Tag: Madhyom

Madhyom

  • Vijay Diwas: ভারত-বাংলাদেশ একসঙ্গে বিজয় দিবস পালন! বীর যোদ্ধাদের স্মরণ প্রধানমন্ত্রীর, সেনার সঙ্গে সাক্ষাৎ রাষ্ট্রপতির

    Vijay Diwas: ভারত-বাংলাদেশ একসঙ্গে বিজয় দিবস পালন! বীর যোদ্ধাদের স্মরণ প্রধানমন্ত্রীর, সেনার সঙ্গে সাক্ষাৎ রাষ্ট্রপতির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিনটা ছিল ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর। বাংলাদেশের (India-Bangladesh) স্থানীয় সময় অনুযায়ী ঘড়ির কাঁটায় তখন ৪ টে ৩১ মিনিট, ভারতে ৪টে। ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে আনুষ্ঠানিকভাবে ভারতের কাছে আত্মসমর্পণ করছেন পাকিস্তানের ৯৩,০০০ ফৌজি। ভারতের দাপটে ১৩ দিনের মধ্যেই অস্ত্র নামিয়ে রাখতে বাধ্য হয়েছে পাক বাহিনী। ভারত ও বাংলাদেশের যৌথ বাহিনীর প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরার পাশে বসে আত্মসমর্পণের দলিলে সাক্ষর করছেন পাকিস্তানি সেনার ইস্টার্ন কমান্ডের লেফটেন্যান্ট জেনারেল এএকে নিয়াজি। ভারতের সাহায্যেই স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছিল বাংলাদেশ। ১৯৭১’য়ের সেই যুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে লড়াই করেছিল ভারতীয় সেনা। সেই ঐতিহাসিক মুহূর্তের আজ ৫৩ বছর (Vijay Diwas) পূর্ণ হল। চলতি সময়ে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের রসায়ন কিছুটা অন্যরকম। তবুও এই দিনটিকে একই সঙ্গে স্মরণ করবে ঢাকা ও দিল্লি। 

    একই সঙ্গে বিজয় দিবস উদযাপন 

    রবিবার, প্রতিরক্ষা মন্ত্রক থেকেও জানানো হয়, বাংলাদেশের প্রতিনিধিরা বিজয় দিবস উপলক্ষে (Vijay Diwas) এবারও হাজির থাকবেন। রবিবার জানানো হয়েছে, সে দেশের প্রতিনিধিরা কলকাতায় চলে এসেছেন। সেনার পক্ষ থেকে তাঁদের অভিনন্দন জানানো হয়েছে। আবার ঢাকায় গিয়েছেন ভারতীয় সেনার আটজন প্রাক্তন আধিকারিক। ঢাকায় অবস্থিত ভারতীয় হাইকমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, তাঁরা কলকাতা এবং ঢাকায় বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দিচ্ছেন। বিজয় দিবসকে স্মরণ করে সোমবার সকালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, বীর সৈন্যদের সাহস ও আত্মত্যাগকে সম্মান জানিয়েছেন। 

    বিজয় দিবস স্মরণে রাষ্ট্রপতি-প্রতিরক্ষামন্ত্রী

    বিজয় দিবসের (Vijay Diwas) আগের সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু আর্মি হাউসে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন। এই অনুষ্ঠানে ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদি, উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং এবং চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল অনিল চৌহানও উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী এবং উপরাষ্ট্রপতি বীর সেনানী, কূটনৈতিক প্রতিনিধিত্ব, আশা স্কুলের শিশুদের এবং বিভিন্ন বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথাবার্তা বলেন। সরকারি রিপোর্ট অনুযায়ী, ১৯৭১ সালের যুদ্ধে ভারতীয় সেনার ৩,৯০০ জন জওয়ান শহিদ হন এবং ৯,৮৫১ জন আহত হন। ভারতীয় সেনাবাহিনী আরও জানিয়েছে যে এই অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ও উপরাষ্ট্রপতি বিভিন্ন যুদ্ধ বীর, কূটনৈতিক প্রতিনিধি, ক্রীড়াবিদ এবং অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে দেখা করেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ustad Zakir Hussain: ঝাঁকড়া চুল, পাঞ্জাবি-পাজামা, থামল তবলার জাদুস্পর্শ, ৭৩ বছর বয়সে প্রয়াত জাকির হুসেন

    Ustad Zakir Hussain: ঝাঁকড়া চুল, পাঞ্জাবি-পাজামা, থামল তবলার জাদুস্পর্শ, ৭৩ বছর বয়সে প্রয়াত জাকির হুসেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নয়ের দশকে আমজনতার কাছে তবলার স্বাতন্ত্র পরিচিতি ঘটিয়েছিলেন তিনি। শুধু গানের সঙ্গতকারী যন্ত্র হিসেবে নয়, রাতারাতি ভূভারতে তবলাকে গ্ল্যামারাস করে তুলেছিলেন পণ্ডিত জাকির হুসেন (Ustad Zakir Hussain)। রবিবার সান ফ্রান্সিসকোর হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন কিংবদন্তি তবলাবাদক। তবলায় জাদুস্পর্শ থেমে গেল। দীর্ঘ দিন ধরেই রক্তচাপজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন জাকির। হৃদ্‌যন্ত্রে সমস্যা দেখা দেওয়ায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। শেষ রক্ষা হল না। ৭৩ বছর বয়সেই থামল তবলার জাদুকরের পথচলা।

