Tag: Madhyom

Madhyom

  • Indian Fishermen: ভারতীয় মৎস্যজীবীদের ওপর অকথ্য অত্যাচার বাংলাদেশে, ইউনূসদের আসল চেহারা বের হচ্ছে

    Indian Fishermen: ভারতীয় মৎস্যজীবীদের ওপর অকথ্য অত্যাচার বাংলাদেশে, ইউনূসদের আসল চেহারা বের হচ্ছে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইউনূস সরকার ক্ষমতায় আসার পর হিন্দুদের ওপর লাগামছাড়া অত্যাচার চলছে। এই আবহে ৯৫ জন ভারতীয় মৎস্যজীবী (Indian Fishermen) বাংলাদেশে ধরা পড়েছিলেন। সম্প্রতি, বাংলাদেশ থেকে ওই ৯৫ জন মৎস্যজীবী ভারতে ফিরেছেন। বাংলাদেশি নৌসেনারা যে কী অত্যাচার চালিয়েছেন, তার জলজ্যান্ত প্রমাণ তাঁদের শরীরে অবস্থা দেখলেই টের পাওয়া যাবে। তাঁরা দু’পায়ে দাঁড়াতে পারছেন না। কীভাবে হয়েছে অত্যাচার? শুনলে আঁতকে উঠতে হয়। মুখে গামছা ঢুকিয়ে দেওয়া হয়, লাঠি মুখে ঢুকিয়ে গুঁজে দেওয়া হয় গামছা, এরপর এক পায়ে দাঁড় করিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয়েছে। বাথরুম যেতে দেওয়া হত না, দু’দিন খেতে দেওয়া হয়নি, ভয়ঙ্কর বক্তব্য উঠে আসছে তাঁদের মুখে। অথচ বাংলাদেশের মৎস্যজীবীরা যখন কেউ ধরা পড়েন ভারতের জলসীমায় তখন তাদের কীভাবে যত্নে রাখা হয়। চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। আর তার বিনিময়ে উল্টো ব্যবহার পেলেন ভারতের মৎস্যজীবীরা। নিজের আসল পরিচয় দেখিয়ে দিল ইউনূস প্রশাসন।

    আতঙ্কে মৎস্যজীবীরা (Indian Fishermen)

    বাংলাদেশ থেকে ৯৫ জন বন্দি মৎস্যজীবী (Indian Fishermen) দেশে ফিরলেও এখনও ভয়ে শিঁটিয়ে তিলোকচন্দ্রপুর গ্রামের ফেরত আসা মৎস্যজীবীরা। এই গ্রামের ৮০ শতাংশ মানুষই মৎস্যজীবী। প্রায় প্রত্যেক বাড়ি থেকে কেউ না কেউ ট্রলার নিয়ে সমুদ্রে যান। এই গ্রামের ৯৬ জন মৎস্যজীবী বাংলাদেশে আটকে পড়েছিলেন। গত অক্টোবর-নভেম্বর মাসে ভারতীয় মৎস্যজীবী ভারতের জলসীমানা লঙ্ঘন করে বাংলাদেশের জলসীমানায় ঢুকে পড়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে। তারপরে বাংলাদেশের (Bangladesh) পটুয়াখালি এবং মঙ্গলায় আটক ছিলেন তাঁরা। দুই দেশের তরফে মৎস্যজীবীদের আন্তর্জাতিক জল সীমানা লঙ্ঘনের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল। এরই মধ্যে বাংলাদেশ জুড়ে শুরু হয় হিংসা। তার মধ্যে তাঁদের ওপরেও চলেছে অকথ্য অত্যাচার।

    আরও পড়ুন: সীমান্তে বেড়া দিতে বাধা! বিএসএফের রণমূর্তির দেখে পগার পার বাংলাদেশিরা

    এখনও ফেরেননি এক মৎস্যজীবী!

    জানা গিয়েছে, এখনও একজন মৎস্যজীবী (Indian Fishermen) ফেরেননি। বদলে ফিরেছে তাঁর জামাকাপড়। তাঁরই স্ত্রী গুরুমণি। তাঁর স্বামী ভয়ে ট্রলার থেকে ঝাঁপ দিয়েছিলেন। আর খোঁজ মেলেনি তাঁর। বাংলাদেশি নৌসেনাদের অত্যাচারের হাত থেকে বাঁচতে সমুদ্রে ঝাঁপ দেন। গুরুমণি বলেন, “আমার স্বামী তো ভয়ে ঝাঁপ দিয়েছেন। ওই যে নেভি ধরছে, কোস্ট গার্ড ধরছে, মারছে, খুব মারছে, সেই দেখেই ভয়ে ঝাঁপ দিয়েছে। ওরা যদি এভাবে মারধর না করত, তাহলে তো বেঁচে ফিরত আমার স্বামী।”

    ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা বললেন মৎস্যজীবীরা

    বাংলাদেশে ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা সংবাদ মাধ্যমে জানিয়েছেন একাধিক মৎস্যজীবী। অত্যাচারের বর্ণনা করতে গিয়ে অনেকে কেঁদেও ফেলছেন রণজিৎ দাস নামে এক মৎস্যজীবী। তাঁকেও আটক করে রাখা হয়েছিল। এখনও সে দিনগুলোর কথা বলতে গিয়ে ভয়ে কেঁপে ওঠে তাঁর গলা। বলেন, “আমাদের সামনেই (Indian Fishermen) অফিসাররা বলছিল, পেটে ছুরি মেরে জলে ফেলে দে ওদের। এমন মারত, কত যে লাঠি ভেঙেছে। এক পায়ে দাঁড় করিয়ে পায়ের পাতায় মারত। চোখ বেঁধে রেখে নিতম্বে লাঠি দিয়ে মেরে দগদগে ঘা করে দেওয়া হয়।” অপর এক মৎস্যজীবী বলেন, আমাদের কাছে জিপিএস ছিল। কিন্তু সেটা ঠিকঠাক কাজ করছিল না। আমরা বাংলাদেশের জলসীমায় চলে যাই। মাঝি জানে না ঠিক করে। আমরা আত্মসমর্পণ করেছিলাম। তারপরেও আমাদের প্রচুর মারধর করল। মাঝি আর ইঞ্জিন মিস্ত্রি দুজনকে ট্রলারে রাখল। বাকিদের সারা রাত হাত বেঁধে রাখল। মারল। এরপর হাতকড়া পরিয়ে থানায় নিয়ে গেল। সেখানে উল্টো-পাল্টা কথা বলছিল।

    ‘‘ইন্ডিয়ান, তোকে জল দেওয়া যাবে না’’

