Tag: Madhyom

Madhyom

  • Memari: অবাককাণ্ড! সামান্য ড্রেন তৈরি নিয়ে গুলি চালাল এক স্কুল পড়ুয়া, কেন জানেন?

    Memari: অবাককাণ্ড! সামান্য ড্রেন তৈরি নিয়ে গুলি চালাল এক স্কুল পড়ুয়া, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিছক ড্রেন তৈরি নিয়ে গণ্ডগোল। আর তার জেরেই চলল গুলি। যদিও গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়ায় কেউ জখম হননি। তবে, সামান্য ড্রেন তৈরির ঘটনা নিয়ে গুলি চালানোর ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে মেমারি (Memari) থানার দুর্গাপুর অঞ্চলের মগলামপুর গ্রামে। ইতিমধ্যেই থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার পর পরই পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে অভিযুক্ত যুবক ও তার বাবাকে আটক করে নিয়ে যায়।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    মগলামপুর গ্রামের অশোক বিশ্বাস নামে এক বাসিন্দা জল নিকাশির জন্য বাড়ির সামনে ড্রেন তৈরি করছিলেন। মিস্ত্রিরা এসে এদিন ড্রেন তৈরির কাজ শুরু করেছিলেন। অশোকবাবুর প্রতিবেশী বিপ্লব সাধুখাঁ এসে ড্রেনের কাজ করতে বাধা দেয় বলে অভিযোগ। সেইসময় তাঁরা একে অপরের মধ্যে বাক-বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। ঠিক সেই সময় বিপ্লব সাধুখাঁর ছেলে রাজীব সাধুখাঁ আচমকা ঘর থেকে তাদের লাইসেন্স প্রাপ্ত দোনালা বন্দুক বের করে গুলি চালায়। অশোকবাবুকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। স্থানীয় একজনের তত্পরতায় গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। পরে, স্থানীয় লোকজন ওই যুবকের কাছ থেকে বন্দুক কেড়ে নেয়। অশোকবাবু বলেন, সামনেই আমার ছেলের বিয়ে। তাই বাড়ির সামনে একটি ড্রেন তৈরির কাজ করছিলাম। এক প্রতিবেশী ওই কাজে আমাদের বাধা দেয়। এনিয়ে আমাদের মধ্যে বচসা চলছিল। আচমকা প্রতিবেশীর ছেলে আমাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। আমার দাদা বন্দুকটি সরিয়ে না নিলে তিন-চারজনের মৃত্যু হতে পারত। ঘটনার পর খুবই আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলাম।

    গুলি চালানো নিয়ে কী বলল অভিযুক্ত যুবক?

    রাজীব সাধুখাঁ উচ্চ মাধ্যমিক পড়ুয়া। ঘটনার পর পরই মেমারি (Memari) থানার পুলিশ এসে রাজীব ও তার বাবাকে আটক করে নিয়ে যায়। গুলি চালানো নিয়ে রাজীবের বক্তব্য, আমার বাবাকে সকলেই মারধর করছিল। চোখের সামনে আমি সেটা সহ্য করতে পারিনি। মাথা গরম হয়ে গিয়েছিল। তাই, বাড়ি থেকে বন্দুক নিয়ে এসে গুলি চালিয়েছিলাম।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Imran Khan: জমি দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান

    Imran Khan: জমি দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গ্রেফতার হলেন পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান (Imran Khan)। এদিন ইসলামাবাদ হাইকোর্টের বাইরে তাঁকে গ্রেফতার করে সেদেশের আধাসেনা পাক রেঞ্জার্স। সূত্রের খবর, একটি জমি দুর্নীতি মামলার জেরেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আপাতত, রেঞ্জার্সের হেফাজতেই রয়েছেন পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ দলের চেয়ারম্যান। 

    পাক সংবাদমাধ্যমের দাবি, এদিন হাইকোর্টে একটি মামলার শুনানিতে হাজিরা দিতে এসেছিলেন ইমরান (Imran Khan)। জানা যাচ্ছে, আল কাদির ট্রাস্টের জমি দখল করার অভিযোগে সম্প্রতি ইমরানের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল। সেই মামলার জামিন নিতেই মঙ্গলবার সকালে ইসলামাবাদ হাইকোর্টে গিয়েছিলেন তিনি।

    আদালত চত্বরে হাতাহাতি

    অভিযোগ, সেই সময় কক্ষের বাইরে ইমরানকে (Imran Khan) গ্রেফতার করা হয়। প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান অনুযায়ী, হাইকোর্টের বাইরে সেই সময় চরম বিশৃঙ্খল অবস্থার সৃষ্টি হয়। জানা যাচ্ছে, এদিন প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রীর আইনজীবীদের সঙ্গে রেঞ্জার্সের মারপিট বাধে। ইসলামাবাদ হাইকোর্টের বাইরে ইমরান-সমর্থকদের সঙ্গেও সংঘর্ষ হয় রেঞ্জার্সদের। তাঁর আইনজীবীও আক্রান্ত হন বলেও অভিযোগ। ইমরানের দলের দাবি, গ্রেফতারের পর ইমরানকে রেঞ্জার্স বাহিনী মারধর করে। এর পর তাঁকে গাড়িতে তুলে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়। 

