Tag: Madhyom

Madhyom

  • Israel Hamas Conflict: যুদ্ধবিরতিতে সায় ইজরায়েলের মন্ত্রিসভার, সোম থেকেই শুরু প্রথম পর্ব

    Israel Hamas Conflict: যুদ্ধবিরতিতে সায় ইজরায়েলের মন্ত্রিসভার, সোম থেকেই শুরু প্রথম পর্ব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেষমেশ বিরতি পড়তে চলেছে টানা পনের মাস ধরে চলা যুদ্ধে (Israel Hamas Conflict)। শনিবার ইজরায়েলের মন্ত্রিসভা হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি (Ceasefire) চুক্তি অনুমোদন করেছে। যুদ্ধবিরতি চলবে প্রায় দেড় মাস। শুরু হবে, ১৯ জানুয়ারি, রবিরার থেকে। এদিনের বৈঠকে কয়েকজন যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবের বিরোধিতা করেন। তা সত্ত্বেও উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর মন্ত্রিসভা সায় দেয় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে। জানা গিয়েছে, চুক্তিটির মধ্যস্থতা করেছিলেন কাতার ও মিশরের মধ্যস্থতাকারীরা। কয়েকজন মার্কিন কর্তারাও ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত ছিলেন। এই চুক্তির লক্ষ্য হল, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের ইসরায়েলে আকস্মিক হামলার মাধ্যমে শুরু হওয়া যুদ্ধের অবসান ঘটানো।

    যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব (Israel Hamas Conflict)

    যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব অনুযায়ী, যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রথম ধাপ ৪২ দিন স্থায়ী হবে। এর মাধ্যমে গাজায় হামাসের হাতে আটক ৩৩জন বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হবে। কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুলরহমান বিন জাসিম আল-থানি বলেন, “মুক্তি পাওয়া বন্দিদের মধ্যে থাকবেন বেসামরিক মহিলা এবং মহিলা সেনাসদস্য, সেই সঙ্গে শিশু, প্রবীণ ব্যক্তি, অসুস্থ বেসামরিক ব্যক্তি এবং আহত ব্যক্তিরা”। সূত্রের খবর, তিনজন ইসরায়েলি নারী সেনাসদস্য রবিবার সন্ধ্যায় প্রথমে মুক্তি পাবেন। ইজরায়েলের বিচারমন্ত্রক জানিয়েছে, গাজার যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রথম ধাপে ৭৩৭ জন বন্দি এবং আটক ব্যক্তিকে মুক্তি দেওয়া হবে। তাদের মধ্যে পুরুষ, মহিলা এবং শিশুরা রয়েছে। ইজরায়েল অবশ্য সাফ জানিয়ে দিয়েছে, তারা রবিবার স্থানীয় সময় বিকেল ৪টার আগে কাউকে মুক্তি দেবে না (Israel Hamas Conflict)।

    আরও পড়ুন: একদিনে ৬৫ লাখের বেশি সম্পত্তি কার্ড বিলি, অভিনব রেকর্ড গড়লেন প্রধানমন্ত্রী মোদি

    স্বাস্থ্য পরীক্ষার ব্যবস্থা

    জানা গিয়েছে, বন্দিদের প্রথমে নিয়ে আসা হবে গাজা সীমান্তে। সেখানে চিকিৎসক ও মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা তাঁদের পরীক্ষা করবেন। পরে তাঁদের হেলিকপ্টার বা গাড়ির মাধ্যমে ইসরায়েলের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হবে। যুদ্ধবিরতি পর্ব চলাকালীন সময়ে ইজরায়েলি সেনারা গাজার ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা থেকে সরে আসবে। ইসরায়েলি সেনা গাজার নির্দিষ্ট স্থান এবং রুট থেকে সরে এলেও, গাজার বাসিন্দাদের ইসরায়েলি সেনাদের উপস্থিতি থাকা এলাকা বা ইসরায়েল-গাজার সীমান্তের কাছাকাছি এলাকায় ফিরে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে না।

    প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতি চুক্তির আওতায়, ইসরায়েল প্রথম ধাপে গাজার ভেতরে একটি বাফার জোন বজায় রাখবে। যদিও “সমস্ত বন্দি না ফেরানো পর্যন্ত” ইজরায়েলি বাহিনী গাজা থেকে পুরোপুরি প্রত্যাহার করা হবে না (Israel Hamas Conflict)। প্রথম দফার যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার ১৬ দিনের মাথায় শুরু হবে দ্বিতীয় পর্বের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবের প্রস্তুতি (Ceasefire)।

          

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BSF: সীমান্ত টপকে লুট! বাঁশপেটা করে বাংলাদেশিদের তাড়াল ভারতীয়রা, সেল ফাটাল বিএসএফ

    BSF: সীমান্ত টপকে লুট! বাঁশপেটা করে বাংলাদেশিদের তাড়াল ভারতীয়রা, সেল ফাটাল বিএসএফ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সীমান্তের ফাঁকা জমিতে কাঁটাতারের বেড়ার লাগানোর উদ্যোগ নিয়েছে বিএসএফ (BSF)। কোথাও আবার কাঁটাতারের মধ্যে কাচের বোতল লাগানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই আবহে এবার মালদার শুকদেবপুর সীমান্তে উত্তেজনা দেখা দিল। জানা গিয়েছে, শনিবার বৈষ্ণবনগরের শুকদেবপুরে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে ফসল লুট করাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বিএসএফের ১১৯ নম্বর ব্যাটেলিয়নের জওয়ানদের ঘটনাস্থলে ছুটে যেতে হয়। কিন্তু, কর্তব্যরত জওয়ানদের লক্ষ্য করে ইঁট, পাথর ছোড়ে বাংলাদেশি দুষ্কৃতীরা। তাতেই দুই বিএসএফ জওয়ান জখম হন। সেই সময় মালদার শুকদেবপুর গ্রামের বাসিন্দারা হাতে বাঁশ, লাঠি নিয়ে বাংলাদেশিদের ধাওয়া করে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (BSF)

