Tag: Madhyom

Madhyom

  • Nitish Kumar: “ভুল করে গিয়েছিলাম, আমি এখন পুরনো বন্ধুদের সঙ্গেই রয়েছি”, সাফ কথা নীতীশের

    Nitish Kumar: “ভুল করে গিয়েছিলাম, আমি এখন পুরনো বন্ধুদের সঙ্গেই রয়েছি”, সাফ কথা নীতীশের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আমরা (জেডিইউ) ভুল করে দু’বার ভুল পথে চলে গিয়েছিলাম। এখন আমরা সব সময় এনডিএর সঙ্গেই থাকব এবং উন্নয়নমূলক কাজে মনোনিবেশ করব।” সাফ জানিয়ে দিলেন বিহারের (Bihar) মুখ্যমন্ত্রী জেডিইউয়ের নীতীশ কুমার (Nitish Kumar)। সম্প্রতি সংবাদ মাধ্যমে এক সাক্ষাৎকারে বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা আরজেডি সুপ্রিমো লালুপ্রসাদ যাদব বলেছিলেন, “নীতীশ কুমারের জন্য আমাদের দরজা সব সময় খোলা। তাঁরও উচিত দরজা খুলে রাখা। এতে উভয়পক্ষের যাতায়াত সহজ হবে।”

    ভুল ‘কবুল’ নীতীশের (Nitish Kumar)

    এই প্রসঙ্গেই ভুল ‘কবুল’ নীতীশের। সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “আমি ভুল করে তাদের সঙ্গে গিয়েছিলাম। কিন্তু এখন আমি আমার পুরানো বন্ধুদের সঙ্গেই রয়েছি।” বিহারের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “মহিলাদের অবস্থা আগে কেমন ছিল? আমরা যখন ‘জীবিকা দিদি’ প্রকল্প শুরু করেছিলাম – মহিলারা খুশি হয়েছিলেন। যখনই তাঁদের কোনও সাহায্যের প্রয়োজন হয়, তাঁদের সাহায্য করা হয়।” এর পরেই ভুল স্বীকার নীতীশের। তিনি বলেন, “তারা (বিরোধী) মহিলাদের জন্য কোনও কাজ করেছে? আমরা সকলের জন্য কাজ করেছি – হিন্দু, মুসলিম, উচ্চবর্ণ, পশ্চাদপদ, দলিত বা মহিলা – যেই হোক না কেন। মানুষের এটা মনে রাখা উচিত।”

    লালু সরকারের সমালোচনা

    লালুপ্রসাদ সরকারের সমালোচনা করে নীতীশ (Nitish Kumar) বলেন, “২০০৫ সালের আগে বিহারের অবস্থা খুব খারাপ ছিল। সন্ধ্যার পর মানুষ ঘর থেকে বের হতে ভয় পেত। হাসপাতালে চিকিৎসার উপযুক্ত ব্যবস্থা ছিল না। রাস্তাঘাট জরাজীর্ণ ছিল। শিক্ষার অবস্থা ভালো ছিল না। রাজ্যে প্রায়ই সাম্প্রদায়িক হিংসার খবর পাওয়া যেত।” ২০১৫ সালে আরজেডি-কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করেন মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। এই জোটই সরকার গঠন করেছিল বিহারে।

    আরও পড়ুন: সাধুর ভিড়ে মহাকুম্ভে হানা দিতে পারে জঙ্গিরা, কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা

    ২০১৭ সালে জোটের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে এনডিএতে ফিরে যান নীতীশ। ২০২২ সালের অগাস্টে লোকসভা নির্বাচনের আগে ফের ওই জোটে ফিরে যান তিনি। পরে ফেরেন এনডিএ-তে। এনডিএ শিবিরে যোগ দেওয়ার পর যে বিহারে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে, এদিন তা মনে করিয়ে দেন নীতীশ। পরে বলেন, “আগে বিহারের যে কোনও প্রান্ত থেকে মানুষের পাটনা পৌঁছতে ৬ ঘণ্টা সময় লাগত, এখন তা কমে ৫ ঘণ্টা হয়েছে। এই লক্ষ্য পূরণের জন্য (Bihar) সব ধরনের কাজ করা হচ্ছে (Nitish Kumar)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Supreme Court: সুপ্রিম কোর্টে এসএসসি চাকরি বাতিল মামলার শুনানি পিছল, ওবিসি মামলার রায় মে মাসেই

    Supreme Court: সুপ্রিম কোর্টে এসএসসি চাকরি বাতিল মামলার শুনানি পিছল, ওবিসি মামলার রায় মে মাসেই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) এসএসসি চাকরি বাতিল মামলার শুনানি মুলতুবি হয়ে গেল। পরবর্তী শুনানি হবে ১৫ জানুয়ারি দুপুর ২টোয়। অন্যদিকে, ওবিসি শংসাপত্র বাতিল মামলার শুনানিও পিছিয়ে গিয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। প্রসঙ্গত, কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে কয়েক লক্ষ ওবিসি সার্টিফিকেট বাতিল করে দেওয়া হয়েছিল। সেই নির্দেশের নিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় রাজ্য। এদিন সেই মামলার শুনানি ছিল। কিন্তু তাও পিছিয়ে দেওয়া হল।

    আদালতের কী পর্যবেক্ষণ? (Supreme Court)

