Tag: Madhyom

Madhyom

  • West Bengal Road: দুর্গাপুরের কাঁকসায় ব্যস্ততম রাস্তার বেহাল দশা, দুর্ভোগের শিকার এলাকাবাসী

    West Bengal Road: দুর্গাপুরের কাঁকসায় ব্যস্ততম রাস্তার বেহাল দশা, দুর্ভোগের শিকার এলাকাবাসী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্গাপুরের কাঁকসা থানার বিদবিহার গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার শিবপুর বাইপাস থেকে গৌরবাজার যাওয়ার প্রধান রাস্তা (West Bengal Road) দীর্ঘদিন ধরে বেহাল অবস্থায় থাকায় দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন এলাকাবাসী। অভিযোগ, খানাখন্দে ভরা ওই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে গিয়ে প্রায়ই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন পথচারীরা। ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন পড়ুয়ারাও। এলাকাবাসীর দাবি, রাস্তাটি অবিলম্বে মেরামত না করলে ভোগান্তি থেকে রেহাই মিলবে না। কিন্তু প্রশাসন এ ব্যাপারে কোনও ব্যবস্থা না নেওয়ায় ক্ষোভ বাড়ছে।

    কী বলছেন এলাকার বাসিন্দারা?

    দুর্ভোগের শিকার স্থানীয় বাসিন্দা দয়াময় বাগদি জানান, এটি খুবই ব্যস্ততম রাস্তা (West Bengal Road)। শিবপুরের জয়দেব ঘাট থেকে দুর্গাপুর শহর ও লাউদোহা এলাকায় যাতায়াতের একটি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা এটি। এই রাস্তা দিয়ে অনবরত বালির গাড়ি যাতায়াত করায় রাস্তা বেহাল হচ্ছে। বালির জল পড়ে পড়ে খানাখন্দে ভরেছে রাস্তা। সামনেই আসছে বর্ষাকাল। এই বেহাল রাস্তা অবিলম্বে মেরামত না করলে বর্ষায় বৃষ্টির জলে তা মরণফাঁদে পরিণত হবে। পথচারীরা সাইকেল, বাইক নিয়ে রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় প্রায়শই ছোটখাট দুর্ঘটনার কবলে পড়ছেন। গ্রামের পড়ুয়ারাও এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াতের সময় দুর্ঘটনার সম্মুখীন হচ্ছেন। রাস্তাটি দ্রুত সংস্কার করা হলে বহু মানুষ উপকৃত হবে।

    কী বলছেন পঞ্চায়েত সদস্য?

    বিদবিহার গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য গিরিধারী সিনহা বলেন, শিবপুর বাইপাস থেকে গৌরবাজার পর্যন্ত ওই ১০ কিলোমিটার রাস্তা (West Bengal Road) বেহাল, একথা ঠিক। রাস্তাটা মোরামের ছিল। পরে পিচরাস্তা ও কিছুটা ঢালাই রাস্তা হয়েছিল। কিন্তু ভারী পণ্যবাহী যান চলাচলের জন্য কোনও রাস্তাই টেকে না। বর্তমানে ওই রাস্তা ভগ্নদশায় রয়েছে। শুনেছি কোটি কোটি টাকার টেন্ডার হয়েছিল বা হচ্ছে। কেন এখনও রাস্তা মেরামত করা হচ্ছে না, সেই সঠিক তথ্য জানা নেই।

    তোপ দাগলো বিজেপি

    বর্ধমান সদরের বিজেপির সহ সভাপতি রমন শর্মা এই বিষয়ে বলেন, পঞ্চায়েত ভোটের আগে যত সব রাস্তাশ্রী, পথশ্রী প্রকল্পের নাম তো শোনা যাচ্ছে। এত বছর কোথায় ছিল এই সব প্রকল্প। মানুষ যে এত দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে, তার উত্তর দেবে কে? 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • CAR: নেই পুঁথিগত বিদ্যা! মাত্র ৭০ হাজার টাকায় বিনা তেলের চারচাকা গাড়ি বানিয়ে তাক লাগালেন বৃদ্ধ

    CAR: নেই পুঁথিগত বিদ্যা! মাত্র ৭০ হাজার টাকায় বিনা তেলের চারচাকা গাড়ি বানিয়ে তাক লাগালেন বৃদ্ধ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অদম্য জেদ আর ইচ্ছেশক্তি থাকলে সবকিছু করা সম্ভব। বয়স সেখানে কোনও বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে না। সে কথাই প্রমাণ করেছেন মেদিনীপুর শহরের জজকোর্টের ৬৫ বছরের শরাফত আলি। পুঁথিগত বিদ্যা তাঁর নেই। তবে, নিজস্ব বুদ্ধি ও মেধা দিয়ে নিজের যাতায়াতের সুবিধার জন্য বিভিন্ন যানবাহনের পরিত্যক্ত জিনিসের সাহায্যে বাড়িতেই তৈরি করে ফেললেন ইলেকট্রিকের চার চাকা গাড়ি (CAR)। যে কারণে সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে বিভিন্ন এলাকায় এখন তিনি চর্চিত। গাড়ির নামকরণ করেছেন মনো-ই-কার।

    কী দিয়ে তৈরি করা হয়েছে এই গাড়ি (CAR)?

