Tag: Madhyom

Madhyom

  • Partha Chatterjee: ‘‘একে নিতেই হবে’’, অযোগ্যদের ঢোকাতে নোট পার্থর! নিয়োগ মামলার চার্জশিটে সিবিআই

    Partha Chatterjee: ‘‘একে নিতেই হবে’’, অযোগ্যদের ঢোকাতে নোট পার্থর! নিয়োগ মামলার চার্জশিটে সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্কুলে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে অযোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের মধ্য়ে কাদের নিতে হবে সেটা কার্যত ঠিক করে দিতেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্য়ায় (Partha Chatterjee)। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বিস্ফোরক দাবি করল সিবিআই। প্রভাবশালীরা যে নাম জমা দিতেন তার একটা আলাদা তালিকা করা হত। সেই তালিকায় একদিকে যেমন সংশ্লিষ্ট চাকরিপ্রার্থীর নাম থাকত তেমনই সেই তালিকায় যে প্রভাবশালীরা এই নাম সুপারিশ করেছেন তাঁর নামও থাকত। তবে সেই প্রভাবশালীরা নাম সুপারিশ করলেই যে চাকরি পাকা এমনটা নয়। সেই নামের পাশে কাদের চাকরি একেবারে দিতেই হবে সেটা ঠিক করতেন খোদ পার্থ। চার্জশিটে এমনই দাবি করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

    প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর নির্দেশ

    প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে নেমে কেন্দ্রীয় সংস্থা যে সমস্ত তথ্য সংগ্রহ করেছে, তা চার্জশিট আকারে আদালতে জমা দেওয়া হয়েছে। সেখানেই পার্থর (Partha Chatterjee) হাতের লেখার উল্লেখ রয়েছে। সিবিআই জানিয়েছে, বিকাশ ভবনে তল্লাশি চালিয়ে ‘অযোগ্য’ প্রার্থীদের নামের তালিকা উদ্ধার করা হয়েছে। সেখানেই পার্থের হাতের লেখা ছিল বলে জানা গিয়েছে। যদিও সেই লেখা সিবিআই বাজেয়াপ্ত করতে পারেনি। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে পার্থর ‘হাতে লেখা’ নির্দেশের ‘অনুলিখন’। সিবিআই জানিয়েছে, এক এক জন প্রার্থীর নামের ক্ষেত্রে এক এক রকম মন্তব্য লিখে দিতেন পার্থ। কোনও নামের উপরে লিখতেন ‘একে নিতেই হবে’ (মাস্ট বি টেক্‌ন), কোনও নামের উপরে লিখতেন ‘প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হলে নিতে হবে’ (ওনলি ট্রেন্‌ড টু বি টেকেন)। প্রার্থীদের ক্ষেত্রে জেলার নামও উল্লেখ করে দিতেন তৃণমূলের তৎকালীন মহাসচিব পার্থ। কোথাও লিখতেন ‘পুরুলিয়া’, কোথাও ‘বাঁকুড়া’। 

    আরও পড়ুন: স্তন ক্যান্সারের চিকিৎসায় নতুন পথের সন্ধান দুই বাঙালি বিজ্ঞানীর, কেমন সেই পদ্ধতি?

    কীভাবে নিয়োগ

    ২০২৩ সালের জুন মাসে প্রাথমিক মামলার তদন্তে বিকাশ ভবনে হানা দেয় সিবিআই। সেখানকার গুদাম থেকে উদ্ধার করা হয় চাকরিপ্রার্থীদের নামের একটি তালিকা। ১৯ পাতার চার্জশিটে সিবিআইয়ের দাবি, ওই তালিকায় ৩২৪ জন অযোগ্য চাকরিপ্রার্থীর নাম ছিল। পরে তালিকা খতিয়ে দেখা যায়, আসলে সেখানে প্রার্থীসংখ্যা ৩২১। এঁদের প্রত্যেকের নাম প্রাথমিক স্কুলে চাকরির জন্য রাজনৈতিক প্রভাবশালী কোনও না কোনও ব্যক্তি সুপারিশ করেছিলেন। তালিকায় প্রার্থীদের নাম এবং রোল নম্বরের পাশাপাশি সেই প্রভাবশালী ব্যক্তির নামও উল্লেখ করা ছিল বলে দাবি সিবিআইয়ের। পার্থ (Partha Chatterjee) সেই তালিকায় নিজের মতদান করলে, পার্থর হাতের লেখা অনুসারে এক মহিলা ডেটা এন্ট্রি অপারেটর সেই তালিকা আবার নকল করতেন। এরপর সেই অনুলিখন পাঠিয়ে দেওয়া হত অভিযুক্ত তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যর কাছে। সে সময়ে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি পদে ছিলেন মানিক।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • RG Kar Case: আরজি করকাণ্ডে শেষ হল সাক্ষ্য গ্রহণ পর্ব, সঞ্জয়ের সর্বোচ্চ শাস্তির আর্জি সিবিআই-এর

    RG Kar Case: আরজি করকাণ্ডে শেষ হল সাক্ষ্য গ্রহণ পর্ব, সঞ্জয়ের সর্বোচ্চ শাস্তির আর্জি সিবিআই-এর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিম্ন আদালতে এতদিন ধরে চলছিল আরজি কর (RG Kar Case) হাসপাতালের তরুণী শিক্ষানবীশ চিকিৎসকের ধর্ষণ ও হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ পর্ব। সেই সাক্ষ্যদান পর্ব শেষ হেতেই অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়রের সঞ্জয় রায়ের সর্বোচ্চ শাস্তির আবেদন করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এজেন্সি সিবিআই। এই ঘটনাকে বিরল থেকে বিরলতম বলে উল্লেখ করা হয়েছে। দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির (Maximum Punishment) দাবি করা হয়েছে।

    ২ মাস ধরে মোট ৫০ জনের বয়ান নথিভুক্ত করা হয়েছে (RG Kar Case)

    আইনজীবীর মতে সর্বোচ্চ শাস্তি হতে পারে ফাঁসি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, ধর্ষণ করে খুনের (RG Kar Case) সাপেক্ষে যে সব তথ্য, প্রমাণ এবং পারিপার্শ্বিক তথ্য প্রমাণ যা রয়েছে তাতে অভিযুক্তের সর্বোচ্চ শাস্তি হওয়া উচিত বলেই আদালতে জানিয়েছেন তদন্তকারী অফিসাররা। এদিন সমস্ত সিসিটিভি ফুটেজ, জৈবিক নমুনার ফলাফল এবং সাক্ষীদের বয়ান পেশ করা হয়। গত ২ মাস ধরে মোট ৫০ জনের বয়ান নথিভুক্ত করা হয়েছে। তাই শুক্রবারই শেষ হয়েছে এই সাক্ষ্যগ্রহণ পর্ব। তারপরই শিয়ালদা আদলাতে বিশেষ সিবিআই বিচারকের কাছে এই বিশেষ শাস্তির (Maximum Punishment) আবেদন জানায় তদন্তকারী সংস্থা। আগামী সপ্তাহে সাজা ঘোষণা হওয়ার সম্ভাবনা আছে বলে জানা গিয়েছে। একই ভাবে ৪ তারিখে সঞ্জয় রায়ের আইনজীবীদের ক্লোজিং দিতে বলা হয়েছে।

