Tag: Madhyom

Madhyom

  • Haridas Pal: শুধু নিছকই প্রবাদ নয়, কে ছিলেন ‘হরিদাস পাল’?

    Haridas Pal: শুধু নিছকই প্রবাদ নয়, কে ছিলেন ‘হরিদাস পাল’?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলার পথে মাঠে ঘাটে সামান্য মন কষাকষি বা বিতর্কের স্ফুলিঙ্গ দেখা দিলেই, যুযুধান দুই পক্ষের ঠোঁটের ডগায় উঠে আসে একটি বাক্য, “তুমি কোন হরিদাস পাল?” গত পাঁচ ছয় দশক ধরে কোনও মানুষকে ইচ্ছাকৃতভাবে অযোগ্য ও তুচ্ছ বোঝাতে, দ্বিধাহীনভাবে বাঙালি ব্যবহার করেছে ‘হরিদাস পাল’ নামটিকে। কাউকে ‘হরিদাস পাল’ (Haridas Pal) বললেই বক্তব্যটির সত্যতা বোঝা যাবে। মূলত, উপোহাস হিসেবে ব্যবহার হয়। কিন্তু, প্রশ্ন হল হরিদাস পাল আদৌ কেউ ছিলেন, না এটা জনশ্রুতি।

    কে সেই হরিদাস পাল? (Haridas Pal)

    কেউ বলেন এই হরিদাস পাল (Haridas Pal) একটি কাল্পনিক চরিত্র। কারণ বাঙালির ইতিহাসে এই মানুষটির জীবন কাহিনির খোঁজ মিলবে না। অপরপক্ষের মতবাদ হল, গত পাঁচ- ছয় দশক ধরে বাঙালির বুলিতে পাকাপাকিভাবে জায়গা করে নেওয়া মানুষটি ছিলেন রক্ত মাংসেই গড়া। কারণ, এরকম অনেক মানুষের নামই বাঙালি চলতি কথায় ব্যবহার করে, যাঁরা ছিলেন বাস্তব জগতের মানুষ। দু’জন হরিদাস পালই, কিংবদন্তির হরিদাস পাল হওয়ার যোগ্যতা রাখতেন। ফলে তাঁদের মধ্যে কে কিংবদন্তির ‘হরিদাস পাল’ তা নিয়ে আজ অবধি কোনও সিদ্ধান্তে আসা যায়নি। তবুও আসুন, চিনে নিই দুই পালকেই।

    রিষড়ার হরিদাস পাল

    জানা গিয়েছে, রিষড়ার হরিদাস পাল (Haridas Pal) হুগলির রিষড়া এলাকার এক গন্ধবণিক পরিবারের ১৮৭৬ সালে জন্মেছিলেন। নিতাইচরণ পালের পরিবারে জন্ম নেওয়া হরিদাস পালের সর্বক্ষণের সঙ্গী ছিল দারিদ্র। তাই ষোল বছর বয়সে কাজ নিয়েছিলেন কলকাতার শোভাবাজার এলাকার একটি সোনার দোকানে। মাইনে ছিল অতি সামান্য। তাতে সংসার চলত না। একসময় ঋণের ফাঁদে পড়ে শেষ হতে বসেছিলেন। কিন্তু অভাবনীয়ভাবে একদিন ঘুরে গিয়েছিল ভাগ্যের মোড়। হরিদাস পালকে তাঁর সুবিশাল সম্পত্তির একমাত্র উত্তরাধিকারী করে, প্রয়াত হয়েছিলেন তাঁর নিঃসন্তান মামা। রাতারাতি ধনকুবের হয়ে গিয়েছিলেন, ঝাঁপ তুলে সোনার দোকানে ঝাঁট দেওয়ার কর্মী হরিদাস পাল। পেল্লায় দোকানঘর কিনে ফেলেছিলেন বড়বাজারে। বঙ্কিম চ্যাটার্জি স্ট্রিটে কিনে ফেলেছিলেন প্রাসাদোপম বাড়ি। শুরু করেছিলেন বিদেশি কাচ ও লণ্ঠনের ব্যবসা। সাফল্যের মুখ দেখেছিলেন ব্যবসাতেও। ব্যবসা প্রসারিত হয়েছিল গুয়াহাটি সহ ভারতের অন্যান্য শহরে। বিপুল বিত্তশালী হওয়া সত্ত্বেও এই হরিদাস পাল ছিলেন সৎ ও দয়ালু। আমরা দানবীর হাজি মহম্মদ মহসীন ও দানবীর আলামোহন দাসের নাম জানি। কিন্তু দানের দিক থেকে এই হরিদাস পাল সেই উচ্চতায় পৌঁছতে না পারলেও, সমাজের স্বার্থে একসময় প্রচুর অর্থব্যয় করেছিলেন। গড়ে তুলেছিলেন প্রচুর দাতব্য প্রতিষ্ঠান ও অবৈতনিক শিক্ষা কেন্দ্র।

    হরিদাস পাল লেন

    জনশ্রুতি আছে, তাঁর কিছু বাড়িও দুঃস্থদের দান করে গিয়েছিলেন এই হরিদাস পাল। রিষড়া (Haridas Pal) থেকে কলকাতায় আসা এই হরিদাস পাল, প্রয়াত হয়েছিলেন ১৯৩৩ সালে। কিডনির অসুখে ভুগে মাত্র সাতান্ন বছর বয়সে বিদায় নিয়েছিলেন প্রভাবশালী মানুষটি। ১৯৬৫ সালে, এই হরিদাস পালের সম্মানার্থে, কলকাতা মিউনিসিপ্যাল করপোরেশন, বঙ্কিম চ্যাটার্জি স্ট্রিট ও মহাত্মা গান্ধী রোডকে সংযুক্ত করা কলেজ লেনের নাম দিয়েছিল হরিদাস পাল লেন।

