Tag: Madhyom

Madhyom

  • Buddhadeb Bhattacharjee: গুরুতর অসুস্থ বুদ্ধদেব ভটাচার্য! ভর্তি কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালে

    Buddhadeb Bhattacharjee: গুরুতর অসুস্থ বুদ্ধদেব ভটাচার্য! ভর্তি কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য (Buddhadeb Bhattacharjee)। রক্তে অনেকটাই কমে গিয়েছে অক্সিজেনের মাত্রা। বর্তমানে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর অক্সিজেনের মাত্রা নেমে এসেছে ৭০-এ। এছাড়া ঘন ঘন শ্বাসকষ্টের সমস্যাও দেখা দিয়েছে একদা বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর। সূত্রের খবর, তাঁকে আলিপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। শুক্রবার রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে (Buddhadeb Bhattacharjee) বালিগঞ্জের পাম অ্যাভিনিউয়ের বাড়ি থেকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় বলে খবর। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রয়েছেন আইসিইউ-তে। এদিনে বিকেল ৪টে ২০ মিনিটে হাসপাতালে পৌঁছে যায় অ্যাম্বুল্যান্স। তাঁকে আপাতত অ্যাম্বুব্যাগ দেওয়া হয়েছে। হাসাপাতালে রয়েছেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের সন্তান সুচেতন ভট্টাচার্য। হাসাপাতাল থেকে এখনও কোনও মেডিক্যাল বুলেটিন প্রকাশ করা হয়নি।

    শনিবার সকাল থেকেই অসুস্থতা বৃদ্ধি পেতে থাকে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের

    জানা গিয়েছে, শনিবার সকাল থেকেই অসুস্থতা বৃদ্ধি পেতে থাকে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের (Buddhadeb Bhattacharjee)। তখনই চিকিৎসকরা তাঁকে বাড়িতে পরীক্ষা করেন। এরপর তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তাঁর পাম অ্যাভিনিউয়ের বাড়িতে আনা হয় অ্যাম্বুল্যান্স। চিকিৎসকরা তাঁকে নিয়ে রওনা হন আলিপুরের হাসপাতালের দিকে। জানা গিয়েছে, হাসপাতাল যাওয়ার পথে বুদ্ধদেবের শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হয়। সে জন্য পথেই আলিপুরের বেসরকারি হাসপাতাল থেকে পাঠানো হয় ক্রিটিক্যাল কেয়ার অ্যাম্বুল্যান্স।

    শেষবার তিনি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন করোনা কালে 

    চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, বুদ্ধদেবের (Buddhadeb Bhattacharjee) সিওপিডি-র সমস্যা রয়েছে। ২০২১ সালে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় তিনি কোভিড আক্রান্ত হয়েছিলেন। এমন পরিস্থিতিতে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে। সে বছর ২৫ মে তাঁকে একই বেসরকারি হাসপাতালেই করানো হয়। জানা গিয়েছে, সেবছর ২ জুন আলিপুরের হাসপাতাল থেকে ছুটি পান তিনি।

     

    আরও পড়ুুন: “মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রির চক্র চলছে…ফাঁসি হওয়া উচিত ”, বিস্ফোরক রাজ্যপাল

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: ‘‘ছাব্বিশের ভোটের আগেই নতুন দল’’! শোকজের চিঠি পেয়েই হুঙ্কার হুমায়ুন কবীরের

    Murshidabad: ‘‘ছাব্বিশের ভোটের আগেই নতুন দল’’! শোকজের চিঠি পেয়েই হুঙ্কার হুমায়ুন কবীরের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর আজ সাংবাদিকদের সামনে বললেন, ‘‘২০২৬-এর আগামী বিধানসভা ভোটের আগেই আমি নতুন দল তৈরি করবো।’’ বর্তমানে আমি তৃণমূলের বিধায়ক, ২০২৪ সালে পার্লামেন্ট ভোটে দেখে নেবো, আর তারপরেই দল গঠন করব। তৃণমূলের তরফ থেকে শোকজের অভিযোগ করা হলে, উত্তরে এমনই মন্তব্য করেন এই তৃণমূল বিধায়ক। তাঁর এই মন্তব্যে রাজনৈতিক মহলে তীব্র উত্তেজনা শুরু হয়েছে।

    নতুন দল গঠন করবেন (Murshidabad)

    পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় পর্ব থেকেই হুমায়ুন কবীর দলের জেলা এবং রাজ্য নেতৃত্বের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন। দল এবার শোকজ করলে, তিনি সাংবাদিকদের সামনে নতুন দল তৈরির কথা বলেন। বিধায়ক হুমায়ুন কবীর বলেন, “যদি আমার কাছ থেকে তৃণমূল কংগ্রেস করার অধিকার ছিনিয়ে নেওয়া হয়, তাহলে আমি নতুন দল গঠন করবো এবং তা হবে ২০২৬ সালের ভোটের আগেই”। সেই সঙ্গে আরও বলেন, “আমি যে শুধু মুখে বলি তা নয়, ভবিষ্যতে আপনারা দেখতেও পাবেন। এই দল মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) দল হবে না, সারা পশ্চিমবঙ্গ ব্যাপী হবে। দল যখন খুলবো তখন দেখবেন, নর্থ, সাউথে কোথায় আমার কত লোক রয়েছে। সব দেখতে পাবেন ধৈর্য ধরুন।” এই প্রসঙ্গে উল্লেখ করে আরও বলেন, “মার্কসবাদী দল আমি করব না। কারণ বিগত ৩০ বছর রাজনীতি করেছি আর এর মধ্যে বামপন্থীরা ২৭ টি রাজনৈতিক কেস আমাকে দিয়েছে। এক সময় কংগ্রেস দলও করেছি, এখন আমি তৃণমূল কংগ্রেস করছি, তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক।”

    কবে থেকে তৃণমূল করতেন?

    হুমায়ুন বলেন, “১৯৯৭ সালে তৃণমূল কংগ্রেস তৈরির আগে আমি মুর্শিদাবাদে (Murshidabad) কংগ্রেস করতাম। তখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কংগ্রেসের যুব সভানেত্রী এবং সৌমেন মিত্র প্রদেশ সভাপতি। এই তৃণমূল দলটা তো তখন কয়েকজন মিলে তৈরি করা হয়েছিল। এই দলের রেজিস্ট্রেশন কার নামে আছে! তার কপি আমার কাছে আছে। সুতরাং হয়তো কেউ কেউ ভাবছেন আমি মুখে বলছি, হুংকার দিচ্ছি, কিছুই হবে না! তাঁদের উদ্দেশ্যে বলছি ধৈর্য ধরুন ২০২৪ সাল পর্যন্ত, এরপর দেখবেন হুমায়ুন মুখে যা বলে, কাজেও তাই করে।” তিনি এই বিষয়ে আরও বলেন, “মানুষের পিঠ যখন দেওয়ালে ঠেকে যায় তখন মানুষ বাঁচার জন্য তার শেষ চেষ্টা করে। আমারও ঠিক তাই, কিছু করেই মরবো।”

    জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ

    মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে হুমায়ুন বলেন, “জেলানেত্রী আশায় বুক বেঁধেছেন যে হুমায়ুনকে দল বার করে দিলে তাঁদের লুটপাট ভালই চলবে। আজ দু’ঘণ্টা আগে শোকজের চিঠি পেয়েছি। আর চার দিন ধরে শোকজের চিঠি সোশ্যাল মিডিয়াতে ঘুরে বেড়াচ্ছে। আজ বারোটার সময় আমার ছেলে চিঠি রিসিভ করছে। আগামী ৭ দিনের মধ্যে তার উত্তর আমি তৈরি করে বিধানসভায় উপস্থিত হবো। এরপর হাতে হাতে চিঠিটা রিসিভ করে নিয়ে আসবো।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Humayun Kabir: ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীরকে শো-কজ তৃণমূলের, পাল্টা তোপ নেতার

    Humayun Kabir: ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীরকে শো-কজ তৃণমূলের, পাল্টা তোপ নেতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীরকে শো-কজ করল দল। শনিবার দলের তরফে তাঁকে শো-কজের চিঠি পাঠানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিধানসভায় নাম না করে পঞ্চায়ত ভোটে হুমায়ুনের ভূমিকা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার এক দিন পরে বিধায়ককে শোকজ করল দল। 

    কী বলেছিলেন হুমায়ুন

    শুক্রবার বিধানসভায় প্রশ্ন উত্তর পর্বে হুমায়ুন কবীর এ রাজ্যের মুসলিম মহিলাদের আর্থিক অবস্থা ভালো নয় বলে মন্তব্য করেন। যা রীতিমতো দলের পক্ষে অস্বস্তিকর।  কেন হঠাৎ করে হুমায়ুন এরকম মন্তব্য করলেন? তা নিয়েই রীতিমতো ক্ষুব্ধ দল। হুমায়ুন বলেন, ‘রাজ্যে মুসলিম মহিলাদের আর্থিক অবস্থা ভালো নয়। মুসলিম মহিলাদের লক্ষ্মীর ভান্ডারে ১ হাজার টাকা দেওয়া যায় কি? প্রশ্ন তোলেন তিনি। প্রস্তাব রাখেন, ‘অন্তত ওবিসি মুসলিম মহিলাদের ১ হাজার টাকা করে দেওয়া হোক।’ তৃণমূল বিধায়কের এই বক্তব্যে রীতিমতো শোরগোল পড়ে যায় বিধানসভায়।

    আরও পড়ুুন: প্রযুক্তি সংস্থাগুলিকে ৫০ শতাংশ আর্থিক সাহায্য দেওয়ার কথা ঘোষণা মোদির

