Tag: Madhyom

Madhyom

  • PM Modi: মোদির অটোগ্রাফ চেয়ে বসলেন বাইডেন! কেন জানেন?

    PM Modi: মোদির অটোগ্রাফ চেয়ে বসলেন বাইডেন! কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বের বিভিন্ন রাষ্ট্রপ্রধানদের মধ্যে জনপ্রিয়তার নিরিখে সব চেয়ে বেশি এগিয়ে রয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। এ কথা আগেই জানিয়েছিল একটি পত্রিকা। নানা কারণে চিনের (China) সঙ্গে ভারতের (India) দূরত্ব তৈরি হলেও, চিনা নাগরিকদের কাছেও মোদির জনপ্রিয়তা তুঙ্গে। মোদির তুঙ্গ জনপ্রিয়তার প্রমাণ মিলল আবারও। শনিবার কোয়াড বৈঠক চলাকালীন মোদির অটোগ্রাফ চেয়ে বসলেন খোদ মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

    নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) তুঙ্গ জনপ্রিয়তা

    মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, আপনার জন্য বড্ড সমস্যার মুখে পড়েছি। আগামী মাসেই ওয়াশিংটনে আপনার সঙ্গে নৈশাহারে যোগ দেব আমি। দেশসুদ্ধ লোক সেখানে আসতে চাইছে। আমাদের টিকিট ফুরিয়ে গিয়েছে। বাইডেন বলেন, এটা মোটেই হাসির কথা নয়। আপনি হয়তো ভাবছেন, আমি মজা করছি। আমার টিমকে জিজ্ঞাসা করুন। টিকিটের জন্য এত ফোন কল পেয়েছি যে বিশ্বাস করতে পারবেন না। কে না ফোন করেছে আমাকে! সিনেমার অভিনেতা-অভিনেত্রী থেকে শুরু করে আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব, সবাই। আপনি এতটাই জনপ্রিয়।

    নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) প্রশংসা

    এদিন কার্যত মোদির (PM Modi) প্রশংসায় পঞ্চমুখ হতে দেখা যায় বাইডেনকে। মোদিকে মিস্টার প্রাইম মিনিস্টার সম্বোধন করে তিনি অটোগ্রাফের খাতা এগিয়ে দেন মোদির দিকে। পরে বলেন, গণতন্ত্র যে কতটা গুরুত্বপূর্ণ, সেটা গোটা বিশ্বকে বুঝিয়ে দিয়েছেন আপনি। সব কিছুর ওপর আপনার উল্লেখযোগ্য প্রভাব রয়েছে। কোয়াডে আমরা যা করছি, তাতেও আপনি প্রভাব বিস্তার করতে পেরেছেন। ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগর এলাকায় সুস্পষ্ট প্রভাব রয়েছে আপনার। সব কিছুতেই একটা পার্থক্য এনেছেন আপনি। এর পরেই হাসি হাসি মুখে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনি আলবেনিজকে বলতে শোনা যায়, সিউনিতে যে কমিউনিটি সেন্টার রয়েছে, সেখানে ২০ হাজার মানুষের বসার জায়গা রয়েছে। সেই সংখ্যা ছাপিয়ে গিয়ে আমার কাছে অনুরোধ এসেছে। সকলের একটাই দাবি, প্রধানমন্ত্রী মোদিকে নিজের চোখে একবার দেখতে চাই।

    আরও পড়ুুন: থানায় কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ হতেই আত্মহত্যার চেষ্টা ভাইরাল হওয়া তৃণমূল নেতার

    দ্বিতীয়বার প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi) কুর্সিতে বসার পর ২০১৯ সালে গুজরাটের স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠান করেন মোদি। এদিন সে প্রসঙ্গ টেনে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী বলেন, সেদিন যে বিপুল জনসমাগম দেখেছিলাম, তাতেই আপনার জনপ্রিয়তার একটা আন্দাজ হয়েছিল। সিডনিতে অনুষ্ঠান করতে গিয়ে সেটা বুঝতে পারছি। প্রসঙ্গত, আগামী মাসেই স্টেট ডিনারে মোদিকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Tollywood Actress: শ্যুটিং সেরে ফেরার পথে বেপরোয়া লরি পিষে দিল জনপ্রিয় টেলি অভিনেত্রীকে

