Tag: Madhyom

Madhyom

  • Calcutta High Court: “রাজ্যে কি আর্থিক জরুরি অবস্থা চলছে?” পশ্চিমবঙ্গের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করার হুঁশিয়ারি হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: “রাজ্যে কি আর্থিক জরুরি অবস্থা চলছে?” পশ্চিমবঙ্গের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করার হুঁশিয়ারি হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের একবার হাইকোর্টের (Calcutta High Court) কাছে মুখ পুড়ল রাজ্যের! রাজ্যের সব আর্থিক লেনদেন বন্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি কলকাতা হাইকোর্টের। রাজ্যের উচ্চ ও নিম্ন আদালতগুলির পরিকাঠামো উন্নয়ন-সহ বিভিন্ন খাতে পর্যাপ্ত অর্থের বরাদ্দ নিয়ে আরও একবার আদালতের ক্ষোভের মুখে পড়ল তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকার (West Bengal Govt)। এর আগেও মুখ্যসচিব মনোজ পন্থকে ভর্ৎসনা করেছিল বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ।

    অর্থ চেয়েও না মেলায় ক্ষোভ আদালতের (Calcutta High Court)

    পরিকাঠামো উন্নয়ন-সহ প্রয়োজনীয় নানা কাজে অর্থ চেয়ে রাজ্যের দ্বারস্থ হয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট প্রশাসন। অর্থের জন্য হন্যে হলেও, অর্থ তো মেলেইনি, বরং এ সংক্রান্ত অন্তত ৫৩টি ফাইল আটকে রয়েছে। এর সমাধান হওয়া তো দূর অস্ত, পেপারলেস অবস্থায় চলছে আদালতের কাজকর্ম। হাইকোর্ট এবং জেলা আদালতগুলিতে প্রয়োজনীয় কর্মী নেই। লাখ লাখ টাকা বকেয়া রয়েছে যে  সংস্থা আদালতে ইন্টারনেট সংযোগ দিয়েছে, তাদের। এনিয়ে একাধিকবার ক্ষোভ প্রকাশ করেছে ডিভিশন বেঞ্চ। তার পরেও পরিস্থিতি যথা পূর্বং, তথা পরং। পুজোর ছুটির মধ্যে কলকাতা হাইকোর্ট প্রশাসনের সঙ্গে রাজ্যের অর্থ দফতরের সচিবের বৈঠকে সমস্যার সমাধান করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল আদালতের তরফে। তাতেও সুরাহা হয়নি। এদিকে সোমবার রাজ্যের পক্ষে ফের সময় চাওয়া হয়। এর পরেই ক্ষোভ উগরে দেন দেবাংশু বসাক এবং মহম্মদ শব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ।

    কী বলছে আদালত

    বিচারপতি বসাক বলেন, “বিএসএনএলের তিন বছরের বিল বাবদ বাকি ৫ কোটি ৬০ লাখ টাকা। হাইকোর্টের ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দিলে কী হবে? আজ সরকারি ছুটি মানেই তো আর ইন্টারনেট হলি-ডে নয়! রাজ্য কি কনসলিডেলেট ফান্ড রিজার্ভ ব্যাঙ্কে রাখে? তাহলে তার অ্যাকাউন্ট নম্বর দিন। অ্যাটাচ করে দেব। সব লেনদেন বন্ধ রাখুন তাহলে! আরবিআইকে বলছি লেনদেন বন্ধ করতে।” তিনি বলেন, “রাজ্যের প্রশাসনিক (Calcutta High Court) মাথা, মুখ্যসচিব, অর্থসচিব – তাঁরা এক মাসেও কিছু করতে পারলেন না। রাজ্যের ভূমিকায় আমরা বাকরুদ্ধ। আমরা এগুলি রাজ্যের নজরে আনছি।” এই মামলায় এর আগে দু’বার (West Bengal Govt) ভার্চুয়াল হাজিরা দিয়েছিলেন মুখ্যসচিব। এদিন সে প্রসঙ্গ টেনে বিচারপতি বসাক বলেন, “উনি (মুখ্যসচিব) প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তার পরেও কেন টাকা দেওয়া হল না?” এর পরেই তিনি বলেন, “রাজ্যে কি আর্থিক জরুরি অবস্থা চলছে? আপনারা তো প্রথম লাইনেই মিথ্যে কথা বলছেন!” প্রসঙ্গত, বছর তিনেক ধরে বকেয়া থাকায় ৩৬টি প্রকল্পের কাজ আটকে রয়েছে। মেটানো হয়নি বিএসএনের প্রাপ্য বকেয়া বিলও।

    রাজ্য সরকার মিথ্যের আশ্রয় নিচ্ছে!

    বেঞ্চের তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য, “হাইকোর্টের কাজে অর্থ বরাদ্দ করা কি প্রশাসনিক কাজের মধ্যে পড়ে না? গত তিন বছর যথেষ্ট সময়। বিল দেওয়ার প্রয়োজন মনে করেননি? দেখে তো মনে হচ্ছে শামুক আর কচ্ছপের দৌড় প্রতিযোগিতা হচ্ছে।” বিচারপতি দেবাংশু বসাক বলেন, “এই যদি হাইকোর্টের অবস্থা হয়, তাহলে নিম্ন আদালতগুলির কী অবস্থা!” এদিন রাজ্যের তরফে আইনজীবী জানান, ৬০ লাখ টাকা মিটিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ৩০ তারিখের মধ্যে (West Bengal Govt) বাকি টাকা দেওয়া হবে। অর্থ দফতরের আধিকারিক বলেন, “আমরা দু’দিনের মধ্যে অর্ধেক টাকা মিটিয়ে দিচ্ছি।” বিচারপতি (Calcutta High Court) বসাকের ফের প্রশ্ন, “কেন দু’দিন সময় লাগবে? এখন তো সঙ্গে সঙ্গে টাকা পাঠানো যায়!” রাজ্যের তরফে জানানো হয় রাজ্য সরকারের ছুটি রয়েছে। এর পরেই বেঞ্চ বলে, “এখন তো অনলাইনেই টাকা পাঠিয়ে দেওয়া যায়। ছুটি বলে তো আর ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ নয়! আদালত মনে করে, রাজ্য সরকার এই বিষয়ে মিথ্যের আশ্রয় নিচ্ছে।”

    রিজার্ভ ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট নম্বর দিন

    এদিন শুনানির সময় আদালতে হাজির ছিলেন রাজ্যের অর্থ দফতরের এক আধিকারিক। বেঞ্চ তাঁর কাছে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট নম্বর জানতে চাইলে তিনি জানান, আরবিআইয়ের অ্যাকাউন্ট নম্বর জানা নেই তাঁর। এর পরেই আদালত (Calcutta High Court) বলে, “আমরা বসে আছি। এখনই মুখ্যসচিবকে ফোন করে অ্যাকাউন্ট নম্বর জেনে জানান।” এদিন রাজ্যের তরফে উপস্থিত আইনজীবী বলেন, “দয়া করে একটু সময় দেওয়া হোক। বিলের ২.৯ কোটি টাকা মঞ্জুর করা হয়েছে।” বেঞ্চের প্রশ্ন, “কিন্তু সেই টাকা কি আদৌ আদালতের হাতে এসেছে?”

