Tag: Madhyom

Madhyom

  • Rabindranath Tagore: বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতিবিজড়িত শশীভিলাকে হেরিটেজ ঘোষণার দাবি

    Rabindranath Tagore: বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতিবিজড়িত শশীভিলাকে হেরিটেজ ঘোষণার দাবি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের (Rabindranath Tagore) স্মৃতি বিজড়িত বরানগরের শশীভিলা চরম অবহেলায় অনাদরে পড়ে রয়েছে। প্রশান্তচন্দ্র মহলানবীশ এই বাড়িতে দীর্ঘদিন বসবাস করতেন। এখানেই ঘটা করে বিশ্বকবির দু-দুবার জন্মদিন পালন করা হয়েছিল। একসময়ের প্রচারের আলোয় ছিল এই বাড়ি। কিন্তু, জাতীয় সংগীতের স্রষ্টার স্মৃতি বিজড়িত এই বাড়িটি সংস্কার করার বিষয়ে কোনও হেলদোল নেই। ফলে, দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে বাড়িটি এখন ভেঙে ভেঙে পড়ছে। ২৫ বৈশাখ কবিগুরুর (Rabindranath Tagore) ১৬৩ তম জন্মদিবস। তার আগেই এই বাড়িটিকে হেরিটেজ ঘোষণা করার দাবি জানিয়ে সোমবার হেরিটেজ কমিশনের কাছে লিখিত আবেদন জানাল বরানগর নাগরিক প্রতিরোধ মঞ্চের সদস্যরা।

    বিশ্বকবির (Rabindranath Tagore) দুবার জন্মদিন পালিত হয়েছিল এই শশীভিলাতে

    বরানগরের গোপাললাল ঠাকুর রোডে এই বাড়িটি রয়েছে। বাড়িটির ভিতরে মূক ও বধিরদের একটি স্কুল রয়েছে। বাড়ির সংলগ্ন সুন্দর বাগানও ছিল। এই বাড়িতে ১৯৩১ থেকে ১৯৩৬ সাল পর্যন্ত এই বাড়িটি ভাড়া নিয়ে প্রশান্তচন্দ্র মহালানবীশ বসবাস করতেন। মহালানবীশের বিভিন্ন লেখাতেই এই বাড়ির বর্ণনা রয়েছে। বিশ্বকবির (Rabindranath Tagore) এই বাড়িতে থাকার কথাও তিনি তাঁর লেখায় তুলে ধরেছেন। প্রশান্তবাবু এক জায়গায় লিখেছেন, বরানগরের এই বাড়িতেই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (Rabindranath Tagore) থাকতেন খুব ছোট একটি কোণের ঘরে। সামনে একটি বড় জানলা দিয়ে পূর্ব-দক্ষিণ কোণে দেখা যেত পুকুর ঘাট, আম, সুপুরির বাগান। ছোট কোণের ওই ঘরটার নাম দিয়েছিলেন নেত্রকোণা। এই ঘরে লেখার টেবিল রাখতেন জানলার কাছে থেকে সরিয়ে এক কোণে। দুপাশে দেওয়াল রয়েছে, সামনে কিছু দেখা যায় না, এমন জায়গায় টেবিলটি রাখা হত। কবি বলতেন, খোলা জানলার কাছে বসলে আমার আর লেখা হবে না। আমার মন ঘুরে বেড়াবে বাইরে দূরে। যখন কাজকর্ম শেষ হয়ে যেত, তখন জানলার সামনে ইজিচেয়ারে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বাইরের দিকে তিনি তাকিয়ে থাকতেন। এই বাড়িতেই বিশ্বকবি স্নান সমাপন, নীহারিকা, মাতা, দ্বৈত, শেষ প্রহরে সহ বেশ কিছু কবিতা লিখেছিলেন। কবির ৭০ তম এবং ৭৫ তম জন্মবার্ষিকী উত্সব এই বাড়িতেই পালিত হয়েছিল। সেই অনুষ্ঠানের প্রচুর অতিথি এই বাড়িতে হাজির হয়েছিলেন।

    কী বললেন নাগরিক মঞ্চের সদস্য?

    এখন এই বাড়ির হাল অত্যন্ত বেহাল। বিল্ডিংয়ের পলেস্তারা খসে খসে পড়ছে। এই বাড়ির ইতিহাস না জানলে এটা পৌরবাড়ি ছাড়া কিছু মনে হবে না। বরানগর নাগরিক প্রতিরোধ মঞ্চের পক্ষ থেকে এই বাড়িটিকে হেরিটেজ করার বিষয়ে উদ্যোগী হয়। নাগরিক মঞ্চের সদস্য তথা বরানগর রামকৃষ্ণ মিশনের প্রাক্তন শিক্ষক দীনেশচন্দ্র ভট্টাচার্য বলেন, শশীভিলাকে রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব। কোনও সরকারই এই বাড়িটিতে হেরিটেজ ঘোষণার বিষয়ে উদ্যোগ নেয়নি। আমরা এর আগে বরানগরের সমস্ত স্তরের মানুষের কাছে গণস্বাক্ষর করেছিলাম। এবার হেরিটেজ কমিশনের চেয়ারম্যানের কাছে আবেদন জানালাম। শশীভিলাকে হেরিটেজ করার জন্য আমরা সবরকমের আন্দোলন করতে প্রস্তুত।

    কী বললেন হেরিটেজ কমিশনের সেক্রেটারি?

