Tag: Madhyom

Madhyom

  • Jalpaiguri: ভাই ও তাঁর স্ত্রীর রহস্যমৃত্যু! মুখ্যমন্ত্রীর কাছে চিঠি দিয়ে কী দাবি জানালেন বিজেপি বিধায়ক?

    Jalpaiguri: ভাই ও তাঁর স্ত্রীর রহস্যমৃত্যু! মুখ্যমন্ত্রীর কাছে চিঠি দিয়ে কী দাবি জানালেন বিজেপি বিধায়ক?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ  ভাই ও তাঁর স্ত্রীর রহস্যমৃত্যুর ঘটনা নিয়ে পাঁচদিন আগেই  জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন ডাবগ্রাম ফুলবাড়ির বিজেপি বিধায়ক শিখা চট্টোপাধ্যায়। ১ এপ্রিল জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) শহরের পান্ডাপাড়া রোড এলাকার বাসিন্দা বিশিষ্ট সমাজসেবী সুবোধ ভট্টাচার্য এবং জলপাইগুড়ি পুরসভার প্রাক্তন ভাইস চেয়ারম্যান অপর্ণা ভট্টাচার্যের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান। এই ঘটনা নিয়ে সুবোধবাবুর দিদি তথা বিজেপি বিধায়ক জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) কোতোয়ালি থানায় কয়েকজনের নামে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ করেছিলেন। কিন্তু, পুলিশ ব্যবস্থা না নেওয়ায় বুধবার বিকেলে তিনি জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) কোতোয়ালি থানায় ফের যান। থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকের সঙ্গে দেখা করে অভিযোগ দায়ের করার পরেও কেন অভিযুক্তরা গ্রেফতার হল না, তা তিনি জানতে চান। পরে, এই ঘটনার তদন্তের দাবি জানিয়ে তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) চিঠি দেন। বিজেপি বিধায়ক বলেন, “এই ঘটনার মূল অভিযুক্ত পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান তথা যুব তৃণমূলের সভাপতি সৈকত চট্টোপাধ্যায় একজন প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তি। তাই তিনি ওই পদে যতক্ষণ বসে থাকবেন ততক্ষণ পুলিশ নিরপেক্ষ তদন্ত করবে না। তাই পুলিশের তদন্তের উপর আমাদের কোনও ভরসা নেই। যেহেতু মুখ্যমন্ত্রী আমাদের সকলের, তাই তাঁর কাছে চিঠির মাধ্যমে অনুরোধ জানালাম সৈকত চট্টোপাধ্যায় সহ যাঁরা অভিযুক্ত রয়েছেন, তাঁদের সরকারি এবং দলীয় পদ থেকে সরিয়ে পুলিশকে গ্রেফতার করার নির্দেশ দিন। অনুরোধ, মুখ্যমন্ত্রী যেন নিজেই এই ঘটনার সিবিআই তদন্ত চান।” পাশাপাশি জেলা বামফ্রন্টের পক্ষ থেকে আদালতের নজরদারিতে ঘটনার তদন্তের দাবি জানানো হয়। 

    সুইসাইড নোটে কোন নেতার নাম লেখা রয়েছে?

    জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারপার্সন অপর্ণা ভটাচার্য এবং বিশিষ্ট সমাজসেবী সুবোধ ভট্টাচার্যের রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) জেলায় রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। বিশেষ করে সুইসাইড নোট উদ্ধার হওয়ার পর থেকেই তা নিয়ে চাপানউতর শুরু হয়েছে। সূত্রের খবর, সুইসাইড নোটে তাঁদের আত্মহত্যার কারণ হিসেবে তৃণমূলের জলপাইগুড়ি জেলা যুব সভাপতি তথা পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সৈকত চট্টোপাধ্যায় ছাড়াও আরও তিন জনের নাম পাওয়া যায়। জানা গিয়েছে, অপর্ণা ভট্টাচার্য ২০০০ সালে ফরওয়ার্ড ব্লকের কাউন্সিলর হিসেবে জলপাইগুড়ি পুরসভার ভাইস চেয়ারপার্সন ছিলেন। পরবর্তীকালে তিনি তৃণমূলে যোগ দেন। বর্তমানে তিনি জলপাইগুড়ি ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশনের চাইল্ডলাইনে কর্মরত ছিলেন। তাঁর স্বামী সুবোধবাবুও চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির প্রাক্তন সদস্য। কয়েক বছর আগে তাঁদের অভিযোগের ভিত্তিতে শিশু পাচার কাণ্ডের পর্দা ফাঁস হয়েছিল। 

    এনিয়ে জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান কী বললেন?

    জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সৈকত চট্টোপাধ্যায় বলেন, “আমাকে যাঁরা জমি মাফিয়া বলছে, আমি তাঁদের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করব।” পাশাপাশি তিনি বলেন, “মনোময় সরকারের কাছ থেকে শিখা চট্টোপাধ্যায় ২১ লক্ষ টাকা নিয়েছেন বলে কোতোয়ালিতে অভিযোগ জমা পরেছে। ৪ এপ্রিল তিনি আইনজীবীর মাধ্যমে শিখা চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন। আমি চাই এই ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত হোক।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Rishra: ছন্দে ফিরছে রিষড়া, পুলিশ কমিশনারেটে ডেপুটেশন দিলেন লকেট

    Rishra: ছন্দে ফিরছে রিষড়া, পুলিশ কমিশনারেটে ডেপুটেশন দিলেন লকেট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ বুধবার থেকে কিছুটা হলেও স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে শুরু করেছে রিষড়া (Rishra)। রিষড়ার ৪ নম্বর রেলগেটের কাছে হাতেগোনা দু-একটি মুদিখানা, সব্জির দোকান খুলেছিল। স্থানীয় বাসিন্দারা আতঙ্ক কাটিয়ে রাস্তায় বেরিয়ে কেনাকাটাও করেছেন। তবে, রাস্তায় এদিন কোনও জটলা করতে দেয়নি পুলিশ। গোটা রিষড়া (Rishra) জুড়ে প্রায় ৭০০ পুলিশ কর্মী মোতায়েন রয়েছে। এদিন এলাকায় দিনভর পুলিশি টহল রয়েছে। রিষড়া, শ্রীরামপুর দুজায়গায় এদিনও ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। উত্তেজনাপ্রবণ এলাকায় বসানো হয়েছে পুলিশ পিকেট। চন্দননগর ও হুগলি গ্রামীণ পুলিশের পাশাপাশি পরিস্থিতি সামাল দিতে পাঠানো হয়েছে হাওড়া সিটি পুলিশ। বন্ধ রয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা। রিষড়ার (Rishra) ৪ নম্বর রেল গেট এলাকায় অশান্তির জেরে সোমবার রাতে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। মঙ্গলবারও আতঙ্কে বিস্তীর্ণ এলাকা একেবারে থমথমে ছিল। এমনকী ব্যান্ডেল-হাওড়া লাইনে মঙ্গলবার লোকাল ট্রেনও খাঁ খাঁ করেছিল। তবে, বুধবার ট্রেনে যাত্রীদের ভিড় ছিল।

    পুলিশ কমিশনারেটে ডেপুটেশন দিয়ে কী বললেন বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়?

    মঙ্গলবার বালি থেকে ট্রেন রুটে রিষড়ায় (Rishra) গিয়েছিলেন বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। ট্রেন থেকে নামার পর ব্যাপক পুলিশি বাধার মুখে পড়েন তিনি। পূর্ব ঘোষণা মতো রিষড়াকাণ্ড ইস্যুতে  বুধবার হুগলির চুঁচুড়ার ঘড়ি মোড়ে বিজেপি কর্মীরা জমায়েত হন। বেলা সাড়ে বারোটা নাগাদ সেখানে হাজির হন বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। দলীয় কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে তিনি পুলিশ কমিশনারেট অফিসের দিকে যান। বিজেপি-র ডেপুটেশন কর্মসূচির জন্য আগে থেকেই পুলিশ কমিশনারেটের অফিসের সামনে গার্ডরেল দিয়ে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। সেখানে প্রচুর পুলিশ কর্মী মোতায়েন ছিল। ফলে, বিজেপি কর্মীরা কমিশনারেটের অফিসের সামনে আসতেই পুলিশের সঙ্গে ব্যাপক ধস্তাধস্তি হয়। পরে, লকেট চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল পুলিশ কমিশনারের অফিসে যান। তবে, পুলিশ কমিশনার না থাকায় ডিসি (সদর) মিসেস নিধিরানির কাছে তাঁরা ডেপুটেশন জমা দেন। ডেপুটেশন দিয়ে বেরিয়ে বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন, খেলনা পিস্তল নিয়ে একজনকে রিষড়া থেকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। আর যারা ট্রেনে পাথর ছুঁড়ল, এলাকায় হামলা চালাল পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নিল না। সাগরদিঘিতে ভরাডুবি হওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রী পরিকল্পিতভাবে এসব করছে। যারজন্য হনুমান জয়ন্তীতে গন্ডগোল হবে তা তিনি আগাম বলে দিচ্ছেন। পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে দেখা করে রিষড়া (Rishra) নিয়ে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালনের জন্য বলেছি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Mobile Phone: মোবাইলে আড়াই লাখের অর্ডার দিয়ে ফেলেছে মেয়ে! একরত্তিকে কী শাস্তি দিলেন মহিলা?

    Mobile Phone: মোবাইলে আড়াই লাখের অর্ডার দিয়ে ফেলেছে মেয়ে! একরত্তিকে কী শাস্তি দিলেন মহিলা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বয়স মাত্র পাঁচ বছর। নাম লীলা ভ্যারিস্কো। আমেরিকার ম্যাসাচুসেটস-এর বাসিন্দা সে। মায়ের সঙ্গে গাড়িতে চেপে ফিরছিল বাড়ি। চালকের আসনে বসে আছেন মা। আর মেয়ে পিছনে সিটে বসে মায়ের মোবাইল (Mobile Phone) নিয়ে খেলতে ব্যস্ত।

