Tag: Madhyom

Madhyom

  • Andal: সরকারি প্রকল্পের সেড সহ দরজা-জানলা চুরি, খবর নেই পঞ্চায়েতে

    Andal: সরকারি প্রকল্পের সেড সহ দরজা-জানলা চুরি, খবর নেই পঞ্চায়েতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুষ্কৃতিরা চুরি করে নিয়ে গেছে বর্জ্য নিষ্কাশন প্রকল্পের সেড সহ দরজা জানালা। শুক্রবার ঘটনাটি সামনে আসে অন্ডালের কাজোরা পঞ্চায়েত (Andal) এলাকায়। পঞ্চায়েত প্রধান বলেন খবর নিয়ে দেখব। থানায় চুরির অভিযোগ জানানো হয়েছে। এখন তদন্ত শুরু করেছে স্থানীয় পুলিশ।

    অভিযোগ কি ?

    ২০১৮-১৯ সালে (Andal) কাজোরা গ্রামপঞ্চায়েতের রায়দত্ত কোপাডাঙ্গা এলাকায় আনুমানিক কুড়ি লক্ষ টাকা ব্যয়ে তৈরি হয়েছিল একটি কঠিন তরল বর্জ্য নিষ্কাশন প্রকল্প। দীর্ঘদিন অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে থাকার পর সম্প্রতি সেই প্রকল্পটিতে শুরু হয় বর্জ্য নিষ্কাশনের কাজ। কিন্তু প্রকল্পটি চালু হতেই দেখা দেয় বিশেষ বিতর্ক। খনি সংস্থা ইসিএলের একটি সার্ভে দল এলাকাটি পরিদর্শন করে জানায় প্রকল্পের এলাকাটি ইসিএলের। জায়গা ছেড়ে দেওয়ার কথা জানানো হয় পঞ্চায়েতকে। এরপরই প্রায় কিছুটা দূরে প্রকল্পটি স্থানান্তরিত করা হয়। কিন্তু প্রকল্প স্থানান্তর হলেও পুরনো প্রকল্পটির দরজা-জানলা-টিনের সেড সহ কাঠামোগুলি স্থানান্তর করা হয়নি। শুক্রবার সকালে স্থানীয়রা আচমকা দেখতে পায় পুরনো প্রকল্পের নির্মাণ সামগ্রী টিনের সেড, লোহার দরজা, জানালা কিছু নেই। সম্ভবত সেগুলি চুরি করে নিয়ে গেছে দুষ্কৃতিরা এমনটাই স্থানীয়দের অভিযোগ। এরপর চুরির খবর পৌঁছায় কাজোড়া পঞ্চায়েত দপ্তরে।

    পঞ্চায়েত প্রধানের ভূমিকা

    পঞ্চায়েত প্রশাসনের (Andal) পক্ষ থেকে এই দিন দুপুরে অন্ডাল থানায় চুরির ঘটনা জানিয়ে অভিযোগ দায়ের করা হয়। স্থানীয় পঞ্চায়েতের প্রধান প্রাণকৃষ্ট নুনিয়া জানান, রায়দত্ত কোপাডাঙ্গায় কঠিন তরল বর্জ্য নিষ্কাশন প্রকল্পটি তৈরি করা হয়েছিল কিন্তু ইসিএলের সাথে জায়গাটির মালিকানা নিয়ে ঝামেলা হওয়ার পরে পঞ্চায়েত তার প্রকল্পটি দূরে নিয়ে চলে যায়। সেড সহ কাঠামোগুলি পরে নতুন জায়গায় আনার পরিকল্পনা ছিল। আরও বলেন শুনলাম সেগুলি নাকি চুরি হয়েছে। আমি জানি না কি হয়েছে, গিয়ে খবর নিয়ে দেখতে হবে। তবে এদিন পঞ্চায়েত প্রধান বলেন স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পাই সেগুলি নাকি চুরি হয়ে গেছে। এলাকার মানুষ পঞ্চায়েত প্রশাসনের উদাসীনতাকে দায়ী করছেন। প্রশাসন সরকারি সম্পত্তির প্রতি কতটা দায়িত্বশীল সেই বিষয় নিয়েও প্রশ্ন উঠছে নানা মহলে। পরে অন্ডাল থানায় অভিযোগ দায়ের হলে তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানান এক আধিকারিক।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: দলীয় কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে আন্দোলনে তৃণমূল কর্মীরা! কেন জানেন?

    TMC: দলীয় কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে আন্দোলনে তৃণমূল কর্মীরা! কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন রাজ্যে কোথাও জলাশয় ভরাট করে কোনও কাজ করা যাবে না। আর সেই মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশকে অমান্য করে এবার অবাধে পুকুর ভরাট হচ্ছে খড়দহ পুরসভার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে। আর এই পুকুর ভরাটকে কেন্দ্র করে প্রকাশ্যে শুরু হয়েছে তৃণমূলের (TMC) প্রাক্তন ও বর্তমান কাউন্সিলরের গোষ্ঠীকোন্দল। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    জলাশয় ভরাট নিয়ে বর্তমান কাউন্সিলর ও প্রাক্তন কাউন্সিলরের মধ্যে তরজা

