Tag: Madhyom

Madhyom

  • BSF: নেই কাঁটাতার, তার ওপর শীতকাল! অনুপ্রবেশ রুখতে বাংলাদেশ সীমান্তে কড়া নজর বিএসএফের

    BSF: নেই কাঁটাতার, তার ওপর শীতকাল! অনুপ্রবেশ রুখতে বাংলাদেশ সীমান্তে কড়া নজর বিএসএফের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বাধীনতার সময় থেকে শুরু। একঝাঁক হিন্দু চলে এসেছিল এই দেশে। কিন্তু এখানেই শেষ নয়, ১৯৭১ তপ্ত সময়ে কাঁটাতারের বেড়া টপকে বহু অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটেছে ভারতে। অগাস্ট মাসে শেখ হাসিনার দেশ ছাড়ার পরেই ফের অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে বাংলাদেশ। তারপরেই বাড়ে অনুপ্রবেশের ঘটনাও। যা সম্প্রতি সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারির পরে আবার নতুন করে ভাবাচ্ছে সরকারকে। বাংলাদেশ থেকে ভারতে অনুপ্রবেশের সমস্যা, কেবল কোনও ঘটনাকেন্দ্রিক নয়। এই সমস্যা সারা বছরের। গোটা বছরেই সেনাকে ফাঁকি দিয়ে, জঙ্গল-জল পেরিয়ে ওপার বাংলা থেকে এপার বাংলায় চলে আসে বহু মানুষ। ভারত-বাংলাদেশের সীমান্ত রক্ষার দায়িত্ব বিএসএফ-এর (BSF) কাঁধে। তাহলে কেন বার বার সীমান্ত পেরিয়ে এদেশে ঢুকে পড়ছে বাংলাদেশিরা? কী ভাবে, কোন পথেই বা ঘটছে অনুপ্রবেশ?

    কোথা দিয়ে কীভাবে ঘটে অনুপ্রবেশ? (BSF)

    ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের (Bangladesh) যতটা সীমান্ত এলাকা রয়েছে, তার অনেকটাই পড়ে পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে। পশ্চিমবঙ্গে মূলত রয়েছে উত্তরবঙ্গ ফ্রন্টিয়ার, দক্ষিণবঙ্গ ফ্রন্টিয়ার (BSF) এবং খানিকটা অংশ পড়ে গুয়াহাটি ফ্রন্টিয়ারের আওতায়। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অনুপ্রবেশের একটা বড় কারণ হল বিশাল অংশের অরক্ষিত সীমান্ত। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া থাকলেও, অনেকটা বড় অংশেই নেই কোনও বেড়াজাল। যেখান দিয়ে অনায়াসে রাতের অন্ধকারে ঘটে অনুপ্রবেশের ঘটনা।

    আরও পড়ুন: চালিয়ে খেলছে শীত! কলকাতায় ১৩ ডিগ্রির ঘরে পারদ, বঙ্গে তাপমাত্রা নামল ১০-এর নিচে

    কতটা এলাকা কাঁটাতারহীন রয়েছে?

    সরকারি তথ্য বলছে উত্তরবঙ্গ এবং দক্ষিণবঙ্গ ফ্রন্টিয়ারের (BSF) অধীনে বাংলাদেশ সীমান্ত ২ হাজার ২১৭ কিলোমিটার দীর্ঘ। এর মধ্যে দক্ষিণবঙ্গ ফ্রন্টিয়ারের অধীনে স্থল সীমান্ত রয়েছে ৯১৩.৩২৪ কিলোমিটার এবং জলসীমান্ত আছে ৩৬৩.৯৩০ কিলোমিটার। তার মধ্যে ৫৩৮ কিলোমিটার এলাকায় কোনও কাঁটাতার নেই। অন্যদিকে, উত্তরবঙ্গ ফ্রন্টিয়ারের অধীনে স্থলসীমান্ত রয়েছে ৯৩৬.৭০৩ কিলোমিটার। এর মধ্যে ৩৭৫ কিলোমিটার অংশই কাঁটাতারহীন। গুয়াহাটি ফ্রন্টিয়ার অধীনস্থ কোচবিহারে ১৭৭ কিমি সীমান্ত রয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ১১০ কিলোমিটার স্থল সীমান্ত এবং প্রায় ৬৭ কিলোমিটার জল সীমান্ত। কোচবিহারে প্রায় ৫০ কিলোমিটার সীমান্ত কাঁটাতারহীন জায়গা। অর্থাৎ প্রায় ৯৬৩ কিলোমিটার অংশই কাঁটাতার বিহীন অবস্থায় পড়ে রয়েছে। এই ফাঁক গলেই প্রতিদিন ভারতে ঢুকে পড়ছে অনুপ্রবেশকারীরা। সরকারি তথ্য বলছে বিএসএফের দক্ষিণবঙ্গ ফ্রন্টিয়ারের অধীনস্থ এলাক.ধরা পড়েছে ১২২০ জন। ২০২৪ সালে সেই সংখ্যা বেড়েছে। বিশেষ করে গত দুই থেকে আড়াই মাসের মধ্যে সংখ্যাটা আরও বেড়ে গিয়েছে বলেই দাবি বিএসএফের।

    কী ভাবে ঘটে অনুপ্রবেশ?

    সীমান্ত লাগোয়া বাসিন্দাদের দাবি, অরক্ষিত সীমান্ত (BSF) দিয়ে চলে অনুপ্রবেশ। রাতের অন্ধকারে যখন কুয়াশার চাদরে দৃশ্যমানতা কমে আসে, তখন জল পথে ভারতে প্রবেশ করে অনুপ্রবেশকারীরা। ভারতের ভূখণ্ডে উঠেই জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে চোরা পথে চলে যায় নিজেদের গন্তব্যে। কাছেই আছে বড় রাস্তা। তাই পালানো হয়ে ওঠে আরও সহজ। কোথাও রয়েছে পর্যাপ্ত নজরদারির অভাব তো কোথাও আবার পুলিশকে ঘুষ দিয়ে পগারপার হয় অনুপ্রবেশকারীরা। মূলত এই কারণেই শীতকালকে ব্যবহার করেন অনুপ্রবেশকারীরা। তা ছাড়া শীতের শুরুতে জলসীমান্তের নদীগুলিতেও জলস্তর নামতে থাকে। প্রায় শুকিয়ে যাওয়া নদীপথ পেরিয়ে নদীপারের ঘন জঙ্গলের মধ্য দিয়েও ভারতে প্রবেশ করেন অনেকে।

    কোন কোন এলাকা দিয়ে অনুপ্রবেশ?

    উত্তরবঙ্গের মহানন্দা আর দক্ষিণবঙ্গের জলঙ্গি ও ইছামতী নদীকে অনুপ্রবেশের ‘হটস্পট’ বলেও চিহ্নিত করেছেন বিএসএফ (BSF) কর্তারা। গ্রামবাসীরা জানাচ্ছেন প্রায়ই রাতে চলে এই অনুপ্রবেশ। মালদা সীমান্ত এলাকার কাছাকাছি বাংলাদেশের ভোলাহাট, শিবগঞ্জ, চাঁপাই, যশোর, নবাবগঞ্জের মতো এলাকা থেকেই ভারতের হয়ে হবিবপুর হয়ে নিয়মিত চলে অনুপ্রবেশ। তেমনই দক্ষিণবঙ্গে দক্ষিণ ২৪ পরগনা এলাকাতে ইচ্ছামতী নদীর অংশের ব্যপারটাও অনেকটা একইরকম। কেউ কেউ বলছেন পরে আবার স্থানীয় নেতা-মন্ত্রীকে ঘুষ দিয়ে করে নিচ্ছে জাল পরিচয় পত্র থেকে ঘরবাড়িও।

    সক্রিয় দালালচক্র!

