Tag: Madhyom

Madhyom

  • Police Officer: অমিত শাহের সভার আগেই সরিয়ে দেওয়া হল কেষ্ট ঘনিষ্ঠ সিউড়ি থানার আইসি-কে!

    Police Officer: অমিত শাহের সভার আগেই সরিয়ে দেওয়া হল কেষ্ট ঘনিষ্ঠ সিউড়ি থানার আইসি-কে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সফরের আগেই বীরভূমের সিউড়ি থানার আইসি শেখ মহম্মদ আলিকে (Police Officer) সরিয়ে দেওয়া হল। শুক্রবারই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সিউড়িতে সভা করবেন। তার আগেই অনুব্রত ঘনিষ্ঠ ওই আইসি-কে (Police Officer) সরিয়ে দেওয়া হল। এমনিতেই মাসখানেক আগেই এই পুলিশ অফিসারকে সিবিআই এবং ইডি জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। এরমধ্যেই তাঁকে আইসি পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার ঘটনায় জেলা জুড়ে চর্চা শুরু হয়েছে। অন্যদিকে, রামপুরহাট থানার আইসি দেবাশিস চক্রবর্তীকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। যদিও জেলা পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় বলেন, এটা রুটিন বদলি।

    দুই থানার আইসি-কে (Police Officer) কোথায় বদলি করা হল?

    মাসখানেক আগেই সিউড়ি থানার আইসি (Police Officer) শেখ মহম্মদ আলিকে  নিজাম প্যালেসে ডেকে সিবিআই ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ করেন। মূলত কয়লা পাচার করার জন্য তাঁকে নিয়মিত প্রোটেকশন মানি দেওয়া হত বলে তদন্তকারী অফিসাররা জানতে পেরেছেন। কয়লা পাচারের মূল অভিযুক্ত অনুপ মাঝি ওরফে লালার মুখেও এই পুলিশ অফিসারের নাম সিবিআই আধিকারিকরা জানতে পেরেছেন। মহম্মদবাজারের অফিসার ইন চার্জ (Police Officer)  হিসেবে থাকার সময় এই পুলিশ আধিকারিক নিয়মিত প্রোটেকশন মানি নেওয়ার পাশাপাশি  বিভিন্ন জায়গায় পৌঁছে যেত। বিনিময়ে পাচারকারীদের কয়লা পাচার করতে কোনও সমস্যা হত না। কোনও সমস্যা হলেই মহম্মহ আলি ছিলেন মুশকিল আসান। পরে, জেলার এক উচ্চ পদস্থ কর্তার সঙ্গে তাঁর এতটাই সখ্যতা ছিল যে জেলার বিভিন্ন থানায় কে কোথায় অফিসার হবেন তা তিনি ঠিক করতেন। কয়েকদিন আগে দিল্লিতে ইডি তাঁকে ডেকে পাঠায়। এতকিছুর পরও সিউড়ি থানার মতো গুরুত্বপূর্ণ থানায় তাকে রেখে দেওয়ার অর্থ রাজ্য পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠবে। ফলে, তাঁর বিরুদ্ধে রাজ্য সরকার কী ব্যবস্থা নেয় তারদিকে জেলাবাসীর নজর ছিল। এবার তাঁকে সিউড়ি থানার আইসি-র (Police Officer) পদ থেকে সরিয়ে জেলা এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চে বদলি করা হয়েছে। আর মহম্মদ আলির জায়গায় বর্ধমানের কোর্ট ইন্সপেক্টর দেবাশিস ঘোষকে সিউড়ি থানার আইসি (Police Officer) করা হয়েছে। অন্যদিকে, বগটুইকাণ্ডের পর রামপুরহাটের আইসি ত্রিদিব প্রামাণিককে সরিয়ে রাতারাতি দেবাশিস চক্রবর্তীকে রামপুরহাট থানার আইসি করা হয়েছিল। এবার তাঁকে পশ্চিম মেদিনীপুরের ডিআইবিতে বদলি করে দেওয়া হল। আর পশ্চিম মেদিনীপুর থেকে নীলোত্পল বিশ্বাসকে রামপুরহাটের আইসি করা হয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Home Minister: বাংলা নববর্ষে দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে আসছেন অমিত শাহ! জোরদার করা হল নিরাপত্তা ব্যবস্থা

    Home Minister: বাংলা নববর্ষে দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে আসছেন অমিত শাহ! জোরদার করা হল নিরাপত্তা ব্যবস্থা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৫ এপ্রিল, শনিবার বাংলা নববর্ষ। দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে লক্ষ লক্ষ ভক্তের সমাগম হবে। ওইদিনই মন্দিরে পুজো দিতে আসছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী (Home Minister) অমিত শাহ। ভিভিআইপি-র নিরাপত্তা আর ভক্তদের ভিড় সামাল দিতে প্রশাসনিক স্তরে প্রস্তুতি তুঙ্গে। এমনিতেই তীব্র দাবদাহে হাঁসফাঁস অবস্থা। তাপমাত্রা লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়ে এখন ৪০ ডিগ্রিতে পৌঁছে গিয়েছে। এই গরমের মধ্যে ভক্তরা যাতে সুষ্ঠুভাবে পুজো দিতে পারেন তারজন্য সবরকম উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। মন্দিরের অছি পরিষদের সম্পাদক কুশল চৌধুরী বলেন, সকাল পাঁচটায় মন্দিরের গেট খুলে দেওয়া হবে। গরমের জন্য নিয়মিত মন্দির চত্বরের চাতালে জল দেওয়া হবে। তাড়াতাড়ি পুজো দিয়ে ভক্তরা যাতে বাড়ি ফিরে যেতে পারেন, তার ব্যবস্থা করা হবে।

    মন্দিরের পুজো দিতে কখন আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী(Home Minister)?

