Tag: Madhyom

Madhyom

  • Cyclone Chido: ঘূর্ণিঝড় চিডোর মারাত্মক ধ্বংসলীলা ফ্রান্সের মেইয়োত দ্বীপপুঞ্জে, হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু!

    Cyclone Chido: ঘূর্ণিঝড় চিডোর মারাত্মক ধ্বংসলীলা ফ্রান্সের মেইয়োত দ্বীপপুঞ্জে, হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফান্সে (France) মারাত্মক ঘূর্ণিঝড় চিডো (Cyclone Chido) ব্যাপক ধ্বংসলীলায় আঘাত হেনেছে। বাড়ি-ঘর, গাছপালা, দোকান, রাস্তায় বিরাট ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে। ফ্রান্সের ভারপ্রাপ্ত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ব্রুনো রেতাইয়ো বলেছেন, “ঠিক কত পরিমাণে ক্ষয়ক্ষতি এবং মৃত্যু হয়েছে, সেই সম্পর্কে সম্পূর্ণ ভাবে তথ্য দিতে আরও কয়েকদিন সময় লাগবে।”

    অঞ্চলগুলি অত্যন্ত দুর্গম তাই উদ্ধারে বাধা (Cyclone Chido)

    জানা গিয়েছে, ফ্রান্সের (France) মেইয়োত এলাকা আর্থিকভাবে অত্যন্ত অনুন্নত এবং পিছিয়ে থাকা অঞ্চল। এখানেই সবথেকে বেশি ঝড়ের প্রভাবে ক্ষয়ক্ষতি (Cyclone Chido) হয়েছে। বিপর্যয় মোকাবিলার বাহিনী লাগাতার জোরকদমে উদ্ধার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। একইসঙ্গে গুরুতর অসুস্থ এবং আহত লোকজনকে দ্রুত উদ্ধার কাজের জন্য চেষ্টা চালানো হচ্ছে। চিডোকে গত এক শতাব্দীর মধ্যে সব থেকে বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড় হিসেবে তুলে ধরা হচ্ছে। ব্রুনো বলেছেন, “অঞ্চলগুলি অত্যন্ত দুর্গম হওয়ার জন্য উদ্ধার কাজে ব্যাপক বাধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে।”

    সবরকম সহযোগিতার আশ্বাস ম্যাক্রঁর

    ঘূর্ণিঝড় চিডো (Cyclone Chido) গত সপ্তাহের শেষে পূর্ব আফ্রিকার দ্বীপপুঞ্জের একটি বৃহৎ অংশে ২০০ কিমি প্রতি ঘণ্টা গতিবেগে পাহাড় এবং সমতলে আছড়ে পড়ে। বিদ্যুতের খুঁটি, পানীয় জল সরবরাহের গোটা সিস্টেমকে নিঃশেষ করে দিয়েছে। ফ্রান্সের রাষ্ট্রপতি ইমানুয়েল মাক্রঁ, নিজের এক্স হ্যান্ডেলে বলেছেন, “ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থ দ্বীপপুঞ্জের এলাকাগুলিকে দ্রুত পরিদর্শনে যাব। দুর্যোগের বিষয়ে আমি সবরকম সহযোগিতার চেষ্টা করব। নিহত পরিবারের লোকজনের প্রতি আমার গভীর সমবেদনা জানাই। মর্মান্তিক প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের জন্য জাতীয় শোক দিবস ঘোষণা করছি।”

    আরও পড়ুন: ভারত-শ্রীলঙ্কা প্রতিরক্ষা সহযোগিতা চুক্তি সম্পন্ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, জানালেন মোদি

    স্কুলে আশ্রয় নিয়েছেন অনেক মানুষ

    মেইয়োত অঞ্চলের বাসিন্দা ক্যামিল কোজন আবদুরাজাক বলেছেন, “রীতিমতো একটি বড়সড় যুদ্ধ বিপর্যস্ত এলাকার মতো মনে হচ্ছে। আমি নিজে কিছুই আর চিনতে পারছি না। এখানে ঝড়ের (Cyclone Chido) ফলে একটা গাছও আর অবশিষ্ট নেই। পাহাড়ের কোনও ঘাসের চিহ্ন নেই। মানুষের জীবন অত্যন্ত অসহায় হয়ে পড়েছে।” এলাকার আর এক বাসিন্দা পেশায় স্কুল শিক্ষক হামাদা আলি বলেন, “আমাদের এলাকার রাস্তাগুলি মাটির কাদায় ঢাকা পড়ে গিয়েছে। মানুষ নিরুপায় হয়ে স্কুলে আশ্রয় নিয়েছেন। একটা বিস্তীর্ণ অংশের সঙ্গে যোগাযোগ সম্পূর্ণভাবে বিছিন্ন হয়ে গিয়েছে।”

    রাজধানী মামুদজুতে প্রধান হাসপাতালটিতে জরুরি ভিত্তিতে পরিষেবা দেওয়ার কাজ করা হচ্ছে। জরুরি ভিত্তিতে একটি ক্লিনিক স্থাপন করা হয়েছে এবং সেখানে ১০০ জন অতিরিক্ত চিকিৎসক মোতায়েন করে পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে। সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, রেয়ুনিয়ঁ দ্বীপ থেকে ত্রাণ সরবরাহ এবং সরঞ্জাম পরিবহণের জন্য সামুদ্রিক এবং আকাশপথে অভিযান চালানো হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • One Nation One Election: লোকসভায় পেশ হল ‘এক দেশ এক নির্বাচন’ বিল, কবে থেকে ভোট একযোগে?

