Tag: Madhyom

Madhyom

  • Calcutta High Court: অভিষেক-কুন্তলকে কেন ৫০ লক্ষ টাকার জরিমানা করল হাইকোর্ট? এই হল আসল কারণ

    Calcutta High Court: অভিষেক-কুন্তলকে কেন ৫০ লক্ষ টাকার জরিমানা করল হাইকোর্ট? এই হল আসল কারণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ কেলেঙ্কারি সংক্রান্ত অন্য একটি মামলায় জুড়ে গিয়েছে তৃণমূল (TMC) নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম। বৃহস্পতিবার সেই মামলার শুনানিতে অভিষেক এবং প্রাক্তন তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষের মোট ৫০ লক্ষ টাকা জরিমানা করেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অমৃতা সিনহা। দুজনকেই দিতে হবে ২৫ লক্ষ করে টাকা। অভিষেকদের ওই টাকা জমা দিতে হবে হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে।

    কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) জরিমানা কেন?

    প্রশ্ন হল, কী কারণে জরিমানা গুণতে হবে অভিষেক এবং কুন্তলকে? কলকাতা হাইকোর্ট সূত্রে খবর, আদালতের মূল্যবান সময় নষ্ট করার জন্যই গুণাগার দিতে হবে অভিষেক ও কুন্তলকে। বৃহস্পতিবার বিচারপতি অমৃতা সিনহার রায়ে বলা হয়েছে, আদালতের নির্দেশ পুনর্বিবেচনা বা প্রত্যাহারের যে আবেদন অভিষেক করেছিলেন, তার কোনও সারপত্তা খুঁজে পাওয়া যায়নি। সেই কারণেই জরিমানা। 

    নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন প্রাক্তন তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষ। গ্রেফতার হওয়ার পরেই তাঁকে বহিষ্কার করে তৃণমূল। পরে তিনি দাবি করেন, তদন্তকারীরা তাঁর মুখ দিয়ে অভিষেকের নাম বলানোর জন্য চাপ দিচ্ছেন। অভিযোগ জানিয়ে নিম্ন আদালতের পাশাপাশি হেস্টিংস থানায়ও চিঠি দিয়েছিলেন কুন্তল। ওই চিঠি প্রসঙ্গে বিচারপতি (Calcutta High Court) অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের পর্যবেক্ষণ ছিল, ইডি কিংবা সিবিআই প্রয়োজনে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে জেরা করতে পারে। হাইকোর্টের সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন অভিষেক। পরে অন্য একটি ঘটনার জেরে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে এ সংক্রান্ত মামলা বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চ থেকে সরিয়ে পাঠানো হয় বিচারপতি সিনহার বেঞ্চে। বিচারপতি সিনহাও জানিয়ে দেন, ইডি-সিবিআই চাইলে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে অভিষেককে।

    আরও পড়ুুন: হাইকোর্টে ধাক্কা অভিষেকের! জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে সিবিআই-ইডি, সঙ্গে বিপুল জরিমানা

    মামলার সারবত্তা না থাকলে জরিমানা করা হয় আদালতে। জরিমানা দিতে হয়েছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও। নন্দীগ্রাম বিধানসভার রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হয়েছিলেন মমতা। মামলাটি উঠেছিল বিচারপতি কৌশিক চন্দের এজলাসে। মুখ্যমন্ত্রী এজলাস বদলের আর্জি জানান। তাঁর সেই অনুরোধ রাখেন বিচারপতি চন্দ। তবে এজলাসে আস্থা না রাখার জন্য ৫ লক্ষ টাকা জরিমানাও করা হয়।

    সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছেন অভিষেক?

    এদিকে, কলকাতা হাইকোর্টের রায়ের (Calcutta High Court) প্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হতে চলেছেন অভিষেক। এদিন বিচারপতি সিনহা নির্দেশ দেন, কুন্তল ঘোষের চিঠি মামলায় তৃণমূল নেতা অভিষেককে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে ইডি এবং সিবিআই। তার প্রেক্ষিতেই দেশের শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছেন অভিষেক। বর্তমানে দলীয় কর্মসূচি উপলক্ষে আসানসোলে রয়েছেন অভিষেক। সেখান থেকেই কথা বলেন আইনজীবীদের সঙ্গে। ঠিক হয়, রায়ের প্রতিলিপি হাতে পাওয়ার পর তা খতিয়ে দেখা হবে। তার পরেই আবেদন জানানো হবে সুপ্রিম কোর্টে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Kali Mandir: বাংলাদেশে ফের কালী মন্দিরে আগুন, পুড়ে ছাই প্রতিমা, দুষ্কৃতীরা অধরা

    Kali Mandir: বাংলাদেশে ফের কালী মন্দিরে আগুন, পুড়ে ছাই প্রতিমা, দুষ্কৃতীরা অধরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুষ্কৃতীদের রোষের আগুন হিন্দু (Hindu) মন্দিরে (Kali Mandir)। পুড়ে ছাই কালীপ্রতিমা। ঘটনাস্থল এবারও সেই বাংলাদেশ (Bangladesh)। নওগাঁর ঘটনায় চাঞ্চল্য। বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন চলছেই। যার জেরে দেশটিতে ক্রমেই কমছে হিন্দুদের সংখ্যা। নওগাঁ এলাকার বাসিন্দারা জানান, বৃহস্পতিবার সকালে তাঁরা দেখেন রাতের অন্ধকারে কে বা কারা আগুন লাগিয়ে দিয়েছে মন্দিরে। মন্দিরের গর্ভগৃহে থাকা প্রতিমাও পুড়ে ছাই। এলাকাবাসীর দাবি, ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে কোনও কট্টরপন্থী মুসলিম সংগঠন।