    হরিপুরের হরিদাস পাল

    ঊনবিংশ শতকের এই হরিদাস পাল (Haridas Pal) ছিলেন বাংলাদেশের হরিপুরের বাসিন্দা। হরিপুরের হরিদাস পাল কিন্তু রিষড়ার হরিদাস পালের মতো প্রথম জীবনে দারিদ্রের সম্মুখীন হননি। কারণ সোনার চামচ মুখে দিয়ে জন্ম হয়েছিল তাঁর। হরিপুরের হরিদাস পালের পূর্বপুরুষেরা ইংরেজদের মোসাহেবি করে প্রভুত সম্পত্তির মালিক হয়েছিলেন। স্ফূর্তি করতে নিয়মিত কলকাতায় আসতেন তাঁরা। বিভিন্নভাবে টাকা উড়িয়ে ফিরে যেতেন হরিপুরে। হরিপুরের হরিদাস পালের ওপরেও তাঁর পূর্বপুরুষের এই বদগুণগুলির প্রভাব ফেলেছিল। প্রচুর অর্থ নিয়ে হরিদাস পাল, হরিপুর থেকে পাকাপাকিভাবে চলে এসেছিলেন কলকাতায়। কিনেছিলেন প্রচুর স্থাবর সম্পত্তি। শুরু করেছিলেন নানান ব্যবসা। দু’হাতে অর্থ বিলিয়ে প্রভাবশালী হয়ে উঠেছিলেন কলকাতায়। কিন্তু ভোগবিলাস ও দান খয়রাতে ব্যস্ত থাকায়, ব্যবসাগুলির গণেশ উল্টে গিয়েছিল। একেবারে নিঃস্ব হয়ে গিয়েছিলেন হরিপুরের হরিদাস পাল। নিঃস্ব হরিদাস পালকে কেউ আগের মতো মান্য করত না। সমস্ত সুনাম ও সম্মান হারিয়ে ফেলেছিলেন প্রভাবশালী এই মানুষটি। নানান অসুখে হারিয়ে ফেলেছিলেন শরীর ও স্বাস্থ্য। চিকিৎসা করার মতো অর্থও তাঁর কাছে ছিল না শেষজীবনে।

    হরিদাস পালকে নিয়ে কাহিনী

    ডক্টর মোহাম্মদ আমীন, ‘হরিদাস পাল (Haridas Pal) কে ছিলেন: কেন প্রবাদে হরিদাস এলেন’ প্রবন্ধে উল্লেখ করেছিলেন হরিপুরের হরিদাস পালের একটি কাহিনি। অসুস্থ শরীর নিয়ে হরিপুরের হরিদাস পাল একদিন গিয়েছিলেন তাঁর এক প্রাক্তন কর্মচারীর কাছে। সাহায্য পাওয়ার আশায়। কিন্তু তাঁর স্বাস্থ্য তখন এতটাই ভেঙে গিয়েছিল, সেই কর্মচারী হরিদাস পালকে প্রথমে চিনতে পারেননি। তখন হরিদাস পাল তাঁর পরিচয় দিয়ে, প্রাক্তন কর্মচারীর কাছে সাহায্য চেয়েছিলেন। কিন্তু সুনাম হারানো ও নিঃস্ব প্রাক্তন মালিকের কথা পাত্তাই দেননি সেই কর্মচারী। বিস্মিত হরিদাস পাল বলেছিলেন, “এক সময় তুমি আমার কথা শুনতে।” তেলেবেগুনে জ্বলে উঠে বিরক্ত কর্মচারীটি বলেছিলেন, “তুমি কোন হরিদাস পাল, যে তোমার কথা এখনও শুনতে হবে?” কর্মচারীটি বোঝাতে চেয়েছিলেন, তুমি আর আগের মতো প্রভাবশালী হরিদাস পাল নেই, তাই তোমার কথা শোনার কোনও প্রয়োজন নেই। মাথা নিচু করে সেদিন ফিরে এসেছিলেন অপমানিত হরিদাস পাল। এই ঘটনাটির পর থেকেই নাকি প্রথমে কলকাতা ও পরে সারা বাংলায় “তুমি কোন হরিদাস পাল” বাগধারাটি প্রচলিত হয়ে গিয়েছিল।

    দুই হরিদাস পালের (Haridas Pal) জীবন কাহিনি থেকে এটা স্পষ্ট, তাঁরা দু’জনেই ধনী, দাতা ও প্রভাবশালী ছিলেন। তাই তাঁরা জীবনের সর্বক্ষেত্রে অসফল ছিলেন, একথা বলা যাবে না। বরং গড়পড়তা বাঙালির থেকে অনেক ওপরেই ছিল তাঁদের অবস্থান। তবুও রঙ্গপ্রিয় বাঙালির নিদারুণ পরিহাসে, ‘হরিদাস পাল’ নামটি তার সাবেক গরিমা হারিয়ে, আজ হয়ে উঠেছে উপহাসের বস্তু।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Maharashtra: বসের সঙ্গে সহবাস করতে রাজি না হওয়ায় স্ত্রীকে তালাক ইঞ্জিনিয়ার স্বামীর

    Maharashtra: বসের সঙ্গে সহবাস করতে রাজি না হওয়ায় স্ত্রীকে তালাক ইঞ্জিনিয়ার স্বামীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিয়ের পর থেকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, বসের সঙ্গে ২৮ বছরের স্ত্রীকে শারীরিক সম্পর্ক করতে জোর করেছিলেন ৪৫ বছরের সোহেল শেখ। কিন্তু, প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় স্ত্রীকে তিন তালাক দিলেন স্বামী। এই ঘটনার পরেই থানায় গিয়ে স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছেন স্ত্রী। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) কল্যাণে।

    ঠিক কী অভিযোগ?(Maharashtra)

    নির্যাতিতা বধূ (Maharashtra) পুলিশকে জানিয়েছেন, চলতি বছর জানুয়ারি মাসে তাঁরা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। যুবকের এটি দ্বিতীয় বিয়ে। ৪৫ বছর বয়সি সোহেল পেশায় ইঞ্জিনিয়ার।  তিনি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করেন। বিয়ের কয়েক মাস পরেই সোহেল জানান, প্রথম স্ত্রীকে তিনি ডিভোর্স দিতে চান। তার জন্য বিপুল অর্থের প্রয়োজন। তখন থেকেই তরুণীর পরিবারের কাছ থেকে টাকা আদায়ের চেষ্টা করতেন সোহেল। প্রথম স্ত্রীকে দেওয়ার জন্য দ্বিতীয় স্ত্রীর পরিবারের কাছ থেকে প্রতি মাসে ১৫ লক্ষ টাকা চেয়েছিলেন। টাকা না পেলে তিনি তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রীকে বাড়িতে আসতে দেবেন না বলে হুমকি দেন। দাবি না মানলে তাঁকে হত্যার হুমকিও দেওয়া হয়।

    বসের সঙ্গে যৌনতায় লিপ্ত হতে স্ত্রীকে চাপ!

