Tag: Madhyom

Madhyom

  • Recruitment Case: দিলেন গোপন জবানবন্দি, এবার রাজসাক্ষী হতে চান পার্থর জামাই কল্যাণময় ভট্টাচার্য

    Recruitment Case: দিলেন গোপন জবানবন্দি, এবার রাজসাক্ষী হতে চান পার্থর জামাই কল্যাণময় ভট্টাচার্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী তথা তৃণমূল নেতা পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) বিপদ বাড়াতে চলেছেন তাঁরই জামাই! নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় (Recruitment Case) তিনি আগেই জবানবন্দি দিয়েছেন। এবার রাজসাক্ষী হচ্ছেন পার্থর জামাই কল্যাণময় ভট্টাচার্য। এই মামলায় অভিযুক্তদের তালিকায় তিনিও ছিলেন। তবে রাজসাক্ষী হলে তিনি আর অভিযুক্ত থাকবেন না।

    অতিরিক্ত চার্জশিট (Recruitment Case)

    নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় পঞ্চম অতিরিক্ত চার্জশিট আদালতে জমা দিয়েছে ইডি। কীভাবে, কোন সংস্থার মাধ্যমে আর্থিক তছরুপ হয়েছে, ওই চার্জশিটে তা উল্লেখ করা হয়। এই অতিরিক্ত চার্জশিটে অভিযুক্ত করা হয় কল্যাণময়কেও। আমেরিকা প্রবাসী কল্যাণময় বর্তমানে কলকাতায়। ইডি সূত্রে খবর, পার্থর জামাইকে একাধিকবার জেরা করে জানা গিয়েছে, নানা সময়ে বিভিন্ন লোকজনকে নগদে টাকা দিতেন পার্থ। সেই টাকাই ফিরে আসত পার্থর স্ত্রী বাবলির নামে তৈরি বাবলি চ্যাটার্জি মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশন ট্রাস্ট-এ। এভাবেই ওই ট্রাস্ট হয়ে উঠেছিল দুর্নীতির আখড়া। অন্তত নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় ইডি যে চার্জশিট পেশ করেছে, তাতেই এমন দাবি করা হয়েছে।

    কালো টাকা কীভাবে সাদা করা হল

    কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এই সংস্থার আরও দাবি, নিয়োগ দুর্নীতির কালো টাকা পার্থর প্রয়াত স্ত্রীর নামে (Recruitment Case) তৈরি ট্রাস্ট এবং কল্যাণময়ের নানা সংস্থার মাধ্যমে সাদা করা হয়েছিল। কল্যাণময় ও তাঁর সংস্থার নামে অভিযোগও দায়ের হয়। সম্প্রতি আইনজীবী মারফত পার্থর জামাই আবেদন করেছিলেন, গোপন জবানবন্দির মাধ্যমে প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তিনি আদালতে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেশ করতে চান। বিচারক তাঁর ওই আবেদন মঞ্জুর করেন। এর পরেই তিনি কলকাতা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতকে দ্রুত কল্যাণময়ের গোপন জবানবন্দি নেওয়ার নির্দেশ দেন।

    কিছুদিন আগেই পার্থর জামাই আবেদন করেছিলেন প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় রাজসাক্ষী হতে চেয়ে। পরবর্তীতে তা মঞ্জুর হয় ব্যাংকশালে ইডির বিশেষ আদালতে। জানা যায়, নিজের অপরাধ মার্জনা করার আবেদনও জানান কল্যাণময়। এর পরেই ইডির বিশেষ আদালতে বিচারক জানান, কল্যাণময় একজন ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে গোপন জবানবন্দি দিতে পারেন। তাঁর আবেদন অনুযায়ী, আদালত নির্দেশ দেয়, তিনি নগর ও দায়রা আদালতে ২০ নম্বর জুজিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে গোপন জবানবন্দি দেবেন (Partha Chatterjee)। সেই নির্দেশ মোতাবেক মঙ্গলবার গোপন জবানবন্দি দেন কল্যাণময় (Recruitment Case)।

  • ED Raid in Bengaluru: বেঙ্গালুরুতে জর্জ সোরসের সংস্থায় ইডি হানা, কী মিলল মার্কিন ধনকুবেরের অফিসে?

