Tag: Madhyom

Madhyom

  • Nadia: পরকীয়া সন্দেহে এলোপাথারি কুপিয়ে খুন স্ত্রীকে, অভিযুক্ত স্বামী গ্রেফতার

    Nadia: পরকীয়া সন্দেহে এলোপাথারি কুপিয়ে খুন স্ত্রীকে, অভিযুক্ত স্বামী গ্রেফতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পরকীয়া সন্দেহে স্ত্রীকে এলোপাথারি কুপিয়ে খুন করল স্বামী। ঘটনাটি ঘটেছে নদীয়ার (Nadia) ভীমপুর থানার এলাঙ্গি মাঝেরপাড়া এলাকায়। পুলিশ অভিযুক্ত স্বামীকে গ্রেফতার করেছে।

    কী কারণে খুন?

    মৃত ওই গৃহবধুর নাম অঞ্জলি বিশ্বাস। বয়স আনুমানিক ৪৫ বছর। সূত্রের খবর, পরকীয়া সন্দেহে মাঝেরপাড়া এলাকার বাসিন্দা শৈলেন বিশ্বাসের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে তাঁর স্ত্রী অঞ্জলি বিশ্বাসের অশান্তি লেগেই থাকতো। পরিবার সূত্রে জানা যায়, স্বামী-স্ত্রী দুজনে মাঝেমধ্যেই ঝগড়া করত। আত্মীয়রা জানান, অঞ্জলি বিশ্বাস সেভাবে কিছু না বললেও তাঁর স্বামী শৈলেন বিশ্বাস মাঝেমধ্যেই স্ত্রীর উপর চড়াও হত এবং মারধর করত। ঘটনার দিন সকাল থেকেই প্রায় দিনের মতো বাক-বিতণ্ডা চলছিল স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে। বিকেল নাগাদ শৈলেন হঠাৎ একটি ধারালো অস্ত্র দিয়ে আচমকা কোপাতে শুরু করে স্ত্রীকে। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়ে অঞ্জলি বিশ্বাস। চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু হলে এলাকার লোকজন এসে উদ্ধার করে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ভীমপুর (Nadia) থানার পুলিশ। অভিযুক্ত শৈলেন বিশ্বাস পালানোর চেষ্টা করলেও স্থানীয় মানুষ তাঁকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে ভীমপুর থানার পুলিশ। আজ তাঁকে আদালতে তোলা হবে।

    মৃতার দিদির বক্তব্য

    মৃত অঞ্জলি বিশ্বাসের দিদি সন্ধ্যা মণ্ডল বলেন, এর আগেও একাধিকবার পরকীয়ায় অভিযুক্ত শৈলেন বিশ্বাস আমার বোনকে মারধর করে। গতকাল আমার বোনকে কুপিয়ে (Nadia) মেরে ফেলল শৈলেন। আমি চাই সারা জীবন যেন ও জেলবন্দি থাকে। ওর মতো বোনাই আমার প্রয়োজন নেই। আমি ওর মুখ দেখতে চাই না।

    সন্তানের বক্তব্য

    খুনে অভিযুক্ত শৈলেন বিশ্বাসের ছেলে বিশ্বজিৎ বিশ্বাস বলেন, মাকে পরকীয়া নিয়ে সন্দেহ করতো বাবা। কিন্তু শুধু আমি কেন, গ্রামের (Nadia) কেউই বিশ্বাস করবে না এই বয়সে মা এরকম কাজ করতে পারে। সেই কারণে বাবাকে আমি অনেক সময় বোঝানোর চেষ্টা করতাম, মাকেও চুপ করে থাকতে বলতাম। ইদানীং বাবা আরও বেশি সন্দেহ করতে শুরু করে মাকে। কাজও ঠিকমতো করত না বাবা। আমি নিজেও বাবাকে বলেছি, কাজ করার প্রয়োজন নেই। বাড়িতে তুমি রেস্ট নাও। গতকাল অন্যান্য দিনের মতোই ছোটখাট ঝামেলা লেগেছিল। কিন্তু বিকেলের পর আমি কাজে বেরিয়ে যাই। এরপর শুনি, বাবা এরকম ঘটনা ঘটিয়েছে। পাশাপাশি বিশ্বজিৎ আরও বলেন, আমিও চাই, যে ঘটনা ঘটেছে তার উপযুক্ত শাস্তি পাক বাবা। তবে এই ঘটনায় অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করে কারণ জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। এই ঘটনার পিছনে শুধুমাত্র কি পরকীয়া সন্দেহ নাকি অন্য কারণ আছে, তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘আপনার দলকে বোমা সাপ্লাই দিত ভানু’! এগরাকাণ্ডে মমতার পদত্যাগ দাবি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘আপনার দলকে বোমা সাপ্লাই দিত ভানু’! এগরাকাণ্ডে মমতার পদত্যাগ দাবি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণকাণ্ডের জন্য পুলিশমন্ত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি করলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বুধবার তিনি এগরার খাদিকুল গ্রামে যান। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সঙ্গে তিনি কথা বলেন। তাঁদের পাশে থাকার তিনি আশ্বাস দেন। খাদিকুলে বিস্ফোরণস্থল ঘুরে দেখে বিরোধী দলনেতা বলেন, ‘‘বগটুই থেকে এখনও পর্যন্ত যে সব ঘটনা ঘটেছে তারজন্য রাজ্যের পুলিশমন্ত্রী দায়ী। তাই, পুলিশমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করছি। আর এই ঘটনার এনআইএ তদন্তের দাবি জানিয়ে হাইকোর্টে মামলা করেছি। দু-তিনদিনের মধ্যেই এই দাবিতেই এগরায় ২৫ হাজার কর্মী নিয়ে মহা-মিছিল করা হবে।’’ শুভেন্দু আরও বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীকে বলি, শুধু বাজি কারখানাই নয়, পঞ্চায়েত নির্বাচনকে সামনে রেখে আপনার পার্টিকে বোমা সাপ্লাই (সরবরাহ) করার জন্য এই কারখানা তৈরি হয়েছিল। আর আপনার পুলিশ প্রতি মাসে এখান থেকে ৫০ হাজার টাকা করে নিয়ে যেতেন।’’

    পুলিশকে মাসোহারা নিয়ে কী বললেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)?