    One Nation One Election: লোকসভায় পেশ হল ‘এক দেশ এক নির্বাচন’ বিল, কবে থেকে ভোট একযোগে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ, মঙ্গলবার লোকসভায় পেশ হল এক দেশ, এক নির্বাচন (One Nation One Election) সংক্রান্ত বিল। বিলগুলি কবে আইনে পরিণত হবে, তা নিয়ে কৌতূহল দেশজুড়ে (Joint Polls)। সবারই প্রশ্ন, এই বিল আইনে পরিণত হলে কবে এক সঙ্গে হবে লোকসভা ও বিধানসভার নির্বাচন? জানা গিয়েছে, যদি কোনও পরিবর্তন বা সংশোধনী ছাড়াই বিলগুলি সংসদে পাশ হয়ে যায়, তাহলে ‘এক দেশ এক নির্বাচন’ কার্যকর করা যেতে পারে ২০৩৪ সাল থেকে।

    মোদি সরকারের পদক্ষেপ (One Nation One Election)

    ‘এক দেশ এক নির্বাচন’ কার্যকর করতে অনেক দিন ধরেই একটু একটু করে পদক্ষেপ করছে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদির সরকার। এক দেশ এক নির্বাচন ব্যবস্থা এ দেশে চালু হলে, তা কতটা বাস্তবসম্মত হবে – সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখতে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করা হয়। মার্চ মাসে সেই কমিটি রাষ্ট্রপতি ভবনে গিয়ে দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে একটি রিপোর্ট জমা দেয়। ওই কমিটির সুপারিশের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে বিলগুলি তৈরি করা হয়েছে।

    বিল পাশের পদ্ধতি

    বিলগুলি লোকসভায় পেশ হওয়ার পর এবার তা পাঠানো হবে সংসদীয় যৌথ কমিটিতে। সেই কমিটি বিবেচনা করে দেখবে বিলগুলি। বিলগুলিতে কোথাও সংশোধন, সংযোজন, বিয়োজনের প্রয়োজন রয়েছে কি না, তা বিবেচনা করে দেখবে সংসদীয় যৌথ কমিটি। এর পরে বিলগুলি নিয়ে ভোটাভুটি হবে লোকসভায়। পাশ হলে (One Nation One Election) রাজ্যসভায় পাঠানো হবে। সেখানে পাশ হলে, পাঠানো হবে রাষ্ট্রপতির কাছে।

    আরও পড়ুন: ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান দেওয়া কীভাবে অপরাধ হতে পারে? প্রশ্ন তুলল সুপ্রিম কোর্ট

    এক দেশ এক ভোট বিষয়ক মোট দুটি বিল রয়েছে। সেগুলি হল – সংবিধান ১২৯তম সংশোধনী বিল এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল আইন (সংশোধনী) বিল। জানা গিয়েছে, বিলগুলিতে যে সংশোধনীর কথা বলা হয়েছে, তার মধ্যে একটি হল রাজ্য বিধানসভাগুলির মেয়াদ এবং লোকসভার মেয়াদকে একই সময়ের মধ্যে নিয়ে আসা। এই বিষয়গুলি ২০৩৪ সালের আগে কার্যকর হওয়ার সম্ভাবনা কমই। খসড়া বিলের প্রস্তাব অনুযায়ী, লোকসভা নির্বাচনের প্রথম অধিবেশনে রাষ্ট্রপতি এক দেশ,এক নির্বাচনের তারিখ নির্দিষ্ট করে বিজ্ঞপ্তি জারি করবেন (Joint Polls)। ২০২৯ সালে লোকসভা নির্বাচনের পর নয়া সরকার গঠন হলেই তা সম্ভব (One Nation One Election)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

     
     
  • Dengue: শীতেও দাপট কমেনি ডেঙ্গির! কাদের ঝুঁকি বেশি? কী বলছে স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্ট?

    Dengue: শীতেও দাপট কমেনি ডেঙ্গির! কাদের ঝুঁকি বেশি? কী বলছে স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্ট?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বর্ষায় প্রকোপ বাড়ে। কিন্তু তাপমাত্রার পারদ নামলে শক্তি ক্ষয় হয়, দাপটও কমে। এমনটাই গত কয়েক বছর হয়ে এসেছে। কিন্তু এই বছরের ছবি বেশ ব্যতিক্রম। রাজ্যে শীত জাঁকিয়ে বসছে। কিন্তু তারপরেও কমছে না ডেঙ্গির (Dengue) প্রকোপ। বরং ডেঙ্গি সংক্রমণের পরিস্থিতি যথেষ্ট উদ্বেগজনক। এমনটাই জানাচ্ছেন চিকিৎসক মহল।

    কী বলছে স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্ট?

    স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, গত তিন সপ্তাহে শুধু কলকাতাতেই প্রায় ৩৫০ জনের ডেঙ্গি রিপোর্ট পজিটিভ হয়েছে। নদীয়া, মুর্শিদাবাদের মতো জেলার পরিস্থিতি আরও ভয়ানক। চলতি বছরে রাজ্যের সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গি আক্রান্ত জেলা মুর্শিদাবাদ। ওই জেলার সর্বশেষ রিপোর্ট উদ্বেগ বাড়াচ্ছে বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, গত কয়েক সপ্তাহে শুধু মুর্শিদাবাদ জেলাতেই প্রায় পাঁচশোর বেশি মানুষ ডেঙ্গি (Dengue) আক্রান্ত হয়েছেন। চলতি বছরে মুর্শিদাবাদ জেলায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা সাড়ে পাঁচ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে। নদীয়া, উত্তর চব্বিশ পরগনা, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা, হাওড়া, হুগলির পরিস্থিতিও যথেষ্ট উদ্বেগজনক বলেই জানাচ্ছেন সংশ্লিষ্ট মহল। সূত্রের খবর, শীতেও রাজ্যের সর্বত্র ডেঙ্গির মারাত্মক প্রকোপ দেখা দিচ্ছে। চলতি বছরে রাজ্যে কয়েক লাখ মানুষ ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছেন। চলছে মৃত্যু মিছিল। অন্যান্য বছরে শীতে ডেঙ্গির দাপট কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসে। কিন্তু চলতি বছরে ডেঙ্গির দাপট অব্যাহত।

