Tag: Madhyom

Madhyom

  • Bangladesh: পেটে খিদে মুখে যুদ্ধ! সেই ভারত থেকে ফের ৫০ হাজার টন চাল আমদানি বাংলাদেশের

    Bangladesh: পেটে খিদে মুখে যুদ্ধ! সেই ভারত থেকে ফের ৫০ হাজার টন চাল আমদানি বাংলাদেশের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইউনূস সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে ভারত-বিদ্বেষ বেড়েই চলেছে। ভারতের সঙ্গে যুদ্ধ করার স্বপ্ন দেখছেন মৌলবাদীরা। কিন্তু, দেশবাসীর মুখে দুবেলা অন্ন জোগানের ব্যবস্থা করতে পারেনি ইউনূস প্রশাসন। বন্ধু পাকিস্তানও এই সংকটে পাশে এসে দাঁড়ায়নি। যে ভারতের সঙ্গে যুদ্ধ করার জন্য মুখিয়ে রয়েছেন বাংলাদেশের (Bangladesh) মৌলবাদীরা, খিদে মেটাতেই সেই ‘শত্রু দেশ’ ভারতের ওপর ভরসা করতে হচ্ছে ইউনূস সরকারকে। ভারত থেকে ফের ৫০ হাজার টন নন-বাসমতি চাল কেনার (Indian Rice) সিদ্ধান্ত ইউনূস সরকারের।  ওই যে কথায় বলে, পেটের জ্বালা বড় জ্বালা!

    ৫০ হাজার টন চাল আমদানি করবে বাংলাদেশ (Bangladesh)

    জানা গিয়েছে, বাংলাদেশে পাইকারি বাজারে চালের দাম বেড়েছে। এমনই দাবি করা হল বাংলাদেশের সংবাদপত্র ‘কালের কণ্ঠ’-র রিপোর্টে। সেই প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, গত এক মাসে বাংলাদেশে খুচরো বাজারে প্রতি বস্তা চালের (Indian Rice) দাম ৩৫০ থেকে ৫০০ টাকা বেড়েছে। এই আবহে সেখানের বাজারে সরু চালের দাম কেজি প্রতি ৭ থেকে ১০ টাকা এবং মোটা চালের দাম কেজি পিছু ৫ থেকে ৬ টাকা বেড়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। এই আবহে মঙ্গলবার সচিবালয়ে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, ভারত থেকে ৫০ হাজার টন নন-বাসমতি সেদ্ধ চাল আমদানি করবে বাংলাদেশ (Bangladesh)।

    আরও পড়ুন: ২২ জানুয়ারি মুর্শিদাবাদে রাম মন্দিরের সূচনা, ঘোষণা অম্বিকানন্দের, কারা কারা আমন্ত্রিত?

    কেন চাল কিনবে?

    জানা গিয়েছে, মূলত ঘরোয়া বাজারে দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে ভারত থেকে আরও ৫০ হাজার টন চাল কিনবে ইউনূস সরকার। আর সেই কারণে বাংলাদেশ (Bangladesh) সরকার চাল কিনতে টেন্ডার ডেকেছিল। সেই টেন্ডারে সর্বনিম্ন দর দিয়েছিল ভারতের বাগাদিয়া ব্রাদার্স প্রাইভেট লিমিটেড। এই আবহে তাদের থেকে ৪৫৮.৮৪ মার্কিন ডলার প্রতি টন হিসেবে ৫০ হাজার টন চাল কিনবে বাংলাদেশ। এই চাল (Indian Rice) কিনতে বাংলাদেশের পকেট থেকে খসবে ২ কোটি ২৯ লাখ ৪২ হাজার ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ২৭৫ কোটি ৩০ লাখ টাকা। অর্থাৎ, প্রতি কেজি চালের ক্রয়মূল্য ধার্য করা হয়েছে ৫৫.০৬ টাকা।

    নভেম্বর-ডিসেম্বরেও ভারতের চালে পেট ভরেছে বাংলাদেশের

    এই প্রথম নয়। এর আগে, গত ডিসেম্বরেই ভারত থেকে ৫০ হাজার টন চাল কেনার অনুমোদন দিয়েছিল ইউনূস সরকার। ৪ ডিসেম্বর প্রতি কেজিতে ৫৬.১২ টাকা দরে চাল আমদানির অনুমোদন দিয়েছিল ঢাকা। তার পর, ১৮ ডিসেম্বর ৫৪.৮০ টাকা প্রতি কেজি দরে ভারত থেকে চাল কেনার (Indian Rice) জন্যে সবুজ সংকেত দিয়েছিল ইউনূস সরকার। এরও আগে, গত ২১ নভেম্বর ভারতের এসএইএল অ্যাগ্রি কমোডিটিজের থেকে ৫০ হাজার টন নন-বাসমতি সেদ্ধ চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বাংলাদেশ সরকার। এই আবহে গত কয়েক মাসে ইতিমধ্যেই ভারত থেকে ১ লক্ষ টন চাল কিনেছে বাংলাদেশ (Bangladesh)। আর এবার ঘরোয়া বাজারে দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে ভারত থেকে আরও ৫০ হাজার টন চাল কিনবে ইউনূস সরকার।

    ভারত থেকে ৬ লক্ষ টন চাল আমদানিতে অনুমতি

    এখানেই শেষ নয়। বাংলাদেশের সরকারি তথ্য বলছে, চলতি বছর সেদেশে ২০ লাখ ৫২ হাজার টন চালের চাহিদা রয়েছে। এর মধ্যে বিভিন্ন দেশ থেকে সাড়ে ১০ লাখ টন চাল আমদানির পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের, যার মধ্যে আবার ভারত থেকেই ৬ লাখ টন চাল (Indian Rice) আমদানির নীতিগত প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি! কারণ, পাকিস্তান হোক বা তাইল্যান্ড কিংবা ভিয়েতনাম— এসব জায়গা থেকে চাল আমদানি করতে বেশি খরচের ভার বহন করতে হবে ইউনূস প্রশাসনকে, যার আগে থেকেই কার্যত ‘ভাঁড়ে মা ভবানী’ অবস্থা। এই আবহে আপাতত বাংলাদেশের (Bangladesh) বাজারে চালের দাম নিয়ন্ত্রণ করতে সেই ভারতের দিকেই তাকিয়ে থাকতে হচ্ছে ইউনূস সরকারকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Indian Women: বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল ও গণিত চর্চায় যুক্ত হচ্ছে দেশের মেয়েরা, এক দশকে হার বৃদ্ধি ৪ শতাংশ