    জানা গিয়েছে, বিদ্যুৎ চালিত গাড়ি (CAR) তৈরি করতে শরাফতসাহেব স্টিয়ারিং সংগ্রহ করেছেন পরিত্যক্ত টাটা ন্যানোর, বিকল হয়ে যাওয়া মহেন্দ্র ভ্যান এর স্টিয়ারিং বক্স, টোটোর চাকা প্রভৃতি। হার্ডওয়্যারের দোকান থেকে সংগ্রহ করেছেন লোহার সামগ্রী। প্রয়োজন অনুসারে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সামগ্রী নিজের মতো করে কিনে বাড়িতে ঝালিয়ে পূর্ণরূপে তৈরি করে ফেলেছেন একটি ইলেকট্রিক কার। নিজস্ব মস্তিষ্কপ্রসূত কায়দায় ইলেকট্রিক ওয়ারিং পর্যন্ত সম্পন্ন হয়েছে। তৈরির প্রথমদিকে অনেকেই হাসাহাসি করছিলেন। কাজ সম্পূর্ণ করার পর সেই গাড়ি (CAR) নিয়ে বাড়ি থেকে রাস্তায় বের হতেই তাক লাগিয়ে দিয়েছেন সকলকে। এখন আর হাসাহাসি নয় তাঁকে ঘিরে ধরেন চক বাজারের লোকজন।

    কী বললেন অভিনব গাড়ি (CAR) নির্মাতা?

    বৃদ্ধ শরাফত আলি প্রায় ৪০ বছর ধরে কাঠের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। বাড়িতে এক ছেলে, সেও বাবার পেশাতেই। তবে তুলনামূলকভাবে বৃদ্ধ শরাফত আলি অনেকটা সৃজনশীল। নিজের তৈরি গাড়ি (CAR) নিয়ে তিনি বলেন, “বর্তমানে পেট্রোলের যা দাম, তাতে বাইক চালানো সমস্যার। তাছাড়া আমার মত বয়স্ক লোকজন বাইকের থেকে চার চাকাতে নিরাপদ। সে কথা মাথায় রেখেই নিজস্ব উদ্যোগ শুরু করেছিলাম। পাঁচ মাসের পরিশ্রমের পর অবশেষে সফল। গাড়ি (CAR) তৈরি করতে খরচ হয়েছে ৭০ হাজার টাকা। এখন নিজে তো বটেই, বাড়ির নাতি-নাতনিদের নিয়ে বাজারে, স্কুলেও যাই। যে পরিমাণ টাকা এটাতে খরচ হয়েছে তাতে হয়তো পুরানো টোটো কিনে নিতে পারতাম, কিন্তু নিজ সৃষ্টির মজা আলাদা। বরাবরই আমি কোনও না কোনও কিছু নতুন জিনিস তৈরি করার চেষ্টা করি, এটা আমার প্যাশন।” তাঁর তৈরি অভিনব গাড়ি (CAR) এখন নজর কেড়েছে সকলের।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Imran Khan: ‘‘পাকিস্তানে অশান্তির জন্য দায়ী বিজেপি-আরএসএস’’! আজব দাবি শেহবাজের আপ্ত-সহায়কের

    Imran Khan: ‘‘পাকিস্তানে অশান্তির জন্য দায়ী বিজেপি-আরএসএস’’! আজব দাবি শেহবাজের আপ্ত-সহায়কের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইমরান খানের (Imran Khan) গ্রেফতারিকে ঘিরে পাকিস্তান জুড়ে জ্বলছে অশান্তির আগুন। পাকিস্তানের এমন অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির জন্য দায়ী নরেন্দ্র মোদি, এমন অভিযোগ তুলে বুধবারই ট্যুইট করেছিলেন সেদেশের এক অভিনেত্রী। এবার একই অভিযোগ তুলে সরব হলেন সেদেশের প্রধানমন্ত্রীর আপ্ত সহায়ক আট্টা তারার। পাকিস্তানের সর্বোচ্চ প্রশাসনিক আধিকারিকের আপ্ত সহায়কের এই বক্তব্যে সেদেশের সরকারের সিলমোহর রয়েছে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশ।

    প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে (Imran Khan) গ্রেফতার করা হয় ইসলামাবাদ কোর্টের বাইরে থেকে। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে জমি কেলেঙ্কারির। মঙ্গলবার সারারাত পুলিশ হেফাজতে থাকার পরে, বুধবার ইমরানকে কোর্টে পেশ করা হয়। জানা গেছে, প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রীকে আপাতত ৮ দিনের পুলিশি হেফাজতে চেয়েছে সেদেশের পুলিশ। এই ঘটনার পর থেকেই একের পর এক সেনা অফিসে হামলার খবর মিলেছে। হামলা চলেছে পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের বাড়িতেও। তাঁর বাড়ির সামনের গাড়িগুলিতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় বলে খবর। সংবাদ সংস্থাগুলি জানাচ্ছে, পেট্রোল বোমাও ছোড়া হয় প্রধানমন্ত্রীর বাড়ির সামনে। রাওয়ালপিন্ডি, লাহোর, পেশোয়ার প্রভৃতি স্থানের পরিস্থিতি এখনও অগ্নিগর্ভ হয়ে রয়েছে। বন্ধ রয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা। দেশের বিস্তীর্ণ অংশে টহল দিচ্ছে সেনা। একমাসের জন্য বন্ধ রয়েছে স্কুল-কলেজ।

    আরও পড়ুন: গ্রেফতার ইমরান! মোদির বিরুদ্ধে মামলা করতে চেয়ে ট্যুইট পাক অভিনেত্রীর, কী বলল দিল্লি পুলিশ?  

