Tag: Madhyom

Madhyom

  • BJP: ‘‘বাংলায় ৯০ হাজার জাল নোট উদ্ধার হয়েছে’’, তথ্য পেশ করে মমতাকে আক্রমণ অমিত মালব্যর

    BJP: ‘‘বাংলায় ৯০ হাজার জাল নোট উদ্ধার হয়েছে’’, তথ্য পেশ করে মমতাকে আক্রমণ অমিত মালব্যর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যজুড়ে রমরমিয়ে চলছে জাল নোটের কারবার। আর তৃণমূল সরকার কোনও পদক্ষেপ করছে না। বরং, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পশ্চিমবঙ্গকে দুর্নীতি ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের আস্তানায় বানিয়ে ফেলেছেন। বিশেষ করে জাল নোটের রমরমা রুখতে তৃণমূল সরকার কোনও পদক্ষেপ করছে না। এমন অভিযোগ তুলেছেন বিজেপির (BJP) মুখপাত্র অমিত মালব্য (Amit Malviya)। শুধু অভিযোগ নয়, তিনি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে উদ্ধৃত করে দাবি করেছেন পশ্চিমবঙ্গ দুর্নীতি ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের আস্তানায় পরিণত হয়েছে। যা বানিয়ে ফেলেছেন মুখ্যমন্ত্রী নিজেই। স্বাভাবিকভাবে এই ঘটনায় তৃণমূল বেশ কিছুটা হলেও ব্যাকফুটে রয়েছে বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে।

    আরও পড়ুন: ‘কলকাতা দখল! একটা রাফালই যথেষ্ট’, বাংলাদেশের সাম্প্রতিক মন্তব্যের জবাব শুভেন্দুর

    ঠিক কী অভিযোগ করলেন বিজেপির মুখপাত্র? (BJP)

    বিজেপির (BJP) মুখপাত্র অমিত মালব্য এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে লেখেন, ‘‘বিজেপি সাংসদ শমীক ভট্টাচার্যের প্রশ্নে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক জানিয়েছে যে, পশ্চিমবঙ্গ থেকে ৯০,০০০টিরও বেশি জাল ভারতীয় মুদ্রার নোট (এফআইসিএন) উদ্ধার করা হয়েছে। গত পাঁচ বছরে এই জাল নোট ইস্যু ক্রমবর্ধমান সমস্যা এই রাজ্যকে বিপদের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। হুমকির একটি স্পষ্ট সূচক হল রাজ্যের এই জাল মুদ্রা। এনআইএ এই ধরনের মামলার ক্ষেত্রে ১০০ শতাংশ সাফল্য অর্জন করা সত্ত্বেও, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফে এই সমস্যাটি মোকাবিলার যথেষ্ট প্রচেষ্টা করা হচ্ছে না। যা গুরুতর উদ্বেগ তৈরি করেছে রাজ্যে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh: ‘ভারত শত্রুরাষ্ট্র’! লিফলেট বিলি ঢাকায়, আওয়ামি লিগ নেতার বাড়ির ২ সদস্যাকে পুড়িয়ে হত্যা

    Bangladesh: ‘ভারত শত্রুরাষ্ট্র’! লিফলেট বিলি ঢাকায়, আওয়ামি লিগ নেতার বাড়ির ২ সদস্যাকে পুড়িয়ে হত্যা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতকে ‘শত্রুরাষ্ট্র’ বলে প্রচার চলছে খোদ ঢাকাতেই। এরপরও বাংলাদেশের (Bangladesh) অন্তর্বর্তী সরকাররের প্রধান মহম্মদ ইউনূসের টনক নড়ছে না। ধর্মকে হাতিয়ার করে ভারত বিরোধিতা এবং হিন্দু নির্যাতনের কুকর্ম অবিরাম ঘটে চলেছে। অপর দিকে হাসিনাকে চক্রান্ত করে দেশ থেকে বিতারিত করার পর, মৌলবী বাজারে আরও এক আওয়ামি লিগ (Awami League) নেতার মা-কাকিমাকে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ উঠেছে। বাংলাদেশের পরিস্থিতি অত্যন্ত সঙ্কটজনক।

    জঙ্গি সংগঠন হিজবুত তাহেরির প্রচার ভারত শত্রুরাষ্ট্র (Bangladesh)

    বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতনের বিরুদ্ধে পশ্চিবঙ্গের একাধিক হিন্দু সংগঠনের পক্ষ থেকে ভারতকে ওই দেশের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিন্ন করার দাবি তোলা হয়েছে। যেখানে ভারতের থেকে পণ্যের উপর অনেকটাই নির্ভর করতে হয় বাংলাদেশকে। ফলে এই দিকে বিচার না করে ভারতকে ‘শত্রুরাষ্ট্র’ ঘোষণার কথা বলে রীতিমতো লিফলেট বিলি করা হচ্ছে ঢাকার অলিগলিতে। তবে এই কাজে নেমেছে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন হিজবুত তাহেরির। দুই পাতার একটি প্রচার পুস্তিকা তৈরি করা হয়েছে। তাতেই মুসলমান সমাজকে একত্র হতে আহ্বান করা হয়েছে। উল্লেখ্য আজ সোমবার ঢাকায় যাচ্ছেন বিদেশ সচিব বিক্রম মিসরি। তার মধ্যে এই ঘটনা অত্যন্ত উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

    মা-কাকিমাকে পুড়িয়ে হত্যা করে কট্টর মৌলবাদীরা

    মহম্মদ ইউনূস অন্তর্বর্তী সরকারের (Bangladesh) প্রধান হওয়ার পর থেকেই বাংলাদেশে হিন্দু নিধন এবং আওয়ামি লিগের (Awami League) কর্মীদের নির্বিচারে হত্যা করা হয়েছে। মৌলবী বাজার সদর উপজেলার ১১ নম্বর মোস্তফাপুর ইউনিয়ন পরিষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা জেলা যুব লিগের সহ-সভাপতি শেখ রুমেল আহমদের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় চরমপন্থীরা। তখন বাড়িতে ছিল রুমেলের মা এবং কাকিমা। তাঁরা ঘরের বাইরে বের হওয়ার সুযোগ পাননি। বাড়িটি আগুনে সম্পূর্ণ দগ্ধ হয়ে যায়। একই ভাবে এই জেলার আরেক ছাত্র লিগের নেতা হালালের বাড়িতেও আগুন ধরিয়ে দেয় কট্টরপন্থী মুসলমানরা। তবে সেখানে কেউ হতাহতের খবর মেলেনি। ক্রম বর্ধমান হিংসার আগুনে যে গোটা দেশ এখন চরম বিশৃঙ্খলার মধ্যে রয়েছে সে কথা অনেকেই মনে করছেন।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh: চিন্ময় প্রভুর বিরুদ্ধে আরও মামলা চট্টগ্রামে, গ্রেফতারি নিয়ে প্রশ্ন বাংলাদেশের সাহিত্যিকের