    গোয়েন্দা সূত্রে খবর, অনুপ্রবেশের ক্ষেত্রে দু’দেশের ‘দালাল’দেরও বিশেষ ভূমিকা থাকে। সে দেশের পুলিশের নজর এড়িয়ে বাংলাদেশি নাগরিকদের সীমান্তের গন্তব্যে পৌঁছে দেন ও পারের দালালরা। এর পর ওয়াকিটকির মাধ্যমে এ পারের দালালদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তাঁদেরই সহায়তায় ‘নো ম্যানস ল্যান্ড’ থেকে অরক্ষিত সীমান্ত এবং জঙ্গলঘেরা নদীপথ দিয়ে অবৈধভাবে বাংলায় প্রবেশ করেন বাংলাদেশি নাগরিকরা। অনুপ্রবেশের পর মূলত দালালচক্রই অর্থের বিনিময়ে আধার, ভোটার এবং প্যান কার্ড বানিয়ে দেন বাংলাদেশি নাগরিকদের।

    কী বলছে বিএসএফ?

    বিএসএফ-(BSF) এর উত্তরবঙ্গ ফ্রন্টিয়ারের ইনস্পেক্টর সূর্যকান্ত বলেন, “ফাঁসিদেওয়ার আশেপাশে অনেক কাঁটাতারহীন এলাকায় ইতিমধ্যেই কাঁটাতার বসানো হয়ে গিয়েছে। বাকি অংশেও বসানোর কাজ চলছে। বড় বড় ফাঁকা অংশেও ফেন্সিং-এর কাজ চলছে।” জানা গিয়েছে, অনুপ্রবেশকারীদের প্রতিরোধ করার জন্য প্রহরা আরও আঁটসাঁট করা হয়েছে। নজরদারি চালানো হচ্ছে থার্মাল ক্যামেরা, নাইট ভিশন ক্যামেরা, সিসি ক্যামেরা এবং ড্রোনের মাধ্যমে। সীমান্তে পারাপারের জায়গায় বসানো হয়েছে বায়োমেট্রিক মেশিন। বসানো হয়েছে অ্যালার্ম। বিএসএফের এক কর্তা বলেন, “সীমান্তে টানা নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। তবে অগাস্টের পর থেকে ও পার থেকে সংখ্যালঘুদের এ পারে আসার প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। এ নিয়ে বিজিবি (বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ)-র সঙ্গে আলোচনা করে ওই সমস্ত সমস্যা মেটানো হচ্ছে। আর ফেন্সিং (কাঁটাতার)-এর জন্য জমি অধিগ্রহণে রাজ্য সরকারেরও ভাল সহযোগিতা পাওয়া যাচ্ছে। ফ্রন্টিয়ারের অধীনে থাকা মোট সীমান্তের ১০ শতাংশে ফেন্সিং নেই। খুব শীঘ্রই সেই জায়গাগুলোতে ফেন্সিং লাগানো হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Crisis: নিশানায় হিন্দু পুলিশ অফিসাররাও, সংখ্যালঘু পুলিশকর্তাদের বিরুদ্ধে একাধিক খুনের মামলা!

    Bangladesh Crisis: নিশানায় হিন্দু পুলিশ অফিসাররাও, সংখ্যালঘু পুলিশকর্তাদের বিরুদ্ধে একাধিক খুনের মামলা!

    হাসিনা সরকারকে উৎখাত করার পর থেকেই অশান্ত বাংলাদেশ। মন্দির ভাঙচুর, আগুন, মারধর, খুন-সবেতেই টার্গেট সংখ্যালঘু হিন্দু। শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পাওয়া ইউনূসের কঙ্কালসার চেহারাটা এখন গোটা বিশ্বের কাছে পরিষ্কার। ইসকনের সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতারের পর গোটা বিশ্ব জেনে গিয়েছে, কী ভয়াবহ এবং আতঙ্কের পরিবেশ সেখানে। শুধু কি সাধারণ নিরীহ হিন্দু বা হিন্দুদের মন্দির? না, বেছে বেছে কাঠগড়ায় তুলে চরম শাস্তি দেওয়া হয়েছে আওয়ামি লিগপন্থী জনপ্রতিনিধি, পুলিশ অফিসার থেকে শুরু করে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের পদস্থ কর্তাদেরও। কীভাবে বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর নিপীড়ন চলছে, কীভাবে একের পর এক সরকারি অফিসার বা জনপ্রতিনিধির ওপর শাস্তির খাঁড়া নেমে আসছে, তা নিয়েই আমাদের ধারাবাহিক প্রতিবেদন। আজ দ্বিতীয় পর্ব।

    অশান্ত বাংলাদেশ: টার্গেট হিন্দু-২

     

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে সরকার (Bangladesh Crisis) পরিবর্তনের পর কীভাবে মন্ত্রী এবং জনপ্রতিনিধিদের ওপর দমন-পীড়ন চালানো হয়েছে, তার বিশদ বিবরণ আমরা প্রথম পর্বে দিয়েছি। কিন্তু সেখানেই শেষ নয়, এই পর্বে আমরা দেখব, কীভাবে সংখ্যালঘু পুলিশ কর্মকর্তাদেরও করুণ পরিণতির সম্মুখীন হতে হয়েছে। দুর্নীতি দমনের নামে অনেককেই আইনি নিপীড়নের মুখোমুখি হতে হয়। একের পর এক অপসারণ করা হয় সংখ্যালঘু পুলিশ অফিসারদের (Minority Police Officers)। যাদের স্বচ্ছ্বতায় কোনওভাবেই দাগ লাগানো যায়নি, তাদেরকে বলপূর্বক অবসরগ্রহণে বাধ্য করা হয়। বেশ কয়েকজন অফিসারকে বদলি করা হয়। আটকে দেওয়া হয় পদোন্নতি। বাদ যায়নি প্রশিক্ষণরত পুলিশ ক্যাডেটরাও। 

    হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে একের পর এক মামলা

    গত ৩০ অগাস্ট ঢাকা মহানগর দায়রা আদালতে বিপ্লবকুমার সরকার নামে এক পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়। ঝিনাইদহে একদা সহকারী পুলিশ সুপার গোপীনাথ কঞ্জিলাল-সহ আরও একাধিক পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ২০১৪ ও ২০১৬ সালে চট্টগ্রাম ছাত্রদল নেতা ইসলাম ও ছাত্রশিবির নেতা ইবনুল ইসলামের হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ আনা হয়। একই মামলায় সংখ্যালঘু পুলিশ কর্মকর্তা ইজ্জাল মিত্রের নামও আনা হয়েছে। এর পাশাপাশি, ১৯ জুলাই অনুষ্ঠিত অ্যান্টি-কোটার আন্দোলনের সময় বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার শ্যামকুমার পালকে এক ফল বিক্রেতা মিরাজুল ইসলামের হত্যাকাণ্ডে জড়িত হওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়। নাজ খাতুন নামে এক মহিলা ২০১৬ সালে তার স্বামীর অপহরণের ঘটনায় সাতজন পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। এই অভিযোগে আব-৫ রেলওয়ে কলোনি ক্যাম্পের পুলিশ ইন্সপেক্টর (এসআই) দেবব্রত মজুমদারকে আটক করা হয়।