    কাদের ঝুঁকি বাড়ছে? (Dengue)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, অনেক সময়েই ডেঙ্গি আক্রান্ত উপসর্গহীন হচ্ছেন‌। আর তার ফলেই বিপদ বাড়ছে। প্রথম থেকেই জ্বর কিংবা গায়ে-হাতে-পায়ে ব্যথা বা বমির মতো উপসর্গ দেখা দিচ্ছে না। সামান্য সর্দি-কাশির মতো উপসর্গ দেখা দিচ্ছে। কিন্তু তারপরেই হঠাৎ বমি বা রক্তক্ষরণের মতো উপসর্গ দেখা দিচ্ছে। তাই পরিস্থিতি জটিল হয়ে উঠছে। প্রাণ সংশয়ের ঝুঁকিও বাড়ছে। বিশেষত শিশুদের জন্য এই ধরনের উপসর্গহীন ডেঙ্গি আরও ঝুঁকি বাড়াচ্ছে বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    কীভাবে সতর্ক থাকবেন?

    শীতেও (Winter) মশার দাপট চলছে। তাই ডেঙ্গির প্রকোপ অব্যাহত। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, মশা নিধনে সক্রিয়তা না থাকলে ডেঙ্গির প্রকোপ কমানো যাবে না। তাই দরকার সচেতনতা।‌ পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখাই ডেঙ্গি (Dengue) মোকাবিলার প্রথম ও প্রধান অস্ত্র। নিজের বাড়ির আশপাশ পরিষ্কার রাখা জরুরি। জমা জল একেবারেই রাখা চলবে না। আগাছা পরিষ্কার করতে হবে। এলাকার বাগান কিংবা পার্ক থাকলে, সেগুলো পরিষ্কারে বাড়তি নজর দিতে হবে‌। পাশপাশি স্কুল কিংবা অফিস চত্বর পরিষ্কার রাখার দিকেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সক্রিয় হতে হবে। এমনটাই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত মশা নিধন স্প্রে দেওয়া জরুরি। নিকাশি ব্যবস্থাও পরিষ্কার থাকা দরকার। মশা বাহিত রোগ মোকাবিলার জন্য দরকার সতর্কতা। তবে সাধারণ সর্দিকাশির উপসর্গের আড়ালেও হানা দিচ্ছে ডেঙ্গি। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ মতো প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য পরীক্ষা দ্রুত করা দরকার বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। কারণ রোগ প্রথমেই চিহ্নিত করতে পারলে বড় বিপদ আটকানো সহজ হবে। পাশপাশি সংক্রমণ রুখতেও সুবিধা হবে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh: বিজয় দিবসে জাতীয় সৌধে রক্তগোলাপ অর্ঘ্য হাসিনার, ইউনূসকে তোপ প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর

    Bangladesh: বিজয় দিবসে জাতীয় সৌধে রক্তগোলাপ অর্ঘ্য হাসিনার, ইউনূসকে তোপ প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাসিনা সরকারের পতন ঘটিয়ে বাংলাদেশে এখন অন্তর্বর্তী ক্ষমতায় ইউনূস সরকার। ৫ অগাস্টের পর থেকেই আমূল বদলে গিয়েছে বাংলাদেশের (Bangladesh) ছবিটা। একে একে মুছে ফেলা হয়েছে হাসিনা আমলের সব চিহ্ন। ভেঙে ফেলা হয়েছে বঙ্গবন্ধু মুজিবুর রহমানের মূর্তি। তাঁর স্মৃতিবিজড়িত ভবন থেকে স্থাপত্য সব মুছে ফেলতে উদ্যত বাংলাদেশের চরমপন্থী নেতারা। এই পরিস্থিতিতেই বিজয় দিবস পালন। ঢাকা সহ বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় পালিত হল স্বাধীন বাংলাদেশের জন্মের দিন। তবে, মুজিবুরের বাসভবনে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে ইউনূস সরকারের সমর্থনকারীদের হাতে আক্রান্ত হন আওয়ামি লিগের কর্মীরা।

    স্মৃতিসৌধে হাসিনার পাঠানো রক্তগোলাপ

    হাজার নজরদারি, মারধরের আতঙ্ক জয় করে ‘বিজয় দিবস’-এ সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে (Bangladesh) গেরিলা কায়দায় ঢুকে দলের সভানেত্রী শেখ হাসিনার (Sheikh Hasina) পক্ষ থেকে সবুজ পাতায় মোড়া রক্তগোলাপের স্তবক দিয়ে এলেন আওয়ামি লিগের কর্মীরা। দিনের বিভিন্ন সময়ে জনস্রোতে ভেসে বারে বারে দলের বিভিন্ন শাখা ও সংগঠনের কর্মীরা পৌঁছে যান জাতীয় স্মৃতিসৌধের চত্বরে। শ্রদ্ধা জানিয়ে ফিরেও যান নিভৃতে। চট্টগ্রাম, সিলেট, কুমিল্লা বা খুলনা- সর্বত্র শীতের কুয়াশাচ্ছন্ন ভোরে সবার আগে পৌঁছে গিয়ে দলের নাম লেখা ফুলের স্তবক রেখে ‘বিজয় দিবস’-এর শ্রদ্ধা জানিয়ে আসেন আওয়ামি কর্মীরা। এক্স হ্যান্ডলে বার্তাও দিয়েছেন হাসিনা।