    এদিন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘‘বাজি কারখানার মালিক কৃষ্ণপদ বাগ তৃণমূলের প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য। তাঁর বউমাকে ২০১৮ সালে ভোটে দাঁড় করিয়েছিলেন। এই বাজি কারখানার মালিক প্রতিমাসে এগরা আইসি-কে ৫০ হাজার টাকা করে পাঠাতেন। বিশ্বজিৎ নামে এক এএসআই এই টাকা নিয়ে যেতেন। সব হিসেব হবে। তোলাবাজ পুলিশের ওপর আমাদের কোনও আস্থা নেই। পুলিশ দিয়ে নমুনা সংগ্রহ করা হলে সমস্ত তথ্য তারা লোপাট করে দেবে। তাই, কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করে ন্যাশনাল ফরেনসিক টিম দিয়ে তদন্ত করতে হবে।’’

    ক্ষতিপূরণ নেওয়া নিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের কী বললেন বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari)?

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘‘রাজ্য সরকার আড়াই লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছে, সেটা ন্যাশনাল ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্টের টাকা। প্রত্যেক নিহত ব্যক্তিদের ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।’’ এদিকে পুলিশ অভিযান চালিয়ে চারজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে। ঘটনাস্থল ঘিরে রেখেছে পুলিশ।

    আরও পড়ুন: এগরায় বিস্ফোরণ হওয়া সেই বাজি কারখানার মালিক তৃণমূলের প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য

    এনআইএ-র দাবিতে শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) মামলা হাইকোর্টে

    এগরায় বোমা বিস্ফোরণ কাণ্ডের ঘটনায় আগাগোড়াই এনআইএ তদন্তের দাবিতে সরব বিজেপি নেতারা। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি দিয়ে ইতিমধ্যেই সেই দাবির কথা জানিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এবার ওই একই দাবিতে হাইকোর্টে প্রধান বিচারপতি পি এস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চে মামলা করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। ফলে সাম্প্রতিক ঘটে যাওয়া বিভিন্ন ঘটনার মতো এগরা কাণ্ডের জলও গড়ালো আদালতে। শুভেন্দুর আর্জি আদালতে গৃহীত হয়েছে। খুব সম্ভবত বৃহস্পতিবারই এই মামলার শুনানি হতে পারে বলে হাইকোর্ট সূত্রে জানা গিয়েছে। উল্লেখ্য, বেকায়দায় পড়ে ইতিমধ্যেই এনআইএ-র দাবিতে সহমত পোষণ করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kaliaganj: সন্তানের মৃতদেহ বহনকারী বাবার পাশে জয়কৃষ্ণ

    Kaliaganj: সন্তানের মৃতদেহ বহনকারী বাবার পাশে জয়কৃষ্ণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টাকার অভাবে অ্যাম্বুল্যান্স না মেলায় সন্তানের মৃতদেহ ব্যাগে ভরে বাড়ি (Kaliaganj) ফেরার ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজ্যে। অমানবিক ঘটনার নিন্দা সর্বত্র। এই পরিস্থিতিতে মৃত শিশুর বাড়িতে পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে এলেন জলপাইগুড়ির সমাজসেবী অঙ্কুর দাস ও স্ত্রীর মৃতদেহ কাঁধে বহনকারী জয়কৃষ্ণ দেওয়ান।

    কী পরিচয় এই সমাজকর্মীদের?

    অনেকেরই হয়তো মনে আছে, কিছুদিন আগে অ্যাম্বুল্যান্সের ভাড়ার টাকা না থাকায় মৃত স্ত্রীর দেহ কাঁধে নিয়ে বাড়ির (Kaliaganj) পথে হাঁটা দেওয়া জলপাইগুড়ির সেই জয়কৃষ্ণ দেওয়ানের কথা। সেদিন অসহায় দেওয়ান পরিবারকে অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা দিয়ে সাহায্য করে হাজতবাস করেছিলেন জলপাইগুড়ির এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সাধারণ সম্পাদক অঙ্কুর দাস। সেই ঘটনার পর আবারও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি। এবার উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জে। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে অসুস্থ শিশুপুত্রের মৃত্যুর পর টাকার অভাবে অ্যাম্বুল্যান্স না পেয়ে জামাকাপড়ের ব্যাগে সন্তানের মৃতদেহ ভরে বাড়ি নিয়ে আসেন কালিয়াগঞ্জের মুস্তাফানগরের বাসিন্দা অসীম দেবশর্মা। টিভির পর্দায় মর্মান্তিক ও অমানবিক এই ঘটনা দেখতে পেয়ে শোকার্ত পরিবারকে সমবেদনা জানাতে মঙ্গলবার কালিয়াগঞ্জে অসীম দেবশর্মার বাড়িতে ছুটে এলেন জয়কৃষ্ণ দেওয়ান ও অঙ্কুর দাস। ছেলে হারানোর যন্ত্রণায় শোকার্ত অসীম দেবশর্মা ও তাঁর স্ত্রীকে সমবেদনা জানান তাঁরা। পাশাপাশি অসীমবাবুর কাছে সমস্ত ঘটনা শোনেন দুজনেই।