    দুর্নীতি দমনের নামে নিশানা

    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবু সাইদের হত্যাকাণ্ডেও মূল অভিযুক্তদের মধ্যে একজন ছিলেন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ভুক্ত। কনস্টেবল সুজনচন্দ্র রায়কে এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়। এছাড়াও হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই দুর্নীতি দমনের নামে একাধিক সংখ্যালঘু পুলিশ অফিসারকে নিশানা করা হয়। বিশেষ করে যারা পূর্বের হাসিনা সরকারের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কিত ছিলেন। ঢাকার দৈনিকেই প্রকাশিত হয় পুলিশ কর্মকর্তাদের মধ্যে যারা অভিযুক্ত হচ্ছেন তাদের মধ্যে বেশিরভাগই হিন্দু সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ভুক্ত। এই তালিকায় রয়েছেন বাংলাদেশ পুলিশ ব্যুরোর (পিবিপি) একদা প্রধান বানজ কুমার মজুমদার, অতিরিক্ত আইজি দেবদাস ভট্টাচার্য, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের প্রাক্তন কমিশনার কৃষ্ণপদ রায়, এবং ডিআইজি বিপ্লবকুমার তালুকদার ও জয়দেবকুমার ভদ্রা সহ আরও অনেক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা।

    বলপ্রয়োগে অবসরগ্রহণ

    বেশি সংখ্যক সংখ্যালঘু পুলিশ কর্মকর্তাদের বলপ্রয়োগ করে অবসরগ্রহণ করতে বাধ্য করা হয়। এই তালিকায় রয়েছেন আইজি কৃষ্ণপদ রায়, আইজি দেবদাস ভট্টাচার্য। এই অবসরগ্রহণের ঘটনা একটি পরিকল্পিত প্রচেষ্টার অংশ, যার মাধ্যমে সংখ্যালঘু কর্মকর্তাদের প্রতিষ্ঠান থেকে পক্ষপাতমূলকভাবে বাদ দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ।

    বদলি করা হয় সংখ্যালঘু পুলিশ আধিকারিকদের

    অস্থায়ী সরকার পুলিশের প্রশাসনে ব্যাপক স্থানান্তরের উদ্যোগ গ্রহণ করে। এখানেও শিকার হন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের কর্মকর্তারা। অনেক পুলিশ কর্মকর্তাকে কম প্রভাবশালী পদে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। ফলে তাদের কার্যকরী ভূমিকা হ্রাস পেয়েছে। স্থানান্তরিত কর্মকর্তাদের মধ্যে ছিলেন ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল (DIG) বিপ্লববিজয় তালুকদার এবং ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (DMP) যুগ্ম কমিশনার সুদীপকুমার চক্রবর্তী। ছিলেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের যুগ্ম কমিশনার লিটনকুমার সাহা, ডিএমপি ঢাকা জেলার ডেপুটি পুলিশ কমিশনার মনাসকুমার পোদ্দার, ঢাকার জামনা পুলিশ স্টেশন ইনচার্জ সিপি কল্পাল বারুয়া, শাহজাহানপুর পুলিশ স্টেশনের ইনচার্জ সিএস উজ্জ্বলকুমার সাহা, মোহাম্মদপুর পুলিশ স্টেশনের ইনচার্জ সিপি দীপকচন্দ্র সাহা, এবং সবুজবাগ পুলিশ স্টেশনের ইনচার্জ সিপি প্রবলয়কুমার সাহা।

    আরও পড়ুন: বাংলাদেশে নির্যাতনের শিকার আওয়ামি লিগের সংখ্যালঘু নেতা-মন্ত্রীরাও! ইউনূসের রোষে দিন কাটছে জেলে

    পদোন্নতিতে সীমিত প্রতিনিধিত্ব

    অস্থায়ী সরকারের অধীনে পুলিশের পদোন্নতি প্রক্রিয়া আরও একবার সংখ্যালঘু কর্মকর্তাদের প্রতি বৈষম্যের চিত্র তুলে ধরেছে। পুলিশ সুপার এবং ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল পদে অনেকেই পদোন্নতি পেলেও, সংখ্যালঘু সম্প্রদায় থেকে শুধুমাত্র দুজন কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। প্রাত্যুশকুমার মজুমদারকে পুলিশ সুপার এবং প্রবলয় চিশিমকে ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল পদে উন্নীত করা হয়। এই বৈষম্যমূলক পদোন্নতির ঘটনা পুলিশ বাহিনীতে সংখ্যালঘুদের প্রভাব কমানোর জন্য একটি পরিকল্পিত পদক্ষেপ হিসেবে অনেকে দেখছেন।

    প্রশিক্ষণরত পুলিশ ক্যাডেটদের বরখাস্ত

    অস্থায়ী সরকার সম্প্রতি সারদা পুলিশ অ্যাকাডেমির ৪০তম ক্যাডেট ব্যাচের ২৫২ জন ট্রেইনি সাব-ইন্সপেক্টরকে (এসআই) এক মাসের মধ্যে তাদের প্রশিক্ষণ শেষ করার আগেই বরখাস্ত করেছে। সরকারি ভাবে, এসব বরখাস্তকে শৃঙ্খলাভঙ্গের জন্য দেখানো হলেও, এর পিছনে চক্রান্ত রয়েছে বলে দাবি আওয়ামি লিগের। এর মধ্যে ৯০ জন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের।

    এ তো গেল পুলিশের কথা। বাদ যাননি প্রশাসনের নানা গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা কর্মকর্তারাও। তাঁদের ওপরও নানা ভাবে আইনি পথে ঘুরিয়ে নির্যাতন চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ। পরের তৃতীয় পর্বে তা নিয়েই আমরা বিশদে আলোচলা করব।   (……ক্রমশ )

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Supreme Court: ডিভোর্স মামলায় খোরপোশ নির্ধারণে ৮ দফা গাইডলাইন, বড় নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

    Supreme Court: ডিভোর্স মামলায় খোরপোশ নির্ধারণে ৮ দফা গাইডলাইন, বড় নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বেঙ্গালুরুর ইঞ্জিনিয়র অতুল সুভাষের আত্মহত্যার ঘটনায় (Bengaluru Techie Suicide) তোলপাড় দেশ। এই আবহেই এবার বিবাহ বিচ্ছেদর পর খোরপোশ (Alimony Amount) বাবদ কত টাকা পাওয়া উচিত, সে বিষয়ে আট দফা গাইড লাইন দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)।  