    অফিসের বসের সঙ্গে যৌনতায় লিপ্ত হতে স্ত্রীকে বারবার জোর করেছিলেন সোহেল। তাতেও রাজি হননি ওই মহিলা। একটি পার্টিতে গিয়েও বসের সঙ্গে সহবাসের জন্য জোর করেন তাঁকে। বারবার স্ত্রীর থেকে ‘না’ শুনেই মেজাজ হারান সোহেল। এরপর তরুণীকে বেধড়ক মারধর করেন। ৫ ডিসেম্বর ওই বধূ বাড়িতে এলে তাঁদের মধ্যে শুরু হয় অশান্তি। সোহেল তাঁকে বাড়ি থেকে বের করে দেন এবং তিন তালাক (Talaq) দিয়ে দেন। এরপরই থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ওই বধূ। তাঁর বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ধারা ১১৫ (২), ৩৫১ (২), ৩৫১ (৩) এবং ৩৫২ সেই সঙ্গে মুসলিম নারী (বিবাহের অধিকার সুরক্ষা) আইন, ২০১৯-এর প্রাসঙ্গিক ধারাগুলি যুক্ত করা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • CV Ananda Bose: ‘‘যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন বেআইনি”, ভিসিকে বার্তা রাজ্যপালের

    CV Ananda Bose: ‘‘যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন বেআইনি”, ভিসিকে বার্তা রাজ্যপালের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose) সোমবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্য ভাস্কর গুপ্তকে চিঠি লিখে ২৪ ডিসেম্বরের সমাবর্তনকে “বেআইনি” বলে অভিহিত করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করার জন্য সমস্ত নিয়ম-কানুন মেনে চলার নির্দেশ দিয়েছেন। রাজ্যপাল রাজ্য-চালিত বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলরও। চিঠিতে তিনি বলেছেন, যে যেহেতু নিয়মিত ভিসি নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে, তাই সমাবর্তনটি নতুন দায়িত্বপ্রাপ্তদের হাতে ছেড়ে দেওয়া হবে।

    চিঠিতে কী বলা হয়েছে?(CV Ananda Bose)

    বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (JU) সমাবর্তন ২৪ ডিসেম্বর স্থির করা হয়েছিল। ১৭ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একটি কার্যনির্বাহী বৈঠকের পরে এই দিন ধার্য করা হয়। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ১৯৮১ অনুসারে বিশ্ববিদ্যালয়ের বার্ষিক সমাবর্তন ২৪ ডিসেম্বর বা নির্ধারিত যে কোনও তারিখে অনুষ্ঠিত হতে পারে। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, “এটি উল্লেখ্য যে ১৭ ডিসেম্বর একটি কার্যনির্বাহী পরিষদের সভা তাড়াহুড়ো করে ২৪ ডিসেম্বর সমাবর্তন অনুষ্ঠানের তারিখ ঠিক করা হয়েছে।” রাজ্যপাল অন্তর্বর্তী উপাচার্যকে কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করেন এবং এই বিষয়ে ব্যাখ্যার জন্য রাজভবনে তলব করেন। চিঠিতে (CV Ananda Bose) বলা হয়, “এছাড়াও দেখা যাচ্ছে, বিশ্ববিদ্যালয় আদালতকে বাইপাস করেছে। সমাবর্তনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আইনি এক্তিয়ার আদালতের রয়েছে। পর্যাপ্ত নোটিশ দিয়ে আদালতকে ডাকতে হবে। একইসঙ্গে এই ত্রুটি সমাবর্তনের ক্ষেত্রে অননুমোদিত ব্যয়ের দিকে পরিচালিত করেছে। আপনার ১৮ ডিসেম্বরের চিঠিতে, আপনি স্বীকার করেছেন যে বিশাল আর্থিক জড়িত থাকার সমস্ত লজিস্টিক ব্যবস্থা সম্পন্ন হয়েছে। যা আইনত প্রদত্ত উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের অনুমোদনের মতো বেআইনি।”

    ভাইস চ্যান্সেলর জমা দেওয়া ব্যাখ্যা “অগ্রহণযোগ্য”

    চিঠিতে গভর্নর (CV Ananda Bose) আরও বলেছেন, “ভাইস চ্যান্সেলরের জমা দেওয়া ব্যাখ্যা “অগ্রহণযোগ্য”। কারণ ভাইস চ্যান্সেলর আইন এবং বিধিতে বর্ণিত আইনি বিধানগুলি মেনে চলার ক্ষেত্রে যথাযথ অধ্যাবসায় প্রয়োগ করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • ISRO: ২০৪০ সালের মধ্যেই চাঁদে ভারতীয় নভোচারীকে অবতরণ করাবে ইসরো!

    ISRO: ২০৪০ সালের মধ্যেই চাঁদে ভারতীয় নভোচারীকে অবতরণ করাবে ইসরো!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশন (ISRO)-এর চেয়ারম্যান এস সোমানাথের (S Somanath) মতে, “ভারত একটি উচ্চাকাঙ্খী মহাকাশ উৎক্ষেপণের পরিকল্পনা করেছে। যার লক্ষ্য হল ২০৪০ সালের মধ্যে চাঁদে একজন নভোচারীকে অবতরণ কারনো।” উল্লেখ্য, ভারতই একমাত্র দেশ যা চন্দ্রযান ৩কে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সফলভাবে ল্যান্ডিং করাতে পেরেছে। অত্যন্ত কম খরচে এই অভিযান চালিয়ে গোটা বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে ইসরো।

    দীর্ঘমেয়াদী দৃষ্টিভঙ্গিতে বাজেট অনুমোদন মোদির (ISRO)

    ইসরো কর্ণধারের এই ঘোষণায় যারপরনাই খুশি বিভিন্ন মহল। ভারতের মহাকাশ সেক্টরে উল্লেখযোগ্য সাফল্য এবং অভূতপূর্ব উন্নয়নের জন্য চলতি বছরকে চিহ্নিত করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন সরকার ইসরো (ISRO)-র প্রকল্পের জন্য ৩১ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দের অনুমোদন করেছে। ফলে আগামী ২৫ বছর ধরে দেশের মহাকাশ প্রচেষ্টার জন্য একটি দীর্ঘমেয়াদী দৃষ্টিভঙ্গির রোডম্যাপকে বাস্তবায়নের কাজ করা যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।

    আরও পড়ুনঃ হিন্দুরা চলে যাচ্ছেন, মিনি পাকিস্তানে পরিণত হচ্ছে আলিগড়ের বানিয়াপাড়া!

