Tag: Madhyom

Madhyom

  • Drinking Water: নলকূপ চাপতে গিয়ে হাতল ছিটকে কারও দাঁত উড়ে যাচ্ছে, কারও ফাটছে কপাল!

    Drinking Water: নলকূপ চাপতে গিয়ে হাতল ছিটকে কারও দাঁত উড়ে যাচ্ছে, কারও ফাটছে কপাল!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জলের জন্য কারও উড়ে গেছে দাঁত, আবার কারও ফেটে গেছে কপাল, নাক ও ঠোঁট। শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি। কেন এই অবস্থা? চলুন জেনে নেওয়া যাক আসল ঘটনা কী। ভরা গ্রীষ্মের তীব্র দাবদাহের মধ্যে জলকষ্টে ভুগছেন হরিশ্চন্দ্রপুর থানার তুলসীহাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের কিসমত বড়োল গ্ৰামের মানুষজন। প্রায় তিন মাসেরও বেশি সময় ধরে গ্রামের নলকূপগুলিতে জল উঠছে না। তীব্র পানীয় জলের (Drinking Water) সংকট দেখা দিয়েছে ওই গ্রামে। বাড়ি থেকে প্রায় ৫০০ মিটার দূরে মাঠের মিনি পাম্প থেকে পানীয় জল বয়ে নিয়ে আসতে হচ্ছে গ্রামের বধূদের। পুকুরের ঘোলাটে জলে স্নান, কাপড় কাচা ও বাসন ধোয়ার কাজ করে থাকেন তাঁরা। বাড়ির নলকূপ চাপতে গিয়ে হাতল ছিটকে ঘটছে দুর্ঘটনা। নলকূপের হাতলের আঘাতে গ্ৰামের অনেক মহিলার দাঁত ভেঙে গেছে, আবার কেউ কপাল, নাক ও ঠোঁট ফেটে জখম হয়েছেন।

    কী বলছেন গ্রামবাসীরা?

    এই গ্রামেরই বাসিন্দা বন্দনা প্রামাণিক বললেন, তিনমাস হল কল থেকে জল মিলছে না। আধ মাইল দূর থেকে জল (Drinking Water) আনতে হচ্ছে। সবাইকেই জানানো হয়েছে। নলকূপ থেকে জল নিতে গিয়ে দাঁত ভেঙে গেছে, খেতে পারছি না। খুবই সমস্যার মধ্যে দিয়ে দিন কাটছে। আরেক মহিলা পুতুল দাস বললেন, নলকূপ থেকে জল নিতে গেলেই হাতল ছিটকে আসছে। অনেক দূর থেকে জল আনতে হচ্ছে। বাসিন্দা কল্যাণ দাস বললেন, আমাদের আটটা পাড়ার কোথাও জল ওঠে না। প্রতি গ্রামে পাইপলাইন বসছে, এখানে কেন হবে না? সবাইকে জানিয়েছি। তা সত্ত্বেও জল পাচ্ছি না। আমাদের দাবি, দ্রুত এই সমস্যার সমাধান করা হোক। 

    বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি

    গ্রামবাসীদের অভিযোগ, স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য থেকে শুরু করে প্রশাসনিক দফতরের কাছে বারবার লিখিত আবেদন জানিয়েও সমস্যার সমাধান হয়নি। তাই ক্ষোভে ফুঁসছে গোটা গ্রামবাসী। মূলত নলকূপের উপরেই ভরসা এখানকার মানুষের। কিন্তু এই গ্রীষ্মে জলস্তর মাটির অনেকটা নিচে নেমে যাওয়ায় নলকূপ থেকে জল (Drinking Water) বেরোচ্ছে না। তাই গ্রামবাসীরা এলাকায় সাবমার্সিবল বসানোর দাবি জানিয়েছেন। কিন্তু এই সমস্যা কবে দূর হবে, সেদিকেই এখন তাকিয়ে রয়েছেন গ্রামবাসীরা। শীঘ্রই সমস্যা দূর না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের পথে যাওয়ারও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁরা।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: স্ত্রী, ছেলের সামনে ময়নার বিজেপি নেতাকে অপহরণ করে খুন! অভিযুক্ত তৃণমূল

    BJP: স্ত্রী, ছেলের সামনে ময়নার বিজেপি নেতাকে অপহরণ করে খুন! অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল সরকারের দ্বিতীয় বর্ষপূর্তির দিনই এক বিজেপি (BJP) নেতাকে স্ত্রী, ছেলের সামনেই হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূল আশ্রিত দৃষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। পরে, ওই নেতাকে অপহরণ করে খুন করা হয়। সোমবার রাতে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠল পূর্ব মেদিনীপুরের ময়নার বাকচা এলাকা। পুলিশ ও বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের নাম বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়া। তিনি বিজেপির বুথ সভাপতি ছিলেন। এই ঘটনায় সঞ্জয় তাঁতি নামে আরও এক বিজেপি কর্মীর খোঁজ মিলছিল না। পরে, গভীর রাতে তাঁকে পুলিশ উদ্ধার করে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    সোমবার রাতে বিজেপি-র (BJP) বুথ সভাপতি বিজয়বাবু ও তাঁর স্ত্রী ও ছেলের উপর তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা হামলা চালায়। তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি মনোরঞ্জন হাজরার নেতৃত্বে হামলা হয়েছে বলে অভিযোগ। স্ত্রী, ছেলের সামনেই বিজেপি নেতাকে বেধড়ক মারধর করা হয়। বিজেপি নেতার চিত্কার শুনে পাড়ার লোকজন ছুটে এলে আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে বিজয়বাবুকে তুলে নিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। এলাকায় বোমাবাজিও করা হয় বলে অভিযোগ। পরে, রাতেই তাঁর দেহ উদ্ধার হয়।