    জানা গিয়েছে, গত কয়েকদিন ধরেই বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে ভারতে ঢোকার একাধিকবার চেষ্টা হয়েছে। এর আগেও ভারতীয় সীমান্তের বাসিন্দাদের তাড়া খেয়ে পালিয়েছিল বাংলাদেশি নাগরিকরা। শনিবারও শুকদেবপুরে ঢোকার চেষ্টা করে ওপারের বাসিন্দারা। শুকদেবপুর সীমান্তে দেড় কিলোমিটার কাঁটাতার নেই। বিএসএফ যখনই কাঁটাতার লাগানোর চেষ্টা করেছে, তখনই বিজিবি বাধা দিয়েছে। মাটি খুঁড়ে সুড়ঙ্গও বানাতে দেখা গিয়েছে ওপার থেকে। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, ওপারের সীমান্তের বাংলাদেশিরা এপারের সীমান্তে ঢুকে কৃষকদের ফসল লুট করে বলে অভিযোগ। শুধু তাই নয়, বেশ কয়েকটি সীমান্তের আম গাছও কেটে ফেলে বাংলাদেশি দুষ্কৃতীরা। তারপরই বাধা দেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাতেই উত্তেজনা ছড়ায়। বিএসএফ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটায়। তাড়া খেয়ে পালায় ওপারের বাসিন্দারা। এর আগে সীমান্তে কাঁটাতার বসানো নিয়ে বারবার বাধা দিয়েছে বিজিবি। কেন তারা বাধা দিচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর থেকে একাধিকবার সীমান্তে (BSF) উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের জন্য বেশ কয়েকজন বাংলাদেশি নাগরিক ধরা পড়েছেন।

    আরও পড়ুন: মহাকুম্ভ নাকি অন্ধবিশ্বাস! মেলা প্রাঙ্গণে হিন্দু-বিরোধী পোস্টার ছিঁড়ে জ্বালিয়ে দিলেন নাগা সাধুরা

    ভিডিওতে কী দেখা যাচ্ছে?

    সোশ্যাল মিডিয়াতেও ওই ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, সীমানা টপকে আচমকাই কিছু বাংলাদেশি ভারতীয় ভূখণ্ডে ঢুকে পড়ে। বিষয়টি জানাজানি হতেই উত্তেজনা ছড়ায়। এলাকার বাসিন্দারাও ছুটে আসেন। এর পর বিএসএফ-এর (BSF) সঙ্গে মিলে স্থানীয়রাও বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের তাড়া করেন। ভিডিও-য় দেখা গিয়েছে, মাঠের ওপর প্রচুর মানুষের জমায়েত হয়। চিৎকার-চেঁচামেচি চলছে। সামনের দিকে কয়েক জন দৌড়চ্ছেন। পিছু পিছু ছুটছেন আরও কয়েক জন। উর্দি পরিহিত বিএসএফকেও দেখা যায় ভিডিও-তে। প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে শেখ হাসিনার শাসনের অবসান ঘটার পর থেকেই পড়শি দেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের অবনতি ঘটেছে। মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠেছে সীমান্ত সংঘাতও। মালদার শুকদেবপুরের প্রায় এক কিলোমিটার সীমান্তে কাঁটাতার নেই। সেখানে বিএসএফ কাঁটাতারের বেড়া বসাতে গেলে বাধা দেয় বিজিবি। ওপারের সাধারণ নাগরিকরাও সীমান্তে এসে কাজে বাধা দেন। এপারের মানুষজনও জড়ো হন সীমান্তে। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এর পর বিএসএফ এবং বিজিবির মধ্য দফায় দফায় ফ্ল্যাগ মিটিং হয়। বিজেবি দাবি করে, যে জায়গায় কাঁটাতারের বেড়া তুলছে বিএসএফ, তা বিতর্কিত এলাকা। অন্য দিকে, বিএসএফ জানায়, নিজেদের ভূখণ্ডেই কাঁটাতারের বেড়া তোলা হচ্ছে। কিন্তু এসবের মধ্যে কাজ ভণ্ডুল হয়ে যায়। আর সেই আবহেই ফের তপ্ত হয়ে উঠল এলাকায়। একেবারে দিনের বেলা সীমান্ত পেরিয়ে ভারতের ভূখণ্ডে ঢুকে পড়ল বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা। এর নেপথ্যে বিজেবি-র উস্কানি থাকতে পারে বলেও মনে করছেন স্থানীয়দের অনেকে।

    পঞ্চায়েত সদস্যের কী বক্তব্য?

    বৈষ্ণবনগর থানার (BSF) বাখরাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের শুকদেবপুর এলাকার  পঞ্চায়েত সদস্য বিনয় মণ্ডল বলেন, “এদিন শতাধিক বাংলাদেশিরা সীমান্ত দিয়ে ভারতীয় ভূখণ্ডে ঢুকে গ্রামের দুই বাসিন্দা গোপাল মণ্ডল ও তপন ঘোষের জমির ফসল লুট করেছিল। শুধু তাই নয়, ওরা আমার বাগানের পনেরোটা আম গাছ কেটে নিয়ে যাচ্ছিল। তখনই সীমান্তে বিএসএফের ১১৫ নম্বর ব্যাটেলিয়ানের কর্তব্যরত জওয়ানেরা প্রতিবাদ জানিয়ে বাধা দেয়। কিন্তু, সেই সময় বিএসএফকে লক্ষ্য করে ইঁট, পাথর ছোঁড়া হয়। তাতে দুই বিএসএফ জওয়ান জখম হন।” এই ঘটনায় সীমান্তের নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। দিনের আলোয় যদি বেআইনি ভাবে অনুপ্রবেশ ঘটানো হয় ওপার থেকে, তাহলে রাতের অন্ধকারে কী হতে পারে, ভেবে আতঙ্কিত অনেকেই। সীমান্তের নিরাপত্তা সুনিশ্চিতকরণে কড়া পদক্ষেপ প্রয়োজন বলে মত তাঁদের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Akashteer: এয়ার-ডিফেন্সের গেম-চেঞ্জার! ‘আয়রন ডোম’কেও ছাপিয়ে যাবে ভারতের ‘আকাশতীর’?

    Akashteer: এয়ার-ডিফেন্সের গেম-চেঞ্জার! ‘আয়রন ডোম’কেও ছাপিয়ে যাবে ভারতের ‘আকাশতীর’?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চারিদিকে বাড়ছে শত্রু। চিন-পাকিস্তানের চোখ রাঙানির সঙ্গে বছর শেষে যোগ হয়েছে বাংলাদেশের আস্ফালনও। এই পরিস্থিতিতে বেড়েছে দেশে অনুপ্রবেশ। বেআইনি কাজ রুখতে একদিকে যেমন সীমান্তে নজরদারি বেড়েছে, তেমনই ভারতীয় সেনাও নিজের শক্তি বৃদ্ধি করেছে। শক্তিশালী সামরিক প্রযুক্তি ও নিরাপত্তা হুমকির দ্রুত পরিবর্তনশীল যুগে, ভারতের প্রতিরক্ষা বাহিনী তার এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমের উন্নতির জন্য নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছে। এই পরিবর্তনের অগ্রভাগে রয়েছে ‘আকাশতীর’, পরবর্তী প্রজন্মের একটি আকাশসীমা প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা যা ডিআরডিও এবং ভারত ইলেকট্রনিকস লিমিটেড (BEL) যৌথভাবে তৈরি করেছে।

    আয়রন ডোমের থেকেও ভয়ঙ্কর আকাশতীর!