    ২৫ বছরের জন্য একটি রোড ম্যাপের পরিকল্পনা

    ইসরো (ISRO) প্রধান সোমনাথ (S Somanath) একটি বেসরকারি সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে বলেন, “আমি বিশ্বাস করি, আমরা যে মিশনগুলি সম্পন্ন করেছি তাতে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টিভঙ্গির রোডম্যাপ বিরাট সহযোগী হয়েছে। আর তার পরিপ্রেক্ষিতেই এই বছরটি আমাদের জন্য একটি দুর্দান্ত বছর ছিল। ইতিহাসে প্রথমবারের মতো মহাকাশ কর্মসূচির বিষয়ে আমাদের আগামী ২৫ বছরের জন্য একটি রোড ম্যাপ পরিকল্পনা ঘোষণা করা হয়েছে। এই রোডম্যাপের অংশ হিসাবে, ভারত ২০৩৫ সালের মধ্যে তার নিজস্ব মহাকাশ স্টেশন, ভারতীয় অন্তরীক্ষ স্টেশন স্থাপন করবে। এর একটি পর্যায় সম্পন্ন করে করা হবে ২০২৮ সালের মধ্যে একটি স্পেস স্টেশন মডিউল চালু করার মাধ্যমে। আগামী ২০৩৫ সালের মধ্যে সম্পূর্ণ রূপে অপারেশনের মঞ্চ নির্মাণের কাজ সম্পন্ন করা হবে। এই দৃষ্টিভঙ্গির যদি চূড়ান্ত পরিণতি হয় তাহলে ২০৪০ সালের মধ্যে চাঁদে একজন ভারতীয় মহাকাশচারীকে সফল ভাবে অবতরণ করানো যাবে।”

    ২৫০টির বেশি মহাকাশ স্টার্টআপ কাজ করছে

    ইসরো (ISRO) প্রধান সোমনাথ (S Somanath) আরও বলেন, “যখন আমরা দেশের স্বাধীনতার শততম বর্ষ উদযাপন করব, তখন একটি ভারতীয় পতাকা চাঁদে উড়বে এবং সেই সঙ্গে আমাদের দেশের মানুষও চাঁদে পৌঁছে যাবেন। একই ভাবে তাঁকে নিরাপদে আবার দেশের মাটিতে ফিরিয়েও আনাও হবে, আর এটাই আমাদের বিরাট কর্মযজ্ঞ হবে। তাই আমাদের লক্ষ্য হল ২০৪০ সাল। আগামী দিনে চন্দ্রযান ৪-সহ একাধিক প্রস্তুতিমূলক মিশন পরিচালিত হবে ইসরোর তরফ থেকে। স্পেস প্রোগ্রামে বৈজ্ঞানিক সাফল্য ব্যাপক ভাবে এসেছে। ২৫০টির বেশি মহাকাশ স্টার্টআপগুলি বর্তমানে উদ্ভাবনী শক্তির জোগানে কাজ করছে। ইতিমধ্যে অগ্নিকুল কসমস একটি তরল-চালিত সাব-অরবিটাল রকেট উৎক্ষেপণ করা হয়েছে। মহাকাশে ব্যয় করা প্রতি টাকার খরচ বাড়িয়ে ২.৫২ টাকা করা হয়েছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Daily Horoscope 25 december 2024: সম্পত্তি সংক্রান্ত সমস্যা মিটে যেতে পারে এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 25 december 2024: সম্পত্তি সংক্রান্ত সমস্যা মিটে যেতে পারে এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) কোনও ভুল কাজের জন্য অনুতাপ হতে পারে।

    ২) অতিরিক্ত দৌড়ঝাঁপ করার ফলে অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন। 

    ৩) পুরনো বন্ধুর সঙ্গে দেখা হতে পারে।

    বৃষ

    ১) কারও কুপ্রভাবে সংসারে অশান্তি হতে পারে।

    ২) সামাজিক সুনাম লাভ বা প্রতিপত্তি বিস্তারের যোগ।

    ৩) ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে দিনটি।

    মিথুন

    ১) সাংসারিক কারণে মানসিক যন্ত্রণা।

    ২) আজ আপনাকে অবাক করে দেওয়া কোনও সুখবর আসতে পারে।

    ৩) সবাই আপনার প্রশংসা করবে।

    কর্কট

    ১) সম্পত্তি সংক্রান্ত সমস্যা মিটে যেতে পারে।

    ২) অপরের উপকার করতে গেলে বিপদ হতে পারে।

    ৩) ধৈর্য ধরতে হবে।

    সিংহ

    ১) বাতজ রোগে কষ্ট পাওয়ার আশঙ্কা।

    ২) কর্মস্থলে নিজের মতামত প্রকাশ না করাই ভাল হবে।

    ৩) বাণীতে সংযম রাখুন।

    কন্যা

    ১) বাড়িতে সবাই সতর্ক থাকুন, চুরির ভয় রয়েছে।

    ২) আর্থিক সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে।

    ৩) দুশ্চিন্তা বাড়বে।

    তুলা

    ১) জমি বা সম্পত্তি ক্রয়-বিক্রয় করার শুভ দিন।

    ২) শেয়ারে বাড়তি লগ্নি চিন্তাবৃদ্ধি ঘটাতে পারে।

    ৩) কর্মক্ষেত্রে বাধা।

    বৃশ্চিক

    ১) বন্ধুদের বিরোধিতা থেকে সাবধান থাকুন।

    ২) সঞ্চয়ের ব্যাপারে বিশেষ নজর দিন।

    ৩) সবাইকে বিশ্বাস করবেন না।

    ধনু

    ১) পেটের সমস্যা বাড়তে পারে।

    ২) ব্যবসায় আমূল পরিবর্তন লক্ষ করতে পারবেন।

    ৩) ডাক্তারের কাছে যেতে হতে পারে।

    মকর

    ১) ব্যবসায় বাড়তি বিনিয়োগ না করাই শ্রেয়।

    ২) মাথাগরম করার ফলে হাতে আসা কাজ ভেস্তে যাবে।

    ৩) আধ্যাত্মিকতায় মনোনিবেশ করুন।

    কুম্ভ

    ১) ভাই-বোনের কাছ থেকে সাহায্য পেতে পারেন।

    ২) দাম্পত্য সম্পর্কে উন্নতির যোগ।

    ৩) কর্মক্ষেত্রে বাধা।

    মীন

    ১) কোনও নিয়ম লঙ্ঘন করার জন্য আপনাকে বিপদে পড়তে হতে পারে।

    ২) উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে শুভ যোগ।

    ৩) ভেবেচিন্তে কথা বলুন।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Joe Biden: সাজা প্রাপ্ত ৪০ জন অপরাধীর মধ্যে ৩৭ জনের জনের মৃত্যুদণ্ড মকুব বাইডেনের