    আরও পড়ুন: মাথায় বুলেটপ্রুফ টুপি, কাঁধের পিছনে ব্যালিস্টিক শিল্ড, কড়া প্রহরায় আদালতে ইমরান

    ইমরানের দলের দাবি

    পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের সহ-সভাপতি ফাওয়াদ চৌধুরি বলেন, ‘‘জোর করে ইমরানকে তুলে নিয়ে গিয়েছে পাক রেঞ্জার্স। তাঁর আইনজীবী ফয়জল চৌধুরীও হামলার শিকার হয়েছেন।’’ আর এক পিটিআই নেতা মুসররাত চিমার দাবি, ‘ওরা ইমরান খানের উপর অত্যাচার করছে। খান সাহেবকে মারধর করছে। সম্ভবত ওঁর সঙ্গে কিছু করা হয়েছে।’ পাক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, গ্রেফতারির আগে পাকিস্তানের ক্রিকেট বিশ্বকাপজয়ী দলের ‘কাপ্তান’ (Imran Khan) না কি বলেন, ‘‘পাক সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযোগে অটল রয়েছি। এই জন্য গ্রেফতার বা মৃত্যুবরণ করতেও রাজি।’’

    কী বলছে প্রশাসন?

    যদিও, সব অভিযোগ খারিজ করেছে পাক রেঞ্জার্স। প্রশাসন সূত্রের খবর, গ্রেফতারির পর ইমরানকে (Imran Khan) হাইকোর্ট চত্বরের বাইরে নিয়ে গিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে রেঞ্জার্স। এদিকে, ইমরান খানের গ্রেফতারির পরই, ইসলামাবাদ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি আমির ফারুক অবিলম্বে ইসলামাবাদের ইন্সপেক্টর জেনারেল এবং স্বরাষ্ট্র সচিবকে তলব করেন। একইসঙ্গে পাকিস্তানের অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেলকে তিনি ১৫ মিনিটের মধ্যে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন। এই গ্রেফতারির পিছনে কে বা কারা রয়েছে, তা অবিলম্বে খুঁজে বের করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

     

  • Alipurduar: সই সংগ্রহ কর্মসূচি নিয়ে তৃণমূল বিধায়ক-প্রাক্তন বিধায়কের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে, জেলাজুড়ে শোরগোল

    Alipurduar: সই সংগ্রহ কর্মসূচি নিয়ে তৃণমূল বিধায়ক-প্রাক্তন বিধায়কের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে, জেলাজুড়ে শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুমন কাঞ্জিলাল ও সৌরভ চক্রবর্তী। প্রথমজন তৃণমূল বিধায়ক, দ্বিতীয়জন তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক। আলিপুরদুয়ার (Alipurduar) বিধানসভার সাংগঠনিক রাশ কার হাতে থাকবে তা নিয়ে শাসকদলের অন্দরেই দুই গোষ্ঠীর প্রতিদ্বন্দ্বিতা শুরু হয়েছে। পঞ্চায়েত নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে, দুই গোষ্ঠীর বিরোধ ততই বাড়ছে বলেই রাজনৈতিক মহল মনে করছে।

    ঠিক কী নিয়ে তৃণমূলের কোন্দল ফের প্রকাশ্যে এল?

    আলিপুরদুয়ারের (Alipurduar) বিজেপি বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল কিছুদিন আগে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। কিন্তু বিজেপি দলের কোনও কর্মী-সমর্থক শাসক দলে যোগ দেননি। অপরদিকে আলিপুরদুয়ার (Alipurduar) বিধানসভা এলাকায় গত বিধানসভা নির্বাচনে সুমনবাবুর কাছে পরাজিত হয়েছিলেন তৃণমূল প্রার্থী সৌরভ চক্রবর্তী। সুমন তৃণমূলে নাম লেখালেও তাঁকে এক ইঞ্চি জমিও ছাড়তে নারাজ সৌরভ অনুগামীরা। অপরদিকে সুমন কাঞ্জিলাল নিজের জমি শক্ত করতে সৌরভ বিরোধী তৃণমূল নেতাদের সঙ্গী করে ময়দানে নেমে পড়েছেন। ফলে বর্তমান এবং প্রাক্তন বিধায়কের জমি দখলের লড়াই কার্যত প্রকাশ্যেই চলে এসেছে। এতে বিপাকে পড়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের নিচু তলার নেতাকর্মীরা। তাঁরা বর্তমান, নাকি প্রাক্তন বিধায়কের সঙ্গে থাকবেন তা বুঝে উঠতে পারছেন না। তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে গত কয়েকদিন আগেই আলিপুরদুয়ারে (Alipurduar) ১০০ দিনের কাজ করে টাকা না পাওয়া বঞ্চিত শ্রমিকদের সই সংগ্রহের কাজ শুরু করেছেন। আলিপুরদুয়ার-১ ব্লকের বিবেকানন্দ ১, বিবেকানন্দ ২, বঞ্চুকামারি গ্রাম পঞ্চায়েতের বিভিন্ন বুথে সই সংগ্রহের জন্য দলের জেলা নেতাদের নিয়ে গিয়েছিলেন সুমনবাবু। তবে, সেখানে দেখা যায়নি ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি পীযূষ কান্তি রায়কে। পীযুষবাবু সৌরভ ঘনিষ্ঠ নেতা বলেই পরিচিত। অন্যদিকে, সোমবার পরোরপার গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় পীযূষ বাবুর ডাকে সৌরভ চক্রবর্তী সই সংগ্রহ কর্মসূচিতে অংশ নেন। সেখানে সুমন অনুগামী কোনও নেতাকেই দেখা যায়নি। সোমবারই বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল নিজে উদ্যোগী হয়ে জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ রতন মহন্ত সহ জেলার কয়েকজন নেতাকে নিয়ে ওই গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় সই সংগ্রহ করতে গিয়েছিলেন। একই অঞ্চলে কেন আলাদা আলাদাভাবে হবে দলের একই কর্মসূচি? এর ফলে বিভ্রান্তে রয়েছেন নিচু তলার নেতা কর্মীরা।