    হেরিটেজ কমিশনের সেক্রেটারি অম্লানজ্যোতি সাহা বলেন, এই প্রথম কেউ ওই বাড়িটি হেরিটেজ করার দাবি জানিয়ে আমাদের কাছে আবেদন করেছে। আমরা তাদের দাবির বিষয়টি সহানুভূতির সঙ্গে দেখব।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: দণ্ডিকাণ্ডে অভিযুক্ত তৃণমূল নেত্রী অবশেষে থানায় গিয়ে হাজিরা দিলেন

    TMC: দণ্ডিকাণ্ডে অভিযুক্ত তৃণমূল নেত্রী অবশেষে থানায় গিয়ে হাজিরা দিলেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দণ্ডিকাণ্ডে অভিযুক্ত তৃণমূল (TMC) নেত্রী প্রদীপ্তা চক্রবর্তী অবশেষে পুলিশের কাছে হাজিরা দিলেন। ৩ মে পুলিশের পক্ষ থেকে তাঁকে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। সেই নির্দেশ মেনেই সোমবার তিনি সাইবার ক্রাইম থানায় গিয়ে হাজিরা দেন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সাড়ে দশটা নাগাদ তিনি সাইবার থানায় আসেন। ডিএসপি পদমর্যাদার এক পুলিশ আধিকারিক তাঁকে আধ ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পুলিশ সুপার রাহুল দে বলেন, তদন্ত চলছে। তদন্তের স্বার্থে কিছু বলা যাবে না।

    কী বললেন তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব?

    এপ্রিল মাসের প্রথম দিকে দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটে তিন আদিবাসী মহিলা দণ্ডি কেটে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে (TMC) যোগ দেন। দণ্ডি কাটার নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রদীপ্তা চক্রবর্তী নামে ওই নেত্রী বলে অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দুজনকে পুলিশ গ্রেফতার করে। প্রদীপ্তাকে মহিলার জেলা সভানেত্রীর পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। এমনকী গত ২ মে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দক্ষিণ দিনাজপুরে এসে আদিবাসী তিন মহিলার সঙ্গে দেখা করে ঘোষণা করেছিলেন যে দণ্ডিকাণ্ডে যতবড়ই নেতানেত্রী জড়িত থাকুক না কেন তাঁর বিরুদ্ধে দলীয় ও প্রশাসনিকগত ভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অভিষেকের হুঁশিয়ারির পরই প্রদীপ্তা চক্রবর্তীকে ভাইস চেয়ারম্যান পদ থেকে অপসারিত করা হয়। তৃণমূলের (TMC) সেকেন্ড ইন কমান্ড এর ঘোষণার পরদিন ৩ মে দণ্ডি মামলায় প্রদীপ্তা চক্রবর্তীকে সাত দিনের মধ্যে হাজিরার নোটিশ পাঠায় পুলিশ। সেই নির্দেশ মেনে এদিন তিনি হাজিরা দিয়েছেন। তৃণমূল কংগ্রেসের জেলার সহ সভাপতি সুভাষ চাকী বলেন, আইন আইনের পথে চলবে। ঘটনার পর পরই তাঁর বিরুদ্ধে দলগতভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়াও চলছে।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপির দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী বলেন, দণ্ডিকাণ্ডের মতো অমানবিক ঘটনায় মূল অভিযুক্ত প্রদীপ্তা চক্রবর্তীকে গ্রেফতারের দাবিতে বিজেপি সহ বিভিন্ন আদিবাসী সংগঠন আন্দোলনে নেমেছিল। এদিন অভিযুক্তকে শুধু জিজ্ঞাসাবাদ করে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এসব লোক দেখানো নাটক না করে দণ্ডিকাণ্ডে মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে হবে। তার গ্রেফতারের দাবিতে আগামীতে বিজেপি আবার আন্দোলনে নামবে বলে জানান তিনি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: ময়নায় বিজেপি কর্মী খুনে নতুন করে আরও তিনজন গ্রেফতার, মোট কতজন গ্রেফতার জানেন?

    BJP: ময়নায় বিজেপি কর্মী খুনে নতুন করে আরও তিনজন গ্রেফতার, মোট কতজন গ্রেফতার জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ময়নায় বিজেপি (BJP) নেতা বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়া খুনে নতুন করে আরও তিনজনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। এই খুনের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে রবিবার রাতে শ্যামপদ মণ্ডল, সাগর মণ্ডল এবং মধুসূদন সাহুকে গ্রেফতার করা হয়। আর আগে এই খুনের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে মিলন ভৌমিক, নন্দন মণ্ডল, সুজয় মণ্ডলসহ মোট চারজনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছিল। সব মিলিয়ে এই ঘটনায় মোট সাতজনকে গ্রেফতার করল পুলিশ।

    ধৃতদের কোথা থেকে গ্রেফতার করা হল?