    Bangladesh: চিন্ময় প্রভুর বিরুদ্ধে আরও মামলা চট্টগ্রামে, গ্রেফতারি নিয়ে প্রশ্ন বাংলাদেশের সাহিত্যিকের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিন্ময় প্রভু যাতে আদালতে জামিন না পান, তারজন্য মৌলবাদীরা তাঁর আইনজীবীদের হুমকি দিয়েছিলেন। হামলা চালানোরও অভিযোগ রয়েছে। আপাতত জেলেই রয়েছেন চিন্ময় প্রভু। এই পরিস্থিতিতে তাঁর ওপর চাপ বাড়াতে চিন্ময়কৃষ্ণ দাস-সহ ১৬৪ জনের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম (Bangladesh) আদালতে আরও মামলার আবেদন জমা পড়ল। আদালত চত্বরে চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের অনুগামীদের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ। অভিযোগ আদালত চত্বরে থাকা গাড়ি ভাঙচুরেরও।

    ঠিক কী অভিযোগে মামলা? (Bangladesh)

    চট্টগ্রাম (Bangladesh) আদালতে যিনি চিন্ময় এবং বাকিদের বিরুদ্ধে আরও মামলার আবেদন জানিয়েছেন, তাঁর অভিযোগ, গত ২৬ নভেম্বর তিনি চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গনে ছিলেন। সেখানে তাঁকে মারধর করেন চিন্ময়ের অনুগামীরা। সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ মঞ্চের লোকজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন এনামুল হক নামের ওই ব্যবসায়ীর। তিনি জানিয়েছেন, মারধরের ফলে তিনি আহত হন। এতদিন অসুস্থতার জেরে অভিযোগ করতে পারেননি। এলাকায় ভাঙচুরের অভিযোগও করেছেন এনামুল। চট্টগ্রামের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে মামলা করা হয়েছে। মামলার আবেদন গৃহীতও হয়েছে সেখানে। এমনিতে ২ জানুয়ারির আগে মুক্তির কোনও সম্ভবনা নেই চিন্ময়ের। তার আগে আরও নতুন নতুন মামলা যোগ করা হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আগামী ২ জানুয়ারি চিন্ময়ের জামিনের পরবর্তী শুনানি রয়েছে। কিন্তু যেভাবে নতুন নতুন মামলা যুক্ত হচ্ছে, তাতে ওই দিন তিনি জামিন নাও পেতে পারেন। নয়া মামলায় মারধর, সম্পত্তি ভাঙচুরের অভিযোগ রয়েছে। তাই আগামী দিনে চিন্ময়ের জামিন পেতে সমস্যা আরও বাড়বে বলে মনে করছেন সকলেই। আগামী দিনে আরও মামলা দায়ের করা হতে পারে বলেও আশঙ্কা।

    আরও পড়ুন: ‘কলকাতা দখল! একটা রাফালই যথেষ্ট’, বাংলাদেশের সাম্প্রতিক মন্তব্যের জবাব শুভেন্দুর

    গ্রেফতারি নিয়ে প্রশ্ন বাংলাদেশের সাহিত্যিকের

    রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলায় চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের (Chinmoy Prabhu) গ্রেফতারি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বাংলাদেশের (Bangladesh) বিশিষ্ট সাহিত্যিক ফরহাদ মজহার। একইসঙ্গে তিনি মনে করেন যে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার সে দেশের সংখ্যালঘু, সনাতনপন্থীদের অভাব-অভিযোগ ও দাবি-দাওয়া আন্তরিকভাবে শুনতে পারেননি। বাংলাদেশে হাসিনা বিরোধী অভ্যুত্থানের পর সনাতনপন্থীদের সঙ্গে আলোচনা করা উচিত ছিল বলে মনে করেন তিনি। একটি সাক্ষাৎকারে সাহিত্যিক ফরহাদ মজহার প্রশ্ন করেন, ‘‘চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলায় গ্রেফতার করার যুক্তি কি? চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে আমার কোনওভাবেই বাংলাদেশের রাষ্ট্রদ্রোহী বলে মনে হয়নি। আমার যা জানা, তাতে এমন কোনও প্রমাণ নেই। তাঁকে এই মামলায় গ্রেফতার করার আইনি ভিত্তিটা কি?’’ কার্যত ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিরুদ্ধে সমালোচনার সুরই শোনা যায় বাংলাদেশি সাহিত্যিক ফরহাদ মজহারের কণ্ঠে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Syria War: রাশিয়ায় আসাদ, সিরিয়ার আইএস ঘাঁটিতে হামলা আমেরিকার, শান্তিপূর্ণ সমাধানের পক্ষে ভারত

    Syria War: রাশিয়ায় আসাদ, সিরিয়ার আইএস ঘাঁটিতে হামলা আমেরিকার, শান্তিপূর্ণ সমাধানের পক্ষে ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিরিয়ার (Syria War) দীর্ঘ ১৩ বছরের গৃহযুদ্ধের সমাপ্তি ঘটেছে। প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ সিরিয়া ছেড়েছেন। রাজধানী দামাস্কাস এখন বিদ্রোহীদের দখলে। ২০০০ সাল থেকে সিরিয়ার কুর্সিতে ছিলেন আসাদ। তাঁর পরিবার ছয় দশক ধরে সিরিয়ার ক্ষমতায় ছিল। ২০১১ সালে সেখানে গৃহযুদ্ধ শুরু হয়, যা বার বার রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের সাক্ষী থেকেছে। অবশেষে তাতে ইতি পড়ল। পরিবার নিয়ে রাশিয়ায় পৌঁছেছেন সিরিয়ার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ। তাঁকে আশ্রয় দিয়েছে মস্কো। মানবিক কারণে আসাদকে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে, জানিয়েছে রাশিয়ার সরকারি সংবাদমাধ্যম স্পুটনিক ইন্টারন্যাশনাল। এই আবহে সিরিয়ায় যাতে ফের আইসিস সক্রিয় না হতে পারে তাই সতর্ক রয়েছে আমেরিকা। সিরিয়ার এই উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সে দেশে বসবাসকারী ভারতীয়রা নিরাপদেই রয়েছেন, বলে সোমবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে বিদেশ মন্ত্রক।

