Tag: Madhyom

Madhyom

  • Chandrayaan 3: চাঁদের দেশে ভারত! শুভেচ্ছা বার্তা নাসার, সফল সফট ল্যান্ডিং-এর পর আবেগাপ্লুত ইসরো প্রধান

    Chandrayaan 3: চাঁদের দেশে ভারত! শুভেচ্ছা বার্তা নাসার, সফল সফট ল্যান্ডিং-এর পর আবেগাপ্লুত ইসরো প্রধান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চাঁদের মাটিতে সফলভাবে সফট ল্যান্ডিং হয়েছে ল্যান্ডার বিক্রমের। চন্দ্রযান ৩ এর প্রাথমিক পর্যায়ের অভিযান সফল। বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে পা রেখেছে ভারত। আর সফট ল্যান্ডিংয়ের নিরিখে বিশ্বের চতুর্থ দেশ হিসেবে জায়গা পাকা করে নিয়েছে। চাঁদের মাটি স্পর্শ করার পরই উল্লাসে ফেটে পড়লেন ইসরোর বিজ্ঞানীরা। গর্বের সঙ্গে ইসরোর প্রধান এস সোমনাথ ঘোষণা করেন ভারত এখন চাঁদে পৌঁছে গিয়েছে।

    কী বললেন ইসরো প্রধান

    ল্যান্ডার বিক্রম চাঁদের মাটি স্পর্শ করার পরই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে  কৃতজ্ঞতা জানান ইসরোর প্রধান  এস সোমনাথ। তিনি বলেন, ‘স্যার উই হ্যাভ অ্যাচিভড’। প্রথমেই এই প্রজেক্টের সঙ্গে যুক্ত প্রত্যেকে ধন্যবাদ জানা‌ন তিনি। এস সোমনাথ বলেন, ‘একটু আগে আমাকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিজি ফোন করেছিলেন। তিনি আমাকে এবং আমাদের পরিবারের সকলকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তিনি বলেন তুমি এবং তোমার ইসরো পরিবার দারুণ কাজ করেছো। আমি প্রথমেই প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাতে চাই চন্দ্রযান ৩ মিশনে আমাদের সহায়তা করার জন্য।’ এরপরই এস সোমনাথ আরও উল্লেখ করেন, ‘আমি প্রত্যেকে ধন্যবাদ জানাতে চাই যাঁরা বিগত কয়েকদিন ধরে চন্দ্রযানের সা্ফল্যের জন্য প্রার্থনা করেছেন। ইসরোর পক্ষ থেকে আমি দেশের সমস্ত নাগরিক এবং দেশের বাইরে থাকা আমাদের শুভাকাঙ্খীদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’ 

    আন্তর্জাতিক স্তর থেকে শুভেচ্ছা বার্তা

    ইউরোপীয়ান স্পেস এজেন্সি অর্থাৎ ইএসএ- এর তরফে সোশ্যাল মিডিয়া মাধ্যম ‘এক্স’- এ জানানো হয়েছে শুভেচ্ছাবার্তা। ইএসএ- এর ডিরেক্টর জেনারেল জোসেফ লিখেছেন, ‘অবিশ্বাস্য! ইসরোকে শুভেচ্ছা। সমস্ত ভারতবাসীকেও শুভেচ্ছা।’ 

    চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে ল্যান্ডার বিক্রমের সফল সফট ল্যান্ডিংয়ের মাধ্যমে ইতিহাস গড়েছে ভারত। আর এই কর্মকাণ্ডেই দেশকে শুভেচ্ছা বার্তা জানিয়েছে ইউকে স্পেস এজেন্সি। সোশ্যাল মিডিয়া মাধ্যম ‘এক্স’- এ তাদের তরফে লেখা হয়েছে, ‘ইতিহাস তৈরি হল। ইসরোকে শুভেচ্ছা’।

    ভারতকে শুভেচ্ছা জানিয়েছে মার্কিন স্পেস এজেন্সি নাসাও। ১৪তম নাসা অ্যাডমিনিস্ট্রেটর বিল নেলসন শুভেচ্ছা বার্তা জানিয়েছেন। বিল এলসন লিখেছেন, চন্দ্রযান ৩ সফলভাবে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে পাঠানোর জন্য ইসরোকে শুভেচ্ছা। আর সফট ল্যন্ডিংয়ের ক্ষেত্রে সফল হওয়ায় ভারতকেও (চতুর্থ স্থান) শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তিনি। সেই সঙ্গে বিল নেলসন বলেছেন, ‘এই অভিযানের অংশীদার হতে পেরে আমরা আনন্দিত’। 

    চন্দ্রযান ৩ – এর সাফল্যে শুভেচ্ছা বার্তা জানিয়েছে অস্ট্রেলিয়ান স্পেস এজেন্সিও। সোশ্যাল মিডিয়া মাধ্যম ‘এক্স’- এ শুভেচ্ছাবার্তা জানিয়েছে তারা।

    শুভেচ্ছাবার্তা এসেছে রাশিয়া থেকেও। বার্তা দিয়েছেন রুশ রাষ্ট্রদূত ডেনিস অ্যালিপভ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Chess World Cup Final: এবার টাই-ব্রেক! কার্লসেনের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় গেমও ড্র প্রজ্ঞানন্দের

    Chess World Cup Final: এবার টাই-ব্রেক! কার্লসেনের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় গেমও ড্র প্রজ্ঞানন্দের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দাবা বিশ্বকাপের (Chess World Cup Final) ফাইনালে প্রথম গেম গতকাল ড্র হয়েছিল। আজ, বুধবার দ্বিতীয় গেমেও ড্র করলেন আর প্রজ্ঞানন্দ ও ম্যাগনাস কার্লসেন। এদিন ৩০টি চালের পরই দ্বিতীয় গেম ড্র হয়ে যায়। আগামী কাল টাই ব্রেকের মাধ্যমেই চ্যাম্পিয়ন নির্বাচিত করা হবে। প্রজ্ঞানন্দের (Rameshbabu Praggnanandhaa) সামনে বিশ্বকাপ ফাইনাল জিতে ইতিহাস গড়ার হাতছানি। অন্যদিকে প্রথমবার বিশ্বজয়ের স্বাদ পেতে চান কিংবদন্তী কার্লসেন। 

