Tag: Madhyom

Madhyom

  • Tamim Iqbal: খেলবেন না এশিয়া কাপে! বাংলাদেশের একদিনের ক্রিকেটে নেতৃত্ব ছাড়লেন তামিম

    Tamim Iqbal: খেলবেন না এশিয়া কাপে! বাংলাদেশের একদিনের ক্রিকেটে নেতৃত্ব ছাড়লেন তামিম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  কয়েকদিন আগেই হঠাৎ করেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছিলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুরোধে অবসর ভেঙে ফিরে এসেছিলেন তামিম ইকবাল (Tamim Iqbal)। কিন্তু বৃহস্পতিবার তিনি জানিয়ে দিলেন যে, একদিনের ক্রিকেটে আর বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেবেন না। তামিম বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (BCB) প্রধান নাজমুল হাসান পাপনের সঙ্গে দেখা করেন। তার পরেই সিদ্ধান্ত নেন যে, তিনি একদিনের ক্রিকেটের নেতৃত্ব ছাড়ছেন।

    কী বলল বিসিবি

    তামিমের (Tamim Iqbal) সঙ্গে বৃহস্পতিবার আলোচনায় বসেছিল বিসিবি (BCB)। ছিলেন বিসিবি প্রধান নাজমুল হাসান, বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান জালাল ইউনুস। বেঠক শেষে বিসিবি সভাপতি জানান, তামিম তাঁকে বলে দিয়েছেন যে ওয়ানডেতে আর অধিনায়কত্ব করবেন না। আর জালাল ইউনুস জানিয়েছেন, চোট থেকে সেরে ওঠা নিশ্চিত নয় বলে এশিয়া কাপে (Asia Cup 2023) খেলবেন না তামিম। তামিমের পিঠে চোট রয়েছে। কিছু দিন আগে ইংল্যান্ডে গিয়ে চিকিৎসাও করিয়েছেন। অবসর ভেঙে ফিরে এসে তিনি জানিয়েছিলেন যে, দেড় মাসের জন্য বিরতি নিচ্ছেন। মনে করা হয়েছিল এশিয়া কাপে ফিরতে পারেন তিনি। কিন্তু পিঠের চোটের কারণে এশিয়া কাপে তাঁর খেলায় অনিশ্চয়তা রয়েছে।

    আরও পড়ুন: ডুরান্ডের প্রথম ম্যাচেই জয় মোহনবাগানের, বাংলাদেশ আর্মিকে হারাল ৫-০ গোলে

    পরবর্তী অধিনায়ক কে?

    তামিমের (Tamim Iqbal) অবর্তমানে কে বাংলাদেশের একদিনের ক্রিকেটে অধিনায়কত্ব করবেন—এই প্রশ্নের জবাবে বিসিবি (BCB) সভাপতি বলেছেন, সবার সঙ্গে আলোচনা করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তামিম শুধু এশিয়া কাপে না খেললে সহ–অধিনায়ক লিটন দাসই অধিনায়ক হতেন। এখন যেহেতু তামিম অধিনায়কত্বই ছেড়ে দিয়েছেন, ব্যাপারটা আর সরল নেই। নতুন অধিনায়ক শুধু এশিয়া কাপ নয়, বিশ্বকাপেও নেতৃত্ব দেবেন বাংলাদেশকে। বিসিবি সভাপতি জানান, অধিনায়কত্ব ছাড়লেও খেলোয়াড় হিসেবে খেলা চালিয়ে যাবেন তামিম। বিশ্বকাপে পুরো ফিট তামিমকে পাওয়ার আশা করছে বাংলাদেশ।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Delhi Services Bill: লোকসভায় পাশ দিল্লি পরিষেবা বিল, ওয়াক আউট বিরোধীদের

    Delhi Services Bill: লোকসভায় পাশ দিল্লি পরিষেবা বিল, ওয়াক আউট বিরোধীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিরোধীদের ‘আপত্তি’র মধ্যেই বৃহস্পতিবার লোকসভায় পাশ হল দিল্লি রাজধানী এলাকা সরকার (সংশোধনী) বিল, ২০২৩। সারা দিন ধরে এই বিলের উপর বিতর্কের পর, লোকসভায় ধ্বণিভোটে পাস হয় দিল্লির আমলাতন্ত্র নিয়ে এই বিল (Delhi Services Bill)। সংসদের নিম্নকক্ষে বিলটি পাশ হওয়ার পরই ওয়াক আউট করেন বিরোধী সাংসদরা। এই বিল আইনে পরিণত হলে, দিল্লিতে আমলা নিয়োগ এবং বদলির ক্ষমতা হারাবে দিল্লির নির্বাচিত সরকার। এই ক্ষমতা ন্যাস্ত হবে কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে।

    বিল নিয়ে বিরোধ

    দিল্লির (Delhi Services Bill) আমলাদের নিয়োগ এবং বদলির রাশ কার হাতে থাকবে—এই নিয়ে জল গড়িয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। গত ১১ মে শীর্ষ আদালতের পাঁচ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চ সর্বসম্মত ভাবে জানিয়েছিল, আমলাদের রদবদল থেকে যাবতীয় প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার রয়েছে দিল্লির নির্বাচিত সরকারের। তবে পুলিশ, আইনশৃঙ্খলা এবং ভূমি দফতর সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা কেন্দ্রের হাতেই থাকবে বলে জানানো হয়। গত ১৯ মে আদালতের সেই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে অধ্যাদেশ জারি করে মোদি সরকার। অধ্যাদেশে বলা হয়, জাতীয় রাজধানী সিভিল সার্ভিসেস কর্তৃপক্ষ গঠন করা হবে। আমলাদের নিয়োগ এবং বদলির ব্যাপারে তাঁরাই সিদ্ধান্ত নেবেন।