    ED Raid in Bengaluru: বেঙ্গালুরুতে জর্জ সোরসের সংস্থায় ইডি হানা, কী মিলল মার্কিন ধনকুবেরের অফিসে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মার্কিন ধনকুবের জর্জ সোরসের (George Soros) সংস্থা ওপেন সোসাইটি ফেডারেশনের (Open society Foundation) বেঙ্গালুরুর (Bengaluru) অফিসে মঙ্গলবার সকাল থেকে তল্লাশি চালাচ্ছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। বিদেশি অর্থ লেনদেনে (Foreign exchange management act) অনিয়মের অভিযোগের তদন্তে এই অভিযান বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। তদন্তকারীরা অভিযোগের বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানাতে চায়নি।

    কী অভিযোগ

    মার্কিন ধনকুবের জর্জ সোরসের ওই সংস্থা দেশে দেশে গণতন্ত্রের বিকাশে কাজ করে থাকে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সময়ে ভারতে গণতন্ত্র বিপন্ন বলে সোরস অতীতে একাধিক বার সরব হয়েছেন৷ গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে সরাসরি কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মিলিয়ে কাজ করার প্রস্তাব দেন তিনি। বিজেপির অভিযোগ রাহুল গান্ধী আসলে সোরসের সংস্থার উসকানিতে দেশে-বিদেশে গণতন্ত্র বিপন্নতা নিয়ে সরব। মার্কিন এই ধনকুবেরের সংস্থা গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের নামে দেশে দেশে অশান্তি সৃষ্টি করে থাকে বলে নানা সময়ে অভিযোগ উঠেছে। বাংলাদেশে পালা বদলের পিছনেও সোরসের সংস্থার হাত রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে্। সেই ধারণা আরও জোরদার হয় সোরস পুত্র বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুসের সঙ্গে একান্ত বৈঠক করার পর। বাংলাদেশে পালা বদলের পর বাস্তব ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের মৌলিক অধিকার বার বার খর্ব হয়েছে। বাংলাদেশে বর্তমানে ধর্মীয় স্বাধীনতা বিপন্ন। সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতন চলছা।

    বিদেশি মুদ্রা আইন লঙ্ঘন

    ভারতে বিজেপি ও কেন্দ্রীয় সরকারের কুনজরে রয়েছে ওএসএফ। বিদেশি মুদ্রা আইনে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে ইডি। বছর তিন আগে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের (Amnesty International) দিল্লি ও মুম্বইয়ের দফতরে তল্লাশি চালিয়েছিল ইডি। ওই সংস্থার বিরুদ্ধেও বিদেশি মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ ওঠে। তল্লাশির পর থেকে ভারতে ওই সংস্থার কাজকর্ম বন্ধ রয়েছে। এবার পালা ওপেন সোসাইটি ফেডারেশনের।

  • Pakistan: কেউ নিল ল্যাপটপ, কারও হাতে মনিটর, পাকিস্তানে ভুয়ো কলসেন্টারে লুট জনতার

    Pakistan: কেউ নিল ল্যাপটপ, কারও হাতে মনিটর, পাকিস্তানে ভুয়ো কলসেন্টারে লুট জনতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানে (Pakistan) ভুয়ো কলসেন্টার জানার পরেই সেখানে ঢুকে স্থানীয় বাসিন্দারা ল্যাপটপ, মনিটর লুঠ করতে শুরু করেন। এতে অনেকেই বলছেন, পাকিস্তান আছে পাকিস্তানেতেই! সেদেশের জনগণের ভিখারি মানসিকতার বিন্দুমাত্র পরিবর্তন ঘটেনি। ইতিমধ্যে ওই লুটের ভিডিও সমাজমাধ্যমে বেশ ভাইরাল হয়েছে। নানা মজার কমেন্ট করতেও দেখা যাচ্ছে অনেককে। আর্থিক সংকটে ভোগা পাকিস্তানে এমন চিত্র আগেও দেখা গিয়েছে। গত বছরের সেপ্টেম্বরে সদ্য চালু হওয়া একটি মলে কয়েকশো মানুষ ঢুকে পোশাক লুট করে পালিয়েছিল।

    ইসলামাবাদের (Islamabad) সেক্টর ১১-তে অবস্থিত কলসেন্টারটি

    জানা গিয়েছে, ইসলামাবাদের (Islamabad) সেক্টর ১১-তে অবস্থিত কলসেন্টারটি। তদন্তে উঠে এসেছে ওই কলসেন্টার থেকে প্রতারণার ফাঁদ পাতা হত। চিনের নাগরিকরাই নাকি ওই কল সেন্টারটি চালাতেন। এরপরেই পাকিস্তানের ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি(FIA) ওই কলসেন্টারে হানা দেয়। এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই এলাকার স্থানীয় মানুষজন ওই কলসেন্টারের সামনে ভিড় করেন। এফআইএ আধিকারিকরা ওই কলসেন্টারে ঢুকতেই স্থানীয় মানুষজনও হুড়মুড় করে ঢুকতে শুরু করে। তারপরই শুরু হয় জিনিসপত্র লুট। খুশির মেজাজে কলসেন্টার থেকে ল্যাপটপ, মনিটর, ডেস্কটপ নিয়ে বেরিয়ে আসতে দেখা যায় সবাইকে। শুধু কী তাই! অনেকে আবার কিছু না পেয়ে কী বোর্ডও নিয়ে আসে। কাউকে কাউকে ফার্নিচারও নিয়ে যেতে দেখা যায়।

