Tag: Madhyom

Madhyom

  • Hambantota Port: ‘ভারতের ক্ষতি হবে এমন কাজ করতে দেব না’, চিনকে বার্তা শ্রীলঙ্কার!

    Hambantota Port: ‘ভারতের ক্ষতি হবে এমন কাজ করতে দেব না’, চিনকে বার্তা শ্রীলঙ্কার!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শ্রীলঙ্কার ভূখণ্ড কোনওভাবেই ভারতের নিরাপত্তার জন্য ক্ষতিকর হবে এমন কাজে ব্যবহৃত হতে দেব না। সোমবার এমনই আশ্বাস দিলেন শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতি অনুর কুমার ডিসানায়েকা। এদিন ভারত-শ্রীলঙ্কা (Hambantota Port) যৌথ বিবৃতিতে ফের একবার শ্রীলঙ্কার অবস্থান স্পষ্ট করে দিলেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট। কলম্বোর এই আশ্বাস এমন একটা সময়ে এসেছে, যখন চিন তার ‘মিশন ইন্ডিয়ান ওশান’ শুরু করেছে। ভারতকে টার্গেট করতেই বেজিংয়ের শ্যেনদৃষ্টি ভারত মহাসাগরে (Sri Lanka)।

    হাম্বানটোটা বন্দর (Hambantota Port)

    এই মহাসাগরেই রয়েছে শ্রীলঙ্কার হাম্বানটোটা বন্দর। চিনের ঋণ শোধ করতে না পারায় শ্রীলঙ্কার ওই বন্দর নিয়ন্ত্রণ করছে চিন। সেখানে তাদের নৌবাহিনীর নজরদারি ও গোয়েন্দা জাহাজ নোঙর করছে। গত দুবছরে, বেইজিং একাধিকবার তাদের ২৫ হাজার টনের স্যাটেলাইট এবং ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ট্র্যাকিং জাহাজ ইউয়ান ওয়াং ৫ হাম্বানটোটায় মোতায়েন করেছে। এটি ভারতের স্বার্থের পরিপন্থী। কারণ শ্রীলঙ্কার ভৌগোলিক অবস্থান ভারতের কাছাকাছি। এবং শ্রীলঙ্কার এই বন্দর কৌশলগতভাবে ভারত ও চিন দুপক্ষের কাছেই খুব গুরুত্বপূর্ণ।

    ভারতের উদ্বেগ

    ২০২২ সালের অগাস্ট মাসে, যখন নয়াদিল্লি কলম্বোকে তাদের উদ্বেগের কথা জানায়, তখন শ্রীলঙ্কা প্রাথমিকভাবে বেজিংকে তাদের জাহাজের আসা পিছিয়ে দেওয়ার এবং এমনতর কার্যকলাপ থেকে বিরত থাকার অনুরোধ করেছিল। তার পরেও চিনের চর জাহাজ ভেড়ে হাম্বানটোটা বন্দরে। তারপর থেকে চিনের নজরদারি ও গোয়েন্দা জাহাজ নিয়মিতভাবে ভারত মহাসাগর অঞ্চলে টহল দিচ্ছে এবং হাম্বানটোটায় নোঙর (Hambantota Port) করছে।

    আরও পড়ুন: ভারত-শ্রীলঙ্কা প্রতিরক্ষা সহযোগিতা চুক্তি সম্পন্ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, জানালেন মোদি

    ২০১০ সালে চালু হয় হাম্বানটোটা বন্দর। শ্রীলঙ্কার তৎকালীন রিনল বিক্রমসিঙ্ঘের সরকার দেশের অর্থনৈতিক ভান্ডারে বৈদেশিক মুদ্রা বাড়ানোর তাগিদে এই বন্দর বেসরকারিকরণের সিদ্ধান্ত নেয়। চিনের এক সংস্থাকে ১১২ কোটি মার্কিন ডলারের বিনিময়ে বন্দরটিকে ৯৯ বছরের জন্য লিজ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় শ্রীলঙ্কা। তার পর থেকে চিনা চর জাহাজ নিয়মিতভাবে ভিড়ছে ওই বন্দরে। যা আদতে ভারতের মাথাব্যথার কারণ। ভারতের এই উদ্বেগ কাটাতেই শ্রীলঙ্কার অবস্থান (Hambantota Port) স্পষ্ট করে দিলেন সে দেশের প্রেসিডেন্ট (Sri Lanka)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

     
     
  • Priyanka Gandhi: ‘প্যালেস্টাইন’ লেখা ব্যাগ কাঁধে সংসদে প্রিয়ঙ্কা, তোষণের রাজনীতি বলল বিজেপি

    Priyanka Gandhi: ‘প্যালেস্টাইন’ লেখা ব্যাগ কাঁধে সংসদে প্রিয়ঙ্কা, তোষণের রাজনীতি বলল বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কংগ্রেসের বিরুদ্ধে বার বার সংখ্যালঘু মুসলিমদের তোষণ করার অভিযোগ করেছে বিজেপি। সোমবার তা আরও একবার উস্কে দিলেন প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরা। ওয়েনাড়ের কংগ্রেস সাংসদ সোমবার সংসদে ঢুকলেন ‘প্যালেস্টাইন’ লেখা একটি ব্যাগ কাঁধে নিয়ে, যা দেখে বিজেপি সাংসদেরা অভিযোগ তুললেন প্রিয়ঙ্কা (Priyanka Gandhi) সংখ্যালঘু তোষণের রাজনীতি করছেন।

    কংগ্রেসের মুখপাত্র কী বললেন?(Priyanka Gandhi)

    গত ৭ অক্টোবর গাজা ভূখণ্ড থেকে ইজরায়েলে হামলা চালিয়েছিল স্বাধীনতাপন্থী সশস্ত্র প্যালেস্টাইনি গোষ্ঠী হামাস। তার পর থেকে গাজা এবং আর এক প্যালেস্টাইনি ভূখণ্ড ওয়েস্ট ব্যাঙ্কে ধারাবাহিক হামলা এবং ‘গ্রাউন্ড অপারেশন’ চালিয়ে প্রায় ৫০ হাজার মুসলিমকে হত্যা করেছে ইজরায়েলি সেনা। এদের অধিকাংশই নিরপরাধ সাধারণ মানুষ, মহিলা এবং শিশু বলে অভিযোগ। কংগ্রেস ইতিমধ্যেই ‘জঙ্গি দমনের’ অছিলায় ইজরায়েল সেনার প্যালেস্টাইনি ‘গণহত্যা’র বিরুদ্ধে সরব হয়েছে। কংগ্রেসের মুখপাত্র শামা মহম্মদ সোমবার জানিয়েছেন, প্যালেস্টাইনি নাগরিকদের প্রতি সহমর্মিতা জানাতেই প্রিয়ঙ্কার (Priyanka Gandhi) এই পদক্ষেপ। ওই ব্যাগে প্যালেস্টাইন ‘রাষ্ট্রের’ প্রতীক তরমুজের ছবিও আঁকা ছিল। সমাজমাধ্যমে তিনি লিখেছেন, “একটি বিশেষ ব্যাগ বহন করে প্যালেস্টাইনের প্রতি তাঁর সংহতি জানিয়েছেন প্রিয়ঙ্কা। এ হল সমবেদনা, ন্যায়বিচার এবং মানবতার প্রতি অঙ্গীকার!”

