Tag: Madhyom

Madhyom

  • Bihar: রোগ সারাইয়ের নামে মিশনারিদের বুজরুকি ‘চাঙ্গাই সভা’! সুস্থ না হওয়ায় সনাতনে ফিরলেন ধর্মান্তরিত খ্রিস্টান

    Bihar: রোগ সারাইয়ের নামে মিশনারিদের বুজরুকি ‘চাঙ্গাই সভা’! সুস্থ না হওয়ায় সনাতনে ফিরলেন ধর্মান্তরিত খ্রিস্টান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিহার (Bihar), ঝড়খণ্ড, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়- এই সমস্ত রাজ্যগুলিতে নানা প্রলোভনের ফাঁদে ফেলে জনজাতি সমাজকে খ্রিস্টান ধর্মে ধর্মান্তরিত করার ষড়যন্ত্র দীর্ঘদিন ধরেই চলছে। খ্রিস্টান ধর্মপ্রচারকদের এমন চক্রান্ত আজ আর কোথাও গোপন নেই। জনজাতি সমাজকে অর্থের প্রলোভন যেমন দেওয়া হয়, একইভাবে তাঁদের নানা রকমের রোগ মুক্তির জন্য খ্রিস্টানরা আয়োজন করে ‘চাঙ্গাই সভা’। এমন চাঙ্গাই সভা আদতে বুজরুকি ছাড়া কিছুই নয়। মিশনারিরা দাবি করেন, এই সভাগুলির মাধ্যমে গুরুতর অসুস্থতাও দূর করা যায়, প্রভু যীশুর আশীর্বাদে। এইরকমই একটি ঘটনা উঠে এসেছে বিহারের একটি গ্রাম থেকে। যেখানে চাঙ্গাই সভাতে সুস্থ করার প্রলোভন দিয়ে এক হিন্দুকে খ্রিস্টান ধর্মে ধর্মান্তরিত করা হয়। কিন্তু সুস্থ না হওয়ায় (Bihar) তিনি পুনরায় সনাতন ধর্মে ফিরে এসেছেন।

    চাঙ্গাই সভায় সুস্থ না হওয়ায় হিন্দু ধর্মে ফিরে আসেন সোনালাল মারান্ডি

    জানা গিয়েছে, বিহারের (Bihar) জয়পুর জেলার ধেবাকুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা সোনালাল মারান্ডি এবং তাঁর পরিবারকে খ্রিস্টান ধর্মে ধর্মান্তরিত করা হয়। তাঁদেরকে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয় যে চাঙ্গাই সভার মাধ্যমে সোনালাল মারান্ডি তাঁর গুরুতর অসুস্থতা থেকে মুক্তি পাবেন। পক্ষঘাত সম্পূর্ণ সেরে যাবে সোনালালের। কিন্তু চাঙ্গাই সভার পরেও তাঁর অসুস্থতা না সারায় পুনরায় সনাতন ধর্মে ফিরে আসন সোনালাল। এ নিয়ে সোনালাল সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘আমাকে প্রথমে বলা হয় খ্রিস্টান ধর্ম গ্রহণ করতে। তারপরে চাঙ্গাই সভার মাধ্যমে আমার রোগ সম্পূর্ণ নিরাময় করা হবে, এমনটা বলেন মিশনারিরা। কিন্তু অনেক সময় পার হলেও আমার অবস্থা ভালো হয়নি। তারপরেই আমি হিন্দু ধর্মে (Sanatan Dharma) ফিরে আসি।’’

    গঙ্গাস্নান করে হিন্দু ধর্মে প্রত্যাবর্তন 

    জানা গিয়েছে, এরপরেই সোনালাল মারান্ডি যোগাযোগ করেন তাঁরই গ্রাম প্রধান চুনিলাল মারান্ডির সঙ্গে। তাঁরই নির্দেশে এবং স্থানীয় সম্প্রদায়ের সম্পূর্ণ সহযোগিতায় সোনালাল সিদ্ধান্ত নেন পুনরায় তিনি সনাতন ধর্মে ফিরে আসার। জানা গিয়েছে, সোনালাল মারান্ডির সঙ্গে তাঁর স্ত্রী ফুলমণি, খ্রিস্টান ধর্মে ধর্মান্তরিত হওয়ার পরে যাঁর নাম হয়েছিল পুলিনা এবং তাঁর মেয়ে মার্শিনা গঙ্গাস্নান করে নিজেদেরকে পরিশুদ্ধ করেন। এরপর এক অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে খ্রিস্টান ধর্মকে ত্যাগ করেন এবং হিন্দু ধর্মে পুনরায় ফিরে আসেন। ঘরে ফিরে তাঁরা বাড়িতে (Bihar) মা দুর্গার প্রতিকৃতিও টাঙিয়ে দেন। এ নিয়ে সোনালাল মারান্ডির স্ত্রী ফুলমণিদেবী বলেন, ‘‘ যখন আমি আমার ধর্মে ফিরে এলাম, তখন আমি গভীর শান্তি লাভ করলাম।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Chhattisgarh: ছত্তিশগড়ে ‘ঘর ওয়াপসি’, খ্রিস্টান ধর্মে ধর্মান্তরিত ৬৫১ পরিবার ফিরল হিন্দু ধর্মে

