হল, তখনই কেন পদক্ষেপ করল না রাজ্য সরকার? ডেঙ্গি যখন মহামারির চেহারা নিতে চলেছে, তখন রাস্তায় নেমে কী হবে? পুর স্বাস্থ্য বিভাগ যদি সত্যিই ঠিক মতো কাজ করত, তা হলে ডেঙ্গি এত ভয়াবহ আকার নিত না বলে অভিমত শহরবাসীর।

    আরও পড়ুন: বিরিয়ানিতে কি রং, বাসি-পচা মাংস? খাদ্য সুরক্ষা দফতরের অভিযানে চাঞ্চল্যকর তথ্য

    শহরের অবস্থা

    পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রের খবর, কলকাতার ১৬টি বরোর মধ্যে ডেঙ্গিতে (Dengue Update) আক্রান্তের সংখ্যা সর্বাধিক দশ নম্বর বরোয়। সেখানে গত এক মাসে তিন জন ডেঙ্গিতে মারা গিয়েছেন। গত বছরেও এই বরো আক্রান্তের সংখ্যার নিরিখে শীর্ষ স্থানে ছিল। বিজেপির পুরপ্রতিনিধি সজল ঘোষের অভিযোগ, ‘‘গত বছরের চেয়েও এ বার ডেঙ্গি পরিস্থিতি বেশি উদ্বেগজনক। অথচ, কলকাতা পুরসভার বাজেটে মশাবাহিত রোগ দূরীকরণে মোটা টাকা বরাদ্দ করা হয়। আমাদের প্রশ্ন, তা হলে ভেক্টর কন্ট্রোলের জন্য কোটি কোটি টাকা খরচ করে কাজের কাজ কী হচ্ছে?’’

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share