    দলীয় কর্মী খুনের প্রতিবাদে রাস্তা অবরোধ বিজেপি-র (BJP)

    সোমবার ঘটনার পরই বিজেপি (BJP) কর্মীরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। রাতেই বিজেপি বিধায়ক অশোক দিন্দা মঙ্গলবার ময়নার তিনমাথা মোড়ে পথ অবরোধের ডাক দিয়েছিলেন। বিধায়কের নির্দেশ মতো এদিন সকালেই বিজেপি কর্মীরা রাস্তায় হাজির হন। টায়ার জ্বালিয়ে রাস্তা অবরোধ করেন। বিক্ষোভের নেতৃত্ব দেন বিজেপি (BJP) বিধায়ক। এদিন অবরোধ তুলতে এলে পুলিশ কর্মীদের সঙ্গে বিজেপি কর্মীদের বচসা হয়। অবিলম্বে দলীয় কর্মী খুনে অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়ে বিজেপি কর্মীরা অবস্থান বিক্ষোভ করেন।

    কী বললেন বিজেপি (BJP) বিধায়ক?

    বিজেপি (BJP) বিধায়ক অশোক দিন্দা বলেন, বিজেপির বুথ সভাপতির পাশাপাশি তাঁর স্ত্রী ও ছেলেকে মারধর করা হয়। দলীয় নেতার ছোট ছেলে পাড়ার লোকজনকে ডাকতে গেলে দুষ্কৃতীরা বাইকে করে বিজয়বাবুকে তুলে নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে, তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার হয়। কোথায় দেহ উদ্ধার হয়েছে পুলিশ কিছু জানায়নি। তমলুক হাসপাতালে দেহ রয়েছে। রাজ্যের হাসপাতালে ময়না তদন্তে আমাদের বিশ্বাস নেই। তাই, হাইকোর্টের নির্দেশে কেন্দ্রীয় সরকার পরিচালিত হাসপাতালে বিজেপি নেতার দেহ ময়না তদন্ত করা হবে। তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়কের নেতৃত্বে এই হামলা হয়েছে।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    ময়নার প্রাক্তন বিধায়ক সংগ্রাম দলুই বলেন, এই ঘটনার সঙ্গে শাসক দল কোনওভাবে জড়িত নয়। দোকান বা পারিবারিক বিবাদের কারণেই ওই বিজেপি (BJP) নেতাকে খুন করা হয়েছে। স্থানীয় তৃণমূল নেতা মনোরঞ্জন হাজরা বলেন, এই ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। তবে, ঘটনা ঘটার পর দেখা গেল বিজেপি কর্মীরা আমাদের কর্মীদের বাড়ি, ঘর ভাঙচুর করে লুঠপাট চালায়। সমস্ত বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • BJP: অভিষেকের সভার আগেই তৃণমূলে ভাঙন, বিজেপিতে যোগ দিলেন বহু  কর্মী

    BJP: অভিষেকের সভার আগেই তৃণমূলে ভাঙন, বিজেপিতে যোগ দিলেন বহু কর্মী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় আসছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তার আগে জেলায় তৃণমূলে ভাঙন ধরাল গেরুয়া শিবির। তৃণমূল ও বামফ্রন্ট ছেড়ে বহু কর্মী-সমর্থক যোগ দিলেন বিজেপিতে (BJP)। সোমবার বিকেলে একটি অনুষ্ঠানে সদ্য যোগদানকারীদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন বিজেপির জেলা সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী ও তপনের বিধায়ক বুধরাই টুডু।

    তৃণমূল ছেড়ে কতজন বিজেপিতে (BJP) যোগ দিলেন?

    পঞ্চায়েত ভোট যত এগিয়ে আসছে ততই দলবদলের রাজনীতি চলছে দক্ষিণ দিনাজপুরে। সোমবার বিকেলে কুশমণ্ডি ব্লকের মালিগাঁও গ্রাম পঞ্চায়েতের শিকারপুরে বিজেপির (BJP) যোগদান কর্মসূচি ছিল। সেখানেই শতাধিক তৃণমূল ও সিপিএমের কর্মী-সমর্থক গেরুয়া শিবিরে যোগদান করেন। যোগদানকারীদের মধ্যে অন্যতম সিপিআইএমের প্রাক্তন উপপ্রধান বৈজন্তী রায় রয়েছেন। পাশাপাশি বহু আদিবাসী পরিবারের সদস্য রয়েছেন। মঙ্গলবার জেলায় আসছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। দণ্ডিকাণ্ডের সেই আদিবাসী গ্রামের পাশেই যুবরাজের সভা হওয়ার কথা। তার ঠিক আগের দিন বিজেপির (BJP) যোগদান কর্মসূচি রাজনৈতিক তাৎপর্যপূর্ণ বলেই রাজনৈতিক মহলের মত।

    দলত্যাগী কর্মীরা কী বললেন?

    তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে (BJP) যোগ দেওয়া প্রসঙ্গে দলত্যাগী কর্মীরা বলেন, তৃণমূলে থেকে কোনওরকম সুযোগ সুবিধা পাচ্ছি না। এলাকায় উন্নয়নের বিষয়ে তৃণমূলের কোনও নজর নেই।  তাই নরেন্দ্র মোদির উন্নয়নের যজ্ঞে সামিল হতে বিজেপিতে (BJP) যোগদান করলাম।

    কী বললেন বিজেপি-র (BJP) জেলা সভাপতি?

    এবিষয়ে বিজেপি-র (BJP) জেলা সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী বলেন, তৃণমূল থেকে সাধারণ মানুষ মুখ ফেরাচ্ছে। ঘর গোছাতে অভিষেক জেলায় আসছে, তার আগেই তৃণমূলের বহু কর্মী আমাদের দলে যোগ দিলেন। আসলে এই পরিবারগুলি মঙ্গলবার অভিষেকের সভায় থাকতে চান না। এর কিছুদিন আগে জেলার তপন থানা এলাকায় প্রায় ২০০ জন তৃণমূল কর্মী-সমর্থক ছেড়ে আমাদের দলে যোগ দেন।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    এদিকে যোগদান নিয়ে তৃণমূলের জেলা সহ-সভাপতি সুভাষ চাকি বলেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জেলায় আসছেন। এতেই ভয় পেয়েছে বিজেপি (BJP)। তাই ওরা এসব ভুলভাল বলছে। তৃণমূল থেকে কেউ বিজেপিতে যায়নি। উলটে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে আসছে মানুষ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Martial Art: মার্শাল আর্টের উৎপত্তি কি ভারতেই? জেনে নিন কোথায় এবং কীভাবে?

    Martial Art: মার্শাল আর্টের উৎপত্তি কি ভারতেই? জেনে নিন কোথায় এবং কীভাবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মার্শাল আর্ট। শব্দটি শুনলে প্রথমেই আমাদের মাথায় আসে, ক্যারাটে এবং কুংফু। কিন্তু অনেকেরই হয়তো জানা নেই, এই বৈদেশিক যুদ্ধকলা তথা মার্শাল আর্টের (Martial Art) উৎপত্তি বলতে গেলে আমাদের ভারতেই। শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি। ভারতীয় মার্শাল আর্ট কালারিপায়াত্তু নামে পরিচিত, যা সবথেকে প্রাচীন মার্শাল আর্টের মধ্যে একটি বলে মনে করা হয়। আসলে ইতিহাস তাই-ই বলছে। 

    কী এই কালারিপায়াত্তু?

    কালারিপায়াত্তু হল এক প্রাচীন ভারতীয় যুদ্ধকলা, যা মনে করা হয় আজ থেকে প্রায় তিন হাজার বছরের প্রাচীন একটি মার্শাল আর্ট (Martial Art)। এই কালারিপায়াত্তুর উৎপত্তি ভারতের কেরল থেকে। জানা যায়, আজ থেকে প্রায় কয়েক হাজার বছর আগে বৌদ্ধ ধর্মগুরু বোধিধর্মন ধর্মপ্রচারের লক্ষ্যে দক্ষিণ ভারতে এসে পৌঁছেছিলেন। কিন্তু সেখানে ঘটে বিপত্তি। সেই স্থানের মানুষজন সন্দেহের বশে বোধিধর্মনকে আক্রমণ করে। সেই সময় নিজেকে রক্ষা করার জন্যই তিনি যুদ্ধ কৌশলের মাধ্যমে একাই লড়াই করেন অত মানুষের বিরুদ্ধে। এই অভিনব যুদ্ধকৌশল ও আত্মরক্ষার পদ্ধতি দেখে মানুষ অবাক হয়ে যান এবং তাঁর কাছে থেকে এই যুদ্ধকলা শিখতে চান। রাজি হয়ে বোধিধর্মন তাঁদের এই যুদ্ধকলা শেখানও। এর পর থেকেই এই যুদ্ধকলা কালারিপায়াত্তু নামে আজও বিখ্যাত হয়ে আছে।  

    ভারতীয় পুরাণ ও মার্শাল আর্ট

    শুধুমাত্র বোধিধর্মনকেই যে এই মার্শাল আর্টের (Martial Art) প্রবক্তা বলা যেতে পারে, এমনটা নয়। ভারতীয় নানা পুরাণে এইরকম যুদ্ধকলার নিদর্শন পাওয়া গেছে। হিন্দু পুরাণ অনুসারে ভগবান শিব হলেন যুদ্ধের দেবতা। আর এই সমস্ত যুদ্ধকলা তাঁরই সৃষ্ট, এমনটাই মানা হয়। বিপদকালে যুদ্ধের জন্য শারীরিক সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে এবং মন ও শরীরকে সুস্থ রাখতে এগুলি চর্চা করা হত। ঋষি জামদগ্নের পুত্র পরশুরাম কঠিন তপস্যার মাধ্যমে ভগবান শিবকে প্রসন্ন করেন এবং  ভগবান শিব তাঁকে এই সমস্ত যুদ্ধকলা শেখান। পরশুরাম ছিলেন ভগবান বিষ্ণুর ষষ্ঠ অবতার। তিনিই ভারতীয় ঋষিদের এই যুদ্ধবিদ্যা শিখিয়েছিলেন। আত্মরক্ষার এই কৌশলের বর্তমান নিদর্শন কালারিপায়াত্তু।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Artificial Intelligence: কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার জের, ৫ বছরে বিশ্বে কাজ হারাতে পারেন ১.৪ কোটি!