    আরও পড়ুনঃ ‘‘ছাব্বিশে হবে হিন্দু সরকার’’, নন্দীগ্রামে হুঙ্কার শুভেন্দুর

    রাজ্যে ধর্ষণ থেমে নেই

    উল্লেখ্য গত ৯ অগাস্ট আরজি কর (RG Kar Case) হাসপাতালে চিকিৎসক তরুণীকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনা রাজ্য তথা দেশ জুড়ে ব্যাপক শোরগোল ফেলে দিয়েছিল। লাগাতার একাধিক রাজনৈতিক সংগঠন, সামজিক সংগঠন রাজপথ দখল করে আন্দোলনে সামিল হয়েছিল। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিধানসভায় নির্ভয়া আইন তৈরি করেছিলেন তারপরও রাজ্যে ধর্ষণ থেমে নেই! কালিয়াগঞ্জ থেকে জয়নগর, কুলতলি থেকে মুর্শিদাবাদ সর্বত্র রাজ্যের নারীরা অসুরক্ষিত। দক্ষিণ ২৪ পরগনার নাবালিকাকে জোর করে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় দোষীকে ৬১ দিনের মাথায় ফাঁসির শাস্তি (Maximum Punishment) দিয়েছেন বারুইপুর আদলাতের বিচারক সুব্রত চট্টোপাধ্যায়। অপর দিকে মুর্শিদাবাদের আরও এক নাবালিকাকে ধর্ষণ করে হত্যার ঘটনায় দোষীকে যাবজ্জীবন কারবাসের শাস্তি দেওয়া হয়েছে। আরজি কর-কাণ্ডে দোষীর বিরুদ্ধে ফাঁসির দাবি প্রথম থেকেই প্রতিবাদীরা করে আসছেন। শাস্তি ঘোষণা এখন কেবল মাত্র সময়ের অপেক্ষা।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Breast Cancer Treatment: স্তন ক্যান্সারের চিকিৎসায় নতুন পথের সন্ধান দুই বাঙালি বিজ্ঞানীর, কেমন সেই পদ্ধতি?

    Breast Cancer Treatment: স্তন ক্যান্সারের চিকিৎসায় নতুন পথের সন্ধান দুই বাঙালি বিজ্ঞানীর, কেমন সেই পদ্ধতি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্তন ক্যান্সারের (Breast Cancer Treatment) চিকিৎসায় ‘সুপ্রামলিকিউলার হাইড্রোজেল থেরাপি’ নিয়ে নতুন রকম গবেষণার পথে আইআইটি গুয়াহাটি ও কলকাতার বোস ইনস্টিটিউট। এ সংক্রান্ত গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে লন্ডনের ‘রয়াল সোসাইটি অফ কেমিস্ট্রি’-র বিজ্ঞান পত্রিকা ‘মেটেরিয়াল্স হরাইজনস’-এ। গবেষণাটি দু’টি ভাগে হচ্ছে। ‘হাইড্রোজেল’ তৈরি করা এবং সেটির কার্যকারিতা নিয়ে গবেষণায় রয়েছেন আইআইটি গুয়াহাটির রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক দেবপ্রতিম দাস ও তাঁরই দুই ছাত্রী তনুশ্রী দাস ও ঋত্বিকা কুশওয়াহা। অন্যদিকে, ‘হাইড্রোজেল’ পদ্ধতিটির বাস্তব প্রয়োগ করে কী ফল পাওয়া যাচ্ছে, সে নিয়ে পরীক্ষা করছেন কলকাতার বোস ইনস্টিটিউটের গবেষক কুলদীপ জানা ও তাঁর ছাত্র সত্যজিৎ হালদার এবং অনুপকুমার মিশ্র।

    নয়া গবেষণায় সাফল্য

    স্তন ক্যান্সারের (Breast Cancer Treatment) দুই রকম চিকিৎসা পদ্ধতি আছে— অস্ত্রোপচার ও কেমোথেরাপি। অস্ত্রোপচার করলেই যে ক্যান্সার কোষ নির্মূল হবে, তা নয়। এর পরেও কেমোথেরাপি বা রেডিয়োথেরাপি দিতে হয়, যা যথেষ্টই যন্ত্রণাদায়ক ও খরচসাপেক্ষও। বস্তুত শরীরে বিষ প্রয়োগ করেই বিষক্ষয়ের চেষ্টা হয়। এতে যেমন শরীরের উপর অত্যাচার হয়, তেমনই মানসিক ভাবেও ভেঙে পড়েন রোগী। কাজেই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কেবল শরীরে নয়, মনেও হয়। নয়া গবেষণা প্রসঙ্গে আইআইটি গুয়াহাটির অধ্যাপক দেবপ্রতিম দাস বলেন, “ক্যান্সারের চিকিৎসায় সুপ্রামলিউকিউলার জেল নিয়ে গবেষণা করে আমরা যা ফল পেয়েছি, তা আগে কখনও হয়নি বলেই আমার ধারণা। পলিমার জেল নানা রকম গবেষণার কাজেই ব্যবহার করা হয়েছে, কিন্তু ক্যান্সার সংক্রান্ত গবেষণায় এর প্রয়োগ করে আশানুরূপ ফল পাওয়া গিয়েছে।”

    ‘হাইড্রোজেল’-এর বিশেষত্ব

    আর পাঁচটি জেলের মতো নয়। এক ধরনের ত্রিমাত্রিক পলিমার, যা ছোট ছোট পেপটাইড দিয়ে তৈরি। প্রোটিনের ক্ষুদ্র ভগ্নাংশ হল পেপটাইড। সেই পেপটাইড দিয়েই তৈরি হয়েছে হাইড্রোজেল। এর মধ্যে জলীয় ভাবই বেশি। সহজ করে বললে থকথকে জেলির মতো। এর একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য আছে। বোস ইনস্টিটিউটের গবেষক কুলদীপ জানা বলেন, “হাইড্রোজেল খুব নরম বস্তু, তরলও নয় আবার শক্তও নয়। এর ভিতরে পলিমারের নেটওয়ার্ক আছে। জেলের ভিতর ওষুধ ভরে দিলে ওই নেটওয়ার্কের জালিতে গিয়ে ওষুধটি সেঁটে যাবে। শক্ত করে আটকে বসবে, বাইরে বেরোবে না। এ বার জেলিটা শরীরে ইনজেক্ট করলে সেটি ওষুধটিকে নিয়ে সোজা চলে যাবে ক্যান্সার কোষের কাছে। সেখানে গিয়ে ফেটে যাবে এবং ওষুধটি ছিটকে বার করে একেবারে টিউমারের উপর ফেলবে।”