    Chhattisgarh: ছত্তিশগড়ে ‘ঘর ওয়াপসি’, খ্রিস্টান ধর্মে ধর্মান্তরিত ৬৫১ পরিবার ফিরল হিন্দু ধর্মে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছত্তিশগড়ে (Chhattisgarh) হিন্দু ধর্মে ঘর ওয়াপসি হল ৬৫১টি পরিবারের। জানা গিয়েছে, এই পরিবারগুলিকে খ্রিস্টান ধর্মে ধর্মান্তরিত করা হয়। পরে স্থানীয় বিজেপি নেতা প্রবাল প্রতাপ সিংয়ের উদ্যোগে, তাঁদেরকে ফের হিন্দু ধর্মে ফিরিয়ে নিয়ে আসা হয়। জানা গিয়েছে, প্রবাল প্রতাপ সিংয়ের পরিবার বিগত ২ দশক ধরে হাজারেরও বেশি ধর্মান্তরিত হওয়া হিন্দু পরিবারকে পুনরায় সনাতন ধর্মে ফিরিয়ে এনেছেন। প্রসঙ্গত, এই ধর্মান্তরিত হওয়া হিন্দু পরিবারগুলিকে পুনরায় সনাতন ধর্মে ফিরিয়ে নিয়ে আসার জন্য প্রবাল প্রতাপ সিং, ছত্তিশগড়ের শক্তি নামক স্থানে এক ব্যাপক হিন্দু সম্মেলনের আয়োজন করেন। সেখানে অসংখ্য হিন্দু সাধু সন্ন্যাসীরা অংশগ্রহণ করেন। ওই অনুষ্ঠানে হাজির ছিলে সাধ্বী প্রজ্ঞাও।

    পা ধুইয়ে দেন বিজেপি নেতা প্রবাল প্রতাপ সিং 

    এই অনুষ্ঠানে প্রবাল প্রতাপ সিং, ওই ৬৫১ পরিবারের সদস্যদের পায়ে জল দিয়ে, নিজে হাতে তা ধুয়ে দেন। এভাবেই তিনি ফের সনাতন ধর্মে ফিরিয়ে নিয়ে আসেন এই পরিবারগুলিকে। প্রসঙ্গত, এই অনুষ্ঠানে শুধুমাত্র যে ধর্মান্তরিত হিন্দু পরিবারগুলিকে ফিরিয়ে নিয়ে আসা হয় তা নয়, এর পাশাপাশি ছত্তিশগড় জুড়ে (Chhattisgarh) যে সমস্ত হিন্দুদেরকে টার্গেট বানানো হয়েছে খ্রিস্টান করার জন্য, তাঁদেরকেও এদিন হাজির করেছিলেন ওই বিজেপি নেতা।

    কী বললেন বিজেপি নেতা প্রবাল প্রতাপ সিং? 

    প্রবাল প্রতাপ সিং (Chhattisgarh) এরপর সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘মেকি ধর্মনিরপেক্ষ হিন্দুদের কাছ থেকে, সনাতন ধর্ম নানা রকমের বাধা ও চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছে। ধর্মান্তকরণের উদ্দেশ্য নিয়ে যাঁরা চলেন, সেই খ্রিস্টানরা আমাদের হিন্দু সমাজে বসতি গড়ে তুলেছেন। তাঁরা নানারকমের প্রতারণামূলক ফাঁদ পেতে আমাদের হিন্দুধর্মের (Hinduism) সদস্যদের ধর্মান্তকরণ  করছেন। এ যেন ঠিক জঙ্গিদের স্লিপার সেলের কাজ মনে হচ্ছে। এখন সময় এসেছে তাঁদের প্রকৃত চরিত্রকে জনগণের সামনে উন্মোচিত করার এবং তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করার।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Assam STF: অসমে গ্রেফতার আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের আরও এক জঙ্গি

    Assam STF: অসমে গ্রেফতার আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের আরও এক জঙ্গি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অসম পুলিশের স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্সের (Assam STF) হাতে গ্রেফতার জঙ্গি গাজি রহমান। বছর পঁয়ত্রিশের ওই জঙ্গিকে গতকাল সোমবারই অসমের কোকরাঝাড় জেলা থেকে পাকড়াও করেছে অসম এসটিএফ। জানা গিয়েছে, ধৃত জঙ্গি আনসারুল্লাহ বাংলা টিম (এবিটি)-এর সদস্য। প্রসঙ্গত, অসম পুলিশ সম্প্রতি জেহাদি দমনের উদ্দেশে শুরু করেছে ‘অপারেশন প্রঘাত’। এই অভিযানে ইতিমধ্যে বেশ কয়েক জন বাংলাদেশি জঙ্গিকে গ্রেফতার করেছে এসটিএফ। কোকরাঝাড়ের ভোডিয়াগুড়ি থেকে অসম এসটিএফ গ্রেফতার করে গাজি রহমানকে। কোকরাঝাড়ের স্লিপার সেলের মাথা হল গাজি রহমান, এমনটাই দাবি করেছে অসম এসটিএফ।

    অসম পুলিশের অভিযানে গ্রেফতার মোট ১২ জঙ্গি

    সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত অসম এসটিএফের (Assam STF) হাতে আনসারুল্লাহ বাংলা টিম  এবং অন্যান্য জঙ্গি সংগঠনের মোট ১২ জন জেহাদি গ্রেফতার হয়েছে। এনিয়ে অসম এসটিএফের ইনস্পেক্টর জেনারেল পার্থসারথি মহন্ত সংবাদমাধ্যমকে জানান, ‘অপারেশন প্রঘাত’-এ একটি উল্লেখযোগ্য সাফল্য এসেছে। আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের এই জঙ্গির গ্রেফতারি নিয়ে এসটিএফের আইজিপি জানিয়েছেন, স্থানীয় থানার সাহায্য নিয়ে গাজিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপ এই জঙ্গির বিরুদ্ধে করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