    Artificial Intelligence: কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার জের, ৫ বছরে বিশ্বে কাজ হারাতে পারেন ১.৪ কোটি!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ট্যুইটারের মালিকানা ইলন মাস্কের হাতে যাওয়ার পর থেকেই সেখানে শুরু হয় একের পর এক ছাঁটাই। কাজ হারান বহু কর্মী। গুগল, মেটা, আমাজন প্রত্যেক সংস্থাই কর্মী ছাঁটাইয়ের পথে এগিয়েছে বিগত এক বছর ধরে। করোনা পরবর্তী সময়ে বিশ্বব্যাপী আর্থিক মন্দাকেই দায়ী করছেন এক্ষেত্রে অর্থনীতিবিদরা। তবে আবারও নাকি বিশ্বজুড়ে চাকরি হারাতে চলেছেন অসংখ্য মানুষ। এবারে সংখ্যাটা দাঁড়াবে ১ কোটির ওপর। এমনই আশঙ্কার কথা শোনা যাচ্ছে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম বা ডব্লিউইএফের রিপোর্টে। সেখানে বলা হচ্ছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (Artificial Intelligence) বা এআই-এর প্রয়োগ প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এরফলে কর্মী সংকোচনের দিকে এগোতে পারে সংস্থাগুলি। আর শুধু এ কারণেই আগামী ৫ বছরে বিশ্ব জুড়ে কাজ হারাতে পারেন প্রায় ১ কোটি ৪০ লক্ষ মানুষ।

    কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (Artificial Intelligence) আশীর্বাদ না অভিশাপ…

    বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (Artificial Intelligence) বহুল ব্যবহারের ভাল দিক যেমন আছে, তেমনই রয়েছে নেতিবাচক কিছু বিষয়। তার মধ্যে অন্যতম হল কর্মীসঙ্কোচন। কারণ, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রয়োগের জন্য সংস্থাগুলি যেমন কিছু কর্মী নিয়োগ করবে, তেমনই এর ব্যবহারের ফলে পুরনো অনেক কর্মীর আর প্রয়োজন বোধ করবে না সংস্থাগুলো। বিশেষত, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (Artificial Intelligence) প্রয়োগের ফলে ডেটা এন্ট্রি অপারেটর অথবা ক্যাশিয়ার পোস্টের কাজগুলোর জন্য দরকার পড়বেনা কোনও কর্মীর, এমনটাই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। অন্যদিকে কাজের পরিধি বাড়বে ডেটা বিশ্লেষক বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিশেষজ্ঞদের। সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে ২০২৭ ডেটা বিশ্লেষকদের চাহিদা বাড়বে ৩০ শতাংশ। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বিভিন্ন টুল ব্যবহারের জন্য একদিকে যেমন বহু প্রশিক্ষিত কর্মীর দরকার পড়বে তেমনি কাজও হারাবেন বহু মানুষ। তাই প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (Artificial Intelligence) আশীর্বাদ না অভিশাপ।

    সমীক্ষা….

    রবিবার প্রকাশিত হয়েছে ডব্লিউইএফের একটি সমীক্ষা। সূত্রের খবর, সব মিলিয়ে বিশ্বের প্রায় ৮০০ সংস্থার কাছ থেকে তথ্য নিয়ে তৈরি হয়েছে রিপোর্ট। সুইৎজারল্যান্ডের দাভোসে এই সংস্থা প্রতি বছরই বিশ্বনেতাদের নিয়ে একটি আলোচনাসভার আয়োজন করে। চলতি বছরের আলোচনায় উঠে এসেছিল, ২০২৭ সালের মধ্যে সারা বিশ্বে ৬ কোটি ৯ লক্ষ নতুন চাকরি হবে। কিন্তু একই সঙ্গে ৮ কোটি ৩ লক্ষ মানুষ কর্মহীনও হয়ে পড়বেন। সমীক্ষা বলছে, আগামী ৬ বছর শুধু কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বহুল ব্যবহারে প্রায় ১ কোটি ৪০ লক্ষ মানুষের কাজ চলে যাবে। যা বর্তমান কর্মসংস্থানের প্রায় ২ শতাংশ প্রায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BSF: সীমান্তে এক জার সাপের বিষ উদ্ধার বিএসএফ-এর, বাজারমূল্য জানলে চমকে উঠবেন!