    আরও পড়ুন: ‘লোকসভায় ৩৬ আসন জেতার শপথ নিন’, বিজেপি কর্মীদের বললেন শুভেন্দু

    বিলের স্বপক্ষে যুক্তি

    দিল্লি সার্ভিসেস বিল (Delhi Services Bill) নিয়ে আলোচনার মধ্যেই এদিন লোকসভায় সাসপেন্ড করা হয় আম আদমি পার্টির একমাত্র লোকসভা সাংসদ সুশীলকুমার রিঙ্কুকে। তাঁর বিরুদ্ধে অধ্যক্ষের চেয়ারের দিকে কাগজ ছোড়ার অভিযোগ রয়েছে। পুরো বাদল অধিবেশনের জন্যই সাসপেন্ড করা হয়েছে আপ সাংসদকে। এদিন এই বিলের বিষয়ে আলোচনার সময় অমিত শাহ (Amit Shah) জানান, সুপ্রিম কোর্টের আদেশেই বলা হয়েছে, জাতীয় রাজধানী অঞ্চল দিল্লির বিষয়ে যে কোনও বিষয়ে আইন তৈরি করার অধিকার রয়েছে সংসদের। এছাড়া, সংবিধানও কেন্দ্রকে দিল্লির জন্য আইন তৈরির অনুমতি দিয়েছে। এদিন লোকসভায় এই বিল পাশ হওয়ার পর বিলটি রাজ্যসভার বিবেচনার জন্য পাঠানো হবে। রাজ্যসভায় বিরোধী সাংসদদের সংখ্যা বেশি থাকলেও, এই বিলটি সম্ভবত সহজেই পাশ হয়ে যাবে। বিরোধীদের জোট ‘ইন্ডিয়া’ এই বিলের বিরোধিতা করলেও, নবীন পট্টনায়কের বিজু জনতা দল এবং জগনমোহন রেড্ডির ওয়াইএসআর কংগ্রেস পার্টি বিলটিকে সমর্থন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Militant: আল কায়দা জঙ্গি সন্দেহে গুজরাটে গ্রেফতার বাংলার তিন যুবক, হতবাক এলাকাবাসী

    Militant: আল কায়দা জঙ্গি সন্দেহে গুজরাটে গ্রেফতার বাংলার তিন যুবক, হতবাক এলাকাবাসী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আল কায়দা জঙ্গি (Militant) সন্দেহে গুজরাটে গ্রেফতার বাংলার তিন যুবক। ধৃতদের মধ্যে দুজন বর্ধমান এবং একজন তারকেশ্বরের বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। রাজকোটের সোনিবাজার থেকে তিনজনকে গ্রেফতার করেছে গুজরাট পুলিশের সন্ত্রাসদমন শাখা। ধৃতদের কাছ থেকে একটি দেশি পিস্তল এবং ১০ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। ধৃতদের নাম শইফ নামাজ এবং আব্দুল শুকুর। পাড়ার ছেলের সঙ্গে জঙ্গিযোগ জেনে এলাকার মানুষরা হতবাক হয়ে পড়েছেন।

    কী বললেন শইফ নামাজের পরিবারের লোকজন?

    এদিন বৃহস্পতিবার বিকেলে কালনা থানার আংগারসোন এলাকায় শইফ নামাজের বাড়িতে পৌঁছে দেখা গেল, বাড়িতে তার মা-বাবা দুজনেই রয়েছে। সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে বলতে কান্নায় ভেঙে পড়েন তাঁরা। মা-বাবা দুজনেই এদিন বলেন, আমাদের ছেলে কোনওরকমভাবেই জঙ্গি (Militant) কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত নয়। আমাদের ছেলেকে ফাঁসানো হয়েছে। শুধু আমরা বলছি না, প্রতিবেশী সকলেই বলছে এই কাজের সঙ্গে যুক্ত নয় সে। কেন তাকে গ্রেফতার করা হল আমরা বুঝতে পারছি না। শইফ কেমন ছেলে তা এলাকার মানুষ জানেন। আমরা এই ঘটনা কোনওভাবে মেনে নিতে পাচ্ছি না।

    আব্দুল শুকুরকে নিয়ে কী বললেন এলাকাবাসী?

    মগজ ধোলাই করে নতুনদের জঙ্গি (Militant) সংগঠনে টানত নাদনঘাটের ঘোলা গ্রামের আব্দুল শুকুর। গুজরাট এটিএস তাকে গ্রেফতার করার পর একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে। গ্রামে সে ভালো ছেলে হিসাবে পরিচিত হলেও তার গতিবিধি সন্দেহজনক ছিল। গ্রামে কারও সঙ্গে এসে তেমনভাবে মিশতো না। প্রয়োজন ছাড়া কারও সঙ্গে কথা বলত না। তবে গুজরাট থেকে ঘরে এলে সে নিয়ম করে মসজিদে যেত। পরিবারের লোকজনদের নিয়ম করে মসজিদে যাওয়ার  নির্দেশও দিয়েছিল। বাড়িতে ধর্মীয় বিষয় নিয়ে আলোচনা করত। কাজের মধ্যেও সে সব সময় ইউটিউবে বিভিন্ন ধরনের বিস্ফোরক তৈরি দেখতো। গ্রামের বাসিন্দারা বলছেন, সব সময় চুপচাপ থাকা ছেলেটা আলকায়েদা জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারে এমনটা  ভাবাই যায় না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Mamata on EVM Hacking: চব্বিশে ফিরছেন মোদি-ই! আঁচ করেই কি মমতার মুখে ফের ‘ইভিএম হ্যাক’ তত্ত্ব?