    কীভাবে ধ্বংস হবে ক্যান্সার কোষ

    গবেষণাগারে বিশেষ ভাবে তৈরি করা হয়েছে সুপ্রামলিকিউলার হাইড্রোজেল। এটি যত ক্ষণ বাইরে রাখা হবে, তত ক্ষণ জেলির মতো জমে থাকবে। সিরিঞ্জে ভরার পরেই সেটি তরল হবে এবং সহজে ইনজেক্ট করা যাবে। আবার সুচের ডগা দিয়ে বেরোনো মাত্রই ফের জমে গিয়ে জেলি হয়ে যাবে। এই জেলি এমন এক আধার, যা তার পেটের ভিতর ওষুধ পুরে নিয়ে দৌড়বে ক্যান্সার কোষের দিকে। সরাসরি আঘাত করে ধ্বংস করবে টিউমার কোষকে। গবেষকেরা জানাচ্ছেন, ক্যান্সার কোষ একটি সঙ্কেত ছাড়ে, যেটি বুঝতে পারবে হাইড্রোজেল। সেই সঙ্কেতটির নাম হল ‘গ্লুটাথায়োন’। এক রকম ট্রাইপেপটাইড, যা শরীরেই তৈরি হয়। ক্যান্সার কোষে এর মাত্রা খুব বেড়ে যায়। হাইড্রোজেল দেখবে যে কোষে গ্লুটাথায়োনের মাত্রা অস্বাভাবিক রকম বেশি, সেখানে গিয়েই সেটি ফেটে যাবে আর ওষুধও বেরিয়ে আসবে ভিতর থেকে।

    ইঁদুরের উপর পরীক্ষা

    হাইড্রোজেলটি কী ভাবে কাজ করছে, সে গবেষণা করছেন কলকাতার বোস ইনস্টিটিউটের গবেষক কুলদীপ জানা। তিনি বললেন, “ইঁদুরের উপর পরীক্ষা হয়েছে। ওষুধটির একটিমাত্র ডোজ ইনজেক্ট করে দেখা গিয়েছে, ১৮ দিনের মাথায় টিউমার কোষের ৭৫ শতাংশ নির্মূল হয়েছে। ইনভিট্রো সেল কালচার মডেলে পরীক্ষাটি হচ্ছে। ইতিমধ্যেই সাফল্যের মুখ দেখেছি আমরা। এর পরে মানুষের উপর পরীক্ষাও হবে।”

    আরও পড়ুন: ঝঞ্ঝায় দক্ষিণে বাড়তে পারে পারদ, বৃষ্টি-বরফের সম্ভাবনা উত্তরে, পূর্বাভাস হাওয়া অফিসের

    মানুষের উপর প্রয়োগ

    হাইড্রোজেল থেরাপি নিয়ে গবেষণা ২০১৯ সাল থেকে শুরু হয়। এখনও গবেষণাটি চলছে। গবেষকেরা জানিয়েছেন, আরও অনেকগুলি স্তরেই গবেষণা হবে। হাইড্রোজেলের ‘পেটেন্ট’ পাওয়া গিয়েছে। বিভিন্ন সংস্থার কাছে তা পাঠানোও হয়েছে। আইআইটি গুয়াহাটি ও বোস ইনস্টিটিউটের অনুমতিসাপেক্ষে বাণিজ্যিক ভাবে তাঁরা এই নিয়ে কাজও করতে পারেন। এর পরের ধাপ হল মানুষের শরীরে পরীক্ষা করে দেখা। তার জন্য নানা জায়গায় আবেদন করতে হয়। সে কাজ চলছে। যদিও তা সময়সাপেক্ষ, তবুও আশাবাদী গবেষকেরা। আগামী দিনে ক্যান্সারের ওষুধটি সাধারণের নাগালে এলে, তা কম খরচে বহু জনের প্রাণ বাঁচাতে পারে বলে বিশ্বাস গবেষকদের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Crisis20: বিপন্ন গণতন্ত্র, ভাঙা হয় পার্লামেন্ট, জোর করে পদত্যাগ করানো হয় জনপ্রতিনিধিদের

    Bangladesh Crisis20: বিপন্ন গণতন্ত্র, ভাঙা হয় পার্লামেন্ট, জোর করে পদত্যাগ করানো হয় জনপ্রতিনিধিদের

    অনেকেই বলছেন, হাসিনা সরকারকে উৎখাত করার পর থেকেই জঙ্গলের রাজত্বে পরিণত হয়েছে বাংলাদেশ। বেছে বেছে যেমন মন্দির এবং ধর্মস্থানে অবাধে ভাঙচুর চালানো হয়েছে, আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে ঘরবাড়িতে, একই সঙ্গে মারাত্মক বেড়ে গিয়েছে গণপিটুনি এবং খুন। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই টার্গেট সংখ্যালঘু হিন্দু অথবা বিরোধী রাজনৈতিক কণ্ঠ। সারা বিশ্ব দেখছে, শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পাওয়া ইউনূসের স্বরূপ। ইসকনের সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাস গ্রেফতার হওয়ার পর গোটা বিশ্ব স্তম্ভিত। আওয়ামি লিগপন্থী জনপ্রতিনিধি, পুলিশ অফিসার থেকে শুরু করে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের পদস্থ কর্তাদের কী করুণ পরিণতি হয়েছে, তাও কারও অজানা নয়। প্রথম খণ্ডে আমরা ১২টি পর্বে তুলে ধরেছিলাম নানা অত্যাচারের কাহিনি। এবার সেসব নিয়েই আমাদের দ্বিতীয় খণ্ডের ধারাবাহিক প্রতিবেদন। আজ অষ্টম পর্ব।

     

     আতঙ্কের বাংলাদেশে জঙ্গলের রাজত্ব -৮

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মানবাধিকারকে রক্ষা করতে রাজনৈতিক স্বাধীনতা খুবই প্রয়োজন। কিন্তু বাংলাদেশে ২০২৪ সালের (Bangladesh Crisis20) অগাস্ট মাসে হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই লঙ্ঘিত হতে থাকে মানবাধিকার। রাজনৈতিক স্বাধীনতা, সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা, সব কিছুই শেষ হয়ে যায়। শুরু হয় অনাচার। নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের ওপরেও হামলা চলতে থাকে। নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের জোর করে পদত্যাগ করানো হতে থাকে। বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মহম্মদ শাহাবুদ্দিনের ওপর চাপ সৃষ্টি করে সে দেশের পার্লামেন্টকেও ভেঙে দেওয়া হয়। অন্তর্বর্তী সরকার জোর করে পদত্যাগ করায় বাংলাদেশের বারোটি নগর নিগমের মেয়রকে। একই সঙ্গে পদত্যাগ করানো হয় ১,৮৭৩ জন জনপ্রতিনিধিকে। পঞ্চায়েত স্তরেরও অজস্র জনপ্রতিনিধিকে পদত্যাগ করানো হয়। বাংলাদেশের ৩৩০টি পুরসভার পুরপ্রধানকেও পদত্যাগ করানো হয়। ভেঙে দেওয়া হয় ৬১টি জেলা পরিষদ। একই সঙ্গে ৪৯৫টির মধ্যে ৪৯৩টি উপ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানকে পদত্যাগ করানো হয়। এ নিয়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে খবরও প্রকাশিত হয়। ওই সংবাদমাধ্যমগুলির রিপোর্ট অনুযায়ী, উপ জেলা পরিষদের ৯৮৮ জন ভাইস চেয়ারম্যানকে পদত্যাগ করানো হয়। এরই মধ্যে খালেদা জিয়ার দল বিএনপি অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে আবেদন জানায় নতুনভাবে ইলেকশন কমিশন তৈরি করার এবং যত দ্রুত সম্ভব দেশে নির্বাচন করানোর। বাংলাদেশে এই ধরনের কার্যকলাপের মাধ্যমে সম্পূর্ণভাবে বিনষ্ট হয়ে যায় যে কোনও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ।

