Tag: Madhyom

Madhyom

  • FIFA: তিন মহাদেশের ৬টি দেশে মহাযজ্ঞ! ২০৩০ বিশ্বকাপ ফুটবল কোথায় কোথায় হবে, জানাল ফিফা

    FIFA: তিন মহাদেশের ৬টি দেশে মহাযজ্ঞ! ২০৩০ বিশ্বকাপ ফুটবল কোথায় কোথায় হবে, জানাল ফিফা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফিফা বিশ্বকাপের শতবর্ষ পূর্তিকে স্মরণীয় করে রাখতে ২০৩০ সালে ফুটবল বিশ্বকাপ হবে ৬টি দেশ মিলিয়ে। ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা বুধবার একসঙ্গে পর পর দুটি বিশ্বকাপের আয়োজক দেশের নাম ঘোষণা করেছে। ২০৩০ সালের বিশ্বকাপ (FIFA Worlfd Cup 2030) আয়োজন করবে ইউরোপ, আফ্রিকা ও লাতিন আমেরিকার ৬টি দেশ। অন্যদিকে, ২০৩৪ সালের বিশ্বকাপ এককভাবে আয়োজন করবে সৌদি আরব। উল্লেখ্য, ২০২৬ সালের বিশ্বকাপ হবে যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো ও কানাডায়।

    ২০৩০ বিশ্বকাপের আয়োজক

    ১৯৩০ সালে উরুগুয়েতে প্রথমবার ফুটবল বিশ্বকাপের বল গড়িয়েছিল। সেই নিরিখে বিচার করলে ২০৩০ সালে শতবর্ষ বিশ্বকাপ ফুটবলের। সেই কারণে মরোক্কো, স্পেন ও পর্তুগালের পাশাপাশি দক্ষিণ আমেরিকার তিনটি দেশেও ম্যাচ আয়োজন করা হবে। ২০৩০ বিশ্বকাপ (FIFA Worlfd Cup 2030) আসলে তিন মহাদেশের ছ’টি দেশে হবে। ফিফার বিশেষ কংগ্রেসে ভার্চুয়াল ভোটাভুটির মাধ্যমে বুধবার এই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়। মূল আয়োজক হিসেবে থাকছে স্পেন, পর্তুগাল ও মরক্কো। শতবর্ষ উদযাপনের ম্যাচগুলি আয়োজিত হবে উরুগুয়ে, আর্জেন্টিনা ও প্যারাগুয়েতে।

    সৌদি আরবে প্রথমবার

    অন্যদিকে, ২০৩৪ সালের বিশ্বকাপের (FIFA Worlfd Cup 2034) জন্য সৌদি আরব ছিল একমাত্র আবেদনকারী দেশ। তাই ভোটাভুটির প্রক্রিয়া ছিল সহজ। একক আয়োজক হিসেবে পশ্চিম এশিয়ার এই দেশটিকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। বুধবার ভার্চুয়াল কংগ্রেসে ফিফার ২১১টি সদস্য দেশের প্রতিনিধিরা ভিডিও লিঙ্কের মাধ্যমে ভোটাভুটিতে অংশ নেন। প্রস্তাবিত আয়োজকদের নাম আনুষ্ঠানিকভাবে পেশ করা হয় এবং প্রতিনিধিদের সমর্থন জানানোর আহ্বান জানানো হয়। আয়োজক দেশের তালিকায় কোনও প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় প্রক্রিয়াটি খুবই স্বচ্ছ ও সহজ ছিল। মধ্যপ্রাচ্যের দ্বিতীয় দেশ হিসেবে বিশ্বকাপ আয়োজন করবে সৌদি আরব। ২০২২ সালে কাতারে অনুষ্ঠিত হয়েছিল বিশ্বকাপ। ২০৩৪ সালে ফের মধ্যপ্রাচ্যেই ফিরছে বিশ্বকাপ ফুটবল। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jyotipriya Mallick: জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক কিং না হলেও, কিং-মেকার, আদালতে জানাল ইডি

    Jyotipriya Mallick: জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক কিং না হলেও, কিং-মেকার, আদালতে জানাল ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক কিং না হলেও, কিং-মেকার। মন্ত্রীর পদে না থাকলেও, এখনও তিনি ক্ষমতাশালী। রেশন কেলেঙ্কারি মামলায় আদালতে রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয়কে (Jyotipriya Mallick) এই কেলেঙ্কারির কিংপিন বলেও উল্লেখ করল ইডি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এই সংস্থার দাবি, জামিন পেলে জ্যোতিপ্রিয় গোটা তদন্ত প্রক্রিয়া প্রভাবিত করতে পারেন।

    দুর্নীতির মূলচক্রী জ্যোতিপ্রিয় স্বয়ং! (Jyotipriya Mallick)

    আজ, বুধবার জ্যোতিপ্রিয়ের জামিনের আবেদনের শুনানি ছিল বিচারভবনে। প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রীর আইনজীবীরা তাঁর প্রভাবশালী তত্ত্ব খারিজ করেছিলেন। বুধবার তাঁর জামিনের বিরোধিতা করে ইডি জানায়, দুর্নীতির মূলচক্রী জ্যোতিপ্রিয় নিজেই। যাঁরা এই মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন, তাঁরা প্রত্যেকেই আঙুল তুলেছেন তৃণমূলের উত্তর ২৪ পরগনার নেতা জ্যোতিপ্রিয়ের দিকে। ইডির দাবি, রাজনৈতিকভাবে এখনও প্রভাব খাটাতে পারেন জ্যোতিপ্রিয়। এর পরেই আদালতে ইডির আইনজীবীর মন্তব্য, রাজা না হলেও, রাজা তৈরি করার ক্ষমতা তাঁর রয়েছে।

    আরও পড়ুন: আক্রোশ মেটাতে ৪৯৮-এ ধারা ব্যবহার করা যাবে না, ‘সুপ্রিম’ নির্দেশ

    কিং মেকার

    বিচারক প্রশ্ন করেন, উনি তো এখন আর মন্ত্রী পদে নেই। তাহলে কী করে এত প্রভাব খাটাবেন? সওয়াল করতে গিয়ে ইডির আইনজীবী বলেন, “কেউ কিং হন, কেউ কিং মেকার। এমনও মামলা রয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে যেখানে অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে না।” তিনি বলেন, “কিংমেকাররা আসলে এতটাই ক্ষমতাশালী। জ্যোতিপ্রিয় (Jyotipriya Mallick) জামিন পেলে পুরো মামলাটিকে প্রভাবিত করতে পারেন।” তিনি বলেন, “সুযোগ পেলে জ্যোতিপ্রিয় কী করতে পারেন, তা আমরা পিজি হাসপাতালের চিরকুটের ঘটনায়ই দেখেছি।”