    Mamata on EVM Hacking: চব্বিশে ফিরছেন মোদি-ই! আঁচ করেই কি মমতার মুখে ফের ‘ইভিএম হ্যাক’ তত্ত্ব?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচন (2024 Loksabha Polls) হতে এখনও প্রায় ৮ মাস বাকি। তার আগে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোটের মোকাবিলা করতে ঘটা করে গতমাসে ‘ইন্ডিয়া’ জোট গড়েছে ২৬টি বিরোধী দল— যার অন্যতম সদস্য হলো তৃণমূল কংগ্রেস। সেই দলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘটা করে বলেছিলেন যে, এই ‘ইন্ডিয়া’ নামটা নাকি তাঁরই দেওয়া, যা কি না সকলের মনে ধরেছে। গঠনের সময় বিরোধীরা ঠিক করেছিল, যে মোদিকে যেনতেন ভাবে নির্বাচনী ময়দানে রুখতে হবে। যার প্রথম ধাপ হবে সংসদ থেকে। অর্থাৎ, কিনা সংসদে মোদি সরকারের আনা কোনও বিল ও প্রস্তাব যাতে পাশ না হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে। এর জন্য সকল বিরোধী ঐক্যবদ্ধ ভাবে ‘মোদি-বিরোধিতা’য় সামিল হবে। 

    বিরোধীদের দুই স্বপ্ন ভেঙে চুরমার

    কিন্তু, এক পক্ষকালও পার হয়নি, বিরোধীদের সেই রঙিন স্বপ্নের ফানুস ইতিমধ্যেই আছাড় খেয়ে মাটিতে লুটোপুটি খেতে শুরু করে দিয়েছে। সংসদের বাদল অধিবেশন শুরু হওয়ার আগে, বিরোধীরা দুটি ইস্যুকে হাতিয়ার করবে বলে বেছে রেখেছিল। এক, মণিপুর ইস্যুকে হাতিয়ার করে মোদির বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনা হবে। দুই, দিল্লি পরিষেবা অধ্যাদেশ বিল রুখতেই হবে। বিরোধীদের আনা অনাস্থা প্রস্তাব পেশ করা হয়েছে সংসদে। গৃহীতও হয়েছে। আগামী সপ্তাহে এই নিয়ে আলোচনা-বিতর্ক এবং ভোটাভুটি হওয়ার কথা। ঠিক একইভাবে, সংসদে সরকারের তরফে পেশ করা হয়েছে দিল্লি অধ্যাদেশ (সংশোধনী) বিল। 

    সংসদে কোনটা পাশ করবে, আর কোনটা আটকে যাবে— তা নির্ভর করে সংখ্যাতত্ত্বের ওপর। সংখ্যাতত্ত্ব অর্থাৎ, কক্ষে কোন পক্ষের সংখ্যা কত? বা বলা ভালো, কোন পক্ষ কতটা শক্তিশালী? যেদিন ‘ইন্ডিয়া’ জোট তাদের প্রথম বৈঠক করল, তার এক সপ্তাহ পরই, কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন এনডিএ জোট তাদের শক্তিপ্রদর্শন করে। বিরোধীদের যেখানে ২৬টি দলের সমর্থন ছিল, সেখানে নরেন্দ্র মোদিকে সমর্থন দিতে এগিয়ে আসে ৩৯টি দল। এর পরই বিরোধীদের ফানুস ফেটে যায়। যে কারণে, বিরোধীদের তরফে থেকে বলতে শুরু করে দেওয়া হয় যে, ‘‘অনাস্থা যে পাশ হবে না, তা জানা ছিলই। আমরা চাই, যাতে মোদি সংসদে বলুন।’’

    লোকসভায় এনডিএ-র ধারেকাছে নেই বিরোধীরা

    কেন বিরোধীদের এই মতবদল? এর উত্তর লুকিয়ে সেই সংখ্যাতত্ত্বে। এবার এক নজরে দেখে নেওয়া বর্তমান সংখ্যাতত্ত্ব ঠিক কী বলছে। প্রথমে আসা যাক দুই কক্ষ-বিশিষ্ট সংসদের নিম্ন কক্ষ অর্থাৎ লোকসভার প্রসঙ্গে। যেখানে উঠতে চলেছে অনাস্থা ইস্যু। ৫৪৩ আসনের লোকসভায় সংখ্যা গরিষ্ঠতার জন্য দরকার ২৭২ আসনের। বর্তমানে লোকসভায় বিজেপির একারই সাংসদ সংখ্যা ৩০১। ফলে, বিজেপি একাই সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করেছে। পুরো এনডিএ জোট ধরলে সংখ্যাটা ৩৩২।

    এছাড়া, শাসক জোটের সঙ্গী না হওয়া সত্ত্বেও নবীন পট্টনায়েকের বিজেডি ও জগন রেড্ডির ওয়াইএসআর মোদি সরকারের প্রতি তাদের সমর্থন দেওয়ার কথা জানিয়েছে। লোকসভায় বিজেডির ১২ ও ওয়াইএসআর কংগ্রেসের ২২ জন সাংসদ রয়েছেন। এই সংখ্যাটা এনডিএ-র সঙ্গে যুক্ত হলে তা ৩৬৬-তে পৌঁছে যায়। এরপরেই চন্দবাবু নাইচুর সমর্থনের কথাও জানা যাচ্ছে। তার সদস্য রয়েছেন তিনজন। ফলে, ৩৭০-এর আশেপাশে। অন্যদিকে, বিরোধীদের কত সংখ্যা হলো, এটার পর সেই নিয়ে ব্যাখ্যা দেওয়ার প্রয়োজন নেই।

