Tag: Madhyom

Madhyom

  • Hindus Under Attack: দেশ-বিদেশে অব্যাহত হিন্দু নির্যাতন, দেখুন এই সপ্তাহের ছবি

    Hindus Under Attack: দেশ-বিদেশে অব্যাহত হিন্দু নির্যাতন, দেখুন এই সপ্তাহের ছবি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত, বাংলাদেশ এবং বিশ্বের আরও কয়েকটি দেশে অব্যাহত হিন্দু এবং হিন্দু ধর্মের ওপর আক্রমণ (Hindus Under Attack)। বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে এই নিপীড়ন ধীরে ধীরে এক ধরনের গণহত্যার রূপ নিচ্ছে। দশকের পর দশক ধরে বিশ্ব এই আক্রমণগুলির গভীরতা ও ব্যাপ্তিকে উপেক্ষা করেছে (Roundup Week)। কারণ এর পেছনে রয়েছে ভয়াবহ হিন্দু-বিদ্বেষমূলক মানসিকতা। খুন, জোরপূর্বক ধর্মান্তর, জমি দখল, ধর্মীয় উৎসবের ওপর আক্রমণ, মন্দির ও মূর্তি ভাঙচুর, বিদ্বেষমূলক বক্তব্য, যৌন হিংসা থেকে শুরু করে প্রাতিষ্ঠানিক ও আইনি বৈষম্য পর্যন্ত সব ক্ষেত্রেই হিন্দুরা এখন তাদের অস্তিত্বের ওপর ক্রমবর্ধমান আক্রমণ ও অভূতপূর্ব হিন্দু-বিদ্বেষের মুখোমুখি। এক ঝলকে দেখে নেওয়া যাক, গত ২৫ অক্টোবর থেকে ১ নভেম্বর তারিখ পর্যন্ত কী কী ঘটনা ঘটেছে দেশ-বিদেশে।

    পশ্চিমবঙ্গের ছবি (Hindus Under Attack)

    প্রথমে দেখে নেওয়া যাক ভারতের ছবিটা। পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপের হারউড পয়েন্ট কোস্টাল থানার উত্তর চন্দ্রনগর গ্রামে স্থানীয় কালী মন্দিরে হামলার ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে। মূর্তির মাথা ভেঙে দেওয়া হয়েছে। ঘটনাটি স্থানীয় বাসিন্দাদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানে। এই ঘটনায় স্থানীয় তৃণমূল কর্মী নারায়ণ হালদারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।   দক্ষিণ ২৪ পরগনারই মল্লিকপুর গ্রামের বটতলা এলাকায় একাধিক জগদ্ধাত্রী প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে। স্থানীয় এক কারিগরের স্টুডিওয় জগদ্ধাত্রী মূর্তি ভাঙা হয়। অভিযোগ, রাতের অন্ধকারে দুষ্কৃতীরা মূর্তিগুলির মাথা ভেঙে নিয়ে যায়।

    সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা

    পুনের কন্ধওয়ার মহালক্ষ্মী জুয়েলার্সে গয়নার ওয়ারেন্টি সংক্রান্ত বিবাদ গড়ায় হাতাহাতিতে। ঘটনায় ছড়ায় সাম্প্রদায়িক উত্তেজনাও। ক্রেতা পারভেজ নবী শেখের দাবি, ওয়ারেন্টি পিরিয়ডের মধ্যেই তাঁর কানের দুল ভেঙে গিয়েছে। তাই তার বদলে তিনি অন্য একটি দুল চান। দোকানের মালিক জানান, দুলটি ব্যবহার করা হয়েছিল, তাই পরিবর্তন সম্ভব নয়। এরপরেই দু’পক্ষে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় শুরু হয়। বিজনেস ভিসার অপব্যবহার, ধর্মীয় প্রচারমূলক অনুষ্ঠানের আয়োজন এবং ভারতের মধ্যে ফান্ডরেইজিং নেটওয়ার্ক পরিচালনার অভিযোগে নাইজেরিয়ান নেতৃত্বাধীন ‘ক্রাইস্ট এমব্যাসি’র বিরুদ্ধে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে চিঠি দিয়েছে এলআরপিএফ (Hindus Under Attack)। আইনি অধিকার সুরক্ষা ফোরামের এই অভিযোগপত্রে বিদেশি নাগরিক ও তাদের সংগঠনের কার্যকলাপ নিয়ে অবিলম্বে তদন্তের দাবি জানানো হয়েছে।

    ধর্মান্তরিত করার চেষ্টা

    সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, খ্রিস্টান ধর্মপ্রচারকদের একটি দল (Roundup Week), যার মধ্যে দুই মহিলাও ছিলেন, পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়। তারা অর্থ ও বাসস্থানের লোভ দেখিয়ে হিন্দু মহিলাদের ধর্মান্তরিত করার চেষ্টা করছিলেন। অভিযোগের ভিত্তিতে মধ্যপ্রদেশ ফ্রিডম অফ রিলিজিয়ন অ্যাক্টের ধারা ৩ ও ৫, ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ধারা ১১৫ (২ ) এবং এসসি / এসটি অ্যাক্টের ধারা ৩(১)(সি) অনুযায়ী এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। বেঙ্গালুরুর দেবারা বেসনহাল্লির ঐতিহাসিক ভেঙ্কটেশ্বরস্বামী মন্দিরে ঘটে চাঞ্চল্যকর ঘটনা। অভিযোগ, বাংলাদেশি বলে পরিচিত কবীর নামে এক ইসলামপন্থী যুবক জুতো পরা অবস্থায়ই জোর করে গর্ভগৃহে ঢুকে পড়ে এবং চপ্পল ব্যবহার করে দেবতার মূর্তি অপবিত্র করে।  টাটা ইনস্টিটিউট অব সোশ্যাল সায়েন্সেসের স্কুল অফ সোশ্যাল জাস্টিসের অধ্যাপক ব্রিনেল ডি’সুজার ধর্মভিত্তিক কর্মশালা ও রাজনৈতিক সক্রিয়তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশিত হয়েছে। অভিযোগ, তিনি সরকারি ফান্ড ব্যবহার করে ‘শুধু ক্যাথলিকদের জন্য’ ওয়ার্কশপ পরিচালনা করছেন।

    নজরে বাংলাদেশ

    এদিকে, বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর অবিরাম আক্রমণ চলছে। লক্ষ্য হল, দেশটি থেকে ধর্মীয় এই সংখ্যালঘুদের ধীরে ধীরে নির্মূল করা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর আবুল বরকতের এক গবেষণা অনুযায়ী, পদ্ধতিগত ও প্রাতিষ্ঠানিক নির্যাতনের কারণে ২০৫০ সালের মধ্যে বাংলাদেশে আর কোনও হিন্দু অবশিষ্ট থাকবে না। মন্দির ভাঙচুর, জমি দখল, মিথ্যা ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে নারী ও কন্যাশিশুর ধর্ষণ বা জোরপূর্বক ধর্মান্তর, ঘৃণাবাচক (Roundup Week) বক্তব্য – এসবই হিন্দুদের আতঙ্কিত ও দেশছাড়া করার প্রধান হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। রাজশাহির গোদাগাড়ি উপজেলার বাবুদয়িং গ্রামে এক মানবিক বিপর্যয় ঘটেছে, যেখানে আদালতের নির্দেশে আদিবাসী সম্প্রদায়ের পাঁচটি পরিবারকে উচ্ছেদ করা হয়েছে। দুই দশকেরও বেশি সময় আগে নির্মিত তাদের ঘরবাড়ি ভেঙে ফেলা হয়েছে। তার জেরে রাতারাতি বহু পুরুষ, নারী ও শিশুকে গৃহহীন অবস্থায় রাস্তায় দাঁড়াতে হয়েছে (Hindus Under Attack)।

    ‘বিদেশি দানব’!

