Tag: Madhyom

Madhyom

  • Tribal People: ৫ এপ্রিল অনির্দিষ্টকালের জন্য রেল অবরোধের হুমকি আদিবাসীদের! কেন জানেন?

    Tribal People: ৫ এপ্রিল অনির্দিষ্টকালের জন্য রেল অবরোধের হুমকি আদিবাসীদের! কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ ঠিকানা সেই কুস্তাউর রেল স্টেশন। গত বছর পুরুলিয়া জেলায় দক্ষিণ-পূর্ব রেলের আদ্রা বিভাগের এই স্টেশনে টানা পাঁচদিন রেল অবরোধের জেরে ট্রেন চলাচল স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল। রেলের ক্ষতি হয়েছিল কোটি কোটি টাকার। ভোগান্তিতে পড়েছিলেন হাজার হাজার যাত্রী। ফের একই কারণে ভোগান্তির মধ্যে পড়তে চলেছেন রেলযাত্রীরা। আগামী ৫ এপ্রিল থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য রেল অবরোধে সামিল হতে চলেছে কুরমি সমাজ। কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করে এই সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেন আদিবাসী (Tribal People) কুরমি সমাজের মুখ্য উপদেষ্টা (মূল মানতা) অজিতপ্রসাদ মাহাতো। কয়েকদিন আগেই জেলা ও রাজ্য কমিটির সমস্ত পদাধিকারীদের নিয়ে পুরুলিয়া বিটি সরকার রোডে অবস্থিত কার্যালয়ের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

    কেন রেল অবরোধ করার সিদ্ধান্ত? Tribal People

    কুরমি জাতিকে এস টি তালিকাভুক্ত করার দাবিতে রেল অবরোধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে, ৫ এপ্রিল রেল অবরোধ কর্মসূচির নিশ্চয়তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। সেই বিভ্রান্তি কাটল কুরমি নেতা অজিতপ্রসাদ মাহাতোর দিল্লি সফরের পর। কারণ, দিল্লি সফরে গিয়ে তিনি জানতে পেরেছেন, কেন্দ্রীয় আদিবাসী (Tribal People) কল্যাণ মন্ত্রক রাজ্য সরকারের কাছে ২০১৭ সালের রিপোর্টের পরিপ্রেক্ষিতে শুধুমাত্র কমেন্ট এবং জাস্টিফিকেশন চেয়েছিল। কিন্ত, রাজ্য সরকার সেই রাস্তায় না হেঁটে কেন্দ্রের ঘাড়ে দায় চাপিয়েছে। আদিবাসী (Tribal People) কুরমি সমাজ সহ কুরমিদের বিভিন্ন সংগঠন রাজ্য সরকারের কাছে বারবার এই বিষয়ে দরবার করেও বিফল হয়েছে। অজিতবাবু বলেন, কুরমিদের এস টি তালিকাভুক্ত করার দাবিতে আন্দোলন চলছে। গতবার রেল অবরোধের সময় রাজ্য সরকার যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, তা পূরণ করেনি। কুরমিদের স্বাভিমানে আঘাত করা হয়েছে। তাঁদের আন্দোলনকে তুচ্ছ করা হয়েছে। সরকার কথা দিয়েছিল। কিন্তু, সেই কথা তারা রাখেনি। তাই, দাবি পূরণে আবারও রেল অবরোধ করতে কোমর বেঁধে নামবে আন্দোলনরত কুরমি সৈনিকরা।

    কী বললেন বিজেপির জেলা সভাপতি? Tribal People

    রেল অবরোধের সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে বিজেপির জেলা সভাপতি বিবেক রাঙা বলেন, যে কোনো সমাজ নিজের অধিকারের জন্য সরকারের কাছে দাবি জানাতেই পারে। যদি তাদের দাবি সঠিক হয়, তাহলে সেই বিষয়টিতে বিশেষ নজর দেওয়া সরকারের দায়িত্ব। তিনি আরও বলেন, রাজ্য সরকার বার বার বলছে, রিপোর্ট পাঠিয়ে দিয়েছি। এভাবে কুরমি সম্প্রদায়কে ধোঁয়াশার মধ্যে রেখেছে তারা এবং পরিষ্কারভাবে কিছুই বলছে না। সরকারের উচিত সমাজের ন্যায্য দাবিগুলো দেখা। রেল অবরোধ নিয়ে তিনি বলেন, এতে সাধারণ মানুষ বিপদে পড়বে। তবে রেল অবরোধ না করে নিজেদের দাবিদাওয়া নিয়ে অন্য পন্থা অবলম্বন করলে ভালো হবে।

    কী বললেন পুরুলিয়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি? Tribal People

    পুরুলিয়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এই নিয়ে রাজনীতি করা হচ্ছে। তাদের জন্য কী তথ্যপ্রমাণ পাঠানো জরুরি, সেই বিষয়ে নির্দেশিকা রয়েছে সংবিধানে। তারপরেও কেন্দ্র টালবাহানা করছে। যদিও রেল অবরোধ কর্মসূচিকে আমরা সমর্থন করছি না।

    আদিবাসীদের দাবি নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের কী বক্তব্য? Tribal People

    কেন্দ্রীয় সরকারের স্পষ্ট বক্তব্য, তারা কোনোভাবেই এই সিদ্ধান্ত নেবে না। কোনও জাতিকে এসটি তালিকায় সংযোজন বা বিয়োজনের দায় একমাত্র রাজ্য সরকারের। কেন্দ্র সরকার রাজ্য সরকারের পাঠানো বিভিন্ন রিপোর্ট পরীক্ষা করতে পারে মাত্র।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Navami: রাম নবমীতে হাওড়ার শিবপুরে অগ্নিগর্ভকাণ্ডের তদন্তভার নিল সিআইডি! ঘটনাস্থলে গিয়ে কী করলেন আধিকারিকরা?