    রাজ্যসভাতেও সংখ্যা নিয়ে নিশ্চিত এনডিএ

    এতো গেল লোকসভার কথা। কিন্তু, কোনও বিলকে আইনে রূপান্তর করাতে হলে, তাকে দুকক্ষেই পাশ হতে হবে। ফলে, এবার দেখে নেওয়া যাক সংসদের উচ্চকক্ষ অর্থাৎ রাজ্যসভার দিকে। যেমন, দিল্লি অধ্যাদেশ বিল লোকসভায় তো বটেই, রাজ্যসভাতেও পাশ করানোর বিষয়ে আশাবাদী কেন্দ্র। রাজ্যসভায় বিজেপি ও তাদের সহযোদীদের ১০৫ জন সদস্য রয়েছেন। এর সঙ্গে, পাঁচ মনোনীত সদস্যের ভোট পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী বিজেপি তথা এনডিএ। এছাড়া, এক্ষেত্রেও, বিজেডি ও ওয়াইএসআর কংগ্রেসকে পাশে পাচ্ছে বিজেপি। তাদের রয়েছে ৯ সাংসদ। সমর্থন জানাচ্ছে অন্ধ্রের আরেক দল চন্দ্রবাবু নাইডুর টিডিপি। তাদের রয়েছে একটি আসন। এর পরে, যদি নির্দল সাংসদরা সমর্থন জানান এনডিএ-কে, তাহলে সংখ্যা ১৩০ ছাড়িয়ে যাবে। ২৪৫-আসনের রাজ্যসভায় সাতটিআসন ফাঁকা রয়েছে। ফলে, বর্তমান ২৩৮ আসনের বিচারে সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজন ১১৮-১২০।

    এখন থেকেই হারের ‘অজুহাত’ খোঁজা শুরু বিরোধীদের?

    এই দুই ইস্যু হাতছাড়া হয়ে গেছে বুঝতে পেরেই এখন থেকেই প্রমাদ গুণতে শুরু করে দিয়েছে বিরোধীদের ‘ইন্ডিয়া’ জোট। আগামী ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনেও (2024 Loksabha Polls) যে মোদির জয়ধ্বজ অব্যাহত থাকবে, তা টের পেয়ে গিয়েছেন জোটের ‘হুজ হু’-রা। সেই কারণেই এখন থেকে হারের বিভিন্ন ‘অজুহাত’ খুঁজতে বেরিয়ে পড়েছেন ‘ইন্ডিয়া’-জোটের কাণ্ডারিরা। যার সাম্প্রতিকতম উদাহরণ বৃহস্পতিবারই দেখিয়েছেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata on EVM Hacking)। ফের একবার তাঁর মুখে শোনা গিয়েছে ‘ইভিএম হ্যাক’-এর তত্ত্ব— যা বিরোধীদের অত্যন্ত পছন্দের অজুহাতের অন্যতম। এদিন নবান্ন থেকে মমতা বলেছেন, ‘‘ওরা (বিজেপি) এখন থেকেই নানা পরিকল্পনা করছে। ইলেক্ট্রিক মেশিন (ইভিএম) হ্যাক করার নানারকম ব্যবস্থা করছে। আমাদের কাছে খবর এসেছে। কিছু প্রমাণ পেয়েছি। কিছু খুঁজছি। ‘ইন্ডিয়া’র বৈঠকে আলোচনা হবে।’’ 

    লোকসভা নির্বাচনের (2024 Loksabha Polls) ৮ মাস আগেই কি তাহলে হার মেনে নিলো মমতার ‘ইন্ডিয়া’!

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: গঙ্গায় উঠল প্রায় ৫০ কেজি ওজনের কাতলা! কত দামে বিক্রি হল জানেন?

    Malda: গঙ্গায় উঠল প্রায় ৫০ কেজি ওজনের কাতলা! কত দামে বিক্রি হল জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক-দু’ কেজি নয়, প্রায় ৫০ কেজি। গঙ্গার এই কাতলা মাছ কেনার জন্য সাত সকালে রীতিমতো হুড়োহুড়ি পড়ে গেল মালদার (Malda) নেতাজি পৌর বাজারের মাছ বাজারে। ৮০০-৯০০ টাকা কেজি দাম! কিন্তু তাতে কী! ওই দামেই দেদার বিক্রি হচ্ছে গঙ্গার ওই বিশালাকার কাতলা মাছ। জানা গিয়েছে, মানিকচকের গঙ্গায় ধরা পড়ে মাছটি। আর মাছ বাজারে আসতেই সবার চোখ ছানাবড়া। মাছ তো নয়, যেন গিলে খেতে আসছে। এমন অভিজ্ঞতাই বা কজনের হয়। তাই মাছ বাড়ি নিয়ে যাওয়ার লোভ সামলাতে পারেননি অনেকেই। কেনার হিড়িক পড়ে যায় ক্রেতাদের মধ্যে। মাছ ব্যবসায়ীদের দাবি, এই প্রথম বাজারে প্রায় ৫০ কেজি ওজনের মাছ এসেছে। বিশালাকৃতির ওই কাতলা মাছ দেখতে এবং ছবি তুলতেও ভিড় জমান বহু মানুষ।

    কী বলছেন মাছ বাজারের (Malda) ব্যবসায়ীরা?

    এক ব্যবসায়ী কায়ূম মোল্লা জানালেন, রাজমহল গঙ্গায় এই মাছ ধরা পড়েছে। এই মাছের দাম গোটা ধরলে মোটামুটি ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা কেজি। কেটে ৮০০, ৯০০ এমনকি হাজার টাকা কেজি দরে বিক্রি হবে বলে তাঁরা মনে করছেন। বিরাট চাহিদা আছে দেখেই কাটা হল। খরিদ্দাররা এ বলে আমি নেব, ও বলে আমি নেব। হুড়োহুড়ি লেগে গেছে। তিনি আরও জানান, এই নেতাজি মার্কেটে (Malda) সব ধরনের মাছ পাওয়া যায়। ইলিশের আমদানি কম আছে বলে দামটা একটু বেশি চলছে। তবে কাতলা মাছ এত বড় সাইজের তাঁরা আগে কখনও দেখেননি। আরেক বিক্রেতা ইমরান বললেন, মাছের ওজন দাঁড়াল ৪৮ কেজি। তিনি জানান, এর আগে ৩৫ থেকে ৪০ কেজি ওজনের মাছ এসেছিল। এত বড় মাছ এই প্রথম। তাছাড়া গঙ্গার মাছের বরাবরই বিশাল চাহিদা থাকে। এবারেও তার অন্যথা হয়নি। তার ওপর এতো বড় মাছ।

    কী বললেন ক্রেতারা (Malda)?