    এদিকে, প্রকাশ্য হিন্দুফোবিয়ার এক ঘটনায়, মুখোশধারী কিছু ব্যক্তি ভগবান বিষ্ণু ও গণেশের ছবি কেটে দেওয়া বা ক্রস চিহ্ন দেওয়া ব্যানার প্রদর্শন করে তাঁদের ‘বিদেশি দানব’ বলে অপমান করেছে। ওই মুখোশধারীরা যে ব্যানার দেখিয়েছিল (Roundup Week) তাতে লেখা ছিল, ডোন্ট ইন্ডিয়া মাই টেক্সাস, ডিপোর্ট এইচ-১বি স্ক্যামার্স, রিজেক্ট ফরেন ডেমনস এবং জেসাস ক্রাইস্ট ইজ মাই লর্ড (Hindus Under Attack)।

  • Odisha: ওড়িশায় রাজ্যের প্রথম কম্পাউন্ড সেমিকন্ডাক্টর প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন, কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী?

    Odisha: ওড়িশায় রাজ্যের প্রথম কম্পাউন্ড সেমিকন্ডাক্টর প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন, কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উন্নত ইলেকট্রনিক্স ও সেমিকন্ডাক্টর উৎপাদনের একটি কেন্দ্র হিসেবে আত্মপ্রকাশের পথে পদক্ষেপ করল ওড়িশা (Odisha)। ১ নভেম্বর ভুবনেশ্বরের জাতনি এলাকার ইনফো ভ্যালিতে স্থাপন করা হয়েছে রাজ্যের প্রথম কম্পাউন্ড সেমিকন্ডাক্টর প্রকল্পের (CM Majhi) ভিত্তিপ্রস্তর। অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় ইলেকট্রনিক্স ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। অনুষ্ঠানে সশরীরে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মোহন চরণ মাজি এবং ওড়িশার তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মুকেশ মাহলিং।

    কর্মসংস্থান হবে প্রায় ৫ হাজার (Odisha)

    কেন্দ্রটি নির্মাণ করবে সিকসেম (SiCSem) প্রাইভেট লিমিটেড। এটি হবে ওড়িশার শিল্প ও প্রযুক্তি খাতের ক্ষেত্রে একটি মাইলফলক। ২ হাজার ৬৭ কোটি টাকার বিনিয়োগে গড়ে ওঠা এই প্রকল্পটিতে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কর্মসংস্থান হবে প্রায় ৫ হাজার জনের। এটি রাজ্যের হাই-টেক ম্যানুফ্যাকচারিং সেক্টরকে উল্লেখযোগ্যভাবে এগিয়ে নিয়ে যাবে বলেই ধারণা বিশেষজ্ঞদের।

    মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য

    অনুষ্ঠানে ভাষণ দিতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মোহন চরণ মাজি প্রকল্পটিকে ওড়িশার জন্য একটি ঐতিহাসিক মাইলফলক বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, “আজ আমাদের রাজ্যের জন্য এক গৌরবময় দিন। আমরা উন্নত ইলেকট্রনিক্স ও সেমিকন্ডাক্টর উৎপাদনের একটি প্রধান কেন্দ্র হয়ে ওঠার দিকে এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিলাম। ইনফো ভ্যালিতে সিকসেম প্রাইভেট লিমিটেডের কম্পাউন্ড সেমিকন্ডাক্টর ফেসিলিটির ভূমিপুজো আমাদের আত্মনির্ভর ভারতের দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিফলন। এটি ওড়িশার এগিয়ে চলার নীতি, বিশ্বমানের পরিকাঠামো এবং দ্রুত বর্ধনশীল উদ্ভাবন পরিবেশের পরিচায়ক (Odisha)।” তিনি বলেন, “সেমিকন্ডাক্টর ইউনিটটি ওড়িশার সেই বৃহত্তর কৌশলের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ, যার লক্ষ্য হল ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত শিল্প, যেমন, ইলেকট্রনিক্স, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং উদীয়মান প্রযুক্তির বিকাশ।” মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “উদ্ভাবন-চালিত শিল্পকে উৎসাহিত করে এবং উচ্চ-প্রযুক্তি খাতের জন্য শক্তিশালী নীতি দিয়ে সাহায্য করে ওড়িশাকে ভারতের অন্যতম বিনিয়োগবান্ধব গন্তব্য হিসেবে গড়ে তুলতে আমাদের সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”

    নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে ভারত

    তিনি বলেন, “এই প্রকল্পটি ওড়িশার জন্য একটি বড় পাওয়া। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে ভারত আর প্রযুক্তিগত অগ্রগতিতে কোনও দেশের থেকে পিছিয়ে নেই। প্রগতিশীল নীতি, আধুনিক পরিকাঠামো এবং দক্ষতাভিত্তিক প্রবৃদ্ধির মাধ্যমে আমরা একটি শক্তিশালী, আত্মনির্ভরশীল ও প্রযুক্তিনির্ভর অর্থনীতি গড়ে তুলছি।” মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “ভারত সরকারের অবিচল সমর্থন এবং আমাদের শিল্প অংশীদারদের সহযোগিতায়, ওডিশা ভারতের পূর্বাঞ্চলের উন্নয়নগাঁথায় অবদান রাখতে থাকবে — উদ্ভাবন, কর্মসংস্থান এবং সমৃদ্ধিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে একটি ‘সমৃদ্ধ ওডিশা’ এবং ‘বিকশিত ভারত’-এর লক্ষ্যে (CM Majhi)।” কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, “ডাবল-ইঞ্জিন সরকার রেল, সড়ক, ইলেকট্রনিক্স, টেলিকম এবং সেমিকন্ডাক্টর-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ওড়িশায় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করেছে। আইআইটি ভুবনেশ্বরে একটি অত্যাধুনিক সেমিকন্ডাক্টর গবেষণাগারও স্থাপন করা হবে।”

    প্রসঙ্গত, ভারত সেমিকন্ডাক্টর মিশনের (ISM) অনুমোদনে নির্মাণাধীন যৌগিক সেমিকন্ডাক্টর ফ্যাব্রিকেশন সুবিধাটি বছরে ৬০ হাজার ওয়েফার উৎপাদন সক্ষমতা এবং ৯৬ মিলিয়ন ইউনিট প্যাকেজিং ক্ষমতা নিয়ে গড়ে উঠবে। এই ইউনিটে বৈদ্যুতিক যানবাহন, প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, রেলওয়ে এবং পুনর্নবীকরণ শক্তি প্রযুক্তিতে ব্যবহৃত জরুরি উপাদানগুলি তৈরি করা হবে (Odisha)।

    প্রসঙ্গত, বর্তমানে ভারত সেমিকন্ডাক্টর উপাদানের জন্য ব্যাপকভাবে নির্ভর করে চিন, তাইওয়ান, দক্ষিণ কোরিয়া এবং সিঙ্গাপুরের মতো দেশের ওপর। ভুবনেশ্বরে এই প্রকল্পটি গড়ে উঠলে একদিকে যেমন কমবে আমদানিনির্ভরতা, বাড়বে দেশীয় উৎপাদন ক্ষমতা, তেমনি মেক ইন ইন্ডিয়া ও ডিজিটাল ইন্ডিয়া মিশনের অধীনে ভারতের সেমিকন্ডাক্টর উৎপাদন ইকোসিস্টেম আরও শক্তিশালী (CM Majhi) হবে বলেই আশা বিশেষজ্ঞদের। কর্তৃপক্ষের মতে, প্রকল্পটি শুধু ওড়িশার প্রযুক্তিগত সক্ষমতাই বাড়াবে না, বরং ভারতকে বৈশ্বিক সেমিকন্ডাক্টর কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে। এটি দেশের আত্মনির্ভরতা বৃদ্ধি এবং মজবুত শিল্পোন্নয়নেও সহায়তা করবে।