    Ram Navami: রাম নবমীতে হাওড়ার শিবপুরে অগ্নিগর্ভকাণ্ডের তদন্তভার নিল সিআইডি! ঘটনাস্থলে গিয়ে কী করলেন আধিকারিকরা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ রাম নবমীর (Ram Navami) শোভাযাত্রাকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছিল হাওড়ার শিবপুর। এবার সেই ঘটনার তদন্তভার নিল সিআইডি। ঘটনার পর পরই হাওড়া সিটি পুলিশ সমস্ত ঘটনার তদন্ত করছিল। এবার সিটি পুলিশের কাছ থেকে তদন্তভার বুঝে নিলেন সিআইডি আধিকারিকরা। কী থেকে অশান্তির সূত্রপাত? কীভাবে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে রাম নবমীর (Ram Navami) শোভাযাত্রায় ঢুকে পড়েছিল দুষ্কৃতীরা? অন্য রুটে কেন ঢুকেছিল শোভাযাত্রা? কোন কোন পুলিশের ওপর কী কী দায়িত্ব ছিল? এই বিষয়গুলি মূলত সিআইডি খতিয়ে দেখবে।

    সিআইডি আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে গিয়ে কী করলেন? Ram Navami

    সিআইডি-র তদন্তের নেতৃত্বে রয়েছেন আইজি সিআইডি (ওয়ান) বিশাল গর্গ ও ডিআইজি সিআইডি (অপারেশন) সুখেন্দু হীরা। শনিবার তাঁরা এলাকা খতিয়ে দেখেন। তাঁরা নিজস্ব ফটোগ্রাফার নিয়ে এলাকায় ঘুরছেন। স্টিল ছবির পাশাপাশি চলছে ভিডিওগ্রাফি। ড্রোন উড়িয়ে ঘটনাস্থল খতিয়ে দেখা হচ্ছে। নোট নিচ্ছেন সমস্ত কিছুর। ক্ষতিগ্রস্ত দোকান পরিদর্শন করেন তদন্তকারীরা। হাওড়ায় বেশ কিছু এলাকায় ইন্টারনেটও বন্ধ রাখা হয়েছে। স্পেশাল অপারেশন গ্রুপের তরফ থেকে একটি বিশেষ দলও শিবপুর এলাকায় আসার কথা। তারাও সমস্ত বিষয় খতিয়ে দেখবে। চূড়ান্ত রিপোর্ট যাবে রাজ্য পুলিশের সিআইডি দফতরের হাতে।

    গন্ডগোলের পর কেমন আছে শিবপুর? Ram Navami

    শনিবারও শিবপুরের একাধিক এলাকা থমথমে। পুলিশি টহলদারি এবং ধড়পাকড়ের মাঝেই সাধারণ জীবনে ফেরার চেষ্টায় স্থানীয় কাজিপাড়া। সেখানে বেশ কিছু দোকানপাটও খোলা হয়েছে। ইন্টারনেট পরিষেবা কয়েকটি জায়গায় কিছুটা স্বাভাবিক। তবে, এখনও এলাকার মানুষের মধ্যে আতঙ্ক রয়েছে।  

    কী বললেন পুলিশ কমিশনার? Ram Navami

    এদিন এলাকা ঘুরে দেখেন হাওড়া সদরের পুলিশ কমিশনার প্রবীণ ত্রিপাঠী। তিনি বলেন, “আশেপাশের এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। অশান্তির ঘটনায় ৩৮ জনকে ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এলাকায় টহল চলছে মানুষের মধ্যে যাতে আত্মবিশ্বাস ফিরে আসে তার চেষ্টা চলছে। সমস্ত মানুষের সঙ্গে আমরা কথা বলছি। বাড়ি বাড়ি যাচ্ছি।”

    কী বললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি? Ram Navami

    এ নিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “রাজ্যপাল কীভাবে তাঁর সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন করবেন, সেটা তাঁর বিষয়। তাঁর সঙ্গে আমারও কথা হয়েছে। সম্ভবত উনি মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিবের সঙ্গে কথা বলেছেন। আশা করছি সুফল হবে। যারা ঝামেলা করেছে গ্রেপ্তার হবে।”

     

    শিবপুরের অশান্তিকে ঘিরে শাসক-বিরোধী তরজা যখন তুঙ্গে, তখন বিশেষ সেল খুলেছেন রাজ্যপাল। সূত্রের খবর, শিবপুরের পরিস্থিতি নিয়ে শুক্রবারই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের কথা হয়। রাজ্যপাল বলেন, “পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। পুলিশ পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে। রাজভবন রিয়েল টাইম মনিটরিংয়ের জন্য স্পেশাল সেল খুলেছে। প্রয়োজনীয় সমস্ত পদক্ষেপই করা হবে।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Duare Sarkar: দুর্গাপুরের কাঁকসায় দুয়ারে সরকার ক্যাম্পের টেবিল উল্টে দিলেন তৃণমূল নেতা! কেন জানেন?

    Duare Sarkar: দুর্গাপুরের কাঁকসায় দুয়ারে সরকার ক্যাম্পের টেবিল উল্টে দিলেন তৃণমূল নেতা! কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ ফের রাজ্যে শুরু হয়েছে দুয়ারে সরকার (Duare Sarkar) কর্মসূচি। শনিবার ঘটা করে পশ্চিম বর্ধমান জেলার কাঁকসার বিদবিহার কৃষ্ণপুরে দুয়ারে সরকারের ক্যাম্প বসে। সেখানে প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের প্রতিনিধিরা টেবিল পেতে বসে সাধারণ মানুষের অভাব অভিযোগ শুনছেন। আবেদন পত্র জমা  নিচ্ছেন। সব কিছুই ঠিকঠাক চলছিল। আচমকাই তাল কাটল তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য স্বপন সূত্রধর এবং তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি কাজল শেখ আসার পর। দুয়ারে সরকার (Duare Sarkar) ক্যাম্পে অন্যান্য দপ্তরের সঙ্গে বিদ্যুত্ দপ্তরও ছিল। সেখানে টেবিল পেতে বিদ্যুত্ দপ্তরের কর্মীরা বসেছিলেন। সেই ক্যাম্প শুরু হওয়া মাত্র তৃণমূলের ওই নেতারা বিদ্যুৎ দপ্তরের কর্মীদের ওপর সমস্ত ক্ষোভ উগড়ে দেন। উল্টে দেওয়া হয় নথিপত্র সহ টেবিল। বিদ্যুৎ দপ্তরের কর্মীদের চূড়ান্ত ধমক দেন তাঁরা। যতক্ষন না পর্যন্ত বিদ্যুৎ মিলছে ততক্ষণ দুয়ারে সরকার (Duare Sarkar) কর্মসূচিতে বিদ্যুৎ দপ্তরের কর্মীদের বসতে দেওয়া হবে না বলেও তাঁরা রীতিমতো হুমকি দেন। পরে, কাঁকসার মলানদিঘি ফাঁড়ির পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেন।

    কেন দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে বিক্ষোভ দেখালেন তৃণমূল নেতা? Duare Sarkar