    ছোট থেকেই প্রতিভার বিকাশ

    তবলাবাদক, সুরকার, সঙ্গীতজ্ঞ জাকির আল্লা রাখা কুরেশির জন্ম ১৯৫১ সালের ৯ মার্চ মুম্বইয়ে। কিংবদন্তি তবলাবাদক আল্লা রাখার জেষ্ঠ সন্তান তিনি। মাত্র তিন বছর বয়স থেকেই তবলায় তালিম নেওয়া শুরু। প্রথমবার সাত বছর বয়সে মঞ্চে একক অনুষ্ঠান করেন। ২২ বছর বয়সে ১৯৭৩ সালে বিটলস খ্যাত জর্জ হ্যারিসনের মিউজিক অ্যালবাম ‘লিভিং ইন দ্য মেটেরিয়াল ওয়ার্লড-এ সঙ্গত করেন। শুধু হ্যারিসনই নয়, সঙ্গীত জীবনের শুরুতেই ভ্যান মরিসনের মতো শিল্পীর সঙ্গেও কাজ করেছেন জাকির (Ustad Zakir Hussain)। তবলায় সঙ্গত করেছেন পন্ডিত রবিশঙ্কর, উস্তাদ আমজাদ আলি খানদের মতো দিকপালেদের।

    নানা সম্মান

    ভারতীয় শাস্ত্রীয় সংগীতকে বিশ্বদরবারে পৌঁছে দিয়েছিলেন জাকির। ভারত সরকারের পদ্মশ্রী, পদ্মভূষণ, পদ্মবিভূষণ সম্মানে ভূষিত হয়েছেন তিনি। ২০২৪ সালে জাকিরের হাত ধরেই ভারতে আসে গ্র্যামি পুরস্কার। ‘বেস্ট গ্লোবাল মিউজিক অ্যালবাম’ হিসাবে পুরস্কৃত হয় ভারতীয় ব্যান্ড ‘শক্তি’র গানের অ্যালবাম ‘দিস মোমেন্ট’। বর্তমানে ‘শক্তি’ ব্যান্ডের প্রধান কণ্ঠশিল্পী শঙ্কর মহাদেবন। তবলাবাদক হিসাবে রয়েছেন জাকির। বেহালায় গণেশ রাজাগোপালন এবং অন্য তালবাদ্যে ভি সেলভাগণেশ। গিটারে জন ম্যাকলকলিন। ২০২৩ সালের ৩০ জুন ‘দিস মোমেন্ট’ অ্যালবামটি মুক্তি পায়। মোট আটটি ট্র্যাক রয়েছে এই অ্যালবামে।

    আরও পড়ুন: “বৈচিত্র্যের ভারতে বিভেদের বিষ ছড়াচ্ছে কেউ কেউ”, সংসদে তোপ প্রধানমন্ত্রীর

    ‘বাহ উস্তাদ!’

    ঝাঁকড়া চুল। পাঞ্জাবি-পাজামা। জাকির হুসেনের তালে নেচে উঠত আসমুদ্র হিমাচল। বলে উঠত ‘বাহ উস্তাদ!’ শিল্পীর তালের জাদুতে মুগ্ধ মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাকা ওবামার মতো ব্যক্তিত্বও। ২০১৬ সালে খোদ মার্কিন প্রেসিডেন্টের আমন্ত্রণে ‘অল স্টার জ্যাজ গ্লোবাল কনসার্টে’ অংশ নেন তিনি। ব্যক্তিগত জীবনে নৃত্যশিল্পী অ্যান্টনিয়া মিনেকোলার সঙ্গে পরিণয় সূত্রে আবদ্ধ হন। অন্তোনিয়া তাঁর ম্যানেজারও ছিলেন। দুই সন্তানের পিতা জাকির। রবিবার গভীর রাতে শিল্পীর পরিবারের তরফে জানানো হয়, শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছেন উস্তাদ। শোকের ছায়া ভারতীয় সঙ্গীত জগতে।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Daily Horoscope 16 december 2024: সংসারে ব্যয় বাড়তে পারে এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 16 december 2024: সংসারে ব্যয় বাড়তে পারে এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) প্রিয়জনের কুকর্মের জন্য বাড়িতে বিবাদ।