    অনাচারের বিরুদ্ধে রাস্তায় মানুষ

    অনাচারের এই রাজত্বের বিরুদ্ধে বাংলাদেশে (Bangladesh Crisis20) ব্যাপক আকারে সরকার বিরোধী ক্ষোভ বাড়তে থাকে। অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে মানুষ রাস্তাতেও নামতে থাকেন। ঢাকা সমেত দেশের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ জায়গাতে বিক্ষোভ (Targeting Minority) দেখা যায়। আওয়ামি লিগ সরকারের পতনের পর থেকে রাজধানী ঢাকা কেন্দ্র হয়ে ওঠে বিক্ষোভ দেখানোর। চাকরিপ্রার্থীরা, নার্সদের বিভিন্ন সংগঠন, ভিলেজ ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের বিভিন্ন সংগঠন বিক্ষোভে নামে নিজেদের নানা দাবিকে সামনে রেখে।

    ঢাকায় বিক্ষোভ চাকরিপ্রার্থীদের

    ২০২৪ সালে এসে ৩০ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis20) অন্যতম জনপ্রিয় সংবাদ দৈনিক ইত্তেফাক রিপোর্ট দেয়, চাকরিপ্রার্থীরা সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে বয়সসীমা ৩৫ করার দাবিতে বিক্ষোভ দেখিয়েছে ঢাকাতে। ঢাকার মেট্রোপলিটন পুলিশ মহম্মদ ইউনূসের বাড়ির সামনে যে কোনও ধরনের বিক্ষোভ সমাবেশে প্রথম থেকেই নিষেধ করে। কিন্তু চাকরিপ্রার্থীদের এই বিক্ষোভ মহম্মদ ইউনূসের বাড়ি পর্যন্ত যাওয়ার আগেই পুলিশ লাঠিচার্জ শুরু করে। কাঁদানে গ্যাসও ছুড়তে হয় পুলিশকে, বিক্ষোভ সামাল দিতে। প্রসঙ্গত, কোটাবিরোধী আন্দোলনের কথা বলে এই ইউনূস সরকার ক্ষমতায় এসেছিল এবং অসাংবিধানিকভাবে জামাত-বিএনপি সহায়তায় হাসিনা সরকারের পতন ঘটিয়েছিল। সেই ইউনূস সরকারের বিরুদ্ধেও একই ক্ষোভ দেখা যেতে থাকে। এখানেই উঠতে শুরু করে প্রশ্ন। আসলে কোটা বিরোধী আন্দোলন যে জামাত-বিএনপির নেতৃত্বে মৌলবাদীদের শাসন প্রতিষ্ঠা করার মুখোশ ছিল, তা ধীরে ধীরে সামনে আসতে শুরু করে।

    মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে শ্রমিকরা

    এই সময় বাংলাদেশে (Bangladesh Crisis20) শ্রমিক বিক্ষোভও দেখা যায়। সেখানকার বিভিন্ন সংবাদপত্র শ্রমিক বিক্ষোভ নিয়ে খবরও করতে থাকে। শ্রমিক বিক্ষোভের কারণে ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ৭০টি কারখানা, যার মধ্যে ৫৯টি ছিল পোশাক তৈরির কারখানা সেগুলিকে বন্ধ করে দিতে হয়। এই কারখানাগুলি বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় অবস্থিত ছিল। কারখানার শ্রমিকরা নিজেদের মজুরি বৃদ্ধির দাবি জানাতে থাকেন এবং কাজের পরিবেশ ভালো করার দাবি জানান তাঁরা। এর পাশাপাশি শ্রমিকরা অভিযোগ তোলেন, অন্তর্বর্তী সরকার তাঁদের কোনওভাবেই দেখভাল করছে না। বিক্ষোভ সামাল দিতে সেনা পর্যন্ত নামাতে হয় ইউনূস সরকারকে। সেনার গুলিতে নিহত হন ২ শ্রমিক।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • India Bangladesh Relation: দেওয়া-নেওয়ার সম্পর্ক! ভারত নিয়ে নরম সুর বাংলাদেশের, ফিরছেন দু’দেশের মৎস্যজীবীরা

    India Bangladesh Relation: দেওয়া-নেওয়ার সম্পর্ক! ভারত নিয়ে নরম সুর বাংলাদেশের, ফিরছেন দু’দেশের মৎস্যজীবীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঢাকা এমন কোনও পদক্ষপ করবে না যা তার প্রতিবেশীর কৌশলগত স্বার্থের পরিপন্থী। ভারতের সঙ্গে সম্পর্কে (India Bangladesh Relation) বোঝাপড়ার মাধ্যমে এগোনোর কথা বললেন বাংলাদেশের সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। শেখ হাসিনা সরকারের পতনে পর থেকেই ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের টানাপোড়েন শুরু হয়েছে। যা এখনও অব্যাহত রয়েছে। বাংলাদেশের ভারত-বিরোধী মনোভাব ক্রমশই প্রকাশ্যে আসছে। ভারত বিরোধিতার কারণে হিন্দুদের ওপর অত্যাচারও বাড়ছে। এই অবস্থায় আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হিসাবে ডোনাল্ড ট্রাম্প শপথ নেওয়ার পরে বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের সঙ্গে নয়াদিল্লির সম্পর্ক কিছুটা সহজ হবে বলে আশা করছে কূটনৈতিক মহল। 

    দেওয়া-নেওয়ার সম্পর্ক

    শেখ হাসিনার পদত্যাগের দাবিতে যখন উত্তাল হয়েছিল বাংলাদেশ (India Bangladesh Relation) সেই সময় শেখ হাসিনার থেকে সেনার হাতে ক্ষমতা নেওয়ার অন্যতম কারিগর ছিলেন বাংলাদেশের সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার উজ জামান। সম্প্রতি বাংলাদেশের একটি দৈনিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে সমঝোতার বার্তা দিয়েছেন। বাংলাদেশের সেনাপ্রধানের মতে, তাঁদের জন্য ভারত একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী রাষ্ট্র। বাংলাদেশ অনেক বিষয়েই ভারতের উপর নির্ভর করে। আবার ভারতও কিছু ক্ষেত্রে বাংলাদেশের থেকে সুবিধা পায়। জেনারেল ওয়াকারের কথায়, “এটা একটা দেওয়া–নেওয়ার সম্পর্ক।” 

    পারস্পরিক বোঝাপড়া

    পারস্পরিক বোঝাপড়ার মাধ্যমে সম্পর্ক এগিয়ে যাবে বলে আশাপ্রকাশ করেছেন তিনি। তাঁর কথায়, বাংলাদেশ (India Bangladesh Relation) প্রতিবেশীদের সঙ্গে এমন কিছু করবে না, যা সেই প্রতিবেশী রাষ্ট্রের কৌশলগত স্বার্থের পরিপন্থী। তিনি চান, প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলিও যেন তা বিবেচনা করে এবং বাংলাদেশের স্বার্থের পরিপন্থী কিছু না করে। সরাসরি কোনও প্রতিবেশীর নাম উল্লেখ না করে তিনি বলেন, “সীমান্তে আমাদের লোকজনকে হত্যা করবে না। আমরা প্রাপ্য জল পাব। এতে তো কোনও অসুবিধা নেই!” বাংলাদেশের সেনাপ্রধানের মতে, “দু’দেশের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে সুসম্পর্ক বজায় রাখা প্রয়োজন। ভারতের অনেকেই বাংলাদেশে কাজ করছেন। আবার বাংলাদেশ থেকেও অনেকে চিকিৎসার জন্য ভারতে যান। ভারত থেকে পণ্যও কিনছে বাংলাদেশ। সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশের স্থিতিশীলতার সঙ্গে ভারতের স্বার্থ জড়িয়ে রয়েছে।”