    বাংলাদেশ ফেরত অত্যাচারিত মৎস্যজীবী (Indian Fishermen) সুভাষ দাস বলেন, “আমার সীমান্তে এসে কেন আমাকে নিয়ে যাবে? এইজন্য ওদের সঙ্গে একটু তর্কাতর্কি করি। ওরা আমাকে মারে। এরপর আমার ৫ জন লোক জলে পড়ে যান। যখন বোটটা কাত হয়ে যায়, তখন পড়ে যায়। তুলতে দিচ্ছিল না, তাও অনেক কষ্টে চেষ্টা করে ৪ জনকে তুলেছি। আর একজনকে খুঁজতে দেয়নি। অক্টোবরের ১৬ তারিখ রাত তখন ৩টে বাজে। আমার একটা লোক তখনও আছে। বলে, এখানে থাকা যাবে না। ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনী আসতে পারে। দড়ি দিয়ে সবাইকে বেঁধে ফেলেছে। মারধর আরম্ভ করছে সবাইকে। আমার ছেলে কান্নাকাটি করল। লোকজন কান্নাকাটি করল। আমার গলায় পা রাখে। পায়ের তলায় মারে। আমি অজ্ঞান হয়ে যাই। ছেলে বলে, আমার বাবার বুকে অসুবিধা। বাবাকে ছেড়ে দেন। নাহলে, আমার বাবা বাঁচবে না। বললাম, একটু জল দেন। বলে, ইন্ডিয়ান। তোকে জল দেওয়া যাবে না।” 

    মৎস্যজীবী শ্রমিক ইউনিয়নের সম্পাদক কী বললেন?

    সুন্দরবন সামুদ্রিক মৎস্যজীবী (Indian Fishermen) শ্রমিক ইউনিয়নের সম্পাদক সতীনাথ পাত্র বলেন, ‘‘অতীতেও অনেকবার এ দেশের মৎস্যজীবীরা বাংলাদেশ জল সীমানায় ঢুকে পড়েছে। কিন্তু কোনও বার এত অত্যাচার করা হয়নি। এবার বাংলাদেশের অশান্তির প্রেক্ষিতে অত্যাচার সীমা ছাড়িয়েছে। ৯৫ জনের মধ্যে ২২ জনের অবস্থা গুরুতর। তাঁদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।” প্রশ্ন উঠছে, কেন মারধর করা হল ভারতীয় মৎস্যজীবীদের? তাঁরা তো জলদস্যু নন, তারপরেও কেন এই ব্যবহার পেলেন তাঁরা? তবে কি ভারতীয় বলেই পেটানো হল?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Neeraj Chopra: “সবচেয়ে বড় সমস্যা ডোপিং” নতুন প্রজন্মের অ্যাথলিটদের সতর্কবার্তা নীরজের

    Neeraj Chopra: “সবচেয়ে বড় সমস্যা ডোপিং” নতুন প্রজন্মের অ্যাথলিটদের সতর্কবার্তা নীরজের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্রিকেট থেকে হকি, খেলাধুলোয় বিশ্বের দরবারে দাপট দেখাচ্ছে ভারত। তবে অনেক খেলার ক্ষেত্রেই আরও উন্নতির অবকাশ রয়েছে। কিন্তু সেই উন্নতিতে বাধা দিচ্ছে ডোপিং যা বর্তমানে ভারতীয় ক্রীড়া জগতে একটি বড় সমস্যা, এমনই দাবি করলেন ভারতের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ও জনপ্রিয় অ্যাথলিট নীরজ চোপড়া (Neeraj Chopra)। ভারতের তারকা জ্যাভলিন প্লেয়ারের কথায়, “আজকাল ভারতের ক্রীড়াবিদদের মধ্যে সবচেয়ে বড় সমস্যা ডোপিং। একবার এই অভ্যাস তৈরি হলে ভবিষ্যতে সেটা থেকে বেরোনো খুবই কঠিন হয়ে যায়।” 

    ভারতে ডোপিং পজিটিভের হার বেশি

    ২০২৪ সালের ওয়াডা রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতের ডোপিং পজিটিভের হার বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। ২০২২ সালে, নাডা ১২৫টি পজিটিভ রিপোর্ট করেছে, যা মোট নমুনার ৩.২ শতাংশ। ২০২১ সালেও ভারত এই তালিকায় শীর্ষে ছিল, যেখানে ২.৩ শতাংশ নমুনা পজিটিভ এসেছিল। ডোপিংয়ের সমস্যা ভারতীয় ক্রীড়াজগতে ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়েছে,বলে জানান নীরজ (Neeraj Chopra)। তাঁর কথায়,  “আমি চাই ক্রীড়াবিদরা জানুক, একবার ডোপিং মাথায় ঢুকলে ভবিষ্যতে এর প্রভাব পড়ে। তারা আর সেই পর্যায়ে খেলতে পারে না। তারা ভাবতে শুরু করে যে শুধু ডোপিংয়ের মাধ্যমে তারা ভালো ফল পাবে, কিন্তু সেটা সত্যি নয়। এটা হল কঠোর পরিশ্রম, আত্মবিশ্বাস এবং কোচের সঠিক নির্দেশনা যা আপনাকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।”

    নাডার কড়া নজর

    দেশের খেলোয়াড়দের মধ্যে ডোপ করার বা নিষিদ্ধ শক্তিবর্ধক ব্যবহারের প্রবণতা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশেষ করে অ্যাথলেটিক্স, ভারত্তোলন, কুস্তির মতো খেলায় পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। নাডার নজর থেকে বাদ পড়েননি ক্রিকেটারেরাও। ২০২২-২৩ মরসুমে মোট ২৭ জন ক্রিকেটারের ডোপ পরীক্ষা হয়েছে। পরিচিতদের মধ্যে সূর্যকুমার যাদব, ঋষভ পন্থ, হার্দিক পান্ডিয়া, রবীন্দ্র জাদেজা, শ্রেয়স আয়ার, ইশান কিশন, হরমনপ্রীত কৌর এবং স্মৃতি মন্ধানারা ছিলেন সেই তালিকায়। ২০২২-২৩ মরসুমে মোট ৪৩৪২ জন খেলোয়াড়ের ডোপ পরীক্ষা হয়েছে। প্রতিযোগিতা চলার সময় পরীক্ষা হয়েছে ২৫৯৬ জনের। অন্য সময় পরীক্ষা হয়েছে ১৭৪৬ জনের। ব্যর্থ খেলোয়াড়দের মধ্যে সংখ্যায় সব থেকে বেশি অ্যাথলিটেরা। মোট ৪৯ জন অ্যাথলিটের শরীরে নিষিদ্ধ পদার্থ পাওয়া গিয়েছে। ২২ জন ভারত্তোলক, ১৭ জন কুস্তিগির এবং ১৩ জন পাওয়ার লিফটার ডোপ পরীক্ষায় ব্যর্থ হয়েছেন। ৮০ জন খেলোয়াড়ের শরীরে পাওয়া গিয়েছে পারফরম্যান্স বর্ধক ওষুধ ব্যবহারের প্রমাণ।