    বিশ্বজয়ই লক্ষ্য

    বৃহস্পতিবার যিনি জিতবেন, বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়ার পাশাপাশি তিনি পেয়ে যাবেন ১ লক্ষ ১০ হাজার মার্কিন ডলার পুরস্কারমূল্য। ভারতীয় মুদ্রায় অঙ্কটা প্রায় এক কোটি টাকা। ২১ বছর আগে (২০০২ সালে) বিশ্বনাথন আনন্দ শেষ ভারতীয় হিসাবে দাবা বিশ্বকাপ জিতেছিলেন। তারপর থেকে আর কোনও ভারতীয় বিশ্বখেতাব জেতেননি। আগামী কাল দুটো টাই ব্রেকে মুখোমুখি হবেন প্রজ্ঞানন্দ ও কার্লসেন। ১৮ বছরের ভারতের বিস্ময় প্রতিভা কার্লসেনকে বেগ দিতে পারেন কি না তা দেখার অপেক্ষায় আপামত ভারতবাসী।

    শহরে প্রজ্ঞানন্দ

    দাবা বিশ্বকাপের (Chess World Cup Final) পরে কলকাতায় আসছেন রমেশবাবু প্রজ্ঞানন্দ। এই প্রতিযোগিতার পরেই কলকাতায় ‘টাটা স্টিল দাবা প্রতিযোগিতা’ খেলতে আসবেন প্রজ্ঞানন্দ। শুধু তিনি নন, দাবা বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠা চার ভারতীয় দাবাড়ুকেই দেখা যাবে প্রতিযোগিতায়। ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হিসাবে থাকবেন প্রাক্তন বিশ্বচ্যাম্পিয়ন বিশ্বনাথন আনন্দ। ৩১ অগস্ট থেকে ৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ন্যাশনাল লাইব্রেরিতে হবে প্রতিযোগিতা। 

    আরও পড়ুন: ল্যান্ডারের ‘সফট ল্যান্ডিং’ নয়, বিজ্ঞানীদের চিন্তায় রেখেছে চাঁদের ধুলো! কেন?

    ওপেন ও মহিলা, দু’টি বিভাগই থাকবে। দু’টি বিভাগে আবার র‌্যাপিড ও ব্লিৎজ নিয়মে খেলা হবে। দু’টি বিভাগে ১০ জন করে প্রতিযোগী অংশ নেবেন। প্রজ্ঞানন্দ ছাড়াও বাকুতে দাবা বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠা ডি গুকেশ, বিদিত গুজরাতি ও অর্জুন এরিগাইসিও প্রতিযোগিতায় অংশ নিচ্ছেন। ভারতের আর এক দাবাড়ু পি হরিকৃষ্ণও অংশ নেবেন প্রতিযোগিতায়। অর্থাৎ, ওপেন বিভাগে ১০ জনের মধ্যে পাঁচ জন ভারতীয়। বাকি পাঁচ জন বিদেশি দাবাড়ু। মহিলাদের বিভাগেও রয়েছেন ১০ জন প্রতিযোগী। সেখানে সব থেকে বড় মুখ বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়ন চিনের ওয়েনজুন জু। ভারতীয়দের মধ্যে থাকছেন প্রজ্ঞানন্দের দিদি রমেশবাবু বৈশালী, কোনেরু হাম্পি, হরিকা দ্রোণাবল্লি, সবিথা শ্রী ও বন্তিকা আগরওয়াল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • India On Moon: ইতিহাসের পাতায়! বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে চাঁদের দক্ষিণ মেরু জয় ভারতের

    India On Moon: ইতিহাসের পাতায়! বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে চাঁদের দক্ষিণ মেরু জয় ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান। নির্ধারিত সময়েই হলো বহু কাঙ্খিত টাচডাউন। চাঁদের বুকে সফট ল্যান্ডিং করলো ল্যান্ডার ‘বিক্রম’। সেই সঙ্গে ইতিহাসের পাতায় ঢুকে পড়লো ভারত। বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে চাঁদের অনাবিষ্কৃত দক্ষিণ মেরু জয় করলো ভারতের ‘চন্দ্রযান ৩’। একইসঙ্গে, আমেরিকা, সাবেক সোভিয়েত এবং চিনের পরেই চাঁদে সফল ভাবে মহাকাশযান অবতরণ করানো দেশের তালিকায় চতুর্থ হিসাবে নাম লেখাল ভারত। এই সাফল্যে উচ্ছ্বসিত ইসরোর চেয়ারম্যান এস সোমনাথ বলেন, ‘‘আমরা পেরেছি, চাঁদের দেশে পা রেখেছে ভারত। ইন্ডিয়া ইস অন দ্য মুন।’’

    কয়েক হাজার কিলোমিটার দূরে বসে ইতিহাসের সাক্ষী থাকলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই সঙ্গে নতুন ইতিহাস সৃষ্টির সঙ্গে জুড়ে থাকলেন কোটি কোটি ভারতবাসী। ইসরোর তরফে একটি ট্যুইট করে বলা হয়, ‘চন্দ্রযান ৩’  সফলভাবে চাঁদের মাটিতে সফট ল্যান্ডিং করেছে। একইসঙ্গে ‘চন্দ্রযান ৩’-এর ল্যান্ডার ‘বিক্রম’কে উদ্ধৃত করে লেখা হয়, ‘ভারত, গন্তব্যে পৌঁছে গিয়েছি আমি। লক্ষ্যপূরণ হল তোমারও।’’