    মৎস্যজীবীদের হস্তান্তরের প্রক্রিয়া শুরু

    বাংলাদেশে (India Bangladesh Relation) আটক ৯৫ জন ভারতীয় মৎস্যজীবী ও নৌকর্মী এবং ভারতে আটক ৯০ জন বাংলাদেশি মৎস্যজীবী ও নৌকর্মীর পারস্পরিক আদানপ্রদান প্রক্রিয়া সম্প্রতি শুরু হয়েছে। রবিবারের মধ্যে এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে বলে অনুমান। প্রসঙ্গত, গত অক্টোবর-নভেম্বরে বাংলাদেশের জলসীমায় আটক হওয়া ভারতীয় মৎস্যজীবী ও নৌকর্মীদের এতদিন সে দেশে রেখে দেওয়া হয়েছিল। অবশেষে দিল্লির হস্তক্ষেপে তাদের ছেড়ে দেওয়ার কাজ শুরু হয়। অন্যদিকে, মৎস্যজীবীদের হস্তান্তরের প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পাশাপাশি ভারতে আটক বাংলাদেশের দু’টি ফিশিং ভেসেল এবং বাংলাদেশে আটক ভারতের ছয়টি ফিশিং বোটও হস্তান্তর হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশের বিদেশ মন্ত্রক। গত ৯ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক সমুদ্রসীমার নিকটে ‘এফভি লায়লা-২’ এবং ‘এফভি মেঘনা-৫’ নামে দুটি বাংলাদেশি ফিশিং ভেসেল-সহ মোট ৭৮ জন এবং গত ১২ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশি মাছ ধরার নৌকা ‘এফবি কৌশিক’ প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে ডুবে গেলে এর ১২ জন বাংলাদেশি মৎস্যজীবী ভারতীয় কর্তৃপক্ষের হাতে আটক হন। তাঁদের কারামুক্তি ঘটেছে। ৭৮ জন বাংলাদেশি মৎস্যজীবী ও নৌকর্মী আপাতত ওড়িশার পারাদ্বীপে ভারতীয় উপকূল বাহিনীর তত্ত্বাবধানে এবং ১২ জন পশ্চিমবঙ্গের কাকদ্বীপে রয়েছেন।

    আরও পড়ুন: চিনে ফের নতুন ভাইরাসের হানা! হাসপাতালে ভিড়ের ভিডিও ভাইরাল

    ট্রাম্প-মোদি সমীকরণ

    আমেরিকা যে বিশ্বের সুপারপাওয়ার, তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। তবে, ভারতও (India Bangladesh Relation) বঙ্গোপসাগর অঞ্চলের দাদা। ভারতকে বাদ দিয়ে এই অঞ্চলে আমেরিকার পক্ষেও কিছু করা সম্ভব নয়। ভারতের সঙ্গে বাইডেন প্রশাসনের নরমে-গরমে সম্পর্ক ছিল। তবে, ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ব্যক্তিগত সম্পর্ক অত্যন্ত ভালো। প্রচার পর্বেও বারবার ট্রাম্প নরেন্দ্র মোদিকে ‘চমৎকার মানুষ’, ‘আমার বন্ধু’ বলে উল্লেখ করেছেন। ভারতের সঙ্গে আমেরিকার সম্পর্ক আরও জোরালো করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। কাজেই, ট্রাম্প জয়ী হওয়ায়, আমেরিকা-বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের মধ্যে ভারত ঢুকে পড়েছে এমনটাই মনে করে কূটনৈতিক মহল। সেক্ষেত্রে ভারতের সঙ্গে ইউনূস সরকারের সম্পর্ক স্বাভাবিক না হলে, বিপদে পড়বে বাংলাদেশ। এক কথায় ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হওয়ায়, বাংলাদেশের পক্ষে আর ভারতকে অবজ্ঞা করা সম্ভব হবে না। ভারত নির্ভরতা আরও বাড়বে। তাই আমেরিকায় পালাবদলের সঙ্গে সঙ্গেই বাংলাদেশ সেনাপ্রধানের সুর নরম হয়েছে। ভারতকে বন্ধু না বললেও, প্রতিবেশী হিসেবে ভারতের সঙ্গে শত্রুতা করতেও নারাজ বাংলাদেশ। দিল্লিকে অবজ্ঞা করার সাহস ঢাকা যে পাবে না তা ভালোই জানে ইউনূস প্রশাসন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Weather Update: ঝঞ্ঝায় দক্ষিণে বাড়তে পারে পারদ, বৃষ্টি-বরফের সম্ভাবনা উত্তরে, পূর্বাভাস হাওয়া অফিসের

    Weather Update: ঝঞ্ঝায় দক্ষিণে বাড়তে পারে পারদ, বৃষ্টি-বরফের সম্ভাবনা উত্তরে, পূর্বাভাস হাওয়া অফিসের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবছরের শীত (Weather Update) যেন একেবারে লুকোচুরি খেলছে। মাঝে মাঝে শীতের দেখা মিললেও আবার কখনও কখনও দারুণ ভাবে উধাও হয়ে যাচ্ছে। গত দুই দিন ধরে জাঁকিয়ে শীত পড়েছে। তাপমাত্রা হু হু করে কমে গিয়েছে। শীতপ্রেমী বাঙালিরা বেশ ঠান্ডার মজা নিচ্ছিলেন। খুশিতেই বছরের শেষ এবং শুরুর দিনগুলি কাটছিল। শুক্রবার, আলিপুর আবহাওয়া দফতর (Alipur Meteorological Department) জানিয়েছে, রবিবার থেকে ফের তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করবে। পারদ তিন-চার ডিগ্রি চড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। ঠিক এর মাঝেই দার্জিলিঙে বরফ পড়ার আশার কথা শোনাল আলিপুর আবহাওয়া দফতর।

    ৩ থেকে ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা

    আবহাওয়া দফতরের (Alipur Meteorological Department) পূর্বাভাস রয়েছে, সামনেই নতুন ঝঞ্ঝার (Weather Update) খবর রয়েছে। ফলে এবার তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাবে। পৌষ মাসের শেষে গোটা বাংলাজুড়ে শীত প্রভাবিত হওয়ার শঙ্কা তৈরি হলেও শীত একেবারে শেষ হয়ে যাবে না। শুক্রবার কলকাতা শহরের তাপমাত্রা ছিল ১৩.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

    আলিপুরের পূর্বাভাস, আগামী রবিবার থেকে চার ডিগ্রি পর্যন্ত বাড়বে তাপমাত্রা। ৩ থেকে ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত কলকাতায় সহ দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জায়গায় শুষ্ক হাওয়া বইবে। একইভাবে, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদে ব্যাপক কুয়াশা থাকবে। বাকি জেলাগুলিতে কুয়াশার প্রভাব থাকবে। সকালের দিকে বিক্ষিপ্ত হালকা কুয়াশা থাকবে। নতুন ঝঞ্ঝার ফলে উত্তরের হাওয়ার দাপট কমে যাবে। ফলে শীত তুলনায় কম অনুভূত হবে।

    আরও পড়ুনঃ ফের খারিজ জামিন, চিন্ময় কৃষ্ণকে জেলেই মারতে চাইছে ইউনূস প্রশাসন! কীসের ভয়?