    সরব বিজেপি

    ওয়েনাড় লোকসভা উপনির্বাচনে জয়ের জন্য গত সপ্তাহে প্রিয়ঙ্কাকে (Priyanka Gandhi) অভিনন্দন জানাতে যান ‘স্বশাসিত প্যালেস্টাইন কর্তৃপক্ষে’র ভারতে নিযুক্ত দূত আবেদ এলরাজ়েগ। তার পর সমাজমাধ্যমে একটি পোস্টে গাজায় গণহত্যার নিন্দা করেছিলেন কংগ্রেস নেত্রী। এর পর তাঁর কাঁধে ‘প্যালেস্টাইন’ লেখা ব্যাগ দেখে চটেছেন বিজেপি নেতারা। ওড়িশার সাংসদ তথা বিজেপির (BJP) মুখপাত্র সম্বিত পাত্র সোমবার বিকেলে বলেন, “নেহরু-গান্ধী পরিবারের এমন আচরণ নতুন কিছু নয়। জওহরলাল থেকে প্রিয়ঙ্কা পর্যন্ত সকলেই তোষণের ঝুলি নিয়ে ঘুরে বেড়ান। ওঁদের কাঁধে কখনও জাতীয়তাবাদ বা দেশপ্রেমের ঝুলি দেখবেন না।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • India Sri Lanka Relation: ভারত-শ্রীলঙ্কা প্রতিরক্ষা সহযোগিতা চুক্তি সম্পন্ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, জানালেন মোদি

    India Sri Lanka Relation: ভারত-শ্রীলঙ্কা প্রতিরক্ষা সহযোগিতা চুক্তি সম্পন্ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, জানালেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত ও শ্রীলঙ্কা শীঘ্রই প্রতিরক্ষা সহযোগিতা চুক্তি সম্পন্ন করার (PM Modi) সিদ্ধান্ত নিয়েছে (India Sri Lanka Relation)। জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি জানান, দুই দেশই সমুদ্র ও নদীর মানচিত্র করণের বিষয়ে সহযোগিতা করার সিদ্ধান্তও নিয়েছে। শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট অনুর কুমার ডিসানায়েকের সাথে যৌথ বিবৃতিতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, উভয় দেশই বিশ্বাস করে যে কলম্বো সিকিউরিটি কনক্লেভ আঞ্চলিক শান্তি, নিরাপত্তা ও উন্নয়নের একটি গুরুত্বপূর্ণ মঞ্চ।

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী? (India Sri Lanka Relation)

    তিনি বলেন, “আমরা পুরোপুরি একমত যে আমাদের নিরাপত্তা স্বার্থ পরস্পরের সঙ্গে জড়িত। আমরা শীঘ্রই প্রতিরক্ষা সহযোগিতা চুক্তি সম্পন্ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। হাইড্রোগ্রাফি (সমুদ্র ও নদীর মানচিত্র করণ) বিষয়ে সহযোগিতায়ও একমত হয়েছি। আমরা বিশ্বাস করি যে কলম্বো সিকিউরিটি কনক্লেভ আঞ্চলিক শান্তি, নিরাপত্তা ও উন্নয়নের একটি গুরুত্বপূর্ণ মঞ্চ। এর আওতায় সামুদ্রিক নিরাপত্তা, সন্ত্রাসবিরোধী কার্যক্রম, সাইবার নিরাপত্তা, চোরাচালান এবং সংগঠিত অপরাধের বিরুদ্ধে লড়াই, মানবিক সহায়তা ও দুর্যোগ মোকাবিলার মতো বিষয়গুলোতে সহযোগিতা আরও বাড়ানো হবে।”

    ভারতে স্বাগত শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতি

    ভারত ও শ্রীলঙ্কার জনগণের মধ্যের সম্পর্ককে পোক্ত করার ওপর জোর দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ভারত ও শ্রীলঙ্কার জনগণের সম্পর্ক আমাদের সভ্যতার সঙ্গে যুক্ত। যখন ভারতে পালি ভাষাকে ‘শাস্ত্রীয় ভাষা’-এর মর্যাদা দেওয়া হয়, তখন এটি শ্রীলঙ্কায়ও উদযাপন করা হয়।” শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতিকে স্বাগত জানিয়ে (India Sri Lanka Relation) প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমি রাষ্ট্রপতি অনুরা কুমারা ডিজানায়েকে ভারতে স্বাগত জানাই। আমরা আনন্দিত যে আপনি প্রথম বিদেশ সফরের জন্য ভারতকে বেছে নিয়েছেন। এই সফর আমাদের সম্পর্ককে নতুন গতি এবং শক্তি দেবে। আমাদের অংশীদারিত্বের জন্য, আমরা একটি ভবিষ্যতগামী দৃষ্টিভঙ্গী গ্রহণ করেছি।”

    আরও পড়ুন: ব্রিটিশ সেফটি কাউন্সিলের সর্বোচ্চ পুরস্কার ‘সোর্ড অফ অনার’-এ ভূষিত অযোধ্যার রাম মন্দির

    অর্থনৈতিক সহযোগিতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমাদের অর্থনৈতিক সহযোগিতায় আমরা বিনিয়োগকেন্দ্রিক প্রবৃদ্ধি এবং সংযোগের ওপর জোর দিয়েছি। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে শারীরিক, ডিজিটাল এবং জ্বালানি সংযোগ আমাদের অংশীদারিত্বের গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ হবে। বিদ্যুৎ গ্রিড সংযোগ এবং বহু-পেট্রোলিয়াম পাইপলাইন স্থাপনে কাজ করা হবে। শ্রীলঙ্কার বিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য এলএনজি সরবরাহ করা হবে। দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বাড়ানোর জন্য, উভয় পক্ষ ‘একতা’ চুক্তি দ্রুত সম্পন্ন (PM Modi) করার চেষ্টা করবে (India Sri Lanka Relation)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • The Sabarmati Report: “দ্য সবরমতী রিপোর্ট দেখার পর মোদিজির চোখের কোণে ছিল জল”, আবেগাপ্লুত বিক্রান্ত মৈসী

    The Sabarmati Report: “দ্য সবরমতী রিপোর্ট দেখার পর মোদিজির চোখের কোণে ছিল জল”, আবেগাপ্লুত বিক্রান্ত মৈসী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘দ্য সবরমতী রিপোর্ট’ (The Sabarmati Report) নজর কেড়েছে দর্শকদের। এই সিনেমা দেখতে গিয়েছিলেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী (PM Narendra Modi) এবং তাঁর মন্ত্রী পরিষদের সদস্যরা। নরেন্দ্র মোদির চোখে জল দেখেছিলেন সিনেমার অভিনেতা বিক্রান্ত মৈসী। নিজের অভিজ্ঞতার কথা প্রকাশ করে সেই অনুভূতি ভাগ করে নিলেন তিনি। জানালেন, এই সিনেমার অভিনয় দাগ কেটেছে মোদিজির মনে। তাঁর ‘চোখের কোণে জল’ দেখেছি আমি।

    “আমার কাজ পছন্দ করেছেন প্রধানমন্ত্রী” (The Sabarmati Report)