    Joe Biden: সাজা প্রাপ্ত ৪০ জন অপরাধীর মধ্যে ৩৭ জনের জনের মৃত্যুদণ্ড মকুব বাইডেনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন (Joe Biden) সোমবার যুক্তরাষ্ট্রে মৃত্যুদণ্ড (Death Penalty) প্রাপ্ত ৪০ জন অপরাধীদের মধ্যে ৩৭ জনের জনের মৃত্যুদণ্ড মকুব করেছেন। একটি বিবৃতি দিয়ে তিনি বলেন, “আমার এই সিদ্ধান্তের জন্য কোনও ভুল বুঝবেন না। আমি এই খুনিদের নিন্দা জানাই, তাদের ঘৃণ্য কাজের শিকার হওয়া ব্যক্তিদের জন্য শোক জানাই। এই অকল্পনীয় এবং অপূরণীয় ক্ষতির শিকার সমস্ত পরিবারের জন্য দুঃখ প্রকাশ করছি।”

    ট্রাম্প দ্বিতীয়বার দায়িত্ব নেওয়ার আগেই বাইডেনর ঘোষণা(Joe Biden)

    একজন জনপ্রতিনিধি হিসাবে বাইডেন (Joe Biden) নিজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে বলেন, “আমি আগের চেয়ে আরও বেশি নিশ্চিত যে আমাদের অবশ্যই যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় মৃত্যুদণ্ডের ব্যবহার বন্ধ হয়ে যাবে। আমি বিবেকের কাছে ঠিক থাকতে চাই। আমি সকলের পাশে দাঁড়াতে চাই। তবে নতুন প্রশাসনকে মৃত্যুদণ্ড আবার শুরু করতে পারে।” মৃত্যুদণ্ডের সমর্থনকারী প্রেসিডেন্ট-নির্বাচিত ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয়বার দায়িত্ব নেওয়ার এক মাসেরও কম সময় আগে বিদায়ী প্রেসিডেন্ট বাইডেন এই ভাবে শাস্তি মকুবের পরিকল্পনা করেছেন। এটা অনেক ইঙ্গিতপূর্ণ।

    আরও পড়ুনঃ চার স্ত্রী রাখার ফতোয়া নাকচ করেছে রাশিয়ারই প্রগতিশীল মুসলিম গোষ্ঠী

    কোন তিন বন্দির মৃত্যুদণ্ড মাপ হয়নি?

    ডেথ পেনাল্টি ইনফরমেশন সেন্টারের তরফে বলা হয়েছে, আমাদের সংস্থা অলাভজনক সংস্থা। আমাদের লক্ষ্য মিডিয়া, নীতিনির্ধারকদের সেবা করা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে মৃত্যুদণ্ডের (Death Penalty) সাজাপ্রাপ্ত বন্দি-সহ সব মিলিয়ে ২২৫০ জন বন্দি রয়েছে। ৪০ জনের মধ্যে ৩৭ জনের ফাঁসি মকুব করা হয়েছে। আর বাকি তিনজনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদ এবং ঘৃণ্য গণহত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে। এই ৩ জনের মধ্যে জোখার সারনায়েভ এক জন। সে ম্যাসাচুসেটসে ২০১৩ সালের বোস্টন ম্যারাথন বোমা হামলা চালিয়েছিল। যাতে তিনজন নিহত হয়েছিল। দ্বিতীয় ব্যক্তি হল ডিলান রুফ। সে ২০১৫ সালে চার্লসটন, সাউথ ক্যারোলিনার একটি গির্জায় নয়জন উপাসককে হত্যা করেছিল। আর এক আসামী হল রবার্ট বোয়ার্স, যে ২০১৮ সালে পেনসিলভানিয়ার পিটসবার্গের একটি সিনাগগে ১১ জনকে হত্যা করেছিল।

    বাইডেন (Joe Biden), একজন ক্যাথলিক, মৃত্যুদণ্ডের ব্যবহারের বিরোধিতা করেছেন এবং তাঁর প্রশাসন যুক্তরাষ্ট্রীয় মৃত্যুদণ্ডের ওপর স্থগিতাদেশ আরোপ করেছে। হোয়াইট হাউস রাষ্ট্রপতির সিদ্ধান্ত ব্যাখ্যা করে একটি নোটে বলেছেন, “তাঁর আজকের পদক্ষেপ পরবর্তী প্রশাসনকে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে বাধা দেবে, যা বর্তমান নীতি ও অনুশীলনের অধীনে হস্তান্তর করা হবে না।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Odisha: ওড়িশার টেক্সটাইল ম্যানুফ্যাকচারিং হাবে ৪৩৮২ কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে ইন্ডিয়ান অয়েল

    Odisha: ওড়িশার টেক্সটাইল ম্যানুফ্যাকচারিং হাবে ৪৩৮২ কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে ইন্ডিয়ান অয়েল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টেক্সটাইল সেক্টরে এবার বড়সড় বিনিয়োগের কথা ঘোষণা করল ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশন লিমিটেড (IOC)। ওড়িশার  (Odisha) ভদ্রকে একটি অত্যাধুনিক সুতা উৎপাদন কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার জন্য ৪, ৩৮২ কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে বলে জানিয়েছে। চলতি মাসের ২০ ডিসেম্বর বোর্ড মিটিংয়ে এই উদ্যোগের কথা ঘোষণা করা হয়। এই উদ্যোগ কার্যকরী হলে ভারতের টেক্সটাইল সেক্টরকে আরও শক্তিশালী করবে।

     বিনিয়োগ এবং সহযোগিতা (Odisha)

    জানা গিয়েছে, MCPI প্রাইভেট লিমিটেডের সঙ্গে ফিফটি-ফিফটি অংশীদারিত্বে যৌথ উদ্যোগে আইওসি এই প্রকল্প কার্যকরী করতে চলেছে। প্রতিদিন ৯০০ টন (TPD) উৎপাদন (Odisha) হবে বলে জানা গিয়েছে। এটি পোশাক, বাড়ির আসবাব এবং শিল্প টেক্সটাইলের জন্য প্রয়োজনীয়। এই সুবিধাটি পোশাক, বাড়ির আসবাব এবং শিল্প টেক্সটাইলের জন্য প্রয়োজনীয় হবে। আগামীদিনে আমদানির ওপর নির্ভরতা কমবে। সঙ্গে সঙ্গে দেশীয় চাহিদাও পূরণ করবে।

    প্রকল্পের লক্ষ্য কী?