  • RSS: “সংঘের কাজই দেশের কাজ”, বললেন আরএসএসের সরকার্যবাহ দত্তাত্রেয় হোসাবলে

    RSS: “সংঘের কাজই দেশের কাজ”, বললেন আরএসএসের সরকার্যবাহ দত্তাত্রেয় হোসাবলে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “সঙ্ঘের (RSS) শতবর্ষে সংস্কারধনী জবলপুরে এই সভা আয়োজনের মাধ্যমে এই শহরের নাম স্থায়ীভাবে সংঘের লিখিত ইতিহাসে চিরস্থায়ী হয়ে রইল।” শনিবার আরএসএসের অখিল ভারতীয় কার্যকরী মণ্ডল বৈঠকের শেষ দিনে কথাগুলি বললেন সরকার্যবাহ দত্তাত্রেয় হোসাবলে। কাচনার শহরে আয়োজিত ওই বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন সরকার্যবাহ। তখনই সঙ্ঘের সভা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দেন তিনি। তুলে ধরেন বিজয়াদশমীর দিন সারা দেশে আয়োজিত বিভিন্ন কর্মসূচির বিবরণও (Swayamsevaks)।

    আরএসএসের বিজয়া দশমী (RSS)

    বিজয়া দশমী উপলক্ষে নাগপুর-সহ সারা দেশে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন হয় বলে জানান হোসাবলে। এদিন গ্রামীণ ভারতের ৫৯ হাজার ৩৪৩টি মণ্ডলের মধ্যে ৩৭ হাজার ২৫০টিতে কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। পার্শ্ববর্তী মণ্ডলের স্বয়ংসেবকদের অংশগ্রহণ-সহ মোট ৫০ হাজার ৯৬ মণ্ডল এই কর্মসূচির অন্তর্ভুক্ত হয়। শহারাঞ্চলের ৪৪ হাজার ৬৮৬টি বস্তির মধ্যে ৪০ হাজার ২২০টিতে কর্মসূচি পালিত হয়। এছাড়াও, ৬ হাজার ৭০০টি স্বতন্ত্র বিজয়াদশমী কর্মসূচি আয়োজিত হয়। সব মিলিয়ে সারা দেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে মোট ৬২ হাজার ৫৫৫টি বিজয়াদশমীর অনুষ্ঠান। এই কর্মসূচিগুলিতে ৩২ লাখ ৪৫ হাজার ১৪১ জন স্বয়ংসেবক ইউনিফর্ম পরে উপস্থিত ছিলেন। ২৫ হাজার জায়গায় পথসঞ্চালন অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইউনিফর্ম পরে অংশ নেন ২৫ লাখ ৪৫ হাজার ৮০০ জন স্বয়ংসেবক। তিনি জানান, এই কর্মসূচিগুলি প্রমাণ করে যে, ভারতের কোনও অঞ্চলই সংঘের কার্যক্রমের বাইরে নেই। আন্দামান দ্বীপপুঞ্জ থেকে লাদাখ, অরুণাচল প্রদেশ, মেঘালয়, নাগাল্যান্ড পর্যন্ত সঙ্ঘের নজরকাড়া উপস্থিতি রয়েছে।

    “সংঘের কাজই দেশের কাজ”

    হোসাবলে জানান, গত বছরের (Swayamsevaks) অক্টোবর মাসে অনুষ্ঠিত শেষ বৈঠকের পর থেকে সংঘ ১০ হাজার নতুন জায়গায় কাজ শুরু করেছে। বর্তমানে ৫৫ হাজার ৫২টি জায়গায় প্রতিদিন ৮৭ হাজার ৩৯৮টি শাখা পরিচালিত হচ্ছে। ৩২ হাজার ৩৬২টি সাপ্তাহিক মিলনও অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সব মিলিয়ে মোট কর্মসূচি-কেন্দ্রের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮৭ হাজার ৪১৪টি। সাম্প্রতিক বছরগুলিতে নিবিড় চেষ্টার ফলে সংঘের কার্যক্রম আদিবাসী অঞ্চল-সহ শ্রমিক, কৃষক, ছাত্রছাত্রী, উদ্যোক্তা এবং বিভিন্ন পেশাজীবী শ্রেণির মধ্যেও বিস্তৃত হয়েছে। তিনি জানান, এদিনের বৈঠকে সংঘের শতবর্ষ উপলক্ষে আসন্ন কর্মসূচির বিষয়েও আলোচনা হয়। সমাজের বিভিন্ন স্তর থেকে এ ব্যাপারে ইতিবাচক সাড়াও মিলেছে। সরকার্যবাহ বলেন, “সংঘের (RSS) কাজই দেশের কাজ।”

    হিন্দু সম্মেলনের আয়োজন

    তিনি জানান, আগামী মাসগুলিতে বস্তি ও মণ্ডল পর্যায়ে হিন্দু সম্মেলনের আয়োজন করা হবে। এই সম্মেলনগুলির মাধ্যমে পঞ্চ পরিবর্তনের বার্তা পৌঁছে দেওয়া হবে তৃণমূলস্তর পর্যন্ত, যাতে এই নীতিগুলি সমাজের আচরণ এবং দৈনন্দিন জীবনের অঙ্গ হয়ে ওঠে। প্রায় ৪৫ হাজার গ্রামীণ এবং ৩৫ হাজার শহুরে এলাকায় হিন্দু সম্মেলনের আয়োজন হবে বলে আশা সংঘের। এছাড়াও ব্লক এবং শহরেও সামাজিক সদ্ভাব বৈঠক এবং জেলা সদরগুলিতে প্রবুদ্ধ নাগরিক গোষ্ঠী আলোচনা  অনুষ্ঠিত হবে। এই সব কর্মসূচির মূল লক্ষ্যই হল আরও বেশি মানুষের সঙ্গে জাতীয় সেবার যোগসূত্র তৈরি করা (Swayamsevaks)। হোসাবলে বলেন, “সকলের শাখায় যোগ দেওয়ার প্রয়োজন নেই। তবে প্রত্যেকেরই উচিত নিজের কর্মক্ষেত্রে সমাজের ঐক্য, সম্প্রীতি এবং জাতীয় উন্নতির জন্য কাজ করা।” তিনি জানান, শতবর্ষের কর্মসূচির উদ্দেশ্য সংগঠনের শক্তি বৃদ্ধি নয়, বরং সমাজের অন্তর্নিহিত শক্তিকে জাগ্রত করা। সচেতনতা, ঐক্য এবং জাতীয় নিবেদনের প্রেরণা জাগিয়ে তোলা।

    গুরু তেগ বাহাদুরের শাহাদতের ৩৫০তম বর্ষ

    ২৪ নভেম্বর ছিল নবম শিখ গুরু গুরু তেগ বাহাদুরের শাহাদতের ৩৫০তম বর্ষ। বৈঠকে ধর্ম, সংস্কৃতি ও সমাজের ঐক্য রক্ষার জন্য তিনি যে তাঁর জীবন উৎসর্গ করেছিলেন, তা নিয়েও আলোচনা হয়। জানা গিয়েছে, দেশব্যাপী সংঘের কর্মীরা তাঁর স্মৃতিতে বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নেবেন। সংঘের বক্তব্য, “গুরু তেগ বাহাদুরের জীবন সকলের জন্য প্রেরণা। ধর্ম ও সংস্কৃতি রক্ষার ক্ষেত্রে তাঁর অটল অবস্থান আজকের যুবসম্প্রদায়ের কাছে পৌঁছে দেওয়া প্রয়োজন।” এ বছর বিরসা মুন্ডার সার্ধ শতবার্ষিকীও। বিরসা কেবল একজন সম্মানিত জনজাতি নেতাই ছিলেন না, যিনি শুধু ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন, তিনি ধর্মান্তরণের বিরুদ্ধেও সোচ্চার হয়েছিলেন এবং আদিবাসী সমাজের উন্নয়নে কাজ করেছেন। এদিনের বৈঠকে তাঁকেও স্মরণ করা হয় শ্রদ্ধার সঙ্গে। তাঁর ১৫০তম জন্মজয়ন্তী যথাযোগ্য মর্যাদায় যাতে উদযাপন করা হয়, তার ডাকও দিয়েছে সংঘ। সংঘ তাঁকে প্রাতঃ স্মরণীয় ব্যক্তিত্বদের  মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করেছে (RSS)।