    সম্প্রতি একটি বিশেষ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Narendra Modi) সঙ্গে আলাপচারিতার প্রসঙ্গ টেনে অভিনেতা বিক্রান্ত মৈসী বলেন, “দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে আমাদের মধ্যে। তবে তা গোপন রাখাই শ্রেয়। কিন্তু এইটুকু বলতে পারি আমাদের মোদিজি সিনেমাটি (The Sabarmati Report) উপভোগ করেছেন। আমাদের পরিশ্রম, প্রচেষ্টার ব্যাপক প্রশংসা করেছেন। আমার কাজ পছন্দ করেছেন, ওঁর চোখের কোণে জল ছিল। এই প্রশংসা আজীবন আমার সঙ্গে থেকে যাবে।” উল্লেখ্য সিনেমার বিষয় ছিল ২০০২ সালে গোধরা দাঙ্গার প্রেক্ষাপট। সবরমতি এক্সপ্রেসে কীভাবে আগুন লাগিয়ে রামভক্ত করসেবকদের ষড়যন্ত্র করে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল সেই কাহিনি রয়েছে সিনেমার গল্পে। নিহত ৫৯ জনের মধ্যে অধিকাংশ মহিলা এবং শিশু ছিল। সংবাদ মাধ্যম ঘটনাকে চেপে সত্যতাকে কীভাবে লুকিয়ে রেখেছিল, সেই গল্প রয়েছে সিনেমায়।

    আরও পড়ুনঃ করিডর তৈরির পর তিন বছরে ১৯.১৩ কোটি ভক্ত বেড়েছে কাশী বিশ্বনাথ ধামে

    বক্স অফিসে সাফল্যই বড় কথা নয়

    অভিনেতা বিক্রান্ত মৈসী আরও বলেন, “অনেক ধরনের অভিনেতা রয়েছেন। আমি একটা সংশোধন করতে চাই-সবরমতী রিপোর্ট (The Sabarmati Report) হিট। যদি বিনিয়োগ, প্রোডাকশনের খরচ ও আয় দেখেন তবে এটা অবশ্যই হিট। আমি মনে করি ২০০ কোটি টাকা দিয়ে সিনেমা তৈরি করে ২৫০ কোটি টাকা আয় করলে সেটা মোটেও ভালো ব্যবসা নয়। আর যদি ১৫ কোটি ব্যয় করে সিনেমা তৈরি করে ৪০ কোটি টাকা আয় করে সেটা ভা্লো ব্যবসা। আমি এই ধরনের মানসিকতার সঙ্গে কাজ করি। তবে বক্স অফিসে সাফল্যই সিনেমার সাফল্যের একমাত্র মাপকাঠি নয়।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • CBI: বিপদ বাড়ল ‘কালীঘাটের কাকু’র! সিবিআই মামলায় আগাম জামিনের আর্জি খারিজ করে দিল হাইকোর্ট

    CBI: বিপদ বাড়ল ‘কালীঘাটের কাকু’র! সিবিআই মামলায় আগাম জামিনের আর্জি খারিজ করে দিল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে ‘কালীঘাটের কাকুর’ আগাম জামিনের আবেদন খারিজ করে দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। সম্প্রতি ইডির মামলায় শর্তসাপেক্ষে জামিন পেয়েছেন সুজয়কৃষ্ণ। এরই মধ্যে সিবিআই (CBI) তাঁকে হেফাজতে নিতে চাইছে। এই অবস্থায় নতুন করে গ্রেফতার হওয়ার আশঙ্কায় হাইকোর্টে আগাম জামিনের আবেদন জানান সুজয়কৃষ্ণ। সোমবার সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে হাইকোর্টের বিচারক জয়মাল্য বাগচির ডিভিশন বেঞ্চ।

    সিবিআইয়ের আইনজীবী কী বললেন?(CBI)

    নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় ইডি এবং সিবিআই (CBI) উভয় কেন্দ্রীয় সংস্থা তদন্ত চালাচ্ছে। প্রাথমিকের নিয়োগ মামলায় ইডিই তাঁকে গ্রেফতার করেছিল। সোমবার নিম্ন আদালতে নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত ইডির মামলার শুনানি হয়েছে। সিবিআইয়ের মামলায় আগে অসুস্থতার কারণে সুজয়কৃষ্ণ আদালতে উপস্থিত না থাকলেও, ইডির মামলায় ভার্চুয়ালি হাজিরা দেন। জেল হাসপাতালের বিছানা থেকে লাল কম্বল গায়ে, মাথায় মাফলার জড়িয়ে ভার্চুয়াল হাজিরা দেন তিনি। সিবিআইয়ের আইনজীবী ধীরজ ত্রিবেদী জানান, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে নিম্ন আদালত থেকে প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট জারি করা হয়েছে। যার অর্থ, তাঁকে ইতিমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে। ফলে তাঁকে যে কোনও মুহূর্তে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা নিজেদের হেফাজতে নিতে পারে।

    কেন সুজয়কৃষ্ণকে হেফাজতে নেওয়া হয়নি? প্রশ্ন বিচারপতির

    বিচারপতি বাগচি জানান, সিবিআই (CBI) গ্রেফতার করলে অভিযুক্তকে আদালতে পেশ করতে হবে। তা কেন সম্ভব হয়নি, জানতে চান বিচারপতি। গ্রেফতারের জন্য যে আইনি কাজগুলি করা দরকার, সেগুলি করা হয়েছে কি না, সে বিষয়েও আইনজীবীকে প্রশ্ন করেন তিনি। সিবিআইয়ের আইনজীবীকে বিচারপতির প্রশ্ন, কেন অভিযুক্তকে হেফাজতে নেওয়া হয়নি। বিচারপতি বাগচির মন্তব্য, যদি অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়, তবে জামিন পাওয়ার অধিকার থাকবে। সিবিআইয়ের আইনজীবী জানান, সুজয়কৃষ্ণ হাসপাতালে ছিলেন বলে তাঁকে গ্রেফতার করা যায়নি। জেল সুপার তাঁদের জানিয়েছিলেন, অভিযুক্ত সেই অবস্থায় নেই। বর্তমানে যেহেতু প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট জারি হয়ে গিয়েছে এবং অভিযুক্তকে যে কোনও মুহূর্তে হেফাজতে নেওয়া যায়, তাই আগাম জামিনের আবেদন গ্রহণযোগ্য নয় বলে জানান সিবিআইয়ের আইনজীবী। সে ক্ষেত্রে অভিযুক্তকে জামিনের আবেদন করা প্রয়োজন বলে মত তাঁর।

    সুজয়কৃষ্ণের আইনজীবী কী বললেন?

    সুজয়কৃষ্ণের আইনজীবী মিলন মুখোপাধ্যায় জানান, ওই প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট এখনও কার্যকর হয়নি। তাই আগাম জামিনের আবেদন করা যেতেই পারে। হেফাজতে নেওয়ার জন্য শুধু নোটিশ জারি করা হয়েছে। তবে গ্রেফতার করা হয়নি বলেই জানান আইনজীবী। তবে শেষ পর্যন্ত ওই আগাম জামিনের আবেদন খারিজ করে দিয়েছে হাইকোর্ট।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Crisis 6: শিক্ষাজগৎ থেকে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে সংখ্যালঘুদের, আক্রান্ত লেখক-শিল্পীরাও!