    লক্ষাধিক ভক্ত এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী (Home Minister) পুজো দিতে আসবেন বলে নিরাপত্তার বিষয়টি পুলিশ কমিশনারেটের কর্তারা মন্দিরে এসে খতিয়ে দেখে যান। জানা গিয়েছে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী (Home Minister) বেলা ১০টা নাগাদ আসবেন। সেই সময় মন্দির সাধারণ ভক্তদের জন্য কিছুক্ষণ বন্ধ রাখা হবে। ফলে, তার আগেই বেশিরভাগ ভক্ত যাতে পুজো দিতে পারেন তার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের এক আধিকারিক বলেন, ভিভিআইপি-র জন্য নিরাপত্তা অনেকটাই জোরদার করা হয়েছে। মন্দিরের কর্মকর্তাদের অনুরোধ, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সকাল সকাল ভক্তরা পুজো দিয়ে বাড়ি ফিরে যান।

    বাংলা নববর্ষে মন্দিরে বিশেষ কী পুজো হবে?

    মন্দির সূত্রে জানা গিয়েছে, সকালে মঙ্গলারতি দিয়ে পুজোর সূচনা হবে। সারাদিন জুড়ে নিয়মমাফিক পুজোর পাশাপাশি এদিন বিশেষ পুজোর আয়োজন করা হবে। হালখাতার বিশেষ পুজো হবে। আর এই পুজো করাতেই হাজার হাজার ভক্ত লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকেন। এবারও গরমে যাতে সমস্যা না হয় তারজন্য ঘণ্টায় ঘণ্টায় মেঝেতে জল সরবরাহ করা হবে। ভোর থেকে মায়ের কাছে পুজো দেওয়ার জন্য মন্দিরের গেট খুলে দেওয়া হয়। মন্দিরের অছি পরিষদের সম্পাদক কুশল চৌধুরী আরও বলেন, লক্ষাধিক ভক্ত সমাগম হবে। তারজন্য প্রচুর স্বেচ্ছাসেবক মোতায়েন করা হবে।

    ভিড় সামাল দিতে কী কী করা হচ্ছে?

    পুলিশ প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ভিড় সামাল দিতে দক্ষিণেশ্বর স্টেশনের মুখে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন থাকবে। সেখানে দড়ি দিয়ে ভক্তদের আটকে দফায় দফায় ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। স্কাইওয়াকের নীচ থেকে লাইন দিয়ে হাজার হাজার ভক্ত মন্দিরের দিকে যাওয়ার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। কোনও যানবাহন মন্দিরের ভিতরে ঢুকতে দেওয়া হবে না। মন্দিরে যাতায়াতের একাধিক জায়গায় জলের কাউন্টার করা হবে। পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বিশেষ এই দিনে ফি বছর স্নানের ঘাটে ভক্তদের ভিড়ে তিল ধারনের জায়গা থাকে না। সেখানে এবারও বিশেষ ব্যবস্থা থাকবে। মন্দিরের ভিতরে ঢোকার মুখে একাধিক বাঁশের ব্যারিকেড করা হবে। ভক্তদের সেই ব্যারিকেডের ভিতর দিয়ে গিয়ে মন্দিরে পুজো দিতে হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: অনুব্রতর গড়ে কাজল-কেরিমকে কড়া বার্তা দিলেন সুকান্ত! কী বললেন?

    Sukanta Majumdar: অনুব্রতর গড়ে কাজল-কেরিমকে কড়া বার্তা দিলেন সুকান্ত! কী বললেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  “পঞ্চায়েত ভোটে কোন কর্মীর গায়ে যদি হাত পরে, সেই হাতের ব্যবস্থা হবে।”  বুধবার বীরভূমের লাভপুরের সভা থেকে হুঁশিয়ারি দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। মূলত অনুব্রতহীন প্রথম পঞ্চায়েত ভোট হতে চলেছে এই রাজ্যে। কেষ্টর জেলযাত্রার পর এখন কাজল শেখের ক্ষমতা বৃদ্ধি হয়েছে। তাঁকে তৃণমূলের কোর কমিটির সদস্য করা হয়েছে। কেরিম খানও দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। এমনই অভিযোগ বিরোধীদের। এই সব নেতা পঞ্চায়েত ভোটে সন্ত্রাস করতে পারে। তাই, এদিনের সভা মঞ্চ থেকে তৃণমূলের দাপুটে নেতা কাজল শেখ ও জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ আব্দুল কেরিম খানের নাম করে হুঁশিয়ারি দেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি (Sukanta Majumdar) । তিনি বলেন,”যদি ইট মারেন পাথর কিন্তু খেতে হবে। পঞ্চায়েত ভোটে আমাদের কোন কর্মীর গায়ে যদি হাত পরে সেই হাতের ব্যবস্থা ভারতীয় জনতা পার্টি করবে, সুকান্ত মজুমদার করবে।  কাজল শেখ ও কেরিম খানই হোক, তার ব্যবস্থা করা হবে। ভয় পাবেন না।”

    মিড ডে মিলের দুর্নীতি নিয়ে কী বললেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)?