    কালী মন্দিরে (Kali Mandir) আগুন দুষ্কৃতীদের

    নওদার সরকারপাড়ার ন’হাটা মোড়ে রয়েছে ওই কালী মন্দির। এলাকাটি মহাদেবপুর থানার অধীন। মন্দিরে আগুন লাগানোর ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত যান পুলিশ আধিকারিকরা। শুরু হয়েছে তদন্ত। দোষীদের দ্রুত গ্রেফতার করে কঠোর শাস্তি দাবি করেছেন স্থানীয়রা। দিন দশেক আগেও একবার হিন্দু মন্দিরে (Kali Mandir) ভাঙচুর চালিয়েছিল দুষ্কৃতীরা। রংপুরের মিঠাপুকুর এলাকার ওই মন্দিরে ছিল মা কালী, শীতলা এবং মহাদেবের মূর্তি। ওই ঘটনায় জনৈক আমিনুর রহমানের স্ত্রী কোহিনুর বেগমকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মিঠাপুকুর থানার ওসি মুস্তাফিজুর রহমানের দাবি, ঘটনার কথা কবুল করেছেন কোহিনুর বেগম। 

    আগেও কালী মন্দিরে ভাঙচুর হয়েছে

    গত বছর কালীপুজোর দিনও দিনাজপুরের একটি কালী মন্দিরে ভাঙচুর করে দুষ্কৃতীরা। এর ঠিক আগের দিনই সিরাজগঞ্জ জেলার কালাচাঁদ মন্দিরে হামলা চালায় মৌলবাদীরা। মন্দিরে থাকা সরস্বতীর প্রতিমা ভেঙে দেওয়া হয়। কালী মন্দির ভাঙচুরের ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছিল রাশেদ, বেলাল, রকি এবং তুষারকে। ঘটনার প্রতিবাদে দিনাজপুর-রংপুর সড়ক অবরোধ করে দেশের বিভিন্ন হিন্দু সংগঠন।

    গত বছর অক্টোবরেও ব্রিটিশ আমলের একটি কালী মন্দিরেও (Kali Mandir) হামলা চালিয়েছিল দুষ্কৃতীরা। মন্দিরটি পশ্চিম বাংলাদেশের ঝিনাইদহ এলাকায়। সেখানে প্রতিমার মাথা ভেঙে রাস্তার ধারে ফেলে দেওয়া হয়েছিল। ২০২১ সালে দুর্গোৎসবের সময় বাংলাদেশেরই কুমিল্লায় একটি পুজো মণ্ডপে হামলা চালিয়েছিল দুষ্কৃতীরা। প্যান্ডেল ভাঙচুরের পাশাপাশি ভাঙা হয় প্রতিমা। আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় মণ্ডপে। ঘটনার জেরে ফিকে হয়ে গিয়েছিল উৎসবের আমেজ। দুষ্কৃতীদের গ্রেফতারের দাবিতে উত্তাল হয়ে ওঠে বাংলাদেশ। পরিস্থিতি সামাল দিতে শেষতক বিজিবি মোতায়েন করতে হয় হাসিনা সরকারকে।

    আরও পড়ুুন: হাইকোর্টে ধাক্কা অভিষেকের! জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে সিবিআই-ইডি, সঙ্গে বিপুল জরিমানা

    চলতি বছরের মার্চ মাসেও বাংলাদেশের পঞ্চগড়ের একটি মন্দিরে (Kali Mandir) হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। ভেঙে দেওয়া হয় মন্দিরে থাকা কালী প্রতিমার মূর্তি। শবেবরাতের রাতে মৌলবাদীরা ওই কাণ্ড ঘটিয়েছিল বলে অভিযোগ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Piyali Basak: পিয়ালির মাকালু শৃঙ্গ জয়ে উচ্ছ্বাস চন্দননগরে, অভিনন্দনে ভাসছে পরিবার

    Piyali Basak: পিয়ালির মাকালু শৃঙ্গ জয়ে উচ্ছ্বাস চন্দননগরে, অভিনন্দনে ভাসছে পরিবার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবার হুগলি জেলার মুখ উজ্জ্বল করলেন বিশিষ্ট পর্বতারোহী পিয়ালি বসাক (Piyali Basak)। চন্দননগরের এই পাহাড়ি কন্যা পিয়ালি বসাকের মাথায় উঠল আরেকটি মুকুট। বুধবার সকালে তিনি বিশ্বের পঞ্চম উচ্চতম শৃঙ্গ মাকালু জয় করলেন। নেপালের সংস্থা পাইওনিয়ার অ্যাডভেঞ্চার সূত্রে এই খবর জানা গিয়েছে। উল্লেখ্য, মাকালুকে বিশ্বের সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং পর্বত আরোহণ বলে মনে করা হয়। এই নিয়ে ৬ টি আটহাজারী শৃঙ্গ জয় করলেন পিয়ালি। এর আগে এভারেস্ট, লোৎসে, মানাসুলু, ধৌলাগিরি এবং অন্নপূর্ণা জয় করেছেন তিনি। এর আগেও একবার মাকালু অভিযানে যেতে গিয়ে অসুস্থ বাবার জন্য তা স্থগিত রেখে বাড়ি ফিরে এসেছিলেন পিয়ালি।

    রওনা হয়েছিলেন ৯ মার্চ

    এবারে গত ৯ মার্চ অন্নপূর্ণা এবং মাকালু শৃঙ্গ জয় করার লক্ষ্যে চন্দননগরের বাড়ি থেকে রওনা হন পিয়ালি (Piyali Basak)। ১৭ এপ্রিল বিশ্বের দশম উচ্চতম শৃঙ্গ অন্নপূর্ণা জয় করেছিলেন। নেপালের সংস্থা পাইওনিয়ার অ্যাডভেঞ্চার সূত্রে জানা যায়, এই মাকালু শৃঙ্গ জয় মোটেই সহজ ব্যাপার নয়। এই পর্বতের চার ধারালো জায়গা উলম্বভাবে প্রায় ২৭৭৬৫ ফুট শিখরের দিকে দাঁড়িয়ে, যা অভিজ্ঞ পর্বতারোহী ছাড়া আরোহণ করা অসম্ভব। বিশ্বের পঞ্চম সর্বোচ্চ পর্বত শৃঙ্গ এই মাকালু পর্বতচূড়ায় উঠতে পর্বতারোহীদের সর্বোচ্চ পর্যায়ের দক্ষতা, দৃঢ়তা ও অধ্যাবশায়ের প্রয়োজন হয় বলে জানা গেছে।

