Tag: Madhyom

Madhyom

  • Suvendu Adhikari: ‘লিনিং টাওয়ার অফ পিসি’! বাঘাযতীনকাণ্ডে তীব্র কটাক্ষ শুভেন্দুর, আক্রমণ মেয়রকেও

    Suvendu Adhikari: ‘লিনিং টাওয়ার অফ পিসি’! বাঘাযতীনকাণ্ডে তীব্র কটাক্ষ শুভেন্দুর, আক্রমণ মেয়রকেও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতার বাঘাযতীনে চারতলা ফ্ল্যাটবাড়ি হেলে পড়ার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। ঠিকাদার সংস্থার পাশাপাশি কলকাতা পুরসভার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এই আবহের মধ্যে এবার কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম ও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করতে গিয়ে চূড়ান্ত হাস্যরস ও ‘সৃষ্টিশীলতা’র পরিচয় দিলেন বাংলার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।

    ‘লিনিং টাওয়ার অফ পিসি’! (Suvendu Adhikari)

    বৃহস্পতিবার সকালে নিজের এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট করেছেন শুভেন্দু। সেই পোস্টে রয়েছে একটি ‘ক্রিয়েটিভ’ এবং তার ক্যাপশন হিসেবে কিছু লেখা। সেই ক্রিয়েটিভের বাঁদিকে রয়েছে ইতালির বিশ্ববিখ্যাত স্থাপত্য তথা আধুনিক জগতের অন্যতম বিস্ময়— ‘লিনিং টাওয়ার অফ পিসা’। এর ঠিক পাশেই, ক্রিয়েটিভের ডানদিকের অংশে রয়েছে বাঘাযতীনের সেই হেলে পড়া বহুতল। যার ওপরে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) ক্যাপশনে লিখেছেন— ‘লিনিং টাওয়ার অফ পিসি’!

    কেন শুভেন্দু এহেন একটি ক্যাপশন দিলেন, তার ব্যাখ্যায় না গিয়ে বরং দেখে নেওয়া যাক, নন্দীগ্রামের বিধায়ক ওই পোস্টে আর কী লিখেছেন! তিনি সরাসরি নিশানা করেছেন মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে। কলকাতার মেয়রের উদ্দেশ করে শুভেন্দু লিখেছেন, ‘‘কলকাতার আধুনিক স্থপতি। মেয়র জনাব ফিরহাদ হাকিম সাহেব কলকাতাকে এমনই সব স্থাপত্য বিস্ময়ে ভরিয়ে তুলছেন! গার্ডেনরিচ থেকে বাঘাযতীন (Baghajatin), সিটি অফ জয় এখন সিটি অফ ভয়-তে পরিণত হয়েছে। বাসিন্দারা সারাক্ষণ উদ্বেগে রয়েছেন – এই বুঝি পাশের বাড়িটা তাঁদের ওপর হেলে পড়ল।”

    কী বললেন শুভেন্দু?

    এই ঘটনার প্রেক্ষিতে ‘তৃণমূল-প্রোমোটার-কেএমসি’-এর মধ্যে অসাধু আঁতাঁত নিয়েও সরব হয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর (Suvendu Adhikari) অভিযোগ, এই অসাধু আঁতাঁতে ভর করেই কলকাতা শহরে বেআইনিভাবে ‘জলাজমি ভরাট করে বেআইনি নির্মাণ করা হচ্ছে। ত্রুটিপূর্ণ বহুতলের নকশায় অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে এবং ঘুষের বিনিময়ে বেআইনি নির্মাণ করা হচ্ছে। শুভেন্দুর আরও অভিযোগ, এতকিছু হওয়ার পরও ‘পরিদর্শনের অভাব’ পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলছে।

    আরও পড়ুন: লক্ষ্য ছিল সইফের ছোট ছেলে জেহ্! পুলিশকে দেওয়া পরিচারকের বয়ানে হাড়হিম করা তথ্য

    নেটিজেনরা এই পোস্টে মজেছেন

    শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) এই পোস্ট দেখে নেট নাগরিকরা যে বেজায় মজা পেয়েছেন, তা ভালোই বোঝা যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই ২৮ হাজারেরও বেশি মানুষ এই পোস্ট দেখেছেন। এটি রিপোস্ট করা হয়েছে প্রায় ২৫০ বার। সঙ্গে বহু নেট ইউজার মজার মজার সব কমেন্টও করেছেন। প্রসঙ্গত, বাঘাযতীনে বহুতল হেলে পড়া নিয়ে ইতিমধ্যেই বিস্তর জলঘোলা হয়েছে। সূত্রের দাবি, বেআইনিভাবে জলাজমি ভরাট করে এই বাড়ি নির্মাণ করা হয়েছিল। ফলে বছর ১০-১১ যেতে না যেতেই বাড়ি হেলতে শুরু করে। তারপর সেই বাড়ি সোজা করার জন্য অদক্ষ শ্রমিকদের কাজে লাগানো হয়। এমনকী, বাড়ি সোজা করার প্রক্রিয়া চলাকালীন সেখানে কোনও স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়রও ছিলেন না বলে অভিযোগ। ফলস্বরূপ – ভয়ঙ্করভাবে বাড়ির একতলার পিলার ও একাংশ ভেঙে যায় এবং বাড়িটি আরও বিপজ্জনকভাবে একদিকে হেলে পড়ে। আরও বিস্ময়কর বিষয় হল, বেআইনি এই বাড়ি থেকে রীতিমতো পুরকরও আদায় করা হচ্ছিল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • 8th Pay Commission: আগামী বছর থেকেই অষ্টম বেতন কমিশন, কত মাইনে বাড়বে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের? 

    8th Pay Commission: আগামী বছর থেকেই অষ্টম বেতন কমিশন, কত মাইনে বাড়বে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের? 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মকর সংক্রান্তিতে কেন্দ্র সরকারি কর্মচারীদের উপহার দিল মোদি সরকার (Modi Government)। বৃহস্পতিবার অষ্টম বেতন কমিশন (8th Pay Commission) গঠনে অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। তারপর থেকেই কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের ফের বেতন বৃদ্ধি নিয়ে জল্পনা তীব্র হয়েছে। ন্যূনতম বেতন কত হবে, কী কী সুবিধা পাওয়া যাবে, মহার্ঘভাতায় কতটা বৃদ্ধি দেখা যাবে, সবই এখন আলোচনা সাপেক্ষ। তবে, অষ্টম পে কমিশন ২০২৬ সালের ১ জানুয়ারি থেকেই লাগু হতে চলেছে, বলে খবর। খুব শীঘ্রই এই কমিশনের জন্য চেয়ারম্যান ও দুই সদস্যকে নিয়োগ করবে কেন্দ্র, জানিয়েছেন মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব।

    কত টাকা হবে বেতন

    শেষবার ২০১৬ সালে সপ্তম বেতন কমিশন গঠন করেছিল কেন্দ্র। শেষ গঠিত কমিশনের হাত ধরে এক ধাক্কায় ১১ হাজার টাকা বেসিক পে বেড়েছিল কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের। এবার পালা অষ্টম বেতন কমিশনের (8th Pay Commission) । শোনা যাচ্ছে এবার, ‘ফিটমেন্ট ফ্যাক্টর’ ২.৫৭ থেকে বাড়িয়ে ২.৮৬ হতে পারে। এর অর্থ কর্মীদের বেসিক বেতন বাড়বে হু হু করে। অর্থাৎ কারও বেসিক বেতন যদি ১৮ হাজার টাকা থাকে, তাঁর বেসিক বেতন বেড়ে হবে ৫১ হাজার ৪৮০ টাকা। ‘ফিটমেন্ট ফ্যাক্টর’ হল বেতন এবং পেনশন গণনার জন্য ব্যবহৃত একটি একক। ৫০ লক্ষেরও বেশি কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীরা এর ফলে বেসিক থেকে, অ্য়ালাওন্সেস, পেনশন ও অন্য়ান্য সুযোগ সুবিধা- সবেতেই লাভবান হবেন। এর জেরে একদিকে ডিএ বাড়বে, বাড়বে পেনশনভোগীদের ডিআর। প্রসঙ্গত, ৬৫ লক্ষ পেনশনভোগীরা এই পে কমিশনের সুবিধা পাবেন। স্বাভাবিক ভাবেই শুরু হয়ে গিয়েছে হিসেব কষা।