    বিদবিহারের শিবপুরের রায়ডাঙা এলাকায় ২টি পরিবারের বাড়িতে বিদ্যুত্ নেই। ২০২২ সালে পঞ্চায়েত সদস্য স্বপন সূত্রধর বঞ্চিত পরিবারের লোকজনেদের নিয়ে গিয়ে দুয়ারে সরকার (Duare Sarkar) ক্যাম্পে গিয়ে আবেদন করেন। কিন্তু, পাঁচ মাস হয়ে যাওয়ার পরও বাড়িতে বিদ্যুত্ সংযোগ হয়নি। পরিবারের লোকজন স্থানীয় প়ঞ্চায়েত সদস্যের কাছে বার বার দরবার করেছেন। বিদ্যুত্ দপ্তরে গিয়েও কোনও কাজ হয়নি। স্থানীয় সদস্যের কাছে বিদ্যুত্ সংযোগ না পাওয়া পরিবারের লোকজন ক্ষোভ উগরে দেন। এদিন নতুন করে দুয়ারে সরকার শিবির (Duare Sarkar) শুরু হতেই তৃণমূলের ওই জনপ্রতিনিধি দলবল নিয়ে এসে তান্ডব চালান।

    কী বললেন তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য? Duare Sarkar

    তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য স্বপন সূত্রধর বলেন, দুয়ারে সরকার (Duare Sarkar) শিবিরে আবেদন করার পর তিনদিনের মধ্যে কাজ হয়ে যায়। সাধারণ মানুষের ভালো পরিষেবা পাওয়ার জন্য আমাদের মুখ্যমন্ত্রী এই উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। কিন্তু, দুয়ারে সরকার (Duare Sarkar) শিবিরে আবেদন করার পরও আমার বুথের দুটি পরিবার এখনও বিদ্যুত্ সংযোগ পেলেন না। এতে আমাকে এলাকার কথা শুনতে হচ্ছে। তাই ঘটা করে দুয়ারে সরকার (Duare Sarkar) শিবির না করার কথা বলেছি।

    বিদ্যুত্ দপ্তরে আবেদনকারী কী বললেন? Duare Sarkar

    বিদ্যুতের জন্য আবেদন করেছিলেন অজিত বাগদি নামে এক বাসিন্দা। তিনি অভিযোগ করেন, পাঁচ মাস আগে বিদবিহারে দুয়ারে সরকার (Duare Sarkar) কর্মসূচিতে বিদ্যুতের জন্য আবেদন করেছিলাম। পাঁচ মাস পেরিয়ে গিয়েছে। কিন্তু, মেলেনি বাড়িতে বিদ্যুৎ পরিষেবা। পুনরায় আবেদন করার কথা বলা হয়। কবে, বিদ্যুত্ সংযোগ পাব তা জানি না।

    কী বললেন বিদ্যুত্ দপ্তরের আধিকারিক? Duare Sarkar

    এই বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গ বিদ্যুৎ বন্টন সংস্থার দুর্গাপুরের ডিভিশনাল ম্যানেজার সোহেল হাসান বলেন, ভুল তথ্য দিয়ে বিদ্যুৎ দফতরের আধিকারিকদের হেনস্থা করা হয়েছে। আসলে বিদ্যুৎ দফতরের নতুন সংযোগের জন্য সুনির্দিষ্ট টাকা জমা না দিয়ে দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে গিয়ে অফিসারদের হেনস্থা করা হয়েছে। এতে দফতরের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব? Duare Sarkar

    কাঁকসা ব্লকের বিজেপির সাধারণ সম্পাদক ভগীরথ ঘোষ বলেন, দুয়ারে সরকার (Duare Sarkar) লোক দেখানো প্রকল্প। সাধারণ মানুষ কোনও পরিষেবা পাচ্ছেন না। তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য ক্ষোভ দেখাচ্ছে, এটাই জ্বলন্ত প্রমাণ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Rape: তিলজলার পর মালদহের গাজোলেও হেনস্থার শিকার কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল, প্রতিবাদ বিজেপির

    Rape: তিলজলার পর মালদহের গাজোলেও হেনস্থার শিকার কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল, প্রতিবাদ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতার তিলজলার পর মালদহের গাজোল। স্কুলের মধ্যে ছাত্রীকে ধর্ষণের (Rape) ঘটনায় নির্যাতিতার সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে রাজ্য প্রতিনিধি দলের হাতে হেনস্থা হতে হল কেন্দ্রীয় নারী ও শিশু সুরক্ষা কমিশনের প্রতিনিধিদের। এমনকী তৃণমূলের জেলা পরিষদের সদস্যা সাগরিকা সরকার জুতো হাতে নিয়ে তেড়ে যান কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের দিকে। আর সমস্ত ঘটনাই ঘটল পুলিশের সামনে। এমনটাই অভিযোগ কেন্দ্রীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের প্রতিনিধিদের।

    এর আগে তিলজলাতেও শিশু সুরক্ষা কমিশনের কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলকে একইভাবে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। কেন্দ্রীয় ওই দলের সঙ্গে এদিন ছিলেন ইংরেজবাজারের বিজেপি বিধায়ক শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরী। তাঁকেও হেনস্থা করা হয় বলে অভিযোগ। কেন্দ্রীয় কমিশনের প্রতিনিধিদের তদন্তে বাধা দেওয়ার প্রতিবাদে ইংরেজবাজারের বিজেপি বিধায়ক ঘটনাস্থলেই ধর্নায় বসেন। বিজেপি বিধায়ক বলেন, আমরা ওই নির্যাতিতার পরিবার যাতে সঠিক বিচার পায় তারজন্য উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলাম। তৃণমূলীরা এসে যে ভাবে তান্ডব চালাল, নির্যাতিতার বাড়ি ভাঙচুর করল তা ঠিক নয়। এই ঘটনার আমি তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

    গাজোলে ঠিক কী নিয়ে গন্ডগোল? Rape 

    ১৮ মার্চ গাজোলের ফতেপুর জুনিয়র হাইস্কুলের মধ্যে এক ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ (Rape) করার ঘটনা ঘটেছিল। বিষয়টি জানাজানি হতে ক্ষোভে ফেটে পড়েন এলাকাবাসী। নির্যাতিতার পরিবার পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এই ঘটনায় তিনজনকে পুলিশ গ্রেফতার করে। সরকারি স্কুলের মধ্যে এরকম ধর্ষণের ঘটনার বিষয়টির তদন্তের জন্য জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের দ্বারস্থ হন বিজেপি বিধায়ক। শনিবার নির্যাতিতা ওই স্কুল ছাত্রীর বাড়িতে তদন্ত করতে যায় কেন্দ্রীয় নারী ও শিশু সুরক্ষা কমিশনের প্রতিনিধি দল।