    এত বড়ো সাফল্যের পর জোহানেসবার্গ থেকে ভার্চুয়ালি বক্তব্য পেশ করেন প্রধানমন্ত্রী। ‘‘তিনি বলেন, ভারতের উদীয়মান ভাগ্যের আহ্বান এই মুহূর্তে। অমৃতকালের আহ্বান। অন্তরীক্ষে নতুন ভারতের উদয়।’’ প্রধানমন্ত্রীর মতে, আজ ১৪০ কোটি ভারতীয়র হৃদস্পন্দন জড়িয়ে ছিল। ইসরো বিজ্ঞানীদের প্রশংসা করেন মোদি। বলেন, ‘‘টিম চন্দ্রযানকে, বিজ্ঞানীদের শুভেচ্ছা। তাঁরা এই মুহূর্তটির জন্য বছরের পর বছর ধরে পরিশ্রম করেছেন।’’ প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘‘আমার প্রিয় পরিবাবেরর সদস্যরা যখন নিজেদের চোখের সামনে এরকম ইতিহাস তৈরি হতে দেখি, তখন জীবন ধন্য হয়ে যায়। এরকম ঐতিহাসিক ঘটনা রাষ্ট্রের জন্য গর্বের বিষয়। এই মুহূর্তটা অবিস্মরণীয়। এই মুহূর্তটা উন্নত ভারতের। প্রত্যেক দেশবাসীর মতো আমারও মনোযোগ চন্দ্রযানের মহা অভিযানে ছিল।  এটি ভারতের নতুন শক্তি, নতুন চেতনার মুহূর্ত।’’

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam: পুরনিয়োগ দুর্নীতিতে প্রথম রাজ্যের ‘হেভিওয়েট’ মন্ত্রীকে তলব সিবিআই-এর

    Recruitment Scam: পুরনিয়োগ দুর্নীতিতে প্রথম রাজ্যের ‘হেভিওয়েট’ মন্ত্রীকে তলব সিবিআই-এর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুরনিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে (municipality recruitment scam) এবার রাজ্যের এক মন্ত্রীকে তলব করল সিবিআই। ইতিমধ্যেই তাঁর কাছে তলবের চিঠি স্পিড পোস্ট করে দেওয়া হয়েছে। সিবিআই সূত্রে খবর,আগামী ৩১ অগাস্ট জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিজাম প্যালেসে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে তাঁকে। 

    কেন মন্ত্রীকে তলব

    পুর নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে আস্তে আস্তে জাল গোটাচ্ছেন তদন্তকারীরা। হাইকোর্টের আইনি জটিলতা কেটে যাওয়ার পরই আরও তৎপর সিবিআই। সিবিআই সূত্রে খবর, নিজাম প্যালেস থেকে বুধবারই স্পিড পোস্টে নোটিস পাঠানো হল রাজ্যের এক গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রীকে। যাঁকে ডেকে পাঠানো হয়েছে তিনি একজন হেভিওয়েট মন্ত্রী। তিনি দুর্নীতির সময় পুরসভার গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে ছিলেন। তাঁর সঙ্গে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হওয়া অয়ন শীলের কীভাবে পরিচয়, দুর্নীতি কাণ্ডে তাঁর ভূমিকাই বা কী ছিল, কীভাবে এবং কবে এই দুর্নীতির শুরু, তা জানতেই ডেকে পাঠানো হয়েছে তাঁকে। 

    আরও পড়ুন: ল্যান্ডারের ‘সফট ল্যান্ডিং’ নয়, বিজ্ঞানীদের চিন্তায় রেখেছে চাঁদের ধুলো! কেন?

    আদালতের পর্যবেক্ষণ

    প্রসঙ্গত, অয়ন শীল গ্রেফতার হওয়ার পর প্রথম পুর নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ সামনে আসে। এই মামলায় সিবিআই-কে তদন্ত করার নির্দেশ দেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। পরে হাইকোর্টে এই মামলার বেঞ্চ বদল হয়। ডিভিশন বেঞ্চ সিবিআই তদন্তের নির্দেশ বহাল রাখে। এরপর সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয় রাজ্য। কিন্তু সেখানেও কার্যত ধাক্কা খায় রাজ্য। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশই বহাল রাখে সুপ্রিম কোর্ট। পুর-নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তদন্ত চালিয়ে যায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সিবিআই-এর পক্ষে অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেল এ এস ভি রাজু সওয়াল করেছিলেন, দুটি মামলা অর্থাৎ স্কুল ও পুরসভায় নিয়োগে দুর্নীতির ক্ষেত্রে এক সাধারণ অভিযুক্ত রয়েছেন। এই সওয়ালকে মান্যতা দেয় প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। দেশের শীর্ষ আদালতের নির্দেশ পরই প্রথম রাজ্যের কোনও মন্ত্রীকে তলব করলেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Mizoram Bridge Collapse: রেলের সেতু ভেঙে মিজোরামে বড় বিপর্যয়, মৃত ১৭, আহত অন্তত ৪০

    Mizoram Bridge Collapse: রেলের সেতু ভেঙে মিজোরামে বড় বিপর্যয়, মৃত ১৭, আহত অন্তত ৪০

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মিজোরামে রেলের সেতু ভেঙে (Mizoram Bridge Collapse) মৃত ১৭ জন। ভাঙা সেতুর নিচে আটকে পড়েছেন অনেক মানুষ। মূলত মাটি ধসে যাওয়ার জন্য নির্মীয়মাণ রেলের সেতুটি ভেঙে পড়েছে বলে জানা গেছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ট্যুইটারে দুর্ঘটনার কথা জানিয়ে মুখ্যসচিবকে খোঁজ নিতে বলেছেন। পশ্চিমবঙ্গের বেশ কিছু পরিযায়ী শ্রমিক এই দুর্ঘটনার কবলে পড়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সেখানকার প্রশাসন উদ্ধারকাজে তৎপর।

    কোথায় ঘটল বিপত্তি (Mizoram Bridge Collapse)?

    স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আজ সকাল ১০ টায় রেলের সেতু (Mizoram Bridge Collapse) তৈরির কাজ চলছিল। সেই সময় মাটি ধসে যাওয়ার জন্য এই দুর্ঘটনা ঘটে। মিজোরামের রাজধানী আইজল থেকে প্রায় ২১ কিলোমিটার দূরে এই দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনাস্থল হল সাইরাং। এখানে কুরুং নদীর উপর একটি রেলের সেতু তৈরি হচ্ছিল। এলাকায় সেতু ভেঙে এখনও পর্যন্ত মারা গেছেন প্রায় ১৭ জন। সেই সঙ্গে ভাঙা সেতুর নিচে চাপা পড়ে রয়েছেন ৩৫ থেকে ৪০ জন মানুষ।