    রাজ্যের সঙ্গে ফারাক

    বেতন কমিশন (8th Pay Commission) নিয়ে সিদ্ধান্ত ঘোষণার পরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এক্স-হ্যান্ডলে লিখেছেন, ‘‘অষ্টম বেতন কমিশনের সিদ্ধান্তে জীবনযাত্রার মান বাড়বে, কেনাকাটার বাজার চাঙ্গা হবে।’’ কেন্দ্রীয় সচিবালয় সার্ভিস ফোরাম এই সিদ্ধান্তের জন্য মোদি সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকের পরে তথ্য-সম্প্রচার মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব বলেন, নয়া কমিশন রাজ্য সরকার ও সব মহলের সঙ্গে আলোচনা করবে। তারপরই কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। পশ্চিমবঙ্গে এখন ষষ্ঠ বেতন কমিশন চলছে। যার মেয়াদ ২০২৫-এর শেষে ফুরিয়ে যাওয়ার কথা। আজ কেন্দ্রের (Modi Government) সিদ্ধান্তের পরে রাজ্যের সরকারি কর্মচারীরা প্রশ্ন তুলেছেন, পশ্চিমবঙ্গ সরকার কবে সপ্তম বেতন কমিশন গঠন করবে? এমনিতেই কেন্দ্রের সঙ্গে রাজ্যের কর্মীদের মহার্ঘ ভাতার ফারাক এখন ৩৯ শতাংশ। এরপর তা আরও বাড়বে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • 8th Pay Commission: অষ্টম পে কমিশনকে অনুমোদন মোদি সরকারের, মমতাকে ডিএ নিয়ে খোঁচা শুভেন্দুর

    8th Pay Commission: অষ্টম পে কমিশনকে অনুমোদন মোদি সরকারের, মমতাকে ডিএ নিয়ে খোঁচা শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অষ্টম বেতন কমিশন (8th Pay Commission) গঠনে অনুমোদন দিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। মূলত কেন্দ্রীয় সরকারের আওতায় কর্মরত চাকরিজীবীদের বেতন ও মহার্ঘভাতার কাঠামো নির্ধারণ করে থাকে এই বেতন কমিশন। সিদ্ধান্ত নেয় বেতন বৃদ্ধির বিষয়েও। বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ মোদির নেতৃত্বেই নতুন বেতন কমিশন গঠনে অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা, দাবি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের। যদিও এই খবর সামনে আসতে না আসতেই রাজ্যকে তীব্র খোঁচা দিলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। রাজ্যের সরকারি কর্মীরা ঠিক কতটা ‘বঞ্চনার’ শিকার হচ্ছেন সেই তথ্য তুলে ধরে সোশ্যাল মাধ্যমে পোস্ট করলেন বিজেপি নেতা।

    শুভেন্দুর কটাক্ষ রাজ্যকে

    কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতার ফারাক ৩৯ শতাংশ। দাবি করছেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, সুপ্রিম কোর্টে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা বা ডিএ কেন্দ্রিক মামলার শুনানি বছরের পর বছর পিছিয়ে যাচ্ছে। দেশের শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতিরা অবসর নিয়ে নিচ্ছেন। কিন্তু সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা বা ডিএ মামলার শুনানির দিন ক্রমশ পিছিয়ে যাচ্ছে। এই আবহে কেন্দ্র সরকার অষ্টম বেতন কমিশনের অনুমোদন দিতেই শুভেন্দু লেখেন, “যশস্বী প্রধানমন্ত্রী কেন্দ্রীয় অষ্টম পে-কমিশনের অনুমোদন দিয়েছেন। যার ফলে ৪৯ লক্ষেরও বেশি কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারী এবং ৬৮ লক্ষ পেনশনভোগী উপকৃত হবেন।” এরপরই রাজ্যের বৈষম্য নিয়ে কথা বলতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যয়কে খোঁচা দিয়ে লিখছেন, “ঋণে জর্জরিত পশ্চিমবঙ্গ সরকার ষষ্ঠ পে-কমিশনে বাঁধা পড়ে রয়েছে। কারণ, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিনের পরদিন ঋণ বাড়িয়ে চলেছেন।”  

    অষ্টম বেতন কমিশনের ফলে সুবিধা

    বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা অনুমোদন দিয়েছে অষ্টম পে কমিশন (8th Pay Commission) গঠনের। গঠিত হয়েছে এই সংক্রান্ত একটি কমিটিও। প্রসঙ্গত, সপ্তম পে কমিশন গঠিত হয়েছিল ২০১৬ সালে। যার মেয়াদ শেষ হবে ২০২৫ সালের আগামী ৩১ ডিসেম্বর। সুতরাং ২০২৬ সালের ১ জানুয়ারি লাগু হতে চলেছে অষ্টম পে কমিশন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব বলেন, ‘‘শীঘ্রই কমিশনের জন্য চেয়ারম্যান ও দুই সদস্যকে নিয়োগ করবে কেন্দ্র।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Daily Horoscope 17 January 2025: কেনাকাটার জন্য খরচ বাড়তে পারে এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 17 January 2025: কেনাকাটার জন্য খরচ বাড়তে পারে এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) কর্মক্ষেত্রে উন্নতি শেষ মুহূর্তে গিয়ে আটকে যাওয়ায় মনঃকষ্ট।

    ২) সকাল থেকে স্ত্রীর সঙ্গে বিবাদ হতে পারে।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    বৃষ

    ১) ব্যয় বৃদ্ধি পেতে পারে।

    ২) পারিবারিক ভ্রমণে বাধা পড়তে পারে।

    ৩) সতর্ক থাকবেন সব বিষয়ে।

    মিথুন

    ১) কোনও নিকটাত্মীয়ের জন্য সংসারে বিবাদ।

    ২) ব্যবসায় বিবাদের যোগ থাকলেও লাভ বাড়তে পারে।

    ৩) বাণীতে সংযম জরুরি।

    কর্কট

    ১) দুর্বুদ্ধিকে প্রশ্রয় দেবেন না।

    ২) প্রিয়জনের কাছ থেকে আঘাত পেতে পারেন।

    ৩) সবাইকে ভালোভাবে কথা বলুন।

    সিংহ

    ১) ব্যবসার ক্ষেত্রে তর্ক-বিতর্ক ক্ষতি ডেকে আনতে পারে।

    ২) আর্থিক সুবিধা পেতে পারেন।

    ৩) প্রতিকূল কাটবে দিনটি।

    কন্যা

    ১) কর্মক্ষেত্রে উন্নতির যোগ।

    ২) সকালের দিকে কোনও দুশ্চিন্তা মাথা খারাপ করবে।

    ৩) দিনটি ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে।

    তুলা

    ১) বিষয়-সম্পত্তি ক্রয়-বিক্রয় নিয়ে গুরুজনের সঙ্গে মনোমালিন্যের জেরে বাড়িতে বিবাদের সম্ভাবনা।

    ২) কোনও মহিলার জন্য বাড়িতে আনন্দ বৃদ্ধি পেতে পারে।

    ৩) দিনটি মোটামুটি কাটবে।

    বৃশ্চিক

    ১) সকালের দিকে পেটের ব্যথায় কষ্ট পেতে পারেন।

    ২) কেনাকাটার জন্য খরচ বাড়তে পারে।

    ৩) আশাপূরণ।

    ধনু

    ১) কোনও কাজে সময় নষ্ট হতে পারে।

    ২) চাকরির শুভ যোগাযোগ লাভে আনন্দ।

    ৩) ধৈর্য ধরতে হবে।

    মকর

    ১) মা-বাবার সঙ্গে বিশেষ আলোচনা।

    ২) ব্যবসায় লাভের যোগ।

    ৩) গুরুজনের পরামর্শ মেনে চলুন।

    কুম্ভ

    ১) ব্যবসার কাজে মাথাগরম করবেন না।

    ২) বুদ্ধির ভুলের জন্য ক্ষতি হতে পারে। 

    ৩) আশা পূরণ।

    মীন

    ১) মনের মতো স্থানে বেড়াতে যাওয়ায় আনন্দ লাভ।

    ২) মিথ্যা বদনাম থেকে সাবধান।

    ৩) ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে দিনটি।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Childhood Asthma: শৈশবেও জোরালো থাবা হাঁপানির! সন্তানকে কীভাবে সুস্থ ও স্বাভাবিক রাখবেন?