    কয়েকদিন আগে বিজেপি (BJP) নেতা বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়াকে স্ত্রী, সন্তানের সামনে অপহরণ করে তুলে নিয়ে গিয়ে নৃশংসভাবে খুন করা হয়। তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা খুন করেছে বলে অভিযোগ ওঠে। ৩৪ জনের নামে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে বন্‌ধ, প্রতিবাদ মিছিল করে বিজেপি। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত তিনজনের বাড়ি ময়না থানার বাকচা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার গোড়ামহল গ্রামে। তারা এলাকায় তৃণমূল কর্মী হিসেবে পরিচিত বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনার পর থেকে তারা কেউ এলাকায় ছিল না। হলদিয়া এলাকায় গা ঢাকা দিয়েছিল। হলদিয়ার ভবানীচক এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এর আগে বাগচায় একটি ইটভাটাতে দুজন অভিযুক্ত লুকিয়ে ছিল। পুলিশ তল্লাশি চালিয়ে সেখান থেকে তাদের গ্রেফতার করে। এদিকে, পটাশপুরের তৃণমূল বিধায়ক উত্তম বারিকের নেতৃত্বে ৩৩ জন বিজেপি কর্মীর নামে থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, বিজেপি কর্মী খুনের পর পরই বেশ কয়েকটি তৃণমূল কর্মীর বাড়ি ভাঙচুর হয়। তৃণমূলের অভিযোগ, দলীয় কর্মী খুনের পর বিজেপি এই হামলা চালিয়েছিল। সেই ঘটনার সূত্র ধরেই তৃণমূলের পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ করা হয়েছে।

    গ্রেফতারি নিয়ে কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপির (BJP) তমলুক সাংগঠনিক জেলার সভাপতি আশিস মণ্ডল বলেন, দোষীদের গ্রেফতারে টালবাহানা করছে পুলিশ। এই খুনের পিছনে মূল যারা ষড়যন্ত্রকারী রয়েছে, তাদের ধরার বিষয়ে পুলিশের কোনও হেলদোল নেই। আমাদের দাবি, মূল ষড়যন্ত্রকারীদের গ্রেফতার করতে হবে। আর বিচার ব্যবস্থার প্রতি আমাদের পূর্ণ আস্থা রয়েছে। এই খুনের ঘটনার এনআইএ বা সিবিআই তদন্ত হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Asansol: হিন্দু শাস্ত্রমতে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ অশ্বত্থ ও বটবৃক্ষ, গাছ কাটা ঠেকাতে অভিনব উদ্যোগ

    Asansol: হিন্দু শাস্ত্রমতে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ অশ্বত্থ ও বটবৃক্ষ, গাছ কাটা ঠেকাতে অভিনব উদ্যোগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবাধে বৃক্ষ নিধন রুখতে বাড়ির অশ্বত্থ ও বট গাছের বিয়ে দিলেন পশ্চিম বর্ধমান জেলার অন্তর্গত আসানসোল (Asansol) পৌরনিগমের ৮৫ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা নারায়ণ দাস (বলাই)। গাছের সঙ্গে গাছের বিয়ে! না, কোনও সংস্কার বা কুসংস্কারের বশে নয়। এমন কর্মকাণ্ড অত্যন্ত সাধুবাদযোগ্য হয়েছে বৃক্ষপ্রেমীদের কাছে।

    বিয়ে কেন?

    ঘরবাড়ি তৈরির ফলে অনেক গাছ কাটা হচ্ছে। সেই সঙ্গে অনাবৃষ্টিতে আরও শুকনো, খটখটে হয়ে যাচ্ছে রুখাশুখা পরিবেশ। তারপরেও গাছ কেটে জঙ্গল সাফ করার কাজে বিরাম নেই। তাতে সংকট বাড়ছে ধরিত্রীর, বিপদ ক্রমশ বাড়ছে সাধারণ মানুষজনের। সেই কথা উপলব্ধি করেই গাছকাটা ঠেকাতে দুই গাছের বিয়ে দিলেন গাছপ্রেমী বলাই দাস (Asansol)।

    বিবাহ অনুষ্ঠানের ধরন

    দুই গাছের বিবাহে একটি গাছ পুরুষ বটবৃক্ষ, যা ভগবান নারায়ণের প্রতীক। আরেকটি গাছ হল নারী অশ্বত্থ বটগাছ, যা মা লক্ষ্মীর প্রতীক। গাছের বর-বধূর সাজে পরনে ছিল যথাক্রমে সাদা ধুতি এবং লালপাড়ের শাড়ি। উভয় গাছের মাথায় বরকনের মুকুট এবং গলায় মালা। কলাগাছ দিয়ে বিবাহ মণ্ডপ, ছাদনাতলা সাজানো হয়েছিল। নানা ফুল দিয়ে মণ্ডপ সুসজ্জিত ছিল। গাছে-গাছের বিবাহে জগতের মঙ্গল সাধন হবে, এমনটাই বিবাহের উদ্দেশ্য বলে উদ্যোক্তরা জানান। গাছ আমাদের ছায়াদান করবে। অক্সিজেন আমাদের পৃথিবীকে পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখতে অনেক সাহায্য করবে বলে মনে করেন গাছপ্রেমীরা। দুই গাছের বিবাহেই সনাতনী হিন্দু প্রথা রীতিনীতির মতোই, বিদ্ধি, নান্দীমুখ, অধিবাস এবং লগ্ন ধরে সব নিয়ম মানা হয়। বাজনা বাজিয়ে উলুধ্বনি, মালাবদল, মন্ত্রোচ্চারণ-সহ হিন্দু শাস্ত্রমতে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হল অশ্বত্থ ও বটবৃক্ষ। শুধু এটুকুই নয়, দুই বৃক্ষের এমন শুভ পরিণয়ে পাত পড়ল পাড়াতে। চলল বালক ভোজনও। আসানসোলবাসী (Asansol) বলাই দাসের এমন উদ্যোগের তারিফ করেছেন উদ্ভিদপ্রেমী মানুষ ও পরিবেশবিদরা।