    আওয়ামি লিগের কর্মীদের ওপর হামলা

    জানা গিয়েছে, দেশ (Bangladesh) জুড়ে যখন বিজয় দিবস পালন চলছে, তখন ঢাকার পল্টন ময়দান দাপিয়ে তখন জনসভা করছে জামাতে ইসলামি— একাত্তরে স্বাধীনতার বিরোধিতা করে পাকিস্তানি বাহিনীর হানাদারির সঙ্গী হয়েছিল যারা। পরাজিত বাহিনীর সেই সঙ্গীরা এ দিন ‘বিজয় দিবস’ পালন করল বিজয়ের সঙ্গী ভারতের বিরুদ্ধে দফায় দফায় জিগির তুলে। তার পরে মোটরবাইক মিছিল সামনে রেখে রাজপথ কাঁপিয়ে শোভাযাত্রা করে জামাত ও তাদের অঙ্গ সংগঠনগুলি। হাতে হাতে তাদের ধর্মীয় পতাকা। এ দিন সকালে কিছু তরুণ ৩২ নম্বর ধানমন্ডিতে শেখ মুজিবুরের বাসভবনে শ্রদ্ধা জানাতে হাজির হলে সরকার সমর্থিত কিছু সশস্ত্র যুবক পুলিশের উপস্থিতিতে তাদের প্রচণ্ড মারধর করে। এর পরে পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে। জানায়, আওয়ামি লিগের এই কর্মীরা মিছিল করার চেষ্টায় ছিল।

    কী বললেন ইউনূস?

    অন্তর্বর্তী সরকারের (Bangladesh) প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশ সময় সকাল ১০টায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ শুরু করেন মুক্তিযুদ্ধের ‘লক্ষ লক্ষ শহিদ’কে শ্রদ্ধা নিবেদন করে। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের নায়ক শেখ মুজিবুর রহমানের নাম উচ্চারণ করেননি তিনি। এমনকি, যে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে লড়াই করে বাংলাদেশের জন্ম, তার নামও নেননি সরকারের প্রধান উপদেষ্টা। কারণ, পাকিস্তান এখন এই সরকারের বন্ধু দেশ। ইউনূসের ‘বিজয় দিবস’-এর বক্তৃতা জুড়ে চলতি বছরের জুলাইয়ে হাসিনা-বিরোধী আন্দোলনের জয়গান। সঙ্গে আওয়ামি লিগকে তীব্র আক্রমণ তিনি।

    হাসিনা পুত্র কী বললেন?

    এদিনই এক্স হ্যান্ডলে বাংলাদেশে (Bangladesh) বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে তীব্র কটাক্ষ করে পোস্ট করলেন হাসিনা-পুত্র সজীব ওয়াজেদ। হাসিনা-পুত্র লিখেছেন, ‘‘স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সঙ্গে মিলিত হয়ে গণহত্যা চালানো যুদ্ধাপরাধীদের উত্তরসূরিরা আজ অবৈধ সরকারের সান্নিধ্যে রয়েছে। মুক্তিযুদ্ধে গৌরবময় ভূমিকা রাখা বয়োজ্যেষ্ঠদের শারীরিকভাবে আক্রমণ করা হচ্ছে, ‘জয় বাংলা’ স্লোগানকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বহনকারী প্রতীকগুলো বিনা বাধায় ধ্বংস করা হচ্ছে। মুক্তিযোদ্ধারা রাষ্ট্রীয় সম্মান থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন এবং আমাদের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনেও বাধা দেওয়া হচ্ছে। পাকিস্তান এখনও ইতিহাসের অন্যতম নৃশংস গণহত্যার জন্য ক্ষমা চাইতে অনীহা প্রকাশ করে চলেছে। স্বাধীনতা, পতাকা, সার্বভৌমত্ব এবং মাতৃভাষার জন্য লড়াই করা দলকে ধ্বংস করতে পরিকল্পিত সহিংসতা চালানো হচ্ছে। তবে গত পাঁচ দশকে যুদ্ধাপরাধীদের সহযোগীরা রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে একই ধরনের ষড়যন্ত্র করেছিল। কিন্তু এই দেশের জনগণ সব ভেদাভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই অপশক্তিকে পরাজিত করেছিল। এ বিজয় দিবসে আমার আহ্বান হল– সব বিভেদ ভুলে, ঐক্যবদ্ধ হয়ে স্বাধীনতার মূল চেতনা ধ্বংসের সুপরিকল্পিত প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। জয় বাংলা!’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jai Shri Ram: ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান দেওয়া কীভাবে অপরাধ হতে পারে? প্রশ্ন তুলল সুপ্রিম কোর্ট

    Jai Shri Ram: ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান দেওয়া কীভাবে অপরাধ হতে পারে? প্রশ্ন তুলল সুপ্রিম কোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘জয় শ্রীরাম’ (Jai Shri Ram) স্লোগান দেওয়া অপরাধ কীভাবে? ১৬ ডিসেম্বর, সোমবার এক মামলার শুনানিতে প্রশ্ন তুলল সুপ্রিম কোর্ট। আদালতের পর্যবেক্ষণ, শুধুমাত্র কোনও ধর্মীয় শব্দ বা নাম বলাটা কোনও অপরাধ নয়।

    জয় শ্রীরাম স্লোগান (Jai Shri Ram)

    ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে কর্নাটকের এক মসজিদের ভিতরে ঢুকে জয় শ্রীরাম স্লোগান দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে। কর্নাটক হাইকোর্ট সেই ফৌজদারি কার্যধারা খারিজ করে দিয়েছিল। হাইকোর্টের সেই আদেশকে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। সেই মামলার শুনানিতেই গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ বিচারপতি পঙ্কজ মিথাল ও বিচারপতি সন্দীপ মেহতার ডিভিশন বেঞ্চের। এদিন শুনানিতে বেঞ্চের প্রশ্ন, তারা একটি নির্দিষ্ট ধর্মীয় বাক্যাংশ বা একটি নাম ধরে স্লোগান দিয়েছিল। এটা কোন ধরনের অপরাধ? অভিযোগকারী হায়দার আলি সিএমের উদ্দেশে বেঞ্চের প্রশ্ন, ‘আপনি কীভাবে অভিযুক্তদের শনাক্ত করছেন? আপনি বলছেন, ওদের সবাইকে সিসিটিভি ক্যামেরায় দেখা গিয়েছে। যারা ভিতরে ঢুকেছিল, তাদের কে শনাক্ত করেছে?’