    প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের ২৭ অক্টোবর রেশন কেলেঙ্কারি মামলায় জ্যোতিপ্রিয়কে গ্রেফতার করে ইডি। তার পরেই অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন তৃণমূলের এই নেতা। বেশ কয়েকদিন তাঁকে ভর্তি রাখা হয়েছিল এসএসকেএম হাসপাতালে। ওই সময় ইডি একটি চিরকুট উদ্ধার করে। অভিযোগ, মেয়েকে হাসপাতালে বসেই ওই চিরকুটটি লিখেছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী। সেই চিঠি চলে আসে ইডির তদন্তকারী আধিকারিকদের হাতে। তাতে টাকা লেনদেন সংক্রান্ত বেশ কিছু তথ্য লেখা ছিল বলে দাবি কেন্দ্রীয় এই তদন্তকারী সংস্থার (Jyotipriya Mallick)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • BSF: বাংলাদেশে লুট হওয়া অস্ত্রে ভারতে হামলার ছক! সীমান্তে অ্যালার্ম বসাল বিএসএফ

    BSF: বাংলাদেশে লুট হওয়া অস্ত্রে ভারতে হামলার ছক! সীমান্তে অ্যালার্ম বসাল বিএসএফ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অশান্ত বাংলাদেশ (Bangladesh)। হিন্দুদের ওপর ক্রমাগত অত্যাচার চলছে। বাংলাদেশের অস্ত্রাগার থেকে লুট হওয়া অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে জঙ্গিদের ভারতে হামলার ছক রয়েছে।  এই পরিস্থিতিতে সীমান্তে কড়া নজরদারি রয়েছে বিএসএফের। এর পরেও ঘটছে সীমান্তে অনুপ্রবেশ। দুদিন আগেই হলদিবাড়িতে এক বাংলাদেশি নাগরিক গ্রেফতার হওয়ার পরে উঠছে প্রশ্ন। নজরদারি বাড়াতে আরও উদ্যোগ নিল বিএসএফ (BSF)।

    ‘ইনফ্রারেড ইনট্রুডার অ্যালার্ম’- কী?(BSF)

    বিএসএফ (BSF) সূত্রে জানা গিয়েছে, সীমান্তে নজরদারি আরও বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অনুপ্রবেশ রুখতে সীমান্তে ‘ইনফ্রারেড ইনট্রুডার অ্যালার্ম’ ব্যবস্থায় নজরদারি শুরু করা করেছে। বিএসএফ জানিয়েছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে মেখলিগঞ্জ সীমান্তের মতো উন্মুক্ত সীমান্তের কয়েকটি জায়গায় ‘ইনফ্রারেড ইনট্রুডার অ্যালার্মও’ ব্যবহার করা হচ্ছে। বিএসএফের জলপাইগুড়ি সেক্টরের ৪০ নম্বর ব্যাটেলিয়নের অধীনে কুচলিবাড়ি পঞ্চায়েতের কলসীপাড়া, বিআরকে বাড়ি-সহ কয়েক কিলোমিটার সীমান্তে ওই ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। সিসিটিভি ক্যামেরার পাশাপাশি নির্দিষ্ট দূরত্বে বসানো হয়েছে ওই যন্ত্র। বিএসএফ জানিয়েছে, ওই যন্ত্র থেকে ‘ইনফ্রারেড আলো’ বের হয়। আপাতদৃষ্টিতে অদৃশ্য সেই আলোক রশ্মি কোনও প্রাণী বা বস্তুতে ‘বাধাপ্রাপ্ত’ হলে বিএসএফের শিবিরে থাকা স্বয়ংক্রিয় অ্যালার্ম বেজে উঠবে। তাতে সতর্ক হবেন জওয়ানেরা। বিএসএফের জলপাইগুড়ি সেক্টরের ডিআইজি, ব্রিগেডিয়ার বিজয় মেহতা বলেন, “অত্যন্ত স্পর্শকাতর এলাকাগুলিতে নজরদারি চালাতে এই বিশেষ ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। তাতে যথেষ্ট সাফল্যও মিলছে।” বিএসএফের স্থানীয় আধিকারিকরা জানান, কুচলিবাড়ির প্রায় ১৭-১৮ কিলোমিটার এলাকা সিসিটিভি ক্যামেরা ও বিশেষ সেই নজরদারি ব্যবস্থায় মুড়ে ফেলা হয়েছে। বাকি এলাকাগুলিতেও তা বসানো হবে।

    লুট হওয়া অস্ত্র নিয়ে ভারতে হামলার ছক!

    অনুপ্রবেশের আশঙ্কা দিন দিন বাড়ছে মালদা-সহ ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে একাধিক এলাকায়। আর এর মধ্যেই চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে এসেছে গোয়েন্দাদের। জানা যাচ্ছে, বাংলাদেশের অস্ত্রাগার থেকে লুট হওয়া অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে জঙ্গিরা অনুপ্রবেশ করতে পারে ভারতে। আর তা মালদা সীমান্ত হয়ে ভারতে ঢোকার জোর সম্ভাবনা আছে বলে জানা গিয়েছে। আর এই সমস্ত সীমান্ত (BSF) দিয়েই জঙ্গি অনুপ্রবেশ করতে পারে। এই আশঙ্কায় রাতের ঘুম উড়েছে মালদার ভারত বাংলাদেশ সীমান্তের হবিবপুর ব্লকের যাদব নগর, আইহো সহ একাধিক এলাকার বাসিন্দাদের। সীমান্ত এলাকার এই সমস্ত বাসিন্দাদের অভিযোগ, তাঁরা আতঙ্কে রয়েছেন। সূর্য ডুবলেই কেউ আর বাড়ির বাইরে বের হচ্ছেন না বলেই জানিয়েছেন তাঁরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Daily Horoscope 12 december 2024: নম্র স্বভাবের জন্য কর্মস্থলে পদোন্নতি হতে পারে এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 12 december 2024: নম্র স্বভাবের জন্য কর্মস্থলে পদোন্নতি হতে পারে এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) নম্র স্বভাবের জন্য কর্মস্থলে পদোন্নতি।