    গ্রেফতার ২৪জন কল সেন্টার কর্মী

    এদিকে, পাকিস্তানের (Pakistan) পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ওই কলসেন্টারে হানা দিয়ে ২৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার মধ্যে কয়েকজন বিদেশি নাগরিকও রয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। তল্লাশির সময় কয়েকজন কলসেন্টার ছেড়ে পালিয়েও যান বলে পুলিশ জানিয়েছে। প্রসঙ্গত, ইসলামাবাদের এমন চিত্র গত বছরের অগাস্টে বাংলাদেশে দেখা গিয়েছিল। প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে লুঠের ছবি প্রকাশ্যে এসেছিল সেসময়। ফের একবার সেই রকমই ছবি সামনে এল পাকিস্তানে (Pakistan)। ২০২৪ সালের অগাস্ট মাসে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার পর শয়ে শয়ে মানুষ প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন ‘গণভবন’-এ ঢুকে পড়েছিলেন। যে যেমনভাবে পেরেছিল, জিনিসপত্র লুঠ করেছিলেন। কেউ কেউ হাসিনার শাড়ি নিয়ে গিয়েছিলেন। ছাগল, হাঁস-ও নিয়ে যেতে দেখা গিয়েছিল সেসময়।

  • Gujarat News: গুজরাট এটিএসের অভিযান, বন্ধ ফ্ল্যাটে উদ্ধার ৯৫ কেজি সোনা ও নগদ ৯০ কোটি

    Gujarat News: গুজরাট এটিএসের অভিযান, বন্ধ ফ্ল্যাটে উদ্ধার ৯৫ কেজি সোনা ও নগদ ৯০ কোটি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একটি বন্ধ ফ্ল্যাট থেকে ৯৫ কেজি সোনা এবং নগদ ৯০ কোটি টাকা উদ্ধার করল গুজরাট (Gujarat News) পুলিশের সন্ত্রাসদমন শাখা বা এটিএস এবং ডায়রেক্টরেট অফ রেভিনিউ ইন্টেলিজেন্স (ডিআরআই)। গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় আহমদাবাদের পালদি এলাকায় এই তল্লাশি অভিযানে চালানো হয় বলে জানা গিয়েছে। দীর্ঘ দিন ধরে বন্ধ থাকা একটি ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালান আধিকারিকরা। ফ্ল্যাটের দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকতেই স্তম্ভিত হয়ে যান আধিকারিকরা।

    কী জানাল গুজরাট পুলিশ (Gujarat News)

    গুজরাটের (Gujarat News) এটিএস জানিয়েছে, গোপন সূত্রে তাঁদের কাছে খবর আসে পালদি এলাকার ওই ফ্ল্যাটে প্রচুর পরিমাণে সোনা এবং নগদ টাকা রয়েছে। সেই খবর পাওয়ার পরই এটিএস এবং ডিআরআই-র আধিকারিকরা ওই ফ্ল্যাটে হানা দেন। কিন্তু ফ্ল্যাটটি বাইরে থেকে বন্ধ ছিল বলে জানা গিয়েছে। তার পর সেই ফ্ল্যাট ভেঙে ভিতরে ঢুকতেই ৯৫ কেজি সোনার বিস্কটু এবং নগদ ৯০ কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

    ৯০-১০০টি সোনার বিস্কুট থরে থরে সাজানো ছিল

    প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানতে পেরেছে ওই ফ্ল্যাটের মালিকের নাম মেঘ। তাঁরা বাবার নাম মহেন্দ্র শাহ। তাঁরা দু’জনেই বর্তমানে পলাতক। তদন্তকারী এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ফ্ল্যাটের ভিতরে একটি বাক্সে ৯০-১০০টি সোনার বিস্কুট থরে থরে সাজানো ছিল। ফ্ল্যাটে থাকা একটি আলমারি থেকে তাড়া তাড়া টাকার বান্ডিলও উদ্ধার হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। প্রাথমিক ভাবে পুলিশ জানিয়েছে, ওই টাকার পরিমাণ ৯০ কোটি টাকা (Gold Biscuits)। তবে পরিমাণ আরও বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

    কী জানাল গুজরাট এটিএসের (Gujarat News) অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার

    এটিএসের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার অফ পুলিশ (এসিপি) এসএল চৌধরি বলেন, ‘‘৯৫ কেজির বেশি সোনার বিস্কুট, গয়না এবং নগদ ৯০ কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে।’’ এসিপি আরও জানিয়েছেন, অভিযুক্তরা বড়সড় কোনও পাচারচক্রের সঙ্গে জড়িত বলেই মনে করা হচ্ছে। তবে দু’জনই বর্তমানে পলাতক। তাঁদের খোঁজে ইতিমধ্যে তল্লাশি চলছে। তবে এটাই প্রথম নয়, আহমদাবাদে এর আগেও ২০২০ সালে একটি গুদামঘর থেকে ১০০ কেজি সোনা উদ্ধার হয়। সুরাতের একটি ফ্ল্যাট (Gujarat News) থেকে নগদ ১০ কোটি টাকা উদ্ধার হয়।