    Indian Women: বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল ও গণিত চর্চায় যুক্ত হচ্ছে দেশের মেয়েরা, এক দশকে হার বৃদ্ধি ৪ শতাংশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নারী শিক্ষায় উন্নতির জন্য লাগাতার চেষ্টা চালাচ্ছে কেন্দ্র সরকার। ক্রমাগত চলছে প্রচার। বেটি-বাঁচাও, বেটি-পড়াও প্রকল্পে মিলেছে সাড়া। চলছে নারীর (Indian Women) ক্ষমতায়ন বৃদ্ধির চেষ্টা। তারই ফল স্বরূপ ভারত বৈজ্ঞানিক এবং শিক্ষামূলক ক্ষেত্রে একটি রূপান্তরমূলক পরিবর্তনের সাক্ষী হয়েছে। যেখানে ‘স্টেম’— সায়েন্স, টেকনোলজি, ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ম্যাথমেটিক্স (STEM), অর্থাৎ বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল ও গণিত চর্চার ক্ষেত্রে স্নাতক স্তরে মেয়েদের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশের বৈজ্ঞানিক সম্ভাবনা শক্তিশালী করতে এবং সারা বিশ্বে প্রতিযোগিতামূলক স্তরে লিঙ্গ বৈষম্য দূরীকরণে ভারতকে এগিয়ে দিয়েছে মেয়েদের এই সাফল্য।

    এক দশকে পালাবদল

    ভারতে বিজ্ঞানও গণিত চর্চার ক্ষেত্রে নারীদের অংশগ্রহণ শুধু প্রতীকী নয়, এটি পরিমাপযোগ্যও। দশ বছর আগে, মেয়েদের এই বিভাগে অংশগ্রহণ ছিল ৩৮.৪ শতাংশ। গত বছরে, এই হার ৪২.৬ শতাংশে পৌঁছেছে। প্রফেসর এম জগদীশ কুমার জানান, ভারতে মেয়েদের এই অগ্রগতি দেশকে এই ক্ষেত্রে বৈশ্বিক নেতা হয়ে ওঠার ইঙ্গিত দেয়। প্রফেসর এম জগদীশ কুমার বলেন, ‘‘এই শতাংশ বিশ্বব্যাপী কোন অঞ্চলের তুলনায় সর্বোচ্চ, যা দেশের নারী ক্ষমতায়নের এবং বৈজ্ঞানিক শক্তির সৃজনশীলতার প্রতীক।’’

    প্রধানমন্ত্রী মোদির সক্রিয় পদক্ষেপ

    শিক্ষাবিদদের মতে,  প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে নারী শিক্ষার (Indian Women) এবং বিজ্ঞানক্ষেত্রে সমতা প্রতিষ্ঠার জন্য নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের ফলেই এই পরিবর্তন লক্ষ্য করা গিয়েছে। সরকারে উদ্যোগগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘বেটি বাচাও, বেটি পড়াও’ প্রকল্প, যা ছাত্রীদের উচ্চ শিক্ষায় এগিয়ে নিয়ে গিয়েছে। কর্মক্ষেত্রে লিঙ্গ সমতা রক্ষার জন্য সরকার সক্রিয় ভূমিকা নিয়েছে। বেসরকারি ও সরকারি প্রতিষ্ঠানে মেয়েদের কাজের সুযোগ বৃদ্ধি পাওয়ায় শিক্ষাক্ষেত্রে কন্যাসন্তানদের এগিয়ে দিয়েছে পরিবার। দেশে মধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্ত পরিবারগুলোর মনোভাব পরিবর্তিত হয়েছে। এছাড়াও কিশোরী শক্তি যোজনার মাধ্যমে কিশোরীদের আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি করা হয়েছে। মেয়েদের প্রযুক্তি, বিজ্ঞান ও প্রকৌশল ক্ষেত্রে অংশগ্রহণে উৎসাহিত করা হয়েছে।

    নারী শিক্ষায় কেন্দ্রের নানা স্কলারশিপ

    উচ্চশিক্ষায় মেয়েদের জন্য রয়েছে একগুচ্ছ স্কলারশিপও। নারী শিক্ষার উন্নতিতে স্কলারশিপে জোরে দিয়েছে নরেন্দ্র মোদি সরকার। পরিবারের একমাত্র কন্যাসন্তানের জন্য রয়েছে একাধিক বৃত্তির ব্যবস্থা। সিবিএসই বোর্ডের ছাত্রীরা মাসে ৫০০ টাকা করে স্কলারশিপ পায়। তবে তার জন্য দশমের পরীক্ষায় ৬০ শতাংশ নম্বর পেতে হয় তাদের। আবার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে গবেষণায় নিযুক্ত মহিলাদেরও বৃত্তি দিয়ে থাকে কেন্দ্র। 

    ইন্সপায়ার-শি স্কলারশিপ: কেন্দ্রের বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তি মন্ত্রকের তরফে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর স্তরের মহিলা শিক্ষার্থীদের জন্য ‘ইনোভেশন ইন সায়েন্স পারস্যুইট ফর ইন্সপায়ারড রিসার্চ’ (ইন্সপায়ার) স্কিম চালু করা হয়েছে। এটি কেন্দ্রের বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তি মন্ত্রকের স্কলারশিপ ফর হায়ার এডুকেশন (শি)-স্কিমের অন্তর্ভুক্ত। যাঁরা স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর স্তরে বিজ্ঞানের যে কোনও বিষয় নিয়ে পাঠরত, শুধু মাত্র সেই মহিলা শিক্ষার্থীদের জন্যই এই বৃত্তির ব্যবস্থা। 

    এআইসিটিই প্রগতি স্কলারশিপ ফর গার্লস: যে মহিলারা অল ইন্ডিয়া কাউন্সিল ফর টেকনিক্যাল এডুকেশন (এআইসিটিই) স্বীকৃত কোনও প্রতিষ্ঠানে কোনও বিষয়ে টেকনিক্যাল ডিপ্লোমা বা ডিগ্রি কোর্সের প্রথম বর্ষে পাঠরত, তাঁদের আর্থিক ভাবে সাহায্য করার জন্য প্রগতি স্কলারশিপ ফর গার্লস চালু করা হয়েছে। প্রতি বছর সেপ্টেম্বর থেকে অক্টোবর মাস পর্যন্ত এই বৃত্তির আবেদন প্রক্রিয়া চলে।

    সিবিএসই মেরিট স্কলারশিপ স্কিম ফর সিঙ্গল গার্ল চাইল্ড: সেন্ট্রাল বোর্ড অফ সেকেন্ডারি এডুকেশন (সিবিএসই)-এর তরফেও পরিবারের একমাত্র কন্যাসন্তানের জন্য বৃত্তির ব্যবস্থা রয়েছে, যার নাম— সিবিএসই মেরিট স্কলারশিপ স্কিম ফর সিঙ্গল গার্ল চাইল্ড। যে পড়ুয়ারা সিবিএসই স্বীকৃত স্কুল থেকে দশম শ্রেণির পরীক্ষায় ৬০ শতাংশ নম্বর নিয়ে উত্তীর্ণ হয়ে বর্তমানে একই স্কুলে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হয়েছে, শুধু মাত্র তারাই এই স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে পারবেন।প্রতি মাসে বৃত্তি বাবদ মিলবে ৫০০ টাকা।

