Tag: Madhyom

Madhyom

  • Worker: বন্ধ হয়ে গেল জুটমিল! কাজ হারালেন তিন হাজার শ্রমিক, কোথায় জানেন?

    Worker: বন্ধ হয়ে গেল জুটমিল! কাজ হারালেন তিন হাজার শ্রমিক, কোথায় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ অন্যদিনের মতো মঙ্গলবার সকালে শ্রমিকরা (Worker) কাজে যোগ দিতে যান। গেটের বাইরে দেখেন, মিলে টেম্পোরারি সাসপেনশন অফ ওয়ার্কের নোটিশ দেওয়া রয়েছে। আর সাসপেনশনের পিছনে শ্রমিক অসন্তোষকে দায়ী করা হয়েছে। ফলে, এদিন সকাল থেকে বন্ধ হয়ে গেল জগদ্দলের অ্যাংলো ইন্ডিয়া জুটমিল। আর কাজ হারালেন মিলের স্থায়ী-অস্থায়ী মিলিয়ে প্রায় তিন হাজার শ্রমিক (Worker)। এদিন সকালে মিলে যোগ দিতে এসে কর্তৃপক্ষের নোটিশ দেখে কর্মীরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। তাঁদের অভিযোগ, কোনও কিছু আলোচনা না করেই কর্তৃপক্ষ নিজের মতো করে মিল বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অবিলম্বে মিল চালু করার তাঁরা দাবি জানান।

    কেন মিল বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিল কর্তৃপক্ষ? Worker

    মিল সূত্রে জানা গিয়েছে, এই মিলে তাঁত বিভাগে পুরানো মেশিন তুলে ফেলার অভিযোগ ঘিরে সোমবার সকাল থেকেই গন্ডগোলের সূত্রপাত। তাঁত ঘর থেকে মিল কর্তৃপক্ষ বেশ কয়েকটি মেশিন উঠিয়ে নেন বলে অভিযোগ ওঠে। কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে মিলের চারজন শ্রমিক (Worker) কাজ বন্ধ রেখে ধর্মঘটে সামিল হন। তাঁদের বক্তব্য, এতদিন ধরে ওই মেশিনে শ্রমিকরা কাজ করে এসেছেন। আচমকা কাউকে কোনও কিছু না জানিয়ে মেশিন উঠিয়ে নেওয়া হল কেন? পরিকল্পিতভাবে কর্তৃপক্ষ মেশিন উঠিয়ে নেয়। শুধু তাই নয়, সোমবার বেলা দুটো নাগাদ কাজে যোগ দিতে আসা শ্রমিকদের (Worker) তাঁরা কাজ করতে বাধা দেন বলে অভিযোগ। ফলে, মিলে উৎপাদন কার্যত ব্যাহত হয়। সোমবার রাতে কর্তৃপক্ষের ওই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে তাঁত ঘরের মধ্যে ওই চারজন ফের গন্ডগোল করে বলে অভিযোগ। পরিস্থিতির সামাল দিতে রাতেই জুটমিলে পুলিশ আসে। পুলিশ আসার পর মিলে নতুন করে আর কোনও গন্ডগোল হয়নি। তবে, দিনভর অশান্তির জেরে মিলে উত্পাদন ব্যাহত হওয়ায় মিলের গেটে সাসপেনশনের নোটিশ ঝুলিয়ে দেয় মিল কর্তৃপক্ষ। নোটিশে, ব্যাচিং থেকে তাঁত বিভাগে উৎপাদন বন্ধ রাখা হয়েছে। আর মিলে ঝামেলা পাকানোর অভিযোগে অভিযুক্ত চারজনকে মিলে ঢুকতে দেওয়া হবে না বলা হয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Tribal People: ফের অনির্দিষ্টকালের জন্য জাতীয় সড়ক অবরোধ করে আন্দোলনে আদিবাসীরা, কেন জানেন?

    Tribal People: ফের অনির্দিষ্টকালের জন্য জাতীয় সড়ক অবরোধ করে আন্দোলনে আদিবাসীরা, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ দাবি এখনও পূরণ হয়নি। রাজ্যকে বিঁধে কুড়মিদের (Tribal People) নতুন করে আন্দোলন শুরু হল। মঙ্গলবার বেলা ১০টা নাগাদ অনির্দিষ্টকালের জন্য খড়গপুর গ্রামীণের খেমাশুলিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য জাতীয় সড়ক অবরোধ কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। যার জেরে ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কে যান চলাচল ব্যাহত হয়। তবে, মঙ্গলবার তাদের আন্দোলন জাতীয় সড়কের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলেও বুধবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য রেল অবরোধ কর্মসূচি পালন করা হবে। গত বছর দাবি আদায়ে কুড়মিরা (Tribal People) লাগাতার রেল অবরোধ কর্মসূচি গ্রহণ করেছিলেন। যার জেরে হাজার হাজার যাত্রীদের চরম নাকাল হতে হয়েছিল। গতবারের ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে ৫ এপ্রিল দক্ষিণ পূর্ব রেলের মুম্বই এবং আদ্রা শাখার বেশ কয়েকটি ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। তাই, দাবি আদায়ে বুধবার থেকে জাতীয় সড়ক এবং রেল যোগাযোগ বন্ধ হ‌লে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ চরমে উঠবে বলে আশঙ্কা রয়েছে।