    সই সংগ্রহ নিয়ে শুরু হয়েছে তরজা

    তৃণমূল বিধায়ক সুমনবাবু বলেন, সবার আগেই আলিপুরদুয়ারে (Alipurduar) ওই কর্মসূচি শুরু করেছিলাম। তবে ওই কাজে অনেকেই এখন যুক্ত হয়েছেন। সেটা দলের পক্ষে ভালই হবে। অপরদিকে সৌরভ চক্রবর্তী তৃণমূল বিধায়কের সঙ্গে বিরোধের কথা স্বীকার করেননি। তিনি বলেন, দলের ওই কর্মসূচিতে নেতৃত্বের ডাকেই অঞ্চলে যাবেন। পাশাপাশি জেলার বিভিন্ন প্রান্তেও ওই কর্মসূচিতে আমার অংশ নেওয়ার ইচ্ছা রয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Amit Shah At Jorasanko: রবীন্দ্র জয়ন্তীতে জোড়াসাঁকোয় কবিপ্রণাম অমিত শাহের, ঘুরে দেখলেন ঠাকুরবাড়ি

    Amit Shah At Jorasanko: রবীন্দ্র জয়ন্তীতে জোড়াসাঁকোয় কবিপ্রণাম অমিত শাহের, ঘুরে দেখলেন ঠাকুরবাড়ি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িতে কবিপ্রণাম করে রবীন্দ্র জয়ন্তী অনুষ্ঠানে অংশ নিলেন অমিত শাহ। আগেই স্থির ছিল, পঁচিশে বৈশাখ রাজ্যে আসবেন অমিত শাহ। যোগ দেবেন জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ির রবীন্দ্র জয়ন্তী অনুষ্ঠানে। সেই জন্য গতকাল মধ্যরাতেই শহরে চলে আসেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী, মঙ্গলবার সকালে পৌঁছে যান জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িতে। রবীন্দ্রনাথের মূর্তিতে মালা পরিয়ে তাঁকে প্রণাম করেন। এর পর কবিগুরুর বাড়ি ঘুরে দেখেন অমিত শাহ, সংগ্রহশালায় যান। জোড়াসাঁকোর ভিজিটার্স বুকে সইও করেন। কেমন লাগল জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি, নিজের ভাব ব্যক্তও করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

    আজ ২৫ বৈশাখ

    আজ রবীন্দ্রনাথের ১৬৩ তম জন্মদিন। এই দিনটিকে ঘিরে প্রতি বছরই উৎসবে মেতে ওঠে ঠাকুরবাড়ি। কথায়-গানে-কবিতায় দিনভর চলে রবি-স্মরণ। তবে, এবছর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসায় ঠাকুরবাড়ির নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছিল। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজনেও অন্য মাত্রা যোগ হয়েছিল। অমিত শাহের সঙ্গে ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার সহ বিশিষ্টজনরা। তাঁরাও এদিন রবি-মূর্তিতে মালা দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।

    ট্যুইটে শ্রদ্ধা প্রধানমন্ত্রীর

    মঙ্গলবার সকালে, ট্যুইট করে কবিগুরুকে শ্রদ্ধা জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ট্যুইটে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, ‘‘রবীন্দ্র জয়ন্তী উপলক্ষে গুরুদেবকে শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। শিল্প থেকে সঙ্গীত এবং শিক্ষা থেকে সাহিত্য, বিভিন্ন ক্ষেত্রে তিনি ছাপ রেখে গিয়েছেন। সমৃদ্ধশীল, প্রগতিশীল, আলোকিত ভারতের যে স্বপ্ন তিনি দেখেছিলেন, তা বাস্তবায়নে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’’