    কেন শোকজ

    হুমায়ুন কবীর বর্তমানে বিধানসভার দু’টি স্থায়ী (স্ট্যান্ডিং) কমিটিতে আছেন। ‘পেপার লেড স্ট্যান্ডিং কমিটি’-র চেয়ারম্যান পদে রয়েছেন ভরতপুরের বিধায়ক। এর সঙ্গে বিদ্যুৎ দফতরের স্থায়ী কমিটির সদস্য হিসেবেও তিনি কাজ করছেন। এদিন বিধায়ক শো-কজের চিঠি পাওয়ার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, তাঁর ছেলে এই চিঠি শনিবার সকালে নিয়েছেন। দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সির সই করা লেটারহেডে এই চিঠি এসেছে। তিনি যথা সময়ে চিঠির উত্তর দেবেন বলে জানিয়েছেন বিধায়ক। পঞ্চায়েত নির্বাচনে দল বিরোধী কাজ করার অভিযোগে তাঁকে শোকজ নোটিস ধরানো হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। হুমায়ুন বলছেন, আগামী দিনে তিনি শোকজের যথাযথ উত্তর দিয়ে নেতৃত্বের আস্থা অর্জনের চেষ্টা করবেন। কিন্তু যদি সেক্ষেত্রে ব্যর্থ হন, তাহলে কী পদক্ষেপ করবেন তিনি, সেটি অবশ্য স্পষ্ট করেননি। তবে এটা বলেছেন, ‘‘যতদিন আমার শরীর-স্বাস্থ্য ঠিক থাকবে, রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকব।’’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dengue Deaths in Kolkata: ডেঙ্গিতে ফের মৃত্যু শহরে, আতঙ্ক ম্যালেরিয়াও, অভিযোগ মেয়রকে

    Dengue Deaths in Kolkata: ডেঙ্গিতে ফের মৃত্যু শহরে, আতঙ্ক ম্যালেরিয়াও, অভিযোগ মেয়রকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডেঙ্গির জেরে আবার মৃত্যু শহরে। মৃতার নাম অণিমা সর্দার (৪৫)। ওই মহিলা এম আর বাঙুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। এর ফলে ডেঙ্গিতে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে হল ৬। তবে বেসরকারি সূত্র অনুযায়ী, এই নিয়ে গত কয়েক দিনে রাজ্যে মশাবাহিত ওই রোগে মৃতের সংখ্যা হল আট। পরিস্থিতি ক্রমশ জটিল হওয়ায় রাজ্যের মুখ্যসচিব থেকে শুরু করে কলকাতার মেয়রও প্রতিনিয়ত বৈঠকে বসছেন। একের পর এক নির্দেশিকা জারি করছে স্বাস্থ্য দফতর। হাসপাতাল সূত্রের খবর, অনিমার বাড়ি বারুইপুরে।

    নির্দেশিকা জারি স্বাস্থ্য দফতরের

    সূত্রের খবর, বারুইপুরের বাসিন্দা অণিমা কলকাতা পুরসভার ১২৫ নম্বর ওয়ার্ডের ঠাকুরপুকুরে কয়েক মাস ধরে ভাড়া থাকছিলেন। তিনি পরিচারিকার কাজ করতেন। কয়েক দিন ধরেই জ্বরে ভুগছিলেন। তাঁকে বিদ্যাসাগর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার অবস্থার অবনতি হওয়ায় অণিমাকে এম আর বাঙুরে স্থানান্তরিত করা হয়। ডেঙ্গিতে মৃত্যু বাড়ছে তা নিয়ে বিধানসভায় সোচ্চার হতে চলেছে বিরোধী দল বিজেপি। ডেঙ্গি পরিস্থিতি ক্রমশ জটিল হচ্ছে দেখে রাজ্যের মুখ্যসচিব থেকে শুরু করে কলকাতার মেয়রও প্রতিনিয়ত বৈঠক করছেন। এমনকী একের পর এক নির্দেশিকা জারি করছে স্বাস্থ্য দফতর। এই সমস্যা শুধু কলকাতায় নয়, গোটা রাজ্যেই বেড়ে চলেছে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা। আর তার পর মৃত্যু। ডেঙ্গি দমনে গ্রামবাংলায় কাজে নামবেন বিভিন্ন দফতরের কর্মীরা। 

    আরও পড়ুন: হাইকোর্টে ধাক্কা খেল রাজ্য! রামনবমী মামলা ফিরিয়ে দিলেন বিচারপতি

    দোসর ম্যালেরিয়া

    রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় ডেঙ্গি ও ম্যালেরিয়া, দুয়েরই প্রকোপ ক্রমশ বাড়ছে। এমতাবস্থায় ওই দুই রোগের চিকিৎসা ও পরীক্ষা ব্যবস্থাপনার বিষয়ে নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে স্বাস্থ্য দফতর। যেখানে ডেঙ্গি অথবা ম‌্যালেরিয়া পরীক্ষা কখন করতে হবে, অথবা দু’টি পরীক্ষা কত দিনের ব‌্যবধানে করতে হবে, সব বলা রয়েছে। যে সব ব্লকে ম‌্যালেরিয়া ও ডেঙ্গির জোড়া আক্রমণ হচ্ছে, সেই সব এলাকায় স্বাস্থ‌্য দফতর শুক্রবার থেকে শিবিরের আয়োজনও করছে। মেয়র নিজে জানান, শহরে অনেক বাড়ি তালাবন্ধ পড়ে আছে। সেখানে কলকাতা পুরসভা সহজে ঢুকতে পারছে না। বহু জমির মালিককেই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। আর সেই পরিত্যক্ত জমিতে মানুষজন ময়লাও ফেলেন। সেখান থেকে মশার উপদ্রব বাড়ছে। শুধু শহরে নয়, গ্রামবাংলাতেও ডেঙ্গি ছড়িয়েছে। গোটা পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হয়েছে, বলে জানান মেয়র ফিরহাদ হাকিম।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Earthquake: গভীর রাতে দুলে উঠল আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ! কম্পনের মাত্রা ৬.০