    Childhood Asthma: শৈশবেও জোরালো থাবা হাঁপানির! সন্তানকে কীভাবে সুস্থ ও স্বাভাবিক রাখবেন?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    দূষণ বিশ্বজুড়ে এক গুরুতর সমস্যা হয়ে উঠেছে। বিশেষত বায়ুদূষণ একাধিক রোগের কারণ! বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতোই ভারতেও বায়ুদূষণ একাধিক রোগের কারণ হয়ে উঠছে। গত কয়েক বছরে কলকাতা, দিল্লির মতো বড় শহরে বায়ুদূষণ মারাত্মকভাবে বেড়েছে। আর তার ফল ভুগতে হচ্ছে শিশুদের (Childhood Asthma)। এমনটাই জানাচ্ছে সম্প্রতি প্রকাশিত এক সর্বভারতীয় সমীক্ষা। দেশ জুড়ে বাড়ছে হাঁপানির সমস্যা। বিশেষত শিশুদের মধ্যে এই সমস্যা বাড়ছে। তাই উদ্বিগ্ন চিকিৎসক মহল। তাঁরা জানাচ্ছেন, হাঁপানির মতো রোগ নিয়ে সতর্কতা ও সচেতনতা না বাড়লে আরও বড় বিপদ হতে পারে।

    কী বলছে রিপোর্ট? (Childhood Asthma)

    সম্প্রতি প্রকাশিত এই রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতে হাঁপানিতে ভুক্তভোগীর সংখ্যা বাড়ছে। বিশেষত শিশুদের মধ্যে এই রোগের প্রকোপ বেশি দেখা দিচ্ছে। এক সমীক্ষার রিপোর্ট অনুযায়ী, ১৩ থেকে ১৫ বছর বয়সি ভারতীয় ছেলেমেয়েদের ৫ শতাংশ হাঁপানিতে আক্রান্ত। কিন্তু ২ থেকে ৬ বছর বয়সিদের ৮ শতাংশ শিশু হাঁপানিতে আক্রান্ত হচ্ছে। অর্থাৎ শিশুদের মধ্যে এই সমস্যার প্রকোপ বাড়ছে। যা যথেষ্ট উদ্বেগজনক বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, বায়ুদূষণের জেরেই শিশুদের মধ্যে এই রোগের প্রকোপ বাড়ছে।

    কেন উদ্বেগজনক পরিস্থিতি?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, হাঁপানি নিয়ে সচেতনতা কম। অধিকাংশ অভিভাবকেরা অনেক সময়েই এই রোগ সম্পর্কে ওয়াকিবহাল থাকেন না। ফলে বড় বিপদ হতে পারে। তাঁরা জানাচ্ছেন, প্রথম থেকেই সতর্কতা এবং সচেতনতা থাকলে শিশু সম্পূর্ণ স্বাভাবিক জীবন‌যাপন করতে পারেন। তবে, ফুসফুসের রোগ নিয়ে সচেতনতা জরুরি। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, হাঁপানির (Childhood Asthma) সমস্যা থাকলে অন্যান্য সংক্রামক রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেকটাই বেড়ে যায়। তাই ভাইরাস ঘটিত অসুখ থেকে বাড়তি সতর্কতা নিতে হবে। তাই সন্তানের ঘনঘন কাশি, শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা হলে একেবারেই সময় নষ্ট‌ করা উচিত নয়। চিকিৎসকদের পরামর্শ সন্তানের হাঁপানির মতো সমস্যা থাকলে অভিভাবকদের প্রয়োজনীয় কর্মশালায় অংশগ্রহণ জরুরি। কীভাবে সন্তানকে সুস্থ জীবন‌যাপনে সাহায্য করা যায়, সে সম্পর্কে ওয়াকিবহাল থাকাও দরকার।

    হাঁপানি থাকলেও স্বাভাবিক জীবনযাপন কীভাবে সম্ভব? (Childhood Asthma)

    শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, শিশুর হাঁপানির সমস্যা থাকলেই, সে স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারবে না, এমনটা একদম নয়। বরং, ঠিকমতো চিকিৎসা হলে, সে সুস্থভাবেই জীবনযাপন করতে পারে। তবে সেক্ষেত্রে সচেতনতা এবং সতর্কতা জরুরি। শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, কয়েকটি বিষয় নজর রাখলেই সেই কাজ হবে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শিশুকে এই রোগ সম্পর্কে জানানো জরুরি। সন্তান হাঁপানির (Childhood Asthma) মতো সমস্যায় ভুগলে, তাকে তার সমস্যা সম্পর্কে বুঝিয়ে বলা দরকার। যখন সে সুস্থ থাকবে, তখন তাকে ভালোভাবে বোঝাতে হবে, যাতে সে ভয় না পায়। কিন্তু সতর্ক থাকে। তার ইনহেলার বা যে ওষুধ, বিপদে সাহায্য করতে পারে, সেটাও ভালোভাবে চিনিয়ে দেওয়া জরুরি, যাতে তার বড় কোনও সমস্যা না হয়। সন্তানকে বোঝাতে হবে, এটা এমন কোনও বড় সমস্যা নয়, যার জন্য সে তার সমবয়সিদের মতো জীবনযাপন করতে পারবে না। কোনওভাবেই শিশুকে রোগ নিয়ে ভয় দেখানো চলবে না। খেলার মতো করেই সবটা বোঝাতে হবে। চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় এর নাম প্লে থেরাপি।

    চিকিৎসকদের একাংশের পরামর্শ, সন্তান হাঁপানিতে আক্রান্ত হলে তার স্কুল কর্তৃপক্ষকেও এ ব্যাপারে জানিয়ে রাখা উচিত। যাতে জরুরি পরিস্থিতিতে বড় দুর্ঘটনা না হয়। হাঁপানির মতো সমস্যা থাকলে যেহেতু অন্যান্য ভাইরাসের সংক্রমণে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি, তাই সন্তানকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার দিকে বাড়তি নজরদারি প্রয়োজন। তাকেও এই ব্যাপারে বোঝানো দরকার বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাহলে বারবার ভোগান্তি কম হবে (Normal life)।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mahakumbh Mela 2025: ৮০০০ জন তপশীলি ছাত্র-ছাত্রীদের ‘কুম্ভে দর্শন’-এ আধ্যাত্মিক যাত্রা করবে আরএসএস