    এদিন প্রধান বিচারপতির (Supreme Court) বেঞ্চে প্রথমেই ওঠে এসএসসি মামলা। তবে আরও কিছু তথ্য জমার প্রয়োজন রয়েছে বলে পর্যবেক্ষণ প্রধান বিচারপতির সঞ্জীব খান্নার। নির্দেশ দেন, আজই সিবিআইকে মামলার রিপোর্ট জমা দিতে হবে। সব পক্ষ হলফনামা জমা দেবে ১৫ তারিখের মধ্যে। এসএসসির ২৬ হাজার চাকরি বাতিল সংক্রান্ত মামলাটির শেষ শুনানিতে শীর্ষ আদালত মূলত যোগ্য এবং অযোগ্য চাকরিপ্রাপকদের বাছাই করার ওপরে জোর দিয়েছিল। প্রধান বিচারপতি জানিয়েছিলেন, কলকাতা হাইকোর্টের রায় বহাল রেখে ২০১৬ সালের পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়াই বাতিল করা হবে, নাকি যোগ্য এবং অযোগ্য চাকরিপ্রাপকদের আলাদা করা তা বিবেচনা করা হবে। তিনি মন্তব্য করেছিলেন, ‘যোগ্য-অযোগ্য বাছাই করা না গেলে পুরো প্যানেল বাতিল করতে হবে।’ ব্যক্তিগতভাবে প্রার্থীদের সাক্ষাৎপর্ব ও তথ্য সংগ্রহের কাজও প্রায় শেষ করে এনেছেন সিবিআই আধিকারিকরা। ইতিমধ্যে নবম থেকে দ্বাদশের শিক্ষক ও গ্রুপ বি এবং গ্রুপ সি-তে কতজনকে নিয়োগ করা হয়েছে তার পুঙ্খানুপুঙ্খ তথ্য আদালতে জমা দিয়েছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। এখন কোন সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয় তার খানিকটা আভাস পাওয়া যাবে আগামী ১৫ জানুয়ারি।

    আরও পড়ুন: শীতের সকালে তিব্বতে জোরালো ভূমিকম্প! তীব্রতা ৭.১, কেঁপে উঠল কাঠমান্ডু থেকে কলকাতা

     ওবিসি শংসাপত্র বাতিল মামলার শুনানি কবে?

    পাশাপাশি, এদিন সুপ্রিম কোর্টে ওবিসি শংসাপত্র মামলারও শুনানি ছিল। কিন্তু, পিছিয়ে গেল সেই মামলার শুনানিও। কলকাতা হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে পশ্চিমবঙ্গ সরকার যে মামলা দায়ের করেছে, তার শুনানি আগামী ২৮-২৯ জানুয়ারি হবে বলে জানিয়েছে শীর্ষ আদালত। বিচারপতি বিআর গভাই এবং বিচারপতি অগাস্টিন জর্জ মসিহের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে যে, মামলায় বিস্তারিত শুনানির প্রয়োজন আছে। সেইসঙ্গে শীর্ষ আদালত আশ্বাস দিয়েছে যে আগামী মে’তে গ্রীষ্মকালীন ছুটি শুরু হওয়ার আগেই মামলা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আপাতত হাইকোর্টের রায়ই বহাল থাকল। সংবাদমাধ্যম লাইভ ল’র প্রতিবেদন অনুযায়ী, রাজ্য সরকারের আইনজীবী কপিল সিব্বল আর্জি জানান যে, নয়া শিক্ষাবর্ষ শুরুর আগে যেন ওবিসি মামলার ফয়সালা করা হয়। তিনি আগেই শীর্ষ আদালতে সওয়াল করেছিলেন যে, হাইকোর্টের রায়ের কারণে সাধারণ মানুষ ওবিসি শংসাপত্র ব্যবহার করতে পারছেন না। আটকে রয়েছে নিয়োগ প্রক্রিয়া। আর সেটার প্রেক্ষিতেই মে’র মধ্যে সেই মামলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আশ্বাসবাণী দিয়েছে বিচারপতি গভাই এবং বিচারপতি মসিহের ডিভিশন বেঞ্চ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mahakumbh Mela 2025: ‘মেলায় হারিয়ে যাওয়া…’! কুম্ভমেলায় হারানোদের খুঁজে বের করবে উচ্চ-প্রযুক্তির এআই

    Mahakumbh Mela 2025: ‘মেলায় হারিয়ে যাওয়া…’! কুম্ভমেলায় হারানোদের খুঁজে বের করবে উচ্চ-প্রযুক্তির এআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বলিউড-টলিউডের সিনেমার গল্পে মেলায় গিয়ে পরিবারের থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়া এবং পরে আবার মিলিত হওয়ার অনেক দৃষ্টান্ত পাওয়া যায়। এবার এই কুম্ভে “মেলায় হারিয়ে যাওয়া”-এই প্রাচীন উক্তিকে ভুল প্রমাণিত করতে উদ্যোগী হয়েছে যোগী প্রশাসন। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দ্বারা চালিত উচ্চ-প্রযুক্তি ব্যবহার করে মেলায় হারানো এবং খুঁজে পাওয়ার পঞ্জিকরণ করার বিশেষ ব্যবস্থা রাখার কথা জানানো হয়েছে। ফলে মেলায় প্রিয়জন বা আপনজনদের বিচ্ছিন্ন হওয়ার প্রবাদকে নস্যাৎ করবে এই নয়া প্রযুক্তি (Yogi Administration)। ২০২৫ সালের কুম্ভমেলায় (Mahakumbh Mela 2025) কোটি কোটি হিন্দুদের সর্ববৃহৎ মহাসঙ্গম হবে। তাই বাচ্চা থেকে বয়স্ক নাগরিকরা যাতে হারিয়ে না যান বা হারিয়ে গেলে যাত্র দ্রুত সন্ধান করা যায়, সেই জন্য অভিনব প্রযুক্তির ব্যবহার করা হবে। ফলে ‘যোগী হ্যায় তো মুমকিন হ্যায়’ এই কথাও কার্যকর হবে বলে মনে করছেন আদিত্যনাথের ভক্তরা।

    সহায়তা কেন্দ্রের নাম দেওয়া হয়েছে ১৯২০ (Mahakumbh Mela 2025) 

    ভারতবর্ষ একটি বহু মিলনমেলার দেশ। এখানে প্রত্যেক রাজ্য, প্রত্যেক জেলা এমনকি প্রত্যেক গ্রামে এক এক সময়ে মেলা হয়ে থাকে। মেলায় অংশ গ্রহণ করে থাকেন দুরদূরান্তের লোকজন। মেলার মহালোকারণ্য, সাজসজ্জা এবং গোলোক ধাঁধায় অনেক মানুষের, বিশেষ করে শিশুদের হারিয়ে যাওয়ার একটা ঘটনা সব জায়গায় ঘটে থাকে। তার মধ্যে তীর্থ ক্ষেত্রের মহামেলায় মানুষ হারিয়ে যাওয়া একটি বড় সমস্যা ছিল দেশবসীর কাছে। এবার প্রয়াগরাজের মহাকুম্ভমেলায় (Mahakumbh Mela 2025) তীর্থযাত্রীদের ডিজিটাল নিবন্ধীকরণের প্রচেষ্টা করা হয়েছে। মেলা কর্তৃপক্ষ এবং পুলিশ প্রশাসন জানিয়েছে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি ব্যবহার করে হারানো এবং প্রাপ্তির কম্পিউটারাইজড রেজিস্ট্রেশন করা হবে। এই সহায়তা কেন্দ্রের নাম দেওয়া হয়েছে ১৯২০। হারিয়ে যাওয়া ব্যক্তির পরিবার এবং আত্মীয়ের সঙ্গে দ্রুত সম্পর্ক স্থাপন করে ফেরত পাঠানোর কথা বলা হয়।