    জঙ্গি (Islamist Terrorist) গ্রেফতার হয় পশ্চিমবঙ্গেও

    সম্প্রতি, জেহাদি দমন অভিযানে পশ্চিমবঙ্গেও অভিযান চালিয়েছিল অসম পুলিশ। এই অভিযানে (Assam STF) মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়া থেকে গ্রেফতার করা হয় মহম্মদ আব্বাস এবং মিনারুল শেখ নামের দুই জঙ্গিকে। গোয়েন্দা সূত্রে দাবি, তাঁরা দু’জনেই বাংলাদেশের নিষিদ্ধ জঙ্গি গোষ্ঠী আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের পশ্চিমবঙ্গ শাখার সক্রিয় সদস্য। গত ১০ ডিসেম্বর অসম পুলিশের এসটিএফ গোপন সূত্রে খবর পায়, নাশকতামূলক কার্যকলাপের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ থেকে ভারতে ঢুকেছে বেশ কিছু জঙ্গি। এরপর শুরু হয় অভিযান, টানা ৪৮ ঘণ্টার অভিযানে পুলিশের জালে ৮ জঙ্গি ধরা পড়ে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sujay Krishna Bhadra: ভেন্টিলেশনে ‘কালীঘাটের কাকু’, হল না প্রাথমিক দুর্নীতিকাণ্ডে চার্জ গঠন

    Sujay Krishna Bhadra: ভেন্টিলেশনে ‘কালীঘাটের কাকু’, হল না প্রাথমিক দুর্নীতিকাণ্ডে চার্জ গঠন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবার ‘কালীঘাটের কাকু’ (Sujay Krishna Bhadra) অসুস্থ হয়ে পড়ায় চার্জ গঠন হল না। কোর্টে হাজিরার আগেই অজ্ঞান হয়ে গেলেন কালীঘাটের কাকু (Kalighat Kaku) ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। সোডিয়াম পটাসিয়াম লেবেলে কিছুটা ঘাটতি রয়েছে বলে খবর। এসএসকেএমে ভর্তি করা হয়েছে তাঁকে। মামলার পরবর্তী শুনানি ২ জানুয়ারি। এমনটাই সূত্রের খবর।

    কী হয়েছে কালীঘাটের কাকুর?(Sujay Krishna Bhadra)  

    প্রেসিডেন্সি কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার সূত্রে খবর, সোমবার সকালে হঠাৎ সংজ্ঞা হারান তিনি। হৃদযন্ত্রের সমস্যায় ভুগছিলেন ‘কাকু’। সেই সংক্রান্ত অসুস্থতা থেকেই তিনি সংজ্ঞা হারান বলে মনে করা হচ্ছে। অসুস্থ অবস্থায় তাঁকে প্রেসিডেন্সি জেল থেকে নিয়ে যাওয়া হয় এসএসকেএমে। সন্ধ্যায় তাঁকে (Sujay Krishna Bhadra) সেখান থেকে স্থানান্তর করা হয় আলিপুরের এক বেসরকারি হাসপাতালে। এর আগেও শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে এই বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত সুজয়কৃষ্ণকে। এ বারও যাতে সেই হাসপাতালেই তাঁর চিকিৎসা হয়, সে বিষয়ে আদালতে আবেদন জানান ‘কাকু’র আইনজীবী। বিচার ভবন থেকে সেই আবেদন মঞ্জুর করা হয়েছে। এর পরেই সোমবার সন্ধ্যায় এসএসকেএম থেকে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় আলিপুরের ওই বেসরকারি হাসপাতালে। সূত্রের খবর, তাঁর এমআরআইয়ের ব্যবস্থা করা হবে বলে খবর। তাঁর সোডিয়াম ও পটাশিয়াম লেভেলে কিছু অসংগতি রয়েছে বলে খবর। কেমন যেন আচ্ছন্ন অবস্থায় ছিলেন তিনি। বেসরকারি হাসপাতাল সূত্রে খবর, তাঁকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: অসমে কয়েক দশকের গড়ে ধস, কংগ্রেসকে ধরাশায়ী বিজেপির তরুণ তুর্কি দীপলুর

    সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের আইনজীবী কী বললেন?

    এদিকে প্রাথমিক দুর্নীতি কাণ্ডে ইডির মামলায় সোমবার চার্জ গঠন হওয়ার কথা ছিল। এদিন পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অর্পিতা মুখোপাধ্যায়, কুন্তল ঘোষ, তাপস মণ্ডলরা উপস্থিত ছিলেন আদালতে। কিন্তু আসতে পারলেন না কালীঘাটের কাকু। সকালে আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। তার জেরে স্বাভাবিকভাবেই চার্জ গঠন পিছিয়ে যায়। ব্যাঙ্কশালের বিশেষ সিবিআই আদালতে আসতে পারেননি তিনি। তার জেরে চার্জগঠন পিছিয়ে যায়। সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের (Sujay Krishna Bhadra)  আইনজীবী আদালতে জানিয়ে দেন, সকালে আদালতে আসার পথে অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাই, হাজিরা দিতে পারেননি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mahakumbh 2025: প্রয়াগরাজে হবে মহাকুম্ভ, যোগীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ সাধুরা