    Tollywood Actress: শ্যুটিং সেরে ফেরার পথে বেপরোয়া লরি পিষে দিল জনপ্রিয় টেলি অভিনেত্রীকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শ্যুটিং সেরে বাড়ি ফেরার সময় পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল এক টেলি অভিনেত্রীর (Tollywood Actress) । শনিবার রাতে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে বরানগর থানার ঘোষপা়ড়া রোডে। পুলিশ জানিয়েছে, ওই টেলি অভিনেত্রীর নাম সুচন্দ্রা দাশগুপ্ত (২৯)। তাঁর বাড়ি পানিহাটি রেলওয়ে পার্ক এলাকায় তাঁর বাপের বাড়ি। বাইকে করে বাপের বাড়িতে ফেরার সময় দুর্ঘটনাটি ঘটে।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সুচন্দ্রা টেলি (Tollywood Actress) জগতে পরিচিত মুখ। “গৌরী এলো” সহ একাধিক সিরিয়ালে তিনি সহ অভিনেত্রীর কাজ করতেন। অন্যদিনের মতো শনিবারও তাঁর শ্যুটিং ছিল। তিনি শ্যুটিং শেষ করে রাতে বাইকে করে বাড়ি ফিরছিলেন। ডানলপের দিক থেকে তিনি বাইকে করে যাওয়ার সময় বরানগর ঘোষপাড়া রোডের কাছে একটি সাইকেল আচমকাই রাস্তা পার করে। সাইকেল আরোহীকে বাঁচাতে গিয়ে অভিনেত্রীর বাইকের চালক জোরে ব্রেক কষে। সেই সময় বাইকের পিছনে বসে থাকা অভিনেত্রী রাস্তায় ছিটকে পড়ে যায়। ঠিক ওই সময়ই পিছন দিক থেকে আসা একটি লরি তাঁকে পিষে দেয়। যদিও ঘটনার পর পরই লরিটিকে পুলিশ আটক করেছে। লরির চালককে গ্রেফতার করা হয়।

    কী বললেন প্রত্যক্ষদর্শীরা?

    এই ঘটনায় অভিনেত্রীর (Tollywood Actress)  পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। টেলি জগতের অনেকেই এই ঘটনা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় শোকজ্ঞাপন করেছেন। জানা গিয়েছে, শ্যুটিং শেষ হওয়ার পর তিনি অনলাইনে একটি বাইক বুক করেন। সেই বাইকে চড়েই তিনি কলকাতা থেকে পানিহাটিতে বাপের বাড়ি ফিরছিলেন। রাস্তাতেই বেপরোয়া লরি তাঁকে পিষে দিয়ে চলে যায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, বাইকে যথেষ্ট গতি ছিল। কিন্তু, আচমকা ব্রেক না করার জন্যই ওই মহিলা ছিটকে পড়েন। পিছনে লরিটি না থাকলে হয়তো তিনি বেঁচে যেতেন। কোনও কিছু বুঝে ওঠার আগেই লরিটি তাঁকে পিষে দিয়ে চলে যায়। পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, ওই অভিনেত্রীর ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Pak Drone: পাকিস্তানের ৪ ড্রোনকে গুলি করে নামাল বিএসএফ, মিলল মাদকও

    Pak Drone: পাকিস্তানের ৪ ড্রোনকে গুলি করে নামাল বিএসএফ, মিলল মাদকও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের ভারতের আকাশ সীমায় উড়ল পাকিস্তানি ড্রোন (Pak Drone)। ঘটনাটি নজরে পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই ৩টি ড্রোনকে গুলি করে নামায় বিএসএফ। গত ২৪ ঘণ্টায় পঞ্জাব সীমান্তের কাছে গুলি করে নামানো হয় ড্রোনগুলিকে। শুক্রবার রাতে গুলি করে নামানো হয় ৩টি ড্রোনকে। চতুর্থটিকে গুলি করে নামানো হয় শনিবার রাতে।

    প্রথম দিনেই এল ৩ পাকিস্তানি ড্রোন (Pak Drone)

    সীমান্তরক্ষী বাহিনী সূত্রে খবর, প্রথম দিন যে তিনটি পাকিস্তানি ড্রোন নামানো হয়েছিল, সেগুলি ডিজিআই ম্যাস্ট্রিস ৩০০ আরটিকে ব্ল্যাক কোয়াডকপ্টার। এর মধ্যে একটি ড্রোন (Pak Drone) শুক্রবার রাত ৯টা নাগাদ সীমান্ত পেরিয়ে ধারিয়াল গ্রামে ঢোকে। নজরে পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই সেটিকে গুলি করে নামানো হয়। তারই কিছু পরে অন্য একটি ড্রোন অমৃতসর জেলার রত্তন খুর্দ গ্রাম দিয়ে ঢোকার চেষ্টা করে। পরে সেটিকেও গুলি করে নামানো হয়। বিএসএফ জানিয়েছে, ওই ড্রোনের মধ্যে থেকে উদ্ধার হয় একটি প্যাকেট। প্যাকেটটি খুলতেই দেখা যায় নিষিদ্ধ মাদক। বিএসএফ সূত্রে খবর, ওই প্যাকেট থেকে উদ্ধার হয়েছে ৬ কেজি ৬০০ গ্রাম হেরোইন। এই পরিমাণ হেরোইনের বাজারমূল্য লক্ষাধিক টাকা। হেরোইন ভর্তি ওই প্যাকেটের গায়ে উজ্জ্বল স্টিকার লাগানো হয়েছিল বলেও দাবি বিএসএফের।