    বাংলায় ট্যুইট অমিত শাহের

    অন্যদিকে, বাংলায় ট্যুইট করলেন অমিত শাহ। ট্যুইটে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লেখেন, ‘‘বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রকৃতিবাদ তথা মানবতাবাদের আদর্শকে বিশ্বের দরবারে পৌঁছে দিয়ে ভারতীয় দর্শনকে এক পূর্ণ রূপ প্রদান করেন। তাঁর কালজয়ী রচনা ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের ভিত্তিকে আরও দৃঢ় করে। সদা প্রেরণাদায়ী, এমন দূরদর্শী কবিকে তাঁর জন্মবার্ষিকীতে জানাই শ্রদ্ধাঞ্জলি।’’

    এর আগে, বাংলায় আসার আগে সোমবার রাতেই ট্যুইটারে অমিত শাহ লেখেন, প্রত্যেক প্রজন্মের কাছে কতটা তাৎপর্যপূর্ণ কবিগুরুর লেখনি।

    আরও পড়ুন: রবীন্দ্রনাথকে শ্রদ্ধা জানাতে কলকাতায় অমিত শাহ, জেনে নিন চূড়ান্ত কর্মসূচি

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: স্টেশন চত্বরে গাড়ি-দোকান ভাঙচুর, প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল

    TMC: স্টেশন চত্বরে গাড়ি-দোকান ভাঙচুর, প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের (TMC) গোষ্ঠী কোন্দলে উত্তাল হয়ে উঠল বর্ধমান স্টেশন চত্বর। রাতের অন্ধকারে বর্ধমান স্টেশন চত্বর জুড়ে তাণ্ডব চলে। ১০ থেকে ১২ টি দোকানে ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়। পাশাপাশি  ১০টি গাড়িতেও ভাঙচুর চালানো হয়। প্রকাশ্যে এই তাণ্ডব চালানোর ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    পশ্চিম বর্ধমান জেলা তৃণমূলের (TMC) সাধারণ সম্পাদক ইফতিকার আহমেদ ও তৃণমূল নেতা গোলাব সোনকারের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব রয়েছে। এবার সেই কোন্দল প্রকাশ্যে চলে এসেছে। ৭ মে রাতে গোলাব সোনকারের অনুগামীরা এসে স্টেশন চত্বরে একাধিক দোকানে ভাঙচুর চালায় বলে অভিযোগ। স্টেশনের গ্যারাজে রাখা ১০টি প্রাইভেট গাড়িতে ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ। বর্ধমান স্টেশন চত্বরে ঢুকে স্থানীয় বিধায়কের নামে ও প্রাক্তন আই এন টি টি ইউসির সভাপতির নামে গালিগালাজও করে। হামলাকারীদের হাতে রড, লাঠি এবং তরোয়াল ছিল। এমনকী ইফতিকারসহ তাঁর কয়েকজন অনুগামীকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। সোমবার এই ঘটনার প্রতিবাদে ইফতিকারের নেতৃত্বে এলাকায় প্রতিবাদ মিছিল করা হয়। এই ঘটনায় রাতে বর্ধমান স্টেশনে ব্যবসায়ী থেকে  গাড়িচালক সবাই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। পরে বর্ধমান থানা থেকে বিশাল পুলিশ বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

    কী বললেন ব্যবসায়ীরা?

    স্থানীয় এক ব্যবসায়ী সেখ আলিউদ্দিন বলেন, আমরা অন্যদিনের মতো দোকানে বসেছিলাম। আচমকা কয়েকজন দুষ্কৃতী এসে হামলা চালায়। বিধায়কের নামে তারা গালিগালাজ করে। আমার দোকানে তাণ্ডব চালায়। লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আমরা চরম আতঙ্কে রয়েছি।

    স্টেশনে তাণ্ডব নিয়ে শুরু হয়েছে তরজা

    তৃণমূল নেতা ইফতিকার আহমেদ বলেন, গোলাব আগে সিপিএম করত। মধ্যে বিজেপিতে গিয়েছিল। এখন তৃণমূলে (TMC) রয়েছে। অকারণে এসে ওরা হামলা চালায়। স্টেশন চত্বরে তাণ্ডব চালায়। আমাদের ওপর চড়াও হয়। আমরা পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েছি। অন্যদিকে, তৃণমূল (TMC) নেতা গোলাব সোনকার বলেন, আমার ছেলে কয়েকজন বন্ধু নিয়ে চারচাকা গাড়ি করে ঘুরতে গিয়েছিল। উড়ালপুলের পাশে ছবি তোলার সময় তৃণমূল পার্টি অফিস থেকে কয়েকজন এসে হামলা চালায়। ইফতিকার আমার ছেলেকে গালিগালাজ করে। সেটার প্রতিরোধ করা হয়েছে। স্টেশনে কোনও তাণ্ডব চালানো হয়নি। ওরা ভাঙচুর করে আমাদের নামে দায় চাপাচ্ছে।

    কী বললেন তৃণমূল (TMC) বিধায়ক?

