Tag: Madhyom

Madhyom

  • Arambagh: রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালেন মহিলারা, কেন জানেন?

    Arambagh: রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালেন মহিলারা, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রচণ্ড গরমে তীব্র জল সঙ্কটে অতিষ্ঠ হয়ে হুগলির আরামবাগের (Arambagh) গড়বাড়ি এলাকায় রাজ্য সরকার অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালেন মহিলারা। তবে, শুধু বুধবার নয়, মঙ্গলবারও এলাকাবাসী রাস্তা অবরোধে সামিল হয়েছিলেন। বাড়ির সব কাজ ফেলে মহিলারা জোটবদ্ধ হয়ে এদিন বালতি হাতে নিয়ে অবরোধে সামিল হন। অবরোধের জেরে আরামবাগ (Arambagh) – কলকাতা রাজ্য সড়কে তীব্র যানজট তৈরি হয়। পরে, পুলিশ গিয়ে অবরোধকারীদের সঙ্গে কথা বলে অবরোধ তোলার ব্যবস্থা করে।

    ঠিক কী অভিযোগ?

    আরামবাগের (Arambagh) মায়াপুর ২ নং পঞ্চায়েতের গড়বাড়ি এলাকায় পানীয় জলের জন্য জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দফতরের মাধ্যমে ট্যাঙ্ক বসানো হয়। পরে গ্রামে গ্রামে সেই প্রকল্পের কলও বসানো হয়। কিন্তু অভিযোগ, সেই কল থেকে জল পাননি গড়বাড়ি গ্রামের বাসিন্দারা। যার জেরে ওই গ্রামে তীব্র জল সঙ্কট দেখা দিয়েছে। বাধ্য হয়েই আরামবাগের (Arambagh) গড়বাড়ি এলাকার মানুষ মঙ্গলবার বেশ কিছুক্ষণ রাস্তা অবরোধ করেছিলেন। কিন্তু, সমস্যার সমাধান হয়নি। এদিন ফের ওই এলাকায় আরামবাগ (Arambagh) – কলকাতা রাজ্য সড়ক অবরোধ করেন গ্রামবাসীরা।

    কী বললেন আন্দোলনকারীরা?

    আন্দোলনকারীদের বক্তব্য, ঘটা করে গ্রামে জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দফতরের পক্ষ থেকে কল বসানো হয়। কিন্তু, সেখান থেকে পানীয় জলের পরিষেবা পাওয়া যায় না। প্রকল্প নিয়েও দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন তাঁরা। এই তীব্র গরমে এলাকাবাসীকে জল কিনে খেতে হচ্ছে। অনেকে দূরের কোনও এলাকা থেকে জল নিয়ে এসে প্রয়োজন মেটাচ্ছে। প্রশাসনের কাছে বহুবার অভিযোগ জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। বাধ্য হয়েই জলের দাবিতে স্থানীয় বাসিন্দারা অবরোধ করেন।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    এই নিয়ে বিজেপির আরামবাগ (Arambagh) সাংগঠনিক জেলার সভাপতি সুশান্ত বেড়া বলেন, ঘটা করে জলপ্রকল্প করে কী লাভ হল। আসলে তৃণমূলের নাটক এবার শেষ হয়ে গিয়েছে। তাই মানুষ বুঝতে পেরে প্রতিবাদ জানাচ্ছে। এভাবে আর বেশি দিন নয়। আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে মানুষ তার যোগ্য জবাব দিয়ে দেবে ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • UGC NET: জুন মাসের ‘নেট’ পরীক্ষার আবেদন প্রক্রিয়া শুরু! জানুন বিস্তারিত

    UGC NET: জুন মাসের ‘নেট’ পরীক্ষার আবেদন প্রক্রিয়া শুরু! জানুন বিস্তারিত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ থেকে শুরু হচ্ছে ইউজিসি নেট পরীক্ষার আবেদন। ইউজিসির (UGC NET) তরফে জানানো হয়েছে, আগামী তিন সপ্তাহ এই আবেদন প্রক্রিয়া চলবে। তারপরে জুন মাসে পরীক্ষা হবে। জানা গেছে, আগামী ১৩ জুন থেকে ২২ জুনের মধ্যে সমস্ত পরীক্ষা সম্পন্ন হবে। জুনিয়র রিসার্চ ফেলোশিপ এবং অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর এর জন্য ইউজিসি নেট পরীক্ষা নেবে ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি। এই পরীক্ষা অনলাইনে হবে মোট ৮৩ টি বিষয়ে। ১০ মে বুধবার থেকে অনলাইনে আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে, চলবে আগামী ৩১ মে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত।

    প্রার্থীদের সুবিধার্থে ইউজিসির তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে নিয়মিত এনটিএ-র অফিসিয়াল ওয়েবসাইট nta.ac.in এবং ইউজিসি নেটের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট ugcnet.nta.nic.in তাঁরা যেন নজর রাখেন।

    কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হতে হলে নেট (UGC NET) উত্তীর্ণ থাকা বাধ্যতামূলক

    প্রসঙ্গত বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলেজে শিক্ষকতার পদে আবেদন করার জন্য নেট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে থাকা বাধ্যতামূলক। এছাড়াও জুনিয়ার রিসার্চ ফেলোশিপের যোগ্যতা মানের জন্য নেট পরীক্ষা নেওয়া হয়। ২০১৮ সাল থেকে ‘কম্পিউটার বেসড মোড ইউজিসি নেট’ পরীক্ষা হচ্ছে। প্রতিবছর দু’বার এই পরীক্ষা সম্পন্ন হয়। একটি জুন মাসে এবং অপরটি হয় ডিসেম্বরে। ডিসেম্বরের নেট (UGC NET) পরীক্ষার ফলাফল ইতিমধ্যে প্রকাশিত হয়েছে।

    কীভাবে আবেদন করবেন?

    ১) প্রথমে official website, ugcnet.nta.nic.in- এ যেতে হবে।

    ২) এরপরে ইউজিসি নেট জুন ২০২৩ রেজিস্ট্রেশনের লিঙ্কে ক্লিক করতে হবে

    ৩) এরপর অনলাইনে আবেদনের লিঙ্কে ক্লিক করতে হবে এবং যাবতীয় তথ্য এবং নথি জমা করতে হবে।

    ৪) রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন হওয়ার পরে এর একটি প্রিন্ট আপনাকে বের করে নিতে হবে।

    ফি কতো?

    ইউজিসির তরফে জানানো হয়েছে যে সাধারণ তালিকাভুক্ত প্রার্থীদের জন্য ১১০০ টাকা ফি জমা করতে হবে। ওবিসি তালিকাভুক্ত প্রার্থীদের ক্ষেত্রে ফি হবে ৫৫০ টাকা এবং এসসি, এসটি প্রার্থীদের জন্য ফি ২৭৫ টাকা। ফি অনলাইনে জমা করতে হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Barrackpore: বারাকপুর ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের সঙ্গে সংঘাতে সুরেন্দ্রনাথ কলেজ কর্তৃপক্ষ, কেন জানেন?

    Barrackpore: বারাকপুর ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের সঙ্গে সংঘাতে সুরেন্দ্রনাথ কলেজ কর্তৃপক্ষ, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্পত্তি কর বৃদ্ধি নিয়ে বারাকপুর (Barrackpore) ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের সঙ্গে সুরেন্দ্রনাথ কলেজ কর্তৃপক্ষের বিরোধ চলছিল। এবার তা সংঘাতের আকার নিল। সম্পত্তি কর ইস্যুতে কলেজ কর্তৃপক্ষ নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করল। কোনও আবেদন, নিবেদন নয়, ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের কর্মকর্তাদের কাছে লিখিতভাবে কলেজ কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দিল তারা বর্ধিত সম্পত্তি করের টাকা দিতে পারবে না। বর্তমানে যে এক লক্ষ ১৫ হাজার ৭৬৯ টাকার সম্পত্তিকর দেন তাই দেবে, তার বেশি এক টাকাও তারা দেবে না। ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের সিইও মমতা কানসেকে চিঠি দিয়ে তা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

    কী নিয়ে বিরোধ?

    ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের পক্ষ থেকে প্রতি তিন বছর অন্তর সম্পত্তি কর ধার্য হয়। তিন বছর আগে সুরেন্দ্রনাথ কলেজের সম্পত্তি কর ছিল ৭৫ হাজার টাকা। তা বেড়ে ১ লক্ষ ১৫ হাজার করা হয়েছিল। বছরে কলেজ কর্তৃপক্ষ সেই করই দিত। এবার সেই সম্পত্তি কর ৭০ গুণ বাড়ানো হয়েছে। এক ধাক্কায় ৭০ লক্ষ টাকা করে প্রতি বছর সম্পত্তি কর দিতে বলা হয়েছে। কয়েকদিন আগেই বারাকপুর (Barrackpore) ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের পক্ষ থেকে নতুন সম্পত্তি কর বৃদ্ধির বিষয়টি জানানো হয়েছে। আর তা দেখেই মাথায় হাত কলেজ কর্তৃপক্ষের।

    কী বললেন সুরেন্দ্রনাথ কলেজের অধ্যক্ষ?