    ইঞ্জিনিয়ারের সুইসাইড নোটে তোলপাড় দেশ

    আত্মহত্যার আগে ২৪ পাতার সুইসাইড নোটে অতুল অভিযোগ করে যান যে, টাকা হাতানোর জন্য একাধিক মিথ্যে মামলা করেছিল তাঁর স্ত্রী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন। বিচার ব্যবস্থাকেও দুষেছেন তিনি। মৃত্যুর আগে (Bengaluru Techie Suicide) তাঁর রেকর্ড করা শেষ ভিডিওতে নিজের মানসিক নির্যাতনের কথা প্রকাশ করেন ওই ইঞ্জিনিয়ার। তরুণের পরিবারের অভিযোগ, তাঁর বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। সেই ঘটনার আবহে, বুধবারই শীর্ষ আদালত (Supreme Court) মহিলাদের বিরুদ্ধে নিষ্ঠুরতা সংক্রান্ত আইনের ৪৯৮(এ) ধারার অপব্যবহার নিয়ে সতর্ক করে।

    সেই ঘটনার রেশ মেলানোর আগেই নয়া নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের। বিবাহ বিচ্ছেদ মামলায় ভরণপোষণের (Alimony Amount) নির্দেশ দেওয়ার সময় সন্তানের রক্ষণাবেক্ষণ ও যত্ন নেওয়ার জন্য বাবার দায়িত্বের ওপরও বেশি জোর দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। শীর্ষ আদালত অন্যান্য সমস্ত আদালতকে এই নির্দেশিকা অনুসরণ করার পরামর্শ দিয়েছে।

    ৫ কোটি টাকা দেওয়ার নির্দেশ (Supreme Court)

    ক্ষতিপূরণের আর্থিক পরিমাণ কী হবে, তা নির্ধারণ করার জন্য কতগুলি বিষয়ের ওপর জোর দিয়েছে শীর্ষ আদালত। যদিও, একটি বিবাহ বিচ্ছেদ মামলার রায়ে স্ত্রীকে এককালীন ভরণপোষণের জন্য ৫ কোটি টাকা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। পাশাপাশি এই নির্দেশ দেওয়ার সময় বিবাহবিচ্ছিন্ন দম্পতির বড় ছেলের ভরণপোষণ ও আর্থিক নিরাপত্তার জন্য এক কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথাও বলেছে।

    ৮ ফ্যাক্টর

    আদালতে শুনানি হচ্ছিল প্রবীণ কুমার জৈন ও অঞ্জু জৈন নামে এক দম্পতির বিবাহ বিচ্ছেদের মামলার। এই মামলায় বিচারপতি বিক্রম নাথ ও বিচারপতি প্রসন্ন ভি বরালের ডিভিশন বেঞ্চ আটটি ফ্যাক্টর বিবেচনার নির্দেশ দেয়। এগুলি হল, বাদী ও বিবাদী দুপক্ষের সমাজিক ও আর্থিক অবস্থা, স্ত্রী ও নির্ভরশীল সন্তানদের যুক্তিসঙ্গত চাহিদা। বাদী ও বিবাদীর স্বতন্ত্র যোগ্যতা, কর্মসংস্থানের অবস্থা (Supreme Court)। দুজনের আয়, আবেদনকারীর মালিকানাধীন সম্পত্তি ও সম্পদ, বিয়ের পর স্ত্রী যে জীবন কাটিয়েছে, তার মান। পারিবারিক দায়িত্বের জন্য যে কোনও কর্মসংস্থান ছেড়ে আসা। স্ত্রীর মামলা চালানোর খরচ এবং স্বামীর আর্থিক সামর্থ্য, তাঁর আয়, ভরণপোষণের বাধ্যবাধকতা ও দায়।

    আরও পড়ুন: এনআরসির আবেদন না করলে, বাতিল হবে আধার কার্ডের আবেদন, বড় সিদ্ধান্ত হিমন্তর

    বিচ্ছেদ মামলার রায় ঘোষণার সময় বেঞ্চ জোর দিয়ে বলেছে, এই দম্পতি বিয়ের পর ছ’বছর একসঙ্গে বসবাস করেছিলেন। পরবর্তী ২০ বছর আলাদা জীবনযাপন করেছেন। তাঁদের বিবাহে অসামঞ্জস্যতা ও তিক্ত সম্পর্কের অভিযোগ ওঠে। প্রবীণের অভিযোগ, অঞ্জু অত্যন্ত সংবেদনশীল এবং তাঁর পরিবারকে উপেক্ষা করতেন। অঞ্জুর অভিযোগ, প্রবীণের আচরণ তাঁর প্রতি ভালো ছিল না। এত দীর্ঘ সময় আলাদা থাকায় এই দম্পতি তাঁদের বৈবাহিক দায়িত্ব (Alimony Amount) পালনের কোনও সুযোগ পাননি (Supreme Court)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh: শিল্পে ধাক্কা, কর্মসংস্থান শূন্য, বিপুল রাজস্ব ঘাটতি, নজর ঘোরাতেই কি ইউনূস সরকারের ভারত-বিদ্বেষ?

    Bangladesh: শিল্পে ধাক্কা, কর্মসংস্থান শূন্য, বিপুল রাজস্ব ঘাটতি, নজর ঘোরাতেই কি ইউনূস সরকারের ভারত-বিদ্বেষ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাসিনা সরকারে পতনের পর দেশে পরিবর্তন আনতে নতুন ইউনূস সরকার ক্ষমতা দখল করেছে। আর এই তদারকি সরকার আসার পর থেকে অশান্ত বাংলাদেশ (Bangladesh)। নতুন কোনও উন্নয়নমূলক প্রকল্প নিয়ে পরিকল্পনার কথা শোনাতে পারেনি এই সরকার। বরং, এই চারমাসে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম হু-হু করে বাড়ছে। যে বস্ত্র শিল্পের ওপর ভিত্তি করে এই দেশের অর্থনীতি দাঁড়িয়ে থাকে, সেই শিল্প এখন কার্যত মুখ থুবড়ে পড়েছে। এর পাশাপাশি মহম্মদ ইউনূস সরকারের আমলে বাংলাদেশে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব ঘাটতি। তাই, দেশের অর্থনৈতিক দুরবস্থা থেকে সাধারণ মানুষের নজর ঘোরাতেই কি তোলা হল ভারত-বিদ্বেষের জিগির? উঠছে প্রশ্ন।

    রাজস্ব ঘাটতির পরিমাণ ৩১ হাজার কোটি টাকা (Bangladesh)

    বাংলাদেশের (Bangladesh) সংবাদপত্র ‘কালের কণ্ঠ’ সূত্রে খবর, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের তথ্য বলছে, অর্থবর্ষের চার মাসেই রাজস্ব আয়ে টানাটানি চলছে। ঘাটতি ছাড়িয়েছে প্রায় ৩১ হাজার কোটি টাকা। মোট রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য ছিল ১ লক্ষ ৩২ হাজার ১১২ কোটি টাকা। আদায় হয়েছে ১ লক্ষ ১ হাজার ৩৪৪ কোটি টাকা। এই সময়ে আমদানি শুল্ক, ভ্যাট ও আয়কর-এই তিন খাতের কোনওটিতেই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়নি। উল্টে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে রাজস্ব আদায় কমেছে। এর মধ্যে সবথেকে বেশি ঘাটতি হয়েছে আয়কর খাতে। চার মাসে ঘাটতির পরিমাণ প্রায় সাড়ে ১৩ হাজার কোটি টাকা। এই খাতে আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪৫ হাজার ২৪২ কোটি টাকা। আয়কর খাতে আদায় হয়েছে ৩২ হাজার ৪৮৯ কোটি টাকা। এই বিপুল পরিমাণ ঘাটতির কারণ, বাংলাদেশে কর্মসংস্থানই তৈরি হয়নি। আমদানি খাতে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩৯ হাজার ৬৩০ কোটি টাকা, আদায় হয়েছে ৩২ হাজার ৭১৮ কোটি টাকা। এই খাতে ঘাটতি প্রায় ৭ হাজার কোটি টাকা। ব্যবসা- বাণিজ্য কমে আসায় তার প্রভাব পড়েছে আমদানি খাতে।