    একটি ড্রোন আছড়ে পড়ল পাকিস্তানে

    শুক্রবার রাতেই আরও একটি ড্রোনকে (Pak Drone) লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন সীমান্তে কর্তব্যরত জওয়ানরা। তবে সেই ড্রোনটি উদ্ধার করা যায়নি। কারণ ড্রোনটি পড়েছিল পাকিস্তানের সীমানায়। বিএসএফের মুখপাত্রের দাবি, সিসিটিভির ফুটেজ থেকে দেখা গিয়েছে ড্রোনটি মাটিতে আছড়ে পড়ার সঙ্গ সঙ্গেই স্থানীয় বাসিন্দারা ড্রোনটি থেকে কিছু সংগ্রহ করছেন। বিএসএফের এক আধিকারিক জানান, চতুর্থ ড্রোনটি শনিবার রাতে নিয়ম ভেঙে ঢুকে পড়ে ভারতীয় আকাশ সীমায়। অমৃতসর সেক্টরে কর্তব্যরত জওয়ানরা সেটিকেও গুলি করে নামায়। একটি ড্রোন ও মাদক ভর্তি একটি ব্যাগ উদ্ধার হয়েছে।

    সাম্প্রতিক অতীতে পঞ্জাব, জম্মু সহ দেশের একাধিক পাক সীমান্ত দিয়ে ভারতীয় ভূখণ্ডে হয়েছে ড্রোন হামলা। অনেক ক্ষেত্রেই ড্রোনগুলির (Pak Drone) মাধ্যমে কখনও টাকা, কখনও আবার অস্ত্র ছড়িয়ে জঙ্গিদের রসদ জোগাচ্ছে পাকিস্তান। ভারতের সীমান্তবর্তী গ্রামগুলিতে ড্রোনের মাধ্যমে মাদক পাচারের চেষ্টাও চলছে। সেই কারণেই সীমান্তে রয়েছে কড়া প্রহরা। তার জেরেই গত ২৪ ঘণ্টায় চারটি ড্রোন গুলি করে নামাল সীমান্তরক্ষী বাহিনী।

    আরও পড়ুুন: ‘‘দেশের জন্য নিরাপত্তার সুদর্শন চক্র তৈরি করেছেন প্রধানমন্ত্রী’’, মত অমিত শাহের

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Mig 21: বারংবার দুর্ঘটনা, অসময়ে অবসর নিচ্ছে মিগ ২১, আসছে তেজস

    Mig 21: বারংবার দুর্ঘটনা, অসময়ে অবসর নিচ্ছে মিগ ২১, আসছে তেজস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বারবার ভেঙে পড়ছে মিগ ২১ (Mig 21) ফাইটার জেট (Fighter Jet)। যার জেরে প্রাণ হারান পাইলট থেকে সাধারণ মানুষ। সেই কারণে অনির্দিষ্টকালের জন্য বসিয়ে দেওয়া হচ্ছে রাশিয়ার তৈরি এই যুদ্ধ বিমান। পর পর দুর্ঘটনার কবলে পড়ায় শনিবার যৌথভাবে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বায়ুসেনা ও প্রতিরক্ষামন্ত্রক। মিগ ২১ যুদ্ধ বিমানের জায়গায় উড়বে লাইট কমব্যাট এয়ারক্র্যাফ্ট তেজস। চলতি বছরের ৮ মে রাজস্থানের হনুমানগড় গ্রামে ভেঙে পড়েছিল একটি মিগ ২১ ফাইটার জেট। সেটি উড়েছিল সুরাতগড় বায়ুসেনা ঘাঁটি থেকে। রানওয়ে ছাড়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই একটি বাড়ির ওপর ভেঙে পড়ে এই যুদ্ধ বিমানটি। ওই দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল তিনজনের।

    মিগ ২১ (Mig 21) এর অবসর

    শনিবার মন্ত্রকের এক আধিকারিক বলেন, মিগ ২১ (Mig 21) যুদ্ধবিমান কেন বারংবার দুর্ঘটনার কবলে পড়ছে, তা জানতে শুরু হয়েছে তদন্ত। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত ওই বিমানগুলিকে ওড়ানো হবে না। তিনি বলেন, সুরক্ষার কথা ভেবেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বায়ুসেনা সূত্রে খবর, মিগ ২১ যুদ্ধবিমানের মোট তিনটি স্কোয়াড্রন রয়েছে। সব মিলিয়ে বিমান রয়েছে ৫০টি। ২০২৫ সালে অবসর নেওয়ার কথা ছিল এই বিমানগুলির। সেই সময়ের ঢের আগেই বসিয়ে দেওয়া হচ্ছে এই যুদ্ধবিমানগুলিকে। পূর্বতন সোভিয়েত ইউনিয়নের বিমান নির্মাতা সংস্থা মিকোয়ান-গুরেভিচ অ্যারোস্পেস কর্পোরেশনের নকশায় ১৯৫৫ সালে তৈরি হয় মিগ ২১ যুদ্ধ বিমান।

    ব্যবহার হয়েছে রাশিয়ার তৈরি ৮০০টি মিগ ২১

    ১৯৬২ সালে চিনের সঙ্গে যুদ্ধে হারের পর অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমানের খোঁজ করে প্রতিরক্ষামন্ত্রক। তখনই নজরে পড়ে মিগ ২১ এর ওপর। এ পর্যন্ত রাশিয়ার তৈরি ৮০০টি মিগ ২১ ব্যবহার করেছে ভারতীয় বায়ুসেনা। সম্প্রতি একাধিকবার দুর্ঘটনার কবলে পড়ায় এবং পাইলটদের মৃত্যু হওয়ায় মিগ ২১ (Mig 21) এর নাম হয়ে যায় উড়ন্ত কফিন। আত্মনির্ভর ভারত প্রকল্পে সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে লাইট কমব্যাট এয়ারক্র্যাফ্ট তেজস তৈরি করেছে ভারত। সূত্রের খবর, রাশিয়ার তৈরি মিগ ২১ যুদ্ধবিমানের জায়গা নিচ্ছে ভারতের তৈরি তেজস।