    মিড ডে মিলের দুর্নীতি নিয়েও বিজেপির রাজ্য সভাপতি (Sukanta Majumdar) সরব হন। তিনি বলেন, ১০০ কোটি টাকা দুর্নীতি হয়েছে। আর সেই টাকা তৃণমূল নেতাদের পকেটে ঢুকেছে। কেন্দ্রীয় সরকার পড়ুয়া পিছু ৬ টাকা করে বরাদ্দ করে। এই রাজ্যেও সেই টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল। তাতে দেখা যাচ্ছে কয়েক কোটি পড়ুয়ার নাম বেশি করে দেখানো হয়েছে। রাজ্যের পাঠানো সেই ভুয়ো তালিকা পিছু পড়ুয়াদের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে টাকা পাঠানো হয়েছে। কিন্তু, সেই টাকা স্কুলে যায়নি। তৃণমূল নেতাদের পকেটে ঢুকেছে। আর কেন্দ্রীয় টিম রাজ্যে আসার পরও এই দুর্নীতির বিষয়টি সামনে এসেছে।

    লাভপুর থানার ওসিকে কি বললেন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি (Sukanta Majumdar)?

    এদিন লাভপুরে সতীর একান্ন পীঠের অন্যতম ফুল্লরাতলা মন্দিরের সামনে থেকে মিছিল করেন সুকান্ত মজুমদার। মিছিলে কর্মী সমর্থকদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। পরে, লাভপুর বাসস্ট্যান্ডে সভায় তিনি বক্তব্য রাখেন। ব্যাঙ্গ করে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, “আগে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্য লোকে শান্তিনিকেতন দেখতে আসতেন। এখন পর্যটক বেড়ে গিয়েছে। অপা দেখতে পর্যটকেরা আসে। তৃণমূল নেতাদের কচি কচি গার্লফ্রেন্ড। বুড়ো বুড়ো নেতা কচি কচি গার্লফ্রেন্ড। সেই নেতারা গার্লফ্রেন্ডদের জন্য বাগান বাড়ি বানিয়ে রেখেছে।”এরপরেই লাভপুর থানার ওসিকে হুঁশিয়ারি দেন তিনি। তিনি বলেন, “ওসি তৃণমূল নেতায় পরিণত হয়েছে। বালির টাকা খাচ্ছে। প্যান কার্ডের নম্বরটা যদি ইনকাম ট্যাক্সকে দিই, হিসাব দিতে পারবেন তো।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kolkata Metro: ঐতিহাসিক মুহূর্ত! গঙ্গার নিচ দিয়ে ছুটল মেট্রো, যাত্রীদের জন্য খুলছে কবে?

    Kolkata Metro: ঐতিহাসিক মুহূর্ত! গঙ্গার নিচ দিয়ে ছুটল মেট্রো, যাত্রীদের জন্য খুলছে কবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বপ্ন সত্যি হল। ইতিহাস সৃষ্টি করল কলকাতা মেট্রো (Kolkata Metro)। নববর্ষের প্রাক্কালে কলকাতা মেট্রোর মুকুটে জুড়ল নয়া পালক। কথায় আছে, ‘মঙ্গলে ঊষা বুধে পা, যথা ইচ্ছা তথা যা’। সেই বুধবারই মেট্রো ছুটল পবিত্র গঙ্গার নিচ দিয়ে। সারা দেশের মধ্যে কলকাতা মেট্রোই যেমন প্রথম ভূগর্ভস্ত রেলপথ, তেমনি নদীর নিচে দিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রেও সেই প্রথম হওয়ার শিরোপাটাই তারা ধরে রাখল। একই সঙ্গে দীর্ঘদিনের প্রতীক্ষা এবং টানটান উত্তেজনারও অবসান ঘটল।

    কীভাবে হল এই অসাধ্য সাধন?

    রেক নম্বর এম আর-৬১২। সময় বুধবার বেলা ১১ টা ৫৫ মিনিট। এই মাহেন্দ্রক্ষণেই গঙ্গা পার হল মেট্রো। মেট্রোপথে জুড়ল দুটি শহর। ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী হতে ওই রেকে ছিলেন মেট্রো রেলের (Kolkata Metro) জেনারেল ম্যানেজার পি উদয়কুমার রেড্ডি। তাঁর সঙ্গী মেট্রো এবং কেএমআরসিএল-এর অন্যান্য পদস্থ কর্তারা। মহাকরণ থেকে গঙ্গার নিচ দিয়ে ট্রেন পৌঁছল হাওড়া ময়দানে। হাওড়া স্টেশনে পৌঁছনোর পর পুজো দিলেন জেনারেল ম্যানেজার রেড্ডি। পরে এম আর-৬১৩ নম্বর রেককেও একইভাবে নিয়ে যাওয়া হয় হাওড়া ময়দানে। 

    সাত মাস চলবে ট্রায়াল রান

    এই ঘটনাকে ঐতিহাসিক মুহূর্ত আখ্যা দিয়ে জেনারেল ম্যানেজার জানান, আপাতত সাত মাস এসপ্লানেড থেকে হাওড়া ময়দান পর্যন্ত চলবে ট্রায়াল রান। তারপরই নিয়মিত মেট্রো (Kolkata Metro) চলাচল শুরু হবে। 