    সিরিয়ায় বসবাসকারী ভারতীয়রা নিরাপদে

    সিরিয়ার রাজধানী দামাস্কাসে সচল রয়েছে ভারতীয় দূতাবাস। সে দেশে বসবাসকারী ভারতীয়দের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন দূতাবাসের কর্মীরা। তাঁদের সুরক্ষা এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপও করছে দামাস্কাসের ভারতীয় দূতাবাস। সোমবার বিদেশ মন্ত্রক থেকে এক বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়। সিরিয়ার সাম্প্রতিক পরিস্থিতির উপরেও নজর রাখছে বিদেশ মন্ত্রক। পশ্চিম এশিয়ার ওই দেশের একতা, সার্বভৌমত্ব এবং অখণ্ডতার পক্ষেও সওয়াল করেছে দিল্লি। সরকারি হিসাবে সিরিয়ায় প্রায় ৯০ জন ভারতীয় রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ১৪ জন রাষ্ট্রপুঞ্জের বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে জড়িত। 

    আইসিস ঘাঁটিতে হামলা

    রবিবার রাতে সিরিয়ায় আইসিস ঘাঁটি (US Hits ISIS Camp) লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে আমেরিকা। হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, সিরিয়ায় অবস্থিত অন্তত ৭৫টি আইসিস ঘাঁটিতে গোলাবর্ষণ করেছে তারা। হোয়াইট হাউস থেকে বাইডেন বলেন, ‘‘আইসিস ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য সিরিয়ার মসনদের যে কোনও শূন্যতাকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করবে। আমেরিকা সে সম্পর্কে অবহিত। আমেরিকা কখনওই তা হতে দেবে না।’’ আসাদের পতন প্রসঙ্গেও রবিবার হোয়াইট হাউস থেকে মন্তব্য করেছেন বাইডেন। তাঁর কথায়, ‘‘এত দিনে ন্যায়বিচার হয়েছে। সিরিয়ার পীড়িত জনগণের জন্য এটি একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত।’’

    রাশিয়ায় আসাদ

    সিরিয়ার রাজধানী দামাস্কাস এখন বিদ্রোহীদের দখলে। রবিবার সকালে সেখান থেকে পালিয়ে গিয়েছিলেন আসাদ। তাঁকে বিমানে উঠতে দেখা গিয়েছিল। কিন্তু তিনি কোথায় গিয়েছেন, তা স্পষ্ট হচ্ছিল না।  তবে সোমবার সকালে সে সব জল্পনার অবসান হয়েছে। রাশিয়ার সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ‘বন্ধু’র কাছে আশ্রয় পেয়েছেন আসাদ। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন মানবিক কারণে তাঁকে নিজের দেশে আশ্রয় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সপরিবার মস্কোয় পৌঁছেও গিয়েছেন আসাদ। রাশিয়ার একটি সরকারি সূত্র সংবাদমাধ্যমকে বলেছে, ‘‘সিরিয়া সঙ্কটের একটি সুষ্ঠু রাজনৈতিক সমাধানের কথা দীর্ঘ দিন ধরেই বলে আসছে রাশিয়া। আমরা চাই, রাষ্ট্রপুঞ্জের তৎপরতায় এ বিষয়ে আবার কথাবার্তা শুরু হোক।’’ সিরিয়ায় সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সঙ্গেও রাশিয়া যোগাযোগ রেখেছে, দাবি সে দেশের সংবাদমাধ্যমের। বিদ্রোহী নেতারা সিরিয়ায় অবস্থিত রুশ সেনাঘাঁটি এবং দূতাবাস সুরক্ষিত রাখার আশ্বাস দিয়েছেন। মস্কো এ-ও জানিয়েছে, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সিরিয়ার জনগণের স্বার্থ সুরক্ষিত এবং রাশিয়া-সিরিয়া সম্পর্কের উন্নতিতে আগ্রহী পুতিন। এ বিষয়ে রাজনৈতিক সংলাপ চালিয়ে যেতে চান তিনি।

    মুক্ত সিরিয়া!

    সিরিয়ার দুই বিদ্রোহী সশস্ত্র গোষ্ঠী ‘হায়াত তাহরির আল-শাম’ (এইচটিএস) এবং তাদের সহযোগী ‘জইশ আল-ইজ্জা’র যৌথবাহিনী রবিবার সকালে দামাস্কাসে ঢুকে পড়ে। গত কয়েক দিন ধরেই সিরিয়ার একের পর এক শহর দখল করতে শুরু করে বিদ্রোহীরা। রবিবার এক প্রকার বিনা বাধায় রাজধানী ‘দখল’ করে নেয় বিদ্রোহীরা। প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারেনি সরকার। রবিবার দামাস্কাসের দখল নেওয়ার পরেই আসাদের ‘স্বৈরাচারী শাসন’ থেকে সিরিয়া মুক্ত হয়েছে বলে জানায় বিদ্রোহীরা। আসাদ দামাস্কাস ছাড়তেই উল্লাস শুরু করেছে বিদ্রোহী গোষ্ঠী এবং তাদের সমর্থকরা। রবিবার রাতে জানা যায়, দামাস্কাসে পৌঁছে গিয়েছে বিদ্রোহী গোষ্ঠী এইচটিএসের নেতা আবু মহম্মদ আল-জুলানিও। দামাস্কাসের উমায়েদ মসজিদের সামনে দাঁড়িয়ে বিজয় ভাষণ দেন তিনি। আসাদের পতনকে সমগ্র সিরিয়াবাসীর জয় বলে মন্তব্য করেন তিনি।

    সিরিয়ার বিদ্রোহী নেতা জুলানির পরিচয়

    আক্রমণাত্মক নেতৃত্ব দিয়ে আসাদের শাসনের অবসান ঘটিয়েছেন আবু মহম্মদ আল-জুলানি (Mohammed AL-Julani)। যিনি বর্তমানে সিরিয়ার সবচেয়ে শক্তিশালী সশস্ত্র বিদ্রোহী শক্তি হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস) এর প্রধান। এই ইসলামিক গোষ্ঠীর সঙ্গে একসময় আল-কায়েদার সম্পর্ক ছিল। গোপন আস্তানা থেকে জুলানি বলেছেন, সিরিয়ায় বিপ্লবের প্রাথমিক উদ্দেশ্য ছিল প্রেসিডেন্ট আসাদের সরকারকে উৎখাত করা। এমন একটি সরকার প্রতিষ্ঠা করা যেখানে জনগণের দ্বারা নির্বাচিত কাউন্সিলের নেতৃত্ব থাকবে। ২০১৮ সালে এই জুলানির মাথার দাম এক কোটি ডলার ধার্য করেছিল আমেরিকা। ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৭৪ কোটি টাকা। পরে আমেরিকার সংবাদমাধ্যমে তিনিই দাবি করেছিলেন, নিরীহদের খুনকে তিনি কখনওই সমর্থন করেন না।