    কী কারণে আন্দোলনে কুড়মি সমাজ? Tribal People

    আদিবাসী (Tribal People) কুড়মি জাতিকে তফশিলি উপজাতির তালিকাভুক্ত করা, সারনা ধর্মের স্বীকৃতি, কুড়মালি ভাষাকে সংবিধানের অষ্টম তফশিলের অন্তর্ভুক্ত করা-সহ রাজ্য সরকারের সিআরআই (কালচারাল রিসার্চ ইনস্টিটিউট) রিপোর্ট কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে পাঠানোর দাবিতে ১ এপ্রিল থেকে জঙ্গলমহলে শুরু হয়েছে ‘ঘাঘর ঘেরা’ নামে অবরোধ কর্মসূচি। ‘কুড়মি সমাজ পশ্চিমবঙ্গ’ সংগঠনের রাজ্য সভাপতি রাজেশ মাহাত আগেই পশ্চিম মেদিনীপুরের খেমাশুলি-তে সাংবাদিক বৈঠক করে জানিয়েছিলেন, ১ এপ্রিল থেকে রাজ্যের ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া ও পুরুলিয়া সহ বিহার, ঝাড়খণ্ড ও ওড়িশা রাজ্যের জঙ্গলমহল এলাকা জুড়ে ‘ঘাঘর ঘেরা’ নামে লাগাতার আন্দোলন কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। এতদিন সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত রাস্তা অবরোধ চলেছে। ৪ঠা এপ্রিল থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য খড়গপুর গ্রামীণের খেমাশুলিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য জাতীয় সড়ক অবরোধ কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে। পূর্ব ঘোষণা মত এদিন সংগঠনের সদস্যরা (Tribal People) জাতীয় সড়কে জমায়েত হয়। পরে, লাগাতার আন্দোলন শুরু করেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Mother-in-law: পাত্রী দেখতে এসে হবু শাশুড়িকে নিয়ে পালাল  যুবক! কোথায় জানেন?

    Mother-in-law: পাত্রী দেখতে এসে হবু শাশুড়িকে নিয়ে পালাল যুবক! কোথায় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ পাত্রী দেখতে এসে পাত্রীর মা’‌কে পছন্দ হয়ে যায় পাত্রের। এক দেখাতেই তাঁকে বিয়ে করার মনস্থ করেন হবু পাত্র। বাড়ির সকলের মধ্যেই হবু শাশুড়ির (Mother-in-law) সঙ্গে মন দেওয়া নেওয়া হয়ে যায় তাঁর। আর সুযোগ বুঝে পাত্রীর মাকে নিয়ে চম্পট দেয় হবু পাত্র। এমনই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে গাজোল থানার করকচ গ্রাম পঞ্চায়েতের বিপ্লবী পাড়ায়। ইতিমধ্যেই স্ত্রীর খোঁজে তাঁর ছবি হাতে নিয়ে গাজোল থানার দ্বারস্থ হয়েছেন তাঁর স্বামী অমল সাউরিয়া। থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, অভিযোগ হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    ঠিক কী ঘটেছিল? Mother-in-law

    গত ২৫ মার্চ অতুল বর্মন নামে এক যুবক গাজোল থেকে করকচ গ্রাম পঞ্চায়েতের বিপ্লবী পাড়ায় পাত্রী দেখতে আসেন। দেখাশোনার সময় মেয়ের পাশে বসেছিলেন মা। হবু শাশুড়িকে (Mother-in-law) দেখেই মন মজে যায় অতুলের। হবু পাত্রের চোখের ইশারাও বুঝতে অসুবিধা হয়নি পাত্রীর মা সরলা সাউরিয়ার। এক ঘর লোকজনের মাঝে হবু শাশুড়ির (Mother-in-law) সঙ্গে অতুল বেশ কিছুক্ষণ কথাও বলেন। পাত্রীর মায়ের সঙ্গে হবু বর কথা বলাতে দুই বাড়ির কেউ তেমন সন্দেহ করেনি। দেখাশোনা শেষ হওয়ার পর পাত্রের বাড়ির লোকজন ফিরে যান। কিছুক্ষণ পর বাজারে যাচ্ছি বলে সরলাদেবী বাড়ি থেকে বের হন। আর তিনি বাড়ি ফিরে আসেননি। প্রথমে বাড়ির লোকজন চারিদিকে খোঁজাখুঁজি করেন। কিন্তু, কোথাও তাঁর হদিশ পাননি। পরে, হবু পাত্র তাঁকে নিয়ে গিয়েছে বলে পরিবারের লোকজন জানতে পারেন।

    কী বললেন নিখোঁজ হওয়া স্ত্রীর স্বামী? Mother-in-law

    ইতিমধ্যেই পুলিশ প্রশাসনের কাছে স্ত্রীর ছবি দেখিয়ে তাঁকে ফিরিয়ে দেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন তাঁর স্বামী অমল সাউরিয়া। অমলবাবু বলেন, আমাদের তিন সন্তান রয়েছে। মেয়ে বিবাহযোগ্য। মেয়ের বিয়ের জন্যই আমরা চারিদিকে পাত্রের খোঁজ করছিলাম। মেয়ের দেখাশোনা পর্ব অনেকটাই এগিয়েছিল। পাত্রপক্ষ বাড়ি ফিরে যায়। পরে, স্ত্রী বাজারে যাওয়ার পর আর না ফেরায় চারিদিকে খোঁজ করি। কয়েকদিন পর জানতে পারি, হবু পাত্র আমার স্ত্রীকে নিয়ে পালিয়েছে। জানা গিয়েছে, তাঁরা ভিন রাজ্যে রয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Rishra: বোমাবাজি, ইটবৃষ্টি, স্তব্ধ ট্রেন চলাচল! সোমবার রাতে ফের অগ্নিগর্ভ রিষড়া, থমথমে মঙ্গলবার সকালেও