    ‘বন্দে মাতরম’ রচনার দেড়শো বছর

    এবছর ‘বন্দে মাতরম’ রচনারও দেড়শো বছর। ১৯৭৫ সালে শতবর্ষ উপলক্ষে দেশজুড়ে কমিটি গঠন করা হয়েছিল। কিন্তু জরুরি অবস্থার কারণে সেই উদ্যোগ ভেস্তে যায় (Swayamsevaks)। স্বাধীনতা আন্দোলনের সময় “বন্দে মাতরম” ছিল উদ্দীপনা, সাহস ও আত্মমর্যাদার গান।সরকার্যবাহ বলেন, “বর্তমান প্রজন্মকে এর অনুপ্রেরণামূলক ইতিহাস জানতে হবে। বন্দে মাতরম শুধু একটি গান নয়, এটি ভারতের আত্মার মন্ত্র। এতে ভারতের পরিচয় ও সাংস্কৃতিক চেতনা প্রতিফলিত হয়েছে।” তিনি জানান, ঝাড়খণ্ড এবং ছত্তিশগড়ে মাওবাদীরা অস্ত্র ছেড়ে ফিরছে সমাজের মূলস্রোতে। মণিপুর প্রসঙ্গে হোসাবলে বলেন,  “সেখানে শীঘ্রই ভালো সময় আসবে।”

    তিনি যুবসমাজে বাড়তে থাকা মাদকাসক্তির সমস্যা নিয়েও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন। এই প্রবণতা রুখতে সরকারকে সমাজ, ধর্মীয় সংগঠন, সমাজকর্মী এবং বিভিন্ন কমিউনিটি সংগঠনকে নিয়ে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। কুটুম্ব প্রবোধন এই উদ্যোগে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে (RSS)।

  • Daily Horoscope 02 November 2025: কর্মক্ষেত্রে প্রতারণার শিকার হতে পারেন এই রাশির জাতকরা

    Daily Horoscope 02 November 2025: কর্মক্ষেত্রে প্রতারণার শিকার হতে পারেন এই রাশির জাতকরা

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) পরিবারের বন্ধু ও সদস্যদের সঙ্গে পার্টি করতে পারেন।

    ২) প্রেম জীবনে সঙ্গীর সঙ্গে রোম্যান্টিক ডিনারে যেতে পারেন।

    ৩) আর্থিক পরিস্থিতির কারণে চিন্তিত থাকবেন।

    বৃষ

    ১) কোনও কাজ করতে নিজের শক্তি ব্যবহার করতে পারেন, তা না-হলে সমস্যা দেখা দিতে পারে।

    ২) রেগে গিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নিলে সমস্যার মুখোমুখি হবেন।

    ৩) চাকরিতে কোনও সমস্যার সম্মুখীন হলে এবার স্বস্তি পাবেন।

    মিথুন

    ১) আজকের দিনটি অবসাদপূর্ণ থাকবে।

    ২) সন্তানের কেরিয়ারের কারণে চিন্তিত থাকবেন।

    ৩) কর্মক্ষেত্রে কাজের চাপ বাড়তে পারে।

    কর্কট

    ১) শারীরিক সমস্যা থাকলে তাতে উন্নতি হবে।

    ২) আর্থিক পরিস্থিতির কারণে চিন্তিত থাকবেন।

    ৩) বৃদ্ধিপ্রাপ্ত ব্যয় নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।

    সিংহ

    ১) ব্যবসায়ীদের জন্য আজকের দিনটি ভালো।

    ২) কাজের কারণে দৌড়ঝাপ করতে হবে।

    ৩) তখনই ভালো অর্থ উপার্জনে সফল হবেন।

    কন্যা

    ১) কর্মক্ষেত্রে প্রতারণার শিকার হতে পারেন।

    ২) সব পরিস্থিতিতে সতর্ক থাকুন।

    ৩) নিজের কাজের চেয়ে বেশি অন্যের কাজে মনোনিবেশ করবেন, যার ফলে সমস্যায় পড়তে পারেন।

    তুলা

    ১) পারিবারিক জীবনে সঙ্গীর সঙ্গে একা কিছু সময় কাটাবেন, তাঁর চিন্তাভাবনা বুঝবেন।

    ২) সাবধানে গাড়ি চালান, তা না-হলে দুর্ঘটনা সম্ভব।

    ৩) বাবার স্বাস্থ্যের প্রতি সচেতন থাকতে হবে, শারীরিক কষ্ট বাড়তে পারে।

    বৃশ্চিক

    ১) আজ কোনও নতুন কাজ শুরু করতে পারেন।

    ২) অংশীদারীর কাজ করবেন না।

    ৩) জীবনসঙ্গীর পরামর্শের দ্বারা লাভ হবে।

    ধনু

    ১) জীবনসঙ্গীর সঙ্গে কোথাও ঘুরতে যেতে পারেন।

    ২) জীবনসঙ্গীর সঙ্গে সমস্ত বিবাদের সমাধান হবে।

    ৩) কোনও পুরনো বন্ধুর সঙ্গে সাক্ষাৎ হবে, যার জন্য বহুদিন ধরে অপেক্ষা করে রয়েছেন।

    মকর

    ১) কর্মক্ষেত্রে ভালো কিছু করার জন্য কেউ আপনাকে উৎসাহিত করতে পারে।

    ২) ছোটখাটো বিষয়ের কারণে অবসাদগ্রস্ত থাকবেন।

    ৩) আপনার কোনও ভুল পরিবারের সদস্যদের সামনে আসতে পারে।

    কুম্ভ

    ১)  সহকর্মীরা কাজে বাধা সৃষ্টি করতে পারে, এর ফলে চিন্তিত হবেন।

    ২) পরিবারে নতুন অতিথি আগমনের সুসংবাদ পেতে পারেন।

    ৩) ভাই-বোনের মধ্যে বিবাদ সমাপ্ত হবে।

    মীন

    ১) সরকারি চাকরিজীবীরা লাভান্বিত হবেন।

    ২) ভালো কাজে নিজের শক্তি ব্যবহার করুন।

    ৩) এদিক-ওদিক বসে সময় নষ্ট করবেন না।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • Dattatreya Hosabale: “মণিপুরে আরএসএসের কর্মীরাও স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনতে নিরলসভাবে কাজ করেছেন”, বললেন হোসাবলে

    Dattatreya Hosabale: “মণিপুরে আরএসএসের কর্মীরাও স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনতে নিরলসভাবে কাজ করেছেন”, বললেন হোসাবলে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “মণিপুরের পরিস্থিতির আগেও অবনতি হয়েছিল। তবে এখন সেখানে শান্তি ফিরে আসছে এবং মানুষ নতুন আশায় উজ্জীবিত। স্বয়ংসেবক সংঘের কর্মীরাও স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনতে নিরলসভাবে কাজ করেছেন। একই রাজ্যের দু’টি সম্প্রদায়ের একে অপরের সঙ্গে সংঘাতে জড়ানোটা উচিত নয়। পরিস্থিতির দ্রুত উন্নতি হচ্ছে এবং সমাজ ও সরকার দু’পক্ষই সম্পূর্ণ স্বাভাবিকতা নিশ্চিত করতে কাজ করছে।”