    আরও পড়ুুন: শিখ-দাঙ্গায় সিবিআইয়ের চার্জশিটে টাইটলারের নাম, ফের অস্বস্তিতে কংগ্রেস

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Jagdish Tytler: শিখ-দাঙ্গায় সিবিআইয়ের চার্জশিটে টাইটলারের নাম, ফের অস্বস্তিতে কংগ্রেস

    Jagdish Tytler: শিখ-দাঙ্গায় সিবিআইয়ের চার্জশিটে টাইটলারের নাম, ফের অস্বস্তিতে কংগ্রেস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের ‘টাইটলার-কাঁটা’য় অস্বস্তিতে কংগ্রেস। ১৯৮৪ সালের শিখ দাঙ্গা মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত হিসেবে সিবিআইয়ের (CBI) চার্জশিটে উঠে এল কংগ্রেস (Congress) নেতা জগদীশ টাইটলারের (Jagdish Tytler) নাম। সূত্রের খবর, টাইটলারের বিরুদ্ধে নতুন করে তথ্য প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। শনিবার দিল্লির রাউস অ্যাভেনিউ কোর্টের চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে চার্জশিট জমা দিয়েছে সিবিআই। সেখানেই নাম রয়েছে ওই কংগ্রেস নেতার। প্রসঙ্গত, ওই দাঙ্গার তদন্তে গঠিত নানাবতী কমিশনের রিপোর্টেও উঠে এসেছিল টাইটলারের নাম।

    টাইটলারের (Jagdish Tytler) বিরুদ্ধে অভিযোগ…

    প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর মৃত্যুর পর শিখ বিরোধী দাঙ্গায় নয়াদিল্লির পুল বাঙ্গাশ এলাকায় মৃত্যু হয় তিনজনের। ওই হত্যকাণ্ডের নেপথ্যে টাইটলার ষড়যন্ত্রকারী ছিলেন বলে অভিযোগ। কংগ্রেসের এই নেতার বিরুদ্ধে দুষ্কৃতীদের উসকানি দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে। মাসখানেক আগেই দিল্লিতে সেন্ট্রাল ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাবরেটরিতে গিয়েছিলেন টাইটলার (Jagdish Tytler)। সেখানে কণ্ঠস্বর পরীক্ষা করা হয় তাঁর। সিবিআইয়ের ফরেন্সিক ল্যবরেটরি থেকে বেরিয়ে টাইটলার বলেছিলেন, শিখ দাঙ্গা সম্পর্কিত কোনও মামলায় নয়, অন্য একটি মামলার জন্য তাঁর কণ্ঠস্বর পরীক্ষা করা হয়েছে।

    ইন্দিরা হত্যা…

    ১৯৮৪ সালের ৩১ অক্টোবর দুই শিখ দেহরক্ষীর গুলিতে প্রাণ হারান তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী। তার পরেই দেশের নানা অঞ্চলে শিখ নিধনের ঘটনা ঘটে। সরকারি হিসেবে, এই দাঙ্গায় তিন হাজার মানুষের মৃত্যু হয়। যদিও বেসরকারি হিসেবে সংখ্যাটা ৮ হাজারেরও বেশি। টাইটলারের বিরুদ্ধে অভিযোগ, বাঙ্গেশ এলাকার বাসিন্দাদের প্ররোচিত করেছিলেন তিনি। তার জেরে উত্তেজিত জনতার হাতে মৃত্যু হয় তিন শিখ ধর্মাবলম্বীর।

    আরও পড়ুুন: ‘‘মমতা লোকের কতটা ক্ষতি করতে পারেন, মদনের কথাই প্রমাণ’’! কটাক্ষ সুকান্তর

    শিখ বিরোধী দাঙ্গার তদন্তের জন্য ২০০০ সালে বিচারপতি নানাবতীর নেতৃত্বে তদন্ত কমিশন গঠন করেছিল ভারত সরকার। কমিশনের রিপোর্ট বিবেচনার পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক তৎকালীন সাংসদ এবং অন্য অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দেয় সিবিআইকে। ২০০৫ সালে আরও একটি মামলা রুজু হয়। সূত্রের খবর, তদন্ত করতে গিয়ে সিবিআই জানতে পারে ইন্দিরা হত্যার পরের দিন টাইটলার (Jagdish Tytler) আজাদ মার্কেটের গুরুদ্বার পুল বাঙ্গেশে বিক্ষোভকারীদের উসকানি দেন। যার জেরে তিনজনকে হত্যা করা হয়। বেশকিছু দোকানপাঠও পুড়িয়ে দিয়েছিল উত্তেজিত জনতা।