    প্রশাসনের বক্তব্য

    মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রী জোরামাথাঙ্গা এই সেতু বিপর্যয়ের (Mizoram Bridge Collapse) ঘটনায় মৃতদের পরিবারের প্রতি গভীর শোক প্রকাশ করছেন। তিনি জানিয়েছেন, স্থানীয় প্রশাসন অত্যন্ত তৎপরতার সঙ্গে উদ্ধারকাজে নেমে পড়ছে। আহতদের যত তাড়াতাড়ি সম্ভব উদ্ধর করা হবে। পাশাপাশি স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দুর্ঘটনাস্থলে দ্রুত উদ্ধার কাজ শুরু হয়েছে। উদ্ধার করতে সরকারি আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে গেছেন। মৃতের সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সূত্রে আরও জানা গেছে এই সেতুর উচ্চতা ছিল ১০৪ মিটার। এই সেতুপথেই মিজোরামকে দেশের রেলপথের সঙ্গে সংযুক্ত করার বিশেষ প্রকল্পে কাজ চলছিল।

    থাকতে পারেন মালদার শ্রমিকরা

    আইজলের এই সেতু ভেঙে দুর্ঘটনার (Mizoram Bridge Collapse) জেরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, মালদা থেকে বেশ কিছু শ্রমিক সেখানে কাজ করতে গেছেন। তাঁদের অবস্থা জানার জন্য ইতিমধ্যেই মুখ্যসচিবকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মিজোরাম প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

  • GST: পণ্য কেনার সময় পাকা রসিদ নিন আর পেয়ে যান ১০ লক্ষ থেকে ১ কোটির পুরস্কার, কীভাবে?

    GST: পণ্য কেনার সময় পাকা রসিদ নিন আর পেয়ে যান ১০ লক্ষ থেকে ১ কোটির পুরস্কার, কীভাবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জিনিসপত্র কেনার পর বিল যত্ন করে না রাখার অভ্যাস আমাদের অনেকেরই আছে। যে সামগ্রীতে ওয়ার‍্যান্টি থাকে, সেই বিলগুলোই সাধারণভাবে আমরা এক বছর পর্যন্ত রেখে দিই। বাকি বিলগুলো ডাস্টবিনেই চলে যায়। কিন্তু আপনি কি জানেন, পণ্যসামগ্রী (GST) কেনার বিল যদি বাড়িতে আপনি রেখে দেন, তাহলে এবার জিততে পারবেন নগদ ১০ লক্ষ টাকা থেকে ১ কোটি পর্যন্ত পুরস্কার (GST)। এই পুরস্কার দিতে চলেছে স্বয়ং কেন্দ্রীয় সরকার। জানা গিয়েছে, নরেন্দ্র মোদি সরকার উপভোক্তাদের জন্য এই পুরস্কার নিয়ে আসছে। ইতিমধ্যে একটি অ্যাপও চালু করতে চলেছে সরকার, যার নাম হবে ‘মেরা দিল মেরা অধিকার’ (GST)। এই অ্যাপটির মাধ্যমে গ্রাহকরা তাঁদের পণ্যের কেনাকাটার বিল আপলোড করে নগদ ১০ লক্ষ টাকা থেকে ১ কোটি পর্যন্ত জিততে পারবেন। কিন্তু হঠাৎ পণ্যের বিল আপলোড করে কেন প্রাইজ জেতা যাবে (GST)?

    ১০ লাখ থেকে ১ কোটি টাকা জেতার সুযোগ

    বিশেষজ্ঞ মহল বলছে, জিএসটি’র (GST) ফাঁকি ঠেকাতেই কেন্দ্রীয় সরকার এই বিশেষ সুযোগ দিচ্ছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে সরকার জিএসটি বিল তৈরির প্রচার করছে। অর্থাৎ জিএসটি সহ পাকা বিল নিয়েই পণ্য কেনার উপর জোর দিচ্ছে সরকার। সাধারণভাবে দেখা যায় জিএসটি ছাড়াই এখনও পর্যন্ত স্থানীয় প্রচুর দোকানদার জিনিস বিক্রি করেন। এই প্রতিযোগিতায় প্রতি মাসে ৫০০টি লাকি ড্র করা হবে (GST)। ‘মেরা বিল মেরা অধিকার’ এই পোর্টালে বিল আপলোড করা যাবে। এর ফলে কর ফাঁকি কমবে বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশ। সম্প্রতি, সম্পন্ন হয় ৫০ তম বৈঠক জিএসটি কাউন্সিলের। সেখানে পাঁচ হাজার কোটি টাকারও বেশি কর ফাঁকির তথ্য তুলে ধরা হয়েছিল। এই কর ফাঁকি রুখতেই নরেন্দ্র মোদি সরকারের এই প্রয়াস বলে মনে করা হচ্ছে।

    কীভাবে আপলোড করা যাবে ওই বিল (GST)?

    ‘মেরা বিল মেরা অধিকার’ এই অ্যাপটি যে কোনও অ্যান্ড্রয়েড মোবাইলে ইন্সটল করতে হবে। ডাউনলোড করার পরে সেখানে তাঁদের পণ্যের বিল আপলোড করতে পারবেন গ্রাহকরা। বিল নম্বর, টাকার অঙ্ক, করের পরিমাণ এ সমস্ত কিছুই দিতে হবে। জানা গিয়েছে ‘মেরা বিল মেরা অধিকার’-এর অধীনে একজন গ্রাহক মাসে সর্বাধিক ২৫টি বিল ওই পোর্টালে আপলোড করতে পারবেন। সর্বনিম্ন ২০০ টাকার কেনাকাটা করলেই ওই বিল (GST) আপলোড করা যাবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Chandrayaan-3: অবতরণের পর কাজ করবে পেলোডগুলিই! ২ সপ্তাহ ধরে কী কী কাজ করবে রম্ভা-চ্যাস্টেরা?