    Rishra: বোমাবাজি, ইটবৃষ্টি, স্তব্ধ ট্রেন চলাচল! সোমবার রাতে ফের অগ্নিগর্ভ রিষড়া, থমথমে মঙ্গলবার সকালেও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবার রাতের অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির পর মঙ্গলবার সকালে থমথমে রিষড়া। সকাল থেকে এলাকায় টহল দিচ্ছে পুলিশ। হাওড়া-ব্যান্ডেল শাখার ট্রেনগুলি কার্যত খালি ছিল সকালে। ট্রেন চলাচল যাতে স্বাভাবিক থাকে তার জন্য লাইনের ধারে মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল আরপিএফ বাহিনী। এলাকায় জারি ১৪৪ ধারা। যদিও, মানুষের মধ্যে আতঙ্কের ছাপ স্পষ্ট।

    দু’দিন আগেই রাম নবমীর শোভাযাত্রায় হামলাকে কেন্দ্র করে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল রিষড়ায় (Rishra)। সোমবার রাত নামতেই ফের অশান্তি ছড়াল রিষড়া স্টেশনের আশপাশের এলাকায়। কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় গোটা এলাকা। আর তার জেরেই সোমবার রাত থেকে হাওড়া-ব্যান্ডেল শাখায় প্রায় তিন ঘণ্টা আপ ও ডাউন লাইনে ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখা হয়। ঘটনার সময় আপ ব্যান্ডেল লোকাল রিষড়া (Rishra) স্টেশনে এসে দাঁড়িয়েছিল। ৪ নম্বর রেল গেটের কাছে অশান্তির জেরে ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখা হয়। ট্রেনের ভিতরে তখন অফিস ফেরত নিত্যযাত্রীতে ঠাসা।

    বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে রেল লাইন লক্ষ্য করে পাথর ছোড়ার অভিযোগ ওঠে। যার জেরে যাত্রীরা আতঙ্কিত হয়ে ট্রেনের অধিকাংশ দরজা, জানলা বন্ধ করে দেন। ট্রেনের ভিতরেই তিন ঘণ্টা চরম আতঙ্কের মধ্যে তাঁরা কাটান। যাত্রীদের বক্তব্য, স্টেশনে প্রথম দিকে হাতে গোনা কয়েকজন পুলিশ কর্মী ছিলেন। ফলে, চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছিলাম। আর বাইরে ব্যাপক বোমবাজি, চিৎকার, আগুন দেখে কেউ ট্রেন থেকে নামার সাহস পাইনি।

    রিষড়ায় (Rishra) কেন ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়

    এমনিতেই দুদিন আগে রামনবমীর শোভাযাত্রায় গন্ডগোলের জেরে উত্তেজনা রয়েছে রিষড়া (Rishra) এলাকায়। সম্ভবত সেই ঘটনার জের আছড়ে পড়ে সোমবার রাতে। রিষড়া (Rishra) স্টেশনের আশেপাশে নতুন করে অশান্তি শুরু হয়। জানা গিয়েছে, স্টেশনের আশপাশে ব্যাপক বোমাবাজি হয়। নতুন করে গন্ডগোলের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ যায়। এলাকায় তখন বিশাল জমায়েত ছিল। পুলিশকে লক্ষ্য করে ব্যাপক ইট, পাথর ছোঁড়ার অভিযোগ ওঠে বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে।

    পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ হয় যে তা সামাল দিয়ে এডিজি (সাউথ বেঙ্গল) সিদ্ধিনাথ গুপ্তা, ডিআইজি (বর্ধমান রেঞ্জ) শ্যাম সিং, চন্দননগর কমিশনারেটের পুলিশ কমিশনার অমিত পি জাভালগির নেতৃত্বে প্রচুর পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে যায়। একইসঙ্গে আরপিএফের পদস্থ কর্তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। পুলিশ এবং আরপিএফ এক যোগে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করে।

    জানা গিয়েছে, হামলাকারীরা পুলিশের একটি গাড়ি পুড়িয়ে দেয়। রেল লাইন লাগোয়া একটি গুমটির দোকান জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশকে একাধিক কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটাতে হয়। পরে, পুলিশের উপস্থিতিতে রাত ১টা ৮ মিনিট নাগাদ ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়। পূর্ব রেলের এক আধিকারিক বলেন, বিক্ষোভকারীরা রিষড়ার (Rishra) ৪ নম্বর রেল গেট বন্ধ করতে দিচ্ছিল না। ফলে, ট্রেন চালানো সম্ভব ছিল না। আপ ও ডাউন লাইনে ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখা হয়। রেল বর্হিভূত কোনও অশান্তির জেরে এই ঘটনা ঘটেছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Aadhaar Card: কাবাড়ির দোকানে মিলল বস্তা বস্তা আধারকার্ড, একাধিক ব্যাঙ্কের এটিএম, কোথায় জানেন?