    Earthquake: গভীর রাতে দুলে উঠল আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ! কম্পনের মাত্রা ৬.০

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার রাতে ভূমিকম্পে (Earthquake) কেঁপে উঠল আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ। জানা গিয়েছে, রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৬.০। ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি বা এনসিএস জানিয়েছে, শুক্রবার রাত ১টা নাগাদ রাজধানী পোর্ট ব্লেয়ার থেকে প্রায় ১২৬ কিলোমিটার দূরে দক্ষিণ-পূর্ব দিকে এই ভূমিকম্প (Earthquake) হয়। এখনও পর্যন্ত ভূমিকম্পে ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের কোনও খবর সেভাবে পাওয়া যায়নি। ভূমিকম্পের পর আজ শনিবার আফটার শক হতে পারে বলেই জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত সেভাবে কোনও ক্ষয়ক্ষতি অথবা প্রাণহানির খবর সামনে আসেনি।

    ভূমিকম্পের (Earthquake) উৎসস্থল

    এনসিএস জানিয়েছে, ভূমিকম্পটির (Earthquake) কেন্দ্র ছিল মাটির ৬৯ কিলোমিটার গভীরে। কিন্তু ভিন্নমত জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স। তারা ‘জার্মান রিসার্চ সেন্টার ফর জিওসায়েন্সেস (জিএফজেড)’-কে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে যে, মাটি থেকে ১০ কিলোমিটার গভীরে এই ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল।

    ২০২৩ সালে এই নিয়ে তৃতীয় ভূমিকম্প

    প্রসঙ্গত এটাই প্রথম নয়, চলতি বছরে এই নিয়ে তৃতীয় বার ভূমিকম্প হল আন্দামানে। এর আগে গত জানুয়ারিতে, আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের আন্দামান সাগরে ভূমিকম্প হয়। রিখটার স্কেলে মাত্রা ছিল ৪.৯। গত মার্চ মাসেও নিকোবর অঞ্চলে ভূমিকম্প (Earthquake) হয়, রিখটার স্কেলে মাত্রা ছিল ৫। ফের হল জুলাইতে। প্রসঙ্গত, গত ২০২২ সালের জুলাই মাসে ৪ ও ৫ তারিখ কম্পন অনুভূত হয়। প্রথম কম্পন অনুভূত হয়েছিল ৪ জুলাই ৫টা ৪২ মিনিটে। এরপর ৫ জুলাই সকাল থেকে ২১ বার অনুভূত হয় কম্পন।

     

    আরও পড়ুুন: “মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রির চক্র চলছে…ফাঁসি হওয়া উচিত ”, বিস্ফোরক রাজ্যপাল

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Cricket World Cup 2023: ১০ অগাস্ট থেকে অনলাইন বুকিং! বিশ্বকাপে থাকছে না ই-টিকিট, জানালেন জয় শাহ

    Cricket World Cup 2023: ১০ অগাস্ট থেকে অনলাইন বুকিং! বিশ্বকাপে থাকছে না ই-টিকিট, জানালেন জয় শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী এক দিনের বিশ্বকাপে কোনও ই-টিকিট থাকছে না। দর্শকদের মাঠে ঢুকতে হবে ছাপা টিকিট দেখিয়ে। যাঁরা ইন্টারনেটে টিকিট কাটবেন, তাঁদের ছাপা টিকিট সংগ্রহ করেই নাঠে ঢুকতে হবে। যাঁরা ইন্টারনেটে টিকিট কাটবেন, তাঁদের ছাপা টিকিট সংগ্রহ করেই মাঠে ঢুকতে হবে, বোর্ড সচিব জয় শাহ একথা জানিয়েছেন।

    ৭-৮টি কেন্দ্র থেকে ফিজিক্যাল টিকিট

    ভারতের মাটিতে হতে চলা ওডিআই বিশ্বকাপের টিকিট অনলাইনে বুক করা গেলেও ম্যাচ দেখতে যাওয়ার সময় ই-টিকিট দেখালে চলবে না। পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন বিসিসিআই সেক্রেটারি জয় শাহ। অর্থাৎ, অনলাইনে টিকিট বুক করার পর দর্শকদের সেই টিকিটের হার্ড কপি সংগ্রহ করতে হবে। বিসিসিআই সচিব জয় শাহ জানান, এখন ই-টিকিটের ব্যবস্থা করতে পারছে না বোর্ড। টিকিটের হার্ড কপি থাকলে তবেই দর্শকরা মাঠে প্রবেশ করতে পারবেন। ৭-৮টি কেন্দ্র থেকে ফিজিক্যাল টিকিট সংগ্রহ করতে হবে দর্শকদের। জয় শাহ আরও বলেন, ‘আমেদাবাদ এবং লখনউয়ের মতো বেশি দর্শক আসনের ভেনুতে ই-টিকিটের ব্যবস্থা করা কঠিন। বিসিসিআই দ্বি-পাক্ষিক সিরিজে আগে ই-টিকিট চালু করবে। তারপর বিশ্বকাপের মতো মাল্টি-নেশন ইভেন্টে ই-টিকিটের সুবিধে আনবে।’