    প্রাক্তন কাউন্সিলার সঞ্জীব পাল চৌধুরীর অভিযোগ, ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে সরকারি জলাশয় রাতের অন্ধকারে পুরসভার ট্রাক্টর করে খাল সংস্কারের মাটি নিয়ে এসে ভরাট করা হচ্ছে। ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূলের (TMC) বর্তমান কাউন্সিলর মৌসুমী পালের নেতৃত্বে এই জলাশয় ভরাট করা হচ্ছে। রাতের অন্ধকারে এলাকায় ট্রাক্টর ঢোকার শব্দে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী। তাই এই ঘটনায় সরব হয়েছে এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারাও। যেখানে পুকুর ভরাটের ঘটনা ঘটছে, সেখানে এদিন বিক্ষোভ দেখান প্রাক্তন কাউন্সিলর ও তাঁর অনুগামীরা। প্রাক্তন কাউন্সিলরের আনা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বর্তমান কাউন্সিলর মৌসুমী পাল। তিনি বলেন, কোনও জলাশয় ভরাট করা হচ্ছে না। আসলে এলাকায় একটি রাস্তা তৈরি হবে। প্রাক্তন কাউন্সিলর ৫ বছর ঘুমিয়ে কাটিয়েছেন। এলাকায় কোন উন্নয়ন করেননি। আমি উন্নয়নের কাজ করছি বলে আমাকে চক্রান্ত করে ফাঁসানোর চেষ্টা করছেন তিনি।

    কী বললেন পুরসভার উপ পুরপ্রধান?

    তৃণমূল (TMC) পরিচালিত খড়দহ পুরসভার উপ পুরপ্রধান সায়ন মজুমদার বলেন, দুপক্ষের অভিযোগ পুরসভায় জমা পড়েছে। জলাশয় ভরাট করে কোনও উন্নয়নের কাজ পুরসভা বরদাস্ত করবে না। বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    সরব বিজেপি নেতৃত্ব

    পুকুর ভরাট নিয়ে শাসকদলেরই প্রাক্তন ও বর্তমান কাউন্সিলরদের গোষ্ঠীকোন্দলের ঘটনায় শাসক দলকে কটাক্ষ করেছে বিজেপি নেতৃত্ব। বিজেপি নেতা কিশোর কর বলেন, গোটা রাজ্য জুড়েই বেআইনি কাজের সঙ্গে তৃণমূলের (TMC) লোকজন জড়িত। এসবের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষকে গর্জে উঠতে হবে। যতদিন যাবে তৃণমূলের এই ধরনের গোষ্ঠীকোন্দল আরও প্রকট হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • The Kerala Story: বক্স অফিসে বাজিমাত ‘দ্য কেরালা স্টোরি’-র! প্রথম দিনে আয় কত?

    The Kerala Story: বক্স অফিসে বাজিমাত ‘দ্য কেরালা স্টোরি’-র! প্রথম দিনে আয় কত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রথম দিনেই বক্স অফিসে ছক্কা হাঁকাল ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ (The Kerala Story)। সুদীপ্ত সেন পরিচালিত এই ছবিকে বিদ্বেষমূলক বলে তোপ দেগেছিল কংগ্রেস সহ বামপন্থীরা। একধাপ এগিয়ে কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন বলেন, এই ছবি সঙ্ঘ পরিবারের তৈরি। কিন্তু যাবতীয় অপপ্রচারকে পিছনে ফেলে প্রথম দিনেই বাজিমাত করল ‘দ্য কেরালা স্টোরি’। কর্নাটকে নির্বাচনী প্রচারে ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ (The Kerala Story)-এর প্রসঙ্গ উঠে আসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভাষণেও। ছবি নিয়ে কংগ্রেসের অপপ্রচারকে একহাত নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। দরাজ সার্টিফিকেট দিয়েছেন ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ (The Kerala Story) ছবিকে। এদিন তরণ আদর্শ ট্যুইট করে লেখেন, প্রথম দিনেই বাউন্ডারির বাইরে বল পাঠাল ‘দ্য কেরালা স্টোরি’।

    ২০২৩ সালে সর্বাধিক আয় করা প্রথম পাঁচটি ছবির তালিকায় নথিভুক্ত হল ‘দ্য কেরালা স্টোরি’

    পরিসংখ্যান বলছে, প্রথম দিনের আয়ের নিরিখে কাশ্মীর ফাইলস-কেও পিছনে ফেলে দিয়েছে ‘দ্য কেরালা স্টোরি’। কাশ্মীর ফাইলসের প্রথম দিনের আয় ছিল ৩.৫ কোটি টাকা, অন্যদিকে ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ (The Kerala Story) আয় ৭.৫ কোটি টাকা। চলতি বছরে প্রথমদিনে সর্বাধিক আয় করা প্রথম ৫টি ছবির তালিকায় নথিভুক্ত হল ‘দ্য কেরালা স্টোরি’-এর নাম। প্রথম দিনের আয়ের নিরিখে ‘পাঠান’ সবার আগে। এই ছবির আয় ছিল ৫৫ কোটি। তার পর ‘কিসি কা ভাই কিসি কা জান’। তার আয় ১৫.৮১ কোটি, তৃতীয় ‘তু ঝুটি ম্যায় মক্কার’ প্রায় ১৫.৭ কোটি আয় করে। চতুর্থ অজয় দেবগনের ‘ভোলা’, যার প্রথম দিনের আয় ছিল প্রায় ১১ কোটির উপরে। জানা গেছে, হিন্দি সহ মোট ৪টি ভাষায় মুক্তি পেয়েছে এই ছবি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • CCTV Camera: দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে জোরদার করা হল নিরাপত্তা, কীভাবে?