     বাংলাদেশের টাকার দামে পতন

    মুদ্রাস্ফীতি বাড়ছে বাংলাদেশে। খাদ্যপণ্যের দামও চড়া। এবার আর্থিক পরিস্থিতি সামাল দিতে ৬০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ নিচ্ছে বাংলাদেশ (Bangladesh)। বুধবার এশীয় উন্নয়ন ব্যাঙ্ক সূত্রে এই ঘোষণা করা হয়েছে, এমনটাই প্রকাশিত হয়েছে বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম ‘দৈনিক ইত্তেফাক’-এ। বাংলাদেশি টাকায় এই ঋণের পরিমাণ দাঁড়াচ্ছে ৭ হাজার ১৬৭ কোটি টাকা। ঋণের টাকা বাংলাদেশের উন্নয়নে কাজে লাগানো হবে বলে জানা গিয়েছে। ৮ ডিসেম্বর থেকেই বাংলাদেশের টাকার দামে পতন ঘটেছে। নতুন হিসেবে ভারতের ১ টাকা মানে বাংলাদেশের ১ টাকা ৪১ পয়সা। আরও স্পষ্ট করে বললে, ভারতের ১০০ টাকা মানে বাংলাদেশের ১৪১ টাকা ২৬ পয়সা।

    বস্ত্রশিল্পে ধাক্কা!

    পোশাক শিল্পে বাংলাদেশ (Bangladesh) বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম, চিনের পর। বেশ কিছু বড় আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড এই দেশে পোশাক তৈরি বা সংগ্রহ করে। এসব পোশাক তারপর দেশে বড় বড় শোরুমে বিক্রি হয়। তবে দেশের চলমান অস্থিরতা এই ব্র্যান্ডগুলির ব্যবসাকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। বাংলাদেশ বর্তমানে পাকিস্তানের মতো দেউলিয়া হওয়ার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশ ত্যাগের পর থেকে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়েছে। ক্ষতি কমানোর জন্য অনেক প্রতিষ্ঠান এখন ভারতীয় উৎপাদকদের দিকে মনোযোগ দেওয়ার চেষ্টা করছে।

    ভ্যাট আদায়ে ঘাটতি হয়েছে ১১ হাজার কোটি টাকা

    বাংলাদেশে (Bangladesh) ভ্যাট আদায়ে ঘাটতি হয়েছে ১১ হাজার কোটি টাকা। ভ্যাট আদায় হয়েছে ৩৬ হাজার ১৩৭ কোটি টাকা। এই সময়ে এই খাতের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪৭ হাজার ২৩৯ কোটি টাকা। সব মিলিয়ে রাজস্ব আদায়ে বড়সড় ধস নেমেছে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে। তাই প্রশ্ন উঠছে, অকর্মণ্যতা থেকে নজর ঘোরাতেই কি ভারত-বিদ্বেষের জিগির তুলছেন ইউনূস? হিন্দু নিপীড়ন জারি রেখে নিজের অপদার্থতা ঢাকতে চাইছেন?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Durgadi Fort: দুর্গাদি দুর্গ আদতে দুর্গা মায়ের মন্দির, কোনও মসজিদ নয়, জানাল মহারাষ্ট্রের আদালত

    Durgadi Fort: দুর্গাদি দুর্গ আদতে দুর্গা মায়ের মন্দির, কোনও মসজিদ নয়, জানাল মহারাষ্ট্রের আদালত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবসান হল দীর্ঘ ৪৮ বছর ধরে চলা লড়াইয়ের। মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) কল্যাণ জেলার দুর্গাদি দুর্গ (Durgadi Fort) নিয়ে চলছিল মামলাটি। ১০ ডিসেম্বর কল্যাণ জেলা ও দায়রা আদালত জানিয়ে দেয়, দুর্গটি দুর্গা মাতার মন্দির। এই দুর্গটিকেই মসজিদ এবং ওয়াকফ সম্পত্তি বলে দাবি করেছিল মজলিশ-ই-মুশাভরিন।

    দুর্গাদি দুর্গ (Durgadi Fort)

    দুর্গাদি দুর্গের ঐতিহাসিক গুরুত্ব অপরিসীম। ছত্রপতি শিবাজির যুগ থেকে মাথা তুলে দাঁড়িয়ে রয়েছে এই দুর্গ। মজলিশ-ই-মুশাভরিন ট্রাস্টের দাবি, এটি একটি মসজিদের জায়গা। সম্পত্তিটি ভুলবশত একটি ধর্মীয় স্থান হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছিল। তবে সিনিয়র ডিভিশন বিচারক এএস লঞ্জেওয়ার হিন্দু সম্প্রদায়ের পক্ষে রায় দেন। এবং মামলাটি ওয়েলফেয়ার কোর্ট থেকে ওয়াকফ বোর্ডে স্থানান্তরের আবেদন খারিজ করে দেন।

    কী বলছেন হিন্দু মঞ্চের সভাপতি 

    হিন্দু মঞ্চের সভাপতি ও মামলার আবেদনকারী দীনেশ দেশমুখ বলেন, “এই মামলা ৫০ বছর ধরে চলছিল। প্রথমে এই মামলার শুনানি হয়েছিল ঠাণে আদালতে। পরে এটি স্থানান্তরিত হয় কল্যাণ জেলা ও দায়রা আদালতে। এদিনের এই সিদ্ধান্ত দুর্গের সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় পরিচয়কে ফের নিশ্চিত করল।” ১৯৭১ সালে, ঠাণে জেলা কালেক্টর ওই জায়গাটিকে হিন্দু মন্দির হিসেবে ঘোষণা করেছিলেন। এরই কিছুদিন পরে একটি আবেদন দাখিল করা হয় যা জায়গাটিকে মসজিদ হিসেবে পুনর্বিন্যাস করার প্রস্তাব দেয়। ফলে পরিদর্শন ও আইনি তদন্ত শুরু হয়। হিন্দু সম্প্রদায়ের তরফে আইনজীবী ভাউসাহেব মোদক গুরুত্বপূর্ণ স্থাপত্যগত প্রমাণ দেন। এর মধ্যে ছিল মন্দিরের জানালা এবং একটি চৌথারা (মঞ্চ)। এই মঞ্চেই দেব-দেবী বসিয়ে পুজো হয় হিন্দু মন্দিরে। এই তথ্যগুলো আদালতের সিদ্ধান্তে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল।

    আরও পড়ুন: এবার এটিএম থেকেই তোলা যাবে পিএফের টাকা! বড় ঘোষণা কেন্দ্রের, জানুন প্রক্রিয়া