    কী বললেন শাহবাজ শরিফের আপ্তসহায়ক?  

    বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর আপ্তসহায়ক বলেন, “পাকিস্তানকে অশান্ত করতে ভারত থেকে গুন্ডা পাঠিয়েছে বিজেপি-আরএসএস। তারাই ভাঙচুর করেছে, আগুন দিয়েছে, গতকালের অশান্তির জন্য সম্পূর্ণভাবে দায়ী বিজেপি।” আরও অভিযোগ তোলা হয়েছে, পাকিস্তানে অশান্তির ঘটনায় ভারতে বিজেপি-আরএসএসের সদর দফতরে নাকি মিষ্টি বিতরণও করা হয়েছে।

    লন্ডনে ঘেরাও নওয়াজ শরিফের বাড়ি…

    ইমরানের গ্রেফতারিতে দেশ ছাড়িয়ে অশান্তির আঁচ ছড়িয়েছে বিদেশেও। গতকালই লন্ডনে পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের বাড়ি ঘেরাও করেন ইমরানের সমর্থকরা। সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, কানাডা, আমেরিকায়ও ইমরানকে গ্রেফতারির প্রতিবাদ জানানো হচ্ছে। আমেরিকায় সিএনএনের সদর দফতরের সামনে শেহবাজ সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখানো হয়। প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রীর মুক্তির দাবিতে কানাডাতেও বড় জমায়েত হয়েছে বলে জানা গেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dementia: স্মৃতিশক্তি কমছে মারাত্মকভাবে, মনে রাখার ক্ষমতা কমছে স্কুল পড়ুয়াদেরও!

    Dementia: স্মৃতিশক্তি কমছে মারাত্মকভাবে, মনে রাখার ক্ষমতা কমছে স্কুল পড়ুয়াদেরও!

     তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    লেখার মাঝেই হারিয়ে যায় শব্দ! এমনকী পরিচিত বর্ণ কীভাবে লিখতে হবে, সেও অনেক সময় মনে পড়ে না। দক্ষিণ কলকাতার বছর তেরোর স্কুল পড়ুয়ার স্কুল থেকে অভিভাবককে জানানো হচ্ছে, পরিচিত অনেক কিছুই হঠাৎ ভুলে যাচ্ছে সে। সত্তরের চৌকাঠ পার হওয়ার আগেই আবার নিজের বাড়ির ঠিকানা হামেশাই ভুলে যান বাগুইআটির এক প্রৌঢ়! এমনকী বিকেলে হেঁটে ফেরার পথে কোন গলিতে ঢুকছেন, সেটাও ঠিক বুঝতে পারেন না! চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, এগুলো ব্যতিক্রম নয়। গত তিন বছরে স্মৃতিশক্তি হ্রাসের (Dementia) সমস্যা মারাত্মকভাবে বেড়েছে।

    স্মৃতিশক্তি হ্রাসের সমস্যা নতুন স্বাস্থ্য বিপর্যয়? 

    বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ৬০ বছরের পর স্মৃতিশক্তি কমার প্রবণতা কয়েক বছর ধরেই বাড়ছে। ডিমেনশিয়ায় (Dementia) আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রবীণদের এই সমস্যা জীবনযাপনের মান কমাচ্ছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে ডিমেনশিয়ার মতো রোগের চিকিৎসা শুরু হয় দেরিতে। ফলে চিকিৎসার সুযোগ কমে যায়। কিন্তু চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, গত তিন বছর ধরে শুধু বয়স্কদের নয়, কমবয়সীদের মধ্যে মারাত্মকভাবে বাড়ছে স্মৃতিশক্তি হ্রাসের প্রবণতা। এমনকী স্কুল পড়ুয়াদের মধ্যেও দেখা দিচ্ছে এই সমস্যা।

    কী ধরনের উপসর্গ দেখা দিচ্ছে? 

    বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, অধিকাংশ ক্ষেত্রে ভুক্তভোগী (Dementia) হঠাৎ খুব সাধারণ বিষয় মনে করতে পারছেন না। সাধারণ ঘটনা বা খুব চেনা জিনিসও অস্পষ্ট হয়ে উঠছে। মাঝেমধ্যে একটা খালি খালি ভাব মনে হওয়া! অর্থাৎ, কী হচ্ছে, কিছুই বুঝতে পারেন না। যাকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় ব্রেন ফগিং বলা হয়। অনেক সময় মাথা ঝিমঝিম করে। আত্মবিশ্বাসে ঘাটতি দেখা দেয়।

    স্মৃতিশক্তি হ্রাস-বৃদ্ধির নেপথ্যে কী কারণ? 

    বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, গত তিন বছরে স্মৃতিশক্তি হ্রাসের (Dementia) প্রবণতা বেড়েছে। বিশেষত কমবয়সীদের মধ্যেও এই প্রবণতা প্রবল। আর তার অন্যতম কারণ করোনা বলেই মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ। কারণ, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সমীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, ব্রেন ফগিংয়ের মতো সমস্যা অর্থাৎ, হঠাৎ করে মস্তিষ্ক ঝাপসা হয়ে যাওয়া বেড়েছে। আর যে রোগীরা এই সমস্যায় আক্রান্ত হচ্ছেন, তাঁরা করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, কমবয়সী রোগীরা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন। তাই বলা যেতে পারে, করোনামুক্তির পরেও শরীরে যে সব দীর্ঘমেয়াদি সমস্যা হচ্ছে, তার মধ্যে অন্যতম হল স্মৃতিশক্তি হ্রাস। তবে, করোনার পাশাপাশি দূষণকেও স্মৃতিশক্তি হ্রাসের অন্যতম কারণ বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল। কারণ, দূষণের জেরে মস্তিষ্কের কোষের কার্যক্ষমতা কমছে, আর তার জেরেই মনে রাখার ক্ষমতাও কমছে।

    কীভাবে বাড়বে স্মৃতিশক্তি? 

    বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, কমবয়সীরা ব্রেন ফগিং কিংবা ভুলে যাওয়ার কোনও রকম উপসর্গ (Dementia) দেখলেই দেরি করবেন না। দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। নির্দিষ্ট ওষুধ ও থেরাপির সাহায্যে এই ধরনের সমস্যা কমতে পারে এবং সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে ওঠা সম্ভব। কিন্তু, অনেকক্ষেত্রে রোগীরা চিকিৎসা অনেক দেরিতে শুরু করেন। ফলে, পরিস্থিতি জটিল হয়ে ওঠে। সাধারণ বিষয় মনে রাখতে না পারার জেরে আত্মবিশ্বাস কমতে থাকে। ফলে, মানসিক অবসাদ গ্রাস করে। তবে, জীবনযাপনের পরিবর্তন এই ধরনের সমস্যা কমাতে সাহায্য করে। স্মৃতিশক্তি বাড়াতে মোবাইল, ল্যাপটপে সময় কাটানো কমানোর পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। দিনের অধিকাংশ সময় মোবাইলে দিলে মনে রাখার ক্ষমতা কমে। কারণ, মস্তিষ্কের কার্যকারিতা কমতে থাকে। নিয়মিত মেডিটেশনের পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। মনঃসংযোগের অভ্যাস স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: ময়নায় নিহত বিজেপি নেতার বাড়িতে মোতায়েন কেন্দ্রীয় বাহিনী, কী বললেন পরিবারের লোকজন?

    BJP: ময়নায় নিহত বিজেপি নেতার বাড়িতে মোতায়েন কেন্দ্রীয় বাহিনী, কী বললেন পরিবারের লোকজন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ময়নায় নিহত বিজেপি (BJP) নেতা বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়ার পরিবারের সদস্যদের এবার নিরাপত্তা দেবেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। আদালতের নির্দেশে বুধবার সকালেই ডিএসপি পদমর্যাদার এক আধিকারিক সহ দুজন আসেন পরিবারের সঙ্গে কথা বলতে। কেন্দ্রীয় জওয়ানরা কোথায় থাকবেন, কীভাবে মৃতের পরিবারকে সুরক্ষা দেওয়া হবে, সেই সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করা হয়। এরপরই সন্ধ্যায় ১২ জন সিআইএসএফ জওয়ান বিজয়বাবুর বাড়িতে আসেন।

    কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে কী বললেন নিহত বিজেপি (BJP) নেতার পরিবারের লোকজন?

    বিজয়কৃষ্ণের মেয়ে টুম্পা ভুঁইয়া বলেন, বাবার মৃত্যুর প্রায় দেড় সপ্তাহ পর বাড়িতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা এসেছেন। এরজন্য তাঁদের ধন্যবাদ। কারণ, রাজ্য পুলিশের উপর আমাদের কোনও আস্থা নেই। বাবা খুন হওয়ার পর রাজ্য পুলিশ তদন্ত করে কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে। আরও অনেকেই এখন বাইরে রয়েছে। অভিযুক্তরা সকলে গ্রেফতার না হওয়া পর্যন্ত আমরা আতঙ্কে রয়েছি। এখন কেন্দ্রীয় বাহিনী আসায় কিছুটা হলেও সাহস পাচ্ছি। বিজয়বাবুর ছেলে রনজিৎ ভুঁইয়া বলেন, তদন্তভার কেন্দ্রীয় এজেন্সির হাতে যতক্ষণ না দেওয়া হচ্ছে, আমাদের আন্দোলন চলবে। বাবাকে খুনের ঘটনায় অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।