    এমন বিরাট মাছ দেখে ক্রেতারা (Malda) যে কতখানি উল্লসিত, তা তাঁদের চোখমুখই বলে দিচ্ছিল। এক ক্রেতা জানান, এমনিতেই গঙ্গার মাছের প্রতি তাঁদের বরাবর আলাদা একটা টান আছে। তার ওপর এতো বড় মাছ দেখে তাঁদের চোখ জুড়িয়ে গেছে। এমন বিরল অভিজ্ঞতা যাতে চিরস্থায়ী হয়, তার জন্য তাঁরা এই ঘটনা মোবাইলে ক্যামেরাবন্দিও করছেন। এই মাছের স্বাদ কেমন হবে, তা ভেবেও অনেকে রোমাঞ্চিত। সব মিলিয়ে গোটা বাজার জুড়ে যেন উৎসবের আমেজ।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • Recruitment Scam: চার্জশিটে অভিষেকের নাম! দুর্নীতির টাকায় বিপুল সম্পত্তি কালীঘাটের কাকুর, দাবি ইডির

    Recruitment Scam: চার্জশিটে অভিষেকের নাম! দুর্নীতির টাকায় বিপুল সম্পত্তি কালীঘাটের কাকুর, দাবি ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘কালীঘাটের কাকু’ ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রর (Kalighater Kaku) বিপুল সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে চলেছে ইডি। সুজয়ের বিরুদ্ধে কলকাতার নগর দায়রা আদালতে ১২৬ পাতার মূল চার্জশিট পেশ করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। চার্জশিটে ইডি-র (ED) দাবি, এ পর্যন্ত সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রর ১১ টি সম্পত্তির হদিশ মিলেছে। এই সব সম্পত্তির মধ্যে রয়েছে একাধিক ফ্ল্যাট, বিভিন্ন জায়গায় জমি। এই সমস্ত সম্পত্তিই কেনা হয়েছে কালীঘাটের কাকু, তাঁর স্ত্রী বাণী ভদ্র ও কাকুর নিয়ন্ত্রিত দুটি কোম্পানির নামে। নিয়োগ দুর্নীতির (Recruitment Scam) মামলায় ইডি-র চার্জশিটে, প্রথমবার উল্লেখ করা হয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) নাম। 

    অভিষেক ঘনিষ্ঠ কালীঘাটের কাকু

    চার্জশিটের ২২ নম্বর পাতায় ইডি দাবি করেছে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ এই কালীঘাটের কাকু। যুব তৃণমূলের তৎকালীন সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আর্থিক বিষয়গুলি দেখাশোনা করতেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। ২৬ নম্বর পাতায়, কালীঘাটের কাকুর বয়ানের একাংশ তুলে ধরেছে ইডি। চার্জশিটে দাবি করা হয়েছে, সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র জানিয়েছেন, তিনি লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের একজন কর্মী ছিলেন। ইডির চার্জশিটে কালীঘাটের কাকুর সঙ্গে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পর্ক, লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের সঙ্গে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রর নিয়ন্ত্রণাধীন কোম্পানি এস ডি কনসালটেন্সির যোগ, লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের অফিস থেকেই এস ডি কনসালটেন্সির কাজকর্ম পরিচালনা এবং পরিবর্তে মোটা টাকা লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের অ্য়াকাউন্টে ঢোকার মতো একাধিক চাঞ্চল্য়কর দাবি করা হয়েছে। 

    আরও পড়ুন: ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’-তে জোর! কম্পিউটার-ল্যাপটপের আমদানিতে ‘নিষেধাজ্ঞা’ কেন্দ্রের

    চার্জশিটে ইডি-র দাবি

    ইডি সূত্রে খবর, নিয়োগকাণ্ডে চাকরিপ্রার্থীদের (Recruitment Scam) কাছ থেকে তোলা অবৈধ টাকা সাদা করতে নামে-বেনামে একাধিক সম্পত্তি কিনেছিলেন সুজয়কৃষ্ণ। ১২৬ পাতার চার্জশিটের ৮৩ নম্বর পাতায় বলা হয়েছে, সুজয়কৃষ্ণের নির্দেশে প্রায় আড়াই কোটি টাকা দিয়ে কলকাতার ভবানীপুরে একটি ফ্ল্যাট কিনেছিলেন দেবরূপ চট্টোপাধ্যায় নামে এক ব্যক্তি। এই দেবরূপ হলেন সুজয়কৃষ্ণের মেয়ে পারমিতা চট্টোপাধ্যায়ের স্বামী। চার্জশিটে বলা হয়েছে, ফ্ল্যাটটি কিনতে জামাইকে দিবাকর খেমকা নামের এক ব্যক্তি এবং তাঁর অধীনস্থ সংস্থার কাছ থেকে প্রায় ২ কোটি ৬০ লক্ষ টাকার ঋণ পাইয়ে দিয়েছিলেন সুজয়কৃষ্ণ। ইডির দাবি, ‘ওয়েলথ উইজার্ড’ নামের একটি সংস্থার কাছ থেকে আরও ৪৫ লক্ষ টাকা ঋণের বন্দোবস্ত করে দিয়েছিলেন ‘কালীঘাটের কাকু’। 

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ministry Of Commerce: ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’-তে জোর! কম্পিউটার-ল্যাপটপের আমদানিতে ‘নিষেধাজ্ঞা’ কেন্দ্রের