    নববর্ষের উপহার

    মেট্রো রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র জানিয়েছেন, বহু বাধা-বিঘ্ন পেরনোর পরেই এই সাফল্য অর্জন করা সম্ভব হয়েছে। কলকাতা ও শহরতলির যাত্রীদের কাছে অত্যাধুনিক পরিবহণ ব্যবস্থা পৌঁছে দিতে এটি একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। এটি নিঃসন্দেহে বাংলার মানুষের কাছে রেলের পক্ষ থেকে নববর্ষের উপহার।
    মেট্রো রেলের (Kolkata Metro) পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ৪.৮ কিলোমিটার ভূগর্ভস্ত পথে ট্রায়াল রান শুরু হবে খুব শীঘ্রই। বাণিজ্যিকভাবে ট্রেন চলাচল শুরু হবে এই বছরের মধ্যেই। যাত্রাপথ খুলে গেলে হাওড়াই হবে গভীরতম স্টেশন, যা ভূপৃষ্ঠ থেকে তেত্রিশ মিটার নিচে। গঙ্গার নিচে ৫২০ মিটার পথ পেরতে মেট্রো সময় নেবে ৪৫ সেকেন্ড।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kolkata Police: ধৃত কলকাতা পুলিশের সেই এসিপি-র কাছ থেকে মিলল আবাসন দফতরের একাধিক জাল নিয়োগপত্র

    Kolkata Police: ধৃত কলকাতা পুলিশের সেই এসিপি-র কাছ থেকে মিলল আবাসন দফতরের একাধিক জাল নিয়োগপত্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বারের জাল লাইসেন্স দেওয়ার অভিযোগ ছিল ধৃত কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police) অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার অফ পুলিশ (এসিপি) সোমনাথ ভটাচার্যের বিরুদ্ধে। এবার তাঁর হেফাজত থেকে মিলল আবাসন দফতরে গ্রুপ সি পদে একাধিক জাল নিয়োগপত্র। যা দেখে চক্ষু চড়কগাছ বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের কর্তাদের। লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারণা করার অভিযোগে ধৃত ওই পুলিশ অফিসারকে (Kolkata Police) জিজ্ঞাসাবাদ করে যে সব তথ্য পুলিশের হাতে এসেছে তা দেখে হতবাক বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের কর্তারা।

    জাল নিয়োগপত্র উদ্ধার নিয়ে কী বললেন বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের কর্তারা?

    এতদিন সোমনাথবাবু (Kolkata Police) পুলিশ হেফাজতে ছিলেন। বুধবারই তাঁকে ফের আদালতে তোলার কথা ছিল। কিন্তু, তাঁর আগে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। মঙ্গলবার আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তাঁকে ভর্তি করা হয়েছে। এতদিন এই পুলিশ অফিসারের (Kolkata Police) বিরুদ্ধে বারের লাইসেন্স, কলকাতা পুরসভায় চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে টাকা তোলার অভিযোগ ছিল। বারের জাল লাইসেন্স তৈরি করার অভিযোগও পুলিশ পেয়েছে। তবে, আবাসন দফতরের বিষয়টি একেবারেই আড়ালে ছিল। পুলিশ অফিসারের (Kolkata Police) বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে এই জাল নথিগুলি পুলিশ বাজেয়াপ্ত করেছে। এই সব জাল নথি তৈরি করার পিছনেও টাকার লেনদেন হয়েছে। ফলে, আবাসন দফতরে চাকরি দেওয়ার নাম করেও তিনি অনেক টাকা তুলেছেন বলে কমিশনারেটের কর্তারা মনে করছেন। কাদের কাছে থেকে সেই টাকা তুলেছেন তা পুলিশ তদন্ত করে দেখছে। আর আবাসন দফতরের জাল নিয়োগপত্র কী করে তৈরি করলেন তা তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ আধিকারিকরা জানার চেষ্টা করছে। তবে, এই সব কর্মকাণ্ডের পিছনে আরও অনেকে রয়েছে বলে পুলিশ কর্তাদের সন্দেহ। ইতিমধ্যেই সোমনাথবাবুকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বাগুইআটির একজনের নাম পুলিশ জানতে পেরেছে। এই সব লেনদেনে তার কী ভূমিকা ছিল তা পুলিশ জানার চেষ্টা করছে। আর আবাসন দফতরের কোনও আধিকারিক যুক্ত রয়েছে কি না তা পুলিশ যাচাই করছে। এমনিতেই ওই পুলিশ অফিসারের ফোনও বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। তার কললিস্টে কাদের সঙ্গে নিয়মিত কথা হত তা পুলিশ খতিয়ে দেখছে। বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের এক কর্তা বলেন, আবাসন দফতর ছাড়াও আর কোন কোন দফতরে জালিয়াতি করেছেন তা জানার চেষ্টা হচ্ছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Halisahar: পদত্যাগ করলেন চিটফান্ডকাণ্ডে অভিযুক্ত রাজু সাহানি! হালিশহর পুরসভার নতুন চেয়ারম্যান কে?