    ব্যারাকপুর (Barrackpore) রাষ্ট্রগুরু সুরেন্দ্রনাথ কলেজের অধ্যক্ষ মনোজিৎ রায় বলেন, গত চার বছরে কলেজ বিল্ডিং একটুও বাড়ানো হয়নি। কিছু মেন্টেনেন্স এর কাজ করা হয়েছিল। রং করা হয়েছে। আমরা উচ্চ শিক্ষা প্রদান করি। আমাদের মতো প্রতিষ্ঠানে সম্পত্তি কর ধার্য করা উচিত্ নয়। তবুও, ধার্য করা হলে তার একটি নিয়ম থাকা দরকার। তাই সম্পত্তিকর কখনও এক ধাক্কায় বেড়ে ৭০ লক্ষ ৫১ হাজার ৮৫০ টাকা হতে পারে না। বর্তমানে যে টাকা সম্পত্তিকর দেওয়া হচ্ছে, সেই টাকাই দেওয়া হবে। বাড়তি কোনও টাকা দিতে পারবে না কলেজ কর্তৃপক্ষ। অতিরিক্ত সম্পত্তিকর দিতে হলে আমাদের তা ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকেই নিতে হবে। স্কুল শিক্ষা দপ্তর তো আমাদের তা দেবে না। ফলে সাড়ে সত্তর লক্ষ টাকা কিছুতেই দেওয়া সম্ভব নয়।

    কী বললেন ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের আধিকারিক?

    কয়েকদিন আগেই ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের পক্ষ থেকে সুরেন্দ্রনাথ কলেজে ৭০ গুণ সম্পত্তিকর বৃদ্ধি করা হয়। বিষয়টি নিয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষ উষ্মা প্রকাশ করতেই ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের তরফে সুরেন্দ্রনাথ কলেজের অধ্যক্ষকে ফোন করে আলোচনায় বসার প্রস্তাব দেওয়া হয়। ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের ল্য অফিসার দীপক রজ্জক জানান, অধ্যক্ষর সঙ্গে কথা হয়েছে। তার সঙ্গে আলোচনা হবে। তখন কমিয়ে দেওয়া হবে। একটি নিয়ম মেনে সম্পত্তিকরের মূল্যায়ন হয়েছিল। সেই মূল্যায়নের ভিত্তিতে বার্ষিক প্রস্তাবিত সম্পত্তিকর ধার্য হয়েছে। সেই চিঠি পাঠানো হয়েছিল। আলোচনা করে তা ঠিক করা হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Agitation: পুরসভার গেট বন্ধ করে আন্দোলনে অস্থায়ী কর্মীরা, কেন জানেন?

    Agitation: পুরসভার গেট বন্ধ করে আন্দোলনে অস্থায়ী কর্মীরা, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বেতন ও কাজের দাবি নিয়ে পুরসভার গেটের সামনে হাতে থালা ও কাজের সরঞ্জাম নিয়ে ভেক্টর কন্ট্রোল টিমের বা ভিসিটি-র কর্মীরা বিক্ষোভে (Agitation) ফেটে পড়েন। পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনা পুরসভার সামনে বুধবার সকাল থেকে চলে এই বিক্ষোভ। কাজ বন্ধ রেখেই তাঁরা আন্দোলনে সামিল হন। আন্দোলনের জেরে পুরসভার নাগরিক পরিষেবা ব্যাহত হয়।  তৃণমূল পরিচালিত পুরসভার বিরুদ্ধে কর্মীদের এই বিক্ষোভের (Agitation) ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    কেন এই আন্দোলন (Agitation)?

    আন্দোলনকারীদের বক্তব্য, ২৬ দিন কাজ। আর সঙ্গে প্রতিদিন ২০০ টাকা করে মজুরি পাই। এই শর্তে আমরা সকলে কাজে যোগ দিই। কিন্তু, কাজে যোগ দেওয়ার পর কয়েক মাস ঠিকমতো আমরা হাতে কাজ পাচ্ছিলাম। ২০০ টাকা মজুরিতে কষ্ট হলেও আমরা চালিয়ে নিচ্ছিলাম। এখন বেশিদিন আমাদের কাজ নেই। ফলে, রোজগারও কমে গিয়েছে। এমনিতে মূল্যবৃদ্ধির বাজার। এই অবস্থায় ২০০ টাকা রোজে কাজ করা সম্ভব নয়। তাই, আমাদের দাবি, অবিলম্বে মাসে ২৬ দিনের কাজ সুনিশ্চিত করতে হবে। সঙ্গে মজুরি ২০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩০০ টাকা করতে হবে। আমরা এর আগে বহুবার এই দাবি জানিয়েছি। তাতে কাজের কাজ কিছুই হয়নি। তাই, বাধ্য হলে এদিন কাজ বন্ধ রেখে আমরা আন্দোলনে সামিল হয়েছি। অপরদিকে পুরসভার গেটের সামনে পুরসভার অস্থায়ী সাফাই দফতরের কর্মীরা বিক্ষোভে (Agitation)  সামিল হয়েছেন। তাদেরও দাবি, সঠিক সময়ে বেতন দেওয়া হচ্ছে না।

    কী বললেন পুরসভার কাউন্সিলর?