    উদ্যোক্তাদের প্রতিক্রিয়া

    নারায়ণ দাস (বলাই) বলেন, গাছের প্রতি আমাদের অত্যন্ত মানবিক আচরণ করা উচিত। গাছ একটি মানুষ, এই সমবেদনা আমার মতো সকলের মধ্যে জাগ্রত হোক। আর তাই গাছে গাছে বিবাহ। পুরোহিত সীতাংশু ভট্টাচার্য বলেন, এই বিবাহ আমাদের সনাতনী হিন্দু মতে বিবাহ। দুটি গাছের মধ্যে বিবাহ দিয়ে জায়গা দেখে মাটিতে গাছ লাগানো হবে। তিনি আরও বলেন গাছ আমাদের রক্ষা করে। পাড়ার সাধারণ মানুষ বলেন, বলাইবাবু বরাবরই পাড়াতে গাছ প্রেমী মানুষ হিসাবে পরিচিত। তাঁর এই অভিনব কর্ম রীতিমতো এলাকায় (Asansol) সাড়া ফেলেছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: প্রকাশ্যে শ্যুটআউট! আমডাঙায় গুলিবিদ্ধ তৃণমূল কর্মী

    TMC: প্রকাশ্যে শ্যুটআউট! আমডাঙায় গুলিবিদ্ধ তৃণমূল কর্মী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবার রাতে উত্তর ২৪ পরগনার আমডাঙায় শ্যুটআউটের ঘঠনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। দুষ্কৃতীদের গুলিতে জখম হন এক তৃণমূল (TMC) কর্মী। আক্রান্ত তৃণমূল (TMC) কর্মীর নাম আবু তোয়েব। তাঁর বাড়ি ঘুরিগাছি এলাকায়। ঘটনার পর পরই স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে তাঁকে বারাসতের একটি হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হয়। দলীয় কোন্দলের জেরে এই হামলা, না এর পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। যদিও কে বা কারা গুলি করেছে তা এখনও স্পষ্ট নয়। ঘটনায় আমডাঙার বোদাই পঞ্চায়েত এলাকায় ব্যপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। ইতিমধ্যেই থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগ হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটেছে?

    আবু তোয়েব এলাকায় সক্রিয় তৃণমূল (TMC) কর্মী হিসেবে পরিচিত। রাত সাড়ে নটা নাগাদ তিনি সন্তোষপুরে একটি কাজে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে বাইকে করে তিনি ঘুরিগাছি গ্রামের বাড়ি ফিরছিলেন। মাঝপথেই মথুরা এলাকায় তাঁকে লক্ষ্য করে দুষ্কৃতীরা গুলি চালায় বলে অভিযোগ। পুলিশ সূত্রে খবর, এক রাউন্ড গুলি চলে। ডান হাতের কব্জিতে গুলি লাগে তাঁর। দুষ্কৃতীরা গুলি করে ঘটনাস্থল থেকে চম্পট দেয়। গুলি চলার আওয়াজ শুনেই ঘটনাস্থলে হাজির হন স্থানীয় বাসিন্দারা। স্থানীয়রা রক্তাক্ত অবস্থায় ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করে বারাসতের বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করে। ঘটনার পরেই সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে যান আমডাঙা থানার পুলিশ।

    কী বললেন তৃণমূল (TMC) নেতা?

    স্থানীয় তৃণমূল (TMC) নেতা এস কে ইনামুল রহমান বলেন, তোয়েব আমাদের দলের সক্রিয় কর্মী। ভালো সংগঠক। দলের কাজে ও সবসময় ঝাঁপিয়ে পড়েন। ওর উপর এভাবে কারা গুলি চালাল তা বুঝতে পারছি না। আমরা পুলিশ প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানিয়েছি। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: জামাইয়ের কান কাটল শাশুড়ি! কারণ জানলে চমকে উঠবেন

    Malda: জামাইয়ের কান কাটল শাশুড়ি! কারণ জানলে চমকে উঠবেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মদ্যপ স্বামীর অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে স্ত্রী বার বার মায়ের কাছে নালিশ জানিয়েছিলেন। বহুবার দুই বাড়ির লোকজন বসে সমস্যা মেটানোর চেষ্টা করেছিলেন। শাশুড়ি নিজে জামাইয়ের হাত ধরে মেয়ের ওপর অত্যাচার না করার জন্য বহুবার অনুরোধ করেছিলেন। কিন্তু, বাস্তবে কাজের কাজ হয়নি। বরং, দিনের পর দিন মেয়ের ওপর অত্যাচারের মাত্রা বেড়েই যাচ্ছিল। গুণধর জামাইকে শিক্ষা দিতে এবার অনুরোধ, কাকতি-মিনতির পথে না হেঁটে ধারাল অস্ত্র দিয়ে জামাইয়ের কান কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠল শাশুড়ির বিরুদ্ধে। মালদহের (Malda) ইংরেজবাজার থানার নিমাইসরাই এলাকায় এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    আক্রান্ত জামাইয়ের নাম সুনীল চৌধুরী। আর অভিযুক্ত শাশুড়ির নাম নিতলা চৌধুরী। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কয়েক বছর আগে সুনীল চৌধুরীর সঙ্গে নিতলাদেবীর মেয়ে দুর্গার বিয়ে হয়। দুর্গা চার সন্তানের মা। দীর্ঘদিন ধরেই মদ্যপ অবস্থায় বাড়ি এসে সন্তানদের সামনে সে স্ত্রীর ওপর শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার করত বলে অভিযোগ। এই নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই দুই পরিবারের মধ্যে গণ্ডগোল লেগেই থাকতো। দুই পরিবারের লোকজন বার বার বৈঠক করেও কোনও কাজ হয়নি। রবিবার সুনীলবাবু মদ্যপ অবস্থায় বাড়ি এসে ফের স্ত্রীকে গালিগালাজ করতে থাকে। স্ত্রী তাকে চুপ করার জন্য অনুরোধ করেন। কিন্তু, তাতে কাজের কাজ কিছুই হয়নি। উলটে স্ত্রীর উপর চড়াও হওয়ার জন্য সে উদ্যত হয়। এসব যখন চলছে তখন বাড়িতে সুনীলবাবুর শাশুড়ি ছিলেন। গুণধর জামাইকে শিক্ষা দিতে প্রথমে তাকে লাঠিপেটা করেন তিনি। পরে, ধারাল অস্ত্র দিয়ে জামাইয়ের কান কেটে নেন। কান দিয়ে ঝর ঝর করে রক্ত বের হতেই জামাইয়ের নেশা ছুটে যায়। তিনি চিত্কার করে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। আশপাশের প্রতিবেশীরা ছুটে এসে তাঁকে উদ্ধার করে মালদহ (Malda) মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।