  • Maoists Surrender: সরকারি নীতিতেই মিলল সাফল্য! ছত্তিশগড়ে ফের আত্মসমর্পণ এক ঝাঁক মাওবাদীর

    Maoists Surrender: সরকারি নীতিতেই মিলল সাফল্য! ছত্তিশগড়ে ফের আত্মসমর্পণ এক ঝাঁক মাওবাদীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের একবার সাফল্যের মুখ দেখল ‘মাও-দমন অভিযান’। তবে এবার আর অভিযান চালানো হয়নি। তার আগেই আত্মসমর্পণ করলেন ১৯ জন মাওবাদী (Maoists Surrender)। ১৭ মার্চ ছত্তিশগড়ের (Chhattisgarh) বিজাপুর জেলায় ঘটে আত্মসর্পণের এই ঘটনা। এদিন যাঁরা আত্মসমর্পণ করেছেন, তাঁদের সম্মিলিত পুরস্কার মূল্য ছিল ২৯ লাখ টাকা। জানা গিয়েছে, পুলিশ ও সেন্ট্রাল রিজার্ভের কর্তাদের কাছে আত্মসমর্পণ করেন ওই মাওবাদীরা।

    আত্মসমর্পণকারী মাওবাদী (Maoists Surrender)

    আত্মসমর্পণকারী মাওবাদীদের মধ্যে কয়েকজন এসিএম, পিপিসিএমের সদস্য হিসেবে সক্রিয় ছিলেন। অন্যরা পিপল লিবারেশন গেরিলা আর্মি এবং নিষিদ্ধ গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত মিলিশিয়া গোষ্ঠীর সদস্য হিসেবে সক্রিয় ছিলেন। তাঁদের প্রত্যেককে ২৫ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে এবং রাজ্য সরকারের আত্মসমর্পণ ও পুনর্বাসন নীতির অধীনে তাদের পুনর্বাসন দেওয়া হবে। এর আগে ১৩ মার্চ বিজাপুর জেলায়ই ১৭ জন মাওবাদী আত্মসমর্পণ করেছিলেন। তারই কয়েকদিন পর ফের ঘটল আত্মসমর্পণের ঘটনা (Maoists Surrender)। আত্মসমর্পণকারীদের মাথার সম্মিলিত পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছিল ৪০ লাখ টাকা।

    প্রসঙ্গত, রবিবার তেলঙ্গনায়ও আত্মসমর্পণ করেছেন ৬০ জনেরও বেশি মাওবাদী। এঁদের মধ্যে ছত্তিশগড়ের এসিএম পদমর্যাদার এক মাওবাদীও ছিলেন। ১২ মার্চ ছত্তিশগড়ের বর্তমান রাজ্য সরকার মূলধারায় যোগদানকারীদের জন্য একটি নতুন আত্মসমর্পণ ও পুনর্বাসন নীতি ঘোষণা করার পর থেকেই সমাজের মূলস্রোতে ফিরতে দলে দলে আত্মসমর্পণ করছেন মাওবাদীরা।

    আত্মসমর্পণকারীদের সরকারি সাহায্য

    নয়া নীতির মাধ্যমে আত্মসমর্পণকারী মাওবাদীদের আর্থিক সহায়তা, শিক্ষা, নিরাপত্তা, পুনর্বাসন এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ দেওয়া হবে। এর মাধ্যমে রাজ্য সরকার নিশ্চিত করতে চায় যে, যারা হিংসার পথ ত্যাগ করছে, তারা মর্যাদার সঙ্গে জীবন যাপন করতে পারে। উপমুখ্যমন্ত্রী বিজয় শর্মাও মাওবাদীদের কাছে অস্ত্র ছেড়ে সমাজের মূল স্রোতে ফিরে আসার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “মাওবাদীদের কাছে আমাদের আবেদন হল, তারা যেন অস্ত্র ছেড়ে সমাজের মূল স্রোতে ফিরে আসে।”

    উল্লেখ্য, ছত্তিশগড়ে (Chhattisgarh) সাম্প্রতিক সময়ে মাওবাদী ক্যাডারদের আত্মসমর্পণের প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। অস্ত্র সমর্পণ করেছেন বহু উচ্চপদস্থ মাওবাদী নেতা (Maoists Surrender)।

  • Garden Reach Shipbuilders and Engineers: সমুদ্রে সফল পরীক্ষা, নৌসেনাকে শীঘ্র আরও ২ রণতরী দেবে গার্ডেনরিচ