    কর্নাটক হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ

    গত ১৩ সেপ্টেম্বর অভিযুক্ত দুজনের বিরুদ্ধে ফৌজদারি কার্যধারা বাতিল করেছিল কর্নাটক হাইকোর্ট। হাইকোর্ট বলেছিল, কেউ জয় শ্রীরাম বলে স্লোগান দিলে, তা কীভাবে কোনও সম্প্রদায়ের ধর্মীয় অনুভূতিকে আঘাত করে, তা বোঝা যাচ্ছে না। হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ ছিল, এতে জনসাধারণ খেপে গিয়েছে বা সাম্প্রদায়িক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে এমনও কেউ দাবি করেনি। তার ওপর অভিযোগকারী নিজেই জানিয়েছেন যে, তিনি অপরাধীদের দেখেননি। অভিযুক্তদের (Jai Shri Ram) বিরুদ্ধে এফআইআর বাতিল করে হাইকোর্ট বলেছিল, ‘যে অপরাধের অভিযোগ করা হয়েছে, তার কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তাই এই আবেদনকারীদের বিরুদ্ধে আরও আইনি কার্যক্রমের অনুমতি দিলে, আইনের অপব্যবহার করা হবে। তাতে ন্যায় বিচারের গর্ভপাত হবে।’

    আরও পড়ুন: মাওবাদী নির্মূল কবে? সময়সীমা বেঁধে দিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ

    সোমবারের (Jai Shri Ram) শুনানিতে আবেদনকারীর আইনজীবী দেবদত্ত কামাত জানান, তদন্ত শেষ হওয়ার আগেই হাইকোর্ট এই কার্যধারা বাতিল করেছে। অভিযুক্তদের চিহ্নিত করার দায় তিনি চাপিয়েছেন রাজ্য পুলিশের ঘাড়ে। আবেদনকারী রাজ্যের কাছে যে আবেদন করেছেন, তার একটি অনুলিপি চেয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Weather Update: শীতের ঝোড়ো ইনিংসের মধ্যে রাজ্যে বৃষ্টির ভ্রুকুটি, কুয়াশার দাপট কোথায় কোথায়?

    Weather Update: শীতের ঝোড়ো ইনিংসের মধ্যে রাজ্যে বৃষ্টির ভ্রুকুটি, কুয়াশার দাপট কোথায় কোথায়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যজুড়ে জাঁকিয়ে শীত। গত কয়েকদিনে হু হু করে নেমেছিল রাজ্যের তাপমাত্রা। বলা যেতে পারে, একধাক্কায় প্রায় ৫ ডিগ্রির মতো পারদ পতন হয়েছে। শীতের (Winter) ঝোড়ো ইনিংসের মধ্যে রাজ্যে বৃষ্টি নিয়ে বড় আপডেট দিল হাওয়া অফিস (Weather Update)। জানা যাচ্ছে, নিম্নচাপের প্রভাবে ফের রাজ্যের তাপমাত্রা বাড়তে চলেছে। আর বৃষ্টির সম্ভাবনা একাধিক জেলায়।

    কোন কোন জেলায় বৃষ্টি? (Weather Update)

    হাওয়া অফিস (Weather Update) সূত্রে জানা যাচ্ছে, দক্ষিণ পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও দক্ষিণ আন্দামান সাগরে একটি ঘূর্ণাবর্ত নিম্নচাপে রূপান্তরিত হতে চলেছে। সেই নিম্নচাপ তামিলনাড়ু উপকূলের দিকে এগোতে চলেছে। এর জেরে আগামী দু’দিন উত্তর এবং দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলাতে বাড়বে তাপমাত্রা। ২ থেকে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত বাড়তে পারে তাপমাত্রা। বুধবার থেকে আংশিক মেঘলা আকাশ এবং শনিবার পর্যন্ত তাপমাত্রার পরিবর্তন না-হওয়ার সম্ভাবনা। শুক্র ও শনিবার বৃষ্টির পূর্বাভাস। বৃষ্টি হতে পারে কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব বর্ধমান, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রামে। উত্তরবঙ্গেও হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা সপ্তাহের শেষে। শুধুমাত্র দার্জিলিং ও কালিম্পং পার্বত্য এলাকাতেই বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস।

    আরও পড়ুন: মাওবাদী নির্মূল কবে? সময়সীমা বেঁধে দিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ

    কোথায় কোথায় কুয়াশা?