    দিন কয়েক আগেই কর্নাটকে নিরঙ্কুশ সংখ্যা গরিষ্ঠতা পেয়েছে কংগ্রেস। চলছে নয়া মুখ্যমন্ত্রীর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি-পর্ব। তার ঠিক আগে আগেই সিবিআইয়ের চার্জশিটে টাইটলারের নাম ওঠায় কংগ্রেস যে কিছুটা হলেও বিপাকে, তা বলাই বাহুল্য।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Attacks Mamata: ‘‘মমতা লোকের কতটা ক্ষতি করতে পারেন, মদনের কথাই প্রমাণ’’! কটাক্ষ সুকান্তর

    Sukanta Attacks Mamata: ‘‘মমতা লোকের কতটা ক্ষতি করতে পারেন, মদনের কথাই প্রমাণ’’! কটাক্ষ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসকেএম-কাণ্ডের জেরে শনিবার নাম না করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র আক্রমণ করেন দলেরই বিধায়ক মদন মিত্র। প্রয়োজন হলে বিধায়ক পদ, এমনকি রাজনীতিও ছেড়ে দেবেন বলে হুঙ্কার দেন তিনি। শুধু তাই নয়, রীতিমতো সাংবাদিকদের সামনে কামারহাটির বিধায়ককে বলতে শোনা যায়— তাঁর ক্ষতি করলেও তাঁর পরিবারের কারও প্রতি যেন ‘প্রতিহিংসামূলক আচরণ’ না করা হয়। তাঁর পরিবারের কেউ যেন ক্ষতি না করে।

    মমতা নিয়ে ঠিক কী বলেছেন সুকান্ত

    মদন মিত্রর এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতেই সুকান্ত মজুমদার জানান, এর থেকেই পরিষ্কার, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কতটা প্রতিহিংসাপরায়ণ হতে পারেন। কারও ক্ষতি করতে মমতা কতদূর যেতে পারেন, তা মদন মিত্রর কথাতেই স্পষ্ট। এদিন সাংবাদিক বৈঠকে বিজেপি রাজ্য সভাপতি বলেন, “মদন মিত্র প্রমাণ করে দিয়েছেন তার মত দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতার বাড়ির লোকেরও ক্ষতি করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তার দল কি কি করতে পারে মদন মিত্র সেটা হাটে হাঁড়ি ভেঙে দিয়েছেন।”

    আরও পড়ুন: “তৃণমূল মমতা-অভিষেকের একার দল নয়”, এসএসকেএমকাণ্ডে তোপ মদনের

    গতকাল রাতে মদন মিত্র দাবি করেন, তৃণমূল আমলে তাঁর থাকা সত্ত্বেও পিজি-তে ভর্তি নেয়নি। এই প্রসঙ্গে পূর্বতন বাম জমানার উল্লেখ করে তুলনাও করেন কামারহাটির বিধায়ক। মদনের এই মন্তব্য নিয়েও প্রতিক্রিয়া দেন সুকান্ত। জানিয়ে দেন, মদন মিত্রের কথা থেকেই প্রমাণিত স্বাস্থ্য পরিষেবা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী যে দাবিগুলো করেন সেগুলো মিথ্যে দাবি। বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর কথা যে ভুল, সেটা তার দলের লোকেরাই প্রমাণ করছে।”

    কেন মদন মিত্র বেসুরো? তার কারণ…

    মদন মিত্রের ক্ষোভের কারণ কী? প্রশ্নের জবাবে সুকান্তবাবু বলেন, ‘‘এ দিল মাঙ্গে মোর। মন্ত্রী হতে পারেননি, তাই দুঃখে এসব করছেন।’’ তিনি যোগ করেন, মদন মিত্র অনেক দিন ধরেই তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে বিক্ষুব্ধ। অনেকদিন ধরেই দলের বিরুদ্ধে একাধিক কথা বলছেন। মদন মিত্রর দাবি, গত ৫ বছরে মুখ্যমন্ত্রী তার সঙ্গে ৫ মিনিটও কথা বলেননি। এই প্রেক্ষিতে বিজেপি রাজ্য সভাপতি জানান, “এখন আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মদন মিত্রর দিদি নন। এখন শুধু ভাইপো ছাড়া তিনি আর কারও সঙ্গে সেভাবে কথা বলেন না।’’

  • Tungnath Temple: ক্রমশই হেলে পড়ছে রুদ্রপ্রয়াগের তুঙ্গনাথ শিবমন্দির! জানাল ভারতের পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ 

    Tungnath Temple: ক্রমশই হেলে পড়ছে রুদ্রপ্রয়াগের তুঙ্গনাথ শিবমন্দির! জানাল ভারতের পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হেলতে শুরু করেছে বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু শিব মন্দির তুঙ্গনাথ (Tungnath Temple)। উত্তরাখণ্ডের রুদ্রপ্রয়াগ জেলার এই স্থাপত্য বিশ্বের সর্বোচ্চ শিবমন্দির হিসেবে পরিচিত। ১২,৮০০ ফুট উঁচুতে অবস্থিত এই মন্দির ইতিমধ্যে ৫ থেকে ৬ ডিগ্রি হেলে পড়েছে বলে জানিয়েছেন আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার আধিকারিকরা। অন্যদিকে, মন্দিরের ছোট কাঠামোগুলি হেলেছে প্রায় ১০ ডিগ্রি। গাড়োয়াল হিমালয়ের এই স্থাপত্য নিয়ে সমীক্ষা চালায় আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া। সেখানেই এই তথ্য উঠে আসে। এই অবস্থা চলতে থাকলে যেকোনও মুহূর্তে ধসে পড়তে পারে মন্দির, একথা ইতিমধ্যে কেন্দ্রকে জানিয়েছে পুরাতত্ত্ব বিভাগ। বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখছে নরেন্দ্র মোদি সরকারও।