    প্রতিরক্ষা খাতে আত্মনির্ভরতার পথেই হেঁটেছে ভারত। একাধিক দেশের সঙ্গে সামরিক চুক্তি যেমন হয়েছে, তেমনই দেশীয় প্রযুক্তিতেও অস্ত্র-শস্ত্র উৎপাদন করা হচ্ছে। আধুনিক যুগে অত্য়াধুনিক অস্ত্র যোগ হয়েছে ভারতীয় সেনার ভাণ্ডারে। সেনাবাহিনীতে মাল্টিপল সেন্সর ইনপুটের জন্য যোগ করা হয়েছে আকাশতীর এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম। বিশ্বজুড়ে ইজরায়েলের আয়রন ডোমের দিকে নজর থাকলেও, ভারত চুপচাপ তার নিজস্ব আকাশসীমা প্রতিরক্ষা সক্ষমতা শক্তিশালী করার দিকে মনোযোগ দিয়েছে আকাশতীর প্রকল্পের মাধ্যমে। ভারতীয় সেনাবাহিনীর ‘ডিকেড অব ট্রান্সফরমেশন’ এবং ‘ইয়ার অব টেক অ্যাবজর্বশন’ উদ্যোগের অধীনে আকাশতীর তৈরি করা হয়েছে, যা আধুনিক আকাশ প্রতিরক্ষা হুমকির বিরুদ্ধে কার্যকরী সুরক্ষা নিশ্চিত করবে। ভারতের বহুস্তরীয় প্রতিরক্ষা কৌশলকে শক্তিশালী করবে। আকাশতীর ভারতের আত্মনির্ভর প্রতিরক্ষা প্রযুক্তির যাত্রায় একটি গুরুত্বপূর্ণ গেম-চেঞ্জার।

    ইজরায়েলের আয়রন ডোম

    ইরান-লেবাননের শয়ে শয়ে মিসাইল হামলা ইজরায়েল প্রতিহত করেছে তাদের বিখ্যাত আয়রন ডোম মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেম দিয়ে। ইজরায়েলের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধ ব্যবস্থাগুলির মধ্যে সবথেকে সুপরিচিত, ‘লৌহগম্বুজ’ বা ‘আয়রন ডোম’ ব্যবস্থা। ৪ কিমি থেকে ৭০ কিমি দূর থেকে ছোড়া স্বল্প-পাল্লার রকেট, শেল এবং মর্টারগুলিকে আটকানোর জন্য নকশা করা হয়েছে এই ব্যবস্থা। সাম্প্রতিক বছরগুলিতে যেভাবে বারে বারে হামাস-সহ গাজার যোদ্ধা গোষ্ঠীগুলি এবং লেবাননের হিজবুল্লা গোষ্ঠী নাগাড়ে ইজরায়েল লক্ষ্য করে রকেট এবং ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে গিয়েছে এবং ইজরায়েল যেভাবে সেই হামলাগুলিকে ভোঁতা করে দিয়েছে, তাতে আয়রন ডোমকে বর্তমান বিশ্বের সবথেকে যুদ্ধ-পরীক্ষিত এবং সফল বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। 

    কীভাবে কাজ করেছে আয়রন ডোম

    ইজরায়েল জুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে আয়রন ডোমের ব্যাটারি। প্রতিটি ব্যাটারিতে তিন থেকে চারটি লঞ্চার থাকে। প্রতিটি লঞ্চারে থাকে ২০টি করে ইন্টারসেপ্টর মিসাইল। রাডারের সাহায্যে উড়ে আসা রকেটগুলিকে শনাক্ত করে এবং ট্র্যাক করে আয়রন ডোম। তারপর এই ব্যস্থা হিসেব কষে দেখে যে, রকেটগুলি কোনও জনবহুল এলাকায় পড়তে পারে কিনা। যদি দেখে সেই সম্ভাবনা রয়েছে, সেই ক্ষেত্রে ওই রকেটগুলি লক্ষ্য করে ইন্টারসেপ্টর মিসাইল নিক্ষেপ করে। আর যেগুলি কোনও জনবহুল এলাকায় পড়ার সম্ভাবনা থাকে না, সেগুলিকে মাটিতে পড়ে নষ্ট হতে দেয়। ইজরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর দাবি, তাদের এই ব্যবস্থা ইজরায়েলের দিকে উড়ে আসা ৯০ শতাংশ রকেটকেই ধ্বংস করে।

    বিমান প্রতিরক্ষায় ভারতের বিপ্লব

    ভারত দীর্ঘদিন ধরে তার আকাশ প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বাড়ানোর গুরুত্ব উপলব্ধি করেছে, বিশেষ করে আঞ্চলিক উত্তেজনা এবং অত্যাধুনিক বিমান আক্রমণের হুমকি বৃদ্ধি পাওয়ায়। আয়রন ডোমের মতোই ভারতের আকাশতীর এই চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলার জন্য একটি শক্তিশালী সমাধান। এটি অত্যাধুনিক রেডার, ক্ষেপণাস্ত্র নির্দেশনা এবং কমান্ড কন্ট্রোল সিস্টেমের সমন্বয়ে তৈরি। আকাশতীর বিশেষভাবে উচ্চ-গতি, কম উচ্চতার এবং স্টেলথ লক্ষ্যবস্তু শনাক্তকরণের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। আকাশতীরের রেডার সিস্টেম প্রযুক্তির ক্ষেত্রে একটি বিশাল অগ্রগতি। এটি একাধিক লক্ষ্যবস্তু বিভিন্ন উচ্চতায় শনাক্ত করতে সক্ষম, এবং অত্যাধুনিক সিগন্যাল প্রসেসিং অ্যালগোরিদমের মাধ্যমে স্টেলথ বিমান, ড্রোন এবং সুপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র পর্যন্ত শনাক্ত করতে পারে। ঐতিহ্যবাহী রেডার সিস্টেমের তুলনায়, আকাশতীরের রেডার প্রায় মাটি ঘেঁষে চলা লক্ষ্যবস্তুও শনাক্ত করতে সক্ষম, যা ভারতের গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোকে ৩৬০-ডিগ্রি সুরক্ষা প্রদান করে।

    বর্ধিত পরিসর এবং সঠিকতা

    আকাশতীরের মিসাইলটি একটি বর্ধিত হামলা পরিসর প্রদান করবে, যার মাধ্যমে এটি বৃহত্তর দূরত্ব থেকে লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস করতে সক্ষম হবে। এর ফলে ভারতীয় সেনাবাহিনী গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলো, যেমন সেনা ঘাঁটি, বিমানবন্দর এবং জাতীয় অবকাঠামোকে একাধিক সম্ভাব্য হুমকি থেকে রক্ষা করতে পারবে। মিসাইলটির উন্নত পরিসর এবং সঠিকতা, শত্রু বিমান এবং ক্ষেপণাস্ত্রকে তাদের ক্ষতি করার আগেই লক্ষ্যবস্তু থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য অধিক কার্যকরী। আকাশতীরের একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হল এটি ভারতের বিদ্যমান আকাশ প্রতিরক্ষা সিস্টেমের সঙ্গে সুনির্দিষ্টভাবে সমন্বয় স্থাপন করতে সক্ষম। এটি রাশিয়ার এস-৪০০ সিস্টেম এবং ইজরায়েল-উন্নত বারাক-৮ সিস্টেমের সঙ্গেও একত্রে কাজ করবে।