    CCTV Camera: দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে জোরদার করা হল নিরাপত্তা, কীভাবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণেশ্বর মন্দিরের নিরাপত্তাকে আরও জোরদার করতে সিসিটিভি ক্যামেরায় (CCTV Camera) মুড়ে দেওয়া হল। মূলত মন্দিরে ঢোকার প্রবেশপথে এই ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। আগে ভবতারিণী মন্দির এবং মন্দির চত্বরে সিসিটিভি (CCTV Camera) ছিল। তবে, মন্দিরে ঢোকার রাস্তায় কোনও সিসি ক্যামেরা ছিল না। বিশেষ করে স্কাইওয়াকের আশপাশের এলাকায় এতদিন কোনও সিসি ক্যামেরা ছিল না। এদিন থেকে সেখানেও সিসি ক্যামেরা লাগানো হল। সেই সঙ্গে যাত্রীদের সুবিধার্থে তৈরি হল একটি যাত্রী প্রতীক্ষালয়।

    কী বললেন বারাকপুরের পুলিশ কমিশনার?

    এমনিতেই দক্ষিণেশ্বর মন্দির রাজ্যের অন্যতম তীর্থস্থান। রাজ্যের পাশাপাশি ভিন রাজ্যের বহু ভক্ত এই মন্দিরে পুজো দিতে আসেন। বছরের বিশেষ বিশেষ দিনে এই মন্দিরে লক্ষাধিক ভক্তের সমাগম হয়। এক সময় বেলঘরিয়া থানার পক্ষ থেকে এই মন্দিরের নিরাপত্তা দেখভাল করা হত। মন্দির চত্বরেই ছোট্ট ফাঁড়ি ছিল। মন্দিরে আসা ভক্তদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের উদ্যোগে শুধু মন্দির চত্বর ও আশপাশের এলাকার জন্য নতুন দক্ষিণেশ্বর থানা তৈরি করা হয়েছে। স্বাভাবিকভাবে নিরাপত্তা অনেকটাই জোরদার করা হয়েছে। এমনিতেই মন্দির চত্বরে সিসি ক্যামেরা ছিল। বাইরে কোনও ক্যামেরা ছিল না। এবার থেকে মন্দিরের ভিতর এবং বাইরে সিসিটিভি (CCTV Camera) ক্যামেরায় মুড়ে দেওয়া হল। দক্ষিণেশ্বর মন্দির চত্বরে দর্শনার্থীদের ভিড় দিন দিন বাড়ছে, যাতে কোনো অঘটন না ঘটে তার জন্য গোটা রাস্তাকে সিসি ক্যামেরার নজরদারিতে নিয়ে আসা হলো। ডানলপ মোড়ে আগেই লাগানো হয়েছিল এই ক্যামেরা। পুলিশ কমিশনারেট সূত্রে জানা গিয়েছে, মন্দিরে ঢোকার রাস্তার পাশাপাশি বনহুগলি এবং সবেদা বাগান মোড়েও লাগানো হল সিসি ক্যামেরা। সবমিলিয়ে ১৬ টি সিসিটিভি ক্যামেরা (CCTV Camera) লাগানো হল। বারাকপুরের পুলিশ কমিশনার অলোক রাজোরিয়া বলেন, এমনিতেই পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব সময় নজরদারি চালানো হয়। এবার সিসিটিভি ক্যামেরা (CCTV Camera) লাগানোর পর নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হল। এতে কেউ অপরাধ করলে আমাদের কাছে রেকর্ড থাকবে। ভিডিও ফুটেজ দেখে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: সুকান্তের দত্তক নেওয়া গ্রামের বেহাল রাস্তা সংস্কারে উদ্যোগ নেই তৃণমূলের, সরব বিজেপি

    Sukanta Majumdar: সুকান্তের দত্তক নেওয়া গ্রামের বেহাল রাস্তা সংস্কারে উদ্যোগ নেই তৃণমূলের, সরব বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গ্রামে যাওয়ার বেহাল রাস্তার কারণে ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা। বালুরঘাট ব্লকের তৃণমূল পরিচালিত ভাটপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের চকরামপ্রসাদ গ্রামের বেহাল রাস্তা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনে নামতে চলেছেন এলাকাবাসী। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে রাস্তা সংস্কারে প্রশাসনের কোনও উদ্যোগ নেই। ফলে, বহু জায়গায় রাস্তার পিচ উঠে পাথর বেরিয়ে গিয়েছে। বারবার প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে দরবার করেও রাস্তা সংস্কার হয়নি। অপরদিকে, বিজেপির অভিযোগ, গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য বিজেপি হ‌ওয়ায় এবং বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) গ্রামটি দত্তক নেওয়ায় তৃণমূল পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েত এবং জেলা পরিষদ ইচ্ছাকৃতভাবে বেহাল রাস্তা সংস্কারে উদ্যোগ গ্রহণ করছে না।

    কী বললেন স্থানীয় বাসিন্দারা?