    ইন্ডিয়ান অয়েলের বিনিয়োগ সরকারের ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ উদ্যোগের সঙ্গে সম্পূর্ণরুপে সামঞ্জস্যপূর্ণ। এই প্রকল্পের প্রধান লক্ষ্য, পলিয়েস্টার সুতোর অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বৃদ্ধি। আগে উন্নতমানের সুতোর জন্য বিদেশের ওপর নির্ভর করতে হত। সেখান থেকে সুতো আনা হত।  এই প্রকল্প আগামীদিনে কার্যকরী হলে আমদানি (Odisha) নির্ভরতা কমবে। আর সেটাই এই প্রকল্পের অন্যতম লক্ষ্য। একইসঙ্গে কোথাও কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগ হলে, কর্মসংস্থান একটি মস্তবড় ফ্যাক্টর। এই প্রকল্পের ফলে হাজার হাজার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে বলে জানা গিয়েছে। এই প্রকল্পটি ওড়িশায় আর্থ-সামাজিক অবস্থানকে উন্নত করবে। বিশ্বব্যাপী টেক্সটাইল শিল্পে ভারতের অবস্থানও অনেকটাই উন্নত হবে। 

    বিশ্বমানের পণ্য সরবরাহ করবে!

    জানা গিয়েছে, MCPI এর টেক্সটাইল জ্ঞান এবং IOC এর পেট্রোকেমিক্যাল দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে এই উদ্যোগকে কার্যকরী করা হবে। আশা করা হচ্ছে, এই যৌথ উদ্যোগটি (Odisha) বিশ্বমানের পণ্য সরবরাহ করবে। একইসঙ্গে টেক্সটাইল শিল্পের ক্রমবর্ধমান চাহিদাকে পূরণ করবে। স্বাভাবিকভাবে এটি একটি দূরদর্শী পদক্ষেপ। আর টেক্সটাইল উৎপাদনে IOC এর প্রবেশ তার দীর্ঘমেয়াদী কৌশলের অংশ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Deep State: ক্লাব অফ রোমের মাধ্যমে উচ্চাকাঙ্খা পূরণ করেছিলেন মনমোহন সিং?

    Deep State: ক্লাব অফ রোমের মাধ্যমে উচ্চাকাঙ্খা পূরণ করেছিলেন মনমোহন সিং?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গ্লোবাল গভর্ন্যান্সের মেকানিজমের আড়ালে রয়েছে একটি গোপন ক্ষমতার নেটওয়ার্ক, উচ্চাকাঙ্ক্ষা এবং প্রভাবশালী কার্যকলাপ (Bharats Shadowed Role)। ডিপ স্টেট (Deep State) নামে পরিচিত এই শব্দটি, অতি বৃহৎ সংস্থা, থিঙ্ক ট্যাঙ্ক এবং নীতিনির্ধারকদের লুকোনো যোগসূত্রকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়। এরাই দীর্ঘদিন ধরে বিশ্ব ঘটনাপ্রবাহের গতিপথ পরিচালনা করেছে।

    ভারতের শ্যাডোড রোল (Bharat’s Shadow Role)

    ক্লাব অব রোম (CoR), ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম (WEF) এবং তাদের সমর্থকরা কীভাবে নির্ধারিত অ্যাজেন্ডার মাধ্যমে মানবতাকে পুনর্গঠন করতে কাজ করছে, তা জানা যায় তাদের ভূমিকা দেখলে। এই ঘটনার সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছে ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের নীরব কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। তিনিই এই গ্লোবালিস্ট ভিশনকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করেছেন।ভারতের এই শ্যাডো রোলের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হয় ১৯৬৮ সালের ২৬ এপ্রিল কানাডায়, ১৭তম বিল্ডারবার্গ বৈঠকের সময়। এই বৈঠকেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে “ডিপ স্টেট”-এর নিউ ওয়ার্ল্ড অর্ডার অ্যাজেন্ডাকে ত্বরান্বিত করা হবে। এটি একটি একক বিশ্ব সরকারের কল্পনা করেছিল। ডেভিড রকফেলারের নির্দেশে ইতালীতে প্রতিষ্ঠিত হয় ক্লাব অব রোম (CoR)। এটি একটি থিঙ্ক ট্যাঙ্ক, যা এই লক্ষ্যে নীতিমালা প্রস্তুতের জন্য দায়ী। রকফেলার ফাউন্ডেশন উদারভাবে এই প্রচেষ্টাকে আর্থিক সহায়তা দিয়েছিল।

    আরও পড়ুন: গুরদাসপুর গ্রেনেড হামলার নেপথ্যে খলিস্তানপন্থী নেতা জগজিৎ সিং! আইএস যোগ সন্দেহ

    ক্লাব অব রোম

    ১৯৭২ সালে ক্লাব অব রোম (CoR) তাদের যুগান্তকারী প্রতিবেদন, দ্য লিমিটস টু গ্রোথ প্রকাশ করে। এই প্রতিবেদন বিশ্ব জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের একটি ভীতিকর ধারণা প্রবর্তন করে, যেখানে কঠোর গ্লোবাল গভর্ন্যান্সের অধীনে ১-২ বিলিয়ন জনসংখ্যার একটি লক্ষ্য প্রস্তাব করা হয়। এই নথি জনসংখ্যা হ্রাস, বন্ধ্যত্ব প্রচার এবং ভীতিপ্রদর্শনের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ নীতির ভিত্তি হয়ে ওঠে। ক্লাব অব রোমের সুপারিশ দ্রুত গ্লোবাল গভর্ন্যান্সের মধ্যে প্রবেশ করে। পৃথিবী একের পর এক এমন ঘটনাবলীর সাক্ষী হয়, যা এই লক্ষ্যগুলির সঙ্গে অদ্ভুতভাবে সামঞ্জস্যপূর্ণ। এই ঘটনাগুলি হল, ১৯৭৩ সালে আরব-ইজরায়েল যুদ্ধ, ১৯৭৫-৭৭ সালে ইন্দিরা গান্ধীর অধীনে ভারতে কুখ্যাত নির্বীজকরণ অভিযান, ১৯৭৯ সালে এইডস মহামারীর আবির্ভাব, ক্যান্সার ও জীবাণুমুক্তকরণের ওষুধ আবিষ্কার ইত্যাদি (Bharats Shadowed Role)।