    Chandrayaan-3: অবতরণের পর কাজ করবে পেলোডগুলিই! ২ সপ্তাহ ধরে কী কী কাজ করবে রম্ভা-চ্যাস্টেরা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্ষনিকের অপেক্ষা! কিছুক্ষণ পরে চাঁদের মাটি ছুঁয়েই অরবিটারে বার্তা পাঠাবে ল্যান্ডার বিক্রম। তার পর কিছু অপেক্ষা। ল্যান্ডার-এর পেটের ভেতর থেকে বেরিয়ে আসবে রোভার প্রজ্ঞান। চাঁদে অবতরণের কিছুক্ষণ পরে, বিক্রম ল্যান্ডারটি খুলবে এবং রোভারের জন্য একটি র‌্যাম্প তৈরি করবে। অর্থাৎ সেই র‌্যাম্প ধরেই রোভারটি এদিক ওদিক ঘুরে বেরাবে। ছয় চাকার রোভারে ভারতের পতাকা এবং ইসরোর লোগো রয়েছে। অবতরণের প্রায় চার ঘণ্টা পর এটি ল্যান্ডারের ভিতর থেকে বেরিয়ে এসে নামতে শুরু করবে। অবতরণের সময় রোভারের গতিবেগ হবে প্রতি সেকেন্ডে ১ সেমি। রোভার তার নেভিগেশন ক্যামেরার মাধ্যমে আশেপাশের পরিবেশ অনুধাবন করতে থাকবে।

    কীভাবে কাজ করবে সাতটি পে-লোড

    সৌরশক্তি চালিত ল্যান্ডার এবং রোভারটি চাঁদের চারপাশে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাতে দুই সপ্তাহ (পৃথিবীর হিসেবে) সময় পাবে। চন্দ্রযান-৩ এর সাতটি পেলোড রয়েছে – চারটি বিক্রম ল্যান্ডারে, দুটি প্রজ্ঞান রোভারে এবং একটি প্রপালশন মডিউলে। ইসরো চেয়ারম্যান এস সোমানাথ জানিয়েছেন, “আমরা জানি চাঁদের কোনো বায়ুমণ্ডল নেই। কিন্তু এটা ঠিক নয় কারণ এর থেকে গ্যাস বের হয়। বরং তারা আয়নিত হয় এবং পৃষ্ঠের খুব কাছাকাছি থাকে। এটি দিন এবং রাতের সাথে পরিবর্তিত হয়।” 

    বিক্রমের পে-লোড

    বিক্রমের চারটি পে-লোড হল মুখ্য। রম্ভা, চ্যাস্টে, ইলসা এবং অ্যারে। চাঁদে অবতরণের পর পরই কাজ শুরু করবে ল্যান্ডার বিক্রমের সঙ্গে যুক্ত থাকা এই চারটি পেলোড। এই পেলোডগুলির সাহায্যেই চাঁদে বাজিমাত করবে চন্দ্রযান। এই পেলোডগুলিই চাঁদের ‘অজানা রহস্য’ খুলে দেবে ইসরোর বিজ্ঞানীদের সামনে।

    রম্ভা (RAMBHA)- রেডিও অ্যানাটমি অব মুন বাউন্ড হাইপারসেনসিটিভ আয়নোস্ফিয়ার এবং অ্যাটমোস্ফিয়ার বা রম্ভা চাঁদের বুকে সূর্য থেকে আসা প্লাজমা কণার ঘনত্ব, পরিমাণ এবং পরিবর্তনগুলি নিরীক্ষণ করবে।
    চ্যাস্টে (ChaSTE)- চন্দ্রের সারফেস থার্মোফিজিকাল এক্সপেরিমেন্ট বা চ্যাস্টে মেপে দেখবে চন্দ্রপৃষ্ঠের তাপমাত্রা। 
    ইলসা (ILSA)- অবতরণস্থলের আশপাশের মাটির কম্পন সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করবে ইলসা বা ইনস্ট্রুমেন্ট ফর লুনার সিসমিক অ্যাক্টিভিটি।
    এলআরএ (LRA)- ‘লেজার রেট্রোরিফ্লেক্টর’ অ্যারে চাঁদের গতিশীলতা বোঝার চেষ্টা করবে। চাঁদের প্রাকৃতিক কার্যপ্রণালী সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য নিরীক্ষণ করে তা পৃথিবীতে পাঠানোর দায়িত্ব থাকছে এই চার পেলোডের কাঁধে।

    রোভারের পে-লোড

    আলফা পার্টিকেল এক্স-রে স্পেকট্রোমিটার (APXS)- রোভারের ‘আলফা পার্টিকল এক্স-রে স্পেকট্রোমিটার’ নামে যন্ত্রটি অবতরণস্থলের কাছে চন্দ্রপৃষ্ঠে কী কী উপাদান রয়েছে তা দেখবে। ওই যন্ত্রে কিউরিয়াম নামে তেজস্ক্রিয় মৌল থেকে এক্স-রে ও আলফা পার্টিকল নির্গত হবে এবং তার মাধ্যমে চন্দ্রপৃষ্ঠের ছবি তুলবে। চাঁদের পাথরের মধ্যে লোহা, ম্যাগনেশিয়াম, সিলিকন, অ্যালুমিনিয়াম, টাইটেনিয়ামের মতো খনিজ রয়েছে কি না, তার সন্ধানও করবে সে। 
    লেজার ইনডিউসড ব্রেকডাউন স্পেকট্রোস্কোপ (LIBS)-রোভারের ‘লেসার ইনডিউসড ব্রেকডাউন স্পেকট্রোস্কোপ’ যন্ত্রের কাজ হল অবতরণস্থলের আশপাশে চাঁদের মাটিতে কী উপাদান কত পরিমাণে রয়েছে তা খুঁজে বার করা, তবে প্রথম যন্ত্রের থেকে আলাদা পদ্ধতিতে। 

    প্রপালশন মডিউলের পে-লোড

    প্রপালশন মডিউলটি চন্দ্রের কক্ষপথ থেকে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল অধ্যয়ন করবে। এই কাজে তাকে সাহায্য করবে তার একমাত্র পেলোড, বাসযোগ্য প্ল্যানেট আর্থের স্পেকট্রো-পোলারিমেট্রি (শেপ)। এটি কয়েক মাস (বা বছর) চাঁদকে প্রদক্ষিণ করবে, পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল এবং মেঘের উপর স্পেকট্রোস্কোপি এবং পোলারাইজেশন অধ্যয়ন করবে, বায়োসিগনেচার সংগ্রহ করবে যা বাসযোগ্য এক্সোপ্ল্যানেট সনাক্ত করতে ব্যবহার করা যেতে পারে।

    আরও পড়ুন: ল্যান্ডারের ‘সফট ল্যান্ডিং’ নয়, বিজ্ঞানীদের চিন্তায় রেখেছে চাঁদের ধুলো! কেন?