    গ্রামবাসীদের বক্তব্য, দীর্ঘদিন ধরে রাস্তার বেহাল অবস্থার জন্য সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। ভাঙা রাস্তায় টোটো না আসায় আমাদের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। এখন এক কিলোমিটার পথ হেঁটে গিয়ে টোটো, অটো ধরতে হয়। ছাত্র ছাত্রীদের অসুবিধায় পড়তে হয়। ভোটের আগে নেতারা এসে রাস্তা সংস্কারের আশ্বাস দিয়ে যান, ভোটপর্ব মিটলে আর কারও দেখা মেলে না। এবার এই বেহাল রাস্তা সংস্কার না হলে আমরা ভোট বয়কট করব।

    বেহাল রাস্তা নিয়ে শুরু হয়েছে শাসক-বিরোধী তরজা

    বিজেপির স্থানীয় নেতা সুবিমল হেমব্রম জানান, সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) দত্তক নেওয়ার পর গ্রামে প্রায় চল্লিশটি সোলার লাইটের ব্যবস্থা করেছেন। ছাত্র ছাত্রীদের জন্য স্থানীয় স্কুলের উন্নয়নে আর্থিক সহায়তা করেছেন। আরও উন্নয়নমূলক কাজ তিনি করবেন। কিন্তু, রাস্তাটি জেলা পরিষদের। ফলে, তিনি চাইলেও রাস্তাটি করতে পারেননি। স্থানীয় বিজেপি বুথ সভাপতি অজয় দেবনাথ জানান, জেলা পরিষদ ও পঞ্চায়েত তৃণমূলের দখলে রয়েছে। আর এই এলাকায় পঞ্চায়েত সদস্য বিজেপির এবং বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) গ্রামটি দত্তক নেওয়ার জন্য জেলা পরিষদ বেহাল রাস্তা সংস্কারে কোনও উদ্যোগ গ্রহণ করছে না। তৃণমূলের ভাটপাড়া অঞ্চল যুব তৃণমূল সভাপতি পুলক দেবনাথ জানান, সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) দত্তক নিলেও কোনও কাজ করেননি। রাস্তাটি দ্রুত সংস্কারের বিষয়ে দল থেকে চেষ্টা চলছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: চার্জশিট পেশের পরেও দলীয় পদে কেন অনুব্রত? প্রশ্ন সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: চার্জশিট পেশের পরেও দলীয় পদে কেন অনুব্রত? প্রশ্ন সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চার্জশিট পেশের পরেও দলীয় পদে বহাল রয়েছেন অনুব্রত, তাঁকে সরানোর হিম্মত নেই মমতার কারণ, তিনি নাম বলে দিতে পারেন। শুক্রবার এমনই মন্তব্য করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। তাঁর আরও প্রশ্ন, হিমশৈলের চূড়া রয়েছে অনুব্রতর কাছে, জলের নীচের অংশ কার কাছে আছে? এদিন এনআরসি ইস্যুতেও মমতাকে একহাত নেন বালুরঘাটের সাংসদ। তাঁর মতে, রাজ্যের সংখ্যালঘুদের এনআরসি নিয়ে ভুল বোঝাচ্ছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যের মুসলিমরা বুঝতে পেরেছেন মমতার এই দ্বিচারিতা, তাই তাঁরা সরে আসছেন। প্রসঙ্গত, দুমাস আগেই সংখ্যালঘু অধ্যুষিত মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘি উপনির্বাচনে ধরাশায়ী হয় শাসকদল। জেতেন কংগ্রেসের বায়রন বিশ্বাস। রাজনৈতিক মহলের একাংশের ধারণা, ক্রমশ সংখ্যালঘু মানুষদের আস্থা হারাচ্ছে তৃণমূল, তারই প্রতিফলন দেখা গেছে সাগরদিঘিতে, ২০২১ সালে বিপুল ভোটে জেতা আসন শাসকদলকে খোয়াতে হয়।

    প্রসঙ্গ অনুব্রত…

    শুক্রবার দলীয় দফতরে বসে সুকান্তবাবু (Sukanta Majumdar) বলেন, প্রশাসনের পুরো চেষ্টা ছিল যাতে অনুব্রতকে রাজ্যে রাখা যায়। প্রশাসন যে তৃণমূলের অঙ্গুলিহেলনে চলছে এদিন সে কথাও বলেন তিনি। বিজেপির রাজ্য সভাপতির আরও দাবি, এত অভিযোগের পরেও কেষ্ট মণ্ডলকে বীরভূম জেলা সভাপতি পদ থেকে সরানো হয়নি।

    প্রসঙ্গ এনআরসি…

    এনআরসি নিয়ে মুসলিমদের মুরগি বানাচ্ছেন মমতা এমন অভিযোগও তোলেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)। তাঁর মতে, মুসলিমদের ক্রমাগত প্ররোচনা দিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। তৃণমূলের শত প্ররোচনা সত্ত্বেও পশ্চিমবঙ্গের মুসলিম অধ্যুষিত এলাকাগুলিতে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রয়েছে বলে জানান সুকান্ত। সুকান্তর আশ্বাস, এই মূহূর্তে এনআরসির কোনও পরিকল্পনা নেই কেন্দ্রীয় সরকারের। তবুও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সিএএ আইন পাশ করার সময় রাজ্যে যে পরিস্থিতি হয়েছিল তাই আবারও ফিরিয়ে আনতে চাইছে বলে জানান বালুরঘাটের। প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে সিএএ আইন পাশ হওয়ার পরেই অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন এলাকা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: ভার্চুয়াল মিটিংয়ে নেতাদের সামনেই  ‘চোর চোর’ স্লোগান! ভাইরাল ভিডিও, চরম অস্বস্তিতে তৃণমূল

    TMC: ভার্চুয়াল মিটিংয়ে নেতাদের সামনেই ‘চোর চোর’ স্লোগান! ভাইরাল ভিডিও, চরম অস্বস্তিতে তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলায় নবজোয়ার কর্মসূচিতে ব্যালট লুঠ হওয়ার ঘটনার সাক্ষী রয়েছেন রাজ্যবাসী। দুদিন আগে মালদহের ইংরেজবাজারে দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিতে যাওয়ার পথে তৃণমূলের (TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কনভয় আটকে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা। তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে কোটি কোটি টাকা চুরি করার অভিযোগ তোলেন তাঁরা। এই সব ঘটনার জের মিটতে না মিটতেই পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় সেই নবজোয়ার কর্মসূচির ভার্চুয়াল মিটিংয়ের ভিডিও ভাইরাল হতেই চরম অস্বস্তিতে নেতৃত্ব। তৃণমূল (TMC) ছাত্র পরিষদের ভার্চুয়াল মিটিং চলাকালীন জেলা ও রাজ্যের নেতাদের সামনেই ‘চোর চোর’ স্লোগান!