    কিন্তু কে জানত, মোবাইল (Mobile Phone) নিয়ে খেলতে খেলতেই মেয়ে এমন ভয়ঙ্কর কাণ্ড বাধিয়ে ফেলবে! ঘটনাটা তখনই জানতে পারেননি মা। পরে বাড়ি ফিরে যখন মোবাইলের নানা জিনিস ঘাঁটাঘুঁটি করে দেখছেন, তখনই তাঁর নজর আটকে গেল একটি নামী অনলাইন কেনাবেচা সংস্থার অ্যাপে।  এ কী কাণ্ড! তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে অর্ডার চলে গেছে ওই সংস্থায়। তাও আবার এক-দু টাকার অর্ডার নয়। ডলারে যার অঙ্ক চার হাজারের কাছাকাছি। ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় আড়াই লক্ষ টাকা। কিন্তু তিনি তো অর্ডার দেননি। তাহলে কী করে এমনটা হল। না, ধাঁধার মধ্যে তাঁকে বেশিক্ষণ থাকতে হয়নি। কিছুক্ষণের মধ্যই তিনি বুঝে যান, কী করে এমনটা ঘটেছে। ‘বাই নাউ’ বাটনে ক্লিক করে দিয়েছে তাঁর আদরের কন্যাসন্তানই। ব্যস, এবার হ্যাপা সামলাও।

    মোবাইল (Mobile Phone) কী অর্ডার দিয়েছে শুনবেন?

    বাচ্চাদের খেলনা ১০টি মোটরসাইকেল, একটি জিপ এবং মেয়েদের সাত নম্বর সাইজের কাউগার্ল জুতো। এসব দেখে তো মাথায় হাত মহিলার। রাতেই ফোন করে ফেললেন সংস্থার কাস্টমার কেয়ারে। কিন্তু তখন অনেকটা সময় দেরি হয়ে গিয়েছে। হলে অর্ডার করার সব জিনিস তখনই ক্যানসেল করা যায়নি। কারণ বেশ কিছু জিনিস ওই সংস্থা যখন ডেসপ্যাচ করে দিয়েছে। ভাবছেন, ওই মহিলা আদরের মেয়েকে দু’ঘা কষিয়ে দিয়েছেন, দিয়েছেন চরম শিক্ষা। কিন্তু না তেমনটা ঘটেনি। তিনি মেয়েকে কিছুই বলেননি। তাঁর মতে, তিনি তাঁকে শাস্তি দিতে চান না। এই ঘটনার পর ভবিষ্যতের জন্য সে চরম শিক্ষা পাক, সেটাই তিনি চেয়েছেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Tribal People: আদিবাসীদের সড়ক ও রেল অবরোধে স্তব্ধ জঙ্গলমহল, ব্যাপক ভোগান্তি

    Tribal People: আদিবাসীদের সড়ক ও রেল অবরোধে স্তব্ধ জঙ্গলমহল, ব্যাপক ভোগান্তি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পূর্ব ঘোষণা মতো বুধবার পুরুলিয়ার কুস্তাউর স্টেশনে রেল অবরোধে সামিল হলেন সংগঠনের সদস্যরা (Tribal People)। এদিন সকাল থেকেই তীর, ধনুক, ধামসা-মাদল নিয়ে সংগঠনের সদস্যরা স্টেশনে এসে জমায়েত হন। পরে, বিভিন্ন দাবিদাওয়ার স্লোগান তুলে রেল লাইনে নেমে অবরোধ শুরু করেন। সকাল পাঁচটা থেকে রেল অবরোধ শুরু করে। পাশাপাশি সড়ক অবরোধ করা হয়। একইসঙ্গে ঝাড়গ্রামেও সংগঠনের পক্ষ থেকে রেল অবরোধ করা হয়। ফলে, এদিন সাধারণ মানুষ চরম নাকাল হন। হাজার হাজার যাত্রীকে দুর্ভোগ পোহাতে হয়।

    আন্দোলনের জেরে কত ট্রেন বাতিল হল?

    সকাল থেকে রেল অবরোধ করার জন্য খড়গপুর-আদ্রা শাখায় ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। দক্ষিণ-পূর্ব রেলের একাধিক ট্রেন বাতিল হয়ে যায়। আগাম রেল অবরোধের কথা ঘোষণা করায় দক্ষিণ পূর্ব রেলের মুম্বই এবং আদ্রা শাখার বেশ কয়েকটি ট্রেন বাতিল করা হয়। জানা গিয়েছে, টাটা-হাওড়া স্টিল এক্সপ্রেস, হাওড়া -হাওড়া স্টিল এক্সপ্রেস, হাওড়া-বরবিল জনশতাব্দী, হাওড়া-রাঁচি ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস বাতিল করা হয়েছে। পাশাপাশি বেশ কিছু মেমু স্পেশাল বাতিল করা হয়েছে। এমনিতেই মঙ্গলবার বেলা ১০টা নাগাদ অনির্দিষ্টকালের জন্য খড়গপুর গ্রামীণের খেমাশুলিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য জাতীয় সড়ক অবরোধ কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। এদিন জাতীয় সড়কের পাশাপাশি রেলপথও অবরোধ করা হয়। ফলে, জাতীয় সড়কে লাইন দিয়ে ট্রাক দাঁড়িয়ে রয়েছে। আর নতুন করে রেল অবরোধ শুরু হওয়ায় সাধারণ মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়ছেন।

    আন্দোলন নিয়ে কী বললেন কুড়মি সমাজের নেতা?