    কুম্ভের ঐশ্বরিক ও মহৎ ভাবনায় ডিজিটাল প্রযুক্তির সমন্বয়

    সেক্টর ম্যাজিস্ট্রেট জ্ঞান প্রকাশ বলেন, “আমাদের ইচ্ছে কুম্ভকে ঐশ্বরিক ও মহৎ ভাবনাকে ডিজিটাল প্রযুক্তির সমন্বয় ঘটানো। কম্পিউটারাইজড প্রযুক্তির ব্যবহার করে হারানো এবং প্রাপ্তির বিশেষ সেন্টার তৈরি করা হয়েছে। এই প্রয্যুক্তি বিভিন্ন উপায়ে খোঁজ বা অনুসন্ধান করে থাকে। যেমন-১০ বছর আগেকার তুলায় এখন কেমন হয়েছে ছবি, সামাজিক মাধ্যমের সঙ্গে ছবির মিল বা অমিল ইত্যাদি বিষয়ে তথ্যের অনুসন্ধান দেবে। মহাকুম্ভে (Mahakumbh Mela 2025) দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ আসবেন, বিভিন্ন উপভাষায় কথা বলবেন। এই অনুষ্ঠান চলাকালীন, কম্পিউটারাইজড সিস্টেমের মাধ্যমে তাঁদের ভাষা হিন্দি বা ইংরেজিতে অনুবাদ করা হবে। হারিয়ে যাওয়া ব্যক্তিদের থাকার জন্য একটি নির্ধারিত জায়গায় পাওয়া যাবে। যেখানে প্রায় ১০০টি শয্যা বিশিষ্ট একটি কক্ষ থাকবে। যদি শিশুরা তাদের পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়, তবে তাদের সাময়িক কষ্ট নিবারনের জন্য একটি বিনোদনের কেন্দ্রও স্থাপন করা হয়েছে।”

    আরও পড়ুনঃ ছত্তিশগড়ে এনকাউন্টারে খতম ৪ মাওবাদী, শহিদ এক ডিআরজি হেড কনস্টেবল

    পুলিশ দায়িত্ব নিয়ে যথাস্থানে পৌঁছে দেবে

    সেক্টর ম্যাজিস্ট্রেট জ্ঞান প্রকাশ আরও বলেন, “একটি কেন্দ্রে চিকিৎসকদের একটি দল মানসিক ভাবে সান্ত্বনা দেওয়ার কাজ করবেন। প্রয়োজনে কাউন্সেলিং পরিষেবারও ব্যবস্থা করা হবে।” অপর দিকে, এই কেন্দ্রে নথিভুক্তিকরণ বা রেজিশট্রেশনের (Yogi Administration) জন্য সব সময় ১০ জন করে ব্যক্তি উপস্থিত থাকবেন। আরও সহায়তার জন্য একটি পুলিশ ডেস্ক এবং পুনরায় ফিরে পাওয়ার আলাদা ডেস্ক থাকবে। কেউ যদি মেলায় হারিয়ে যায় তাহলে স্থানীয় থানায় যোগাযোগ করলে এই কেন্দ্র থেকে সহযোগিতা পাওয়া যাবে। পুলিশ দায়িত্ব নিয়ে প্রথমে পরিচয় যাচাই করবে এবং তাকে নিরাপদে যথা স্থানে পৌঁছে দেবে।

    ১২ বছর পর পালিত হচ্ছে মহাকুম্ভ

    উল্লেখ্য, মহাকুম্ভ প্রতি ১২ বছরে একবার আসে, আর পূর্ণ কুম্ভ আসে ১৪৪ বছরে। এবার মহাকুম্ভের (Mahakumbh Mela 2025) সঙ্গে সঙ্গে রয়েছে পূর্ণ কুম্ভও। এই বছর আগামী মকর সংক্রান্তি ১৩ জানুয়ারী থেকে ২৬ ফেব্রুয়ারি মহাশিবরাত্রি পর্যন্ত প্রয়াগরাজে অনুষ্ঠিত হবে। এই মেলায় প্রচুর ভক্তদের উপস্থিতির আশা করা হচ্ছে। দুর্ঘটনা রোধ করতে জেলা প্রশাসন ভক্তদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য বিশেষ করে ভিড় ব্যবস্থাপনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ করেছে। মেলায় আগুনের ঘটনা এড়ানোর জন্য সতর্কীকরণ করা হয়েছে।

    পাপমুক্তি এবং মোক্ষ দেয় কুম্ভস্নান

    পুরাণে কথিত রয়েছে, সমুদ্র মন্থনের ফলে যে অমৃত উঠেছিল তার এক ফোঁটা অমৃত ত্রিবেণী সঙ্গমে পড়েছিল। তাই ধরাধাম থেকে মুক্তি পেতে তীর্থযাত্রীরা কুম্ভের (Mahakumbh Mela 2025) ত্রিবেণী সঙ্গম-গঙ্গা, যমুনা এবং সরস্বতী নদীর (পৌরাণিক) সঙ্গমস্থলে ছুটে আসেন। পাপমুক্তি এবং মোক্ষ (মুক্তি) লাভের বাসনা বিশ্বাস করে পবিত্র স্নান করে থাকেন। মহাকুম্ভ মেলা ভারতের জন্য একটি ঐতিহাসিক উপলক্ষ হিসাবে চিহ্নিত। এবার ৪৫ কোটিরও বেশি তীর্থযাত্রীদের মহাগমন ঘটবে বলে জানা গিয়েছে। মেলার সব রকম প্রস্তুতি এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে বলে জানিয়েছে যোগী প্রশাসন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • India US Nuclear Cooperation: অসামরিক পরমাণু ক্ষেত্রে ভারতের সঙ্গে কাজ করতে উদ্যোগী আমেরিকা