    ২) ব্যবসায় ক্ষতি হতে পারে।

    ৩) দিনটি অনুকূল।

    বৃষ

    ১) সংসারে ব্যয় বাড়তে পারে।

    ২) গরিব মানুষকে সাহায্য করতে পেরে আনন্দ লাভ।

    ৩) সতর্ক থাকবেন সব বিষয়ে।

    মিথুন

    ১) প্রিয়জনের কাছ থেকে ভালোবাসা পাবেন।

    ২) গাড়িচালকদের জন্য দিনটি শুভ।

    ৩) বাণীতে সংযম জরুরি।

    কর্কট

    ১) প্রেমের বিবাদ মিটে যেতে পারে।

    ২) কোমরের নীচে যন্ত্রণা নিয়ে চিন্তা।

    ৩) সবাইকে ভালোভাবে কথা বলুন।

    সিংহ

    ১) খুব কাছের কোনও মানুষের জন্য পারিবারিক অশান্তি হতে পারে।

    ২) দামি কিছু প্রাপ্তি হতে পারে।

    ৩) প্রতিকূল কাটবে দিনটি।

    কন্যা

    ১) সন্তানদের নিয়ে সংসারে কলহ হতে পারে।

    ২) আইনি সমস্যা থেকে মুক্তিলাভ।

    ৩) দিনটি ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে।

    তুলা

    ১) ধর্মালোচনায় আপনার সুনাম বৃদ্ধি পাবে।

    ২) প্রেমে মাত্রাছাড়া আবেগ ক্ষতি ডেকে আনতে পারে।

    ৩) দিনটি মোটামুটি কাটবে।

    বৃশ্চিক

    ১) উপার্জন নিয়ে মনে প্রচুর ক্ষোভ থাকবে।

    ২) ভ্রাতৃস্থানীয় কারও সঙ্গে বিবাদ হতে পারে।

    ৩) আশাপূরণ।

    ধনু

    ১) কর্মক্ষেত্রে মিশ্রফল।

    ২) নিজের ভাগের সম্পত্তি থেকে কিছু অংশ ছাড়তে হতে পারে।

    ৩) ধৈর্য ধরতে হবে।

    মকর

    ১) কর্মচারীদের জন্য ব্যবসায় বিবাদ হতে পারে।

    ২) ভ্রমণের পক্ষে  দিনটি শুভ নয়।

    ৩) গুরুজনের পরামর্শ মেনে চলুন।

    কুম্ভ

    ১) প্রেমের ক্ষেত্রে সাফল্য লাভ।

    ২) কুটিরশিল্পের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের অগ্রগতি হতে পারে।

    ৩) আশা পূরণ।

    মীন

    ১) কোনও উচ্চপদস্থ ব্যক্তির সঙ্গে বিবাদ।

    ২) স্বামীর সঙ্গে তর্ক না করাই ভালো হবে।

    ৩) ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে দিনটি।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bhagavad Gita: শিলিগুড়িতে লক্ষ কণ্ঠে গীতা পাঠের আসর যেন জনসমুদ্র! হিন্দুত্ববোধে জাগরিত বাংলা

    Bhagavad Gita: শিলিগুড়িতে লক্ষ কণ্ঠে গীতা পাঠের আসর যেন জনসমুদ্র! হিন্দুত্ববোধে জাগরিত বাংলা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইউনূস সরকারের আমলে অশান্ত বাংলাদেশ। দিনের পর দিন হিন্দুদের ওপর লাগামছাড়া অত্যাচার চলছে। জোর করে হিন্দুদের ইসলামে ধর্মান্তরিত করা চলছে। এই আবহের মাঝে রবিবার শিলিগুড়িতে বসল গীতা (Bhagavad Gita) পাঠের আসর। এক বছর আগে ব্রিগেডে লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠের পর কওয়াখালি ময়দানে লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠের আয়োজন করল সনাতন সংস্কৃতি সংসদ।

    কারা অংশ নিলেন গীতা পাঠে? (Bhagavad Gita)

    রবিবার বেলা বারোটায় কাওয়াখালির কুরুক্ষেত্র ময়দানে শুরু হয় লক্ষ কণ্ঠে গীতা পাঠ। সনাতনী সংস্কৃতি সংসদের আয়োজনে এই গীতা পাঠে (Bhagavad Gita) লক্ষ নয়, তারও বেশি কণ্ঠ সামিল হয়। কাওয়াখালির মাঠ থেকে এশিয়ান হাইওয়েতে মানুষের ঢল নামে সকাল থেকে। বেলা আড়াইটা পর্যন্ত চলে এই গীতা পাঠ। হাজির হয়ে গীতা পাঠ করেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার, সাংসদ ডাঃ জয়ন্ত রায়, রাজু বিস্তা সহ একাধিক বিজেপি বিধায়ক। ছিলেন বহু সাধারণ ও অরাজনৈতিক মানুষ। এই জনসমুদ্রে আট থেকে আশি সব বয়সের মানুষ ছিলেন। উত্তরবঙ্গ বিজেপির গড়। সম্প্রতি সেখানে তৃণমূল দাগ কাটতে শুরু করলেও এখনও শক্তি বেশি বিজেপির। সেই কারণেই রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন শিলিগুড়িকে (Siliguri)  বেছে নেওয়া হয়েছে।

    আরও পড়ুন: “বৈচিত্র্যের ভারতে বিভেদের বিষ ছড়াচ্ছে কেউ কেউ”, সংসদে তোপ প্রধানমন্ত্রীর

    কী বললেন সুকান্ত?

    সুকান্ত মজুমদার এদিন বলেন, “গীতার বাণী (Bhagavad Gita) একমাত্র সারা পৃথিবীতে শান্তির বার্তা আনতে পারে। ভগবান শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন, পথ ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে, লক্ষ্য সবার এক। সেই লক্ষ্যে সবার চলা উচিত। বিশ্বে শান্তি আসা উচিত। এটা ভাবা উচিত নয়, আমরা এখন ৩৩ শতাংশ রয়েছি, ৬৩ শতাংশ করে সব দখল নেব। হিন্দুদের মন্দির পোড়াব। মূর্তি ভাঙব। এটা ঠিক নয়।” এরপর তিনি আরও বলেন, “একদিকে ফিরহাদ হাকিম হুংকার দিচ্ছেন, তারা ৩৩ শতাংশ হয়ে গিয়েছেন। এরপর সংখ্যাগুরু হবেন। আর মুখে বলেননি, যে তারপর তারা ছালে-চামড়া ছাড়াবেন। অন্যদিকে হুমায়ুন কবীর হুংকার দিচ্ছেন তিনি বাবরি মসজিদ তৈরি করবেন। ওই মুর্শিদাবাদে আমরা তার দ্বিগুণ আকৃতির রাম মন্দির তৈরি করব। হিন্দু সমাজকে গীতার বাণীকে সঙ্গে নিয়ে এগোতে হবে। ভয় ত্যাগ করে যুদ্ধ জয়ের জন্য লড়াই করতে হবে। কুরুক্ষেত্র যেভাবে পান্ডবরা লড়াই করেছিল, সেভাবে হিন্দুদের লড়াই করতে হবে। কেননা এই মুহূর্তে বাংলাদেশ তো বটেই বাংলারও পরিস্থিতি উদ্বেগজনক।”