    তৃণমূল (TMC) বিধায়ক খোকন দাস বলেন, কে বা কারা তাণ্ডব চালিয়েছে তা জানতে পারিনি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। ব্যবসায়ীরা আতঙ্কে রয়েছেন। যে বা যারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পুলিশ প্রশাসনকে বলা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগ হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • ATM: এটিএমে না ভরে ১ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা নিয়ে উধাও, জেলাজুড়ে শোরগোল

    ATM: এটিএমে না ভরে ১ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা নিয়ে উধাও, জেলাজুড়ে শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অভিনব কায়দায় এটিএমে (ATM) প্রতারণা করে ১ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠল বেসরকারি সংস্থার কর্মীদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের শ্রীরামপুর থানা এলাকায়। বিপুল পরিমাণ টাকা প্রতারিত হয়ে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। বিভিন্ন সূত্র ধরে পুলিশ ইতিমধ্যেই তিনজনকে গ্রেফতার করেছে। তবে, এই প্রতারণার যে মাস্টারমাইন্ড সে এখনও পলাতক। তাঁর খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।

    ঠিক কীভাবে এটিএম (ATM) থেকে টাকা হাতিয়েছিল অভিযুক্তরা?

    একদিনে চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেট এলাকার শ্রীরামপুর, রিষড়া, উত্তরপাড়াসহ একাধিক জায়গায় ২২টি এটিএমে কয়েক কোটি টাকা ভরার কথা ছিল। একটি সংস্থাকে এই কাজের বরাত দেওয়া হয়েছিল। এই সংস্থার কর্মী হিসেবে দীপঙ্কর মোদক, সঞ্জীব পাত্ররা এটিএমে (ATM) টাকা ভরার কাজ করছিল। নিয়ম মেনে তারা ১১টি এটিএমে টাকা ভরেছিল। বাকি ১১টি এটিএমে তারা আর টাকা ভরেনি বলে অভিযোগ। এমনকী এটিএমের টাকা ভরার জন্য যে টাকা বরাদ্দ ছিল সবটাই তারা হাতিয়ে নেয় বলে অভিযোগ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, টাকার পরিমাণ প্রায় ১ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা। ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ হিসেব মেলাতে গিয়ে বিপুল পরিমাণ টাকার তারা হদিশ পাচ্ছিল না। ২ মে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের বিষয়টি নজরে আসে। দীপঙ্করের মাধ্যমেই এটিএমগুলিতে টাকা ভরার কথা ছিল। ফলে, ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে দীপঙ্করের বাড়ির লোকজনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। জানা যায়, ৩ মে থেকে দীপঙ্কর রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ। পরিবারের লোকজনও তাঁর খোঁজ দিতে পারেনি। পরিবারের পক্ষ থেকেও থানায় মিসিং ডায়েরি করা হয়। তবে, ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ দীপঙ্করের রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় সন্দেহ হয়। দীপঙ্করসহ কয়েকজনের নামে ৫ মে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। তদন্তে নেমে পুলিশ তিনজনকে গ্রেফতার করে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতদের নাম সন্তু দত্ত, সঞ্জিত সরকার এবং সঞ্জিত পাত্র। এদের মধ্যে সঞ্জিত পাত্র এটিএম (ATM) এ টাকা ভরার সংস্থায় কাজ করত। বাকিরা তার বন্ধু। মূল অভিযুক্ত দীপঙ্কর এখনো অধরা। প্রত্যেকের বাড়ি মাহেশে। বন্ধুরা অপরাধ সংগঠিত করতে সাহায্য করেছিল।

    কী বললেন চন্দননগরের পুলিশ কমিশনার?

    চন্দননগর পুলিশ কমিশনার অমিত পি জাভালগি বলেন, এটিএমে (ATM) টাকা ভরার পরিবর্তে অভিযুক্তরা বিপুল পরিমাণ টাকা আত্মসাৎ করেছিল। ৫ মে শ্রীরামপুর থানায় আমরা অভিযোগ পাই। এরপরই তল্লাশি চালিয়ে এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে তিনজনকে গ্রেফতার করি। তাদের কাছে থেকে ৬০ লক্ষ উদ্ধার করা হয়েছে। বাকি টাকার খোঁজে তল্লাশি চলছে। এই ঘটনায় আরও একজন জড়িত রয়েছে। তাঁর খোঁজেও তল্লাশি চলছে। প্রত্যেকের ভূমিকা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

     

  • Paschim Medinipur: “বামাদাকে বলো”! ঘাটালে খড়ার পৌরসভায় পোস্টার ঘিরে ব্যাপক শোরগোল