    আরএসএসের অখিল ভারতীয় কার্যকরী মণ্ডল (Dattatreya Hosabale) 

    আরএসএসের (RSS) অখিল ভারতীয় কার্যকরী মণ্ডল বৈঠকের শেষ দিনে সাংবাদিক সম্মেলনে কথাগুলি বললেন সংগঠনের সহসরকার্যবাহ দত্তাত্রেয় হোসাবলে (Dattatreya Hosabale)। এই বৈঠকে সরসঙ্ঘচালক মোহন ভাগবতের বিজয়া দশমীর ভাষণে উত্থাপিত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি নিয়ে বিশদ আলোচনা হয়। শতবর্ষ উদযাপন উপলক্ষে নাগপুরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। কয়েকটি বিদেশি দেশের প্রতিনিধিদলও এই উদযাপনে অংশ নেয়। দালাই লামাও এই উপলক্ষে সংঘকে শুভেচ্ছা জানান।২০২৫ সালের ২ অক্টোবর ১০০ বছর পূর্ণ করে আরএসএস। হোসাবলে ধর্ম, বাণিজ্য, শিল্প-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রের সেই সব ব্যক্তিদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন, যাঁরা সংঘকে শতবর্ষে অভিনন্দন জানিয়েছেন।

    কী বললেন হোসাবলে

    নাগপুরে আয়োজিত ‘পথ সঞ্চালনে’ মোট ১৪ হাজার ১০১ জন স্বয়ংসেবক অংশ নেন। দেশের বিভিন্ন জায়গায়ও একইভাবে এই অনুষ্ঠান হয়। হোসাবলে স্বয়ংসেবকদের পরিবারের সদস্যদের প্রতিও আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানান (Dattatreya Hosabale)। হোসাবলে জানান, শতবর্ষ উদ্‌যাপন উপলক্ষে ভারতের বিভিন্ন জায়গায় যে অনুষ্ঠানগুলি হয়েছে, তা সংঘের কাজের বিস্তৃত সম্প্রসারণেরই প্রতিফলন। বর্তমানে দেশে সংঘের মোট ৫৯ হাজার ৩৪৩টি মণ্ডল রয়েছে। এর মধ্যে ৫০ হাজার ৯৬টি মণ্ডলে অনুষ্ঠান হয়েছে। ৩৭ হাজার ২৫০টি মণ্ডলে ব্যাপক জনসমাগম হয়েছে।

    মহানগর ও নগর এলাকায় মোট ৪০ হাজার ৬৮৬টি বস্তি রয়েছে। তার মধ্যে ৪০ হাজার ২২০টিতেই অনুষ্ঠান হয়েছে। এছাড়াও আরও ৬ হাজার ৭০০টি আলাদা করে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। তিনি জানান, লাদাখ থেকে শুরু করে পাহাড়ি, উপকূলবর্তী ও উপজাতি অধ্যুষিত অঞ্চল – দেশের সর্বত্রই সমাজের সর্বস্তরের মানুষ এতে (RSS) অংশগ্রহণ করেছেন। হোসাবলে বলেন, “পথ সঞ্চালনে অংশগ্রহণকারীদের বেশিরভাগেরই বয়স চল্লিশ বছরের নীচে। এ থেকে প্রমাণ হয়, দিন দিন তরুণ প্রজন্ম আরএসএসের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে। এই আয়োজনে কোনও সম্প্রদায়কেই বাদ দেওয়া হয়নি (Dattatreya Hosabale)।”

  • China: উঠে গেল স্থগিতাদেশ, ভারতে ভারী রেয়ার আর্থ ম্যাগনেট রফতানি শুরু করল চিন

    China: উঠে গেল স্থগিতাদেশ, ভারতে ভারী রেয়ার আর্থ ম্যাগনেট রফতানি শুরু করল চিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছ’মাসের স্থগিতাদেশের পর ফের ভারতে (India) ভারী রেয়ার আর্থ ম্যাগনেট রফতানি শুরু করেছে চিন (China)। এতে বৈদ্যুতিক যানবাহন, নবায়নযোগ্য জ্বালানি এবং কনজিউমার ইলেকট্রনিক্স খাতে কর্মরত ভারতীয় নির্মাতারা কিছুটা স্বস্তি পেয়েছেন। কারণ এসব গুরুত্বপূর্ণ উপাদানের ওপর তাঁদের ব্যাপকভাবে নির্ভর করতে হয়। তবে রফতানি আবারও শুরু হলেও কিছু শর্তও যুক্ত হয়েছে।

    চিনের বক্তব্য (China)

    বেজিং সাফ জানিয়ে দিয়েছে, এই ম্যাগনেটগুলি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ফের রফতানি করা যাবে না, ব্যবহার করা যাবে না সামরিক কাজেও। চিন-ভারত সম্পর্কের এই ঝলক এমন একটা সময়ে প্রকাশ্যে এল, যখন ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বৈঠকে বসে বাণিজ্য উত্তেজনা কমানোর ইঙ্গিত দিয়েছেন। জানা গিয়েছে, হিতাচি, কন্টিনেন্টাল, জে উশিন এবং ডি ই ডায়মন্ডস এই চারটি ভারতীয় কোম্পানি চিনা কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে ম্যাগনেট আমদানির অনুমোদন পেয়েছে। এক প্রবীণ শিল্প আধিকারিক বলেন, “সরবরাহের (ম্যাগনেট) ক্ষেত্রে কিছুটা স্বস্তি দেখা যাচ্ছে। চারটি কোম্পানি রেয়ার আর্থ ম্যাগনেট আমদানির অনুমোদন পেয়েছে।” এদিকে, কলকাতা ও গুয়াংঝুর মধ্যে সরাসরি উড়ানও ফের চালু হয়েছে, যার জেরে আরও অনায়াস হবে ভারত-চিন বাণিজ্য।

    বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্রের প্রতিক্রিয়া

    ভারতের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়ালও জানান, এই আমদানির জন্য লাইসেন্স দিয়েছে চিন। তিনি বলেন, “আমাদের দেখতে হবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র–চিন আলোচনার প্রভাব আমাদের ওপর কীভাবে পড়ে (China)।” প্রসঙ্গত, বিশ্বের মোট রেয়ার আর্থ ম্যাগনেট উৎপাদনের প্রায় ৯০ শতাংশেরই নিয়ন্ত্রণকারী চিন। গত ৪ এপ্রিল জাতীয় নিরাপত্তা উদ্বেগের কথা বলে, মার্কিন শুল্ক হারের প্রতিক্রিয়ায় নতুন রফতানি নিষেধাজ্ঞা জারি করে চিন। এই পদক্ষেপের ফলে রফতানিকারীদের বিশেষ লাইসেন্স নেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়।

    ২০২৪-’২৫ অর্থবর্ষে ভারত (India) ৮৭০ টন রেয়ার আর্থ ম্যাগনেট আমদানি করেছে। এর মূল্য ছিল ৩০৬ কোটি টাকা। এর আগে বৃহস্পতিবার ট্রাম্প ক্রিটিক্যাল রেয়ার আর্থ উপকরণ সরবরাহের জন্য চিনা প্রেসিডেন্টের সঙ্গে এক বছরের একটি চুক্তির কথা ঘোষণা করেছিলেন (China)।

  • ICC Women’s World Cup: নয়া চ্যাম্পিয়নের অপেক্ষায় ক্রিকেট বিশ্ব! ফাইনালে ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা কঠিন লড়াই