    Mahakumbh 2025: প্রয়াগরাজে হবে মহাকুম্ভ, যোগীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ সাধুরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে হবে মহাকুম্ভ (Mahakumbh 2025)। জোর কদমে চলছে প্রস্তুতি-পর্ব। এই শহরই সাক্ষী হয়ে উঠছে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের নেতৃত্বে সনাতন ধর্ম প্রচারের এক অভূতপূর্ব উদ্যোগের। মুখ্যমন্ত্রী যোগীর স্লোগান, “বাঁটেঙ্গে তো কাটেঙ্গে” (বিভাজন ধ্বংস ডেকে আনে), দেশের বিভিন্ন স্থানের সাধুদের কাছ থেকে ব্যাপক সমর্থন পেয়েছে।

    সনাতন ধর্মের পুনর্জাগরণ

    তাঁরা তাঁদের সমর্থন জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে (CM Yogi) সনাতন ধর্মের পুনর্জাগরণ ও আধুনিক যুগে তাঁর বিকাশের অগ্রদূত হিসেবে প্রশংসা করেছেন। তাঁদের মতে, মহাকুম্ভ ২০২৫-এর অতুলনীয় পরিসর সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দূরদর্শী নেতৃত্ব ও উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের অক্লান্ত পরিশ্রমের কারণে। সঙ্গম এলাকার চারপাশে বড় বড় হোর্ডিংগুলিতে সনাতন ধর্ম প্রচারের বার্তা দেওয়া হয়েছে। নানিজ ধাম দক্ষিণ পীঠের জগদগুরু রামানন্দাচার্য নরেন্দ্রাচার্যের একটি বিশাল পোস্টারে লেখা হয়েছে, “সনাতন শান্তিপূর্ণ, দুর্বল নয়।”

    যোগী “যুগ পুরুষ”

    হিন্দু ঐক্য ও সনাতন মূল্যবোধের প্রতি ভক্তি জাগাতে জোর দেওয়া বিভিন্ন স্লোগান ভক্তদের মধ্যে উত্তেজনা ও গর্বের উদ্রেক করছে (Mahakumbh 2025)। দক্ষিণ পীঠ থেকে অযোধ্যা ধাম পর্যন্ত সাধুরা মুখ্যমন্ত্রী যোগীকে “যুগ পুরুষ” অভিধায় ভূষিত করেছেন। অযোধ্যার শ্রী রাম বৈদেহী মন্দিরের প্রধান পুরোহিত তথা রঘুবংশ সংকল্প সেবার প্রধান, স্বামী দিলীপ দাস ত্যাগী মহারাজ, মুখ্যমন্ত্রী যোগীকে একজন ধর্মপরায়ণ ও নিবেদিতপ্রাণ নেতা হিসেবে অভিহিত করেছেন।

    আরও পড়ুন: অসমে কয়েক দশকের গড়ে ধস, কংগ্রেসকে ধরাশায়ী বিজেপির তরুণ তুর্কি দীপলুর

    ত্যাগী মহারাজ বলেন, “উত্তরপ্রদেশে বহু মুখ্যমন্ত্রী এসেছেন। তবে যোগী আদিত্যনাথের নেতৃত্বে প্রথমবারের মতো এত বিশাল ও মহৎ মহাকুম্ভের আয়োজন করা হচ্ছে।” তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর মহাকুম্ভ নগরে ঘন ঘন পরিদর্শন তাঁর ভক্তদের কল্যাণ ও সুবিধা নিশ্চিত করার প্রতি আন্তরিক প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন।” ত্যাগী মহারাজের মতে, মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ (CM Yogi) কেবল উত্তরপ্রদেশের ভক্তদের প্রয়োজন পূরণ করছেন না, বরং সারা দেশের তীর্থযাত্রীদের সুরক্ষা এবং নির্বিঘ্ন আয়োজন নিশ্চিত করতে তাঁর নিষ্ঠায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পরে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন (Mahakumbh 2025)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Sarwan Singh: খিদের জ্বালায় পদক বিক্রি সোনা জয়ী অ্যাথলিটের! গল্প শুনলে শিউরে উঠবেন

    Sarwan Singh: খিদের জ্বালায় পদক বিক্রি সোনা জয়ী অ্যাথলিটের! গল্প শুনলে শিউরে উঠবেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পেটে খিদের আগুনে জয়ের গৌরবও ছারখার হয়ে যায়। খিদের জ্বালায় সোনার পদক বিক্রি করলেন ভারতীয় অ্যাথলিট (Athlete)। নাম সারওয়ান সিং (Sarwan Singh), কিন্তু এই নামটা হয়তো অনেকেই জানেন না। তিনি ১৯৫৪ সালে আয়োজিত এশিয়ান গেমসের ১১০ মিটার হার্ডলসে ভারতের হয়ে অংশগ্রহণ করেছিলেন। তবে জীবন যুদ্ধে এখন অনেকটাই পিছিয়ে পড়ে সঙ্কটের মধ্যে রয়েছেন তিনি। কার্যত না খেয়ে এখন দিন কাটাতে হচ্ছে তাঁকে।