    মঙ্গলবার দিনের আকাশ ভোরে কুয়াশাচ্ছন্ন, বেলায় রৌদ্রোজ্জ্বল থাকার সম্ভাবনা। কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের (Weather Update) প্রায় সব জেলাতেই সকালের দিকে হালকা কুয়াশা থাকতে পারে। এদিকে গতকাল শহর কলকাতার (Weather Update) তাপমাত্রা রবিবারের চেয়ে একটু বৃদ্ধি পেয়েছে। রবিবার মহানগরীর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সোমবার যা খানিক বেড়ে দাঁড়ায় ১৩.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মঙ্গলবার থেকে আগামী কয়েকদিন রাজ্যজুড়ে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। ঘনকুয়াশার সতর্কতা থাকবে বেশ কিছু জেলাতে। আজ ঘনকুয়াশা থাকবে পূর্ব-পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ এবং নদিয়া জেলাতে। বুধবার ঘনকুয়াশা সতর্কবার্তা রয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া এবং পশ্চিম বর্ধমানে। উত্তরবঙ্গে ঘন কুয়াশার সতর্কবার্তা রয়ছে। মঙ্গলবার ঘনকুয়াশা থাকবে দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর এবং মালদা জেলাতে। বুধবার ঘনকুয়াশার সতর্কবার্তা রয়েছে দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার এবং উত্তর দিনাজপুরে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Amit Shah: মাওবাদী নির্মূল কবে? সময়সীমা বেঁধে দিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ

    Amit Shah: মাওবাদী নির্মূল কবে? সময়সীমা বেঁধে দিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “২০২৬ সালের ৩১ মার্চের মধ্যে মাওবাদীদের (Naxalism) নির্মূল করা হবে।” সোমবার এ কথা জানালেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। মাওবাদীদের বিরুদ্ধে ছত্তিশগড় সরকারের পদক্ষেপের প্রশংসাও করেছেন তিনি। ছত্তিশগড় সফরের দ্বিতীয় দিনে জগদলপুরের অমরবটিকা এলাকায় মাওবাদী হামলায় নিহত নিরাপত্তা কর্মী ও সাধারণ মানুষের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেন।

    কী বললেন শাহ (Amit Shah)

    শোকাহত পরিবারগুলোর প্রতি সমবেদনা জানিয়ে তিনি তাদের কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দেন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “স্বজন হারানোর যন্ত্রণা কখনওই কমানো সম্ভব নয়। তবে আমরা আপনার সঙ্গে দৃঢ়ভাবে আছি।” ছত্তিশগড়ে বিজেপির নেতৃত্বাধীন সরকারের শহিদদের স্মৃতি সংরক্ষণে প্রচেষ্টার প্রশংসা করে শাহ বলেন, “তাঁদের আত্মত্যাগ কখনওই ভোলা যাবে না।” তিনি বলেন, “গত এক বছরে বিপুল সংখ্যক মাওবাদী নিহত হয়েছে। ছত্তিশগড় সরকারের নেতৃত্বে নকশালদের বিরুদ্ধে একটি অত্যন্ত ভালো কৌশলের মাধ্যমে প্রশংসনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।”

    মাওবাদকে সম্পূর্ণরূপে নির্মূল করব

    এর পরেই তিনি বলেন, “আমরা ৩১ মার্চ, ২০২৬ সালের মধ্যে দেশ থেকে নকশালবাদের সম্পূর্ণ নির্মূল করব।” কেন্দ্রীয় মন্ত্রী (Amit Shah) বলেন, “তারপর আর কোনও পরিবারকে একই রকম শোক সহ্য করতে হবে না। আমরা মা দন্তেশ্বরীর পবিত্র ভূমি থেকে মাওবাদকে সম্পূর্ণরূপে নির্মূল করব।” সরকারের দৃষ্টিভঙ্গী তুলে ধরতে গিয়ে শাহ বলেন, “এটি তিনটি প্রধান কৌশলের উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে। এক, মাওবাদী বিদ্রোহীদের আত্মসমর্পণে উৎসাহিত করা। দুই, হিংসতায় জড়িতদের গ্রেফতার করা এবং তিন, যারা জীবনকে হুমকির মুখে ফেলছে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করা।” তিনি বলেন, “যারা হিংসার পথ বেছে নেবে, তাদের নিজস্ব ভাষায় উত্তর দেওয়া হবে।”

    আরও পড়ুন: ‘প্যালেস্টাইন’ লেখা ব্যাগ কাঁধে সংসদে প্রিয়ঙ্কা, তোষণের রাজনীতি বলল বিজেপি

    রাজ্য সরকারের উদ্যোগের প্রশংসা করেন শাহ। রাজ্যে প্রতি সপ্তাহে একদিন পুলিশ আইজি-র কার্যালয়ে শহিদ পরিবারের অভিযোগ শোনার জন্য নির্ধারিত হয়েছে। তিনি প্রস্তাব দেন, এই উদ্যোগকে সম্প্রসারিত করে জেলা কালেক্টরদেরও অন্তর্ভুক্ত করা উচিত, যাতে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির (Naxalism) জন্য একটি আরও সমন্বিত ও বিস্তৃত সহায়তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা যায় (Amit Shah)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

     

  • Daily Horoscope 17 december 2024: অতিরিক্ত কাজের চাপে ক্লান্তিবোধ করবেন এই রাশির জাতকরা

    Daily Horoscope 17 december 2024: অতিরিক্ত কাজের চাপে ক্লান্তিবোধ করবেন এই রাশির জাতকরা

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) কাজে ভুল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

    ২) শত্রু থেকে সাবধান।

    ৩) ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নিন।

    বৃষ

    ১) প্রেমে নৈরাশ্য থেকে মানসিক চাপ বৃদ্ধি পেতে পারে।

    ২) প্রতিবেশীর অশান্তির দায় আপনার কাঁধে চাপতে পারে।

    ৩) ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে দিনটি।

    মিথুন

    ১) সকালের দিকে বন্ধুদের দ্বারা বিব্রত হতে পারেন।

    ২) শরীরে ব্যথা-বেদনা বৃদ্ধি পাবে।

    ৩) প্রতিকূল কাটবে দিনটি।

    কর্কট

    ১) ভ্রমণে গিয়ে শরীর খারাপ হওয়ার আশঙ্কা।

    ২) প্রেমের ব্যাপারে ঘৃণা জন্মাতে পারে।

    ৩) নিজেকে সময় দিন।

    সিংহ

    ১) প্রেমের ব্যাপারে আবেগ সংযত থাকুন।

    ২) শরীরে ক্ষয় বৃদ্ধি।

    ৩) প্রিয়জনের সঙ্গে সময় কাটান।

    কন্যা

    ১) বাড়তি কিছু খরচ হতে পারে।

    ২) ব্যবসায় শত্রু বৃদ্ধি পাবে এবং তার ফলে ভাল সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারবেন না।