    ওয়েমেন সায়েন্টিস্ট স্কিম-বি (ডব্লিউওএস-বি): কেন্দ্রের বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তি মন্ত্রকের তরফে মহিলা বিজ্ঞানী এবং প্রযুক্তিবিদদের জন্য বৃত্তির ব্যবস্থা রয়েছে। মূলত, যে মহিলাদের বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তির কোনও বিষয়ে ডিগ্রি রয়েছে, বয়স ২৭ এবং ৫৭ বছরের মধ্যে এবং কর্মজীবন থেকে বিরতি নিয়ে বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তি ক্ষেত্রে কোনও উদ্ভাবনী কাজে যুক্ত হতে চান, তাঁদের জন্যই এই স্কলারশিপ। এর জন্য পড়ুয়ারা online-wosa.gov.in/wosb -এ গিয়ে আবেদন করতে পারবেন।  এছাড়াও প্রগতি স্কলারশিপ ফর গার্ল স্টুডেন্টস ফর টেকনিক্যাল এডুকেশন, ইউজিসি পোস্ট-ডক্টরাল ফেলোশিপ ফর উইমেন ক্যান্ডিডেটস-সহ অন্যান্য সরকারি স্কলারশিপের ব্যবস্থাও রয়েছে।

    আরও পড়ুন: সাত দিন বিনামূল্যে চিকিৎসা, ৮ ঘণ্টার বেশি ড্রাইভিং নয়, পথ দুর্ঘটনা রুখতে সক্রিয় কেন্দ্র

    নারী ক্ষমতায়নে জোর সরকারের

    বিজ্ঞান-প্রযুক্তি-গবেষণা ক্ষেত্রে নারীদের (Indian Women) উপস্থিতি দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। মহিলারা এখন মহাকাশ অণ্বেষণ, জৈবপ্রযুক্তি ও পরিবেশগত চ্যালেঞ্জ সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। ভারতের এই অর্জন বিশ্বের অন্যান্য দেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মডেল হিসেবে কাজ করছে, যা নারী ক্ষমতায়ন এবং বৈজ্ঞানিক ও শিক্ষাক্ষেত্রে সমতার ক্ষেত্রে এক নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। প্রধানমন্ত্রী মোদির নেতৃত্বে, ভারত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে বিশ্বব্যাপী প্রতিযোগিতার স্তরে উন্নীত হয়েছে। সেখানে নারী শক্তির ভূমিকা উল্লেখযোগ্য।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Viruses: শীতে বাতাসে সক্রিয় একাধিক ভাইরাস, কীভাবে সন্তানের রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়াবেন?

    Viruses: শীতে বাতাসে সক্রিয় একাধিক ভাইরাস, কীভাবে সন্তানের রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়াবেন?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    আবহাওয়ার পারদ কমছে! শীতের দাপট রাজ্য জুড়ে। তবে তার মধ্যেই বাতাসে সক্রিয় একাধিক ভাইরাস (Viruses)! তাই সর্দি-কাশি-জ্বরের মতো রোগের দাপট বাড়ছে। ভোগান্তি বাড়ছে শিশু এবং প্রবীণদের। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, রোগ প্রতিরোধ শক্তি কম থাকলেই ভাইরাসের কবলে পড়ার ঝুঁকি বাড়ে‌। তাই যে কোনও ভাইরাসঘটিত অসুখকে মোকাবিলা করতে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ানোর দিকেই নজর দিতে বলছেন বিশেষজ্ঞ মহল। কোন অভ্যাস ভাইরাসের বিরুদ্ধে টক্কর দেওয়ার শক্তি বাড়াবে? চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, কয়েকটি বিষয়ে নজর দিলেই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে। খাবারের পাশপাশি কয়েকটি সুঅভ্যাস বজায় রাখলে শরীর সুস্থ থাকবে।

    প্রতিদিন যোগাভ্যাস (Viruses)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, পরিবারের শিশু থেকে প্রবীণ সদস্য, প্রত্যেকের নিয়মিত যোগাভ্যাস করা উচিত। তাঁরা জানাচ্ছেন, যোগাভ্যাস রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়াতে এবং শরীর সুস্থ রাখতে বিশেষ সাহায্য করে। নিয়মিত যোগাভ্যাস করলে শরীরে রক্ত সঞ্চালন ঠিকমতো হয়। এর ফলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। হৃদপিণ্ডের কার্যকারিতাও স্বাভাবিক থাকে। এছাড়া, মস্তিষ্কের ক্ষমতাও বাড়ে। এতে স্নায়ু সক্রিয় থাকে। তাছাড়া, যোগাভ্যাস নিয়মিত করলে ফুসফুসের কার্যকারিতা ভালো হয়। এর ফলে যে কোনও সংক্রমণের ঝুঁকি কমে। শরীরের একাধিক হরমোনের ভারসাম্য বজায় থাকে। তাই শরীর ও মন সক্রিয় থাকে। এর ফলে রোগ প্রতিরোধ শক্তি (Child’s immunity) বাড়ে।

    জল খাওয়া জরুরি

    রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়াতে জল খুবই প্রয়োজনীয়। এমনটাই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, শরীরের প্রত্যেক কোষে প্রতিরোধ শক্তি সহজেই পৌঁছে দিতে সাহায্য করে জল। তাই শরীরে পর্যাপ্ত জল থাকলে, যে কোনও রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করা সহজ হয়। তাই নিয়মিত পর্যাপ্ত জল খাওয়া জরুরি। শরীর যাতে ডিহাইড্রেট না‌ হয়, সেদিকে নজর রাখতে হবে।

    পর্যাপ্ত ঘুম খুবই জরুরি

    শরীর সুস্থ রাখতে, রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়াতে এবং ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়তে ঘুম খুবই জরুরি। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, যে কোনও রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য শরীরের পর্যাপ্ত বিশ্রাম দরকার। নিয়মিত ঠিকমতো ঘুম না হলে শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে। তখন যে কোনও রোগে আক্রান্ত (Viruses) হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ঘুমের সময় শরীরের একাধিক অংশ সক্রিয় হয়ে ওঠে। শরীরের রোগ প্রতিরোধ কোষগুলো আরও সক্রিয় ও কার্যকরী হয়ে ওঠার ক্ষমতা গড়ে তোলে। তাই ঠিকমতো ঘুম না হলে অসুস্থ হয়ে পড়ার ঝুঁকি বাড়ে। নিয়মিত আট ঘণ্টা ঘুম জরুরি।