    Paschim Medinipur: “বামাদাকে বলো”! ঘাটালে খড়ার পৌরসভায় পোস্টার ঘিরে ব্যাপক শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “বামাদাকে বলো”। খড়ার পৌরসভার (Paschim Medinipur) এবার নতুন প্রকল্প। পৌর নাগরিকদের পরিষেবা পেতে দিতে হবে কাটমানি। পশ্চিম মেদিনীপুরের (Paschim Medinipur) ঘাটালে খড়ার পৌরসভায় এরকমই পোস্টার ঘিরে রাজনৈতিক চর্চা শুরু হয়েছে। পোস্টারে আরও লেখা হয়েছে, শাসকদলের কোনও নেতা বা কাউন্সিলারকে জানিয়ে কিছু লাভ হবে না। কাটমানি এবং সন্ধ্যার পর বোতল সঙ্গে নিয়ে গেলেই একমাত্র সমস্যার সমাধান হবে। শাসকদল-ঘনিষ্ঠ বামাপদ মাইতির বিরুদ্ধেই এলাকার মানুষ এই অভিযোগ তুলে পোস্টার লাগিয়েছেন। তবে কে বা কারা এই পোস্টার লাগিয়েছে, তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। যদিও এই ঘটনাকে শাসকদলের গোষ্ঠী কোন্দল হিসেবেই দেখছেন এলাকার মানুষ। কারণ, বিতর্কিত বামাদা এলাকায় তৃণমূল সমর্থক বলে পরিচিত এবং পৌরসভার চেয়ারম্যানের ঘনিষ্ঠ। চেয়ারম্যানই নাকি তাঁকে দিয়ে যাবতীয় কাজকর্ম করাচ্ছেন। মধুভাণ্ডের ভাগ না পেয়ে তৃণমূলের বিরোধীগোষ্ঠী পোস্টার লাগিয়েছে বলে অভিযোগ। যদিও সেখানে নাম দেওয়া হয়েছে নাগরিকবৃন্দের।

    পৌর প্রশাসনের বক্তব্য

    খড়ার পৌরসভার (Paschim Medinipur) চেয়ারম্যান সন্ন্যাসী দোলই জানান, এই ধরনের নতুন কোনও প্রকল্প চালু হয়েছে বলে তাঁর জানা নেই। এলাকার তৃণমূলের মহিলা নেত্রী পুতুল বর্ধন অবশ্য স্বীকার করে নিচ্ছেন, এই পোস্টারের সত্যতা রয়েছে। তিনি সেই সঙ্গে আরও বলেন, পৌরসভার চেয়ারম্যান কোনও কাজ জানে না। তাই সমস্ত কাজের জন্য পৌরসভার ইঞ্জিনিয়ার বামাপদ মাইতির ওপর নির্ভর করতে হয়। কাটমানির বিষয়টি জানেন না বলেও দাবি করেছেন তৃণমূল নেত্রী। তিনি বলেন, কাটমানির বিষয় নিয়ে জেলা নেতৃত্বকে জানানো হয়েছে একাধিকবার। কিন্তু কোনও ব্যবস্থাই নেয়নি শাসকদল। পৌর পরিষেবা নিয়ে শাসকদলের কাটমানি নেওয়ার ঘটনায় খড়ার পৌর নাগরিকদের মধ্যে তৈরি হওয়া ক্ষোভ যে অমূলক নয়, তা তাঁর কথা থেকেই স্পষ্ট। 

    বিরোধীদের অভিযোগ

    সিপিআইএম নেতা ফাল্গুনী বীর দাবি করছেন, পোস্টারে লেখা সমস্ত ঘটনাই সত্য। কারণ খড়ার পৌরসভায় (Paschim Medinipur) গেলে বামাপদ মাইতি নামে ওই ইঞ্জিনিয়ারকে না জানিয়ে কোনও কাজ হয় না। এলাকার মানুষের অভিযোগ, টাকার ভাগ নিয়ে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ এবং তারই ফল ভুগতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। খড়ার পৌরসভার ইঞ্জিনিয়ার বামাপদ মাইতি ক্যামেরার সামনে কিছু না বললেও তিনি জানিয়েছেন যে বদনাম করার জন্য এই পোস্টারিং করা হয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • The Kerala Story: রাজ্যে নিষিদ্ধ ‘দ্য কেরালা স্টোরি’! ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর, ‘‘অগণতান্ত্রিক’’, তোপ কেন্দ্রের

    The Kerala Story: রাজ্যে নিষিদ্ধ ‘দ্য কেরালা স্টোরি’! ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর, ‘‘অগণতান্ত্রিক’’, তোপ কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলায় নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হল ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ (The Kerala Story) সিনেমাকে। নবান্ন সূত্রে খবর, এই ছবি রাজ্যে কোথাও প্রদর্শন করতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জেলায় জেলায় এই ছবির প্রদর্শন হচ্ছে কিনা তা খোঁজ নেওয়ার জন্য মুখ্যসচিবকে ইতিমধ্যে নির্দেশও দিয়েছেন তিনি। প্রসঙ্গত, স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কর্নাটকের বল্লেরির জনসভায় দ্য কেরালা স্টোরির ভূয়সী প্রশংসা করে বলেছিলেন, এই ছবি সন্ত্রাসবাদের মুখোশ টেনে খুলবে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, কেরালার মতোই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে এরাজ্যে। জেলায় জেলায় খোঁজ মিলছে আল কায়দার এজেন্টদের। লাভ জেহাদের অভিযোগও আসছে শ’য়ে শ’য়ে। এমনই আবহে তাই কিছু আড়াল করতেই কি মুখ্যমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্ত? এই প্রশ্নও তুলছেন অনেকে। প্রসঙ্গত, প্রথম তিন দিনেই ৩৫ কোটির ব্যবসা করেছে ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ (The Kerala Story)। বাঙালি পরিচালক সুদীপ্ত সেনের এই ছবি দেখতে ব্যাপক উন্মাদনা দেখা গিয়েছে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে।

    কী বললেন দিলীপ ঘোষ?