    মোবিলিটি এবং মোতায়েনের নমনীয়তা

    আকাশতীরের ক্ষেপণাস্ত্র লঞ্চার এবং রেডার ইউনিটগুলি উচ্চ-মোবিলিটি যানবাহনে স্থাপন করা হয়েছে, যার ফলে এটি বিভিন্ন ধরনের ভূ-প্রকৃতিতে দ্রুত মোতায়েন করা সম্ভব। সুতরাং, এটি যেকোনও পরিস্থিতিতে, বিশেষত সীমান্তে জরুরি সময়ে দ্রুত প্রতিক্রিয়া প্রদান করতে সক্ষম। সমতল ভূমি, পাহাড়ি এলাকা বা উপকূলীয় অঞ্চলে আকাশতীর সহজেই স্থাপন করা যেতে পারে, যা বাস্তব সময়ে কৌশলগত সুরক্ষা প্রদান করবে।

    প্রতিরক্ষা প্রযুক্তিতে স্বয়ংসম্পূর্ণ ভারত

    আকাশতীরের অন্যতম প্রধান দিক হল এটি একটি পূর্ণাঙ্গ দেশীয় প্রযুক্তি, যা সম্পূর্ণভাবে ভারতের ডিআরডিও এবং রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা ভারত ইলেকট্রনিকস লিমিটেড দ্বারা তৈরি। এই সিস্টেমটির উন্নয়ন ভারতের প্রতিরক্ষা প্রযুক্তির প্রতি বাড়তি দক্ষতা এবং ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ উদ্যোগের অধীনে আত্মনির্ভরতা অর্জনের প্রতিশ্রুতি প্রদর্শন করে। এটি বিদেশি সরবরাহকারীদের উপর নির্ভরশীলতা কমায় এবং একটি দেশীয় প্রতিরক্ষা পরিবেশ তৈরি করে ভারতের জাতীয় নিরাপত্তাকে আরও শক্তিশালী করে। ‘প্রজেক্ট আকাশতীর’-এর লক্ষ্য হল পরিস্থিতিগত সচেতনতা এবং নিয়ন্ত্রণের একটি “অভূতপূর্ব স্তর” প্রদান করা যাতে বন্ধুত্বপূর্ণ বিমানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায় এবং “প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ আকাশপথে” শত্রু বিমানকে নষ্ট করা যায়। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Daily Horoscope 19 January 2025: কাজের চাপ বাড়তে পারে এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 19 January 2025: কাজের চাপ বাড়তে পারে এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) অতিরিক্ত বিলাসিতার জন্য খরচ বাড়তে পারে।

    ২) গুরুজনদের সদুপদেশে কর্মক্ষেত্রে উন্নতি।

    ৩) পুরনো বন্ধুর সঙ্গে দেখা হতে পারে।

    বৃষ

    ১) নিজের ভুল সংশোধন করার ফলে ব্যবসায় উন্নতি ও বিপুল অর্থপ্রাপ্তির যোগ।

    ২) গুরুজনের শরীর নিয়ে চিন্তা থাকবে।

    ৩) ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে দিনটি।

    মিথুন

    ১) কাজের চাপ বাড়তে পারে।

    ২) বন্ধুদের সহায়তায় ব্যবসায় উন্নতি।

    ৩) সবাই আপনার প্রশংসা করবে।

    কর্কট

    ১) সহকর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করায় মানসিক চাপ বাড়বে।

    ২) প্রেমে কষ্ট বাড়তে পারে।

    ৩) ধৈর্য ধরতে হবে।

    সিংহ

    ১) সব কাজেই সুনাম পেতে পারেন।

    ২) ব্যবসায় কর্মচারীদের দ্বারা ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

    ৩) বাণীতে সংযম রাখুন।

    কন্যা

    ১) দাম্পত্য কলহের কারণে মন চঞ্চল হতে পারে।

    ২) কোনও ঝুঁকিপ্রবণ কাজ করতে হতে পরে।

    ৩) দুশ্চিন্তা বাড়বে।

    তুলা

    ১) প্রিয়জনের সঙ্গে বিবাদ নিয়ে চিন্তা হতে পারে।

    ২) গরিব মানুষের জন্য কিছু করার চেষ্টা করুন।

    ৩) কর্মক্ষেত্রে বাধা।

    বৃশ্চিক

    ১) শত্রুভয় কাটিয়ে উঠতে পারবেন।

    ২) ব্যবসায় ফল নিয়ে চিন্তা থাকবে।

    ৩) সবাইকে বিশ্বাস করবেন না।

    ধনু

    ১) কাজের ক্ষেত্রে প্রচুর চিন্তা থাকবে।

    ২) ব্যবসার ব্যাপারে খুব সতর্ক থাকুন, বুদ্ধিভ্রংশ হতে পারে।

    ৩) ডাক্তারের কাছে যেতে হতে পারে।

    মকর

    ১) বাড়িতে অশান্তির সম্ভাবনা ও সেই কারণে আপনার মানহানি হতে পারে।

    ২) আপনার বক্তব্য সকলের মন জয় করতে সক্ষম হবে। 

    ৩) আধ্যাত্মিকতায় মনোনিবেশ করুন।

    কুম্ভ

    ১) নম্র স্বভাবের জন্য কর্মস্থলে পদন্নোতি।

    ২) বাসস্থান পরিবর্তন নিয়ে খরচ বৃদ্ধি।

    ৩) কর্মক্ষেত্রে বাধা।

    মীন

    ১) কোনও প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ না করাই ভালো হবে।

    ২) ভ্রমণে সমস্যা বাড়তে পারে, একটু সাবধান থাকুন। 

    ৩) ভেবেচিন্তে কথা বলুন।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Weather Update: নতুন করে পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাব! রাজ্যজুড়ে কুয়াশার দাপট, তাপমাত্রা বৃদ্ধির আশঙ্কা