    আদিবাসী (Tribal People) কুড়মি জাতিকে তফশিলি উপজাতির তালিকাভুক্ত করা, সারনা ধর্মের স্বীকৃতি, কুড়মালি ভাষাকে সংবিধানের অষ্টম তফশিলের অন্তর্ভুক্ত করা-সহ রাজ্য সরকারের সিআরআই (কালচারাল রিসার্চ ইনস্টিটিউট) রিপোর্ট কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে পাঠানোর দাবিতে সংগঠনের পক্ষ থেকে রাস্তায় নেমে এই আন্দোলন করা হয়েছে। আদিবাসী (Tribal People) কুড়মি সমাজের মুখ্য উপদেষ্টা অজিত প্রসাদ মাহাত বলেন, আমরা রাজ্য সরকারকে বহুদিন ধরে সময় দিয়েছি। কিন্তু, আমাদের দাবিদাওয়ার বিষয়ে রাজ্য সরকারের কোনও হেলদোল নেই। তাই, আমরা এর আগেই এই কর্মসূচি নেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলাম। রাজ্য সরকার আমাদের দাবির বিষয়ে বিবেচনা না করলে আমরা এই আন্দোলন আরও জোরদার করব। প্রয়োজনে জঙ্গলমহল স্তব্ধ করে দেব। এর আগে ‘কুড়মি সমাজ পশ্চিমবঙ্গ’ সংগঠনের রাজ্য সভাপতি রাজেশ মাহাত বলেন, ১ এপ্রিল থেকে রাজ্যের ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া ও পুরুলিয়া সহ বিহার, ঝাড়খণ্ড ও ওড়িশা রাজ্যের জঙ্গলমহল এলাকা জুড়ে ‘ঘাঘর ঘেরা’ নামে লাগাতার আন্দোলন কর্মসূচি নেওয়া হয়। দাবিদাওয়া আদায়ে এবার সেই আন্দোলন আরও জোরদার করা হল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Horse Carriage: ফাইট, মোস্তাক ফাইট! ৬৫ বছর বয়সেও শনশন করে টমটম ছোটাচ্ছেন মোস্তাক

    Horse Carriage: ফাইট, মোস্তাক ফাইট! ৬৫ বছর বয়সেও শনশন করে টমটম ছোটাচ্ছেন মোস্তাক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অদম্য ইচ্ছাশক্তি। সঙ্গে সাহসও। এমনই দুই বৈশিষ্ট্যের যেন মেলবন্ধন বছর ৬৫ এর মোস্তাক আলি। ছোটবেলা থেকেই সংসারের জন্য লড়াই আর লড়াই। টমটম অর্থাৎ ঘোড়ার গাড়িই (Horse Carriage) তাঁর বন্ধু, জীবনসঙ্গী। তাই এলাকায় টমটম চালক হিসাবেই সুপরিচিত মোস্তাক।

    কলিয়াচকের (Kaliachak) ২ নম্বর ব্লকের পীরুটোলা গ্রামের বাসিন্দা তিনি।  এই এলাকায় ৪টি ঘোড়ার গাড়ি দৌড়ায়। তার মধ্যে মোস্তাকেরটিই বেশি পরিচিত। কারণ এই বয়সেও (Old Age) তিনি অবিরাম একই কাজ করে চলেছেন উৎসাহের সঙ্গে। মুখে মৃদু হাসি, চোখেমুখে বয়সের ছাপ। তবুও যেন হার না মানা চরিত্র।

    এই মানুষটি তাঁর পেশা সম্পর্কে কী বলছেন?

    মোস্তাক আলি বলেন,  “ছোট থেকেই আমি এই কাজ করছি। অন্য কাজ আর কীই বা করব? তাই সাতপাঁচ না ভেবে এই কাজটিই আমি জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত করতে চাই।” জানা গেল, তাঁর দৈনিক আয় ২০০ থেকে ৪০০ টাকা, যা আজকের বাজারে অনেক কম হলেও সাহস আর মনের জোরে টমটম চালক হিসাবেই রয়েছেন কলিয়াচকে। বললেন, এক সময় অনেক যাত্রী হত। কিন্তু আজকাল কমে গেছে। তাই দোকানহাটে মাল বহন করে যা আয় হয়, তাতেই সংসার (Family) চলে। তিনি জানান, এক সময় এই অঞ্চলে পাঁচশোর বেশি ঘোড়ার গাড়ি (Horse Carriage) ছিল। সেসব গাড়ি বৈষ্ণবনগর, মোথাবাড়ি, সাহাবাজপুর, গোলাপগঞ্জ, কালিয়াচক প্রভৃতি রুটে ছুটে বেড়াত। তিনি এখন মোথাবাড়ি, অচিনতলা সিলামপুর ও কালিয়াচক রুটে ঘোড়ার গাড়ি চালিয়েই জীবিকার নির্বাহ করেন।