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    পশ্চিম মেদিনীপুরে শুরু হতে চলেছে তৃণমূলের (TMC) নবজোয়ার কর্মসূচি। সেই কর্মসূচিকে সামনে রেখে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের তরফে বৃহস্পতিবার একটি ভার্চুয়াল মিটিং এর আয়োজন করা হয়। গুগল মিটের মাধ্যমে এই মিটিং হয়। মিটিংয়ে উপস্থিত ছিলেন ঘাটাল সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি ও প্রাক্তন ছাত্র সভাপতি সৌরভ চক্রবর্তী, মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলার তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ ও ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার সভাপতি সৈয়দ মিলু, রাজ্য তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অভিরূপ চক্রবর্তী এবং অন্যান্য ব্লক ও জেলা স্তরের নেতৃত্বরা। রাজ্যস্তরের নেতারা মিটিংয়ে উপস্থিত ছিলেন। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, এই মিটিং ছিল তৃণমূল (TMC) ছাত্র পরিষদের কোর কমিটির মিটিং। তবে সেই মিটিং এর শুরুতেই হোঁচট। হঠাৎই স্লোগান ওঠে “চোর চোর চোরটা, অভিষেকের পিসিটা। “এমনকী মিটিং চলাকালীন একাধিক মেসেজে ভেসে আসতে থাকে ত্রিপল ও কয়লা চুরির ঘটনা। এছাড়াও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও আক্রমণ করা হয় রাজ্য তৃণমূলের আইটি সেল এর সভাপতি দেবাংশু ভট্টাচার্যকে। পাশাপাশি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও তীব্র আক্রমণ করা হয় মেসেজ ও স্লোগানের মাধ্যমে। প্রশ্ন উঠছে, সামনেই পঞ্চায়েত ভোট, আর তার আগে তৃণমূলের এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ মিটিংয়ে এধরনের দলবিরোধী স্লোগান ভাবাচ্ছে বুথ থেকে রাজ্যস্তরের নেতৃত্বদের।

    কী বললেন তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব?

    ভার্চুয়াল মিটিং এর এই ভিডিওই রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায় নেট দুনিয়ায়। চরম অস্বস্তিতে শাসক শিবিরের ছাত্র সংগঠন। প্রকাশ্যে মুখ না খুললেও তৃণমূল (TMC) ছাত্র পরিষদের নেতৃত্ব জানাচ্ছে, মিটিংয়ে যারা বিশৃঙ্খলা তৈরির চেষ্টা করেছে ইতিমধ্যেই চিহ্নিত করা হয়েছে।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপি-র মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলার সহ সভাপতি অরূপ দাস বলেন, এটা ওদের গোষ্ঠীকোন্দলের ফল। কর্মীদের ওপর নেতৃত্বের কোনও লাগাম নেই। তাই, মিটিংয়ের মধ্যে এই ধরনের ঘটনা ঘটছে। পঞ্চায়েত ভোট যত এগিয়ে আসবে, এই ধরনের ঘটনা তত বাড়বে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Alipurduar: বাজার দাপিয়ে বেড়াচ্ছে কালজানি নদীর বোরোলি! দাম শুনলে চমকে উঠবেন

    Alipurduar: বাজার দাপিয়ে বেড়াচ্ছে কালজানি নদীর বোরোলি! দাম শুনলে চমকে উঠবেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কথায় বলে মাছে-ভাতে বাঙালি। আর যদি উত্তরবঙ্গের কথা ওঠে, তাহলে বোরোলিকে বাদ দিয়ে মাছ নিয়ে তো আলোচনা করা যায় না। আলিপুরদুয়ারের (Alipurduar) প্রবীণ বাসিন্দারা বলছেন, আগে কালজানি নদীতেও প্রতিনিয়ত মিলত এই মাছ। এখন তা কার্যত দুষ্প্রাপ্য। গত দু-একদিন ধরে আবার কালজানি নদীতে সে মাছের সন্ধান মিলেছে। দাম যতই হাতে ছ্যাঁকা লাগানোর মতো হোক না কেন, বাজারে আনামাত্রই তা বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। আসলে দীর্ঘদিন পর কালজানির সুস্বাদু বোরোলির দেখা পেয়ে ক্রেতারা আর দামের তোয়াক্কা করছেন না।

    কালজানি নদীতে জেলেদের জালে উঠছে বোরোলি মাছ

    টানা খরা কাটিয়ে আলিপুরদুয়ারের (Alipurduar) কালজানি নদীতে জেলেদের জালে ধরা পড়ছে উত্তরের সুস্বাদু মিষ্টি জলের নদীয়ালি বোরোলি মাছ। গত কয়েক দিনে সামান্য পরিমাণ বৃষ্টি হতেই কালজানি নদীতে ধরা পড়ছে এখানকার রুপোলি ফসল বোরোলি মাছ। মৎস্য প্রেমিকদের কাছে ইলিশের সঙ্গে টক্কর দিতে পারে এই  বোরোলি মাছ। আলিপুরদুয়ারের (Alipurduar) বাসিন্দাদের পাশাপাশি বাইরে থেকে বেড়াতে আসা পর্যটকদের কাছেও বোরোলি মাছ খুবই আকর্ষণীয়।

    বাজারে কত টাকায় বিক্রি হচ্ছে বোরোলি মাছ?

