Tag: Madhyom

Madhyom

  • West Bengal Health: ১৫ দিন ধরে রোগীদের খাবার বন্ধ, স্যালাইন দিয়েই বেপাত্তা ডাক্তার!

    West Bengal Health: ১৫ দিন ধরে রোগীদের খাবার বন্ধ, স্যালাইন দিয়েই বেপাত্তা ডাক্তার!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৫ দিন ধরে খাবার মিলছে না রোগীদের, বিদ্যুৎ চলে গেলে অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে থাকে ওয়ার্ড। নেই সুষ্ঠু চিকিৎসা ব্যবস্থাও। প্রতিবাদ করলেই মেলে হুমকি! চরম দুর্দশা এবং বেহাল অবস্থা নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জ গ্রামীণ হাসপাতালের (West Bengal Health)। কৃষ্ণগঞ্জের বাসিন্দাদের একমাত্র ভালো চিকিৎসার জায়গা হল শক্তিনগর হাসপাতাল। কিন্তু অনেকটা দূর হওয়ায় এলাকাবাসীর একমাত্র ভরসার জায়গা এই কৃষ্ণগঞ্জ গ্রামীণ হাসপাতাল। ওই হাসপাতালে হাতেগোনা যে কটি বেড রয়েছে, প্রতিদিনই সেগুলিতেই রোগীরা ভর্তি থাকেন। কিন্তু অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই ওই হাসপাতালের চিকিৎসা পরিষেবা একদম তলানিতে। শুধু চিকিৎসা নয়, অন্যান্য পরিষেবাও মাঝেমধ্যেই ব্যাহত হয়। অনেক সময় বিদ্যুৎ চলে গেলে অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে পড়ে হাসপাতাল। সেখানে জেনারেটরের ব্যবস্থা থাকলেও তার পরিষেবা মেলে না। এমনকী গত ১৫ দিন ধরে হাসপাতালে খাবার দেওয়া বন্ধ রয়েছে। বাধ্য হয়ে রোগীর আত্মীয়দের বাইরে থেকে খাবার কিনে রোগীকে খাওয়াতে হচ্ছে।

    কী বলছেন রোগী ও তাঁদের আত্মীয়রা?

    ওই হাসপাতালে রোগী ষষ্ঠী রায় বলেন, গতকাল আমি ভর্তি হয়েছিলাম। একজন ডাক্তার এসেছিলেন। কিন্তু তারপরে ২৪ ঘণ্টা পার হলেও কোনও চিকিৎসক আর আসেনি। তিনি জানান, হাসপাতালের পক্ষ থেকে কোনও খাবার দেওয়া হয়নি। অন্য এক রোগীর আত্মীয় রিঙ্কি সরকার বলেন, রোগী নিয়ে হাসপাতালে এসে কোনও চিকিৎসা (West Bengal Health) পাচ্ছি না। শুধুমাত্র একটা স্যালাইন দিয়ে বসিয়ে রেখেছে। আর কোনও চিকিৎসক আসেনি। তাহলে এখানে যদি এভাবেই পড়ে থাকতে হয়, বাড়িতে থাকাই ভালো ছিল। পাশাপাশি তিনিও বলেন, রোগীদের কোনও খাবার দেওয়া হচ্ছে না হাসপাতালের তরফ থেকে।

    প্রতিক্রিয়া দিল না কেউই

    যদিও এ বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে চায়নি হাসপাতাল (West Bengal Health) কর্তৃপক্ষ। ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনিও কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে চাননি। তবে সূত্রের খবর, ওই হাসপাতালে খাবার সরবরাহ করার জন্য কোনও একজনের উপর দায়িত্ব দেওয়া ছিল। যে টাকা তাকে দেওয়া হত, তাতে কোনও লাভ হত না বলে তিনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে টাকা বাড়ানোর আবেদন জানিয়েছিলেন। অভিযোগ, টাকা তো বাড়ানো হয়ইনি, বরং দীর্ঘদিন ধরে প্রাপ্য টাকাও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দিচ্ছিল না। সেই কারণে তিনি বাধ্য হয়ে খাদ্য সরবরাহ বন্ধ করে দেন। পাশাপাশি যিনি জেনারেটরের দায়িত্বে ছিলেন, তিনিও দীর্ঘদিন ধরে পেমেন্ট না পাওয়ার কারণে পরিষেবা দিতে অনীহা প্রকাশ করেন। যদিও তাঁরা কেউ প্রকাশ্যে কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে চাননি।

    জানা নেই তৃণমূলের

    তবে এ বিষয়ে তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অশোক হালদার বলেন, মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী প্রতিটি প্রকল্পের উপর নজর রেখেছেন এবং পরিষেবা প্রদান করেছেন। তবে হাসপাতালে (West Bengal Health) দীর্ঘদিন ধরে খাবার পরিষেবা বন্ধ, এটা সত্যিই আমার জানা ছিল না। যত দ্রুত সম্ভব বিএমওএইচ-এর সঙ্গে কথা বলব। কী কারণে তা বন্ধ রয়েছে, জানার চেষ্টা করব। পাশাপাশি যাতে রোগীরা পরিষেবা থেকে বঞ্চিত না হয়, অতি দ্রুত তার ব্যবস্থা করার চেষ্টা করব।

    কটাক্ষ বিজেপির

    তবে পুরো ঘটনায় স্বাস্থ্য পরিষেবা (West Bengal Health) নিয়ে কটাক্ষ করেছেন কৃষ্ণগঞ্জের বিজেপি বিধায়ক আশিষকুমার বিশ্বাস। তিনি বলেন, এটা আমি আগেই জেনেছিলাম, কৃষ্ণগঞ্জ গ্রামীণ হাসপাতালের করুণ অবস্থা। বিদ্যুৎ চলে গেলে অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে থাকে ওই হাসপাতাল। শুধু তাই নয়, কেউ প্রতিবাদ করলে তাদেরকে হুমকি দেওয়া হয়। দিন ১৫ আগে থেকে খাবার বন্ধ হয়ে গেছে রোগীদের জন্য। সেই কারণে আমি বিএমওএইচ ম্যাডামের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছিলাম কিন্তু তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। একাধিকবার ফোন করলেও তিনি ফোন তোলেননি। পাশাপাশি তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে বলেন, যিনি কিনা ঘোষণা করছেন ১৫ দিনের মধ্যে নার্স তৈরি করতে হবে এবং তিন বছরের মধ্যে ডিপ্লোমা কোর্স কমপ্লিট করে চিকিৎসক তৈরি করতে হবে, তাঁর কাছ থেকে এর থেকে ভালো পরিষেবা আশা করা যায় না। আশঙ্কা প্রকাশ করে তিনি বলেন, একজন নার্স ১৫ দিনে কী শিখতে পারবে? কীভাবে সে মানুষকে সুস্থ করে তুলবে?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • West Bengal Health: তিন বছরের হেলথ প্রফেশনাল! মমতার সিদ্ধান্তে বন্ধ হতে পারে কেন্দ্রের বরাদ্দ?