    এই ঘটনায় চরম বিড়ম্ভনায় পড়েছে তৃণমূল পরিচালিত পুরবোর্ড। আন্দোলনের (Agitation) জেরে পুরসভার কাজকর্ম ব্যাহত হয়। পরে, পুরসভার কাউন্সিলর গোবিন্দ দাস ঘটনাস্থলে যান। তিনি বলেন, আমরা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলেছি। তাদের দাবিপূরণ নিয়ে আমরা সচেষ্ট হব। চেয়ারম্যান সহ সমস্ত কাউন্সিলররা বসে ওদের সমস্যার সমাধানে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Jalpaiguri: গরম পড়তেই জলসঙ্কট! বালতি হাতে আন্দোলনে এলাকাবাসী

    Jalpaiguri: গরম পড়তেই জলসঙ্কট! বালতি হাতে আন্দোলনে এলাকাবাসী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তীব্র দাবদাহ। জলস্তর নীচে নেমে গিয়েছে। পাতকুয়ো থেকেও জল উঠছে না।  জলের লাইন অনেকদিন আগেই পৌঁছে গিয়েছে। কিন্তু সেই পাইপ বেয়ে আজও জল পড়েনি।  তীব্র দাবদাহে  জলের জন্য হাহাকার করছেন জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) জেলার ডাবগ্রাম- ফুলবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের বিস্তীর্ণ  এলাকার মানুষ। আট থেকে আশি, সব বয়সের মানুষ বালতি, ড্রাম, মগ হাতে রাস্তায় নেমে তৃণমূলের গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে  দিচ্ছেন।

    কী বললেন স্থানীয় বাসিন্দারা?

    স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, মাঝে দু’দিন মেঘলা আকাশ ও ছিটেফোঁটা বৃষ্টিতে স্বস্তি মিললেও গত সোমবার থেকে আবার তাপমাত্রার পারদ চড়তে শুরু করেছে। তীব্র তাপদাহে জলের  সঙ্কট চরমে উঠেছে। স্থানীয় বাসিন্দা মায়া দাস, মণি বিশ্বাসদের  অভিযোগ, প্রধানকে বার বার বলেও এই সমস্যার সমাধান হয়নি।  জল নিয়ে তৃণমূল রাজনীতি করছে। সোমবার থেকে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন ডাবগ্রাম-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের শান্তিনগরের অরবিন্দ পল্লিসহ বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষ।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপির ডাবগ্রম – ফুলবাড়ি বিজেপি বিধায়ক শিখা চট্টোপাধ্যায় বলেন, জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) এই এলাকা প্রথম থেকেই তৃণমূলের দখলে রয়েছে।  গত ১০  বছর তৃণমূলের গৌতম দেব এখানকার বিধায়ক এবং রাজ্যের মন্ত্রী ছিলেন। কিন্তু এলাকার কোনও উন্নয়ন হয়নি। জলের সঙ্কটের পাশাপাশি রাস্তা, ড্রেন, লাইট নেই। সেকারণেই গত বিধানসভা নির্বাচনে এখানকার মানুষ বিজেপির প্রতি আস্থা রেখেছেন। বিধানসভা নির্বাচনে পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতেই তৃণমূল এই এলাকায় কোনও উন্নয়ন করছে না।  তাই কেন্দ্রীয় সরকার জল প্রকল্পের জন্য ঢালাও অর্থ দেওয়ার পরও সেই অর্থে এখন কাজ হচ্ছে না।  এলাকার মানুষকে শিক্ষা দিতে তৃণমূল পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েত এই এলাকার পানীয় জল সহ অন্যান্য উন্নয়নে কোনও নজরই দিচ্ছে না। আগামী লোকসভা নির্বাচনের আগে হয়তো  কিছু কিছু এলাকায় জল সরবরাহ শুরু হবে ভোটের অঙ্ক কষে।

    পানীয় জলের পরিষেবা নিয়ে কী বললেন তৃণমূল প্রধান?

    তৃণমূল পরিচালিত ডাবগ্রাম -২ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সুধা সিংহ চট্টোপাধ্যায়ের বলেন, জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দফতরকে আমরা চিঠি দিয়েছি। ২০২৪ এর মধ্যে সব জায়গায় জল পৌঁছে যাবে। প্রধানের এই বক্তব্যে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ মনে করেন, বিধানসভা নির্বাচনে হেরে যাওয়ায় জল সঙ্কটে রেখে এলাকার মানুষকে বোঝাতে চাইছে তৃণমূলকে ভোট না দিলে সঙ্কট মিটবে না বাড়বে। লোকসভা নির্বাচনের আগে  জল পৌঁছে দিয়ে ভোট নিশ্চিত করতে চাইবে তৃণমূল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • RBI Recruitment: রিজার্ভ ব্যাঙ্কে প্রচুর কর্মী নিয়োগ! বেতন শুনলে চোখ কপালে উঠবে