    সন্তানের মেনুতে কোন খাবার রাখলে বাড়বে প্রতিরোধ শক্তি? (Viruses)

    এই আবহাওয়ায় শিশুদের সুস্থ রাখতে খাবারে বিশেষ নজরদারি জরুরি বলেই জানাচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, শিশুদের রোগ প্রতিরোধ শক্তি গড়ে তুলতে খাবারের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। তাঁদের পরামর্শ, শিশুদের খাবারে অতিরিক্ত পরিমাণ শর্করার ব্যবহার কমানো উচিত। তাঁরা জানাচ্ছেন, অধিকাংশ শিশুই মিষ্টিজাতীয় খাবার খেতে পছন্দ করে। তাই তাদের খাবারেও অতিরিক্ত পরিমাণে মিষ্টি দেওয়া হয়। কিন্তু এই বাড়তি শর্করা শরীরের জন্য ক্ষতিকারক। এতে স্থূলতায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বাড়ে। 
    নিয়মিত মেনুতে পালং শাক, বাঁধাকপি, গাজরের মতো সবজি থাকা জরুরি। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শরীরে ভিটামিনের জোগান ঠিকমতো রাখতে হবে। তাই সবজি নিয়মিত খেতে হবে। তাহলে শরীর সহজেই ভিটামিন পাবে। 
    প্রোটিন রোগ প্রতিরোধ শক্তি (Viruses) বাড়াতে বাড়তি সাহায্য করে। তাই শিশুদের ফি-দিনের খাবারের তালিকায় ডিম, মাছ, চিকেন, পনীর জাতীয় খাবার রাখতে হবে। তবে পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, মনে রাখতে হবে এই ধরনের প্রোটিন জাতীয় খাবার রান্নায় অতিরিক্ত তেল এবং মশলা ব্যবহার চলবে না। তাহলে এর পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়ে যাবে। 
    আপেল, কমলালেবু, কিউই জাতীয় ফল নিয়মিত খাওয়া জরুরি বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।‌ তাঁরা জানাচ্ছেন, এই ধরনের ফলে ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। এই দুই উপাদান রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। তাই নিয়মিত এই ধরনের ফল খেলে শরীর সুস্থ (Child’s immunity) থাকে‌।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • India Taliban Officials Meet: আফগান ভূমে পাক হামলার নিন্দার পরেই আলোচনার টেবিলে নয়াদিল্লি-কাবুল

    India Taliban Officials Meet: আফগান ভূমে পাক হামলার নিন্দার পরেই আলোচনার টেবিলে নয়াদিল্লি-কাবুল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আফগানিস্তানে এয়ারস্ট্রাইক চালিয়েছে পাকিস্তান। তার জেরে সম্পর্কের অবনতি হয়েছে পাকিস্তান-আফগানিস্তানের। এই সুযোগটাকেই সুন্দরভাবে কাজে লাগিয়ে দিল মোদি সরকার (Modi Government)। বুধবার দুবাইয়ে আলোচনার টেবিলে বসলেন ভারত ও আফগানিস্তানের তালিবান প্রশাসনের প্রতিনিধিরা (India Taliban Officials Meet)। ভারতের বিদেশমন্ত্রকের সচিব বিক্রিম মিস্রির সঙ্গে বৈঠক হয়েছে আফগানিস্তানের বিদেশমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকির। উপস্থিত ছিলেন দু’দেশের উচ্চ পর্যায়ের একাধিক মন্ত্রী ও সরকারি আধিকারিক।

    আলোচনার টেবিলে ভারত-আফগানিস্তান (India Taliban Officials Meet)

    ২০২১ সালে তালিবান আফগানিস্তানের ক্ষমতা পুনর্দখলের পরে এই প্রথমবার বিদেশের মাটিতে প্রতিনিধি পর্যায়ের এমন বৈঠক হল। এই বৈঠকের ঠিক দু’সপ্তাহ আগেই আফগানিস্তানের মাটিতে হামলা চালায় পাক বায়ুসেনা। এই হামলার দু’সপ্তাহের মাথায় কাছাকাছি এল ভারত ও আফগানিস্তান। সাউথ ব্লকের তরফে জানানো হয়েছে, এই বৈঠকে (India Taliban Officials Meet) আফগানিস্তানের মাটি ব্যবহার করে ইরানের চাবাহার বন্দর (Chabahar Port) থেকে পণ্য চলাচল পরিবহণ ও ক্রিকেট সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

    ট্র্যাক-টু কূটনীতি

    প্রসঙ্গত, গৃহযুদ্ধের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করলেও, এখনও রাষ্ট্রসংঘের স্বীকৃতি পায়নি আফগানিস্তানের তালিবান সরকার। ভারত-সহ বিশ্বের সিংহভাগ দেশের সঙ্গেই তাদের কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই। মোদি সরকারও (Modi Government) তালিবান সরকারকে স্বীকৃতি দেয়নি (India Taliban Officials Meet)। তাই আনুষ্ঠানিকভাবে নয়াদিল্লি-কাবুল কূটনৈতিক সম্পর্কও নেই। এহেন আবহে মোদি সরকার ট্র্যাক-টু কূটনীতির মাধ্যমে যোগাযোগ রাখছে আফগানিস্তানের শাসকদের সঙ্গে। বিপদের সময় পাশে থাকায় ভারত সরকারের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন আফগানিস্তানের মন্ত্রী। দুই দেশই ভারত ও আফগানিস্তানের জনগণের মধ্যে ঐতিহাসিক বন্ধুত্বের ওপর জোর দেন।

    আরও পড়ুন: তিরুপতি মন্দিরে হুড়োহুড়ি, পদপিষ্ট হয়ে মৃত অন্তত ৬, শোকপ্রকাশ রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীর

    ভারত-আফগানিস্তান কাছাকাছি চলে আসায় প্রমাদ গুণছে পাকিস্তান। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, ভারত ও আফগানিস্তানকে আলোচনার টেবিলে বসিয়ে (India Taliban Officials Meet) পাকিস্তানকে আরও একবার মাত দিল নরেন্দ্র মোদির সরকার (Modi Government)। এর আগে আফগানিস্তানে ভয়াবহ ভূমিকম্পের সময় ‘মানবিক সাহায্য’ পাঠিয়েছিল ভারত। এদিনের বৈঠকে সেজন্য নয়াদিল্লির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তালিবান প্রশাসনের মন্ত্রী। ২৫ ডিসেম্বর ভোরে আফগানিস্তানের পাকতিকা প্রদেশে হামলা চালায় পাক বায়ুসেনার যুদ্ধবিমান। মৃত্যু হয়েছিল মহিলা, শিশু-সহ ৪৬ জন সাধারণ মানুষের। সোমবারই ওই হামলার নিন্দা করে বিবৃতি দিয়েছিল ভারত। তার ঠিক দু’দিনের মধ্যেই আলোচনার টেবিলে বসে গেল নয়াদিল্লি ও কাবুল (India Taliban Officials Meet)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ram Mandir: ২২ জানুয়ারি মুর্শিদাবাদে রাম মন্দিরের সূচনা, ঘোষণা অম্বিকানন্দের, কারা কারা আমন্ত্রিত?