    আদালতের নির্দেশ

    এর পরেও রাজ্যের তরফে এক সপ্তাহ সময় চাওয়া হয়। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ১০ নভেম্বর। বেঞ্চের নির্দেশ, তার আগে ২৯ অক্টোবর এবং ৬ নভেম্বর বিষয়টি (West Bengal Govt) নিয়ে ফের বৈঠকে বসতে হবে রাজ্য এবং হাইকোর্ট (Calcutta High Court) প্রশাসনকে। মুখ্যসচিবের পাশাপাশি বৈঠকে উপস্থিত থাকতে হবে অর্থসচিবকেও।

  • World Bank Report: পাকিস্তানে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার মান নিম্নগামী, বলছে বিশ্বব্যাঙ্কের রিপোর্ট

    World Bank Report: পাকিস্তানে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার মান নিম্নগামী, বলছে বিশ্বব্যাঙ্কের রিপোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আপাতদৃষ্টিতে এক ঝলক দেখলে মনে হবে সব ঠিক আছে। কারণ শেয়ার বাজার ঊর্ধ্বমুখী, সরকার আইএমএফ সমর্থিত সংস্কারের ঢাক পেটাচ্ছে (World Bank Report)। পাকিস্তানের এই ঝাঁ চকচকে ছবিটাই ধূলিমলিন হয়ে গেল বিশ্বব্যাঙ্কের সর্বশেষ মূল্যায়নের রিপোর্টে। জানা গিয়েছে, শাহবাজ শরিফের দেশে নিত্য বাড়ছে দারিদ্র ও বৈষম্য, যা প্রভাবিত করছে লাখ লাখ পরিবারকে।

    দারিদ্র্য ও স্থিতিস্থাপকতা বিষয়ক রিপোর্ট (World Bank Report)

    বিশ্বব্যাঙ্কের দারিদ্র্য ও স্থিতিস্থাপকতা বিষয়ক রিপোর্টে বলা হয়েছে, ম্যাক্রো ইকোনোমিক স্থিতিশীলতা থাকা সত্ত্বেও সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার মান নিম্নগামী হয়েছে। দারিদ্র্যের হার, যা ২০০১ সালে ৬০ শতাংশের বেশি থেকে ২০১৮ সালে প্রায় ২১ শতাংশে নেমে এসেছিল, তা ফের ২০২৩–২৪ সালের মধ্যে বেড়ে হয়েছে ২৭ শতাংশেরও বেশি। নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশের মানদণ্ডে বিচার করলে দেখা যায়, বর্তমানে পাকিস্তানের প্রায় অর্ধেক জনগণ দারিদ্র্যসীমার নীচে বসবাস করছে। রিপোর্টটি আঞ্চলিক বৈষম্যের দিকেও আলোকপাত করেছে। পাকিস্তানের গ্রামীণ এলাকাগুলি, বিশেষত বালুচিস্তান ও সিন্ধ প্রদেশ, ইসলামাবাদ ও লাহোরের মতো শহরের তুলনায় নিদারুণভাবে বঞ্চনার শিকার। অপুষ্টি ছড়িয়ে রয়েছে কমবেশি সর্বত্র। পাঁচ বছরের নীচে প্রায় ৪০ শতাংশ শিশুই খর্বাকৃতির সমস্যায় ভুগছে। শিক্ষা ব্যবস্থার হাল করুণ হওয়ায় অসংখ্য তরুণ-তরুণী উৎপাদনশীল কর্মসংস্থানের জন্য যথাযথভাবে প্রস্তুত নয় (World Bank Report)।

    পাকিস্তানের শ্রমবাজার

    পাকিস্তানের শ্রমবাজারও পরিকাঠামোগত দুর্বলতাকে স্পষ্টভাবে তুলে ধরেছে। দেশটির প্রায় ৮৫ শতাংশ শ্রমিক কাজ করেন ইনফর্মাল খাতে। এখানে কোনও চুক্তি, সুযোগ-সুবিধা বা সামাজিক সুরক্ষা নেই। মহিলা শ্রমিকরা এ ক্ষেত্রে বিশেষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হন। সামান্য আয় কমে যাওয়াও স্থবির মজুরি ও মুদ্রাস্ফীতির মধ্যে লাখ লাখ মানুষকে আরও গভীর দারিদ্র্যের দিকে ঠেলে দিতে পারে।আইএমএফ-সমর্থিত সংস্কারগুলি ম্যাক্রো ইকনোমিক স্থিতিশীলতা এনেছে বটে, কিন্তু এই উন্নতির বাস্তব সুফল এখনও পৌঁছয়নি সাধারণ মানুষের কাছে। বিদেশি বিনিয়োগকারীরাও সতর্ক রয়েছেন। কারণ দেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদা দুর্বল। প্রশাসনিক অদক্ষতার কারণেও অনেকেই তাঁদের কার্যকলাপ সীমিত করে ফেলেছেন।

    এদিকে, বিশ্বব্যাঙ্ক চলতি অর্থবর্ষে ভারতের জিডিপি প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস ২০ বেসিস পয়েন্ট বাড়িয়ে ৬.৫ শতাংশ করেছে। কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে ভারতের শক্তিশালী ভোগব্যয় বৃদ্ধি এবং বিশ্বের দ্রুততম প্রবৃদ্ধিসম্পন্ন প্রধান অর্থনীতি হিসেবে ভারতের অবস্থান। এই রিপোর্টই দুই প্রতিবেশী দেশের অর্থনৈতিক গতিপথের পার্থক্যকে স্পষ্ট করে তুলে ধরেছে (World Bank Report)।

  • Shreyas Iyer: ক্যাচ ধরতে গিয়ে চোট, পাঁজরের ক্ষতস্থান থেকে রক্তক্ষরণ, আইসিইউতে ভর্তি শ্রেয়স

    Shreyas Iyer: ক্যাচ ধরতে গিয়ে চোট, পাঁজরের ক্ষতস্থান থেকে রক্তক্ষরণ, আইসিইউতে ভর্তি শ্রেয়স

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিডনিতে তৃতীয় একদিনের ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার অ্যালেক্স ক্যারের ক্যাচ ধরতে গিয়ে পাঁজরে গুরুতর চোট পান শ্রেয়স আইয়ার (Shreyas Iyer)। ক্যাচ ধরলেও ভুল ল্যান্ডিংয়ের ফলে তাঁর বাঁদিকে পাঁজরে চোট লাগে। ব্যথায় লুটিয়ে পড়েন তিনি। সঙ্গে সঙ্গে ফিজিও এসে তাঁকে মাঠ থেকে তুলে নেন। এর পর তাঁকে স্থানীয় হাসপাতালে চেকআপের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। সঙ্গে সঙ্গে ভর্তি করা হয় সেখানকার একটি হাসপাতালে। বোর্ড সূত্রে খবর, অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষণের জন্য ভারতীয় ওয়ানডে দলের সহ-অধিনায়ককে আইসিইউতে রাখা হয়েছে। আপাতত দুই থেকে সাত দিন পর্যন্ত শ্রেয়সকে আইসিইউতে পর্যবেক্ষণে রাখা হবে।

    দুই থেকে সাতদিন পর্যবেক্ষণে শ্রেয়স

    বোর্ড সূত্রে খবর, ভারতীয় দল অস্ট্রেলিয়া থেকে দেশে ফিরলেও শ্রেয়স ফেরেননি। তাঁকে চিকিৎসার জন্য সিডনিতেই রেখে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বিসিসিআই। শ্রেয়স (Shreyas Iyer) গত কয়েকদিন ধরেই হাসপাতালে রয়েছেন। রিপোর্টে এসেছে, তাঁর অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ হয়েছে। তাঁকে দুই থেকে সাতদিন ধরে পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। চেষ্টা করা হচ্ছে রক্তক্ষণের ফলে যাতে ওর ইনফেকশন না হয়। বোর্ড এবং মেডিক্যাল টিম কোনও ঝুঁকি নিতে চাইছে না। এখন তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল।

    দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে অনিশ্চিত শ্রেয়স

    চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, শ্রেয়সের (Shreyas Iyer) পাঁজরে কোনও ফ্র্যাকচার না থাকলেও সম্পূর্ণ সেরে উঠতে আরও কিছুটা সময় লাগবে। ফলে সিডনির হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র না পাওয়া পর্যন্ত তিনি ভারতে ফিরবেন না। তাঁর এই ইনজুরির কারণে অন্তত ৩ থেকে ৪ সপ্তাহ মাঠের বাইরে থাকতে হবে বলে চিকিৎসকদের অনুমান। চিকিৎসকদের কথায়, ‘আপাতত দুই থেকে সাত দিন পর্যন্ত শ্রেয়সকে আইসিইউতে পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। তাঁর সেরে ওঠার গতি অনুযায়ী এই সময়কাল নির্ধারণ করা হবে। রক্তক্ষরণের ফলে কোনওভাবেই যাতে সংক্রমণ না ঘটে সেদিকে নজর রাখা হচ্ছে।’ ফলে তাঁর দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে অংশগ্রহণ এখন কার্যত অনিশ্চিত। অস্ট্রেলিয়া সফর শেষে এরই মধ্যে বিরাট কোহলি লন্ডনে ফিরে গিয়েছেন, রোহিত শর্মা ও কেএল রাহুল দেশে ফিরেছেন।

  • S Jaishankar: ভারত-আমেরিকা শুল্ক-যুদ্ধের আবহেই মালয়েশিয়ায় জয়শঙ্কর-রুবিও বৈঠক, কী নিয়ে আলোচনা হল?