    বিজেপির কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী সত্যের মুখোমুখি হতে ভয় পাচ্ছেন, কোনও ভাবে সত্যকে আড়াল করতে চেষ্টা করছেন। যখনই দেশে কোনও রকমের দেশবিরোধী শক্তির বিরোধিতা করা হয়, মুখ্যমন্ত্রী দেশবিরোধী শক্তির পক্ষ নেন। তবে এভাবে সত্যকে আড়াল করা যাবেনা। বেঙ্গল স্টোরিও খুব শীঘ্র আসবে। ’’

    রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কি সংখ্যালঘু তোষণের কারণেই ছবির প্রদর্শন বন্ধ করলেন?

    সিনেমাতে সন্ত্রাসবাদের মুখোশ খোলা হয়ে থাকলে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর এতে আপত্তি কিসের? এমনটাও বলছেন অনেকে। মুখ্যমন্ত্রী কি কোনও বিশেষ সম্প্রদায়কে বার্তা দিতেই এই ছবির প্রদর্শন বন্ধ করলেন? তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িক তোষণের অভিযোগ প্রথম থেকেই। ক্ষমতায় আসার পরপরই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল রাজ্যসভার সদস্য করেছিল আহমেদ হাসান ইমরানকে, যিনি ছিলেন নিষিদ্ধ সন্ত্রাসবাদী সংগঠন সিমির প্রতিষ্ঠাতা রাজ্য সভাপতি। বিরোধী মহলের বক্তব্য, মুখ্যমন্ত্রীর কি তবে তাঁর দলের এই লবিকে খুশি করতেই এবং ভোট ব্যাংকের কারণেই এই ছবির প্রদর্শন বন্ধ করলেন। 

    আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিলেন প্রযোজক

    মুখ্যমন্ত্রীর এই অগণতান্ত্রিক সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে গর্জে উঠলেন প্রযোজক বিপুল শাহ এবং আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার কথাও বললেন।

    প্রতিবাদ জানালেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর

    মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই সিদ্ধান্তকে অগণতান্ত্রিক বলেন অনুরাগ ঠাকুর। এ প্রসঙ্গে কালিয়াগঞ্জের উদাহরণ টেনে এনে তিনি বলেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধায়ের রাজ্যে দিনকয়েক আগেই এক নাবালিকাকে ধর্ষণ করে হত্যা করা হয়, তারপরেও তাঁর দেহকে পুলিশ যেভাবে টেনে নিয়ে যায়, এটা দেখে সত্যিই কষ্ট হয়।’’

     
     

  • CBI: প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে সিবিআই সিটের প্রধান হলেন কল্যাণ ভট্টাচার্য

    CBI: প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে সিবিআই সিটের প্রধান হলেন কল্যাণ ভট্টাচার্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআইয়ের বিশেষ তদন্তকারী দলের প্রধান ছিলেন এতদিন ধরমবীর সিংহ। সোমবার তাঁকে সরিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট এবং পরিবর্তে দায়িত্ব পেলেন সিবিআই (CBI) আধিকারিক কল্যাণ ভট্টাচার্য, যিনি একজন বাঙালি। প্রসঙ্গত এই নিয়োগ দুর্নীতি মামলার শুনানি যখন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চে চলছিল তখনই সমস্ত দায়িত্ব থেকে সরতে চেয়েছিলেন সিবিআই আধিকারিক ধরমবীর সিং। শুধু তাই নয় তিনি সিবিআইয়ের (CBI) চাকরিও ছাড়তে চান বলে আদালতে তখন জানিয়েছিলেন। যদিও তাঁর মতো অভিজ্ঞ গোয়েন্দার চাকরি ছাড়ার কারণ এখনও অবধি সুষ্পষ্ট নয় কারও কাছে। তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। সূত্রের খবর, ধরমবীরবাবু তাঁর এই আর্জি যখন আদালতে জানিয়েছিলেন, তখনই অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছিলেন, বাঙালি কোনও আধিকারিককে এই গুরুত্বপূর্ণ নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তের দায়িত্বে আনার বিষয়ে। সম্প্রতি, টিভি চ্যানেলে সাক্ষাৎকার দেওয়া নিয়ে বিতর্ক তৈরি হওয়ায়, প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির মামলা অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস থেকে সরিয়ে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। সুপ্রিম নির্দেশে এসেছেন নতুন বিচারপতি। তবে জানা যাচ্ছে, বিচারপতি অমৃতা সিংহের এজলাসেও এই নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত কান্ডের প্রধান থেকে সরে যেতে ইচ্ছা প্রকাশ করেন ধরমবীর। অন্তত সিবিআইয়ের আইনজীবীরা, সেটাই জানিয়েছেন কোর্টে। আর সেই কারণেই হাইকোর্টের এই সিদ্ধান্ত বলে জানা যাচ্ছে।