    মনমোহন সিং

    এই সময়ে ভারতের অর্থনৈতিক নীতিগুলি প্রধানত মনমোহন সিংয়ের দ্বারা প্রভাবিত হয়েছিল। তিনি তখন প্রধান অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ছিলেন। ক্লাব অফ রোম কৌশল নির্ধারণ করেছিল। আর হেনরি কিসিঞ্জারের পরামর্শে ক্লাউস শোয়াব এটি বাস্তবায়িত করেছিলেন ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের (WEF) মাধ্যমে। শোয়াব ১৯৭১ সালে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম প্রতিষ্ঠা করেন, যা পরে এমন একটি প্ল্যাটফর্মে রূপান্তরিত হয় যা ডিপ স্টেটের দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নেতাদের এক সারিতে ফেলে। ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম বৈশ্বিক বাস্তবায়নের মুখ হয়ে ওঠে, আর ক্লাব অফ রোম পর্দার আড়াল থেকে পরিচালনা করতে থাকে। তারা একসঙ্গে যে কাজগুলি করেছিল সেগুলি হল, দুর্বল অর্থনীতিগুলিতে উদারীকরণ, বেসরকারিকরণ এবং বিশ্বায়ন কার্যকর করা, রাষ্ট্রসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার মাধ্যমে জননীতিগুলিকে আকার দেওয়া, যার সময়সীমা ২০৩০ সাল পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছে।

    উদারীকরণের স্থপতি!

    মনমোহন সিং ভারতের অর্থনৈতিক উদারীকরণের স্থপতি হিসেবে পরিচিত। ক্লাব অফ রোমের (CoR) সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক এই বৈশ্বিক অ্যাজেন্ডার প্রতি একটি লুকানো আনুগত্য প্রকাশ করে। ভারতের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দফতরে ছিলেন মনমোহন সিং। তিনি ছিলেন মুখ্য অর্থনৈতিক উপদেষ্টা, অর্থমন্ত্রকের সেক্রেটারি, ভারতের রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর, প্ল্যানিং কমিশনের ডেপুটি চেয়ারম্যান। পরবর্তীকালে তিনিই হয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী (Bharats Shadowed Role)। ১৯৯১ সালে অর্থনৈতিক সঙ্কট দেখা দেয় ভারতে। পরিস্থিতি সামাল দিতে ব্যাপক সংস্কার হয়। এই সংস্কারগুলি বিচ্ছিন্ন কোনও ঘটনা নয়, বরং এটি ডিপ স্টেট দ্বারা পরিচালিত একটি বৈশ্বিক পরিকল্পনার অংশ। একই সময়ে বিভিন্ন দেশে উদারীকরণ নীতিগুলির গ্রহণযোগ্যতা এই ঘটনাগুলির পেছনের সুপরিকল্পিত নকশাকে (Deep State) প্রমাণ করে।

    অর্থনৈতিক ত্রাতা!

    মনমোহন সিংকে অর্থনৈতিক ত্রাতা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। কিন্তু আসলে কি তাই? তিনি বহিরাগত শক্তির দ্বারা নির্ধারিত একটি অ্যাজেন্ডা কার্যকর করছিলেন মাত্র। ২০০৪ সালে তাঁর প্রধানমন্ত্রী হিসেবে উত্থান ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বৈশ্বিক নেটওয়ার্কের প্রভাবকে আরও স্পষ্ট করে তোলে। ঘটনাগুলি যে সময়সীমা নির্ধারণ করেছে, তা আমাদের ২০৩০ এর অ্যাজেন্ডার দিকে নিয়ে যায়, যেখানে সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ চাইছে ডিপ স্টেট (Deep State)। জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত আখ্যান থেকে ডিজিটাল আইডি পর্যন্ত, CoR এবং WEF এমন একটি ভবিষ্যৎ তৈরি করছে, যেখানে ব্যক্তিগত স্বাধীনতাকে বৃহৎ পুঁজির শাসনের অধীন করা হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

     

  • Russia: চার স্ত্রী রাখার ফতোয়া নাকচ করেছে রাশিয়ারই প্রগতিশীল মুসলিম গোষ্ঠী

    Russia: চার স্ত্রী রাখার ফতোয়া নাকচ করেছে রাশিয়ারই প্রগতিশীল মুসলিম গোষ্ঠী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইসলাম বিশ্বে একটি ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাশিয়ার (Russia) একটি প্রগতিশীল মুসলিম গোষ্ঠী। রাশিয়ার শীর্ষ ইসলামিক (Muslim) সংস্থা মুসলিম পুরুষদের দুই বা ততোধিক বিয়ে বা স্ত্রী (Four Wives) রাখার সিদ্ধান্তকে নাকচ করার কথা ঘোষণা করেছে। তবে এই সিদ্ধান্ত শুধু রাশিয়ার জন্যই গুরুত্বপূর্ণ নয় গোটা বিশ্বে ইসলামিক রাষ্ট্রের সামনে এক ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত বলে মনে করছেন আন্তর্জাতিক ধর্ম বিশেষজ্ঞরা।

    সাধারণত মুসসিম পার্সোনাল ল’বোর্ড বা শরিয়া শাসন চারটি করে বিয়ের অনুমতি দিয়ে থাকে। গোটা বিশ্বে পশ্চিম থেকে পূর্বে সর্বত্র এই নিয়ম অক্ষরে অক্ষের পালন করা হয়। যদিও গবেষকরা মনে করেছেন, গোটা বিশ্বে বাকি ধর্মের তুলানায় ইসলামের প্রচার-প্রসারের একটি বড় কারণ হল একাধিক বিবাহ এবং বহু সন্তান উৎপাদন নীতি। তাই প্রগতিশীল মুসলিম সংগঠনের ভাবনা ইতিবাচক।

    ১৭ ডিসেম্বর ফতোয়া জারি হয়েছিল (Russia)!