    Mahakumbh Mela 2025: ৮০০০ জন তপশীলি ছাত্র-ছাত্রীদের ‘কুম্ভে দর্শন’-এ আধ্যাত্মিক যাত্রা করবে আরএসএস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘ (RSS) ৮০০০ তপশীলি ও সুবিধাবঞ্চিত ছাত্র-ছাত্রীদের ভারতীয় ঐতিহ্য এবং পরম্পরার সঙ্গে সংযুক্ত করতে আধ্যাত্মিক যাত্রা ‘পূর্ণ মহাকুম্ভ দর্শন’ করানোর বিশেষ কর্মকাণ্ড গ্রহণ করেছে। তবে শিক্ষার্থীদের মধ্যে তপশীলি জাতি এবং অন্যান্য দিক থেকে সামজিক ভাবে পিছিয়ে থাকা পড়ুয়ারাই থাকবে। সঙ্ঘের শিক্ষা বিষয়ক সংগঠন বিদ্যাভারতী এই পড়ুয়াদের ভারতের আবহমান কালের সংস্কৃতিক এবং আধ্যাত্মিক ঐতিহ্যের মহাসঙ্গমকে (Mahakumbh Mela 2025) হাতে কলমে দেখার সৌভাগ্য প্রদান করবে। তবে সঙ্ঘের এই ভাবনার মূলে রয়েছে কেবলমাত্র বিশ্বের বৃহত্তম ধর্মীয় সমাবেশে যাওয়া নয়, দারিদ্রতার কারণে আধ্যাত্মিক পরিসর থেকে দূরে থাকা ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে ধর্মভাব, আস্থা এবং বিশ্বাস যুক্ত ভারতীয়ত্ববোধ জাগরণের প্রচেষ্টা।

    প্রথমে অবধ থেকে ২১০০ পড়ুয়াকে পাঠানো হবে (Mahakumbh Mela 2025)

    আগামী ১৬ জানুয়ারি থেকে এই ‘কুম্ভদর্শন যাত্রা’ শুরু হবে। উত্তর প্রদেশের অবধ থেকে ২১০০ পড়ুয়াদের প্রাথমিকভাবে এই আধ্যাত্মিক যাত্রায় প্রয়াগরাজে পাঠানো হবে। এই পড়ুয়াদের মধ্যে সকলের বয়স প্রায় ১০ বছরের ঊর্ধে। সকলেই বিদ্যাভারতীর (RSS) স্কুলের পড়াশুনা করে। উল্লেখ্য সকল ছাত্র-ছাত্রীরা সামাজিক ভাবে আর্থিক দৃষ্টিকোণে দারিদ্র সীমার নিচে বসবাস করে। এই মহাকুম্ভ দর্শনের (Mahakumbh Mela 2025) প্রধান উদ্দেশ্য হল, ভারতের পিছিয়ে পড়া সমাজের ভাবী প্রজন্মরা যাতে ধর্মান্তরকরণের শিকার না হয় এবং সেই দিকে নজর দিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করা। হিন্দু ঐতিহ্য এবং সংস্কারের রূপ সম্পর্কে বিশেষ ধারণা নিয়ে মূল্যবোধের জায়গাকে শক্তিশালী করাই প্রধান উদ্দেশ্য।

    পুণ্য স্নানে কী মোক্ষ কীভাবে মিলবে, আধ্যাত্মিক যোগ কেমন?

    এই মহাকুম্ভে (Mahakumbh Mela 2025) দেশ-বিদেশ থেকে প্রচুর সাধু, সন্ত, সন্ন্যাসী, মুনি, যোগী, ঋষি-সহ প্রচুর পরিমাণে ভক্তের সমাগম হয়েছে। সাধুরা আবার মেলায় নিজের নিজের আখাড়া বা শিবির নির্মাণ করেছেন। এই শিবিরগুলিকে খুব কাছ থেকে দর্শন করানোর ব্যবস্থা করবে সঙ্ঘের বিদ্যাভারতী শাখা। আখড়াগুলিতে কীভাবে আধ্যাত্মিক সাধনা করা হয়, তাঁদের বেঁচে থাকার অভিপ্রায় কেমন? ঈশ্বরের স্বরূপ কীভাবে দেখা হয়, তাঁদের রীতিনীতি, পুজাচার এবং মূল দর্শন কেমন, তা পরিদর্শনের মধ্যে থাকবে। মেলায় পুণ্য স্নান, অমৃত স্নান কেন করা হয়? ইতিহাস কী? পুরাণে কী গল্প কথা রয়েছে? ত্রিবেণী সঙ্গমের অর্থ কী, জীবন কেমন, জগত কেমন, জন্মান্তরবাদ কী, ইত্যাদি বিষয়ে প্রাথমিক ধারণা দেওয়া হবে এই আধ্যাত্মিক যাত্রায়। লক্ষ লক্ষ মানুষের কাছে পাপ কী? পুণ্য কী, স্নানে মোক্ষ কীভাবে মিলবে এই সব কিছুর সঙ্গে আধ্যাত্মিক যোগ কেমন, এই সব কিছুকে পড়ুয়াদের কাছে তুলে ধরা হবে।

    ভারতীয় সংস্কৃতির মূল শিকড়ের কাছে নিয়ে যাওয়াই কাজ

    অবধের সঙ্ঘের (RSS) সেবা ভারতী স্কুলের এক শিক্ষক রামজি সিং বলেন, “আমাদের কাছে এই আধ্যাত্মিক যাত্রার আসল বিষয় হল পড়ুয়াদের ভারতীয় সংস্কৃতির মূল শিকড়ের কাছে নিয়ে যাওয়া। কেবল কুম্ভের জাগতিক বাস্তবতা নয়, কুম্ভ (Mahakumbh Mela 2025) যে একই সঙ্গে আধ্যাত্মিক ভাবে ধর্মের সারকথা তুলে ধরে, সেই বার্তাকে ওদের মনে গেঁথে দেওয়া আমাদের প্রধান কাজের মধ্যে পড়বে। পড়ুয়ারা কীভবে মন দিয়ে জ্ঞান অর্জন করবে এবং সচেতন হবে, সেই বিষয়ে পাঠ দেওয়া হবে। ফলে আগামীদিনে যে কোনও রকম ধর্মান্তকরণ গোষ্ঠী বা সম্প্রদায় থেকে নিজেদের সুরক্ষিত রাখা এই ছাত্র সমাজের একটা বড় কাজ হবে। এই পড়ুয়ারা নিজেদের কঠিন পরিস্থিতি এবং সমস্ত রকম প্রতিবন্ধকতাকে সরিয়ে ধীরে ধীরে মূল স্রোতের সঙ্গে মিশে যাচ্ছে।”

    ২৪ থেকে ২৬ জানুয়ারি পর্যন্ত ছাত্রছাত্রীদের আরেকটি দল যাবে

    বিদ্যাভারতী (RSS) মূলত বুনিয়াদি শিক্ষার পরিকাঠামোতে ভারতীয়ত্ববোধ বিষয়ে বিশেষ পাঠ্যক্রমে শিক্ষা প্রদান করে থাকে। একই ভাবে পাঠ্যক্রমের পাশাপাশি সাংস্কৃতিক ভাবে ‘ভারত মাতা কি জয়’ স্লোগান, দেশাত্মবোধ, ধর্মীয় আস্থা এবং সংস্কার বিষয়ে শিক্ষা প্রদানের কাজ করে থাকে। তবে কুম্ভমেলা শুধুমাত্র একটি ভ্রমণ নয়। জানা গিয়েছে, পড়ুয়া এবং অভিভাবকেদের যাত্রা যাতে চিত্তাকর্ষক, আরামদায়ক এবং শিক্ষামূলক হয় তার সম্পূর্ণ ব্যবস্থা করেছে বিদ্যাভারতী। মেলার (Mahakumbh Mela 2025) ৯ নম্বর সেক্টরে এই পড়ুয়াদের জন্য একটি বিশেষ শিবিরের ব্যবস্থা করা হয়েছে। একই ভাবে তাদের জন্য পানীয় জল, খাবার এবং নানা বিনোদনের উপকরণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আগামী ২৪ থেকে ২৬ জানুয়ারি ছাত্রছাত্রীদের আরেকটি দল গোরক্ষপুর, কানপুর এবং কাশী থেকে নিয়ে আসা হবে। একই ভাবে পূর্বাঞ্চলের পাশাপাশি পশ্চিমাঞ্চলের পড়ুয়াদেরও এরকম আধ্যাত্মিক যাত্রায় যোগদান করানো হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bharat Ranbhoomi Darshan: যুদ্ধক্ষেত্রে ভ্রমণের সুযোগ দেবে ভারত রণভূমি দর্শন! কার্গিল, শিয়াচেনে গিয়ে শুনবেন সেনার বীরগাথা