    Bangladesh Crisis 6: শিক্ষাজগৎ থেকে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে সংখ্যালঘুদের, আক্রান্ত লেখক-শিল্পীরাও!

    হাসিনা সরকারকে উৎখাত করার পর থেকেই অশান্ত বাংলাদেশ। মন্দির ভাঙচুর, আগুন, মারধর, খুন-সবেতেই টার্গেট সংখ্যালঘু হিন্দু। শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পাওয়া ইউনূসের কঙ্কালসার চেহারাটা এখন গোটা বিশ্বের কাছে পরিষ্কার। ইসকনের সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতারের পর গোটা বিশ্ব জেনে গিয়েছে, কী ভয়াবহ এবং আতঙ্কের পরিবেশ সেখানে। শুধু কি সাধারণ নিরীহ হিন্দু বা হিন্দুদের মন্দির? না, বেছে বেছে কাঠগড়ায় তুলে চরম শাস্তি দেওয়া হয়েছে আওয়ামি লিগপন্থী জনপ্রতিনিধি, পুলিশ অফিসার থেকে শুরু করে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের পদস্থ কর্তাদেরও। কীভাবে বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর নিপীড়ন চলছে, কীভাবে একের পর এক সরকারি অফিসার বা জনপ্রতিনিধির ওপর শাস্তির খাঁড়া নেমে আসছে, তা নিয়েই আমাদের ধারাবাহিক প্রতিবেদন। আজ ষষ্ঠ পর্ব।

     

    অশান্ত বাংলাদেশ: টার্গেট হিন্দু-৬

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত কয়েক মাস ধরে বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর অত্যাচারের মাত্রা অনেকখানি বেড়ে গিয়েছে। চাকরি থেকে জবরদস্তি ছাঁটাই কিংবা হিন্দু-বৌদ্ধদের দোকান লুট নিত্যদিনের ঘটনা। প্রশাসন, পুলিশ থেকে তো বটেই, শিক্ষাজগত থেকেও সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে সংখ্যালঘুদের। ‘আমার সোনার বাংলা’কে জাতীয় সঙ্গীত না রাখার বিপুল ব্যস্ততা দেখে ত্রস্ত বিশ্ব। ঋত্বিক ঘটকের বাড়ি ভেঙে দেওয়া কিংবা সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের বাড়ির দখল নিয়ে নেওয়া, রবীন্দ্রনাথের নামাঙ্কিত প্রতিষ্ঠানের নামবদল অথবা লালন সাঁইয়ের অনুসারীদের আখড়াতেও আক্রমণ, বাংলাদেশের প্রাসঙ্গিকতা বদলের চেষ্টা চলছে প্রতিনিয়ত। মাদ্রাসা ছাত্রদের নেতৃত্বে ভাঙা হচ্ছে চার-পাঁচশো বছরের পুরনো সব সুফি মাজার। শিল্পী রাহুল আনন্দের বাড়ির সহস্রাধিক বাদ্যযন্ত্র পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। আক্রান্ত হয়েছেন আরও বেশ কয়েক জন গায়ক-গায়িকা। 

    অপহরণ এবং আর্থিক শোষণ

    চলতি বছর সেপ্টেম্বর এবং অক্টোবর মাসে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে একাধিক অপহরণ এবং আর্থিক শোষণের ঘটনা ঘটেছে। ঝিনাইদাহ জেলার কচচান্দপুরে হিন্দু সংখ্যালঘুদের মালিকানাধীন দোকান লুট করা হয় এবং একাধিক অপহরণের ঘটনা ঘটে। দাবি করা হয় মুক্তিপণও। নারাইল সদর উপজেলার ৯নং ওয়ার্ডে সুজয় বসুর বাড়ি লুট করা হয়, তার পরিবারকে হুমকি দেওয়া হয় এবং তাদের নিরাপত্তার জন্য মুক্তিপণ দাবি করা হয়। বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের তথ্য অনুযায়ী, ৫ অগাস্ট ২০২৪ থেকে ১,০০০টিরও বেশি অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। যার শিকার সংখ্যালঘুরা।

    শিক্ষাক্ষেত্রে সংখ্যালঘুদের উপর চাপ

    পদ্মাপড়ে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশের শিক্ষাক্ষেত্রে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সদস্যদের, বিশেষত শিক্ষক এবং শিক্ষাবিদদের সরিয়ে দেওয়া হয়। এই আক্রমণের ধারা সংখ্যালঘুদের প্রতি বাড়তি শত্রুতা এবং রাজনৈতিক পরিবর্তনের কারণে তাদের ভূমিকা কমে যাওয়ার বিষয়টিকে সামনে নিয়ে এসেছে। সংখ্যাগরিষ্ঠ কিছু ব্যক্তির চাপের ফলে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধানরা পদত্যাগ করেন। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন অধ্যাপক শতপ্রসাদ মজুমদার, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ভাইস চ্যান্সেলর। সৌমিত্র শেখর, কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর। বেনু কুমার মেহি, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো ভাইস চ্যান্সেলর। অধ্যাপক ড. মিহিররঞ্জন মালাকার, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর। প্রায় ১৫০০ শিক্ষক, যাদের মধ্যে অনেকেই সংখ্যালঘু, পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। এর পিছনে ছিল প্রধানত কোটা সংস্কার আন্দোলন, যা ইসলামিক এবং জাতীয়তাবাদী অঙ্গীকার দ্বারা বেড়ে উঠেছিল।

    শিক্ষকদের ওপর হামলা এবং হুমকি

    অধ্যাপক শ্রেষ্ঠা মল্লিক, ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অফ বিজনেস, অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজি-আক্রান্ত হন। এখানে তার ধর্মীয় সমালোচনা এবং ধর্মীয় উৎসবগুলোর বিরুদ্ধে বক্তব্য একটি হিংসাত্মক ক্যাম্পেইনের কেন্দ্রে পরিণত হয়। ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান শাপনকুমার সরকার হঠাৎ পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। তার পদত্যাগের পেছনে সাম্প্রদায়িক পক্ষপাতিত্ব একটি বড় কারণ ছিল। এটি সংখ্যালঘু শিক্ষকদের প্রতি অসামাজিক আক্রমণের একটি বিপজ্জনক প্রবণতা তুলে ধরে, যা জাতীয় একতা, শিক্ষাক্ষেত্রে নিরপেক্ষতা এবং অন্তর্ভুক্তি হ্রাসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে।

    আরও পড়ুন:ভারতে এসে চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের প্রাণহানির আশঙ্কা প্রকাশ করলেন আইনজীবী রবীন্দ্র ঘোষ