    ২) বাসস্থান পরিবর্তন নিয়ে খরচ বৃদ্ধি।

    ৩) পুরনো বন্ধুর সঙ্গে দেখা হতে পারে।

    বৃষ

    ১) কোনও প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ না করাই ভালো হবে।

    ২) ভ্রমণে সমস্যা বাড়তে পারে, একটু সাবধান থাকুন।

    ৩) ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে দিনটি।

    মিথুন

    ১) অতিরিক্ত বিলাসিতার জন্য খরচ বাড়তে পারে।

    ২) গুরুজনদের সদুপদেশে কর্মে উন্নতি।

    ৩) সবাই আপনার প্রশংসা করবে।

    কর্কট

    ১) ব্যবসায় দারুণ অর্থপ্রাপ্তির যোগ রয়েছে।

    ২) নিজের ভুল সংশোধন করার ফলে ব্যবসায় উন্নতি।

    ৩) ধৈর্য ধরতে হবে।

    সিংহ

    ১) কাজের চাপ বাড়তে পারে।

    ২) বন্ধুদের সহায়তায় ব্যবসায় উন্নতি।

    ৩) বাণীতে সংযম রাখুন।

    কন্যা

    ১) সহকর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করায় মানসিক চাপ বাড়বে।

    ২) প্রেমে কষ্ট বাড়তে পারে।

    ৩) দুশ্চিন্তা বাড়বে।

    তুলা

    ১) সব কাজেই সুনাম পেতে পারেন।

    ২) ব্যবসায় সহকর্মীর দ্বারা ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

    ৩) কর্মক্ষেত্রে বাধা।

    বৃশ্চিক

    ১) দাম্পত্য সমস্যার কারণে মন চঞ্চল হতে পারে।

    ২) কোনও ঝুঁকিপ্রবণ কাজ করতে হতে পরে। 

    ৩) সবাইকে বিশ্বাস করবেন না।

    ধনু

    ১) প্রিয়জনের সঙ্গে বিবাদ নিয়ে চিন্তা হতে পারে।

    ২) গরিব মানুষের জন্য কিছু করার চেষ্টা করুন।

    ৩) ডাক্তারের কাছে যেতে হতে পারে।

    মকর

    ১) শত্রুভয় কাটিয়ে উঠতে পারবেন।

    ২) ব্যবসা নিয়ে চিন্তা থাকবে।

    ৩) আধ্যাত্মিকতায় মনোনিবেশ করুন।

    কুম্ভ

    ১) কর্মক্ষেত্রে প্রচুর চিন্তা থাকবে।

    ২) ব্যবসার ব্যাপারে খুব সতর্ক থাকুন, বুদ্ধিভ্রংশ হতে পারে। 

    ৩) কর্মক্ষেত্রে বাধা।

    মীন

    ১) বাড়িতে অশান্তির  সম্ভাবনা ও সেই কারণে মানহানি হতে পারে।

    ২) আপনার বক্তব্য সকলের মন জয় করতে সক্ষম হবে।

    ৩) ভেবেচিন্তে কথা বলুন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Supreme Court: আক্রোশ মেটাতে ৪৯৮-এ ধারা ব্যবহার করা যাবে না, ‘সুপ্রিম’ নির্দেশ

    Supreme Court: আক্রোশ মেটাতে ৪৯৮-এ ধারা ব্যবহার করা যাবে না, ‘সুপ্রিম’ নির্দেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৪৯৮-এ ধারার (Section 498A) অপব্যবহার হচ্ছে বলে দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ উঠেছে। এবার সুপ্রিম কোর্টও জানিয়ে দিল, কোনও সমস্যা হলেই ব্যক্তিগত শত্রুতা বা আক্রোশ মেটাতে বধূ নির্যাতন বিরোধী আইনের ৪৯৮-এ ধারাকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না (Supreme Court)। মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর বধূ নির্যাতনের একটি মামলার প্রেক্ষিতে এমনই পর্যবেক্ষণ দেশের শীর্ষ আদালতের।

    ৪৯৮-এ ধারার অপব্যবহার (Supreme Court)

    সুপ্রিম কোর্ট সতর্ক করে জানিয়েছে, স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ তুলে ৪৯৮-এ ধারার অপব্যবহারও করা হচ্ছে। স্বামী ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে স্ত্রীর দায়ের হওয়া ওই মামলাও খারিজ করে দিয়েছে বিচারপতি বিভি নাগারত্ন ও বিচারপতি এন কোটিশ্বর সিংয়ের ডিভিশন বেঞ্চ। এর আগে দেশের সব হাইকোর্ট ও পুলিশকে সুপ্রিম কোর্ট একাধিকবার এই মর্মে সতর্ক করেছে যে বধূ নির্যাতনের অভিযোগে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৯৮-এ ধারার অপব্যবহার করা হচ্ছে (Supreme Court)। শীর্ষ আদালত এও জানিয়েছিল, অকারণে কাউকে হেনস্থা করার জন্য যেন ৪৯৮-এ ধারা ব্যবহৃত হয়। বধূ নির্যাতনের ওই মামলায় মিথ্যে অভিযোগ করা হয়েছে – এই যুক্তিতে মামলা খারিজের পাশাপাশি অভিযোগকারীকে পাঁচ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট।

    আরও পড়ুন: মোদি জমানায় ভারতের স্নাতকদের মধ্যে বেড়েছে কর্মসংস্থানের উপযোগিতা, বলছে রিপোর্ট

    গার্হস্থ্য হিংসা থেকে বাঁচানোর জন্য আনা হয়েছিল আইন

    এদিন শীর্ষ আদালত জানিয়ে দেয়, ৪৯৮-এ ধারা আনা হয়েছিল বিবাহিত মহিলাদের গার্হস্থ্য হিংসা থেকে বাঁচানোর জন্য। এই প্রসঙ্গেই আদালতের পর্যবেক্ষণ, সম্প্রতি দেশের সর্বত্র বৈবাহিক সম্পর্কে সমস্যার ঘটনা বেড়ে গিয়েছে। এর সঙ্গেই দেখা যাচ্ছে, ৪৯৮-এর মতো ধারার অপব্যবহার হচ্ছে। ব্যক্তিগত শত্রুতা চরিতার্থ করতেই স্বামী ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে এই আইন ব্যবহার করছেন স্ত্রী। সুপ্রিম কোর্ট আরও জানিয়েছে, নির্যাতনের সারবত্তাহীন অভিযোগের ভিত্তিতে এই ধরনের মামলা হলে আদতে তা আইনের অপব্যবহার। এই মামলায় সুপ্রিম কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে কোনও স্পষ্ট প্রমাণ না থাকলে এই ধরনের মামলা দায়েরের আগে সতর্ক হতে হবে।