    প্রসঙ্গত, ১ লা মে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ময়নার বাকচা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার গোড়ামহল গ্রামের বিজেপির (BJP) বুথ সভাপতি বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়াকে অপহরণ করে খুন করে একদল দুষ্কৃতী। বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাঁর স্ত্রী ও ছেলের সামনে থেকেই মারতে মারতে তুলে নিয়ে যায় বিজয়কৃষ্ণকে। উদ্ধার করার জন্য বারবার অনুরোধ করা হলেও পুলিশ সঠিক সময়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়নি বলেই অভিযোগ তাঁর পরিবারের। শেষ পর্যন্ত বিজেপি নেতার রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না থানার পুলিশ। ঘটনায় দোষীদের শাস্তির দাবি জানিয়ে রাজ্য পুলিশের উপর অনাস্থা প্রকাশ করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় নিহত বিজেপি (BJP) নেতার পরিবার। পুলিশের ভূমিকায় অসন্তুষ্ট আদালত, বিজেপি নেতার পরিবারের লোকজনকে নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার নির্দেশ দেয়। আদালতের সেই নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে ১০ ই মে রাতে ময়নায় নিহত বিজেপি (BJP) নেতার বাড়িতে আসেন জওয়ানরা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: লটারির টাকায় রাজ্যজুড়ে নবজোয়ার তৃণমূলের! বিস্ফোরক শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: লটারির টাকায় রাজ্যজুড়ে নবজোয়ার তৃণমূলের! বিস্ফোরক শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে রাজ্যজুড়ে তৃণমূলে নবজোয়ার নামে জনসংযোগ কর্মসূচি শুরু হয়েছে। আর এই কর্মসূচি ঘিরে একাধিক জেলায় ব্যালট ছিনতাই, তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে মারপিটের ঘটনা ঘটছে। পঞ্চায়েত ভোটের আগে এই নবজোয়ার কর্মসূচি নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বুধবার সন্ধ্যায় হুগলির উত্তরপাড়ায় দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, ডিয়ার লটারির টাকায় নবজোয়ার কর্মসূচি চলছে। লটারির টাকায় তৃণমূলের নবজোয়ার। ইনকাম ট্যাক্সের রিটার্নে লটারির উল্লেখ করেছে। তৃণমূলের নির্বাচনী বন্ডে মাসে ২৫ থেকে ৩০ কোটি টাকা দেয় এই লটারি সংস্থা। আমার কাছে সব তথ্যপ্রমাণ রয়েছে। কোটি কোটি মানুষের সঙ্গে বঞ্চনা করার এই ব্যবসা বন্ধ করব। সাবধান ডিয়ার লটারি, সাবধান পশ্চিমবঙ্গের জনগন, সাবধান তৃণমূল। চলছে নবজোয়ার, যাচ্ছি আমি তিহাড়।

    দলত্যাগী এক বিধায়কের বাড়িতে আয়কর হানা নিয়ে সরব শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)

    বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়া কৃষ্ণকল্যাণীর বাড়িতে কিছুদিন আগেই আয়কর হানা দেয়। সেই প্রসঙ্গে তিনি (Suvendu Adhikari) বলেন, ভিতরে বিজেপি, বাইরে তৃণমূল এমন একজন বিধায়কের বাড়িতে তিনদিন ধরে আয়কর হানা দিয়েছিল। আপনারা সংবাদমাধ্যমে বিষয়টি দেখেছেন। কিন্তু, ফলাফলটা পাননি। শুনে রাখুন, আমি যা বলি দায়িত্ব নিয়ে বলি। ওই মমতাভক্তের বাড়ি থেকে ৩ কোটি টাকা নগদ এবং ৬ কোটি টাকার গয়না উদ্ধার হয়েছে। আয়কর দফতরকে বলব, বিরোধী দলনেতার অভিযোগ সত্যি হলে, সংবাদমাধ্যমকে বিষয়টি জানান।

    সিপিএম, কংগ্রেস কর্মীদের কী বার্তা দিলেন বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari)?

    শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, সিপিএম এখন সাইনবোর্ড। কয়েকদিন আগে এই জায়গায় সিপিএম মিছিল করেছে। তাদের কোনও অনুমতি লাগেনি। অথচ আমাদের হাইকোর্ট থেকে অনুমতি নিয়ে মিছিল করতে হচ্ছে। তাহলেই ভাবুন সেটিংটা কে করছে। তাঁর কটাক্ষ, এই সিপিএমের দোসর কংগ্রেস। তাদের দিল্লির নেতারা এই চোর সরকারদের বাঁচাতে আইনি লড়াই করছেন। ভাবতে পারেন? এরপরই সিপিএমের উদ্দেশে তিনি বলেন এদের কালিয়াগঞ্জে মৃত্যুঞ্জয় বর্মণের খুনের প্রতিবাদে পাবেন না, রিষড়া, শিবপুরে ইনসাফ মিছিলে পাবেন না, এই দল সাইনবোর্ড হয়ে গিয়েছে। বেশি কথা বলবনা। শুধু বলবো যে কজন এখনো আছেন তাঁরা চলে আসুন। আমরাই পারবো সাফ করতে। গত মাসের ২ তারিখে রামনবমীর মিছিলকে কেন্দ্র করে রিষড়া এলাকায় ধুন্ধুমার কাণ্ড ঘটে যায়। রক্তাক্ত হন পুরশুরার বিজেপি বিধায়ক বিমান ঘোষ সহ অনেকেই জখম হন। পুলিশও সেদিন আক্রান্ত হন। এই রেশ দু তিনদিন ধরে চলে। ওই ঘটনার জেরে পুলিশ প্রচুর লোককে ধরপাকড় করে। যদিও পরবর্তীকালে সবাই প্রায় জামিনে ছাড়া পেয়ে যায়। ওই দিন যে সমস্ত রামভক্তরা মার খেয়ে, জেল খেটে বেড়িয়েছেন তাঁদের পাশে থাকার বার্তা দিতেই শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলা বিজেপির পক্ষ থেকে হিন্দমোটর ধারসা মোড় থেকে উত্তরপাড়া কোতরং পর্যন্ত পদযাত্রার আয়োজন করা হয়। যদিও এই মিছিলের অনুমতি স্থানীয় পুলিশ দেয়নি। শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি মোহন আদক হাইকোর্ট থেকে আইনি লড়াইয়ে অনুমতি বার করে আনেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Agitation: প্রচণ্ড গরমে ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে তিতিবিরক্ত এলাকাবাসী, কী করলেন?