    এদিন সকালে ওই ছাত্রীর (Rape) বাড়িতে কেন্দ্রীয় কমিশনের প্রতিনিধিরা গেলে দেখতে পান, সেখানে আগেই পৌঁছে গিয়েছে রাজ্যের নারী ও শিশু সুরক্ষা কমিশনের প্রতিনিধিরা। কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদের নির্যাতিতার সঙ্গে কথা বলতে বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এমনকী নির্যাতিতার বাড়িতে ঢুকতে গেলে মালদহ জেলা পরিষদের সদস্যা তথা গাজলের তৃণমূল নেত্রী সাগরিকা সরকার জুতো নিয়ে তেড়ে যান। স্থানীয় বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে স্থানীয় তৃণমূল কর্মীরা হাতাহাতিতে জ়ড়িয়ে পড়েন। তৃণমূলীদের তান্ডবের জেরে নির্যাতিতার টিনের বাড়ির একাংশ ভেঙে যায়।

    কী বললেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল? Rape

    কেন্দ্রীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান প্রিয়ঙ্ক কানুনগো বলেন, ১০ দিন আগে ঘটনা ঘটেছে। এতদিন রাজ্যের প্রতিনিধিরা কেউ আসেনি। আমি সমস্ত বিষয়টি মুখ্য সচিব, স্বরাষ্ট সচিবকে জানিয়ে এখানে এসেছি। আর আমরা এসেছি বলেই এদিন ওরাও চলে এসেছে। আমাদের সঙ্গে নির্যাতিতাকে আলাদাভাবে কথা বলতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। তিলজলাতেও একই ঘটনা ঘটল। এটা মেনে নেওয়া যায় না।

    কী বললেন রাজ্যের প্রতিনিধি দলের কর্তারা? Rape 

    রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন সুদেষ্ণা রায় বলেন, ঘটনার তদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর আমরা এখানে এসেছি। কেন্দ্রীয় কমিশনের প্রতিনিধিরা আমাদের সঙ্গে অভব্য আচরণ করেন। আমাদের গেট আউট বলেন। আমরা কোনও বাধা দিইনি। আমরা একসঙ্গে তদন্ত করার কথা বলেছিলাম। কিন্তু, সেটা তারা মানতে রাজি নন। আমরা কোনও হেনস্থা করিনি।

    কী বললেন নির্যাতিতা পরিবারের সদস্য? Rape 

    নির্যাতিতা পরিবারের সদস্য বলেন, মেয়ের ঘটনা নিয়ে তদন্ত করতে এসেছে জেনে ভালো লাগছে। কিন্তু, বাড়ির ভিতরে ঢুকে যে ভাবে তাণ্ডব চালাল তা ঠিক হয়নি। আমার বাড়ি ভাঙচুর করে দেওয়া হয়েছে। এখন এর ক্ষতিপূরণ কে দেবে? মেয়ের ঘটনা নিয়ে আমরা আতঙ্কে রয়েছি। এরপর এই ঘটনায় আমরা আরও আতঙ্কিত হয়ে পড়েছি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Primary School: রাজ্যে প্রাথমিক শিক্ষার এ কী হাল! নিজের নাম লিখতে পারছে না চতুর্থ শ্রেণির পড়ুয়া, কোথায় জানেন?

    Primary School: রাজ্যে প্রাথমিক শিক্ষার এ কী হাল! নিজের নাম লিখতে পারছে না চতুর্থ শ্রেণির পড়ুয়া, কোথায় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ আলিপুরদুয়ারের পশ্চিম জিৎপুর অ্যাডিশন্যাল প্রাথমিক বিদ্যালয় (Primary School)। স্কুলে একজন শিক্ষক। জনা কুড়ি ছাত্র-ছাত্রী। নিয়ম মেনেই ক্লাস নিচ্ছিলেন শিক্ষক। আচমকাই সেখানে হাজির হন বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল। সঙ্গে ছিলেন ডিপিএসসির প্রাক্তন চেয়ারম্যান অনুপ চক্রবর্তী, আলিপুরদুয়ার-১ ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেসের সহ সভাপতি মতিলাল কুজুর সহ দলীয় নেতৃত্ব। ক্লাসের মধ্যে একসঙ্গে  এতজনকে দেখে পড়ুয়ারা হতবাক হয়ে যায়। মূলত এলাকাবাসীর মুখে স্কুলের পঠন-পাঠনের বেহাল অবস্থা শুনে তারা স্কুলে যান। স্কুলে গিয়ে তৃণমূল নেতা মতিলাল কুজুর চতুর্থ শ্রেণির একাধিক পড়ুয়াকে নিজের নাম খাতায় লিখতে বলেন। দুজন পড়ুয়া সঙ্গে সঙ্গে জানিয়ে দেয়, তারা নাম লিখতে পারে না। তাদের অক্ষর জ্ঞান নেই। যা দেখে বিধায়ক থেকে উপস্থিত সকলের চক্ষুচড়ক গাছ। বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল বলেন, শিক্ষকদের আরও যত্ন নিয়ে পড়ুয়াদের পড়ানো দরকার।

    কী বললেন স্কুলের শিক্ষকরা? Primary School

    স্কুলের (Primary School) একাধিক পড়ুয়ার এই হাল অস্বীকার করেননি স্কুলের (Primary School) সহকারি শিক্ষক দীপঙ্কর বিশ্বাস। তিনি বলেন, করোনার জন্য দুবছর লেখাপড়া হয়নি। আমরা দুজন শিক্ষক পড়াই। পড়ুয়ারা স্কুলে যেটুকু শিখে যাচ্ছে, বাড়িতে গিয়ে চর্চা না করার জন্য তাদের উন্নতি হচ্ছে না। স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সুদীপ্ত দাস স্কুলে আসেননি। তিনি ফোনে বিষয়টি শুনে বলেন, ২০১০ সালে কাজে যোগ দিই। তখন ৮৪ জন ছাত্র-ছাত্রী ছিল। পর্যাপ্ত শিক্ষক না থাকার কারণে সমস্যা তৈরি হয়েছে। পড়ুয়ার সংখ্যা কমেছে। ২০১৭ সালে আর একজন শিক্ষক যোগ দেন। স্কুলে আমরা পড়ুয়াদের সাধ্যমতো পড়ানোর চেষ্টা করি।

    স্কুলের পঠন-পাঠন নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের কী বক্তব্য ?  Primary School