    ICC Women’s World Cup: নয়া চ্যাম্পিয়নের অপেক্ষায় ক্রিকেট বিশ্ব! ফাইনালে ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা কঠিন লড়াই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কাপ আর ঠোঁটের মধ্যে রয়েছে একটু ফারাক। অপেক্ষা আর কয়েক ঘণ্টার। সেমিফাইনালে কঠিন প্রতিপক্ষকে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছে ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকা (India vs South Africa)। ফাইনালে (ICC Women’s World Cup) যে দলই জিতুক মহিলাদের এক দিনের বিশ্বকাপে এবার দেখা যাবে নতুন চ্যাম্পিয়ন। মহিলাদের এক দিনের বিশ্বকাপের ফাইনালে রবিবার নবি মুম্বইয়ের ডিওয়াই পটেল স্টেডিয়ামের বাইশ গজ পরীক্ষা নেবে দু’দলের। প্রথম বার ফাইনালে উঠেছেন লরা উলভার্টেরা। প্রথম বার ট্রফি জয়ে মরিয়া হরমনপ্রীত কৌরেরাও। শক্তির বিচারে তুল্যমূল্য লড়াই হতে পারে দু’দলের।

    ঘরের মাঠে এগিয়ে ভারত

    ভারতের বিশ্বকাপ অভিযান মোটেই মধুর ছিল না। দারুণ শুরু করেও পরপর ৩টি ম্যাচ হেরে গিয়েছিল ভারত। তবে সেই দুর্দশা কাটিয়ে পারফরম্যান্সের উপর ভর করেই সেমিফাইনালে ওঠে ভারত। সেখানে তাদের মুখোমুখি হয় অস্ট্রেলিয়া। আর সেই ম্যাচ রুদ্ধশ্বাসভাবে জিতে নেয় ভারতের মেয়েরা। সেমিফাইনালে জেমাইমা দারুণ পারফর্ম করেন। তিনি ১২৭ রানে ছিলেন অপরাজিত। তার ব্যাটের উপর ভর করেই অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ম্যাচ জেতে ভারত। পৌঁছে যায় ফাইনালে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ফাইনালে এগিয়ে রয়েছে ভারত। কারণ, প্রথমত দেশের মাটিতে হচ্ছে খেলা। ফলে দর্শকরা সাপোর্টে থাকবে। পিচও চেনা। শুধু তাই নয়, অস্ট্রেলিয়াকে দারুণ হারিয়ে ফাইনালে উঠেছে হরমনপ্রীত ব্রিগেড। তার ফলে আত্মবিশ্বাস থাকবে বেশি। সেটাও ম্যাচ জেতাতে সাহায্য করবে বলেই মনে করা হচ্ছে।

    অতীত রেকর্ডে কে এগিয়ে

    ওডিআইতে এর আগে ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার মেয়েরা ৩৪ বার মুখোমুখি হয়েছে। তাতে ভারতের মেয়েরা জিতেছে ২০ বার। আর প্রোটিয়াদের জয় ১৩ বার। এক ম্যাচ অমীমাংসিত। এ বার দেখার রবি-রাতে কোন দল করে বাজিমাত। বিশ্বকাপে যে টিমই জিতবে, সেটি তাদের প্রথম খেতাব। ওডিআই ফর্ম্যাটে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে এগিয়ে থাকলেও, এবারের ওডিআই বিশ্বকাপে লিগ পর্যায়ের ম্যাচে হেরে গিয়েছে ভারতীয় দল। বিশাখাপত্তনমে (Visakhapatnam) সেই ম্যাচে তিন উইকেটে জয় পায় প্রোটিয়ারা। টসে হেরে প্রথমে ব্যাটিং করতে নেমে ৪৯.৫ ওভারে ২৫১ রানে অলআউট হয়ে যায় ভারতীয় দল। ৪৮.৫ ওভারে সাত উইকেট হারিয়ে ২৫২ রান তুলে জয় পায় দক্ষিণ আফ্রিকা। সেই ম্যাচে ৭৭ বলে ৯৪ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন রিচা ঘোষ (Richa Ghosh)। রবিবারও তিনি ভালো পারফরম্যান্স দেখিয়ে ভারতীয় দলকে চ্যাম্পিয়ন করতে তৈরি।

    ভারতের মূল শক্তি ব্যাটিং

    হরমনপ্রীতের দলের মূল শক্তি ব্যাটিং। মহিলাদের এক দিনের ক্রিকেটে বিশ্বের এক নম্বর ব্যাটার স্মৃতি মন্ধানা। বিশ্বকাপে ফর্মে আছেন ওপেনার। আটটি ম্যাচে করেছেন ৩৮৯ রান। একটি শতরান এবং দু’টি অর্ধশতরান করেছেন। তাঁর সঙ্গে ইনিংস শুরু করবেন শেফালি বর্মা। এক বছর পর এক দিনের ক্রিকেটে সুযোগ পেয়েছেন। ছন্দে রয়েছেন। অনুশীলনে বড় শট নিচ্ছেন আত্মবিশ্বাসী শেফালি। মন্ধানা-শেফালি ওপেনিং জুটি জমে গেলে পাওয়ার প্লে-তেই ম্যাচের রাশ নিয়ে নিতে পারে ভারত। শুধু ওপেনিং নয়, ভারতীয় দলের মিডল অর্ডারও বিশ্বের অন্যতম সেরা। জেমাইমা, হরমনপ্রীত ফর্মে ফিরেছেন। দীপ্তি শর্মা, রিচা ঘোষের মতো আগ্রাসী ব্যাটার নামেন পাঁচ থেকে সাত নম্বরের মধ্যে। রয়েছেন আমনজ্যোৎ কৌরের মতো ব্যাটিং অলরাউন্ডার। হরলিন দেওলের মতো ব্যাটারকে সেমিফাইনালে খেলায়নি ভারত। মুম্বইয়ের চেনা পিচে এই ব্যাটিং লাইন আপের পক্ষে বড় রান তোলা অসম্ভব নয়। এ বারের বিশ্বকাপেই তিনটি ম্যাচে ভারত ৩৩০ বা তার বেশি রান তুলেছে। ব্যাটিং নিঃসন্দেহে ভারতীয় দলের প্রধান শক্তি।

    দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিংও বেশ শক্তিশালী

    ভারতীয় দলের আর এক শক্তির জায়গা স্পিন বোলিং। রাধা যাদব, দীপ্তি, স্নেহ রানা এবং শ্রী চরণির মতো স্পিনার রয়েছেন। বিশ্বকাপে ভাল ফর্মে রয়েছেন তিন জনই। দীপ্তি ১৭ উইকেট নিয়ে এখনও পর্যন্ত প্রতিযোগিতায় যুগ্ম সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রাহক। চরণি ১৩টি উইকেট নিয়েছেন। চার স্পিনার মিলে আট ম্যাচে নিয়েছেন ৪১টি উইকেট। ভারতীয় বোলারেরা নিয়েছেন ৬৯টি উইকেট। অর্থাৎ, ৫৯.৪২ শতাংশ উইকেট নিয়েছেন স্পিনারেরাই। মুম্বইয়ের ২২ গজে প্রতিপক্ষের ১০ উইকেট নেওয়া তাঁদের পক্ষে কঠিন নয়। বিশ্বকাপ ফাইনালে ভারতের পারফরম্যান্স অনেকটাই নির্ভর করবে স্পিনারদের উপর। দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিংও বেশ শক্তিশালী। উলভার্টদের সবচেয়ে ইতিবাচক দিক হল, প্রথম থেকেই দ্রুতগতিতে রান তুলতে পারেন প্রোটিয়া ব্যাটারেরা। জন্টি রোডসের দেশের মহিলা দলের ফিল্ডিংও বেশ ভাল। দক্ষিণ আফ্রিকার শক্তির আর একটি জায়গা হল জোরে বোলিং।