    Agitation: প্রচণ্ড গরমে ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে তিতিবিরক্ত এলাকাবাসী, কী করলেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরমে হাঁসফাঁস রাজ্যবাসী। খনি অঞ্চল অন্ডাল, উখড়া পাণ্ডবেশ্বরের তাপমাত্রার পারদ দিনে দিনে ৪০ পেরিয়ে আজ ৪২ ডিগ্রিতে পৌঁছেছে। তীব্র গরমে ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের জেরে তিতিবিরক্ত শফিক নগর এলাকার বাসিন্দারা। পরিষেবা ঠিক করার দাবিতে বুধবার উখড়া বিদ্যুৎ কার্যালয়ের সামনে এসে বিক্ষোভে (Agitation) সামিল হন এলাকাবাসী। দীর্ঘক্ষণ ঘেরাও করে রাখেন উখরা বিদ্যুৎ কার্যালয়ের স্টেশন ম্যানেজারকে। পরে, পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়। স্টেশন ম্যানেজারের পক্ষ থেকে এলাকাবাসীকে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেওয়া হয়।

    কী বললেন বিক্ষোভকারীরা?

    প্রতিদিন রাতের দিকে নিয়ম করে কয়েক ঘণ্টা লোডশেডিং হচ্ছে। বিশেষ করে রাত দশটা থেকে রাত আড়াইটে পর্যন্ত এই সমস্যা থাকে। প্রচণ্ড গরমের সঙ্গে পাল্লা দিলে লোডশেডিং হওয়ায় চরম নাকাল হতে হচ্ছে এলাকাবাসীকে। শেখ শওকত আলী নামে শফিক নগর এলাকার এক বাসিন্দা বলেন, বারবার লোডশেডিং এর সমস্যা নিয়ে বেশ কয়েকবার বিদ্যুৎ দফতরের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিককে জানানো হয়েছে। কিন্তু কোনও কাজ হয়নি। গরমে লোড শেডিংয়ের জেরে রাতে ঘুমোতে পারছি না। প্রতিদিন নিয়ম করে এই বিদ্যুৎ বিভ্রাট হচ্ছে। বয়স্ক লোকজনদের চরম কষ্ট হচ্ছে। আমরা বিদ্যুৎ পরিষেবা দ্রুত উন্নত করার জন্য আন্দোলনে (Agitation) সামিল হয়েছি। আমাদের দাবিপূরণ না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন (Agitation) চলবে। প্রয়োজনে আমরা বৃহত্তরও আন্দোলনে নামব।

    কী বললেন বিদ্যুৎ দফতরের আধিকারিক?

    উখরা বিদ্যুৎ দফতরের স্টেশন ম্যানেজার বলেন, গরমে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ চাহিদার কারণে এই সমস্যা তৈরি হয়েছে। কিছু কিছু জায়গায় পরিষেবা ঠিকমতো দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তবে, সব সময় সমস্যা থাকে এমন নয়। আমরা যতটা পারছি পরিষেবা দেওয়ার চেষ্টা করছি। ওই এলাকার মানুষের সমস্যার কথা শুনলাম। তাদের দাবিপূরণে উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। কারণ, অকারণে কোথাও লোডশেডিং করা হয় না। পরিস্থিতি অনুযায়ী আমরা পদক্ষেপ গ্রহণ করি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Arambagh: রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালেন মহিলারা, কেন জানেন?

    Arambagh: রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালেন মহিলারা, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রচণ্ড গরমে তীব্র জল সঙ্কটে অতিষ্ঠ হয়ে হুগলির আরামবাগের (Arambagh) গড়বাড়ি এলাকায় রাজ্য সরকার অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালেন মহিলারা। তবে, শুধু বুধবার নয়, মঙ্গলবারও এলাকাবাসী রাস্তা অবরোধে সামিল হয়েছিলেন। বাড়ির সব কাজ ফেলে মহিলারা জোটবদ্ধ হয়ে এদিন বালতি হাতে নিয়ে অবরোধে সামিল হন। অবরোধের জেরে আরামবাগ (Arambagh) – কলকাতা রাজ্য সড়কে তীব্র যানজট তৈরি হয়। পরে, পুলিশ গিয়ে অবরোধকারীদের সঙ্গে কথা বলে অবরোধ তোলার ব্যবস্থা করে।

    ঠিক কী অভিযোগ?