    S Jaishankar: ভারত-আমেরিকা শুল্ক-যুদ্ধের আবহেই মালয়েশিয়ায় জয়শঙ্কর-রুবিও বৈঠক, কী নিয়ে আলোচনা হল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আসিয়ান শীর্ষ সম্মেলনের (ASEAN Summit) ফাঁকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিদেশ সচিব মার্কো রুবিওর সঙ্গে বৈঠক করলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। মালয়েশিয়ায় আয়োজিত এই সম্মেলনে নয়াদিল্লি ও ওয়াশিংটনের মধ্যে যে বাণিজ্য আলোচনা চলছে, তার প্রেক্ষিতেই হয় এই বৈঠক। এক্স হ্যান্ডেল একটি পোস্টে জয়শঙ্কর দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক-সহ আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক বিষয়গুলি নিয়ে হওয়া আলোচনার প্রশংসা করেন।

    কোয়াত্রার বক্তব্য (S Jaishankar)

    এদিকে, রবিবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ভারতের রাষ্ট্রদূত বিনয় মোহন কোয়াত্রা মার্কিন সেনেটের বিদেশ সম্পর্ক কমিটির র‍্যাঙ্কিং সদস্য জিন শাহিনের সঙ্গে বৈঠকে পারস্পরিকভাবে লাভজনক বাণিজ্য চুক্তি, জ্বালানি নিরাপত্তা এবং তেল ও গ্যাস বাণিজ্য নিয়ে আলোচনা করেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় কোয়াত্রা লিখেছেন, “এসএফআরসিডেমস-এর সেনেট বিদেশ সম্পর্ক কমিটির র‌্যাঙ্কিং সদস্য সেনেটর শাহিনের সঙ্গে ফলপ্রসূ বৈঠক হয়েছে। আমাদের আলোচনা মূলত পারস্পরিকভাবে লাভজনক বাণিজ্য চুক্তি প্রতিষ্ঠা, ভারতের জ্বালানি নিরাপত্তা ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তেল ও গ্যাস বাণিজ্য বৃদ্ধির উদ্যোগ এবং আমাদের অঞ্চলের অভিন্ন ভূরাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ নিয়েই কেন্দ্রীভূত ছিল।”

    নরেন্দ্র মোদির অবস্থান

    ভারতের রাষ্ট্রদূত রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাত নিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির অবস্থানও তুলে ধরেন। প্রসঙ্গত, এই বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয় এমন একটা সময়, যখন কেন্দ্রীয় বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী পীয়ূষ গোয়েল সাফ জানিয়ে দেন, ভারত কোনও বাণিজ্য চুক্তিতে তাড়াহুড়ো করে স্বাক্ষর করবে না এবং এমন কোনও শর্ত মেনে নেবে না যা অংশীদার দেশগুলি ভারতের বাণিজ্যিক স্বাধীনতাকে সীমিত করে। তিনি এও বলেন, “বাণিজ্য চুক্তি শুধুমাত্র শুল্ক বা কর সম্পর্কিত নয়, বরং এটি পারস্পরিক আস্থা গঠন, দীর্ঘমেয়াদি সম্পর্ক স্থাপন এবং বৈশ্বিক ব্যবসায়িক সহযোগিতার জন্য একটি মজবুত কাঠামো তৈরির ব্যাপারেও গুরুত্বপূর্ণ (S Jaishankar)।”

    ওয়াশিংটনের সঙ্গে যে বাণিজ্য আলোচনা চলছে, তার ইঙ্গিত দিয়ে তিনি বলেন, “অতি স্বল্পমেয়াদি প্রেক্ষাপটে বিষয়টি আগামী ছ’মাসের মধ্যে কী ঘটবে তা নিয়ে নয়। এটি কেবল আমেরিকায় ইস্পাত বিক্রি করার ক্ষমতা নিয়েও নয়।” অন্যদিকে, বাণিজ্য সচিব রাজেশ আগরওয়াল জানান, ভারতের সঙ্গে (ASEAN Summit) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য আলোচনা ভালোভাবেই এগোচ্ছে। উভয় পক্ষই অধিকাংশ বিষয়ে একমত হওয়ার পথে। এ থেকে স্পষ্ট, শীঘ্রই একটি পারস্পরিকভাবে লাভজনক চুক্তি হতে যাচ্ছে (S Jaishankar)।

  • PM Modi: “একবিংশ শতাব্দীর ভবিষ্যৎ ভারত এবং আসিয়ানভুক্ত দেশগুলির হাতেই”, বিশ্বকে নতুন বার্তা প্রধানমন্ত্রীর

    PM Modi: “একবিংশ শতাব্দীর ভবিষ্যৎ ভারত এবং আসিয়ানভুক্ত দেশগুলির হাতেই”, বিশ্বকে নতুন বার্তা প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে ঐক্য জোরালো করার পক্ষে সওয়াল করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। রবিবার প্রধানমন্ত্রী মোদি ভার্চুয়ালি আসিয়ান শীর্ষ সম্মেলনের ( ASEAN Summit) ভাষণে ঘোষণা করেন যে একবিংশ শতাব্দীতে ভারত ও আসিয়ান দেশগুলোর যৌথ নেতৃত্বেই গঠিত হবে নতুন ভবিষ্যৎ। মোদি তাঁর বক্তব্যে ভারতের ক্রমবর্ধমান কৌশলগত, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সম্পর্কের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন এবং দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়ার সঙ্গে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ও টেকসই ভবিষ্যতের রূপরেখা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, আসিয়ান ভারতের (India-ASEAN Relations) অ্যাক্ট ইস্ট পলিসি–র অন্যতম মূল স্তম্ভ।

    উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ গড়ার লক্ষ্যে

    মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলির গোষ্ঠী আসিয়ান-এর বার্ষিক সম্মেলনে উপস্থিত না-থাকলেও ভার্চুয়াল মাধ্যমে বক্তৃতা করেন প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi)। নিজের বক্তব্যে ভারত এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলির সম্ভাবনার কথা তুলে ধরেন তিনি। বলেন, “একবিংশ শতাব্দী আমাদের শতাব্দী। এটা ভারত এবং আসিয়ানভুক্ত দেশগুলির।” একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, “আমি নিশ্চিত যে, আসিয়ান কমিউনিটি ভিশন ২০৪৫ এবং বিকশিত ভারত ২০৪৭ গোটা মানবতার জন্য উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ গড়ে তুলবে।” বক্তৃতায় আসিয়ান গোষ্ঠীর সঙ্গে ভারতের বিভিন্ন বিষয়ে বোঝাপড়ার দিকটি তুলে ধরেন মোদি। একই সঙ্গে এ বছর সফল ভাবে আসিয়ান গোষ্ঠীর সম্মেলন আয়োজন করার জন্য ধন্যবাদ জানান মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনওয়ার ইব্রাহিমকে। ২০২৬ সালের সম্মেলন আয়োজন করবে ফিলিপিন্স। প্রসঙ্গত, এই বছরের আসিয়ান সম্মেলনকে ঐতিহাসিক বলে মনে করা হচ্ছে। পূর্ব তিমুর-লেস্তে আনুষ্ঠানিকভাবে আসিয়ানের ১১তম সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। গত ২৬ বছরের মধ্যে এমনটা প্রথম হল। প্রায় ১৪ লক্ষ জনসংখ্যার এই ছোট দেশটি এখন আসিয়ানের বাণিজ্য, বিনিয়োগ এবং উন্নয়ন কাঠামোর অংশ হয়ে উঠবে।