    এই বয়সেও অনেকের কাছে অনুপ্রেরণা মোস্তাক

    এক সময় এই এলাকা সহ পশ্চিমবঙ্গের অনেক জায়গাতেই যোগাযোগের (Communication) মাধ্যম হিসাবে ব্যবহৃত হত এই টমটম। কিন্তু কালের নিয়মে তা আজ শেষের পথে। আজ এই এলাকায় ঘোড়ার গাড়ির সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ৪টিতে। তবুও এই বয়সে মনের জোর নিয়েই মোস্তাক তাঁর ঘোড়ার গাড়িকে (Horse Carriage) ছুটিয়ে নিয়ে চলেছেন কলিয়াচক জুড়ে। আজ ৬৫ বছর বয়সেও তিনি নিজে অনেকের কাছেই অনুপ্রেরণা। কখনও নিজের মনে মনে গান করে ছুটিয়ে নিয়ে চলেন তাঁর টমটম। আর এইসবই তাঁকে আরও উৎসাহ আর মনের জোর দেয় বলে দাবি মোস্তাকের।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nabanna: বাজেট বরাদ্দের টাকা খরচে ফের নিষেধাজ্ঞা জারি করল নবান্ন, সরব বিজেপি

    Nabanna: বাজেট বরাদ্দের টাকা খরচে ফের নিষেধাজ্ঞা জারি করল নবান্ন, সরব বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কোভিডের (COVID) সময় ব্যয় সংকোচ ঘটাতে বিশেষ নির্দেশিকা জারি করেছিল রাজ্যের অর্থ দফতর। অর্থনীতির ভাষায় একে বলা হয় এমবার্গো।
    করোনা দেশের বিভিন্ন জায়গায় চোখ রাঙালেও পশ্চিমবঙ্গে এখনও পর্যন্ত তার কোনও প্রভাব নেই। জনজীবনও কার্যত স্বাভাবিক। সরকারের তরফে খেলা, মেলা, দান, খয়রাতি সবকিছুই চলছে অত্যন্ত স্বাভাবিকভাবেই।  

    কিন্তু করোনার রেশ কাটিয়ে উঠতে পারেনি অর্থ দফতর। তার প্রমাণ মিলল একটি নির্দেশিকায়, যা জারি করা হয়েছে ৩০ মার্চ এবং কার্যকর নতুন বছরের শুরু, ১ এপ্রিল থেকেই। নতুন অর্থবর্ষের শুরু থেকেই অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা সংক্রান্ত ওই বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে নবান্ন (Nabanna)। যা থেকে একটা বিষয় পরিষ্কার, সরকার বাইরে সবকিছু স্বাভাবিক দেখাতে চাইলেও ভিতরে ভিতরে আসলে কঙ্কালসার হয়ে গিয়েছে।

    কী বলা হয়েছে ওই বিজ্ঞপ্তিতে? 

    ওই বিজ্ঞপ্তিতে পরিষ্কার জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দফতর বাজেট (Budget) বরাদ্দের কত শতাংশ টাকা খরচ করতে পারবে। এতেই দেখা যাচ্ছে, বেতন, অনুদান, হাসপাতালের ওষুধ এবং অন্যান্য খরচ বাবদ ৫০ শতাংশ পর্যন্ত টাকা ছাড়া যাবে, তার বেশি কোনওভাবেই নয়। বহু ক্ষেত্রেই কোনও দফতর ২৫ শতাংশের বেশি অর্থ খরচ করতে পারবে না বলে পরিষ্কার জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, কী কী শর্ত পূরণ করে ওই টাকা খরচ করা যাবে, তাও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে নির্দেশিকায়।

    কী বলল বিজেপি? 

    এই নির্দেশিকার কথা প্রকাশে আসতেই রাজ্য বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব কড়া সমালোচনা করেছে। তাদের বক্তব্য, ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে নানা কথা বলা হলেও বাস্তবে সরকারের ভাঁড়ারে কোনও টাকাই নেই। রাস্তাশ্রী হোক বা কন্যাশ্রী, কোনও প্রকল্পই আর বেশিদিন চলবে না। ঠিকাদাররা পেমেন্ট পাবেন না। সরকারকে যারা পণ্য সরবরাহ করে, তারা টাকা পাবে না। হাসপাতালে ওষুধ সরবরাহ হবে না, রাস্তা সারাই হবে না, রাস্তার আলো জ্বলবে না, সেচের জল পাওয়া যাবে না, সরকারি কর্মচারী, শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বেতন পর্যন্ত অনিয়মিত হয়ে পড়বে। মাথার উপর সাড়ে ছয় লক্ষ কোটি টাকার ঋণ। বোঝাই যায়, এই সরকারের আয়ু আর কতদিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sagar Dutta Medical College: কামারহাটি সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজে বাড়ছে পোস্ট গ্র্যাজুয়েটের আসন সংখ্যা! কত জানেন?