    বিভিন্ন প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, মুসলমান গোষ্ঠীগুলি দুর্গে অবৈধভাবে নির্মাণ কাজ করেছে (Durgadi Fort)। কাঠামোগুলিকে সাদা ও সবুজ রংয়ে রাঙানো হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে মসজিদ নির্মাণেরও। শিবসেনার তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, শিবসেনার নেতারা দীর্ঘদিন ধরে মন্দিরের ন্যায্য দাবির পক্ষে সমর্থন জানিয়েছেন। বালাসাহেব ঠাকরে দুর্গাদি দুর্গে নবরাত্রি উৎসব শুরু করেছিলেন এবং একনাথ শিন্ডে শিবসেনার (Maharashtra) সদস্যদের সঙ্গে দুর্গে আরতিও করেছিলেন (Durgadi Fort)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Weather Update: চালিয়ে খেলছে শীত! কলকাতায় ১৩ ডিগ্রির ঘরে পারদ, বঙ্গে তাপমাত্রা নামল ১০-এর নিচে

    Weather Update: চালিয়ে খেলছে শীত! কলকাতায় ১৩ ডিগ্রির ঘরে পারদ, বঙ্গে তাপমাত্রা নামল ১০-এর নিচে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রথম স্পেলেই হাড় কাঁপানো ঠান্ডা। কলকাতায় রাতের তাপমাত্রা লাফ দিয়ে নামল ১৩ ডিগ্রির ঘরে। পশ্চিমাঞ্চলের তাপমাত্রা নামল ১০ ডিগ্রির নিচে। লাফিয়ে নামল দিনের তাপমাত্রাও। শনি ও রবিবার আরও পারদ পতনের ইঙ্গিত দিল হাওয়া অফিস (Weather Update)। এখনও অবধি শুক্রবারই এই মরশুমের শীতলতম দিন (Winter in Kolkata)। পশ্চিমী ঝঞ্ঝা কাটিয়ে বঙ্গ এখন পুরোদমে উত্তুরে হাওয়ার দখলে। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, আগামী ৫-৬ দিন এরকমই শীতের কাঁপন চলবে।

    শীতাতুর কলকাতা

    শীতের (Weather Update) ঝোড়ো ব্যাটিং শুরু। কলকাতার (Winter in Kolkata) তাপমাত্রা ১৩ ডিগ্রির ঘরে। শুধু ১৩ ডিগ্রির ঘরেই নয়, গত ৭২ ঘণ্টায় প্রায় ৫ ডিগ্রির বেশি পারদ নেমেছে। সোমবার রাতে কলকাতার তাপমাত্রা ছিল ১৮.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মঙ্গলবার রাতের তাপমাত্রা ১৬.২ ডিগ্রিতে নামে। বুধবার রাতে তা পৌঁছয় ১৩.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। বুধবার দিনের তাপমাত্রাও ২৫.৪ থেকে নেমে ২৩.২ ডিগ্রিতে পৌঁছয়। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বা আপেক্ষিক আর্দ্রতা ৪৪ থেকে ৯৬ শতাংশ। বৃহস্পতিবার সকালের দিকে হালকা কুয়াশা থাকলেও বেলা বাড়লে পরিষ্কার রোদ ঝলমলে আকাশ শহরে। 

    জেলায় জেলায় শীতের কাঁপন (Weather Update)

    জাঁকিয়ে শীতের (Winter in Kolkata) প্রথম ইনিংস শুরু জেলাতেও। পশ্চিমাঞ্চলের পারদ ১০-এর নিচে নেমে গিয়েছে। গাঙ্গেয় বঙ্গের পারদ ১১ থেকে ১৪ ডিগ্রির মধ্যে রয়েছে। উত্তর পশ্চিম ভারতে শৈত্যপ্রবাহ চলছে। সেই কনকনে শীতল হাওয়া ঘণ্টায় ২০ কিলোমিটার বেগে বইছে বঙ্গে। ফলে শুধু রাত নয়, দিনের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে কোথাও ৪ কথাও ৫ ডিগ্রি পর্যন্ত কম। পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলি রীতিমতো ঠকঠকিয়ে কাঁপছে। উত্তরবঙ্গেও তাপমাত্রা নেমেছে। পাহাড়ে হাড় কাঁপানো শীতের মধ্যেই চলছে শীতবিলাস। বরফ দেখতে ইতিমধ্যেই পাহাড়ে ভিড় জমিয়েছেন পর্যটকরা।

    আরও পড়ুন: তিন মহাদেশের ৬টি দেশে মহাযজ্ঞ! ২০৩০ বিশ্বকাপ ফুটবল কোথায় কোথায় হবে, জানাল ফিফা

    কুয়াশার দাপট

    এ রাজ্যে শুধু ঠান্ডাই (Weather Update) নয়, সঙ্গে ঘন কুয়াশার সতর্কবার্তাও রয়েছে। ঘন কুয়াশার দাপট থাকবে মুর্শিদাবাদ, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূমে। দৃশ্যমানতা ২০০ মিটারের মধ্যে থাকতে পারে। অন্যদিকে নদিয়া, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব বর্ধমান, হুগলিতে মাঝারি কুয়াশা থাকতে পারে। উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতেও ঘন কুয়াশার পূর্বাভাস রয়েছে। ফলে সড়কপথ ও আকাশপথে যাতায়াত ব্যাহত হতে পারে। দু-এক জায়গায় দৃশ্যমানতা ৫০ মিটারের কাছাকাছি নেমে যেতে পারে। আলিপুর আবহাওয়া দফতর (Weather Update) সূত্রে খবর, শীতের এই ঝোড়ো ইনিংস স্থায়ী হবে অন্তত ৫ থেকে ৬ দিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • No NRC No Aadhaar: এনআরসির আবেদন না করলে, বাতিল হবে আধার কার্ডের আবেদন, বড় সিদ্ধান্ত হিমন্তর

    No NRC No Aadhaar: এনআরসির আবেদন না করলে, বাতিল হবে আধার কার্ডের আবেদন, বড় সিদ্ধান্ত হিমন্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এনআরসির জন্য আবেদন না করলে, বাতিল হয়ে যাবে আধার কার্ডের আবেদন (No NRC No Aadhaar)। বুধবার এমনই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিয়েছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা (Himanta Biswa Sarma)। জানা গিয়েছে, বাংলাদেশে অশান্তির জেরে নিত্য বাড়ছে অনুপ্রবেশের ঝুঁকি। তাই নাগরিকত্ব নিয়ে আরও কড়া পদক্ষেপ করতে চলেছে অসম সরকার (Assam Govt)।

    অনুপ্রবেশের চেষ্টা (No NRC No Aadhaar)

    মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “সম্প্রতি অশান্ত বাংলাদেশ থেকে বহু মানুষ অনুপ্রবেশের (Bangladeshi Infiltration) চেষ্টা করেছে। গত দু’মাসে বহু অনুপ্রবেশকারীকে আটক করেছে অসম পুলিশ, ত্রিপুরা পুলিশ এবং বিএসএফ। তাই বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশ আমাদের কাছে উদ্বেগের। আমাদের নিজস্ব সিস্টেম আরও শক্তিশালী করতে হবে।” তিনি বলেন, “সেই কারণেই আধার কার্ডের প্রক্রিয়া (No NRC No Aadhaar) আরও কঠোর করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।” অসম সরকারের (Assam Govt) সিদ্ধান্ত, এবার থেকে জেনারেল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ডিপার্টমেন্ট ও রাজ্য সরকার আধার কার্ডের (Aadhaar Card) আবেদন যাচাইয়ের ক্ষেত্রে নোডাল এজেন্সি হিসেবে কাজ করবে। তারাই যাবতীয় আবেদন খুঁটিয়ে দেখবে। আবেদনপত্র যাচাইয়ের জন্য প্রতিটি জেলায় একজন করে অতিরিক্ত জেলা কমিশনার নিযুক্ত থাকবেন।