    আসিয়ানে ভারতের গুরুত্ব

    আসিয়ান সম্মেলনে ভারতের অংশগ্রহণ গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক কারবারিরা। ভারত যে আসিয়ান (India-ASEAN Relations) দেশগুলোর নেতৃত্ব দিতে চায়, তা পরিষ্কার জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। প্রসঙ্গত, ১৯৯২ সালে আসিয়ান গোষ্ঠীতে যোগ দিয়েছিল ভারত। ভারত ওই বছর আসিয়ানের ‘সেক্টরাল ডায়ালগ পার্টনার’ হিসেবে যুক্ত হয় এবং ১৯৯৫ সালে পূর্ণাঙ্গ ‘ডায়ালগ পার্টনার’ হয়। তার পরে এই গোষ্ঠীতে ভারতের প্রভাব ক্রমশ বেড়েছে। ২০১৮ সালে দিল্লিতে প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে আসিয়ান গোষ্ঠীভুক্ত ১০ দেশের রাষ্ট্রপ্রধানকে আমন্ত্রণ করেছিল ভারত। আসিয়ান সম্মেলনে রবিবার সকালেই মালয়েশিয়ায় পৌঁছন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। প্রথমে শোনা গিয়েছিল আসিয়ান সম্মেলনের ফাঁকেই মোদি এবং ট্রাম্পের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হতে পারে। পরে অবশ্য জানা যায়, মোদি মালয়েশিয়ায় যাচ্ছেন না। এদিন ভার্চুয়ালি মোদি বলেন, “ভারত সর্বদা আসিয়ানের নেতৃত্ব এবং ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের জন্য এর নীতিকে সমর্থন করে। ভারত এবং আসিয়ান একসঙ্গে বিশ্বের জনসংখ্যার প্রায় এক চতুর্থাংশর প্রতিনিধিত্ব করে। কেবল ভৌগোলিক নয়, গভীর ঐতিহাসিক সম্পর্কও রয়েছে এই দেশগুলোর। বলা যায়, আমরা গ্লোবাল সাউথের সহযাত্রী। একে অপরের সঙ্গে বাণিজ্য করি। একইসঙ্গে নানাক্ষেত্রের নীতি নির্ধারণে নিজেদের বক্তব্য পেশ করি।”

    মূল বিষয় হল অন্তর্ভুক্তি এবং স্থায়িত্ব

    প্রধানমন্ত্রী মোদির (PM Modi) কথায়, “বর্তমান আসিয়ান শীর্ষ সম্মেলনের মূল বিষয় হল অন্তর্ভুক্তি এবং স্থায়িত্ব। ভারত সর্বদা আসিয়ান-কেন্দ্রিকতা এবং ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে আসিয়ানের দৃষ্টিভঙ্গিকে সমর্থন করে আসছে। অনিশ্চয়তার এই যুগেও, ভারত-আসিয়ান অংশীদারিত্ব অগ্রগতি করেছে। একবিংশ শতাব্দী ভারত এবং আসিয়ানের শতাব্দী, এই ব্যাপারে আমি নিশ্চিত। ভারত আসিয়ানের দেশগুলোর সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চলবে। সব রকমের সঙ্কটে একসঙ্গে কাজ করবে।” উল্লেখ্য, ২০১৪ সাল থেকে প্রধানমন্ত্রী মোদি প্রায় সব আসিয়ান–ভারত সম্মেলনে অংশ নিয়েছেন, শুধু ২০২২ সালের সম্মেলন ব্যতিক্রম। বর্তমানে ১০টি দেশ আসিয়ানের সদস্য। ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, ফিলিপিন্স, সিঙ্গাপুর, তাইল্যান্ড, ব্রুনেই, মায়ানমার, কম্বোডিয়া, লাওস এবং ভিয়েতনাম। এ বারের সম্মেলনে পূর্ব তিমুরও আসিয়ানের সদস্য হয়েছে। মোদি তাঁদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, ‘ভারত ও আসিয়ানের অংশীদারিত্ব আগের চেয়ে আরও শক্তিশালী হয়েছে। ঐতিহাসিক সম্পর্ক এবং মূল্যবোধে আমরা অভিন্ন।’

    ভারত–আসিয়ান সামুদ্রিক সহযোগিতার বছর

    মোদি (PM Modi) আরও জানান, দুর্যোগ মোকাবিলা, সামুদ্রিক নিরাপত্তা এবং নীল অর্থনীতিতে ভারত ও আসিয়ানের সহযোগিতা আরও শক্তিশালী হয়েছে। তিনি ঘোষণা করেন, ২০২৬ সালকে ‘ভারত–আসিয়ান সামুদ্রিক সহযোগিতার বছর’ হিসেবে উদযাপন করা হবে, যা ভারত মহাসাগরজুড়ে দ্বিপাক্ষিক সম্পৃক্ততার নতুন অধ্যায় সূচিত করবে। এর আগে, বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) প্রধানমন্ত্রী মোদি মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের সঙ্গে আলোচনার উল্লেখ করে ‘এক্স’–এ লেখেন, “আমার প্রিয় বন্ধু মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণ আলোচনা হয়েছে। তাঁকে মালয়েশিয়ার আসিয়ান চেয়ারম্যানশিপের জন্য অভিনন্দন জানিয়েছি এবং আসন্ন সম্মেলনগুলোর সাফল্যের জন্য শুভেচ্ছা জানিয়েছি।” মোদির অনুপস্থিতিতে সোমবার আসিয়ানের ইস্ট এশিয়া সম্মেলনে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করবেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। পূর্বাঞ্চলের নিরাপত্তা, স্থিতিশীলতা এবং ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা হবে বলে জানা গিয়েছে।

  • Exercise Trishul: তাড়া করছে ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর আতঙ্ক! স্যর ক্রিকে বিশাল যুদ্ধমহড়া করছে ভারত, ভয়ে কাঁটা পাকিস্তান

    Exercise Trishul: তাড়া করছে ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর আতঙ্ক! স্যর ক্রিকে বিশাল যুদ্ধমহড়া করছে ভারত, ভয়ে কাঁটা পাকিস্তান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানকে এখনও তাড়া করে বেড়াচ্ছে ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর আতঙ্ক! তাই স্যর ক্রিকে (Sir Creek) ভারতের আসন্ন যুদ্ধমহড়া নিয়ে পাকিস্তান ভয়ে কাঁপছে। আতঙ্ক এমন গ্রাস করেছে যে, ওই এলাকায় নোটাম জারি করে বিমানের ওঠা-নামা বন্ধ করে দিয়েছে। জারি করেছে সতর্কতা।

    ‘এক্সারসাইজ ত্রিশূল’

    ভৌগোলিক অখণ্ডতা রক্ষায় সশস্ত্র বাহিনীর তিন শাখার সমন্বয় বাড়াতে ৩০ অক্টোবরের গুজরাট-রাজস্থান সীমান্ত ও আরব সাগরে শুরু হচ্ছে ‘এক্সারসাইজ ত্রিশূল’ (Exercise Trishul)। ভারতীয় সামরিক বাহিনীর তিন বাহু, তথা— স্থল, নৌ এবং বায়ুসেনার এই সংযুক্ত যুদ্ধাভ্যাস (India’s Tri-Service Military Drill) চলবে ১০ নভেম্বর পর্যন্ত। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, এই মহড়া বাহিনীর মধ্যে ‘সমন্বয়’, ‘আত্মনির্ভরতা’ ও ‘উদ্ভাবন’ এই তিন স্তম্ভের ওপর জোর দেওয়া হবে।