    বরফ পড়লে পাহাড়ে পর্যটকদের জন্য আকর্ষণীয় হবে

    বাতাসে জলীয় বাষ্পের (Weather Update) পরিমাণ বাড়বে। সেই সঙ্গে বৃষ্টির সম্ভাবনা তৈরি হবে। তবে একই ভাবে দার্জিলিঙে বরফ পড়ার অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। জানা গিয়েছে, চলতি সপ্তাহ বা আগামী সপ্তাহে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে পাহাড়ে পর্যটকদের জন্য আকর্ষনীয় সময় হতে চলেছে। একই ভাবে সমগ্র উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, দার্জিলিঙে বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টির (Alipur Meteorological Department) একটা সম্ভাবনা রয়েছে।

    একইভাবে সারা দেশের তুলনায়, উত্তর ভারত জুড়ে ঘন কুয়াশার দাপট ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে। দিল্লির পালামে শূন্যের নিচে নেমে গিয়েছে দৃশ্যমানতা। দিল্লির সফদরজংয়ে দৃশ্যমানতা মাত্র ৫০ মিটারে পৌঁছে গিয়েছে। আবার আগরা, গোয়ালিয়র, চণ্ডীগড়, শ্রীনগর, কুশিনগর, গোরক্ষপুর, অমৃতসর, পাঠানকোট এলাকায়ও দৃশ্যমানতা শূন্যে পৌঁছে গিয়েছে। রাস্তায় একদম গাড়ি চলাচল করছে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sambhal: ‘হিন্দু মন্দিরের চিহ্ন মুছতে কাঠামো বদলেছিল মুসলমানরা’! আদালতে সম্ভলকাণ্ডের রিপোর্ট পেশ

    Sambhal: ‘হিন্দু মন্দিরের চিহ্ন মুছতে কাঠামো বদলেছিল মুসলমানরা’! আদালতে সম্ভলকাণ্ডের রিপোর্ট পেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২ জানুয়ারিতে উত্তরপ্রদেশের সম্ভলের (Sambhal) শাহি জামা মসজিদের ওপর একটি সমীক্ষা রিপোর্ট কোর্ট কমিশনার রমেশ রাঘব একটি সিল করা খামে চান্দৌসি আদালতে জমা দিয়েছেন। এই রিপোর্টে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। হিন্দু মন্দিরের (Hindu Temple) একাধিক চিহ্নকে নির্মূল করতে কাঠামোকে বদলে দিয়েছিল তৎকালীন মুসলমান শাসকরা। একটি মুখ বন্ধ খামে ৪০-৪৫ পৃষ্ঠার একটি প্রতিবেদন পেশ করেছেন তিনি। ফলে এই প্রতিবেদনে হিন্দু পক্ষের দাবি আরও জোরদার যে হয়েছে তা মনে করছেন অনেকেই।

    করা হয় চার ঘন্টার একটি ভিডিওগ্রাফি (Sambhal)

    সূত্রে জানা গিয়েছে, সিনিয়ার ডিভিশনের নিথিটি সিভিল জজ আদিত্য সিংয়ের এজলাসে পেশ হওয়া রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, মসজিদ কাঠামোর মধ্যে প্রাচীন মন্দিরের (Sambhal) নানা অবশেষ রয়েছে। তথ্য অনুযায়ী, মসজিদের সামনে দুটি বটগাছ আছে যা সাধারণত হিন্দু মন্দিরের (Hindu Temple) সামনে থাকে এবং গাছগুলিকে পুজো করা হত। এবার এই জায়গায় একটি কূপ রয়েছে যার এক অংশ মসজিদ কাঠামোর মধ্যে এবং অপর আরেক অংশ বাইরে রয়েছে। ওই কূপের বাইরের অংশ ঢাকা ছিল। সম্পূর্ণ এলাকায় সাড়ে চার ঘণ্টার একটি ভিডিওগ্রাফি করা হয়েছে। মোট ১২০০টি ছবি তোলা হয়েছিল মসজিদের।

    আরও পড়ুনঃ মহাকুম্ভের কয়েক দিন বাকি, প্রয়াগরাজে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি

    প্লাস্টার দিয়ে প্রলেপ দেওয়া হয় মন্দির কাঠামোতে

    গত ১৯ নভেম্বর জরিপের প্রাথমিক দিনে প্রায় দেড় ঘণ্টা ভিডিওগ্রাফি সম্পন্ন হয়েছিল এবং ২৪ নভেম্বর আরও তিন ঘণ্টার ভিডিওগ্রাফি হয়েছিল। জামা মসজিদের ভেতরে পঞ্চাশটিরও বেশি ফুলের নিদর্শন চিহ্নিত করা হয়েছে। বেশি করে নতুন সংযোজনের পাশাপাশি মূল কাঠামোর পরিবর্তনগুলি চিহ্নিত করা গিয়েছিল। মন্দিরের আসল রূপটির উপর থেকে প্লাস্টার দিয়ে প্রলেপ এবং রং করে ঢেকে দেওয়া হয়েছে। ফলে মসজিদটিতে পুরাতন ঐতিহাসিক যুগের মন্দির ও হিন্দু স্থানের প্রতীক চিহ্নগুলি রয়েছে। মন্দিরের মূল স্থাপত্যটির দরজা, জানালা এবং দেয়ালে রূপ পাল্টে মন্দির (Hindu Temple) কাঠামোটিকে (Sambha) ঢেকে দেওয়া হয়েছে।

    মসজিদটি মূলত হরিহর মন্দির ছিল

    কোর্ট কমিশনার রমেশ সিং রাঘব (Sambha) বলেন, “শাহি জামা মসজিদটি মূলত হরিহর মন্দির (Hindu Temple) ছিল বলে দাবি করে একটি পিটিশন ১৯ নভেম্বর সিভিল জজের (সিনিয়র ডিভিশন) এজলাসে দায়ের করা হয়েছিল। একই দিনে মসজিদের জরিপ চালানো হয়। কিন্তু এটিকে সম্পূর্ণ করা যায়নি বলে, কোর্ট কমিশনার ২৪ নভেম্বর পুনরায় মসজিদ পরিদর্শন শুরু করেন এবং জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (ডিএম), পুলিশ সুপার (এসপি) সকলে উপস্থিত থেকে সমীক্ষা চালান।