    Weather Update: নতুন করে পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাব! রাজ্যজুড়ে কুয়াশার দাপট, তাপমাত্রা বৃদ্ধির আশঙ্কা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নতুন করে পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাব পড়তে চলেছে রাজ্যে। ফলে, আগামী সপ্তাহেও জাঁকিয়ে শীত পড়ার সম্ভাবনা নেই। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আগামী কয়েক দিন রাতের তাপমাত্রায় খুব একটা হেরফের হবে না। শীতের আমেজ থাকবে জেলায় জেলায়। তবে জাঁকিয়ে শীত পড়বে না। আবহাওয়া (Weather Update) দফতর বলছে, শনিবার সকালে কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৫.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগামী চার থেকে পাঁচদিন এই ছবিই দেখা যাবে বলে জানাচ্ছেন আলিপুর আবহাওয়া দফতরের কর্তারা। বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই। একই ছবি দেখা যাবে উত্তরবঙ্গের ক্ষেত্রেও।

    কুয়াশার দাপট কোথায়? (Weather Update)

    বৃষ্টি না হলেও কুয়াশার দাপট জারি থাকবে বলে জানাচ্ছে হাওয়া(Weather Update) অফিস। দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলাতেই সকালের দিকে হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশার দেখা মিলবে। মূলত, দক্ষিণবঙ্গে কুয়াশার সতর্কতা রয়েছে পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম এবং মুর্শিদাবাদে। তবে, উত্তরবঙ্গের জন্য থাকছে ঘন কুয়াশার সতর্কবার্তা। এর জেরে দৃশ্যমানতা নামতে পারে ২০০ মিটারের নীচে। সবথেকে বেশি কুয়াশার সম্ভাবনা থাকছে দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, মালদা, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরে জেলাতে। তবে এই জেলাগুলিতে রবি-সোমবার থেকে কুয়াশার দাপট কিছুটা কমতে পারে। আবহাওয়া দফতর বলছে, পরপর পশ্চিমী ঝঞ্ঝা ঢুকছে উত্তর-পশ্চিম ভারতে। এই পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাব কতটা সিকিমের ওপর পড়ে তার ওপর নির্ভর করছে উত্তরবঙ্গের আবহাওয়ার গতিপ্রকৃতি। অন্যদিকে, হাওয়া অফিস বলছে শুধু রবিবার কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের আশপাশের জেলাগুলিতে সামান্য পারদ পতন হতে পারে। তবে যা বড় মাত্রায় নয়। তার ফলে জাঁকিয়ে শীতের সম্ভাবনা এখনই থাকছে না। উল্টে ২৪ ঘণ্টা পর থেকে কিছুটা হলেও চড়তে পারে পারদ। তবে এই একই রকমের ওঠানামা চলবে আগামী ৪ থেকে ৫ দিন।

    আরও পড়ুন: মহাকুম্ভ নাকি অন্ধবিশ্বাস! মেলা প্রাঙ্গণে হিন্দু-বিরোধী পোস্টার ছিঁড়ে জ্বালিয়ে দিলেন নাগা সাধুরা

    তাপমাত্রা বাড়বে!

    শনিবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা (Weather Update) ১৫.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, স্বাভাবিকের চেয়ে ০.৭ ডিগ্রি বেশি। গত এক সপ্তাহে দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা স্বাভাবিকের নীচে নামেনি। আগামী ২২ জানুয়ারি থেকে নতুন করে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা ঢুকবে। ফলে তাপমাত্রা নতুন করে বাড়তে পারে। জাঁকিয়ে শীত না-পড়লেও শীতের আমেজ রয়েছে কলকাতা এবং জেলাগুলিতে। সর্বত্রই থাকবে শুকনো আবহাওয়া। তবে কুয়াশার সতর্কতা জারি করা হয়েছে বেশ কিছু জেলায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Maruti Suzuki: নিজেদের প্রথম ব্যাটারি-চালিত গাড়ি আনল মারুতি সুজুকি, তৈরি হবে ভারতে, যাবে বিদেশেও

    Maruti Suzuki: নিজেদের প্রথম ব্যাটারি-চালিত গাড়ি আনল মারুতি সুজুকি, তৈরি হবে ভারতে, যাবে বিদেশেও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি ভারত মোবিলিটি শো-তে নিজেদের প্রথম বৈদ্যুতিন বা ব্যাটারি-চালিত গাড়ি ইভিটারা (eVITARA) প্রকাশ করল মারুতি সুজুকি (Maruti Suzuki) সংস্থা। আগামীদিনে ভারতের বাইরে আরও ১০০টি দেশে এই গাড়ি রফতানি করার লক্ষ্যমাত্রাও নির্ধারণ করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, ইভিটারা উৎপাদনের জন্য ভারতকেই বেছে নেওয়া হয়েছে। এর জন্য গুজরাটে কারখানা গড়তে মোট ২১০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে সংস্থার পক্ষ থেকে। উল্লেখ্য, করোনার পর থেকে আত্মনির্ভর ভারত এবং মেক ইন ইন্ডিয়া প্রকল্প বাস্তবায়নে ভীষণভাবে উৎসাহী হয়েছে মোদি সরকার। ভারতকে বিশ্বের বাজারে উৎপাদনকারী দেশ এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ভরকেন্দ্র হিসেবে মেলে ধরতে এই উৎপাদন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞ মহল।

    উৎপাদনে ভারত কেন্দ্রীক মনোনিবেশের উপর জোর (Maruti Suzuki)

    বিশ্বের বাজারে ভারত এখন অটোমোবাইল শিল্পের জন্য বিশেষ কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। মারুতি সুজুকি ইন্ডিয়া ভারত মোবিলিটি শো-র অটো এক্সপোতে তাদের প্রথম ব্যাটারি চালিত বৈদ্যুতিক যান ইভিটারা (eVITARA) উদ্বোধন করেছে। এই কোম্পানির নির্দেশক এবং সভাপতি তোশিহিরো সুজুকি (Maruti Suzuki) বলেন, “ভারতকে এখন ইভিটারার উৎপাদনের জন্য বিশ্বব্যাপী কেন্দ্র হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে। আগামী মাস থেকে মারুতি সুজুকি গুজরাটের উৎপাদন কেন্দ্রে কাজ শুরু করা হবে। পরিষেবার সর্বোত্তম ব্যবস্থা, নির্দিষ্ট একটি চাহিদার বাজার এবং উৎপাদনে ভারত কেন্দ্রিক মনোনিবেশের উপর জোর দেওয়াই আমাদের প্রধান লক্ষ্য। ভারতে নির্মিত এই গাড়ি জাপান এবং ইউরোপে রফতানি করা হবে।”

    আরও পড়ুনঃ একদিনে ৬৫ লাখের বেশি সম্পত্তি কার্ড বিলি, অভিনব রেকর্ড গড়লেন প্রধানমন্ত্রী মোদি