    খবর মিলতেই বাড়িতে ভিড়

    এদিন এই খবর পাওয়ার পর চন্দননগর পুরনিগমের ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাঁটাপুকুরে পুরনো জীর্ণ দোতলা বাড়িটায় ভিড় লেগে যায়। পিয়ালির (Piyali Basak) বাড়ি এটাই। পাড়াপড়শি থেকে বিভিন্ন মাধ্যম ভিড় করে অভিনন্দন জানিয়ে যায় পিয়ালির পরিবারকে। চন্দননগরের একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা বছর বত্রিশের পিয়ালির ছোট থেকেই উৎসাহ পাহাড় নিয়ে। বাবা তপন বসাক বর্তমানে অসুস্থ। কোনও কিছুই মনে করতে পারেন না। তবে একসময় দুই মেয়েকে প্রচুর উৎসাহ দিয়েছেন। তাদের ছোটবেলায় পাহাড়ে পাহাড়ে বেড়াতে নিয়ে গেছেন। সেখান থেকেই শুরু। কথা হচ্ছিল এদিন পিয়ালির মা স্বপ্না বসাকের সঙ্গে। বলেন, খুব গর্বিত হয়েছি খবরটা শুনে। এমনিতেই খুব উৎকণ্ঠায় ছিলাম। কারণ, শুনেছি ওই শৃঙ্গজয় মোটেই সহজ নয়। আমি তৃপ্ত।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • National Education Policy: রাজ্যের দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ে চালু হল মোদি সরকারের জাতীয় শিক্ষানীতি!

    National Education Policy: রাজ্যের দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ে চালু হল মোদি সরকারের জাতীয় শিক্ষানীতি!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জাতীয় শিক্ষানীতি (National Education Policy) নিয়ে জোর আলোচনা চলছে। ইতিমধ্যে সেই পথে হেঁটে চার বছরের স্নাতক কোর্স চালু করল কলকাতার সেন্ট জেভিয়ার্সের মতো বিশ্ববিদ্যালয়। সিস্টার নিবেদিতা ইউনিভার্সিটিও জানিয়ে দিয়েছে তাদের এই ঘোষণার কথা। দেশের অভিজ্ঞ শিক্ষাবিদদের রিপোর্টের ভিত্তিতে তৈরি এই জাতীয় শিক্ষানীতি পশ্চিমবঙ্গ সরকার এখনও পর্যন্ত সরকারিভাবে গ্রহণ করেনি উপরন্তু এই নীতির বিরোধিতাও শোনা গেছে শাসকদলের বেশ কিছু কর্তা ব্যক্তির মুখে। শিক্ষা মহলের একাংশ বলছে, ‘‘শিক্ষার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে রাজনীতি করা উচিত নয়।’’ যাদবপুর কলকাতা, প্রেসিডেন্সি বা রবীন্দ্রভারতীর মতো রাজ্য সরকারের অধীনস্থ বিশ্ববিদ্যালয়গুলি এখনও পর্যন্ত কিছু জানায়নি। যদিও সূত্রের খবর, শিক্ষা দফতরের কর্তারা জানাচ্ছেন, উচ্চমাধ্যমিকের ফলাফল এখনও বের হয়নি তাই হাতে খানিকটা সময় আছে। কিন্তু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সেই পথে না হেঁটে গ্রহণ করে নিল জাতীয় শিক্ষানীতি (National Education Policy)। ইতিমধ্যে তারা বিজ্ঞপ্তি জারি করে দিয়েছে। প্রসঙ্গত, ২৫ বৈশাখ কবিগুরুর স্মরণে কলকাতায় পা রেখেছিলেন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সে দিনই তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেছিলেন, ‘‘রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়েই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই জাতীয় শিক্ষানীতি তৈরি করেছেন।’’ জাতীয় শিক্ষানীতিকে ইতিমধ্যে মেনে নিয়েছে বেশ কিছু রাজ্য তার মধ্যে এমন অনেক রাজ্য রয়েছে যেগুলিতে বিজেপি সরকার নেই।

    রাজ্যে ইতিমধ্যে জমা পড়েছে কমিটি রিপোর্ট

    ইতিমধ্যে, উচ্চশিক্ষা দফতর একটি নির্দেশিকা জারি করেছে, যেখানে বলা হয় যে চলতি বছরেই চালু করতে হবে চার বছরের অনার্স কোর্স। এই নির্দেশিকার পরেই রাজ্য উচ্চ শিক্ষার সংসদ, উপাচার্যদের নিয়ে একটি কমিটি তৈরি করে এবং সব বিশ্ববিদ্যালয়ের মতামত চেয়ে পাঠায়। সূত্রের খবর তাতে বেশিরভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ই মত দিয়েছে যে জাতীয় শিক্ষানীতি (National Education Policy) যেহেতু বেশিরভাগ রাজ্যে বাস্তবায়িত হয়েছে, তাই চলতি বছরেই এ রাজ্যেও শুরু করা হোক। ইতিমধ্যে সেই রিপোর্ট নাকি উচ্চশিক্ষা দফতরের কাছে জমাও পড়ে গিয়েছে কিন্তু তা কার্যকর হচ্ছে কিনা বা কবে থেকে হবে, এবিষয়ে সরকারিভাবে এখনও কিছু জানানো হয়নি। আইএসসি, সিবিএসই-র পরীক্ষার ফল ইতিমধ্যে ঘোষণা হয়েছে তাই ইংরেজি মাধ্যম বিশ্ববিদ্যালয়গুলি জাতীয় শিক্ষানীতিকে গ্রহণ করেছে। এ বিষয়ে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ উপাচার্য বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন যে যতক্ষণ না উচ্চশিক্ষা দফতরের তরফ থেকে কিছু জানানো হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত কিছু বলা যাবেনা। ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা উচ্চ মাধ্যমিকের রেজাল্ট প্রকাশ হলেই সমস্ত কিছু পরিষ্কার হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • RSS: ‘‘আরএসএস দ্বেষ নয়, দেশপ্রেম শেখায়’’, মত সুনীল আম্বেকরের