    প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) এই পর্যবেক্ষণ এমন একটা সময়ে প্রকাশ্যে এল, যখন গার্হস্থ্য সমস্যা নিয়ে বেঙ্গালুরুর এক আইটি কর্মী অতুল সুভাষের মৃত্যুকে ঘিরে (Section 498A) তোলপাড় দেশ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

     

  • Bangladesh Crisis: বাংলাদেশে নির্যাতনের শিকার আওয়ামি লিগের সংখ্যালঘু নেতা-মন্ত্রীরাও! ইউনূসের রোষে দিন কাটছে জেলে

    Bangladesh Crisis: বাংলাদেশে নির্যাতনের শিকার আওয়ামি লিগের সংখ্যালঘু নেতা-মন্ত্রীরাও! ইউনূসের রোষে দিন কাটছে জেলে

    হাসিনা সরকারকে উৎখাত করার পর থেকেই অশান্ত বাংলাদেশ। মন্দির ভাঙচুর, আগুন, মারধর, খুন-সবেতেই টার্গেট সংখ্যালঘু হিন্দু। শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পাওয়া ইউনূসের কঙ্কালসার চেহারাটা এখন গোটা বিশ্বের কাছে পরিষ্কার। ইসকনের সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতারের পর গোটা বিশ্ব জেনে গিয়েছে, কী ভয়াবহ এবং আতঙ্কের পরিবেশ সেখানে। শুধু কি সাধারণ নিরীহ হিন্দু বা হিন্দুদের মন্দির? না, বেছে বেছে কাঠগড়ায় তুলে চরম শাস্তি দেওয়া হয়েছে আওয়ামি লিগপন্থী জনপ্রতিনিধি, পুলিশ অফিসার থেকে শুরু করে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের পদস্থ কর্তাদেরও। কীভাবে বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর নিপীড়ন চলছে, কীভাবে একের পর এক সরকারি অফিসার বা জনপ্রতিনিধির ওপর শাস্তির খাঁড়া নেমে আসছে, তা নিয়েই আমাদের ধারাবাহিক প্রতিবেদন। আজ প্রথম পর্ব।

    অশান্ত বাংলাদেশ: টার্গেট হিন্দু-১

     

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত অগাস্ট মাসে বাংলাদেশে (Bangladesh Crisis) আওয়ামি লিগ সরকারের পতন হয়েছে। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন। তার পর থেকেই সে দেশে সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার বেড়ে গিয়েছে, এমন অভিযোগ বারবার উঠছে। ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় থাকার এতদিন পরেও অবস্থার পরিবর্তন হয়নি। বার বার বাংলাদেশের নানা প্রান্ত থেকে সংখ্যালঘু নিপীড়নের অভিযোগ প্রকাশ্যে আসছে। এই ধরনের অভিযোগ প্রসঙ্গে ঢাকা বরাবর দাবি করে এসেছে, বিদেশি সংবাদমাধ্যমে ভুল প্রচার হচ্ছে। যে ভাবে বাংলাদেশের পরিস্থিতি সেখানে তুলে ধরা হচ্ছে, বিষয়টি আদৌ তেমন নয়। প্রয়োজনে বিদেশি সাংবাদিকদের ঢাকায় গিয়ে পরিস্থিতি দেখে আসতেও বলা হয়েছে। কিন্তু তার মাঝেই সম্প্রতি ঘরোয়া বৈঠকে সংখ্যালঘুদের সমস্যার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূস। এমনকী নিজেদের কেরামতি দেখাতে গিয়ে ইউনূস প্রশাসন যে তথ্য প্রকাশ্যে এনেছে, তাতে তারা সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচারের কথা এই প্রথম স্বীকারও করে নিয়েছে। আসুন এবার ফিরে দেখা যাক, কীভাবে ইউনূস সরকার বিরোধী শিবিরে একের পর এক নির্মম আঘাত হেনেছে। আওয়ামি লিগের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত একাধিক মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যকেও রেয়াত করা হয়নি। বাংলাদেশ পুলিশ, বর্ডার গার্ড তাঁদের আটক করেছে অথবা তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এই লেখায় সেই তথ্যই তুলে ধরা হল।

    টার্গেট সংখ্যালঘু নেতা-জনপ্রতিনিধি

    বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis)  ঠাকুরগাঁও-১ আসনের প্রাক্তন সংসদ সদস্য এবং জলসম্পদমন্ত্রী এমএম রমেশচন্দ্র সেনকে পুলিশ আটক করে। রিপোর্ট অনুযায়ী, গত ১৬ অগাস্ট নিজের বাড়ি থেকে গ্রেফতার হন হাসিনা জমানার এই প্রাক্তন মন্ত্রী। তাঁর স্ত্রী অঞ্জলি সেন জানিয়েছিলেন, গ্রেফতার করতে এসে পুলিশ কর্মীরা বলেছিল, ভালোর জন্যই নাকি রমেশবাবুকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, আবার ৩০ মিনিটের মধ্যে তাঁকে ফিরিয়ে দিয়ে যাওয়া হবে। তবে পরেই রমেশবাবুকে গ্রেফতার করা হয়। কিন্তু আর ফিরিয়ে দেওয়া হয়নি। পরে পুলিশি হেফাজতে ছিলেন রমেশচন্দ্র সেন। এখন রয়েছেন জেলে।

    একইভাবে, বাংলাদেশের প্রাক্তন ভূমিমন্ত্রী নারায়ণচন্দ্র চন্দকে বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী গ্রেফতার করে। এছাড়া এমপি ধীরেন্দ্রনাথ শম্ভু এবং সাবেক মন্ত্রী সাধনচন্দ্র মজুমদারকেও আটক করা হয়। বিজিবি জানায়, অবৈধভাবে ভারতে পালানোর সময় ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্তে প্রাক্তন ভূমিমন্ত্রী ও খুলনা-৫ আসনের প্রাক্তন এমপি নারায়ণচন্দ্র চন্দকে আটক করা হয়। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভূমি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্ব পান খুলনা-৫ আসনের সংসদ সদস্য নারায়ণচন্দ্র চন্দ। ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে টানা তিনবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। 