    India US Nuclear Cooperation: অসামরিক পরমাণু ক্ষেত্রে ভারতের সঙ্গে কাজ করতে উদ্যোগী আমেরিকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পোখরানে পরমাণু পরীক্ষার জেরে যে ভারতীয় পারমাণবিক সংস্থাগুলির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল তা প্রত্যাহার করতে চলেছে আমেরিকা। ভারত সফরে এসে মার্কিন নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সুলিভান জানান, ভারতের প্রধান পরমাণু সংগঠন ও মার্কিন কোম্পানিগুলোর মধ্যে সহযোগিতা বাধাগ্রস্ত করে এমন বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করবে যুক্তরাষ্ট্র। ভারতের নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল ও বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে বৈঠকের পর ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির (আইআইটি) সভায় দেওয়া ভাষণে জো বাইডেন প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তা এই ঘোষণা করেছেন। সুলিভানের মতে, এই পদক্ষেপ ‘অতীতের সংঘাত’ থেকে সরে আসার একটি সুযোগ।

    কী বললেন সুলিভান

    হোয়াইট হাউসে নেতৃত্ব বদলের প্রস্তুতির মাঝেই শেষবারের মতো ভারত সফরে এসেছেন মার্কিন নিরাপত্তা উপদেষ্টা। সোমবার নয়াদিল্লিতে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। এর পরই ভারতের জন্য পরমাণু নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘‘শীর্ষ পারমাণবিক প্রতিষ্ঠানগুলির সঙ্গে মার্কিন সংস্থাগুলির সহযোগিতা বন্ধের যে বিধিনিষেধ ছিল তা তুলে নেওয়া হবে। এই প্রক্রিয়া ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। আমার মনে হয় এই পদক্ষেপের জেরে অতীতের সমস্যা কাটিয়ে এক নয়া অধ্যায় শুরু করতে চলেছে দুই দেশ। এর ফলে সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার পাশাপাশি, দুই দেশের বিজ্ঞানী এবং প্রযুক্তিবিদরা শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক সহযোগিতা মাধ্যমে কাজ করতে পারবেন।’’

    কেন নিষেধাজ্ঞা

    ১৯৯৮ সালে পোখরানের মাটির নিচে পরমাণু পরীক্ষা করেছিল ভারত। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী সেই সাফল্যের কথা আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করার পর ভারতের উপর অর্থনৈতিক তো বটেই পরমাণু বিষয়ক ২০০টির বেশি সংস্থার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। পরে আর্থিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হলেও, সংস্থাগুলির উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেনি তারা। নিষেধাজ্ঞার তালিকায় ছিল, ‘ভাভা অ্যাটমিক রিসার্চ সেন্টার’-এর ডিপার্টমেন্ট অফ অ্যাটমিক এনার্জি, ‘ইন্দিরা গান্ধী সেন্টার ফর অ্যাটমিক রিসার্চ’, ‘ইন্ডিয়ান রেয়ার আর্থ’, ‘নিউক্লিয়ার রিয়েক্টর্স’-এর মতো সংস্থাগুলি। 

    পিছু হঠল আমেরিকা

    অবশেষে পরমাণু পরীক্ষার ২৬ বছর পর এবার জেদ ছেড়ে পিছু হঠল আমেরিকা। নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে পরমাণু শক্তি উৎপন্নের লক্ষ্যে একসঙ্গে কাজ করার বার্তা দিল ওয়াশিংটন। আমেরিকার এই সিদ্ধান্ত ভারতের জন্য ভালো খবর তো বটেই, পাশাপাশি পরমাণু ক্ষেত্রে দুই দেশ ভবিষ্যতে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এই সিদ্ধান্তের সুবিধা পাবেন ভারতের অসামরিক একাধিক পারমাণবিক পরীক্ষা সংক্রান্ত প্রতিষ্ঠান। ‘যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত: অভিন্ন ভবিষ্যৎ নির্মাণ’ শীর্ষক আলোচনায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে সুলিভান এই বিধিমালা অপসারণের পদক্ষেপকে ‘ঐতিহাসিক পদক্ষেপ’ বলে বর্ণনা করেছেন। 

    শীঘ্রই কাগজপত্র তৈরি

    ২০০৫ সালের জুলাই মাসে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং এবং প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি জর্জ ডব্লু বুশের মধ্যে বৈঠকের সময় ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অসামরিক পারমাণবিক সহযোগিতার জন্য একটি উচ্চাভিলাষী পরিকল্পনা উন্মোচন করেছিল। ২০০৮ সালে ভারত-মার্কিন অসামরিক পরমাণু চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়, কিন্তু নিয়ন্ত্রক বাধার কারণে ভারতকে মার্কিন পরমাণু চুল্লি সরবরাহের পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হয়নি। সুলিভান জানান, ভারত ও আমেরিকার মধ্য শীঘ্রই এই বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কাগজপত্র স্বাক্ষর করা হবে।

    সুলিভান বলেন, বাইডেন প্রশাসন ‘সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে মার্কিন-ভারত অংশীদারিত্বকে দৃঢ় করার পরবর্তী বড় পদক্ষেপ করার সময় এসেছে। কৌশলগত অংশীদার হিসেবে এবং শান্তিপূর্ণ পরমাণু সহযোগিতার অঙ্গীকারবদ্ধ দেশ হিসেবে আমরা যে অগ্রগতি অর্জন করেছি এবং যে অগ্রগতি অব্যাহত রাখব তার প্রতি আস্থার বহিঃপ্রকাশ এটি। এটি চার বছর ধরে আমাদের প্রশাসনের সঙ্গে ভারতের উন্মুক্ত ও স্বচ্ছ সম্পর্কের ফলাফল, যা আমাদের একসঙ্গে এই নতুন অধ্যায়ের সূচনা করতে সক্ষম করেছে।’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BJP: আধ কোটি ছুঁই ছুঁই বঙ্গ বিজেপির সদস্য, অভিযানের আবহে জনসংযোগ প্রায় ২ কোটি মানুষের সঙ্গে