    অন্যতম বৃহত্তম যৌথ সামরিক মহড়া

    এই মহড়াকে কেন্দ্র করে ভারত সরকার ইতিমধ্যে একটি নোটাম (NOTAM বা Notice to Airmen) জারি করেছে। অর্থাৎ ওই নির্দিষ্ট সময়কালে সীমান্তবর্তী এলাকায় বিমান চলাচলে বিশেষ বিধিনিষেধ থাকবে। এই ১১ দিন মহড়া চলাকালীন রাজস্থান ও গুজরাট সীমান্তের আকাশসীমা এড়িয়ে চলার জন্য সমস্ত বিমানকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এখানে উল্লেখযোগ্য যে, মহড়ার জন্য সংরক্ষিত আকাশসীমা ২৮,০০০ ফুট (প্রায় ৮.৫ কিলোমিটার বা ৮৫০০ মিটার উঁচু) পর্যন্ত বিস্তৃত থাকবে। যে কারণে, প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা সাম্প্রতিক বছরগুলির মধ্যে অন্যতম বৃহত্তম যৌথ সামরিক অনুশীলন হিসেবে উল্লেখ করেছেন। এই উচ্চতা বলে দিচ্ছে যে মহড়ায় কেবল স্থল বা সমুদ্র মহড়া নয়, যুদ্ধবিমান, ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র সহ বড় বিমান অভিযানও জড়িত। এই বিরাট পরিধি এবং অবস্থানই ইঙ্গিত দিচ্ছে যে, এতে বৃহৎ আকারের কমব্যাট সিমুলেশন এবং উন্নত অস্ত্র পরীক্ষাও জড়িত থাকবে।

    বার্তা একটাই— প্রস্তুত ভারত

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের বিবৃতি অনুসারে, সাদার্ন কমান্ডের জওয়ানরা এই মহড়ায় অংশ নেবেন। বিভিন্ন চ্যালেঞ্জিং ভূখণ্ডে যৌথ অভিযান চালানোর মহড়া দেবেন তাঁরা। এর মধ্যে রয়েছে খাল বা নালা এবং মরুভূমিতে আক্রমণ, সৌরাষ্ট্র উপকূলে ডাঙায় ও জলে অভিযান এবং গোয়েন্দা নজরদারি এবং অনুসন্ধান, ইলেকট্রনিক যুদ্ধ এবং সাইবার যুদ্ধের মতো বিভিন্ন ডোমেনের অভিযানের অনুশীলন।প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের মতে, ‘ত্রিশূল’ অনুশীলন (Exercise Trishul) শুধু একটি মহড়াই নয়, বরং পাকিস্তান সীমান্তে ভারতের কৌশলগত প্রস্তুতি, প্রযুক্তিগত দক্ষতা এবং তিন বাহিনীর সমন্বিত শক্তি প্রদর্শনেরও এক গুরুত্বপূর্ণ বার্তা। এক্সারসাইজ ত্রিশূল শুধু এক সামরিক অনুশীলন নয়, বরং একটি কৌশলগত বার্তা— ভারত যে কোনও সম্ভাব্য পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত।

    পাকিস্তানকে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন রাজনাথ

    এই মহড়া আরও একটা দিক দিয়ে উল্লেখযোগ্য। তা হল, মহড়ার স্থান। প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh) স্যর ক্রিক অঞ্চলের কাছে পাকিস্তানের সামরিক উপস্থিতি সম্পর্কে সতর্ক করার কয়েকদিন পরেই এই মহড়া শুরু হচ্ছে। যা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। অপারেশন সিঁদুরের পর থেকেই ভারত ও পাকিস্তান আন্তর্জাতিক সীমান্তের নানা প্রান্তে মহড়া চালিয়েছে। কিন্তু, স্যর ক্রিক অঞ্চলে ভারতের আসন্ন সামরিক মহড়া (Exercise Trishul), পাকিস্তানের মধ্যে আতঙ্কের চোরাস্রোত বইয়ে দিয়েছে। স্যর ক্রিক হল গুজরাট ও পাকিস্তানের সিন্ধ প্রদেশের মাঝে সিন্ধু নদের ব-দ্বীপে তৈরি ৯৬ কিলোমিটার দীর্ঘ জলাভূমি বা খাঁড়িবেষ্টিত অঞ্চল। দশমীর দিন ভূজে বায়ুসেনার ঘাঁটিতে অস্ত্র পুজোর পর রাজনাথ সিং বলেছিলেন, “যদি পাকিস্তান স্যর ক্রিক সেক্টরে কিছু করার দুঃসাহস দেখায়, তাহলে ইতিহাস-ভূগোল দুই-ই বদলে দেওয়া হবে।”

    ‘ত্রিশূল’-এর ভয়ে থরহরিকম্প পাকিস্তান

    গোয়েন্দা সূত্রে জানা গিয়েছিল, পাকিস্তান সম্প্রতি ওই এলাকায় সামরিক অবকাঠামো নির্মাণ বাড়িয়েছে। সেই প্রেক্ষাপটেই ভারতের এই বৃহৎ যৌথ সামরিক মহড়া (India’s Tri-Service Military Drill) ইসলামাবাদের উদ্দেশে এক স্পষ্ট বার্তা বলে মনে করছেন প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা। ভারত নোটাম জারি করতেই হাঁটু কেঁপে গিয়েছে পাকিস্তানের। অপারেশন সিঁদুর-এর সময় ভারতীয় বাহিনী যৌথভাবে পাকিস্তানের অভ্যন্তরে নয়টি জঙ্গি ঘাঁটি ও ১১টি সামরিক লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস করেছিল। ফলে, ত্রিশূল (Exercise Trishul) শুরুর আগেই থরহরিকম্প পাকিস্তান তড়িঘড়ি নিয়েছে পদক্ষেপ। একাধিক রুটে নোটাম জারি করেছে ইসলামাবাদ। মধ্য ও দক্ষিণ এয়ারস্পেসের একাধিক এয়ার ট্রাফিক রুটের জন্য এই নির্দেশ জারি করা হয়েছে। আগামী ২৮ ও ২৯ অক্টোবর এই নোটাম জারি থাকবে। যদিও নোটাম জারির কোনও কারণ ব্যাখ্যা করেনি পাকিস্তান। তবে, প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের মতে, পাকিস্তান স্পষ্টতই উদ্বিগ্ন। ভারতের যুদ্ধমহড়ার পরিকল্পনা প্রকাশ্যে আসতেই আতঙ্ক গ্রাস করেছে ইসলামাবাদকে।

  • Suvendu Adhikari: ‘ভবানীপুরে মমতাকে হারাবই, বিজেপির যিনিই দাঁড়াবেন, জিতবেন’, অঙ্ক কষে বোঝালেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: ‘ভবানীপুরে মমতাকে হারাবই, বিজেপির যিনিই দাঁড়াবেন, জিতবেন’, অঙ্ক কষে বোঝালেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে ভবানীপুর আসন থেকে বিজেপি প্রার্থীই জয়ী হবে, বলে দাবি করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বিধানসভা নির্বাচনে (West Bengal Assembly Election) ভবানীপুর আসনে ফের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূল প্রার্থী হবেন ধরে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে হারানোর দাবি করেছেন তিনি। রবিবার অঙ্ক কষে শুভেন্দু বললেন, “ভবানীপুরে বিজেপির যিনিই প্রার্থী হবেন, তিনিই জিতবেন।” একইসঙ্গে শুভেন্দু দাবি করেছেন, আজ, সোমবারই পশ্চিমবঙ্গে এসআইআর শুরুর ঘোষণা করতে পারে কমিশন।