    রেহাই পাননি মন্ত্রীও

    এছাড়া, বাংলাদেশ (Bangladesh Crisis) আওয়ামি লিগের সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক আসিমকুমার কিল, তাঁর স্ত্রী এবং সংসদ সদস্য অপু কিল সহ আরও অনেক জনপ্রিয় নেতার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এই নেতাদের মধ্যে প্রাক্তন সংসদ সদস্য বীরেন সিকদার, স্থানীয় সরকার ও সমবায়মন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য এবং আওয়ামি লিগের অন্যান্য নেতৃবৃন্দও রয়েছেন।

    এখানেই শেষ নয়। প্রতিহিংসার খিদে যত দিন গিয়েছে, বেড়েই গিয়েছে। খাদ্যমন্ত্রী সাধনচন্দ্র মজুমদারকে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ। নওগাঁ-১ (নিয়ামতপুর, পোরশা ও সাপাহার) আসন থেকে নবম, দশম, একাদশ ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামি লিগের মনোনয়ন নিয়ে পরপর চারবার সংসদ সদস্য হন জেলা আওয়ামি লিগের সাধারণ সম্পাদক সাধনচন্দ্র মজুমদার। ২০১৮ সালে তৃতীয়বারের মতো সংসদ সদস্য হওয়ার পর তিনি খাদ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। আওয়ামি লিগের বিগত সরকারেও খাদ্যমন্ত্রী ছিলেন তিনি।

    আরও পড়ুন: অশান্ত বাংলাদেশে জোর ধাক্কা পোশাক শিল্পে! ভারত হতে পারে বিশ্বের নয়া গন্তব্য

     রোষে আওয়ামি লিগের সংখ্যালঘু সমর্থকরাও

    এছাড়া, বরিশাল-৪ আসনের সংসদ সদস্য পঙ্কজ নাথ, যিনি ১২তম সংসদ নির্বাচনে একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন, এবং আরও অনেক নেতাকে টার্গেট করা হয়েছে। অন্যদের মধ্যে রয়েছেন আনন্দিত সরকার, প্রণবগোপাল দত্ত, সংসদ সদস্য মৃণালকান্তি দাস, প্রাক্তন স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্তলাল সেন এবং আনন্দিত রায়।

    এই দমন-পীড়ন শুধুমাত্র কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল না, বরং আওয়ামি লিগের সংখ্যালঘু সমর্থক এবং তৃণমূল স্তরের নেতাদের ওপরও এই নিপীড়ন চালানো হয়েছে সমান ভাবে। এই নেতাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা দায়ের করা হয়েছে, যার মধ্যে হত্যা মামলাও রয়েছে। বাংলাদেশে এই সময়ে সংখ্যালঘু নেতাদের প্রতি এই ধরনের নির্যাতন এবং দমন-পীড়ন এক দীর্ঘস্থায়ী রাজনৈতিক সংকটের প্রতিফলন, যা দেশের রাজনীতিতে অস্থিরতা সৃষ্টি করেছে।

    ছাড় পাননি পুলিশ অফিসাররাও। তাঁদের ওপরও নানা ভাবে শাস্তির খাঁড়া নামিয়ে আনা হয়েছে। পরের কিস্তিতে আমরা সেই বিষয়েই বিশদে আলোচনা করব।                                                                   (…..চলবে)

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ram Mandir: একটি বাবরি মসজিদের পাল্টা মুর্শিদাবাদে ২২টি রাম মন্দির করা হবে, ঘোষণা হিন্দু সেনার

    Ram Mandir: একটি বাবরি মসজিদের পাল্টা মুর্শিদাবাদে ২২টি রাম মন্দির করা হবে, ঘোষণা হিন্দু সেনার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুর্শিদাবাদের বেলডাঙায় বাবরি মসজিদ তৈরির কথা বলেছেন হুমায়ুন কবীর। পাল্টা মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) প্রতিটি বিধানসভায় একটি করে রাম মন্দির তৈরি করা হবে, দাবি করলেন বঙ্গীয় হিন্দু সেনার সভাপতি অম্বিকানন্দ মহারাজ। তিনি বলেন, বেলডাঙায় বাবরি মসজিদ তৈরি হোক, তাতে কোনও আপত্তি নেই। তবে তাঁরা জেলার প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্রে রাম মন্দিরের (Ram Mandir) আদলে একটি করে মন্দির তৈরি করবেন। বঙ্গীয় হিন্দু সেনার সভাপতি যা বলেছেন, তাতে জেলায় ২২টি রাম মন্দির তৈরি করা হবে।

    বঙ্গীয় হিন্দু সেনার সভাপতি আর কী বললেন? (Ram Mandir)

    ভিডিও বার্তায় বঙ্গীয় হিন্দু সেনার সভাপতি অম্বিকানন্দ মহারাজ আরও বলেছেন, ‘‘মাই ডিয়ার হুমায়ুন কবীর, আপনি ঘোষণা করেছেন যে বেলডাঙায় নাকি একটি বাবরি মসজিদ তৈরি করবেন। সেটার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন ২০২৫ সালের ৬ ডিসেম্বর। বাবরি মসজিদ তৈরির জন্য আপনাকে আগাম শুভেচ্ছা জানাচ্ছি হুমায়ুন সাহেব। আপনি বাবরি মসজিদ বানান। বেলডাঙার মাটিতেই বানান। আপনাকে আমরা আমন্ত্রণ জানাব, মুর্শিদাবাদের প্রত্যেক বিধানসভায় একটি করে রাম মন্দির (Ram Mandir) তৈরি করার জন্য। মুর্শিদাবাদের প্রত্যেক বিধানসভায় একটি করে রাম মন্দির তৈরি করব।’’

    আরও পড়ুন: “নীতীশ তো চোখের আরাম করতে যাচ্ছেন”, লালুর মন্তব্যে তুঙ্গে বিতর্ক

    বাবরি মসজিদ নিয়ে কী বললেন তৃণমূল বিধায়ক?