    West Bengal Health: তিন বছরের হেলথ প্রফেশনাল! মমতার সিদ্ধান্তে বন্ধ হতে পারে কেন্দ্রের বরাদ্দ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রের বঞ্চনার অভিযোগ তিনি বারবার করেন। একশো দিনের কাজ কিংবা আবাস যোজনা, নানা বিষয়েই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেন, কেন্দ্রের বঞ্চনার জেরে রাজ্যের একাধিক প্রকল্প আটকে থাকছে। কিন্তু এবার তাঁর একটি সিদ্ধান্তের জেরে স্বাস্থ্যক্ষেত্রে (West Bengal Health) আরও বড় ধাক্কা আসতে চলেছে বলেই মনে করছেন প্রশাসনিক কর্তাব্যক্তিরা।

    কী সমস্যা তৈরি হতে পারে? 

    দিন কয়েক আগে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, রাজ্যে চিকিৎসকের চাহিদা মেটাতে তিন বছরের প্রশিক্ষণ দিয়ে হেলথ প্রফেশনাল তৈরি করা হবে। তাঁরা সাধারণ মানুষকে স্বাস্থ্য পরিষেবা (West Bengal Health) দেবেন। বিরোধীরা কটাক্ষ করে একে সিভিক চিকিৎসক বলেছেন। আর বিশেষজ্ঞ মহল জানাচ্ছে, এই সিভিক চিকিৎসক নিয়োগের সিদ্ধান্তের জেরেই আটকে যেতে পারে কেন্দ্রের বরাদ্দ। প্রশাসনিক কর্তাদের একাংশের আশঙ্কা, ন্যাশনাল হেলথ মিশনে রাজ্য কেন্দ্রের থেকে কয়েক হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ পায়। এবার সেই টাকা বন্ধ হয়ে যেতে পারে।

    কেন কেন্দ্র বরাদ্দ বন্ধ করতে পারে? 

    প্রশাসনিক কর্তাদের একাংশ জানাচ্ছে, রাজ্যের মানুষের স্বাস্থ্য পরিষেবা সুনিশ্চিত করতেই কেন্দ্র কয়েক হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করে। বিশেষত প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলির (West Bengal Health) পরিষেবা যাতে অব্যাহত থাকে, তা সুনিশ্চিত করতেই ন্যাশনাল হেলথ মিশনের তরফ থেকে কোটি কোটি টাকা রাজ্যের কাছে আসে। কিন্তু ‘সিভিক’ চিকিৎসক পরিষেবা চালু হলে, রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবা দেওয়ার পরিকাঠামোই বদলে যাবে। তখন কেন্দ্রও বিবেচনা করে টাকা পাঠাবে। কারণ, একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে সম্পূর্ণ প্রশিক্ষিত এমবিবিএস পাশ করা চিকিৎসক স্বাস্থ্য পরিষেবা দিলে, সেই স্বাস্থ্য কেন্দ্রের যে মান থাকে, ‘সিভিক’ চিকিৎসক পরিষেবা দিলে, সেই মান অন্যরকম হয়ে যাবে। সেক্ষেত্রে যে ভিত্তিতে কেন্দ্র রাজ্যকে টাকা বরাদ্দ করত, তারও পরিবর্তন হবে। তার জেরে বরাদ্দ অর্থেরও হেরফের হবে।

    কী ভোগান্তি হতে পারে বলে আশঙ্কা? 

    স্বাস্থ্যখাতে কেন্দ্রীয় বরাদ্দ কমলে রাজ্যের ভোগান্তি কয়েকগুণ বাড়বে বলেই আশঙ্কা করছে প্রশাসনিক মহল। নবান্নের অন্দরে খবর, কেন্দ্রের স্বাস্থ্য বরাদ্দের টাকা শুধু স্বাস্থ্য খাতেই (West Bengal Health) খরচ করে না রাজ্য সরকার। এই টাকায় একাধিক অন্য বিভাগের খরচ চলে। কর্মচারীদের বেতন দেওয়া ও নানা পরিকাঠামোগত উন্নতির কাজ চলে কেন্দ্রের পাঠানো এই টাকা থেকে। তাই ন্যাশনাল হেলথ মিশনের বরাদ্দ কমলে মুশকিলে পড়বে একাধিক বিভাগ। তাছাড়া, সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন রাজ্যের গ্রামীণ এলাকার মানুষ। কারণ, একদিকে ‘সিভিক’ চিকিৎসকের পরিষেবার মান নিয়ে প্রশ্ন উঠবে, অন্যদিকে ঠিকমতো অর্থ না থাকলে নানা পরিকাঠামোগত ত্রুটিও দেখা দেবে। যা সরাসরি স্বাস্থ্য পরিষেবায় প্রভাব ফেলবে। ভুগতে হবে সাধারণ মানুষকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Bolpur: অনুব্রত ঘনিষ্ঠ কাউন্সিলারের ওয়ার্ডেই পুরসভার পুকুর ভরাট করে আবাসন নির্মাণ?