    এই আক্রমণগুলো সংখ্যালঘুদের সাংস্কৃতিক, সামাজিক এবং রাজনৈতিকভাবে মার্জিনালাইজ করার একটি ষড়যন্ত্র। যা বালাদেশের সাম্প্রদায়িক শান্তি এবং বহুত্ববাদী সমাজের উপর গুরুতর আঘাত হানছে। বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক বর্ণমালা বদলে দেওয়ার কাজ চলছে ভয়ঙ্কর দ্রুততার সঙ্গে। কাগজে না হলেও মগজে ফিরিয়ে আনছে ‘পূর্ব পাকিস্তান’। সেই পূর্ব পাকিস্তানে হিন্দু-বৌদ্ধদের জন্য বৃষ্টি নেই, রয়েছে কেবলই আগুন। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Vijay Diwas 2024: ‘‘পড়শিকে উপেক্ষা করতে পারি না’’, একাত্তরের যুদ্ধে ভারতের ভূমিকা অনস্বীকার্য, মত মুক্তিযোদ্ধাদের

    Vijay Diwas 2024: ‘‘পড়শিকে উপেক্ষা করতে পারি না’’, একাত্তরের যুদ্ধে ভারতের ভূমিকা অনস্বীকার্য, মত মুক্তিযোদ্ধাদের

    সুশান্ত দাস, মাধ্যম: ‘‘পরিবার বদলাতে পারি। ইতিহাস বদলাতে পারি। কিন্তু, পড়শিকে (রাষ্ট্র) উপেক্ষা করতে পারি না। একাত্তরে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের অবদান উপেক্ষা করা যায় না। মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশিদের পাশাপাশি ভারতীয় সেনা যেভাবে পাশে দাঁড়িয়েছিল, তা অনস্বীকার্য৷’’ (Vijay Diwas 2024) বাংলাদেশ স্বাধীনতার ৫৩তম বর্ষপূর্তিতে ভারতীয় সেনার বিজয় দিবস অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এপার বাংলায় এসে ঠিক এভাবেই দু’দেশের সুস্থ স্বাভাবিক সম্পর্কের হয়ে সওয়াল করলেন ওপার বাংলা থেকে আগত মুক্তিযোদ্ধারা (Bangladeshi Muktijoddhas)। একইসঙ্গে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে তাঁদের গলায় ধরা পড়ল ‘আক্ষেপের সুর’। কারও কারও মতে, বোধ হয় পরবর্তী প্রজন্মকে সঠিক শিক্ষাদানে তাঁদের কোনও খামতি থেকে গিয়েছিল। তাই হয়ত, এই পরিস্থিতির সম্মুখীন বাংলাদেশ। যদিও, এর সঙ্গেই তাঁদের সংযোজন, ‘বাংলাদেশ ভালো আছে।’

    ভারতের জয়ে জন্ম নিয়েছিল স্বাধীন বাংলাদেশ

    প্রতি বারের মতো এ বছরও বিজয় দিবস (Vijay Diwas 2024) পালন করল ভারতীয় সেনা। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিকেলে ভারতীয় সেনার (1971 War Heroes) কাছে আত্মসমর্পণ করেছিল প্রায় ৯৩ হাজার পাক সেনা। আত্মসমর্পণপত্রে স্বাক্ষর করেন পূর্ব পাকিস্তানের তৎকালীন সেনাপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল একে নিয়াজি। আত্মসমর্পণের নথিতে স্বাক্ষর করার সময়, নিজের রিভলভারটি ভারতীয় সেনার তৎকালীন পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরার হাতে তুলে দেন নিয়াজি। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ভারতের এই জয়ের ফলে জন্ম নিয়েছিল স্বাধীন বাংলাদেশ।

    মুক্তিযোদ্ধাদের আসা নিয়ে ছিল সংশয়

    ভারতের সেই ঐতিহাসিক জয় উদযাপন (Vijay Diwas 2024) করতে সেনার ইস্টার্ন কমান্ডের সদর ফোর্ট উইলিয়ামে (Fort William) বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। প্রতি বছর, এই অনুষ্ঠানে নিয়ম করে যোগ দিতে বাংলাদেশ থেকে মুক্তিযোদ্ধা (Bangladeshi Muktijoddhas) ও সামরিক অফিসারদের প্রতিনিধিদল কলকাতায় আসেন। তবে, বর্তমানে, শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন তদারকি সরকারের আমলে যে হারে সে দেশে সংখ্যালঘু বিশেষ করে হিন্দুদের বিরুদ্ধে নির্যাতন, নিপীড়ন ও অত্যাচার শুরু হয়েছে, তার বিরূপ প্রভাব পড়েছে ভারত-বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে। 

    বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রির কূটনীতির জোর!

    এই পরিস্থিতিতে, এ বছর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতিনিধিদল ভারতে আসবে কি না, তা নিয়ে ছিল জোর সংশয়। কিন্তু, অবশেষে ওপার বাংলা থেকে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হন ৮ মুক্তিযোদ্ধা সহ ৯ জনের প্রতিনিধিদল। পাশাপাশি, প্রথা মেনে বাংলাদেশেও গিয়েছে ভারতের প্রতিনিধিদলও। অনেকে বলছেন, ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রির কূটনীতির জোরেই এটা সম্ভব হয়েছে। ভারতের দৌত্যের জন্যই এদেশে মুক্তিযোদ্ধাদের (Bangladeshi Muktijoddhas) পাঠাতে এবং বিজয় দিবসের পরম্পরা বজায় রাখতে বাধ্য হয়েছে মহম্মদ ইউনূস প্রশাসন। এদিন, বিজয় স্মারকে (Vijay Diwas 2024) পুষ্পস্তবক দান থেকে শুরু করে সামরিক ট্যাটু— সব অনুষ্ঠানেই অংশগ্রহণ করেন মুক্তিযোদ্ধারা। বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে ছিলেন সেদেশের সেনা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মহম্মদ আমিনুর রহমান। বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের পক্ষে শহিদ স্মৃতিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করেন মেজর জেনারেল আব্দুস সালাম চৌধুরী (অবসরপ্রাপ্ত) এবং ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মহম্মদ আমিনুর রহমান।

    ভারতের ভূমিকা অনস্বীকার্য

    সেনাবাহিনীর মাঠে আয়োজিত একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ-সম্পর্কিত একটি প্রদর্শনী ঘুরে দেখে বাংলাদেশের প্রতিনিধি দল। সেদিনকার স্মৃতিবিজড়িত দৃশ্য দেখে অনেকেই আবেগতাড়িত হয়ে পড়েন (Vijay Diwas 2024)। পরে ভারতীয় গণমাধ্যমের সামনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের ভূমিকার কথা স্মরণ করেন তাঁরা। ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মহম্মদ আমিনুর রহমান বলেন, ‘‘মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশিদের পাশাপাশি ভারতীয় সেনা যেভাবে পাশে দাঁড়িয়েছিল, তা অনস্বীকার্য৷ সেই সময় থেকে ভারতের সঙ্গে যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল, তা আজীবন থাকবে৷ পৃথিবী যতদিন থাকবে, ততদিন ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক অটুট থাকবে৷’’