    কঠোর পরিশ্রমই সাফল্যের রসায়ন

    ওয়ার্ল্ড অ্যান্টি-ডোপিং এজেন্সি বা ওয়াডার রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২০ ভারতের স্থান ছিল দ্বিতীয়। রাশিয়ার পর এ দেশের সব থেকে বেশি খেলোয়াড় ডোপ পরীক্ষায় ব্যর্থ হয়েছিলেন। কিন্তু গত কয়েক বছরে ভারতে অ্যাথলিটদের মধ্যে ডোপিং-এর হার সবচেয়ে বেশি। এ বিষয়ে সম্প্রতি মুখ খুলেছেন অলিম্পিকে সোনা জয়ী ভারতীয় তারকা নীরজ। তিনি বলেন, “ডোপ করলেই খেলোয়াড়রা মনের দিক থেকে দুর্বল হয়ে পড়ে। নিষিদ্ধ ড্রাগ ছাড়া তারা মনে করে আগের মতো খেলতে পারছে না এবং শুধুমাত্র ডোপিংই তাদের আগের ফর্মে ফিরিয়ে আনতে পারে। কিন্তু এটা একদমই সত্যি নয়। কঠোর পরিশ্রম, আত্মবিশ্বাস, এবং কোচের পরামর্শেই উন্নতি সম্ভব।” 

    কোচদের সতর্ক থাকার পরমার্শ

    সত্যি বলতে, একবার ডোপিংয়ের পর টেস্টে ধরা পড়লে ২-৪ বছরের জন্য খেলতেই পারে না ক্রীড়াবিদরা যা তাঁদের কেরিয়ারের জন্য খারাপ। তাই ভালো পর্যায়ে খেলতে চাইলে ক্রীড়াবিদদের মানসিকতা বদলাতে হবে, বলে জানান নীরজ। কোচেদের এই বিষয়ে কড়া নজর রাখার এবং প্লেয়ারদের ডোপিং থেকে দূরে রাখার পরামর্শ দিয়েছেন নীরজ। তিনি বলেন, “কোচদের অনুরোধ করছি, আপনারা প্লেয়ারদের বোঝান যে ডোপিং কোনওভাবেই তাঁদের সাহায্য করবে না। আমি মনে করি ডোপিংয়ের প্রবণতা কমলে ক্রীড়াক্ষেত্রে আরও উন্নতি হবে ভারতের। এখন কোনও বাচ্চা ছেলে ছোটো থেকে খেলাধুলায় ভালো হলেও, একটা নির্দিষ্ট পর্যায়ে পৌঁছানোর পরই ডোপিং শুরু করে। এটাই সবচেয়ে বড় সমস্যা। এটা যত দ্রুত সম্ভব আমাদের দূর করতে হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • New ISRO Chief: ইসরোর নতুন চেয়ারম্যান হচ্ছেন খড়্গপুর আইআইটির প্রাক্তনী ভি নারায়ণ, ঘোষণা কেন্দ্রের

    New ISRO Chief: ইসরোর নতুন চেয়ারম্যান হচ্ছেন খড়্গপুর আইআইটির প্রাক্তনী ভি নারায়ণ, ঘোষণা কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র ইসরোর নতুন চেয়ারম্যান (New ISRO Chief) হতে চলেছেন ভি নারায়ণ (V Narayanan)। শুধু চেয়ারম্যান নন, তিনি সামলাবেন মহাকাশ দফতরের সচিবের দায়িত্বও। ইসরোর বর্তমান চেয়ারম্যান এস সোমনাথ দায়িত্ব ছাড়ছেন আগামী ১৪ জানুয়ারি। সে দিনই ইসরোর চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব নেবেন ভি নারায়ণ। মঙ্গলবার কেন্দ্রের তরফে এই ঘোষণা করা হয়।

    বহু অভিযানের নেপথ্যে নারায়ণ

    মঙ্গলবার কেন্দ্রের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে ইসরোর নতুন চেয়ারম্যানের (New ISRO Chief) নাম ঘোষণা করা হয়। মন্ত্রিসভার নিয়োগ করা কমিটি জানিয়েছে, আগামী দু’বছরের জন্য ইসরো প্রধানের দায়িত্ব সামলাবেন নারায়ণ। জানা গিয়েছে, লিক্যুইড প্রোপালশন সিস্টেম সেন্টারের প্রধান হিসাবে এতদিন দায়িত্ব পালন করেছেন ভি নারায়ণ। দেশে ক্রায়োজেনিক ইঞ্জিন, যা রকেট ও মহাকাশযান উৎক্ষেপণ এবং স্যাটেলাইটের প্রপালশনের জন্য প্রয়োজন, তা তৈরিতে তাঁর বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। এবার ইসরোর সম্পূর্ণ দায়িত্ব তার কাঁধে। দায়িত্ব পেয়ে আনন্দিত নারায়ণ বলেন, “আমাদের (ভারত) সামনে স্পষ্ট রোডম্যাপ রয়েছে। সুদক্ষ ও প্রতিভাবান কর্মীদের সাহায্যে আশা করি ইসরোকে আমরা এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে পারব।”

    নারায়ণের বাংলা যোগ

    তামিলনাড়ুতে জন্ম নারায়ণের (V Narayanan)। সেখানেই তাঁর বেড়ে ওঠা। স্কুলের গণ্ডি পেরিয়ে তিনি চলে আসেন পশ্চিমবঙ্গে। খড়্গপুর আইআইটি থেকে ক্রায়োজেনিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। পরে এখান থেকেই অ্যারোস্পেস ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পিইচডি করেন নারারণ। স্নাতকোত্তর পর্বে প্রথম স্থান অধিকারের জন্য রুপোর পদকও দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। পিএইচডি শেষ করে তিনি যোগ দেন ইসরোতে। ১৯৮৪ সালে রকেট এবং মহাকাশ প্রপালশন বিশেষজ্ঞ হিসাবে ভারতীয় মহাকাশ সংস্থায় যোগ দেন নারায়ণ। ২০১৮ সালে লিক্যুইড প্রোপালশন সিস্টেম সেন্টারের ডিরেক্টর হিসাবে তাঁকে নির্বাচিত করা হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Daily Horoscope 07 January 2025: বিলাসিতার কারণে খরচ বাড়তে পারে এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 07 January 2025: বিলাসিতার কারণে খরচ বাড়তে পারে এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) অতিরিক্ত কাজের চাপে ক্লান্তিবোধ।