    Bharat Ranbhoomi Darshan: যুদ্ধক্ষেত্রে ভ্রমণের সুযোগ দেবে ভারত রণভূমি দর্শন! কার্গিল, শিয়াচেনে গিয়ে শুনবেন সেনার বীরগাথা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ওয়্যার মেমোরিয়াল কিংবা ইতিহাসের খ্যাতনামা যুদ্ধের স্মৃতিচিহ্ন দেখতে দেশ-বিদেশে ছুটে যান পর্যটকরা (Tourists)। এবার ভারতেও সেই সুযোগ মিলতে চলেছে পর্যটকদের। সেই তালিকায় থাকছে সীমান্তে সদ্য ঘটে যাওয়া সংঘর্ষ স্থলও। এত দিন পর্যন্ত সাধারণ পর্যটকদের জন্য কার্যত নিষিদ্ধ ছিল ওই এলাকাগুলি। দেশের সীমান্তবর্তী ঐতিহাসিক যুদ্ধক্ষেত্রগুলিকে এ বার পর্যটনক্ষেত্র (Battlefield Tourism) হিসাবে গড়ে তুলতে সক্রিয় হল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার। এই উদ্দেশ্যে বুধবার সেনা দিবসে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং ‘ভারত রণভূমি দর্শন’ (Bharat Ranbhoomi Darshan) নামে একটি ওয়েবসাইটের উদ্বোধন করেছেন।

    প্রতিরক্ষা ও পর্যটন মন্ত্রকের যৌথ উদ্যোগ

    ২০২০ সালে গালওয়ানে চিনের সেনার সঙ্গে ভারতের সেনার সংঘর্ষ। যে ঘটনায় ২০ জন ভারতীয় সেনা প্রাণ হারিয়েছিলেন। কিংবা ২০১৭ সালে ডোকলামে ভারত ও চিন সেনার মধ্যে প্রায় দুমাস ধরে চলা উত্তেজনা। অথবা শিয়াচেনে বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু জায়গায় সেনার প্রহরা। ১২০০০ ফুট উচ্চতা থেকে দুর্গম ভূমিতে সেনার আত্মত্যাগের কথা জানতে পারবেন পর্যটকরা (Battlefield Tourism)। এছাড়া ৭৫টি অন্যান্য যুদ্ধভূমিও রয়েছে সেই তালিকায়। কার্গিলে ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধের স্মৃতি— সবই চাক্ষুষ করতে পারবেন পর্যটকরা। বুধবার ৭৭তম সেনা দিবসে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক ও পর্যটন মন্ত্রক যৌথভাবে এই উদ্যোগ নিয়েছে।

    বীর সেনাদের লড়াই ক্ষেত্র

    আশির দশকে সিয়াচেন হিমবাহ, নব্বইয়ের দশকে কার্গিল কিংবা হালফিলে লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় আগ্রাসী শত্রুসেনার বিরুদ্ধে ভারতীয় সেনা যে বীরত্বের সাক্ষ্য রেখেছিল, তা দেশের মানুষকে জানার সুযোগ করে দিতেই এই পদক্ষেপ বলে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে। ভারতীয় সেনার এক্স পোস্টে ভ্রমণার্থীদের উদ্দেশে আহ্বান— ‘‘সেই পবিত্র স্থানগুলি দর্শন করুন যেখানে আমাদের বীর সেনারা মাতৃভূমির জন্য লড়াই করেছিলেন।’’

    পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্র সীমান্ত এলাকা 

    ভারতের ব্যাটলফিল্ড ট্যুরিজম (Battlefield Tourism)। পোশাকি নাম, ভারত রণভূমি দর্শন (Bharat Ranbhoomi Darshan)। এর মধ্যে রয়েছে লাদাখে কার্গিল ও গালওয়ান, রাজস্থানের লোঙ্গেওয়ালা, অরুণাচল প্রদেশের কিবিথু, বুম লা, সিকিমে চো লা ক্ল্যাশ। কিংবা কার্গিলে ড্রজ ওয়ার মেমোরিয়াল দেখার সুযোগ। চিফ অফ আর্মি স্টাফ উপেন্দ্র দ্বিবেদী (Chief of Army Staff, General Upendra Dwivedi) বলেন, সীমান্ত এলাকায় সামগ্রিক উন্নয়নের একটি অংশ এই উদ্যোগ। এই বিষয়ে ওয়েবসাইটে সব তথ্য পাওয়া যাবে। এই উদ্যোগ চারটি স্তম্ভের উপর দাঁড়িয়ে রয়েছে। সেগুলি হল পরিকাঠামো, যোগাযোগ, পরিকাঠামো, শিক্ষা। ভারতীয় সেনার পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়েছে, সীমান্ত এলাকাকে পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্র করে তোলা হবে। এখানে ইতিহাসের তথ্য তুলে ধরা থাকবে। অনুমতি নেওয়া যাবে নিষিদ্ধ এলাকায় যাওয়ার জন্য, ওয়ার মেমোরিয়াল, মিউজিয়ামের বিষয়ে বিশদে জানা যাবে।

    পর্যটন বুকে তুলবেন কোন কোন জায়গা (Battlefield Tourism)

    প্রাথমিক ভাবে কয়েকটি যুদ্ধক্ষেত্রকে পর্যটনের জন্য উন্মুক্ত করার কথা জানানো হয়েছে সেনার তরফে। মহাভারতের কুরুক্ষেত্র (বর্তমানে যা হরিয়ানায়) পর্যটকদের পাশাপাশি তীর্থযাত্রীদেরও যুগ যুগ ধরে আকর্ষণ করে এসেছে। মুঘল সম্রাট আকবর এবং রানা প্রতাপের ঐতিহাসিক হলদিঘাটি যুদ্ধক্ষেত্রে বহুদিন ধরেই পর্যটনস্থল (Bharat Ranbhoomi Darshan) হিসাবে জনপ্রিয়তার নিরিখে প্রথম সারিতে রয়েছে। নব্বইয়ের দশকে বলিউডের ছবি ‘বর্ডার’ জয়সলমেরের মরুভূমিতে ১৯৭১ সালে ভারত-পাক যুদ্ধে রক্তসিক্ত লোঙ্গেওয়ালাকে পর্যটনক্ষেত্র হিসেবে জনপ্রিয় করে তুলেছিল। সেখানে গড়ে তোলা হয়েছে ‘ওয়ার মেমোরিয়াল’। এবার  টলোলিং, টাইগার হিল, সালতারো রিজ, পিপি ১৪-তেও ভিড় জমাবে মানুষ।

    ভারতীয় সেনার নয়া উদ্যোগ 

    ভারতের সীমান্ত অঞ্চলে যুদ্ধকালীন পর্যটন (Bharat Ranbhoomi Darshan) বিকাশের জন্য ভারতীয় সেনাবাহিনী এই নতুন উদ্যোগ শুরু করেছে। এই প্রকল্পের আওতায় দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ যুদ্ধক্ষেত্রের ৭৫টি স্থানকে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এসব স্থান ভারতের ইতিহাসের কিছু গুরুত্বপূর্ণ যুদ্ধ ও সংঘর্ষের সাক্ষী। এই উদ্যোগের প্রথম দিকের প্রধান স্থানগুলির মধ্যে রয়েছে গালওয়ান উপত্যকা, যেখানে ২০২০ সালে ভারত ও চিনের সেনাবাহিনীর মধ্যে সহিংস সংঘর্ষ হয়েছিল। চিনী বাহিনী ভারতীয় সেনাদের রাস্তা নির্মাণ কাজ বন্ধ করতে বাধা দেয়, এবং এই সংঘর্ষে ২০ জন ভারতীয় সৈন্য প্রাণ হারান, যদিও চিনা বাহিনীর ক্ষতির পরিমাণ এখনও প্রকাশ করা হয়নি।