    BJP: আধ কোটি ছুঁই ছুঁই বঙ্গ বিজেপির সদস্য, অভিযানের আবহে জনসংযোগ প্রায় ২ কোটি মানুষের সঙ্গে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপির (BJP) সদস্যতা অভিযানে ব্যাপক সাড়া পশ্চিমবঙ্গে (West Bengal)। তৃণমূলের সন্ত্রাসকে উপেক্ষা করেও যেভাবে সাফল্য মিলছে সদস্যতা অভিযানে, তাতে উচ্ছ্বসিত কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। বঙ্গ বিজেপি সূত্রে খবর, দলের সদস্যতা প্রায় ৫০ লাখ ছুঁই ছুঁই। শুধু তাই নয়, গেরুয়া শিবিরের অন্দরের খবর সদস্যতা অভিযানের আবহে বিজেপির নেতা-কর্মীরা প্রায় ২ কোটি মানুষের কাছে পৌঁছেছেন। এনিয়ে বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘৪০ লক্ষ পার করে দিয়েছি। আশা করি ১০ জানুয়ারির মধ্যে ৫০ লাখ হয়ে যাবে।’’ প্রসঙ্গত, সারাদেশের নিরিখে কিছুটা দেরিতেই শুরু হয়েছিল বঙ্গ বিজেপির সদস্যতা অভিযান। তারপরেও এই ব্যাপক সাফল্য বিজেপির প্রতি বাংলার মানুষের বিপুল সমর্থনেরই প্রতিফলন, এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।

    ১৮২ বিধানসভায় ১৫ হাজারেরও বেশি সদস্য (BJP)

    দেরিতে সদস্যতা অভিযান শুরু হওয়ার কারণ হিসেবে বঙ্গ বিজেপির (BJP) নেতারা জানাচ্ছেন, আরজি কর আন্দোলন, এবং তারপর দুর্গাপুজো। এই কারণেই সদস্য সংগ্রহ অভিযান দেরিতে শুরু হয়। গোটা দেশের তুলনায় প্রায় দেড় মাস পর শুরু হয় বঙ্গ বিজেপির কর্মসূচি। তাই সদস্যতা অভিযান শেষ করার দিন ১০ জানুয়ারি করা হয়েছে। সারা রাজ্যে (West Bengal) বিজেপির লোকসভাভিত্তিক সাংগঠনিক জেলা রয়েছে। গেরুয়া শিবির সূত্রে জানা গিয়েছে, এর মধ্যে ১৬টি জেলাতেই পার করে গিয়েছে ১ লাখ সদস্যতা। অন্যদিকে ১৮২টি বিধানসভাতে ১৫ হাজারেরও বেশি সদস্য করাতে পেরেছেন বিজেপির নেতা-কর্মীরা।

    সম্প্রতি সদস্যতা অভিযানের পর্যালোচনা বৈঠক হয় সেক্টর ফাইভে 

    তৃণমূলের প্রবল সন্ত্রাস উপেক্ষা করেও যেভাবে বঙ্গ বিজেপির (BJP) নেতা-কর্মীরা সদস্যতা অভিযানকে সফল করেছেন তাতে খুশি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বও। সম্প্রতি, সেক্টর ফাইভে বৈঠকে বসেন বিজেপি নেতৃত্ব। সেখানে হাজির ছিলেন সুকান্ত মজুমদার, বঙ্গ বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক এবং বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সুনীল বনসল, বঙ্গ বিজেপির কেন্দ্রীয় সহ পর্যবেক্ষক অমিত মালব্য রাজ্য বিজেপির সাংগঠনিক সাধারণ সম্পাদক অমিতাভ চক্রবর্তী, সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য-সহ অন্যান্যরা। ওই বৈঠকেই সদস্যতা অভিযানের নানা খুঁটিনাটি বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়ে বলে জানা গিয়েছে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Nadia: নিজের ডায়াবেটিস ধরা পড়ার সুবর্ণজয়ন্তীতে ভুরিভোজের আয়োজন করলেন নদিয়ার বৃদ্ধ!

    Nadia: নিজের ডায়াবেটিস ধরা পড়ার সুবর্ণজয়ন্তীতে ভুরিভোজের আয়োজন করলেন নদিয়ার বৃদ্ধ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মধুমেহ হল মধুময়। নিজের ডায়াবেটিস ধরা পড়ার সুবর্ণ জয়ন্তীতে এলাহি আয়োজন করলেন নদিয়ার (Nadia) পলাশীপাড়া থানার পলশন্ডা গ্রামের ৭৪ বছরের নিতাই প্রামাণিক। পেশায় তিনি গৃহশিক্ষক। বিয়ে করেননি। পরিবারের অন্যান্যদের সঙ্গে তিনি থাকেন। প্রায় ৫০ বছর ধরে মধুমেহ রোগ বয়ে নিয়ে বেড়াচ্ছেন তিনি। আর এই রোগের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যেই তিনি মহাভোজের আয়োজন করেছেন। আর গৃহশিক্ষকের এই উদ্যোগ দেখে হতবাক সকলে।

    মেনুতে কী কী ছিল? (Nadia)

    পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর যখন ২৪ তখনই সুগার (Nadia) ধরা পড়ে তাঁর। তারপর থেকেই ক্রমাগত ইনসুলিন এবং ওষুধের ওপর থাকতে হয় তাঁকে। মনে চাইলেও ভালো-মন্দ খেতে পারেন না। আর তাই তাঁর ইচ্ছা ছিল, নিজে যখন খেতে পারেন না, অন্যান্যদের বছরের প্রথমেই বাড়িতে পাত পেড়ে খাওয়াবেন। তাঁর আমন্ত্রণে অসংখ্য ডায়াবেটিস রোগীসহ অনান্যরা সাড়া দেন। হাজির হন তাঁর বাড়িতে। শুধু এলাকার লোকই নয়, দূরদূরান্ত থেকে অসংখ্য লোক এসেছিলেন। তাঁরা বলেন, রোগের ৫০ বছর উপলক্ষে এই ধরনের ভোজনের আয়োজন আগে কেউ করেছে বলে জানা নেই। এটা রেকর্ড হয়ে থাকবে। এই ধরনের ঘটনার আমরা সাক্ষী হতে পেরে খুবই খুশি। জানা গিয়েছে, নিতাইবাবুর মেনুতে ছিল ডিমের ডেভিল, মটরশুঁটির কচুরি, ছোলার ডাল, ফ্রায়েড রাইস, পনির, চিংড়ি দিয়ে ফুলকপির তরকারি, চাটনি, দই, রসগোল্লা, কমলাভোগ।

    আরও পড়ুন: শীতের সকালে তিব্বতে জোরালো ভূমিকম্প! তীব্রতা ৭.১, কেঁপে উঠল কাঠমান্ডু থেকে কলকাতা

    কী বার্তা দিলেন নিতাইবাবু?