    Aadhaar Card: কাবাড়ির দোকানে মিলল বস্তা বস্তা আধারকার্ড, একাধিক ব্যাঙ্কের এটিএম, কোথায় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ বস্তার মধ্যে থরে থরে সাজানো রয়েছে আধার কার্ড (Aadhaar Card)। একটি বা দুটি নয়, এক সঙ্গে ১৪টি বস্তা রয়েছে। একই সঙ্গে রয়েছে ব্যাঙ্কের একাধিক এটিএম। এই চিত্র কোনও সরকারি অফিসে বা ব্যাঙ্কের মধ্যে নয়, পুরুলিয়া শহরের ১৫নম্বর ওয়ার্ডের ভগতসিং মোড়ে একটি কাবাড়ি দোকানের। সেখানে ডাক বিভাগের ছাপ দেওয়া প্রায় ১৪টি বস্তায় আধার কার্ড (Aadhaar Card), ব্যাঙ্কের এটিএম কার্ড ও ব্যাঙ্কের কাগজ সহ সরকারি চিঠি উদ্ধার হয়েছে। সোমবার এই ঘটনা জানাজানি হতেই এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। কী ভাবে এই আধার কার্ড (Aadhaar Card) আবেদনকারীর কাছে না পৌঁছে কাবাড়ির দোকানে পৌঁছে গেল তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।

    কী বললেন ডাক বিভাগের আধিকারিক? Aadhaar Card

    সরকারি নিয়ম অনুসারে আধার কার্ড (Aadhaar Card) আবেদন করার পর, সেই কার্ড তৈরি হয়ে গেলে কার্ডগুলি ডাক বিভাগের কর্মীরা গ্রাহকদের ঠিকানায় পৌঁছে দেন। ‌কিন্তু, এই ক্ষেত্রে আবেদনকারীর ঠিকানার পরিবর্তে কাবাড়ির দোকানে পৌঁছে যাওয়ায় ডাক বিভাগের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এই বিষয়ে ডাক বিভাগের সুপারিনটেনডেন্ট নিমাইচন্দ্র সরেন বলেন, এটিএম তো স্পিড পোস্টে আসে। সেটা যার নামে অ্যাকাউন্ট রয়েছে তার কাছে যাবে, না হলে ফিরে যাবে। কাবাড়ির দোকানে যাওয়ার কথা নয়। আর অত আধার কার্ড (Aadhaar Card) ওই দোকানে কী করে গেল তা তদন্ত করে দেখা হবে।

    কী বললেন কাবা়ড়ি দোকানের মালিক? Aadhaar Card

    দোকানে বস্তার মধ্যে ডাঁই হয়ে আধার কার্ড (Aadhaar Card) পড়ে রয়েছে। বিষয়টি জানাজানি হতেই দোকানের মালিক চাপে পড়ে যান। কাবাড়ি দোকানের মালিক মূকাররাম আলি বলেন, আমার পুরানো জিনিস কেনার লাইসেন্স রয়েছে। বিভিন্ন জায়গা থেকে বই, খাতা কেনা হয়। বস্তার মধ্যেই আধার কার্ডগুলি (Aadhaar Card) রাখা ছিল। আমরা তা দেখিনি। দোকানের একপাশে ডাঁই করে বস্তাগুলি রাখা ছিল। বস্তার মুখ খোলার পরই বিষয়টি সামনে আসে। আমরা বিষয়টি জানতাম না।

    কী পদক্ষেপ নিল ডাক বিভাগ? Aadhaar Card

    জানা গিয়েছে, ডাক বিভাগের আধিকারিকরা বিষয়টি জানার পরই ডাক বিভাগের দুই আধিকারিক ওই কাবাড়ি দোকানে হানা দেন। উদ্ধার করা হয়েছে ১৪ বস্তা আধার কার্ড (Aadhaar Card) সহ গুরুত্বপূর্ণ কাগজ পত্র। এই ঘটনায় ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে বস্তাসহ দোকানের দুই কর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সদর থানায় নিয়ে আসে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Navami: রাম নবমীর মিছিলে হামলা, শুভেন্দুর মামলায় রাজ্যের রিপোর্ট তলব করল হাইকোর্ট

    Ram Navami: রাম নবমীর মিছিলে হামলা, শুভেন্দুর মামলায় রাজ্যের রিপোর্ট তলব করল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রামনবমীর (Ram Navami) মিছিলে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা রাজ্যে ঘটেই চলেছে। সেসব ঘিরে অশান্তিও কম হচ্ছে না। সাধারণ মানুষ চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। হাওড়ার ঘটনার পরই কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর সেই আবেদনের জেরেই কড়া পদক্ষেপ করল হাইকোর্ট। হাওড়া, হুগলি ও উত্তর দিনাজপুরের ডালখোলায় অশান্তির ব্যাপারে ৫ এপ্রিল, বুধবারের মধ্যে রাজ্য সরকারের কাছে রিপোর্ট তলব করল ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ।

    সিসিটিভি এবং অন্যান্য সমস্ত ভিডিও ফুটেজও জমা করতে হবে বলে হাইকোর্ট পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছে। তবে শুধু রিপোর্ট তলব করেই আদালত থেমে থাকেনি। সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার জন্যও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ। এদিনও মামলাকারী অবশ্য ঘটনার এনআইএ তদন্ত এবং অশান্ত এলাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার দাবি জানিয়েছেন। আগামী ৬ এপ্রিল মামলার পরবর্তী শুনানি।

    রামনবমীর (Ram Navami) মিছিল নিয়ে আবেদনকারীর আইনজীবী সৌম্য মজুমদার কী বললেন?