    ভারত বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচের খুঁটিনাটি

    ম্যাচটি কখন শুরু হবে: ভারতীয় সময় অনুসারে ভারত বনাম দক্ষিণ আফ্রিকার মেয়েদের ওয়ান ডে বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচটি শুরু হবে বিকেল ৩টে নাগাদ। ম্যাচের আগে ২.৩০মিনিটে টস হবে।

    কোথায় দেখা যাবে: ভারত বনাম দক্ষিণ আফ্রিকার মেয়েদের ওয়ান ডে বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচটির লাইভ টেলিকাস্ট দেখা যাবে টিভিতে স্টার স্পোর্টস নেটওয়ার্কে। এখানে ইংরেজি, হিন্দি এবং বিভিন্ন আঞ্চলিক ভাষায় খেলা দেখতে পারবেন। মোবাইলে এই ম্যাচের লাইভ স্ট্রিমিং দেখা যাবে জিওহটস্টার অ্যাপ্লিকেশনে। পাশাপাশি জিও হটস্টার ওয়েবসাইটে।

  • BJP: “কংগ্রেস সভাপতি পিএফআই, মুসলিম লিগ ও জামিয়ত উলেমার ভাষায় কথা বলছেন”, তোপ বিজেপির

    BJP: “কংগ্রেস সভাপতি পিএফআই, মুসলিম লিগ ও জামিয়ত উলেমার ভাষায় কথা বলছেন”, তোপ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে পিএফআই, মুসলিম লিগ ও জামিয়ত উলেমা-ই-হিন্দের ভাষায় কথা বলছেন।” খাড়গের আরএসএস সংক্রান্ত মন্তব্যের নিন্দে করতে গিয়ে এমনই মন্তব্য করল বিজেপি (BJP)। শুক্রবার খাড়গে বলেন, “আমার ব্যক্তিগত মত অনুযায়ী, আরএসএসের (RSS) ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা উচিত। কারণ দেশের অধিকাংশ আইনশৃঙ্খলা সমস্যা বিজেপি-আরএসএসের কারণে সৃষ্টি হচ্ছে।” তাঁর অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সরকারি কর্মচারীদের সংঘের সঙ্গে যুক্ত হতে দিয়ে সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের উত্তরাধিকারের অপমান করেছেন।

    খাড়গের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে বিজেপির প্রতিক্রিয়া (BJP)

    খাড়গের এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে বিজেপি সাংসদ তথা জাতীয় মুখপাত্র সম্বিত পাত্র বলেন, “আমরা খাড়গের আরএসএস সম্পর্কে মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করছি। আজ তিনি আরএসএসের বিরুদ্ধে যে ভাষা ব্যবহার করেছেন, তা পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া, মুসলিম লিগ এবং জমিয়ত উলামা-ই-হিন্দের ভাষার মতো।” তাঁর মতে, এমন আপত্তিকর মন্তব্য করার আগে আরএসএস এবং দেশের ইতিহাস সম্পর্কে জানা উচিত ছিল কংগ্রেস সভাপতির। তিনি বলেন, “মহাত্মা গান্ধী, বিআর আম্বেডকর, জওহরলাল নেহরু এবং ইন্দিরা গান্ধী সংঘ সম্পর্কে কী বলেছেন, খাড়গের তা জানা ও বোঝা উচিত ছিল।” সম্বিত বলেন, “১৯৩৪ সালে ওয়ার্ধায় সংঘের একটি শিবির পরিদর্শন করার পর মহাত্মা গান্ধী বলেছিলেন যে সংগঠনে শৃঙ্খলা এবং অস্পৃশ্যতার অনুপস্থিতি দেখে তিনি অত্যন্ত বিস্মিত হয়েছিলেন। ১৯৩৯ সালে পুনেতে সংঘের একটি শিবির পরিদর্শনের পর আম্বেডকর বলেছিলেন যে সংগঠনে উচ্চবর্ণ ও নিম্নবর্ণের মধ্যে সম্পূর্ণ সমতার পরিবেশ দেখে তিনি সন্তুষ্ট হয়েছেন।”

    গান্ধী-নেহরু-ইন্দিরা-প্রণবের আসএসএস প্রশস্তি

    তিনি (BJP) বলেন, “১৯৬২ সালের ভারত–চিন যুদ্ধের পর জওহরলাল নেহরু ১৯৬৩ সালের স্বাধীনতা দিবস উদযাপনে সংঘকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন এবং সংঘ অংশগ্রহণ করেছিল। এসব নথিভুক্ত ইতিহাস।” বিজেপির এই নেতা বলেন, “মহাত্মা গান্ধীর হত্যাকাণ্ডের ক্ষেত্রে কাপূর কমিশন স্পষ্টভাবে জানিয়েছে যে আরএসএসের সঙ্গে এর কোনও সম্পর্ক ছিল না এবং এই বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায়ও সর্বসাধারণের ডোমেইনে রয়েছে।” তিনি বলেন, “মহাত্মা গান্ধী ও নেহরু থেকে শুরু করে ইন্দিরা গান্ধী ও প্রণব মুখোপাধ্যায় – সকলেই সংঘের প্রশংসা করেছেন। মল্লিকার্জুন খাড়গের উচিত আরএসএসের (RSS) ইতিহাস এবং দেশের ইতিহাস পড়া। সংঘ সম্পর্কে কংগ্রেসের বহু নেতার কী মন্তব্য ছিল, সেটাও তাঁর জানা ও বোঝা উচিত (BJP)।”

  • Ford in India: ট্রাম্পের কথাকে গুরুত্বই দিল না মার্কিন সংস্থা! ভারতে ৩২৫০ কোটি টাকা লগ্নির ঘোষণা ফোর্ডের

    Ford in India: ট্রাম্পের কথাকে গুরুত্বই দিল না মার্কিন সংস্থা! ভারতে ৩২৫০ কোটি টাকা লগ্নির ঘোষণা ফোর্ডের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গুগল, অ্যাপলের পর এবার ফোর্ড (Ford Cars)! প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের (Donald Trump) কথা উপেক্ষা করে ভারতেই বিনিয়োগের কথা ঘোষণা করল আরও এক মার্কিন সংস্থা। তামিলনাড়ুর প্ল্যান্টে ফের লগ্নির কথা জানিয়েছে আমেরিকান গাড়ি প্রস্তুতকারক সংস্থা ফোর্ড মোটর্স কোম্পানি। ভারতে গাড়ির অত্যাধুনিক ইঞ্জিন তৈরির জন্য প্রাথমিক ভাবে ৩ হাজার ২৫০ কোটি টাকার লগ্নি করবে মার্কিন অটোমেকার সংস্থা। বিশ্ব বাণিজ্যের দোলাচল পরিস্থিতি, সেই সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ক্রমাগত ‘হুমকি’র মধ্যেই এই পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেছে ফোর্ড।

    ট্রাম্পের কথা না শুনেই বিনিয়োগ

    তামিলনাড়ুর চেন্নাইয়ের কাছে অবস্থিত মারাইমালাই নগরে ম্যানুফ্যাকচারিং প্ল্যান্ট রয়েছে ফোর্ড মোটর্সের। কিন্তু গত চার বছর ধরেই এই প্ল্যান্ট রয়েছে বন্ধ। এক বছর আগে এই প্ল্যান্ট খোলার জন্য আগ্রহ দেখিয়েছিল ফোর্ড। কিন্তু এর মধ্যেই বিশ্ববাণিজ্যে জটিলতা তৈরি হয়। দ্বিতীয়বার প্রেসিডেন্ট পদে বসার পরেই ডোনাল্ড ট্রাম্প বিভিন্ন মার্কিন সংস্থাকে আমেরিকার মাটিতে উৎপাদনের জন্য চাপ দিতে শুরু করে। ভারতে বিনিয়োগ নিয়ে সরাসরি অসন্তোষও প্রকাশ করেছিলেন। তার পরেই ফোর্ডের বিনিয়োগের বিষয়টি থমকে ছিল। শুক্রবার ট্রাম্পের আপত্তিতে কর্ণপাত না করে ভারতে বিপুল অঙ্কের বিনিয়োগের ঘোষণা করল বিশ্বের প্রথম সারির অটোমেকার সংস্থা।