    কালজানি নদীতে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করেন বাচ্চু বর্মন, প্রদীপ দাসরা। তাঁরা বলেন, বছরের বেশিরভাগ সময়ই বোরোলি জালে ধরা পড়ে না। বর্ষাকালে বেশি জলে যেমন ওই মাছকে ধরা যায় না, তেমনি শীতকালে নদীতে জল কমে গেলেও এই মাছের দেখা পাওয়া যায় না। তবে নদীতে জল বেড়ে যাওয়ার ঠিক আগে ওই মাছ কিছু দিনের জন্য ধরা যায়। বাজারে বোরোলি মাছের প্রচুর চাহিদা থাকায় প্রতি কেজি ১২০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। কালজানি নদীর ওই রুপোলি ফসল বিক্রি করে বেশ লাভের মুখ দেখতে পাচ্ছেন মৎস্যজীবীরাও। মে মাসে কিছুদিনের জন্য বোরোলি আলিপুরদুয়ারের (Alipurduar) বিভিন্ন বাজারে পাওয়া গেলেও বছরের অন্যান্য সময় গঙ্গার পিয়ালি মাছকে এখানে বোরোলি মাছ বলে বিক্রি করা হয়। যদিও একই রকম দেখতে হলেও স্বাদের দিক থেকে বোরোলির ধারে কাছে আসতে পারবে না পিয়ালি মাছ। ফলে কিছুদিনের জন্য কালজানি নদীর ওই রুপোলি ফসল বাজার থেকে কিনতে দরদামের তোয়াক্কা করছেন না আমবাঙালি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Jammu and Kashmir: চলতি মাসেই কাশ্মীরে জি২০-র বৈঠক, বানচাল করতেই কি লাগাতার জঙ্গি হামলা?

    Jammu and Kashmir: চলতি মাসেই কাশ্মীরে জি২০-র বৈঠক, বানচাল করতেই কি লাগাতার জঙ্গি হামলা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবারই রাজৌরির জঙ্গলে সেনা-জঙ্গির গুলির লড়াইয়ে নিহত হন ৫ জওয়ান। রাজৌরির কান্দির জঙ্গলে শুক্রবার সাত সকালে জঙ্গি লুকিয়ে থাকার খবর পেয়ে অভিযানে নামে ভারতীয় সেনা। গুলির লড়াই চলাকালীন হঠাৎই জঙ্গিদের ছোড়া বোমের অভিঘাতে নিহত হন ২ জওয়ান, আহত ৪ জনকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে ৩ জনের মৃত্যু ঘটে। অন্যদিকে, শনিবার সকালে জম্মু-কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) বারমুল্লা জেলায় একটি পৃথক এনকাউন্টারে এক জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে বলে খবর সেনা সূত্রে। ঘায়েল আরও এক জঙ্গি। যদিও নিহত জঙ্গির পরিচয় এখনও জানা যায়নি। অন্যদিকে, শুক্রবারে হামলার দায় স্বীকার করেছে The People’s Anti-Fascist Front (PAFF) নামের একটি সংগঠন। জানা গিয়েছে, এটি জয়েশ-ই-মহম্মদ জঙ্গি সংগঠনের শাখা। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, আচমকা গত কয়েক মাসে ভূস্বর্গে জঙ্গি কার্যকলাপ নতুন করে মাথাচাড়া দিল কেন?

    জি২০ সম্মেলন নিয়ে উৎসাহ ভূস্বর্গে

    সংবিধানের ৩৭০ ধারা বিলোপের পর কাশ্মীর তার নিজের ছন্দেই ফিরেছে, হোটেলগুলোতে পর্যটকদের ভিড় থিক থিক করছে, বলিউড ছবির শ্যুটিংও চলছে। এই আবহে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা আবারও কাশ্মীরকে (Jammu and Kashmir) উত্তপ্ত করার প্রয়াস চালাচ্ছে। উদ্দেশ্য শুধুই কি সন্ত্রাসের বাতাবরণ তৈরি করা? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কাশ্মীরকে ভারত জোরপূর্বক দখল করে রেখেছে এই দাবিতে বারবার আন্তর্জাতিক মঞ্চে সরব হয়েছে পাকিস্তান কিন্তু তাতে কোনও কাজ হয়নি। কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা অবলুপ্ত করেছে ভারত। তার পর থেকেই পাকিস্তান আরও দিশাহারা হয়ে পড়েছে।

    এরই মধ্যে চলতি মাসেই কাশ্মীরে (Jammu and Kashmir) জি২০-র একটি সম্মেলন হতে চলেছে। ভারতের জি২০ সভাপতিত্বে কাশ্মীরের শ্রীনগরে ২২ থেকে ২৪ মে-র মধ্যে এই আন্তর্জাতিক সংগঠনের পর্যটন ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠক হওয়ার কথা। আসন্ন বৈঠকে চিন ছাড়া জি২০-র সকল সদস্য দেশগুলির প্রতিনিধিদের যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে। বৈঠকের পাশাপাশি, আগত প্রতিনিধিদের ২৪ মে কাশ্মীর উপত্যকার বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানগুলি দেখতে নিয়ে যাওয়া হবে। শ্রীনগরের ডাল লেক এবং গুলমার্গ স্কি-রিসর্ট সহ কাশ্মীরের বেশ কয়েকটি বিশিষ্ট পর্যটন স্থলে নিয়ে যাওয়া হবে তাঁদের। ২৫ মে তাঁরা দিল্লিতে ফিরে আসবেন।

    কী এই জি২০ এবং কেন তা গুরুত্বপূর্ণ?