    সোমবার শুভেন্দুবাবুর আবেদনটি শুনানির জন্য ওঠে। আবেদনকারীর আইনজীবী সৌম্য মজুমদারের সাফ কথা, ৩০ মার্চ হাওড়া এবং ডালখোলায় রামনবমীর (Ram Navami) যে মিছিল করা হয়েছিল, তাতে পুলিশের অনুমতি আগেভাগেই নেওয়া ছিল। তাহলে সেইসব মিছিলে হামলা হল কী করে? রাজ্য সরকারের উদাসীনতার পাশাপাশি  রাজভবন এবং কেন্দ্রীয় সরকার যেভাবে এগিয়ে এসেছে, সে কথাও তিনি উল্লেখ করেন। এতকিছুর পরেও রবিবার হুগলির রিষড়াতেও যে একই ধরনের ঘটনা ঘটেছে, জানিয়ে দেন সেকথাও। তাঁর অভিযোগ, ওই সব এলাকার পরিস্থিতি এখনও স্বাভাবিক নয়। 

    রামনবমীর (Ram Navami) মিছিল নিয়ে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়ের জবাব—

    হাইকোর্টের একের পর এক প্রশ্নবাণের মুখে পড়ে আদালতে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় জানান, শিবপুরে শান্তিপূর্ণ মিছিল করার জন্য বলা হয়েছিল। কিন্তু মিছিল শুরুর ৩০ মিনিটের মধ্যেই মিছিলকারীরা পুলিশের সেই নির্দেশ মানেনি। তারা হিংসাত্মক হয়ে ওঠে। হাওড়ার পরিস্থিতি আপাতত পুলিসের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে দাবি করে তিনি জানান, ঘটনায় ৩৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

    আদালত এদিন পুলিশের ভূমিকা নিয়ে বারবার প্রশ্ন তুলে রাজ্য সরকারকে সাফ জানিয়ে দিয়েছে, এই ধরনের ঘটনার যাতে পুনরাবৃত্তি না হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে। সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা স্বাভাবিক রাখার জন্যও পদক্ষেপ নিতে হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: রিষড়াকাণ্ডে রাস্তায় বসে অবস্থান বিক্ষোভে বিজেপির রাজ্য সভাপতি! কেন জানেন?

    Suvendu Adhikari: রিষড়াকাণ্ডে রাস্তায় বসে অবস্থান বিক্ষোভে বিজেপির রাজ্য সভাপতি! কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ রিষড়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করেই সোমবার নতুন করে উত্তেজনা তৈরি হল কোন্নগরের বিশালাক্ষী মোড় এলাকায়। পুলিশ ব্যারিকেড করে বিজেপি কর্মী সমর্থকদের আটকায়। এমনকী বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার রিষড়ায় যেতে চাইলে তাঁকে বাধা দেওয়া হয়। তাঁকে বেশ কিছুক্ষণ গাড়ি থেকে নামতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। জানা গিয়েছে, রাম নবমীর শোভাযাত্রায় মিছিলে হাঁটার সময় পুরশুড়ার বিজেপি বিধায়ক বিমান ঘোষ জখম হন। তিনি হিন্দমোটরে একটি নার্সিংহোমে ভর্তি রয়েছেন। এদিন সকালে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) সেখানে দলীয় বিধায়কের সঙ্গে দেখা করতে যান। শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) চলে যাওয়ার পরই সেই বেসরকারি  হাসপাতালে যান বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এরপর সুকান্তের গন্তব্য হয় রিষড়া। কিন্তু, সেখানে ঢোকার আগেই পুলিশের পক্ষ থেকে কোন্নগরে গাড়ি থেকে নামতে বাধা দেওয়া হয়। বিজেপির রাজ্য সভাপতিকে আটকানো হয়। পুলিশ ব্যারিকেড করে আটকায় সুকান্তের গাড়ি। সঙ্গে ছিলেন সাংসদ জ্যোর্তিময় সিং মাহাত। এরপর বিজেপির কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের কার্যত ধস্তাধস্তির পরিস্থিতি তৈরি হয়। ব্যারিকেড সরিয়ে ফেলার চেষ্টা করে বিজেপি কর্মীরা। ওঠে স্লোগান। প্রতিবাদে রাস্তায় বসে পড়ে বিজেপি সমর্থকরা। পুলিশের দাবি, ওই এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। তাই তাঁকে প্রবেশ করতে দেওয়া যাবে না। পুলিশি বাধার প্রতিবাদে বিজেপির রাজ্য সভাপতি, বিজেপির সাংসদ জ্যোর্তিময় সিং মাহাত রাস্তায় বসে অবস্থান বিক্ষোভ করেন।

    গন্ডগোলের পরই কেমন আছে আজ রিষড়া ? Suvendu Adhikari

    রাম নবমীর মিছিল ঘিরে অশান্তির পর সোমবার থমথমে ছিল রিষড়া। এদিন সকালে রিষড়ায় নতুন করে উত্তেজনা তৈরি হল। জটলা হঠাতে লাঠি উঁচিয়ে তাড়া করে পুলিশ। সরানো হয় জমায়েত। কিছুক্ষণের মধ্যেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। এদিন এলাকায় অধিকাংশ দোকানপাট বন্ধ ছিল। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে মোতায়েন রয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী। রিষড়ার বিভিন্ন এলাকায় চলছে পুলিশি টহলদারি। সকালে চন্দননগর কমিশনারেটের পুলিশ কমিশনার অমিত পি জাভালগির নেতৃত্বে এলাকায় রুট মার্চ করা হয়। প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না বেরোনোর জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে মাইকে প্রচার করা হয়। এলাকায় জারি রয়েছে ১৪৪ ধারা। আজ রাত ১০টা পর্যন্ত রিষড়া ও মাহেশে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে। গতকালের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এদিন তাদের আদালতে তোলা হলে বিচারক ৩ জনের ৮ দিনের পুলিশ হেফাজত এবং ৯ জনের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।