    আরও পড়ুন: ‘‘বারেবারে ঘুঘু তুমি খেয়ে যাও ধান এবার…’’! অভিষেককে কটাক্ষ সুকান্তর

    কী বলছেন ভারতের পুরাতত্ত্ব গবেষকরা (Tungnath Temple)

    দেরাদুন পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণের এক আধিকারিকের মতে, ‘‘কেন তুঙ্গনাথ মন্দির (Tungnath Temple) হেলে গিয়েছে, এর কারণ খুঁজে বের করতে হবে। পাশাপাশি এটাও দেখতে হবে যে এই ক্ষতি দ্রুত মেরামত করা যায় কিনা। পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে খতিয়ে দেখার পর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’’ পুরাতত্ত্ব বিভাগের অপর এক আধিকারিক বলেন, ‘‘সরকার এটিকে জাতীয় স্মৃতিস্তম্ভ হিসেবে ঘোষণা করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। এ বিষয়ে কারও কোন আপত্তি আছে কিনা জানতে চেয়ে একটি বিজ্ঞপ্তিও জারি করা হয়েছে।’’ জানা গেছে, কেন্দ্রীয় সরকারকে মন্দিরের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে মন্দিরটিকে যাতে সুরক্ষিত সৌধের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয় সেই আবেদনও করা হয়েছে।  

    তুঙ্গনাথ মন্দিরের (Tungnath Temple) বর্তমান স্থিতি….

    জানা গেছে ওই মন্দিরে আপাতত একটি স্কেল বসানো হয়েছে। পুরাতত্ত্ব বিভাগের উদ্যোগে এই স্কেল প্রতিনিয়ত পর্যবেক্ষণ করা হবে। দেখা হবে যে ওই মন্দির বসে যাচ্ছে নাকি হেলে যাচ্ছে। প্রসঙ্গত, তুঙ্গনাথ মন্দিরের দেখাশোনা করে বদ্রি কেদার টেম্পল কমিটি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Madan Mitra: “তৃণমূল মমতা-অভিষেকের একার দল নয়”,  এসএসকেএমকাণ্ডে তোপ মদনের

    Madan Mitra: “তৃণমূল মমতা-অভিষেকের একার দল নয়”, এসএসকেএমকাণ্ডে তোপ মদনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা এসএসকেএম হাসপাতালে দুর্ঘটনায় জখম এক রোগী ভর্তি করা নিয়ে কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্রের (Madan Mitra) সঙ্গে সংঘাতের সূত্রপাত। আর তার জের কালীঘাট পর্যন্ত পৌঁছে যাবে শনিবার তা দলের কর্মীরাও আঁচ করতে পারেননি। শুক্রবারের ঘটনার জেরে এদিন মদন বাণে বিদ্ধ হয় এসএসকেএম। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং মদন মিত্র একে অপরের বিরুদ্ধে সাংবাদিক সম্মেলন করে বিবৃতি পাল্টা বিবৃতি দিয়ে তোপ দাগে। শনিবার দিনভর এই ঘটনা রাজ্য রাজনীতিতে ঝড় তুলে দিয়েছে। কারণ, মদনের বাণে বিদ্ধ শুধু এসএসকেএম নয়, তৃণমূল সুপ্রিমোও।

    হাসপাতালে কর্তৃপক্ষের কী বক্তব্য?

    শনিবার সাংবাদিক বৈঠক করে হাসপাতালের ডিরেক্টর মণিময় বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “হাসপাতাল চত্বরে কোনওরকম অশান্তি বরদাস্ত করা হবে না। আর এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীও আমাদের পাশে রয়েছেন”। মদন মিত্রের (Madan Mitra) নাম না করে তিনি আরও বলেন, “শুক্রবার রাতে হাসপাতালে যা ঘটেছে, তা অনভিপ্রেত। ইচ্ছাকৃতভাবে চিকিত্সক, স্বাস্থ্যকর্মী, নার্সদের হেনস্থা এবং গালিগালাজ করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আমার সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর কথা হয়েছে। আমি তাঁকে ঘটনার কথা বিস্তারিত জানিয়েছি। তিনি এক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতির কথা বলেছেন।” হাসপাতালের ডিরেক্টর আরও বলেন, “যে কোনও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বা হাসপাতালে কেউ হামলা করলে জিরো টলারেন্স নীতি নিয়ে দোষীদের শাস্তি দেওয়া হয়। এসএসকেএম হাসপাতালের ক্ষেত্রেও সেই একই নিয়ম প্রযোজ্য হবে। কাল যাঁরা এই ঘটনা ঘটিয়েছেন, তাঁদের সকলের ছবি সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়েছে। সেই ফুটেজ দেখে আইনত ব্যবস্থা নেওয়া হবে”।

    কী বললেন মদন মিত্র (Madan Mitra)?