    কী বললেন গুণধর জামাই?

    সুনীলবাবু বলেন, নেশা করে বাড়ি গিয়েছিলাম। সঙ্গে মিষ্টি নিয়ে গিয়েছিলাম। ভাত খেতে দেয়নি। এনিয়ে একটু বচসা হতেই প্রথমে স্ত্রী মারধর করে। পরে, শাশুড়ি এসে আমার উপর চড়াও হয়। আমার কান কেটে দেয়। এভাবে আমার ওপর হামলা চালাবে ভাবতে পারিনি। এই ঘটনার পর থেকে আমি আতঙ্কে রয়েছি। ইতিমধ্যেই থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: পটাশপুরে শুভেন্দুর সভা বাতিল প্রশাসনের! রবিবার ফের জনসভার ডাক বিরোধী দলনেতার

    Suvendu Adhikari: পটাশপুরে শুভেন্দুর সভা বাতিল প্রশাসনের! রবিবার ফের জনসভার ডাক বিরোধী দলনেতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবার শেষ মুহূর্তে পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুরে শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) সভা বাতিল করে প্রশাসন। এবার আগামী রবিবার সেখানেই জনসভার ডাক দিলেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। তবে এই প্রথম নয় আগেও একাধিকবার শুভেন্দু-সুকান্তর সভা বাতিল করেছে প্রশাসন। প্রতিবারই হাইকোর্ট থেকে সভার অনুমতি আনতে হয়েছে এই দুই গেরুয়া শিবিরের নেতাকে।

    কী বললেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)?

    পটাশপুরে এদিনের সভার অনুমতি না থাকায়, মিছিল করে পথসভায় বক্তব্য রাখেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। সেখানে তিনি বলেন, আমি ঠান্ডা করার লোক। নন্দীগ্রাম ঠান্ডা হয়েছে। মোমিনপুর ঠান্ডা হয়েছে। শিবপুর, রিষড়া, ডালখোলাও ঠান্ডা করছে এনআইএ। এ বার একই কায়দায় ময়নার বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়ার এলাকাও ঠান্ডা হবে বলে জানান বিরোধী দলনেতা। বনধ্-এর দিন দুই বিজেপি নেতা কৃষ্ণগোপাল এবং মোহনলালকে গ্রেফতার করে পুলিশ, তাদেরকে বের করার দায়িত্ব নিয়ে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, পটাশপুর থানার সামনেই মালা পড়াব দুজনকে। তারপর ডুগডুগি বাজিয়ে মিছিল করব। মিছিল শেষে হবে জনসভা।

    কেন সভা পটাশপুরে?

    ১ মে রাতে ময়নায় খুন হন বিজেপি নেতা বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়া। অভিযোগ ওঠে তৃণমূল কর্মীরা তাঁকে বাড়ি থেকে পরিবারের সদস্যদের সামনেই তুলে নিয়ে গিয়ে খুন করে। এই ঘটনার পরেই ১২ ঘণ্টা ময়না বনধ্-এর ডাক দেয় বিজেপি। পাশাপাশি বিরোধী দলনেতা ঘোষণা করেন জেলাজুড়ে পথ অবরোধের। সেই দিন ওসির নেতৃত্বে পটাশপুরে বিজেপির কর্মী-সমর্থকদের উপর সিভিক ভলান্টিয়াররা নির্বিচারে লাঠিচার্জ করে, গুরুতরভাবে আহত হন জেলা বিজেপির সভাপতি মোহনলাল। বিরোধী দলনেতা তখন অভিযোগ তোলেন, হাইকোর্টের নির্দেশের পরেও সিভিকরা কীভাবে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার কাজ করছেন। প্রসঙ্গত, উচ্চ আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী সিভিকদের আইন-শৃঙ্খলা জনিত কাজে লাগানো যায়না। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে রবিবার পটাশপুরে জনসভা করার কথা ছিল শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari)। কিন্তু শেষ মুহূর্তে সভার অনুমোদন বাতিল করে স্থানীয় দুর্গাপুজো কমিটি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: পুরসভার চেয়ারপার্সনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ দলেরই কাউন্সিলরের, চরম অস্বস্তিতে তৃণমূল