    সনাতনি ধর্মের আবহে উৎসবের আমেজ

    লক্ষাধিক কণ্ঠে  গীতা (Bhagavad Gita) শ্লোক, শঙ্খ ও উলুধ্বনিতে মুখরিত হয়ে ওঠে চারদিক। তৈরি হয় এক পবিত্র আবেগঘন সনাতনী হিন্দু সংস্কৃতির বাতাবরণ। এদিন সকাল থেকে পাহাড়-সমতল, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দলে দলে মানুষ ভিড় করেন এই কাওয়াখালির মাঠে। চড়া রোদকে উপেক্ষা করে মানুষের শৃঙ্খলাবদ্ধ উপস্থিতি হিন্দুত্ববোধে জাগরিত হয়। চারদিক উৎসবময় হয়ে ওঠে।

    শিলিগুড়িতে কেন এই গীতা পাঠ

    কাওয়াখালির ময়দান ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে। বাংলাদেশে হিন্দু ও হিন্দুত্বের ওপর আক্রমণ চলছে। কাওয়াখালি থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে ফুলবাড়ি-বাংলাবান্ধা সীমান্ত। এদিনের গীতা পাঠ (Bhagavad Gita) সীমান্ত পেরিয়ে ওপারেও ছড়িয়ে পড়ে। বাংলাদেশকে বার্তা দিতে ও ওপার বাংলার হিন্দুদের মনোবল বাড়াতে এই গীতা পাঠ। উদ্যোক্তাদের তরফে স্বামী নির্গুনানন্দ বলেন, “এদিন সীমান্তের কাছে লক্ষাধিক মানুষ হিন্দু ঐক্য ও শক্তির দৃষ্টান্ত রাখল। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সাধুরা আজ জমায়েত হলেন। এরপরেও বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর অত্যাচার বন্ধ না হলে কোটি কোটি সাধু সীমান্তে জমায়েত করব।”

    বনগাঁয় কেন গীতা পাঠ?

    শিলিগুড়ির পাশাপাশি বনগাঁয় গীতা পাঠের আয়োজন করা হয়। মূলত, বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে অবগত সকলেই। সেখানকার সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর নির্বিচারে অত্যাচারের অভিযোগ প্রকাশ্যে আসছে। আর বনগাঁ হল বাংলাদেশের পার্শ্বস্ত একটি শহর। সেখানে এই গীতাপাঠ (Bhagavad Gita) ওপারের সংখ্যালঘু হিন্দুদের মনে যে মনোবল বাড়াবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh:  এবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মৌলবাদীদের হামলার অভিযোগ, ভাঙা হয়েছে মুজিবুরের ছবিও!  

    Bangladesh: এবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মৌলবাদীদের হামলার অভিযোগ, ভাঙা হয়েছে মুজিবুরের ছবিও!  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত ৫ অগাস্ট থেকে উত্তাল বাংলাদেশ (Bangladesh)। বিএনপি, জামাত এবং ছাত্র শিবিরের তাণ্ডবে সংখ্যালঘু হিন্দুদের জনজীবন বিপন্নের মুখে। বারবার দেশের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে। এবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে হামলার অভিযোগ উঠেছে প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূস ঘনিষ্ঠদের বিরুদ্ধে। ভাঙা হয়েছে আসবাবপত্র এবং শেখ মুজিবুর রহমানের ছবিও। ঘটনায় ব্যাপক শোরগোল পড়েছে ক্যাম্পাসে।

    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কি মাদ্রাসায় পরিণত করার ছক (Bangladesh)?

    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সম্পাদক জিনাত হুদা বলেন, “শনিবার রাত ১০টার দিকে শিক্ষক সমিতির কার্যালয়ে সরকার পক্ষের ২০-৩০ জনের একটি দল জোর করে ঢুকে ভাঙচুর চালায়। শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবসে শ্রদ্ধাজ্ঞাপনের জন্য রাখা ফুল ছিঁড়ে নষ্ট করা হয়। ভাঙা হয় জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি।” তবে বিশ্ববিদ্যালয়ে এই হামলার পিছনে নাম জড়িয়েছে কট্টর মৌলবাদীদের। জানা গিয়েছে এই কট্টর মুসলিম দুষ্কৃতীদের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা ইউনূসের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রয়েছে। ফলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কি খুব দ্রুত মাদ্রাসায় পরিণয় হবে? এখন এই প্রশ্ন ওই দেশের প্রগতিশীল মানুষের মুখে উঠছে।

    আরও পড়ুনঃ রাশিয়ার পর সিরিয়ার বিদ্রোহীদের সঙ্গে যোগাযোগ করল আমেরিকাও, স্বীকার বিদেশমন্ত্রীর