    RSS: ‘‘আরএসএস দ্বেষ নয়, দেশপ্রেম শেখায়’’, মত সুনীল আম্বেকরের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘‘সঙ্ঘ দ্বেষ নয়, দেশপ্রেম শেখায়।’’ মঙ্গলবার দিল্লিতে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের (RSS) সর্বভারতীয় প্রচার প্রমুখ সুনীল আম্বেকর এমনই মন্তব্য করলেন একটি বই প্রকাশ অনুষ্ঠানে। দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী রাষ্ট্রীয় কলা কেন্দ্রে এদিন উদ্বোধন হয় ‘হামারা জীবন, হামারি ইয়াদেঁ’ নামের বই। জানা গেছে, সঙ্ঘের ছাত্র সংগঠন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের চার কার্যকর্তার জীবন সংগ্রাম এবং সমাজ তথা দেশের কাজে তাঁদের অবদান নিয়েই বইটি লেখা হয়েছে। বিশিষ্ট লেখক রামানন্দের সম্পাদনায় বইতে রয়েছে জনজাতি কার্যকর্তা আশা লকড়া, স্বর্গীয় অনিকেত, কলীরাম এবং ধনরাজের কথা। দেশ তথা সমাজের কাজে নিজেদের সম্পূর্ণভাবে সমর্পণ করে কীভাবে লোকজনের মধ্যে এঁরা প্রেরণার স্রোত হয়ে উঠেছিলেন, তাই-ই এই বইয়ের মূল বিষয় বলে জানা গেছে।

    কী বললেন সুনীল আম্বেকর?

    নিজের ভাষণে সুনীল আম্বেকর বলেন, ‘‘বিদ্যার্থী পরিষদ বা সঙ্ঘের আদর্শ ব্যক্তির মধ্যে দ্বেষ নয়, দেশপ্রেমকে ভরে দেয়।’’ সঙ্ঘ (RSS) বা বিদ্যার্থী পরিষদের কাজের প্রসার উল্লেখ করে শ্রী আম্বেকর আরও বলেন, ‘‘শুধুমাত্র নিজেদের ব্যবস্থাতেই সঙ্ঘ বা বিদ্যার্থী পরিষদ, তাদের কার্যকর্তাদের আটকে রাখেনা। সমাজ তথা দেশের কাজেও তাঁদের প্রেরণা দেওয়া হয়। সঙ্ঘ বা বিদ্যার্থী পরিষদের এই ব্যবস্থা কার্যকর্তাদের এতটাই মজবুত করে যে তাঁরা যেকোনও সংকট মোকাবিলায় সর্বদাই প্রস্তুত থাকেন।’’

    কারা হাজির ছিলেন এই অনুষ্ঠানে?

    সঙ্ঘের (RSS) প্রচার প্রমুখ সুনীল আম্বেকর ছাড়াও এদিনের অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন মোদি সরকারের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী ভূপেন্দ্র যাদব, তফশিলি উপজাতি কমিশনের চেয়ারম্যান হর্ষ চৌহ্বান সমেত অন্যান্যরা। তফশিলি উপজাতি কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, ‘‘এই বই শুধুমাত্র কার্যকর্তা নির্মাণ করবে তাই নয়, বরং সাধারণ মানুষ কীভাবে অসাধারণ কাজ সম্পন্ন করেন, তার দলিলও বটে।’’ অন্যদিকে, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ভূপেন্দ্র যাদব বলেন, ‘‘শুধু ভাষণ দিয়ে সামাজিক সদ্ভাব তৈরি করা যায় না, এটা আসে সমস্ত ধরণের মানুষকে হৃদয়ে জায়গা দেওয়ার মাধ্যমে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Karnataka: কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী কে? দু’পক্ষই রাজি ‘আড়াই-আড়াই’ ফর্মুলায়! ঘোষণা বৃহস্পতি-সন্ধ্যায়

    Karnataka: কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী কে? দু’পক্ষই রাজি ‘আড়াই-আড়াই’ ফর্মুলায়! ঘোষণা বৃহস্পতি-সন্ধ্যায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিদ্দারামাইয়া নাকি শিবকুমার, কর্নাটকের (Karnataka) নতুন মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে কে শপথগ্রহণ করবেন তা নিয়ে টানা চারদিন আলোচনা চলেই যাচ্ছে হাত শিবিরে। দলের একটি সূত্রের খবর, ২০ মে অর্থাৎ আগামী শনিবার মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিতে পারবেন সিদ্দারামাইয়া। উপমুখ্যমন্ত্রীর পদে বসতে পারেন শিবকুমার। বুধবার গভীর রাতে এমনই ঐকমত্যে পৌঁছেছেন দলের সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে। অচলাবস্থা কাটাতে বুধবার সনিয়া গান্ধীর সঙ্গে দলের সভাপতি খাড়্গে ভিডিও কনফারেন্সে বৈঠক করেন। সেই বৈঠকে এআইসিসির সাধারণ সম্পাদক কেসি ভেনুগোপাল এবং রণদীপ সুরজেওয়ালা উপস্থিত ছিলেন। মধ্যরাত পর্যন্ত চলে সেই বৈঠক। সেখানেই না কি চূড়ান্ত হয় ফর্মুলা।