    প্রথমবার ১ লাখ সমর্থকের সামনে তিনি দৌড় দিয়েছিলেন

    সারওয়ান সিং (Sarwan Singh) ১৯৫৪ সালে প্রথমবার দেশের হয়ে খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন। জীবনে প্রথমবার ১ লাখ সমর্থকের সামনে তিনি দৌড় প্রতিযগিতায় (Athlete) অংশ নেন। পথে দশটি হার্ডল তাঁকে টপকে যেতে হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত লড়াই করে সোনার পদক জয় করেছিলেন। গোটা খেলাকে ১৪.৭ সেকেন্ডে সমাপ্ত করেছিলেন। গলায় করে নিয়ে এসেছিলেন সোনার পদক। জীবনে এর থেকে বড় প্রাপ্তি কী আর থাকতে পারে। ওই দিন দেশের জাতীয় পতাকা গায়ে জড়িয়ে ছিলেন তিনি। অপূর্ব সুন্দর মুহূর্ত ছিল সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। কিন্তু কালের প্রবাহে সেই সুখ স্থায়ী হয়নি। এই সোনার পদক পরবর্তী কালে অন্নসংস্থান করে দেয়নি। চাকরির জন্য সর্বত্র ঘুরতে হয়েছিল তাঁকে। সামান্য মাইনের কোনও সরকারি চাকরিও জোটেনি তাঁর ভাগ্যে।

    ভাড়ার ট্যাক্সি চালিয়ে দিনপাত করতে হয়েছিল

    অনেক কষ্টে বেঙ্গল ইঞ্জিনিয়ারিং গ্রুপে একটি চাকরি জোটে সারওয়ান সিংয়ের। কিন্তু ১৯৭০ সালে অবসর গ্রহণের পর আবার সেই আর্থিক দুর্দশার সম্মুখীন হতে হয়েছিল তাঁকে। নিজেকে পরিবার-বন্ধু-আত্মীয়দের থেকে দূরে রেখে ২০ বছর ধরে ট্যাক্সি চালিয়ে জীবন ধারণ করেন। বয়স বাড়তে থাকে। কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে এশিয়ান গেমসে সোনা জয়ী অ্যাথলিটের জন্য ১৫০০ টাকা পেনশনের ব্যবস্থা করা হয়। এখন বৃদ্ধ বয়সে নিজে হাঁটার ক্ষমতা প্রায় হারিয়ে ফেলেছেন তিনি। তাই আর্থিক অভাবে বাধ্য হয়ে নিজের সোনার পদকটি বিক্রি করে দেন। তিনি (Sarwan Singh) ইতিহাসের পাতায় থাকলেও দারিদ্রের কারণে বর্তমান সমাজ তাঁকে ভুলে গিয়েছে। স্বাধীন দেশে এই ঘটনা চোখে জল আনে।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladeshi Infiltration: ভারতে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশ নিয়ে অবস্থান স্পষ্ট করল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র-মন্ত্রক

    Bangladeshi Infiltration: ভারতে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশ নিয়ে অবস্থান স্পষ্ট করল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র-মন্ত্রক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশি অনুপ্রবেশের (Bangladeshi Infiltration) বিষয়টি দীর্ঘদিন ধরে ভারতে একটি বিতর্কিত বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে, যা রাজনৈতিক বিতর্ক ও অভিযোগকে উসকে দিচ্ছে। বিশেষ করে ঝাড়খণ্ডের মতো রাজ্যে। এই সব বিতর্কের মধ্যে এবার বাংলাদেশি অনুপ্রবেশ সম্পর্কে কোনও কেন্দ্রীয় – স্তরের ডেটা রাখা হয় না বলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক (MHA) সম্প্রতি তার অবস্থান স্পষ্ট করেছে। তথ্যের অধিকার (আরটিআই) প্রশ্নের উত্তরে এই স্পষ্টীকরণ এসেছে, যা সমস্যাটিকে ঘিরে জটিলতাগুলিকে আরও স্পষ্ট করেছে।

    আরটিআই প্রশ্ন এবং MHA এর প্রতিক্রিয়া (Bangladeshi Infiltration)

    ঝাড়খণ্ড জনাধিকার মহাসভার সঙ্গে যুক্ত সিরাজ দত্ত তিনটি মূল দিক সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য চেয়ে এমএইচএ-তে একটি অনলাইন আরটিআই আবেদন জমা দিয়েছেন। তাতে তিনি জানতে চেয়েছেন, ১) প্রতিটি রাজ্যে অবৈধভাবে বসবাসকারী বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীর (Bangladeshi Infiltration) সংখ্যা। ২) বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের জড়িত “লাভ জিহাদ” এবং “ল্যান্ড জিহাদ” সম্পর্কিত মামলা। ৩) এসব সমস্যা সমাধানে কী প্রশাসনিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তার প্রতিক্রিয়ায়, এমএইচএ বলেছে যে অবৈধ অনুপ্রবেশের ঘটনাগুলি ১৯৩৯ সালের বিদেশি আইন এবং ১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইনের আওতায় পড়ে। তবে, মন্ত্রক নিশ্চিত করেছে যে কেন্দ্রীয় স্তরে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের ডেটা রাখা হয় না। পরিবর্তে, রাজ্য সরকার, কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল বা ইমিগ্রেশন ব্যুরোতে এই ধরনের তথ্য সম্ভাব্যভাবে উপলব্ধ হতে পারে।