    ১০০টির বেশি শহরে দ্রুত চার্জিং স্টেশন গড়া হবে

    আবার মারুতি সুজুকির (Maruti Suzuki) ভারতের ম্যানেজিং ডিরেক্টর এবং সইও হিসাশি তাকুচি বলেন, “আমাদের প্রাথমিক লক্ষ্য হল, কোম্পানির পরিকাঠামোর উপর জোর দেওয়া। আমরা ভারতে ইভিটারা (eVITARA) তৈরির জন্য ২১০০ কোটি টাকার বেশি বিনিয়োগ করেছি। গ্রাহকদের জন্য টেকসই এবং দ্রুতগতি সম্পন্ন বৈদ্যুতিক গাড়ির ভাবনা রয়েছে। প্রথমে ১০০টির বেশি শহরে দ্রুত চার্জিং স্টেশন গড়ে তোলার লক্ষ্যমাত্রা স্থির করা হয়েছে। প্রতি ৫ থেকে ১০ কিমির মধ্যে একটি করে এই ধরনের স্টেশন নির্মাণ করা হবে। একই ভাবে ১০০০টির বেশি শহরে আরও ১৫০০টির বেশি বৈদ্যুতিক গাড়ি উৎপাদন কারখানা নির্মাণ করা হবে। কর্মীদের প্রশিক্ষণ এবং প্রযুক্তির উন্নত ব্যবহার শিখিয়ে আরও দক্ষ করা হবে। এই ইভিটারা দুটি ব্যাটারির সঙ্গে ৪৯ কিলোওয়াট আওয়ার এবং ৬১ কিলোওয়াট আওয়ার চার্জ করার ব্যবস্থা দেয়া হবে। ফলে গ্রাহক একবার চার্জ করে ৫০০ কিমি পর্যন্ত ভ্রমণ করতে পারবেন।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: একদিনে ৬৫ লাখের বেশি সম্পত্তি কার্ড বিলি, অভিনব রেকর্ড গড়লেন প্রধানমন্ত্রী মোদি

    PM Modi: একদিনে ৬৫ লাখের বেশি সম্পত্তি কার্ড বিলি, অভিনব রেকর্ড গড়লেন প্রধানমন্ত্রী মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একদিনে ৬৫ লাখের বেশি সম্পত্তি কার্ড (SVAMITVA Scheme) বিলি করে রেকর্ড গড়লেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। দেশের দশটি রাজ্য ও দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে এই কার্ড বিলি করা হল। অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সম্পত্তি কার্ড বা জমির পাট্টা দেওয়া হল যে প্রকল্পে, তার নাম ‘স্বমিত্ব’।

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী? (PM Modi)

    এদিনের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আজকের দিনটা গ্রামীণ নাগরিকদের জন্য যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। বিভিন্ন রাজ্যে এই সম্পত্তি কার্ডের বিভিন্ন নাম, তবে কাজ একটাই। গত এক বছরে ১ কোটি সম্পত্তি কার্ড বিলি করা হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে।” তিনি বলেন, “আজ দেশের গ্রামগুলি এবং দেশের গ্রামীণ অর্থনীতির জন্য একটি ঐতিহাসিক দিন। এই অনুষ্ঠানে অনেক রাজ্যের রাজ্যপাল যোগদান করেছেন। ওডিশা, ছত্তিশগড়, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র এবং গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রীরাও আমাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন। স্বত্ব প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত হাজার হাজার গ্রাম পঞ্চায়েতের সহকর্মী এবং লক্ষ লক্ষ উপভোক্তা এই উদ্যোগের শরিক হয়েছেন। এটি নিজের মধ্যেই একটি বিশাল এবং বিস্তৃত প্রকল্প এবং আপনারা সবাই এতে বড় উৎসাহের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন। আমি আপনাদের সবাইকে অভিনন্দন জানাই।”

    জাতীয় পঞ্চায়েত দিবসে সূচনা

    ২০২০ সালে জাতীয় পঞ্চায়েত দিবসে গ্রামীণ নাগরিকদের জন্য এই প্রকল্পের সূচনা করে কেন্দ্রের মোদি সরকার (PM Modi)।লপ্রথম দফায় মহারাষ্ট্রের পুণে জেলায় সোনারি গ্রামে পাইলট প্রকল্প হিসেবে সূচনা হয়েছিল এই প্রকল্পের। পরে তা ছড়িয়ে দেওয়া হয় গোটা দেশে।

    আরও পড়ুন: সীমান্তের নিরাপত্তা নিয়ে আপস নয়, ইউনূস প্রশাসনকে সাফ জানিয়ে দিল ভারত

    এই প্রকল্পের আওতায় ড্রোনের মাধ্যমে গ্রামীণ নাগরিকদের জমি-জিরেতের সম্পূর্ণ মানচিত্র তৈরি করা হয়। সেই মানচিত্রের ভিত্তিতেই দেওয়া হয় সম্পত্তি কার্ড। জমি-বাড়ি বিক্রি কিংবা কার্ড (SVAMITVA Scheme) বন্ধক রেখে ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে এই কার্ড খুবই গুরুত্বপূর্ণ (PM Modi)।

       

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Champions Trophy 2025: ফিরলেন শামি, রোহিতের ডেপুটি গিল! চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ভারতীয় দলে আর কী কী চমক?

    Champions Trophy 2025: ফিরলেন শামি, রোহিতের ডেপুটি গিল! চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ভারতীয় দলে আর কী কী চমক?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির (Champions Trophy 2025) দল ঘোষণা করল ভারত (Team India)। ১৫ জনের দলে অধিনায়কত্ব করবেন যে রোহিত শর্মা, তা এক দিন আগে শুক্রবারই জানিয়ে দিয়েছিল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। সহ-অধিনায়ক শুভমন গিল। শনিবার রোহিত এবং নির্বাচক কমিটির প্রধান অজিত আগরকর সাংবাদিক সম্মেলনে ভারতের দল ঘোষণা করলেন। দীর্ঘদিন পর চোট সারিয়ে দলে ফিরলেন মহম্মদ শামি। ভারতের এক দিনের দলে প্রথম বার ডাক পেলেন যশস্বী জয়সওয়াল। এই দলই খেলবে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে একদিনের সিরিজে। বাড়তি হিসেবে দলে থাকছেন হর্ষিত রানা। 

    দলে ফিরলেন শামি, বাদ সিরাজ

    একদিনের ক্রিকেট বিশ্বকাপের পরই বাইশ গজ থেকে বিরতি নিয়েছিলেন মহম্মদ শামি। চোটের জন্য হয়েছিল অস্ত্রোপচার। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে দলে ফিরলেন বাংলার পেসার শামি। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে দল ঘোষণার আগে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন মূলত দুজন। মহম্মদ শামি ও জশপ্রীত বুমরা। প্রথমজন চোটের জন্য দীর্ঘদিন জাতীয় দলের বাইরে। দ্বিতীয়জন সদ্য চোট পেয়েছেন। ফলে দুজনের খেলা নিয়েই সংশয় ছিল। যদিও ১৫ সদস্যের দলে জায়গা পেলেন দুজনেই। বুমরার চোট নিয়ে অবশ্য ধোঁয়াশা মেটেনি। সেই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে বিসিসিআইয়ের মেডিক্যাল টিম। তবে, শামির উপর ভরসা রাখছে বিসিসিআই। তিন পেসার নিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে যাচ্ছে ভারত। জসপ্রীত বুমরা, মহম্মদ শামি এবং আরশদীপ সিং-এর উপর থাকবে পেস বিভাগের দায়িত্ব। বাদ পড়েছেন সিরাজ।