    ভারতে লগ্নি, খুশি মার্কিন সংস্থা

    ফোর্ড মোটর্স কোম্পানির আন্তর্জাতিক মার্কেটের প্রেসিডেন্ট জেফ ম্যারেনটিক বলেছেন, ‘ফোর্ডের ম্যানুফ্যাকচারিং নেটওয়ার্কে চেন্নাইয়ের প্ল্যান্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সেই প্ল্যান্টকে কাজ এগিয়ে নিয়ে যেতে পেরে আমরা খুশি।’ ফোর্ড তামিলনাড়ু সরকারের সঙ্গে ইতিমধ্যেই একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে। কোম্পানি জানিয়েছে, প্রাথমিক বিনিয়োগ ৬০০ টিরও বেশি প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে। এই বছরের শেষ নাগাদ প্রকল্পের কাজ শুরু হবে। সম্পূর্ণরূপে সম্পন্ন হলে, এই প্ল্যান্টটি প্রতি বছর ২,৩৫,০০০ ইঞ্জিন উৎপাদনের ক্ষমতা রাখবে। অনুমান করা হচ্ছে যে ২০২৯ সালের মধ্যে এই প্ল্যান্টটি সম্পূর্ণরূপে চালু হবে। চেন্নাইয়ের প্ল্যান্টে মূলত গাড়ির ইঞ্জিন তৈরি করবে ফোর্ড। সেই প্ল্যান্টে থাকবে ইঞ্জিন তৈরির অত্যাধুনিক প্রযুক্তি এবং আধুনিক মানের গাড়ির ইঞ্জিন তৈরি করা হবে চেন্নাইয়ের প্ল্যান্টে। সেই সমস্ত ইঞ্জিন রফতানি করা হবে আন্তর্জাতিক বাজারে। তবে ভারতে তৈরি ইঞ্জিন আমেরিকায় পাঠাবে না ফোর্ড।

    মেক-ইন-ইন্ডিয়া স্বপ্ন সফলে এক ধাপ

    ট্রাম্পের নীতি আমেরিকান কোম্পানিগুলিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে এসে সেখানে উৎপাদন করতে চাপ দিচ্ছে। তা সত্ত্বেও ফোর্ডের মতো কোম্পানিগুলি ছাড়াও অ্যাপল ও গুগল এখন ভারতে বড় অঙ্কের বিনিয়োগ করছে। এটি স্পষ্টভাবে প্রমাণ করে যে, আমেরিকান কোম্পানিগুলি এখনও ভারতের দ্রুত বর্ধনশীল বাজারকে উচ্চ ব্যয় ও কঠোর বাণিজ্য নীতির একটি ভাল বিকল্প হিসেবে দেখছে। ফোর্ড শুক্রবার চেন্নাইতে উৎপাদন পুনরায় শুরু করার কথা জানিয়েছে। ২০২১ সালে ভারতীয় বাজারে কোম্পানির কাজ বন্ধ করার পর এই পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। এর ফলে চেন্নাইয়ের ওই প্ল্যান্টে সরাসরি শতাধিক কাজের সুযোগ তৈরি হবে। এর পাশাপাশি ওই প্ল্যান্টকে কেন্দ্র করে ইনডিরেক্ট এমপ্লয়মেন্টের বড় সম্ভাবনা তৈরি হবে। যা মেক-ইন-ইন্ডিয়া স্বপ্নকে আরও একধাপ এগিয়ে দেওয়ায় সহায়ক হবে।

  • Himanta Biswa Sarma: “কংগ্রেস নেতা গৌরব গগৈ পাকিস্তানের এজেন্ট”, বিস্ফোরক অসমের মুখ্যমন্ত্রী

    Himanta Biswa Sarma: “কংগ্রেস নেতা গৌরব গগৈ পাকিস্তানের এজেন্ট”, বিস্ফোরক অসমের মুখ্যমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “কংগ্রেস সাংসদ তথা লোকসভার ডেপুটি বিরোধী দলনেতা গৌরব গগৈ (Gaurav Gogoi) পাকিস্তানের এজেন্ট।” অন্তত এমনই গুরুতর অভিযোগ তুললেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা (Himanta Biswa Sarma)। একটি অনুষ্ঠানের ফাঁকে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “গৌরব গগৈ একজন পাকিস্তানি এজেন্ট। তিনি সম্পূর্ণরূপে পাকিস্তানের এজেন্ট। তাঁর সাহস থাকলে আমার বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করুন। গৌরব গগৈ পাকিস্তান ও আইএসআইয়ের নিযুক্ত চর। হ্যাঁ, আমি এ কথা বলছি একজন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবেই।”

    অভিযোগের প্রমাণও রয়েছে (Himanta Biswa Sarma)

    তিনি জানান, তাঁর কাছে এই অভিযোগের পুঙ্খানুপুঙ্খ প্রমাণও রয়েছে। এটি যে কোনও নির্বাচনী ইস্যু নয়, তাও জানিয়ে দেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, “আমার মন্তব্যের পক্ষে সমস্ত প্রমাণ রয়েছে। আমার কাছে যথেষ্ট প্রমাণ আছে। যেদিন আমি তা প্রকাশ করব, সেদিন মানুষ বুঝতে পারবেন যে তিনি পাকিস্তানের এজেন্ট। বিদেশি শক্তি তাঁকে ভারতে নিয়োগ করেছে। আমি সব কথা প্রমাণ-সহই বলছি।” হিমন্ত বলেন, “২০২৬ সালে নির্বাচন রয়েছে। তা না হলে আমি কঠোর ব্যবস্থা নিতাম। কিন্তু এখন এমন ব্যবস্থা নিলে বিরোধীরা বলবেন, এটি নির্বাচনী ইস্যু। নইলে ওই সব প্রমাণের ভিত্তিতে তিনি এখন জেলেই থাকতেন।”

    রিপোর্ট জমা দিয়েছে

    প্রসঙ্গত, (Himanta Biswa Sarma) কংগ্রেস সাংসদ গৌরব গগৈ ও তাঁর ব্রিটিশ স্ত্রী এলিজাবেথ কোলবার্নের সঙ্গে পাকিস্তানের আইএসআই-ঘনিষ্ঠ এক নাগরিকের সম্পর্ক রয়েছে বলে অভিযোগ। সেই অভিযোগের তদন্ত করতে যে বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠন করেছিল অসম সরকার, তারা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে রিপোর্ট জমা দিয়েছে ১০ সেপ্টেম্বর। মুখ্যমন্ত্রী জানান, সিটের রিপোর্টে পাক নাগরিক আলি তওকির শেখ ও তার সহযোগীদের ভারত–বিরোধী কার্যকলাপ সম্পর্কে চমকপ্রদ তথ্য উন্মোচন করা হয়েছে। তিনি (Himanta Biswa Sarma) বলেন, “চলতি বছরের ১৭ ফেব্রুয়ারি অসম মন্ত্রিসভা পাক নাগরিক আলি তওকির শেখ ও তার সহযোগীদের ভারত–বিরোধী কার্যকলাপ তদন্তের জন্য সিট গঠন করেছিল (Gaurav Gogoi)। এই তদন্তেই সিট এমন চমকপ্রদ তথ্য উদ্ঘাটন করেছে, যা আমাদের দেশের সার্বভৌমত্বকে দুর্বল করার উদ্দেশ্যে বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের দিকে ইঙ্গিত করে।”

LinkedIn
Share