    চাঁদে বায়ুমণ্ডল নেই, চৌম্বকক্ষেত্রও নেই। তবে বিপুল জলের খোঁজ পেলে, (H2O)সেখান থেকে তড়িৎ বিশ্লেষণের মাধ্যমে হাইড্রজেন ও অক্সিজেনে ভেঙে নেওয়া সম্ভব। এই অক্সিজেন শ্বাসপ্রশ্বাসকে স্বাভাবিক রাখবে। আর হাইড্রজেন ব্যবহার করা যেতে পারে জ্বালানি হিসেবে। চাঁদের ওই মেরুতে আবার বরফ থাকার সম্ভাবনাও অনেক বেশি। চাঁদের আধাঁর পিঠের ঠিক কোথায় বরফ জমে আছে তার খোঁজ চালাবে প্রজ্ঞান।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Chandrayaan 3: ল্যান্ডারের ‘সফট ল্যান্ডিং’ নয়, বিজ্ঞানীদের চিন্তায় রেখেছে চাঁদের ধুলো! কেন?

    Chandrayaan 3: ল্যান্ডারের ‘সফট ল্যান্ডিং’ নয়, বিজ্ঞানীদের চিন্তায় রেখেছে চাঁদের ধুলো! কেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আর মাত্র কয়েক ঘণ্টার অপেক্ষা। তার পরেই আসতে চলেছে বহুকাঙ্খিত মাহেন্দ্রক্ষণ। বুধবার সন্ধেয় চাঁদের মাটি ছুঁতে চলেছে ‘চন্দ্রযান ৩’ (Chandrayaan 3)। সেই সঙ্গে ১৪০ কোটি ভারতবাসীর স্বপ্নপূরণ হতে চলেছে আজ। ইসরো (ISRO) জানিয়েছে, আজ ভারতীয় সময় সন্ধে পৌনে ৬টা থেকে শুরু হবে অবতরণের প্রক্রিয়া। চাঁদের মাটিতে ৩০ কিলোমিটার ওপর থেকে নামবে ল্যান্ডার বিক্রম। সন্ধে ৬টা ৪ মিনিটে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সফট ল্যান্ডিং করবে ল্যান্ডার ‘বিক্রম’ (Lander Vikram) ও তার মধ্যে থাকা রোভার ‘প্রজ্ঞান’ (Rover Pragyan)। 

    দক্ষিণ মেরুর কাছে অবতরণ করবে ‘চন্দ্রযান ৩’

    ইসরোর তরফে জানানো হয়েছে, চাঁদের দক্ষিণ মেরুর কাছে অবতরণ করবে ‘চন্দ্রযান ৩’-এর (Chandrayaan 3) ল্যান্ডার এবং রোভার। ৭০ ডিগ্রি দ্রাঘিমাংশে অবতরণ করার কথা এই মহাকাশযানের। এই এলাকাটি চাঁদের দক্ষিণ মেরু থেকে ৩০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে এর আগে কোনও দেশই মহাকাশযান পাঠায়নি। ফলে ভারত আজ সফল হলে, বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সফল অবতরণের কৃতিত্ব অর্জন করবে। চাঁদের বুকে অবতরণের সেই দৃশ্য বুধবার বিকেল ৫টা ২০ মিনিট থেকে সরাসরি সম্প্রচার হবে ইসরোর ওয়েবসাইট, ফেসবুক পেজ, ইউটিউবে।

    আরও পড়ুন: আজ চাঁদের মাটি ছোঁবে ‘চন্দ্রযান ৩’, সাফল্য কামনায় দেশ-বিদেশে পুজো-যজ্ঞ-নমাজ পাঠ

    সফট-ল্যান্ডিং করা একটা বড়ো চ্যালেঞ্জ

    তবে, এই অঞ্চলে সফট-ল্যান্ডিং করা একটা বড়ো চ্যালেঞ্জ। তা হলো, অবতরণ প্রক্রিয়ার ওই শেষের ২০ মিনিট। চার বছর আগে এই পর্বে এসে চাঁদের বুকে আছড়ে পড়েছিল (বিজ্ঞানের পরিভাষায় হার্ড ল্যান্ডিং) ‘চন্দ্রযান ২’-এর ল্যান্ডার। এই পর্যায়টিই হচ্ছে সবচেয়ে কঠিন এবং গুরুত্বপূর্ণ। ইসরোর বিজ্ঞানীরা যদিও আত্মবিশ্বাসী, যে এবার তাঁরা সফল হবেনই। ইসরোর দাবি, ‘চন্দ্রযান ৩’ (Chandrayaan 3) ও তার ল্যান্ডার ‘বিক্রম’-কে (Lander Vikram) এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে, যাতে প্রতিকূল পরিস্থিতি হলেও তা সঠিকভাবে সফট-ল্যান্ডিং করতে পারবে। ল্যান্ডারে থাকা যাবতীয় সেন্সর কাজ না করলেও, সঠিকভাবে অবতরণ করতে সক্ষম ‘বিক্রম’। তেমনভাবেই তৈরি করা হয়েছে তাকে।

    তবে ইসরোর বিজ্ঞানীদের মাথায় অন্য আরেকটা চিন্তা ঘুরপাক খাচ্ছে। তা হলো, চাঁদের মাটি। অবতরণের সময় ল্যান্ডার স্পর্শ করার সময় চারদিকে ধুলোর আস্তরণ উড়বে। কার্যত প্রায় ঢাকা পড়ে যাবে ল্যান্ডার। এমতাবস্থায়, বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, যতক্ষণ না ধুলো পুরো থিতিয়ে বসে যাচ্ছে, ততক্ষণ ‘বিক্রম’-এর পেট থেকে ‘প্রজ্ঞান’-কে বের করা ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। বিজ্ঞানীদের এই আশঙ্কার নেপথ্যে রয়েছে কোন বিজ্ঞান? 

    বিজ্ঞানীদের চিন্তায় রেখেছে ‘রেগোলিথ’, কী এটা?