    জি২০, বা ‘গ্রুপ অফ টোয়েন্টি’ হল, বিশ্বের প্রধান প্রধান উন্নত এবং উন্নয়নশীল অর্থনীতির দেশগুলির ফোরাম। এই গোষ্ঠীর সদস্য হল– ভারত, অস্ট্রেলিয়া, আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল, কানাডা, চিন, ফ্রান্স, জার্মানি, ইন্দোনেশিয়া, ইতালি, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, মেক্সিকো, রাশিয়া, সৌদি আরব, দক্ষিণ আফ্রিকা, তুরস্ক, ব্রিটেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন। ফোরামটি বৈশ্বিক অর্থনীতির পাশাপাশি, জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতি প্রশমন এবং স্থিতিশীল উন্নয়নের মতো বিভিন্ন বৈশ্বিক বিষয়ে আলোচনার প্ল্যাটফর্ম। জি২০ গোষ্ঠীর দেশগুলি বিশ্বের সামগ্রিক জিডিপির (মোট উৎপাদন) প্রায় ৮৫ শতাংশের নিয়ন্ত্রক। বিশ্ব বাণিজ্যেরও ৭৫ শতাংশের বেশি নিয়ন্ত্রণ করে এই গোষ্ঠীর সদস্যরা। পাশাপাশি, মানব সম্পদেও ভরপুর এই গোষ্ঠী। বিশ্বের মোট জনসংখ্যার প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ এই গোষ্ঠীর সদস্য দেশগুলির বাসিন্দা। অর্থাৎ, এই গোষ্ঠীর সদস্য হওয়ার অর্থ, বিশ্ব অর্থনীতিতে সেই দেশের একটা বড় ভূমিকা রয়েছে।

    আরও পড়ুন: রাজৌরিতে সেনা-জঙ্গি গুলির লড়াই! নিহত ৫ জওয়ান, আহত ১

    ভারত উন্নতির পথে, পাকিস্তান অবনতির

    মোদি জমানায় বিশ্ব দরবারে ভারতের ভাবমূর্তি যে হারে বেড়েছে, তা স্বাধীনতার ৭০ বছর পর তেমন হয়নি। শুধু তাই নয়, আন্তর্জাতিক মহলে ভারত নিজেকে শক্তিশালী হিসেবে প্রমাণ করেছে। এখন বিশ্বের তাবড় তাবড় শক্তিশালী দেশ ভারতকে চটানোর আগে দুবার ভাবে, কারণ, ভারত বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম বাজার। মোদি জমানায় ভারত এখন স্রেফ উন্নয়শীল নয়, উন্নীত রাষ্ট্রের পথে এগিয়ে চলেছে। অন্যদিকে, জি২০ গোষ্ঠীর সদস্য নয় পাকিস্তান। কার্যত দেউলিয়া হওয়ার পথে তারা। তদাপি, ভারতের উন্নতি কোনও কালেই সহ্য করতে পারে না ইসলামাবাদ। নিজেদের ঘর ভাঙছে, অথচ, সেদিকে অন্ধ থেকে ভারতের ক্ষতি করাতেই মনোযোগ পাক সরকার, আইএসআই ও পাক সেনা।  জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখে ভারতের সভাপতিত্বে হতে চলা এই জি২০ বৈঠক নিয়ে আগেই আপত্তি তুলেছিল পাকিস্তান। যদিও ইসলামাবাদের সেই আপত্তি পত্রপাঠ বিদায় করে দিয়ে নয়াদিল্লি জানিয়ে দিয়েছিল, জি২০-র সম্মেলনগুলি সারা দেশেই সংগঠিত হচ্ছে। এই দুই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলেও জি২০-র বৈঠক হওয়া অত্যন্ত ‘স্বাভাবিক ঘটনা’। কারণ এই দুই অঞ্চল ভারতের ‘অবিচ্ছেদ্য’ অংশ। লাদাখের লেহ্-তে ইতিমধ্যেই নির্বিঘ্নে জি২০ গোষ্ঠীর ইউথ এনগেজমেন্ট গ্রুপের বৈঠক হয়েছে। এবার পর্যটন গ্রুপের বৈঠকও হতে চলেছে। 

    সম্মেলন বানচাল করতেই কি হামলা?

    ভারতের জবাব যে পাকিস্তানের পছন্দ হয়নি তা বলাই বাহুল্য। ফলে, উপায় না দেখে জঙ্গিদের লেলিয়ে দিতে শুরু করেছে ইসলামাবাদ ও পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই। লক্ষ্য, বৈঠক বানচাল করতে এবং আন্তর্জাতিক মঞ্চে ভারতের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করা। জম্মু-কাশ্মীরের এক পদস্থ প্রশাসনিক কর্তা জানান, জি২০-র আগে পরিকল্পিতভাবে ভূস্বর্গে অশান্তি বাধানোর চেষ্টা করছে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। জি২০ সদস্যভুক্ত দেশের প্রতিনিধিদের শ্রীনগরে আসার ব্যাপারে আতঙ্ক তৈরির চেষ্টা চলছে।