    TMC: পুরসভার চেয়ারপার্সনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ দলেরই কাউন্সিলরের, চরম অস্বস্তিতে তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভাটপাড়া পুরসভার দুর্নীতি নিয়ে মুখ খুললেন ১০ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল (TMC) কাউন্সিলর সত্যেন রায়। রীতিমতো সাংবাদিক সম্মেলন করে তিনি দলের পুরবোর্ডের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে বোমা ফাটালেন। পুরসভার চেয়ারপার্সনের বিরুদ্ধে সরাসরি দুর্নীতি ও স্বজনপোষণের অভিযোগ করেছেন তিনি। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের (TMC) গোষ্ঠী কোন্দল একেবারে প্রকাশ্যে চলে এসেছে।

    ঠিক কী বলেছেন তৃণমূল (tmc) কাউন্সিলর?

    ভাটপাড়া পুরসভায় ৩৫টি আসনই তৃণমূলের (TMC) দখলে রয়েছে। তারপরও দলের একাংশ পুরবোর্ডের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর সত্যেন রায় বলেন, কোনও কাউন্সিলরের সঙ্গে আলোচনা না করেই সব কিছু কাজ করা হচ্ছে। ঠিকাদারদের টেন্ডার ছাড়াই কাজ পাইয়ে দেওয়া হচ্ছে। চেয়ারম্যান রেবা রাহা তাঁর দুই ছেলে তৃণমূল (TMC) বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম ও সঞ্জয় শ্যামকে নিয়ে এসব করছে। আমরা কোনওভাবে তা মেনে নেব না। কাউন্সিলররা সরাসরি চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলতে পারেনা। দলকে জানানো হয়েছে কিন্তু তাতে কোনও ফল হয়নি। যতক্ষণ পর্যন্ত চেয়ারম্যানকে না সারানো হবে ততক্ষণ পুরসভার উন্নতি ভালোভাবে হবে না। এ ব্যাপারে বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম কোনও মন্তব্য করতে চাননি।

    কী বললেন পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান?

    ভাটপাড়া পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান দেবজ্যোতি ঘোষ বলেন, যে কথাগুলো সত্যেনবাবু বলেছে সেগুলো তাঁর ব্যক্তিগত মতামত। যদি কিছু ঘটে থাকে তাহলে দলের মধ্যে আলোচনা করা যেত। তিনি দীর্ঘদিনের আমাদের সহকর্মী, তাকে পরামর্শ দেবো যে, অভিযোগের সত্যতা যাচাই করা উচিত। যদি কোনও দুর্নীতি হয়ে থাকে সেটা চেয়ারম্যানের নজরে আনা উচিত ছিল। অভিযোগের কোনও সত্যতা আছে কিনা সেটা ঠিক নেই। এতে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। আর আদালতের নির্দেশে কিছু কাজে বিধিনিষেধ রয়েছে। তাই, পরিষেবা দেওয়ার জন্য টেন্ডার ছাড়া কিছু কাজ করিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এলাকার মানুষের স্বার্থে এই কাজ করা হচ্ছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Area 51: আমেরিকার ‘Area 51’ কি ভিনগ্রহের প্রাণীদের নিয়ে গুপ্ত গবেষণাস্থল? কী রহস্য লুকিয়ে?

    Area 51: আমেরিকার ‘Area 51’ কি ভিনগ্রহের প্রাণীদের নিয়ে গুপ্ত গবেষণাস্থল? কী রহস্য লুকিয়ে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এলিয়েন বা ভিনগ্রহের প্রাণীদের নিয়ে উৎসাহ নেই, এরকম মানুষ খুব কমই আছে। দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে এই ভিনগ্রহের প্রাণীদের নিয়ে বিভিন্ন তথ্য উঠে এসেছে। কিছু দেশ এই ভিনগ্রহের প্রাণীদের অস্তিত্ব নিয়ে সদর্থক মতামত প্রকাশ করেছে, কেউ কেউ আবার ইউএফও দেখতে পাওয়ার দাবিও করেছেন। এই ধরনের বহু তথ্য ইন্টারনেট ঘাঁটলে আমরা দেখতে পাই। তবে যে বিষয় নিয়ে এই প্রতিবেদন, সেটি হল আমেরিকার ‘Area 51’ বলে একটি স্থান, যেখানে কয়েক বছর থেকে স্থানীয়রা দাবি করে আসছেন, সেখানে কিছু গুপ্ত গবেষণা করা হয় ভিনগ্রহের প্রাণীদের নিয়ে। অনেকে সেখানে ইউএফও দেখার দাবিও করেছেন। আর সেগুলি আমেরিকান সেনা বরাবর সাধারণের থেকে লুকিয়ে এসেছে বলে অভিযোগ। এগুলি মিথ না মিথ্যা, তা নিয়েও অনেক জলঘোলা হয়েছে।

    কী এই Area 51, যা নিয়ে আমেরিকাবাসী ও বিশ্ববাসীর এত উৎসাহ?