    ঝাড়খণ্ডে আইনি উন্নয়ন

    ঝাড়খণ্ড (Jharkhand) এমন একটি রাজ্য যেখানে বাংলাদেশের (Bangladeshi Infiltration) সঙ্গে কোনও সীমানা নেই। কিন্তু সাঁওতাল পরগনা অঞ্চলে অনুপ্রবেশের অভিযোগ রয়েছে। ঝাড়খণ্ড হাইকোর্ট এর আগে রাজ্য সরকারকে বিষয়টি তদন্ত করার জন্য একটি ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং কমিটি গঠন করার নির্দেশ দিয়েছিল। যাই হোক, রাজ্য সরকারের আপত্তির পরে বিষয়টি এখন সুপ্রিম কোর্টের পর্যালোচনাধীন রয়েছে। ঝাড়খণ্ড সরকারের প্রতিনিধিত্বকারী সিনিয়র আইনজীবী কপিল সিবাল যুক্তি দিয়েছিলেন যে ঝাড়খণ্ডে অনুপ্রবেশের অভিযোগ ভিত্তিহীন এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।  

    অসন্তোষ প্রকাশ করে ঝাড়খণ্ড হাইকোর্ট

    এই বছরের সেপ্টেম্বরে ঝাড়খণ্ড হাইকোর্টে ড্যানিয়েল ড্যানিশের দ্বারা একটি জনস্বার্থ মামলা (পিআইএল) দায়ের করার পরে বিষয়টি গতি পায়। পিআইএল সাঁওতাল পরগনা অঞ্চলে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশের (Bangladeshi Infiltration) বিষয়ে স্পষ্টতা চেয়েছিল। জেলা প্রশাসক সহ জেলা আধিকারিকদের দ্বারা জমা দেওয়া রিপোর্টগুলি কোনও উল্লেখযোগ্য অনুপ্রবেশ অস্বীকার করেছে। হাইকোর্ট জেলা প্রশাসকদের প্রতিবেদনে অসঙ্গতি উল্লেখ করে অসন্তোষ প্রকাশ করে। হাইকোর্ট এমন একটি মামলা তুলে ধরে, যেখানে সাহেবগঞ্জে চার বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে শনাক্ত করা হয়েছে, আর বিষয়টি জেলা প্রশাসন অস্বীকার করেছে। আদালত মন্তব্য করেছে যে যদিও আদালত বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রদানের জন্য জেলা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার প্রক্রিয়া শুরু করতে পারে, তবে এর প্রাথমিক উদ্দেশ্য ছিল সত্যটি নিশ্চিত করা।  

    সাঁওতাল পরগণায় মুসলিম জনসংখ্যা বৃদ্ধি!

    হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ অনুসারে সাঁওতাল পরগণায় উল্লেখযোগ্য জনসংখ্যাগত পরিবর্তন ঘটেছে। রিপোর্ট অনুসারে, এই অঞ্চলে উপজাতীয় জনসংখ্যা ৪২ শতাংশ থেকে ২৮ শতাংশে নেমে এসেছে। পাশাপাশি পাকুর এবং সাহেবগঞ্জের মতো জেলাগুলিতে মুসলিম জনসংখ্যা ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুসারে প্রায় ৩৫ শতাংশ বেড়েছে। সমগ্র সাঁওতাল পরগণা অঞ্চল জুড়ে একই সময়ে মুসলিম (Bangladeshi Infiltration) জনসংখ্যা ১৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এই পরিসংখ্যানগুলি বিতর্ককে আরও উসকে দিয়েছে।

    কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সহযোগিতা

    সাম্প্রতিক শুনানির সময় ভারতের সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা ঝাড়খণ্ড হাইকোর্টকে জানিয়েছেন যে কেন্দ্রীয় সরকারের স্বরাষ্ট্র সচিব এবং ঝাড়খণ্ডের মুখ্য সচিব যৌথভাবে সাঁওতাল পরগনায় বাংলাদেশি অনুপ্রবেশের (Bangladeshi Infiltration) তদন্তের জন্য একটি উচ্চ-ক্ষমতার কমিটি গঠনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন। কেন্দ্রীয় সরকার একটি হলফনামার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত জমা দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, পরবর্তী শুনানি ২০ সেপ্টেম্বর নির্ধারিত হয়েছে। আগে জমা দেওয়া একটি হলফনামায় কেন্দ্রীয় সরকার পরামর্শ দিয়েছিল যে ন্যাশনাল রেজিস্টার অফ সিটিজেনস (এনআরসি) এর মাধ্যমে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের সনাক্তকরণ এবং নির্বাসনকে সহজতর করা যেতে পারে। এমএইচএর স্পষ্টীকরণ কেন্দ্রীভূত ডেটার অনুপস্থিতির পরামর্শ দেয়, ঝাড়খণ্ডে চলমান আইনি প্রক্রিয়াগুলি এই ধরনের অভিযোগগুলি মোকাবিলায় চ্যালেঞ্জগুলি তুলে ধরে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Pakistan: বালুচিস্তানে জারিফ বালুচকে অপহরণ করে নির্মমভাবে হত্যার তীব্র প্রতিবাদ প্যাঙ্ক-এর

    Pakistan: বালুচিস্তানে জারিফ বালুচকে অপহরণ করে নির্মমভাবে হত্যার তীব্র প্রতিবাদ প্যাঙ্ক-এর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের (Pakistan) বালুচ ন্যাশনাল মুভমেন্ট (বিএনএম)-এর মানবাধিকার শাখা প্যাঙ্ক, জারিফ বালুচকে অপহরণ এবং বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের মতো একাধিক মানবাধিকার হরণ করার ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। শোকার্ত পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে ন্যায় বিচারও চেয়েছে এই সংগঠন। বিশ্বের সামনে আরও একবার পাকিস্তানের কুকর্ম ফাঁস।