    Halisahar: পদত্যাগ করলেন চিটফান্ডকাণ্ডে অভিযুক্ত রাজু সাহানি! হালিশহর পুরসভার নতুন চেয়ারম্যান কে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ হালিশহর (Halisahar) পুরসভার চেয়ারম্যান থাকাকালীন রাজু সাহানির বাড়িতে সিবিআই হানা হয়। বাড়ির ভিতর থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা উদ্ধার হয়। বিদেশে অ্যাকাউন্টের হদিশ পাওয়া যায়। আর একটি চিটফান্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ফলে, তৃণমূলের পুরসভার চেয়ারম্যান চিটফান্ড কেলেঙ্কারিতে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার হওয়ায় শাসক দলের মুখ পুড়েছিল। জেলে থাকার সময় দলীয় নেতৃত্ব তাঁর সঙ্গে দুরত্ব তৈরি করতে শুরু করে। তবে, তাঁকে পদ থেকে সরানো হয়নি। এমনকী জামিনে মুক্ত হওয়ার পরও তাঁকে পুরসভার চেয়ারম্যান পদে দল বসতে দেয়নি। অবশেষে দলের নির্দেশ মেনে তিনি বুধবার পুরসভায় গিয়ে পদত্যাগ করেন।

    কে হলেন হালিশহর পুরসভার (Halisahar) নতুন চেয়ারম্যান?

    রাজু সাহানি জেলে যাওয়ার পর থেকে ভাইস চেয়ারম্যান শুভঙ্কর ঘোষ পুরসভা (Halisahar) পরিচালনা করছিলেন। দলের পক্ষ থেকে তাঁর ওপর আস্থা রাখা হয়। মূলত উপস্থিত সমস্ত কাউন্সিলারদের উপস্থিতিতে শুভঙ্কর ঘোষকে চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত করা হয়। আর ভাইস চেয়ারম্যান করা হল হিমানিশ ভট্টাচার্যকে। তিনি বোর্ডের সিআইসি সদস্য ছিলেন।

    কী বললেন প্রাক্তন চেয়ারম্যান রাজু সাহানি?

    পদত্যাগ করার পর প্রাক্তন চেয়ারম্যান রাজু সাহানি বলেন, আমাকে পদ থেকে সরিয়ে দেয়নি। আমি নিজেই পদত্যাগ করেছি। দলের পক্ষ থেকে যা সিদ্ধান্ত নেবে তা মেনে নেব। আর কাউন্সিলার হিসেবে নতুন এই চেয়ারম্যানকে আমি সবরকমভাবে সহযোগিতা করব।

    কী বললেন তৃণমূলের জেলা নেতৃত্ব ?

    এদিন হালিশহর পুরসভায় তৃণমূলের বারাকপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তাপস রায়, মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক, বিধায়ক সুবোধ অধিকারীসহ জেলা নেতৃত্ব উপস্থিত ছিলেন। পাশাপাশি পুরসভার ২৩ জন কাউন্সিলারের মধ্যে অধিকাংশ বৈঠকে হাজির ছিলেন। সেখানেই চেয়ারম্যান এবং ভাইস চেয়ারম্যান নিয়ে আলোচনা হয়। নতুন চেয়ারম্যান করা প্রসঙ্গে বারাকপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তাপস রায় বলেন, আমরা দলের পক্ষ থেকে চেয়ারম্যানকে সরাইনি। তিনি নিজে এসে পদত্যাগ করেছেন। তাই, নতুন চেয়ারম্যান এবং ভাইস চেয়ারম্যান ঠিক করা হয়েছে। পুরসভার নির্বাচিত অন্যান্য কাউন্সিলাররা মিলে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন।

    কী বললেন হালিশহর (Halisahar) পুরসভার নতুন চেয়ারম্যান?

    চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নেওয়ার পর শুভঙ্কর ঘোষ বলেন, দলের সিদ্ধান্ত মেনে গত ৬ মাস ধরে আমি পুরসভা চালাচ্ছিলাম। তবে, ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে সেই কাজ করছিলাম। এবার দল এই সন্মান দেওয়ায় আমি কৃতজ্ঞ। আমি আগের মতো নিষ্ঠার সঙ্গে পুরসভা এলাকার উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাব।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP Demonstration: ‘তীব্র গরমে পানীয় জলের জন্য হাহাকার’, আসানসোলে অগ্নিমিত্রার নেতৃত্বে বিক্ষোভে বিজেপির যুব মোর্চা

    BJP Demonstration: ‘তীব্র গরমে পানীয় জলের জন্য হাহাকার’, আসানসোলে অগ্নিমিত্রার নেতৃত্বে বিক্ষোভে বিজেপির যুব মোর্চা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তীব্র দাবদাহে রাজ্যজুড়ে মানুষের প্রাণ ওষ্ঠাগত। রাজ্যবাসী চাতক পাখির মতো অপেক্ষায়, কখন বৃষ্টি নামবে। ঠিক এরকমই একটা প্রতিকূল পরিস্থিতিতে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় শুরু হয়ে গিয়েছে পানীয় জলের তীব্র সংকট। প্রচণ্ড গরমে একটু পানীয় জলের জন্য মাথা খুঁড়ে মরলেও তা মিলছে না। এমনই করুণ অবস্থা চলছে আসানসোলের বার্নপুরের বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে। এলাকাবাসীর অভিযোগ এমনই। তাঁদের আরও অভিযোগ, এই সমস্যার কথা পুর কর্তৃপক্ষকে বারবার জানানো হলেও তারা কর্ণপাত করছে না। ফলে প্রচণ্ড গরমে অশেষ দুর্ভোগের মধ্য দিয়েই তাঁদের দিন কাটাতে হচ্ছে। এরই প্রতিবাদে বুধবার বিক্ষোভ দেখাল বিজেপি (BJP Demonstration)। 