    Garden Reach Shipbuilders and Engineers: সমুদ্রে সফল পরীক্ষা, নৌসেনাকে শীঘ্র আরও ২ রণতরী দেবে গার্ডেনরিচ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় নৌসেনার (Indian Navy) শক্তি বাড়াতে সদা সক্রিয় গার্ডেনরিচ শিপবিল্ডার্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ার্স (Garden Reach Shipbuilders and Engineers)। উন্নতমানের রণতরী তৈরিতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ কলকাতার এই সংস্থা। প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা মজবুত করতে একাধিক যুদ্ধজাহাজ নৌসেনা ও উপকূলরক্ষী বাহিনীর হাতে তুলে দিয়েছে গার্ডেনরিচ। এই মুহূর্তে তারা প্রস্তুত করছে আরও দুটি রণতরী। সম্প্রতি এই যুদ্ধজাহাজগুলোর সফল সামুদ্রিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা হয়েছে বলে জানিয়েছে জাহাজ নির্মাণকারী সংস্থাটি।

    কী দিয়ে তৈরি এই যুদ্ধ জাহাজ

    জানা গিয়েছে, গত ৩ মার্চ পরীক্ষার জন্য সমুদ্রে নামে হিমগিরি (ইয়ার্ড ৩০২২) এবং অ্যান্ড্রোথ (ইয়ার্ড ৩০৩৫) নামের যুদ্ধজাহাজ। নৌসেনার ১৭এ প্রোজেক্টের আওতায় এগুলো নির্মাণ করা হচ্ছে। দেখে নেওয়া হচ্ছে রণতরী দুটির কার্যকারিতা। যার মধ্যে গতি, প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, সহনশীলতা বিশেষ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। চলছে শেষ পর্যায়ের কাজ। ইতিমধ্যে আইএনএস আর্নালা (ইয়ার্ড ৩০২৯)-এরও পরীক্ষা সফল হয়েছে। শীঘ্রই এটি নৌবাহিনীর হাতে তুলে দেওয়া হবে। জাহাজগুলি একেবারে দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি। এগুলির নির্মাণ করা হয়েছে বিশেষ স্টিল দিয়ে।

    কী আছে এই যুদ্ধ জাহাজে

    এই জাহাজগুলোর সব কটিতেই রয়েছে উন্নত প্রযুক্তির সরঞ্জাম, অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা। থাকছে বিমান, কপ্টার ও জাহাজ বিধ্বংসী প্রতিরোধ ব্যবস্থা। জাহাজের ডেকের ভেতর থেকেই ছোড়া যাবে ক্ষেপণাস্ত্র। প্রসঙ্গত, গত বছরের নভেম্বরে নৌসেনার (Indian Navy) জন্য চারটি নজরদারি জাহাজ বানানোর বরাত পায় গার্ডেনরিচ (Garden Reach Shipbuilders and Engineers)। এর আগে বেশ কয়েকটি নজরদারি জাহাজ (অফশোর পেট্রল ভেসেল) তৈরি করে নৌসেনা ও উপকূলরক্ষী বাহিনীর হাতে তুলে দিয়েছে গার্ডেনরিচ। যেগুলো দিয়ে চলছে ‘শত্রু’ পক্ষের উপর কড়া নজরদারি। চিনের দাদাগিরি রুখতে এখানেই তৈরি হয়েছে সাবমেরিন বিধ্বংসী রণতরী। এবার ‘নিউ জেনারেশন অফশোর পেট্রল ভেসেল’ তৈরি করেছে জাহাজ নির্মাণকারী সংস্থাটি। বিপর্যয় মোকাবিলা, অনুপ্রবেশ আটকানো, জলদস্যুদের দমনের মতো নানা গুরুত্বপূর্ণ অভিযানে নামানো হবে নতুন প্রজন্মের এই জাহাজগুলোকে। পাশাপাশি উপকূলে অতন্দ্রপ্রহরীর কাজ করবে তারা।

  • China: এবার চিনের মুখে ভারতের নাম, বেজিংয়ের মুখে মোদি-প্রশস্তি

    China: এবার চিনের মুখে ভারতের নাম, বেজিংয়ের মুখে মোদি-প্রশস্তি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভূতের মুখে রাম নাম নয়, বরং পড়ুন, চিনের (China) মুখে ভারতের নাম! এবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) প্রশংসায় পঞ্চমুখ চিনের শি জিনপিং সরকার। আমেরিকা সফরে গিয়ে লেক্স ফ্রিডম্যানের পডকাস্টে সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই সাক্ষাৎকারে ভারত-চিন সম্পর্ক নিয়ে মন্তব্য করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর সেই মন্তব্যের প্রশংসা করল চিন।

    হাতি ও ড্রাগনের সহযোগিতামূলক (China)

    এনিয়ে ফের একবার ‘হাতি ও ড্রাগনের সহযোগিতামূলক নৃত্যে’র প্রসঙ্গ তুলে আনল বেজিং। রাখঢাক না করেই চিনের স্পষ্ট বক্তব্য, নরেন্দ্র মোদির বয়ান বাস্তববাদী। ভারত চিন সম্পর্ক নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর ইতিবাচক বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় চিনের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র মাও নিং বলেন, “আমার দেশ মোদির এই বিবৃতি শুনেছে এবং তারা এর প্রশংসা করছে।”