    আরামবাগের (Arambagh) মায়াপুর ২ নং পঞ্চায়েতের গড়বাড়ি এলাকায় পানীয় জলের জন্য জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দফতরের মাধ্যমে ট্যাঙ্ক বসানো হয়। পরে গ্রামে গ্রামে সেই প্রকল্পের কলও বসানো হয়। কিন্তু অভিযোগ, সেই কল থেকে জল পাননি গড়বাড়ি গ্রামের বাসিন্দারা। যার জেরে ওই গ্রামে তীব্র জল সঙ্কট দেখা দিয়েছে। বাধ্য হয়েই আরামবাগের (Arambagh) গড়বাড়ি এলাকার মানুষ মঙ্গলবার বেশ কিছুক্ষণ রাস্তা অবরোধ করেছিলেন। কিন্তু, সমস্যার সমাধান হয়নি। এদিন ফের ওই এলাকায় আরামবাগ (Arambagh) – কলকাতা রাজ্য সড়ক অবরোধ করেন গ্রামবাসীরা।

    কী বললেন আন্দোলনকারীরা?

    আন্দোলনকারীদের বক্তব্য, ঘটা করে গ্রামে জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দফতরের পক্ষ থেকে কল বসানো হয়। কিন্তু, সেখান থেকে পানীয় জলের পরিষেবা পাওয়া যায় না। প্রকল্প নিয়েও দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন তাঁরা। এই তীব্র গরমে এলাকাবাসীকে জল কিনে খেতে হচ্ছে। অনেকে দূরের কোনও এলাকা থেকে জল নিয়ে এসে প্রয়োজন মেটাচ্ছে। প্রশাসনের কাছে বহুবার অভিযোগ জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। বাধ্য হয়েই জলের দাবিতে স্থানীয় বাসিন্দারা অবরোধ করেন।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    এই নিয়ে বিজেপির আরামবাগ (Arambagh) সাংগঠনিক জেলার সভাপতি সুশান্ত বেড়া বলেন, ঘটা করে জলপ্রকল্প করে কী লাভ হল। আসলে তৃণমূলের নাটক এবার শেষ হয়ে গিয়েছে। তাই মানুষ বুঝতে পেরে প্রতিবাদ জানাচ্ছে। এভাবে আর বেশি দিন নয়। আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে মানুষ তার যোগ্য জবাব দিয়ে দেবে ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • UGC NET: জুন মাসের ‘নেট’ পরীক্ষার আবেদন প্রক্রিয়া শুরু! জানুন বিস্তারিত

    UGC NET: জুন মাসের ‘নেট’ পরীক্ষার আবেদন প্রক্রিয়া শুরু! জানুন বিস্তারিত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ থেকে শুরু হচ্ছে ইউজিসি নেট পরীক্ষার আবেদন। ইউজিসির (UGC NET) তরফে জানানো হয়েছে, আগামী তিন সপ্তাহ এই আবেদন প্রক্রিয়া চলবে। তারপরে জুন মাসে পরীক্ষা হবে। জানা গেছে, আগামী ১৩ জুন থেকে ২২ জুনের মধ্যে সমস্ত পরীক্ষা সম্পন্ন হবে। জুনিয়র রিসার্চ ফেলোশিপ এবং অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর এর জন্য ইউজিসি নেট পরীক্ষা নেবে ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি। এই পরীক্ষা অনলাইনে হবে মোট ৮৩ টি বিষয়ে। ১০ মে বুধবার থেকে অনলাইনে আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে, চলবে আগামী ৩১ মে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত।

    প্রার্থীদের সুবিধার্থে ইউজিসির তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে নিয়মিত এনটিএ-র অফিসিয়াল ওয়েবসাইট nta.ac.in এবং ইউজিসি নেটের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট ugcnet.nta.nic.in তাঁরা যেন নজর রাখেন।

    কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হতে হলে নেট (UGC NET) উত্তীর্ণ থাকা বাধ্যতামূলক

    প্রসঙ্গত বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলেজে শিক্ষকতার পদে আবেদন করার জন্য নেট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে থাকা বাধ্যতামূলক। এছাড়াও জুনিয়ার রিসার্চ ফেলোশিপের যোগ্যতা মানের জন্য নেট পরীক্ষা নেওয়া হয়। ২০১৮ সাল থেকে ‘কম্পিউটার বেসড মোড ইউজিসি নেট’ পরীক্ষা হচ্ছে। প্রতিবছর দু’বার এই পরীক্ষা সম্পন্ন হয়। একটি জুন মাসে এবং অপরটি হয় ডিসেম্বরে। ডিসেম্বরের নেট (UGC NET) পরীক্ষার ফলাফল ইতিমধ্যে প্রকাশিত হয়েছে।

    কীভাবে আবেদন করবেন?

    ১) প্রথমে official website, ugcnet.nta.nic.in- এ যেতে হবে।

    ২) এরপরে ইউজিসি নেট জুন ২০২৩ রেজিস্ট্রেশনের লিঙ্কে ক্লিক করতে হবে

    ৩) এরপর অনলাইনে আবেদনের লিঙ্কে ক্লিক করতে হবে এবং যাবতীয় তথ্য এবং নথি জমা করতে হবে।

    ৪) রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন হওয়ার পরে এর একটি প্রিন্ট আপনাকে বের করে নিতে হবে।

    ফি কতো?