    Bolpur: অনুব্রত ঘনিষ্ঠ কাউন্সিলারের ওয়ার্ডেই পুরসভার পুকুর ভরাট করে আবাসন নির্মাণ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অনুব্রত মণ্ডল (Bolpur) ঘনিষ্ঠ তৃণমূল কাউন্সিলারের ওয়ার্ডে পুকুর ভরাট করার অভিযোগ ঠিকাদারের বিরুদ্ধে। এই পুকুরের জমি বাংলার ভূমি অ্যাপ রেকর্ডে জলাশয় বলে চিহ্নিত রয়েছে। তা সত্ত্বেও বাস্তুতন্ত্র নষ্ট করে জেসিবি মেশিন দিয়ে মাটি-বালি ফেলে ভরাট করা হচ্ছে সেই জলাশয়। ২০২০ সাল থেকে এই মর্মে ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতর, মহকুমা শাসক এবং জেলাশাসকের কাছে অভিযোগ করা হয়েছে। কিন্তু অভিযোগ পেয়েও নিশ্চুপ প্রশাসন।

    অভিযুক্ত ব্যক্তি অনুব্রত ঘনিষ্ঠ

    গরুপাচার মামলায় জেল হেফাজতে রয়েছেন তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। তাঁর ঘনিষ্ঠ তৃণমূলের কাউন্সিলার ওমর শেখকে গরুপাচার মামলায় একাধিকবার ডেকে জেরা করেছে সিবিআই ও ইডি৷ অর্থাৎ, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার নজরে রয়েছে বোলপুর (Bolpur) পৌরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার। সেই ওয়ার্ডেই দীর্ঘদিনের একটি জলাশয় বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে। জলাশয়টি ভরাট করে বহুতল নির্মাণ করা হবে৷ তাই দিনরাত জেসিবি মেশিন দিয়ে মাটি ফেলে বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে জলাশয়টি৷ মাটি ভরাটের ফলে বর্তমানে দেখে মনেই হবে না যে এটি একটা নিত্যব্যবহার্য জলাশয় ছিল।

    ভরাটের ফলে সমস্যা

    পুরসভার (Bolpur) জলাভূমি, পুকুর ইত্যাদি বন্ধ করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ৷ এতে প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট হয়, বাস্তুতন্ত্র নষ্ট হয়৷ বোলপুরের ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের নতুন পুকুর এলাকায় এই পুকুরটিতে এক সময় স্থানীয় মানুষজন স্নান করা, জামাকাপড় কাচা, বাসন ধোয়ার কাজ নিত্যদিন করতেন৷ এছাড়াও এলাকার বৃষ্টির অতিরিক্ত জল জমা হত এই পুকুরেই। প্রতিমা নিরঞ্জনও হত এই পুকুরে। কিন্তু এইসব কাজ এখন বন্ধ। সেটি ব্যবহার করতে না পেরে এলাকার মানুষের অভিযোগ, পুকুর ভরাট করে আবাসন নির্মাণ করে টাকা কামানোর রাস্তা করেছেন শাসকদলের নেতারা। প্রশাসন জেনেও চুপ রয়েছে।

    সাধারণ মানুষের অভিযোগ

    এলাকার বাসিন্দা (Bolpur) সমীর ভট্টাচার্য বলেন, আমি এই পুকুর ভরাট নিয়ে অভিযোগ করেছিলাম। জমির দাগ নম্বর এবং রেকর্ড অনুযায়ী এটা জলাশয়৷ তিনি আরও বলেন, অভিযোগের পর জেলাশাসক আমাকে জানিয়েছিলেন, বিষয়টি দেখবেন৷ এমনকী জেলাশাসক স্বয়ং বলেন, প্রশাসনের কোনও আধিকারিক যদি এই বিষয়ে পদক্ষেপ না নেয়, আমি যেন জানাই৷ আবার দেখছি পুকুরটি ভরাট করে দেওয়া হচ্ছে৷ ২০২০ সাল থেকে স্থানীয় বাসিন্দা তথা সিপিআইএমের প্রবীণ নেতা সমীর ভট্টাচার্য এই বিষয়ে জেলা, ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতর, বোলপুর মহকুমা শাসক, জেলাশাসকের কাছে একাধিকবার লিখিত অভিযোগ করেছিলেন। কিন্তু অভিযোগের জেরে মাঝে কিছুদিন সেই কাজ বন্ধ থাকলেও ফের বহুতল নির্মাণের জন্য জেসিবি মেশিন দিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে পুকুরটি। যা নিয়ে নিশ্চুপ প্রশাসন৷

    প্রশাসন এবং ঠিকাদারের প্রতিক্রিয়া

    বোলপুর (Bolpur) ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের আধিকারিক সঞ্জয় রায় বলেন, আমি খোঁজ নিয়ে দেখছি কী হয়েছে৷ আর এই মুহূর্তে এর থেকে বেশি কিছু আর বলতে পারব না। আবার কাজের সঙ্গে যুক্ত ঠিকাদার অরূপকুমার মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি পুকুর ভরাটের অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করেন৷ এখন এই সমস্যার সমাধান প্রশাসন কবে করবে, সেটাই দেখার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Basirhat: হেরিটেজের তকমা মিললেও চরম অবহেলায় পড়ে রয়েছে ধান্যকুড়িয়ার গাইন গার্ডেন

    Basirhat: হেরিটেজের তকমা মিললেও চরম অবহেলায় পড়ে রয়েছে ধান্যকুড়িয়ার গাইন গার্ডেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ব্রিটিশ আমলে তৈরি উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটের (Basirhat) ধান্যকুড়িয়া গাইন গার্ডেন চরম অবহেলায়, অনাদরে পড়ে রয়েছে। বছরখানেক আগে হেরিটেজ-তকমা পেলেও এখনও কোনও শ্রী ফেরেনি। গার্ডেনের ভিতর অট্টালিকার পুকুর ঘাটে দু’টি বড় মার্বেলের সিংহ ছিল। নব্বইয়ের দশকে তা বিক্রি হয়ে যায়। তবে বাগান বাড়ির গেটে দু’জন ইংরেজ একটি সিংহকে বধ করছে—এ রকম একটি ভাস্কর্য এখনও রয়েছে। ‘কপালকুণ্ডলা’ সিনেমার শুটিংও হয়েছিল এই স্থানে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এর জৌলুস কমতে শুরু করে।

    কে তৈরি করেছিলেন এই গাইন গার্ডেন?