    পড়শিকে উপেক্ষা করতে পারি না…

    বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর (Bangladeshi Muktijoddhas) কর্নেল (অবসরপ্রাপ্ত) কাজী সাজ্জাদ আলি জাহির বলেন, ‘‘ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্কে চিড় ধরার কোনও জায়গা নেই৷ কারণ, আমরা পরিবার বদলাতে পারি। ইতিহাস বদলাতে পারি। কিন্তু, পড়শিকে উপেক্ষা করতে পারি না৷ এটাই দুই বাংলার বৈশিষ্ট্য৷ একাত্তরে ভারতীয় সেনার (1971 War Heroes) ভূমিকা কোনওভাবেই ভোলার নয়৷ আমরা সেটা সবসময় স্বীকার করি৷’’ সাম্প্রতিক কিছু ইস্যুতে ভারত ও বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের টানাপোড়েন প্রসঙ্গে কাজী সাজ্জাদ আলি বলেন, ‘‘ইতিহাসের অনেক পর্যায় রয়েছে। সম্পর্কের উত্থান-পতন দুটোই ঘটে। পঁচাত্তরের নির্মম গণহত্যার পর একটি সঙ্কট তৈরি হয়েছিল। কিন্তু আমরা তা অতিক্রম করতে পেরেছি। বাংলাদেশে অনেক সমস্যা হয়েছে, ভারতে অনেক পরিবর্তন এসেছে। কিন্তু তারপরেও আমরা ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্ব বজায় রেখেছি। বন্ধুত্বের এই সম্পর্ক স্থায়ী এবং ইতিহাসের ভিত্তিতেই তা টিকে থাকবে।’’

    কোনও খামতি থেকে গিয়েছিল…

    আগত মুক্তিযোদ্ধাদের (Bangladeshi Muktijoddhas) অনেকেই যেমন মনে করেন, দু-একজনের মন্তব্য সত্ত্বেও ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্ক অটুট রয়েছে৷ বর্তমান পরিস্থিতিতেও সম্পর্কে চিড় ধরেনি৷ কাজী সাজ্জাদ আলি বলেন, ‘‘গণতান্ত্রিক দেশে অনেকেই অনেক কিছু বলে। কোনও মন্তব্য দুই দেশের সম্পর্কের মাপকাঠি ঠিক করে দেয় না৷’’ তবে, আগত মুক্তিযোদ্ধাদের (Vijay Diwas 2024) কয়েকজনের মুখে ধরা পড়েছে বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আক্ষেপের সুর। তাঁদের মতে, বোধ হয় পরবর্তী প্রজন্মকে সঠিক শিক্ষাদানে তাঁদের কোনও খামতি থেকে গিয়েছিল। তাই হয়ত, এই পরিস্থিতির সম্মুখীন বাংলাদেশ। তাঁদের আরও দাবি, হয়তো সঠিক পথে নিজের সন্তানদের পরিচালনা করলে আজ এই দশা দেখতে হত না পদ্মাপাড়ের মানুষকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Crisis 5: ভেঙে ফেলা হয়েছে মেরির মূর্তি! হিন্দুদের মতো বৌদ্ধ-খ্রিস্টানদের ওপরও অবর্ণনীয় অত্যাচার বাংলাদেশে

    Bangladesh Crisis 5: ভেঙে ফেলা হয়েছে মেরির মূর্তি! হিন্দুদের মতো বৌদ্ধ-খ্রিস্টানদের ওপরও অবর্ণনীয় অত্যাচার বাংলাদেশে

     

    হাসিনা সরকারকে উৎখাত করার পর থেকেই অশান্ত বাংলাদেশ। মন্দির ভাঙচুর, আগুন, মারধর, খুন-সবেতেই টার্গেট সংখ্যালঘু হিন্দু। শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পাওয়া ইউনূসের কঙ্কালসার চেহারাটা এখন গোটা বিশ্বের কাছে পরিষ্কার। ইসকনের সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতারের পর গোটা বিশ্ব জেনে গিয়েছে, কী ভয়াবহ এবং আতঙ্কের পরিবেশ সেখানে। শুধু কি সাধারণ নিরীহ হিন্দু বা হিন্দুদের মন্দির? না, বেছে বেছে কাঠগড়ায় তুলে চরম শাস্তি দেওয়া হয়েছে আওয়ামি লিগপন্থী জনপ্রতিনিধি, পুলিশ অফিসার থেকে শুরু করে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের পদস্থ কর্তাদেরও। কীভাবে বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর নিপীড়ন চলছে, কীভাবে একের পর এক সরকারি অফিসার বা জনপ্রতিনিধির ওপর শাস্তির খাঁড়া নেমে আসছে, তা নিয়েই আমাদের ধারাবাহিক প্রতিবেদন। আজ পঞ্চম পর্ব।

     

    অশান্ত বাংলাদেশ: টার্গেট হিন্দু-৫

     

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুক্তিযুদ্ধের সময় অবর্ণনীয় অত্যাচার সংঘটিত হয়েছে পূর্ব পাকিস্তানের হিন্দু, বৌদ্ধ এবং খ্রিস্টানদের ওপরও। ১৯৬৪ সালেই কাশ্মীরের মসজিদ থেকে পবিত্র স্মারক চুরির গুজবে সহস্রাধিক মানুষকে হত্যা এবং লাখ-লাখ মানুষকে ঘরছাড়া করা হয়েছিল। কিন্তু বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতিকে মেরুদণ্ড ধরে নিয়ে যখন ভূমিষ্ঠ হল নতুন দেশ, তখন ধর্মনির্বিশেষে সকলের সমানাধিকারের প্রত্যাশা জাগ্রত হয়েছিল মানুষের হৃদয়ে। বছরের পর বছর অনেক বিচ্যুতির শিকার হয়েছে সেই প্রত্যাশা, তবে একেবারে মরে যায়নি। কিন্তু এই মুহূর্তে বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) পরিস্থিতি অনেক বেশি ভয়াবহ। যার শিকার শুধু হিন্দুরা এমন নয়, বৌদ্ধ-খ্রিস্টান-আহমদিয়ারাও।

    আহমদিয়া মুসলিম কমিউনিটির প্রতি নির্যাতন

    আহমদিয়া মুসলিম কমিউনিটি বাংলাদেশে ব্যাপক সহিংসতার শিকার হয়েছে। পঞ্চগড়, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, ঢাকা, নীলফামারী, রাজশাহী ও শেরপুরে হামলার খবর পাওয়া গিয়েছে। বাংলাদেশের বহুল প্রচলিত দৈনিকে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, ২০২৪ সালের ৬ অগাস্ট এক হামলায় অন্তত ২০ জন আহমদিয়া মুসলিম আহত হয়েছে, মসজিদ ও বাড়িঘর ধ্বংস করা হয়েছে।

    খ্রিস্টান কমিউনিটির প্রতি আক্রমণ

    খ্রিস্টান সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ও (Bangladesh Crisis) একাধিক সহিংসতার শিকার হয়েছে। বাংলাদেশ খ্রিস্টান অ্যাসোসিয়েশনের মতে, নাটোর, দিনাজপুরের ইভাঞ্জেলিকাল হলিনেস চার্চ, নারায়ণগঞ্জের মাদানপুরের খ্রিস্টান কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়নের কালেকশন বুথ, বরিশালের গৌরনদী, খুলনা, ময়মনসিংহের হলুয়াঘাট এবং পার্বতীপুরে একাধিক চার্চে আক্রমণ হয়েছে। ঠাকুরগাঁওয়ের মিশনে মাদার মেরির মূর্তিও ভেঙে ফেলা হয়েছে।