    আড়াই-আড়াই ফর্মুলা

    দলের একটি সূত্রে খবর, কর্নাটকের (Karnataka) অধিকাংশ কংগ্রেস বিধায়ক সিদ্দারামাইয়াকে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে চাইলেও শিবকুমার হাইকমান্ডকে জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁকেই মুখ্যমন্ত্রী করতে হবে। শুধু উপমুখ্যমন্ত্রী হয়ে থাকতে তিনি রাজি নন। পাঁচ বছরের সরকারের মেয়াদকাল যদি দু’ভাগে ভেঙে আড়াই বছর করে দু’জনকে মুখ্যমন্ত্রী করা হয়, তা হলে তিনি প্রথমে মুখ্যমন্ত্রী হবেন। সরকার গঠন হওয়ার পর সিদ্দারামাইয়া মুখ্যমন্ত্রী হবেন, কিন্তু তিনি ২০২৫ সাল পর্যন্ত অপেক্ষা করে থাকবেন, তা মানতে রাজি ছিলেন না শিবকুমার। যদি তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী করা না হয়, তবে তিনি উপ-মুখ্যমন্ত্রী পদেও বসতে রাজি নন বলে দাবি করেছিলেন শিবকুমার। সে ক্ষেত্রে শুধুমাত্র প্রদেশ সভাপতি এবং বিধায়ক পদে থাকবেন বলেও জানান তিনি। এরই মধ্যে, রবিবার গোপন ব্যালটে বিধায়কদের থেকে যে মত নেওয়া হয়েছিল, তাতে এগিয়ে ছিলেন সিদ্দারামাইয়া। আর তার ভিত্তিতেই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকেই ফের একবার গদিতে বসাচ্ছেন মল্লিকার্জুন খাড়্গে। সূত্রের খবর, দুই নেতাকেই ‘আড়াই বছরের’ ফর্মুলাতে রাজি করানো হয়েছে। অর্থাৎ, কংগ্রেস সরকারের মেয়াদের প্রথম আড়াই বছর মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন সিদ্দারামাইয়া, আগামী আড়াই বছর মুখ্যমন্ত্রীর গদিতে বসবেন শিবকুমার। 

    কর্নাটক নিয়ে নানা প্রশ্ন ১০ জনপথে

    কর্নাটকের (Karnataka) বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে জেতার ৯৬ ঘণ্টা পরও মুখ্যমন্ত্রীর মুখ ঠিক করে উঠতে পারেনি কংগ্রেস হাইকম্যান্ড। বুধবার দিল্লিতে দফায় দফায় বৈঠকের পরও শতাব্দী প্রাচীন দল এখনও সরকারিভাবে শিলমোহর দিতে পারেনি, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া নাকি কর্নাটকের প্রদেশ সভাপতি ডিকে শিবকুমার, কাকে মুখ্যমন্ত্রী করা হবে! ১০, জনপথের অন্দরে ঘুরছে নানা প্রশ্ন। তা হলে কি রাজস্থানের পাইলট-গেহলত বা মধ্যপ্রদেশের কমলনাথ-জ্যোতিরাদিত্য দ্বন্দ্বের মতোই অবস্থা হবে কর্নাটকেও? ৪৩ শতাংশ ভোট পেয়েও পাঁচ বছর কর্নাটকে শান্তিপূর্ণ ভাবে সরকার চালাতে পারবে না কংগ্রেস? 

    কর্নাটক নিয়ে দফায় দফায় বৈঠক

    কংগ্রেস সূত্রে খবর, কর্নাটকের (Karnataka) রাজনীতির জট কাটাতে বুধবার খাড়্গে আলাদা আলাদা ভাবে সিদ্দারামাইয়া এবং শিবকুমারের সঙ্গে বৈঠক করেন। প্রথমে শিবকুমারের সঙ্গে বৈঠক হয়। পঞ্চাশ মিনিট শিবকুমারের সঙ্গে বৈঠকের পর সিদ্দরামাইয়ার সঙ্গেও বৈঠক করেন খাড়্গে। তিনি একাই নন, রাহুল গান্ধীও বুধবার দশ জনপথে সিদ্দারামাইয়া এবং শিবকুমারের সঙ্গে আলাদা ভাবে বৈঠক করেছিলেন।

    আরও পড়ুুন: ‘পদ্ম-বার্তা’ পৌঁছে দিতে পথে বিজেপি, যুব পঞ্চায়েত পদযাত্রা গেরুয়া শিবিরের

    কর্নাটকের বিধায়কদের নিয়ে বৈঠক

    মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন? এই আবহে কোনও কংগ্রেস নেতা কর্নাটক (Karnataka) নিয়ে মিডিয়ার সামনে বেফাঁস মন্তব্য করলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে দল। শিবকুমার প্রকাশ্যে বলছেন, ‘দল যে দায়িত্ব দেবে, আমি পালন করব৷ আমি দায়িত্বশীল ব্যক্তি৷ দলকে পিছন থেকে ছুরি মারব না, ব্ল্যাকমেল করব না৷’ অন্যদিকে সিদ্দারামাইয়ার বক্তব্য, ‘আমার যা বলার ছিল, বলে দিয়েছি৷ জানি না কী হবে!’ এর মধ্যে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি হিসাবে নবনির্বাচিত কংগ্রেস বিধায়কদের বৈঠক ডাকলেন ডিকে শিবকুমার। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টায় বেঙ্গালুরুর কুইন্স রোডে প্রদেশ কংগ্রেসের সদর দফতর ইন্দিরা গান্ধী ভবনে ওই বৈঠক ডাকা হয়েছে। নবনির্বাচিত কংগ্রেস বিধায়কদের পাশাপাশি বিধান পরিষদের সদস্য এবং কর্নাটক থেকে লোকসভা এবং রাজ্যসভায় নির্বাচিত কংগ্রেস বিধায়কদের ডাকা হয়েছে ওই বৈঠকে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Egra: এগরা বিস্ফোরণকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত ভানুসহ গ্রেফতার ৩, কোথা থেকে জানেন?

    Egra: এগরা বিস্ফোরণকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত ভানুসহ গ্রেফতার ৩, কোথা থেকে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এগরায় (Egra) বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের পর সপরিবারে ওড়িশায় দিয়ে গা ঢাকা দিয়েছিলেন কৃষ্ণপদ বাগ ওরফে ভানু। ঘটনার পর পরই সিআইডি তদন্তভার গ্রহণ করলেও ভানুর নাগাল পায়নি কেউ। মোবাইল ট্র্যাক করে তাকে ধরার চেষ্টা করে সিআইডি। ঘটনার তিনদিন পর বৃহস্পতিবার সকালে ভানুসহ তিনজনকে গ্রেফতার করে সিআইডি। কটক থেকে তাদের ধরা হয়। গ্রেফতারের তালিকায় ছেলে পৃথ্বীজিৎ বাগ এবং ভাইপোকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

    ভানু গ্রেফতার হতেই কী বললেন নিহত পরিবারের লোকজন?