    ২) সন্তানের জন্য সম্মান নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা।

    ৩) পুরনো বন্ধুর সঙ্গে দেখা হতে পারে।

    বৃষ

    ১) ধর্ম সংক্রান্ত ব্যাপারে তর্কে জড়াতে পারেন।

    ২) মা-বাবার সঙ্গে সামান্য কারণে বিবাদ হতে পারে।

    ৩) ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে দিনটি।

    মিথুন

    ১) কর্মস্থানে বন্ধুদের বিরোধিতা আপনাকে চিন্তায় ফেলবে।

    ২) বুদ্ধির ভুলের জন্য মানসিক চাপ বৃদ্ধি।

    ৩) সবাই আপনার প্রশংসা করবে।

    কর্কট

    ১) ব্যবসায় মুনাফা বৃদ্ধি পাবে।

    ২) ঋণমুক্তির সুযোগ পাবেন।

    ৩) ধৈর্য ধরতে হবে।

    সিংহ

    ১) প্রেমে নৈরাশ্য থেকে মানসিক চাপ বৃদ্ধি পেতে পারে।

    ২) প্রতিবেশীর অশান্তির দায় আপনার কাঁধে চাপতে পারে।

    ৩) বাণীতে সংযম রাখুন।

    কন্যা

    ১) সকালের দিকে বন্ধুদের দ্বারা বিব্রত হতে পারেন।

    ২) শরীরে ব্যথাবেদনা বৃদ্ধি পাবে।

    ৩) দুশ্চিন্তা বাড়বে।

    তুলা

    ১) ভ্রমণে গিয়ে শরীর খারাপ হওয়ার আশঙ্কা।

    ২) প্রেমের প্রতি ঘৃণাবোধ হতে পারে।

    ৩) কর্মক্ষেত্রে বাধা।

    বৃশ্চিক

    ১) প্রেমের ব্যাপারে অতিরিক্ত আবেগ থেকে সংযত থাকুন।

    ২) শরীরে ক্ষয় বৃদ্ধি।

    ৩) সবাইকে বিশ্বাস করবেন না।

    ধনু

    ১) বাড়তি কিছু খরচ হতে পারে।

    ২) বৈরী মনোভাবের জন্য ব্যবসায় শত্রু বৃদ্ধি পাবে।

    ৩) ডাক্তারের কাছে যেতে হতে পারে।

    মকর

    ১) আপনার বিষয়ে সমালোচনা বৃদ্ধি পাবে।

    ২) সকালের দিকে একই খরচ বার বার হবে।

    ৩) আধ্যাত্মিকতায় মনোনিবেশ করুন।

    কুম্ভ

    ১) রক্তহীনতা বাড়তে পারে।

    ২) কোনও মহিলার জন্য স্ত্রীর সঙ্গে বিবাদ।

    ৩) কর্মক্ষেত্রে বাধা।

    মীন

    ১) বিলাসিতার কারণে খরচ বাড়তে পারে।

    ২) বাড়িতে বিবাদের জন্য মনঃকষ্ট।

    ৩) ভেবেচিন্তে কথা বলুন।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BSF-BGB Conflict: সীমান্তে বেড়া দিতে বাধা! বিএসএফের রণমূর্তির দেখে পগার পার বাংলাদেশিরা

    BSF-BGB Conflict: সীমান্তে বেড়া দিতে বাধা! বিএসএফের রণমূর্তির দেখে পগার পার বাংলাদেশিরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে ইউনূস সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে দেশজুড়ে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি। হিন্দুদের ওপর লাগামছাড়া অত্যাচার চলছে। সঙ্গে চলছে ভারত বিদ্বেষী হুঁশিয়ারি। কার্যত ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এখন একেবারে তলানিতে। কয়েকদিন আগেই আবার যুদ্ধ মহড়া করতে দেখা গিয়েছিল বাংলাদেশের (BSF-BGB Conflict) সেনাকে। দিনে দিনে উত্তজেনা ক্রমশ বেড়েই চলেছে সীমান্তে। অনুপ্রবেশ ঠেকাতে এপার বাংলায় তৎপরতা বাড়িয়েছে সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনী। কিন্তু, ওপারের বিজিবির রোষ যেন বেড়েই চলেছে। এই আবহে মালদা সীমান্তে ফেন্সিং করা নিয়ে বিজিবি-র সঙ্গে ঝামেলা হয়ে গেল বিএসএফের। সীমান্তে ক্ষমতা দেখাতে গিয়ে বিএসএফের দাপটে ভয়ে লেজ গুটিয়ে পালিয়ে গেল বিজিবি।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?(BSF-BGB Conflict)

    এমনিতেই রাজ্যের একাধিক জেলায় বহু এলাকায় কাঁটাতারের বেড়া নেই। মালদা জেলার বেশ কিছুটা অংশ এখনও ফাঁকা রয়েছে। সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগের মধ্যেই বেনজির ছবি সামনে এল। মালদার বৈষ্ণবনগরে সীমান্তরক্ষী বাহিনী (BSF)-কে কাঁটাতারের বেড়া তুলতে বাধা দেওয়া হল। জানা গিয়েছে, সীমান্তে বিএসএফ কাঁটাতারের বেড়া তুলতে গেলে  ভারতীয় ভূখণ্ডকেও বিতর্কিত এলাকা, সেটি বাংলাদেশের এলাকা বলে দাবি করে বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি। কাঁটাতারের বেড়া তোলা নিয়ে BSF-এর সঙ্গে সংঘাত দেখা দিল বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবির। উত্তেজনার আবহেও এপারের শুকদেবপুর গ্রামের লোকজনও বর্ডারে ছুটে যান। বিএসএফ-কে সাহায্যের হাত বাড়ান এলাকার বাসিন্দারা। যদিও বেশ কিছুক্ষণের বচসার শেষে পিছু হটে বাংলাদেশিরা। বিএসএফের রণমূর্তির সামনে ধোপে টেকেনি বিজিবিও। ভয় পালিয়ে যায় বাংলাদেশিরা।

    আরও পড়ুন: শীতের সকালে তিব্বতে জোরালো ভূমিকম্প! তীব্রতা ৭.১, কেঁপে উঠল কাঠমান্ডু থেকে কলকাতা

    সীমান্তে ভারতীয়দের হুঙ্কার

    সীমান্তের দু’দিকে জমায়েত হন স্থানীয়রাও। স্লোগান, পাল্টা স্লোগান উঠল সেখানে। (India-Bangladesh Border) মঙ্গলবার মালদার বৈষ্ণবনগরে সীমান্ত থেকে এই ঘটনা সামনে এল। বৈষ্ণবনগরের শুকদেবপুর এলাকায় প্রায় ১০০ মিটারে এখনও কাঁটাতারের বেড়া নেই। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত সেখানে উন্মুক্তই। এমন পরিস্থিতিতে সম্প্রতি কাঁটাতারের বেড়া তুলতে শুরু করে বিএসএফ। কিন্তু বেড়া (BSF-BGB Conflict) দেওয়া নিয়ে আপত্তি জানায় বিজিবি। কাঁটাতারের কাজ বন্ধ করে দিতে হয়। সেই নিয়ে সীমান্ত সংলগ্ন এলাকাতেও উত্তেজনা ছড়ায়। ঘটনাস্থল থেকে যে ছবি সামনে এসেছে, তাতে ভারতের দিক থেকে ‘ভারত মাতা কি জয়’, ‘বন্দে মাতরম’, ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান ওঠে। পাল্টা স্লোগান ভেসে আসে ওপার থেকেও। এই ঘটনাকে ঘিরে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। যদিও বিএসএফের তৎপরতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। বিশেষ করে ভারতীয়দের হুঙ্কারে ওপার বাংলার লোকজন কার্যত পিছু হটে। শেষ পর্যন্ত প্রশাসনের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। বিএসএফ ও বিজিবির মধ্যে ফ্ল্যাগ মিটিং করা হয়। মানচিত্র তুলে ধরে বিএসএফ জানায়, ওই এলাকা ভারতের ভূখণ্ডের অংশ। শেষ পর্যন্ত বিজিবি ফিরে যায়। মঙ্গলবার সকাল থেকে কাঁটাতারের বেড়া তোলার কাজ ফের শুরু হয়েছে।