    কবে থেকে টিকিট

    জয় শাহ জানান, শীঘ্রই বিসিসিআই এবং আইসিসি যৌথ ভাবে টিকিট সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য ঘোষণা করবে। তিনি বলেন, ‘টিকিটের বিষয়ে রাজ্য সংস্থাগুলির সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। ৯০% অ্যাসোসিয়েশন ম্যানিফেস্ট নিয়ে এসেছিল। এক-দু’টি সংস্থার কাছে তা প্রস্তুত ছিল না। এর জন্য আমরা তাদের সোমবার অবধি সময় দিয়েছি। এর পর আইসিসি এবং বিসিসিআই যৌথ ভাবে টিকিটের মূল্য সহ সব তথ্য ঘোষণা করবে।’

    আরও পড়ুন: বিশ্বের বহত্তম জাদুঘর! মোদি জমানায় দিল্লিতে নির্মাণ হচ্ছে ‘যুগে যুগেন ভারত’

    বিশ্বকাপের ক্রীড়া সূচি ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই ক্রিকেট প্রেমীদের একটাই প্রশ্ন ছিল কবে থেকে ও কীভাবে টিকিট পাওয়া যাবে। খুব সম্ভবত ১০ আগস্ট অন লাইন প্রথম দফার টিকিট ছাড়া হবে। এমনটাই জানা গিয়েছে আইসিসি সূত্রে। এদিকে আগামী বছর টি ২০ বিশ্বকাপের আসর বসবে আমেরিকা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে। মার্কিন মুলুকে ফ্লোরিডা, মরিস ভিলে, ডালাস ও নিউ ইয়র্কে ম্যাচগুলি হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • SSC: ১৩২৪ জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার নিয়োগ স্টাফ সিলেকশন কমিশনে! কীভাবে করবেন আবেদন?

    SSC: ১৩২৪ জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার নিয়োগ স্টাফ সিলেকশন কমিশনে! কীভাবে করবেন আবেদন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চাকরিপ্রার্থীদের জন্য সুখবর! চলতি বছরে স্টাফ সিলেকশন কমিশনে (SSC) বিপুল নিয়োগ হতে চলেছে। কর্মী নিয়োগ হবে জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার পদে। কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন বিভাগ ও মন্ত্রকে এই নিয়োগ হবে। কমিশনের ওয়েবসাইটে ইতিমধ্যে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। শুরু হয়ে গিয়েছে অনলাইন আবেদন প্রক্রিয়াও। প্রার্থী বাছাই করা হবে কম্পিউটার ভিত্তিক পরীক্ষার (SSC) মাধ্যমে। আবেদনের শেষ দিন আগামী ১৬ অগাস্ট।

    একনজরে নিয়োগের খুঁটিনাটি

    শূন্যপদ

    কমিশনের (SSC) বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, মোট ১,৩২৪ পদে নিয়োগ করা হবে।

    বয়সসীমা

    দফতর অনুযায়ী বয়সসীমা আলাদা আলাদা রয়েছে। তবে সব বিভাগেই প্রার্থীদের ১৮-৩২ বছরের মধ্যে বয়স হতে হবে। যদিও সংরক্ষিত ক্যাটাগরির প্রার্থীদের বয়সের ছাড় রয়েছে।

    বেতনক্রম

    বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী সপ্তম বেতন কমিশনের সুপারিশে মাহিনা পাবেন প্রার্থীরা। সেক্ষেত্রে মাসিক বেতনক্রম হবে ৩৫,৪০০- ১,১২,৪০০ টাকা। 

    শিক্ষাগত যোগ্যতা

    প্রার্থীকে (SSC) অবশ্যই টেকনিক্যাল কোর্সের ছাত্র হতে হবে। সিভিল, ইলেকট্রিক্যাল , মেকানিক্যাল এবং কোয়ানটিটি সার্ভেইং অ্যান্ড কনট্র্যাক্ট বিভাগে স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিই/বিটেক পাশের সার্টিফিকেট থাকতে হবে। অথবা ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ডিপ্লোমা থাকতে হবে।

    আবেদন ফি

    সাধারণ ক্যাটাগরির প্রার্থীদের জন্য ১০০ টাকা আবেদন ফি জমা দিতে হবে। তবে এসসি, এসটি সহ অন্যান্যা প্রার্থীদের কোনও আবেদন ফি জমা লাগবে না বলেই জানিয়েছে কমিশন (SSC)।

    পরীক্ষা কবে হবে?