    স্ত্রীর মৃতদেহ বহনকারী জয়কৃষ্ণ দেওয়ানের বক্তব্য

    জয়কৃষ্ণবাবু মানবিক হয়েই অসীমবাবুর বাড়িতে মর্মান্তিক কথা শুনতে আসেন। তিনি বলেন, আমি দেখেছি বাড়ির (Kaliaganj) অবস্থা! অ্যাম্বুল্যান্সের জন্য ৮০০০ টাকা দেওয়ার ক্ষমতা নেই। আরও বলেন, আগামী দিনে আমরা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে বিশেষ দাবি নিয়ে যাবো। পশ্চিমবঙ্গের সকল সরকারি হাসপাতাল থেকে গরীব মৃত মানুষের দেহগুলিকে বিনা খরচায় বাড়িতে পোঁছানোর পরিষেবা চালু করতে হবে বলে মত প্রকাশ করেন তিনি। আর যদি দাবি না মানা হয়, তাহলে আমি আমার নগরডাঙ্গাতে অনশনে বসব বলে ঘোষণা করেন।

    কী বললেন সমাজসেবী সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক?

    জলপাইগুড়ির স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সাধারণ সম্পাদক অঙ্কুর দাস বলেন, ৫ই জানুয়ারি জলপাইগুড়িতে একইভাবে মৃতদেহ নিয়ে আসার জন্য সাহায্য পাননি জয়কৃষ্ণবাবু। আমি সহযোগিতা করতে গেলে আমাকেও জেলে যেতে হয়। জেলাশাসক থেকে শুরু করে মুখ্যমন্ত্রী সকলকে আমরা চিঠি দিয়ে জানিয়েছি, গরীব মানুষের স্বাস্থ্য পরিষেবার জন্য সরকার বিনামূল্যে অ্যাম্বুল্যান্সের ব্যবস্থা করুক। জলপাইগুড়ির মতো মৃতদেহ বহন করার ঘটনা আরও ঘটবে বলে সতর্ক করেছিলাম, প্রশাসন শোনেনি। আর তাই ঘটেছে কালিয়াগঞ্জে (Kaliaganj)। কিছু দিন চুপচাপ থাকলেও এরপর আবার অ্যাম্বুল্যান্স অ্যাসোসিয়েশনের দাদাগিরি শুরু হয়ে যায়। কিন্তু তাতেও কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি প্রশাসন। আগামী দিনে আমরা গরীব মানুষের জন্য বিনা পয়সায় অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবার জন্য প্রথমে মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হব। আর না মানলে অরাজনৈতিকভাবে বৃহৎ আন্দোলন করব। আরও বলেন, জয়কৃষ্ণবাবু এবং অসীমবাবুকে নিয়ে আমরা এই সামাজিক আন্দোলন করব।

    প্রশাসনের (Kaliaganj) ভূমিকা

    এদিকে এই ঘটনার পর নড়েচড়ে বসেছে জেলা প্রশাসন। কালিয়াগঞ্জ (Kaliaganj) ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে গাড়ি পাঠিয়ে অসীম দেবশর্মা সহ পরিবারের লোকেদের নিয়ে গিয়ে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের ভুক্ত করা হয়। এ বিষয়ে রায়গঞ্জের মহকুমা শাসক কিংশুক মাইতি ফোনে জানিয়েছেন, এদিন ওই পরিবারের সদস্যদের স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে নাম অন্তর্ভুক্ত করার জন্য ডেকে আনা হয়েছিল। পরবর্তীকালে তাঁদের জবকার্ডও করে দেওয়া হবে। এখন বিনামূল্যে সরকারি হাসপাতালে কবে থেকে অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা চালু হয়, সেটাই দেখার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Gerbera Flower: জারবেরা ফুলের চাষ করে মাসে লক্ষ টাকা আয়ের দিশা দেখাচ্ছেন নদিয়ার যুবক

    Gerbera Flower: জারবেরা ফুলের চাষ করে মাসে লক্ষ টাকা আয়ের দিশা দেখাচ্ছেন নদিয়ার যুবক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কৃত্রিম উপায়ে অনুকূল পরিবেশ তৈরি করে জারবেরা ফুলের (Gerbera Flower) চাষ করে মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা আয়ের দিশা দেখাচ্ছেন নদিয়ার যুবক উজ্জ্বল দেবনাথ। নিজের জমিতে হাজার বর্গফুট জায়গায় জারবেরা ফুলের চাষ করেছেন তিনি। দিন দিন হু হু করে বাড়ছে বেকার যুবক-যুবতীর সংখ্যা। হাতে শিক্ষার ডিগ্রি নিয়ে বর্তমানে কী কাজ করবেন, তা ভেবেই দিশাহারা যুবক-যুবতীরা। অনেকে আবার পড়াশোনা করে কৃষিকাজ করবেন, এটা ভাবতেই পারেন না। কিন্তু কৃষি মানেই ধান-পাট চাষ নয়, কৃত্রিম উপায়ে আরও অন্য কিছু চাষ করেও যে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করা যায়, তার উদাহরণ নদিয়ার এই যুবক।

    কীভাবে ওই যুবক এই চাষে এলেন?

    নদিয়ার শান্তিপুর থানার চাঁদড়া এলাকার যুবক উজ্জ্বল। তিনিও উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হওয়ার পর কোনও কাজ না পেয়ে হতাশ হয়ে পড়েছিলেন। অবশেষে জারবেরা ফুলের (Gerbera Flower) চাষের সন্ধান পান। এ বিষয়ে চর্চাও শুরু করে দেন। অবশেষে পুনে থেকে জারবেরা ফুলের চারা এনে নিজের জমিতেই হাজার বর্গফুট এলাকায় চাষ করতে শুরু করেন। তৈরি করেন গ্রিন হাউস। এরপরই শুরু করেন জারবেরা ফুলের চাষ।

    গ্রিন হাউস তৈরিতে খরচ কত?