    অধিনায়ক রোহিত

    অস্ট্রেলিয়া সিরিজের পর রোহিত শর্মার ওয়ান ডে ফর্ম্য়াটেও দলে থাকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। এমনকী আদৌ তিনি অধিনায়ক থাকবেন কি না, তা নিয়েও আলোচনা হয়েছিল। হিটম্যানের সঙ্গে বৈঠকেও বসেন কোচ গৌতম গম্ভীর ও নির্বাচক প্রধান অজিত আগারকর। সেখানেই নাকি রোহিত বলে দিয়েছিলেন যে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি পর্যন্ত তাঁকে সময় দিতে। এরপরই নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল যে রোহিত শর্মার নেতৃত্বেই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে (Champions Trophy 2025) খেলতে নামবে টিম ইন্ডিয়া। সেই মতোই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে দলনেতা রোহিত। সহ-অধিনায়কের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে শুভমন গিলকে। সাম্প্রতিক সময়ে সেভাবে ছন্দে নেই। তাঁকে সহ-অধিনায়কের দায়িত্ব দেওয়ায় কি প্রথম একাদশে তাঁর জায়গা একপ্রকার পাকা হয়ে গেল। সেক্ষেত্রে একদিনের বিশ্বকাপের মতো তাঁকে ওপেন করতে দেখা যাবে রোহিতের সঙ্গে।

    এক দিনের সিরিজে অভিষেক যশস্বীর

    ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে এক দিনের সিরিজে অভিষেক হতে পারে যশস্বী জয়সওয়ালের। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে তাঁকে দেখে নেওয়া হতে পারে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দলে রোহিতের সঙ্গে ওপেন করার জন্য শুভমন গিল রয়েছেন। তিনি দলের সহ-অধিনায়ক। তৃতীয় ওপেনার হিসেবে থাকবেন যশস্বী। তিন নম্বরে খেলার বিরাট কোহলি রয়েছেন। সেই সঙ্গে শ্রেয়স আইয়ার এবং লোকেশ রাহুলের মতো ব্যাটারকে দলে রাখা হয়েছে। শ্রেয়স আইয়ার ধারাবাহিকভাবে ঘরোয়া টুর্নামেন্টে ভাল পারফরম্য়ান্স করার পুরস্কার পেলেন। উইকেটরক্ষক হিসাবে দলে ঋষভ পন্থ রয়েছেন। দ্বিতীয় উইকেটরক্ষক হিসাবে রাহুলের উপর ভরসা রাখছে দল। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দলে একাধিক অলরাউন্ডারকে নেওয়া হয়েছে। হার্দিক পান্ডিয়া, রবীন্দ্র জাদেজা, অক্ষর পটেলের সঙ্গে রাখা হয়েছে ওয়াশিংটন সুন্দরকেও। 

    ৮ বছর পর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি

    ৮ বছর পর প্রত্যাবর্তন ঘটতে চলেছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির (Champions Trophy 2025)। এবারের টুর্নামেন্টে খেলবে মোট ৮টি টিম। গ্রুপ এ-তে রয়েছে পাকিস্তান, ভারত, বাংলাদেশ এবং নিউজিল্যান্ড। গ্রুপ বি-তে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, ইংল্যান্ড, আফগানিস্তান। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি শুরু হবে ২০২৫-এর ১৯ ফেব্রুয়ারি। সেমিফাইনাল হবে ৪ মার্চ ও ৫ মার্চ। ফাইনাল ৯ মার্চ।

    ভারতের খেলা কবে-কোথায়

    ভারতের (Team India) প্রথম ম্যাচ বাংলাদেশের বিরুদ্ধে। ম্যাচটি হবে ২০ ফেব্রুয়ারি। আর ভারত-পাকিস্তান মহারণ ২৩ ফেব্রুয়ারি। ২ মার্চ নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ম্য়াচ খেলবে ভারত। ভারতের সব ম্যাচ হবে দুবাইয়ে। বাকি দলগুলির ম্যাচ হবে পাকিস্তানে। ভারত যদি সেমিফাইনালে ওঠে, তা হলে সেই ম্যাচও হবে দুবাইয়ে। ভারত ফাইনালে উঠলেও সেই ম্যাচ হবে ওখানে। ২০১৩ সালে শেষবার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে (Champions Trophy 2025) জয় ছিনিয়ে নিয়েছিল ভারত। সেবার মহেন্দ্র সিং ধোনির নেতৃত্বে ইংল্যান্ডকে ফাইনালে হারিয়ে দিয়েছিল টিম ইন্ডিয়া। এবার পালা রোহিতদের।

    চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য ঘোষিত ১৫ সদস্যের ভারতীয় দল: রোহিত শর্মা (অধিনায়ক), শুভমন গিল (সহ অধিনায়ক), বিরাট কোহলি, শ্রেয়স আইয়ার, লোকেশ রাহুল (উইকেটকিপার), ঋষভ পন্ত (উইকেটকিপার), হার্দিক পান্ডিয়া, অক্ষর প্যাটেল, রবীন্দ্র জাদেজা, ওয়াশিংটন সুন্দর, কুলদীপ যাদব, জসপ্রীত বুমরাহ, মহম্মদ শামি, যশস্বী জসওয়াল ও আর্শদীপ সিং।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Calcutta High Court: বইমেলায় স্টল দেওয়া হল না কেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদকে! গিল্ডকে তীব্র ভৎর্সনা হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: বইমেলায় স্টল দেওয়া হল না কেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদকে! গিল্ডকে তীব্র ভৎর্সনা হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা বইমেলায় স্টল দেওয়া হচ্ছে না বিশ্বহিন্দু পরিষদকে (Vishwa Hindu Parishad)। এই ঘটনায় কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অমৃতা সিন্‌হা তীব্র ভৎর্সনা করলেন আয়োজক সংস্থা পাবলিশার্স অ্যান্ড বুকসেলার্স গিল্ডকে। রাজ্য প্রশাসন এবং আয়োজকদের উদ্দেশে বিচারপতি বললেন, “আগের বছর মনে হয়নি স্পর্শকাতর, তাই অনুমতি দিয়েছিলেন, এইবারে বিতর্কিত মনে হয়েছে? কিন্তু কেন?”