    প্রায় পাঁচ বছর ধরে স্কুলে (Primary School) লেখাপড়া হয় না। যারজন্য পড়ুয়াদের অনেকের অক্ষর জ্ঞান নেই। শিক্ষকরা পালা করে স্কুলে আসেন। একজন শিক্ষক সব ক্লাস নেন। আসলে ক্লাস না নিয়ে মোবাইল দেখতে ব্যস্ত থাকেন। ফলে, অনেক অভিভাবক আর এই স্কুলে পড়াতে চান না। আর শিক্ষকরা স্কুলে (Primary School) এসে না পড়িয়ে মাসের পর মাস বেতন পেয়ে যাচ্ছেন বলে তাঁদের কোনও হেলদোল নেই। এলাকাবাসীর আরও বক্তব্য, দোষটা কার? পড়ুয়া, শিক্ষক, মোবাইলে আসক্তি না মানসিকতার। আসলে টাকা দিয়ে শিক্ষকরা চাকরি পাচ্ছেন। যাদের শুরুটা হচ্ছে অন্যায় দিয়ে, তাদের পড়ানোর ইচ্ছে না থাকাটাই স্বাভাবিক। চতুর্থ শ্রেণিতে পড়েও নিজের নাম লিখতে পারছে না। শৈশব তলিয়ে যাচ্ছে অশিক্ষার আঁধারে। অবিলম্বে শিক্ষকদের বদলি করে নতুন শিক্ষক নিয়োগ করে স্কুলের পঠন-পাঠন ফিরিয়ে আনার দাবি জানান সকলে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Road: রাস্তায় নেমে আন্দোলন করে ভোট বয়কটের ডাক! কোথায় জানেন?

    Road: রাস্তায় নেমে আন্দোলন করে ভোট বয়কটের ডাক! কোথায় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ কয়েকদিন আগে পথশ্রী প্রকল্পে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কয়েক হাজার কিলোমিটার রাস্তা (Road) তৈরির কথা ঘোষণা করেছেন। দক্ষিণ দিনাজপুরের তপন ব্লকের জলঘর পঞ্চায়েত গ্রামের বাসিন্দাদের আশা ছিল, এবার তাঁদের কাঁচা রাস্তা পাকা হবে। কিন্তু, তালিকায় দেখা যায়, এই পঞ্চায়েত এলাকার রাস্তা (Road) নেই। আর সেটা জানতে পেরেও প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে রাস্তায় নেমে পড়ে আন্দোলন শুরু করেছেন এলাকার বাসিন্দারা। দাবি আদায়ে তপন- বালুরঘাট রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা। যার জেরে রাস্তায় (Road) ব্যাপক যানজট তৈরি হয়। পুলিশ এসে বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেন। তাতেও ক্ষোভ কমে না বাসিন্দাদের। গ্রামবাসীদের এক প্রতিনিধি দল মহকুমা শাসকের কাছে দরবার করেন। তিনি বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলে অবরোধ ওঠে। কিন্তু, আগামিদিনে দাবি না মিটলে ভোট বয়কট করার কথা তাঁরা বলেন।

    গ্রামবাসীদের কী অভিযোগ? Road

    তপন ব্লকের জলঘর থেকে তেলাপুকুর পর্যন্ত প্রায় আড়াই কিলোমিটার মাটির রাস্তা (Road) দীর্ঘদিন ধরেই বেহাল। বর্ষার সময় এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে চরম অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয় বাসিন্দাদের। তেলাপুকুর গ্রামে প্রায় শতাধিক পরিবারের বসবাস। আশেপাশের বেশ কয়েকটি গ্রামও এই রাস্তার ওপর নির্ভরশীল। স্কুল সহ অফিস, বিভিন্ন কাজে এই রাস্তা দিয়েই প্রতিনিয়ত যাতায়াত করতে হয় বাসিন্দাদের। প্রায় তিন মাস আগে পাকা রাস্তার (Road) দাবিতে আন্দোলনে নেমেছিলেন গ্রামবাসীরা। সেই সময় ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে দ্রুত রাস্তা (Road)  তৈরি করার আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, তিন মাস পেরিয়ে গেলেও এই রাস্তা (Road) আজও হয়নি। বাসিন্দাদের বক্তব্য, আমাদের আশা ছিল পথশ্রী প্রকল্পে রাস্তা তৈরি করে দেওয়া হবে। কিন্তু, প্রশাসনের কোনও হেলদোল নেই। সামনে পঞ্চায়েত ভোট। দাবি না মিটলে আশেপাশের তিন-চারটে গ্রামের বাসিন্দারা কেউ ভোট দিতে যাবে না।

    কী বললেন স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ? Road

    স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান গোপাল মুর্মু বলেন, ওই রাস্তাটি (Road) পঞ্চায়েতের পক্ষে করা সম্ভব নয়। আমরা রাস্তাটি তৈরি করার জন্য প্রশাসনের কাছে ইতিমধ্যেই দরবার করেছি। জেলা তৃণমূল নেত্রী প্রদীপ্তা চক্রবর্তী বলেন, ওই রাস্তাটির (Road) অবস্থা বেহাল। খুব দ্রুত সংস্কার করার দরকার। বিষয়টি প্রশাসনের কাছে আমরা দরবার করব।

    বেহাল রাস্তা নিয়ে সরব বিজেপির রাজ্য সভাপতি? Road

    বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, পথশ্রী প্রকল্পে যা অর্থ বরাদ্দ করেছে তাতে কত রাস্তা(Road) হবে তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। তাই, ওই বেহাল রাস্তা কবে হবে তা কেউ বলতে পারবে না। আসলে তৃণমূল সরকার পঞ্চায়েত ভোটের আগে এসব করে মানুষকে বোকা বানাতে চাইছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Navami: রাম নবমীর মিছিলে বিজেপির সঙ্গে পা মেলালেন তৃণমূল নেতারা! কোথায় জানেন?