    ইতিহাসের পাতা ঘেঁটে জানা যায়, প্রায় দেড়শো বছর আগে বসিরহাট (Basirhat) -বেড়াচাঁপার টাকি রোডের ধারে ‘গাইন’ দুর্গের আদলে বিশাল এই স্থাপত্য গড়ে তোলেন ধান‍্যকুড়িয়ার পাট ব‍্যবসায়ী মহেন্দ্রনাথ গাইন। পরবর্তীকালে যা গাইন গার্ডেন নামে পরিচিতি পায়। ৩৩ বিঘা জমির ওপর অট্টালিকা ছাড়াও আমোদ প্রমোদের জন্য তৈরি করা হয়েছিল বাগানবাড়ি। সেখানে জমিদার এবং তাঁদের ব‍্যবসায়িক সহযোগী ইংরেজদের বিনোদনের ব্যবস্থা ছিল। সেই সময় টাকি রোড বরাবর মার্টিন রেল চলত। যার স্টেশন ছিল ধান্যকুড়িয়ায়। ওই রেলে চড়ে ইংরেজরা আসতেন গাইন গার্ডেনে। এখন সেসব অতীত। তবে, সেই সমস্ত ইতিহাসের চিহ্ন এখনও ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে গাইন গার্ডেনের আনাচে কানাচে। যেগুলোর অধিকাংশই সংস্কারের অভাবে আজ ধ্বংস হতে বসেছে।

    এখন কী অবস্থায় রয়েছে গাইন গার্ডেন?

    বসিরহাটের (Basirhat) গাইন গার্ডেনের চারপাশ এখন ভরেছে ঘাস এবং আগাছায়। সীমানা পাঁচিলও যে কোনও সময় ভেঙে পড়তে পারে। সন্ধ্যার পর দুষ্কৃতীদের আনাগোনা সেখানে বাড়ছে বলে অভিযোগ। বিভিন্ন অংশে বেশ কিছু ফাটল ও ধরেতে দেখা গিয়েছে। নিত্যদিনই বাড়ছে বিপদের আশঙ্কা। বাগান চত্বরে বেড়েছে সাপের উপদ্রব। তারপরও রক্ষণাবেক্ষণের কোনও উদ্যোগ নেই প্রশাসনের। কার্যত অযত্নে পড়ে থেকে থেকে বিশাল এই স্থাপত্য আজ নষ্ট হওয়ার মুখে।

    কবে মিলল হেরিটেজের স্বীকৃতি?

    পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সমাজকল্যাণ দফতরের পরিচালনায় এখানে দীর্ঘদিন পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত একটি সরকারি বালিকা হোম-সহ মেয়েদের স্কুল চলত। দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পরে ২০০৮ সালে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদ গাইন পরিবারের কাছ থেকে এই সম্পত্তিটি কিনে নেয়। ২০১৯ সালে সংস্কারের কথা বলে মেয়েদের হোম ও স্কুল তুলে দেওয়া হয়। ২০২১ সালে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের হেরিটেজ কমিশনের সদস্যেরা বসিরহাটের (Basirhat) এই গাইন গার্ডেন পরিদর্শন করেন। ২০২২ সালে হেরিটেজ হিসাবে স্বীকৃতিও মেলে। চলতি বছরের ১৮ এপ্রিল বিশ্ব ঐতিহ্য দিবসে পশ্চিমবঙ্গ হেরিটেজ কমিশনের ব্রশিওরেও স্থান পেয়েছে ধান্যকুড়িয়া গাইন গার্ডেন।

    কী বললেন স্থানীয় বাসিন্দারা?

    স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, “খাতায়-কলমে শুধু ‘হেরিটেজ’ তকমাটুকুই মিলেছে। বাস্তবে ভবনের চিত্র এখনো বদলায়নি। এই বিষয়ে মহম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, “হেরিটেজ ঘোষণার পরও প্রশাসনের সেই উদ্যোগ এখনো চোখে পড়েনি। আজও অবহেলায় পড়ে রয়েছে এই স্থানটি। এই স্থাপত্য বাঁচাতে প্রশাসনের সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া দরকার। পাশাপাশি পর্যটন শিল্প গড়ে তোলা হলে কর্মসংস্থানও হবে এলাকায়।

    কী বললেন জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ?

    যদিও এই ভবন নিয়ে উদাসীনতার অভিযোগ মানতে চাননি জেলা পরিষদের বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষ এ কে এম ফারহাদ। তিনি বলেন, “যে কোনও উন্নয়নের কাজ করতে গেলে কিছু বিষয় থাকে। জেলা প্রশাসন ইতিমধ্যে বিষয়টি নিয়ে তৎপর হয়েছে। আশা করছি খুব শীঘ্রই সেখানে সংস্কারের কাজ শুরু হয়ে যাবে। উন্নয়নের বিষয়ে আমরা সব সময় একধাপ এগিয়ে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Road: হাসপাতাল যাওয়ার ৩ কিমি রাস্তা ঘুরে যেতে হচ্ছে ৮ কিমি! ক্ষোভে অবরোধ

    Panchayat Road: হাসপাতাল যাওয়ার ৩ কিমি রাস্তা ঘুরে যেতে হচ্ছে ৮ কিমি! ক্ষোভে অবরোধ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দীর্ঘ প্রায় দু-দশক ধরে বেহাল রাস্তা (Panchayat Road)। এলাকায় রয়েছে পানীয় জলের সমস্যাও। পঞ্চায়েত এবং প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েও মেলেনি সুরাহা। এলাকার বিধায়ক মন্ত্রীর দায়িত্ব পাওয়ার পরেও হয়নি সমাধান। এইসব ক্ষোভ থেকেই ৮১ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালেন গ্রামবাসীরা। সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নং ব্লকের লক্ষণপুর ৮১ নম্বর জাতীয় সড়কে। ভোট বয়কটের ডাক দিয়ে হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন গ্রামবাসীরা।

    পথশ্রী প্রকল্পেও ভাগ্যের শিকে ছেঁড়েনি!