    এমন এক কঠিন ব্যাধি নিয়েও যে অর্ধশতবর্ষ অতিক্রম করা যায় তার জ্বলন্ত প্রমাণ নিতাইবাবু (Nadia) নিজে। আর সেই ইচ্ছেতেই তিনি এমন আয়োজন করেছেন। শুধু সুস্থ মানুষরাই নয় অসংখ্য ডায়াবেটিস রোগীরাও কব্জি ডুবিয়ে খেলেন। নিতাইবাবু বলেন, “আসলে ৫০ বছর ধরে আমি সুগারের রোগী। এই রোগকে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। নিয়মিত ব্যায়াম আর খাওয়া-দাওয়া নিয়ন্ত্রণ করলে এই রোগ কিছুই করতে পারবে না। এই বার্তা দিতেই আমি এই আয়োজন করেছিলাম। নতুন বছরের শুরুতে সকলে মিলে একসঙ্গে খেতে পেরেও আমার ভালো লাগছে। আমি সারাদিনে ১২০ গ্রাম চালের ভাত খাই। আর তিন ঘণ্টার বেশি পেট খালি রাখি না। নিয়ম মেনে চললে সুগার নিয়ে দীর্ঘদিন বেঁচে থাকা সম্ভব। আমি নিজেই তার জ্বলন্ত প্রমাণ।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • HMPV: চিনে দাপট শুরু করা নয়া ভাইরাস চিনবেন কীভাবে? সতর্ক থাকতে হবে কতখানি?

    HMPV: চিনে দাপট শুরু করা নয়া ভাইরাস চিনবেন কীভাবে? সতর্ক থাকতে হবে কতখানি?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    আতঙ্ক ফের জাঁকিয়ে বসতে শুরু করেছে। বছর পাঁচেক আগে এমনই শীতে দানা বেঁধেছিল মহামারি। কয়েক মাসে গোটা বিশ্ব আক্রমণের কবলে পড়েছিল! সেই ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি হতে চলছে কি? এমন চিন্তায় অনেকেই। করোনা মহামারির স্মৃতি এখনও টাটকা। চিন থেকেই গোটা বিশ্বে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছিল। সেই চিনেই আবার আরেক ভাইরাসের দাপট শুরু হয়েছে। আক্রান্তদের মৃত্যুর খবরও জানা গিয়েছে। অন্যদিকে, ভারতেও দুই শিশুর শরীরে এই ভাইরাসের (HMPV) অস্তিত্ব পাওয়া গিয়েছে। আর তার জেরেই আতঙ্ক বাড়ছে।

    নতুন চিনা ভাইরাসের উপসর্গ কী

    চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, চিনের এই ভাইরাসের পোশাকি নাম হিউম্যান মেটানিউমো ভাইরাস (HMPV)। চিকিৎসকদের একাংশের মতে, এই রোগে সর্দি-কাশি, জ্বরের মতোই উপসর্গ দেখা দেবে। আবার শ্বাসকষ্টের মতো সমস্যাও হতে পারে‌। ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের মতোই এই ভাইরাসেও শরীর মারাত্মক দুর্বল হয়ে যাচ্ছে। পাশাপাশি বমি, পেটব্যথার মতো উপসর্গও দেখা দিচ্ছে।

    কাদের ঝুঁকি বেশি? (HMPV)

    চিনের এই ভাইরাসে বিপদ বাড়ছে শিশুদের। এমনটাই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।‌ তাঁরা জানাচ্ছেন, শিশুদের ফুসফুসের সংক্রমণের ঝুঁকি বেশি। তাই এই রোগের প্রকোপে পড়ার ঝুঁকিও বাড়ছে। তাঁরা জানাচ্ছেন, অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, প্রথমে সাধারণ সর্দি-কাশি-জ্বর মনে হলেও কয়েক দিনের মধ্যেই পরিস্থিতি জটিল হয়ে উঠছে। বিশেষত শিশুদের শ্বাসকষ্টের মতো সমস্যা বেশি দেখা দিচ্ছে। তাদের শরীরে ভাইরাসের প্রভাব বেশি পড়ছে। ফলে, শিশুদের জন্য বাড়তি বিপজ্জনক পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে।

    কীভাবে সতর্ক থাকবেন?

    চিকিৎসকদের একাংশের পরামর্শ, শিশুদের পাশপাশি বড়দেরও বাড়তি সতর্কতা জরুরি। সর্দি-কাশি-জ্বর যাতে না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখা জরুরি। পরিবারের কেউ জ্বর কিংবা সর্দিতে ভুগলে, তাঁর আলাদা থাকাই উচিত বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।‌ কারণ, এই ভাইরাস (HMPV) হাঁচির মাধ্যমেই সংক্রমণ ছড়ায়। তাই রোগীকে আইসোলেশনে রাখা দরকার বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। পাশপাশি বাড়ি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা জরুরি। স্বাস্থ্যবিধি মেনে‌ চলতে হবে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, হাত পরিষ্কার রাখা, পরিশ্রুত জল খাওয়ার দিকে বিশেষ নজরদারি জরুরি।

    করোনা ভাইরাসের মতোই মহামারির আশঙ্কা রয়েছে কি? (HMPV)