    এই জারবেরা (Gerbera Flower) ফুলের অনুকূল পরিবেশ রয়েছে মূলত বেঙ্গালুরুতে। সেখানে হাজার হাজার বিঘা জমিতে জারবেরা ফুলের চাষ হয়। এবার সেই অনুকূল পরিবেশ কৃত্রিম উপায়ে তৈরি করে নদিয়াতেও চাষ হচ্ছে। উজ্জ্বল বলেন, এই চাষে কৃত্রিম গ্রিন হাউস তৈরি করতে মূলত ১০ থেকে ১৫ লাখ টাকা খরচ হয়েছিল। সেই গ্রিন হাউস কুড়ি বছর পর্যন্ত চালানো যেতে পারে। তবে এই ফুলের যত্ন এবং চর্চা খুব ভালোভাবে করতে হয়। গ্রিন হাউসের মাধ্যমে বিভিন্নভাবে জল দিতে হয়। পাশাপাশি গরমে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলে পাইপে করে জল দিতে হয় ফুল গাছে। পাশাপাশি কীটনাশক তো রয়েছেই। বিভিন্ন সময় রাসায়নিক ও জৈবসারও প্রয়োগ করতে হয়। উজ্জ্বল আরও বলেন, আগামী দিনে বেকার যুবক-যুবতীরা এই কাজ করে ভালোই আয় করতে পারবেন।

    কীভাবে খুলতে পারে আয়ের পথ?

    এ বিষয়ে তিনি আরও বলেন, রাসায়নিক এবং কীটনাশক সার প্রয়োগ সহ অন্যান্য যে বাহ্যিক খরচ রয়েছে, তা সব মিলিয়ে এক একটি ফুলে (Gerbera Flower) এক থেকে দেড় টাকা করে পড়ে। প্রতিদিন গড়ে ৭০০ থেকে ৮০০ ফুল তোলা যায়। বিভিন্ন অনুষ্ঠান এবং বিয়ের মরশুম থাকলে এক একটা ফুল পাঁচ থেকে ছয় টাকা করে বিক্রি করা যায়। যার মাসিক আয় প্রায় লক্ষ টাকা ছাড়াতে পারে বলে দাবি তাঁর। সেখানে যদি একটু বেশি চাহিদা থাকে এবং ফুলের দাম চার থেকে পাঁচ টাকা থাকে, তাহলেও মাসে আয় হতে পারে প্রায় লক্ষ টাকা। যদিও তিনি বলেন, কোনও কোনও সময় অনুষ্ঠান কিংবা মরশুম না থাকলে ফুলের দাম একটু কমে যায়। তখন লাভের অংশটাও কমে যেতে পারে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: পঞ্চায়েতের নির্বাহী সহায়ককে বেধড়ক মারধর, অভিযুক্ত তৃণমূল যুবনেতা

    TMC: পঞ্চায়েতের নির্বাহী সহায়ককে বেধড়ক মারধর, অভিযুক্ত তৃণমূল যুবনেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গ্রাম পঞ্চায়েতের এক্সিকিউটিভ অ্যাসিস্ট্যান্টকে (নির্বাহী সহায়ক) মারধরের অভিযোগ উঠল প্রধানের ঘনিষ্ঠ তৃণমূল (TMC) নেতার বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোণা-২ নম্বর ব্লকের বান্দিপুর এক গ্রাম পঞ্চায়েতে। সুবিচারের আশায় মঙ্গলবার নির্বাহী সহায়করা একত্রিত হয়ে নিরাপত্তার দাবিতে বিডিও র দ্বারস্থ হয়েছেন। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় ব্লক প্রশাসনের তরফ থেকে বেশ কয়েকজনের নামে থানায় লিখিত অভিযোগ জানানো হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    গ্রাম পঞ্চায়েতে বেশ কয়েকদিন ধরেই কাজের টেন্ডার প্রক্রিয়াকে কেন্দ্র করে একটা ঝামেলা চলছিল। টেন্ডার প্রক্রিয়ায় ১৩ মে টাকা জমা নেওয়ার শেষদিন ছিল। আর সেই দিন প্রধান গ্রাম পঞ্চায়েতে উপস্থিত ছিলেন না। তাই বিডিওর নির্দেশেই টাকা জমা নিতে গিয়েছিলেন এক্সিকিউটিভ অ্যাসিস্ট্যান্ট জিয়ারুল রহমান। এতেই প্রধানের রোষের মুখে পড়তে হয় তাঁকে। এই নিয়ে ১৫ মে গ্রাম পঞ্চায়েত কার্যালয়ে প্রধান অনুগামীদের ক্ষোভের মুখে পড়েন জিয়ারুলসাহেব। এমনকী সেই ঘটনার কথা জানতে পেরে বিডিওর উদ্যোগে পঞ্চায়েত কার্যালয়ে পুলিশ পর্যন্ত পাঠাতে হয়। সেই রাগেই জিয়ারুলসাহেব বাড়ি ফেরার সময় বান্দিপুর-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের কদমতলা গ্রামে তাঁকে একা পেয়ে প্রধান অনুগামী তথা ব্লক তৃণমূলের (TMC) যুবনেতা তাপস দোলই তাঁর ওপর চড়াও হয়। প্রকাশ্যেই তাঁকে ব্যাপক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। যদিও অভিযুক্ত ব্লক তৃণমূলের (TMC) যুবনেতা তাপস দোলই হামলা চালানোর কথা অস্বীকার করেন। অন্যদিকে, বিডিওর নির্দেশে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। তৃণমূলীদের এই হামলার প্রতিবাদে এবং নিরাপত্তার দাবিতে জিয়ারুলের পাশে দাঁড়ান ব্লকের সমস্ত গ্রাম পঞ্চায়েতের নির্বাহী সহায়কেরা। মঙ্গলবার বিকেলে বিডিওর কাছে গিয়ে সকলেই স্মারকলিপি জমা দেন।

    কী বললেন আক্রান্ত পঞ্চায়েতের নির্বাহী সহায়ক?