    ইউজিসির তরফে জানানো হয়েছে যে সাধারণ তালিকাভুক্ত প্রার্থীদের জন্য ১১০০ টাকা ফি জমা করতে হবে। ওবিসি তালিকাভুক্ত প্রার্থীদের ক্ষেত্রে ফি হবে ৫৫০ টাকা এবং এসসি, এসটি প্রার্থীদের জন্য ফি ২৭৫ টাকা। ফি অনলাইনে জমা করতে হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Barrackpore: বারাকপুর ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের সঙ্গে সংঘাতে সুরেন্দ্রনাথ কলেজ কর্তৃপক্ষ, কেন জানেন?

    Barrackpore: বারাকপুর ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের সঙ্গে সংঘাতে সুরেন্দ্রনাথ কলেজ কর্তৃপক্ষ, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্পত্তি কর বৃদ্ধি নিয়ে বারাকপুর (Barrackpore) ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের সঙ্গে সুরেন্দ্রনাথ কলেজ কর্তৃপক্ষের বিরোধ চলছিল। এবার তা সংঘাতের আকার নিল। সম্পত্তি কর ইস্যুতে কলেজ কর্তৃপক্ষ নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করল। কোনও আবেদন, নিবেদন নয়, ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের কর্মকর্তাদের কাছে লিখিতভাবে কলেজ কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দিল তারা বর্ধিত সম্পত্তি করের টাকা দিতে পারবে না। বর্তমানে যে এক লক্ষ ১৫ হাজার ৭৬৯ টাকার সম্পত্তিকর দেন তাই দেবে, তার বেশি এক টাকাও তারা দেবে না। ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের সিইও মমতা কানসেকে চিঠি দিয়ে তা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

    কী নিয়ে বিরোধ?

    ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের পক্ষ থেকে প্রতি তিন বছর অন্তর সম্পত্তি কর ধার্য হয়। তিন বছর আগে সুরেন্দ্রনাথ কলেজের সম্পত্তি কর ছিল ৭৫ হাজার টাকা। তা বেড়ে ১ লক্ষ ১৫ হাজার করা হয়েছিল। বছরে কলেজ কর্তৃপক্ষ সেই করই দিত। এবার সেই সম্পত্তি কর ৭০ গুণ বাড়ানো হয়েছে। এক ধাক্কায় ৭০ লক্ষ টাকা করে প্রতি বছর সম্পত্তি কর দিতে বলা হয়েছে। কয়েকদিন আগেই বারাকপুর (Barrackpore) ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের পক্ষ থেকে নতুন সম্পত্তি কর বৃদ্ধির বিষয়টি জানানো হয়েছে। আর তা দেখেই মাথায় হাত কলেজ কর্তৃপক্ষের।

    কী বললেন সুরেন্দ্রনাথ কলেজের অধ্যক্ষ?

    ব্যারাকপুর (Barrackpore) রাষ্ট্রগুরু সুরেন্দ্রনাথ কলেজের অধ্যক্ষ মনোজিৎ রায় বলেন, গত চার বছরে কলেজ বিল্ডিং একটুও বাড়ানো হয়নি। কিছু মেন্টেনেন্স এর কাজ করা হয়েছিল। রং করা হয়েছে। আমরা উচ্চ শিক্ষা প্রদান করি। আমাদের মতো প্রতিষ্ঠানে সম্পত্তি কর ধার্য করা উচিত্ নয়। তবুও, ধার্য করা হলে তার একটি নিয়ম থাকা দরকার। তাই সম্পত্তিকর কখনও এক ধাক্কায় বেড়ে ৭০ লক্ষ ৫১ হাজার ৮৫০ টাকা হতে পারে না। বর্তমানে যে টাকা সম্পত্তিকর দেওয়া হচ্ছে, সেই টাকাই দেওয়া হবে। বাড়তি কোনও টাকা দিতে পারবে না কলেজ কর্তৃপক্ষ। অতিরিক্ত সম্পত্তিকর দিতে হলে আমাদের তা ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকেই নিতে হবে। স্কুল শিক্ষা দপ্তর তো আমাদের তা দেবে না। ফলে সাড়ে সত্তর লক্ষ টাকা কিছুতেই দেওয়া সম্ভব নয়।

    কী বললেন ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের আধিকারিক?

    কয়েকদিন আগেই ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের পক্ষ থেকে সুরেন্দ্রনাথ কলেজে ৭০ গুণ সম্পত্তিকর বৃদ্ধি করা হয়। বিষয়টি নিয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষ উষ্মা প্রকাশ করতেই ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের তরফে সুরেন্দ্রনাথ কলেজের অধ্যক্ষকে ফোন করে আলোচনায় বসার প্রস্তাব দেওয়া হয়। ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের ল্য অফিসার দীপক রজ্জক জানান, অধ্যক্ষর সঙ্গে কথা হয়েছে। তার সঙ্গে আলোচনা হবে। তখন কমিয়ে দেওয়া হবে। একটি নিয়ম মেনে সম্পত্তিকরের মূল্যায়ন হয়েছিল। সেই মূল্যায়নের ভিত্তিতে বার্ষিক প্রস্তাবিত সম্পত্তিকর ধার্য হয়েছে। সেই চিঠি পাঠানো হয়েছিল। আলোচনা করে তা ঠিক করা হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share