    মামলা যায় বিচারপতি অমৃতা সিন্‌হার বেঞ্চে (Calcutta High Court)

    হাতে মাত্র আর কটাদিন বাকি, সামনেই কলকাতা আন্তর্জাতিক পুস্তক মেলায়। বই মেলার আয়োজক সংস্থা পাবলিশার্স এন্ড বুকসেলার্স গিল্ড বুক স্টল দেয়নি হিন্দু সংগঠন বিশ্ব হিন্দু পরিষদকে (Vishwa Hindu Parishad)। তাই অভিযোগ জানিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে এই হিন্দু সংগঠন। এরপর মামলা যায় বিচারপতি অমৃতা সিন্‌হার বেঞ্চে। শুনানিতে বিশ্বহিন্দু পরিষদের (Vishwa Hindu Parishad) আইনজীবী (Calcutta High Court) বলেন, “গিল্ডের পক্ষ থেকে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে একাধিক শর্ত আরোপ করেছে। বিভিন্ন শর্ত মেনে ৬০০ স্কোয়ার ফুট জায়গার কথা বলে সংগঠনের তরফে আবেদন করা হয়েছে। এরপর ১০ জানুয়ারি ইমেল করে জানতে চাওয়া হয় কিন্তু গিল্ডের তরফ থেকে এখনও পর্যন্ত কিছুই জানানো হয়নি। আর সেই জন্য তারা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন।”

    কী বললেন বিচারপতি?

    অপর দিকে গিল্ডের আইনজীবী বলেন, “বিশ্ব হিন্দু পরিষদের লেখা ভীষণ ভাবে স্পর্শকাতর।” এটা শুনে রীতিমতো ক্ষুব্ধ হন বিচারপতি সিন্‌হা। রাজ্যের যুক্তির প্রেক্ষিতে বিচারপতি অমৃতা সিন্‌হা (Calcutta High Court) তখন রাজ্যকে পাল্টা প্রশ্ন করেন, “এত বছর ধরে স্টলের অনুমতি দিয়ে আসা হচ্ছে। তাহলে তখন এই সংগঠনের (Vishwa Hindu Parishad) লেখা স্পর্শকাতর মনে হয়নি কেন? তখন তাহলে কেন অনুমতি দেওয়া হয়েছিল? আর সেক্ষেত্রে এবছরই বা কেন অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না?” 

    তখন গিল্ডের আইনজীবী বলেন, “বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নামে আবেদন করা হয়েছে। বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (Vishwa Hindu Parishad) কোনও পাবলিশার্স নয়, কোনও বুকসেলার্সও নয়। এদের পত্রিকা রয়েছে। যার নাম হল বিশ্ব হিন্দু বার্তা।” তখন (Calcutta High Court) বিচারপতি প্রশ্ন করেন, ‘‘আপনারা কি জানতেন যে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নিজস্ব পাবলিকেশন হাউস আছে?’’ এর পর আপাতত মৌখিক ভাবে স্টলের জায়গা দেওয়ার কথা বলেন বিচারপতি। পরবর্তী মামলার শুনানি ২০ জানুয়ারি।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Russia Ukraine conflict: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে হত ১২ ভারতীয়, জীবিতদের ফেরানোর উদ্যোগ কেন্দ্রের

    Russia Ukraine conflict: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে হত ১২ ভারতীয়, জীবিতদের ফেরানোর উদ্যোগ কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে (Russia Ukraine conflict) হত ১২ ভারতীয়। এখনও নিখোঁজ রয়েছেন ১৬ জন। শুক্রবার বিদেশ মন্ত্রকের তরফে এমনই জানানো হয়েছে। জানা গিয়েছে, মোটা মাইনের চাকরির টোপ দিয়ে (Ukraine) ভারতীয়দের নিয়ে যাচ্ছে রাশিয়ার সংস্থা। পরে তাঁদেরই ট্রেনিং দিয়ে লাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধে।

    বিদেশমন্ত্রকের বক্তব্য (Russia Ukraine conflict)

    বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, “আমরা রুশ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি। এই মুহূর্তে রাশিয়ায় অবরুদ্ধ ও বাধ্য হয়ে যুদ্ধে অংশ নেওয়া সব ভারতীয়কে অবিলম্বে মুক্ত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।” জানা গিয়েছে, ভারত থেকে রাশিয়ায় যুদ্ধ করতে গিয়েছিলেন ১২৬ জন। এঁদের মধ্যে ৯৬ জনই ফিরে এসেছেন। বাকি ৩০ জনের মধ্যে ১২ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। অবশিষ্ট ১৬ জনকে রাশিয়া নিখোঁজ ঘোষণা করেছে।

    বিনিল বাবুর মৃত্যু দুর্ভাগ্যজনক

    রাশিয়ান এক এজেন্টের দেওয়া চাকরির টোপ গিলে সে দেশে গিয়েছিলেন কেরলের বছর একত্রিশের বিনিল বাবু। ড্রোন হামলায় মৃত্যু হয় তাঁর। সে প্রসঙ্গে জয়সওয়াল বলেন, “বিনিল বাবুর মৃত্যু অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। আমরা ওঁর পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছি। যত দ্রুত বিনিলের দেহ এদেশে আনা যায়, তা নিশ্চিত করতে রুশ প্রশাসনের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি আমরা।” তিনি জানান, মস্কোয় চিকিৎসাধীন (Russia Ukraine conflict) আর এক ভারতীয়কেও দ্রুত দেশে ফেরানো হবে। তিনি বলেন, “মস্কোর দূতাবাস এই দুই ভারতীয় পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করছে এবং সম্ভাব্য সব ধরনের সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। আমরা কেরলের এক ভারতীয় নাগরিকের দুর্ভাগ্যজনক মৃত্যুর বিষয়ে জানতে পেরেছি, যাঁকে স্পষ্টতই রুশ সেনাবাহিনীতে চাকরি করার জন্য নিয়োগ করা হয়েছিল।”

    আরও পড়ুন: সীমান্তের নিরাপত্তা নিয়ে আপস নয়, ইউনূস প্রশাসনকে সাফ জানিয়ে দিল ভারত

    প্রসঙ্গত, গত জুলাইয়ে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে কথা হয়েছিল ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। ওই সময় তিনি পুতিনকে ভারতীয়দের ছেড়ে দেওয়ার অনুরোধ জানান। অক্টোবরে কাজান ব্রিকস সম্মেলনে বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ফের একপ্রস্ত কথা বলেন রুশ প্রেসিডেন্টের সঙ্গে (Ukraine)। সেই সময়ও মোদিকে পুতিন আশ্বস্ত করেছিলেন এই বলে যে, যেসব ভারতীয়কে রাশিয়ান সেনাবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল এবং পরবর্তী সময়ে ইউক্রেনের যুদ্ধক্ষেত্রে যেতে বাধ্য করা হয়েছিল রাশিয়া তাঁদের সবাইকে অব্যাহতি দেবে (Russia Ukraine conflict)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share