    RBI Recruitment: রিজার্ভ ব্যাঙ্কে প্রচুর কর্মী নিয়োগ! বেতন শুনলে চোখ কপালে উঠবে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রিজার্ভ ব্যাঙ্কে নিয়োগের (RBI Recruitment) বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ। শুরু হয়েছে আবেদন প্রক্রিয়া। বেতন মিলবে লক্ষাধিক টাকা। আবেদন জানাতে হবে ব্যাঙ্কের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে।

    নিয়োগের খুঁটিনাটি

    কোন পদে নিয়োগ:

    নিয়োগ হবে গ্রেড ‘বি’ অফিসার (জেনারেল), গ্রেড ‘বি’ অফিসার (ডিপার্টমেন্ট অব ইকোনমিক অ্যান্ড পলিসি রিসার্চ) এবং গ্রেড ‘বি’ অফিসার (ডিপার্টমেন্ট অব স্ট্যাটিস্টিক্স অ্যান্ড ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট) পদে

    শূন্যপদের সংখ্যা:

    ২৯১ টি পদে হবে এই নিয়োগ

    নিয়োগস্থল:

    দেশজুড়েই করা হবে নিয়োগ

    শিক্ষাগত যোগ্যতা:

    গ্রেড ‘বি’ অফিসার (জেনারেল) পদের জন্য প্রার্থীদের যে কোনও বিষয়ে গ্র্যাজুয়েশন বা সমতুল টেকনিক্যাল বা পেশাদারি কোর্সে ন্যূনতম ৬০ শতাংশ নম্বর থাকতে হবে। যদি যে কোনও বিষয়ে গ্র্যাজুয়েশন বা সমতুল টেকনিক্যাল বা পেশাদারি কোর্সে ন্যূনতম ৫৫ শতাংশ নম্বর থাকে, তা হলেও আবেদন জানাতে পারবেন প্রার্থীরা

    বয়স সীমা:

    প্রার্থীকে অবশ্যই ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে হতে হবে

    বেতন:

    নিয়োগের পর প্রাথমিক ভাবে মোট মাসিক বেতন হবে ১,১৬,৯১৪ টাকা

    নির্বাচন পদ্ধতি:

    অনলাইন পরীক্ষা ও ইন্টারভিউয়ের মাধ্যমে প্রার্থীদের যোগ্যতা যাচাই করে নিয়োগ করা হবে

    আবেদন পদ্ধতি:

    আগ্রহী প্রার্থীদের অনলাইনেই করতে হবে আবেদন। আরবিআই-র অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে করতে হবে আবেদন

    আবেদন শুরুর তারিখ:

    ৯ মে থেকে শুরু হবে আবেদন প্রক্রিয়া

    আবেদনের শেষ তারিখ:

    ৯ জুন আবেদনের শেষ তারিখ

    কীভাবে করবেন আবেদন?

    প্রথমেই আপনাকে ঢুকতে হবে ব্যাঙ্কের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট opportunities.rbi.org.in এ

    এরপরে হোম পেজে আপনাকে দেখাবে বর্তমান শূন্যপদ, সেখানে ক্লিক করতে হবে

    এখানে আপনাকে একটি লিংক দেখাবে, অফিসার্স ইন গ্রেড বি

    এই লিংকে ক্লিক করার পরে অ্যাপ্লিকেশন ফর্ম এর লিংক দেখাবে

    এরপরে যাবতীয় তথ্য এবং নথি দিয়ে আবেদন পত্রটি ফিলাপ করতে হবে

    তারপর ফি অনলাইনে জমা দিতে হবে

    সবকিছু সম্পন্ন হওয়ার পরে আপনাকে একটি প্রিন্ট কপি বের করতে হবে

    আবেদন ফি:

    জেনারেল এবং ওবিসি প্রার্থীদের আবেদন ফি ৮৫০ টাকা এবং তপশিলি জাতি এবং তপশিলি উপজাতিদের আবেদন ফি ১০০ টাকা

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Abhishek Banerjee: এবার কেষ্ট গড়ে ব্যালট ছিনতাই! অভিষেক চলে যেতেই নবজোয়ারে মারপিট