    ৩) ধৈর্য ধরুন।

    তুলা

    ১) আপনার বিষয়ে সমালোচনা হতে পারে।

    ২) সকালের দিকে একই খরচ বার বার হবে।

    ৩) আধ্যাত্মিকতায় মনোনিবেশ করবেন।

    বৃশ্চিক

    ১) রক্তাল্পতায় ভুগতে পারেন।

    ২) কোনও ব্যক্তির জন্য দাম্পত্য কলহ।

    ৩) গুরুজনের পরামর্শ মেনে চলুন।

    ধনু

    ১) বিলাসিতার কারণে খরচ বাড়তে পারে।

    ২) বাড়িতে বিবাদের জন্য মনঃকষ্ট।

    ৩) দিনটি অনুকূল।

    মকর

    ১) অতিরিক্ত কাজের চাপে ক্লান্তিবোধ।

    ২) সন্তানের জন্য সম্মানহানি হওয়ার সম্ভাবনা।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    কুম্ভ

    ১) ধর্ম সংক্রান্ত ব্যাপারে তর্কে জড়াতে পারেন।

    ২) মা-বাবার সঙ্গে সামান্য কারণে তর্ক হতে পারে।

    ৩) বন্ধুদের পাশে পাবেন।

    মীন

    ১) কর্মস্থানে সহকর্মীদের বিরোধিতা আপনাকে চিন্তায় ফেলবে।

    ২) বুদ্ধির ভুলের জন্য চাপ বৃদ্ধি।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • Delhi Pollution: শীতের সঙ্গে দিল্লিতে পাল্লা দিচ্ছে দূষণ! ‘হাইব্রিড মডেলে’ ক্লাস, জারি বিধিনিষেধ

    Delhi Pollution: শীতের সঙ্গে দিল্লিতে পাল্লা দিচ্ছে দূষণ! ‘হাইব্রিড মডেলে’ ক্লাস, জারি বিধিনিষেধ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জাঁকিয়ে শীতে (Winter) কার্যত কাবু রাজধানী। গত কয়েক দিনে দিল্লির তাপমাত্রার পারদ নিম্নগামী। এই আবহের দোসর হল দূষণ। রাজধানী দিল্লির (Delhi Pollution)  বাতাসের গুণগত মানের অত্যন্ত অবনতি হওয়ায় আবার কড়াকড়ি জারি হচ্ছে। সব মিলিয়ে নতুন করে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে দূষণ।

     ‘হাইব্রিড মডেলে’ ক্লাস! (Delhi Pollution)  

    দূষণ মোকাবিলায় মঙ্গলবার থেকেই দিল্লিতে (Delhi Pollution)  কার্যকর হতে চলেছে তৃতীয় স্তরের সতর্কতা (গ্রেডেড রেসপন্স অ্যাকশন প্ল্যান ৩ বা জিআরএপি ৩)। নিয়ন্ত্রক পষ (কমিশন ফর এয়ার কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্ট) কয়েক দফা নির্দেশিকা জারি করেছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দিল্লি গুরুগ্রাম, ফরিদাবাদ, গাজ়িয়াবাদ এবং গৌতম বুদ্ধ নগরের স্কুল এবং কলেজগুলির উচিত অবিলম্বে জিআরএপি ৩ সতর্কতা মেনে চলা। পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত ‘হাইব্রিড মডেলে’ ক্লাস করানোর নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। অর্থাৎ স্কুলগুলিতে অফলাইনের পাশাপাশি অনলাইন ক্লাসের ব্যবস্থা চালু করতে হবে। অভিভাবকেরা স্থির করবেন, তাঁরা তাঁদের বাচ্চাদের স্কুলে পাঠাবেন, না কি অনলাইনে ক্লাস করাবেন।

    যান চলাচলে নিয়ন্ত্রণ

    সোমবার ভোরে ৫ ডিগ্রির নীচে নেমে গিয়েছিল দিল্লির (Delhi Pollution)  তাপমাত্রা। রবিবার ভোরে দিল্লির এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) ছিল ২৪৬। সোমবার একই সময়ে বাতাসের গুণমান ৩৩৪-এ এসে ঠেকেছে, যা ‘খুব খারাপ’ পর্যায়ে পড়ে! দুপুরের দিকে গুণমান আরও খারাপ হয়েছে। দুপুর ২টোয় বাতাসের গুণমান ৩৬৭-তে পৌঁছেছে। এই পরিস্থিতিতে স্কুলের পাশাপাশি দিল্লি-এনসিআর অঞ্চলে যান চলাচলেও নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। বিএস ৩-এর নীচে থাকা পেট্রল গাড়ি এবং বিএস ৪-এর নীচে থাকা ডিজেল গাড়ি চলাচল করতে পারবে না দিল্লির রাস্তায়। একই নিয়ম কার্যকর থাকবে দিল্লি সংলগ্ন উত্তরপ্রদেশের গুরুগ্রা ফরিদাবাদ, গাজিয়াবাদ এবং নয়ডায়। পাশাপাশি এ-ও বলা হয়েছে, এখনই প্রয়োজনীয় নয়, এমন সব নির্মাণকাজ কিংবা কোনও ভাঙার কাজ আপাতত বন্ধ থাকবে। জাতীয় নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য ব্যবস্থা এবং কিছু সরকারি পরিকাঠামো সংক্রান্ত নির্মাণকাজকে এই কড়াকড়ির আওতার বাইরে রাখা হচ্ছে।