    Sagar Dutta Medical College: কামারহাটি সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজে বাড়ছে পোস্ট গ্র্যাজুয়েটের আসন সংখ্যা! কত জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক কামারহাটির (Kamarhati) সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজে (Sagar Dutta Medical College) আন্ডার গ্র্যাজুয়েটে আগেই আসন সংখ্যা বেড়েছিল। এবার এই মেডিক্যাল কলেজে পোস্ট গ্র্যাজুয়েটে আসন সংখ্যা বাড়তে চলেছে। আর সেই জন্যই হাসপাতালের পরিকাঠামো উন্নয়নের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। এমনিতেই এই কলেজে আন্ডার গ্র্যাজুয়েটে আগে ১০০টি আসন ছিল। এখন তা বেড়ে ১২৫টি হয়েছে। আর পোস্ট গ্র্যাজুয়েটে ৪০টি আসন রয়েছে। এবার সেখানে আরও ৫০টি আসন বাড়তে চলেছে। নতুন করে ৫০টি আসন সংখ্যা বাড়লে পোস্ট গ্র্যাজুয়েটে মোট ৯০টি আসন হবে।

    সাগর দত্তে (Sagar Dutta Medical College) পরিকাঠামো উন্নয়নে কী করা হচ্ছে?

    আসন সংখ্যা বাড়ানোর পাশাপাশি পড়ুয়াদের হস্টেল থেকে শুরু করে সমস্ত রকম পরিকাঠামো থাকার প্রয়োজন। তাই, এখন থেকে সেই কাজ শুরু হয়েছে। পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্যই ইতিমধ্যে স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে ১৫ কোটি টাকা অনুমোদন করা হয়েছে। সাগর দত্ত হাসপাতাল (Sagar Dutta Medical College) চত্বরের মধ্যেই নতুন করে বিল্ডিং তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ পার্থপ্রতীম প্রধান বলেন, এবার পোস্ট গ্র্যাজুয়েটে আরও ৫০টি আসন বাড়তে চলেছে। তবে, শুধু আসন বাড়ালে তো হবে না, উপযুক্ত পরিকাঠামো তৈরি করতে হবে। এবার সেই কাজও আমরা শুরু করেছি।

    হাসপাতাল (Sagar Dutta Medical College) সূত্রে কী জানা যাচ্ছে? 

    হাসপাতাল ও কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই হাসপাতালে (Sagar Dutta Medical College) এখন মোট বেড রয়েছে প্রায় ৬০০টি। সিসিইউ ইউনিট রয়েছে। তবে, কার্ডিওলজি বিভাগ নেই। যদিও হার্টের সাধারণ চিকিৎসা এই হাসপাতালে হয়। কিন্তু, কোনও রোগীর স্টেন্ট বসানোর প্রয়োজন হলে তাঁকে রেফার করা ছাড়া উপায় থাকে না। জানা গিয়েছে, হাসপাতালটি (Kamarhati) এখন ছয় তলার। এবার সেখানেই আরও নতুন করে তিনটি তলা তৈরি করা হবে। ইতিমধ্যেই সাততলা তৈরির কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। এমনিতেই এই হাসপাতালে প্রয়োজনের তুলনায় জায়গা কম। তাই, আলাদা ক্যাম্পাস তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

    স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশ মেনে ইতিমধ্যেই খড়দহের বলরাম হাসপাতালে (Sagar Dutta Medical College) সেকেন্ড ক্যাম্পাসের জন্যই পরিদর্শনও করা হয়েছে। সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজের কর্মকর্তারা বলরাম হাসপাতালের পরিকাঠামো খতিয়ে দেখেছেন। এই হাসপাতালে আদৌ মেডিক্যাল কলেজের সেকেন্ড ক্যাম্পাস করা যাবে কি না তার সার্বিক রিপোর্ট স্বাস্থ্য ভবনে জমা করা হয়েছে। সেখান থেকে অনুমোদন আসার পরই পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Toilet: পঞ্চায়েত সদস্য বিজেপির হওয়ায় গ্রামে কারও বাড়িতে নেই শৌচালয়! কোথায় জানেন?

    Toilet: পঞ্চায়েত সদস্য বিজেপির হওয়ায় গ্রামে কারও বাড়িতে নেই শৌচালয়! কোথায় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ পঞ্চায়েত সদস্যা বিজেপির। তাই, দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট ব্লকের ভাটপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের কলাইবাড়ি গ্রামে “নির্মল বাংলা মিশন” এর প্রভাব এখনও পড়েনি। এই অঞ্চলের আদিবাসী পাড়ার সমস্ত মানুষকে মাঠে ঘাটে খোলা আকাশের নীচেই শৌচকর্ম করতে হয়। বছর তিনেক আগে এই জেলাকে নির্মল ঘোষণা করা হয়েছিল। দক্ষিণ দিনাজপুরের জেলা প্রশাসন যাতে মানুষকে মাঠে ঘাটে শৌচকর্ম করতে না যেতে হয় তারজন্য প্রচারও করেছিল। খোলা জায়গায় শৌচকর্ম করার জন্য জরিমানাও করতে দেখা যায় প্রশাসনকে। প্রতিটি পঞ্চায়েতে এই সচেতনতা মূলক অভিযান চালানো হয়। কিন্তু, এই এলাকায় বাড়ি বাড়ি শৌচালয় (Toilet) করে দেওয়ার কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ।