    যবে থেকে উপত্যকায় জি২০ দামামা বেজেছে, সেই থেকেই পাক-মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠনগুলি বেশ কিছুদিন ধরেই উপত্যকায় নাশকতামূলক কার্যকলাপ নতুন করে বৃদ্ধি করেছে। সাম্প্রতিককালে, পুঞ্চের ভিমবার গলিতে হামলা হয়েছে। সেখানে ৫ জওয়ান শহিদ হয়েছেন। প্রায় নিত্যদিন অনুপ্রবেশ করতে গিয়ে ধরা বা মারা পড়ছে জঙ্গিরা। বৃহস্পতিবারও বারামুল্লায় ২ জঙ্গিকে নিকেশ করেছে বাহিনী। এরই মধ্যে শুক্রবার জঙ্গি-দমন অভিযানে বেরিয়ে শহিদ হলেন আরও ৫ সেনা জওয়ান।

    পাকিস্তানকে তোপ জয়শঙ্করের

    এদিকে, এসসিও বৈঠকে যোগ দিতে ভারতে এসেছেন পাক বিদেশমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি। তার মধ্যেই এই হামলা চলেছে। কাশ্মীর (Jammu and Kashmir) অশান্ত! এই বার্তাই আন্তর্জাতিক মহলে পৌঁছে দিতে চায় পাকিস্তান। জি২০-র সম্মেলনের আগে তাই উপত্যকায় বারংবার হামলা চালাচ্ছে পাক-মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। ইসলামাবাদের এই ‘খেলা’ ধরে ফেলে, গতকাল পাকিস্তানকে তীব্র ভর্ৎসনা করেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন পাক বিদেশমন্ত্রী ভুট্টোকেও। ভুট্টোকে ‘জঙ্গি ইন্ডাস্ট্রির মুখপাত্র’ বলেও কটাক্ষ করেন তিনি। একইসঙ্গে এও স্পষ্ট করে দিলেন যে পাকিস্তানের সঙ্গে কোনও দ্বিপাক্ষিক আলোচনা চায় না ভারত। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • WHO: করোনা অতিমারী শেষ! বড় ঘোষণা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার

    WHO: করোনা অতিমারী শেষ! বড় ঘোষণা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ঘোষণা, করোনার সংকট শেষ হয়েছে। হু (WHO)-এর এই ঘোষণার ফলে তিনবছর পরে করোনার দাপট ও উদ্বেগ থেকে রেহাই মিলল বিশ্ববাসীর। প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের শেষ থেকে করোনার দাপট শুরু হয়েছিল চিনে, পরে সংক্রমণ ছড়িয়ে ছিল বিশ্বের প্রায় সব দেশেই। ১৪০ কোটির দেশ ভারতে করোনা মোকাবিলা করা যথেষ্ট চ্যালেঞ্জিং ছিল। ২০২০ সালের মার্চ মাস নাগাদ বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতোই ভারতেও শুরু হয় লকডাউন। বিশেষজ্ঞদের মতে, অতিমারির কারণে বিশ্বব্যাপী সেই পরিস্থিতি শুরু হয়েছিল যেমনটা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন দেখা যেত। চিন, আমেরিকা সমেত কয়েকটি দেশে শুরু হয় মৃত্যু মিছিল। পরবর্তীতে বিভিন্ন দেশ নিজেদের মতো ভ্যাকসিন তৈরি করে।

    হু (WHO)-এর পরিসংখ্যান…

    হু (WHO)-এর পরিসংখ্যান বলছে, ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসে করোনার কারণে সারা বিশ্বব্যাপী যেখানে, মৃত্যুর হার ছিল প্রতি সপ্তাহে ১,০০,০০০ সেখানে ২০২৩ সালের এপ্রিল মাসে তা নেমে এসেছে ৩,৫০০। হু-এর মতে, কমপক্ষে ৭০ লক্ষ মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন অতিমারির কারণে। তবে এবার সেসব থেকে মুক্তি। হু (WHO)- এর মতে, বিশ্বজুড়ে করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে, এমন মানুষের সংখ্যা ৭৬ কোটি ৫০ লক্ষ।

    ৪ মে বৈঠকে বসেছিল হু (WHO)

    চলতি সপ্তাহের ৪ মে হু-এর করোনা সংকট মোকাবিলা কমিটি তাদের ১৫ তম বৈঠকে বসেছিল। সেখানেই ঘোষণা করা হয় অতিমারি শেষ হয়েছে। হু- এর এই ঘোষণা বিগত তিন বছরে, বিশ্বজুড়ে অতিমারির ডেটা বিশ্লেষণ করে নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। পাশাপাশি হু (WHO) জানিয়েছে এই ঘোষণার ফলে একেবারেই যে আমরা বিপদমুক্ত এটা ভাবার কোনও প্রয়োজন নেই। প্রতিটা দেশ এবার নিজেদের মতো করে করোনা সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নিক বলেও জানিয়েছে হু।

    ভ্যাকসিনই কি করোনার দাপট রুখে দিল?

    বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, দেশে দেশে ভ্যাকসিনের প্রয়োগের ফলেই মিটল করোনার দাপট। হু (WHO)-এর দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সারা বিশ্বব্যাপী ১৩০০ কোটি ভ্যাকসিনের ডোজ দেওয়া হয়েছে, যা বহু মানুষের মৃত্যু অথবা কঠিন স্বাস্থ্য সমস্যাকে ঠেকাতে সক্ষম হয়েছে। হু-এর আক্ষেপ এখনও এমন দেশ রয়ে গেছে যেখানে সব মানুষের কাছে ভ্যাকসিন পৌঁছানো সম্ভব হয়নি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share