    BSF: সীমান্তে এক জার সাপের বিষ উদ্ধার বিএসএফ-এর, বাজারমূল্য জানলে চমকে উঠবেন!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সীমান্তে সন্দেহজনক একজার ভর্তি সাপের বিষ উদ্ধার করল ১৩৭ ব্যাটেলিয়ান বিএসএফ (BSF)। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার হিলির গয়েশপুর বিওপি-র পাহানপাড়া সীমান্তে উদ্ধার হওয়া সাপের বিষের আন্তর্জাতিক বাজার মূল্য প্রায় ১৩ কোটি টাকা। বিএসএফ (BSF) অভিযান চালিয়ে সাপের বিষের জার উদ্ধার করলেও পাচারকারীরা পালিয়ে যায়। তারা বাংলাদেশ সীমান্তে গা ঢাকা দিয়েছে বলে বিএসএফ (BSF) সূত্রে জানা গিয়েছে।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    বিএসএফের (BSF) পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, একটি বিশেষ সূত্রে খবর পেয়ে রবিবার রাত সাড়ে বারোটা নাগাদ সীমান্তের ভারতীয় গ্রাম পাহানপাড়া এলাকায় গোপনে অপেক্ষা করতে থাকে বিএসএফ দল। বাংলাদেশ থেকে দুই পাচারকারী সীমান্তের দিকে এগিয়ে আসে। তারা ভারতীয় ভূখন্ডে আসতেই বিএসএফ (BSF) তাদের পিছনে ধাওয়া করে। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে তারা বাংলাদেশ সীমান্তের দিকে ছুটে পালাতে থাকে। তাদের আটকাতে এক রাউন্ড গুলি ছোঁড়ে বিএসএফ (BSF)। কিন্তু ওই দুই পাচারকারী ততক্ষণে বাংলাদেশ সীমান্তে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। এমনিতেই বিএসএফের (BSF) কাছে সাপের বিষ পাচার হওয়ার খবর ছিল। কিন্তু, দুই পাচারকারী পালানোর সময় তাদের হাতে কোনও জিনিস ছিল না। ফলে, পাচারকারীদের ফেলে যাওয়া সামগ্রীর খোঁজে তল্লাশি শুরু করে বিএসএফ। অনেক খোঁজাখুঁজির পর উদ্ধার হয় একটি জার। যেখানে লেখা রয়েছে, কোবরা এসপি, ড্রাগন কোম্পানি, মেড ইন ফ্রান্স।  কোড নম্বর ৬০৯৭। সেই জারের মধ্যে তরল দ্রব্য কোবরা সাপের বিষ বলে মনে করছে বিএসএফ (BSF) ।   

    বিএসএফের (BSF) কী বক্তব্য ?

    ১৩৭ ব্যাটেলিয়ানের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, পাচারকারীদের খোঁজে ব্যাপক তল্লাশি চালানো হয়। পরে, গুলি চালানো হলেও হতাহতের কোনও খবর নেই। উদ্ধার হওয়া সাপের বিষের জারটি সোমবার দুপুরে বালুরঘাট রেঞ্জের বনবিভাগের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।

    কী বললেন বনবিভাগের আধিকারিক?

    বালুরঘাট বনবিভাগের রেঞ্জ অফিসার সুকান্ত ওঝা বলেন, যে জায়গা থেকে এই জার উদ্ধার হয়েছে, সেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করব। প্রাথমিকভাবে সাপের বিষ বলেই মনে হচ্ছে। তবে, এই বিষয়ে আরও নিশ্চিত হতে আমরা মুম্বই ল্যাবরেটরিতে এই জার পাঠাব।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Abhishek Banerjee: অভিষেক সভা ছাড়তেই ব্যালট লুঠের চেষ্টা, তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে হাতাহাতি

    Abhishek Banerjee: অভিষেক সভা ছাড়তেই ব্যালট লুঠের চেষ্টা, তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে হাতাহাতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুরের পর এবার করণদিঘিতে তৃণমূলের নবজোয়ার কর্মসূচিতে চরম বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। ভোটগ্রহণ কেন্দ্র থেকে ব্যালট বাক্স ছিনিয়ে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটে। জানা গিয়েছে, রবিবার করণদিঘিতে প্রার্থী বাছাইয়ে ভোটদান চলাকালীন দুটি ভোট গ্রহণ কেন্দ্রে তুমুল ঝামেলা বাঁধে তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে। চাকুলিয়া ব্লকের হপতিয়াগজ গ্রাম পঞ্চায়েত ও গোয়াগাঁও- ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের ভোট দান কক্ষে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। করণদিঘির আগে ইসলামপুর কোর্ট ময়দানে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) সভা ছিল। সেই সভা শেষে ব্যালট বাক্সে প্রার্থীর নামের কুপন দিতে গিয়ে বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। যদিও পরে দলীয় নেতৃত্বের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

    করণদিঘিতে ঠিক কী হয়েছিল?

    রবিবার চোপড়ায় অভিষেকের (Abhishek Banerjee) সভা ছিল। পরে, সেখান থেকে তিনি ইসলামপুরে সভা করেন। সভা শেষে সেখানেও ব্যালটে ভোট দেওয়া নিয়ে গণ্ডগোল হয়। পরে, বিষয়টি মিটে যায়। সেখান থেকে যুবরাজ চাকুলিয়াতে সভা করেন। পরে, করণদিঘিতে তিনি রাতে থাকেন। করণদিঘিতে অভিষেক (Abhishek Banerjee) পৌঁছানোর পরই ভোটদানের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। তিনি দাঁড়িয়ে থেকে ভোটদান শুরু করে সভাস্থল ছেড়ে চলে যান। এরপরই পুরানো এবং নব্য তৃণমূলের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। যে ব্যালট বাক্সে ভোটদান চলছিল তৃণমূল কর্মীদের একাংশ তা ছিনতাই করে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এমনিতেই অভিষেক (Abhishek Banerjee) সভা ছেড়ে চলে যাওয়ার পর পরই তৃণমূলের জেলা নেতৃত্ব তাঁর সঙ্গে চলে যান। ভোটদান কেন্দ্রে গণ্ডগোল হচ্ছে শুনে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে বিশাল পুলিশ বাহিনী। মন্ত্রী গোলাম রব্বানী, জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল ও করণদিঘির বিধায়ক গৌতম পাল পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনার জেরে ভোটদান পর্ব বন্ধ করে দেন তৃণমূল নেতৃত্ব।

    ভোটদান নিয়ে তৃণমূল কর্মীদের কী বক্তব্য?