    Ministry Of Commerce: ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’-তে জোর! কম্পিউটার-ল্যাপটপের আমদানিতে ‘নিষেধাজ্ঞা’ কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ল্যাপটপ, ট্যাবলেট, কম্পিউটার আমদানির ক্ষেত্রে অবিলম্বে নিষেধাজ্ঞা জারি করল কেন্দ্রীয় সরকার (Ministry Of Commerce)। ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ ফরেন ট্রেডের পক্ষ থেকে বৃহস্পতিবার একটি নোটিশ জারি করা হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে, এখন থেকে ল্যাপটপ, ট্যাবলেট, অল ইন ওয়ান পার্সোনাল কম্পিউটার এবং কম্পিউটারে ব্যাবহৃত যন্ত্র আমদানি করা যাবে না। তবে একটি ল্যাপটপ বিদেশ থেকে বৈধ কাগজ নিয়ে দেশে প্রবেশের ক্ষেত্রে কোনও বাধা থাকছে না। তাই ব্যাগেজ সিস্টেমে কোনও বদল আনা হয়নি। তবে আগের মতোই সরকারকে দিতে হবে ইমপোর্ট ডিউটি। দেখাতে হবে লাইসেন্স।

    কেন নিষেধাজ্ঞা

    রিসার্চ ও ডেভেলপমেন্ট কাজে ব্যাবহৃত কম্পিউটারের যন্ত্রাংশ আমদানি করা যাবে। তবে একবারে সেই আমদানীকৃত যন্ত্রাংশের সংখ্যা ২০-র বেশি হলে চলবে না। তবে এই সকল আমদানিকৃত কম্পিউটার যন্ত্রাংশ বিক্রি করা হবে না বলে উল্লেখ করতে হবে। কেন্দ্রীয় বানিজ্য মন্ত্রকের (Ministry Of Commerce) এই নোটিস ঘিরে শুরু হয়েছে জল্পনা। বিশেষজ্ঞের ধারণা, ল্যাপটপ, পার্সোনাল কম্পিউটার, ট্যাবলেট আমদানি করার ফলে অনেক বৈদেশিক মুদ্রা খরচ হয় ভারতের। দেশে যদি এই জিনিসগুলি আরও বেশি মাত্রায় তৈরি হয় তাহলে শুধু অর্থনীতি মজবুত হবে না, অনেকটাই দাম কমে যাবে ল্যাপটপ, ট্যাবলেট এবং পার্সোনাল কম্পিউটারের। তাতে আরও গতি পাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ প্রজেক্ট। 

    আরও পড়ুন: রেলমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক, ভেলোরের জন্য ট্রেনের দাবি জানালেন সাংসদ সুকান্ত মজুমদার

    বেকায়দায় চিন

    ইতিমধ্যে বহু বিদেশি কোম্পানি ভারতে বিনিয়োগে উৎসাহ দেখিয়েছে। এই বিধিনিষেধের জেরে আরও অনেকে আগ্রহী হবে। কারণ ভারতের বাজার অনেক বড়। তাছাড়া ল্যাপটপ, ট্যাবলেট এবং যে সব কম্পিউটার আমদানি করা হয় তার অধিকাংশই চিনের তৈরি। তাই কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্ত এক ঢিলে দুই পাখি মারবে বলে মত অনেকের। চিনের অর্থনীতি দুর্বল হবে। আর শক্তিশালী হবে ভারতের অর্থনীতি।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nandigram: ‘‘নন্দীগ্রামে শীঘ্রই শুরু হবে রেল প্রকল্পের কাজ’’, বললেন দক্ষিণ-পূর্ব রেলের জিএম

    Nandigram: ‘‘নন্দীগ্রামে শীঘ্রই শুরু হবে রেল প্রকল্পের কাজ’’, বললেন দক্ষিণ-পূর্ব রেলের জিএম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার রেলের কু ঝিকঝিক আওয়াজ শুনতে পাবেন হয়তো নন্দীগ্রামের (Nandigram) বাসিন্দারা। রেল সূত্রে খবর, নন্দীগ্রাম রেল প্রকল্পের কাজ পুনরায় চালু করার সম্প্রতি নির্দেশিকা জারি করেছিল রেলওয়ে বোর্ড। তমলুকের সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী এই প্রকল্প শুরু করার আবেদন জানিয়ে যে চিঠি দিয়েছিলেন রেল মন্ত্রককে, তাতে সাড়া মিলেছে। শীঘ্রই কাজ শুরু করার জন্য বুধবার এলাকা পরিদর্শনে আসেন রেলের আধিকারিকরা।  নন্দীগ্রাম-দেশপ্রাণ রেল প্রকল্পের দৈর্ঘ ২২ কিমি লম্বা। এর মধ্যে ১৮.৫ কিলোমিটার রেললাইনের কাজ হবে নন্দীগ্রাম থেকে। দেশপ্রাণ স্টেশনের আগে দিঘা-তমলুক রেললাইনের সঙ্গে তা সংযুক্ত হবে।

    রেল প্রকল্প নিয়ে কী বললেন দক্ষিণ-পূর্ব রেলওয়ে শাখার জেনারেল ম্যানেজার?

    দক্ষিণ-পূর্ব রেলওয়ে শাখার জেনারেল ম্যানেজার অনিলকুমার মিশ্র বলেন, ‘ কিছু সময়ের জন্য প্রকল্পটি ফ্রিজ করে দেওয়া হয়েছিল। এখন নতুন করে এই প্রোজেক্ট নিয়ে কাজ শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই একটি এজেন্সি কাজ শুরু করেছে। অধিগৃহীত জমিগুলিকে নতুন করে চিহ্নিত করতে হবে। তারপর নন্দীগ্রামের (Nandigram) দিক থেকে দেশপ্রাণ অভিমুখে কাজ শুরু হয়ে যাবে।’ কত দিনে শেষ হবে প্রকল্পের কাজ? এই প্রশ্নের জবাবে অনিলবাবু বলেন,‘১৮.৫কিলোমিটারের অনুমোদন মিলেছে। সময় তো লাগবেই। তবে আমরা দ্রুত কাজ শুরু করছি। যত শীঘ্র সম্ভব এই লাইনে ট্রেন চলাচল শুরু করার বিষয়ে আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা চালাচ্ছি।’