    বেলডাঙায় বাবরি মসজিদ তৈরির বিষয়ে নিজের অবস্থানে অনড় আছেন মুর্শিদাবাদের ভরতপুরের তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক হুমায়ুন। তিনি বলেছেন, ‘‘আমি একজন স্বাধীনচেতা মানুষ। আমি ইসলাম ধর্ম মেনে চলি। আমার মসজিদ বানানোর অধিকার আছে। ভারতবর্ষের সমস্ত নিয়ম মেনে আমি মসজিদ তৈরি করব। আর তাই এই বিষয়টানিয়ে কে কী বললেন, তাতে আমার যায় আসে না। তাঁদের প্রশ্নেরও উত্তর দেওয়ার কোনও প্রয়োজন বোধ করি না।’’ সেই সঙ্গে ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক জানিয়েছেন, বাবরি মসজিদ উদ্বোধনের সময় যিনি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন, তাঁকে আমন্ত্রণ জানানো হবে। সেই সময় যিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী থাকবেন, তাঁর কাছেও আমন্ত্রণ যাবে।

    রাম মন্দির তৈরির পক্ষে সওয়াল করল বিজেপি

    অন্যদিকে, বুধবার বিজেপির মুর্শিদাবাদ দক্ষিণ জেলার সভাপতি শাখারভ সরকার সাংবাদিক বৈঠকে ঘোষণা করলেন যে মুর্শিদাবাদের আগামী ৬ ডিসেম্বর ২০২৫, নাহলে ২০২৬ সালের ২২ জানুয়ারি রাম মন্দির (Ram Mandir) তৈরি করবেন। আসলে মুর্শিদাবাদ জেলায় একটি রাম মন্দিরের প্রয়োজন আছে। এর ভিত্তি স্থাপন অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার এবং বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী উপস্থিত থাকবেন। ইতিমধ্যেই বহরমপুর থেকে বেলডাঙা এবং জঙ্গিপুরের মধ্যে চারটি জমির খোঁজ এসেছে। তবে, মন্দির কোথায় করা হবে, তা নিয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Protest: বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার দাবিতে ভুবনেশ্বরে প্রতিবাদ হিন্দু সুরক্ষা মঞ্চের

    Bangladesh Protest: বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার দাবিতে ভুবনেশ্বরে প্রতিবাদ হিন্দু সুরক্ষা মঞ্চের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিন্দু সন্ন্যাসী চিন্ময় প্রভু গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর লাগাতার অত্যাচার হচ্ছে। মৌলবাদীদের হামলার প্রতিবাদে পশ্চিমবঙ্গে একাধিক বিক্ষোভের ঘটনা ঘটেছে।  এখনও বিভিন্ন ধর্মীয় সংগঠন প্রতিবাদ চালিয়ে যাচ্ছে। এবার বাংলাদেশ (Bangladesh Protest) ইস্যুতে প্রতিবাদের ঝড় আছড়ে পড়ল ওড়িশায়। হিন্দু সুরক্ষা মঞ্চের ব্যানারে ভুবনেশ্বরের রাজপথে বিক্ষোভ দেখানো হয়।

    বাংলাদেশকাণ্ড নিয়ে সমাবেশ (Bangladesh Protest)

    ভুবনেশ্বরের প্রদর্শনী ময়দানে প্রতিবাদ সভার (Bangladesh Protest) আয়োজন করা হয়। সেখানে গায়ত্রী পরিবার, ইসকন, অনুকুল চন্দ্র সৎসঙ্গ, রামকৃষ্ণ মিশন, আর্য সমাজ, সত্য সাই ট্রাস্ট, ডিভাইন লাইফ সোসাইটি, পতঞ্জলি যোগ ইনস্টিটিউশন, প্রজ্ঞা মিশন এবং ভারত যোগ সংস্থা সহ বিভিন্ন সংস্থার ধর্মীয় নেতারা সুরক্ষার দাবিতে বিক্ষোভে যোগ দিয়েছিলেন। প্রতিবাদ সভা থেকে বিভিন্ন ধর্মীয় সংগঠনের কর্তারা বাংলাদেশ ইস্যু নিয়ে সরব হন।

    তাঁরা বলেন, ‘‘বাংলাদেশে হিন্দুদের হত্যা করা হচ্ছে, নারীদের যৌন নিপীড়ন করা হচ্ছে, হিন্দু মন্দিরে আগুন দেওয়া হচ্ছে এবং মঠ ও আশ্রম ধ্বংস করা হচ্ছে। সাধু ও সন্ন্যাসীদের কারারুদ্ধ করা হচ্ছে, তাঁদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ ও হত্যার অভিযোগ মিথ্যাভাবে দাঁড় করানো হচ্ছে। বাংলাদেশি প্রশাসন জামাতের মতো চরমপন্থী গোষ্ঠীর সঙ্গে যোগসাজশে এই নৃশংস কর্মকাণ্ড ঘটাচ্ছে। শুধু তাই নয়, বাংলাদেশের পুলিশ এবং সামরিক বাহিনীও এই হামলার সঙ্গে জড়িত। বাংলাদেশ সরকার নিজেই এই নিপীড়নের চক্রটিকে চালিয়ে যাচ্ছে। অথচ একসময় ভারত বাংলাদেশকে পাকিস্তানি নিপীড়ন থেকে মুক্ত করেছিল। কিন্তু, আজ সেই বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুরা চরম নিপীড়নের শিকার হচ্ছেন। এই কট্টর  ইসলামি এবং বাংলাদেশ সরকারের কর্মকাণ্ড দেশের হিন্দুদের অস্তিত্বকে বিপন্ন করে তুলেছে।’’ এই নৃশংসতার মোকাবিলায় বিশ্বব্যাপী হিন্দু ঐক্যের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন তাঁরা। একইসঙ্গে ভারতে বসবাসকারী অবৈধ বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করে অবিলম্বে নির্বাসনের আহ্বান জানান তাঁরা।

    রাজপথে প্রতিবাদ মিছিল

    সমাবেশের (Bangladesh Protest) পর বিভিন্ন ধর্মীয় সম্প্রদায়ের নেতা, সন্ন্যাসী এবং হিন্দু সংগঠনের সদস্য সহ হাজার হাজার অংশগ্রহণকারী একটি বিশাল মিছিলে বের করে। সেই মিছিল মাস্টার ক্যান্টিন স্কোয়ারে গিয়ে শেষ হয়। স্বামী শঙ্করানন্দ গিরি মহারাজ, স্বামী শ্রদ্ধানন্দ সরস্বতী, মহন্ত রামকৃষ্ণ দাশ, ব্রহ্মচারী বিশ্বচৈতন্য, বাবা রমেশ চন্দ্র দাস, স্বামী নির্ভয়ানন্দ গিরি, মহন্ত তেলোক্যশ্বর ভারতী, মহন্ত বৈষ্ণবপুরী, মহন্ত স্বামী লিঙ্গপুরী, স্বামী লিংগপুরী, স্বামী রামকৃষ্ণ দাশ প্রমুখ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা মিছিলের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। চৈতন্য মহারাজের নেতৃত্বে ওড়িশার সাধুদের একটি প্রতিনিধি দল রাজভবনে যায়। সেখানে তাঁরা রাজ্যপালের মাধ্যমে ভারতের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী এবং রাষ্ট্রসঙ্ঘের মহাসচিবের কাছে একটি স্মারকলিপি জমা দেন। বাংলাদেশে হিন্দুদের সুরক্ষার জন্য অবিলম্বে পদক্ষেপ নেওয়ার এবং লাগাতার অত্যাচার বন্ধ করার জানান তাঁরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bima Sakhi Yojana: চালু করেছেন মোদি, এলআইসি বিমা সখী যোজনায় কীভাবে আবেদন করবেন?