    Ram Mandir: ২২ জানুয়ারি মুর্শিদাবাদে রাম মন্দিরের সূচনা, ঘোষণা অম্বিকানন্দের, কারা কারা আমন্ত্রিত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বেলডাঙায় হবে বাবরি মসজিদ। মাসখানেক আগে তৃণমূলের এক বিধায়ক এই ঘোষণা করেছিলেন। এই ঘোষণার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পাল্টা ঘোষণা বঙ্গীয় হিন্দু সেনার। মুর্শিদাবাদের প্রতি বিধানসভায় রাম মন্দির (Ram Mandir) গড়ার কথা জানিয়েছিলেন বঙ্গীয় হিন্দু সেনার সভাপতি অম্বিকানন্দ মহারাজ। তাঁর ঘোষণার এক মাস হতে না হতেই এবার একেবারে দিনক্ষণ ঘোষণা হয়ে গেল। ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন ও ভূমিপূজন হবে শীঘ্রই।

    রাম মন্দির তৈরি ভিত্তি প্রস্তুর স্থাপন কবে?(Ram Mandir)

    রাম মন্দির (Ram Mandir) তৈরির বিষয়ে সক্রিয়ভাবে হিন্দু সেনারা আসরে নামতে চলেছে। ইতিমধ্যেই মন্দির তৈরির বিষয়ে সমস্ত পরিকল্পনা হয়ে গিয়েছে। তবে, মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) কোথায় মন্দির তৈরি করা হবে তা এখনও স্পষ্ট করেননি মহারাজ। তবে, রাম মন্দির তৈরি করার বিষয়ে বুধবার মুর্শিদাবাদের বহরমপুরে গিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করে এ কথা জানিয়েছেন অম্বিকানন্দ মহারাজ। তিনি বলেন, “আগামী ২২ জানুয়ারি রাম মন্দিরের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন হবে। জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাইকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। প্রত্যেকের সমর্থন ও সাহায্য চাইছি। ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবির আমন্ত্রিত থাকবেন ওই অনুষ্ঠানে। আমন্ত্রণ জানানো হবে অধীর চৌধুরীকেও। বামপন্থীদের মধ্যে যারা ধর্মের আফিম না খোঁজে, তাঁদের আমন্ত্রণ করা হবে।” প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও দেশের সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের আমন্ত্রণ জানানো হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। ফলে, বেশ জাঁকজমকপূর্ণভাবে রাম মন্দিরের ভিত্তি প্রস্তর তৈরির উদ্যোগ গ্রহণ করেছে হিন্দু সেনা।

    রাম মন্দির ছাড়াও আর কী কী তৈরি করা হবে?

    অম্বিকানন্দ আরও বলেন, “শুধুমাত্র মন্দির নয়, রাম মন্দিরকে (Ram Mandir) ঘিরে হাসপাতাল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও অনাথ আশ্রমও তৈরি করা হবে। এলাকার উন্নয়নে বিভিন্ন ক্ষেত্রে কর্মসংস্থান হবে। এমনিতেই মুর্শিদাবাদ অত্যন্ত স্পর্শকাতর এলাকা। ২২ জানুয়ারি সেখানে এক নতুন সূর্যোদয় দেখা যাবে।” ফলে, নতুন বছরের শুরুতে মুর্শিদাবাদে রাম মন্দিরকে কেন্দ্র করে সাজো সাজো রব। হিন্দু সেনার সদস্যদের মধ্যে উৎসাহ তুঙ্গে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • India Maldives Relation: উন্নতি হচ্ছে ভারত-মলদ্বীপ সম্পর্কের, প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বাড়াতে সাহায্যের আশ্বাস রাজনাথের

    India Maldives Relation: উন্নতি হচ্ছে ভারত-মলদ্বীপ সম্পর্কের, প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বাড়াতে সাহায্যের আশ্বাস রাজনাথের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মলদ্বীপের প্রতিরক্ষা সক্ষমতা শক্তিশালী করতে প্রয়োজনীয় সাহায্য করতে ভারত প্রস্তুত। দ্বীপরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী মহম্মদ ঘাসান মৌমুনকে এই মর্মে আশ্বস্ত (India Maldives Relation) করলেন ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh)। সম্প্রতি দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হয় রাজনাথের সঙ্গে মলদ্বীপের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর। সেখানে দুই দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রীরা তাঁদের সম্পর্ক উন্নয়নের বিষয়ে আলোচনা করেন।

    কী বলছে প্রতিরক্ষামন্ত্রক? (India Maldives Relation)

    প্রতিরক্ষামন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছে, রাজনাথ মলদ্বীপের প্রতিরক্ষা প্রস্তুতির সক্ষমতা বাড়াতে ভারতের প্রস্তুতি ফের নিশ্চিত করেছেন, যা জাতীয় অগ্রাধিকার এবং ভারতের ‘প্রতিবেশী প্রথম’ নীতি এবং  ‘সিকিউরিটি অ্যান্ড গ্রোথ ফর অল ইন দ্য রিজিয়ন’ (সংক্ষেপে ‘সাগর’) দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ প্রতিরক্ষা প্ল্যাটফর্ম ও সম্পদের ব্যবস্থা করে। প্রতিরক্ষা সম্পর্ক জোরদার করার সিদ্ধান্তটি গৃহীত হয়েছে প্রায় আট মাস পরে, যখন ভারতের সামরিক কর্মীদের মলদ্বীপ থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছিল। মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট চিনপন্থী মহম্মদ মুইজ্জুর অনুরোধে প্রত্যাহার করা হয়েছিল সামরিক কর্মীদের। ২০২৩ সালের নভেম্বরে তিনি ক্ষমতায় আসার পর ভারত ও মলদ্বীপের সম্পর্কের অবনতি ঘটে।