    আরও পড়ুন: ‘‘লাশ চাইনি আমি! নতুন সূর্যের উদয় হবে’’, লন্ডনে হাসিনার বক্তব্যে সংখ্যালঘু হত্যা প্রসঙ্গ

    ১৯৮২ সালে সৌদি আরবে জন্ম জুলানির। জন্মের পরে প্রথম সাত বছর কেটেছিলে রিয়াধে। জুলানির বাবা ছিলেন পেট্রোলিয়াম ইঞ্জিনিয়ার। ১৯৮৯ সালে সিরিয়ায় ফিরে আসে জুলানির পরিবার। ২০০৩ সালে আল-কায়দায় যোগ দিয়েছিলেন জুলানি। ২০১১ সালে আল-কায়েদার অধীনের নতুন ‘জাভাত আল-নুসরা’ গঠন করেন জুলানি। পরে তার নামই হয় এইচটিএস। ২০১৩ সালে আল-কায়দা ও আইসিস-এর সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করে জুলানি জানান, নিরীহ মানুষের হত্যা তিনি পছন্দ করেন না। এরপর ২০২২ সালে সিরিয়ার ইদলিব প্রদেশে নিজের সরকারও গঠন করেন জুলানি। এবার দামাস্কাস দখল করল তাঁর এইচটিএস।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh: ইসকনকে ক্যান্সারের সঙ্গে তুলনা! বাংলাদেশে চরম বিদ্বেষ ছড়াচ্ছে জেহাদিরা, ইউনূস চুপ

    Bangladesh: ইসকনকে ক্যান্সারের সঙ্গে তুলনা! বাংলাদেশে চরম বিদ্বেষ ছড়াচ্ছে জেহাদিরা, ইউনূস চুপ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ইসকন (ISKCON) ক্যান্সারের মতো উপড়ে ফেলতে হবে”, ভয়ঙ্কর গুজব ছড়িয়ে বাংলাদেশে (Bangladesh) ব্যাপক উস্কানি দিচ্ছে জামাতপন্থী কট্টর মোল্লা-মৌলবীরা। ইসকনের মতো আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনায় মানবসেবায়রত একটি ধর্মীয় সংগঠন সম্পর্কে অপপ্রচারের নেমেছে কট্টর ইসলামি জেহাদিরা। একটাই রাগ, মুসলমান শাসিত বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর নির্যাতন হলে ইসকন কেন পাশে দাঁড়ায়? ইসকনের কৃষ্ণমূর্তি পুজো এবং হিন্দু রীতিতে পুজো করা জেহাদিদের কাছে সেরকি। শারিয়া শাসন ইসালাম ব্যাতিত অন্য কোনও ধর্ম-বর্ণের মানুষকে কাফের মনে করে। তাই তো দাবি উঠেছে সারা বাংলাদেশে ইসকনের সকল মঠ-মন্দির, উপাসনাকেন্দ্রকে ভেঙে দিতে হবে। যদিও ইসকন সম্পর্কে কট্টর মুসলমানদের এই ভাবনার তীব্র সমালোচনা করেছে বিশ্বের বহুদেশ।

    বিদ্বেষ এবং হিংসাত্মক ভিডিও মৌলবাদীদের (Bangladesh)

    গত নভেম্বর মাসের শেষে হিন্দু ধর্মগুরু চিন্ময়কৃষ্ণ দাসকে মিথ্যা মামলা দিয়ে বাংলাদেশের (Bangladesh) অন্তর্বর্তী সরকার গ্রেফতার করেছে। তাঁর আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য আইনজীবীদের উপর ব্যাপক হামলা করা হয়। শুনানির দিন আদালত চত্বরে প্রবেশ করতে পারেনি কোনও হিন্দু আইনজীবী। এই বিষয়ে সরব হয়েছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অথচ ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ এবং ভারতীয় সেনার অবদানকে অস্বীকার করে ভারতের বিরুদ্ধে ভয়ঙ্কর হুঁশিয়ারি দিচ্ছে ইসলামি মৌলবাদীরা। শুধু এখানেই শেষ নয়, ওইদেশে মুসলমানদের একাধিক ধর্মীয় সভা বা ওয়াজ মেহফিলে চূড়ান্ত হিন্দু (ISKCON) বিদ্বেষী মনোভাব নিয়ে উস্কানি দেওয়া হচ্ছে। কখনও বলছে, ‘হিন্দু দোকান থেকে মিষ্টি কেনা পাপ’, ‘ইসকন সামাজিক ক্যান্সার’, আবার বলা হচ্ছে ‘তলোয়ার দিয়ে কোপাতে হবে’। ইসকনকে ক্যান্সারের সঙ্গে তুলনা করে বলা হচ্ছে, ‘‘শরীরের কোথাও ক্যান্সার হলে যেমন অঙ্গ কেটে বাদ দিতে হয়, ঠিক একইভাবে বাংলাদেশের শেকড় থেকে ইসকনকে উপড়ে ফেলতে হবে। আর যদি এই কাজে কেউ বাধা দেয় তাহলে তাদেরসঙ্গেও একই আচরণ কড়া হবে। ইসকনের সব আস্তানা ভেঙে ফেলতে হবে। অবিলম্বে ইসকনকে নিষিদ্ধ করতে হবে।’’ এই রকম নানা বিদ্বেষ এবং হিংসাত্মক কথা কীভাবে বাংলাদেশের আমজনতার সামনে তুলে ধরা হচ্ছে, এই সম্পর্কিত একটি ভিডিও পোস্ট করেন কলকাতা ইসকনের ভাইস প্রেসিডেন্ট রাধারমণ দাস। হিন্দুধর্মাবলম্বীরা কতটা অসুরক্ষিত তা আরও একবার প্রমাণিত হল বাংলাদেশে।

    ভেঙে দিতে হবে মুছে দিতে হবে ইসকনকে!