    এনআরসির আবেদন

    জানা গিয়েছে, প্রাইমারি ভেরিফিকেশন বা তথ্য যাচাইয়ের পর ইউআইডিএআই সেই আবেদনপত্র পাঠাবে রাজ্য সরকারের কাছে, যাচাইয়ের জন্য। স্থানীয় সার্কেল অফিসার প্রথমেই দেখবেন, যিনি আধার কার্ডের জন্য আবেদন করছেন, তাঁর মা-বাবা এনআরসিতে (NRC) অন্তর্ভুক্ত হওয়ার জন্য আবেদন করেছেন কিনা। যদি এনআরসির কোনও আবেদন না পাওয়া যায়, তাহলে আধার কার্ডের আবেদন বাতিল করে দেওয়া হবে (No NRC No Aadhaar)। ওই ব্যক্তি আর কখনও আধার কার্ডের জন্য আবেদন করতে পারবেন না। কেন্দ্রের কাছেও রিপোর্ট জমা পড়বে। যদি কারও এনআরসিতে আবেদন করা থাকে, তবে বাড়ি গিয়ে যাচাইয়ের পর আধার কার্ড তৈরি করে দেওয়া হবে। সূত্রের খবর, এই নিয়ম থেকে ছাড় পাবেন ভিন রাজ্য থেকে আসা কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীরা। এনআরসিতে আবেদন করার কোনও প্রয়োজনই তাঁদের নেই।

    আরও পড়ুন: এবার এটিএম থেকেই তোলা যাবে পিএফের টাকা! বড় ঘোষণা কেন্দ্রের, জানুন প্রক্রিয়া

    অসমের (Assam Govt) মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “যদি এমন দেখা যায় যে এনআরসির জন্য আবেদন করা হয়েছে, সিও সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুসারে ক্ষেত্র পর্যায়ে যাচাইয়ের জন্য যাবেন। সংশ্লিষ্ট অফিসার সম্পূর্ণরূপে আশ্বস্ত হওয়ার পরে আধার অনুমোদন করা হবে।” তিনি আরও বলেন, “এই নতুন নির্দেশ সেই সমস্ত কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না, যাঁরা অন্য রাজ্যে কাজ করছেন এবং যাঁরা এনআরসির জন্য আবেদন করেননি (No NRC No Aadhaar)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

     
     
  • PF Withdrawl: এবার এটিএম থেকেই তোলা যাবে পিএফের টাকা! বড় ঘোষণা কেন্দ্রের, জানুন প্রক্রিয়া

    PF Withdrawl: এবার এটিএম থেকেই তোলা যাবে পিএফের টাকা! বড় ঘোষণা কেন্দ্রের, জানুন প্রক্রিয়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এ বার এটিএম (ATM) থেকেই তোলা যাবে পিএফের টাকা (PF Withdrawl)। বুধবার বড় ঘোষণা করল কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রক (Union Labour Ministry)। সূত্রে খবর, পিএফের টাকা তোলার পথ মসৃণ করতে চাইছে কেন্দ্র। তাই এমন সিদ্ধান্ত। সরকারি এই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, যাঁরা এমপ্লয়মেন্ট প্রভিডেন্ট ফান্ড অর্গানাইজেশনের (EPFO) আওতায় রয়েছেন, তাঁরাই আগামী বছর থেকে এটিএমের মাধ্যমে সরাসরি তুলতে পারবেন পিএফের টাকা। এতদিন পিএফের টাকা তুলতে হলে হয় পিএফ অফিসে আবেদন করতে হত নয়তো সাইবার কাফেতে গিয়ে টাকা তোলার জন্য আবেদন করতে হত। শ্রমমন্ত্রকের এহেন ঘোষণায় সেই ঝক্কি আর পোহাতে হবে না পিএফের সুবিধাভোগীদের।

    কী বলছে শ্রমমন্ত্রক (PF Withdrawl)

    শ্রমমন্ত্রকের সচিব সুমিতা দাওরা বলেন, পিএফের ক্লেমগুলি দ্রুত মেটানো ও এর প্রক্রিয়া সহজ করাই লক্ষ্য। তিনি বলেন, “যিনি পিএফের টাকা তোলার যোগ্য (PF Withdrawl), তিনি যাতে সহজেই লাভবান হন, সেই উদ্দেশ্যেই এই প্রক্রিয়া। এটিএম (ATM) থেকে নিজেই টাকা তুলতে পারবেন।” সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “প্রতিনিয়ত এগোচ্ছে প্রযুক্তি। আরও অনেক কিছুর ক্ষেত্রেই দ্রুত এমন পরিবর্তন দেখা যাবে। আমার বিশ্বাস, ২০২৫ এর জানুয়ারির মধ্যেই এর বড় প্রভাব দেখা যাবে।”

    আরও পড়ুন: জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক কিং না হলেও, কিং-মেকার, আদালতে জানাল ইডি

    টাকা তুলতে হলে কী করতে হবে

    শ্রমমন্ত্রক সূত্রে খবর, ইপিএফও সিস্টেমকে এটিএমের সঙ্গে জুড়ে ফেলার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। তবে এটিএম থেকে পিএফ তোলার (PF Withdrawl) আগে আপনাকে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সঙ্গে লিঙ্ক করতে হবে পিএফ অ্যাকাউন্ট। লিঙ্ক হয়ে গেলেই এটিএম থেকে তোলা যাবে পিএফের টাকা। এজন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে যেতে হবে ইপিএফও-র অফিসিয়াল সাইটে। সেখানে মিলবে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সঙ্গে ইপিএফও-র অ্যাকাউন্ট লিঙ্ক করার অপশন। বর্তমানে, পিএফ অ্যাকাউন্ট (PF Withdrawl) থেকে টাকা তুলতে ইপিএফও পোর্টালে (EPFO) যেতে হয়। এরপরে, ইউএএন ও পাসওয়ার্ড দিয়ে লগ ইন করতে হয়। ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর যাচাই করার পর অ্যাকাউন্টের পাসবুক বা চেক আপলোড করতে হয়। এই গোটা প্রক্রিয়াই এটিএম (ATM) থেকে টাকা তোলা শুরু হলে অনেকটা দ্রুত হবে বলেই অভিমত শ্রম মন্ত্রকের (Union Labour Ministry)। প্রসঙ্গত, ইপিএফও- এর আওতায় রয়েছেন অন্তত সাত কোটি চাকরিজীবী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • FIFA: তিন মহাদেশের ৬টি দেশে মহাযজ্ঞ! ২০৩০ বিশ্বকাপ ফুটবল কোথায় কোথায় হবে, জানাল ফিফা