    মুইজ্জুর চিন-প্রেম

    মুইজ্জু প্রশাসন মলদ্বীপে অবস্থানরত ৮৫ জনেরও বেশি ভারতীয় সামরিক কর্মীকে অপসারণের দাবি জানায়। এই সামরিক কর্মীরা সে দেশে একটি বিমান এবং দুটি হেলিকপ্টার পরিচালনার জন্য মোতায়েন ছিলেন। এই পদক্ষেপের পরে পরে মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট চিনের দিকে বেশি করে ঝুঁকতে শুরু করেন। মলদ্বীপের ক্ষমতায় এসেই সে দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা প্রথমে ভারত সফরে আসেন। সেই রীতি ভেঙে মুইজ্জু চিন সফরে চলে যান। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে কটূক্তি করায় ভারত-মলদ্বীপ সম্পর্ক (India Maldives Relation) আরও তলানিতে ঠেকে। পরে অবশ্য দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নে জোর দেয় মলদ্বীপ প্রশাসন। তার পর এই হল দুই দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর বৈঠক। জানা গিয়েছে, দুই দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রীরা তাঁদের দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন। ভারত-মলদ্বীপ বিস্তৃত অর্থনৈতিক ও সামুদ্রিক নিরাপত্তার অংশীদারিত্বে তাঁদের অভিন্ন প্রতিশ্রুতিও ফের নিশ্চিত করেন।

    আরও পড়ুন: তিরুপতি মন্দিরে হুড়োহুড়ি, পদপিষ্ট হয়ে মৃত অন্তত ৬, শোকপ্রকাশ রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীর

    রাজনাথের এহেন প্রতিশ্রুতির পর ভারতের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন মৌমুন। ভারতকে তিনি মলদ্বীপের “প্রথম সাড়া প্রদানকারী” রাষ্ট্রের মর্যাদা দেন। মলদ্বীপের পরিকাঠামো উন্নয়ন এবং প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা কর্মীদের (Rajnath Singh) প্রশিক্ষণে সাহায্য করতে ভারতের ভূমিকার ওপরও গুরুত্ব আরোপ করেন তিনি (India Maldives Relation)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

     
     

     

  • Nitin Gadkari: সাত দিন বিনামূল্যে চিকিৎসা, ৮ ঘণ্টার বেশি ড্রাইভিং নয়, পথ দুর্ঘটনা রুখতে সক্রিয় কেন্দ্র

    Nitin Gadkari: সাত দিন বিনামূল্যে চিকিৎসা, ৮ ঘণ্টার বেশি ড্রাইভিং নয়, পথ দুর্ঘটনা রুখতে সক্রিয় কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পথ দুর্ঘটনায় আহতদের চিকিৎসার জন্য নয়া প্রকল্প আনছে মোদি সরকার। আহতদের জন্য ‘নগদহীন চিকিৎসা’-র (Cashless Treatment Scheme) কথা ঘোষণা করলেন কেন্দ্রীয় সড়ক ও পরিবহণমন্ত্রী নিতিন গড়করি (Nitin Gadkari)। তিনি জানান, পথ দুর্ঘটনায় আহতদের সাত দিনের চিকিৎসার জন্য দেড় লক্ষ টাকা পর্যন্ত খরচ বহন করবে সরকার। শুধু তা-ই নয়, ধাক্কা মেরে পালানোর ঘটনায় মৃতদের পরিবারের জন্য ক্ষতিপূরণও ঘোষণা করলেন গড়করি।

    কেন্দ্রের নয়া ঘোষণা

    কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিতিন গড়করি (Nitin Gadkari) জানান, পথ দুর্ঘটনায় (Cashless Treatment Scheme) কেউ আহত হলে, এক সপ্তাহ তাঁর চিকিৎসা চালাবে কেন্দ্র। চিকিৎসার খরচবাবদ সর্বোচ্চ ১.৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত খরচ করা হবে এই প্রকল্পের আওতায়। তবে আহত ব্যক্তির হাতে ওই টাকা দেওয়া হবে না। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পুলিশের কাছে পথ দুর্ঘটনার বিষয়ে জানানো হলে সরকার আহতদের চিকিৎসার খরচ বহন করবে। চিকিৎসা হবে ক্যাশলেস অর্থাৎ নগদহীন প্রক্রিয়ায়। চলতি বছরের মার্চ মাসের মধ্যেই নয়া এই প্রকল্পের সূচনা হবে বলে জানালেন কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রী।

    কীভাবে কাজ করা হবে

    দুর্ঘটনা ঘটলে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসা (Cashless Treatment Scheme) পরিষেবা প্রদান সরকারের লক্ষ্য। তাই নয়া প্রকল্প আনা হচ্ছে। ন্যাশনাল হেলথ অথরিটি (NHA) এই প্রকল্প কার্যকর করবে। পুলিশ, হাসপাতাল এবং রাজ্যের স্বাস্থ্য বিভাগের সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ করবে এই কেন্দ্রীয় সংস্থা। গোটা প্রকল্পটি প্রযুক্তির মাধ্যমে পরিচালনা করা হবে। সড়ক পরিবহণ মন্ত্রকের কাছে দুর্ঘটনার রিপোর্ট থাকবে, থাকবে চিকিৎসা খাতে লেনদেনের তথ্যও। জাতীয় সড়ক থেকে হাইওয়ে, যে কোনও রাস্তায় মোটরযান দুর্ঘটনায় পড়লেই, আহতরা এই চিকিৎসা পরিষেবা পাবেন বলে জানিয়েছেন নিতিন। 

    পরীক্ষামূলকভাবে চালু প্রকল্প

    অসম, চণ্ডীগড়, পাঞ্জাব, উত্তরাখণ্ড, পুদুচেরি, হরিয়ানায় পরীক্ষামূলকভাবে সাফল্য পেয়েছে প্রকল্পটি (Cashless Treatment Scheme)। পরীক্ষামূলক ভাবে প্রকল্পটি কার্যকর করার পর এখনও পর্যন্ত ৬ হাজার ৮৪০ জন মানুষ উপকৃত হয়েছেন। এই প্রকল্পের বাস্তবায়ন হলে তৎক্ষণাৎ চিকিৎসা পরিষেবার মাধ্যমে বছরে ৫০ হাজার মানুষের জীবন বাঁচানো সম্ভব হবে বলে আশাবাদী নিতিন। মঙ্গলবার দিল্লির ভারত মণ্ডপমে রাজ্যগুলির সড়ক পরিবহণমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন গড়করি (Nitin Gadkari)। এই বৈঠকের উদ্দেশ্য ছিল কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারের মধ্যে সহযোগিতাপূর্ণ সম্পর্কের উন্নতি এবং পরিবহণ সম্পর্কিত নীতিগুলি নিয়ে আলোচনা করা। সেই বৈঠকেই নতুন প্রকল্পের কথা জানান তিনি।