    ভবানীপুর বিজেপির জায়গা

    রবিবার ভবানীপুর বিধানসভার ৭৪ নম্বর ওয়ার্ডে এক সম্মেলনের আয়োজন করেছিলেন বিজেপি নেতা রাকেশ সিং। সেখানেই উপস্থিত ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) ‘আউটসাইডার’ মন্তব্য তুলে ধরে সরব হন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। কয়েকদিন আগে ভবানীপুরে তৃণমূলের বিজয়া সম্মিলনীতে উত্তরবঙ্গ থেকে ফোনে বক্তব্য রাখার সময় মমতা বলেছিলেন, ভবানীপুরে ‘আউটসাইডারদের’ দিয়ে ভরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। পরে নিজের মন্তব্য নিয়ে তিনি বলেন, “আমার কথা অন্যভাবে ব্যাখ্যা করা হচ্ছে। আমি বহিরাগত বলতে এখানে যাঁরা বাস করেন, তাঁদের কথা বলিনি।” এদিন মুখ্যমন্ত্রীর ওই মন্তব্য নিয়ে শুভেন্দু বলেন, “রাজস্থান, পঞ্জাব, ঝাড়খণ্ড, গুজরাট, উত্তরপ্রদেশের লোককে বলেছেন বহিরাগত। এটা কেউ বলতে পারে? এরা সবাই ভারতীয়। পরের দিন ঢোঁক গিলেছেন। বুঝেছেন, একটু গোলমাল হয়েছে। এই ভাগ করার রাজনীতি ওঁর রয়েছে, এটা সবাই বুঝেছে। এবার বিজেপির যিনিই দাঁড়াবেন, জিতবেন।” ভবানীপুরকে ‘মিনি ইন্ডিয়া’ বলে উল্লেখ করে জানালেন, ভবানীপুর বিজেপি-রই জায়গা, যা তারা ধরে রাখবে।

    ভবানীরে প্রার্থী কে

    ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে (West Bengal Assembly Election) নন্দীগ্রামে মমতা এবং শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) মধ্যে জোর টক্কর দেখেছিলেন রাজ্যবাসী। ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে ভবানীপুর থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জল্পনা উস্কে দিয়েছেন শুভেন্দু। ভবানীপুরে বিজেপির প্রার্থী প্রসঙ্গ বিরোধী দলনেতা বলেন, “বিজেপিতে এভাবে হয় না। পার্টি ঠিক করবে, কে প্রার্থী হবে।” তারপরই শুভেন্দু অঙ্ক দিয়ে বোঝান কেন ভবানীপুরে বিজেপি প্রার্থীই জিতবেন। বিধানসভার বিরোধী দলনেতা বলেন, “ম্যাপিংয়েই এক লক্ষ ২০ হাজারের নাম বাদ গিয়েছে। বিশেষ নিবিড় সমীক্ষা হলে কমপক্ষে ৫০ হাজার মৃত ও ভুয়ো ভোটার ও চেতলায় থাকা বাংলাদেশি ভোটারের নাম বাদ যাবে। আর যাদের ক্যানিং ও ভবানীপুরে, ফলতা ও ভবানীপুরে নাম রয়েছে, এবার আর উঠবে না। তারপর তো এই সিটে লিড ৩০ হাজার দিয়ে শুরু করবে বিজেপি।”

    ভবানীপুর মিনি ইন্ডিয়া

    শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) কথায়, “আমাদের তথাগত রায়, শিক্ষাবিদ, ত্রিপুরার রাজ্যপাল হয়েছিলেন। ২০১৪ সালে তিনি এখান থেকে ৪০০ ভোটের লিড নেন। এটা হচ্ছে মিনি ইন্ডিয়া…নানা ভাষা নানা মত নানা পরিধান, বিবিধের মাঝে দেখো মিলন মহান। ভবানীপুরে শিখ, সিন্ধি, মাড়োয়ারি, বিহার-উত্তরপ্রদেশের হিন্দিভাষী, ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা, উৎকল, গুজরাটি, রাজস্থানের সব জেলার মানুষ রয়েছেন। সেই সঙ্গে আছেন বাঙালিরা। ধর্ম বাঁচাতে বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে আসা হিন্দু বাঙালিরা রয়েছেন এখানে। বর্ধিষ্ণু পরিবার, শিক্ষিত মানুষ আছেন। এটা বিজেপি-র জায়গা। অতএব এই জায়গা ধরে রাখার কাজ করবে বিজেপি। বিজেপি এখানে আছে। কালীঘাটের কাছে…ওয়াকিং ডিসট্যান্স। কয়েকশো মিটার হাঁটলেই পৌঁছনো যাবে। ইয়ে তো পহেলে ঝাঁকি হ্যায়, অভি বহুত বাকি হ্যায়। পোস্টার ব্যালট গোনা চলছে, ইভিএম-এ হাত পড়েনি এখনও। লাফিয়ে গিয়েছিলেন নন্দীগ্রামে আমাকে হারাতে। আমি ওঁকে হারিয়ে পাঠিয়ে দিয়েছি। মরে গেলে উপনির্বাচন হয়। উনি শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়কে খড়দা পাঠিয়ে, নিজে ছাপ্পা মেরে এখানে জিতেছেন।”

    সোমবারই এসআইআর ঘোষণা

    আজ, সোমবার দিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠক ডেকেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। এদিনই পশ্চিমবঙ্গে এসআইআর শুরুর নির্ঘণ্ট ঘোষণা করতে পারে নির্বাচন কমিশন। সেই নিয়ে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “আপনারা জোট বেঁধে কাজ করুন। সংবাদমাধ্যমে দেখলাম, সোমবার এসআিআর-এর (SIR) ঘোষণা করতে পারে কমিশন। আপনারা প্রস্তুত তো! বাড়ি বাড়ি বিএলও-রা যাবেন। মুখ্যমন্ত্রীর কেন্দ্র। বিএলও-রা চাপে থাকবেন। ভয় পাবেন না। চারটি ডব্লুবিসিএস অফিসার সাসপেন্ড হয়েছে। এফআইআর পেন্ডিং। আরও দু’জন সাসপেন্ড হওয়ার পথে। বিচার-বিবেচনা চলছে। আগে এসব করেনি কমিশন।” শুভেন্দুর আরও দাবি, “এমনিতে কয়েক লক্ষ পালিয়ে গিয়েছে। আবার এসআইআর ঘোষণা হলে তো দেখতে হবে না। ৮০ ভাগ এমনি পালাবে। আবার কমিশন যদি ঘোষণা করে, কোনও বাংলাদেশি মুসলিমকে ধরে দিলে ৫০০ টাকা দেওয়া হবে। তাহলে এই কাজটা বিএলও ও বিজেপিকে করতে হবে না। তৃণমূলই করে দেবে।” নন্দীগ্রামে মমতাকে হারানোর কথা ফের স্মরণ করে বিজেপি কর্মীদের উদ্দেশে শুভেন্দু বলেন, “ওকে হারাবই। শুধু সাহায্য করুন। ভয় পাবেন না। মিথ্যা মামলা করলে পাশে থাকব।”

  • Bharat Taxi: বন্ধ হবে ওলা-উবারের স্বেচ্ছাচার! ক্যাব চালকদের আয় বাড়াতে ‘ভারত ট্যাক্সি’ আনছে মোদি সরকার

    Bharat Taxi: বন্ধ হবে ওলা-উবারের স্বেচ্ছাচার! ক্যাব চালকদের আয় বাড়াতে ‘ভারত ট্যাক্সি’ আনছে মোদি সরকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার ট্যাক্সি চালকদের রোজগায় বাড়াতে পথে নামল কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদির সরকার। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং ই-গভরনেন্স ডিভিশনের উদ্যোগে শুরু হচ্ছে দেশের প্রথম সমবায় ট্যাক্সি পরিষেবা। নয়া এই পরিষেবার নাম ‘ভারত ট্যাক্সি’ (Bharat Taxi)। সরকারের এই পদক্ষেপে উপকৃত হবেন দিন আনি দিন খাই ট্যাক্সি চালকরা (Ola Uber)।

    বন্ধ হবে ওলা-উবারের আধিপত্য (Bharat Taxi)