    এই প্রকাশিত ভিডিও-র বক্তব্য শুনলে যে কোনও মানুষের ঘুম ছুটে যাবে। উগ্র মুসলমানরা কীভাবে বাংলাদেশের (Bangladesh) জনমানসের মনে মিথ্যাকথা বলে উস্কানি দেয় তার কথাই এই ভিডিওগুলিতে শোনা যাচ্ছে। এম সাব্বির বিন লোকমান নামক এক বক্তা প্রকাশ্য মাইকে বলছেন, “আমি আসতে আসতে রাস্তায় অনেক পোস্টার এবং মন্দির দেখেছি। ইসকনকে (ISKCON) সারা বাংলাদেশে নিষিদ্ধ করতে হবে। সারা বাংলাদেশে এদের যেখানে আস্তানা রয়েছে ভেঙে দিতে হবে। যারা এদের দোসর হবে, যারা এদের রক্ষক হবে, তাদেরকেও চিরতরে মুছে দিতে হবে। এরা সমাজে ক্যান্সারের মতো। ক্যান্সারের কোনও উত্তর নেই, যেখানে ক্যান্সার হয়, সেই অঙ্গ কেটে বাদ দিতে হয়, নইলে সারা দেহে ছড়িয়ে যায়। ইসকন কেও শেষ করতে হবে।”

    ইসকনকে কোপাতে হবে!

    আবার বাংলাদেশের (Bangladesh) আরেক মৌলবাদী নেতা রফিকুল ইসলাম মাদানি বলেন, “এখন হাসিনার সময় নেই, রাজনীতি করার সময় নেই, আমাদের ঠান্ডা মাথায় কথা বলা সম্ভব নয়, তলোয়ারের ভাষায় কথা হবে। আগামী ২ এক দিনের মধ্যে ইসকনকে বন্ধ করতে হবে। হাসিনার প্রেতাত্মারা ইসকনের উপর ভর দিয়ে শাসনে ফিরতে চায়। মাহফিলে থাকার সময় নেই। ইসকনের (ISKCON) পান্ডারা আইনজীবী সাইফুল ইসলামকে যে ভাবে কুপিয়ে মেরেছে, ওদেরকেও কোপাতে হবে। জেহাদের এটাই আসল সময়। প্রত্যেক মুসলমানকে হাতে অস্ত্র তুলে নিতে হবে। বিধর্মীদের যেখানে পাবে কুপিয়ে মারতে হবে।” এই মন্তব্য অত্যন্ত বিদ্বেষ মূলক।

    আরও পড়ুনঃ চিন্ময় প্রভুর মুক্তির দাবি জানিয়ে ইউনূসকে চিঠি দিল বাংলাদেশের রামকৃষ্ণ মঠ-মিশন

    হিন্দুদের নিরাপত্তা দেওয়া হোক

    কলকাতা ইসকনের ভাইস প্রেসিডেন্ট রাধারমণ দাস বলেন, “আমি বাংলাদেশ (Bangladesh) থেকে এই ভিডিওগুলি পেয়েছি। বাংলাদেশে মৌলবাদী জেহাদিরা এই ভাবে উস্কানি দিচ্ছে। ইতিমধ্যে ব্রিটেনের ৩ জন সাংসদ ব্যাপক ভাবে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। বাংলাদেশের রামকৃষ্ণ মিশন শাখা চিঠি লিখে চিন্ময়কৃষ্ণ প্রভুর মুক্তি চেয়েছেন। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে আমাদের করজোরে নিবেদন যে, হিন্দুদের নিরাপত্তা দেওয়া হোক। ওই দেশের সংখ্যালঘুরাও দেশভক্ত। মৌলবাদীরা ঘুরে ঘুরে উত্তেজক ভাষণ এবং হিংসা ছড়াচ্ছে। অত্যন্ত উদ্বেগের কারণ এটা।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh: চিন্ময় প্রভুর মুক্তির দাবি জানিয়ে ইউনূসকে চিঠি দিল বাংলাদেশের রামকৃষ্ণ মঠ-মিশন

    Bangladesh: চিন্ময় প্রভুর মুক্তির দাবি জানিয়ে ইউনূসকে চিঠি দিল বাংলাদেশের রামকৃষ্ণ মঠ-মিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিন্দু সন্ন্যাসী চিন্ময় প্রভু এখন বাংলাদেশের (Bangladesh) জেলে রয়েছেন। তাঁর জামিনের মামলার পরবর্তী শুনানি হবে নয়া বছরে। এদিকে চিন্ময় প্রভু যাতে কোনও রকম আইনি সহায়তা না পান, তার জন্যে ক্রমাগত হুঁশিয়ারি দিয়ে আসছে চট্টগ্রামের আইনজীবীদের একটা অংশ। এমনকী, চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের হয়ে কোনও আইনজীবী যদি আদালতে সওয়াল করেন, তাহলে সেই আইনজীবীকে গণপিটুনি দেওয়ারও হুমকি দেওয়া হয়েছিল। এই আবহের মধ্যে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের হয়ে এবার চিঠি লিখলেন ঢাকার রামকৃষ্ণ মিশনের অধ্যক্ষ ও সম্পাদক স্বামী পূর্ণাত্মানন্দ। এই নিয়ে সেদেশের সরকারের মুখ্য উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূসকে চিঠি লিখেছেন স্বামী পূর্ণাত্মানন্দ। তাতে চিন্ময় কৃষ্ণের মুক্তির দাবি জানানো হয়েছে।

    চিঠিতে কী বলা হয়েছে? (Bangladesh)

    রামকৃষ্ণ মিশনের লেখা চিঠিতে বলা হয়েছে, হিন্দু সন্ন্যাসীকে মুক্ত করলে অন্তর্বর্তী সরকারেরই ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হবে। রিপোর্ট অনুযায়ী, সেই চিঠিতে রামকৃষ্ণ মিশনের সন্ন্যাসী লেখেন, ‘‘সম্প্রতি দেশের (Bangladesh) সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় শ্রীচিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে কারামুক্তি প্রদান করলে আপনার সরকারের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হবে বলে আমরা মনে করি। আশা করি, এবিষয়ে আপনি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে আমাদের আশ্বস্ত করবেন। ’’ এর আগে, এই গ্রেফতারের বিরুদ্ধে ভারতের রাম জন্মভূমি মন্দিরের প্রধান পুরোহিত সরব হয়েছিলেন। চিন্ময় প্রভুর মুক্তির দাবি জানিয়েছিলেন। অন্যদিকে, আগামী ১৩ ডিসেম্বরও সনাতনীদের একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল বাংলাদেশে। কিন্তু সূত্রের খবর, বর্তমান পরিস্থিতির জেরে সেটিও বাতিল করা হয়েছে।

    ইসকন কলকাতার ভাইস প্রেসিডেন্ট কী বললেন?