    এক তৃণমূল কর্মী বলেন, পুরানো কর্মীদের নামের তালিকা দেওয়া হয়েছিল। তাঁদের কোনও নাম নেই। নতুন যারা এসেছে তালিকায় তাঁদের নাম রয়েছে। আসলে তালিকা জমা পড়ার পর তালিকায় কাটছাঁট করা হয়েছে। চোখের সামনেই এসব হচ্ছে। অন্য এক তৃণমূল কর্মী বলেন, ব্যালটে ভোট দেওয়া চলছে। সেটা প্রকাশ্যে হচ্ছে। কোনও গোপনীয়তা নেই। আর তাতেই তৃণমূল কর্মীদের বড় অংশ আপত্তি জানান। ফলে, ভোট গ্রহণ বন্ধ করে দেওয়া হয়।

    প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েতে প্রার্থী বাছাই করতে অভিনব পদক্ষেপ করেছেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। জেলায় জেলায় ঘুরছেন তিনি। সব সভা থেকেই অভিষেক একটাই বার্তা দিচ্ছেন, তৃণমূল পঞ্চায়েতের প্রার্থী বাছাই করবে না। পঞ্চায়েতের প্রার্থী বাছবে মানুষ। অভিষেকের এই উদ্যোগ কার্যকরী করতে গিয়েই বাঁধছে বিপত্তি। জায়গায় জায়গায় ব্যালট বাক্স ভাঙা থেকে লুঠপাটের ঘটনা সামনে আসছে। কোচবিহার ছাড়াও জলপাইগুড়ির ময়নাগুড়ি, পাহাড়পুর, রাজগঞ্জ থেকে ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি সব জায়গাতেই ব্যালট পেপার নিয়ে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এবার উত্তর দিনাজপুরের করণদিঘিতেও একই ঘটনা ঘটল। যা নিয়ে অস্বস্তিতে পড়েছে তৃণমূলের জেলা নেতৃত্ব।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Belly Fat: ভুঁড়ির সমস্যায় জেরবার! পাতে রাখুন এই ৯ সুপারফুড আর দেখুন তফাত

    Belly Fat: ভুঁড়ির সমস্যায় জেরবার! পাতে রাখুন এই ৯ সুপারফুড আর দেখুন তফাত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভুঁড়ি নিয়ে সমস্যার অন্ত নেই। শারীরিক সৌন্দর্য্য তো নষ্ট করেই, পাশাপাশি অতিরিক্ত মেদের কারণে দেখা দেয় নানা স্বাস্থ্য সমস্যা। ভুঁড়ি কমাতে (Belly Fat) চেষ্টার কসুর করেন না প্রায় কেউই। সকালে জিমে যাওয়া, ডায়েট মেনে খাওয়াদাওয়া সব কিছুই চলে। কিন্তু এতেও হতাশ হচ্ছেন অনেকে। কমছে না ভুঁড়ি।

    আজকে আমরা আলোচনা করব ৯টি সুপারফুড নিয়ে যা ভুঁড়ি কমাতে (Belly Fat) উপকারী

    ১) ডিম

    বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডিম মেদ কমাতে সাহায্য করে। ডিম প্রোটিনে ভরপুর আর এতে থাকা অ্যামিনো অ্যাসিড মেদ কমাতে (Belly Fat) কাজে আসে। ডিমের কুসুমে থাকা কোলাইন মেদ জমার প্রবণতাকেও আটকায়, এমনটাই মত পুষ্টিবিদদের।

    ২) টক দই

    শরীর সুস্থ রাখতে টক দইয়ের জুড়ি মেলা ভার। অন্তত এমনটাই বিশ্বাস বিশেষজ্ঞদের। টক দই মেদ কমাতে উপকারি বলেই মানা হয়। পুষ্টিবিদদের মতে, দইয়ে থাকা ল্যাক্টোবেসিলাস মেদ (Belly Fat) জমার প্রবণতা কম করে। এছাড়া, টক দই হল প্রোবায়োটিক, অর্থাৎ, এটি পেটে ভাল ব্যাক্টেরিয়া তৈরি করে। যা, আমাদের হজম শক্তি বৃদ্ধি থেকে শুরু করে পেটের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।

    ৩) সাইট্রাস জাতীয় ফল

    কমলালেবু, মুসাম্বি, বাতাবি, পাতিলেবু ইত্যাদিতে ভরপুর ভিটামিন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, খনিজ এবং উদ্ভিদজাত যৌগ থাকে। পাশাপাশি এগুলি শরীরে জলের অভাব মেটায়। পুষ্টিবিদদের মতে, সাইট্রাস জাতীয় ফল খেলে কমে মেদও (Belly Fat)। 

    ৪) গ্রিন টি

    বিশেষজ্ঞদের মতে, গ্রিন টি-তে রয়েছে বেশ ভালো মাত্রায় ক্যাফেইন ও ফ্লেবেনয়েড ক্যাটেকিনস, যা শরীরে অতিরিক্ত চর্বি ঝরিয়ে (Belly Fat) ফেলতে সাহায্য করে বলেই উঠে এসেছে নানা গবেষণায়।