    প্রার্থীদের প্রথমে অনলাইনে কম্পিউটার ভিত্তিক পরীক্ষা দিতে হবে বলে জানিয়েছে কমিশন (SSC)। এরপর সেই পরীক্ষায় পাশ করলে ডেসক্রিপটিভ পরীক্ষায় বসা যাবে এবং পরবর্তী পর্যায়ে নথি যাচাই করা হবে। আবেদনকারীদের অনলাইনে পরীক্ষা হবে ৯, ১০ ও ১১অক্টোবর।

    কীভাবে আবেদন করতে হবে

    ১) প্রথমে এসএসসির (SSC) অফিসিয়াল ওয়েবসাইট ssc.nic.in -তে যেতে হবে।

    ২) এবার হোমপেজে রিক্রুটমেন্ট অপশনে ক্লিক করুন।

    ৩) এবার একটি নতুন লগ ইন পেজ খুলে যাবে।

    ৪) নিজের নাম রেজিস্টার করুন এবার।

    ৫) আবেদনপত্র খুলে যাবে তা পূরণ করুন।

    ৬) আবেদন ফি এবং আবেদনপত্র সাবমিট করুন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dengue: গ্রামে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে বলেই ডেঙ্গির বাড়বাড়ন্ত! যুক্তি ফিরহাদ হাকিমের

    Dengue: গ্রামে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে বলেই ডেঙ্গির বাড়বাড়ন্ত! যুক্তি ফিরহাদ হাকিমের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আচমকা ডেঙ্গির (Dengue) বাড়বাড়ন্তে নাজেহাল রাজ্য। আর নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী থেকে শুরু করে তাবড় নেতা-মন্ত্রীরা এবার এমন সব যুক্তি সামনে আনছেন, যা শুনে অনেকেই আড়ালে মুচকি হাসছেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতে, ডেঙ্গি নাকি আসছে বাংলাদেশ থেকে। দুদিন আগেই মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, বাংলাদেশ থেকে যাঁরা আসছেন, তাঁরা এই ডেঙ্গি রোগ বহন করে নিয়ে আসছেন। কলকাতার মেয়র তথা রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম আবার শুক্রবার নতুন তত্ত্ব সামনে আনলেন। তিনি বললেন, রাজ্যে উন্নয়নের জন্যই নাকি দিনকে দিন বেড়ে চলেছে ডেঙ্গির প্রকোপ। সেই কারণেই নাকি এবার ডেঙ্গির প্রকোপ শহরের তুলনায় গ্রামে বেশি।

    কী কী যুক্তি খাড়া করলেন ফিরহাদ?

    বীরভূম জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল ওরফে কেষ্ট বলেছিলেন, রাজ্যে ব্যাপক হারে উন্নয়ন হয়েছে। বাড়ি থেকে বেরলেই দেখতে পাবেন, রাস্তার ওপর উন্নয়ন দাঁড়িয়ে আছে। কিন্তু সেই উন্নয়ন যে এবার কাল হয়ে দাঁড়াবে, সেটা হয়তো একমাত্র ফিরহাদ হাকিম ছাড়া আর কেউই ভাবতে পারেননি। প্রতি বছরের মতো এবছরও বর্ষা আসতেই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে ডেঙ্গির আক্রমণ। আর ঠিক এই জায়গা থেকেই শুক্রবার ছিল টক টু মেয়র অনুষ্ঠান। সেখানেই সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, শহর কলকাতায় সেই অর্থে এখনও পর্যন্ত ডেঙ্গির (Dengue) প্রকোপ দেখা দেয়নি। এর জন্য এখন থেকেই মানুষকে অনেক বেশি সচেতন হতে হবে। আর এরপরেই তিনি বলেন, শহর কলকাতার থেকে গ্রামীণ অঞ্চলে এখন ডেঙ্গির প্রকোপ মারাত্মকভাবে বেড়ে চলেছে। কারণ, গ্রামাঞ্চলে আগে টিনের চালা বাড়ি বা একচালা বাড়ি থাকতো, এখন সেই সমস্ত বাড়ি আর নেই। এখন সেইসব জায়গায় উন্নয়ন হয়ে যাওয়ার ফলে হয়েছে প্রচুর পরিমাণে পাকা বাড়ি। আগে এমনি নর্দমা থাকত, পাশে গোবর পড়ে থাকত। কিন্তু এখন সেই সব জায়গায় হয়েছে একেবারেই পাকা নর্দমা। যার ফলে এই সমস্ত জায়গায় জল জমছে এবং সেখান থেকেই ডেঙ্গির মশা জন্মগ্রহণ করে ব্যাপক আকার ধারণ করছে, যার ফল অত্যন্ত খারাপ এবং ভয়াবহ।

    উন্নয়নই কি তাহলে কাল হল!