    মুখ্যমন্ত্রীর নাম করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কড়া বার্তায় মদন মিত্রের ক্ষোভের আগুনে কার্যত ঘি ঢেলেছে। পাল্টা সাংবাদিক সম্মেলন করে মদন মিত্র বিধায়ক পদ ছেড়ে দেওয়ার কথা বলেছেন। মূলত তাঁর এই ক্ষোভ যতটা না হাসপাতালের বিরুদ্ধে তার থেকে অনেক বেশি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। তিনি বলেন, “তৃণমূল দলটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেকের একার দল নয়। আমাদের মতো সকলকে নিয়ে তৃণমূল গঠিত হয়েছে। তৃণমূল ব্যক্তিগত কারও হলে প্রাইভেট লিমিটেড লেখা থাকত, সেটা তো কোথাও লেখা নেই। আর এই দল করতে গিয়ে কারও শরীরে যদি আঘাতের চিহ্ন লেগে রয়েছে, তো আমারও ২৩ মাস জেল খাটার আঘাত শরীরে রয়েছে। দরকার হলে আমি বিধায়ক পদ ছেড়ে দেব। আমি সোনালি গুহ, দীনেশ ত্রিবেদী, মুকুল রায় নই। আমি মদন মিত্র (Madan Mitra)। উনি আমাকে কী দিয়েছেন?” তিনি আরও বলেন, “ওই তো বিধায়কের মাইনে। যদি ছেড়ে দিতে বলেন, তা ছেড়ে দেব। তেমন হলে রাজনীতি ছেড়ে দেব। যা পড়াশুনা জানি তাতে টিউশন পড়িয়ে মাসে ৩০ হাজার রোজগার করতে পারব।” এরপর তিনি অনুরোধ করে বলেন, “আমার পরিবারের প্রতি প্রতিহিংসামূলক আচরণ করবেন না। আর আমি বিধায়ক পদ থেকে পদত্যাগ করলে এক মাসের মধ্যে ভোট করাবেন। আমি নির্বাচিত কামারহাটি থেকে। তৃণমূল আমাকে জেতায়নি। আমাকে জিতিয়েছে কামারহাটির মানুষ।”

    কী নিয়ে বই লেখার কথা বললেন কামারহাটির বিধায়ক (Madan Mitra)?

    বিধায়ক পদ ছেড়ে দিলে কামারহাটির বিধায়ক (Madan Mitra) টিউশন করার কথা বলেছেন। একইসঙ্গে তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, “আমি বই লিখব। আর সেই বই বেস্ট সেলার হবে। সারদা মামলায় ২৩ মাস জেলে ছিলাম। আমার বইয়ে সেই সময়করার ঘটনা তুলে ধরব। আমার বিশ্বাস, আমার বই বেস্ট সেলার হবে। আমেরিকার মানুষও পড়বে আমার বই।”

    কী বললেন তৃণমূলের মুখপাত্র?

    তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, মদনদা (Madan Mitra) বাম আমল থেকে পিজি হাসপাতালে প্রভাবশালী। দলমত নির্বিশেষে তিনি মানুষের চিকিত্সার ব্যবস্থা করে এসেছেন। কোনও একটি ঘটনায় তাঁর রাগ হয়েছে। তবে, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ যেটা বলেছে সেটাও একটি দিক।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Narendra Modi: জি৭ সম্মেলনে মোদি-জেলেনস্কি দ্বিপাক্ষিক বৈঠক! কী আলোচনা হল? 

    Narendra Modi: জি৭ সম্মেলনে মোদি-জেলেনস্কি দ্বিপাক্ষিক বৈঠক! কী আলোচনা হল? 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জাপানের হিরোশিমা শহরে শুরু হয়েছে জি৭ সম্মেলন। শুক্রবার সন্ধ্যাতেই এই সম্মেলনে যোগ দিতে জাপানে পা রেখেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। সে দেশে পেয়েছেন উষ্ণ অভ্যর্থনাও। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গেও তাঁর সাক্ষাৎ হয়েছে। শনিবার দ্বিপাক্ষিক বৈঠক সম্পন্ন হল ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ও ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে। প্রসঙ্গত রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের পরে এই প্রথমবার মুখোমুখি হলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী (Narendra Modi) এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট। যদিও যুদ্ধকালীন সময়ে দুই রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে একাধিকবার ফোনে কথা হয়েছে। এদিন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠকের সময় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল।

    কী কী বিষয়ে আলোচনা হল

    বিভিন্ন সংবাদ সংস্থা সূত্রে জানা যাচ্ছে যে উভয় রাষ্ট্র প্রধানের মধ্যে নানা ইস্যুতে কথা হয়েছে। বিশেষত রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের সময় গ্লোবাল সিকিউরিটি নিয়ে আলোচনা হয়। সূত্রের খবর বৈঠকের শুরুতেই ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ আমার কাছে শুধু একটি রাজনৈতিক ঘটনা নয়।’’ দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বারবার ঘুরে ফিরে যুদ্ধের প্রসঙ্গ উঠে আসে বলে জানা যাচ্ছে।

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী মোদি?

    রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বিশ্বের বিভিন্ন ইস্যুতে কীভাবে প্রভাব ফেলেছে তাও এদিন তুলে ধরেছেন প্রধানমন্ত্রী। এই সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ সাম্প্রতিক কালে বিশ্বের একটি বড় ঘটনা। এই যুদ্ধ শুধুমাত্র রাজনৈতিক নয়, আমার কাছে এটি মানবতার বিষয়।’’ রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের আগে পর্যন্ত একটা বড় অংশের ভারতীয় ছাত্র ডাক্তারি পড়তে পছন্দের তালিকায় রাখত ইউক্রেনকে। সে প্রসঙ্গ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘যুদ্ধের যন্ত্রণা সম্পর্কে আমরা অবহিত হয়েছি, আমাদের দেশের ছাত্ররা তখন তা বলেছেন।’’ জানা গেছে, যুদ্ধ থামাতে নরেন্দ্র মোদি সমস্ত রকমের সহযোগিতা করবেন বলে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘ভারতবর্ষ যুদ্ধ থামাতে সামর্থ্য অনুযায়ী চেষ্টা করবে।’’

    কী বললেন জেলেনস্কি?

    দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পরেই ট্যুইট করেন ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট। সেখানে তিনি লেখেন, ‘‘ধন্যবাদ জানাই ভারতকে। ইউক্রেনের সার্বভৌমত্বকে সমর্থন করার জন্য। ইউক্রেনের প্রয়োজন মোবাইল হাসপাতাল। বৈঠকে সেকথাও তুলেছি।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: রাস্তার জমা জলে মাছ ছেড়ে, জাল দিয়ে মাছ ধরে, অভিনব প্রতিবাদ বিজেপির

    Nadia: রাস্তার জমা জলে মাছ ছেড়ে, জাল দিয়ে মাছ ধরে, অভিনব প্রতিবাদ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃষ্টি হলে রাস্তায় এক হাঁটু জল জমে যাতায়াতের অযোগ্য হয়ে পড়ে রাস্তা। যাতায়াতের ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়েন সাধারণ মানুষ। জল জমা রাস্তায় সবথেকে বেশি অসুবিধায় পড়েন নিত্যযাত্রী গ্রামের মহিলা এবং স্কুলের ছাত্রীরা। তাই নদিয়ার (Nadia) আসাননগর পঞ্চায়েত প্রশাসনের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে জমা জলে মাছ ছেড়ে সেই মাছকে জাল দিয়ে ধরে অভিনব প্রতিবাদ জানালো বিজেপি।

    জমা জলে আসননগরে (Nadia) সমস্যা

    বৃষ্টির জমা জলে রাস্তার সমস্যায় রয়েছেন আসাননগর (Nadia) পঞ্চায়েতের অন্তর্গত ভাটপাড়া এলাকার বাসিন্দারা। বৃষ্টির ফলে এলাকার প্রায় একশো মিটার রাস্তায় জমে রয়েছে জল। আর এই রাস্তার জমা জল দিয়ে যাতায়াতের সমস্যা এখন নিত্যদিনের। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি এই রাস্তা দিয়ে প্রত্যেক দিন ৮ থেকে ১০টি গ্রামের মানুষ যাতায়াত করেন। এ বিষয়ে বারংবার পঞ্চায়েতের কাছে লিখিত অভিযোগ করেও কোন সুরাহা মেলেনি। দীর্ঘদিন ধরে জল নিকাশি ব্যবস্থা নেই এলাকায়। রাস্তার জমা জলে বাড়ছে মশার উপদ্রব। একে রাস্তার সমস্যা, তারপর আবার ডেঙ্গি সংক্রমণের আতঙ্ক বাড়ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে।

    নদীয়া (Nadia) বিজেপির প্রতিক্রিয়া

    প্রতিবাদে সরব হয়েছেন বিজেপি নেতৃত্ব ও স্থানীয় (Nadia) বাসিন্দারা। জাল দিয়ে মাছ ধরে অভিনব প্রতিবাদ জানানো হয় বিজেপির পক্ষ থেকে। বিজেপির মণ্ডল সভাপতি গৌরাঙ্গ দে বলেন, এই রাস্তার পাশেই নদী বয়ে গেছে, রাস্তা থেকে একটা ড্রেন করে নদীর সঙ্গে সংযোগ করলে বৃষ্টির জল রাস্তা থেকে দ্রুত নেমে যাবে। কিন্তু আসাননগরে (Nadia) তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত পঞ্চায়েত বোর্ডের প্রশাসনকে অভিযোগ জানিয়েও কোনও কাজ হচ্ছে না। প্রশাসনের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলেছেন তিনি। তিনি আরও বলেন, প্রশাসনকে আমারা ভারতীয় জনতা পার্টির তরফ থেকে প্রতিবাদ জানালাম। প্রশাসন দ্রুত নিকাশি ব্যবস্থা না করলে আগামীদিনে আমারা বৃহত্তর আন্দোলন করব বলে হুমকি দেন বিজেপির এই মণ্ডল সভাপতি। প্রতিবাদ অভিনব হলেও, পঞ্চায়েত ভোটের আগে প্রশাসন কতটা তৎপর হয়, তাই এখন দেখার।  

     

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share