    জানা গিয়েছে, মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নং ব্লকের অন্তর্গত ভিঙ্গল গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনে লক্ষণপুর, ঝিকোডাঙা, ডুমুরকলা, কনার, পাড়ুই সহ একাধিক গ্রামের রাস্তা (Panchayat Road) বেহাল। স্বাধীনতার ৭৫ বছর পরেও পাকা রাস্তা হয়নি মালদার এই গ্রামগুলিতে। লাল মাটির রাস্তা, খানাখন্দে ভরা। দীর্ঘ দুই দশক সংস্কারের অভাবে কার্যত বেহাল দশা। পারো থেকে ঝিকোডাঙা পর্যন্ত প্রায় ৩ কিলোমিটার রাস্তা গ্রামের মূল প্রবেশপথ।পার্শ্ববর্তী ২০ থেকে ২৫ টি গ্রামের ৫ থেকে ৬ হাজার মানুষ দৈনন্দিন যাতায়াত করে এই রাস্তা দিয়ে। যানবাহন তো বটেই, বৃষ্টি হলে মানুষের চলাচলের পক্ষেও অযোগ্য হয়ে ওঠে এই রাস্তা। হাসপাতাল যাওয়ার ৩ কিলোমিটার দূরত্বের রাস্তা ঘুরে যেতে হচ্ছে ৮ কিলোমিটার। আগুন লাগলে গ্রামে আসতে পারছে না দমকলের গাড়ি। এদিকে কিছুদিন আগেই পথশ্রী প্রকল্পের আওতায় রাজ্যের কয়েক হাজার বেহাল রাস্তা সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে। কিন্তু তাতেও ভাগ্যের শিকে ছেঁড়েনি ঝিকোডাঙা গ্রামের রাস্তার। যার ফলে গ্রামবাসীরা ক্ষিপ্ত হয়ে সোমবার সকালে হরিশ্চন্দ্রপুর ৮১ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান। মন্ত্রীর ভূমিকায় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। তিনটি দফতরের প্রতিমন্ত্রী হয়েও নাগরিক পরিষেবা থেকে কেন বঞ্চিত গ্রামবাসীরা, বিক্ষোভকারীরা এই প্রশ্নও তুলেছেন।

    শুরু রাজনৈতিক চাপানউতোর

    কংগ্রেসের দখলে পঞ্চায়েত থাকার কারণে বিমাতৃসুলভ আচরণ করছে তৃণমূল, অভিযোগ কংগ্রেস পরিচালিত ভিঙ্গল গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান বিমানবিহারী বসাকের। আর এই ঘটনা সামনে আসতেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। মালদা উত্তরের বিজেপির সাংগঠনিক জেলা যুবমোর্চার সভাপতি অয়ন রায় বলেন, মন্ত্রীর গড়ে দাঁড়িয়ে সাধারণ মানুষ নাগরিক পরিষেবা থেকে বঞ্চিত। পঞ্চায়েত ভোটে মানুষ এদের ছুড়ে ফেলবে। যদিও বিরোধীদের অভিযোগ মানতে নারাজ তৃণমূল। মালদা জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক তথা জেলা পরিষদের সভাধিপতি রফিকুল হোসেন বলেন, পথশ্রী প্রকল্পে ভিঙ্গল গ্রাম পঞ্চায়েতের দুটি রাস্তা (Panchayat Road) ধরা হয়েছে। তবে মানুষকে নাগরিক পরিষেবা দিতে ব্যর্থ কংগ্রেস পরিচালিত ওই গ্রাম পঞ্চায়েত। পানীয় জলের সমস্যা জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে দেখা হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: এলাকায় দাপিয়ে বেড়াল নীলগাই! কোথায় জানেন?

    Malda: এলাকায় দাপিয়ে বেড়াল নীলগাই! কোথায় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ মাঠের মধ্যে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে নীলগাই। নিজেদের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছিলেন না মালদহের (Malda) ডাকাতপুকুর এলাকার বাসিন্দারা। খবর জানাজানি হতেই এলাকার মানুষ ভিড় করেন। ততক্ষণে সে জঙ্গলের ভিতরে ঢুকে পড়েছে। শুধু ডাকাতপুকুর নয় বামনগোলা, কসবা, মহিশাল থেকে পারহবিনগর সহ আশপাশের এলাকায় দাপিয়ে বেড়ায় নীলগাই। আর দিনভর এই নীলগাইকে নিয়ে মজেছিলেন এলাকার বাসিন্দারা। অনেকে কাছে গিয়ে তাকে ধরার চেষ্টা করলেন। কিন্তু, তার নাগাল পেলেন না কেউই। মাস দুয়েক আগেও এই জেলার (Malda) ইংরেজবাজার ব্লকের যদুপুর-২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের আমজামতলা গ্রামেও দেখা মিলেছিল নীলগাইয়ের। এছাড়া  গত বছর মে মাস নাগাদ মালদহের হরিশচন্দ্রপুরের কনকনিয়া এলাকায় নীলগাই দেখতে পেয়েছিলেন এলাকাবাসী। সাধারণত উত্তরপ্রদেশ এবং মহারাষ্ট্রের জঙ্গলে নীলগাই সব থেকে বেশি দেখা যায়। মালদহের আদিনা ডেয়ার পার্কেও নীলগাই রয়েছে। ফলে, বহু আগে থেকে নীল গাইয়ের সঙ্গে এই জেলার মানুষ পরিচিত। তবে, এত কাছে এভাবে নীলগাই চলে আসবে তা গ্রামের বাসিন্দারা কেউ ভাবতেও পারেননি।

    কোথায় থেকে এসেছে নীল গাইটি?