    ৫) শাক-সবজি

    মরশুমি সবজিও শরীরের জন্য খুব উপকারী। এটি আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এতে থাকা ফাইবার দীর্ঘক্ষণ পেট ভরিয়ে রাখে ও শরীরকে প্রয়োজনীয় পুষ্টি প্রদান করে। ভুঁড়িও কমাতেও (Belly Fat) সাহায্য করে।

    ৬) বিনস 

    বিনস বলতে কিন্তু এখানে কিডনি বিনস বা রাজমার কথা বলা হচ্ছে। এই খাবারটি এখন সহজলভ্য। এমনকী উত্তর ভারতে এর প্রচলন অনেকটাই বেশি। সেখানকার বাসিন্দারা বিনসের তরকারি দিয়ে রুটি খান। তবে বাঙালিদের মধ্যে এই খাবারের এতটাও প্রচলন নেই। কিন্তু মেদ (Belly Fat) কমাতে চাইলে অবশ্যই বিনস খেতে হবে, এমনটাই বলছেন পুষ্টিবিদরা।

    ৭) ব্রকোলি 

    পুষ্টিবিদরা বলছেন, ব্রকোলির অনেক গুণ রয়েছে। এতে আছে ভিটামিন সি, ফাইবারের ভাণ্ডার। তাই নিয়মিত খেতেই পারেন ব্রকোলি। এই সবজি খেলে পেট অনেকক্ষণ ভরা থাকে। ফলে খিদে পায় না। এই কারণে ওজন ও ভুঁড়ি (Belly Fat) দুইই কমে।

    ৮) ভিনিগার 

    বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিনিগারের ভিতর থাকে অ্যাসিটিক অ্যাসিড, এই অ্যাসিড ফ্যাট মেটাবলিজম শুরু করে দেয়। ফলে দ্রুত ফ্যাট ঝরতে (Belly Fat) থাকে।

    ৯) ওটস এবং ডালিয়া

    পুষ্টিবিদদের মতে, এই দুই দানাশস্য ফাইবারে ভরপুর। আর এই ফাইবার শরীরের বিভিন্ন উপকার করে। তাই ভুঁড়ি কমাতে (Belly Fat) চাইলে অবশ্যই ওটস এবং ডালিয়া খেতে হবে।

       

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি/ডায়েট পরামর্শস্বরূপ। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের সঙ্গে কথা বলুন ও সেই মতো পরামর্শ মেনে চলুন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dev: সরকারি বাড়ি পেতে দেবের ভাইকে দিতে হল কাটমানি! পোস্টার দিয়ে প্রতিবাদ জানাল বিজেপি

    Dev: সরকারি বাড়ি পেতে দেবের ভাইকে দিতে হল কাটমানি! পোস্টার দিয়ে প্রতিবাদ জানাল বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল শহরের পাঁশকুড়া বাস স্ট্যান্ড, ঘাটাল কলেজ, এসডিও অফিস চত্বর সহ সমস্ত জায়গায় পড়েছে পোস্টার। আর এই পোস্টারকে ঘিরে রীতিমতো শোরগোল অভিনেতা দেবের (Dev) সাংসদ এলাকায়। শুধু পোস্টারই নয় দেবের (Dev) পদত্যাগের দাবি জানিয়েছে গেরুয়া শিবির। এমনকী দেওয়াল লিখনে হাত লাগিয়েছেন খোদ বিজেপি বিধায়ক শীতল কপাট।

    কী লেখা রয়েছে পোস্টারে?

    পোস্টারে লেখা রয়েছে, নিজের দাদা সাংসদ (Dev) থাকা সত্ত্বেও কাটমানি দিতে হয়, তাহলে সাধারণ মানুষের কী হবে। ঘরের ছেলে সাংসদ থাকার সত্ত্বেও কেন টাকা নেওয়া হল? দীপক অধিকারী (Dev) জবাব দাও। বিক্রম অধিকারীর আবাস যোজনার টাকা নেওয়া  হল কেন? তৃণমূল বিধায়ক শিউলি সাহা জবাব দাও। আর ঘাটাল শহরের একাধিক জায়গায় পোস্টারে ছয়লাপ। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    কেন এই পোস্টার?

    সাংসদ দেবের (Dev) জেঠতুতো ভাই বিক্রম অধিকারী। তিনি থাকেন কেশপুরের মহিষদায়। সরকারি আবাস যোজনায় কাটমানি দিতে হয়েছে তাঁকে। বিক্রম বলেন, আমি নিজে তৃণমূল করি। আমার দাদা সাংসদ বলে কোনও বাড়িতে সুবিধা পাইনি। এখানে তৃণমূল নেতাদের কাটমানি না দিলে বাড়ি মিলবে না। তাই, ওদের চাহিদা মতো আমি কাটমানি দিয়েছি। তিনি আরও বলেন, পারিবারিক সমস্যা সমাধানে তৃণমূল নেতাদের কাটমানি দিতে হয়। সাংসদের (Dev) ভাই বলে আমাকে অনেক জায়গায় তৃণমূল নেতারা নিয়ে গিয়ে কাটমানি নিয়েছে। আমার বাড়ি বেহাল হয়ে রয়েছে। আমফানে বাড়ির প্রচুর ক্ষতি হয়েছে। কিন্তু, আমি ক্ষতিপূরণের টাকা পাইনি। আবাস যোজনার বাড়ি পাওয়ার জন্য দেবের (Dev) ভাইকে টাকা দেওয়ার খবর জানাজানি হতেই রীতিমতো তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। এবার এই ইস্যুকে হাতিয়ার করেই মাঠে নামে বিজেপি। ঘাটাল শহর জুড়ে তারা পোস্টার দিয়েছে।

    কী বললেন বিজেপি সাংসদ?