    Bima Sakhi Yojana: চালু করেছেন মোদি, এলআইসি বিমা সখী যোজনায় কীভাবে আবেদন করবেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এলআইসি (LIC) বিমা সখী যোজনা (Bima Sakhi Yojana) চালু হয়েছে। মহিলারা মাসিক ৭০০০ টাকা করে আর্থিক সহায়তা পেবেন। এই বিমা যোজনায় মহিলারা বিমা এজেন্ট হওয়ার সুযোগ পাবেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দেশের নারী সমাজকে আরও সশক্ত করতে এই বিমা যোজনার পরিকল্পনা করেছেন। বিমাতে কীভাবে আবেদন করতে পারবেন জেনে নিন।

    কন্যাদের ক্ষমতায়নের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ (Bima Sakhi Yojana)

    বিমা সম্পর্কে নিজের এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করে দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, “আমরা সারা দেশে মা, বোন এবং কন্যাদের ক্ষমতায়নের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এই কর্মসূচির অংশ হিসাবে, মহিলারা বিমা এজেন্ট (বিমা সখী) হওয়ার সুযোগ পাবেন এবং প্রতি মাসে ৭০০০ টাকা পর্যন্ত আর্থিক সহায়তা পাবেন। বিমা সখী যোজনার (LIC) প্রধান উদ্দেশ্য হল গ্রামীণ মহিলাদের কাজের সুযোগ এবং আর্থিক সহায়তা প্রদান করা।’’

    আরও পড়ুনঃ “নীতীশ তো চোখের আরাম করতে যাচ্ছেন”, লালুর মন্তব্যে তুঙ্গে বিতর্ক

    বীমা সখী যোজনায় কী রয়েছে?

    এই বিমা সখী যোজনা হল লাইফ ইন্স্যুরেন্স কর্পোরেশন-এর একটি প্রধান প্রকল্প (Bima Sakhi Yojana)। এই প্রকল্প ১৮ থেকে ৭০ বছর বয়সি মহিলাদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। তবে তাঁদের ন্যূন্যতম শিক্ষাগত যোগ্যতা দশম শ্রেণি উত্তীর্ণ হতে হবে। মহিলাদের প্রশিক্ষণ দিতে তাঁদের আর্থিক বোঝাপড়াকে বাড়ানো হবে। সেই সঙ্গে কীভাবে বিমার গুরুত্ব বুঝতে হবে তাও বলা হবে। তিন বছর কাজ করার পর এজেন্ট হিসেবে নিয়োগ করা হবে।

    আবেদনকারীদের মানতে হবে এই শর্ত। যথা-

    ১>শুধুমাত্র মহিলা প্রার্থীরা বিমা সখী প্রকল্পের জন্য আবেদন করতে পারেন।

    ২>মহিলা প্রার্থীদের কমপক্ষে দশম শ্রেণি পাস করতে হবে।

    ৩>তাঁদের বয়স ১৮ এবং ৭০ হতে হবে।

    ৪>তিন বছরের প্রশিক্ষণ পাওয়ার পর, তারা এলআইসি এজেন্ট হয়ে যাবেন এবং এলআইসির নিয়মিত কর্মচারী হবেন।

    ৫>স্কিমের সাফল্য নিশ্চিত করতে নির্বাচিত প্রার্থীদের বার্ষিক কর্মক্ষমতা লক্ষ্য পূরণ করতে হবে।

    বিমা সখী স্কিমে (LIC) অংশগ্রহণকারী মহিলারা তিন বছরের প্রশিক্ষণের সময় মোট ২ লাখ টাকার আর্থিক সুবিধা পাবেন। প্রথম বছর প্রতি মাসে ৭০০০ টাকা, দ্বিতীয় বছর প্রতি মাসে ৬০০০ টাকা এবং তৃতীয় বছর প্রতি মাসে ৫০০০ টাকা করে পাবেন।

    বীমার জন্য কীভাবে আবেদন করবেন (Bima Sakhi Yojana)?

    ১>প্রথমে আপনাকে এলআইসি ইন্ডিয়ার অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে যেতে হবে।

    ২>হোম পেজের নীচে ‘বিমা সখীর জন্য এখানে ক্লিক করুন’ বিকল্পে ক্লিক করতে হবে।

    ৩>এই পাতায় আপনাকে নাম, জন্ম তারিখ, মোবাইল নম্বর, ইমেল আইডি এবং ঠিকানা সহ আপনার বিবরণ পূরণ করতে হবে।

    ৪>কোনও এলআইসি এজেন্ট, ডেভেলপমেন্ট অফিসার, কর্মচারী, বা মেডিক্যাল পরীক্ষক যুক্ত হলে তাঁদের বিশদ বিবরণ দিতে হবে।

    ৫>তারপর, ক্যাপচা কোড লিখে এবং ‘জমা’ বোতামে ক্লিক করতে হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Crisis: অশান্ত বাংলাদেশে জোর ধাক্কা পোশাক শিল্পে! ভারত হতে পারে বিশ্বের নয়া গন্তব্য

    Bangladesh Crisis: অশান্ত বাংলাদেশে জোর ধাক্কা পোশাক শিল্পে! ভারত হতে পারে বিশ্বের নয়া গন্তব্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পর জ্বলছে বাংলাদেশ (Bangladesh Crisis)। ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যে পড়েছে প্রভাব। পদ্মাপাড়ে অশান্তির জেরে লাভবান হতে চলেছেন ভারতের বস্ত্র ব্যবসায়ীরা, এমনই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল। ইতিমধ্যেই বাড়তে শুরু করেছে কাপড়ের কোম্পানিগুলির স্টকের গ্রাফ। বিশেষজ্ঞদের অনুমান, এই পরিস্থিতিতে ইউরোপ ও আমেরিকায় রফতানির জন্য বিপুল টাকার বরাত পেতে পারে ভারতের বিভিন্ন সংস্থা।