    মাস দুয়েক আগে মালদহের (Malda) ইংরেজবাজার এলাকায় যে নীলগাইয়ের দেখা মিলেছিল, সেটি বাংলাদেশ থেকে এসেছিল। কারণ, গ্রামের ধার দিয়ে মহানন্দা নদী বয়ে গিয়েছে। নদীর ওপারেই বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জ এলাকা। বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া ওই এলাকায় বিশাল ঘন জঙ্গল রয়েছে। সেখানে নীল গাই থাকতে পারে। গরম পড়তেই মহানন্দা নদীতে এখন হাঁটু সমান জল। সেই জল পেরিয়ে নীলগাই এসেছিল। তবে, এদিন যে নীলগাই এলাকায় দেখা গিয়েছে তা বিহার থেকে এসেছে বলে বন দফতরের আধিকারিকরা মনে করছেন। স্থানীয় বাসিন্দা হরিপদ মাহাত বলেন, প্রথমে ঘোড়া ভেবে এলাকার মানুষ ভুল করেছিল। পরে, বন দফতরের আধিকারিকরা জানান, সেটি নীলগাই। এলাকার মানুষের ভিড় উপচে পড়ে। পাশেই গাঙ্গু নদী রয়েছে। এই এলাকায় এর আগে নীলগাইয়ের দেখা মেলেনি।   

    বন দফতরের পক্ষ থেকে কী উদ্যোগ নেওয়া হল?

    গ্রামবাসীদের কাছ থেকে জানার পরই মালদহ (Malda) জেলা বন দফতরের পক্ষ থেকে নীলগাইয়ের খোঁজে তল্লাশি চালানো হয়। ঘুমপাড়ানির বন্দুক নিয়ে ডাকাতপুকুর, মহিশাল সহ আশপাশের এলাকা চষে বেড়ান। কিন্তু, বাস্তবে কাজের কাজ কিছুই হয়নি। নীলগাইয়ের হদিশ মেলেনি। বন দফতরের এক আধিকারিক বলেন, নীলগাইয়ের হদিশ মিললেই তাকে আদিনা ফরেস্টে রাখা হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Mamata Banerjee: ‘‘৩৬ হাজার চাকরি বাতিল হল ডিএ আন্দোলনের জন্য’’! এ কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী?

    Mamata Banerjee: ‘‘৩৬ হাজার চাকরি বাতিল হল ডিএ আন্দোলনের জন্য’’! এ কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডের মামলায় গত সপ্তাহে বড় নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। প্রাথমিকের প্রশিক্ষণবিহীন ৩৬ হাজার চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তিন মাসের মধ্যে নতুন নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি৷ আদালতের এই সিদ্ধান্তে রাজ্য সরকার যে চরম বিপাকে পড়েছে, তা বলাই বাহুল্য। 

    দুর্নীতির জালে রাজ্যের বর্তমান শাসক দল এতটাই আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে পড়েছে যে, এই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসতে পারছে না। একের পর এক দুর্নীতির জেরে ভুরি ভুরি সিবিআই-ইডি তদন্তের নির্দেশ দিচ্ছে আদালত। যা নিয়ে ক্রমাগত আক্রমণ ধেয়ে আসছে বিরোধী শিবির থেকে। তার ওপর দোসর হয়েছে ডিএ আন্দোলন! বকেয়া ডিএ-র দাবিতে, বেশ কিছুদিন ধরেই আন্দোলন করছেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা। রাজ্য প্রশাসন ও রাজ্য সরকারি কর্মীদের মধ্যে এই সংঘাত গড়িয়েছে আদালত পর্যন্তও। সম্প্রতি, হাইকোর্টের অনুমতিতে মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) পাড়ায় বিশাল মিছিল করেছেন ডিএ আন্দোলনকারীরা। এই নিয়েও সরকারের বিড়ম্বনা যারপরনাই বেড়েছে। 

    আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর পাড়ায় গ্রুপ ডি চাকরিপ্রার্থীদের হ্যারিকেন মিছিলের অনুমতি হাইকোর্টের

    এই পরিস্থিতিতে, সোমবার, ডিএ আন্দোলনকে তীব্র আক্রমণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী(Mamata Banerjee)। আর তা করতে গিয়ে যা দাবি করলেন, তা শুনে অনেকের চোখ কপালে উঠেছে। এদিন নবান্ন সভাঘরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানালেন, এই ৩৬ হাজার চাকরি যে বাতিল হল, তার জন্য দায়ী ডিএ আন্দোলন! মমতা বলেন, “যাঁরা ডিএ নিয়ে চিৎকার করে, ৩ শতাংশ ডিএ এবছরও পেয়েছে। প্রতিদিন গিয়ে গিয়ে মিছিল করছে। আর তাঁদের জন্যই ৩৬ হাজার ছেলেমেয়ের চাকরি চলে গেল।’’ বিরোধীদের প্রশ্ন, দুর্নীতির জন্য চাকরি হারাল, সেখানে ডিএ আন্দোলন দায়ী হল কী করে? তাঁদের কটাক্ষ, মুখ্যমন্ত্রীর এহেন কথা থেকেই স্পষ্ট, দুর্নীতির গেরোয় তিনি যুক্তি হারিয়ে ফেলেছেন।

    এখানেই থেমে থাকেননি মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee)। তিনি আরও দাবি করেন, ডিএ আবশ্যিক নয়, এটা অপশন। মমতা বলেন, ‘‘ডিএ বাধ্যতামূলক নয়, ঐচ্ছিক। সরকার সামর্থ মতো ডিএ দেবে।’’ অথচ, অতীতে একাধিকবার রাজ্যকে হাইকোর্ট স্মরণ করিয়ে দিয়েছে যে, ডিএ কর্মীদের অধিকার। এই ডিএ-সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে আগে হাইকোর্ট তার স্পষ্ট রায়ে জানিয়েছে— ডিএ বা মহার্ঘ ভাতা ‘সরকারের দয়ার দান’ নয়, কর্মীদের আইনি অধিকার। এই ভাতা রাজ্য সরকারি কর্মীদের প্রাপ্য।

    যা শুনে বিরোধীদের কটাক্ষ, ক্রমশ পায়ের তলার জমি যে সরে যাচ্ছে, তা ভালোমতোই টের পাচ্ছেন মমতা।

  • Abhishek Banerjee: রোড শোয়ে তৃণমূল কর্মীদের বিক্ষোভের মুখে পড়লেন অভিষেক, কোন্দল প্রকাশ্যে

    Abhishek Banerjee: রোড শোয়ে তৃণমূল কর্মীদের বিক্ষোভের মুখে পড়লেন অভিষেক, কোন্দল প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলায় নবজোয়ার যাত্রায় তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) একাধিক সভায় ব্যালট ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। এমনকী যুবরাজের সামনেও ব্যালট লুঠ হওয়ার ঘটনার সাক্ষী রয়েছেন উত্তরবঙ্গবাসী। মালদহে গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন অভিষেক। সেই জের কাটতে না কাটতেই দলীয় কর্মীদের বিক্ষোভের মুখে পড়লেন অভিষেক (Abhishek Banerjee)। সোমবার পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতারে অভিষেকের রোড শো ছিল। রাস্তার দুধারে কর্মী-সমর্থকরা জমায়েত হয়েছিলেন। রোড শো চলাকালীন অভিষেককে দেখে তৃণমূল কর্মীরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। অভিষেকের (Abhishek Banerjee) রোড শোয়ের সামনে দলীয় কর্মীদের বিক্ষোভের ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    কেন অভিষেকের (Abhishek Banerjee)  রোড শো ঘিরে বিক্ষোভ?