    কেন্দ্রের উদ্বেগ

    শুধু ২০২৪ সালেই দেশে পথ দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা প্রায় এক লাখ ৮০ হাজার। পরিসংখ্যান উল্লেখ করে গড়করি উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। সড়ক নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করার কথা বলেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। এ বিষয়ে গড়করি (Nitin Gadkari) জানান, গত এক বছরে শুধু হেলমেট না পরার কারণেই মৃত্যু হয়েছে ৩০ হাজার জনের। ১৮ থেকে ৩৪ বছর বয়সিদের মধ্যেই এই দুর্ঘটনা বেশি ঘটেছে বলে দাবি গড়করির। পাশাপাশি, স্কুল ও কলেজের মতো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কাছে প্রবেশ এবং প্রস্থানের জায়গাতেও অনেক দুর্ঘটনা ঘটেছে। সঠিক পরিকল্পনার অভাবে পথ দুর্ঘটনায় ১০ হাজার শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এই সংখ্যা কমানোর চেষ্টা করছে সরকার, এমনটাই জানিয়েছেন তিনি।

    আরও পড়ুন: আত্মনির্ভর ভারত, এবার দেশেই প্যারাসিটামল উৎপাদন প্রযুক্তির উদ্ভাবন

    কেন্দ্রের আরও পরিকল্পনা

    নিতিন জানিয়েছেন, পথ দুর্ঘটনা রুখতে একাধিক পদক্ষেপ করছে সরকার (Modi Govt)। গাড়ির চালকদের যাতে বেশি ক্ষণ খাটতে না হয়, ক্লান্তি, অবসন্নতা যাতে তাঁদের কাবু করে না ফেলে, তার জন্যও নীতি নির্ধারণ করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তাঁদের দিয়ে আট ঘণ্টার বেশি গাড়ি চালানো যাবে না। এর জন্য আধার নম্বর সম্বলিত নয়া প্রযুক্তি আনা হবে, যাতে চালকরা কত ঘণ্টা গাড়ি চালাচ্ছেন, তা বোঝা সম্ভব হবে। দুর্ঘটনাগ্রস্তদের প্রাণ বাঁচানোর ক্ষেত্রে পুরস্কারের অঙ্কও বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছেন নিতিন। বর্তমানে দুর্ঘটনায় প্রাণ বাঁচানো ব্যক্তিকে ৫০০০ টাকা পুরস্কার দেওয়া হয়। ২০২৪ সালের ১৪ মার্চ পঞ্জাবে পরীক্ষামূলক ভাবে এই প্রকল্প কার্যকর করা হয়। আরও ছয় রাজ্যেও পরীক্ষানিরীক্ষা চলে। সব শেষে গোটা দেশের জন্য প্রকল্পটি কার্যকর করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Tirupati Temple:  তিরুপতি মন্দিরে হুড়োহুড়ি, পদপিষ্ট হয়ে মৃত অন্তত ৬, শোকপ্রকাশ রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীর

    Tirupati Temple: তিরুপতি মন্দিরে হুড়োহুড়ি, পদপিষ্ট হয়ে মৃত অন্তত ৬, শোকপ্রকাশ রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অন্ধ্রপ্রদেশের তিরুপতি মন্দিরে (Tirupati Temple) পদপিষ্ট হয়ে মৃত অন্তত ৬। গুরুতর আহতের সংখ্যা ১৫। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা। আহতদের উদ্ধার করে ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালে। এই ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন অন্ধ্রপ্রদেশের (Andhra Pradesh) মুখ্যমন্ত্রী এন চন্দ্রবাবু নাইডু। বৃহস্পতিবার আহতদের সঙ্গে দেখা করতে তিরুপতি যাচ্ছেন তিনি। 

    বৈকুণ্ঠদ্বার দর্শনের সুযোগ (Tirupati Temple)

    বৈকুণ্ঠ একাদশীর দিন বৈকুণ্ঠদ্বার দর্শনের সুযোগ পান ভক্তরা। তিরুপতি মন্দিরের বৈকুণ্ঠদ্বার দর্শনের জন্য আগে থেকে টিকিট কাটতে হয়। বুধবার সকাল থেকে ওই টিকিট জোগাড় করতে ভিড় করেন প্রচুর মানুষ। সন্ধ্যায় বৈরাগী পট্টিতা পার্কে টিকিট বিলির আগে কাউন্টারের সামনে অন্ততপক্ষে সাড়ে চার হাজার মানুষ ভিড় করেছিলেন। কাউন্টার খুলতেই শুরু হয়ে যায় টিকিট পেতে হুড়োহুড়ি। ভিড়ের চোটে মাটিতে পড়ে যান অন্তত ৬০ জন। অনেকে উঠে দাঁড়াতে পারলেও, পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় অন্তত ছজনের। মৃতের সংখ্যা আরও বড়তে পারে বলেই খবর। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় শুরু হয় উদ্ধারকাজ। আহতদের উদ্ধার করে ভর্তি করা হয় শ্রী ভেঙ্কটেশ্বর রামনারায়ণ রুইয়া হাসপাতালে (Tirupati Temple)।

    আরও পড়ুন: ক্ষমতার চিটে গুড়ে পা আটকে ইউনূসের! তাই কি ক্ষুব্ধ খালেদার বিএনপি?

    শোক প্রকাশ রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীর

    ঘটনায় শোক জ্ঞাপন করেছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, তিরুপতিতে পদদলিত হয়ে অনেক ভক্তের প্রাণহানির খবর শুনে আমি মর্মাহত। শোকসন্তপ্ত পরিবারগুলির প্রতি আমার গভীর সমবেদনা জানাই এবং আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করি।

    শোকপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বুধবার রাতে এক্স হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রীর অফিসের তরফে লেখা হয়েছে, ‘তিরুপতির (Tirupati Temple) ঘটনায় শোকাহত। নিহতদের পরিবারের পাশে আছি। আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি। অন্ধ্রপ্রদেশ সরকার সব রকম সাহায্যের জন্য প্রস্তুত (Andhra Pradesh)।’

    ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, “তিরুপতির ঘটনায় গভীরভাবে শোকাহত। নিহতদের পরিবারকে সমবেদনা জানাই। মৃতদের আত্মা শান্তি পাক। এই ঘটনা কীভাবে ঘটল, তা ভেবেই আমি হতবাক। আহতরা যাতে দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠেন এই প্রার্থনা করছি।” 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Daily Horoscope 09 January 2025: উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে শুভ যোগ রয়েছে এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 09 January 2025: উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে শুভ যোগ রয়েছে এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) কোনও নিয়ম লঙ্ঘন করার জন্য আপনাকে বিপদে পড়তে হতে পারে।

    ২) উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে শুভ যোগ।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    বৃষ