    কী বললেন স্থানীয় বাসিন্দারা? Toilet

    স্থানীয় বাসিন্দা সঞ্জয় মার্ডি বলেন, যা রোজগার করি তা দিয়ে কোনওরকমে সংসার চালাই। বাড়িতে শৌচালয় (Toilet) তৈরি করার মতো আর্থিক অবস্থা আমাদের নেই। এক গৃহবধূ বলেন, “খোলা আকাশের নীচে শৌচকর্ম করা ঠিক নয় তা জানি, কিন্তু, নিজের পয়সা দিয়ে শৌচালয় (Toilet) তৈরি করার মত সামর্থ্য আমাদের নেই। শুধু বাড়িতে নয়, স্থানীয় বিদ্যালয়েও নেই শৌচাগার। বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা কল্পনা মণ্ডল বলেন, আমাদের বিদ্যালয়ে শৌচাগারটি দীর্ঘদিন ধরে খারাপ হয়ে রয়েছে। পড়ুয়াদের চরম সমস্যা হয়।

    কী বললেন বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্যা? Toilet

    বিজেপি-র পঞ্চায়েত সদস্যা মীরা মণ্ডল বলেন, গ্রাম পঞ্চায়েতটি তৃণমূলের দখলে রয়েছে। আর আমি বিজেপির সদস্য বলে এলাকায় কোনও উন্নয়ন ওরা করছে না। আমরা শৌচালয় (Toilet) তৈরি করার জন্য বহুবার বলেছি। কিন্তু, ওরা কোনও কর্ণপাত করেনি। ফলে, আমার বুথে সেভাবে কোনও উন্নয়ন নেই।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব? Toilet

     বিজেপির তোলা এই অভিযোগকে অস্বীকার করেছেন তৃণমূলের জেলা কো-অর্ডিনেটর সুভাষ চাকি। তিনি বলেন, বিজেপি সদস্য রয়েছে বলে ওই এলাকায় শৌচালয় (Toilet)  তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়নি তা ঠিক নয়। এটা বিক্ষিপ্ত ঘটনা। ইতিমধ্যে প্রশাসনকে এ ব্যাপারে জানানো হয়েছে। খুব দ্রুতই এই প্রকল্পের কাজ শুরু হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: রিষড়াকাণ্ডে পুলিশি বাধার মুখে সুকান্ত-লকেট, ধর্নায় বসতে দেওয়া হল না বিজেপি কর্মীদের

    Sukanta Majumdar: রিষড়াকাণ্ডে পুলিশি বাধার মুখে সুকান্ত-লকেট, ধর্নায় বসতে দেওয়া হল না বিজেপি কর্মীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ সোমবার রিষড়াকাণ্ডে জখম বিজেপি বিধায়ক বিমান ঘোষকে হাসপাতালে দেখে ফেরার পথে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে (Sukanta Majumdar) কোন্নগর বিশালাক্ষীতলায় আটকায় পুলিশ। রিষড়া যেতে তাঁকে বাধা দেওয়া হয়। সেখানেই তিনি প্রায় পাঁচ ঘণ্টা অবস্থানে বসেন। পরে, মঙ্গলবার শ্রীরামপুর বটতলায় ধর্নায় বসবেন বলে তিনি ঘোষণা করেছিলেন। এদিন সেখানে মঞ্চ তৈরির কাজ চলছিল। চন্দননগর পুলিশ কমিশনারটের এক আধিকারিক বলেন, এই ধর্নার কোনও অনুমতি নেই। সাধারণ মানুষের যাতে কোনও অসুবিধা না হয়, সেই কারণেই এখানে এখন কোনও কর্মসূচির অনুমতি দেওয়া যাচ্ছে না। যদিও শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি মোহন আদক বলেন, তাঁরা ইমেল করে অনুমতি নিয়েছেন। মানুষের কোনও অসুবিধা না করে ধর্না দিতে চান। তবে, ধর্না মঞ্চ খুলে নেওয়ার পরেই থানায় যান স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব। এদিন সকালে দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে পুজো দিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) শ্রীরামপুর যাওয়ার জন্য রওনা দেন। কিন্তু, ডানকুনির জগন্নাথপুর মোড়ে দিল্লি রোডে বিজেপির রাজ্য সভাপতিকে পুলিশ বাধা দেয়। পুলিশের সঙ্গে বিজেপি কর্মীদের বচসা হয়। পরে, বিজেপি কর্মীরা পুলিশের বিরুদ্ধে স্লোগান তুলে বিক্ষোভ দেখান।

    কী বললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি?  Sukanta Majumdar

    এদিন দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে পুজো দিয়ে বেরিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, বাংলা থেকে অশান্ত মুক্ত করার জন্য মায়ের কাছে প্রার্থনা জানিয়েছি। দক্ষিণেশ্বর থেকে বেরিয়ে শ্রীরামপুর যাওয়ার পথে ডানকুনিতে তাঁকে পুলিশ বাধা দেয়। সেখানে দাঁড়িয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি (Sukanta Majumdar) বলেন, রিষড়ায় আমাদের কর্মীরা আক্রান্ত হয়েছেন। সেই পরিবারের পাশে থাকার জন্যই আমরা সেখানে যেতাম। কিন্তু, আমাদের ডানকুনি এলাকায় আটকে দেওয়া হয়। এই এলাকায় ১৪৪ ধারা নেই। অথচ সেখানে আমাকে বাধা দেওয়া হল। রিষড়ায় শান্তি ফেরাতে অবিলম্বে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা প্রয়োজন। ডিজি, পুলিশ মন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করছি।

    ট্রেনে করে কেন রিষড়ায় গেলেন বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়?