    হিন্দুদের ওপর লাগাতার হিংসা অব্যাহত

    উল্লেখ্য, হাসিনাকে বিতাড়িত করার পর থেকেই বাংলাদেশের (Bangladesh) মৌলবাদীরা দেশের নাম, মানচিত্র, জাতীয় সঙ্গীত এবং ধর্মীয় পরিচয়কে নস্যাৎ করতে ব্যাপক ভাবে দাপাদাপি করছে। দেশের জেলগুলি থেকে বন্দি এবং দুষ্কৃতীদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। লাগাতার হিন্দু নির্যাতনের বিরুদ্ধে রংপুর, চট্টগ্রামে ধর্মসভা করেছিলেন ধর্মগুরু চিন্ময়কৃষ্ণ দাস। এরপর ইউনূস প্রশাসন মিথ্যা মামলা দিয়ে তাঁকে গ্রেফতার করেছে। এরপর থেকেই নেত্রকোনা, রাজশাহী, বরিশাল এবং ঢাকার একাধিক জায়গায় হিন্দু মন্দির, বাড়িঘর, সম্পত্তিলুট, ধর্ষণ, খুনের মতো একাধিক অত্যাচারের ঘটনা হিন্দু জনজীবনকে আরও বিপন্ন করে দিয়েছে। হিন্দু নারীদের বাড়ির বাইরে থেকে বের হওয়া, বাজার, স্কুল, কলেজে যাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে মৌলবাদীরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Syria: রাশিয়ার পর সিরিয়ার বিদ্রোহীদের সঙ্গে যোগাযোগ করল আমেরিকাও, স্বীকার বিদেশমন্ত্রীর

    Syria: রাশিয়ার পর সিরিয়ার বিদ্রোহীদের সঙ্গে যোগাযোগ করল আমেরিকাও, স্বীকার বিদেশমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রথমবার সিরিয়ার (Syria) বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগের কথা স্বীকার করল আমেরিকা (America)! রাশিয়ার পর এবার আমেরিকাও সিরিয়ায় বাশার আল-আসাদ সরকারের পতন ঘটানো সশস্ত্র বিদ্রোহী বাহিনী হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস)-এর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে! শনিবার এ কথা জানিয়েছেন আমেরিকার বিদেশমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন।

    আমেরিকার বিদেশমন্ত্রী কী বললেন? (Syria)

    শনিবার জর্ডনের আকাবায় তুরস্ক, মধ্যপ্রাচ্য এবং ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সিরিয়ার ভবিষ্যৎ নিয়ে বৈঠকের পর এ কথা স্বীকার করে নেন ব্লিঙ্কেন। তিনি সংবাদমাধ্যমকে জানান, বর্তমান পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে সিরিয়ার এইচটিএস এবং অন্যান্য গোষ্ঠীর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে আমেরিকা। সিরিয়া (Syria) প্রশ্নে ব্লিঙ্কেন আরও বলেন, “দামাস্কাসের এ মুহূর্তে এমন একটি সরকারের প্রয়োজন, যারা সংখ্যালঘুদের অধিকারকে সুনিশ্চিত করবে এবং কোনও রকম সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীকে মদত দেবে না। এ বিষয়ে আমরা সবাই একমত হয়েছি।”

    আরও পড়ুন: “বৈচিত্র্যের ভারতে বিভেদের বিষ ছড়াচ্ছে কেউ কেউ”, সংসদে তোপ প্রধানমন্ত্রীর

    রাষ্ট্রপুঞ্জের বিশেষ দূত কী বললেন?

    রাষ্ট্রপুঞ্জের বিশেষ দূত গেইর পেডারসেনও বৈঠকে অংশ নেওয়া দেশগুলিকে মানবিক ভাবে সিরিয়ার (Syria) পাশে থাকার অনুরোধ জানান। সিরিয়ায় রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলি যাতে ভেঙে না পড়ে, তা-ও নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। তবে জর্ডনের ওই বৈঠকে সিরিয়ার কোনও প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন না। ছিল না ইরান কিংবা রাশিয়াও, যারা অতীতে বিভিন্ন সময়ে সিরিয়ার আসাদ সরকারকে আর্থিক ও সামরিক সহায়তা দিয়েছিল। প্রসঙ্গত, গত ৮ ডিসেম্বর প্রেসিডেন্ট আসাদ সরকারকে উৎখাত করে সিরিয়ার রাজধানী দামাস্কাস দখল করেছিল বিদ্রোহী গোষ্ঠী এইচটিএস এবং তাদের সহযোগী ‘জইশ আল-ইজ্জা’র যৌথবাহিনী। দামাস্কাস ছেড়ে সপরিবার রাশিয়ায় আশ্রয় নিয়েছেন আসাদ। তদারকি সরকারের ভারপ্রাপ্ত প্রধান হিসেবে দায়িত্বগ্রহণ করেছেন মহম্মদ আল-বশির।

    এর পরে আমেরিকা, রাশিয়া-সহ বেশ কয়েকটি দেশ জানিয়েছে, তারা সিরিয়ার নতুন সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসতে প্রস্তুত। সেই আবহেই একে একে প্রকাশ্যে আসছে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে সিরিয়ার বর্তমান শাসকগোষ্ঠীর যোগাযোগের কথা। প্রকাশ্যে আসছে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে সিরিয়ার বর্তমান শাসকগোষ্ঠীর যোগাযোগের কথা। শুক্রবারই জানা গিয়েছে, এইচটিএস নেতা আবু মহম্মদ আল- জুলানির সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছে গৃহযুদ্ধ পর্বে ধারাবাহিক ভাবে আসাদের সেনাকে ‘মদত’ দিয়ে আসা রাশিয়াও!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • DTM: সিম, ইন্টারনেট ছাড়াই ভিডিও দেখা যাবে মোবাইলে, কেন্দ্র আনছে ‘ডিটুএম’ প্রযুক্তি