    গত দুদিন ধরে পূর্ব বর্ধমান জেলায় রয়েছেন অভিষেক। জামালপুর, মন্তেশ্বর, রায়নাসহ একাধিক ব্লকে নবজোয়ার কর্মসূচি করা হয়। যদিও এই সব এলাকায় ছাপ্পা ভোট দেওয়ার অভিযোগ তুলেছে দলেরই একাংশ। এদিন বিকেলে ভাতার বিধানসভায় অভিষেকের রোড শো ছিল। সেখানে বিধায়ক মানগোবিন্দ অধিকারী ও তাঁর অনুগামীরা প্রাধান্য পেয়েছেন। প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক বনমালী হাজরা ও তাঁর অনুগামীদের বিষয়টি জানানো হয়নি। ফলে, এদিন রোড শো শুরু হতেই কর্মী-সমর্থকরা জমায়েত হন। ভাতার থানার মোড়ের কাছে অভিষেকের রোড শো আসতেই বিক্ষুদ্ধ তৃণমূল কর্মীরা তাঁকে দেখে চিত্কার করে বলেন, পুরানো কর্মীদের সন্মান দিতে হবে। এলাকার বিধায়ক তোলাবাজি করছে। তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। দলীয় কর্মীদের মুখে এসব শুনে বেশ বিড়ম্বনায় পড়েন অভিষেক। যদিও তিনি বিষয়টি না শোনার ভান করেই হাত নেড়ে তিনি সেখান থেকে চলে যান। তবে, কর্মীদের চিত্কারে তৃণমূল বিধায়ক অনুগামীরা বেশ চাপে পড়ে যান।

    কী বললেন বিক্ষোভকারীরা?

    বিক্ষোভকারীদের বক্তব্য, আমরা জন্মলগ্ন থেকে তৃণমূল করছি। যারা আগে সিপিএম, বিজেপি করত, তারা এখন দলের নেতা। এলাকায় তোলাবাজি করছে। শান্তনু কোনার আগে অন্য দল করত। দল করতে গিয়ে ওর বিরুদ্ধে আমরা লড়াই করেছি। এখন ও আমাদের নেতা। আমরা তা মেনে নিতে পারব না। অন্য দল থেকে আসা লোকজনকে নিয়ে বিধায়ক এখন মাতামাতি করছেন। আমাদের মতো পুরানো কর্মীদের কোনও গুরুত্ব নেই।

    কী বললেন তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক?

    তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক বনমালী হাজরা বলেন, আমাকে দলের এই কর্মসূচির বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি। দলের নেতা অভিষেক (Abhishek Banerjee) আমার এলাকায় এসেছে বলে আমরা এসেছি। আর যারা বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন তাঁরা সকলেই পুরানো কর্মী। নিজেদের ক্ষোভের কথা দলের নেতার সামনে তাঁরা তুলে ধরেছেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে জমি দখলের অভিযোগ, সতর্ক করা হল অনুব্রত ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতাকে

    TMC: মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে জমি দখলের অভিযোগ, সতর্ক করা হল অনুব্রত ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতাকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অনুব্রত ঘনিষ্ঠ তৃণমূল (TMC) নেতার বিরুদ্ধে মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে জমি দখলের অভিযোগ করা হয়েছিল খোদ মুখ্যমন্ত্রীর কাছে৷ সদ্য অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বীরভূম সফরে এসে অভিযুক্ত ওই নেতা আব্দুল কেরিম খানের বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়ে যান৷ সেইমতো এদিন বোলপুর দলীয় কার্যালয়ে তাঁকে ডেকে বৈঠক করে জেলার কোর কমিটি। জানা গিয়েছে, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র চাওয়ার পাশাপাশি তাঁকে সতর্ক করা হয়েছে তৃণমূলের তরফে।

    কী অভিযোগ জমা পড়েছে?

    নানুরের বাসাপাড়ায় প্রতি বছর মিলন মেলা হয়৷ অভিযোগ, মেলা কমিটির নামে বিস্তীর্ণ একটি মাঠের জায়গা বিভিন্নজনের কাছে বলপূর্বক, ভয় দেখিয়ে লিখিয়ে নেওয়া হয়েছে৷ নানুরের তৃণমূল (TMC) নেতা তথা বীরভূম জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ আব্দুল কেরিম খানের বিরুদ্ধে গ্রামবাসীরা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন৷ সেই অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছিল, ‘পার্টি অফিসে ডেকে মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে মেলা কমিটির নামে জমি লিখিয়ে নেওয়া হয়েছে।’

    চাওয়া হল কাগজপত্র

    ৯ থেকে ১১ মে বীরভূম সফরে এসে জনসংযোগ যাত্রা করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ১২ মে জেলা ছেড়ে যাওয়ার আগে দলের কোর কমিটিকে ডেকে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন তিনি। জানা গিয়েছে, সেই বৈঠকেই নানুরের তৃণমূল (TMC) নেতা আব্দুল কেরিম খানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নিদান দিয়ে যান তিনি৷ সেইমতো এদিন বোলপুর দলীয় কার্যালয়ে কোর কমিটির বৈঠক ডাকা হয়৷ উপস্থিত ছিলেন সাংসদ শতাব্দী রায়, অসিত মাল, মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ, জেলা সভাধিপতি বিকাশ রায়চৌধুরী, লাভপুরের বিধায়ক অভিজিৎ সিংহ, তৃণমূল নেতা কাজল শেখ, সুদীপ্ত ঘোষ প্রমুখ৷ এই বৈঠকে জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ আব্দুল কেরিম খানকে ডাকা হয়েছিল৷ জানা গিয়েছে, কেন মেলার মাঠ দখল করেছে সে, তার কাগজপত্র চাওয়া হয়৷ পাশাপাশি তাঁকে সতর্ক করা হয়েছে।