    ভারত ও চিনের মধ্যে সম্পর্ক

    এর আগে লেক্স ফ্রিডম্যানের পডকাস্টে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ভারত ও চিনের মধ্যে সম্পর্ক আরও দৃঢ় করার ওপর জোর দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেছিলেন, “প্রতিযোগিতা দ্বন্দ্বে পরিণত হওয়া উচিত নয় এবং মতপার্থক্যকেও বিরোধে পরিণত করা উচিত নয়।” এই আবহে মাও বলেন, “অক্টোবরে রাশিয়ার কাজানে প্রধানমন্ত্রী মোদি ও চিনা রাষ্ট্রপতি শি জিনপিংয়ের মধ্যের সফল বৈঠক দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নয়নের জন্য কৌশলগত দিক নির্দেশনা দিয়েছে।”

    চিনের প্রশস্তি

    ফ্রিডম্যানকে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে পাকিস্তানকে তুলোধনা করেন প্রধানমন্ত্রী। এরই পাশাপাশি ভারতের অপর প্রতিবেশী চিনকে (China) নিয়ে তাঁর সুর ছিল নরম। ভারত-চিন সম্পর্ক নিয়ে বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী ‘পরিবারে’র উদাহরণ টেনেছিলেন। সীমান্ত নিয়ে চিনের সঙ্গে ভারতের যে বিবাদ রয়েছে এবং গত কয়েক বছর ধরে যে দুই দেশের সম্পর্কে চিড় ধরেছে, তা মেনে নিয়েছেন মোদি। তবে তিনি এও জানিয়েছিলেন, ধীরে ধীরে চিন ও বেজিংয়ের সম্পর্ক ভালো হচ্ছে।

    ভারত-চিন সম্পর্ক প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “দুই দেশের মধ্যে মতপার্থক্য থাকতেই পারে, তবে তা যাতে বিবাদে পরিণত না হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে।” মোদি জানান, গালওয়ান পূর্ববর্তী সমীকরণেই চিনের সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে চায় ভারত। তিনি বলেন, “আমার বিশ্বাস দুই দেশের মধ্যে ফের আস্থা ফিরবে।” ভারত-চিন সীমান্ত নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে আমার বৈঠকের পরে সীমান্তে (China) স্বাভাবিক অবস্থা ফিরতে দেখছি (PM Modi)।”

  • ABVP: বামেদের বিভাজনের রাজনীতির বিরুদ্ধে জেএনইউ-তে ‘একাত্মতা যাত্রা’ করল এবিভিপি

    ABVP: বামেদের বিভাজনের রাজনীতির বিরুদ্ধে জেএনইউ-তে ‘একাত্মতা যাত্রা’ করল এবিভিপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাম্প্রতিক সময়ে ফের একবার খবরের শিরোনামে দিল্লির জহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় (JNU)। সম্প্রতি, অভিযোগ ওঠে যে জওরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের বাম ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক বিভাজনের মন্তব্য করেছেন। এই মন্তব্যের কারণে সামাজিক সম্প্রীতির পরিবেশ নষ্ট হয়েছে। ঠিক এই আবহে পাল্টা আন্দোলনে নামল এবিভিপি। অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের (ABVP) তরফে জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরেই ডাক দেওয়া হয় একাত্মতা যাত্রার। এই কর্মসূচিতে ছাত্রীদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।

    কী জানাল এবিভিপি (ABVP)?

    এবিভিপির-র (ABVP) তরফ থেকে জানানো হয়েছে, এই ধরনের বিক্ষোভের আসল উদ্দেশ্য হল, ভারতের প্রাচীনতম সনাতন সভ্যতা, ঐতিহ্য, সংস্কৃতিতে রক্ষা করা। সামাজিক সম্প্রীতির পরিবেশ বজায় রাখতেই বামপন্থীদের বিরুদ্ধে এমন বিক্ষোভ দেখানো হয়েছে বলে জানিয়েছে এবিভিপি। বাম ছাত্র সংগঠনগুলির বিভাজনের মন্তব্যের বিরুদ্ধে জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জায়গা গঙ্গা ধাবা থেকে এই একাত্মতা যাত্রা শুরু হয় এবং তা চলে বারাক হস্টেল পর্যন্ত।

    আগেও এমন আন্দোলন করেছে এবিভিপি (ABVP)

    প্রসঙ্গত, এটাই নতুন নয়, এর আগেও বাম সংগঠনগুলির বিভাজনের রাজনীতির বিরুদ্ধে এবিভিপি রাষ্ট্রীয় একতা যাত্রার আয়োজন করেছে। সেখানে অত্যন্ত উৎসাহের সঙ্গে এবিভিপি কর্মীদের অংশগ্রহণ করতে দেখা গিয়েছে। জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের এবিভিপি (ABVP) শাখা জানিয়েছে, তারা যে কোনও ধরনের বিভাজনের রাজনীতির বিরুদ্ধে। এরপাশাপাশি তারা বামেদের এমন বিভাজনের রাজনীতির বিরুদ্ধে প্রত্যেক ছাত্র-ছাত্রীকে পথে নামাতেও প্রস্তুত বলে জানিয়েছে।

    কী বললেন এবিভিপির জেএনইউ-র সভাপতি?