    রিষড়াকাণ্ড নিয়ে কী বললেন শুভেন্দু অধিকারী? Suvendu Adhikari

    রিষাড়াকাণ্ডে আক্রান্ত দলীয় বিধায়ক বিমান ঘোষকে দেখার পর রাজ্য সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তিনি বলেন, হাওড়ার শিবপুরকাণ্ডে তৃণমূল কাউন্সিলারের স্বামী সামিম আহমেদ। তিনি তৃণমূলের ওয়ার্ড সভাপতি। আর রিষড়ার ঘটনায় জড়িত রয়েছেন তৃণমূল কাউন্সিলর সাকির আলি এবং পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান জাহিদ হাসান খান। রাম নবমীর শান্তিপূর্ণ মিছিলে হামলা চালায় ওরা।

    পুলিশি বাধা নিয়ে কী বললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি? Suvendu Adhikari

    কোন্নগরে পুলিশি বাধার মুখে পড়েন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, ১১৪ ধারা জারি রয়েছে বলে আমাকে যেতে দেওয়া হল না। অথচ সেখানে তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন। পুলিশ দলদাসে পরিণত হয়ে গিয়েছে। এই ঘটনা নিয়ে রাজ্য পালের সঙ্গে কথা বলেছি। রাজ্যের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে আমরা যাব।

    কী বললেন তৃণমূল সাংসদ? Suvendu Adhikari

    তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, রাম নবমীর মিছিলে বাইরে থেকে লোকজন নিয়ে আসা হয়েছিল। মিছিল থেকে এই ঘটনার প্ররোচনা দেওয়া হয়েছে।

    রবিবার রিষড়ার বাঙুর পার্ক থেকে রাম নবমীর মিছিলে যোগ দেন দিলীপ ঘোষ সহ একাধিক বিজেপি নেতা। মিছিল ওয়েলিংটন জুটমিলের কাছে পৌঁছতেই অশান্তি শুরু হয়। ইটবৃষ্টি, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। পরে চন্দননগরের পুলিশ কমিশনারের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।              

  • Lover: বিয়েতে আপত্তি পরিবারের! প্রেমিকাকে নিয়ে গঙ্গায় মরণঝাঁপ প্রেমিকের, কোথায় জানেন?

    Lover: বিয়েতে আপত্তি পরিবারের! প্রেমিকাকে নিয়ে গঙ্গায় মরণঝাঁপ প্রেমিকের, কোথায় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিয়েতে মত দেয়নি পরিবার। তাই প্রেমিকাকে (Lover) সঙ্গে নিয়ে গঙ্গায় মরণ ঝাঁপ দিল প্রেমিক। নৈহাটির জুবিলি ব্রিজে এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, প্রেমিকার নাম স্নেহা খাতুন (১৯) এবং প্রেমিক মহম্মদ মোক্তার। স্নেহাকে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে চুঁচুড়া হাসপাতালে ভর্তি করেন। আর মোক্তারের হদিশ মেলেনি। যদিও পরিবারের লোকজনের কাছ থেকে অভিযোগ পেয়ে পুলিশ মোক্তারের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে।

    কী করে দুজনের মধ্যে আলাপ হয়েছিল?

    চলতি বছরের শুরুতে ফেসবুকের মাধ্যমে দুজনের আলাপ। তারপর ফোন নম্বর আদান প্রদান হয়। জগদ্দলের বহড়াপাড়ায় বাড়ি স্নেহা খাতুনের। আর জগদ্দলের বাঁকাড় মোড়ে বাড়ি মহম্মদ মোক্তারের। প্রথমে বন্ধুত্ব। পরে, প্রেমের (Lover) সম্পর্ক গড়ে ওঠে দুজনের মধ্যে। স্নেহা মাধ্যমিক পর্যন্ত পড়াশোনা করে। আর মোক্তার ইলেকট্রিকের কাজ করতেন। স্নেহার বাবার খুব বেশি রোজগার ছিল না। দুজনের সম্পর্কের বিষয়টি জানতে পারার পর পরই মোক্তারের পরিবারের লোকজন আপত্তি জানান। ফলে, মেয়ের বাড়ির লোকের মত থাকলেও তাঁরা পিছিয়ে আসেন। দুই পরিবারের নির্দেশে দুজনের মেলামেশা বন্ধ করে দেয়। এরপরই তাঁরা দুজনেই গঙ্গায় ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। স্নেহার এক বান্ধবী সাবিনা খাতুন বলেন, পরিবারের লোকজন মেলামেশা বন্ধ করে দেওয়ায় তারা আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। আমরা স্নেহাকে অনেকটাই বোঝাতে পেরেছিলাম বলে তাঁরা আত্মহত্যা সিদ্ধান্ত থেকে পিছিয়ে আসে। তবে, এবারও যে ওরা এরকম সিদ্ধান্ত নেবে তা ভাবতে পারিনি।

    জগদ্দল থেকে জুবিলি ব্রিজ কী করে গেল?

    পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ফোনে যোগাযোগ করে প্রেমিক (Lover) যুগল জগদ্দল থেকে ট্রেনে চেপে নৈহাটি আসে। সেখান থেকে ব্যান্ডেল লোকাল ধরে হুগলিঘাট স্টেশনে নামে। এরপর লাইন ধরে তারা জুবিলি ব্রিজে আসে। সেখান থেকে মরন ঝাঁপ দেয়। লাফ দেওয়ার পর প্রেমিকা সোজা গঙ্গায় পড়লেও প্রেমিক ব্রিজে ধাক্কা খেয়ে নিচে পড়ে। এরপর মেয়েটি চুঁচুড়ার তেলেনিপাড়া গঙ্গাঘাট এলাকায় পৌঁছাই। স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে পুলিশে খবর দেন। পুলিশ ওই মহিলাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্যে চুঁচুড়া ইমামবাড়া সদর হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন। এরপর পুলিশ দুজনের পরিবারের লোকজনকে খবর দেয়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Attack: কয়লাকাণ্ডে সিবিআই হাজিরার আগেই খুন রাজু ঝা! তথ্য ফাঁস হওয়ার আশঙ্কাতেই কি হত্যা?