    FIFA: তিন মহাদেশের ৬টি দেশে মহাযজ্ঞ! ২০৩০ বিশ্বকাপ ফুটবল কোথায় কোথায় হবে, জানাল ফিফা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফিফা বিশ্বকাপের শতবর্ষ পূর্তিকে স্মরণীয় করে রাখতে ২০৩০ সালে ফুটবল বিশ্বকাপ হবে ৬টি দেশ মিলিয়ে। ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা বুধবার একসঙ্গে পর পর দুটি বিশ্বকাপের আয়োজক দেশের নাম ঘোষণা করেছে। ২০৩০ সালের বিশ্বকাপ (FIFA Worlfd Cup 2030) আয়োজন করবে ইউরোপ, আফ্রিকা ও লাতিন আমেরিকার ৬টি দেশ। অন্যদিকে, ২০৩৪ সালের বিশ্বকাপ এককভাবে আয়োজন করবে সৌদি আরব। উল্লেখ্য, ২০২৬ সালের বিশ্বকাপ হবে যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো ও কানাডায়।

    ২০৩০ বিশ্বকাপের আয়োজক

    ১৯৩০ সালে উরুগুয়েতে প্রথমবার ফুটবল বিশ্বকাপের বল গড়িয়েছিল। সেই নিরিখে বিচার করলে ২০৩০ সালে শতবর্ষ বিশ্বকাপ ফুটবলের। সেই কারণে মরোক্কো, স্পেন ও পর্তুগালের পাশাপাশি দক্ষিণ আমেরিকার তিনটি দেশেও ম্যাচ আয়োজন করা হবে। ২০৩০ বিশ্বকাপ (FIFA Worlfd Cup 2030) আসলে তিন মহাদেশের ছ’টি দেশে হবে। ফিফার বিশেষ কংগ্রেসে ভার্চুয়াল ভোটাভুটির মাধ্যমে বুধবার এই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়। মূল আয়োজক হিসেবে থাকছে স্পেন, পর্তুগাল ও মরক্কো। শতবর্ষ উদযাপনের ম্যাচগুলি আয়োজিত হবে উরুগুয়ে, আর্জেন্টিনা ও প্যারাগুয়েতে।

    সৌদি আরবে প্রথমবার

    অন্যদিকে, ২০৩৪ সালের বিশ্বকাপের (FIFA Worlfd Cup 2034) জন্য সৌদি আরব ছিল একমাত্র আবেদনকারী দেশ। তাই ভোটাভুটির প্রক্রিয়া ছিল সহজ। একক আয়োজক হিসেবে পশ্চিম এশিয়ার এই দেশটিকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। বুধবার ভার্চুয়াল কংগ্রেসে ফিফার ২১১টি সদস্য দেশের প্রতিনিধিরা ভিডিও লিঙ্কের মাধ্যমে ভোটাভুটিতে অংশ নেন। প্রস্তাবিত আয়োজকদের নাম আনুষ্ঠানিকভাবে পেশ করা হয় এবং প্রতিনিধিদের সমর্থন জানানোর আহ্বান জানানো হয়। আয়োজক দেশের তালিকায় কোনও প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় প্রক্রিয়াটি খুবই স্বচ্ছ ও সহজ ছিল। মধ্যপ্রাচ্যের দ্বিতীয় দেশ হিসেবে বিশ্বকাপ আয়োজন করবে সৌদি আরব। ২০২২ সালে কাতারে অনুষ্ঠিত হয়েছিল বিশ্বকাপ। ২০৩৪ সালে ফের মধ্যপ্রাচ্যেই ফিরছে বিশ্বকাপ ফুটবল। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jyotipriya Mallick: জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক কিং না হলেও, কিং-মেকার, আদালতে জানাল ইডি

    Jyotipriya Mallick: জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক কিং না হলেও, কিং-মেকার, আদালতে জানাল ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক কিং না হলেও, কিং-মেকার। মন্ত্রীর পদে না থাকলেও, এখনও তিনি ক্ষমতাশালী। রেশন কেলেঙ্কারি মামলায় আদালতে রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয়কে (Jyotipriya Mallick) এই কেলেঙ্কারির কিংপিন বলেও উল্লেখ করল ইডি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এই সংস্থার দাবি, জামিন পেলে জ্যোতিপ্রিয় গোটা তদন্ত প্রক্রিয়া প্রভাবিত করতে পারেন।

    দুর্নীতির মূলচক্রী জ্যোতিপ্রিয় স্বয়ং! (Jyotipriya Mallick)

    আজ, বুধবার জ্যোতিপ্রিয়ের জামিনের আবেদনের শুনানি ছিল বিচারভবনে। প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রীর আইনজীবীরা তাঁর প্রভাবশালী তত্ত্ব খারিজ করেছিলেন। বুধবার তাঁর জামিনের বিরোধিতা করে ইডি জানায়, দুর্নীতির মূলচক্রী জ্যোতিপ্রিয় নিজেই। যাঁরা এই মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন, তাঁরা প্রত্যেকেই আঙুল তুলেছেন তৃণমূলের উত্তর ২৪ পরগনার নেতা জ্যোতিপ্রিয়ের দিকে। ইডির দাবি, রাজনৈতিকভাবে এখনও প্রভাব খাটাতে পারেন জ্যোতিপ্রিয়। এর পরেই আদালতে ইডির আইনজীবীর মন্তব্য, রাজা না হলেও, রাজা তৈরি করার ক্ষমতা তাঁর রয়েছে।

    আরও পড়ুন: আক্রোশ মেটাতে ৪৯৮-এ ধারা ব্যবহার করা যাবে না, ‘সুপ্রিম’ নির্দেশ

    কিং মেকার

    বিচারক প্রশ্ন করেন, উনি তো এখন আর মন্ত্রী পদে নেই। তাহলে কী করে এত প্রভাব খাটাবেন? সওয়াল করতে গিয়ে ইডির আইনজীবী বলেন, “কেউ কিং হন, কেউ কিং মেকার। এমনও মামলা রয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে যেখানে অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে না।” তিনি বলেন, “কিংমেকাররা আসলে এতটাই ক্ষমতাশালী। জ্যোতিপ্রিয় (Jyotipriya Mallick) জামিন পেলে পুরো মামলাটিকে প্রভাবিত করতে পারেন।” তিনি বলেন, “সুযোগ পেলে জ্যোতিপ্রিয় কী করতে পারেন, তা আমরা পিজি হাসপাতালের চিরকুটের ঘটনায়ই দেখেছি।”

    প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের ২৭ অক্টোবর রেশন কেলেঙ্কারি মামলায় জ্যোতিপ্রিয়কে গ্রেফতার করে ইডি। তার পরেই অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন তৃণমূলের এই নেতা। বেশ কয়েকদিন তাঁকে ভর্তি রাখা হয়েছিল এসএসকেএম হাসপাতালে। ওই সময় ইডি একটি চিরকুট উদ্ধার করে। অভিযোগ, মেয়েকে হাসপাতালে বসেই ওই চিরকুটটি লিখেছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী। সেই চিঠি চলে আসে ইডির তদন্তকারী আধিকারিকদের হাতে। তাতে টাকা লেনদেন সংক্রান্ত বেশ কিছু তথ্য লেখা ছিল বলে দাবি কেন্দ্রীয় এই তদন্তকারী সংস্থার (Jyotipriya Mallick)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share