    Abhishek Banerjee: এবার কেষ্ট গড়ে ব্যালট ছিনতাই! অভিষেক চলে যেতেই নবজোয়ারে মারপিট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জলপাইগুড়ি, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর, মালদহের পর এবার অনুব্রত মণ্ডলের গড় বীরভূমে নবজোয়ার কর্মসূচিতে ব্যালট ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটল। পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রার্থী ঠিক করার জন্য দলের পক্ষ থেকে ভোটাভুটির ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেই ব্যালট বক্স নিয়ে পালানোর চেষ্টা করে তৃণমূলের একটি দল। পুলিশের সামনেই দুই গোষ্ঠীর হাতাহাতিও শুরু হয়ে যায়। পঞ্চায়েতে প্রার্থী বাছাই নিয়ে প্রথমে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা। পরে, তাঁরা হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) চলে যাওয়ার পর পরই ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে ব্যাপক গণ্ডগোল হয়। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এর আগে মালদহের ইংরেজবাজার এলাকায় গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন অভিষেক। এবার কেষ্ট গড়ে ব্যালট ছিনতাইয়ের ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। এদিনের ব্যালট লুট হওয়ার দৃশ্য দেখে অনেকেই বলেন, কেষ্ট গড়ে পঞ্চায়েত নির্বাচন কেমন হবে তার মহড়া হয়ে গেল।

    ঠিক কী নিয়ে গণ্ডগোল?

    জনসংযোগ যাত্রায় ১৫ তম দিনে কেষ্ট গড়ে নবজোয়ার কর্মসূচির প্রথম দিনেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)  মুরারইয়ে চাতরা উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে একটি সভায় উপস্থিত ছিলেন। সেই সভাতেই বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, “ভারতবর্ষের কোনও রাজনৈতিক দল সাধারণ মানুষকে এমন সুযোগ দেয় না, যারা পঞ্চায়েতে প্রার্থী ঠিক করে। আমাদের দল তৃণমূল কংগ্রেস সেই সুযোগ দিয়েছে।” এমনকী, তিনি হাতে একটি ব্যালট পেপার দেখিয়ে বলেন, “আপনারা নিজেদের প্রার্থী নিজেরাই ঠিক করবেন। “অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) সভা শেষ করে বেরিয়ে যাওয়ার পরেই শুরু হয় পঞ্চায়েতের প্রার্থী নির্বাচনের ভোটাভুটি । আর তাকে কেন্দ্র করে শুরু হয় বচসা ও অশান্তি। ব্যালট নিয়ে ছুটতে থাকেন কয়েকজন তৃণমূল কর্মী। তাঁদের আবার ধরে ফেলেন অন্য কর্মীরা। ব্যালট নিয়ে রীতিমতো হাতাহাতি হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশকে হস্তক্ষেপ করতে হয়।

    কী বললেন বিক্ষুব্ধ তৃণমূল কর্মীরা?

    বিক্ষুব্ধ তৃণমূল কর্মীদের বক্তব্য, অভিষেক (Abhishek Banerjee) যে ভাবে ভোট করার কথা বলে গিয়েছেন, সেই নিয়ম মেনে সব কিছু হওয়া দরকার। এলাকার মানুষের পক্ষ থেকে যে প্রার্থীদের নামের তালিকা দেওয়া হয়েছিল, সেই তালিকায় নেই। ব্যালট খুলে দেখা যায়, একেবারে অন্য তালিকা রয়েছে। ষড়যন্ত্র করে এই কাজ করেছে। তাই, প্রকাশ্যে এই গণ্ডগোল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bomb: পঞ্চায়েত ভোটের আগে শাসনে উদ্ধার হল ব্যাগ ভর্তি তাজা বোমা, আতঙ্ক

    Bomb: পঞ্চায়েত ভোটের আগে শাসনে উদ্ধার হল ব্যাগ ভর্তি তাজা বোমা, আতঙ্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তর ২৪ পরগনার শাসনে তেঘরিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কাছেই ব্যাগ ভর্তি বোমা (Bomb) উদ্ধার হল। স্কুলের সামনে বোমা পড়ে থাকায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে। আর কিছুদিন পরই পঞ্চায়েত ভোট। তার আগেই শাসনের মতো জায়গায় ব্যাগ ভর্তি বোমা উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ব্যাগ ভর্তি বোমা (Bomb) কোথায় রাখা ছিল?