    গত বছর থেকেই চলছে নিয়োগ দুর্নীতি কান্ডে তদন্ত

    প্রসঙ্গত, রাজ্য জুড়ে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি কান্ডে একের পর এক গ্রেফতার হয়েছেন শাসক দলের কেষ্টবিষ্টুরা। প্রথম শুরু হয়েছিল গত বছরের জুলাই মাসে পার্থ-অর্পিতা গ্রেফতার হওয়া থেকে, এখনও অবধি সর্বশেষ সংযোজন তৃণমূলের বিধায়ক জীবন কৃষ্ণ সাহা। অভিজ্ঞমহল বলছে, তদন্তের নির্দেশ যেমন কোর্ট দিয়েছে, তেমনি দ্রুত গতিতে তদন্ত করে যথেষ্ট দক্ষতার পরিচয়ও দিয়েছে সিবিআই (CBI)। এবার প্রাথমিকের নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তভার গেল এক বাঙালির হাতে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Banana in empty stomach: সকালে খালিপেটে কলা খান! জানেন, এতে লাভ হচ্ছে না ক্ষতি?

    Banana in empty stomach: সকালে খালিপেটে কলা খান! জানেন, এতে লাভ হচ্ছে না ক্ষতি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুষ্টিবিদরা সবথেকে জোর দেন ব্রেকফাস্টের উপর। সারদিন শরীরকে এনার্জি সাপ্লাই করবে এমন খাবারই রাখতে বলেন তাঁরা ব্রেকফাস্টে। কিন্তু অনেক সময় কিছু সুপারফুডকে ব্রেকফাস্টে এড়িয়ে যেতে বলেন তাঁরা। যেমন কলা। পুষ্টিগুণের দিক থেকে কলা অনেক উপকারী। কলাতে থাকে ফাইবার, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়ামের মতো পুষ্টি। তাছাড়া কলার মধ্যে প্রচুর পরিমাণে আয়রন, ভিটামিন বি, ভিটামিন বি৬ রয়েছে। এটি পেশি গঠনে এবং রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা গড়ে তোলার কাজে দারুণ সাহায্য করে।  কিন্তু খালিপেটে কলা (Banana in empty stomach) অনেক বিপদ ডেকে আনতে পারে, এমনটাই মত পুষ্টিবিদদের।

    কেন খালি পেটে কলা (Banana in empty stomach) খাবেন না?

     
    ১) খালি পেটে কলা (Banana in empty stomach) হার্টের ক্ষতি করে

    বিশেষজ্ঞদের মতে, কলার মধ্যে উচ্চ পরিমাণে ম্যাগনেশিয়াম রয়েছে, তাই এটি খালি পেটে খেলে বিপাক ক্রিয়ার উপর প্রভাব পড়তে পারে। হজমের গোলযোগও দেখা দিতে পারে। অনেক সময় হার্টেরও ক্ষতি হয়।

    ২) ডায়াবেটিস রোগীদের রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ায়

    চিকিৎসকরা বলছেন, কলায় পুষ্টির পাশাপাশি শর্করাও রয়েছে। খালি পেটে কলা (Banana in empty stomach) খেলে এটি হঠাৎ করেই রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। এটা ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য মোটেও ভাল বিষয় নয়। 

    ৩) খালি পেটে কলা (Banana in empty stomach) কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা বাড়ায়

    যদিও কলা খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও কমে। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন খালি পেটে কলা খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা উল্টে বেড়ে যেতে পারে। তাই খালি পেটে কলা না খাওয়াই ভাল।

    ৪) শরীর ক্লান্ত হয়ে যেতে পারে

    বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কলা খেলে দীর্ঘক্ষণ খিদে পায় না। কলা খেলে তাৎক্ষণিক শক্তি বৃদ্ধি তো ঘটে কিন্তু কয়েক ঘণ্টার মধ্যে সেটা কমেও যায়। সুতরাং, দীর্ঘক্ষণ কিছু না খেলে শরীর ক্লান্ত হয়ে যেতে পারে।

    ৫) ব্রেকফাস্টে কলা খাবেন, তবে কিছু খাওয়ার পরে

    বিশেষজ্ঞদের মতে, কলা ব্রেকফার্সে খাওয়া যেতে পারে, তবে কিছু খেয়ে। প্রথমেই কলা খেতে নিষেধ করছেন পুষ্টিবিদরা।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি/ডায়েট পরামর্শস্বরূপ। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের সঙ্গে কথা বলুন ও সেই মতো পরামর্শ মেনে চলুন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share