    এই বিষয়ে বিজেপি-র সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, “দেবের ভাই বলে খবরটা হয়েছে। এরকম হাজার হাজার মানুষের নাম কেটে দেওয়া হয়েছে। কে অধিকার দিয়েছে ওদের? গরিবের কথা কেউ শোনেনি। আমরা নামগুলো খুঁজে খুঁজে দিল্লি পাঠিয়েছি।”

    পোস্টার নিয়ে কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    যদিও বিজেপিকে পাল্টা নিশানা করেছে শাসক দল তৃণমূল। জেলা তৃণমূলের কো-অর্ডিনেটর অজিত মাইতি বলেন, খেই হারিয়েছে বিজেপি। দেব (Dev) কুৎসার জবাব না দিয়ে নিশ্চুপ থাকাতেই পোস্টার রাজনীতি করছে বিজেপি। পোস্টার নিয়ে রাজনীতি না করে বিজেপি মাঠে নেমে রাজনীতি করুক। মানুষ কাদের সঙ্গে রয়েছে তা প্রমাণ হয়ে যাবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Mid Day Meal: অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের খাবারে বিছে! না জেনে সেই খিচুড়িই খেয়ে নিল শিশুরা!

    Mid Day Meal: অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের খাবারে বিছে! না জেনে সেই খিচুড়িই খেয়ে নিল শিশুরা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের শিশুদের খাবারে বিছে! এবার ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের গ্ৰামে। এর আগেও দেখা গিয়েছে, বিভিন্ন জায়গায় শিশুদের খাবারে ও স্কুলের মিড ডে মিলে (Mid Day Meal) কোথাও সাপ, কোথাও ইদুর, কোথাও আবার পোকামাকড় উদ্ধার হয়েছিল। সেইসব ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই আবারও খাবের বিছে উদ্ধার হল। স্বাভাবিকভাবেই অভিভাবকদের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। উঠেছে নজরদারির অভিযোগও। বীরভূমের কীর্ণাহারের পরোটা গ্ৰামে ২২ নং কেন্দ্রের পরোটা অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের এই ঘটনায় এলাকায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে। আরও অভিযোগ, সেই বিছে পড়া খাবারই তুলে দেওয়া হয়েছে শিশুদের হাতে। যদিও খবর পাওয়া মাত্রই তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে আসে কীর্ণাহার থানার পুলিশ। পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়। কীর্ণাহার থানার পুলিশ আসতেই বাকি খাবার যেগুলি বেঁচে ছিল, সেগুলি ফেলে দেওয়া হয় প্রশাসনের নির্দেশমতো, যাতে আর এই খাবার (Mid Day Meal) কেউ না নিয়ে যেতে পারে। ইতিমধ্যেই প্রশাসনের তরফে গ্ৰামবাসীদের সচেতন করা হয়েছে, যাতে ওই খাবার কেউ যেন না খায়।

    কী অভিযোগ গ্রামবাসীদের?

    কোলে দুধের শিশুকে নিয়ে এক মা বললেন, আমরা খিচুড়ি নিতে এসেছি। এখানে এসে শুনছি, খাবারে (Mid Day Meal) বিছে ছিল। সৈকত নামে একটা ছেলে দেখেছে, সে দিদিমণিকেও বলেছে। কিন্তু দিদিমণি বলেছে, ওটা বরবটি কড়াই। বিছেটা পাশে রেখে দিয়ে আমাদের সেই খিচুড়ি দিয়েছে। আমরা সেই খাবারই ছেলেদের খাইয়েছি। যখন শুনলাম, তখন খাওয়ানো বন্ধ করেছি। দিদিমণি বিশ্বাসই করছে না। বারবার একই কথা বলছে, এটা বরবটি কড়াই। এরপর দিদিমণি ঘরে তালা লাগিয়ে পালিয়েছে। প্রশাসন এসেছিল। যারা খেয়েছে, তারা কান্নাকাটি করছে। ওদের যে কী হবে, জানি না। আমাদের একটাই দাবি, পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতার মধ্যে রান্না হোক। 

    আরও পড়ুন: মিড ডে মিলের চাল চুরি করতেই গরমের ছুটি ঘোষণা রাজ্যের! দাবি শুভেন্দুর

    অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কর্মী সংবাদ মাধ্যমের সামনে মুখ খুললেন না

    গ্ৰামবাসীদের অভিযোগ, যেখানে রান্না (Mid Day Meal) করা হয়, সেই ঘরটি অপরিষ্কার। মাকড়সার ঝুলে ভর্তি ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র। এমনকী বাইরে রয়েছে আবর্জনায় ভর্তি একটি জলাশয়। এমনকী ওই গ্রামবাসীরা জানাচ্ছেন, এই অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী জেনেশুনেও এই খাবার দিয়েছেন। এই খাবার খেয়ে যদি কোনও শিশু অসুস্থ হয়, তাহলে তার ব্যবস্থা নিতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন গ্রামবাসীরা। যদিও ওই কেন্দ্রের কর্মী কোনও মন্তব্যই করতে চাননি। বারবার তাঁকে ওই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি দ্রুত এলাকা ছেড়ে চলে যান।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share