    বাংলাদেশের কাপড়ের চাহিদা

    আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) কাপড়ের দারুণ চাহিদা রয়েছে। বস্ত্র রফতানিতে ভারত ও চিনকে রীতিমতো টেক্কা দিয়ে থাকে পূর্ব পাড়ের এই প্রতিবেশী। গত বছর অর্থাৎ ২০২৩-এ বস্ত্র শিল্পের পরিসর বৃদ্ধি করে পদ্মা নদীর দেশ। ফলে রফতানি বাণিজ্যের পরিমাণ ধীরে ধীরে বাড়াছিল ঢাকা। সম্প্রতি পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হওয়ায় মারাত্মকভাবে ধাক্কা খেয়েছে বাংলাদেশের কাপড় ব্যবসা। বাংলাদেশ বর্তমানে পাকিস্তানের মতো দেউলিয়া হওয়ার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। কারণ দেশের পরিস্থিতি অস্থিতিশীল হয়ে উঠেছে। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশ ত্যাগের পর থেকে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়েছে। দেশের অর্থনীতির অন্যতম প্রধান খাত গার্মেন্ট শিল্প সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়, বিশেষ করে হিন্দুদের বিরুদ্ধে আক্রমণের ঘটনা বাড়ানোর ফলে উদ্বেগ আরও বেড়েছে, এবং অনেক প্রতিষ্ঠান এখন বন্ধ হওয়ার পথে।

    ভারতের সুবিধা

    পোশাক শিল্পে বাংলাদেশ (Bangladesh Crisis) বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম, চিনের পর। বেশ কিছু বড় আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড এই দেশে পোশাক তৈরি বা সংগ্রহ করে। এসব পোশাক তারপর দেশে বড় বড় শোরুমে বিক্রি হয়। তবে দেশের চলমান অস্থিরতা এই ব্র্যান্ডগুলির ব্যবসাকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। ক্ষতি কমানোর জন্য অনেক প্রতিষ্ঠান এখন ভারতীয় উৎপাদকদের দিকে মনোযোগ দেওয়ার চেষ্টা করছে। প্রসঙ্গত, ২০১৮ থেকে ইউরোপ ও আমেরিকায় কাপড় রফতানির পরিমাণ বাড়ানোর চেষ্টা চালাচ্ছে ভারত। গত বছর যা ৬ শতাংশে পৌঁছয়। বিশেষজ্ঞদের একাংশের দাবি, বর্তমান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের রফতানি বাণিজ্যের ২১ শতাংশ বাজার দখল করতে পারে ভারত।

    বাংলাদেশের জিডিপিতে পোশাক শিল্পের গুরুত্ব

    পোশাক শিল্প বাংলাদেশের জিডিপিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ২০২৪ সালে এটি ছিল জিডিপির ১১ শতাংশ। এই খাতের প্রায় ৮০ শতাংশ রাজস্ব আসে রফতানি থেকে। এই অবস্থায় পোশাক শিল্প কমে গেলে বাংলাদেশে অর্থনৈতিক সংকট দেখা দিতে পারে। বহু মানুষ চাকরি হারাতে পারেন। বিপুল ঋণের বোঝা বহন করতে হতে পারে ঢাকাকে। এমন পরিস্থিতি বাংলাদেশকে পাকিস্তানের মতো অর্থনৈতিক পতনের দিকে ঠেলে দিতে পারে। ২০২৩ সালে বাংলাদেশ ৪৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রেডিমেড পোশাক রফতানি করেছে বিশ্ব বাজারে। আমেরিকা, ব্রিটেন এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলিতে বাংলাদেশের পোশাকের বিপুল চাহিদা। শেখ হাসিনার সময়কালে এই বস্ত্র শিল্পের উপরে ভরসা করে ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশের অর্থনীতি। তাদের বরাতে জুটেছিল উন্নয়নশীল দেশের তকমাও। আপাতত প্রবল বিদ্রোহের জেরে ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা দেশত্যাগী। সেইসঙ্গে বিগত মাস দুয়েক ধরে চলা অশান্তির পরিবেশে বাংলাদেশের রফতানি প্রবল ভাবে ধাক্কা খেয়েছে। ধাক্কা খেয়েছে বাংলাদেশের গৌরব এবং ভরসার বস্ত্র শিল্পও। 

    আরও পড়ুন: “নীতীশ তো চোখের আরাম করতে যাচ্ছেন”, লালুর মন্তব্যে তুঙ্গে বিতর্ক

    ভারতের সুরাট শহর লাভবান হতে পারে

    এই সুযোগ ছাড়তে নারাজ ভারতীয় বস্ত্র শিল্পপতিরা (Garment Industry)। ইউরোপ, আমেরিকার পাশাপাশি পশ্চিম এশিয়ার বাজার দখলের মরিয়া চেষ্টা চেষ্টা চালাচ্ছেন তাঁরা। যার প্রভাব কোম্পানি ও কাপড়ের মিলের স্টকে দেখা যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। গ্লোবাল ব্র্যান্ডগুলো তাদের পণ্য উৎপাদন বা সংগ্রহের জন্য নতুন স্থান খুঁজছে, এমন পরিস্থিতিতে ভারতের সুরাট শহর একটি বিকল্প হিসেবে উঠে আসতে পারে। ইতিমধ্যেই দেখা গিয়েছে, সুরাটের গার্মেন্ট শিল্পে বড় বড় ব্র্যান্ডগুলোর আগ্রহ বৃদ্ধি পেয়েছে। শিল্পের অভ্যন্তরীণ সূত্র অনুযায়ী, গ্লোবাল ব্র্যান্ডগুলো এখানে প্রস্তুত পোশাক উৎপাদন এবং সরবরাহ সম্পর্কে জানতে চাইছে। যদি এই আকর্ষণ অর্ডারে পরিণত হয়, তবে সুরাটের গার্মেন্ট শিল্পের বৃদ্ধির হার বর্তমানে ১২ শতাংশ থেকে ২০-২৫ শতাংশে পৌঁছাতে পারে। দক্ষিণ গুজরাট চেম্বার অফ কমার্সের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট আশিস গুজনির মতে, নতুন অর্ডারগুলি শুধুমাত্র সুরাট নয়, অন্যান্য ভারতীয় শহরগুলিকেও লাভবান করতে পারে, যেখানে বস্ত্র শিল্পের কেন্দ্র রয়েছে। তিরুপুর ও কোয়েম্বাটুর (তামিলনাড়ু), লুধিয়ানা (পাঞ্জাব) এবং নয়ডার (উত্তরপ্রদেশ) মতো শহরগুলোও লাভবান হতে পারে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share