    নয়া এই পরিষেবার প্রধান বৈশিষ্ট্য হল, এই ট্যাক্সি পরিষেবা থেকে যা আয় হবে, তার পুরোটাই পাবেন চালকরা। আর যাত্রীরাও পাবেন সরকারি নজরদারিতে থাকা ট্যাক্সি পরিষেবার সুযোগ। ওলা এবং উবারের মতো অ্যাপ-নির্ভর ক্যাব পরিষেবাগুলি নিয়ে যাত্রীদের অভিযোগের অন্ত নেই। তা সত্ত্বেও একপ্রকার বাধ্য হয়েই এই সংস্থার নিয়ন্ত্রণে থাকা গাড়ি বুক করতে বাধ্য হন যাত্রীরা। হঠাৎ করে ভাড়া বাড়িয়ে দেওয়া, বুকিং বাতিল করে দেওয়া, চালকদের দুর্ব্যবহারের মতো বিভিন্ন অভিযোগ ওঠে ওলা, উবারের ক্যাব পরিষেবা নিয়ে। ট্যাক্সি চালক এবং ট্যাক্সি মালিকদের অভিযোগ, তাঁদের রোজগারের একটা বড় অংশই কমিশন বাবদ কেটে নিচ্ছে ওলা, উবারের মতো সংস্থা।

    ভারত ট্যাক্সি প্ল্যাটফর্ম

    এই পরিস্থিতিরই বদল ঘটাতে চায় ভারত ট্যাক্সি প্ল্যাটফর্ম (Bharat Taxi)। বেসরকারি অ্যাপ-নির্ভর ট্যাক্সি পরিষেবা দেওয়া সংস্থাগুলির মতো এখানে চালকদের রাইডের ওপর কোনও কমিশন দিতে হবে না। তার পরিবর্তে চালকরাও হবেন আংশিক-মালিক। অর্থাৎ, তাঁরা একটি সদস্যপদ মডেলে কাজ করবেন, যেখানে চালকদের কেবল দৈনিক, সাপ্তাহিক কিংবা মাসিক একটি সামান্য ফি দিতে হবে। সরকারের বিশ্বাস, এতে চালকরা আরও বেশি আয় করতে পারবেন। ভারত ট্যাক্সির পরীক্ষামূলক ধাপটি দিল্লিতে শুরু হবে নভেম্বর মাসে। এখানে ৬৫০টি গাড়ি ও তাদের মালিক-চালকরা অংশ নেবেন। এই পাইলট প্রকল্পটি সফল হলে ডিসেম্বর মাসেই এই পরিষেবাটি চালু করা হবে পুরোদমে। কর্তৃপক্ষের মতে, প্রাথমিক জাতীয় পর্যায়ে মোট ৫ হাজার পুরুষ ও মহিলা চালক অংশগ্রহণ করবেন। পরবর্তী এক বছরের মধ্যে এই পরিষেবা ধীরে ধীরে মুম্বই, পুনে, ভোপাল, লখনউ এবং জয়পুর-সহ ২০টি শহরে সম্প্রসারিত হবে।

    ২০২৬ সালের মার্চ মাসের মধ্যে সরকার বেশ কয়েকটি মহানগরে ভারত ট্যাক্সির যাত্রা সূচনার লক্ষ্য নিয়েছে। ২০৩০ সালের মধ্যে এই প্ল্যাটফর্মে প্রায় ১ লক্ষ চালক যুক্ত হবেন বলে আশা করা হচ্ছে। এই পরিষেবার সুযোগ (Ola Uber) মিলবে জেলা সদর ও গ্রামীণ এলাকাগুলিতেও। ভারত ট্যাক্সি একটি সমবায় উদ্যোগ হিসেবে পরিচালিত হবে, কোনও বেসরকারি মালিকানাধীন কোম্পানি হিসেবে নয়। এই প্ল্যাটফর্মটি সহকার ট্যাক্সি কো-অপারেটিভ লিমিটেড দ্বারা পরিচালিত হবে, যা ২০২৫ সালের জুন মাসে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ৩০০ কোটি টাকার প্রাথমিক মূলধন নিয়ে (Bharat Taxi)।

     

  • Daily Horoscope 27 October 2025: ব্যবসায় তেমন লাভ হবে না এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 27 October 2025: ব্যবসায় তেমন লাভ হবে না এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) সকালের দিকে দাম্পত্য কলহের কারণে মানসিক চাপ বাড়তে পারে।

    ২) কোনও আধ্যাত্মিক কাজে যোগ দিতে হতে পারে।

    ৩) পুরনো বন্ধুর সঙ্গে দেখা হতে পারে।

    বৃষ

    ১) বিদেশযাত্রার জন্য আলোচনার সম্ভাবনা রয়েছে।

    ২) অতিরিক্ত ক্রোধের জন্য হাতে আসা কাজ নষ্ট হতে পারে।

    ৩) ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে দিনটি।

    মিথুন

    ১) অভিনেতাদের জন্য ভালো সুযোগ আসতে পারে।

    ২) প্রেমের বিষয়ে খুব ভেবেচিন্তে পা বাড়ানো উচিত।

    ৩) সবাই আপনার প্রশংসা করবে।

    কর্কট

    ১) সারা দিন কোনও ভয় আপনাকে চিন্তায় ফেলতে পারে।

    ২) স্ত্রীর সুবাদে কোনও বিশেষ কাজের সুযোগ পাবেন।

    ৩) ধৈর্য ধরতে হবে।

    সিংহ

    ১) বেকারদের নতুন কিছু করার চেষ্টা বাড়তে পারে।

    ২) মাতৃস্থানীয়া কারও সঙ্গে মতবিরোধ হতে পারে।

    ৩) বাণীতে সংযম রাখুন।

    কন্যা

    ১) মানসিক কষ্ট বাড়তে পারে।

    ২) কোনও ভালো জিনিস নষ্ট হওয়ার যোগ।

    ৩) দুশ্চিন্তা বাড়বে।

    তুলা

    ১) অপরকে সুখী করতে গেলে স্বার্থত্যাগ করতে হবে।

    ২) অভিজ্ঞ ব্যক্তির পরামর্শে আইনি সুরক্ষা পেতে পারেন।

    ৩) কর্মক্ষেত্রে বাধা।

    বৃশ্চিক

    ১) কোনও নামী ব্যক্তির সঙ্গে পরিচয়ে লাভবান হতে পারেন।

    ২) ধর্ম বিষয়ক আলোচনায় সুনাম বৃদ্ধি পাবে।

    ৩) সবাইকে বিশ্বাস করবেন না।

    ধনু

    ১) সম্মান নিয়ে চিন্তা বাড়তে পারে।

    ২) কর্মক্ষেত্রে দায়িত্ব পালন নিয়ে ঝামেলা বাধতে পারে।

    ৩) ডাক্তারের কাছে যেতে হতে পারে।

    মকর

    ১) সঞ্চয়ের ইচ্ছা খুব বাড়তে পারে।

    ২) সকলের সঙ্গে কথা খুব বুঝে বলবেন।

    ৩) আধ্যাত্মিকতায় মনোনিবেশ করুন।

    কুম্ভ

    ১) ব্যবসায় তেমন লাভ হবে না।

    ২) অর্থক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

    ৩) কর্মক্ষেত্রে বাধা।

    মীন

    ১) চাকরির ক্ষেত্রে দিনটি খুব ভালো।

    ২) সন্তানদের বিষয়ে উদ্বেগ থাকবে।

    ৩) ভেবেচিন্তে কথা বলুন।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • Hindus Under Attack: দেশ-বিদেশে হিন্দু ‘নির্যাতন’ অব্যাহত, কেমন কাটল এই সপ্তাহটা?