    রাশিয়ার (Russia) ইসলামিক সংস্থার পক্ষ থেকে আগে ১৭ ডিসেম্বর একটি ফতোয়া বা ধর্মীয় বিধি জারি করেছিল। সেখানে বলা হয়েছিল, সমস্ত পরিস্থিতিতে মুসলিম পুরুষরা একাধিক স্ত্রী (Four Wives) রাখাতে পারবেন। সেই সঙ্গে আরও বলা হয় একজন মুসলমানের চারটি স্ত্রী থাকতে পারে। তবে সে ক্ষেত্রে সকলের জন্য আলাদা আলাদা থাকার জায়গা সহ সমান ভাবে বস্তুগত উপলব্ধতাকে প্রাধ্যান্য দিতে হবে। এরপর রাশিয়ার মুসলিমদের ধর্মীয় সংগঠনের কাউন্সিল অফ স্কলারের নতুন ঘোষণা হয় যে এই চার স্ত্রী রাখার নির্দেশ রাশিয়ার আইনের সঙ্গে কোনও রকম ভাবে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। শারিয়া নিয়ম দেশের আইনের পরিপন্থী। ইসলামিক এই ফতোয়াকে অবিলম্বে প্রত্যহার করতে হবে। সামাজিক মাধ্যমে এই বার্তা ছড়িয়ে পড়লে মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে চাঞ্চাল্য তৈরি হয়।

    চার বিয়ে ঐতিহ্যগত মূল্যবোধের বিরুদ্ধে

    রাশিয়ার (Russia) ইসলামিক কাউন্সিল অফ স্কলারের নতুন ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছেন অনেক প্রগতিশীল মানুষ। আবার রাশিয়ার পার্লামেন্টারি ফ্যামিলি অ্যাফেয়ার্স কমিটির প্রধান নিনা ওস্তানিনা বলেন, “রাশিয়ায় বহুবিবাহ নিষিদ্ধ। এটি আমাদের মূল নৈতিকতা এবং ঐতিহ্যগত মূল্যবোধের বিরুদ্ধে।”

    উল্লেখ্য, ভারতে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার পাশাপাশি ‘মুসলিম (Muslim) পার্সোনাল ল’বোর্ড নামে একটি আলাদা ক্ষেত্র রয়েছে। কংগ্রেসের আমল থেকে দেশের সংবিধানকে আড়ালে রেখে এই বোর্ড গঠন করা হয়েছে। একইভাবে ওয়াকফ বোর্ডও সক্রিয় রয়েছে দেশে। বিশেষজ্ঞরা ইসলামের শরিয়া শাসনকে আগ্রাসী ও হিংসাত্মক বলেছেন। তবে ভারতের কোনও প্রগতিশীল মুসলিম সংগঠন দুই বা ততোধিক স্ত্রী রাখা কতটা যুক্তিসঙ্গত, তা নিয়ে কোনও ব্যাখ্যা দেননি।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Khalistani Attack: গুরদাসপুর গ্রেনেড হামলার নেপথ্যে খলিস্তানপন্থী নেতা জগজিৎ সিং! আইএস যোগ সন্দেহ

    Khalistani Attack: গুরদাসপুর গ্রেনেড হামলার নেপথ্যে খলিস্তানপন্থী নেতা জগজিৎ সিং! আইএস যোগ সন্দেহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্জাব পুলিশ এবং উত্তরপ্রদেশ পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে পিলিভিট জেলার তিন খালিস্তানপন্থী জঙ্গিকে (Khalistani Attack) খতম করেছে। নিহত তিন জঙ্গি গুরবিন্দর সিং, বিরেন্দর সিং এবং জাসনপ্রীত সিং, খালিস্তান জিন্দাবাদ ফোর্স (KZF)-এর সদস্য ছিল। তারা গুরদাসপুর জেলার একটি পুলিশ পোস্টে গ্রেনেড হামলার সঙ্গে জড়িত ছিল। 

    কী বলছে পুলিশ?

    এই বিষয়ে একটি ভিডিও বিবৃতিতে পাঞ্জাবের ডিরেক্টর জেনারেল অফ পুলিশ (DGP) গৌরব যাদব জানান, খালিস্তান জিন্দাবাদ ফোর্সের একটি মডিউল পরিচালনা করতে যে সন্দেহভাজন ব্যক্তি জড়িত, তিনি হচ্ছেন ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর একজন শিখ সৈনিক, জগজিৎ সিং, যিনি ফতেহ সিং ‘বাগি’ নামেও পরিচিত। যাদব আরও জানান, এই মডিউলটি পাকিস্তানে অবস্থিত কেজেডএফ-এর প্রধান রঞ্জিত সিং নিটা এবং গ্রিসে অবস্থিত জসবিন্দর সিং মান্নুর-এর মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত হচ্ছিল। পাঞ্জাব পুলিশ সন্দেহ করছে যে, পাকিস্তানের আইএসআই জগজিৎ সিংকে সন্ত্রাসী মডিউলে যোগ দিতে প্ররোচিত করেছে। আইএসআই দীর্ঘদিন ধরে বিদেশি সেনাবাহিনীতে শিখদের নিয়োগ করে খালিস্তান আন্দোলনের পক্ষে ব্যবহার করে আসছে। পুলিশ সূত্রে খবর, জগজিৎ সিংয়ের নেতৃত্বে মডিউলটি মূলত ছোট অপরাধীদের ব্যবহার করেই হামলা চালাত।

    আরও পড়ুন: দক্ষতার ভিত্তিতে কর্মচারীদের বেতন! পে কমিশন নিয়ে কী ভাবছে সরকার?

    জগজিৎ সিং কে? 

    পঞ্জাবের টার্ন তারান এলাকার বাসিন্দা জগজিৎ সিং। পুলিশের অনুমান, ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর সঙ্গে জগজিতের সম্পর্ক রয়েছে। তাঁর পরিবার দীর্ঘ সময় ধরে ভারতীয় সেনাবাহিনীর সঙ্গে জড়িত ছিল।  রিপোর্ট অনুযায়ী, তাঁর দাদা ও বাবা ভারতীয় সেনাবাহিনীতে কর্মরত ছিলেন। তাঁর বাবা সুবেদার পদে অবসর নেন। জগজিৎ সিংয়ের ভাইও শিখ রেজিমেন্টে ভারতীয় সেনাবাহিনীতে কাজ করেছিলেন। প্রায় দশ বছর আগে, জগজিৎ ছাত্র ভিসায় ব্রিটেনে গিয়েছিলেন। ইস্ট লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে পড়াশোনা শুরু করেন। পরবর্তী কালে তিনি ব্রিটিশ সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। তিনি ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর ৪র্থ ব্যাটেলিয়ন দ্য রাইফেলসের সদস্য ছিলেন, যেটি ইরাক, আফগানিস্তান, কসোভো এবং সিয়েরা লিওনে মোতায়েন ছিল। প্রশিক্ষণ শেষে, তিনি আফগানিস্তানে একটি ট্যুরে দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে জগজিৎ ব্রিটেনেই রয়েছেন বলেই খবর।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share