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    কেন্দ্রের ইউপিএ সরকারের রেলমন্ত্রী থাকাকালীন মমতার উদ্যোগে দেশপ্রাণ নন্দীগ্রাম (Nandigram) রেল প্রকল্পটির সূচনা হয়। এই লাইনটি যুক্ত হচ্ছে দিঘা তমলুক রেল লাইনের দেশপ্রাণ স্টেশনের কাছে। পরে সম্পূর্ণ স্থগিত করে দেওয়া হয় এই প্রকল্পের কাজ। স্থানীয়েরাও আশা প্রায় ছেড়েই দিয়েছিলেন। সেই প্রকল্পের কাজ শুরু হওয়ার ঘোষণার পর এবার নতুন করে আশায় বুক বাঁধছেন এলাকাবাসী। রেলের আধিকারিকরা পরিদর্শনের সময় বিজেপি নেতা কর্মীরাও হাজির হয়েছিলেন। বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলার সহ সভাপতি অভিজিৎ মাইতি বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভুল প্রকল্পের জন্য এই কাজ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। নতুন করে প্রকল্পের কাজ শুরু হচ্ছে জেনে ভাল লাগছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Balurghat: রেলমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক, ভেলোরের জন্য ট্রেনের দাবি জানালেন সাংসদ সুকান্ত মজুমদার

    Balurghat: রেলমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক, ভেলোরের জন্য ট্রেনের দাবি জানালেন সাংসদ সুকান্ত মজুমদার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের সঙ্গে দেখা করে দক্ষিণ দিনাজপুর (Balurghat) জেলার জন্য একগুচ্ছ রেল প্রকল্প ও নতুন রেল পরিষেবা চালুর দাবিপত্র তুলে দিলেন বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। ২০২৪ লোকসভা ভোটে জেলার রেল পরিষেবার উন্নয়ন সহ একাধিক কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সফল বাস্তবায়নকেই পাখির চোখ করতে চলেছে বিজেপি। বিভিন্ন সময় সুকান্ত মজুমদার জেলা সফরে এসে রেল প্রকল্পের হাল হাকিকত খতিয়ে দেখতে মাঠে নামেন। পার্লামেন্টের অধিবেশন চলছে। এই সময় সুকান্ত মজুমদার দিল্লিতে রয়েছেন। তাই বেশ কিছু প্রকল্প নিয়ে অশ্বিনী বৈষ্ণবের সঙ্গে দেখা করে সেগুলির বাস্তবায়নের দাবি জানালেন তিনি।

    কোন কোন প্রকল্প (Balurghat) নিয়ে কথা হল?

    জেলার জনগণের চিকিৎসার সুবিধার জন্য বালুরঘাট (Balurghat) থেকে কাটপাটি (ভেলোর) পর্যন্ত একটি নতুন ট্রেন চালুর প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি। এছাড়াও প্রচুর বাংলাদেশি নাগরিক হিলি স্থলবন্দর দিয়ে বালুরঘাট হয়ে কলকাতা বা শিলিগুড়ি গিয়ে সেখান থেকে চিকিৎসার জন্য ভেলোরে যান। বালুরঘাট থেকে সরাসরি ভেলোর ট্রেন চালু হলে এই সুবিধা শুধু জেলার মানুষ নয়, বাংলাদেশিরাও পাবেন। বালুরঘাট, বুনিয়াদপুর ও গঙ্গারামপুর রেল স্টেশনকে অমৃত ভারত প্রকল্পে এনে স্টেশনের আধুনিকীকরণের প্রস্তাব রেখেছেন সুকান্ত মজুমদার। গাজোল-গুঞ্জরিয়া ভায়া ইটাহার বুনিয়াদপুর রেল প্রকল্পের ঘোষণা হয়েছিল ২০১০ সালে। জমি চিহ্নিতকরণের কাজ হয়েছে। কিন্তু পরের কাজ হয়নি। সেই প্রকল্পেরও দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি করেছেন তিনি।

    এছাড়া, প্রস্তাবিত বুনিয়াদপুর-কালিয়াগঞ্জ রেলপথ সম্প্রসারণে জমি অধিগ্রহণ করে রেলপথ নির্মাণ যাতে দ্রুত শুরু হয়, সেই বিষয়েও কথা বলেছেন রেলমন্ত্রীর সঙ্গে। বালুরঘাট থেকে শিয়ালদা পর্যন্ত একটি নতুন ট্রেন চলাচলের প্রস্তাব আগেই রেখেছিলেন সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। কিন্তু অন্য ট্রেনের সঙ্গে টাইম ম্যাচ না করায় এই ট্রেন দেওয়া যাচ্ছে না বলে দাবি করেছিলেন সুকান্ত। এবার হাটে বাজারে এক্সপ্রেসের নতুন টাইম সিডিউল করার মাধ্যমে নতুন ট্রেনের টাইম টেবিল পাওয়া যাবে বলে দাবি তাঁর। এছাড়াও দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর বুনিয়াদপুরে একটি স্টেডিয়াম নির্মাণের প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি। কোচবিহার থেকে দেওঘর পর্যন্ত ভায়া মালদা একটি নতুন ট্রেন চালুর কথাও বলেছেন তিনি।

    কী বলছেন সুকান্ত মজুমদার এবং জেলার বিশিষ্টরা (Balurghat)?