    চাঁদের ধুলোকে বলা হয় ‘রেগোলিথ’। এই ধুলো চার্জড পার্টিকলে ভরপুর, খনিজ উপাদানও আছে। এর মধ্যে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে সোডিয়াম, ক্যালসিয়াম, অ্যালুমিনিয়াম, সিলিকন, টাইটানিয়াম এবং আয়রনের মতো খনিজ মৌল। তাদের অণু-পরমাণুর মধ্যে নিরন্তর ধাক্কাধাক্কি চলছে। রেগোলিথ মহাজাগতিক রশ্মির বিকিরণে উত্তেজিত হয়ে ওঠে। চাঁদে যেহেতু পৃথিবীর মতো বায়ুমণ্ডল নেই, তাই মহাজাগতিক রশ্মি, সৌরঝড় সরাসরি আছড়ে পড়ে চাঁদে। আর মহাজাগতিক রশ্মিদের বিকিরণে চাঁদের ধুলো উত্তেজিত থাকে সারাক্ষণ। 

    মহাজাগতিক রশ্মিদের বিকিরণে চাঁদের ধুলো আরও উত্তেজিত হয়ে লাফালাফি শুরু করে। সূর্যের অতিবেগুনী রশ্মি বা অন্য কোনও মহাজাগতিক রশ্মি চাঁদের মাটিতে সরাসরি আছড়ে পড়ার সময় এই সূক্ষাতিসূক্ষ ধূলিকণাগুলিকে আঘাত করে। ফলে এগুলির মধ্যে বিদ্যুৎ তরঙ্গ তৈরি হয়। গরম হলে স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরার জন্য ধুলোকণাগুলো তড়িৎ ঋণাত্মক কণা বা ইলেকট্রন ছাড়তে থাকে। তাপমাত্রার ফারাক এবং মহাজাগতিক রশ্মির প্রভাবে বিরাট এলাকা জুড়ে ধুলোর ঝড় শুরু হয় যাতে ইলেকট্রোস্ট্যাটিক ফোর্স চুম্বকীয় স্তর তৈরি করে। 

    প্রজ্ঞানকে বাঁচাতে এখন কী করণীয়?

    সফট ল্যান্ডিং (Chandrayaan 3) ঠিকঠাক ভাবে করতে হলে রেট্রো-রকেট চালাতে হতে পারে ল্যান্ডারকে (Lander Vikram)। ইসরো জানিয়েছে, অবতরণের সময় যদি চাঁদের মাটির ধুলো ওড়ে, তাহলে ক্ষতি হতে পারে রোভারের। ধুলোর আয়নিক কণারা রোভারের যন্ত্রপাতির ক্ষতি করতে পারে। ধুলোকণা যন্ত্রের উপর গিয়ে পড়লে বেতার সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। ‘ডিপ স্পেস নেটওয়ার্ক‘ (DSN)-এর মাধ্যমে তথ্য পাঠাতে পারবে না রোভার ‘প্রজ্ঞান’। সেক্ষেত্রে কী করণীয়? ইসরো জানিয়েছে, ল্যান্ডারের চারটি পা যখন মাটি ছোঁবে, ইঞ্জিন বন্ধ করে দেবেন বিজ্ঞানীরা। শুধুমাত্র সেন্ট্রাল ইঞ্জিন কাজ করবে। তাও সতর্ক ভাবে, যাতে ধুলো না ওড়ে। অবতরণের পর ওই মাটি থিতিয়ে আসার জন্য অপেক্ষা করা হবে। এর পর ল্যান্ডার থেকে আলাদা হয়ে চাঁদের মাটিতে নামবে রোভার ‘প্রজ্ঞান’ (Rover Pragyan)। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Heath Streak : মৃত্যু নিয়ে গুজব! হোয়্যাটসঅ্যাপ মেসেজে হিথ স্ট্রিক জানালেন তিনি জীবিত

    Heath Streak : মৃত্যু নিয়ে গুজব! হোয়্যাটসঅ্যাপ মেসেজে হিথ স্ট্রিক জানালেন তিনি জীবিত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মারণ রোগ ক্যান্সারের বিরুদ্ধে জীবন যুদ্ধের লড়াইয়ে হার মানলেন হিথ স্ট্রিক (Heath Streak)। বুধবার সকালে দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ে এই খবর। সোশ্যাল মিডিয়ায় সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ জিম্বাবোয়ের প্রাক্তন অলরাউন্ডারকে শ্রদ্ধা জানাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। কিন্তু কয়েক ঘণ্টার মধ্যে জিম্বাবোয়ের প্রাক্তন ক্রিকেটার হেনরি ওলোঙ্গা ট্যুইটারে জানান, এটা ভুয়ো খবর। হিথ সিট্রকত জীবিত। হোয়াটসঅ্যাপে তাঁর সঙ্গে চ্যাট করার স্ক্রিন শট তিনি পোস্ট করেন। তবে মজার ব্যাপার হল, ওলোঙ্গাই কিন্তু হিথ স্ট্রিকের মৃত্যুর খবর জানিয়েছিলেন ট্যুইটারে। 

    জীবিত  হিথ স্ট্রিক

    বুধবার সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ ওলোঙ্গা একটি কথোপকথনের স্ক্রিনশট পোস্ট করেন টুইটারে। সেটি স্ট্রিকের সঙ্গে তাঁর কথোপকথন বলে দাবি করেছেন তিনি। সঙ্গে লিখেছেন, “আমি নিশ্চিত ভাবে জানাতে চাই যে হিথ স্ট্রিকের মৃত্যুর খবর নিয়ে বাড়াবাড়ি করা হয়েছে। আমি নিজেই ওর মুখ থেকে শুনেছি যে ও এখনও জীবিত। তৃতীয় আম্পায়ার আবার ওকে ফিরিয়ে এনেছে। ও বেঁচে রয়েছে।” পরে তাঁর মেয়েও বেঁচে থাকা খবর নিশ্চিত করেছেন।