    DTM: সিম, ইন্টারনেট ছাড়াই ভিডিও দেখা যাবে মোবাইলে, কেন্দ্র আনছে ‘ডিটুএম’ প্রযুক্তি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিম ইন্টারনেট (SIM Internet) ছাড়াই ভিডিও দেখা যাবে মোবাইলে, সেই সঙ্গে টিভিতে রাখা যাবে চোখ। কেন্দ্রীয় সরকার এই যুগান্তকারী প্রযুক্তি আনার ইঙ্গিত দিয়েছে। উল্লেখ্য, গত বছর জুন মাসে আইআইটি কানপুর, প্রসার ভারতী এবং টেলি কমিউনিকেশন ডেভেলপমেন্ট সোসাইটির সহযোগিতায় ‘ডিটুএম’ (DTM) সম্প্রচারের উপর একটি শ্বেতপত্র প্রকাশ করেছে কেন্দ্র সরকার। এই প্রযুক্তি কীভাবে কাজ করবে তা আলোচনা করা হয়েছে সেখানে।

    ‘ডিটুএম’-এর অর্থ হল, ‘ডাইরেক্ট টু মোবাইল’ (DTM)

    প্রসার ভারতী সূত্রে জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকারের ‘ডিটুএম’ (DTM) প্রযুক্তির ব্যবহার করা হবে। সাংখ্য ল্যাবেস এবং আইআইটি কানপুরে নির্মিত স্বদেশী এই প্রযুক্তি শীঘ্রই ভারতের বিভিন্ন শহরে পরীক্ষামূলক ভাবে কাজ করবে। ‘ডিটুএম’-এর অর্থ হল, ‘ডাইরেক্ট টু মোবাইল’। এই প্রযুক্তির কারণে মোবাইলে সিম কার্ড (SIM Internet) না থাকলেও চলবে। এতে কোনও রকম ইন্টারনেট দরকার হবে না। ফোনেই দেখা যাবে ভিডিও, এমনকি টিভিতে পছন্দসই চ্যানেল দেখা যাবে। এমনকী লাইভও দেখা যাবে। এই প্রযুক্তিতে সক্রিয় ইন্টারনেট সংযোগ ছাড়াই স্মার্ট ফোনে ভিডিও স্ট্রিম করার সুযোগ পাওয়া যাবে।

    আরও পড়ুনঃ “জঙ্গিদের হাতে কি চলে গিয়েছে বাংলাদেশ? প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে দাপাদাপি!” তোপ তসলিমার

    ৪৭০-৫৮২ মেগাহার্জের স্পেকট্রাম সংরক্ষণ করবে সরকার

    কেন্দ্রের তরফে বলা হয়েছে, বিনা ইন্টারনেটে মোবাইলের জন্য বিভিন্ন কন্টেন্টের আলাদা আলদা বিষয়ে ভিডিও তৈরি করা হবে। শিক্ষা ক্ষেত্রে জরুরি বিষয় সম্প্রচার করা হবে। তবে এই ধরনের পরিষেবার প্রযুক্তি অনেকটাই এফএম রেডিও কিংবা ডিটিএইচ-এর মতো। সেখানে সরাসরি স্যাটেলাইট যন্ত্রের মাধ্যমে যেমন-ডিশ অ্যান্টেনা, সেট-টপ বক্সে বার্তা পাঠানো যাবে। রেডিও এবং টেলিভিশনের মতো স্মার্ট ফোনে কাজ করবে। মোবাইল ফোনে সরাসরি সিগন্যাল পাঠানোর জন্য টেলিকমিউনিকেশন পরিকাঠামো এবং নির্দিষ্ট স্পেকট্রাম ব্যবহার করবে। এরপর সেই সংকেত গ্রহণ করবে রিসিভার। এরপর থেকে ভিডিও আকারে মোবাইলের স্ক্রিনে ফুটে উঠবে। এই প্রযুক্তির জন্য সরকার ৪৭০-৫৮২ মেগাহার্জের স্পেকট্রাম সংরক্ষণ করবে। গত বছর বেঙ্গালুরু, দিল্লির কর্তব্য পথ এবং নয়ডায় ‘ডিটুএম’ (DTM)-এর পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করা হয়েছিল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Amit Shah: “পরাজয়ে অহংকারী, এমন ব্যক্তি ভারতের রাজনীতিতে প্রথমবার এসেছেন”, রাহুলকে কটাক্ষ শাহের

    Amit Shah: “পরাজয়ে অহংকারী, এমন ব্যক্তি ভারতের রাজনীতিতে প্রথমবার এসেছেন”, রাহুলকে কটাক্ষ শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “এমন লোক আমি প্রথমবার দেখলাম, যিনি পরাজয়ের পর অহংকারী হয়ে ওঠেন।” একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে রাহুল গান্ধীকে নিয়ে এই মন্তব্য করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। তিনি বলেন, “জয়-পরাজয়ের একাধিক কারণ থাকে। একাধিক এমন জিনিস থাকে যা নির্বাচনে প্রভাব ফেলে। কিছু ভ্রান্তি এমন থাকে যা প্রভাবিত করে দেয়। এর নির্ণয় ফাইভ স্টার হোটেলে করা যায় না। গ্রামে গ্রামে ধূলো খেয়ে বেড়াতে হয়।”

    ইভিএম নিয়ে রাহুলকে তোপ (Amit Shah)