    ১) কোনও ভুল কাজের জন্য অনুতাপ হতে পারে।

    ২) অতিরিক্ত দৌড়ঝাঁপ করার ফলে অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন।

    ৩) সতর্ক থাকবেন সব বিষয়ে।

    মিথুন

    ১) কারও কুপ্রভাবে সংসারে অশান্তি হতে পারে।

    ২) সামাজিক সুনাম লাভ বা প্রতিপত্তি বিস্তারের যোগ।

    ৩) বাণীতে সংযম জরুরি।

    কর্কট

    ১) সাংসারিক কারণে মানসিক যন্ত্রণা।

    ২) আজ আপনাকে অবাক করে দেওয়া কোনও সুখবর আসতে পারে।

    ৩) সবাইকে ভালোভাবে কথা বলুন।

    সিংহ

    ১) সম্পত্তি সংক্রান্ত সমস্যা মিটে যেতে পারে।

    ২) অপরের উপকার করতে গেলে বিপদ হতে পারে।

    ৩) প্রতিকূল কাটবে দিনটি।

    কন্যা

    ১) বাতজ রোগে কষ্ট পাওয়ার আশঙ্কা।

    ২) কর্মস্থলে নিজের মতামত প্রকাশ না করাই ভাল হবে।

    ৩) দিনটি অনুকূল।

    তুলা

    ১) বাড়িতে সবাই খুব সতর্ক থাকুন, চুরির ভয় রয়েছে।

    ২) আর্থিক সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে।

    ৩) দিনটি মোটামুটি কাটবে।

    বৃশ্চিক

    ১) জমি বা সম্পত্তি ক্রয়-বিক্রয় করার শুভ দিন।

    ২) শেয়ারে বাড়তি লগ্নি চিন্তাবৃদ্ধি ঘটাতে পারে।

    ৩) আশাহত।

    ধনু

    ১) বন্ধুদের বিরোধিতা থেকে সাবধান থাকুন।

    ২) সঞ্চয়ের ব্যাপারে বিশেষ নজর দিন।

    ৩) ধৈর্য ধরতে হবে।

    মকর

    ১) পেটের সমস্যা বাড়তে পারে।

    ২) ব্যবসায় আমূল পরিবর্তন লক্ষ করতে পারবেন।

    ৩) গুরুজনের পরামর্শ মেনে চলুন।

    কুম্ভ

    ১) ব্যবসায় বাড়তি বিনিয়োগ না করাই শ্রেয়।

    ২) মাথাগরম করার ফলে হাতে আসা কাজ ভেস্তে যাবে।

    ৩) আশা পূরণ।

    মীন

    ১) ভাই-বোনের কাছ থেকে সাহায্য পেতে পারেন।

    ২) দাম্পত্য সম্পর্কে উন্নতির যোগ।

    ৩) ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে দিনটি।

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BJP: “নৈরাজ্যের স্পষ্ট প্রদর্শন”, আম আদমি পার্টিকে নিশানা বিজেপির

    BJP: “নৈরাজ্যের স্পষ্ট প্রদর্শন”, আম আদমি পার্টিকে নিশানা বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “নৈরাজ্যের স্পষ্ট প্রদর্শন।” ঠিক এই ভাষায়ই আপকে (AAP) আক্রমণ শানাল বিজেপি (BJP)। বুধবার মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনের বাইরে মোতায়েন থাকা দিল্লি পুলিশের কর্মীদের সঙ্গে আপ নেতাদের সংঘাত হয়। সেই সংঘাতকেই নৈরাজ্যের স্পষ্ট প্রদর্শন আখ্যা দিয়েছে বিজেপি।

    পদ্ম সাংসদের বাক্য-বাণ (BJP)

    পদ্ম সাংসদ সুধাংশু ত্রিবেদী বলেন, “দুর্নীতির স্মৃতিস্তম্ভের বাস্তবতা মানুষের সামনে আসছে। আজ যা ঘটছে এবং আপ সংসদ সদস্য সঞ্জয় সিং ও দিল্লির মন্ত্রী সৌরভ ভরদ্বাজ যেভাবে নিজেদের চরিত্র প্রদর্শন করছেন, তাঁরা যতই চেষ্টা করুন না কেন, অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দুর্নীতির জাদুঘর, ‘শিশমহল’, বাঁচাতে পারবে না।” তিনি বলেন, “আজ তাঁরা যা করেছেন, তা সম্পূর্ণ অরাজকতার প্রকাশ।”

    ‘শিশমহল’-এর দাবির বিরোধিতা

    দিল্লির মন্ত্রী সৌরভ ভরদ্বাজ ও রাজ্যসভার সাংসদ সঞ্জয় সিং বিজেপির ‘শিশমহল’-এর দাবির বিরোধিতা করতে মুখ্যমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনের দিকে মিছিল করেছিলেন এদিন। পুলিশ কর্মীরা তাঁদের বাসভবনে প্রবেশ করতে বাধা দেন। ভরদ্বাজ বলেন, “আমরা এখানে এসেছি ‘তোমার বাড়ি, আমার বাড়ি’ বিতর্কে যবনিকা টানতে। আমরা বলেছিলাম যে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন এবং মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবন উভয়ই মানুষকে দেখানো উচিত। তাই, আমরা এখানে এসেছি।” পুলিশ প্রবেশের অনুমতি না দেওয়ায় মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনের বাইরে ধর্নায় বসেন ভরদ্বাজরা। পরে তাঁরা বাগানবাড়ির বাইরে মোতায়েন করা পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। ত্রিবেদী বলেন, “আজ আপ যা করেছে তা তাদের দায়িত্বজ্ঞানহীন, উন্মাদ এবং অরাজক আচরণের একটি উজ্জ্বল উদাহরণ।”

    আরও পড়ুন: ক্ষমতার চিটে গুড়ে পা আটকে ইউনূসের! তাই কি ক্ষুব্ধ খালেদার বিএনপি?

    দিল্লি বিজেপির (BJP) প্রধান বীরেন্দ্র সচদেবা সঞ্জয় ও সৌরভকে নিশানা করে বলেন, “আপ নেতারা নাটক করছেন। শিসমহল নির্মাণে হওয়া দুর্নীতি ও অনিয়ম থেকে দৃষ্টি ঘোরানোর চেষ্টা করছেন। কেন তাঁরা আগেই শিসমহল দেখানোর কথা ভাবেননি? এখন প্রশাসন যখন আদর্শ আচরণবিধি লাগু করেছে, তখন সেখানে যাওয়ার জন্য জোর দিচ্ছেন?” প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রী পদে থাকার সময় ৪০ কোটি টাকা খরচ করে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনটি সংস্কার করিয়েছেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তাকে শিসমহল বলে কটাক্ষ করেছেন (AAP) কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ স্বয়ং (BJP)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share