    আন্দোলনে বিজেপি, নেতৃত্বে অগ্নিমিত্রা পল

    পানীয় জল সহ একাধিক দাবি নিয়ে বিজেপির যুব মোর্চার পক্ষ থেকে বিধায়িকা অগ্নিমিত্রা পলের নেতৃত্বে বুধবার ঘেরাও করা হল (BJP Demonstration) আসানসোল পৌর নিগমের ৭ নম্বর বরো অফিস। বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা মিছিল করে আসেন ৭ নম্বর বরো অফিসের সামনে। পুলিশ সেই সময় ব্যারিকেড তৈরি করে তাদের আটকানোর চেষ্টা করে। যদিও পুলিশের সেই ব্যারিকেড ভেঙে বরো অফিস চত্বরে ঢুকে পড়েন বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা। পুলিশের পক্ষ থেকে এমনই অভিযোগ করা হয়েছে।

    কী বললেন অগ্নিমিত্রা পল?

    এদিনের এই ঘেরাও কর্মসূচিতে আসানসোল দক্ষিণের বিধায়িকা অগ্নিমিত্রা পল বলেন, বার্নপুরের বিস্তীর্ণ এলাকায় পানীয় জলের সংকট রয়েছে। ওই সমস্যা মেটাচ্ছে না পৌরসভা। পাশাপাশি এদিন পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে বরো অফিসের সামনে চলে আসার ঘটনাটিও অস্বীকার করেন তিনি। তিনি বলেন, ভারতীয় জনতা পার্টি কখনও নিয়ম ভাঙে না। বিজেপি নেত্রী বলেন, মানুষ জল পাচ্ছে না। হাহাকার পড়ে গিয়েছে। বাড়ি থেকে কিলোমিটারের পর কিলোমিটার দূরে গিয়ে জল আনতে হচ্ছে। সারাদিনে একবার হয়ত জল আসে। অনেক সময় তাও আসে না। মানুষ কেন জল পাচ্ছে না, তার জবাব প্রশাসনকে দিতে হবে। প্রশাসনের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা চুরি করছেন, দুর্নীতি করছেন, জায়গায় জায়গায় কেন্দ্রীয় সরকারের জমি বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। আর সাধারণ মানুষ সামান্য জলটুকুও পাচ্ছে না। এসবের জবাব চাইতেই আমরা এসেছি (BJP Demonstration)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Tribal People: দণ্ডিকাণ্ডে নির্যাতিতাদের গ্রামে গেলেন তৃণমূলের আদিবাসী সেলের রাজ্য সভাপতি, সরব বিজেপি

    Tribal People: দণ্ডিকাণ্ডে নির্যাতিতাদের গ্রামে গেলেন তৃণমূলের আদিবাসী সেলের রাজ্য সভাপতি, সরব বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ দণ্ডিকাণ্ডে কার্যত ব্যাকফুটে তৃণমূল। পঞ্চায়েত ভোটের আগে আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষ যাতে মুখ ফিরিয়ে না নেয়, তারজন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছে শাসক দল। বুধবার দক্ষিণ দিনাজপুরের তপন ব্লকের গোফানগর গ্রাম পঞ্চায়েতের বাদ সনকইর এলাকার মিশনপাড়া গ্রামে দণ্ডি কাণ্ডের তিন আদিবাসী মহিলাদের সঙ্গে দেখা করতে যান তৃণমূলের আদিবাসী (Tribal People) সেলের রাজ্য সভাপতি দেব টুডু। সঙ্গে ছিলেন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি তথা তৃণমূলের জেলা কো-অর্ডিনেটর ললিতা টিগ্গা, জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের চেয়ারম্যান তথা তৃণমূল নেতা সন্তোষ হাঁসদা, বালুরঘাট পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কল্পনা কিস্কু এবং তৃণমূল মহিলা কংগ্রেসের জেলা সভাপতি স্নেহলতা হেমব্রম। দণ্ডিকাণ্ডে নির্যাতিতা মহিলাদের বাড়িতে গিয়ে তাঁরা দেখা করেন।

    কী বললেন দণ্ডিকাণ্ডে নির্যাতিতা মহিলা?

    বিজেপি করার অপরাধে কয়েকদিন আগে তিন আদিবাসী (Tribal People) মহিলাকে বালুরঘাটে ডেকে দণ্ডিকাটার নিদান দিয়েছিলেন তত্কালীন মহিলা তৃণমূলের জেলা সভানেত্রী প্রদীপ্তা চক্রবর্তী। আর বিষয়টি জানাজানি হতেই আদিবাসী (Tribal People) সমাজ কার্যত বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। তাঁরা নির্যাতিতাদের পাশে থাকার পাশাপাশি রাস্তায় নেমে আন্দোলন করে। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে ঘটনা জানাজানি হওয়ার একদিনের মধ্যেই প্রদীপ্তাকে পদ থেকে সরিয়ে স্নেহলতা হেমব্রম নামে এক আদিবাসী (Tribal People) মহিলাকে মহিলা তৃণমূলের জেলা সভানেত্রীর পদে দায়িত্ব দেওয়া হয়। বুধবার দণ্ডিকাণ্ডে এক নির্যাতিতা বলেন, তৃণমূলের পক্ষ থেকে পাশে থাকার আশ্বাস দেওয়ায় আমি খুশি। আর ওই নেত্রীকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ায় ভাল লাগছে।

    কী বললেন তৃণমূলের আদিবাসী (Tribal People) সেলের রাজ্য সভাপতি?