    বৌদ্ধ কমিউনিটির প্রতি আক্রমণ

    ২০২৪ সালের ৬ অগাস্ট চট্টগ্রামের মাশদিয়া গ্রামে বৌদ্ধ শ্মশানজমি দখল করার চেষ্টা করা হয়। পাহারতালি মহামুনি বৌদ্ধ গ্রামে হামলা চালানো হয়। আদিবাসী জনগণের ওপরও ব্যাপক অত্যাচার চালানো হয়েছে। দিনাজপুর, রাজশাহী, নাটোর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ এবং ঠাকুরগাঁওয়ে ১৮টি বাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে, চুরি করা হয়েছে সম্পদ। চট্টগ্রামের দিঘিনালা এলাকায় সংঘর্ষে এক যুবক-সহ ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং ৬৪ জন আহত হয়েছে। দিঘিনালায় পাহাড়ি উপজাতিদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বাড়িঘর পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, যা জাতিগত সহিংসতার গভীরতা ও ব্যাপকতাকে প্রতিফলিত করে।

    সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর আক্রমণের পুনরাবৃত্তি

    এই ঢেউ, যেটি হিন্দু, আহমদিয়া, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ এবং আদিবাসী জনগণের প্রতি আক্রমণসহ বিভিন্ন সম্প্রদায়কে লক্ষ্যবস্তু করেছে, বাংলাদেশে (Bangladesh Crisis) একটি ধারাবাহিক বৈষম্য এবং সহিংসতার চিত্র তুলে ধরেছে। বাড়িঘর, উপাসনালয় এবং সাংস্কৃতিক প্রতীকগুলিকে ধ্বংস করা বাংলাদেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মধ্যে ভীতি এবং নিরাপত্তাহীনতার পরিবেশ তৈরি করেছে, যা দেশের ধর্মীয় বহুত্ববাদ ও মানবাধিকার প্রতিশ্রুতির প্রতি উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে। হাসিনা সরকারের পতনের সময় থেকেই লাগাতার হিংসা ও আক্রমণের শিকার হতে হচ্ছে তাঁদের। খুন, ধর্ষণ, লুট-বাদ যাচ্ছে না কিছুই! এমনটাই দাবি ‘বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ’-এর। নিজেদের দাবি ও অভিযোগের স্বপক্ষে রীতিমতো পরিসংখ্যান পেশ করেছে তারা। খুলনা জেলায় সবথেকে বেশি হিংসার শিকার হয়েছেন সংখ্য়ালঘুরা। সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা চলাকালীন ধর্ষিতা হয়েছেন অসংখ্য সংখ্যালঘু মহিলা। আক্রান্তদের মধ্যে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সব বয়সের সংখ্যালঘু বাংলাদেশিরাই রয়েছেন। সরাসরি শিকার না হলেও আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন আরও অন্তত ২ কোটি সংখ্যালঘু বাংলাদেশি।

    আরও পড়ুন: জল্পনার অবসান! বাংলাদেশ নির্বাচন কবে, দেশবাসীকে জানিয়ে দিলেন ইউনূস

    রাজনৈতিক যুক্তি

    রাজনৈতিক পালাবদলের পর প্রথম দু’সপ্তাহেই ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের উপর আক্রমণ চলছিল। এখন তার প্রাবল্য আরও বেড়েছে। উল্লেখ্য, প্রতিটি আক্রমণের ক্ষেত্রেই অছিলা দেওয়া হচ্ছে, সংখ্যালঘুদের রাজনৈতিক অবস্থানের। যেন আওয়ামি লিগকে সমর্থন করলেই কাউকে খুন করে ফেলা যায়। তবে, এই যুক্তিও খাটেনি। বাংলাদেশ (Bangladesh Crisis) হিন্দু মহাজোট অনুযায়ী, ১৩২টি হিন্দু পরিবার যারা রাজনীতির সঙ্গে কোনওভাবেই যুক্ত ছিল না, তাদেরও হিংসার শিকার হতে হয়েছে। যা ছিল মূলত সম্পত্তি সংক্রান্ত বিরোধ কিংবা সংখ্যালঘুদের মালিকানাধীন সম্পত্তি দখল করার প্রচেষ্টা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PMML: লেডি মাউন্টব্যাটেন-আইনস্টাইনকে লেখা নেহরুর চিঠিগুলি ফেরত দিন, রাহুলকে আর্জি পিএম মিউজিয়ামের

    PMML: লেডি মাউন্টব্যাটেন-আইনস্টাইনকে লেখা নেহরুর চিঠিগুলি ফেরত দিন, রাহুলকে আর্জি পিএম মিউজিয়ামের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লেডি মাউন্টব্যাটেন, অ্যালবার্ট আইনস্টাইনসহ বিভিন্ন বিখ্যাত ব্যক্তিদের চিঠি লিখেছিলেন জওহরলাল নেহরু। তাঁর সেই পাঠানো বিখ্যাত ব্যক্তিদের চিঠি ফেরত চেয়ে রাহুল গান্ধীকে আর্জি জানাল প্রধানমন্ত্রীর মিউজিয়াম অ্যান্ড লাইব্রেরি। জানা গিয়েছে, ২০২৩-এ ১৫ জুন অনুষ্ঠিত NMML সোসাইটির একটি সভায়, নেহরু মেমোরিয়াল মিউজিয়াম এবং লাইব্রেরির নাম পরিবর্তন করে ‘প্রধানমন্ত্রী মিউজিয়াম অ্যান্ড লাইব্রেরি সোসাইটি’ (PMML) রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।

    পিএমএমএল (PMML) সোসাইটির সদস্য কী বললেন?

    পিএমএমএল (PMML) সোসাইটির সদস্য রিজওয়ান কাদরি রাহুল গান্ধীকে একটি চিঠি লিখেছেন। সেখানে তিনি জানিয়েছেন, ২০০৮ সালে, ইউপিএ সরকারের সময় ৫১টি বাক্সে প্যাক করা নেহরুর ব্যক্তিগত চিঠি সোনিয়া গান্ধীর কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়েছিল। এডউইনা মাউন্টব্যাটেন, আলবার্ট আইনস্টাইন, জয়প্রকাশ নারায়ণ, পদ্মজা নাইডু, বিজয়া লক্ষ্মী পণ্ডিত, অরুণা আসাফ আলী, বাবু জগজীবন রা এবং গোবিন্দ বল্লভ পন্ত প্রমুখকে এই চিঠিগুলি লিখেছিলেন জওহরলাল নেহেরু। পিএমএমএল সদস্য রিজওয়ান কাদরি ১০ ডিসেম্বর রাহুল গান্ধীকে একটি চিঠি লিখেছিলেন। এর আগে তিনি সেপ্টেম্বরে সোনিয়া গান্ধীকেও চিঠি লিখেছিলেন। পিএমএমএল (PMML) জানিয়েছে, এই চিঠিগুলির ঐতিহাসিক গুরুত্ব অসীম। চিঠিগুলি ১৯৭১ সালে জওহরলাল নেহরু মেমোরিয়াল মিউজিয়াম অ্যান্ড লাইব্রেরিতে (বর্তমানে পিএমএমএল) এসেছিল। পরে ২০০৮ সালে তা সোনিয়া গান্ধীর হাতে তুলে দেওয়া হয়। সেগুলিরই অরিজিনাল বা অন্ততপক্ষে ফটোকপি দেওয়ার আর্জি জানানো হয়েছে রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) ও সোনিয়া গান্ধীর কাছে।

    আরও পড়ুন: ভারত-বাংলাদেশ একসঙ্গে বিজয় দিস পালন! বীর যোদ্ধাদের স্মরণ প্রধানমন্ত্রীর, সেনার সঙ্গে সাক্ষাৎ রাষ্ট্রপতির

    চিঠিতে কী বলা হয়েছে?