    Ram Navami: রাম নবমীর মিছিলে বিজেপির সঙ্গে পা মেলালেন তৃণমূল নেতারা! কোথায় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ কয়েক বছর আগে পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুর থেকে কনভয় করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘাটাল যাচ্ছিলেন।  রাস্তাতেই মুখ্যমন্ত্রীকে দেখে জয় শ্রীরাম বলেছিলেন স্থানীয় দুই যুবক। তারজন্য মুখ্যমন্ত্রী কনভয় থামিয়ে গাড়ি থেকে তেড়ে গিয়েছিলেন তাঁদের দিকে। ২০১৯ সালে লোকসভা ভোটের আগে একই ঘটনা ঘটেছিল ভাটপাড়ায়। সংবাদ মাধ্যমের দৌলতেই এই দুটি ঘটনার সাক্ষী ছিলেন রাজ্যবাসী। জয় শ্রীরাম ধ্বনি যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ্য করতে পারেন না তা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে ট্রোলও হয়েছে অনেক । দলের সুপ্রিমো রাম নাম পছন্দ করেন না তো কী হয়েছে,   বৃহস্পতিবার তৃণমূলের নেতা কর্মীরা প্রকাশ্যে বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে গলা মিলিয়ে চিত্কার করে জয় শ্রীরাম ধ্বনি তুললেন। আর পাশে দাঁড়িয়ে তৃণমূলের বোলপুর পুরসভার চেয়ারপার্সন পর্ণা ঘোষ তা তাড়িয়ে তাড়িয়ে উপভোগ করলেন। সঙ্গে তিনি বিজেপি কর্মীদের ডেকে ডেকে কপালে গেরুয়া সিঁদুর পড়িয়ে দিলেন। নিজেও গেরুয়া সিঁদুরে নিজের সিঁথি রাঙিয়ে তোলেন। অনেক বিজেপি কর্মী তাঁরসঙ্গে সেলফিও তোলেন। এক কথায়  রাম নবমী (Ram Navami) নিয়ে একেবারে অন্য দৃশ্য ধরা পড়ল বোলপুরে। যা দেখে সাধারণ মানুষও হতবাক। যদিও, দুপক্ষের যুক্তি রাজনীতির বাইরে গিয়ে উৎসবে মেতেছে সকলে।

    রাম নবমীর শোভাযাত্রায় তৃণমূলের যোগ নিয়ে কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব? Ram Navami

    গত কয়েক বছর ধরে রাম নবমী (Ram Navami)  উদযাপনকে হাতিয়ার করে শক্তিপরীক্ষা করে চলেছে বিজেপি। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বিজেপি নেতাদের উদ্যোগে রাম নবমীর (Ram Navami)  শোভাযাত্রা বের হয়েছে। পালটা শোভাযাত্রা বের করেছে তৃণমূল নেতারাও। তবে, অধিকাংশ জায়গায় পৃথকভাবে এই কর্মসূচি পালিত হয়েছে। কিন্তু, বোলপুরে দেখা গেল অন্য দৃশ্য। রাম নবমীর (Ram Navami)  শোভাযাত্রায় একসঙ্গে পা মেলালেন বিজেপি-তৃণমূল নেতারা। গেরুয়া সিঁদুর খেলাতেও মাতলেন সকলে। বোলপুর রেল ময়দান থেকে রাম নবমীর (Ram Navami)  শোভাযাত্রা বের হয়। সেখানে বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষের নেতৃত্বে বিজেপির নেতা-কর্মীরা ছিলেন। একই শোভাযাত্রায় ছিলেন বোলপুর পুরসভার চেয়ারপার্সন পর্ণা ঘোষ সহ তৃণমূল কাউন্সিলর সুকান্ত হাজরা, ওমর শেখ, তৃণমূল বোলপুর শহর সভাপতি নরেশচন্দ্র বাউড়ি সহ অন্যান্য নেতারা। যা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। এই বিষয়ে বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ অবশ্য বলেন, ” রামকে নিয়ে কোন সংকীর্ণতা চলে না। তাই সকলকে আমরা স্বাগত জানিয়েছি। সকলে অংশ নিয়েছেন। এখানে কোনও রাজনীতি নেই।”

    বিজেপির সঙ্গে রাম নবমী পালন নিয়ে কী বললেন বোলপুর পুরসভার চেয়ারপার্সন? Ram Navami

    বোলপুর পুরসভার চেয়ারম্যান পর্ণা ঘোষের স্বামী সুদীপ্ত ঘোষ জেলা তৃণমূলের কোর কমিটির সদস্য। বেশ কয়েকদিন ধরেই তাঁর সঙ্গে কোর কমিটির অন্যান্য সদস্যদের মতো বিরোধ চলছে। এছাড়া কয়েকদিন আগে অনুব্রত মণ্ডলের আপ্ত সহায়ক ইডি-র সামনে বোলপুর  পুরসভার চেয়ারপার্সন ও তাঁর স্বামীর নামে বিপুল পরিমাণ জমি কেনার কথা বলেছেন। স্বাভাবিকভাবে এই বিষয়টি ইডি-র নজরে রয়েছে। তারজন্যই কী ঘটা করে তৃণমূলের চেয়ারপার্সনের এই রাম নাম প্রশ্ন রাজনৈতিক মহলের। বোলপুর পুরসভার চেয়ারপার্সন পর্ণা ঘোষ বলেন, “রাম সবার দেবতা। রাম নবমী (Ram Navami)  সবার উৎসব। এটা ছিল একটা সম্প্রীতির অনুষ্ঠান। সম্প্রীতির কথা মাথায় রেখে সব শ্রেণীর মানুষকে নিয়ে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা। এটা কোন রাজনৈতিক অনুষ্ঠান বলে আমরা দেখিনি।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Agitation: তৃণমূল কর্মীদের বিক্ষোভের জেরে বাতিল হয়ে গেল দিদির সুরক্ষা কবচ কর্মসূচি! কোথায় জানেন?

    Agitation: তৃণমূল কর্মীদের বিক্ষোভের জেরে বাতিল হয়ে গেল দিদির সুরক্ষা কবচ কর্মসূচি! কোথায় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ পঞ্চায়েত ভোটের আগে এলাকার মানুষের অভাব অভিযোগ শুনতে শাসক দলের পক্ষ থেকে গোটা রাজ্য জুড়ে দিদির সুরক্ষা কবচ কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। দলীয় নির্দেশ মেনে তৃণমূলের আরামবাগ সাংগঠনিক জেলার নেতৃত্ব এই কর্মসূচিতে যোগ দিতে যান। এলাকাবাসীর অভাব অভিযোগ শোনার আগেই দলীয় কর্মীদের প্রবল বিক্ষোভের (Agitation) মুখে পড়ে কর্মসূচি বাতিল হয়ে যায়। শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে হুগলি জেলার আরামবাগ মহকুমার খানাকুলের রাজহাটি এলাকায়। পঞ্চায়েত ভোটের আগেই এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল একেবারে প্রকাশ্যে চলে এসেছে।