    এদিকে বাংলাদেশের (Bangladesh) অশান্তি আবহ প্রসঙ্গে চরম আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ইসকন কলকাতার ভাইস প্রেসিডেন্ট রাধারমণ দাস। তিনি বলেছেন, ‘‘খুব বিপজ্জনক। আমাদের ভক্তরা খুব চিন্তিত। সবচেয়ে চিন্তার বিষয়, যদি এই রকম মৌলানারা পুরো বাংলাদেশে ঘুরে, এই রকম সভা করছে যেখানে হাজার হাজার মানুষ তাঁদের শুনছে। সোশাল মিডিয়াতে যখন পোস্ট করা হচ্ছে, লক্ষ লক্ষ ভিউ পাচ্ছে। একসঙ্গে এত মানুষের যদি মগজ ধোলাই হয়, ভবিষ্যতে বাংলাদেশের পুলিশ, সেনা যদি ভাবে আমরা সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা দেব, এত লক্ষ লক্ষ মানুষকে কেউ সামলাতে পারবে না। ওরা যেটা বলছে, গণহত্যা যদি শুরু করে দেয়, এটা কারও নিয়ন্ত্রণে থাকবে না।’’ ইসকনকে নিষিদ্ধ করার কোনও পরিকল্পনা তাদের নেই বলে, ইতিমধ্যেই জানানো হয়েছে ইউনূস সরকারের পক্ষ থেকে। তাহলে কার মদতে ইসকনকে মুছে ফেলার ডাক দিচ্ছে মৌলবাদীরা? কোন সাহসে অস্ত্র হাতে তুলে নিতে বলছে? এবার কি ওই সব কট্টরপন্থীর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেবে ইউনূসের প্রশাসন?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “শাড়ি পুড়িয়ে কী হবে? ভারত থেকে হার্টে লাগানো রিং খুলে বের করো”, বিএনপি নেতাকে তোপ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “শাড়ি পুড়িয়ে কী হবে? ভারত থেকে হার্টে লাগানো রিং খুলে বের করো”, বিএনপি নেতাকে তোপ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “শাড়ি পুড়িয়ে কী হবে? ভারত থেকে হার্টে লাগানো রিং খুলে বের করো”, ঠিক এই ভাবে বাংলাদেশের (Bangladesh) বিএনপি নেতাকে তুলোধনা করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। নিজের স্ত্রীর (পুরনো) শাড়ি পুড়িয়ে প্রতিবাদ করেছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভি। সেই সঙ্গে ভারতে আক্রমণ করে টুকরো টুকরো করার হুমকিও দিয়েছিলেন এই নেতা। রবিবার, কাঁথিতে বাংলাদেশের হিন্দুদের ওপর অত্যাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সভা করেছিল একাধিক হিন্দু সংগঠন। তাতে যোগদান করে অন্তর্বর্তী সরকার এবং জামাত-বিএনপিকে তীব্র আক্রমণ করেন শুভেন্দু।

    আমরা বাংলাদেশের উপরে নির্ভর করি না (Suvendu Adhikari)

    এদিন বাংলাদেশ (Bangladesh) থেকে ভারতের বিরুদ্ধে হুমকি দেওয়া মৌলবাদী রাজনৈতিক নেতাদের নিশানা করে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “এক বেয়াদব বিএনপি নেতা তার বউয়ের শাড়ি পোড়াচ্ছিল। ওই মোল্লা রিজভিকে আমি বলতে চাই, তুমি কয়েকদিন আগে কলকাতায় এসেছিলে। তোমার হার্টে একটা রিং বসিয়ে নিয়ে গিয়েছ। ওটা ভারতে তৈরি। ওটা খুলে বের করে দাও। বউয়ের শাড়িটা পরে পোড়াবে। বাংলাদেশ আমাদের উপরে নির্ভর করে। আমরা বাংলাদেশের উপরে নির্ভর করি না।” উল্লেখ্য বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর অত্যাচার নিয়ে নয়াদিল্লির তরফে কড়া বিবৃতি দেওয়ার পর থেকেই সেই দেশ থেকে ভারত-বিরোধী নানা গরম গরম বক্তৃতা উঠে আসছে। কেউ বলেছে ইসলামের কালমা পতাকা তুলবে ভারতে, কলকাতা-আগরতলা দখল করবে মাত্র ৪ দিনে, ভারতকে চার টুকরো করে ভাগ করবে ইত্যাদি।

    ঠিক কী বলেছিলেন বিএনপি নেতা

    ভারতের বিরোধিতা করে বিএনপি নেতা রুহুল কবীর বলেছিলেন, “ভারত চট্টগ্রামকে ভারতের অংশ বলে দাবি করবে বলেছে। তাদের এত ঔদ্ধত্য হয়েছে। আমাদের মিলিত শক্তি, তারুণ্যের শক্তি নিয়ে আমরা এটাই বলব যে ঠিক আছে, তোমরা কী কারণে চট্টগ্রাম দাবি করবে? তোমরা ভারত যদি ওটা দাবি করতে পারো, তাহলে আমরাও দাবি করব, আমাদের নবাব সিরাজদৌল্লার বাংলা, বিহার, ওড়িশা ফেরত দাও।”

    আরও পড়ুনঃ ‘কলকাতা দখল! একটা রাফালই যথেষ্ট’, বাংলাদেশের সাম্প্রতিক মন্তব্যের জবাব শুভেন্দুর

    হিন্দু নিপীড়নে চুপ মহম্মদ ইউনূস

    বাংলাদেশের (Bangladesh) হিন্দু ধর্মগুরু চিন্ময়কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতার করার পর থেকেই ভারত সরকারের বিদেশ মন্ত্রকের বক্তব্য এবং হিন্দু সমাজের বিরোধিতায় ওই দেশের মৌলবাদীরা ব্যাপকভাবে দাপাদাপি করছে। চট্টগ্রাম, রংপুর, নেত্রকোনা, রাজশাহীতে চলছে ব্যাপক হিন্দু নির্যাতন। রবিবার ঢাকার পল্টন ময়দান থেকে ভারতীয় দূতাবাসে অভিযানের লক্ষ্য নিয়ে বিরাট মিছিল করে। এই মিছিলেও ভারত-বিরোধী নানা স্লোগানও ওঠে। অথচ অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূস চুপ হয়ে পরোক্ষ ভাবে ভারত বিরোধিতার মদত দিচ্ছেন বলে মনে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Voronezh Radar System: ৮ হাজার কিলোমিটার পর্যন্ত ক্ষেপণাস্ত্রের হদিশ মিলবে! ভারতে আসছে রুশ ‘ভরোনেঝ’ রেডার