    Attack: কয়লাকাণ্ডে সিবিআই হাজিরার আগেই খুন রাজু ঝা! তথ্য ফাঁস হওয়ার আশঙ্কাতেই কি হত্যা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ কয়লাকাণ্ডে সিবিআইকে বড় কারও নাম বলে দেবেন বলেই কয়লা মাফিয়া রাজু ঝাকে খুন করা হয়েছে। এমনই দাবি করেছেন বিজেপির সর্ব ভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। ইতিমধ্যেই খুনের ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, চলতি সপ্তাহে সিবিআই তাঁকে ডেকে পাঠিয়েছিল। সোমবারই তাঁর হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল। তার আগেই তাঁকে খুন করতে ফিল্মি কায়দায় হামলার (Attack) ঘটনা ঘটেছে। তিনি একসময় শিল্পাঞ্চলে কয়লাপাচারের কিংপিন ছিলেন। বেআইনি কোন রুট ধরে এই পাচার হত তা তার মুখস্থ ছিল। কোন পুলিশ অফিসার, প্রশাসনিক কর্তা এবং রাজনৈতিক নেতার কাছে কত নজরানা যেত তা তাঁর নখদর্পণে ছিল। কয়েকদিন আগেই তাঁর ওপর হামলার (Attack) ঘটনা ঘটেছিল। যদিও সে যাত্রায় তিনি প্রাণে রক্ষা পেয়ে যান। তবে, এবার কেন্দ্রীয় সংস্থা ডাকার ঠিক আগেই তাঁকে খুন করা হল। স্বাভাবিকভাবে কয়লাপাচারকাণ্ডে তিনি অনেকের জড়িত থাকার নাম বলে দিতে পারতেন। আর তাই পরিকল্পিতভাবে তাঁকে খুন করা হয়েছে বলে ওয়াকিবহল মনে করছে।

    শুটআউটের আগে লতিফের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে কেন?

    কয়লা মাফিয়া রাজু ঝা দুর্গাপুর-আসানসোল শিল্পাঞ্চলের বেতাজ বাদশা। তাঁর সঙ্গে গরুপাচারকাণ্ডে অন্যতম মাথা আব্দুল লতিফের ভালো সম্পর্ক ছিল। বহু বছর ধরেই তাঁরা বন্ধু হিসেবেই পরিচিত ছিল। লতিফের বাড়ি ইলামবাজার। তাঁর সঙ্গে এনামূল হকের ভাল সম্পর্ক ছিল। অন্ধকার জগতে সকলেই লতিফকে এনামূলের ভাই হিসেবেই জানত। জানা গিয়েছে, এই লতিফের দুধ সাদা গাড়িতে করেই রাজু ঝা কলকাতায় যাচ্ছিলেন। গাড়ির পিছনের সিটে বসেছিলেন লতিফ আর ব্রতীন মুখোপাধ্যায়। আর নুরুল হোসেন নামে একজন গাড়ি চালাচ্ছিলেন। শক্তিগড়ে ল্যাংচার দোকানের সামনে তাঁদের গাড়ি দাঁড়িয়েছিল। শুটআউটের আগেই গাড়ির চালক নুরুল নেমে গিয়েছিলেন। হামলার (Attack) সময় রহস্যজনকভাবে লতিফ নিজের গাড়ি থেকে নেমে গিয়েছিলেন। নীল রংয়ের গাড়ি থেকে তাঁকে গুলি করা হয়। শক্তিগড় স্টেশনের কাছ থেকে গাড়িটি পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার হয়। ঘটনার আগেই লতিফ কেন গাড়ি থেকে নেমে গেলেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

    কে এই রাজু ঝা?

    রাজু ঝা-র আদি বাড়ি বিহারের দ্বারভাঙা। এলাকার তার আসল নাম রাজেশ ঝা। তিনি দুর্গাপুরে রাজু ঝা নামেই পরিচিত। রাজুর উত্থান রানিগঞ্জ থেকে। রানিগঞ্জের মাড়োয়ারি সনাতন বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছিলেন। পরে, সরজু উপাধ্যায় নামে এক কয়লা কারবারের দলে সে নাম লেখায়। পরবর্তী সময়ে কয়লার ট্রাকের খালাসি হয়ে বিভিন্ন জায়গায় যাওয়া তাঁর কাজ ছিল। সরজুকে খুন করা হয়। নয়ের দশকে কয়লা মাফিয়া হিসেবে তাঁর আত্মপ্রকাশ। বাম জমানা থেকে কয়লা-মাফিয়া হিসেবে দাপিয়ে রাজত্ব করেছেন তিনি। ২০১১ সালের আগে, খনি অঞ্চলে প্রায় দেড় দশক ধরে অবৈধ কয়লার কারবারে রাজুর নাম ছিল প্রথম সারিতে। অণ্ডাল থেকে ডানকুনির আগে পর্যন্ত তাঁর অবৈধ কয়লার কারবার চলত। তবে ২০১১ সালে সরকার বদলের পাশাপাশি তাঁর সাম্রাজ্যের পতন শুরু হয়।