    জেলা নেতৃত্বকে দেখে কেন বিক্ষোভ দেখালেন কর্মীরা? Agitation

    শুক্রবার সকালে খানাকুলের রাজহাটি এলাকায় দিদির সুরক্ষা কবচ কর্মসূচি পালন করতে গিয়েছিলেন আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারম্যান জয়দেব জানা, ব্লক সভাপতি অনুপ মাইতি সহ অন্যান্য নেতা কর্মীরা। কর্মসূচি শুরু করার আগেই স্থানীয় তৃণমূল কর্মীরা তাঁদের ঘিরে ধরেন। কী কারণে তাঁরা না জানিয়ে এলাকায় ঢুকেছেন তা তাঁরা জানতে চান। এরপরই দলীয় কর্মসূচির কথা বলতেই তাঁরা নেতাদের ঘিরে ধরে বিক্ষোভে (Agitation)  ফেটে পড়েন। প্রকাশ্যে দলীয় কর্মীদের বিক্ষোভের (Agitation) জেরে জেলা নেতৃত্ব কর্মসূচি বন্ধ রেখে এলাকা ছাড়তে বাধ্য হন। বিক্ষুব্ধ তৃণমূল কর্মী অনুপ মান্না বলেন, গত এক মাস ধরে আমরা এলাকায় মানুষের সঙ্গে নিবিড় জনসংযোগ গড়ে তুলে দিদির সুরক্ষা কবচ কর্মসূচি পালন করছি। আর আমাদের মতো কর্মীদের না জানিয়ে জেলা নেতৃত্ব আর ব্লক নেতৃত্ব জনসংযোগ করতে এসেছিল। আর সঙ্গে কয়েকজনকে নিয়ে এসেছিল, যাদের সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। ব্লক সভাপতির সঙ্গে কেউ নেই। যে কজন রয়েছে সব দুর্নীতিগ্রস্ত। ব্লক সভাপতি নিজেও দুর্নীতিগ্রস্ত। এসব লোকজন নিয়ে এলাকায় জনসংযোগ করলে দলের ভাবমূর্তি খারাপ হবে। আমরা তৃণমূল দলকে ভালোবাসি। তাই, দুর্নীতিগ্রস্ত নেতাদের জন্য দলের ক্ষতি হোক আমরা চাই না। দলীয় কর্মীরা দুর্নীতিগ্রস্ত নেতাদের সামনে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন।

    দলীয় কর্মীদের বিক্ষোভ নিয়ে কী বললেন তৃণমূলের জেলা চেয়ারম্যান? Agitation

    কোনও বিক্ষোভই (Agitation) হয়নি বলে দাবি করলেন তৃণমূলের আরামবাগ সাংগঠনির জেলার চেয়ারম্যান জয়দেব জানা। তিনি বলেন, রাজ্য নেতৃত্বের নির্দেশ মতো আমি দিদির সুরক্ষা কবচ কর্মসূচিতে যোগ দিতে এসেছিলাম। আমার বিরুদ্ধে কেউ কোনও অভিযোগ করেনি। কোনও বিক্ষোভ (Agitation) হয়নি। তবে, কর্মসূচি বন্ধ রেখে কেন তাঁরা ফিরে গেলেন সেই বিষয়ে তিনি স্পষ্ট করে কোনও কিছু বলেননি।

    কী বললেন বিজেপির জেলা সভাপতি? Agitation

    বিজেপির আরামবাগ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি সুশান্ত বেরা বলেন, তৃণমূল দলটাই দুর্নীতিগ্রস্ত। এই ঘটনা সারা বাংলা জুড়ে ঘটছে। আরও ঘটবে। এখন তো দলীয় কর্মীরা প্রকাশ্যে নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ দেখাচ্ছে। আগামীদিনে এই ক্ষোভ জনরোষের আকার নেবে। সাধারণ মানুষ তৃণমূল দলটাকে আর সহ্য করতে পারছে না।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Railway: নববর্ষে আরেকটি বন্দে ভারত পেতে চলেছে বাংলা! কোন রুটে চলবে এই ট্রেন?

    Railway: নববর্ষে আরেকটি বন্দে ভারত পেতে চলেছে বাংলা! কোন রুটে চলবে এই ট্রেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ সামনে বাংলা নববর্ষ, আর এই নববর্ষে উপহার হিসাবে বঙ্গবাসী পেতে চলেছে আরও একটি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। উদ্যোগী রেল (Railway) মন্ত্রক। নিউ জলপাইগুড়ি-হাওড়া প্রথম বন্দে ভারত এক্সপ্রেস এই রাজ্যে আগেই চালু হয়েছে। এবার চালু হতে চলেছে নিউ জলপাইগুড়ি – গুয়াহাটি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। এমনটাই জানিয়েছেন জলপাইগুড়ির বিজেপি সাংসদ ডা: জয়ন্ত রায়। তিনি বলেন, নতুন এই এক্সপ্রেস চালু হয়ে গেলে অনেক কম সময়ের মধ্যে গুয়াহাটি যাওয়া সম্ভব হবে।

    কবে চালু হতে চলেছে এই ট্রেন? Railway

    উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক সব্যসাচী দে বলেন “এনজেপি-গুয়াহাটি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস চালানোর প্রস্তাব আমরা রেল (Railway) মন্ত্রকের কাছে পাঠিয়েছিলাম। সেই মতো আলোচনা এগিয়েছে। তবে, কবে এই বন্দে ভারত এক্সপ্রেস চালু হবে সে ব্যাপারে রেল (Railway) মন্ত্রকের থেকে এখনও কোনও নোটিশ পাইনি। তবে, বন্দে ভারত এক্সপ্রেস চলার জন্য উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলের (Railway) প্রস্তুতি শেষের পথে। আশা করছি, খুব শীঘ্রই এই ট্রেন চালু হতে চলেছে।”

     কোন কোন স্টেশনে থামবে নতুন বন্দে ভারত এক্সপ্রেস? Railway

    নিউ জলপাইগুড়ি-গুয়াহাটি বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের সম্ভাব্য সূচি অনুযায়ী, সকাল ৬ টা ১৫ মিনিটে নিউ জলপাইগুড়ি থেকে ছাড়বে। বেলা ১২ টা ৩০ মিনিটে গুয়াহাটিতে পৌঁছাবে। সব মিলিয়ে নিউ জলপাইগুড়ি থেকে গুয়াহাটি যেতে ৬ ঘণ্টা ১৫ মিনিট লাগবে। অন্যদিকে, দুপুর ১ টা ৩০ মিনিটে গুয়াহাটি থেকে ছাড়বে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। নিউ জলপাইগুড়িতে পৌঁছাবে সন্ধ্যা ৭ টা ৪৫ মিনিটে। তাই, ফিরতি পথেও ৬ ঘণ্টা ১৫ মিনিট সময় লাগবে। রেল (Railway) সূত্রে জানা গিয়েছে, ট্রেনটি নিউ জলপাইগুড়ি ও গুয়াহাটি যাত্রাপথে মোট ৪টি স্টেশনে দাঁড়াবে। সেই স্টেশনগুলি হল, নিউ কোচবিহার, কোকরাঝাড়, নিউ বঙ্গাইগাঁও এবং রঙ্গিয়া জংশন। পাশাপাশি, এ বছরের মধ্যে শুরু হতে চলেছে সেবক – রংপো রেল (Railway) প্রকল্প। তার কাজ দ্রুত গতিতে এগোচ্ছে। ফলে, পর্যটনের এক বিশাল পরিবর্তন আসতে চলেছে, যা ভ্রমণ পিপাসুদের জন্য খুশির খবর ।