    Voronezh Radar System: ৮ হাজার কিলোমিটার পর্যন্ত ক্ষেপণাস্ত্রের হদিশ মিলবে! ভারতে আসছে রুশ ‘ভরোনেঝ’ রেডার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাশিয়ার সঙ্গে ৪ বিলিয়ন ডলারের (৩৩ হাজার ৮৭৩ কোটি টাকা) একটি প্রতিরক্ষা চুক্তি (India Russia Defence Deal) স্বাক্ষর করতে চলেছে ভারত। এই চুক্তির আওতায় রাশিয়া ভারতকে অত্যাধুনিক রেডার সিস্টেম সরবরাহ করবে। এর ফলে ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র শনাক্তকরণ এবং বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা অনেক বেশি শক্তিশালী হবে। ভারত রাশিয়া থেকে ‘ভরোনেঝ’ সিরিজের রেডার (Voronezh Radar System) কিনতে যাচ্ছে। এটি ৮ হাজার কিলোমিটার পর্যন্ত শত্রুপক্ষের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র বা যুদ্ধবিমানকে শনাক্ত করতে পারে। শত্রুর ক্ষেপণাস্ত্র ট্র্যাক করার এই ধরনের ক্ষমতা বিশ্বের মাত্র কয়েকটি দেশের হাতেই রয়েছে।

    এই রেডার সিস্টেম নিরাপত্তার জন্য গুরুত্বপূর্ণ

    এই চুক্তি (India Russia Defence Deal) ভারতের চলমান বিমান প্রতিরক্ষা আধুনিকীকরণ প্রচেষ্টার অংশ। দেশের নিরাপত্তার জন্য যা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই রেডার সিস্টেমের প্রায় ৬০ শতাংশ উপাদান ভারতেই তৈরি করা হবে। যা আত্মনির্ভর ভারতের অবস্থান শক্ত করবে। ভারত-রাশিয়া প্রতিরক্ষা সম্পর্ককেও আরও শক্তিশালী করবে এই চুক্তি। এই রেডার সিস্টেমটি (Voronezh Radar System) কর্নাটকের চিত্রদুর্গে স্থাপন করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এটি কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ স্থান। এখানে ইতিমধ্যেই অত্যাধুনিক প্রতিরক্ষা এবং উন্নত এরোস্পেস পরিকাঠামোর সুবিধা রয়েছে। এই চুক্তি নিয়ে ইতিমধ্যেই ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের আধিকারিকদের সঙ্গে রেডার সিস্টেমের নির্মাতা আলমাজ-আন্তের নেতৃত্বে রুশ প্রতিনিধি দলের আলোচনা হয়েছে। 

    আরও পড়ুন: ‘কলকাতা দখল! একটা রাফালই যথেষ্ট’, বাংলাদেশের সাম্প্রতিক মন্তব্যের জবাব শুভেন্দুর

    ‘ভরোনেঝ’ রেডার সিস্টেমের বিশেষত্ব (Voronezh Radar System) 

    ‘ভরোনেঝ’ রেডার সিস্টেমের প্রধান কাজ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র শনাক্ত করা। ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের গতি অনেক বেশি হওয়ায় দ্রুত এটি শনাক্ত করা জরুরি যাতে প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা নেওয়া যায়। এটি মহাকাশ-সীমার কাছাকাছি উড়ন্ত আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র শনাক্ত করতে পারে (India Russia Defence Deal)। এছাড়াও, এই রেডার ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র এবং যুদ্ধবিমান সহ অন্যান্য আকাশপথে হুমকি সম্পর্কেও তথ্য সরবরাহ করে। ‘ভরোনেঝ’ রেডার সিস্টেমের (Voronezh Radar System) একটি স্টেশন ৬ হাজার কিলোমিটার দূরত্ব এবং ৮ হাজার কিলোমিটার উচ্চতা পর্যন্ত কোনও কিছুকে শনাক্ত করতে পারে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘কলকাতা দখল! একটা রাফালই যথেষ্ট’, বাংলাদেশের সাম্প্রতিক মন্তব্যের জবাব শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘কলকাতা দখল! একটা রাফালই যথেষ্ট’, বাংলাদেশের সাম্প্রতিক মন্তব্যের জবাব শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের সামরিক শক্তি কত বেশি, তা বাংলাদেশের (Bangladesh) অনুমান ক্ষমতারও বাইরে। ভারত কতটা শক্তিশালী, সেটা জানে রাশিয়া, আমেরিকা, চিনের মতো দেশ। একটা রাফাল যুদ্ধবিমান কতটা ভয়ঙ্কর তা বুঝতে পারছে না বাংলাদেশের একাংশ। কাঁথিতে রবিবার জনসভায় এমনই দাবি করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। 

    রাফাল-হুমকি

    রবিবার কাঁথিতে সনাতনী সমাজের মিছিলের পরে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেছেন, বাংলাদেশের যে ব্যাক্তি, চারদিনের মধ্যে কলকাতা দখলের হুমকি দিয়েছেন, তিনি অবার্চীনের মতো কথা বলেছেন। বিজ্ঞান নিয়ে ন্যূনতম ধারণা নেই তাঁর। শুভেন্দুর কথায়, ‘‘কতগুলো অর্বাচীন ঢাকায় দাঁড়িয়ে কাল বলেছে, চার ঘণ্টার মধ্যে নাকি কলকাতা দখল করবে। ওই লোকগুলো কোনও স্কুল-কলেজে পড়েছে বলে জানা নেই আমার। আমাদের হাসিমারা বিমানঘাঁটিতে ভারতীয় বায়ুসেনার যে রাফাল বিমানগুলি রাখা আছে না, তার একটা যদি পাঠিয়ে দেওয়া হয়, শুধু আওয়াজেই ওদের প্যান্টে বাথরুম হয়ে যাবে, আমি বলে গেলাম। ভারতের সামরিক শক্তি কত, সেটা রাশিয়া জানে, আমেরিকা জানে, চিন জানে।’’

    আরও পড়ুন: ‘‘লাশ চাইনি আমি! নতুন সূর্যের উদয় হবে’’, লন্ডনে হাসিনার বক্তব্যে সংখ্যালঘু হত্যা প্রসঙ্গ