    নির্বাহী সহায়ক জিয়ারুল রহমান বলেন, সরকারি নিয়ম মেনেই আমি কাজ করেছি। সেটা হামলাকারীদের পছন্দ হয়নি। তাই কাজ শেষে অফিস থেকে বাড়ি ফেরার পথে আমাকে মারধর করেছে ওরা। তৃণমূল (TMC) নেতা তাপস দোলুইয়ের নেতৃত্বে এই হামলা হয়েছে। আমরা বিডিও-র কাছে সমস্ত বিষয়টি লিখিতভাবে জমা দিয়েছি।

    কী বললেন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি এবং পঞ্চায়েত প্রধান?

    চন্দ্রকোণা-২ পঞ্চাশ সমিতির সভাপতি হীরালাল ঘোষ বলেন, হামলা চালানোর ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। প্রধানই চরম দুর্নীতিগ্রস্ত। হামলার বিরুদ্ধে আইনানুক ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। এই বিষয়ে বান্দিপুর-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান নমিতা কোটাল বলেন, নির্বাহী সহায়ক বিডিও-র নির্দেশে টেন্ডার প্রক্রিয়া জমা নিয়ে ভুল করেছে। তবে, মারধরের ঘটনা নিয়ে তিনি কিছু বলতে চাননি।

    কী বললেন বিডিও?

    চন্দ্রকোণা- ২ নম্বর ব্লকের বিডিও অমিত ঘোষ বলেন, টেন্ডারের টাকা জমা দেওয়া নিয়ে সমস্যা হয়েছিল। আমি জানতে পেরে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছিলাম। এদিন নির্বাহী সহায়করা ডেপুটেশন দিয়েছেন। সমস্ত বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Egra: এগরায় বিস্ফোরণ হওয়া সেই বাজি কারখানার মালিক তৃণমূলের প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য

    Egra: এগরায় বিস্ফোরণ হওয়া সেই বাজি কারখানার মালিক তৃণমূলের প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এগরায় (Egra) বেআইনি বাজি কারখানার বিস্ফোরণকাণ্ডের তদন্তভার গ্রহণ করল সিআইডি। সোমবার রাত ৯ টা নাগাদ সিআইডি-র একটি টিম ঘটনাস্থলে যায়। বোম্ব স্কোয়াডের টিমও রাতেই ঘটনাস্থলে যায়। তাঁরা ঘটনাস্থল থেকে একাধিক নমুনা সংগ্রহ করেন। গোটা এলাকা ঘিরে দেওয়া হয়।

    বাজি বিস্ফোরণে মৃতদের বেশিরভাগই মহিলা

    এগরায় (Egra) খাদিকুল গ্রামে বাজি বিস্ফোরণে ৯ জনের মৃতদেহ পুলিশ উদ্ধার করেছে। যার মধ্যে বেশিরভাগই মহিলা। প্রত্যেকেই বাজি কারখানার শ্রমিক ছিলেন। ইতিমধ্যে প্রত্যেকের পরিচয় জানা গিয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতেরা হলেন অম্বিকা মাইতি, মাধবী বাগ, শ্যামাশ্রী মাইতি, কবিতা বাগ, মিনতি মাইতি, শক্তিপদ বাগ, জয়ন্ত জানা, বাপন মাইতি। তবে একজনের নাম এখনও জানা যায়নি। মৃত ও আহত পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ইতিমধ্যেই ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যাদের মৃত্যু হয়েছে তাদের পরিবার পিছু আড়াই লক্ষ টাকা, আর আহতদের চিকিৎসার জন্য পরিবার পিছু এক লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। ঘটনার পর থেকে বাজির মালিক কৃষ্ণপদ বাগ পলাতক।

    কে এই কৃষ্ণপদ বাগ?

    এগড়ায় (Egra) দাপটের সঙ্গে বেআইনি বাজি কারখানা চালাত বছর পঞ্চাশের কৃষ্ণপদ বাগ ওরফে ভানু। প্রায় ৩০ বছর ধরে তার এই কারবার। বিভিন্ন জায়গায় বাজি প্রতিযোগিতায় সেরার তালিকায় ভানুর বাজি বিচরণ করত। গোটা বছর এলাকার সব থেকে জনপ্রিয় অনুষ্ঠানগুলিতে বাজি প্রদর্শনী ছিল ভানুর নেশা। একসময় সে সিপিএম করলেও পরে শাসক দলে সে নাম লেখায়। একসময় তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য ছিল সে। স্বাভাবিকভাবে সে স্থানীয় তৃণমূল নেতা হিসেবে পরিচিত ছিল। আর শাসক দলের নেতাদের মাথায় হাত থাকায় তার এই বেআইনি কারবারে পুলিশও তাকে ছুঁতে পারত না। তবে, এভাবে বেআইনি বাজি কারখানা চালাতে গিয়ে আগেও দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে ভানু। সোমবারও অল্পের জন্য ভানু বেঁচে গিয়েছে বলেই প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি। ঘটনার সময় বাজি কারখানার পাশের রান্নাঘরে ভানু ছিল। বাজি বিস্ফোরণে তার হাত ঝলসে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তবে দুর্ঘটনার পরেই জমি টপকে স্বপরিবারে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায় সে।

    কী বললেন জেলা পুলিশ সুপার?

    পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার অমরনাথ কে বলেন, এটি একটি বেআইনি বাজি কারখানা। আগেও ৩ থেকে ৪টি কেস হয়েছে এই কারখানার বিরুদ্ধে। একাধিকবার অভিযান চালানো হয়েছিল। তারপরেও অভিযুক্ত ব্যক্তি নতুন করে কারখানা তৈরি করেছে। অভিযুক্ত কৃষ্ণপদ বাগ ওরফে ভানু বাগকে গ্রেফতার করার জন্য যাবতীয় প্রক্রিয়া চলছে। এরপর তদন্ত যত এগোবে সেই অনুযায়ী আমরা অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব”।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য অনুপ চক্রবর্তী বলেন, ওই বাজি কারখানায় বোমা তৈরি হচ্ছিল। বাজি কারখানার মালিক তৃণমূল নেতা। স্বাভাবিকভাবে পঞ্চায়েত ভোটে সন্ত্রাস করতেই বোমা তৈরি করা হচ্ছিল। এলাকার মানুষদের সচেতন থাকার কথা বলছি।

    কী বললেন তৃণমূল বিধায়ক?

    স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক তরুণ মাইতি বলেন, বাজি কারখানার মালিক আগে সিপিএম করত। তবে, এখন তৃণমূল করলেও আমার মিটিং, মিছিলে তাকে দেখিনি। তাকে আমি চিনি না।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Weather Update: দেশে বর্ষা ঢুকছে ৪ জুন! রাজ্যে কবে? কী জানাল আবহাওয়া দফতর

    Weather Update: দেশে বর্ষা ঢুকছে ৪ জুন! রাজ্যে কবে? কী জানাল আবহাওয়া দফতর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত দুদিন ধরে বিকালে কালবৈশাখীর ঝড়ের সঙ্গে বৃষ্টিতে ভিজল পশ্চিমবঙ্গের বেশ কিছু জেলা। এপ্রিলের মাঝামাঝি থেকে শুরু হওয়া তাপপ্রবাহে হাঁসফাস অবস্থা হয়েছিল রাজ্যবাসীর। তারপরের কয়েকদিনের বারিধারায় স্বস্তি মিলেছিল বটে কিন্তু পরে আবার বেড়েছিল গরম। একটি আবহাওয়া রিপোর্টে (Weather Update) তো বলা হয়েছিল যে মে মাসেও গরমের অস্বস্তি বাড়তেই থাকবে। ঠিক এই সময়টাতে চাতক পাখির মতো পশ্চিমবঙ্গবাসীও বসে রয়েছে বর্ষার আগমনের অপেক্ষায়। আবহবিদরা ক্যালকুলেশন করে মাপকাঠি স্থির করেছেন, বর্ষা দেশে ঢোকে প্রতি বছরে ১ জুন। এ কথা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য যে দেশের মধ্যে প্রথম বর্ষা ঢোকে ভারতের কেরল রাজ্যে‌। কিন্তু মৌসম ভবন (Weather Update)  জানাচ্ছে চলতি বছরে বর্ষা ১ জুন নয় দেশে ঢুকবে ৪ জুন অর্থাৎ চার দিন দেরি করছে বর্ষা আসতে। প্রতিবছর জুন মাসে বর্ষা আসার কথা থাকলেও কোন কোন বছর তার হেরফের ঘটে। দেখা যাচ্ছে, বিগত কয়েকবছরে নিয়ম মেনে বর্ষা দেশে ঢুকেছিল ২০২০ সালেই একমাত্র। সে বছর দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর আগমন ঘটে ১ জুন। ২০২১ সালে মৌসুমি বায়ু এসেছিল ৩ জুন। হাওয়া অফিসের রিপোর্ট (Weather Update)  অনুযায়ী ২০১৮ সালে নির্ধারিত সময়ের আগে এসেছিল বর্ষা, ২৯ মে। আবার গত বছরেও বর্ষা ঢুকে ছিল দেশে ২৯ মে। ২০১৯ সালে বর্ষা আট দিন দেরিতে ঢুকেছিল, ৮ জুন।

     

    পশ্চিমবঙ্গে কবে ঢুকছে বর্ষা?

    আবহবিদরা বলছেন, পশ্চিমবঙ্গে বর্ষা ঢোকার স্বাভাবিক সময় হচ্ছে ১০ জুন। হাওয়া অফিস (Weather Update)  জানাচ্ছে, কেরলে বর্ষা পিছিয়ে যাচ্ছে বলেই যে পশ্চিমবঙ্গে বিলম্ব হবে এমনটা ভাবার কোন কারণ নেই। এখনও পর্যন্ত আবহাওয়া দফতরের যে পূর্বাভাস তাতে দেখা যাচ্ছে, উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়িতে বর্ষা ঢুকছে ৭ জুন, শিলিগুড়িতে ৮ জুন। অন্যদিকে দক্ষিণবঙ্গের সুন্দরবনে বর্ষা ঢোকার দিনক্ষণ নির্ধারণ করেছে হাওয়া অফিস ১০ জুন এবং কলকাতায় বর্ষার ঢুকবে ১১ জুন। যদিও এর পুরোটা নির্ভর করছে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর সক্রিয়তার উপর।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ambulance: অ্যাম্বুল্যান্স চালকদের দাদাগিরি! বেঘোরে প্রাণ গেল মুমূর্ষু রোগীর, আক্রান্ত পরিবারের লোকজন