    Hindus Under Attack: দেশ-বিদেশে হিন্দু ‘নির্যাতন’ অব্যাহত, কেমন কাটল এই সপ্তাহটা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশ তো বটেই, বিদেশেও হিন্দু এবং হিন্দু ধর্মের ওপর আক্রমণ (Hindus Under Attack) অব্যাহত। বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে এই নিপীড়ন ধীরে ধীরে এক ধরনের গণহত্যার রূপ নিচ্ছে। দশকের পর দশক ধরে বিশ্ব এই সব আক্রমণের গভীরতা ও ব্যাপ্তিকে উপেক্ষা করেছে (Roundup Week)। কারণ এর পেছনে রয়েছে ভয়াবহ হিন্দু-বিদ্বেষমূলক মানসিকতা। খুন, জোরপূর্বক ধর্মান্তর, জমি দখল, ধর্মীয় উৎসবের শোভাযাত্রায় আক্রমণ, মন্দির-মূর্তি ভাঙচুর, বিদ্বেষমূলক বক্তব্য, যৌন হিংসা থেকে শুরু করে প্রাতিষ্ঠানিক ও আইনি বৈষম্য পর্যন্ত সব ক্ষেত্রেই হিন্দুরা এখন তাদের অস্তিত্বের ওপর ক্রমবর্ধমান আক্রমণ ও অভূতপূর্ব হিন্দু-বিদ্বেষের মুখোমুখি। এক ঝলকে দেখে নেওয়া যাক গত ১৯ অক্টোবর থেকে এই মাসেরই ২৬ তারিখ পর্যন্ত কী কী ঘটনা ঘটেছে ভারত এবং ভারতের বাইরে (Roundup Week)।

    কেরলের ছবি (Hindus Under Attack)

    প্রথমে দেখে নেওয়া যাক ভারতের ছবিটা। কেরলের কমিউনিস্টরা মুসলমান ও খ্রিষ্টানদের মধ্যে ঘটে যাওয়া হিজাব বিতর্কের জন্য হিন্দুত্বকেই দায়ী করেছেন। কোচির সেন্ট রিটা পাবলিক স্কুলের এক মুসলিম ছাত্রী খ্রিষ্টান-পরিচালিত প্রতিষ্ঠানটিতে হিজাব পরার অধিকার দাবি করে। স্কুল কর্তৃপক্ষ হাইকোর্টের অন্তর্বর্তী আদেশ এবং পুলিশি সুরক্ষার সহায়তায় জানায়, স্কুলের ইউনিফর্ম সবার ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই শিক্ষামন্ত্রী তথা সিপিআই(এম)-এর নেতা ভি শিবনকুট্টি স্কুল কর্তৃপক্ষকে হিজাব পরার অনুমতি দেওয়ার নির্দেশ দেন। এই ঘটনায় অকারণে হিন্দুদের টেনে আনা হয়। সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব দীপাবলি উৎসব প্রসঙ্গে বলেন, “দীপাবলিতে প্রদীপ জ্বালানোর জন্য অর্থের অপব্যয় করা উচিত নয়।” কেরলের বিখ্যাত গুরুভায়ুর মন্দিরের অডিটে এর সম্পদ ব্যবস্থাপনায় চরম অনিয়ম ধরা পড়েছে। এটি রাজ্যের কমিউনিস্ট শাসনের অধীনে মন্দির-অব্যবস্থাপনার দীর্ঘ ইতিহাসে নতুন অধ্যায় যোগ করেছে। অডিটে প্রকাশ, মন্দিরে ভক্তদের দান করা সোনা, হাতির দাঁত, জাফরান ও রান্নার সামগ্রী-সহ বিভিন্ন মূল্যবান দ্রব্যের খোঁজ মিলছে না। ডিউড” চলচ্চিত্রের পরিচালক কীর্তিশ্বরণ প্রকাশ্যে ঘোষণা করেছেন যে তিনি ইভি রামস্বামী নাইক্কারের আদর্শে প্রাণিত। তিনি এমন এক চলচ্চিত্র বানিয়েছেন যা বিয়ের পবিত্রতাকে উপহাস করে, পরকীয়াকে রোমান্টিকভাবে উপস্থাপন করে, এবং নৈতিক অবক্ষয়কে মূল্যবোধ হিসেবে দেখায় (Roundup Week)।

    জম্মু-কাশ্মীরের চিত্র

    জম্মু-কাশ্মীরের আখনূর এলাকায় জোরিয়ানের ১৬ বছর বয়সী এক হিন্দু কিশোরী পালিয়ে যায় এক ছেলের সঙ্গে। তার পরিবারের দাবি, এটি প্রলোভন ও মগজধোলাইয়ের ফল। ঘটনাটি ভারতজুড়ে তথাকথিত গ্রুমিং ও ধর্মান্তর র‌্যাকেট নিয়ে নতুন করে বিতর্কের সূচনা (Hindus Under Attack) করেছে। বেঙ্গালুরুর হেন্নুরের দোদ্দারামান্না লেআউট এলাকায় দীপাবলির রাতে (Hindus Under Attack) ইসলামি উগ্রবাদীদের ধর্মীয় অসহিষ্ণুতার কারণে ভয়াবহ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আতশবাজি পোড়ানো নিয়ে শুরু হওয়া ঝগড়ার পর পাঁচ মুসলিম যুবক দা ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে এলাকায় ফিরে এসে স্থানীয়দের হুমকি দেয় এবং আতঙ্ক সৃষ্টি করে। তার পরেই শুরু হয় সংঘাত।

    নমাজ আদায়ে বিতর্ক

    পুনের শনি‌ওয়ার ওয়াদায় একটি বিতর্কের সূত্রপাত হয়, যখন একটি ভিডিওতে দেখা যায় কিছু মুসলিম নারী ঐতিহাসিক ও প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ কর্তৃক সংরক্ষিত ওই কাঠামোর ভেতরে নমাজ আদায় করছেন। এই ঘটনার জেরে শুরু হয় প্রতিবাদ। পুলিশের কাছে দায়ের করা হয় অভিযোগ। রাজ্যসভার সাংসদ বিজেপির মেধা কুলকার্নি এই প্রতিবাদের নেতৃত্ব দেন। তিনি গোমূত্র ছিটিয়ে শুদ্ধিকরণ অনুষ্ঠান এবং শিব বন্দনা করেন। তাঁর দাবি, এই নমাজ আদায় অপমানজনক। সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত (Roundup Week)।

    বিপাকে তৃণমূলের মহুয়া মৈত্র

    এদিকে, ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছেন (Hindus Under Attack) সাংসদ তৃণমূলের মহুয়া মৈত্র। তিনি এক শ্বেতাঙ্গের ভারতীয় এবং তাঁদের সংস্কৃতি সম্পর্কে অবমাননাকর মন্তব্যকে সমর্থন করেছেন বলে অভিযোগ। বিতর্কের সূত্রপাত এক্স হ্যান্ডেলে বিশৃঙ্খল একটি রাস্তার ভিডিও পোস্ট করে তিনি যা লিখেছেন, তার নির্যাস হল ভারতীয়রা তাঁদের নির্বোধ দীপাবলির আবর্জনা দিয়ে পশ্চিমী দেশগুলিকে পুরো নোংরা জায়গায় পরিণত করেছে। বেঙ্গালুরুর এক নারী তাঁর সঙ্গী ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন। তাঁর দাবি, তারা তাঁকে বিয়ের জন্য ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত হতে বাধ্য করেছিলেন। মামলাটি এইচএসআর লেআউট থানায় নথিভুক্ত হয়েছে। অভিযুক্তের নাম মহম্মদ ইসহাক।

    আমেরিকার ছবি

    মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও অপমান করা হয় হিন্দুদের। দীপাবলির উৎসব চলাকালীন কিছু খ্রিস্টান চরমপন্থী এই উৎসবকে অশুভ বলে অপমান করতে থাকে। তারা অংশগ্রহণকারীদের নিন্দাও করে। তাদের অভিযোগ, ভারতীয়রা আমেরিকা ও কানাডায় বন্যপ্রাণ ধ্বংস করছে।

    প্রসঙ্গত, অধিকাংশ হেট ক্রাইম মূলত (Hindus Under Attack) কিছু ধর্মীয় শিক্ষা ও রাজনৈতিক মতাদর্শে নিহিত হিন্দু-বিরোধী ঘৃণা দ্বারা পরিচালিত হয়। ইসলামি দেশগুলিতে এই হিন্দু-বিরোধী ঘৃণার প্রকাশ সুস্পষ্ট। কিন্তু ভারতের মতো তথাকথিত ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রগুলির সরকারি প্রতিষ্ঠান ও জনপরিসরে আরও সূক্ষ্ম এক রূপের হিন্দু-বিরোধী মনোভাব দেখা যায়। এটি হিন্দুফোবিয়া ও ঘৃণাজনিত অপরাধের জন্য একটি সহায়ক পরিবেশ তৈরি করে (Roundup Week)।

LinkedIn
Share