    দূষণ নিয়ে কড়া সুপ্রিম কোর্টও

    দূষণ নিয়ে সোমবার সুপ্রিম কোর্টও কড়া মন্তব্য করে। শুধু দিল্লি নয়, গোটা দেশের দূষণ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। শুনানিতে আদালতের কমিশনার জানান, দূষণ মোকাবিলায় দিল্লিতে (Delhi Pollution)  জারি করা তৃতীয় স্তরের সতর্কতা (গ্রেডেড রেসপন্স অ্যাকশন প্ল্যান ৩ বা জিআরএপি ৩) ব্যর্থ হচ্ছে। কারণ, দিল্লি-এনসিআরের বাইরের রাজ্যগুলি দূষণবিরোধী পদক্ষেপ অনুসরণ করে না। তার পরই বিচারপতি অভয় এস ওকা ও বিচারপতি মনমোহনের বেঞ্চ কেন্দ্রকে বলে, “বায়ুদূষণের সমস্যায় জর্জরিত এমন প্রধান শহরগুলির তালিকা দিন। দূষণ নিয়ন্ত্রণে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া যায় তা নিয়ে ভাবনাচিন্তা করা প্রয়োজন। আমরা সুপ্রিম কোর্টে বসে শুধুমাত্র দিল্লির সমস্যা নিয়ে ভাবছি, এমন ভুল বার্তা অন্যান্য রাজ্যের কাছে যাওয়া ঠিক নয়।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Hambantota Port: ‘ভারতের ক্ষতি হবে এমন কাজ করতে দেব না’, চিনকে বার্তা শ্রীলঙ্কার!

    Hambantota Port: ‘ভারতের ক্ষতি হবে এমন কাজ করতে দেব না’, চিনকে বার্তা শ্রীলঙ্কার!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শ্রীলঙ্কার ভূখণ্ড কোনওভাবেই ভারতের নিরাপত্তার জন্য ক্ষতিকর হবে এমন কাজে ব্যবহৃত হতে দেব না। সোমবার এমনই আশ্বাস দিলেন শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতি অনুর কুমার ডিসানায়েকা। এদিন ভারত-শ্রীলঙ্কা (Hambantota Port) যৌথ বিবৃতিতে ফের একবার শ্রীলঙ্কার অবস্থান স্পষ্ট করে দিলেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট। কলম্বোর এই আশ্বাস এমন একটা সময়ে এসেছে, যখন চিন তার ‘মিশন ইন্ডিয়ান ওশান’ শুরু করেছে। ভারতকে টার্গেট করতেই বেজিংয়ের শ্যেনদৃষ্টি ভারত মহাসাগরে (Sri Lanka)।

    হাম্বানটোটা বন্দর (Hambantota Port)

    এই মহাসাগরেই রয়েছে শ্রীলঙ্কার হাম্বানটোটা বন্দর। চিনের ঋণ শোধ করতে না পারায় শ্রীলঙ্কার ওই বন্দর নিয়ন্ত্রণ করছে চিন। সেখানে তাদের নৌবাহিনীর নজরদারি ও গোয়েন্দা জাহাজ নোঙর করছে। গত দুবছরে, বেইজিং একাধিকবার তাদের ২৫ হাজার টনের স্যাটেলাইট এবং ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ট্র্যাকিং জাহাজ ইউয়ান ওয়াং ৫ হাম্বানটোটায় মোতায়েন করেছে। এটি ভারতের স্বার্থের পরিপন্থী। কারণ শ্রীলঙ্কার ভৌগোলিক অবস্থান ভারতের কাছাকাছি। এবং শ্রীলঙ্কার এই বন্দর কৌশলগতভাবে ভারত ও চিন দুপক্ষের কাছেই খুব গুরুত্বপূর্ণ।

    ভারতের উদ্বেগ

    ২০২২ সালের অগাস্ট মাসে, যখন নয়াদিল্লি কলম্বোকে তাদের উদ্বেগের কথা জানায়, তখন শ্রীলঙ্কা প্রাথমিকভাবে বেজিংকে তাদের জাহাজের আসা পিছিয়ে দেওয়ার এবং এমনতর কার্যকলাপ থেকে বিরত থাকার অনুরোধ করেছিল। তার পরেও চিনের চর জাহাজ ভেড়ে হাম্বানটোটা বন্দরে। তারপর থেকে চিনের নজরদারি ও গোয়েন্দা জাহাজ নিয়মিতভাবে ভারত মহাসাগর অঞ্চলে টহল দিচ্ছে এবং হাম্বানটোটায় নোঙর (Hambantota Port) করছে।

    আরও পড়ুন: ভারত-শ্রীলঙ্কা প্রতিরক্ষা সহযোগিতা চুক্তি সম্পন্ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, জানালেন মোদি

    ২০১০ সালে চালু হয় হাম্বানটোটা বন্দর। শ্রীলঙ্কার তৎকালীন রিনল বিক্রমসিঙ্ঘের সরকার দেশের অর্থনৈতিক ভান্ডারে বৈদেশিক মুদ্রা বাড়ানোর তাগিদে এই বন্দর বেসরকারিকরণের সিদ্ধান্ত নেয়। চিনের এক সংস্থাকে ১১২ কোটি মার্কিন ডলারের বিনিময়ে বন্দরটিকে ৯৯ বছরের জন্য লিজ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় শ্রীলঙ্কা। তার পর থেকে চিনা চর জাহাজ নিয়মিতভাবে ভিড়ছে ওই বন্দরে। যা আদতে ভারতের মাথাব্যথার কারণ। ভারতের এই উদ্বেগ কাটাতেই শ্রীলঙ্কার অবস্থান (Hambantota Port) স্পষ্ট করে দিলেন সে দেশের প্রেসিডেন্ট (Sri Lanka)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

     
     
LinkedIn
Share