    শ্রীরামপুর ও রিষড়া এলাকায় মঙ্গলবারও ১৪৪ ধারা জারি ছিল। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সহ সাংসদদের এলাকায় ঢুকতে দেওয়া হয়নি। পুলিশ বাধা এড়াতে এদিন দলীয় কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে বালি স্টেশন থেকে ট্রেনে করে বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় সোজা রিষড়া স্টেশনে যান। ট্রেন থেকে নামতেই পুলিশ কর্মীরা তাঁকে আটকে দেন। এনিয়ে পুলিশ কর্মীদের সঙ্গে তাঁর ব্যাপক বচসা হয়। পরে, বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন, আমাদের না আটকে রামনবমীর মিছিলের দিন রিষড়ায় পুলিশ যদি হামলাকারীদের আটকাতে পারত, তাহলে হিন্দুরা নিরাপদে থাকত। আসলে এই সরকার আগুন নিয়ে খেলছে। এই আগুনে ওদেরও হাত পুড়বে।

    মঙ্গলবার রিষড়া এবং শ্রীরামপুরের সার্বিক অবস্থা কেমন ছিল?

    রিষড়া, শ্রীরামপুর এলাকা জুড়ে সোমবার রাত থেকে পুলিশি টহলদারি শুরু হয়েছে। দুজায়গায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। উত্তেজনাপ্রবণ এলাকায় বসানো হয়েছে পুলিশ পিকেট। চন্দননগর ও হুগলি গ্রামীণ পুলিশের পাশাপাশি পরিস্থিতি সামাল দিতে পাঠানো হয়েছে হাওড়া সিটি পুলিশ। বন্ধ রয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা। দোকানপাটও প্রায় বন্ধ। রিষড়ায় ৪ নম্বর রেল গেট এলাকায় অশান্তির জেরে সোমবার রাতে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। মঙ্গলবারও সকাল থেকে আতঙ্কে ও আশঙ্কায় বিস্তীর্ণ এলাকা একেবারে থমথমে। এতটাই যে ব্যান্ডেল-হাওড়া লাইনে মঙ্গলবার লোকাল ট্রেনও খাঁ খাঁ করেছে। সোমবার রাতে রিষড়া ৪ নম্বর রেলগেটে গন্ডগোলের ঘটনায় ৩৬ জনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • High Court: পুলিশি হেফাজতে নাবালকের মৃত্যু, ১৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ হাইকোর্টের

    High Court: পুলিশি হেফাজতে নাবালকের মৃত্যু, ১৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২০ সালের ঘটনা। স্থান বীরভূমের মল্লারপুর। চোর সন্দেহে আটক করা এক নাবালককে থানার মধ্যে পিটিয়ে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছিল পুলিশের বিরুদ্ধে। এই ঘটনার তোলপাড় হয়েছিল রাজ্য রাজনীতি। পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়ে পথে নেমেছিল বিজেপি। চাপে পড়ে থানার দুই অফিসারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হলেও ছাড় দেওয়া হয়েছিল ওসিকে। বিষয়টি যায় হাইকোর্ট (High Court) পর্যন্ত। অবশেষে সেই মামলায় উল্লেখযোগ্য রায় দিল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ।

    কত দিনের মধ্যে পরিবারের হাতে টাকা তুলে দেওয়ার নির্দেশ দিল হাইকোর্ট?

    মঙ্গলবার এই মামলায় মৃত নাবালকের পরিবারকে ১৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্টের (High Court) ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ। আদালতের নির্দেশ, ১৫ দিনের মধ্যে ওই টাকা পরিবারের হাতে তুলে দিতে হবে। পুলিশ যে ওই ঘটনায় আইন মেনে কাজ করেনি, এদিন হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণে তা পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে। হাইকোর্ট জানিয়ে দিয়েছে, পুলিশ ভবিষ্যতে যদি কোনও ব্যবস্থা নেয়, তা যেন জুভেনাইল জাস্টিস আইন মেনেই করা হয়।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    ঘটনাটি ঘটেছিল ২০২০ সালের ২৯ অক্টোবর। রেলপাড়ের খালাসিপাড়ার বাসিন্দা এক নাবালককে চোর সন্দেহে গ্রেফতার করা হয়েছিল। কিন্তু পরে থানার মধ্যেই একটি ঘরে তার ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়। স্থানীয় বাসিন্দারা এই ঘটনা জানাজানি হতেই বিক্ষোভ শুরু করে দেন। তাদের অভিযোগ, ওই যুবককে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। হাইকোর্ট প্রথমে ওই ঘটনায় রিপোর্ট তলব করেছিল। ইতিমধ্যে ওই ঘটনাকে ঘিরে এলাকার পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।  বিজেপি এই ঘটনায় তদন্তের দাবি জানিয়ে আন্দোলন শুরু করে। আসরে নামে শাসকদল। তাদের বক্তব্য ছিল, বিজেপি রাজনৈতিক স্বার্থে আন্দোলন করছে। কিন্তু মঙ্গলবারের রায়ে বিজেপির অভিযোগই কার্যত মান্যতা পেল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share