    ভানু একসময় এগরার (Egra) খাদিকুলের বাড়িতে বাজি তৈরি করত। বছর পাঁচেক আগে সেখানে বিস্ফোরণ হয়। তাতে ভানুর ভাই ও তাঁর স্ত্রীর মৃত্যু হয়। ভানু জেলও খাটে। তবে, জেল থেকে বেরিয়ে কিছুদিন চুপচাপ থাকার পর সে ফের স্বমহিময় ফেরে। শাসক দলের নেতা ও পুলিশকে ম্যানেজ করে মাঠের মধ্যে মাটি ভরাট করে বাজি কারখানা গড়ে তোলা হয়। সেখানে যাওয়ার জন্য নতুন করে রাস্তা তৈরি করা হয়েছিল। সেই কারখানায় গড়ে ৩০ জন কাজ করতেন। তবে, ঘটনার দিন সংখ্যাটা কম ছিল। তবে, কতজন কাজ করছিলেন তা কেউ স্পষ্ট করে বলতে পারেননি। আর বিস্ফোরণের সময় পাশের ঘরেই ভানু ছিলেন। ফলে, বিস্ফোরণে সে গুরুতর চোট পান। তারপরও তিনি বসে না থেকে পরিবারের সকলকে নিয়ে কারখানার পিছনে মাঠ ধরে এলাকা ছেড়ে ছিলেন। তৃণমূলের প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য ভানু গ্রেফতার হওয়ার খবর এদিন খাদিকুল গ্রামে পৌঁছাতেই নিহত পরিবারের লোকজন কিছুটা হলেও স্বস্তিতে রয়েছেন। এক নিহত পরিবারের সদস্য গৌরাঙ্গ মাইতি বলেন, আমার ১৯ বছরের ছেলে কাজ করত। আমি চাই, ভানুকে গুলি করে মেরে দেওয়া হোক। নাহলে অন্তত তাকে সারা জীবন যেন জেলে রেখে দেওয়া হয়। ও গ্রামে না ফিরলে আর বাজি কারখানা হবে না। এভাবে আমাদের কোল খালি হবে না।

    কী বললেন স্থানীয় বাসিন্দা?

    স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, ভানু এলাকায় রীতিমতো মাতব্বর ছিল। সে তৃণমূলের নেতাদের ঘনিষ্ঠ হওয়ায় তার বিরুদ্ধে কথা বলার কারও সাহস ছিল না। এর আগেও ওর কারখানায় বিস্ফোরণ হয়েছিল। জেলও খেটেছে সে। তারপরও বাড়ি ফিরে পুলিশ আর তৃণমূল নেতাদের ম্যানেজ করে রমরমিয়ে এই কারবার চালাত। তাই, অভিযুক্ত ভানু বাগের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। ও যাতে গ্রামে আর ফিরতে না পারে তারজন্য প্রশাসনকে সবরকম উদ্যোগ নিতে হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: ৩২ হাজার চাকরি বাতিল মামলায় অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিল না হাইকোর্ট

    Calcutta High Court: ৩২ হাজার চাকরি বাতিল মামলায় অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিল না হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিকে প্রায় ৩২ হাজার চাকরি বাতিল মামলার শুনানি শেষ হল। তবে রায়দান স্থগিত রাখা হয়েছে। আগামী ১৯ শে মে, শুক্রবার দুপুর ১ টায় এই মামলার রায়দান করবে বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যর ডিভিশন বেঞ্চ। সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশে কোনও অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ দেয়নি হাইকোর্ট (Calcutta High court)।

    সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ 

    অভিযোগ, সাত বছর আগের নিয়োগ প্রক্রিয়াকে নষ্ট করতেই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Abhijit Ganguly) বেঞ্চ ৩২ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছেন৷ সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যায় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। পর্ষদের বক্তব্য ছিল, সিঙ্গল বেঞ্চে চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেওয়ার আগে তাদের পক্ষের কোনও বক্তব্য শোনা হয়নি। এদিনের শুনানিতে পর্ষদের তরফে আইনজীবী লক্ষ্মী গুপ্ত বলেন, ‘সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশে ছত্রে ছত্রে ভুল রয়েছে। যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তাতে মামলাকারীদের আবেদনের উল্লেখ করা হয়নি। আদালত (Calcutta High court) এক্ষেত্রে প্রসিকিউটরের মতো কাজ করেছে। একটি স্পাইরাল বাইন্ডিং দেখে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ওই স্পাইরাল বাইন্ডিংয়ের তথ্য হলফনামা আকারেও পেশ করা হয়নি।’

    ডিভিশন বেঞ্চে দীর্ঘ শুনানি

    মঙ্গল এবং বুধ-পর পর ২দিন এই মামলার শুনানি হয় বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চে (Calcutta High court)। বুধবার প্রায় পৌনে চার ঘণ্টা শুনানি হয়েছে। এদিন চাকরিহারাদের পক্ষে সওয়াল করতে গিয়ে আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “সিঙ্গল বেঞ্চে মামলায় যুক্ত ছিলেন না এই শিক্ষকেরা। তাদের বক্তব্যও শোনা হোক এই দাবি কেন জানায়নি পর্ষদ?” এর পরই কল্যাণের প্রশ্ন, “পার্থ চট্টোপাধ্যায় জেলে আছেন, মানিক ভট্টাচার্য জেলে আছেন। তাঁরা দুর্নীতিতে যুক্ত বলে অভিযোগ করা হচ্ছে। তাঁরা দুর্নীতিতে যুক্ত থাকলে এই শিক্ষকদেরও দুর্নীতিতে যুক্ত থাকতে হবে এই সিদ্ধান্ত কিভাবে গ্রহণ করা যায়?” 