    বিচার না করে খুন করা হয়েছে (Pakistan)

    বালুচিস্তানের (Pakistan) একটি সংবাদ মাধ্যম বালুচিস্তান পোস্ট এক্স হ্যান্ডলে জানিয়েছে, “আমরা জারিফের অপহরণ এবং নির্মম হত্যাকাণ্ডের তীব্র ধিক্কার জানাই। তাঁকে পাশবিক অত্যাচার করে কোনও রকম বিচার না করে খুন করা হয়েছে। পরিবারের সঙ্গে ন্যায় বিচার করা হয়নি। জারিফের মৃতদেহের সঙ্গে অত্যন্ত খারপ আচরণ করা হয়েছে। মৃতদেহকে ময়নাতদন্তের জন্য তুর্বতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এই কাজ সম্পূর্ণভাবে মানবাধিকার বিরোধী।”

    জীবিত অবস্থায় তার জিহ্বা কেটে ফেলা হয়েছিল!

    বালুচ ইয়াকজেহতি কমিটি বা বিওয়াইসি (Balochistan) জানিয়েছে, “জারিফ বালুচকে ভয়ঙ্কর নির্যাতন করা হয়েছিল। জীবিত অবস্থায় তাঁর জিব কেটে ফেলা হয়েছিল। এই বর্বর নৃশংস কাজটি বালুচদের কণ্ঠস্বরকে স্তব্ধ এবং দমন করতেই করা হয়েছে। সম্পূর্ণভাবে কাজটি ইচ্ছাকৃতভাবে করা হয়েছে। এই এলাকার মানুষের গত কয়েক দশকের আন্দোলনের ওপর পাকিস্তান নির্মমভাবে অত্যাচার চালাচ্ছে।” সেইসঙ্গে প্যাঙ্ক, পাক সরকারের কাছে দাবি করেছে, রাজ্যে ভয়মুক্ত পরিবেশ গড়তে হবে। শান্তিপূর্ণভাবে যে কোনও রকমের প্রতিবাদ করার সুযোগ মানুষকে দিতে হবে। মানুষের অধিকার সুরক্ষিত রাখতে হবে।

    উল্লেখ্য, ১৯৪৭ সালের পর থেকেই গিলগিট (Pakistan) এবং বালুচিস্তান (Balochistan) আগ্রাসী পাক সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ-আন্দোলন করে আসছে। তাঁদের ধর্ম, সংস্কৃতি, ভাষা, কর্মসংস্থান এবং ইতিহাস, ঐতিহ্যকে অক্ষত রাখতে উগ্র মৌলবাদীদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে যাচ্ছে। প্রতিদিন পাক সেনার আক্রমণে প্রচুর সাধারণ মানুষের জীবন বিপন্ন হচ্ছে। পাক সরকারের এই অমানবিক আচরণের বিরুদ্ধে বিশ্বমঞ্চে একাধিক বার পাকিস্তানের মুখ পুড়েছে। তবুও নির্লজ্জ দেশের আচরণে কোনও পরিবর্তন লক্ষ্য করেছেন না ওয়াকিবহাল মহল। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Indian Economy: ঊর্ধ্বমুখী ভারতীয় অর্থনীতির লেখচিত্র, কী বলছে ডেলয়েট?

    Indian Economy: ঊর্ধ্বমুখী ভারতীয় অর্থনীতির লেখচিত্র, কী বলছে ডেলয়েট?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মোদি জমানায় ঊর্ধ্বমুখী ভারতীয় অর্থনীতির (Indian Economy) লেখচিত্র। ভারতীয় অর্থনীতি ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে ৬.৫-৬.৮ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষে এটি সামান্য বেশি অর্থাৎ ৬.৭-৭.৩ শতাংশ হতে পারে। রবিবার এমনই জানিয়েছে ডেলয়েট (Deloitte)।

    কী বলছেন অর্থনীতিবিদ? (Indian Economy)

    ডেলয়েট ইন্ডিয়ার অর্থনীতিবিদ রুমকি মজুমদার বলেন, “২০২৪-২৫ অর্থবর্ষের প্রথমার্ধে প্রবৃদ্ধি প্রত্যাশার তুলনায় কম ছিল। কারণ নির্বাচনের অনিশ্চয়তা, ভারী বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট ব্যাঘাত এবং ভূরাজনৈতিক ঘটনাগুলি দেশীয় চাহিদা এবং রফতানিতে প্রভাব ফেলেছে। এই চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও, ভারত নির্দিষ্ট কিছু ক্ষেত্রে স্থিতিস্থাপকতা প্রদর্শন করেছে, যার মধ্যে রয়েছে শক্তিশালী ভোক্তা প্রবণতা, পরিষেবা খাতে প্রবৃদ্ধি, উচ্চ-মূল্যের উৎপাদন রফতানির ক্রমবর্ধমান অংশ এবং মূলধন বাজারের উন্নতি।”