    সিয়াচেনের সৌন্দর্য

    ভারতীয় সেনাবাহিনী একইভাবে সিয়াচেন গ্লেসিয়ারের মতো অঞ্চলে পর্যটন বিকাশের পরিকল্পনা করছে। এটি পৃথিবীর সবচেয়ে উচ্চতম যুদ্ধক্ষেত্র হিসেবে পরিচিত, যেখানে ভারত ও পাকিস্তান ১৯৮৪ সাল থেকে একে অপরের বিরুদ্ধে লড়াই করে আসছে। ২০২৩ সালে এটি পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত হয় (Battlefield Tourism)। এর পাশাপাশি কাকরেল, কার্গিল, এবং লোঙ্গেওয়ালা সহ আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ যুদ্ধক্ষেত্রও এই উদ্যোগের আওতায় আনা হয়েছে। কাকরেল, ১৯৯৯ সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের গুরুত্বপূর্ণ স্থান, এবং লোঙ্গেওয়ালা, যেখানে ১৯৭১ সালে ভারতীয় বাহিনী পাকিস্তানি বাহিনীকে বিপুল পরিমাণ ক্ষতি সাধন করেছিল, সেগুলি এখন পর্যটকদের জন্য একটি ইতিহাসের সাক্ষী। এছাড়াও, ভারতের বিভিন্ন সীমান্ত অঞ্চলের মতো কিবিতু, বুমলা, রেজাংলা এবং পাংগং ত্সো, যেগুলি ১৯৬২ সালের ভারত-চিন যুদ্ধের গুরুত্বপূর্ণ স্থান ছিল, সেগুলিও পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করা হবে। এছাড়া, ১৯৬৭ সালের চো-লা সংঘর্ষস্থলও এই উদ্যোগের অন্তর্ভুক্ত থাকবে, যেখানে ভারতীয় বাহিনী চিনের উপর বড় ধরনের আঘাত হেনেছিল।

    কেন সেনার এই উদ্যোগ

    এই উদ্যোগের মাধ্যমে ভারতীয় সেনাবাহিনী স্থানীয় অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে দেশপ্রেম জাগ্রত করতে চায়। এটি একটি সুযোগ, যেখানে দর্শনার্থীরা ভারতের সামরিক ইতিহাস সম্পর্কে সঠিক ধারণা লাভ করতে পারবেন এবং দেশের জন্য সংগ্রাম করা সৈন্যদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে পারবেন। প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং সম্প্রতি জানিয়েছিলেন, যে গত চার বছরে লাদাখ, সিকিম এবং অরুণাচল প্রদেশে পর্যটক সংখ্যা ৩০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে, যার মূল কারণ উন্নত পরিকাঠামো, ও যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং সীমান্ত পর্যটনের প্রতি ক্রমবর্ধমান আগ্রহ। এবার সেই পর্যটনের সঙ্গেই জড়িয়ে যাবে ভারতীয় সেনা বাহিনীর জয়ের উপাখ্যান।

    আরও পড়ুন: শত্রুর এক ঝাঁক ড্রোনকে উড়িয়ে দিতে সক্ষম ভারত, পরীক্ষায় সফল মাইক্রো মিসাইল সিস্টেম ‘ভার্গবাস্ত্র’

    ভারত রণভূমি দর্শন ওয়েবসাইট

    ‘ভারত রণভূমি দর্শন’ (Bharat Ranbhoomi Darshan) ওয়েবসাইটটি জনসাধারণের জন্য চালু করে দেওয়া হয়েছে। যেখানে তাঁরা ভ্রমণ পরিকল্পনা সহ প্রয়োজনীয় সকল তথ্য পেয়ে যাবেন এক ক্লিকে। যার মধ্যে এই স্থানগুলির কিছু পারমিটের জন্য কীভাবে আবেদন করতে হবে তাও অন্তর্ভুক্ত থাকবে। ওয়েবসাইটটিতে বিভিন্ন যুদ্ধক্ষেত্র এবং সীমান্তবর্তী অঞ্চলের বিশদ বিবরণ থাকবে (Battlefield Tourism)। ভার্চুয়াল ভ্রমণ, ঐতিহাসিক আখ্যান এবং ইন্টার‌্যাক্টিভ কন্টেন্ট প্রদান করা হবে স্থানগুলি সম্পর্কে। পর্যটন মন্ত্রক এবার থেকে অতুল্য ভারত (Incredible India) প্রচারের অংশ হিসাবে এই স্থানগুলির কথাও তুলে ধরবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Nabanna Abhijan: নবান্ন অভিযান বন্ধের প্রয়োজন নেই, সাফ জানাল হাইকোর্ট

    Nabanna Abhijan: নবান্ন অভিযান বন্ধের প্রয়োজন নেই, সাফ জানাল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের মানুষ মিটিং, মিছিলের সঙ্গে পরিচিত। তাই নবান্ন অভিযান (Nabanna Abhijan) বন্ধ করার কোনও প্রয়োজন নেই। বৃহস্পতিবার জনস্বার্থ মামলা খারিজ করে স্পষ্ট জানিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। এদিন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চের নির্দেশ, এই শহরের মানুষেরা মিছিল, মিটিংয়ে অভ্যস্ত। দীর্ঘদিন ধরেই এসব চলছে, আর এর মধ্যেও তারা শান্তিপূর্ণভাবেই থাকে। তাই নবান্ন অভিযান বন্ধ করার কোনও প্রয়োজন আছে বলে মনে করছে না আদালত।

    নবান্ন অভিযান নিয়ে আদালতে মামলা (Nabanna Abhijan)

    ১৬ জানুয়ারি, বৃহস্পতিবার নবান্ন অভিযান কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়েছিল। সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছিল ‘নবান্ন চলো’ লেখা একাধিক পোস্টার। সঙ্গে লেখা ছিল স্লোগান, ‘রাত দখলের পর/ আজ দাবি দখল’। বৃহস্পতিবার দুপুর ১টায় ওয়েলিংটন স্কোয়্যারে জমায়েতের কথা বলা হয়েছিল। সেখান থেকে মিছিল যাওয়ার কথা ছিল রাজ্যের প্রশাসনিক সদর দফতর নবান্নের দিকে। নবান্ন অভিযান কর্মসূচির নেপথ্যে কারা, তা জানতে চেয়ে সম্প্রতি হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা করেছিলেন ভরতকুমার মিশ্র নামে এক প্রবীণ। মামলাকারীর যুক্তি ছিল, ওই মিছিল হলে সংশ্লিষ্ট এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে। তাঁর বক্তব্য, ১৫ জানুয়ারি গঙ্গাসাগর মেলা শেষ হয়েছে। সেখান থেকে ফিরবেন তীর্থযাত্রীরা। তিনি নিজেও গঙ্গাসাগর যাত্রার সঙ্গে সম্পর্কিত একটি সংস্থায় যুক্ত। ফলে ১৬ জানুয়ারি ‘নবান্ন চলো’ কর্মসূচি হলে সমস্যায় পড়তে পারেন তীর্থযাত্রীরা। মঙ্গলবারও ওই মামলার শুনানিতে মামলার গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন প্রধান বিচারপতি। তাঁর প্রশ্ন ছিল, ‘‘তীর্থযাত্রীরা তো ডায়মন্ড হারবারের দিক থেকে আসবেন। তা হলে সমস্যা কোথায়?’’