    মালদার জেলাশাসক কী বললেন?

    এই ঘটনার কথা মেনে নিয়েছেন মালদার জেলাশাসক নিতিন সিংঘানিয়া। তিনি বলেন, “এদিন সকাল থেকে কাঁটাতার দেওয়া শুরু হয়েছে। আপাতত পরিস্থিতি স্বাভাবিক।” একদিকে, বিএসএফ সীমান্ত এলাকায় নজরদারি চালাচ্ছে। অন্যদিকে, জেলা পুলিশও পরিস্থিতির তদারকি করছে। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

    কেন্দ্রকে জানাল বিএসএফ

    প্রসঙ্গত, হাসিনার দেশত্যাগ, চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারির পর থেকে বাংলাদেশ থেকে লাগাতার সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচারের অভিযোগ আসতে থাকে। ভারতের কড়া (BSF-BGB Conflict) বার্তার পরেও টনক বিশেষ নড়েনি ইউনূস প্রশাসনের। পাল্টা যুদ্ধের হুঙ্কার আসে বিএনপি-র তরফে। বঙ্গ বিজেপির নেতারাও আবার পাল্টা আক্রমণ শানান। এদিকে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বড় অংশের সীমানা রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের ওপর দিয়েই। এমনিতেই বাংলাদেশের তরফে লাগাতার যুদ্ধের জিগির চোখে পড়ছে। সম্প্রতি যুদ্ধের মহড়াও হয় সেখানে। যুদ্ধের প্রস্তুতি সেরে রাখতেই মহড়া বলে জানান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূস। সেই আবহেই ভারতের এলাকাকে নিজেদের বলে দাবি এবং কাঁটাতারের বেড়া তুলতে বাধা দেওয়া হল। শেষ পর্যন্ত কাঁটাতারের বেড়া তুলতে সফল হয় বিএসএফ। সমস্ত বিষয়টি বিএসএফের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় সরকারকে জানানো হয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Donald Trump: প্রেসিডেন্ট পদে শপথ নেবেন ট্রাম্প, আমন্ত্রিতের তালিকায় নাম নেই মোদির!

    Donald Trump: প্রেসিডেন্ট পদে শপথ নেবেন ট্রাম্প, আমন্ত্রিতের তালিকায় নাম নেই মোদির!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী ২০ জানুয়ারি পরবর্তী মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। ওই দিন দুপুর ১২টায় ওয়াশিংটন ডিসিতে হবে শপথ গ্রহণ (PM Modi) অনুষ্ঠান। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন বিশ্বের বিভিন্ন রাষ্ট্রের প্রধানরা। এই অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি উপস্থিত থাকবেন কিনা, তা নিয়ে চলছে জোর জল্পনা। ট্রাম্পের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান হবে মার্টিন লুথার কিং জুনিয়র ডে-র দিন। এদিন আমেরিকায় ছুটি। এটি দ্বিতীয়বার হবে যখন অভিষেক দিবস এমএলকে ডে-র সঙ্গে একই দিনে পড়বে। ১৯৯৭ সালেও এমন ঘটনা ঘটেছিল। সেবার এই দিনে দ্বিতীয়বারের জন্য শপথ নিয়েছিলেন প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিন্টন।

    ট্রাম্পের শপথ (Donald Trump)

    ট্রাম্পের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হবে দুপুরে। তার কিছুক্ষণ পরেই তিনি শপথ নেবেন। তিনি হবেন আমেরিকার র ৪৭তম প্রেসিডেন্ট। অভিষেক অনুষ্ঠানের জন্য ট্রাম্প ব্যক্তিগতভাবে কিছু বিদেশি নেতাকে বিশেষ করে সাম্প্রতিক অতীতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বিরোধে জড়িত রাষ্ট্রপ্রধানদের, আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। যদিও নিশ্চিত তালিকা এখনও পাওয়া যায়নি, তবে ট্রাম্প সমর্থক ও বিশ্ব নেতাদের অনুষ্ঠানটিতে যোগদানের পরিকল্পনা নিয়ে একটি রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। তা থেকেই জানা গিয়েছে ২০ তারিখের মেগা ইভেন্টে কারা যোগ দেবেন (Donald Trump)।

    কারা রয়েছেন আমন্ত্রিতের তালিকায়

    ট্রাম্পের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি বলেন, “আমি অবশ্যই যাচ্ছি।” তিনি বলেন, “শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান এড়িয়ে যাওয়া একমাত্র প্রেসিডেন্ট হলেন সেই ব্যক্তি, যিনি শপথ গ্রহণ করতে চলেছেন।” প্রসঙ্গত, বাইডেন যখন শপথ নিয়েছিলেন, সেই অনুষ্ঠান এড়িয়ে গিয়েছিলেন ট্রাম্প। শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে। সূত্রের খবর, ওই অনুষ্ঠানে শি স্বয়ং যাবেন না। তবে চিনের প্রবীণ কর্তাদের একটি প্রতিনিধি দল উপস্থিত থাকবেন ওই অনুষ্ঠানে।

    আরও পড়ুন: ভারতের বাঁধ নির্মাণে বাধা দিতে অরুণাচলপ্রদেশে উগ্রপন্থীদের মদত দিচ্ছে চিন!

    আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট জাভিয়ের মিলে, ইটালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভালোদিমির জেলেনস্কিকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তবে উল্লেখযোগ্যভাবে ওই তালিকায় নাম নেই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। ট্রাম্পের আমন্ত্রিত অতিথিদের যে তালিকা ফাঁস হয়েছে, তাতে মোদির নামই নেই। তবে সোমবার দিল্লিতে মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সুলিভানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন মোদি। পরে তিনি বলেন, “ভারত-মার্কিন (PM Modi) বিস্তৃত বৈশ্বিক কৌশলগত অংশীদারিত্ব প্রযুক্তি ও প্রতিরক্ষা-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে নয়া উচ্চতায় পৌঁছেছে (Donald Trump)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • JMB: খাগড়াগড়কাণ্ডে ধৃতকে বহরমপুর জেলে জেরা অসম এসটিএফ-এর, জেএমবি-এবিটির যোগ কতটা?