    আরও পড়ুুন: ‘পদ্ম-বার্তা’ পৌঁছে দিতে পথে বিজেপি, যুব পঞ্চায়েত পদযাত্রা গেরুয়া শিবিরের

    এদিন আদালতে (Calcutta High court) এই মামলার মূল মামলাকারী প্রিয়াঙ্কা নস্করের আইনজীবী বলেন, ‘পর্ষদের প্রকাশিত তথ্যের উপর ভিত্তি করেই এই মামলা দায়ের করা হয়েছিল। তাছাড়া বারবার বলা হচ্ছে চাকরি হারানোদের কোনও সুযোগ দেওয়া হয়নি। একথা ঠিক নয়। বক্তব্য শোনার জন্য সিঙ্গল বেঞ্চের বিচারপতি নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁরা তা গ্রহণ করেননি।’ তিনি আরও বলেন, ‘বারবার প্রশ্ন তোলা হচ্ছে কেন ছয় বছর পর মামলা করা হল? এক্ষেত্রে বলতে হয় পর্ষদ কোনও দিনও ২০১৬ সালের নিয়োগ সংক্রান্ত তথ্য জনসমক্ষে আনেনি। আদালতে জনস্বার্থ মামলা হওয়ার পর মামলাকারীরা যখন তথ্য খতিয়ে দেখার সুযোগ পান তখন সমস্ত বিষয় সামনে আসে।’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP West Bengal: ‘পদ্ম-বার্তা’ পৌঁছে দিতে পথে বিজেপি, যুব পঞ্চায়েত পদযাত্রা গেরুয়া শিবিরের

    BJP West Bengal: ‘পদ্ম-বার্তা’ পৌঁছে দিতে পথে বিজেপি, যুব পঞ্চায়েত পদযাত্রা গেরুয়া শিবিরের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাস দুয়েকের মধ্যেই হতে পারে পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayet Polls)। দলের গোষ্ঠীকোন্দল সামাল দিতে ময়দানে নেমে পড়েছেন তৃণমূলের (TMC) সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ‘নবজোয়ার যাত্রা’ নাম দিয়ে আক্ষরিক অর্থেই প্রমোদ ভ্রমণে বেরিয়েছেন তৃণমূলের যুবরাজ। এদিকে, নির্বাচনের আগে আমজনতার অভাব অভিযোগের কথা শুনতে পদযাত্রা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে বিজেপি (BJP West Bengal) যুব মোর্চা। গেরুয়া শিবির সূত্রে খবর, প্রথম পর্যায়ে ভারতীয় জনতা যুব মোর্চার গ্রাম সম্পর্কিত অভিযান সুসম্পন্ন হয়েছে। এরপর ভারতীয় জনতা যুব মোর্চা দ্বিতীয় পর্যায়ের প্রথম পর্বে নতুন অভিযান শুরু করবে।

    বিজেপির (BJP West Bengal) ‘যুব পঞ্চায়েত পদযাত্রা’… 

    এই অভিযান শুরু হবে জলপাইগুড়ি থেকে। জুন মাসের মধ্যে সম্পূর্ণ হবে এই পদযাত্রা কর্মসূচির দ্বিতীয় পর্যায়ও। এই পর্বে ৫০টি বিধানসভা কেন্দ্রের ৫০০টি গ্রামে পৌঁছবে যুব মোর্চা। পদ্ম শিবির সূত্রে খবর, সব মিলিয়ে মোট ৫ হাজার কিলোমিটার রাস্তা অতিক্রম করবে এই পদযাত্রা। ২০০টি গ্রামীণ বিধানসভা কেন্দ্রের হাজারটি গ্রাম পঞ্চায়েতে ও পাঁচ হাজার গ্রামে ঘুরবেন যুব মোর্চার নেতারা। শুনবেন মানুষের অভাব-অভিযোগের কথা। ‘যুব পঞ্চায়েত পদযাত্রা’ নামের এই কর্মসূচির নেতৃত্ব দেবেন যুব (BJP West Bengal) মোর্চার রাজ্য সভাপতি ইন্দ্রনীল খাঁ। যোগ দেওয়ার কথা যুব মোর্চার সর্বভারতীয় সভাপতি তেজস্বী সূর্যেরও। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীর পাশাপাশি রাজ্যের সমস্ত বিধায়ক, সাংসদ এবং নেতাও যোগ দেবেন ওই কর্মসূচিতে। কর্মসূচি যাতে সফল হয়, সেজন্য রাজ্যের ৪২টি লোকসভা এলাকার জন্য ৪২টি কমিটিও তৈরি করে ফেলেছে যুব মোর্চা।

    আরও পড়ুুন: মধ্যপ্রদেশে প্রকাশ্যে এল ‘দ্য কেরালা স্টোরি’র বাস্তব গল্প! কী হয়েছে জানেন?

    গেরুয়া শিবির সূত্রে খবর, রাজ্যের প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তত ২৫ কিলোমিটার রাস্তা দিয়ে যাবে বিজেপির (BJP West Bengal) ‘যুব পঞ্চায়েত পদযাত্রা’। পদযাত্রা চলবে ২১ দিন ধরে। এই কর্মসূচি পালনের সময় বড় ধরনের কোনও সভা হবে না। যেহেতু পদযাত্রার মূল লক্ষ্য আমজনতার অভাব-অভিযোগের কথা শোনা, তাই হবে পঞ্চায়েত সভা কিংবা হাট সভা। কর্মসূচি চলাকালীন বিজেপির সমর্থনে লেখা হবে দেওয়ালও। বাড়ি বাড়ি গিয়ে পৌঁছে দেওয়া হবে ‘পদ্ম-বার্তা’। ২০১৪ সালের ২৬ মে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই কারণে এই মাসের শেষের দিক থেকে দেশজুড়ে ৫১টি বড় জনসভা করবে বিজেপি (BJP West Bengal)। সেই জনসভার মূল লক্ষ্য, গত ৯ বছরে মোদি সরকারের সাফল্যের খতিয়ান তুলে ধরা। তার সঙ্গে অবশ্য ‘যুব পঞ্চায়েত পদযাত্রা’র কোনও সম্পর্কই নেই। তবে দুই কর্মসূচিই শুরু হচ্ছে মে মাসে। কী অদ্ভুত সমাপতন! 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bengali Sweets: বাংলার সবজির মোরব্বাও কম সুস্বাদু নয়! এর উৎপত্তির ইতিহাসও চমকপ্রদ