    সুকান্ত মজুমদার বলেন, দক্ষিণ দিনাজপুরে (Balurghat) রেলের উন্নতিকল্পে যা যা করা দরকার, সে বিষয়ে সম্পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন রেলমন্ত্রী। সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের এহেন ভূমিকায় খুশি দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বাসিন্দারা। হিলি এসআইবি কলেজের অধ্যাপক তথা গঙ্গারামপুরের বাসিন্দা অভিজিৎ সরকার বলেন, সাংসদের এহেন পদক্ষেপ খুবই ইতিবাচক এবং বাস্তবিক। এর দ্বারা আমরা প্রত্যক্ষভাবে লাভবান হব। সাংসদ সুকান্ত মজুমদারকে ধন্যবাদ। কবি ও সাহিত্যিক তথা বালুরঘাটের বাসিন্দা বঙ্গরত্ন বিশ্বনাথ লাহা বলেন, খুবই ভাল উদ্যোগ। আমরা আশা করি সাংসদের দেওয়া প্রস্তাবগুলি ফলপ্রসূ হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • SSC Protest: করুণাময়ীর পর কালীঘাট! নিয়োগের দাবিতে চাকরিপ্রার্থীদের জোড়া অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার

    SSC Protest: করুণাময়ীর পর কালীঘাট! নিয়োগের দাবিতে চাকরিপ্রার্থীদের জোড়া অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সকালে সল্টলেক। দুপুরে হাজরা মোড়। ২০১৬ সালের উচ্চ প্রাথমিকে (আপার প্রাইমারি) চাকরিপ্রার্থীদের জোড়া অভিযানে ধুন্ধুমার কাণ্ড শহরের দুই প্রান্তে। 

    বৃহস্পতিবার সকাল সকাল চাকরিপ্রার্থীদের বিক্ষোভ ঘিরে ধুন্ধুমার কাণ্ড বেঁধে যায় সল্টলেকে। এদিন সল্টলেকে এসএসসির দফতর আচার্য সদনের সামনে চাকরিপ্রার্থীদের বিক্ষোভ ঘিরে তুমুল গণ্ডগোল বাধে। বিনা অনুমতিতে কলকাতার করুণাময়ী এলাকায় আচার্য সদনের গেটের সামনে নিয়োগের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন ২০১৬ সালের উচ্চ প্রাথমিক চাকরিপ্রার্থীরা।  চাকরিপ্রার্থীদের দাবি একটাই, প্রকাশ করতে হবে আপার প্রাইমারির প্যানেল৷ 

    সকাল সকাল বিক্ষোভ 

    বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা ২০ মিনিট নাগাদ সল্টলেকের এসএসসির দফতর আচার্য সদনের সামনে পৌঁছন ২০১৬ সালের উচ্চ প্রাথমিক এবং এসএলএসটি চাকরিপ্রার্থীরা৷ তারপরে সামনে থালা রেখে, কালো ব্যাজ পরে, প্ল্যাকার্ড হাতে চলে বিক্ষোভ, প্রতিবাদ৷ বিক্ষোভের খবর পেয়েই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে পৌঁছন পূর্ব বিধাননগর থানার পুলিশ৷ আসে র‌্যাফের একটি বাহিনীও। পুলিশের দাবি, কোনও বৈধ অনুমতি না থাকলেও আচার্য সদনের গেট ভেঙে ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করেন বিক্ষোভকারীরা৷ সেই সময়েই বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে খানিক ধাক্কাধাক্কি হয় পুলিশের৷ পরে বিক্ষোভকারী চাকরিপ্রার্থীদের প্রিজন ভ্যানে তুলে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়৷

    আরও পড়ুুন: গণনায় কারচুপি! বড়জোড়ার বিডিও-এসডিওকে হাজিরার নির্দেশ হাইকোর্টে

    চাকরিপ্রার্থীদের দাবি

    চাকরিপ্রার্থীদের দাবি, ১৪ হাজার ৩৩৯ শূ্ন্যপদ থাকলেও দীর্ঘ সাড়ে নয় বছর যাবৎ তাঁরা চাকরি পাননি। হাইকোর্টের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও কোনও প্যানেল গঠন করা হয়নি বলেও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন চাকরিপ্রার্থীরা। তাঁদের দাবি, অবিলম্বে প্যানেল প্রকাশ করে যোগ্য প্রার্থীদের নিয়োগ করতে হবে। মাতঙ্গিনী হাজরার মূর্তির পাদদেশে ২৪৪ দিন ধরে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা। যোগ্য প্রার্থীদের নিয়োগ না হলে চাকরিপ্রার্থীরা আরও বৃহত্তর আন্দোলনের পথে হাঁটবেন বলেও দাবি করেছেন।  ২০১৪ সালে টেটের বিজ্ঞপ্তির পর ২০১৫ সালে পরীক্ষায় বসেন এই চাকরিপ্রার্থীরা। ২০১৬ সালে ইন্টারভিউয়ের জন্য নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিও পান তাঁরা। প্রসঙ্গত, গত বুধবার এমএলএ হস্টেলের বাইরে রাস্তায় বসে পড়ে প্ল্যাকার্ড হাতে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন এসএলএসটি চাকরিপ্রার্থীরা৷ 

    দুপুরে হাজরা মোড়ে তুলকালাম

    করুণাময়ী থেকে সরে আন্দোলনকারীরা হাজরা মোড়ে এসে জড়ো হন। তাঁদের পরিকল্পনা ছিল, মেট্রো করে এসে হাজরায় জমায়েত করে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির দিকে যাওয়া। সেই মতো, হাজরায় জড়ো হন তাঁরা। চাকরি প্রার্থীদের একাংশ যতীন দাস পার্ক মেট্রো স্টেশনে নামার পরেই তাঁদের অনেককে পুলিশ আটক করে বলে অভিযোগ। চাকরিপ্রার্থীদের টেনে হিঁচড়ে পুলিশ সরিয়ে দেয় বলেও অভিযোগ। কয়েক জন চাকরিপ্রার্থী অসুস্থ হয়ে মাটিতে পড়ে যান। মেট্রোর ভিতরে ঢুকেও বিক্ষোভ দেখাতে দেখা যায় আন্দোলনকারীদের একাংশকে। বেআইনি ভাবে জমায়েত এবং বিক্ষোভ প্রদর্শনের অভিযোগ হাজরা মোড় এবং সংলগ্ন অঞ্চল থেকে ৪০ জন বিক্ষোভকারীকে আটক করে কালীঘাট এবং ভবানীপুর থানার পুলিশ।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share