    এরিয়া 51 হল আমেরিকার নেভাডা টেস্ট অ্যান্ড ট্রেনিং রেঞ্জের অন্তর্গত মরুভূমির গ্রুম হ্রদের তীরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিমান বাহিনীর (ইউএসএএফ) একটি উচ্চ শ্রেণিবদ্ধ অপারেশন ঘাঁটি। এটি নানারকম সামরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা, গবেষণা ও প্রশিক্ষণের কেন্দ্র। এটি একটি বিরাট গোপন সামরিক বিমানঘাঁটি, যেখানে সাধারণ মানুষের প্রবেশ নিষেধ। এই এরিয়া 51-এর মূল উদ্দেশ্য হল, পরীক্ষামূলক উড়োজাহাজ তৈরি, অস্ত্রশস্ত্রের সিস্টেমের পরীক্ষা প্রভৃতি।

    Area 51 কেন বরাবর মানুষের চর্চার বিষয়? কী এমন হয় সেখানে?

    এই স্থানটি সবসময় চর্চায় উঠে আসার মূল কেন্দ্রবিন্দু হল, এই এরিয়া 51 কে ঘিরে গড়ে ওঠা ভিনগ্রহের প্রাণীদের সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য। এরিয়া ৫১ এর জল্পনা শুরু হয় ১৯৪৭ সালে রোসোয়েল নামক এক জায়গায় একটি বিমান দুর্ঘটনার পর থেকেই। বিমান দুর্ঘটনার পর বিমানের ভেঙে যাওয়া অনেক টুকরো সেখান থেকে উদ্ধার করা হয় এবং সেই টুকরোগুলি সাধারণ মানুষের হাতে আসে। পরে তাঁরা বুঝতে পারেন, সেই টুকরোগুলি সাধারণ কোনও বিমানের অংশ নয়। অনেকে তখন থেকে মনে করেন, সেগুলি ছিল কোনও স্পেসশিপ-এর টুকরো, যার চালক ছিল ভিনগ্রহের কোনও প্রাণী। এমনও শোনা যায়, সেখান থেকে জীবিত ভিনগ্রহের প্রাণীটিকে উদ্ধার করে ইউএস আর্মি এবং সেটিকে Area 51 এ নিয়ে যায়। সেখানে সেই এলিয়েনটিকে নিয়ে নানা গবেষণা তাঁরা করেন। এখনও সেখানেই নাকি রাখা আছে সেই ভিনগ্রহের প্রাণীটি। 

    Area 51 এর বিজ্ঞানীরা সেই এলিয়েনটিকে গবেষণার মাধ্যমে তাঁদের ব্যবহৃত প্রযুক্তিকে রপ্ত করতে চাইছেন, যা আমাদের পৃথিবীর সামরিক শক্তিকে হয়তো আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে। কিন্তু এসব রটে যাওয়ার পরেই ইউএস আর্মি মুখ খোলে এবং জানায়, সেখানে কোনও স্পেসশিপের দুর্ঘটনা ঘটেনি। যেসব টুকরো সেখান থেকে পাওয়া গেছে, সেগুলি একটি বড় ওয়েদার বেলুনের। এখানে এলিয়েন থিওরিকে জুড়ে দেওয়া সম্পূর্ণ রটনা মাত্র। অন্যদিকে সম্পূর্ণ বিষয়টি গোপন করা হয় বলে দাবি তুলতে থাকে সাধারণ মানুষ। এরপর থেকেই এরকম নানা ঘটনা এই এরিয়া 51  কে কেন্দ্র করে ঘটতে থাকে।

    অনেকবার শিরোনামে উঠে আসে এই Area 51, কিন্তু কেন?

    এই Area 51 কে নিয়ে বিভিন্ন রটনার পরিপ্রেক্ষিতে এবার মুখ খোলে আমেরিকান সরকার। সরকারের তরফে জানানো হয়, গুপ্তচর সংস্থা সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি ১৯৫৫ সালে যুদ্ধ বিমানের পরীক্ষার জন্য প্রথম এই জায়গাটিকে ঘাঁটি হিসেবে তৈরি করে এবং এই প্রজেক্টের নাম দেওয়া হয় ‘অ্যাকোয়াটোন’। ‘লকহিড ইউ-২’ নামক এক ইঞ্জিনের গবেষণা ও পরীক্ষা এখানে করা হয়, যা সাধারণ যুদ্ধ বিমানের থেকে আরও বেশি উচ্চতায় উড়তে সক্ষম। এর পরেও ‘ড্রাগন লেডি’ নামক এক যুদ্ধ  বিমানের পরীক্ষামূলক উড়ান এই Area 51 থেকেই লোকচক্ষুর আড়ালে করা হয়। ১৯৫৫ সালে এই যুদ্ধ বিমানের পরীক্ষামূলক উড়ান শুরু হওয়ার পর থেকেই স্পেসশিপ দেখতে পাওয়ার অভিযোগ উঠতে থাকে। সাধারণ মানুষের তরফ থেকে দাবি উঠতে থাকে, কোনও সাধারণ যুদ্ধবিমান এত উচ্চতায় উড়তে পারে না। জানা যায়, বিমানটি ৪৫ হাজার ফুট উচ্চতায় উঠতে সক্ষম। মানুষ দাবি করতে থাকে, এত উচ্চতায় উড়তে সক্ষম কোনও বিমান সাধারণ বিমান নয়, এটি একটি স্পেসশিপ যা এরিয়া ৫১ সবসময় সাধারণ মানুষের কাছ থেকে লুকিয়ে এসেছে। এত উচ্চতায় ওড়ার ঘটনা আবার ভিনগ্রহীদের অস্তিত্বের যুক্তিকে তুলে আনে। মার্কিন সেনাবাহিনী অবশ্য আজও এই বিষয়ে কোনও তথ্য জনসমক্ষে জানায়নি। ভিনগ্রহীদের উপস্থিতিকে তারা গুজব বলেই দাবি করে এসেছে চিরকাল।

    কী দেখেছেন পাশের গ্রামের বাসিন্দারা?