    অখিল ভারতী বিদ্যার্থী পরিষদের (ABVP) জেএনইউ শাখার সভাপতি রাজেশ্বর কান্ত দুবে এ বিষয়ে সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘‘জেএনইউ-র একটা পরিচয় রয়েছে। এটি বিবিধতার মধ্যে ঐক্যের কথা বলে। এখানে যদি কেউ আঘাত করে তাহলে আমরা তার পাল্টা জবাব দেবই। জেএনইউ-র একাত্মতা যাত্রার মাধ্যমে আমরা এইবার তাই প্রত্যেক ছাত্র-ছাত্রীকে এই বার্তা দিতে চাইলাম যে এই বিশ্ববিদ্যালয় বিভাজনের রাজনীতিকে সমর্থন করেনা।’’

  • Israel Palestine Conflict: সংঘর্ষবিরতি শেষ হতেই গাজায় নতুন করে হামলা ইজরায়েলের! মৃত অন্তত ২০০

    Israel Palestine Conflict: সংঘর্ষবিরতি শেষ হতেই গাজায় নতুন করে হামলা ইজরায়েলের! মৃত অন্তত ২০০

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গাজায় ফের হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু ইজরায়েলের (Israel Palestine Conflict)। ২ মাসের যুদ্ধবিরতি চুক্তি শেষ হতেই গাজা ভূখণ্ডে নতুন করে হামলা চালাল ইজরায়েলি বাহিনী। সংবাদ সংস্থা রয়টার্স সূত্রে খবর, ইজরায়েলি হানায় শতাধিক প্যালেস্তাইনি নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের মধ্যে রয়েছে শিশু এবং মহিলাও। গাজার প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, মৃতের সংখ্যা ২০০ ছাড়িয়ে গিয়েছে। মঙ্গলবার গাজার মাটিতে বেলাগাম বিমান হামলা চালায় ইজরায়েল।

    হত হামাসের নিরাপত্তা আধিকারিক

    ট্রাম্পের উদ্যোগে গত জানুয়ারি মাসের মাঝামাঝি সময়ে হামাসের সঙ্গে সংঘর্ষবিরতি চুক্তি করে ইজরায়েল (Israel Palestine Conflict)। কথা ছিল, এই যুদ্ধবিরতির বিনিময়ে বন্দি নাগরিকদের মুক্তি দেবে হামাস। সেইমতো বহু পণবন্দিকে মুক্তিও দেওয়া হয়। তবে ইজরায়েলের অভিযোগ সকল পণবন্দিকে মুক্তি দেওয়া হয়নি। শুধু তাই নয় মার্কিন প্রস্তাবও প্রত্যাখ্যান করেছে হামাস। যার জেরেই এই হামলা। মঙ্গলবার কাকভোরে গাজায় বিমান হামলায় শতাধিক জনের মৃত্যু হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। ইজরায়েলের অবশ্য দাবি, গাজায় হামাসের ঘাঁটি লক্ষ্য করেই এই হামলা চালানো হয়েছে। প্যালেস্টাইনপন্থী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে ইজরায়েলের প্রথম দফার যুদ্ধবিরতির পর থেকে এটিই গাজায় সবচেয়ে বড় হামলা বলে মনে করা হচ্ছে। জানা যাচ্ছে, এই হামলায় হামাসের নিরাপত্তা আধিকারিক মেহমুদ আবু ওয়াতফার মৃত্যু হয়েছে।

    কোথায় কোথায় হামলা চালাল ইজরায়েল

    ইজরায়েলের (Israel Palestine Conflict) প্রতিরক্ষা বাহিনী জানিয়েছে, গাজা ভূখণ্ডে হামাস গোষ্ঠীর নিয়ন্ত্রণে থাকা অঞ্চলগুলিতে তারা হামলা চালাচ্ছে। রাজনৈতিক নেতৃত্বের অনুমোদনেই এই হামলা শুরু হয়েছে বলে দাবি ইজরায়েলি বাহিনীর। বস্তুত, গত ১৫ জানুয়ারি কাতার, আমেরিকা এবং মিশরের উদ্যোগে ইজরায়েল এবং হামাস সাময়িক যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়। গত ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে তা কার্যকর হয়। প্রথম দফার যুদ্ধবিরতির মেয়াদ ফুরিয়েছে ১ মার্চ। দ্বিতীয় দফার যুদ্ধবিরতি নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও আলোচনা হয়নি দুই পক্ষের। তার আগেই গাজার মাটিতে হামলা চালিয়ে বসল ইজরায়েল। মঙ্গলবার ভোরে আকাশপথে গাজায় হামলা চালায় ইজরায়েল। কয়েকঘণ্টায় প্রাণ গিয়েছে বহু। ধ্বংস হয়েছে বহু ঘরবাড়ি। গাজার বেসামরিক প্রতিরক্ষা সংস্থা জানিয়েছে, উত্তর গাজা, গাজা সিটি এবং মধ্য ও দক্ষিণ গাজা উপত্যকার দেইর আল-বালাহ, খান ইউনিস এবং রাফাহ সহ একাধিক স্থানে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায় ভোররাতে। মুহুর্মুহু গোলাবারুদ বর্ষণের শব্দে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন গাজার সাধারণ মানুষেরা। আহতদের দ্রুত উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