    Bengali Sweets: বাংলার সবজির মোরব্বাও কম সুস্বাদু নয়! এর উৎপত্তির ইতিহাসও চমকপ্রদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাঙালির শেষ পাতে মিষ্টি না হলে বোধহয় চলে না! তাই তো রকমারি মিষ্টির (Bengali Sweets) বাহার আমাদের বাংলাতে। রসগোল্লা থেকে শুরু করে সন্দেশ, পান্তুয়া-কোনওটাই বাদ যায় না তালিকা থেকে। কিছু মিষ্টি আছে, যেগুলি স্বাদে ও আকারে অন্যান্য সাধারণ মিষ্টির থেকে অনেকটাই ভিন্ন। সেরকমই একটি মিষ্টি মোরব্বা। বীরভূমের সিউড়ি শহরের নাম মাথায় এলে মোরব্বা নামটা একবার উচ্চারণ করতেই হয়। সিউড়ির বিখ্যাত মিষ্টি হল মোরব্বা। বর্ধমানের যেমন মিহিদানা-সীতাভোগ, শক্তিগড়ের ল্যাংচা, কলকাতার রসগোল্লা, তেমনই বীরভূমের এই মোরব্বা। অনেকেই পছন্দ করেন এই মোরব্বা। কিন্তু এই মিষ্টির উৎপত্তি নিয়ে অনেক ইতিহাস আছে। আসলে এই মিষ্টি বাংলায় তৈরি না বিদেশে, তা নিয়েও আছে অনেক গল্প।

    কী এই মোরব্বা?

    ‘মোরব্বা’ শব্দটি এসেছে আরবি শব্দ ‘মুরাব্বা’ থেকে, যার অর্থ সংরক্ষিত ফল। মোরব্বা হল একটি মিষ্টি যা ভারতের অনেক জায়গাতেই পাওয়া যায়। কিন্তু মোরব্বা (Bengali Sweets) বিখ্যাত আমাদের পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলার সিউড়ি শহরে। দক্ষিণ ককেশাস, মধ্য এশিয়া, দক্ষিণ এশিয়া এবং মধ্য প্রাচ্যের অনেক অঞ্চলে জনপ্রিয় মিষ্টি এটি। সাধারণত মিষ্টি ফল যেমন আপেল, খেজুর, এমনকী পটল, চালকুমড়া, পেঁপে, বেল প্রভৃতিকে গাঢ় মিষ্টির রসে ডুবিয়ে রেখে বিভিন্ন মশলা সহযোগে তৈরি করা হয় এই মোরব্বা, যা অনেকদিন পর্যন্ত মিষ্টির রসে সংরক্ষণ করে রাখা যেতে পারে।

    মোরব্বার (Bengali Sweets) উৎপত্তি হল কীভাবে?

    আসলে এই মিষ্টির উৎপত্তি পর্তুগিজদের হাত ধরে। জানা যায়, প্রাচীন ভারতে ছানা খাওয়া অপবিত্র ছিল। তাই ছানা সহযোগে আগে ভারতে কোনওরকম মিষ্টি তৈরি হত না। কিন্তু পর্তুগিজরা ভারতে আসার পর ছানার ব্যাবহার শুরু করে। আর এই ছানা দিয়ে নানারকম মিষ্টিও তারা বানায়। এই সব মিষ্টির সঙ্গে তারা আরও এক ধরনের মিষ্টি তৈরি করে, যা মোরব্বা নামে পরিচিত। এই মিষ্টি তৈরিতে কোনও রকম ছানা লাগত না। বিভিন্ন ফলকে গাঢ় রসে ডুবিয়ে সেই ফলগুলিকে সংরক্ষণ করা হত, যা মিষ্টির আকার নিত। এই মোরব্বা প্রথম পর্তুগিজদের হাত ধরেই ভারতে প্রবেশ করে। আজ এই মোরব্বা গোটা বিশ্বে বিখ্যাত। লোক মুখে শোনা যায়, এই মোরব্বা প্রথম তৈরি হয় বীরভূমের রাজনগরে।    
    আবার বিভিন্ন বই-এর লেখা থেকে জানা যায়, পর্তুগিজ বণিকদের হাত ধরেই প্রবেশ করে এই মোরব্বা। সিউড়ির স্থানীয় লোকদের কাছ থেকে জানা যায়, ১৮ শতকের মাঝামাঝি সময়ে বীরভূমের বিখ্যাত মিষ্টি ব্যবসায়ী হরিপ্রসাদ দে একবার দিল্লি ঘুরতে গিয়েছিলেন। সেখানে তিনি একরকম মিষ্টির সন্ধান পান, যেটি পেঠা নামে পরিচিত ছিল। সেই মিষ্টিটি তিনি খেয়ে দেখেন ও তার স্বাদ খুবই পছন্দ হয়। সেখান থেকেই এই মিষ্টি তৈরির প্রণালী শিখে আসেন এবং নিজের শহরে ফিরে এসে এই ধরনের মিষ্টি (Bengali Sweets) বানানোর সিদ্ধান্ত নেন, যা মোরব্বা নামে পরিচিত। বিভিন্ন ফল দিয়ে তিনি এই মিষ্টি বানাতে শুরু করেন। তাঁর বংশধর নন্দদুলাল দে এই ইতিহাস সত্যি বলেই দাবি করেন। আস্তে আস্তে এই মিষ্টি গোটা ভারত জুড়ে বিখ্যাত হতে শুরু করে। এটি হয়ে ওঠে বীরভূমের সিউড়ির বিখ্যাত মিষ্টান্ন। অনেক বড় বড় মানুষ এই মোরব্বার সন্ধানে সিউড়িতে এসেছেন।
    বর্তমানে ফল ছাড়া আরও বিভিন্ন সবজি দিয়েও এই মোরব্বা বানানো হয়। তার মধ্যে পটল, চালকুমড়া, শতমূলের মোরব্বা বিখ্যাত।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share