    শাসনের সদ্যারআটি তেঘরিয়া এলাকায় রাস্তার ধারে একটি কালভার্টের নীচেই ব্যাগ ভর্তি তাজা বোমা (Bomb) দেখতে পান এলাকার বাসিন্দারা। তাঁরা পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ এসে বোমা বাজেয়াপ্ত করে। পুলিশ সূত্রে খবর, ব্যাগে ৮ টি তাজা বোমা পাওয়া গিয়েছে। তবে কে বা কারা রেখে গিয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। পঞ্চায়েত নির্বাচনের এলাকায় সন্ত্রাস করার জন্যই দুষ্কৃতীরা হয়তো বোমা রাখতে পারে বলেই অনুমান করা হচ্ছে। শাসনের মাটি বিভিন্ন সময় রাজনৈতিকভাবে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল বাম জমানায়। পালাবদলের পর তৃণমূল সরকার আসে। তৃণমূল কংগ্রেস আসার পর মাঝে মধ্যেই অশান্ত হয়ে ওঠে শাসনের মাটি। এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগেই সেই শাসনেই কালভার্টের নীচে থেকে উদ্ধার হল বোমা (Bomb)। কারা কোন উদ্দেশ্যে বোমাগুলি রেখেছিল তা তদন্ত করে দেখছে শাসন থানার পুলিশ। যদিও এই বিষয়ে তৃণমূল নেতৃত্ব মুখ খুলতে রাজি হয়নি।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    সামনেই পঞ্চায়েত ভোটের আগে কীভাবে এল এতগুলো তাজা বোমা (Bomb) তা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। বিজেপি বারাসত সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তাপস মিত্র বলেন, সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। আর সেই পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূল জেনে গিয়েছে, তারা এবার একটি ভোটও পাবে না। তাই যেভাবে হোক সেই পঞ্চায়েত নির্বাচন যাতে সুষ্ঠুভাবে না হয় তার জন্যই তারা বোমা (Bomb), গুলি, পিস্তল আগে থেকেই মজুত করে রাখছে। তিনি আরও বলেন, মানুষ তৃণমূল সরকারের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। তাই এসব করে আর লাভ হবে না।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Balurghat: বাংলাদেশ আচমকা জল ছাড়ায় আত্রেয়ীর জলস্তর হু হু করে বাড়ছে, দুর্ঘটনায় ত্র্যস্ত প্রশাসন

    Balurghat: বাংলাদেশ আচমকা জল ছাড়ায় আত্রেয়ীর জলস্তর হু হু করে বাড়ছে, দুর্ঘটনায় ত্র্যস্ত প্রশাসন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বালুরঘাটে (Balurghat) আত্রেয়ী নদীর উপর নির্মীয়মাণ বাঁধের কাজ প্রায় শেষের দিকে। কিন্তু মাঝে বাংলাদেশ থেকে জল ছেড়ে দেওয়ায় আত্রেয়ীর জলস্তর বেড়ে গিয়েছে। বিপদ এড়াতে নির্মীয়মাণ বাঁধের পশ্চিমপ্রান্ত দিয়ে জল ছাড়া হচ্ছে। আর সেখানেই স্নান করতে উপচে পড়ছে ভিড়। ওই জলের স্রোতে ইতিমধ্যেই অনেকে ভেসে গিয়েছে। আবার বেশ কয়েকজন নির্মীয়মাণ বাঁধের লোহার আঘাতে জখম হয়েছে। যা নিয়ে বড়সড় দুর্ঘটনার আশঙ্কা বাড়ছে। সেচ দফতর ও নির্মাণ সংস্থা প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছে। পুলিশ গিয়ে সকলকে তুলে দিলেও সমস্যা কাটেনি। তাই ওই এলাকাকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার প্রক্রিয়া শুরু করছে প্রশাসন।

    কী বলছেন প্রশাসনের আধিকারিকরা?

    এবিষয়ে বালুরঘাট (Balurghat) সদর মহকুমাশাসক সুমন দাশগুপ্ত বলেন, আমাকে সেচ দফতরের তরফে বিষয়টি জানানো হয়েছে। আমি পুলিশকে জানিয়েছি। পুলিশ ব্যবস্থাও নিয়েছে। আগামীতে ওই এলাকা বিপজ্জনক ও নিষিদ্ধ বলে প্রচার করা হবে। কেউ যাতে স্নান করতে না নামে, তার জন্য দেখা হচ্ছে। স্থানীয়দের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানো হবে। বালুরঘাট থানার আইসি শান্তিনাথ পাঁজা বলেন, ওই জায়গাটা এমনিতেই বিপজ্জনক। তাই সেখানে কেউ যাতে স্নান করতে না নামে, তার জন্য পুলিশ নজরদারি চালাবে। পাশাপাশি সেচ দফতরকেও প্রচার ও সতর্কমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। সেচ দফতরের ওই কাজের দায়িত্বপ্রাপ্ত ম্যানেজার সঞ্জয় পারেখ বলেন, আমাদের কাজ এখনও শেষ হয়নি। এর মধ্যেই বাংলাদেশ থেকে জল ছেড়ে দেওয়ায় জলস্তর বেড়েছে। যার ফলে নদীর একপাশ থেকে জল ছেড়ে দিয়েছি আমরা। সেই জলস্রোতে স্থানীয় বহু মানুষ স্নান করতে নামছে। একজন তলিয়ে গিয়েছিল। আমরা বাঁচিয়েছি। এছাড়া দুজন জখম হয়েছে। আমরা কাজ করব, না মানুষ বাঁচাব? যে কোনও সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। আমরা প্রশাসনকে বিষয়টি জানিয়েছি।