    দণ্ডিকাণ্ডের বিষয়টি জানাজানি হতেই জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব নির্যাতিতাদের বাড়িতে যান। অভিযুক্ত নেত্রীকে পদ থেকে সরিয়ে দেন। তাতেও আদিবাসী (Tribal People) সমাজের বরফ গলেনি। মঙ্গলবারও সংগঠনের পক্ষ থেকে আন্দোলন করা হয়। বিষয়টি টের পেয়ে এবার আদিবাসী (Tribal People) নেতাদের গ্রামে পাঠিয়ে মন জয়ের চেষ্টা করলেন বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে। তৃণমূলের আদিবাসী (Tribal People) সেলের রাজ্য সভাপতি দেবু টুডু বলেন, আদিবাসী যে মহিলাদের সঙ্গে অন্যায় হয়েছিল, তাদের সঙ্গে দেখা করলাম। তাঁদের সবসময় পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছি। দোষীদের শাস্তি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অভিযুক্ত নেত্রীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তৃণমূল সুপ্রিমো তাকে পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছে। এখন বিজেপি ঘোলা জলে মাছ ধরতে চাইছে। এসব করে কোনও লাভ হবে না। আদিবাসীরা (Tribal People) সকলেই তৃণমূলের সঙ্গে রয়েছে।

    কী বলল বিজেপি নেতৃত্ব?

    ঘটনাটি জানাজানি হতেই বিজেপি নেতৃত্ব আন্দোলন শুরু করেন। জেলা জুড়ে প্রতিটি থানায় বিক্ষোভ দেখান। জেলা প্রশাসনিক অফিস ঘেরাও করে বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার প্রতিবাদ সভা করেন। ফলে, বিজেপির লাগাতার আন্দোলনে তৃণমূল কোণঠাসা হয়ে পড়ে। বিজেপি-র জেলার সাধারণ সম্পাদক বাপি সরকার বলেন, আদিবাসী (Tribal People) মহিলাদের সঙ্গে গুরুতর অন্যায়ের বিষয়টি ধামাচাপা চাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে তৃণমূল। এসব করে কোনও লাভ হবে না।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Environment: লক্ষ্য পরিবেশ বাঁচানো, টানা ৫২ দিন হেঁটে দিল্লিতে রাষ্ট্রপতির দরবারে দুর্গাপুরের দম্পতি

    Environment: লক্ষ্য পরিবেশ বাঁচানো, টানা ৫২ দিন হেঁটে দিল্লিতে রাষ্ট্রপতির দরবারে দুর্গাপুরের দম্পতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একদল মানুষ যখন পরিবেশ (Environment) ও প্রকৃতিকে ধ্বংস করার খেলায় মত্ত, ঠিক তখনই দুর্গাপুরের এক দম্পতি নজির সৃষ্টি করলেন। দেশ ও দশের জন্য তাঁদের উদ্বেগ এবং উৎকণ্ঠা দেখে অনেকেই মুগ্ধ। পরিবেশ রক্ষার আর্জি সরাসরি দেশের রাষ্ট্রপতির কাছে পৌঁছে দিতে তাঁদের উদ্যোগও প্রশংসনীয় বলে অনেকে মনে করছেন।

    কী উদ্যোগ নিলেন দুর্গাপুরের ওই দম্পতি?  

    দুর্গাপুর জবরপল্লির বাসিন্দা শ্রী পৃথ্বীরাজ সঞ্জয় চক্রবর্তী এবং তাঁর স্ত্রী শ্রীমতি রমা চক্রবর্তী বিগত ৫২ দিন ধরে পায়ে হেঁটে প্রায় ১৫০০ কিলোমিটার রাস্তা অতিক্রম করে দুর্গাপুর থেকে দিল্লি পৌঁছেছেন। রাষ্ট্রপতি শ্রীমতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে একবার দেখা করে তাঁদের আর্জি সরাসরি তাঁর কাছে পৌঁছে দেবেন, একমাত্র উদ্দেশ্য এটাই। যে মহৎ উদ্দেশে এতদূর পথ পায়ে হেঁটে তাঁরা রাষ্ট্রপতি ভবনে পৌঁছেছেন, তা হল, আমাদের এই ধরিত্রীকে (Environment) রক্ষা করা এবং তার জন্য কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করার অনুরোধ। 
    দুর্গাপুর থেকে তাঁরা যাত্রা শুরু করেছিলেন চলতি বছরের ২৫ জানুয়ারি। রাষ্ট্রপতিকে দেওয়া চিঠিতেই তাঁরা জানিয়েছেন, টানা ৫২ দিনে অতিক্রম করেছেন ১৫০০ কিলোমিটার পথ। 

    রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করে কী কী আর্জি তাঁরা জানালেন?