    নবান্ন অভিযান বন্ধ করার কোনও প্রয়োজন নেই!

    বৃহস্পতিবার ওই মামলার শুনানিতে প্রধান বিচারপতি ফের কটাক্ষ করে বলেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গের (Nabanna Abhijan) মানুষ অত্যন্ত সহনশীল। তাঁদের সহ্যশক্তি অনেক বেশি। তাঁরা দীর্ঘ দিন ধরেই মিটিং-মিছিলে অভ্যস্ত। গাড়ি নিয়ে যাওয়ার পথে রাস্তায় বড় মিছিলে আটকে গেলে কেউ কিছু বলেন না। মা উড়ালপুলে দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা আটকে থাকলেও তাঁরা মুখ বুজে সহ্য করেন। তা নিয়ে সবাই খুব খুশি!” আদালতের যুক্তি, বঙ্গে প্রায়ই এমন মিটিং-মিছিল হয়ে থাকে। তাই এই ‘অভিযান’ বন্ধ করার জন্য আলাদা করে আদালতের হস্তক্ষেপের প্রয়োজন নেই। এ নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ পুলিশই করবে বলে জানিয়েছে দুই বিচারপতির বেঞ্চ। এর পরেই মামলাকারীর আইনজীবীর উদ্দেশে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘‘আপনি গঙ্গাসাগর যান। মেলা শুরুর আগে ও পরে সেখানে সুন্দর ব্যবস্থা থাকে। কপিল মুনির আশ্রম রয়েছে। পরিষ্কার খাবার পাওয়া যায়। সেখান থেকে ঘুরে আসুন!’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Saline Incident: স্যালাইনকাণ্ডে এবার মৃত্যু হল শিশুর, রাজ্যের রিপোর্ট তলব করল হাইকোর্ট

    Saline Incident: স্যালাইনকাণ্ডে এবার মৃত্যু হল শিশুর, রাজ্যের রিপোর্ট তলব করল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্যালাইনকাণ্ডে অসুস্থ প্রসূতি রেখা সাই এখন মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালেই ভর্তি আছেন। বৃহস্পতিবার সকালে মৃত্যু হল তাঁর শিশুসন্তানের। জানা গিয়েছে, এদিন সকাল ৯টা নাগাদ মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের মাতৃমা বিভাগে ভর্তি থাকা ওই শিশুটির মৃত্যু হয়। এর আগে স্যালাইনকাণ্ডে (Saline Incident) মেদিনীপুর মেডিক্যালেই মৃত্যু হয়েছিল মামনি রুইদাস নামের এক প্রসূতির। অসুস্থ আরও তিন প্রসূতিকে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।

    পরিবারের লোকজন কী বললেন? (Saline Incident)

    রিপোর্ট অনুযায়ী, গত ৮ জানুয়ারি জন্ম নেওয়ার পর থেকেই রেখার শিশুসন্তানকে রাখা হয়েছিল ভেন্টিলেশনে। জন্মের পরে নিজেদের সন্তানের মুখও দেখতে পাননি বাবা সন্তোষ সাউ এবং মা রেখা। ঠাকুমা পুষ্পা সাউ জানান, তিনি একবার দেখেছিলেন শিশুটিকে। এখন সেই শিশুর মৃতদেহের ময়নাতদন্ত (Saline Incident) হবে বলে জানা গিয়েছে। তারপরে শিশুর দেহ বাড়িতে নিয়ে যেতে দেওয়া হবে। উল্লেখ্য, সম্প্রতি মেদিনীপুর মেডিক্যালে পাঁচ প্রসূতি অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। গত ৮ জানুয়ারি মা হয়েছিলেন রেখা সাউ, মামনি রুইদাস, মাম্পি, মিনারা ও নাসরিন। তারপরে তাঁদের প্রস্রাব বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। অভিযোগ, প্রসূতিদের ‘রিঙ্গার্স ল্যাকটেট’ স্যালাইন এবং ‘অক্সিটোসিন’ নামে এক ধরনের ওষুধ দেওয়ার জেরে এই ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। এই আবহে মৃত্যু হয় মামনির। পরে মাম্পি, মিনারা এবং নাসরিনকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ থেকে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। এদিকে সাম্প্রতিক রিপোর্টে দাবি করা হয়, মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে প্রসূতির মৃত্যুর পরও একাধিক হাসপাতালে নিষিদ্ধ সংস্থার স্যালাইন ব্যবহারের ছবি প্রকাশ্যে এসেছে।

    আরও পড়ুন: নিজের বাড়িতেই ছুরি দিয়ে কোপানো হল অভিনেতা সইফ আলি খানকে, ভর্তি হাসপাতালে

    স্যালাইনকাণ্ডে রাজ্যের রিপোর্ট তলব করল হাইকোর্ট

    স্যালাইনকাণ্ডে (Saline Incident) রাজ্যের স্বাস্থ্য এবং পরিবার কল্যাণ দফতরের কাছে রিপোর্ট তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে, রাজ্যের মুখ্যসচিবের কাছেও। হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, স্যালাইন প্রস্তুতকারক সংস্থার বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ করা হয়েছে, তা নিয়ে ‘অ্যাকশন টেকেন রিপোর্ট’ জমা দিতে হবে রাজ্য সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগকে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলিকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্যও রাজ্যকে নির্দেশ দিয়েছে উচ্চ আদালত।

    কী নির্দেশ দিলেন বিচারপতি?

    বৃহস্পতিবারের শুনানিতে প্রধান বিচারপতি বলেন, দু’সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট দিতে হবে। রিপোর্ট আসার পরেই পরবর্তী নির্দেশ দেবে আদালত। স্যালাইন-কাণ্ডে (Saline Incident) সোমবার জোড়া জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল হাইকোর্টে। তার মধ্যে একটি জনস্বার্থ মামলা করতে চেয়ে আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি। দ্বিতীয়টির জন্য আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন আইনজীবী কৌস্তভ বাগচী। দু’টি জনস্বার্থ মামলাই দায়ের করার অনুমতি দেয় প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। এডুলজি সোমবার হাইকোর্টে জানিয়েছিলেন, এ রাজ্যের এক সংস্থার খারাপ মানের স্যালাইন ব্যবহার করে কর্নাটকে কয়েক জনের মৃত্যু হয়েছিল। তখন রাজ্যের ওই সংস্থাকে কালো তালিকায় পাঠিয়ে দেয় কর্নাটক সরকার। ওই সংস্থার থেকে বরাত নেওয়াও বন্ধ রাখা হয়েছে। সম্প্রতি এ রাজ্যেও খারাপ স্যালাইন ব্যবহারের পর মৃত্যুর অভিযোগ উঠে এসেছে। এমন অবস্থায় বিষয়টি নিয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়েরের আর্জি জানান তিনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mahakumbh Mela 2025: মহাকুম্ভ মেলায় ‘শাহী স্নান’-এর নাম বদলে কেন ‘অমৃত স্নান’ করা হয়েছে জানেন?