    Ambulance: অ্যাম্বুল্যান্স চালকদের দাদাগিরি! বেঘোরে প্রাণ গেল মুমূর্ষু রোগীর, আক্রান্ত পরিবারের লোকজন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অ্যাম্বুল্যান্স (Ambulance) চালকদের দাদাগিরি। আর তার জেরেই মৃত্যু হল এক মুমূর্ষু রোগীর। সোমবার রাতে এই মর্মান্তিক ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মুর্শিদাবাদের সালার ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র। মৃতের পরিবারের লোকজন ক্ষোভে ফেটে পড়েন। হাসপাতাল চত্বরে উত্তেজনা দেখা দেয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, সমস্ত বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    সোমবার রাতে এক মুমূর্ষু রোগীকে সালার ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে কলকাতায় রেফার করা হয়। রোগীর পরিবারের লোকজন পরিচিত এক অ্যাম্বুল্যান্স (Ambulance) চালককে হাসপাতালে ডেকে পাঠান। রিপন সেখ নামে ওই অ্যাম্বুল্যান্স চালক হাসপাতালে এসে রোগীকে গাড়িতে তোলেন। বের হওয়ার সময় হাসপাতালে থাকা অন্যান্য অ্যাম্বুল্যান্স চালকরা বাধা দেন বলে অভিযোগ। তাদের দাবি, হাসপাতালের অ্যাম্বুল্যান্সে করেই রোগীকে নিয়ে যেতে হবে। বাইরের কোনও অ্যাম্বুল্যান্সে (Ambulance) করে রোগী নিয়ে যাওয়া যাবে না। অ্যাম্বুল্যান্স চালক রিপন সেখ বলেন, গত কয়েকদিন ধরে ওই রোগীকে কলকাতা নিয়ে যাচ্ছি। তাই, ওরা আমাকে ডেকেছিল। এটা তো কোনও অপরাধ নয়। এদিন হাসপাতাল থেকে আমাকে রোগী নিয়ে যেতে বাধা দেওয়া হয়। এরপর আমি পিছনের রাস্তা ধরে অ্যাম্বুল্যান্স বের করে নিয়ে যাই। কিছুটা যাওয়ার পর কুলুর মোড়ে ওরা মাঝ রাস্তায় বুলেট রেখে আমাদের গাড়ি আটকায়। বাড়ির লোকজন কথা বলতে গেলে আরিফ সেখ, জিয়ারুল সেখ, সানি সেখ-এর নেতৃত্বে দলবল মিলে তাদের উপর হামলা চালায়। এরপর কোনওরকমে সেখান থেকে কিছুটা যাওয়ার পর রাস্তাতেই রোগীর মৃত্যু হয়। ওই অবস্থায় ফের সালার হাসপাতালে আমরা ফিরে আসি। জানা গিয়েছে, হাসপাতালে মৃতদেহ রেখে পরিবারের লোকজন বিক্ষোভে ফেটে পড়েন।

    কী বললেন মৃতের পরিবারের লোকজন?

    মৃতের ছেলে সাকিব আলি বলেন, হাসপাতালে অ্যাম্বুল্যান্স (Ambulance) চালকদের দাদাগিরির জন্য আমার মাকে অনেকক্ষণ আটকে রাখা হয়েছিল। পরে, আমাদের ওরা মারধর করে। সময়ে হাসপাতালে নিয়ে যেতে না পারার কারণে মায়ের মৃত্যু হয়েছে। মায়ের মৃত্যুর জন্য এই অ্যাম্বুল্যান্স (Ambulance) চালকরা দায়ী। আমাদের দাবি, অবিলম্বে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Falharini Kali Puja: বৃহস্পতিবার ফলহারিণী অমাবস্যা, এদিন কালী পুজোর মাহাত্ম্য কী? জানুন ইতিহাস

    Falharini Kali Puja: বৃহস্পতিবার ফলহারিণী অমাবস্যা, এদিন কালী পুজোর মাহাত্ম্য কী? জানুন ইতিহাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলায় কালীপুজোর চল সারা বছর ধরেই দেখা যায়। দুর্গাপুজোর পরে যে কালীপুজো হয় তা জনপ্রিয় দীপান্বিতা কালী পুজো নামে পরিচিত। এছাড়াও রয়েছে রক্ষাকালী পুজো। স্থানীয়ভাবেও বাংলার নানা প্রান্তে কালীপুজো হয়। কোনও কোনও গৃহস্থের বাড়িতেও কালী পুজো বছরের বিশেষ সময়ে দেখা যায়। জৈষ্ঠ্য মাসের অমাবস্যা তিথিতে যে কালীপুজো হয় তা ফলহারিণী কালীপুজো (Falharini Kali Puja) নামে প্রসিদ্ধ। ভক্তদের বিশ্বাস, মা কালী জীবের কর্মফল অনুসারে তাদের আশীর্বাদ প্রদান করেন। তিনি প্রসন্না হলে জীবের দুঃখ দুর্দশা থেকে মুক্তি মেলে। পাশাপাশি জীবন সুখ, শান্তি, সমৃদ্ধিতে ভরে ওঠে। জানা যায়, রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব ফলহারিণী কালীপুজোর দিনে সারদা দেবীকে পুজো করেছিলেন জগত কল্যাণের জন্য। ১২৮০ বঙ্গাব্দের জৈষ্ঠ্য মাসের অমাবস্যা তিথিতে ঠাকুর দক্ষিণেশ্বরে ষোড়শী রূপে পূজা করেছিলেন সারদা মা’কে। পরবর্তীতে এই সময়ের কালী পুজো হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কাছে ফলহারিণী কালী (Falharini Kali Puja) পুজো নামেই প্রসিদ্ধি পায়।

    ফলহারিণী (Falharini Kali Puja) কালীপুজো ২০২৩  নির্ঘণ্ট

    ২০২৩ সালের ফলহারিণী কালীপুজো (Falharini Kali Puja) সম্পন্ন হবে ১৮ মে, বাংলার ৩ জৈষ্ঠ্য বৃহস্পতিবার। ১৮ মে রাত্রি ৯টা ১৩ মিনিট ৩৬ সেকেন্ডে অমাবস্যা তিথি শুরু হচ্ছে যা চলবে ১৯ মে রাত্রি ৮টা ৪৩ মিনিট অবধি।

    কেন এই পুজো ফলহারিণী কালীপুজো (Falharini Kali Puja) নামে পরিচিত?