    কাজ শেষের মুখেই নয়া বিপদ

    প্রসঙ্গত, আত্রেয়ীর জলের সমস্যা মেটাতে বালুরঘাট (Balurghat) শহরে এর উপরে ৩২ কোটি টাকা ব্যয়ে তৈরি হচ্ছে স্বল্প উচ্চতার বাঁধ। ওই বাঁধের কাজ ইতিমধ্যেই ৯০ শতাংশ হয়ে গিয়েছে৷ বাকি অংশের কাজ শেষ করতে তোড়জোড় শুরু করেছে সেচ দফতর। ২০২১ এর ডিসেম্বর মাসে সেই কাজ শুরু হয়েছে। নদী বরাবর ২ মিটার উচ্চতা বিশিষ্ট বাঁধের কাজ প্রায় হয়ে গিয়েছে। দুপাশে দুটি স্লুইস গেটের কাজও চলছে। কিন্তু এখনও কাজ শেষ না হতেই বিপদ বাড়ছে এলাকায়।

    কড়া পদক্ষেপ নিতে চলেছে প্রশাসন

    জানা গিয়েছে, ওই বাঁধের পশ্চিমপাড়ে জলের স্রোত বয়ে চলেছে। ওই জলস্রোতের সৌন্দর্য দেখতে যেমন মানুষ ভিড় করছে, তেমনি সেই জলে স্নান করতে বহু মানুষ ভিড় জমাচ্ছে। এদিকে এখনও বাঁধের কাজ শেষ হয়নি। নদীর মধ্যে অনেক জায়গায় লোহার রড, সিমেন্টের পোল সহ নানা ধারালো সরঞ্জাম রয়েছে। ফলে স্নান করতে গিয়ে অনেকেই আহত হয়েছে। একজন জলে তলিয়ে গেলে তাকে দড়ি দিয়ে কোনওরকমে উদ্ধার করা হয়েছে। ফলে বড় দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকছে। তাই প্রশাসনের তরফে ওই এলাকায় পুলিশকে (Balurghat) নজরদারি চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এমনকী বিপজ্জনক এলাকা এবং সাইরেন সহ নানা সতর্কমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কিছুদিন আগেই আত্রেয়ীতে তলিয়ে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। তাই কড়া পদক্ষেপ নিতে চলেছে প্রশাসন। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bus Accident: সেতুর রেলিং ভেঙে নদীখাতে বাস! মধ্যপ্রদেশে মৃত ২২, শোকপ্রকাশ মোদির

    Bus Accident: সেতুর রেলিং ভেঙে নদীখাতে বাস! মধ্যপ্রদেশে মৃত ২২, শোকপ্রকাশ মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সেতুর রেলিং ভেঙে নদীখাতে বাস পড়ে মারা গেলেন অন্তত ২২ জন। আহতের সংখ্যা আরও ২৫। ভয়াবহ দুর্ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের খারগোনে অঞ্চলে। দুর্ঘটনার সময় বাসটিতে প্রায় ৫০ জন যাত্রী ছিলেন৷ 

    ঠিক কী ঘটেছে?

    জানা গিয়েছে, বাসটি মধ্যপ্রদেশের শ্রীখণ্ডি থেকে ইন্দোর যাচ্ছিল। দাসাঙ্গা গ্রামের কাছে খারগোনে বোরাদ নদীর উপর সেতুর রেলিং ভেঙে প্রায় ৫০ ফিট নিচে নদীখাতে পড়ে যায় বাসটি। দুর্ঘটনার সঙ্গে সঙ্গেই উদ্ধারকাজে ঝাঁপিয়ে পড়েন স্থানীয়রা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ ও উদ্ধারকারী দল। ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান ১৫ জন। 

    আরও পড়ুন: “জ্বলেছে ১৭০০ ঘর, হিংসার বলি ৬০”, বললেন মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী

    আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানে আরও ৭ জন মারা যান। কয়েকজন আহতের অবস্থা সঙ্কটজনক। ফলে, মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে অনুমান। ঠিক কী কারণে দুর্ঘটনা ঘটেছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। বাস চালকের কোনও ভুল না কি বাসটিতে কোনও যান্ত্রিক গোলযোগ ছিল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে৷

    দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবার প্রতি ৪ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান। গুরুতর আহতদের জন্য ৫০ হাজার টাকা করে আর্থিক সাহায্য আর স্বল্প আহতদের জন্য ২৫ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা করা হয়েছে মধ্যপ্রদেশ সরকারের তরফে।

    শোকপ্রকাশ প্রধানমন্ত্রীর

    ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। হতাহতদের জন্য ক্ষতিপূরণের ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। নিহতদের পরিবারের জন্য ২ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছে প্রধানমন্ত্রীর দফতর৷ আহতদেরও প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে ৫০ হাজার টাকা করে সাহায্য করা হবে৷

LinkedIn
Share