    Mahakumbh Mela 2025: মহাকুম্ভ মেলায় ‘শাহী স্নান’-এর নাম বদলে কেন ‘অমৃত স্নান’ করা হয়েছে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বের সর্ববৃহৎ মহাপুণ্যস্নানের আয়োজন করা হয়েছে প্রয়াগরাজের পূর্ণ মহাকুম্ভ মেলায় (Mahakumbh Mela 2025)। এই মেলা এবার ১৪৪ বছর পর অনুষ্ঠিত হচ্ছে। মেলায় স্নান করলে মহাপুণ্য এবং মোক্ষলাভ হয়। পুরাণে বর্ণিত হয়েছে যে, সমুদ্র মন্থনের ফলে যে অমৃত কুম্ভ উঠেছিল, সেই কুম্ভ থেকে অমৃতের ফোঁটা এই গঙ্গা, যমুনা ও (পৌরাণিক) সরস্বতীর সঙ্গমস্থলে পড়েছিল। তাই ত্রিবেণীর গঙ্গায় স্নান করলে মানব জীবনের সমস্ত পাপ ধুয়ে যায়। এবার এই স্নানকে ‘শাহী স্নান’ বলা হতো, এবার থেকে এই শাহী স্নানের নাম পরিবর্তন করে করা হয়েছে ‘অমৃত স্নান’ (Amrit Snan)। আসুন যেনে নিই কেন এমন নামকরণ এবং সেই নামের যথার্থ তাৎপর্যই বা কী?

    কোন কোন দিনে অমৃত স্নান (Mahakumbh Mela 2025)

    সাধারণত প্রতিবছর প্রয়াগরাজ, নাসিক, হরিদ্বার এবং উজ্জ্বয়িনীতে এই কুম্ভমেলা হয়ে থাকে। তবে মেলার বিশেষ বিশেষ যোগ বসে ৪ বছর, ৬ বছর, ১২ বছর এবং ১৪৪ বছর অন্তরে। একেই কুম্ভ, অর্ধকুম্ভ, পূর্ণকুম্ভ এবং মহাকুম্ভ (Mahakumbh Mela 2025) নামে পরিচিত। এইবার গঙ্গার ত্রিবেণী সঙ্গমে পূর্ণমহাকুম্ভের আয়োজন হয়েছে। হিন্দু শাস্ত্রের গণনা পদ্ধতিতে সন্তসমাজ এবং আখাড়া পরিষদ মিলে দিনক্ষণ ঠিক করে থাকেন। এই বছর পুণ্যস্নান শুরু হয়েছে ১৩ জানুয়ারি পৌষ পূর্ণিমা এবং শেষ হবে ২৬ ফেব্রুয়ারি মহাশিবরাত্রিতে। প্রথম অমৃত স্নান পৌষ পূর্ণিমা ১৩ জানুয়ারি, দ্বিতীয় অমৃত স্নান (Amrit Snan) মকর সংক্রান্তি ১৪ জানুয়ারি, তৃতীয় অমৃত স্নান মৌনী অমাবস্যায় ২৯ জানুয়ারি, চতুর্থ অমৃত স্নান বসন্তপঞ্চমী ২ ফেব্রুয়ারি, পঞ্চম অমৃত স্নান মাঘী পূর্ণিমা ১২ জানুয়ারি এবং ষষ্ঠ অমৃত স্নান মহাশিবরাত্রি ২৬ ফেব্রুয়ারি। অমৃতস্নান বিশেষ তিথিতেই সম্পন্ন হয়। এই সময়ে সূর্য ধনু রাশি থেকে মকর রাশিতে যাত্রা করবে। জানা গিয়েছে, প্রায়গরাজের মেলায় প্রথম তিন দিনে প্রায় সাড়ে তিন কোটি ভক্ত পুণ্যস্নান করেছেন।

    শাহী স্নান কেন অমৃত স্নান?

    জানা গিয়েছে, ভারতীয় পরম্পরা এবং প্রাচীন পৌরাণিককাল থেকে মহাকুম্ভে (Mahakumbh Mela 2025) পুণ্যস্নান হয়ে আসছে। তাই এই ইতিহাসবোধ এবং সংস্কৃতিকে সম্মান জানাতে উত্তরপ্রদেশ সরকার ‘শাহী স্নান’-কে ‘অমৃত স্নান’ (Amrit Snan) বলে নতুন নামাঙ্কিত করেছে। এই ভাবনার পিছনে বিশেষ নেতৃত্ব দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। উল্লেখ্য এই ‘অমৃত’ শব্দের মধ্যে সনাতন হিন্দু ধর্মের শুদ্ধতা এবং পবিত্রতাকে পুনরায় উজ্জীবিত করার ভাবনাকে প্রস্ফুটিত করা হয়েছে। মেলার স্নান যেহেতু পাপ থেকে পুণ্যের পথে যাত্রা, তাই মেলার গৌরবকে আরও সমৃদ্ধ করতে ‘অমৃত’ নামকরণ করা হয়েছে। এই অমৃত স্নানেই রয়েছে মহামোক্ষ বা পরিত্রাণ তথা মুক্তি।

    আরও পড়ুনঃ বিশ্বের চতুর্থ দেশ হিসেবে মহাকাশে দুই উপগ্রহকে জুড়ল ভারত, ইসরোকে অভিনন্দন মোদির

    শাহী শব্দ মুঘল মুসলিম সংস্কৃতি বাহক

    মহাকুম্ভের (Mahakumbh Mela 2025) ‘শাহী স্নান’ শব্দের অর্থ হল রাজকীয় স্নান। এই শব্দের ব্যবহার উনিশ শতকের গোড়ায় প্রথম ব্যবহার হয়েছিল। বিশেষ করে পেশোয়ার সাম্রাজ্যের সময় আরবি বা উর্দু শব্দকে বেশি করে ব্যবহার করা হয়েছিল। কিন্তু হিন্দু শাস্ত্রের গবেষক ও পণ্ডিতরা মনে করেন এই শব্দের মধ্যে মুঘল ও মুসলমানদের একটা প্রভাব আছে। শব্দে ভারতীয় সংস্কৃতিকে বহন করে না। ‘শাহী’ উর্দু শব্দ যার অর্থ ‘রাজকীয়’ বা ‘মহিমাময়’। এতদিন মেলায় স্নানের গুরুত্বকে বোঝাতে ব্যবহার হতো এই শব্দ। এবার এই নামকে পরিবর্তন করে ‘অমৃত’ করা হয়েছে। ‘অমৃত’  (Amrit Snan) মানেই যা মৃত নয়, অজয়, অমর, মহামোক্ষ। ‘অমৃত’ শব্দের মধ্যে আধ্যাত্মিক, ঐশ্বরিক এবং মহাজাগতিক ব্যাপ্তচরাচর ঐতিহ্য গত জ্ঞানপরম্পরার ভাবনা রয়েছে।

    সন্ত সমাজের মত

    জুনা আখড়ার পীঠধীশ্বর আচার্য স্বামী অবধেশানন্দ গিরি মহারাজ, অমৃতস্নানের তাৎপর্য ব্যাখ্যা করেছেন। তিনি বলেন, “বৃহস্পতি বৃষ রাশিতে প্রবেশ করলে অমৃতস্নান ঘটে এবং সূর্য ও চাঁদ মকর রাশিতে প্রবেশ করে। এই বিরল মহাজাগতিক গ্রহ-নক্ষত্রের অবস্থানে ‘অমৃত যোগ’ নামে পরিচিত। প্রতি ১২ বছরে একবার এমন মাহেন্দ্রক্ষণ ঘটে। তাই অমৃত স্নান (Mahakumbh Mela 2025) গুরুত্বপূর্ণ।”

    আবার অখিল ভারতীয় আখড়া পরিষদের (এবিএপি) সভাপতি মহন্ত রবীন্দ্র পুরী বলেছেন “কুম্ভ মেলার সঙ্গে যুক্ত ‘শাহী স্নান’ এবং ‘পেশওয়াই’-এর মতো সাধারণ শব্দগুলি এখন ‘অমৃত স্নান’ এবং ‘ছাবনি প্রবেশ-এ পরিবর্তন করা হয়েছে।’’ হরিদ্বারের মনসা দেবী মন্দির ট্রাস্টের সভাপতি মহন্ত পুরী বলেন, “আমাদের ঈশ্বর এবং সংস্কৃতি সংস্কৃত ভাষার সঙ্গে যুক্ত নামগুলিকে (Amrit Snan) বেশি করে ব্যবহার করা উচিত।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share