    আবার এই Area 51 এর পাশেই একটি গ্রাম আছে, যেখানকার বাসিন্দারা দাবি করেন, এই স্থানে অনেকরকম অসংগতিপূর্ণ জিনিস দেখা যায়। রাতের আকাশে অনেক লাইটকে একসঙ্গে উড়তে এবং নিচে নেমে আসতে দেখেছেন তাঁরা। তাঁরাও বিশ্বাস করেন, এর ভিতর এমন কিছু একটা হয়, যেটা সরকার ও ইউএস আর্মির পক্ষ থেকে সবসময় সাধারণ মানুষের কাছে লুকিয়ে রাখা হয়েছে। এরিয়া ৫১ এর জায়গায় প্রায় কয়েক কিলোমিটার দূরে সাধারণ মানুষের প্রবেশ নিষিদ্ধ করে সতর্কবার্তা দিয়ে রেখেছে কর্তৃপক্ষ, যেখানে ছবি তোলা নিষেধ ও আগে যাওয়া নিষেধ বলে লেখা আছে। অন্যথায় শাস্তি পর্যন্ত হতে পারে বলে উল্লেখ করা আছে। এলিয়েন থিওরি বা স্পেসশিপ থিওরি সত্যি হোক বা মিথ্যা, এই এরিয়া ৫১ আজও সক্রিয় এবং অনেক সাধারণ মানুষের কৌতূহলের স্থান হিসাবেই বিবেচিত।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • KCF: মোস্ট ওয়ান্টেড খালিস্তান জঙ্গী পরমজিৎ সিং পঞ্জর খুন

    KCF: মোস্ট ওয়ান্টেড খালিস্তান জঙ্গী পরমজিৎ সিং পঞ্জর খুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবার সকালে অজ্ঞাত পরিচিত বাইক আরোহী দুষ্কৃতিদের গুলিতে খুন হলেন খালিস্তানী জঙ্গী নেতা পরমজিৎ সিং (KCF)। লাহোরের কাছে জোহর শহরে থাকতেন তিনি। সকালে হাঁটতে গেলে আচমকাই রাস্তায় হাঁটার সময় খুব কাছ থেকে গুলি করে হত্যা করে অজ্ঞাত পরিচয়ের দুষ্কৃতিরা। সেই সঙ্গে ঘটনা স্থলে মৃত্যু হয় তাঁর দেহরক্ষীর। কিন্তু কারা খুন করেছে এখনও স্পষ্ট হয়নি।  

    কে ছিলেন পরমজিৎ সিং?

    ১৯৮৯ সালে খালিস্তান কমাণ্ডো ফোর্সের (KCF) প্রধান লাভ সিং-এর আততায়ীদের গুলিতে মৃত্যু হয়। এই লাভ সিং ছিলেন পরমজিৎ এর ঘনিষ্ঠ আত্মীয়। লাভ সিং মারা গেলে পরমজিৎ সিং খালিস্তান কমাণ্ডো ফোর্সের (KCF) প্রধান দায়িত্ব ভার গ্রহণ করেন। এরপর ১৯৯০ সাল থেকে পরমজিৎ পাকিস্তানে গিয়ে সেখান থেকে জঙ্গি কার্যকলাপ পরিচালনা শুরু করেন।

    পরমজিৎ এর বিরুদ্ধে অভিযোগ

    ভারত সরকারের কাছে পরমজিৎ (KCF) একজন ইউপিএ আইনের ধারায় প্রধান অভিযুক্ত জঙ্গী। প্রত্যক্ষভাবে পাকিস্তানে বসে জঙ্গী নাশকতা মূলক কাজকে পরিচালনা করতেন। তাঁর বিরুদ্ধে চোরাকারবার, জালনোটের ব্যবসা, অস্ত্র জোগান, অস্ত্র চোরাচালান ইত্যাদির বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ ছিল। ভারতের পাঞ্জাবকে উত্তপ্ত করার নানা কৌশল তিনি করতেন বলে বিশেষ অভিযোগ রয়েছে। এককথায় ভারতের বিদেশ মন্ত্রক থেকে মোস্ট ওয়ান্টেড বলে স্বীকৃতি দিয়ে পলাতক ঘোষণা করা হয়েছে তাঁকে। পরমজিৎ ইউপিএ ধারায় প্রায় ২২ টি মামলায় অভিযুক্ত ছিল বলে জানা গেছে। তিনি পাকিস্তানে শিখ যুবকদের জঙ্গি প্রশিক্ষণ দিতেন। যুবকদের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়ে ভারতে অবৈধ অনুপ্রবেশ এবং চোরাচালানের কর্মকে বিশেষ পরিণতি দিয়ে থাকতেন। এই লাহোর শহরেই ২০২০ সালে খালিস্তান লিবারেশন ফোর্স অন্যতম প্রধান নেতা হরমিত সিং কে (KLF) ঠিক একই কায়দায় অজ্ঞাত পরিচিত আততায়ীদের হাতে গুলি বিদ্ধ হয়ে নিহত হতে হয়েছিল।  

     

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share