    হিথ স্ট্রিকের রেকর্ড

    ১৯৯৩ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছিল হিথ স্ট্রিকের। ১৮৯টি ওয়ান ডে এবং ৬৫টি টেস্ট খেলেছেন তিনি। অলরাউন্ডার হিসেবে নিজেকে মেলে ধরতে সফল হয়েছিলেন স্ট্রিক (Heath Streak)। টেস্ট তাঁর ব্যাটে এসেছিল ১৯৯০ রান। ঝুলিতে রয়েছে ২১৬টি উইকেট। সাদা বলের ক্রিকেটেও তিনি যথেষ্ট সুনাম অর্জন করেছিলেন। ২৯৪৩ রানের পাশাপাশি ২৩৯টি উইকেটের মালিক তিনি। ২০০৫ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে আলবিদা জানান জিম্বাবোয়ের এই প্রাক্তন তারকা অলরাউন্ডার। তিনি অধিনাকত্ব করেন ২১টি টেস্ট ও ৬৮টি ওয়ান ডে ম্যাচে। তবে ম্যাচ গড়াপেটা কাণ্ডে জড়িয়ে তিনি নির্বাসিত হন। ২০২১ সালে তাঁকে আট বছরের জন্য নির্বাসিত করেছিল আইসিসি। তবে হিথ স্ট্রিক বরাবরই দাবি করেছিলেন, তিনি কোনওভাবেই গড়াপেটার সঙ্গে যুক্ত নন। 

    আরও পড়ুন: নয়া ভূমিকায়! নির্বাচন কমিশনের ন্যাশনাল আইকন হচ্ছেন সচিন

    হিথ স্ট্রিক চিকিৎসাধীন

    গত বছর মে মাসে স্ট্রিক (Heath Streak) গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে জানা যায়, তাঁর শরীরে বাসা বেঁধেছে মারণ রোগ ক্যান্সার। কোলন ও যকৃতের ক্যান্সারের চিকিৎসার জন্য তাঁকে দক্ষিণ আফ্রিকার একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এখনও তিনি চিকাৎসাধীন। তবে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এই পরিস্থিতি থেকে হিথ স্ট্রিকের বেঁচে ফেরার সম্ভাবনা কম। তবুও হাল ছাড়েননি প্রাক্তন অলরাউন্ডার। বাইশ গজে বাঘা বাঘা ব্যাটসম্যানদের তিনি কাঁদিয়ে ছেড়েছিলেন তাঁর গতি ও সুইয়ে। শুধু বল হাতে নয়, ব্যাটসম্যান স্ট্রিকের নজরকাড়া বিধ্বংসী ইনিংস আজও চোখের সামনে ভাসে ক্রিকেট জনতার। তাই হাল ছেড়ো না বন্ধু বলে এখনও জীবনের পিচে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছন স্ট্রিক।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sachin Tendulkar: নয়া ভূমিকায়! নির্বাচন কমিশনের ন্যাশনাল আইকন হচ্ছেন সচিন

    Sachin Tendulkar: নয়া ভূমিকায়! নির্বাচন কমিশনের ন্যাশনাল আইকন হচ্ছেন সচিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নয়া ভূমিকায় ক্রিকেটের ঈশ্বর সচিন তেন্ডুলকর (Sachin Tendulkar)। তবে ক্রিকেট মাঠে নয়, তিনি এবার দূত হলেন জাতীয় নির্বাচন কমিশনে। মাস্টার ব্লাস্টারকে কমিশনের ‘ন্যাশনাল আইকন’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। কিংবদন্তী ক্রিকেটারের সঙ্গে বুধবার এই মর্মে একটি মৌ চুক্তি স্বাক্ষরিত করা হবে। মঙ্গলবার এ কথা ঘোষণা করেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন (Election Commission of India)। আগামী বছর লোকসভা ভোট। তার আগে সচিনকে সামনে রেখে প্রচার করতে চায় নির্বাচন কমিশন। সকলে যাতে ভোট দেওয়ার জন্য উৎসাহ পায়, সেই কারণেই সচিনকে এই দায়িত্ব দেওয়া হবে।

    জাতীয় নির্বাচন কমিশনের ট্যুইট-বার্তা

    ভারতীয় ক্রিকেটে তথা বিশ্ব ক্রিকেটে সচিন তেন্ডুলকরের (Sachin Tendulkar) অবদান অনস্বীকার্য। সচিনের অবসরের পর কেটে গিয়েছে এক দশক। কিন্তু এখনও তাঁর জনপ্রিয়তা তুঙ্গে। অবসরের পর নানা সামাজিক কাজে নিজেকে লিপ্ত রেখেছেন। ভারতরত্নও পেয়েছেন। এবার তাঁকে জাতীয় আইকনের স্বীকৃতি দিল জাতীয় নির্বাচন কমিশন (Election Commission of India)।

    বুধবার থেকেই নির্বাচন কমিশনের ‘জাতীয় আইকন’ হিসাবে কাজ করবেন সচিন। জাতীয় নির্বাচন কমিশনের মুখপত্রের ট্যুইটারে এই খবর জানানো হয়েছে।

    আরও পড়ুন: জোহানেসবার্গে বসেই ‘চন্দ্রযান ৩’-এর ঐতিহাসিক ল্যান্ডিং দেখবেন প্রধানমন্ত্রী

    তরুণ প্রজন্মকে প্রেরণা দেবেন সচিন

    বুধবার, ২৩ অগাস্ট রাজধানী নয়াদিল্লির রং ভবন অডিটোরিয়ামে এক বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। সেই অনুষ্ঠানেই সচিনকে (Sachin Tendulkar) জাতীয় নির্বাচন কমিশনের তরফে জাতীয় আইকনের স্বীকৃতি দেওয়া হবে। সেখানেই তিনি নির্বাচন কমিশনের (Election Commission of India) সঙ্গে একটি মৌ স্বাক্ষর করবেন। তিন বছরের জন্য তিনি চুক্তিবদ্ধ হচ্ছেন। নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সম্মিলিতভাবে দেশের নাগরিকদের ভোট দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে সচেতন করতে দেখা যাবে সচিনকে। এই অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনের প্রধান শ্রী রাজীব কুমার, নির্বাচন কমিশনার শ্রী অনুপ চন্দ্র পাণ্ডে এবং শ্রী অরুণ গোয়েল এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন। জাতীয় নির্বাচন কমিশনের তরফে বলা হয়েছে, “তরুণদের উপর সচিনের প্রভাব দেশের ভোটার সংখ্যা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে। আগামী বছর লোকসভা নির্বাচন রয়েছে। তার আগে তরুণদের ভোট দেওয়ার প্রতি আগ্রহ বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share