    বিশেষজ্ঞদের মতে, এখনই এই ভাইরাসকে করোনা ভাইরাসের মতো মারণ আতঙ্কের তকমা দেওয়ার প্রয়োজন নেই। এই ভাইরাসের চিকিৎসা রয়েছে। কয়েক বছর আগেও এই ভাইরাস সক্রিয় হয়েছিল। চিকিৎসা করে রোগ নিরাময় সম্ভব হয়েছে। তাই এখনই আতঙ্কিত হওয়ার দরকার নেই বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তবে সাবধানতা জরুরি। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, অনেক সময়েই ভাইরাস সক্রিয় হয়ে নতুনভাবে প্রকাশিত হয়। যা আগের থেকেও বিপজ্জনক হতে পারে। তাই সচেতনতা ও সতর্কতা জরুরি। আতঙ্ক নয়। সচেতনতাই পারবে এই রোগের মোকাবিল করতে।‌

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Weather Update: পশ্চিমি ঝঞ্ঝার জের, কুয়াশায় ঢাকল রাজ্য, দার্জিলিঙে বৃষ্টি-তুষারপাতের সম্ভাবনা

    Weather Update: পশ্চিমি ঝঞ্ঝার জের, কুয়াশায় ঢাকল রাজ্য, দার্জিলিঙে বৃষ্টি-তুষারপাতের সম্ভাবনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিমী ঝঞ্ঝার কারণে রাজ্যে বাধা পাচ্ছে উত্তুরে হাওয়া। আর এই পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাবে আজ ঠান্ডা তো কাল গরম। বাড়ছে আপেক্ষিক আর্দ্রতাও। যার হাত ধরে কুয়াশার দাপট অব্যাহত থাকবে রাজ্যজুড়ে। ঘন কুয়াশায় ঢাকবে উত্তরবঙ্গ। দক্ষিণেও কুয়াশা দিনভর। নতুন করে ১০ জানুয়ারি একটি পশ্চিমী ঝঞ্ঝা তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে দু’দিন পর থেকে তাপমাত্রা (Weather Update) আবার নামতে পারে বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। পৌষ সংক্রান্তিতে যেমন কনকনে ঠান্ডা থাকে, এবার তা অনেকটা কম অনুভূত হবে। তবে, কুয়াশার দাপট থাকবে।

    কুয়াশার দাপট কোন কোন জেলায়?(Weather Update)

    হাওয়া অফিস (Weather Update) সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৪.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, স্বাভাবিকের চেয়ে ০.৩ ডিগ্রি বেশি। আগামী দু’দিন উত্তর এবং দক্ষিণবঙ্গে রাতের তাপমাত্রা এক থেকে দুই ডিগ্রি বাড়তে পারে। তার পর আবার দুই থেকে চার ডিগ্রি তাপমাত্রা কমবে। যদিও, নতুন করে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা তৈরি হলে শীত কমে যাবে আবার। ফলে এখনই জাঁকিয়ে শীতের সম্ভাবনা নেই। দক্ষিণবঙ্গে এই মুহূর্তে বৃষ্টির কোনও পূর্বাভাস নেই। তবে কুয়াশার দাপট থাকবে। আগামী দু’দিন কুয়াশার (Fog) প্রভাব বেশি থাকবে দুই ২৪ পরগনা, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ ও নদিয়াতে। কয়েকটি জায়গায় দৃশ্যমানতা ৫০ মিটার পর্যন্ত কমে যেতে পারে। বাকি জেলাতেও ঘন কুয়াশা থাকবে। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, তাপমাত্রা ওঠানামা এবং আর্দ্রতার কারণে কুয়াশা আরও ঘনীভূত হবে। বুধবার এবং বৃহস্পতিবার হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা থাকতে পারে। পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ এবং নদিয়াতে হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। আপাতত দক্ষিণের সব জেলাতেই শুকনো আবহাওয়া থাকবে।

    আরও পড়ুন: বন্দি বিনিময় দুই দেশের, ভারতের ৯৫ জন, বাংলাদেশের ৯০ মৎস্যজীবী ফিরছেন ঘরে

    বৃষ্টি ও তুষারপাতের সম্ভাবনা কোথায়?

    পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাবে (Weather Update) উত্তরবঙ্গের পাহাড়ি এলাকায় বৃষ্টি ও তুষারপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। দার্জিলিঙে মঙ্গলবার বৃষ্টি ও তুষারপাত হতে পারে। কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়িতেও হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বুধবার থেকে শুষ্ক আবহাওয়া শুরু হবে। উত্তরবঙ্গের সব জেলাতেই ঘন কুয়াশা থাকবে। কয়েকটি জায়গায় দৃশ্যমানতা ৫০ মিটারে নেমে যেতে পারে। জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, দুই দিনাজপুর ও মালদায় কুয়াশার প্রভাব বেশি থাকবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Justin Trudeau: ঘরে-বাইরে সমালোচনার জের, আজই পদত্যাগ করছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো?

    Justin Trudeau: ঘরে-বাইরে সমালোচনার জের, আজই পদত্যাগ করছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পদত্যাগ করতে চলেছেন কানাডার (Canada) প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো (Justin Trudeau)! কানাডার একটি সংবাদপত্রের দাবি, আজ, সোমবারই প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিতে পারেন তিনি। নিতান্তই যদি তা না হয়, তবে চলতি সপ্তাহে বুধবারের আগেই লিবারাল পার্টির নেতা হিসেবে পদত্যাগ করবেন ট্রুডো। সংবাদপত্র ‘দ্য গ্লোব অ্যান্ড মেল’ এমনতর দাবি করলেও, প্রধানমন্ত্রীর দফতর কোনও মন্তব্য করতে চায়নি।

    মুখ রক্ষা করার চেষ্টা ট্রুডোর! (Justin Trudeau)

    দলীয় সদস্যপদ ছাড়ার পরেও তিনি প্রধানমন্ত্রী থেকে যাবেন কিনা, তা এখনও স্পষ্ট নয়। প্রসঙ্গত, চলতি বছর অক্টোবরে কানাডায় প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন হওয়ার কথা। বিভিন্ন সংস্থার করা সমীক্ষা থেকে জানা গিয়েছে, ওই নির্বাচনে ট্রুডোর দলের পরাজয় এক প্রকার অবশ্যম্ভাবী। হারতে পারেন ট্রুডো স্বয়ংও। রাজনৈতিক মহলের মতে, সেই কারণেই আগেভাগে পদত্যাগ করে মুখ রক্ষা করতে চাইছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী। কানাডার সংসদের বহু সাংসদ ট্রুডোর অপসারণ চাইছেন। তিনি প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিন, চাইছেন তাঁর দলের সাংসদরাও। এমতাবস্থায় ট্রুডোর কাছে প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দেওয়া ছাড়া আর কোনও পথ খোলা নেই বলেই ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের।