    শাহ (Amit Shah) বলেন, “যখন নির্বাচনের ময়দানে যাই, জয়ের বিশ্বাসের সঙ্গে যাই, নইলে বিরোধী আসনে বসতে হবে। লোকসভা নির্বাচনে ইভিএমে ভোট হয়েছিল। রাহুল গান্ধী মনে করেন যে যেখানে জিতেছেন সেখানে ইভিএম ঠিক ছিল। ঝাড়খণ্ডে জিতেছেন, ইভিএম ঠিক ছিল। হরিয়ানা এবং মহারাষ্ট্রে হেরেছেন, তখনই ইএভিএম খারাপ হয়ে গিয়েছে। আসলে নির্বাচন কমিশন তিনদিন প্রেজেন্টেশন দিয়ে তারপর ভোটে যায়। যাতে কোনও রকম সমস্যা তৈরি না হয়। অহংকারী জোটের তরফ থেকে কেউ যায়নি। তাদের কাজ শুধুমাত্র অভিযোগ করা। এই ভ্রান্তি তারা ছড়িয়ে বেড়ান যে আমরা সংবিধান বদলে দেব।” স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, “সমস্ত লোক এদের জোটের সবাই বড় বড় নেতাদের ছেলে। কখনও বুথে কাজ করেনি। শেষ ঘন্টায় পোলিং-এর সার্কুলারের নিয়ম টিএন সেশনের সময় থেকে চলে আসছে। তাদের পোলিং এজেন্টও ভেতরে থাকে। তারা কোনও কমপ্লেন করেছেন কি”?

    আরও পড়ুন: “বৈচিত্র্যের ভারতে বিভেদের বিষ ছড়াচ্ছে কেউ কেউ”, সংসদে তোপ প্রধানমন্ত্রীর

    ভোটার তালিকায় নাম বাদ নিয়ে কংগ্রেসের অভিযোগের জবাব

    নির্বাচনে জোরদার লড়াই যেখানে যেখানে হয়েছে, সেখানে ভোটার লিস্ট থেকে নাম কাটিয়ে দেওয়ার কংগ্রেসের অভিযোগ প্রসঙ্গে শাহ (Amit Shah) বলেন, “কোনও ব্যক্তির নাম সরানোর জন্য নির্বাচন কমিশনের পদ্ধতি রয়েছে। কমিশনের তরফ থেকে ১১ দিনের নোটিশ দেওয়া হয় যে আপনার নাম সরানো হচ্ছে। যদি আপনার কোনও আপত্তি থাকে বা কোনও বক্তব্য থাকে, তাহলে এই নম্বরে তথ্য জমা করুন। এই প্রক্রিয়া এতটা সহজ নয়।”

    রাহুলকে তোপ

    লোকসভা নির্বাচনের ফলের পর কংগ্রেসের দৃষ্টিভঙ্গির ওপর অমিত শাহ (Amit Shah) বলেন, “২০১৪, ২০১৯ এবং ২০২৪-এর সব মিলিয়ে যতগুলি আসন কংগ্রেস পেয়েছে আমরা ২০২৪ এ শুধুমাত্র একটা নির্বাচনেই তার চেয়ে বেশি আসন পেয়েছি।” এরপর রাহুলকে (Rahul Gandhi) কটাক্ষ করে শাহ হলেন, “আমি দেখেছি যে পরাজয়ে নিরাশ হওয়া উচিত নয় এবং বিজয়ে অহংকারী হওয়া উচিত নয়। কিন্তু প্রথমবার এমন দেখছি যে এমন লোক, যিনি পরাজয়ের পরে অহংকারী হচ্ছেন। এবং এমন ব্যক্তি ভারতের রাজনীতিতে প্রথমবার এসেছেন।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Yogi Adityanath: “রামমন্দিরের শ্রমিকরা সম্মান পেয়েছেন, তাজমহলের সময় আঙুল কাটা হয়েছিল”, বললেন যোগী আদিত্যনাথ

    Yogi Adityanath: “রামমন্দিরের শ্রমিকরা সম্মান পেয়েছেন, তাজমহলের সময় আঙুল কাটা হয়েছিল”, বললেন যোগী আদিত্যনাথ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রামমন্দিরের (Ram Mandi) শ্রমিকরা সম্মান পেয়েছেন, তাজমহলের সময় হাত কেটে নেওয়া হয়েছিল। এই দুই বৈপরিত্যের তুলনা করলেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath)। ৫০০ বছরের ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক আন্দোলনের পথ ধরে ২০২৪ সালের ২২ জানুয়ারি দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হাতে অযোধ্যার মন্দির উদ্বোধন হয়েছিল। মন্দিরের নির্মাণ কাজের সঙ্গে যুক্ত প্রত্যকে শ্রমিককে বিশেষ সম্মানে সম্মানিত করেছেন প্রধানমন্ত্রী । এই প্রসঙ্গ টেনে হিন্দু ধর্মের পরম্পরার কথা স্মরণ করলেন আদিত্যনাথ।

    দেশের অনেক ইতিহাস এবং সংস্কৃতিকে বিলুপ্ত করেছে (Yogi Adityanath)

    মুম্বইয়ে ওয়ার্ল্ড হিন্দু ইকোনমিক ফোরামের বার্ষিক সম্মেলনের মঞ্চ থেকে আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath) বলেন, “ভারতীয় জনতা পার্টির শাসনে শ্রমিকরা সম্মান পান। রামমন্দিরের (Ram Mandi) শ্রমিকদের সম্মানিত করা হয়েছে, কিন্তু তাজমহলের শ্রমিকদের আঙুল কেটে নেওয়া হয়েছিল। এমনকি সুক্ষ্ম টেক্সটাইল শিল্পে কর্মরত শ্রমিকদের হাত কেটে ফেলা হয়েছিল। যার ফলে অনেক ঐতিহ্য এবং পরম্পরা ধ্বংস হয়েছে। আজ ভারতে মোদিজির শাসনে সকল শ্রমের সম্মান প্রদান করা হয়। বহিরাগতরা এই দেশের অনেক ইতিহাস এবং সংস্কৃতিকে বিলুপ্ত করেছে।”