    ছোট্ট চিঠিতে খুবই সংক্ষেপে তাঁরা যেসব আর্জি জানিয়েছেন, সেগুলি হল: “সেভ রিভার গঙ্গা”, ভারতবর্ষের লাইফলাইন এবং পবিত্রতম নদী মা গঙ্গাকে বাঁচানো। পরিবেশকে (Environment) বাঁচাতে প্রতিটি বাড়িতে, স্কুলে, রাস্তার পাশে গাছ লাগানো। মাটিকে শুদ্ধ রাখার তাগিদে বজ্র্য পদার্থকে প্রকৃত ব্যবস্থাপনা করা। বৃষ্টির জল ধরে রেখে তার সঠিক ব্যাবহারের অভ্যাস বাড়ানো। সৌরবিদ্যুৎ চালিত আলো রাস্তায় এবং ঘরে ব্যাবহারের অভ্যাস বাড়ানো। মহিলা স্বশক্তিকরণের উদ্দেশে আরও বেশি করে পদক্ষেপ গ্রহণ করা। থ্যালাসেমিয়া মুক্ত সমাজ গড়ার উদ্দেশে পদক্ষেপ গ্রহণ করা এবং যে কোনও কৃষকের মৃত্যু হলে তাঁর হাসপাতালের বিল মুকুব করা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • ECL: ইসিএলের রাস্তা দখল করে পাঁচিল তুলল তৃণমূল কাউন্সিলার! ভাঙলেন এলাকাবাসী, কেন?

    ECL: ইসিএলের রাস্তা দখল করে পাঁচিল তুলল তৃণমূল কাউন্সিলার! ভাঙলেন এলাকাবাসী, কেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ বাজারে যাওয়ার রাস্তা। সকলেই ইসিএলের (ECL) জমি হিসেবেই জানেন। বাজারে যাওয়ার জন্য এই রাস্তা এলাকার মানুষ ব্যবহার করেন। এবার সেই রাস্তা দখল করার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের কাউন্সিলারের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম বর্ধমান জেলার কুলটি ডিসেরগড়ের সাঁকতোড়িয়া বাজার এলাকায়। আর রাস্তা দখল করে আসানসোল পুরসভার ১০৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার অঞ্জন মণ্ডল রাতারাতি পাঁচিল দিয়েছেন বলে অভিযোগ। যা নিয়ে এলাকায় শোড়গোল পড়ে গিয়েছে।

    রাস্তা ঘিরে পাঁচিল তৈরি করায় কী করলেন স্থানীয় বাসিন্দারা?

    সাঁকতোড়িয়া বাজারের ছোট-বড় প্রায় শ’খানেক দোকান রয়েছে। এই বাজারে আসতে এলাকার বাসিন্দারা ইসিএলের (ECL) রাস্তা ব্যবহার করেন। সেই রাস্তা দখল করে পাঁচিল দেওয়ার বিষয়টি জানাজানি হতেই এলাকাবাসী ক্ষোভে ফেটে পড়েন। সকলেই জোটবদ্ধ হয়ে পাঁচিল ভেঙে দেন। কাউন্সিলারের লোকজন এসে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু, কোনও লাভ হয়নি। পরে, পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দেন।

    স্থানীয় বাসিন্দারা কী বললেন?

    স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, সাঁকতোড়িয়া বাজার প্রায় একশো বছরের পুরানো। এই বাজারের জমির মালিক ইসিএল (ECL)। সকলেই এই জমি রাস্তা হিসেবে ব্যবহার করেন। সেই জমি কী করে কাউন্সিলার দখল করে নেয়। কারণ, এটা সম্পূর্ণ বেআইনি। নিজের ক্ষমতাকে ব্যবহার করে ওরা এসব করেছে। ভুয়ো কাগজপত্র দেখিয়ে বলছে, ইসিএলের (ECL) জমির মালিক এখন কাউন্সিলর। আমরা তা মেনে নিইনি। এদিন আমরা সকলেই এসে রাস্তার উপর তৈরি হওয়া পাঁচিল ভেঙে দিয়েছি। পুলিশ প্রশাসন নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করেছে। ঘটনার পর পরই স্থানীয় তৃণমূল নেতা চন্দন আচার্য ঘটনাস্থলে যান। তিনি বলেন, এটা তো রাস্তা। সেই রাস্তা দখল করে পাঁচিল তোলা চলবে না। আমরা মেনে নেব না। তাই, এলাকার মানুষ বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। আমরা তাঁদের সঙ্গে রয়েছি।

    কী বললেন অভিযুক্ত কাউন্সিলার?

    দলের নেতাই কাউন্সিলারের এই অপকর্ম নিয়ে সরব হয়েছেন। স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। পাঁচিল ভাঙা প্রসঙ্গে কাউন্সিলার অঞ্জন মণ্ডল বলেন, কাউন্সিলর হয়ে আমি কোনও বেআইনি কাজ করিনি। আমি আমার জমিতে পাঁচিল দিয়েছি। সেটা ওরা ভেঙে দিয়েছে। সকলের নামে আদালতে মামলা করব।

    রাস্তা দখল করা নিয়ে কী বললেন বিজেপি নেতা?

    এই বিষয়ে স্থানীয় বিজেপি নেতা অভিজিৎ আচার্য বলেন, এলাকার তৃণমূল কাউন্সিলার জমি দখল করছে, দলেরই আরেক নেতা এই অভিযোগ করছেন। এতে বোঝাই যাচ্ছে তৃণমূল নেতাদের পরিস্থিতি। সব জায়গাতেই তারা দুর্নীতিতে লিপ্ত। ইসিএলের (ECL) জমিও ওরা নিজের বলছে। এর আগে ইসিএলের বহু জমি ওই তৃণমূল নেতা বিক্রি করে দিয়েছে। এবারও সেই চেষ্টা করেছিল। এলাকার মানুষের বাধাতে আর সেটা করতে পারেনি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share