    নতুন প্রকল্প নিয়ে কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব? Railway

    এই নতুন রেল (Railway) প্রকল্পের শুরু নিয়ে রাজনৈতিক তরজাও কম হয়নি। তৃণমূলের দার্জিলিং জেলার সভানেত্রী পাপিয়া ঘোষ বলেন, “বিজেপি রেলের ঢালাও কর্মসূচি নিয়ে কৃতিত্ব দাবি করলে আমাদের পাল্টা প্রশ্ন থাকবে, সেবক রংপো (Railway) রেল প্রকল্প নিয়ে বিজেপি কৃতিত্ব দাবি করতে পারে কি? কেননা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলমন্ত্রী থাকার সময় এই প্রকল্পের শিলান্যাস করেছিলেন। এতে বিজেপির কোনও কৃতিত্ব নেই। বরং, তাদের জবাবদিহি করতে হবে, এই প্রকল্প বাস্তবায়িত করতে এতদিন লাগলো কেন?”

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব? Railway

    বিজেপির শিলিগুড়ি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তথা মাটিগাড়া – নকশালবাড়ির বিধায়ক আনন্দময় বর্মন বলেছেন “তৃণমূল এই প্রচার করলে মানুষ তাতে প্রভাবিত হবে না। কেননা সকলেই চোখের সামনে দেখতে পাচ্ছেন, সারা দেশের সঙ্গে উত্তরবঙ্গ রেল পরিষদের উন্নয়নে বিজেপির সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করে চলেছে। নতুন বন্দে ভারত তার জ্বলন্ত প্রমাণ। আর সেবক রংপো রেল (Railway) প্রকল্পের কাজ বিজেপি ইচ্ছা করে দেরি করেনি, বিভিন্ন জায়গায় ধস নামার কারণে দেরি হয়েছে কাজ শুরু হতে। সবকিছু স্বাভাবিক হতেই আবার কাজ শুরু হয়েছে। বিজেপি উন্নয়ন নিয়ে রাজনীতি করে না। তৃণমূল অপপ্রচার করছে ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Madan Mitra: মদন মিত্র ঘনিষ্ঠ তৃণমূল কর্মীর নির্মীয়মাণ আবাসন থেকে উদ্ধার বোমা! কোথায় জানেন?

    Madan Mitra: মদন মিত্র ঘনিষ্ঠ তৃণমূল কর্মীর নির্মীয়মাণ আবাসন থেকে উদ্ধার বোমা! কোথায় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ পঞ্চায়েত ভোটের আগে শাসক দলের পক্ষ থেকে বোমা, গুলি মজুত করা হচ্ছে বলে বার বার অভিযোগ করছে বিরোধীরা। এবার বিরোধীদের আনা সেই অভিযোগই প্রমাণিত হল কামারহাটিতে। কামারহাটির ষষ্ঠীতলায় তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র (Madan Mitra) ঘনিষ্ঠ দলীয় কর্মীর নির্মীয়মাণ আবাসন থেকে তাজা বোমা উদ্ধার করল কামারহাটি থানার পুলিশ। যদিও অভিযুক্ত তৃণমূল কর্মী পলাতক। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। বিধায়ক ঘনিষ্ঠ দলীয় কর্মীর ওই আবাসনের মধ্যে কী করে বোমা এল তা নিয়ে বিরোধীরা প্রশ্ন তুলেছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, ওই নির্মীয়মাণ আবাসনের আশেপাশে প্রচুর বসতি রয়েছে। ফলে, বোমা ফেটে গেলে অনেক দুর্ঘটনা ঘটনার সম্ভাবনা ছিল। তাই, এই বিষয়ে প্রশাসনের কড়া হাতে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। এই ঘটনার সঙ্গে যে বা যারা জড়িত রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের এক আধিকারিক বলেন, বোমাগুলি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।

    কতগুলি বোমা উদ্ধার করল পুলিশ? Madan Mitra

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কামারহাটি ষষ্ঠীতলায় একটি আবাসন তৈরির কাজ চলছে। আবাসনটি মদন মিত্রের ঘনিষ্ঠ রিন্টু নামে এক তৃণমূল কর্মীর। বুধবার রাতে পুলিশ সেই নির্মীয়মাণ আবাসনে হানা দেয়। সেখান থেকে চারটি তাজা বোমা উদ্ধার করে কামারহাটি থানার পুলিশ। এই বিষয়ে স্থানীয় কাউন্সিলর কোনওরকম প্রতিক্রিয়া দিতে চাননি। ঘটনার পর থেকে পলাতক ওই তৃণমূল কর্মী।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব? Madan Mitra

    এই বিষয়ে তৃণমূল নেতা কমল দাস বলেন, আইন আইনের পথে চলবে। মদন মিত্র (Madan Mitra) আমাদের জননেতা। তাঁর সঙ্গে অনেকেই ছবি তোলেন। মদন মিত্রের (Madan Mitra) সঙ্গে কারও ছবি থাকলে সে তাঁর ঘনিষ্ঠ হবে এটা সম্ভব নয়। আমাদের বিধায়কের নাম জড়িয়ে দেওয়া ঠিক নয়। পুলিশ তদন্ত করছে। তদন্তে সঠিক সত্য বেরিয়ে আসবে। অভিযুক্ত তৃণমূল কর্মী রিন্টু জানিয়েছেন, তাকে চক্রান্ত করে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব? Madan Mitra

    এই বিষয়ে বিজেপি নেতা কিশোর কর বলেন, কামারহাটিতে মদন মিত্র (Madan Mitra) এই ধরনের দুষ্কৃতীদের সঙ্গে নিয়ে ঘোরাফেরা করেন। তাই, এই ধরনের ঘটনা ঘটবে, এটাই স্বাভাবিক। এসব দেখে কেউ আর তৃণমূল কংগ্রেস করতে চাইছে না।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share