    JMB: খাগড়াগড়কাণ্ডে ধৃতকে বহরমপুর জেলে জেরা অসম এসটিএফ-এর, জেএমবি-এবিটির যোগ কতটা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খাগড়াগড় বিস্ফোরণকাণ্ডে (Khagragarh Blast) ধৃতকে জেরা করতে বহরমপুর জেলে অসম এসটিএফ। অভিযুক্ত তারিকুল ইসলাম ওরফে সুমনকে জেরা করছেন এসটিএফের সদস্যরা। সাম্প্রতিককালে, পশ্চিমবঙ্গ-সহ একাধিক রাজ্য থেকে যে জঙ্গি (JMB) ধরপাকড় করা হচ্ছে তাতে বারবার প্রশ্ন উঠছে খাগড়াগড় প্রসঙ্গ। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, ওই বিস্ফোরণের সঙ্গে যুক্ত অভিযুক্তরা আরও বিরাট নাশকতামূলক ষড়যন্ত্র করছে। পরিকল্পনাকে বাস্তবায়িত করতে জেলে বসেই নাকি ছক কষছে তারা। আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সঙ্গে খাগড়াকাণ্ডে ধৃত জামাতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ বা জেএমবি-র কী সম্পর্ক, তাদের নেটওয়ার্কের  নাড়ি নক্ষত্র জানতে তারিকুলকে জেরা করছেন গোয়েন্দারা। শোনা যাচ্ছে, তারিকুলকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদনও জানাতে পারে অসম পুলিশ। এই খবরে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে।

    খাগড়াগড়ের জঙ্গিরা ষড়যন্ত্রে সংযুক্ত (JMB)?

    সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্যে বাংলাদেশি জঙ্গিদের (Khagragarh Blast) প্রত্যক্ষ মদতে একটি বড় পরিকল্পনা করা হয়েছে। এই ঘটনায় খাগড়াগড়ের জঙ্গিরা ষড়যন্ত্রে সংযুক্ত রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এই গোটা ঘটনার মধ্যে প্রধান অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছে তারিকুল। মাত্র কয়েকদিন আগেই আনসারুল্লাহ বাংলা টিম বা এবিটি-র বেশ কিছু জঙ্গিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত ধৃতদের জেরা করে জানা গিয়েছে, জেলবন্দি তারিকুলই (JMB) জেল থেকে বিভিন্ন সময়ে নির্দেশ দেওয়ার কাজ করত। আবার ধৃত আব্বাস আলির সঙ্গেও একাধিকবার কথা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বাংলায় নাশকতা মূলক ছক অব্যাহত রাখেছে বলে মনে করছে গোয়েন্দা সংস্থা।

    জেএমবি-র সঙ্গে কীভাবে সমন্বয়ে রেখে কাজ করত?

    মুর্শিদাবাদের জঙ্গি (JMB) সন্দেহে হরিহরপাড়া থেকে প্রথমে গ্রেফতার করা হয়েছে আব্বাস আলি ও মিনারুল শেখকে। এরপর নওদা থেকে জঙ্গি সন্দেহে গ্রেফতার হয় সাজিবুল ইসলাম ও মোস্তাকিম শেখকে। আনসারুল্লাহ বাংলা টিম জেএমবি-র সঙ্গে কীভাবে সমন্বয়ে রেখে কাজ করত, সেই সব বিষয়ে জানতে চাইছেন গোয়েন্দারা। আবার  রাজ্যের একাধিক জেলে জামাতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ (জেএমবি) এবং এবিটি-র বেশ কয়েকজন জঙ্গি বন্দি রয়েছে। তাদের মধ্যে বেশ কিছু বাংলাদেশের জঙ্গিরাও রয়েছে। গোয়ান্দা সূত্রে খবর, তারিকুলের সঙ্গে মুর্শিদবাদ থেকে ধৃত এবিটি সদস্য মনিরুল শেখ আব্বাস আলির যোগাযোগের প্রমাণ মিলেছে। তা থেকেই স্পষ্ট, জেলে বন্দি ওই জঙ্গিরা তাদের সংগঠনের কাজে খুব সক্রিয় ছিল। তাই এবার তারিকুলকে (Khagragarh Blast) এবার হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চাইছে অসম এসটিএফ।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • India China Relation: ভারতের বাঁধ নির্মাণে বাধা দিতে অরুণাচলপ্রদেশে উগ্রপন্থীদের মদত দিচ্ছে চিন!

    India China Relation: ভারতের বাঁধ নির্মাণে বাধা দিতে অরুণাচলপ্রদেশে উগ্রপন্থীদের মদত দিচ্ছে চিন!

    মুখে মিষ্টতা। আর আস্তিনে লুকনো বাঘনখ! এভাবেই ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখতে চাইছে চিন! অন্তত আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের একাংশের ধারণা তেমনই। জঙ্গি গোষ্ঠী তৈরি করে জিইয়ে রাখতে চাইছে অশান্তি। এভাবেই তারা ক্রমশ কবজা করতে চাইছে ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ অরুণাচলপ্রদেশকে। আজ  প্রথম কিস্তি…

                                                                                             অরুণাচলপ্রদেশে ড্রাগনের থাবা ১

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখে মিষ্টতা। আর আস্তিনে লুকনো বাঘনখ! এভাবেই ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখতে চাইছে চিন (India China Relation)! অন্তত আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের একাংশের ধারণা তেমনই। দুই দেশে শীর্ষ নেতৃত্ব যখন একের পর এক বৈঠক করে ভারত-চিন সীমান্তে উত্তেজনা প্রশমনের চেষ্টা করছে, ঠিক তখনই অরুণাচলপ্রদেশে (Arunachal Pradesh) থাবা বসাচ্ছে ড্রাগনের দেশ! এক সময় চিন তাদের দেশের মানচিত্রে ঢুকিয়ে নিয়েছিল অরুণাচল প্রদেশের বেশ কিছু গ্রামকে।

    অশান্তি জিইয়ে রাখতে চাইছে চিন! (India China Relation)