  • Mahakumbh: মার্চেও পরিযায়ী পাখিদের ভিড় ত্রিবেণী সঙ্গমে! স্বচ্ছ গঙ্গার প্রমাণ, বলছেন বিশেষজ্ঞরা

    Mahakumbh: মার্চেও পরিযায়ী পাখিদের ভিড় ত্রিবেণী সঙ্গমে! স্বচ্ছ গঙ্গার প্রমাণ, বলছেন বিশেষজ্ঞরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত ২৬ ফেব্রুয়ারি সম্পূর্ণ হয়েছে মহাকুম্ভ (Mahakumbh)। প্রয়াগরাজের ত্রিবেণী সঙ্গমের জলের দূষণ নিয়ে নানা গুজব ছড়ানো হয়, একাধিক মহল থেকে। তবে এমন অভিযোগ বারবার খারিজ হয়েছে বিভিন্ন বিশেষজ্ঞ কমিটির রিপোর্টে। এই আবহে সঙ্গমস্থলে এখনও দেখা যাচ্ছে পরিযায়ী পাখিদের ভিড়। একইসঙ্গে সেখানে ভেসে উঠছে ডলফিন। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এই ঘটনাই প্রমাণ করে যে মহাকুম্ভের জল কতটা স্বচ্ছ এবং পরিষ্কার। সাধারণভাবে এই পরিযায়ী পাখিদের ফেব্রুয়ারি শেষের দিকে ফিরে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু মার্চের অর্ধেক মাস শেষ হয়ে যাওয়ার পরও তাদের অস্তিত্ব দেখা যাচ্ছে। পরিবেশ বিজ্ঞানীরা এখানেই নিশ্চিত হয়েছেন যে মহাকুম্ভের জল সত্যিই স্বচ্ছ! এই সমস্ত পরিযায়ী পাখিরা সাধারণভাবে আসে ডিসেম্বরে কিন্তু মহাকুম্ভের (Mahakumbh) পরেও তারা বর্তমানে অবস্থান করছে।

    কী বলছেন জীব বিজ্ঞানের অধ্যাপক?

    জীব বিজ্ঞানের অধ্যাপক সন্দীপ মলহোত্রা যিনি পরিযায়ী পাখিদের নিয়ে গবেষণা করেন, তিনি জানিয়েছেন, এই পরিযায়ী পাখিরা ডিসেম্বরে শেষে শীত প্রধান অঞ্চল- রাশিয়া, সাইবেরিয়া, পোল্যান্ড থেকে উড়ে আসে এবং তারা ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ পর্যন্ত থাকে। কিন্তু বর্তমানে তারা মার্চের পরেও রয়েছে। এখানেই প্রমাণিত হচ্ছে যে ত্রিবেণী সঙ্গমের (Mahakumbh) জল স্বচ্ছ। এর পাশাপাশি সঙ্গমের বাতাসের গুণগত মানও খুব ভালো। তিনি আরও জানিয়েছেন যে উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদও একই কথা জানিয়েছে।

    গঙ্গাতে বাড়ছে ডলফিন (Uttar Pradesh)

    অন্যদিকে জানা গিয়েছে, গঙ্গাতে ডলফিনের সংখ্যা ক্রমশই বাড়ছে। তার কারণ একটাই, গঙ্গার জলের গুণগত মান। সম্প্রতি একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে কেন্দ্রীয় সরকারের পরিবেশ মন্ত্রক (Mahakumbh)। গত ৩ মার্চ বিশ্ব বন্যপ্রাণ দিবসে ওই রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়। সেখানেই জানানো হয়েছে যে গঙ্গাতে বর্তমানে বসবাস করছে ৬,৩২৪ টি ডলফিন। যেখানে সিন্ধু নদে রয়েছে মাত্র তিনটি ডলফিন। যে রিপোর্ট প্রকাশ হয়েছে সেখানে দেখা যাচ্ছে, গত তিন বছরে প্রায় দ্বিগুণ সংখ্যায় ডলফিন বেড়েছে। ২০২১ সালে গঙ্গার মূলধারায় ডলফিনের সংখ্যা ছিল ৩,২৭৫। যার মধ্যে উত্তরপ্রদেশেই ছিল সবচেয়ে বেশি। উত্তরপ্রদেশের ফতেপুর, প্রয়াগরাজ, বিহারের পাটনার গঙ্গায় ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে ডলফিন।

LinkedIn
Share