    ইতিহাস-স্মরণ

    রবিবার, বাংলাদেশের (Bangladesh) হিন্দুদের উপরে অত্যাচারের প্রতিবাদ এবং সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণদাসের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে প্রাথমিকভাবে মিছিলের আয়োজন করা হয় কাঁথিতে। সেই মিছিলের শেষে কড়া ভাষায় বাংলাদেশকে আক্রমণ শানান শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। তিনি বলেন, ‘‘একাত্তর সালে দেড় বছর ধরে অত্যাচার হয়েছে। হিন্দু মহিলাদেরকে ধর্ষণ করা হয়েছে। পাকিস্তানের হাত থেকে বাংলাদেশকে উদ্ধার করার জন্য ৩০ লাখ (মানুষ) শহিদ হয়েছিলেন। তাঁদের অধিকাংশই ছিলেন বাঙালি হিন্দু। ৩,০০০ ভারতীয় সৈনিক শহিদ হয়েছিলেন। আমাদের হাজার-হাজার বিএসএফ জওয়ান শহিদ হয়েছিলেন। তারপর বাংলাদেশ তৈরি হয়েছে। দেড় বছর ধরে অত্যাচার করেছিল (পাকিস্তান)। আমি বলি, পিপীলিকার পাখা গজায় মরিবার তরে। বাংলাদেশের এই মৌলবীগুলো, উগ্রপন্থীগুলোরও পাকিস্তানের রাজাকারদের যা হাল হয়েছিল, সেই হাল হতে চলেছে। অপেক্ষা করুন।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sheikh Hasina: ‘‘লাশ চাইনি আমি! নতুন সূর্যের উদয় হবে’’, লন্ডনে হাসিনার বক্তব্যে সংখ্যালঘু হত্যা প্রসঙ্গ

    Sheikh Hasina: ‘‘লাশ চাইনি আমি! নতুন সূর্যের উদয় হবে’’, লন্ডনে হাসিনার বক্তব্যে সংখ্যালঘু হত্যা প্রসঙ্গ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি, সংখ্যালঘুদের উপর নিপীড়নের অভিযোগ নিয়ে সরাসরি ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের দিকে আঙুল তুললেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মুজিবুর-কন‍্যার দাবি, “কোনও কোটা ছিল না। সব দাবি মানা হয়েছিল। কিন্তু, দাবি মানার পরও কেন আন্দোলন চলে? এই আন্দোলনে কোনও নেতা খুঁজে পাওয়া যায়নি। ফলে এটা যে গভীর চক্রান্ত, তা বোঝা যাচ্ছিল। লাশ চাইনি আমি, তাই সরতে হয়েছে। বাংলাদেশের মানুষের মৌলিক অধিকার হরণ করা হয়েছে। হিন্দু-সংখ্যালঘুদর উপর নির্বিচারে আক্রমণ করা হচ্ছে। যা দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করেছে।” রবিবার ব্রিটেনের এক সভায় ভার্চুয়াল মাধ্যমে বক্তৃতায় এমনই দাবি করলে বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    অশান্ত বাংলাদেশে এখন অরাজকতা

    ব্রিটেনে আওয়ামি লিগের সমর্থকরা রবিবার একটি সভার আয়োজন করেছিল। ভার্চুয়াল মাধ্যমে সেই সভাতেই ভাষণ দিলেন হাসিনা। সভায় হাসিনা দাবি করেন, বাংলাদেশে এখন ‘অরাজকতা’ চলছে। নাগরিকদের কোনও শান্তি নেই সেখানে। তাঁর কথায়, ‘‘ঘরে শান্তিতে ঘুমোনোর উপায় নেই। চুরি, ডাকাতি হচ্ছে। যে কোনও সময় তদন্ত হতে পারে। এই তদন্তের নির্দেশ কে দিচ্ছেন?’’ এদিন লন্ডনে ওই অনুষ্ঠানে বহু মানুষ জমায়েত হন। হাসিনা বলেন, “আপনাদের সঙ্গে কথা বলতে পেরে আনন্দিত। এখন বাংলাদেশে মানুষের কথা বলার অধিকার নেই। ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত মানুষ। বাংলাদেশ এখন কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। সারা বাংলাদেশ জ্বলছে।” 

    আওয়ামি লিগ যেভাবে বাংলাদেশের মানুষের উন্নয়নে কাজ করেছে, সেকথা তুলে ধরেন হাসিনা। তিনি বলেন, “জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ে তুলেছিলাম। আমি মানুষের জীবন নিতে আসিনি। আমি মানুষের জীবন উন্নত করেছি। এই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করেছি বলেই আমাকে এখন বিচারের কাঠগড়ায় তোলার চেষ্টা করছে।” আওয়ামি লিগের গণসংগঠন ‘বাংলাদেশ ছাত্র লিগ’ হাসিনার এই বক্তৃতার ভিডিও সমাজমাধ্যমে দিয়েছে। 

    সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার

    সম্প্রতি সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারিকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বাংলাদেশ। আক্রান্ত হন বাংলাদেশের হিন্দু-সহ সংখ্যালঘুরা। হাসিনার এদিনের বক্তব্যে উঠে আসে চিন্ময় দাসের গ্রেফতারির প্রসঙ্গ। তিনি বলেন, “আইনজীবী পর্যন্ত দাঁড়াতে দেওয়া হয়নি। অথচ কেউ আইনজীবী দাঁড় করাতে না পারলে সরকারের তরফে আইনজীবী দেওয়া দরকার।” বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি বদলাবে বলে আশাবাদী হাসিনা। 

    আরও পড়ুন: হিন্দু নির্যাতনের মাশুল! বাংলাদেশিদের জন্য বন্ধ ত্রিপুরার হোটেলের দ্বার

    হাসিনা এ-ও দাবি করেছেন, জনবিক্ষোভের সময় তিনি ‘শক্তি প্রয়োগ’ করেননি। যদি তা করতেন, তা হলে বহু মানুষের প্রাণ যেত। তাঁর কথায়, ‘‘আমি শক্তি প্রয়োগ করলে লাশ পড়ত। আমি চাইনি মানুষের প্রাণ যাক। পুলিশ রাবার বুলেট ব্যবহার করেছে।’’ এর পরেই নোবেলজয়ী ইউনূসের দিকে আঙুল তুলেছেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘‘ইউনূস মাস্টারমাইন্ড, খুনি, ফ্যাসিবাদী, স্বৈরাচারী। আবু সঈদের হত্যার জন্য এই মাস্টারমাইন্ডরাই দায়ী। তাঁরা চেয়েছিলেন, লাশ ফেল, তা হলে সরকার পড়ে যাবে।’’ হাসিনা প্রশ্ন তুলেছেন যে, কেন বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর হামলা হচ্ছে? কেন মন্দির, গির্জা ধ্বংস করা হয়েছে? তবে, এই কালো দিন দূর হবে বলেই আশা হাসিার। তিনি বলেন, “এই অন্ধকার কেটে যাবে। নতুন সূর্যের উদয় হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share