    এবার উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে স্থায়ী অশান্তি জিইয়ে রাখতে নয়া উগ্রপন্থী সংগঠন সৃষ্টি করেছে বেজিং। নাম দেওয়া হয়েছে, ইউনাইটেড টানি আর্মি, সংক্ষেপে ইউটিএ। এই জঙ্গি সংগঠনের প্রধান উদ্দ্যেশ্যই হল হিমালয়ের কোলের রাজ্যে বিশেষত সিয়াং নদীতে নির্মীয়মান বৃহৎ বাঁধ প্রকল্পগুলিকে বাধা দেওয়া। এই সিয়াং নদী উৎপন্ন হয়েছে চিনের অধিকৃত তিব্বত  থেকে। বেজিংয়ের অভিপ্রায় শুধু ভারতের পরিকল্পিত ৫৭ হাজার মেগাওয়াটের বেশি পরিচ্ছন্ন শক্তি উৎপাদনের উদ্যোগ ব্যাহত করা নয়, বরং ভারতের সেই প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থাগুলিকেও নস্যাৎ করা যা চিনের সম্ভাব্য ‘জল যুদ্ধের’ বিরুদ্ধে সুরক্ষার জন্য নেওয়া হচ্ছে।

    ইউটিএর জন্ম

    প্রথমে লুকিয়ে চুরিয়ে সংগঠন গড়েছে ইউটিএ। ২০২৪ সালের বড়দিনের প্রাক্কালে বিবৃতি জারি করে নিজেদের উপস্থিতি ঘোষণা করে এই জঙ্গি সংগঠন। ওই বিবৃতিতে সিয়াং আপার মাল্টিপারপাস প্রকল্প (এসইউএমপি)-সহ বৃহৎ বাঁধ নির্মাণের বিরোধিতা করা হয়েছে। এসইউএমপি প্রকল্পটি ভারতের (India China Relation) জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এটি চিনের যারলুং জ্যাংবো নদীতে নির্মীয়মান বৃহৎ জলবিদ্যুৎ এবং জল সংরক্ষণ প্রকল্পগুলির বিপদ রোধ করার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।

    ব্রহ্মপুত্র

    এই নদী মাউন্ট কৈলাসের কাছে চিন অধিকৃত তিব্বত থেকে উৎপন্ন হয়ে তিব্বতী মালভূমি জুড়ে হাজার কিলোমিটারেরও বেশি পূর্বদিকে প্রবাহিত হয়েছে। পরে নামচা বারোয়ার কাছে একটি গভীর বাঁক নিয়ে অরুণাচলপ্রদেশে (Arunachal Pradesh)  প্রবেশ করেছে। সেখানে এর নাম হয়েছে সিয়াং। সিয়াং নদী তারপর দিবাং এবং লোহিত নদীর সঙ্গে মিলিত হয়ে অসমে ব্রহ্মপুত্র নাম নিয়েছে। চিন যারলুং জ্যাংবো নদীতে যে বৃহৎ বাঁধ নির্মাণ করছে, (বিশেষত নদীর ঘুরন্ত অংশ নামচা বারোয়ার ঘোড়ার নালের বাঁক-এ বিশ্বের বৃহত্তম বাঁধ নির্মাণের সাম্প্রতিক ঘোষণা), তা নদীর স্বাভাবিক প্রবাহকে বিঘ্নিত করবে।

    চিনের ব্যয়

    চিনের এই মেগা প্রকল্পের আনুমানিক ব্যয় ধরা হয়েছে ১৩৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি। এই প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে শুখা মরসুমে ভারতে জল সরবরাহ বন্ধ করে খরা সৃষ্টি করতে পারে চিন। আর ঠিক উল্টোটা হবে বর্ষাকালে। বিশাল পরিমাণে জল ছেড়ে বন্যা সৃষ্টি করতে পারে ভারতে। এই প্রকল্পের বিরুদ্ধে রক্ষাকবচ হিসেবে কাজ করবে এসইউএমপি, যা চিনের (India China Relation) সঙ্গে এমন ‘জল যুদ্ধ’ প্রতিরোধ করবে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এই প্রকল্প বাস্তবায়িত করার পাশাপাশি সিয়াং নদীতে নির্মীয়মান বৃহৎ বাঁধ প্রকল্পগুলিকে বাধা দিতেই চিন জন্ম দিয়েছে ইউটিএর। অরুণাচল প্রদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মামা নাটুং বলেন, “ইউটিএ (UTA) হল ন্যাশনাল লিবারেশন কাউন্সিল অব তানিল্যান্ড (NLCT)-এর নয়া রূপ। ২০১০ সালের শেষের দিকে অরুণাচল প্রদেশ পুলিশ নিষ্ক্রিয় করেছিল এনএলসিটিকে।”

    এনএলসিটি

    এনএলসিটি একটি (Arunachal Pradesh) ছোটো উগ্রপন্থী দল, যার সঙ্গে সম্পর্ক ছিল খাপলাং-ইউং আউং গোষ্ঠীভুক্ত ন্যাশনাল সোশ্যালিস্ট কাউন্সিল অব নাগাল্যান্ড (NSCN-KYA)-এর। তাদের অস্ত্রাগারে ছিল কিছু দেশীয় রাইফেল এবং কয়েকটি (India China Relation) পুরানো পিস্তল। ২০০৫ সালে গঠিত এনএলসিটিতে, এক ডজনের কিছু বেশি সদস্য ছিল। তানি জনগণের জন্য একটি পৃথক জাতি গড়ে তোলার যে দাবি তুলেছিল, তাকে সমর্থন করেনি স্থানীয় জনগণই। তানি জনগণ হলেন আদি, নিয়িশি, গালো, আপাতানি এবং তাগিন সম্প্রদায়ের মানুষ, যাঁরা অরুণাচল প্রদেশের কেন্দ্রীয় ও উত্তরাঞ্চলে বসবাস করেন। রাজ্যের জনসংখ্যার একটি উল্লেখযোগ্য অংশই হলেন এঁরা।

    আরও পড়ুন: ফের একবার ইভিএমে কারচুপির অভিযোগ উড়িয়ে দিলেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার

    তোলা আদায়

    এই এনএলসিটি সাধারণত ব্যবসায়ী ও ঠিকাদারদের কাছ থেকে তোলা আদায় করত। কয়েকটি অপহরণের ক্ষেত্রেও নাম জড়িয়েছিল এদের। তবে লাগাতার পুলিশি অভিযানের জেরে ২০১০ সালের নভেম্বর-ডিসেম্বরে দুরমুশ হয়ে যায় সংগঠনের কোমর। এনএলসিটি-র চেয়ারম্যান, অ্যান্থনি ডোক এবং বেশিরভাগ সদস্য হয় গ্রেফতার হয়েছিলেন, নয়তো নিজেরাই পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেছিলেন। জেল খেটে বেরিয়ে ডোক অরুণাচলপ্রদেশের (Arunachal Pradesh) রাজধানী ইটানগরে একটি রেস্তোরাঁ খোলেন। পুলিশ কয়েক মাস ধরে তাঁর ওপর নজরদারি করেছিল। পরে যখন দেখা গেল ডোক সাধারণ জীবনযাপন করতে শুরু করেছেন, এবং সমাজের মূল স্রোতে ফিরতে প্রাণপণ চেষ্টা করছেন, তখন তাঁর ওপর নজরদারি বন্ধ করে দেয় পুলিশ (India China Relation)।