    এতদিন ধরে শাসক দল তথা তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা-মন্ত্রী থেকে শুরু করে নেত্রী পর্যন্ত সকলেই এক কথায় বলতেন, রাজ্যের উন্নয়ন রাস্তায় বেরলেই দেখা যায়। তার কারণ সে তো আগেই বলে গেছেন অনুব্রত মণ্ডল, “উন্নয়ন দাঁড়িয়ে আছে রাস্তার ওপর”। ৩৪ বছরের বামফ্রন্ট সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করে মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২০১১ সালে। তখন থেকেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ তার দলের সকলেই এক সুরে বলে চলেন, আজও রাজ্যে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। তাহলে এই উন্নয়ন কোন উন্নয়ন? যে উন্নয়নের ফলে এইরকম ভয়াবহ ডেঙ্গির (Dengue) প্রকোপ দিনকে দিন বেড়েই চলে, সেই উন্নয়ন? বিরোধীরা এমনই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘‘আইপ্যাক-কে ১৫২ কোটির টেন্ডার পাইয়ে দিতে দুর্নীতি করেছেন মমতা’’! বিস্ফোরক শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: ‘‘আইপ্যাক-কে ১৫২ কোটির টেন্ডার পাইয়ে দিতে দুর্নীতি করেছেন মমতা’’! বিস্ফোরক শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্নীতি ইস্যুতে ফের রাজ্য সরকারকে নিশানা করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। একইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। তাঁর দাবি, ‘ওয়েবেলের থেকে নিয়ে ডব্লুটিএলকে টেন্ডার পাইয়ে দেওয়া হয়েছে।’ মোট ১৫২ কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ বিরোধী দলনেতার। ‘আইপ্যাককে ১৫২ কোটি টাকা পাইয়ে দিয়েছে স্বরাষ্ট্র দফতর’, বিস্ফোরক দাবি শুভেন্দুর। বিষয়টি নিয়ে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে চিঠিও পাঠিয়েছেন বিরোধী দলনেতা।

    শুভেন্দুর অভিযোগ

    শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘গ্রিভান্স সেলের পরিকাঠামো তৈরির জন্য তথ্য ও প্রযুক্তি দফতরকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। কয়েকটি সংস্থা টেন্ডার প্রক্রিয়া অংশগ্রহণ করে। দিল্লির একটি সংস্থা নিয়মমাফিক টেন্ডার পায়। কিন্তু পছন্দের সংস্থা না হওয়ায় স্বরাষ্ট্র দফতরের তরফে টেন্ডার বাতিল করতে বলা হয়। কিন্তু তথ্য ও প্রযুক্তি দফতরের আধিকারিকরা তা করতে রাজি ছিলেন না। কিন্তু পরবর্তী সময় আইপ্যাক ঘনিষ্ঠ সংস্থা দায়িত্ব পায়। আমার ধারণা এই ঘটনার সঙ্গে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী যুক্ত।’

    প্রমাণিত চুরি

    শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) আরও বলেন, ‘এটা প্রমাণিত চুরি, সব তথ্যপ্রমাণ আছে। জনগণের করের টাকা কারচুপি হয়েছে। এই ১৫২ কোটি টাকা তৃণমূলের কাছ গিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গকে ধ্বংসের জায়গায় নিয়ে যাচ্ছে তৃণমূল।’ এই নিয়ে মুখ্যসচিবের কাছে নথি চেয়ে পাঠানো উচিত রাজ্যপালের, দাবি শুভেন্দু অধিকারীর। তাঁর আরও দাবি, ‘ইডি বা আয়কর দফতরকে নিয়ে তদন্ত করানো হোক। চাইলে আদালত কোনও নিরপেক্ষ সংস্থাকে দিয়ে তদন্ত করাতে পারে। এই দুর্নীতির সাফাই দিতে হবে মুখ্যমন্ত্রীকে। এটা প্রমাণিত দুর্নীতি, এই নিয়ে শ্বেতপত্র প্রকাশ করা উচিত মুখ্যমন্ত্রীর। এই দুর্নীতির সঙ্গে সরাসরি জড়িত মুখ্যমন্ত্রীর দফতর।’

    আরও পড়ুুন: “কৃষ্ণ-রুক্মিণীর বিয়ে লাভ জিহাদ”! কংগ্রেস নেতার বিতর্কিত মন্তব্যের কী জবাব দিলেন হিমন্ত?

    রাজ্যপালের হস্তক্ষেপ দাবি

    এদিন আরও এক বিস্ফোরক দাবি করেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। বিরোধী দলনেতা বলেন, ‘আমাকে এই নথি বড়বড় আইএএস অফিসাররা দিয়েছেন। সরকারে সবাই অসৎ এমনটা নয়।’ এই ‘দুর্নীতি’-র বিরুদ্ধে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন শুভেন্দু। বিরোধী দলনেতা বলেন, ‘রাজ্যপাল দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করতে চান। উনি আজ মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ নিয়ে কথা বলেছেন বলে শুনলাম। আশা করব রাজ্যপাল আমার অভিযোগ পেয়েছেন। আপনার কাছে অনুরোধ মুখ্যসচিবকে বলে যাবতীয় নথি আনান। নথি খতিয়ে দেখে যদি কোনও সত্যতা পান, তবে সরকারকে ইডিকে দিয়ে তদন্ত করার অনুরোধ করুন। এটা জনস্বার্থের বিষয়। দরকার হলে কয়েকদিন বাদে আইনত ব্যবস্থা নেব।’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Biometrics of Myanmar Refugees: মায়ানমারের শরণার্থীদের জন্য ‘বায়োমেট্রিক’ পরীক্ষা চালু করছে কেন্দ্র