    প্রধানমন্ত্রী পদে ৯ বছর

    ২০১৩ সালে লিবারাল পার্টির নেতা হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন ট্রুডো। গত ৯ বছর ধরে তিনি রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী পদে। নানা কারণে বর্তমানে তাঁর জনপ্রিয়তা এখন তলানিতে। তাঁর আন্তর্জাতিক নীতি নিয়েও দেশের মধ্যেই সমালোচিত হয়েছেন তিনি। আগামী নির্বাচনে ট্রুডোর (Justin Trudeau) দল গোহারা হারবে বলে বিভিন্ন নির্বাচনী সমীক্ষায় ইঙ্গিত মিলেছে। আগামী নির্বাচনে কানাডায় কনজারভেটিভ পার্টি ক্ষমতায় আসছে বলেও জানিয়েছে ওই সমীক্ষা। এহেন পরিস্থিতিতে কিছুদিন আগে হঠাৎই পদত্যাগ করেন কানাডার উপমুখ্যমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড। তার পর থেকে দেশের অভ্যন্তরে ট্রুডো-বিদ্বেষ বাড়ছে বই কমছে না।

    আরও পড়ুন: সাধুর ভিড়ে মহাকুম্ভে হানা দিতে পারে জঙ্গিরা, কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা

    সমস্যা মেটানোর যে কোনও চেষ্টা ট্রুডো করেননি, তা নয়। মন্ত্রিসভায় রদবদল করেছেন তিনি। তার পরেও অব্যাহত রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে যাওয়ার চাপ। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, ট্রুডো পদত্যাগ করলে এগিয়ে আনা হতে পারে সাধারণ নির্বাচন। ততদিন কে চালাবেন দেশ, তা নিয়েও আলোচনা শুরু হয়ে গিয়েছে বলে সংবাদ মাধ্যমের খবর। ভারত বিরোধিতার খেসারত কি ট্রুডোকে (Justin Trudeau) গদি হারিয়েই দিতে হবে? প্রশ্নটা কিন্তু উঠছেই (Canada)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Bihar: ৫০০ বছরের পুরনো শিবমন্দির উদ্ধার পাটনায়, ‘হর হর মহাদেব’ ধ্বনিতে মুখরিত ভক্তরা

    Bihar: ৫০০ বছরের পুরনো শিবমন্দির উদ্ধার পাটনায়, ‘হর হর মহাদেব’ ধ্বনিতে মুখরিত ভক্তরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাটনার (Bihar) নারায়ণ বাবু স্ট্রিটে উদ্ধার হয়েছে একটি পাঁচ শতাব্দী প্রাচীন শিবমন্দির। মন্দির আবির্ভূত হতেই স্থানীয়দের মধ্যে তুমুল উচ্ছ্বাস ও উন্মাদনা নজরে আসে। ধ্বনিত হয় ‘হর হর মহাদেব’। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মন্দিরটি প্রায় ৫০০ বছরের পুরনো। মন্দিরের গর্ভগৃহ এখনও সম্পূর্ণ ভাবে অক্ষত। ভিতরে একটি বড় শিবলিঙ্গ এবং পায়ের ছাপ রয়েছে। 

    মন্দিরটি আনুমানিক পঞ্চদশ শতকে নির্মিত হয়েছিল (Bihar)

    গত ৫ জানুয়ারি রবিবার বিকেলে একটি ভূমি ধসের কারণে এই শিব মন্দিরটি উদ্ধার হয়েছে। মন্দিরের দেওয়াল গ্রানাইট শিলা দিয়ে তৈরি বলে জানা গিয়েছে। এরপর আশে পাশের এলাকাকে আরও খনন করলে মন্দিরের গাত্রে থাকা সুন্দর সুন্দর কারুকার্য প্রকাশ পেয়েছে। একই ভাবে মন্দিরে আরও নানা সামগ্রী পাওয়া গিয়েছে। মন্দিরের মধ্যে সব থেকে আকর্ষিণীয় দিকটি হল শিবলিঙ্গ। জানা গিয়েছে মন্দিরের গর্ভগৃহে যে শিবলিঙ্গ পাওয়া গিয়েছে তা অষ্টধাতু দিয়ে নির্মিত। বিশেজ্ঞরা মনে করছেন, মন্দিরটি আনুমানিক পঞ্চদশ শতকে নির্মিত হয়েছিল। এখন এই মন্দিরকে নিয়ে এলাকার শৈব ভক্তদের মধ্যে ব্যাপক উন্মাদনা লক্ষ্য করা গিয়েছে। তবে ঘটনা জানাজানি হতেই প্রচুর লোকজন মন্দির দর্শন করার জন্য উপস্থিত হয়েছেন। জানা গিয়েছে, মন্দিরটি যেখানে উদ্ধার হয়েছে সেখানটা মূলত একটা পরিত্যক্ত জায়গা ছিল। তবে আগে থেকেই জায়গাটা একটি মঠের অন্তর্গত ছিল। এই জায়গাকে কিছু লোকজন একটি আবর্জনার স্তূপ বানিয়ে রেখেছিল।

    শিবশম্ভু জেগে উঠেছেন

    পাটনার (Bihar) স্থানীয়দের বক্তব্য, মন্দিরের পাশেই থাকতেন একজন পুরোহিত। তবে তাঁর মৃত্যুর পর পরিবারের সদস্যরা জায়গাকে ছেড়ে দিয়ে অন্যত্র বসবাস শুরু করেন। এরপর ফাঁকা জায়গা পেয়ে এলাকার মানুষ আবর্জনার স্তূপ করে ফেলে। কিন্তু, এই মাটির নীচে যে এত বড় এত প্রাচীন মন্দির লুকিয়ে ছিল, তা সাধারণ মানুষের কাছে অত্যন্ত আশ্চর্যের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। মন্দির উদ্ধারের বিষয়ে সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। কেউ বলছেন ‘‘বাবা ভোলা নাথ কৃপা করেছেন’’। আবার কেউ কেউ বলছেন, ‘‘শিবশম্ভু জেগে উঠেছেন।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share