    পরিকাঠামো উন্নয়ন

    সরকারের লাগাতার মনোযোগ পরিকাঠামো উন্নয়ন, ডিজিটালাইজেশন, এবং প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার ওপর কেন্দ্রীভূত, যা সামগ্রিক অর্থনৈতিক দক্ষতা বাড়াতে অতিরিক্ত প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধিকারক হিসেবে কাজ করবে। রুমকি বলেন, “আমরা সতর্কভাবে আশাবাদী রয়েছি এবং আশা করছি এই আর্থিক বছরে প্রবৃদ্ধির হার ৬.৫ থেকে ৬.৮ শতাংশের মধ্যে থাকবে এবং ২০২৫-২৬ আর্থিক বছরে এটি সামান্য বেশি, অর্থাৎ ৬.৭ থেকে ৭.৩ শতাংশ হতে পারে।” সম্প্রতি রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া বর্তমান অর্থবর্ষের (Indian Economy) জন্য তাদের প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস সংশোধন করে ৬.৬ শতাংশ করেছে। এটি জুন মাসে প্রদত্ত ৭.২ শতাংশ পূর্বাভাসের চেয়ে কম।

    আরও পড়ুন: অসমে কয়েক দশকের গড়ে ধস, কংগ্রেসকে ধরাশায়ী বিজেপির তরুণ তুর্কি দীপলুর

    ডেলয়েটের মতে, ভারতের বৈশ্বিক মূল্য শৃঙ্খলে অবস্থান শক্তিশালী হচ্ছে, যার প্রমাণ উচ্চ-মূল্যের খাতে যেমন ইলেকট্রনিক্স, সেমিকন্ডাক্টর এবং রাসায়নিক দ্রব্যের উৎপাদন রফতানি প্রবৃদ্ধি। এদিকে, গত দেড়-দু’মাসে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বিদেশি বিনিয়োগকারীর অর্থপ্রবাহ হ্রাস সত্ত্বেও পুঁজিবাজার স্থিতিশীলতা দেখিয়েছে, যা খুচরো ও দেশীয় প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধির কারণে সম্ভব হয়েছে। রুমকির পূর্বাভাস, “এই প্রবণতাগুলির অনেকটাই ২০২৫ সাল পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে, যেখানে গ্রামীণ ও শহর উভয় চাহিদা দ্বারা চালিত অভ্যন্তরীণ ভোগ ভারতের অর্থনৈতিক (Deloitte) প্রবৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে (Indian Economy)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Daily Horoscope 31 December 2024: সম্পত্তি নিয়ে সমস্যা মিটে যেতে পারে এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 31 December 2024: সম্পত্তি নিয়ে সমস্যা মিটে যেতে পারে এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) মাথাগরম করার ফলে হাতে আসা কাজ ভেস্তে যাবে।

    ২) পিঠে ব্যথার সমস্যা থাকবে।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    বৃষ

    ১) ভাই-বোনের কাছ থেকে ভাল সাহায্য পেতে পারেন।

    ২) মা-বাবার সম্পত্তির ভাগ পেতে পারেন।

    ৩) বন্ধুদের সাহায্য পাবেন।

    মিথুন

    ১) কোনও নিয়ম লঙ্ঘন করার জন্য আপনাকে বিপদে পড়তে হতে পারে।

    ২) উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে শুভ যোগ।

    ৩) সখপূরণ হবে।

    কর্কট

    ১) কোনও ভুল কাজের জন্য অনুতাপ হতে পারে।

    ২) অতিরিক্ত দৌড়ঝাঁপ করার ফলে অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন।

    ৩) বিবাদে জড়াবেন না।

    সিংহ

    ১) কারও কুপ্রভাবে সংসারে অশান্তি হতে পারে।

    ২) সামাজিক সুনাম বা প্রতিপত্তি বিস্তারের যোগ।

    ৩) গুরুজনদের পরামর্শ মেনে চলুন।

    কন্যা

    ১) সাংসারিক কারণে মানসিক যন্ত্রণা বাড়তে পারে।

    ২) আজ আপনাকে অবাক করে দেওয়া কোনও সুখবর আসতে পারে।

    ৩) ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নিন।

    তুলা

    ১) ব্যয় বাড়তে পারে।

    ২) সম্পত্তি নিয়ে সমস্যা মিটে যেতে পারে।

    ৩) পরিবারের সঙ্গে সময় কাটান।

    বৃশ্চিক

    ১) বাত-জাতীয় রোগে কষ্ট পাওয়ার আশঙ্কা।

    ২) কর্মস্থলে নিজের মতামত প্রকাশ না করাই ভাল হবে।

    ৩) ডাক্তারের কাছে যেতে হতে পারে।

    ধনু

    ১) বাড়িতে সবাই খুব সতর্ক থাকুন, চুরির ভয় রয়েছে।

    ২) আর্থিক সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে।

    ৩) ধৈর্য ধরুন।

    মকর

    ১) জমি বা সম্পত্তি ক্রয়-বিক্রয় করার শুভ দিন।

    ২) শেয়ারে বাড়তি লগ্নি চিন্তাবৃদ্ধি ঘটাতে পারে।

    ৩) সবাইকে বিশ্বাস করবেন না।

    কুম্ভ

    ১) বন্ধুদের বিরোধিতা থেকে সাবধান থাকুন।

    ২) সঞ্চয়ের ব্যাপারে বিশেষ নজর দিন।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    মীন

    ১) পেটের সমস্যা বাড়তে পারে।

    ২) সংসারে আর্থিক টানাপড়েন থাকলেও তা মিটে যাবে।

    ৩) ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে দিনটি।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share