    তিনি আরও বলেন, “এই সমীক্ষার সময় উগ্র মুসলমানরা হিংসা ছড়ায়। সরকারি কাজে বাধা প্রদান করে ইট-পাথর এবং অস্ত্র নিয়ে আক্রমণ করেছিল। ফলে প্রায় চারজনের মৃত্যুও হয়েছিল।  প্রতিবেদনটি প্রাথমিকভাবে ৯ ডিসেম্বর আদালতে পেশ করার কথা ছিল, কিন্তু আদালত (Sambhal) কমিশনার স্বাস্থ্য সমস্যা উল্লেখ করে অতিরিক্ত ১৫ দিন সময় চেয়েছিলেন। আজ, প্রায় ৪০ থেকে ৪৫ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনটি আদালতে জমা দেওয়া হয়েছে। তবে সমীক্ষার পরে এলাকায় তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছিল। কট্টর মৌলবাদীরা হিংসার বাতাবরণ এবং এলাকায় ভয়ের পরিবেশ তৈরি করে রেখেছিল।”

    মোট ৪৭ জনকে গ্রেফতার

    তবে এই হিংসার কাজে উসকানি এবং প্ররোচনা দেওয়ার কাজ যারা করেছিল তাদের বিরুদ্ধে যোগী সরকার কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে। হিংসার কাজের সঙ্গে যুক্ত এখনও পর্যন্ত মোট ৪৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অশান্তি ছড়ানোর কাজে জড়িত অন্যদের আটক করতে পুলিশের টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে। হিংসা সম্পর্কিত মোট ১১টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

    এই শাহি জামা মসজিদ (Sambhal) হল মুঘল আমালের একটি মসজিদ। এই মসজিদ কাঠামোটি সম্ভলের গারভি এলাকায় অবস্থিত। এই মসজিদের নিচে ছিল প্রাচীন হরিহর মন্দির। তাকে ধ্বংস করে মীর বাকে ১৫২৯ সালে সম্রাট বাববের নির্দেশে মসজিদ কাঠামো নির্মাণ করেছিলেন। হিন্দু মন্দিরকে (Hindu Temple) মসজিদ করার জন্য হিন্দু পক্ষ এখন মন্দিরকে পুনরুদ্ধার করার জন্য সবরকম ভাবে চেষ্টা করে যাচ্ছেন। উল্লেখ্য, এই এলাকার অপর আরেক জায়গায় অবৈধ বিদ্যুৎ চুরির অভিযান চালাতে গিয়ে পুলিশ মাটির নিচে পুঁতে রাখা শিব এবং হনুমান মন্দির উদ্ধার করেছিল। ওই ঘটনাতেও ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছিল। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • SSC Recruitment Case: এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বাজেয়াপ্ত আরও ৮ কোটি টাকার সম্পত্তি, জানাল ইডি

    SSC Recruitment Case: এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বাজেয়াপ্ত আরও ৮ কোটি টাকার সম্পত্তি, জানাল ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসি (SSC Recruitment Case) নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বাজেয়াপ্ত আরও ৮ কোটি টাকার সম্পত্তি। পশ্চিমবঙ্গের মালদা এবং উত্তরপ্রদেশের নয়ডা থেকে মোট ৮ কোটি ২০ লক্ষ টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, এই সম্পত্তি নীলান্দ্রি দাস এবং আবদুল খালেকের সঙ্গে সম্পর্কিত। তাঁদের বিরুদ্ধে উত্তরপত্রে নম্বর বিকৃত করার অভিযোগ রয়েছে। 

    উত্তরপত্র বিকৃত করার কাজ করেছিলেন নীলাদ্রি (SSC Recruitment Case)

    রাজ্যের শিক্ষক দুর্নীতি মামলায় ইডি (ED) এবং সিবিআই তদন্ত (SSC Recruitment Case) করছে। এই আবদুল নিয়োগ মামলায় অন্যতম এজেন্ট বলে সন্দেহ করা হয়েছে। পাশাপাশি ‘নাইসা’ নামে এক সংস্থার কর্ণধার ছিলেন নীলাদ্রি। নিয়োগ সংক্রান্ত পরীক্ষার দায়িত্ব ছিল এই সংস্থার উপরই। তাঁর বিরুদ্ধে নিয়োগ সংক্রান্ত পরীক্ষায় নম্বর বদল করার অভিযোগ উঠেছে। সংস্থার পক্ষ থেকে তিনি নিজে ওএমআর শিট অর্থাৎ উত্তরপত্র বিকৃত করার কাজ করেছিলেন। তবে তদন্তকারী অফিসারদের দাবি, ২০১৫ সাল থেকে নিয়োগ দুর্নীতিতে লিপ্ত ছিলেন তিনি। নাইসার আধিকারিক পোস্টে থেকেই নীলাদ্রি ২০১৫ সালেই উত্তরপ্রদেশের নয়ডা এনডি ইনফো সিস্টেম প্রাইভেট লিমিটেড নামে অন্য সংস্থা খুলেছিলেন। ওই সংস্থার মাধ্যমেই এই নিয়োগ পরীক্ষার উত্তরপত্রের নম্বর বিকৃত করা হত।

    আরও পড়ুনঃ ‘‘ছাব্বিশে হবে হিন্দু সরকার’’, নন্দীগ্রামে হুঙ্কার শুভেন্দুর

    এখনও পর্যন্ত মোট উদ্ধারকৃত সম্পত্তি ২৩৮ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা

    এবার এই আবদুল এবং নীলাদ্রির সঙ্গে সম্পর্কিত সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ইডি জানিয়েছে, এসএসসির (SSC Recruitment Case) তৎকালীন আধিকারিকদের সঙ্গে যোগসাজশে উত্তরপত্রে নম্বরের গোলমালের পিছনে তাঁর বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। একই ভাবে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত শান্তি প্রসাদ সিন‍্‍হা এবং অন্যদের সঙ্গে মিলে বেআইনি সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে প্রচুর টাকা তুলে দিয়েছিলেন তিনি। তাই শিক্ষক নিয়োগে বিরাট পরিমাণে টাকা নিয়ে চাকরি দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছে তদন্তকারী সংস্থা (ED)। মামলায় এখনও পর্যন্ত জানা গিয়েছে, আগেই ২৩০ কোটি ৬০ লক্ষ টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এখন সব মিলিয়ে মোট উদ্ধারকৃত সম্পত্তির মূল্য ২৩৮ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • China Virus Outbreak: চিনে ফের নতুন ভাইরাসের হানা! হাসপাতালে ভিড়ের ভিডিও ভাইরাল

    China Virus Outbreak: চিনে ফের নতুন ভাইরাসের হানা! হাসপাতালে ভিড়ের ভিডিও ভাইরাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: করোনার পর ফের চিনে ছড়াচ্ছে নতুন ভাইরাস (China Virus Outbreak)। নাম হিউম্য়ান মেটানিউমোভাইরাস (Human Metapneumovirus)।  জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই চিনের বিভিন্ন প্রদেশের হাসপাতালগুলিতে উপচে পড়া ভিড় চোখে পড়েছে। শ্মশানেও লাইন পড়ছে মৃতদেহ সৎকারের জন্য। সোশ্যাল মিডিয়ায় একাধিক ভিডিয়োও ভাইরাল হয়েছে, যেখানে হাসপাতালে মাস্ক পরা অসুস্থ মানুষদের ব্য়াপক ভিড় দেখা যাচ্ছে।

    হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস

    চিনে ছড়িয়ে পড়া এই নতুন ভাইরাস (China Virus Outbreak) সম্পর্কে যেটুকু তথ্য জানা গিয়েছে, তা হল হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস বা এইচএমপিভি সংক্রমণের উপসর্গও অনেকটা ফ্লুয়ের মতো। করোনার ক্ষেত্রে যেমন জ্বর, সর্দি-কাশি, গলা ব্যথা থেকে শারীরিক দুর্বলতার মতো নানা উপসর্গ ছিল, এই ভাইরাস সংক্রমণেও প্রায় একই ধরনের উপসর্গ দেখা গিয়েছে। শিশুরাও নিউমোনিয়া ও ‘হোয়াইট লাংস’-র মতো সংক্রমণে ভুগছে। কোভিডের সঙ্গে এইচএমপিভি-র অনেক ক্ষেত্রেই মিল রয়েছে। এটিও হাঁচি-কাশির মাধ্যমে সংক্রমিত ব্যক্তির থেকে অন্যদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। রোগীর ব্যবহৃত জিনিসের সংস্পর্শে এলেও এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা আছে।

    দ্রুত ছড়াচ্ছে সংক্রমণ

    ২০২০ সালের গোড়া থেকে বিশ্ব জুড়ে হু হু করে করোনার সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে। অনেকেরই অনুমান, কোভিড অতিমারির উৎস চিনের উহান শহর। একইভাবে মেটানিউমোভাইরাসও চিনে (China Virus Outbreak) দ্রুত হারে ছড়িয়ে পড়ছে। বিভিন্ন রিপোর্টে দাবি করা হচ্ছে, নতুন করে কোভিড সংক্রমণ যেমন শুরু হয়েছে, তেমনই এইচএমপিভি, ইনফ্লুয়েঞ্জা এ-র মতো ভাইরাসে আক্রান্তও বাড়ছে। সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একাধিক ভিডিওয় দেখা যাচ্ছে, চিনের বিভিন্ন হাসপাতালে রোগীদের থিকথিকে ভিড়। ওই ভিডিওগুলিতে দাবি করা হচ্ছে যে, রোগীদের প্রায় প্রত্যেকেই হিউম্যান মেটাপনিউমোনিয়া (এইচএমপিভি)-তে আক্রান্ত। চিনের তরফেও আনুষ্ঠানিক ভাবে এই বিষয়ে মুখ খোলা হয়নি। তবে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স চিনের রোগ প্রতিরোধক সংস্থাকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে যে, চিনে নিউমোনিয়া রোগ এবং তার অজানা উৎস সম্পর্কে একটি রুটিন নজরদারি চালানো হচ্ছে। শীতে এই রোগের প্রাদুর্ভাব বাড়ে বলেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছে চিনের ওই সংস্থাটি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Rohit Sharma: সিডনি টেস্টের শেষেই কি বিদায়! দলে নেই, রোহিতের অবসর নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে

    Rohit Sharma: সিডনি টেস্টের শেষেই কি বিদায়! দলে নেই, রোহিতের অবসর নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গুঞ্জনই সত্যি হল। শুক্রবার বর্ডার গাভাসকর ট্রফির শেষ ম্যাচে প্রথম একাদশে দেখা গেল না অধিনায়ক রোহিত শর্মাকে। টস জিতে দল নিয়ে বলতে গিয়ে এই ম্যাচে ভারতের ব্যাটন হাতে নেওয়া বুমরা বললেন, “আমাদের দলের একতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। কিন্তু আমাদের ক্যাপ্টেন নিজেই দলের স্বার্থে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন। এটাই প্রমাণ করে আমাদের দলে কতটা একতা রয়েছে। আমাদের দলের কেউ নিজের জন্য খেলে না। দলের জন্য যেটা ভাল হবে, সেই সিদ্ধান্তটাই নেওয়া হয়।” 

    দলে নেই রোহিত

    রোহিত বাদ পড়লেও তাঁকে সিডনিতে অধিনায়ক বলেই সম্বোধন করলেন বুমরা। কিন্তু সাজঘর বলছে অন্য কথা। বেশ কয়েক দিন ধরেই ভারতীয় দলের সাজঘরের বিভিন্ন খবর প্রকাশ্যে আসছিল। শোনা যায়, কোচ গৌতম গম্ভীর দুষছেন ক্রিকেটারদের। ক্রিকেটারেরা দুষছেন অধিনায়ক রোহিতকে। মেলবোর্নে হারের পরে নাকি সাজঘরেই দেখা গিয়েছে ক্ষুব্ধ কোচকে। আবার ক্রিকেটারেরা খুশি নন রোহিতের নেতৃত্ব নিয়ে। রোহিতের ফর্মও তলানিতে। অস্ট্রেলিয়া সফরে প্রথম টেস্ট খেলেননি। পরের দু’টি টেস্টে মিডল অর্ডারে খেলে রান পাননি। মেলবোর্নে ওপেন করতে নেমেও ব্যর্থ। তিনটি টেস্ট মিলিয়ে মাত্র ৩১ রান করেছেন রোহিত। 

    রোহিতের অবসর!

    রোহিতের বাদ পড়া উস্কে দিয়েছে অন্য একটি জল্পনা, এ বার কি অবসরে রোহিত? চলতি সিরিজে অবসর নিয়েছেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। তার পর থেকেই শোনা যাচ্ছিল এই সিরিজ শেষে আরও এক জন ভারতীয় ক্রিকেটার অবসর নিতে পারেন। সিডনি টেস্টের পর ভারতের পরবর্তী লাল বলের ম্যাচ জুন মাসে। তত দিনে রোহিতের বয়স ৩৮ বছর হয়ে যাবে। লাল বলের ক্রিকেটে তাঁকে আর দেখা যাবে কি না তা নিয়েই এখন জল্পনা চলছে। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে চার সুপারস্টারের শেষ সিরিজ হতে পারে, এমনটা আগেই ঠিক ছিল। অশ্বিন নিজে থেকেই সরে দাঁড়িয়েছেন। রোহিত শর্মাও সিডনি টেস্ট শেষেই হয়তো ঘোষণা করে দেবেন।

    চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেই চোখ

    ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ড সিরিজ হোক বা অস্ট্রেলিয়ায় গত তিন টেস্ট। ব্যাট হাতে ভরসা দিতে পারেননি রোহিত শর্মা। টেস্টে ভারতের সামনে কোনও হোম সিরিজ নেই। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল অনিশ্চিত। তাতে ভারত উঠলেও রোহিত থাকবেন না, এটুকু নিশ্চিত। দ্বিপাক্ষিক সিরিজের ক্ষেত্রে বলা যায়, টেস্ট ক্রিকেটে পরবর্তী সিরিজ ইংল্যান্ড সফর। সেখানে পাঁচ ম্যাচের সিরিজ। দল থেকে বাদ, কথাটা বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়কের ক্ষেত্রে শুনতে খারাপ লাগে তাই হয়তো সাজঘরের কথা চেপে রাখলেন বুমরা। তবে লাল বলের ক্রিকেটে যে রোহিত শেষ ম্যাচ খেলে ফেলেছেন, তা একপ্রকার নিশ্চিত। সামনে রইল শুধুই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। এরপর হয়তো পুরোপুরি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রাক্তন হয়ে যাবেন রোহিত।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share