    চিঠিতে বলা হয়েছে, “আমরা বুঝতে পারছি যে এই নথিগুলির ‘নেহরু পরিবারে ব্যক্তিগত গুরুত্ব থাকবে। তবে, পিএমএমএল ( PMML)-এর বিশ্বাস, এই ঐতিহাসিক নথিগুলি জনসাধারণের হাতের নাগালে থাকলে তা পড়াশোনা এবং গবেষকদের ব্যাপকভাবে উপকৃত করবে।” জানা গিয়েছে, সম্প্রতি পিএমএমএল সোসাইটির মেয়াদ কয়েক মাস বাড়ানো হয়েছে। মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল ৮ নভেম্বর। PMML-এর সহ-সভাপতি প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং। PMML-এর সভাপতির পদে আছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এছাড়াও কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, ধর্মেন্দ্র প্রধান, নির্মলা সীতারামন, অনুরাগ ঠাকুর -রা ২৯ সদস্যের মধ্যে রয়েছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh: ভারতে এসে চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের প্রাণহানির আশঙ্কা প্রকাশ করলেন আইনজীবী রবীন্দ্র ঘোষ

    Bangladesh: ভারতে এসে চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের প্রাণহানির আশঙ্কা প্রকাশ করলেন আইনজীবী রবীন্দ্র ঘোষ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে (Bangladesh) চিন্ময়প্রভুর (Chinmoy Prabhu) মৃত্যুর আশঙ্কা করলেন আইনজীবী রবীন্দ্র ঘোষ। গত শুনানিতে কিছুই করা যায়নি, কারণ আদালতের বিচারকের যুক্তি ছিল, যেহেতু আইনজীবী রবীন্দ্র ঘোষ ঢাকায় প্র্যাকটিস করেন, তাই চট্টগ্রামে করতে পারবেন না। এই অদ্ভূত যুক্তি প্রমাণ করে চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের প্রতি গভীর ষড়যন্ত্র করছেন বিচার ব্যবস্থা এবং অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূস। সাংবিধানিক অধিকার নেই। তাই বারাকপুরে এসে নিজের তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা বিনিময় করলেন তিনি। তাহলে কি বাংলাদেশে হিন্দু ধর্মগুরুকে মেরে ফেলার চেষ্টা করা হচ্ছে?

    ফের ২ জানুয়ারি এই মামলার শুনানি (Bangladesh)

    গত ২৫ নভেম্বর বাংলাদেশের (Bangladesh) হিন্দু ধর্মগুরু চিন্ময়কৃষ্ণ দাস (Chinmoy Prabhu)-কে মিথ্যা মামলা দিয়ে আটক করেছে ওই দেশের অন্তর্বর্তী সরকার। ইতিমধ্যে তাঁর আইনজীবীদের আদলাত চত্বরে মারধর করা হয়, এমনকি তাঁদের বিরুদ্ধেও মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়। আগামী ২ জানুয়ারি ফের এই মামলার শুনানি। ঠিক তার আগে ভারতে এসেছেন আইনজীবী রবীন্দ্র ঘোষ। কীভাবে মিথ্যা মামলা থেকে চিন্ময়কৃষ্ণকে উদ্ধার করা যায় সেই বিষয়ে ভাবনাচিন্তা করছেন। তিনি এদিন ভারতীয় সাংবাদিকদের বলেন, “আমি ওঁর প্রাণহানির আশঙ্কা করছি। আমি মরতে ভয় পাই না, আমি শুধু আইনজীবী নই, এক জন মানবাধিকার কর্মীও। পালিয়ে যাওয়ার জন্য ভারতে আসিনি। ২ জানুয়ারি ফের চিন্ময়কৃষ্ণকে আইনি সহায়তা দেওয়ার জন্য আদালতে যাব

    কোনও আইনজীবীদের লড়তে দেওয়া হচ্ছে না

    আইনজীবী রবীন্দ্র ঘোষ বলেন, “ঢাকা (Bangladesh) থেকে কলকাতায় চিকিৎসার জন্য এসেছি। এখানে সাত-আট দিন থাকব। আমি আইনজীবী হিসেবে ৩৮ বছর ধরে কাজ করছি। মূলত ঢাকায় কাজ করি। চট্টগ্রামে চিন্ময়কৃষ্ণ (Chinmoy Prabhu)-কে ন্যায় বিচার দিতে গিয়েছিলাম। কোনও আইনজীবীদের লড়তে দেওয়া হচ্ছে না ওখানে। জামিন অযোগ্যধারায় বেশ কিছু মামলা দেওয়া হয়েছে। একজন আইনজীবীকে খুন করা হয়েছে, কিন্তু তাঁকে কারা খুন করেছে তা ভিডিওতে স্পষ্ট দেখা গিয়েছ। তবুও ৭১ জন হিন্দু আইনজীবীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে।”

    আরও পড়ুনঃ জল্পনার অবসান! বাংলাদেশ নির্বাচন কবে, দেশবাসীকে জানিয়ে দিলেন ইউনূস

    ফের চট্টগ্রামের আদালতে যাবো

    রবীন্দ্র ঘোষ আরও বলেন, “আমি চিন্ময়কৃষ্ণ প্রভু (Chinmoy Prabhu)-কে দেখার জন্য ইন্সপেক্টর জেনারেল অফ প্রিজন্সের থেকে অনুমতি নিয়েছিলাম। তিনি আমাকে অনুমতি দিচ্ছিলেন না। পরে মিনিস্ট্রি অফ হোমস অনুমতি দিয়েছে। আইনজীবী হিসাবে প্রভুর সঙ্গে দেখা করার অনুমতি নিই। এরপর চিন্ময়কৃষ্ণ প্রভুর সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়েছেতাঁর কান্না জড়ানো কন্ঠ ছিল, চোখে জল এসে গিয়েছিলতিনি বলছেন, বাবা কেমন আছেন? আমি বললাম, আপনি কেমন আছেন? বলতেই আমাকে জড়িতে ধরলেন। তিনি কেবল একা নন, আরও দুজন সাধুকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ক্রমশ দুর্বল হয়ে যাচ্ছেন প্রভু। একটা ফটো তোলা হয়েছিল সেটা আমাকে ডেপুটি জেলার দেনি। আমাকে বলেছিল, হোয়াটসঅ্যাপে পাঠিয়ে দেবে, কিন্তু পাঠানি। তবে আমি আগামী ২ জানুয়রি ফের চট্টগ্রামের (Bangladesh) আদালতে যাবো। ওঁর জন্য লড়াই করব, প্রভুর মৃত্যু ভয় আমার মধ্যে কাজ করছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share