    উঠল গোষ্ঠীকোন্দল প্রসঙ্গও

    প্রসঙ্গত, এই আব্দুল কেরিম খানের সঙ্গে দীর্ঘদিনের দ্বন্দ্ব রয়েছে নানুরের তৃণমূল (TMC) নেতা তথা কোর কমিটির সদস্য কাজল শেখের। সেই গোষ্ঠীকোন্দল প্রসঙ্গেও এদিন বৈঠকে আব্দুল কেরিম খানকে সতর্ক করা হয়েছে। বৈঠক শেষে সাংসদ শতাব্দী রায় বলেন, “অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশমতো আব্দুল কেরিম খানকে ডাকা হয়েছিল। অভিযোগ অনুযায়ী তাঁর কাছে সমস্ত কাগজপত্র চাওয়া হয়েছে। সেগুলো দেখার পর কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে, সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হবে।” কোর কমিটির আহ্বায়ক তথা জেলা সভাধিপতি বিকাশ রায়চৌধুরী বলেন, “আমরা এদিন তাঁর কাছে সব নথি চেয়েছি৷ অভিযোগ উঠেছে যখন, সেটা খতিয়ে দেখতেই হবে৷ তারপর সিদ্ধান্ত হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • NIA: দাড়িভিটে এনআইএ তদন্তে প্রকৃত সত্য উদঘাটন হবে, ফের বেসুরো আব্দুল করিম চৌধুরী

    NIA: দাড়িভিটে এনআইএ তদন্তে প্রকৃত সত্য উদঘাটন হবে, ফের বেসুরো আব্দুল করিম চৌধুরী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে দলের জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়ালের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরী। মান, অভিমান ভুলে একসঙ্গে কাজ করার কথা বলেও ছিলেন করিমসাহেব। কিন্তু, মনের মধ্যে দলের একাংশের প্রতি তাঁর রাগ যে কোনও অংশে কমেনি তা আবারও প্রমাণিত হল তাঁর ফের বেসুরো মন্তব্যে। এনআইএ (NIA) তদন্তের তিনি প্রশংসা করেছেন। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী বলেছেন তৃণমূল বিধায়ক?

    উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরে নবজোয়ার কর্মসূচি পালিত হলেও করিমসাহেবকে সেখানে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। এমনকী অভিষেকের বাড়িতে তাঁর আসার কথা থাকলেও তিনি যাননি। দলীয় কর্মী-সমর্থকদের সামনে বারে বারে এভাবে অপমান আর তিনি মেনে নিতে না পেরে ক্ষোভে ফেটে পড়েছিলেন। দলের বিরুদ্ধে তাঁর অবস্থান তিনি স্পষ্ট করেছিলেন। এমনকী অভিষেকের ডাকা বৈঠকে তিনি যোগ দেননি। পরে, অভিষেকের নির্দেশে দলের জেলা সভাপতির সঙ্গে বৈঠকের পর দুদিন চুপচাপ থেকে ফের বেসুরো করিমসাহেব। তিনি দলীয় কর্মসূচিতে গিয়ে বলেন, নেতাদের উপস্থিত বুদ্ধির অভাবে দাড়িভিট হাইস্কুলের প্রাক্তন দুই ছাত্রের অকাল মৃত্যু হয়েছে। এন আই এ (NIA) তদন্ত হলে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন হবে। প্রবীণ তৃণমূল বিধায়কের মুখে এই ধরনের মন্তব্যে রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। ইসলামপুর বিধানসভা কেন্দ্রে ১১ বারের বিধায়ক তিনি। ২০১৬ বিধানসভা নির্বাচনে তিনি কংগ্রেস প্রার্থী কানাইয়ালাল আগরওয়ালের কাছে পরাজিত হয়েছিলেন। ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনের আগে কানাইয়ালাল আগরওয়াল কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন। তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার পর কানাইয়ালাল আগরওয়ালকে রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রে প্রার্থী করেছিল দল। লোকসভা প্রার্থী হওয়ায় কানাইয়ালাল আগরওয়াল বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন। এই সামান্য কয়েকটা বছর তিনি ইসলামপুরের বিধায়ক ছিলেন না। সেই সময়েই দাড়িভিট হাইস্কুলে আন্দোলনরত দুই ছাত্রের গুলিবিদ্ধ হয়ে রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হয়েছিল। এই প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, আমি বিধায়ক থাকলে হয়তো এমন ঘটনা ঘটত না। সরকার সি আই ডি তদন্ত দিল, মৃতের পরিবার সেই তদন্তে রাজি হননি। হাইকোর্ট এন আই এ (NIA) র হাতে তদন্তভার তুলে দিয়েছে। তারাই প্রকৃত ঘটনা সামনে আনবে বলে তিনি দাবি করেন।

    কী বললেন মন্ত্রী?

    রাজ্যের মন্ত্রী তথা গোয়ালপোখরের বিধায়ক গোলাম রব্বানি বলেন, আমি তৎকালীন ইসলামপুরের বিধায়ক কানাইয়ালাল আগরওয়ালকে নিয়ে গিয়ে এলাকার স্বজনহারা পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলাম। তাদের ক্ষতিপূরনসহ চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম। কিন্তু সেই প্রস্তাব তারা মেনে নেয়নি। তবে হারা এম এল এ ওই এলাকায় যাননি বলে নাম না করে করিম চৌধুরীকে তিনি খোঁচা দেন। সি আই ডি এই মামলায় আদালতে চার্জশিট দাখিল করেছে। এন আই এ (NIA) তদন্ত নিয়ে আমাদের কিছু বলার নেই।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share