    আরও পড়ুনঃ ইউপিএসসি’তে শীর্ষে দুই কৃতী বঙ্গসন্তান, সিঞ্চন ও বিল্টুর সাফল্যে গর্বিত গোটা বাংলা

    বিশ্বের অর্থনীতির উপর ৪০ শতাংশ যোগদান ছিল ভারতের

    ভারতের প্রথম থেকে পঞ্চদশ শতাব্দীর মধ্যে বিশ্বে ভারতীয় অর্থনীতির কথা বলতে গিয়ে যোগী (Yogi Adityanath) আরও বলেন, “খ্রিষ্টীয় প্রথম থেকে পঞ্চদশ শতক পর্যন্ত ভারতে বিশ্বের অর্থনীতির উপর ৪০ শতাংশ যোগদান ছিল। এমনকি অনেক ইউরোপের পণ্ডিত এই আর্থিক প্রভাবের কথা স্বীকার করেছেন। কিন্তু বহিরাগত আক্রমণকারীরা নানা আক্রমণ এবং লুট করে ভারতের অর্থনীতিতে খারাপ প্রভাব ফেলেছে।” একইভাবে তিনি এদিন সম্ভলের হিংসার প্রসঙ্গে বলেন, “দেশে কট্টরপন্থীরা সন্ত্রাসবাদের প্রচার-প্রসার করছে। তারা আমাদের দেশের ভিতরে হিংসার বাতাবরণ সৃষ্টি করছে, আজ মাটির নিচে পুঁতে রাখা হিন্দু মন্দিরের নানা অবশেষ পাওয়া যাচ্ছে। সমালোচকরাও এখন মানতে বাধ্য হচ্ছেন ভারত কতটা বৈভবশালী ছিল।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh: “জঙ্গিদের হাতে কি চলে গিয়েছে বাংলাদেশ? প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে দাপাদাপি!” তোপ তসলিমার

    Bangladesh: “জঙ্গিদের হাতে কি চলে গিয়েছে বাংলাদেশ? প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে দাপাদাপি!” তোপ তসলিমার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইউনূস সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে মৌলবাদীরা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। জঙ্গিদের দখলে চলে গিয়েছে বাংলাদেশ। এমনই অভিযোগ উঠছিল। এবার বাংলাদেশের (Bangladesh) পরিস্থিতি নিয়ে ফের একবার বিতর্কিত প্রশ্ন তুললেন নির্বাসিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন। জঙ্গিদের কবলে চলে যাচ্ছে বাংলাদেশ? আর কোনও রাখঢাক নয়। প্রকাশ্যেই এবার অস্ত্র নিয়ে দাপাদাপি। সেই ছবি পোস্ট করলেন বাংলাদেশি লেখিকা তসলিমা নাসরিন। প্রশ্ন তুললেন ইউনূস সরকারের ভূমিকা নিয়ে।

    ভয়ঙ্কর ছবি ওপার বাংলার! (Bangladesh)

    ইউনূস সরকার (Bangladesh) ক্ষমতায় আসার পর বাংলাদেশে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে মৌলবাদীরা। প্রকাশ্যে জঙ্গি  (Militant) সংগঠনকে রাস্তায় মিছিল করতে দেখা গিয়েছে। তালিবানিদের মতো মহিলাদের বাজারে যাওয়া নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আর এসব দেখেও কোনও পদক্ষেপ করেনি ইউনূস সরকার। বরং, মদত রয়েছে বলে বার বার অভিযোগ উঠেছে। ফের একবার তার হাতেনাতে প্রমাণ মিলল। ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অত্যাধুনিক স্বয়ংক্রিয় আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে দাদাগিরি করতে দেখা গেল মৌলবাদীদের। কোথা থেকে এল এই অস্ত্র ? উঠেছে প্রশ্ন। বাংলাদেশ থেকে নির্বাসিত, বিখ্যাত লেখিকা তসলিমা নাসরিন সেই ছবি পোস্ট করে প্রশ্ন করেন, “বাংলাদেশি জিহাদিরা এখন মারণাস্ত্র হাতে নিয়েই তাদের মিছিল-মিটিংএ যাচ্ছে। ইউনূসচ-আসিফ গ্যাং কি জিহাদিদের নিরস্ত্রীকরণের কথা একবারও ভাববে? মনে হয় না।”

    আরও পড়ুন: “বৈচিত্র্যের ভারতে বিভেদের বিষ ছড়াচ্ছে কেউ কেউ”, সংসদে তোপ প্রধানমন্ত্রীর

    জানা গিয়েছে, ছবিটি বাংলাদেশের (Bangladesh) সিরাজগঞ্জের। সম্প্রতি সেখানে এসেছিলেন রাসূল (সা) এর ৪৩তম বংশধর শায়েখ নাসির বিল্লাহ আল মক্কী। সেই অনুষ্ঠানেই একজনের হাতে অত্যাধুনিক অস্ত্র দেখা যায়। এমন স্বয়ংক্রিয় অত্যাধুনিক অস্ত্র সাধারণত জঙ্গিদের হাতে থাকে। সেই অস্ত্র আমজনতার হাতে? ছবি সামনে আসতেই হইচই পড়ে গিয়েছে। ওই ধর্মগুরু নিজেকে রাসূলের বংশধর বলে দাবি করেন। জানা গিয়েছে, কোনও রকম সরকারের ব্যবস্থা ছাড়াই তিনি হেলিকপ্টারে এসে নামেন সিরাজগঞ্জের মাঠে। প্রশাসনের এমন নিষ্ক্রিয়তা দেখে প্রশ্ন উঠেছে ইউনূস সরকারের ভূমিকা নিয়ে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share