    শাস্ত্র বিশেষজ্ঞদের মতে, জৈষ্ঠ্য মাসে আম, জাম, লিচু, কাঁঠাল সমেত নানারকম মরসুমী ফল পাওয়া যায়। ভক্তরা তাদের ইষ্ট দেবীকে এই ফল নিবেদন করে থাকেন। দেবী ভক্তদের কর্মফল হরণ করে তাদেরকে মোক্ষফল প্রদান করেন। ভক্তদের বিশ্বাস, ফলহারিণী কালীপুজো করলে বিদ্যা, কর্ম এবং অর্থ ভাগ্যের উন্নতি ঘটে প্রেম প্রণয়ের বাধা দূর হয়, দাম্পত্য সংসারী জীবনেও সুখ শান্তি বিরাজ করে। এককথায় এই বিশেষ পুজোয় ভক্তরা আধ্যাত্মিক, নৈতিক, মানসিক শক্তি পেয়ে থাকেন বলে তাদের বিশ্বাস।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Garlic Benefits: কোলেস্টেরল কমায়, রক্ত চলাচল বাড়ায়! আর কী কী গুণ রয়েছে রসুনের?

    Garlic Benefits: কোলেস্টেরল কমায়, রক্ত চলাচল বাড়ায়! আর কী কী গুণ রয়েছে রসুনের?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাঙালি বাড়ির হেঁসেলে আমিষ রান্নার জন্য রসুন থাকবে না, এমনটা হতেই পারে না। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ‘‘প্রাচীনকাল থেকেই স্বাস্থ্যগত বৈশিষ্ট্যের কারণে অনেক রোগের চিকিৎসায় ওষুধ হিসেবেও ব্যবহৃত হয়ে আসছে এই রসুন।’’ রসুনে (Garlic Benefits) থাকে অ্যালিসিন নামক যৌগ। এই কারণে এতে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্য রয়েছে। পুষ্টিবিদরা বলছেন, ‘‘প্রতি ১০০ গ্রাম রসুনে তাকে ১৫০ ক্যালোরি, ৩৩ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট এবং ৬.৩৬ গ্রাম প্রোটিন।’’ এছাড়াও রসুন হল, ভিটামিন বি১, বি২, বি৩, বি৬, ভিটামিন সি, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম ম্যাঙ্গানিজ, ফসফরাস পটাশিয়াম এবং সোডিয়ামের ভরপুর উৎস। বিশেষজ্ঞদের মতে, রসুনের বেশি উপকার পেতে শাকসবজি ছাড়াও এটিকে কাঁচা খেতে হবে।

    আজকে আমরা আলোচনা করব রসুন (Garlic Benefits) শরীরে কী কী উপকার করে

    ১) রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে

    বিশেষজ্ঞদের মতে,  খালি পেটে রসুন খেলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং তা রক্ত সঞ্চালনকেও বাড়ায়।

    ২) রসুন ডায়রিয়া উপশমকারী

    বিশেষজ্ঞদের মতে, আপনার যদি ডায়রিয়ার সমস্যা থাকে তাহলে রসুন (Garlic Benefits) এটিকে নিরাময় করতে পারে।

    ৩) কোলেস্টেরল কমায়

    যাদের উচ্চ কোলেস্টেরল রয়েছে, চিকিৎসকরা তাঁদেরকে রসুন খেতে বলছেন। কারণ এতে কোলেস্টেরলের ভারসাম্য নিয়ন্ত্রিত হয়।

    ৪) লিভারকে শক্তিশালী করে

    বিশেষজ্ঞরা মতে, কাঁচা রসুন (Garlic Benefits) লিভারকে সুস্থ রাখে এবং এটি দীর্ঘ জীবনে সাহায্য করে।

    ৫) শরীরকে ভেতর থেকে পরিষ্কার করে

    পুষ্টিবিদরা মতে, রসুনে (Garlic Benefits) প্রচুর পরিমাণে সালফার যৌগ থাকে। যার ফলে এটি শরীরের অঙ্গগুলিকে ভিতর থেকে পরিষ্কার করে। বিষাক্ত পদার্থ শরীর থেকে দূর করে।

    ৬) রসুন শুক্রাণুর ক্ষতি প্রতিরোধ করে

    বিশেষজ্ঞদের মতে, রসুনে (Garlic Benefits) থাকে সেলেনিয়া যা একধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা যৌন অঙ্গে রক্ত প্রবাহকে উন্নত করে। পুরুষদের জন্য এটি বিশেষ উপকারী।

    ৭) সর্দি কাশি জ্বর থেকে মুক্তি দেয় রসুন

    চিকিৎসকদের মতে, রসুন যেকোনও রকমের ফ্লু ভাইরাসকে প্রতিরোধ করে। সকালে দুকোয়া রসুন (Garlic Benefits) বাসিমুখে খেলে তা স্বাস্থ্যের জন্য বিশেষ উপকারী।

    ৮) স্মৃতিশক্তি প্রখর করে রসুন

    পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন, রসুন অ্যান্টি অক্সিডেন্টে ভরপুর থাকে এবং এটি ডিমনেশিয়া বা অ্যালঝেইমার এর মতো কিছু রোগ প্রতিরোধ করে।

    ৯) পিরিয়ডের সমস্যায় রসুন (Garlic Benefits)

    যেসব মহিলাদের পিরিয়ড বন্ধ হয়ে যায় প্রায় তাঁদের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত নানা সমস্যা দেখা যায়। চিকিৎসকদের মতে, রসুন মহিলাদের শরীরে ইস্ট্রোজেন বাড়ায় যার কারণে হাড় দুর্বল হয় না।

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি/ডায়েট পরামর্শস্বরূপ। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের সঙ্গে কথা বলুন ও সেই মতো পরামর্শ মেনে চলুন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share