    চলবে…

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: তাঁর ছবি ব্যবহার করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুয়ো পোস্ট, পুলিশে নালিশ জানালেন সুকান্ত

    Sukanta Majumdar: তাঁর ছবি ব্যবহার করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুয়ো পোস্ট, পুলিশে নালিশ জানালেন সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বালুরঘাটের সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) ছবি লাগিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুয়ো পোস্ট করার অভিযোগ। এই ঘটনা জানাজানি হতেই দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা জুড়ে শোরগোল পড়ে যায়। বিষয়টি নজরে আসে খোদ বিজেপির রাজ্য সভাপতির। তিনি এই বিষয়ে পদক্ষেপ করার জন্য জেলা সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

    ঠিক কী অভিযোগ? (Sukanta Majumdar)

    বেসরকারি লোন দানকারী সংস্থার বিজ্ঞাপনে বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) ছবি দেওয়া রয়েছে। সেখানে বড় বড় হরফে লেখা রয়েছে সুদ ছাড়াই ৪০ হাজার টাকা পর্যন্ত লোন দেওয়া হচ্ছে মা, বোনেদের। আর এই ছবি সোমবার সকাল থেকে বিভিন্ন সমাজমাধ্যমে দেখা মিলতেই নড়েচড়ে বসেছে বিজেপির আইটি সেল। সুকান্ত মজুমদারের অ্যাসিস্ট্যান্ট পার্সোনাল সেক্রেটারি বিষয়টি প্রথমে নজরে আনেন। আর তারপরই লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন সুকান্তবাবু। রাজনৈতিক কাজে এই মুহূর্তে জেলার বাইরে রয়েছেন তিনি। সেখান থেকেই জেলা পুলিশ সুপারের কাছে তিনি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁর নাম ও ছবি অনুমতি ছাড়াই কেন ওই ঋণদানকারী সংস্থা ব্যবহার করছে তা জানতে চান। পুলিশকে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানান তিনি।

    আরও পড়ুন: বন্দি বিনিময় দুই দেশের, ভারতের ৯৫ জন, বাংলাদেশের ৯০ মৎস্যজীবী ফিরছেন ঘরে

    কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কী বললেন?

    এই বিষয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি (Sukanta Majumdar) তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার বলেন,“আমি সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে জানতে পারি যে আমার ছবি অবৈধভাবে ব্যবহার করে একটি অ্যাপে ঋণ দেওয়ার একটি প্রকল্পের প্রচার করা হচ্ছিল। আমি দেখেছি ওই অ্যাপগুলোতে শুধু আমি নই, দেশের বহু মুখ্যমন্ত্রী ও বিভিন্ন মন্ত্রীদের ছবি নিয়ে তারা এইরকম অপপ্রচার করছে। তারা কম সুদে লোন দেবার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে। আমি এই বিষয়ে নিয়ে অভিযোগ করেছি। আমি আশা করছি পুলিশ এই ঘটনার সঠিক তদন্ত করবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Rajiv Kumar: ফের একবার ইভিএমে কারচুপির অভিযোগ উড়িয়ে দিলেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার

    Rajiv Kumar: ফের একবার ইভিএমে কারচুপির অভিযোগ উড়িয়ে দিলেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের একবার ইভিএমে (EVM) কারচুপির অভিযোগ উড়িয়ে দিলেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার (Rajiv Kumar)। মঙ্গলবার তিনি বলেন, “সুপ্রিম কোর্ট এই যন্ত্রগুলির বিশ্বাসযোগ্যতার পক্ষে সাফাই দিয়েছে।”

    কী বললেন রাজীব কুমার? (Rajiv Kumar)

    এদিন সাংবাদিক বৈঠকে রাজীব কুমার বলেন, “ইভিএম-এ কোনও অবিশ্বাসযোগ্যতা বা কোনও ত্রুটির প্রমাণ নেই। ইভিএমে ভাইরাস বা বাগ আনার কোনও প্রশ্নই ওঠে না। ইভিএমে অবৈধ ভোটের কোনও সুযোগ নেই। কারচুপি অসম্ভব।” তিনি বলেন, “বিভিন্ন রায়ে উচ্চ আদালত এবং সুপ্রিম কোর্ট বারবার এ কথা বলেছে। এর বাইরে আর কী বলা যায়? গণনার জন্য ইভিএম সম্পূর্ণ নিরাপদ। কারচুপির অভিযোগ ভিত্তিহীন।”

    ব্যালট সিস্টেমে ফেরা হবে না

    ইভিএমে কারচুপি করা হয় এই অভিযোগ তুলে ব্যালট সিস্টেমে ফিরে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন তৃণমূল-সহ কয়েকটি রাজনৈতিক দল। এদিন সেই পরামর্শও উড়িয়ে দিয়ে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার (Rajiv Kumar) বলেন, “পুরনো কাগজের ব্যালট পদ্ধতিতে ফিরে যাওয়া অপ্রয়োজনীয় এবং পশ্চাৎমুখী। এটি নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার একটি প্রচেষ্টা।” ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ দেওয়ার অভিযোগও অস্বীকার করেন রাজীব কুমার। বলেন, “যে কোনও অভিযোগ এবং আপত্তি যা ওঠে – তা সমস্ত রাজনৈতিক দলের সঙ্গে শেয়ার করা হয়। ভারতীয় ভোটাররা অত্যন্ত সচেতন। ভোটার তালিকা নিয়ে অনেক গল্প ছড়াচ্ছে, এমনকি এখনও। প্রায় ৭০টি ধাপ রয়েছে, যেখানে রাজনৈতিক দল এবং প্রার্থীরা আমাদের সঙ্গে থাকেন। ফর্ম ৭ ছাড়া কোনও নাম বাদ দেওয়া সম্ভব নয়।”

    আরও পড়ুন: ট্রুডোর পরে কানাডার প্রধানমন্ত্রী পদের অন্যতম দাবিদার অনিতা আনন্দ, চেনেন তাঁকে?

    তিনি বলেন, “যাঁরা মহিলাদের বিরুদ্ধে অপ্রীতিকর মন্তব্য করেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” মুখ্য নির্বাচন কমিশনার বলেন, “লোকেরা এমন পর্যায়ে চলে যায় যে তারা নির্বাচনী কর্তাদের হুমকি দেয়। কিন্তু আমরা নিজেদের নিয়ন্ত্রণ করি। তারকা প্রচারক ও যাঁরা রাজনৈতিক প্রচারের সঙ্গে জড়িত, তাঁদের কর্তব্যই হল শিষ্টাচার বজায় (EVM) রাখা।” এর পরেই তিনি (Rajiv Kumar) বলেন, “যদি কেউ মহিলাদের সম্পর্কে কিছু বলেন, আমরা খুব, খুব কঠোর হব।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share