    Biometrics of Myanmar Refugees: মায়ানমারের শরণার্থীদের জন্য ‘বায়োমেট্রিক’ পরীক্ষা চালু করছে কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মায়ানমার থেকে ভারতে প্রবেশ করা শরণার্থীদের কাছ থেকে এবার ‘বায়োমেট্রিক’ তথ্য সংগ্রহ করবে সরকার। বায়োমেট্রিক হল মানুষের শারীরিক বা আচরণগত বৈশিষ্ট্যের উপর ভিত্তি করে শনাক্তকরণ পদ্ধতি। মূলত আঙুলের ছাপ, মুখ, আইরিস, কন্ঠস্বর, ডিএনএ, হাতের ছাপ এবং স্বাক্ষর দিয়ে বায়োমেট্রিক করা হয়। মেইতেই-কুকি সংঘর্ষে আগুন জ্বলছে মণিপুর জুড়ে। এরই মধ্যে, ভারত-মায়ানমার সীমান্ত পেরিয়ে অন্তত ৭১৮ জন শরণার্থী মায়ানমার থেকে মণিপুরে প্রবেশ করেছে বলে সম্প্রতি জানিয়েছিল অসম রাইফেলস। সেই আবহেই সরকারের এই সিদ্ধান্ত।

    বায়োমেট্রিক তথ্য থেকে বিশেষ তালিকা প্রস্তুত

    সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, মায়ানমার থেকে আগত শরণার্থীদের বায়োমেট্রিক তথ্য থেকে বিশেষ একটি তালিকা তৈরি করা হবে। সেই তালিকা ঠিক করা দেবে, কাদের ভারতের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে এবং কাদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে না। পাশাপাশি ভারত-মায়ানমার সীমান্তে বেড়া দেওয়ার কাজও জোর কদমে শুরু হয়ে গিয়েছে। এখনও পর্যন্ত, মণিপুর-মিজোরাম সীমানার প্রায় ১০ কিলোমিটার এলাকা বেড়া দেওয়ার কাজ শেষ হয়েছে। সীমানায় বেড়া তৈরির দায়িত্ব যে সংস্থাগুলিকে দেওয়া হয়েছে, তাদের যত দ্রুত সম্ভব কাজ শেষ করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে সরকারের তরফে।

    আরও পড়ুুন: “কৃষ্ণ-রুক্মিণীর বিয়ে লাভ জিহাদ”! কংগ্রেস নেতার বিতর্কিত মন্তব্যের কী জবাব দিলেন হিমন্ত?

    মায়ানমার সীমান্ত থেকে অনুপ্রবেশ

    মেইতেই সম্প্রদায়ভুক্তেরা বহু দিন ধরেই অভিযোগ করে আসছে যে, কুকিরা মায়ানমার সীমান্তের ওপার থেকে অবৈধভাবে সে রাজ্যে অনুপ্রবেশ করছে এবং মণিপুরের বনাঞ্চলে বসতি তৈরি করছে। আর তাই জাতীয় নাগরিক পঞ্জি বাস্তবায়নের দাবিতেও তাদের বেশ কয়েকটি সংগঠন চলতি বছরের মার্চ মাসে দিল্লির যন্তর মন্তরে বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করেছিল। সম্প্রতি, মণিপুরের চান্দেল জেলার ডেপুটি কমিশনারকে অসম রাইফেলস জানিয়েছে, ২২ এবং ২৩ জুলাই – এই দুই দিনের মধ্যেই বিপুল পরিমাণ শরণার্থী প্রবেশ করেছে মণিপুরে। মণিপুরের মতো, বর্তমানে সংঘর্ষ চলছে সীমান্তের ওই পাড়ের মায়ানমারেও। বর্তমানে, সীমান্তবর্তী খাম্পাতে সেনার সঙ্গে মায়ানমারের বিদ্রোহী যোদ্ধাদের তীব্র লড়াই চলছে। সেই সংঘর্ষ এড়াতেই, মায়ানমার থেকে দলে দলে মানুষ চান্দেল জেলার মধ্য দিয়ে মণিপুরে অনুপ্রবেশ করছে। মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং এর সরকারও জানিয়েছিল, জুলাই মাসে মায়ানমার থেকে ৭০০-রও বেশি মানুষ অবৈধ ভাবে সে রাজ্যে অনুপ্রবেশ করেছেন। মণিপুরের সরকার আরও জানিয়েছিল, রাজ্যের বর্তমান আইনশৃঙ্খলার কথা মাথা রেখে অনুপ্রবেশের ঘটনাগুলিতে অত্যন্ত সংবেদনশীল ভাবে পদক্ষেপ করা হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share