    বীরভূমের বিভিন্ন থানাতে বেআইনি কয়লা কারবারের অভিযোগ রয়েছে তার নামে। কয়লা কারবারের রাজত্ব হাতছাড়া হতে তিনি ধীরে ধীরে দুর্গাপুরে বিভিন্ন ব্যবসা শুরু করেন। দুর্গাপুরের সিটি সেন্টারে রয়েছে তাঁর একাধিক বিলাসবহুল রেস্তোরাঁ, পার্কিং প্লাজ়া, শাড়ির দোকান। দুর্গাপুরের বিধাননগরে তাঁর আভিজাত্যপূর্ণ বিলাসবহুল একটি বাড়িও করেন। এরপর রাজু ঝা ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে দুর্গাপুরের একটি সভায় বিজেপিতে যোগ দেন। বিধানসভা ভোটের পর থেকে বিজেপির সঙ্গে তাঁর কোনও সম্পর্ক নেই। বেশ কিছুদিন এলাকার বাইরে ছিলেন তিনি। এখন এলাকায় ফিরে দাদাগিরি ট্যাক্স জারি করেছিল। তাতে শিল্পাঞ্চলের ব্যবসায়ীরা চটে গিয়েছিলেন। অন্ডালের এক মাফিয়ার রাজত্বে তিনি থাবা বসাচ্ছিলেন। ফলে, তাঁর সঙ্গে একটা শত্রুতা তৈরি হয়েছিল। এরই মধ্যে কেন্দ্রীয় সংস্থা কয়লাপাচার কাণ্ডে ডেকে পাঠানোর আগেই তাঁর এই খুনের ঘটনায় রহস্য দানা বাঁধছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Purulia: রয়েছে ট্যাঙ্ক থেকে কল, নেই শুধু জল! পানীয় জলের পরিষেবা না মেলায় ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা, কোথায়?

    Purulia: রয়েছে ট্যাঙ্ক থেকে কল, নেই শুধু জল! পানীয় জলের পরিষেবা না মেলায় ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা, কোথায়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ আছে জলের ট্যাঙ্ক, রয়েছে কলও! কিন্তু, সেই কলে নেই জল। দীর্ঘ ৭ বছর পরও পাইপ লাইনের কাজ শেষ না হওয়ায় চরম জল সঙ্কটে দিন কাটাচ্ছেন আড়ষার পাঁচটি অঞ্চলের সাধারণ মানুষ। অথচ গত ১৬ ফেব্রুয়ারি পুরুলিয়া (Purulia) জেলা সফরে এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় ঘটা করে এই জলপ্রকল্পের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছেন। কিন্তু, তারপরও এক মাসের বেশি সময় পেরিয়ে গিয়েছে এলাকার মানুষ পানীয় জলের পরিষেবা থেকে বঞ্চিত। এলাকাবাসীর বক্তব্য, মুখ্যমন্ত্রী জলপ্রকল্পের উদ্বোধন করার পর আমাদের আশা ছিল, এবার গরমকালে আর জলসঙ্কটে ভুগতে হবে না। পানীয় জলের সুবিধা পাবেন সকলে। কিন্তু, বাস্তবে দেখা গেল গরম পড়তেই সেই আগের মতো এলাকায় জলসঙ্কট দেখা দিয়েছে। জল প্রকল্পের পরিকাঠামো তৈরি না করে ঘটা করে প্রকল্পের উদ্বোধন করে কী লাভ হল?

    কবে জল প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছিল?

    পানীয় জলের সমস্যা মেটাতে ২০১৬ সালে পুরুলিয়ার (Purulia) আড়ষার খেদাডি আশ্রমের সামনে জনস্বাস্থ্য ও কারিগরী দপ্তরের উদ্যোগে নলবাহিত পানীয় জল সরবরাহ প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। তাতে পাঁচটি অঞ্চলে পাইপ লাইনের মাধ্যমে জল পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়। তারজন্য তৈরি হয় বিশাল আকারে জলের ট্যাঙ্ক। পাইপ লাইনের কাজ এখনো শেষ হয়নি। জলের ট্যাঙ্ক তৈরির পর দীর্ঘ দিন কাজ বন্ধ ছিল। মাঝে পাইপ লাইনের কাজ শুরু হয়েছিল। কিন্তু, তাঁর পর সেই কাজ অজানা কারনে আবারও বন্ধ হয়ে যায়। যদিও সম্প্রতি পাইপ লাইনের কাজ শুরু হলেও সেই কাজ অতি ধীর গতিতে চলায় পাইপ লাইনের কাজ কবে শেষ হবে তাঁর সদুত্তর মেলেনি।

    জল প্রকল্প নিয়ে কী বললেন স্থানীয় বাসিন্দারা?

    স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, এই জল প্রকল্প শুরু হলে পুরুলিয়ার (Purulia) আড়ষা, রাঙ্গামাটি, তুম্বা, খেদাডি, পাটটাড় গ্রামের প্রায় ২৫ হাজারের মানুষ সুবিধা পাবেন। কিন্তু, প্রশাসনের গড়িমসি জেরে জল প্রকল্পের কাজ সম্পূর্ণ হয়নি। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, এলাকায় জলের অনেক সমস্যা রয়েছে। বিশেষ করে গরম কালে এই সমস্যা আরও প্রকট হয়। এলাকায় নলকূপ থাকলেও মাঝে মধ্যে খারাপ থাকে। ফলে, নদী থেকে মাথায় করে জল আনতে হয় এলাকার মহিলাদের। এছাড়া এলাকায় পুকুর থাকলেও নোংরা জল হওয়ায় সেই জলে স্নান করতে হচ্ছে বাসিন্দাদের। যদিও এই বিষয়ে জনস্বাস্থ্য ও কারিগরী দপ্তরের আধিকারিকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাঁরা কোনও মন্তব্য করতে চাননি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share